( অর্থাৎ) সমালোচনা-সংবলিত ঈশ্বরচন্জ বিদ্যাসাগরের জী শ্রঙ্ছিরিলীল, সরকার কলিকাতা ১২নং সিকদারবাগান-বানব- পুস্তকান: সাধারণ পাঠাগার বা তৎসহ-সম্পাদক পপ কলিকাতা, ৩৪৯ সক ইত বাসীীেসিন ৫ রে উতমর্গ-পত্র। ধাহার সহায়স্তায় পবিত্র সাহিত্য-মন্দিরের এক প্রান্তে প্রবেশ করিবার প্রকৃত গথ গাইয়াছিলাম, সেই শ্র্/স্পদ সহৃদয় হুহৃদ-সহায় শীযুক্ত কেদারনাথ খিত্রকে এবং ধাহার সন্গদয়তা় কেদারনাথকে সুহনদস্বর্ূপে পাইয়াছিলাম, সেই প্রিয়তম মিত্র শ্রীযুক্ত নৃত্যগোপাল বন্ুকে দীনের এ সামান্ত সাহিত্য-সন্বল “বিদ্যাসাগর” উৎনষট হইন্স। পিই নিবেদন। বিধি বিড়ম্বনায় “বিদ্যাসাগর” যথাসময়ে প্রকাশিত হয় নাই । তিন মাস শধ্যশীয়ী ছিলাম। দৌর্বল্য জন্য ছুই মাদ "ধিদ্যাসাগর* সন্বদ্ধে কোন কাজ করিতে পারি নাই। ইহা অবশ্ঠ বিড়ম্বনার প্রকৃষ্ট প্রমাণ। বিদ্যামাগর মহাশয়ের সহোদর শীমুক্ত শভুচ বিদ্যারত্ব মহাশ়, জর্বপ্রথম বিদ্যামাগর মহাশয়ের জীবনী প্রকাশ করেন। তাহার নিকট আমার জর্াগ্রে কৃতজ্ঞঙা-স্বীকার কর্তব্য । বিদ্যাসাগর" প্রঞাশে অনেকেই অনেক প্রকারে আমাকে দাহাষ্য করিয়্াছেন। পুস্তকের অভ্যন্তরে তীহাদের মামোল্পেখ আছে। আমি তীহাদ্দের নিকট চির-কৃতজ্ঞতা- পাশে বন্ধ রহিলাম। বিদ্য[%. ] মহাশদ্বের পুত্র শ্রত়ু নারায়ণ বন্যোপাধ্যায মহাথয়, জামাকে অনেক চিতি-পত্র দিন] সাহায্য করিয়াছেন। তাহার নিকট বিদ্যাসাগর মহাশয়ের জীবন-ঘটত ষে সমুদয় চিঠি-পত্র ছিল, সে সমুদয়ই পাইবার আশ! পাইয়াছিলাম। আমার ছরদৃষ্টশতঃ তহার কতক হস্তাস্তরিত হইগ্কা পড়ে। যাহা হউক, তিনি আমাকে যে সব ছুর্লত আবশ্যক চিঠি-পত্র দিয়াছেন, তাহার জন্ত তাহার নিকট আমি চির-ঝণী। আমি বহু কষ্টে, বহ শ্রমে এবং অর্থব্যপ়ে যে সমস্ত উপকরণ সংগ্রহ করিয়াছি, হয়ত তাহাদের কাহারও কাহারও উপধুদ্ধ ব্যধহার করিতে পারি লাই। আশ। আছে, ভব্য্যিতে আম 1/০ . ঈপেক্ষা। যোগ্যতর জীবনী-লেখকের হস্তে তাহাদের সন্ধ্যবহার . হইবে । আমি যাহা সংগ্রহ করিয়াছি, তাহা ধরি কোন জময়, সাধারণের অম্পত্তিরূপে, সাধারণের হিতার্থে নিয়োজিত হয়, তাহা হইপে, আমার সংগ্রহ-শ্রম সার্ক হইবে। নানা কাপে, মূল ইংরেজী চিঠি-পত্র প্রকাশ করিতে পারিলাম না। মুলের সৌন্দর্য অনুবাদে রক্ষিত হয় না। তবে অনেকট। ভাবগ্রহ হইয়া থাক্চে। এই জন্য ইংরেজী চিঠি, পত্রাদির বাঙ্গালায় মন্্ানুবাদ দিয়াছি। ইৎরেজী চিঠি-পত্রাদির অনুবাদ সম্বন্ধে আমার পরম শ্রদ্ধা- স্প বন্ধু শ্রীযুক্ত ক্ষীরোদপ্রদাদ বিদ্যাবিনোদ এম, এ, শ্রীযু্ রাজেজ্রনাথ বন, বি, এল, মোদরপ্রতিম শ্রীমান্‌ নারায়ণচন্্র ঘোষ, বি, এ, আরমান কানাইলাল ঘোষ এবং আমার শ্্ধাস্পদ 'সহকানী শ্রীযুক হরিমোহন মুখোপাধ্যায় জনেকটা সাহায্য করিয়াছেন। তৃতপূর্ধ্ব ডাইরেক্টর টনি সাহেব, অনুগ্রহপুর্ক্বক সংস্কৃত-কলেজের পুরাতন কাগজপত্র দেখিবার অনুমতি দিয় ছিলেন । সংস্কত-কলেজের ভূতপুর্্ব অধ্যক্ষ মহা-মহোপাধ্যান্ পণ্ডিত মহেশচন্্র স্তাক়রত্ব মহাশয়, ততৎমন্বন্ধে সহায়তা করিয়া" ছিপেন। নিম্নলিখিত পত্রে তাহার প্রমাণ, শীঞ্রনুর্গ। সংস্কৃত কলেজ, শরণখ। ৮৮ ৯২ সবিনয়নিবেদনমিদমূ। যুক্ত ডিরেই্র সাহেবের চিঠি আসিয়াছে। ১বিদ্যামাগর 1/০ মহাশয়ের জীবনী সম্বন্ধে কলেজ হইতে যাহ! অনুসন্ধ'ন কঙ্গেন তাহ! পাইতে পারেন। ইতি ভবদীয়স্ত শ্ীমহেশচন্্র শর! বদযাপাগরকো হন যে চক্ষে দেখিয়। থাকে এবং হিন্দৃন যে চক্ষে দেখা কর্তধ্য, বিদ্যাসাগরের কাধ্যালোচনায় তাহ। বুঝাইবার প্রয়াম পাইয়াছি। মে অন্বন্ধে কতদূর কৃতকাধ্য হইজ্কাছ, তাহারাবচার বিজ্ঞ পাঠকগণই কঞিবেন। পিচ পন জলজ প্রার্থন! | মানুষ অপূর্ণ। তাই মানুষের কাজ একেবারে ভ্রমবর্জিত- হয় না। আমি মুঢ়, প্রতিজ্ঞা করিয়াছিলাম, *বিদ্যাসাগরকে” একেবারে ভ্রমশূন্ত করিব। বিশেষতঃ ষোড়শ বর্ধাধিক কাল বাঙ্গালা ছাপাথানাত্র সহিত কুটুন্বিত! করিয়াও যখন আমার এইপনপ স্পর্ঘিত প্রতিজ্ঞা, তখন আষার মুঢ়তা অপরিমেয় ও অমাজ্নীযু। কেবল ছাপাখানার দোহাই দিয়া আত্ম-নি্কৃ- তির প্রয়াস পাইলে, প্রত্যব্যয় হয়। ছাপাখ।নার ভ্রম অনে* কাংশে অক্ষরগত। আমার ভ্রম বিষয়, ভাব ও ভাষ' সংক্রান্ত । কেবল ভ্রম কেন, কোন কোন স্থানে ক্রটি ও সংশয় আছে। আমার সবিনয় নিবেদন, পাঠকবর্ম অনুগ্রহপূর্বক অক্ষরগ্ত ভ্রম স্বপ্তৎ সংশোধন করিয়। লইবেন। আত্মকৃত যেভ্রম-ক্রাট ॥$ যুদ্ধিগোচর হইয়াছে, তাহার যথাযোগ্য সংশোধন করিয়া লইতে স্ষুচিত নহি। আমার বুদ্ধিগোচর হয় নাই, এমন ভ্রমও থাকিতে পারে। দয়া করিয়া, কেহ তাহ। দেখাইয়া দিলে, অনৃতজ্ঞতার কলস্কে কলুষিত হইব না। ভ্রম । “পঞ্চম অধ্যায়? ছুইটী হইয়াছে। পাঠক! শেষেরটাকে “পঞ্চম কে)? করিষ়া লইবেন। বিদ্যামাগর মহাশয়ের পুত্রের মাম *নারাফণ” না হইয়া চুই এক স্থানে “নারায়ণচন্দ্র” হই- মাছে? ৪৮ পৃষ্ঠা ত্রয়োদশ ছত্রে পপ্রহারের পরও” না হইয়! “প্রহারের সময়েও” হুইবে। ৫১ পৃষ্ঠার চহুদ্দশ ছত্রে “বালক ঈশ্বঃচন্দ্রকে” না হইয্বা “তাহাকে” হইয়াছে । সংস্কৃত সংকীর্ণ- প্রলার ও াধ'রণে অপ্রচলিত। ৮০ পৃষ্ঠার ধশম ছত্রে “সাধারণ” কথাটি পড়িয়া গ্িগ্ান্থে। ১৮৩ পৃষ্ঠার নোটে পঞ্চম ছত্রে “১৮৯৩ হৃষ্টাবে” না হইয়া! «১৭৯৩ ধৃষ্টাব্ডেশ হইবে । ৩০৯ পৃষ্ঠার প্রথম ছতত্র “কুরুদ্মি” কথাটা “কুশ-ভূমি* হইবে। “এডুকেশন কৌন্সিলে”র সেক্রেটারীর নাম মোযেট সাহেব। কোন কোন স্থানে “যোনাট" হইয়াছে। $৯১ পৃষ্ঠার ষষ্ট ছত্রে “পাঁচ মহত্র” কথাটা 'পঞ্াশ সহ হুইবে। ০ ইসি 72:25 ৪ চা রায় দীনবন্ধু মিজ বাছাছুৰ | ভ্রটি। রাপ্ধ দীনবন্ধু মিত্র বাহাদুরের চিত্র সন্নিবেশিত হইয়াছে। কিন্ত তাহার সম্বন্ধে বিশেষ কিছু উল্লেখ নাই। বিদ্যাসাগর মহাশয়ের সহিত তাহার ঘনিষ্ঠ সখ্য ছিল। উভয়ের পরি- বারের মধ্যে পরস্পরের এরূপ শ্বনিষ্ঠত। ছিল যে, সহসা] ভিন্ন পরিবার বলিয়া, কেহ বুঝিতে পারিত না। ইহা অপেক্ষা আর বেশী বলিবার স্থান অবশ্য এধানে হইবে না। বিদ্যাসাগর মহাশয়ের রচিত, সঙ্কলিত ও অনুবাদিত পুস্তকের মধ্যে কথামালার কথ। কিছু বলা হত নাই। ৰথামাল! স্থুকুমারমতি বালকের দিব্য মুখরোচক। ধে সকল চিত্র সন্নিবেশিত হইয়াছে, তাহাতে এন্গ্রেভার ও পেন্টার শ্রীযুক্ষ হরিদাস সেনের মাম উল্লিখিত হওয়া উচিত ছিল। অধিকাংশ চিত্র তাহারই অস্থিত। ধারাবাছিকরূপে বধে বর্ষে বিদ্যাসাগর মহাশছ্জের জীবনশটত কার্ধ্যাবলীর ' আলোচনা! হইয়াছে। কোন কোন স্থানে ইহার ব্যতিক্রম ঘটিয়াছে। দৃষ্টাত্ত দ্বরূপ কলেজ-প্রতিষ্টার বিষয় উল্লেধিত হইতে পারে। ভাবোক্ভাষিত হদয়াবেগে বিচিত্রকর্ম। বিদ্যানাগরের একই প্রবৃত্বি-পরিচ।য়ুক ভিন্ন ভিন্ন কার্ধযালোচনায় ছুই এক স্থানে মন্তব্য-ভাবে পুনরাবৃত্তি খটপ্তাছে। একাস্ত বিরক্তিকর বোধ হইলে, প'্ঠকগণ দয়! করিনা, মে অংশ বাদ দিয়া পড়িবেন। অংশয়। ৩৫১ পৃষ্ঠায় মদনমোহন শর্শা-স্বাক্ষরিত একখানি পর প্রন্কানিত হইয়াছে । পত্রধানি প্রকৃত। কিন্ত নাম অন্বন্ধে সংশয় আছে। আমার অহুম্থাবস্থায় এই অংশ মুদ্রিত হইয়ান্িল। মামট্টা মিলাইতে পারি নাই। ছূর্তাগাবশতঃ পত্রধানি অধুনা হস্তচ্যুত। ৫৮৬ পৃষ্ান্ব বিদ্যাসাগর মহাশয়ের রহস্ত-রদের পরিচয়ঙ্থলে লাট-দরবার সম্বন্ধে ঘে কথা লিখিত হইয়াছে, তদ্বিবরণ মাদ্রাজের বারিষ্টার রামন্বামী রাজু বি, এ কতৃক প্রণীত্ত “্রীঘত্পগ্ডিত রাজতরজিণী” নামক গ্রন্থ হইতে জঙ্কলিত হুইয়াছে। কেহ কেহ ইহার ষত্যত। জন্বন্ধে সনেহ করেন। এমন কি, বিন্যামাগর মহাশয়ের কোন কোন আতীয় ইহাকে কল্পিত বলিতেও কুহিত নহেন। | শেষ কথ।। “জনভুমিতে” বখন বিদ্যাসাগর মহাশয়ের জীবনী প্রকাশ করি, তখন নিয়লিধিত বিষয়গুলি সংগ্রহ করিতে পারি নাই। বিদ্যাসাগর মহাশয়ের জীবনীর সঙ্গে এই সধ বিষয় এই প্রথম প্রকাশিত হইল। [ গ 1] একাদশ অধ্যায়। বিইন্ন প্‌ বাঙ্গাল! ইতিহান, হূর্াচরণের পরিচয়, ফোর্ট উইপিয়ম কলেজে পুনঃগ্রবেশ, ইংরেজি লিপি-পটুতা, গুভকরী, জুনিয়র, নিনির়র পরীক্ষা, গুণধানের পুরস্কার, পুত্রের জন্ম ও ভ্াতৃ- বিয়োগ রর ২২১--২২৫ দ্বাদশ অধ্যায়। লাহিভ্যধ্যাপকভা, কৈকিন্নং, তর্কালক্ষারের পত্র, রিপোর্ট ভ জীবনচপিত উঃ ২২৬---২৫৩ ভ্রয়োদশ অধ্যায়। রমময় দত্তের কর্ধত্যাগ, বিদ্যানাগপরের প্রিদিপালপদদ, কার্য-হ্যবশ্থ1, ছাত্র-ত্রীতি, কারিক-দণগখিধানের নিষেধাজ্ঞা, রহস্ত- পটুভা, শিরঃপীড়।, বিটন্‌ স্কুলের নন্বন্ধ ও যোধোদয় *** ২৫৪-২৭১ চতুর্দশ অধ্যায়। সংস্কৃত কলেজে শৃত্র ছাত্রগ্রহণের ব্যবস্থা, কলেঞ্জের বেতন- আ্যবস্থ1, উপক্রমণিক1 ব্যাকরণ, যীরনিংহে ডাকাইতি, আত্মরক্ষা ককিন্নং, ডাকাইতির কারণ, নীভিযোধের রচদা, ঝভুপাঠ ও |কোঁমুদী ব্যাকরণ, শিক্ষাপ্রবালীর পরিবর্তন, পাঠ্য-প্রণরন-দ তা, বীরসিংহ আছে বিদ্যালর, বেতন'5দ্ধ ও বিদ্যালয়ের বায়. ২৭২--২৮৩ পঞ্চদশ অধ্যায়। স্কুধ-ইন্দপেক্টরী পনগ্রান্তি, নর্মাল স্কুল, সফরে নহদয়তা, মাতৃনাষে উচ্দুন, জননীর দয্ব!, অন্থগত-পালদ, বন্ধুর আদর, শুঃগ্রহে আগ্রহ, সংস্কৃত তা! ও লাহিত্য-ধিষগক প্রস্তাব, দান- পদ্ধতি,নংস্কৃত কজেজে ইংরেখির প্রদার ও শকুত্তলা/! “** ২৮৪ --৩০১ [| ঘ ] ষোড়শ অধ্যায়ু। বিষয় পৃষ্ঠ! বিধবা- ব্যাহ টি ৩০২-৩৬০ সপ্তদশ অধ্যায়। ধর্ণপরিচয়, চরিতাঁধলী, বিশ্ব ধিপ্যালমন, হেলিডের নিকট প্রতিষ্ঠা ইয়ও মাহেষের লহিভ মনান্তঃ ও পদত্যাগ ৩৬১-৮৩৭২ অষ্টাশ অধান। স্বাধীন জীবনের আভা, ওকালতীর প্রত্তি তাগ,পিভামহীরু মৃতু, পিভামহীর শ্রাদ্ধ, মন্তরগ্রহণে অপ্রবৃ্চি আচার-অমৃ টান, নংস্ৃত ঘন্তরও ডিসজিটরী, পরোঁপকান্র ও উপকারে কৃতজ্ঞতা ৩৭৩--৩৮৫ একোনবিংশ অধ্যায় । বিধব1 বিবাঁছে ধণ, ব্ধবা-ধিবাহ নাটক, দান-দাক্ষিণা, ইংরেজি দ্কুধ, কৃত্তজ্ৰতা, হিন্দু-পেটরিয়ট, মোমগপ্রকাশ, বর্ধমান- রাজের লহিত ঘনিষ্উতা, নোমপ্রকাশে বিদ্যাভূষণ ও সংবাঁদ- পত্রের নংক্ষিপ্ত বিষর্ণ ৩৮৬ ৮৪৪৪ বিংশ অধ্যায়। মহাভারতের অন্থবাদ, নীভার বমবান, অমারিকত1, ঘোঁষনের বিক্রম, গুরুগ্ক্ি, রাজ! এঈশ্বরচন্তর, মধুরে-কঠোর, ৬রমাঞরদাঁদ রায় ও আত-ত্রাণ ফি ৪০১-৮৪১৫ একবিংশ অধ্যায় । মাইকেল ও বিদাদাগর ক ৪১১--৪.৮ দ্বাবিংশ অধ্যায়। ধমর্ণের ব্যবহার ও অযাচিত দান রঃ ৪১৯--৪২৪ | ও] ত্রয়ৌবিংশ অধ্যায়। বিষ পু্ঠ11 পু; কার্ধ/-প্রার্থনা, ওয়উডদ্‌ ইনিছ্িটিউনন ও শাস্ত্ীত ব্য রঃ ৪২৫-৪৩১ চতুর্তিংশ অধ্যায়। যেটপলিটন না 8৪০---8৪৮ পর্কবিংশ আযাধয়। আজ -হতনি1, বেখুমে নরম, বেখুনে মিদ্‌ পিগট, পিতার কাশীধান, প্রননকূমার ও হূর্ভিক্ষ। ৪৪১-_২৬১ ষড়ুবিংশ অধ্যায়ু। রাজ প্রতাপচন্ত্র, পাজ-পরিবার, অআধাধ লাক্ষাং অনাহতের অত্যাচার, দেধোত্বর নম্পন্ত, দরুণ হুর্ঘটন| ও পারিযারিক পার্ধক্য রঃ ৪৬২-+৪৭৫ সপ্তবিংশ ঘধ্যান্ন। ভ্রাতার ্বতিমান, শত্গুলাধ পরিত, াজ| রাঁধাকাপ্ত, হিন্দু- পেটরিপনটে পত্র, জো কক্জার বিধাহ. রাঁমগোপাজ ঘোষ, নারদ. গ্রনাদ, তাটাল-কুণ, রাণী কান্যায়নী, ইনৃকমূ টক ও হরচন্ ঘোষ ৮৯৪ ৪৭৩ --.৪৮% অষ্টাবিংশ অধ্যায় ) ছাপাখানার নত, মনোবেদম1, হোষিওপ্যাথিক্ক চিকিৎসা, বর্ধমামে বিদ্যানাগর, ঝণের জন্ত ঝণ ও বিধব| ধিবাহে জাগুন1 ৪৮২--3৯৭ একোনত্রিংশ অধ্যায়। পাচঙ্কের অপরাধ, বদ্ধ ঘনে ম্যালেরিয়। ও দানে কৌতুক ৪১৮--৫০৪ [ চ ] ত্রিংশ অধ্যায়। বিষয় | | পুষ্ঠ]। জান্তিবিল1স, রাষের রাজযাভিধেক ও ভাষা-চর্চ| €০৫-৮৫১২ একত্রিধশ অধ্যায় । গুহ-দাহ, ছাঁপাখান।-বিক্রঘ, মেধদূত, দেশ-স্যাগ, সত্তধ্য-রক্ষা, ডাক্তার দুর্গাচঃণ, বিষয় রক্ষা, ভাক্তীর নরকার, মহারাজ মহাতাপ চাঁদ, নভায় সাহাধ্য ও পুত্রের বিবাহ ৫১৩-৮৫২৫ দ্বাত্রিংশ অধ্যয়ু। কারীতে জননী, মাতৃ-বিয়োগ, পিতৃ-সেব, কাশীর কার্য্য, হিন্দু-উইল, রাজ! নতীশচন্ত্র, রাণী ভূবনেশ্বরী, উত্বর-চরিত ও অভিজ্ঞান শকুন্তলামাটক ... ৫২৬-৮৫৩৬ ত্রয়স্তিংশ অধ্যায় । .. পাদরী ডগ, কেশবচন্্র দেন, রাজনারারণ বনু ও রামকৃ্ পরমহংন 4৪৪ ১৪৪ ৫৩৭-"৫৪১ চতুস্ত্িংখ অধ্যায় । বছ-বিষাহ ॥ ৪৪ ৪৪৬ ৫৪২.-৮৫৪৭ পঞ্চত্রিংশ অধ্যায়। [দ্বিতীয় কন্ঠার খিধাত, পুতর-বর্জান ও আনুইটি কও ৫৪৮--৫৫৫ ষটটত্রিংশ অধ্যায়। | স্বাধীন বন্ধ, জাষাতার যৃত্যু, দুহিষ্ভা-দৌহিজ ও যেউপলি- উনের শাখা * ৫৫৭৫ সপ্তত্রিংশ অধ্যাম়্। . পাছ্‌ক্ষা-ঘিত্রাট ক ৫৬৩--৫৭২ বিদ্যামাগর। বিদ্যামাগর। অবতরণিকা। ০ দ্বিতীয় দাতা-কর্ণ এবং দয়ার সাগর অনাথ-বান্ধৰ বছের “বিদ্যাসাগর? ১৮৯১ তবঃ অক ২৯শে জুলাই,বা ১২৯৮ সালে ১৩ই শ্রাবণ, মঙ্গলবার রাত্রি ২টা ১৮ মিনিটে ইহলোক পরিত্যাগ করিয়াছেন। বলা বাহুল্য,_-«বিদ্যাস্াগর” বলিলে, ৬ ঈশ্বরচ্জ বিদ্যা- সাগরকেই বুঝায়। দেই বিশ্ব-বিশ্রুত “বিদ্যা সাক্ষর” প্রায় তিন বংমর হইল, আমাদিগকে পরিত্যাগ করিয়া, চলিয়া গিয়াছেন। এ কর্মক্ষেত্রে, সেই কর্ম-শূর, আপন কর্ম সাধন করিয়া, অপেক্ষাকৃত অল্পতর ভাগ্যহীন ব্যক্তিবর্গকে কর্শের শিক্ষা-দীক্ষা দিয়া, স্বস্থানে প্রত্যাবর্তন কনিয়াছেন। জীবমাত্রের এই অবস্থা । দেই আদ্যাশক্তি মূল প্রকৃতির এই ব্যবস্থ1। অবোধ মায়াময় ভীব আমরা, মায়া-মুগ্ধ হইয়া, এ সব তত বুঝিষ্বাও, বুঝিতে পারি না। এ অনিত্য সংদারে কেবল বিয়োগ- বিলাপেই অধীর হইয়া পড়ি। তাই বিদ্যাসাগরের স্মৃতিতে ২ বিদ্যাসাগর | এখনও বিষ্বোগ-বাড়বানল প্রজলিত হইয়া উঠে। যেষায়, সে তআর আসে না। যাঁয়)কিন্তম্মৃতিযেজাগে! স্মৃতি ত নয়; সে যেজালাম্মী জাল! ! সে জাল ভুলি কিসে ? বাহার করুণায় শত শত নিরন্ন নিরাশ্রয়, অন্নাশ্রয় পাইত; ধাহার আশ্রযজে থাকিয়া, অগণিত অনাথ আতুর দীন হীন হুঃস্থ দরিদ্র অসহায়, আত্মীয়-নির্বিশেষে প্রতিপালিত হইত ; যাহার অপার দয়!-দাক্ষিণ্যে কপর্দকহীন অধমর্ণ, উত্তমর্ণের নিদারুণ নিপীড়ন হইতে রক্ষা পাইত; ধাহার সন্গদয়তাগুথে মল-মুত্র- পুরিত পরিত্যক্ত রুগ্ন পথিক, গৃহে আনীত হইয়া যথাযোগ্য উষধ-পথ্য পাইত) ধাহার জলত্ত জীবন্ত দৃষ্টাস্তে অতি-বড় ক-পুত্রও অতুল* মাতৃভক্তি শিক্ষা পাইত; ধাহার অসাধারণ অধ্যবসায়, অদম্য উদ্যম-উৎ্সাহ, অকুণ্ঠত নিভাঁকতা, অলৌকিক শ্রমাকুষ্িতা, অসীম. কর্তৃব্য-পরাধণতা, অমানুষিক সরলতা দেখিয়া বিদ্বেশী প্রবাসী লোকেও সবিস্ময়ে সহত্র বার মন্ত্রক অবনত করিত, সেই ক্ষণজন্মা ভাগ্যবান পুরুষ লোকাস্ত- রিত ! বল দেখি, তার স্মৃতি পাসরি কিসে ? | এখনও চারি দিকে কত কাঙালের পর্ণ-কুটীরে পুর্ণ হাহাকার! এখনও কত অনাথাগ্রমে আকুল প্রাণের মন্ম- ভেদী গভীর চীৎকার ! এ সব শুনিলে বুক ফাটিয়া যায়! সে সব কথা ভাবিলে চক্ষু ফাটিয়া রক্ত বাহির হয়! ঘেই করুণা প্রতিম অন্থপম করুণাময়ের কথা স্মরণ হইলে হৃদষের শোক- সাগর উথলিয়! উঠে । | বিদ্যা-বুদ্ধিতে “বিদ্যাসাগর” অপেক্ষা বড় অনেকেই বিদানাগর | ও ধাকিতে পারেন; কিন্ত দয়া-দাক্ষিণ্যে তাহ। অপেক্ষা বড় অতি অল্প লোকই দেখিতে পাই। এমন নিরমের অন্দাতা, ভতবার্ডের ততত্রাতা; বিপন্নের উদ্ধারকর্তা এবং দ্বীন-হীনের দয়াল পাশ্নক পিতা, এ কলিযুগে এ সংসারে বড়ই বিরল। তিনি ঘে দয়ার অপূর্ব অবতার! তিনি যে মুর্তিমতী দয়ার পূর্ণ পুরুষাকার ! : এক হৃদয়-বলেই “বিদ্যাসাগর” বঙ্গের বিরাট পুরুষ । এক জন বড় লোক হইলে, সমগ্র দেশ বা জাতি বড় বলিয়া সন্মানিত হয়। মাঁকন্‌ গ্রন্থকার দার্শনিক এমার্সন্‌ বড় লোকদের কথায় বলিয়াছেন). € [100 হ906 €095 01) 0৪ ০1. 051৮ 06016? এ কলুষমষু কলিকালে, দানে পূর্ণ “সাত্বিকতা” ছুর্নত। বিদ্যানাগরের দ্রানে কিন্তু সাত্বিকতার পুর্ণ বিকাশ । তাহার “বিধবা-বিবাহ”-প্রচলন-প্রক্রিয়া হিন্দুর পক্ষে পাপবিদ্ধ তাঁম- মিকতা নিশ্চিতই 7 কিন্তু তাহার দয়া-প্রণোদিত দানের সাত্বি- কতা কেহ অস্বীকার করিতে পারিবেন না। দানে বিদ্যামাগর শাস্ত্রের মর্ধ্যাদ। রক্ষা! করিয়াছেন। শাস্ত্রে আছে ;--. “্দাতব্যমিতি যদ্দানং দীয়তেহনুপকারিণে। দেশে কালে চ পাত্রে চ তদ্দানং সাত্বিকং স্মৃতম্‌ ॥” --শীতা ১৭ ২৭। ঘান করিতে হইবে, ইহা মনে করিয়া দেশ কাল পাত্র বিবেচনায়, অপকারীকেও যে দান করা যায়, তাহাকে সাত্বিক দান কহে। ৪ বিদ্যাসাগর | এরূপ সাত্বিক ভাবাপন্ন দানের পরিচপ্ন, তীয় জীবন, বৃন্তান্তে পুনঃপুনঃ পাইবেন। বিদ্যাসাগর দান করিতেন: জানিতেন কেবল দাতা ও গ্রহীতা । দ্রানের পৌরুষ-প্রকাশে তাহার প্রবৃত্তি ছিল না। তিনি দান করিতেন, নামের জন্ত নহে। দরিদ্রের সেবা এবং রগ্ের শুশ্রধা, কেবলমাত্র তাহার অকামকলিত নিত্য ক্রিয়া ছিল। দেনার দায়ে খণী, জেলে যাইতে যাইতে পথে বিদ্যাসাগরকে দেখিয়া, বাগ্পাকুল লোচনে কাতর ভাবে তাহার পানে একবার তাকাইলে, চক্ষেতর জলে তাহার বুক ভামিয়া যাইত। কপর্দক হস্তে না থাকিলেও, তদ্দণ্ডে তিনি খণ করিয়াই খণীর খণ পরিশোধ করিতেন। এরূপ দান অবশ্য স্থসারীর পক্ষে সকল সময় সর্বখ! অন্ু- করণীয় ও প্রবর্তনীয় নয়। ইহাতে অনেক সময় বিপদগ্রস্ত হইতে হয়। বিলাতী করি গোল্ডশ্মিখ কতকট! এইরূপ দানশীলতাষু মধ্যে মধ্যে বিপদগ্রস্ত হইয়াছিলেন। বিদ্যাসাগর মহাশর়নকে অবশ্ঠ কখন সেরূপ হইতে হয় নাই। হইলেও ইহা যে স্বাভাবিকী সন্গদ্য়তার পরিচায়ক, তাহাতে সন্দেহ কি? প্রাসাদ-বিহারী কোর্টিপতি হইতে “কর্মটাড়ে*র পর্ণকুটীর-বাসী অসভ্য দীন হীন সীওতাল পধ্যন্ত জানিত,_“বিদ্যাসাগর দয়ার সাগর।”+ এই জন্যই তিনি, হিন্দু, বৌদ্ধ, ধৃষ্টীন, মুসলমান, শিখ, পারসীক, সর্ব দেশের সর্ধ জাতির সমান বরণীয় এবং মাননীয়। স্তাহার পাপবিদ্ধ তামসিক কাধ্যানুষ্ঠান, ভ্রান্ত- বিশ্বা-বিভূত্ভিত দয়ার ফল বুঝিনা, হিন্দুও তাহার প্রতি বিদ।াসাগর। ৫ ভিন হয় নাই। গেদয়ার সাগর বিদ্যাসাগর কোথায়! দে দান-বীর সর্ধজন-সমাদূত বিদ্যাপাগর কোথায়! যখন শোকের দারুণ শক্তি-শেল বুকের উপর, যখন ষাতনার অধিস্ূপ মন্দের ভিতর, তখন “জন্মভূমি? পত্রিকায় এ অধম লেখকের উপর বিদ্যাসাগরের জীবনী লিখিবার ভার পড়িয়াছিল। মনে করিয়াছিলাম, জালা জুড়াইলে ; সম্পূর্ণ উপকরণ মংগ্রহ করিয়া, জীবনী লিখিতে প্রবৃত্ত হইব। জালা ভুঁড়াইল ন1; পাঠকগণ কিন্তু অধীর ; কাঁজেই জীবনীর অসম্পূর্ণ উপকরণ লইয়াই ' জম্মভূমিশতে জীবনী লিখিতে প্রবৃত্ত হুইয়া- ছিলাম। যে কারণে জন্মভূমিতে জীবনী লিখিতে বাধ্য হইয়া- ছিলাম, সেই কারণে জীবনী পুস্তকাকারে প্রকাশ করিলাম। পুস্তকের উপকরণ জম্পূর্ণ না হউক, অপেক্ষাকৃত অনেক বেশী। সে বিরাট পুরুষের জীবনীর সম্পুর্ণ উপকরণ সংগ্রহ একরূপ সাধ্যাতীত। তবে ইহাতে যথা-জ্ঞাতব্য বিষয়ের অভাব যাহাতে ন। হয়, তাহার জন্ত সাধ্যানুধারে প্রয়াস পাইয়াছি। জীবনী লিখিব বটে; কিন্তু একেবারে নির্দোষ হইবার সম্ভাবনা কম। কাহারও জীবনী লিখিতে হইলে, গুণাধি- ক্যের সঙ্গে দৌষেরও সম্যক সমালোচনাক়্ সমদর্শিতার জন্মান রক্ষা হয়। মৃত ব্যক্তির গুণ ভালবাসার জিনিষ ;* দোষ নিন্দার । কবি সউদদে ববিয়াছেন,__ €]1591: 5176538 1০৮9) 6617 70168 02209617)0,) বিদ্যাসাগর মহাশয় বহুণুণান্থিত হইলেও দোৌষ-বিবর্জিত ৬ বিদ্যাসাগর | নহেন। সত্য, সে সব দোষ ভ্রান্ত-বিশ্বাম-মুলক ) তাহা হইলেও দোষ ত বটে? কিন্ত এ সময়ে দোষের জম্যক্‌ সমালোচন কর! নানা! কারণে এক রকম অসম্ভব । ভাক্তার জনসন্‌ বলিয়াছিলেন যে,“ধাহার জীবনী লিখিতে হয়, কেবল তাহার চরিত্রের উজ্জল ভাগই সমালোচনা করা উচিত নহে; তাহা হইলে তাহার অনুকরণ অসম্ভব হইয়! উঠে তাহারও কিন্ত সে সাহসে কুলায় নাই। তাহার সময়ে ষে সব কবি. ছিলেন, তাহাদের অনেকের অনেক কথ! বলিতে তিনিও কুগ্ঠিত হইয়াছিলেন। তাহার কথা এই ছিল )__ 4৬911050000 88195 07009]. 10101) 116 ঠি:9 9৪ 201 03:611900181160.) অননাভ্যন্তরর ভম্ম-স্ূপে বিচরণ করিতেছি ।” সকল দোষক্রটার সমালোচনা করা অসম্ভব হইলেও, আমরা বিদ্যাসাগর কোন কোন ভ্রম-ক্রটির সমালোচনায় সাহসী হইয়াছি। যে ভ্রমক্রটির ভ্রমাত্বক অনুকরণে হিন্দু-সম্তানের মহতী ক্ষত্তি, তাহা! প্রদর্শন না করিলে .প্রত্যবায়-ভাগী হইতে হইবে । গুণ-রাশির সমালোচনা ত অবশ্ঠ-কর্তব্য । যেহেতু তাহ। একান্ত অনুকরণীয় । বিদ্যালাগর মহাশয় দরিদ্র ব্রাহ্মণের সন্তান হইয়া) কি গুণে, অন্রাট্‌-মুকুট-লাহ্থন কীর্তির অপূর্ব জ্যোঁ্ম্মান্‌ শিরন্ত্রাণ মস্তকে ধারণ করিতে সমর্থ হইয়াছিলেন তাহা বর্তমান কালে অনেকেই অবগত নহেন। বিদ্যাসাগর মহাশয়ের জীবনী-সমালোচনায় তাহা উদ্ঘাটিত হইবে। সেই. বিদ্যাসাগর | ৭ হেতু এ জীবনী বোধ হয় বর্তমান ও ভবিষ্যৎ লোক-সমুহের কথঞ্ি উপকারক ও উপাদেয় হইতে পারিবে। যে গুণসংঘাত জন্ত লোকের জীবনী লেখা! আবশ্তক হয়, বিদ্যাসাগর মহাশয়ের সে ৭ অনেক ছিল। যে গুণ থাকিলে, মানুষ মানুষকে ভাল বাসিতে চাহে; এবং যে গুণ থাকিলে, মানুষ বাহ জগৎ ভুলিয়া, সেই গুণবানেরই সম্পূর্ণ সত্তায় হৃদয় পূর্ণ করিয়া ফেলে, সে গুণও বিদ্যাসাগরের অনেক ছিল। যিনি এক উদ্ভাবনায় চিন্তা-রাজ্যের সহত্র পথ উন্মুক্ত করিয়া দেন, স্বাহার জীবনী লেখা আবশ্তক হয়। পাঠক, বিদ্যাসাগরের উদ্ভাবনা-শক্ভির পরিচয়ও পাইবেন। যিনি প্রতিভা-বলে গ্রক্কৃতির উচ্চ স্তরে দণ্ডায়মান হইয়া, ইঙ্গিতে উন্নতির সহত্র পথের যে কোন পথ দেখাইয়া থাকেন, আর নিন স্তরের লোকসমূহ তাহাকে ধরিবার জন্য স্তর বহিয়া উঠিতে চেষ্টা করে, তাহার জীবনীর প্রয়োজন আছে। বিদ্যাসাগর মহাশয়ের জীবনী পাঠে এ কথারু সার্থকতা সম্যকৃরূপে প্রতিপন্ন হইবে। প্রকুত প্রতিভাষব “চৌম্বক” আকর্ষণের অসীম শক্তি। মানুষ যেখানে যত দ্বরেই থাকুক, এ আকর্ষণ এড়াইবার যো নাই। যেখানে একূপ একটা “চুক্বক” থাকিবে, সেইখানে কোটি জীব আকৃষ্ট হইবে। . “প্রতিভা” স্বর্ণের দেবতা । প্রতিভা-পুজক সর্বস্ব দিয়। প্রতিভার পুজ করিষ্বা থাকেন। চিন্তাশীল এমার্সন্‌ বলিয়া- , ছেন/তুমি বল, ইংরেজ কাজের লোক, জর্দান সহৃদয় ৮ বিদ্যাস!গর। অতিথি-সেবক ; ভালেন্সিয়ার জলবায়ু অতি মনোরম," সক্রেমেন্টো পাহাড়ে প্রচুর মোণা পাওয়া যায়; 'করা ঠিক বটে; কিন্তু আমি এ স্ব সুখশালী, ধনী এবং অতিথিসেবক লোকদিগকে [দেখিতে বা নির্লজল-বাঘুর দেবন করিতে অথবা বহু ব্যয়ে ত্বর্ণ সংগ্রহ করিতে চাহি নাঁ। তবে প্রকৃত, জ্ঞানশালী ও শক্তিমান ব্যক্তিবর্গের আবাস-ভূমি দেখাইয়া দিতে পারে, এমন যদি কোন চুশ্বক-প্রস্তর প্রাপ্ত হই, তাহা হইলে সর্ধস্ব বিক্রয় করিয়া তাহ ক্রয় করি এবং অন্যই পথে বাহির হইয়। পড়ি।” | প্রকৃত শক্তিশালী এবং গ্ৌরবান্বিত প্রতিভা সম্পন্ন ব্যক্তি সর্বত্রই পূজনীয়। গাহারাই মানুষের আদর্শ । তাহারাই প্রকৃতির সুক্ষ শক্তির পরিচায়ক বিশ্বত্রহ্মাণ্ডে তাহাদের শক্তি বিমর্সিত। তাহাদের সহবাসে মানুষ সন্ধষ্ট ও শক্তিসম্পন্ন হয়। ভাবে বাকার্ধ্যে মানুষ তাছাদেরই সঙ্গে থাকিতে চাহে। আমাদের সম্তান-সম্ততি বা! নগর-গ্রামের নামকরণ) উহাদেরই নামে হইয়া থাকে। ভাষায় তাহাদের নামের ভূরি ভুরি প্রুয়োগ পাইবে। তাহাদের প্রতিকৃতি বা গ্রস্থাদি রূপ কার্যাবলী, আমাদের ঘরে খবরে দেখিবে। আমাদের নৈতিক কার্যে তাহাদের প্রত্যেক কাধ্য স্বৃতিপথে জাগিয়! উঠে। তাহাদেরই অন্বেষণ, যুবার স্বপ্ন এবং ব্্ষাঁয়ানের জাগরণ-কার্ধ্য । যত দূরেই থাকি না, তাহাদিগের কাঁধ্যকলাপ এবং সম্ভবপর হইলে, তাহাদিগ্নকে দেখিবার জন্ত মন স্বতই ব্যাকুল হইয়া উঠে।, বিদ্যামাগর | ৯ এইব্নপ প্রতিভাশালী ব্যক্তিরই জীবনী প্রয়োজনীয় । এই জন্তই এমার্সন্‌ বলিয়াছেন ;_. 1]1)9 86103 01 11000908618 616 762] ৪9106 1089 1)10018)))য 18 আঃ26918 10. 001: 10091.) প্রতিভাই মানবের প্রকৃত পদার্থ। প্রতিভাশালীর জীবনই ইতিহাসে লিখিত হইয়া থাকে। বিদ্যাসাগর মহাশয়ের জীবনে এমন প্রতিভারও বহু পরিচয়ই পাইবেন । এক একটা প্রতিভাশালী ব্যক্তি যেমন এক একটী বিভাগ অধিকার করিয়া থাকেন, তেমনই বিদ্যাসাগর মহাশয় প্রকৃতির এক বিশাল বিভাগ লইয়! ব্যাপূত ছিলেন। মনোবৃত্তির উচ্চক্রিঘ্বানিবন্ধন প্রতিভাসম্পন্ন ব্যক্তি ধ্যানমাত্রেই কল্পনায় অন্তসাধারণের অলক্ষ্যে প্রকৃতির হৃশ্ম তত্ব হৃদয়ঙ্গম করিয়া লন। এই জন্যই প্লেটো, সেক্সপিয়র, হুইনবর্ণ, গেটে প্রভৃতির এত প্রতিষ্ঠা। এই জন্তই ইহাদের জীবনী এত প্রত্ধোজনীয়। বিদ্যাসাগরে এ শক্তিরও অভাব ছিল ন1। মন্তি্ষ ও হৃদঘ্বের কাধ্য-ফল অব্যর্থ। জ্ঞান ও ভাবের শক্তি চিরস্তন-গ্রব-হুখদায়িনী। এ শক্তির তেজ পরীক্ষা করিতে হইলে, শক্তিশালী পুরুষের জীবনী পড়িতে হয়। বিদ্যাসাগর মহশিয়ের বছ কার্যেও এ শক্তির প্রমাণ আছে। বিখ্যাত- ইতিহাসবেভ্তা স্তর ওয়ালটর র্যালের সম্বন্ধে ইংলগ্ডেশ্বরী এলিজা- বেখের সচিব দিসিল বলিয়াছিলেন,- “] [00 119 0270 011 161111017+ ১০ বিদ্যাসাগর | ওয়ালটর ভয়ানক পরিশ্রম করিতে পারেন। এ কথা শুনিলে যেন বৈছ্যতিক প্রভাবে সর্ধাঙ্গ আলোড়িত হইয়। উঠে। পাঠক! বিদ্যাসাগর মহাশয়ের জীবনী পাঠ করিলে বুঝিতে পারিবেন, সিসিঙগের এ কথা বিদ্যাসাগর মহাশয়েও খাটেকি না। বিখ্যাত বিলাতী ইতিহাস-লেখক র্লারেন্ডন্‌ হামডেন্‌ সম্বন্ধে বলিয়াছেন; “৬1,0 ৯৪ 0120 1000861য 80৫ 16118008 150 60 108 0154. ০০৮ ০: -ত951190. 07 09 280৪6 12)081008.) &00 06 18168 206 %0 109 ঠ00])0860 ০2. যা 6৪ 10008 ৪80019 &0৭ 87810, 804 0£& 19978078] ০০০৪£৪ 60991 $0 1013 098 70205,” | হামডেন্‌ অকাতরে পরিশ্রম করিতেন; তাহার সংপ্রবুদ্ধা তীক্ষদর্শিতা বিলক্ষণই ছিল।. তিনি অতি পরিশ্রমেও কাতর ও ক্লান্ত হইতেন না। চতুর তীক্ষবুদ্ধি লোকেও তাহাকে বিট- লিত করিতে পারিতেন না। তাহার বুদ্ধিমত্তা ও উদ্যমশীলতা সমান ছিল। ইংলণ্ডের প্রথম চার্ণসের ভক্ত অনুচর ফকল্যাণ্ড সম্বন্ধেও ক্লারেন্ডন্‌ বলিয়াছেন 7 '81)0 ৪5 ৪0 5899 80. 9৫0০8 ০0 ৮1000) ৪৮ [9 020. &৪ 52811. 1১956 6190 10175)8614 1987 60 8658), 25৪ (0 0$856101)19? ফকল্যাণ্ড এমনই হুদুঢ় সত্যপরায়ণ ছিলেন যে, চুরি করা বিদ্যামাগর। ১১ তাহার পক্ষে যেমন অসম্ভব, আত্মগোপন করাও তদ্রপ অসম্ভব। , চীন দার্শনিক লু মন্বন্ধে চীন দার্শনিক মেনসয়াস্‌ বলিঘ্া- লন “লুর র্যবহাঁরের কথা! গুনিলে অতি নির্বোধেরও বোধের সঞ্চার হয় এবং অস্থির চিন্তেরও একাগ্রত্ত। উপস্থিত হয়।” বিদ্যাসাগর-জীবনে একাধারে এই হামডেন্, ফকল্যাও এবং লুর চরিত্র সমাবেশিত। বিদ্যাসাগর মহাশয়ের জীবনী হইতেই এই সকলেরই শিক্ষা হয। ইহাও জীবনীর নৈতিক সার। এই জন্যই কার্লাইল্‌ বলিছাছেন ;-- “০৮ ০8] 20 0০ 00221001) 810980 06 7090) 00 11) ৪]] 81৮ ৮০০--৮71110)) 18 0] ৪110010 08 00200620078690 ৪0০] 000086৮90. 98881806 ০ ৮190 17087, 810684 8100. 800৭7 -1310079])7 15 8117108% (1১9 0109 1101706 2099010].? এই জন্যই বিদ্যাসাগরের জীবনী প্রয়োজনীয় । আধুনিক জীবনী-লিধন-প্রথাই বিদেশী অনুকরণ। বিদেশীয় শক্তিশালী বড়লোকমাত্রেই বিদ্যাসাগরের শ্রীতিপাত্র ছিলেন; অতএব বিদেশীয় শক্তিশালী ব্যক্তিদ্িগের সহিত তাঁহার তুলনা অযৌ- ক নয়। কোন্ন না কোন বিদেশীয় শক্তিসম্পন্ন ব্যক্তির কোন না! কোন গুণ তাহাতে পরিলক্ষিত হইত। “বিদ্যাসাগর-্চরিত” নামে, বিদ্যাসাগর মহাশয়ের ম্বরচিত অসম্পূর্ণ জীবনী তদীয় পুত্র শ্রীযুক্ত নারঞ্জণচত্ত্র বন্দোপাধ্যায় ১২ বিদ্যানাগর | কর্তৃক প্রকাশিত হইয়াছে। কলিকাতা সংস্কৃত কলেজে প্রবেশ করিবার পূর্ববর্জী ঘটনাগুলি লইয়াই ইহা রচিত। নারায়ণ বাবু লিখিয়াছেন,_“ঘদ্ধি তিনি তাহার ছাত্র-জীবনের ইতিহাস নিজে লিখিয়া৷ যাইতে পারিতেন, তাহা। হইলেও তাহার জীঙ্গ- চরিত অম্পূর্ণ করা সহজ হইত।» নিজের জীবনী নিজে লিখিলে জীবন-বিবরণ ঘে সম্পূর্ণ হয়, তাহাতে. আর সনেহ কি? এতদ্বযতীত জীবনীর বিষয়ীভূত ব্যক্তির ভাষা, মনোবৃত্তি, ধর্প্রবৃত্তি, রীতি, নীতি প্রভৃতির অনেক আভাম পাইবার হুবিধা ও হযোগ হয়। জনমনের জীবনী লিখিতে বলিয়া জীবনী-লেখক বসওযেল্‌ বলিয়াছেন ;-- £1750 1015 0108010 72690 1718 0) 1109 870 00- 19700167111 ৮১৩ 01010100 10101. 119 1958 £1%670) 0108 9 008,078 1169 1079 09 10:8৮ 7166 05 1017008616) ৪০ 176 60101056030 109 2:6867ঘ815000 01118 ০৮৮0 18007) 005৮ 01581095501 08078095৯0৫ 81925180 ০৫106556610, 110 109 1088 67000910860 ৪0 17191 €10017)92% [১8780109) 11)9 010 ০] [1০2] 08৬০ ৪ 9 2008৮ 10605066380] 01 2০৪79017১৪6 96 66] 61707101669, ডাক্তার জন্মন্‌ বলিতেন,। “নিজের জীবনবৃত্তান্ত মানুহ নিজেই :উদ্বম লিখিতে পারেন” . তিনি যে বিশদ বর্ণনায় এবং ন্বন্দর রচনায়, বছুসংধ্যক কীর্তিকুশল ব্যক্তির বিষয় লিপিবদ্ধ বিদ্যামাগর । ১৩ করিয়া তাহাদিগকে সত্ীবিত করিয়াছেন, ভাহাতেই তিনি যদি ন্গয়ং নিজের ইতিহাস লিখিতেন, তাহা! হইলে জগৎ তাহার নিকটে সর্বাবন্পবসম্পন্ন জীবনীর ৮৬৪ টান লাভ করিতে পারিত। কথাট! ঠিক বটে; কিন্ত আত্মকথার হুক সমালোচনা হওয়া ছুদ্ধর। সে ভার বাহিরের লৌককে লইতে হয়। আত্মদোষ উদঘাটনে সাহস কয় জনের হইয়া থাকে? রুসোর “কনফেশন্‌* অর্থাৎ ত্রুটি শ্বীকার, ছুরস্ত দুঃমাহসিকতার কাজ। ভলটেয়ার ঠিকই বলিয়াছেন )-. [10768918110 20010) 00 1185 1000 5010500100% 1:86৩- 10] 10 10100--000 20080 ভা1)0 0098 00 800288 0 1৩ 110 78280 10 17301, 0৮ 0629 &£৪ টি ০ আট) 0100686]য $91] 9৪ ০ম 8৪ 0080889 0091৮ মা). ০৩৪৪৮, মানুষের এমন দোষ ও ক্রটি থাকিতে পারে ঘে, তাহ বন্ধুর নিকটও প্রকাশ করিতে দ্বিধা হয়। বিখ্যাত ফরাসী গ্রন্থকার শ্টামর্ষে। বলিয়াছেন ;-- “16 896208 60 776 100)0831016) 20. ৮" ৪ 8০09] 80৩ 01 80016%5, 10: &এ 1080 60 51016 1018 86০7৪৮0069৮) 019 0365118 011718 01019৫69788. 1000. 10 101008911 900 9১০০ 81) 815 স্ব 68151058898 8100 1313 ৮1098) 60 ৪9], 018 098 11000 জন্‌ ষুয়ার্ট মিলের আত্মদীবনীতে সকল সন্দেহ দূর হয় না। ২. ১৪ বিদ্যামাগর। স্কট, মুর এবং সাউদে আত্মজীবনী লিখিতে আরত করিয়া" ছিলেন; কিন্ত নানাবিধ সঙ্কোচ উপস্থিত হওয়ায়, তাহারা তাহা পরিভ্যাগ করেন। ভবে বিদ্যাসাগর মহাশয় যেরূপ সত্যপরায়ণ ছিলেন, তাহাতে তিনি) জর্ধস্থলে না হউক, অধিকাংশ স্থলেই ষে অনেক সত্য-প্রকাশে অকুঠিত হইতেন, তাহাতে সন্দেহ নাই। প্রথম অধ্যায়। জদ্ধস্থান, পূর্বব-বংশ, পিভৃ-পরিচয়, মাতৃ-পরিচয়, পিতামহ- মাহাত্্য, মাড়-ব্যাধি ও গর্ভ-লক্ষণে জ্যোতিষী । মেদিনীপুর জেলার অন্তবস্তা বীরসিংহ গ্রাম বিদ্যাসাগর মহাশয়ের জন্মস্থান। পূর্বে ইহা হুগলী জেলার অন্তর্ভূত ছিল। বন্গেশ্বর স্তর জর কাস্বেলের সঙ্গয় মেদিনীপুরের অন্তর্ভৃত হইয়াছে। তাহার পিতার নাম 'ঠান্ুরদাস বন্দ্যোপাধ্যায়। বীরসিৎহ গ্রাম কলিকাতা হইতে ২৬ ছাব্বিশ ক্রোশ দূরবস্তাঁ। কলিকাতা হইতে জলপথে বীরসিংহ গ্রামে যাইতে হইলে গল্গা, কপনারায়ণ নদী প্রভৃতি বহিষ্বা গিয়া খ্বাটালে উপস্থিড হইতে হয়। ঘাটাল হইতে বীরসিংহ ২০ আড়াই ক্রোশ। * বীরসিংহ গ্রাষ বিদ্যাসাগর মহাশয়ের জন্মস্থান বটে; কিন্ত ভ্াহার পিতৃ-পিতামহ বা তৎপুর্ব পুরুষদিগের জন্মস্থান নহে। তাহাদের জন্মন্থান হুগলী জেলার অন্তর্গত বনমালিপুর গ্রাম। এই গ্রাম তারকেশ্বরের পশ্চিমে ও জাহানাবাদ মহকুমার পুর্ব, ৪ চারি ক্রোশ দূরে অবস্থিত। এখন ইহাদের কিঞ্চিৎ পরিচয়, দেওয়া আবস্তক। ইহাদের অবস্থা-তুলনায় বিদ্যাসাগর মহা. * আজ কাল হোরমিলার কোম্পানীর ক্পমারে চড়িয়া ঘাটাল যাইবার, হৃবিধ। হইয়াছে। স্টামারের সুযোগে এখন এক দিনে বীরনিংহ গ্রাঙ্ে! ঘাওয়া যার। যখন ্রীমার চলিত না, তখন নোঁকা করিয়! যাইতে 81৫ চারি পাচ দিন লাগিত। স্থলপথে যাইতে হইলে গঙ্গার পরপারে শালিখার বাধ। রাস্ত। দিলা যাইতে হরী। ছুই দিলে পৌঁছান যায়। ১৬ বিদ্যামাগর | শয়ের জীবনীর ওরুত্ব সবিশেষরূপে উপলব্ধি হইবে। এত সম্বন্ধে বিদ্যাসাগর মহাশয় স্বয়ং যাহা লিখিয়াছেন, তাহাই উদ্ধৃত হইল; কেন না, তাহাই সর্জাপেক্ষা প্রমাণ । “প্রপিতামহ-দেব ভুবনেশ্বর বিদ্যালস্কারের পাঁচ সন্তান । জ্যেষ্ঠ নৃদিংহরাম, মধ্যম গল্গাধর, তৃতীয় রামজয়, চতুর্থ পঞ্চানন, পঞ্চম রামচরণ। তৃতীয় বামজয় তর্কভূষণ আমার পিতামহ । খিদ্যালস্কার মহাশয়ের দ্েইাত্যয্বের পর, জ্যেষ্ঠ ও মধ্যম, ংসারে কর্তৃত্ব করিতে লাগিলেন। জামান্ত বিষয় উপলক্ষে, তাহাদের সহিত রামজয় তর্কভূষণের কথাস্তর উপস্থিত হইয়া, ক্রমে বিলক্ষণ মনাস্তর টিয়া উঠিল। * ** তিনি কাহাকেও কিছু না৷ বলিয়া, এক কালে, দেশত্যাগী হইলেন। পবীরমিৎহগ্রামে উমাপন্তি তর্কসিদ্ধাস্ত নামে এক অতি প্রসিদ্ধ পতিত ছিলেন। ***রাম্জয় তর্কভূষণ এই উমাপতি তর্কমিদ্ধান্তের তৃতীয়া কন্তা ছুর্গা দেবী পাণিগ্রহণ করৈন। ছূর্গা দেবীর গর্ভে তর্কভূষণ মহাশয়ের ছুই পুত্র ও চারি কন্তা জন্মে । জ্যেষ্ঠ ঠাকুরদাস, কনিষ্ঠ কালিদাস) ভ্যেষ্ঠা মঙ্্লা, মধ্যমা কমলা, তৃতীয়া গোবিন্দমণি, চতুর্ধী অনপূর্ণা। ভ্যেষ্ট ঠাকুরদা _ বন্দ্যোপাধ্যায় আমার জনক। “রামজদ্ব তর্বভূধণ দেশত্যাণী হইলেন) দরদ দেবী, পুত্র- কন্তা লইয়া, বনমালিপুরের বাটীতে অবস্থিতি করিতে লাগি- লেন। অঙ্প দিনের ঘধ্যেই ছুর্মী। দেবীর লাগুনাভোগ ও তদীয় পুত্রকন্তাঁদের উপর কর্তৃপক্ষের ধ্মযত্ব ও জনাদর, এত দূর পধ্যস্ত পিতৃ-পরিচয়। ১৭ ছইয়া উঠল যে, হুর্ণা দেবীকে, পুত্রদ্বয় ও কন্ঠাচতুষ্টর লইয়া, পিত্রালয়ে যাইতে হইল। * * * কতিপয় দিবস অতি সমাদরে অতিবাহিত হইল। হুর্গার্দেবীর পিতা, তর্কপিদ্ধান্ত মহাশয়, অতিশত্ব বৃদ্ধ হইয়াছিলেন; এজন্য সংসারের কর্তৃত্ব তদীয় পুত্র রামন্ুন্দর বিদ্যাতুষণের হস্তে ছিল। রি ক রং রং রং ঈ “কিছু দিনের মধ্যেই, পুত্রকন্ত। লইয়া, পিত্রালযে কালযাপন বরা ছুর্থা দেবীর পক্ষে বিলক্ষণ অহ্খের কারণ হইয়া উঠিল । তিনি ত্বরায় বুঝিতে পারিলেন, তাহার ভাতা ও ত্রাতৃভাধ্য! তাহার উপর অতিশয় বিরূপ। * * অবশেষে হুর্ণী দেবীকে, পুত্রকন্ত। লইয়া, পিত্রালয় হইতে বহির্গত হইতে হইল। তর্কসিন্ধান্ত মহাশষ সাতিশত্ব ক্ষুদ্ধ ও দুঃখিত হইলেন এবৎ নীষ বাটার অনতিদুরে, এক কুটার নির্মিত করিয়া দিলেন ুর্গা দ্বেবী, পুত্রকন্তা লইয়া, দেই কুটারে অবস্থিতি ও অতি কষ্টে দিনপাত করিতে লানিলেন। " সময়ে, টেকুয়া ও চরকায় হৃত কাটিয়া, সেই সুতা বেচিদ্বা, অনেক নিঃসহায় নিরুপায় ভ্ত্রীলোক আপনাদের গুলরান করিতেন। হুর্ণা দেবী মেই বৃত্তি অবলম্বন করিলেন। * * তাদৃশ স্বত্প আয় দ্বার। নিজের, ছুই পুত্রের ও চারি কন্যার ভরণপৌষ্ণ জম্পন্ন হওয়া সম্ভব নহে। কাহার পিতা) মমধে সময়ে, যথাসম্ভব সাহায্য করিতেন; তথাপি তীহাদের আহা" রা সর্কবিষয়ে,.ক্লেশের পরিমীমা ছিল না। এই সময়ে, ১৮ বিদ্যামাগর। জো পুত্র ঠাক্ুরদাসের বয়ওক্রম ১৪:১৫ বখ্সর। তিমি মান দেবীর অনুমতি লইয়া, উপার্জনের চেষ্টায়, কলিকাতা প্রস্থান করিলেন । “সভারাম বাচস্পতি নামে আমাদের এক সন্নিহিত জ্ঞাতি কলিব্গতায় বাস করিয়াছিলেন। ত্তাহার পুত্র জগন্মোহ স্ায়ালঙ্কার, স্প্রসিদ্ধ চতুর স্তায়রত্বের নিকট ঘধ্যয়ন করেন। হায়ালঙ্কার মহাশয়, হ্যায়রত্ব মহাশয়ের প্রিয় শিষ্য ছিলেন) তাহার অহুগ্রহে ও সহাঘ্রতাঘব। কলিকাতায় বিলক্ষণ প্রতিপন্ন হয়েন। ঠাকুরদাস, এই সন্নিহিত জ্ঞাতির আবাদে উপস্থিত হইয়া, আত্মপরিচয় দিলেন এবং কি জন্ভে আসিয়াছেন,. অশ্রু- পূর্ণ লোচনে তাহ! ব্যজ করিয়া, আশ্রয় প্রার্থনা করিলেন। সায়ালস্কার মহাশয়ের সমর ভাগ, অকাতরে অন্নব্যয় করিতেন; এমন শ্থলে, হূর্দশাপন্ন আঘন্ন জ্ঞাতিসন্তানকে অন্্ দেওয়া ছুরহ ব্যাপার নহে । তিনি, সাতিশয়ু দয়া ও সবিশেষ দৌজগ্ প্রদর্শনপূর্ঘক, ঠাকুরদামকে আশ্রয় প্রদান করিলেন। ঠাকুরদা, প্রথমতঃ বনমালিপুরে তৎপরে বীরমিংহে, সংক্ষিগ্তপার ব্যাকরণ পড়িচা্িলেন। এক্ষণে তিনি, স্ায়ালক্কার মহাশয়ের চতুগ্পাঠীতে, রীতিমত্ত মংস্কত বিদ্যার অনুশীলন করিবেন, প্রথমতঃ এই ব্যবস্থা! স্থির হইয়াছিল এবং তিনিও তাদৃশ অধ্যমন বিষয়ে, সবিশেষ অন্ুরন্ধ ছিলেন। কিন্তু, যে উদ্দেশে, তিনি কলিকাতায় আসিয়াছিলেন, সংস্কৃতপাঠে নিযুক্ত হইলে, তাহা সম্পন্ন হয় নাঁ। তিনি, মংস্থৃত পড়িবার জন্য, পিতৃ-পরিগয় | ১৯ দবিশৈষ ব্যগ্র ছিলেন, যথার্থ বটে; এবৎ সর্বদাই মনে মনে প্রতিজ্ঞ! করিতেন, যত কষ্ট, যত অন্বিধা হউক না কেন, সংস্কতপাঠে প্রাণপণে ফত্ব করিব। কিন্তু, জননীকে ও ভাই তণিনীগুলিকে কি অবস্থায় রাখিয়া আসিয়াছেন, যখন তাহ! মনে হইত, তখন পে ব্যগ্রতা ও সে প্রতিজ্ঞা, তরী অন্তঃকরণ হইতে, একবারে অপসারিত হইত। যাহা হউক, অনেক বিবেচনার পর, অবশেষে ইহাই অবধারিত হইল, যাহাতে তিনি শীঘ্র উপার্জনক্ষম হন, দেবূপ পড়া-শুন1 করাই কর্তব্য। এই সময়ে, মোটামুটি ইঙ্গরেজী জানিলে, সওদাগর সাহেব- দিগের হৌসে, অনায়াসে কর্ম হইত। এজন্য, সংস্কৃত না পড়িয়, ইঙ্গরেজী পড়াই, তাহার পক্ষে, পরামর্শাসদ্ধ স্থির হইল। কিন্তু, সে সময়ে, ইন্গরেজী পড়া সহজ ব্যাপার ছিল না। তখন, এখনকার মত, প্রতি পরীতে ইঙ্গরেজী বিদ্যালমু ছিল না। তাদৃশ বিদ্যালয় থাকিলেও, তাহার স্তায় নিরুপায় ঘীন বালকের তথাত্ অধ্যয়নের হুবিধা ঘটত না। ভ্তায়ালগ্কার মহাশয়ের পরিচিত এক ব্যক্তি কার্ধ্যোপঘোগী ইঙ্গরেজী জানিতেন।. ঠাহার অনুরোধে, এ ব্যক্তি ঠাকুরদানকে ইঙ্গরেজী পড়াইতে সম্মত হইপেন। তিনি বিষয়ক করিতেন; হৃতরাৎ, দিবাভাগে, তীহার্ী পড়াইবার অবকাশ ছিল না। এজন, তিনি ঠাজুরদামকে, সবার অময় তাহার নিকটে যাইতে বলিয়া দ্রিলেন। তদনুনারে, ঠাকুরদাস, প্রত্যহ সন্ধ্যার পর) তাহার নিকটে গিপা ইঙ্গরেজী পড়িতে আরম্ভ করিলেন। ২৪ বিদ্যামাগর। ্নায়ালক্ষার মহাণয়ের বাটীতে, সন্ধ্যার পরেই, উপরি লোকের আহারের কাণ্ড শেষ হইয়া যাইত। ঠাকুরদাস, ইন্গরেজী পড়ার অনুরোধে, সে সময়ে উপস্থিত থাকিতে পারিতেন না; যখন আমিতেন, তখন আর আহার পাইবার সম্ভাবনা! থাকিত ন।) স্কৃতরাং, তাহাকে রাত্রিতে অনাহারে থাকিতে হুইত। এইব্ূপে নক্তন্তন আহারে বঞ্চিত হইয়া, তিনি, দিন দিন, শীর্ণ ও দুর্বল হইতে লাগিলেন। এক দ্দিন তাহার শিক্ষক জিজ্ঞাসা করিলেন, তুমি এমন শীর্ণ ও হুর্কাল হইতেছ, কেন। তিনি, কি কারণে তাহার সেন্ধপ অবস্থা ঘটিতেছে, অশ্রুপূর্ণ নয়নে তাহার পরিচয় দিলেন। এ সময়ে দেই স্থানে শিক্ষকের আত্মীয় শৃদ্র জাতীয় এক দয়ালু ব্যক্তি উপস্থিত ছিলেন। সবিশেষ সমস্ত অবগত হইয়া, তিনি অতিশয় দুঃখিত হইলেন এবং ঠাকুরদাগপকে বলিলেন, যেপ্ধপ শুনিলাম, তাহাতে আর তোমার ওক্প স্থানে থাকা কোনও মতে চলিতেছে না। যদি তুমি রীঁধিয্বা খাইতে পার, তাহ। হইলে, আমি তোমায় আমার বাপাদ্র রাখিতে পারি। এই সয় প্রস্তাব শুনিয়া, ঠাকুরদাস, যার পর নাই, আহ্লাদিত হইলেন এবং পর দ্বিন অবধি, তাহার. বাসায় গিয়া অবস্থিতি করিতে লাণিলেন। “এই সদাশয় দয়ালু মহাশয়ের দয়া ও সৌজন্ঠ যেরূপ ছিল, আদব সেরূপ ছিল না। তিনি, দালালি করিয়া, সামান্রূপ উপার্জন করিতেন। যাহা হুষ্টক, এই ব্যঞ্জির আশ্রয়ে আসিয়া, পিহৃ-পরিচয়। ২১ ঠাকুরদাসের নিধিদ্বে, ছুই বেলা আহার ও ইঙ্গরেজী পড়া চলিতে লাগিল। কিছু দিন পরে, ঠাকুরদাসের দুর্ভাগ্যক্রমে তদদীয় আশ্রপ্নদাতার আষু বিলক্ষণ খর্ব হইয়া গেল; সুতরাং, তাহার নিজের ও তাহার আশ্রিত ঠাকুরদাসের অতিশয় কষ্ট উপস্থিত হইল। তিনি, প্রতিদিন, প্রাতঃকালে, বহির্গত হইতেন এবং কিছু হস্তগ্রত হইলে, কোনও দিন দেড় প্রহরের, কৌনও দিন ছুই প্রশ্বরের, কোনও দিন আড়াই প্রহরের সময়, বাসায় আমিতেন ; যাহ! আনিতেন, তাহ! দ্বারা, কোনও দিন বা কষ্টে, কোনও দিন বা সচ্ছন্দে, নিজের ও ঠাকুরদাসের আহার সম্পন্ন হইত। কোনও কোনও দিন, তিনি দ্িবাভাগে বাসায় আমিতেন না। সেই জেই দিন, ঠাকুরদাসকে, সমস্ত দিন, উপবামী থাকিতে হইত । “ঠাকুরদামের সামান্তরূপ এক খানি পিতলের থালা ও একটি ছোট ঘটা ছিল। থালাখানিতে ভাত ও ঘটাটিতে জল থাইতেন। তিনি বিবেচনা করিলেন, এক পয়সার সালপাত কিনিয়! রাখিলে, ১০। ১২ দিন ভাত খাওয়1 চলিবেক , সুতরাং না থাকিলে,কাজ আট্কাইবেক না) অতএব, থালাখানি বেচিয়া ফেলি? বেচিয়া যাহা পাইব, তাহ! আপনার হাতে রাখিব। যে দিন, দিনের বেলায় আহারের*যোগাড় না হইবেক, এক পয়সার কিছু কিনিয়া খাইব। এই স্থির করিয়া, তিনি মেই থালাখানি, নূতন বাজারে, কাপারিদের দোকানে বেচিতে গেলেন। কীসারির। বলিল, আমরা অজানিত লোকের নিকট ২২ বিদ্যানীগর | হইতে পুরাণ বাসন কিনিতে পারিব না। পুরাণ বাসন কিনিয়ী কখনও কখনও, বড় ফেসাতে পড়িতে হয়। অতএব আমরা তোমার থালা লইব না। এইরূপে কোনও দৌকানদারই সেই থালা কিনিতে সম্মত হইল না। ঠাকুরদা, বড় আশা করিয়া, থালা বেচিতে গিয়াছিলেন ); এক্ষণে, সে আশা বিসর্জন দিয্া, বিষ মনে বাসায় ফিরিয়া আসিলেন। ". «এক দিন, মধ্যাহ সময়ে, ক্ুধায় অস্থির হইয়া, ঠাকুরদা বাস। হইতে বহির্গত হইলেন এবং অন্তমনস্ক হইয়া, ক্ষুধার যাতন। ভূলিবার অভিপ্রায়ে, পথে পথে ভ্রমণ করিতে লাগিলেন। কিয়ৎক্ষণ ভ্রমণ করিয়া, তিনি অভিপ্রায়্ের সম্পূর্ণ বিপরীত ফল পাইলেন। ক্ষুধার যাতনা ভুলিয়া যাওয়। দুরে থাকুক, বড়বাজার হইতে ঠনঠনিয়া পর্য্যন্ত গিয়া, এত ক্লান্ত ও ক্ষুধায় ও তৃষ্ণায় এন্ত অভিভূত হইলেন যে, আর তাহার চলিবার ক্ষমতা রহিল না। কিঞ্চিৎ পরেই, তিনি এক দোকানের সম্মুথে উপস্থিত ও দণ্ডায়মান হইলেন; দেখিলেন, এক মধ্যবয়স্ক বিধবা নারী এ দোকানে বন্িয়! মুড়ি মুড়কি বেচিতেছেন। ত্রাহাকে দাঁড়াইয়া থাকিতে দেখিয়া, & স্ত্রীলোক জিজ্ঞাসা করিলেন, বাপাঠাকুর, ঠাড়াইয়।৷ আছ কেন। ঠাকুরদাস, তৃষণার উল্লেখ করিয়া, পানার্থে জল প্রার্থন! করিলেন । তিনি, সাদর ও সন্গেহ- বাক্যে, ঠাকুরদাসকে বসিতে বলিলেন এবং ব্রাহ্মণের ছেলেকে সুধু জল দেওয়া অবিধেষ্ব, এই বিবেচনা করিয়া, কিছু মুড়কি ওজল দিলেন। ঠাকুরদাস, যেরূপ ব্যগ্র হইয়া, মুড়কিগলি [বদ্যামাগরের জননী | পিতৃ পরিচয়। [ইত খাইলেন, তাহা! এক দৃষ্টিতে নিরীক্ষণ করিয়া, স্ত্রীলোক জিজ্ঞাসা করিলেন, বাপাঠাকুর আজ বুঝি তোমার খাওয়া হয় নাই। তিনি বলিলেন, না, মা আজ আমি, এখন পর্ধ্যস্ত, কিছুই খাই নাই। তখন, সেই স্ত্রীলোক ঠাকুরদাসকে বলিলেন, বাপাঠাকুর জল খাইওনা, একটু অপেক্ষা কর। এই বলিয়া নিকটবর্তী গোয়ালার দোকান হইতে, অত্বর দই কিনিয়। আনিলেন, এবং আরও মুড়কি দিয়া, ঠাকুরদাসূকে পেট ভরিয়া ফলার করাইলেন ; পরে, তাহার মুখে সবিশেষ সমস্ত অবগত হইয়া,জিদ করিয়া বলিয়া দিলেন, ষে দিন তোমার এরূপ স্বটিবেক, এখানে আসিয়া ফলার করিয়া যাইবে । * ন€ ক্র সং “যে যে দিন, দিবাভাগে আহারের যোগাড় না হইত, ঠাকুরদাস সেই সেই দিন, দয়াময়ীর আশ্বাসবাক্য অন্গুসারে তাহার দোকানে গিয়া, পেট ভরিয়া, ফলার করিস: আমিতেন। : ৯ সা সং «কিছু দ্রিন পরে ঠাকুরদাস, আশ্রয়দাতার সহায়তায়, মামিক ইিই টাকা বেতনে, কোনও স্থানে নিযুক্ত হইলেন। এই কর্ম পাইয়া, তাহার আর আহ্লাদের সীমা রহিল না। পূর্কবৎ আশ্রয়পদাতার আশ্রয়ে-খাকিক়়া, আহারের ক্রেশ সহা করিয়াও, বেতনের ছুইটি টাকা ঘথানিয্মে, জননীর নিকট পাঠাইতে * পিতা ঠাকুরদীদের মুখে এই উপাধ্যান শুনিয় স্ত্রীজাতির উপর বিদ্যাসাগর মহাশয়ের প্রগাঢ় ভক্কি জন্মিয়াছিল। স্ত্রীজাতির প্রতি তিৰি চিরকাল তক্তিমান। ও ২৪ বিদ্যাসাগর । লাগিলেন। তিনি বিলক্ষণ বুদ্ধিমান ও যার পর নাই পরিশ্রমী ছিলেন, এবং কখনও কোন ওজর না করিয়! সকল কর্্মই হুন্দর- রূপে সম্পন্ন করিতেন; এন্কন্ত, ঠাকুরদাস যখন হাহার নিকট কর্ম করিতেন, তাহার! সকলেই তাহার উপর জাতিশয় সন্তুষ্ট হইতেন। | «ছুই তিন বৎসরের পরেই, ঠাকুরদাস মাসিক পাঁচ টাকা বেতন পাইতে লাগিলেন। তখন ত্রাহার জননীর ও ভাই ভগ্গিনীগুলির অপেক্ষাকৃত অনেক অংশে কষ্ট দূর হইল। এই সময়ে, পিতামহদেবও দেশে প্রত্যাগমন করিলেন । তিনি প্রধমতঃ বনমালিপুরে গিয়াছিলেন; তথায় স্ত্রী, পুত্র কন্ত দেখিতে না পাইয়া, বীরস্ধিহে আসিয়া পরিবারবর্গের সহিত মিলিত হইলেন। সাত আট বৎসরের পর, তাহার সম।গম- লাতে, সকলেই আহ্লাদমাগরে মগ্ন হইলেন। শ্বশুরালয়ে, বা শ্বশুরালয়ের সন্রিকটে, বাস কর] তিনি অবমাননা জ্বান করিতেন) এজন্ত কিছু দিন পরেই, পরিবার লইয়া, বনমালিপুছে সইতে উদ্যত হইয়াছিলেন। কিন্ত দুর্গা দেবীর মুখে ভ্রাতাদের আচরণের পরিচয় পাইয়া, সে উদ্যম হইতে বিরত হইলেন, এবং নিতাত্ত অনিচ্ছাপূর্মক বীরসিৎহে অবস্থিতি বিষয়ে সম্মতি প্রদান করিশেন। এইরূপে, বীরপ্সিৎহগ্রাম আমাদের বাস হইয়াছিল। “বীরসিংহে কতিপয় দিবম অতিবাহিত করিয়া, তর্বভূষণ মহাশয়, জ্যেষ্ঠ পুত্র ঠাকুরদাসকে দেখিবার জন্য, কলিকাতা পিত-পরিচয়। ২৫ প্রস্থান করিলেন। ঠাকুরদাসের আশ্রমদাতার মুখে, উদীয় কই্সহিষ্ণতা প্রভৃতির প্রভৃত পরিচয় পাইস্জা, তিনি যথেষ্ট আনীর্মাদ ও সবিশেষ সন্তোষ প্রকাশ করিলেন। বড়বাজারের দয়েছাটায়, উত্তর-রাটীঘ কায্স্থ ভাগবতচরণ সিংহ নামে এক স্দতিপন্ন ব্যক্তি ছিলেন। এই ব্যঞ্রির সহিত তর্লভুবণ মহাশয়ের বিলক্ষণ পর্চিন্ন ছিল। সিংহ মহাশত অতিশন্ দয়াশীল ও ভদাশয় মনুষ্য ছিলেন, তর্কভূষণ মহাশদের মুধে তদীযম় দেশত্যাগ অবধি ষাবতীয় বৃত্তাস্ত অবগত হইস্পা, প্রস্তাব করিলেন, আপনি অতঃপর ঠাকুরদাসকে আমার বাদি ত রাখুন, আমি তাহার আহার প্রভৃতির তার লইতেছি; সে যখন স্বয়ং পাক করিয়া খাইছুত পারে, তখন আর তাহার কোনও অংশে অসুবিধা ঘটবেক না। “এই প্রস্তাব শুনিয়া, তর্ক ভূষণ মহাশয়, সাতিশম্ব আহ্লাদিত লেন; এবং ঠাকুরদ্াসকে দিংহ মহাশয়ের আশ্রয়ে রাখিয়া, ্লসিংহে প্রতিগমন করিপ্রেন। এই অবধি, ঠাকুরদামের হারক্লেশের অবদান হইল। যথাসময়ে আবশ্যকমত, ছুই লা আহার পাইয়া, তিনি পুনর্জন্ম জ্ঞান করিলেন। এই ্টভৎটনা হ্বারা, তাহার ষে কেবল আহারের ক্লেশ দূর হইল, ্ি্প নহে? পিংহ মহাশয়ের সহায়তায়, মামিক আট টাকা স্র্তনে এক হানে নিযুক্ত হইলেন। ঠাহুরদধাদের আট টাক] ত্ঘানা হইয়াছে, এই সংবাদ শুনিষ্ী, তদীক়্ জননী দূর্গ ধীর আহলাদের মীমা রহিল না। ২৬ বিদা'নাগর । «এই সময়ে ঠাহুরদাসের বজ্তংক্রম তেইশ চব্িশ বৎসর হইয়াছিল।* অতঃপর তাঁহার বিবাহ দেওয়া আবস্াব্জ বিবেচনা! করিয়া, তর্কভুষণ মহাশয় গোষাট-নিবাসী রামকান্ত তর্কবাণীশের দ্বিতীদ্ব কন্তা ভগবতী দেবীর সহিত, তাহার বিবাহ দিলেন। এই ভগবতী দেবীর গর্ভে আমি জন্মগ্রহণ করিয়াছি । ভগব্তী দেবী, শৈশবকালে মাতুলালয়ে প্রতি- পালিত হইয়াছিলেন।” রর রামকান্ত তর্কবাণীশ শব-সাধলীয় সিদ্ধ হইতে গিয়া উদ্মাদ- গ্রস্ত হইয়া যান। এই জন্য পাতুলগ্রাম-নিবাসী তদীয় শ্বশুর পঞ্চানন বিদ্যাবাণীশ মহাশঘ তাহাকে সম্্ীক নিজ ভঙ্গনে আনিঘ়া রাখেন। বহুনিধ ভিকিৎসাতে তর্কবাণীশ মহাশয় আরোগা লাভ করেন নাই। মু্যুকাল পর্ধাস্ত তিনি উন্মাদএস্ট ভিলেন। বিদ্যাসাগর মহাশয়ের জননী ভগবতী দেবী সেই ভন্য মাতুলালম়েই প্রতিপালিত হন। তর্কবাণীশ মহাশয়ের হই কন্তা। ভগব্তী দেবী কনি্ঠা!। ভগবতী দেবীর জলনীর নাম গঙ্গ| দেবী । ইনি পঞ্চানন বিদ্যাবাগীশ মহাশয়ের জ্যেষ্ঠা কন্যা। বিদ্যাবারীশ মহাশয়ের চারি পুত্র ও আর একটা কন্যা ছিল। বিদ্যাসাগরু মহাশয়ের তেজস্থিতা, স্বাধীনতা-প্রিয়তা, সতা- সগাশাপশাটিপাপিপিপিতা পপ পপি পাপ শপ পপ পপ শত পল পাপা ৬ শুনিয়াছি, এই নময়ে ঠাকুরদামের কনিষ্ঠ কালিদাস কলিকাতায় আনিয়া ইংরেজী শিক্ষা লাভ করেন। কনিষ্ঠ ভ্রাতা ক্]র্যাক্ষম হইলে, আাহাকে নিজ কার্ধো হাখিয়! ঠাকুরদান প্রথমে রেশম ও তখগরে বালনের বাবসার করেন । কনিষ্ঠ দাও] কাদা হুন্দর্ধপে না| চলায়, তিনি আবার ইচ্ছা পূর্বক নত স্বকর্টে- নিযুক্ত হন। পিতাঁমহ-মাহাত্র্য। ২৭ ধর্দিতা ও সরলতা চির-প্রসিদ্ধ। তিনি এই সব গুণ পিতা ও পিতামহের নিকট হইতে প্রাপ্ত হঙ্ঈয়াছেন বলিয়াই মনে হয়। পিতামহ রামজয় তর্কভূষঘণ অসীম তেজন্বী পুরুষ ছিলেন। তিনি কাহারও মুখাপেক্ষ। করিতেন না এবং পর-শী-কাতর ব্যক্তিবর্গে় জভঙ্গীতে ভীত হইতৈন না। তিনি এইক্প স্থাধীন-প্রকতি লোক ছিলেন বলিয়া, তাহার শ্যালক ও তংপক্ষীয় লোক তাহার বিপক্ষ ছিলেন। ভাহার মতে “দেশে মানুষ ছিল না, মবই গ্রক্ু।” তিনি ফেমন সংসাহমী, তেমনই নিরহস্কার ও সত্যবাদী ছিলেন। ভট্রাচার্ধ্য ব্রাহ্মণের একটু শ্লেষাত্বক রসিকতার পরিচয় লউন। এক দিন তিনি গ্রামের পথ দিয়া যাইতেছিলেন। এক জন বলিল,--"ও পথ দিয়া ঘাইবেন না; বড় বিষ্টা।” ত্রাঙ্গণ উন্তর করিলেন,__“বিষ্টা কৈ? সবই তো গোবর, এ দেশে মানুষ কৈ, সবই. তো গ্রকু।” কথিত আছে, তিনি যখন গৃহ ত্যাগ করিয়া ভীর্ঘপর্ধযটটন করেন, তখন এক দিন রাত্রিকালে স্বপ্র দেখেন,“তোমার পরিবার তোমার জন্মস্থান বনমালিপুর পরিত্যাগ করিয়া! বীরসিৎহ গ্রামে বাস করিতেছে। তাহাদের এখন কষ্টের একশেষ |” ইহার পর তিনি বীরমিংহে প্রত্যা- গমন করিয়া পুনরায় পরিবারবর্গের তার গ্রহণ করেন। বীরলিংহ গ্রামের ভূগগামী তাহাকে তাহার বাম্বতিটার ভূমিটুকু নিক্ধর ব্রন্গোন্তর করিয়া দিতে চাহেন এবং ্ঠাহার আাত্বীয-স্বজনও তাহাকে তদ্গ্রহণার্থ অনুরোধ করেন। তেজশ্থী রাথ্জয়ের বিশ্বান্ ছিল যে, নিক্কর ভূমিতে বাস করিলে ২৮ বিদ্যাসাগর । ছুস্বামী তাহার পুণ্যাংশ গ্রহণ করিবেন এবং তাহার অহঙ্কার বাড়িবে। এই জন্ত তিনি নিদ্ধর ভূমি লইতে অন্মত হন নাই। বিদ্যাসাগর মহাশয় স্বরচিত চরিতে পিতামহ সম্বন্ধে এইরূপ লিখিয়াছেন,__ “তিনি কখন পরের উপাসন! বা আনুগত্য করিতে পারেন নাই। তাহার স্থির সিদ্ধান্ত ছিল, অঙ্কের উপাদনা বা আম্ু- গত্য অপেক্ষা প্রাণত্যাগ করা ভাল। তিনি একাহারী, নিরামিষাশী, সদাচারপুত ও নৈমিত্তিক কর্শে সবিশেষ অবহিত ছিলেন ।” রাম্জয়্ের বিপুল হৃদয়প-বলের স্তায় শারীরিক বল ছিল। মনের বল থাকিলে, দেহের বল যেন আপনি আসিয়া পড়ে। দেহ-মনের এমনই নিত্য নিকট সম্বন্ধ । * বিদ্যাসাগর মহাশয়ে ইহা আমর! প্রত্যক্ষ করিয়াছি; পিতামহ রামজয়ের কথা শুনিয়াছি। রামজয় সর্বদাই লৌহদণ্ড হস্তে নিতাঁক চিন্তে ভ্রমণ -করিতেন। এক সময় তিনি বীব্সিংহ হইতে মেদিনীপুর ষাইতেছিলেন, পথের মধ্যে এক ভন্লুক গ্ভাহাকে আক্রমণ করে। তিনি ভন্ুককে দ্েখিয়াই এক বৃক্ষের অন্তরালে দণ্ডীমমান হন। ভনুকও তাহাকে ধরিবার চেষ্টা করে। তন্ুক যেমন ছুইটা হস্ত প্রসারণ করিয়া ধরিতে যাইল, তিনি অমনই তাহার ছ্‌ইটা হাত ধরিয়া বৃক্ষে ঘর্ষণ করিতে লাগিলেন। * এ লন্বন্ধে অবন্ঠ দার্শনিকদের ভিতর মততেদ আছে। মেমব কা লইয়! বিচার করিবার স্থান নয়। মাতৃ-স্যাধি। ২৯ শখনই ভ্ুক মৃতপ্রাপ্ হইয়া পড়িল। রামজয় তাহাকে মৃতপ্রাদ দেখি! চলিয়া যাইবার উপক্রম করিলেন। ভলুক ক্ষিন্ত তাহার পশ্চাদূভাগে নখরাখাত করে। রামজয় তখন অনন্তোপায় হইয়া হস্তন্থিত লৌহদণ্ড-আঘাতে তাহার প্রাণ নাশ করেন। তাহাকে প্রায় মাসাধিক নখরাধাতের ক্ষতজনিত ক্লেশ ভোগ করিতে হইয়াছিল। মৃত্যুকাণ পর্যন্ত নখবাাতের চিহ্ত ছিল। ঠাকুরদা কাধ্যক্ষম হইলেই রামজষ় পুনরায় তীর্থ-ভ্রমণে বহির্গত হন। বিদ্যাদাগরের জন্মগ্রহণ করিবার পুর্বে তিন্দি আবার ফিরিয়া আসেন । * রামজয় যখন বীরসিংহ গ্রামে প্রত্যাগমন ক্রেন, তখন তহার পুত্রবধূ ভগ্বব্তী দ্রেবী গর্ভবতী; কিন্তু উন্মাদগ্রস্থ। ভগবতী দেবী, ঈশ্বরচন্ত্রকে গর্ভে ধারণ করিয়া অবধি উন্মাদগ্রক্কা হন। ১০ দর্শ মাস কাল এই উন্মাদ.অবস্থাই ছিল । বিচিত্র ব্যাপার! ১* দশ মাস কাল নান! চিকিৎসায় কোন্‌ লৌদ্রয়, হয নাই; কিন্তু ঈশ্বরচন্্রকে প্রসব করিবার পরই ভগবতী দেবী রোগমুক্তা হন। তিনি আর কখন এরূপ রোগে আক্রান্ত হন নাই। চিরকালই তিনি অটুট উৎসাহে দ্বীন-হীন কাঙালকে অন্ন-বস্ত্র বিতরণ করিতেন; স্বয়ৎ রম্বন এবং পরিবেশনাদি করিয়া দ্বিবা-নিশি অতিথি-অভ্যাগত জনকে পপপিপপী পিপিপি টি পাপ পবা পপ * কথিত আছে,_রামজয় কেদার পাহাড়ে ম্বপ্ন দেখেন যে, তাভার বংশে এক স্পুত্র জন্মগ্রহণ করিবেন | তাহার কীর্তি চিরস্থায়িনী হইবে। সেই সুপুত্র এই বিদ্যাসাগর । বিদ্যাসাগর মহাশয়ের স্বরচিত চরিতে ইহা উল্লেখ নাই। ৩০ বিদ্যাসাগর | ভোজন করাইতেন। বিদ্যাসাগরের জননীর মত দয়াদাক্ষিণ/, বতী রমধী প্রায় দেখা যায় না। এই অন্নপূর্ণা স্বর্ণগর্ভা জননীর পরিচয় পাঠক পরে পাইবেন। এই করুণাময়ীরই করুণা-কণা পাইয়া, অতুল মাতৃভক্তিবলে বিদ্যাসাগর মহাশয় জগতে করুণাময় নাম রাখিয়া গিয়াছেন। ইংরেজি-শিক্ষিত মুবক! যদ্দি জজ হার্বটের সেই বাণীর সার্থকতা দেখিতে চাও, একমাত্র জননীই শত শিক্ষকের সমান; দেখিতে পাইবে, বিদ্যাসাগর মহাশয়ের জননী-জীবনেও-_ 40009 (0০0. 09009]: $8 0:৮৮ ৪. 1000169 50100] 10 86718,৯ আজকাল অনেক জ্যোতিষ-ব্যবসায়ীর প্রতি লৌকে নানা কারণে বীতশ্রব্ধ হইয়া পড়িয়াছে; কিন্ত পূর্বে একূপ ছিল না। পুর্বে জ্যোতিষীদের গণনার ফল প্রায়ই মিথ্যা হইত না। বিদ্যাসাগর মহাশয্বের জন্মগ্রহণ করিবার পূর্বে, তদানীন্তন জ্যোতিষ ভবানন্দ ভট্টাচার্ধ্য মহাশয় গণনা করিয়া বলিয়া- ছিলেন্৮_“তগবতী দেবীর গর্ডে দয়ার অবতার জন্মগ্রহণ করিবেন। ইনি জন্মগ্রহণ করিলেই ভর্গবতী দেবীর রোগ সারিয়া যাইবে।” হুইলও তাহাই । ভবাননের অব্যর্থ বাশ ্রত্যক্ষীভূত হইল। এই জন্যই হউক বা অন্ত কারণে হউক, বিদ্যাসাগর মহাশয় জ্যোতিষশান্ের প্রতি চিরকালই ভক্তিমান ছিলেন। দ্বিতীয় অধ্যায়। জঙ্গ, কোরঠী-বিচার, পাঠশালার শিক্ষা, পাঠশালায় প্রতিভা, বাল্য চাপল্য) বাল্য প্রতিভা, কলিকাতায় আগমন, পীড়িত অবস্থায় প্রতিগমন) পুনরাগমন ও শিক্ষার ব্যবস্থা । ১২২৭ সালের ১২ই আশ্বিন বা ১৮২০ শ্বষ্টাব্ের ২৬শে মেপ্টেম্বর মঙ্গলবার দিবা দ্বপ্রহরের সময্ধ ঈগরচন্্র জন্মগ্রহণ করেন। ঈষ্বরচন্্র যখন জন্মগ্রহণ করেন, তখন তাহার পিতা ঠাকুর- গান বাড়ীতে ছিলেন না) কুমারণপ্রের হাটে গিয়াছিলেন। কুমারগঞ্জ বীরসিংহ গ্রামের অর্ধ ক্রোশ অন্তরে । হাট হইতে প্রত্যাঞ্মন করিবার সময় তাহার সহিত পিতা রামজযের পথে সাক্ষাৎ হয়। রামজর বলিলেন,-"ঠাকুরদাস! আজ আমাদের এঁড়ে বাছুর হয়েছে।” রামজয়, পৌত্র ঈশ্বরচন্্রকেই লক্ষ্য করিয়া রহস্তচ্ছলে, এই কথা বলিয়াছিলেন। এই রহস্কের ভিতর কিন্তু সদ্যোজাত শিশুর ভবিষ্যৎ জীবনের প্রকৃত পূর্ব(ভাম নিহিত ছিল! এঁড়ে গরু যেমন “একওুয়ে,” শিশুও তেমনই “একে হইবে, দীর্ঘদর্শী প্রবীণ রামজদ্ব বোধ হয় শিশুর ললাট-লক্ষণ বা হস্ত-রেখাদি দর্শনে বুঝিয়নাছিলেন ঈগ্রচন্দের জন্মও "বৃষ রাশিতে” । “বুষ রাশিতে” জন্মগ্রহণ করিলে, বৃষবৎ 'একপুয়ে” অথবা দৃঢ়প্রতিজ্ঞ হইতে হয় ;-- /৬২ বিদ্যাসাগর । ন্মার্গবৃত্তোহতিতরাৎ প্রসন্নঃ সত্যপ্রতিজ্ঞোহতিবিশালকীর্তিঃ। প্রসন্নগাত্রোহতিবিশালনেত্রো বৃষে শ্থিতে রাত্রিপতো প্রস্ৃতঃ ॥ _ ভোজ । ঈপ্বরচন্দ্ের “একওুয়েমিশ্র পরিচতু তাহার জীবনে পরি- লক্ষিত হইত। “এককঁয়ে”? লোক দ্বারা ভাল কাজ যেমন অতি ভালরপে হয়, মদ কাজ তেমনই অতি মন্দরূপে হইয়া থাকে। “একগুযেমি”র ফল দৃপ্রতিজ্ঞতা। এই জন্য স্ীফেন জিরার্ড, “একগুযে কেরানীকেই নিজের অধীনস্থ ক্দধধে নিযুক্ত করিতেন। ঈশ্বরচন্দ্র দৃঢ়প্রতিজ্ঞ ছিলেন। তিনি যে কাজ ধরিতেন, সে কাজ না করিয়া ছাড়িতেননা। ভাল মন্দ উভয় কাজেই ইহার পরিচয় পাওয়া গিয়াছে। ঠাকুরদা পিতার কথার প্রক্কত রহস্ত বুঝিতে পারেন নাই। তিনি ভাবিয়াছিলেন, তাহাদের বাড়ীতে একটী “&ড়ে” বাছুর হইয়াছে । সেই সময় তাহাদের একটা গ্রাভীও পুর্ণগর্ভা ছিল। পিতা-পুত্রে সত্বর বাড়ীতে ফিরিয়া আমিলেন। ঠাকুরদাস গোয়ালে নিয়। দেখিলেন, বাছুর হয় নাই। তখন পিতা রামজয়, তাহাকে হৃতিক"-ঘরে লইয়া গিয়া সদ্যোজাত শিশুটাকে দেখাইয়া বলিলেন, “এই মেই এড়ে”) এব “এড়েগবলিবার প্রকৃত রহস্তটুকুও উদঘাটন করিলেন। বিদ্যাসাগর মহাশয়ের তৃতীয় অনুজ শ্রীযুক্ত শতৃচন্্র বিদ্যা- রত্ব মহাশয় বলেন,__“ভীর্ঘক্ষেত্র হইতে সমাগত পিতামহ রামজয় বন্যোপাধ্যায় নাড়ীচ্ছেদনের পুর্ববে আলতায় ভূমি ক্বোষ্ঠী-বিষউ | ৩৩ ধালকের জিহ্বার নিয়ে কয়েকটী কথ! লিখিয়া তাহার পতী ছুর্গা দেবীকে বলেন, লেখার নিমিত্ত শিশুটী কিয়ৎক্ষণ মাতৃহ্গ্ধ পান করিতে পায় নাই। বিশেষতঃ কোমল জিহ্বায় আমার কঠোর হস্ত দেওয়াম্স এই বাল্ক কিছুদিন তোতলা হইবে। "আর এই বালক ক্ষণজন্মা, অদ্িতীয় পুরুষ ও পরম দয়ালু হইবে এবং ইহার কীর্তি দিগন্তব্যাপিনী হইবে।* বিদ্যারত্ব মহাশয় বলেন, তিনি এই জব কথা ঈশ্বরচন্দ্রের পিতা, মাতামহী ও পিতামহীর মুখে শুনিয়াছিলেন। বিদ্যাসাগর মহাশয় স্বরচিত চরিতে কিন্তু এ কথার উল্লেখ করেন নাই। 'অধিকন্ত আমাদের বন্ধু, *বিশ্বকোষ”্*নামক বিবিধ-বিষয়ক পুস্তক, 'সপ্ধলয়িতা যুক্ত নগেন্দ্রনাথ বহর নিকট বিদ্যাসাগর মহাশয় এ কথার প্রতিবাদ করিয়াছিলেন। উক্ত বন্ধুট তাহার জীবনীর তত সংগ্রহ করিয়। “বিশ্বকোষে” মুদ্রিত করিবার জন্য তাহার নিকট গিয্বাছিলেন। তত্কালে বিদ্যাসাগর মহাশয়ের ভ্রাত1 বদ্যারত্ব মহাশয় উপস্থিত ছিলেন। তিনি এ কথার উশ্বাপন ক্ষিরিয়াছিশেন ; কিন্ত বিদ্যামাগর মহাশয় বলেন,__”ও সব কথা নিও না; ও সব অমূলক ।” * বিদ্যাধাগর মহাশয়ের জন্মগ্রহণ করিবার কিয্ুৎক্ষণ পরে লিহবিপ্র কেনারাম আচার্য তাহার ঠিকুজি প্রস্তত করেন। মাচাধ্য মহাশয় ঠিকুজি প্রস্তত কালে,ফল বিচার করিয়া বিস্মিত টি ৫ * আমাদের অপর কোন কোন আত্মীয়ের নিকটও প্রব্নূপ গুনিক্লাছি। [ক্ত মহেল্রনাথ বিদ্যানিধি মহা শয়ও এরূপ বলেন । ৩৪ বিদ্যামাগর। হন। তিনি বালকের ভবিষ্যৎ জীবন, শুভজনক বলিয়া নিচ করেন। বিদ্যাসাগর মহাশয়ের কোষ্ঠীগণনায় এইক্পই নির্ধা রিত হয়। কোঠী গণনায় বে ভবিষ্যৎ জীবনের পূর্বর্বাভাঃ পাওয়া যায়, বিদ্যাসাগর মহাশয়ের কোঠী পর্ধ্যালোচনায় তাহ প্রতিপন্ন হয়। আমরা নিম্নে তৎপর্ধ্যালোচনাস্ত প্রবৃত্ত হইলাম। শুভমস্ত--শকাব্দাঃ ১৭৪২ । ৫। ১১1 ১৫। ৪১ চৈত্র তা বর রতি ্ র্‌ রি ছি রা সা ক ৩ ৩ ১৫ ২০ ৪৩. ৩৪ ৫, ণ ৫. ৪৭ তু ৯২ জাতাহঃ কো্ঠী-বিচার। ৩৫ ১৭৩২ শকের ১২ই আশ্বিন বেলা ১৫ দণ্ড ৪১ পল সময়ে ইহার জন্ম হয়। ততকালে ধনুর্লপ্নের উদয় হইয়াছিল ইহার উন্মলগ্রাবধি তৃতীয় স্থানে বৃহস্পতি, চতুর্থ স্থানে রাহ ও শনি, ষ্ঠ চন্দ, অষ্টমে শুক্র, দশমে রবি, বুধ ও কেতু এবং একাদশ ্বানে মঙ্গল গ্রহ বিদ্যমান ছিল। | ; বিদ্যামাগর মহাশয়ের জন্মকালীন রবি, বুধ, শনি, রাহু ও কে এই পাচটী গ্রহ কেন্রুস্থানে ; বুধ দ্বক্ষেত্রে এবং চক্র ও ঘুধ গ্রহ তুঙ্স্থানে ছিল। সামান্তরূপ বুধাদিত্য-যোগও ছিল। একাদি গ্রহ স্বক্ষেত্রে থাকিলে কি ফল? “কুলতুল্যঃ কৃলশ্রেষ্ঠো বন্ধুমান্তো ধনী.স্খী। ্রমান্গপমমো৷ ভূপ একাদে স্বগৃহে স্থিতে ॥ যাহার একটা গ্রহ স্বক্ষেত্রে থাকে, সেই ব্যক্তি কুলতুল্য হয়, ছুইটা থাকিলে কুলশ্রেষ্ট, তিনটাতে বন্ধুমান্য, চারিটা হইলে ধনী, পঁচটাতে সুখী, ছয়টাতে রাজতুল্য এবং সাতটা গ্রহই স্বক্ষেত্রে থাকিলে রাজা হয়। বিদ্যাসাগর মহাশয়ের একটা গ্রহ স্ক্ষেত্রে; এই জন্ত তিনি কুলোঁচিত তেজস্বী ছিলেন। একাদ্রিগ্রহ তুঙ্গগত হইলে কি ফল? উত্কৃষ্টাঃ স্্ীন্বখিনঃ প্রকৃষ্ট কাধ্য। রাজপ্রতিরূপকাশ্চ। রাজান এক ্বিত্রিচতুভিক্ণয়ন্ত্েহতঃ গরৎ দিব্যাঃ ॥ ইতি কূস্থীয়ে। রঘুবংশ ৫সর্ণ ১৩ শোকে মঙ্লিনাথঃ। ধাহার একটা গ্রহ তুঙ্সী থাকে, তিনি উৎকৃষ্ট লোক, দুইটা থাকিলে সত্রীহুখী, তিনটা থাকিলে উৎকৃষ্ট কার্ধ্যকারী, চারিট ৩৬ বিদ্যাসাগর । থাকিলে রাঁজপ্রতিরূপ, পাঁচটা গ্রহ তুঙ্গী হইলে রাজা হয় এবং (নরাকারে অনভীর্ঘ দেবতারই ) ছয়টা গ্রহ তুঙ্গী হয়। সাঙট গ্রহ একেবারে তুঙ্গী হয় না। বিদ্যা্াগর মহাশরের দুইটা গ্রহ তুঙ্গী। ধন্বত্বাদিযোগঃ। ল্গদতীব বসুমান্‌ ব্নুমীন্‌ শশীদ্1ৎ সৌম্যগ্রহৈক্রপচয়োপগতৈঃ সমটস্তঃ | দ্বাভ্যাৎ দমোহল্সবনুমাংশ্চ তদৃনতায়!- মন্তেষু সংস্পি ফলেঘিদমু.কটেন ॥ দীপিকায়ামূ। জন্মকালে লগ্প হইতে যদি মমস্ত শুভ গ্রহ উপচয়গত অর্থা তৃতীয়, ষষ্ঠ, দশম ও একাদশ স্থানগত হয়, তবে অত্যন্ত ধনবানূ হয়। এন্ধপ জন্মরাশি হইতেও যদি সমস্ত শুভ গ্রহ উপচয়গত হয়) তবে ধনবান্‌ হয়। দুইটী গ্রহ যদি লগ্নের বা রাশির উপচয়' গত হয়, তবে মধ্যমনর্ূপ ধনবান্‌ হয় এবং তখপেক্ষা কম থাকিলে সামান্তরূপ ধনবান্‌ হয়। ঘন্তান্ত ফল সকল অপেক্ষা ইহারই ফল অধিক হয়। বিদ্যাস'1 মহাশয়ের কোঠীতে লগ্ন হইতে বৃহম্পতি, চত্র ও বুধ এবং জন্মরাশি হইতে শুক্র ও বুধ উপচয়গত। বিনয়বিত্তাদীনামধমমধ্যমোভমাদিনিরূপণমূ। বীপিকায়াং এ ৬৫ শ্লোকঃ। অধমসমবরিষ্টান্তর্ককেল্াদসংস্থে শশিনি বিনয়-নিত্-জ্ঞান-ধী-নৈপুণানি। কোঠী-বিচার। ৩৭ অহনি নিশি চ চলে স্বাধিমিত্রাংশকে বা সুরগুক-সিতদৃষ্টে বিত্তবান স্তাৎ সুখী চ। জন্মকালে চক্র ঘদি রবির কেন্দ্র (স্বশ্থান, চতুর্থ, সপ্তষ, জশম ) স্থানগত হয়, তবে বিনয়, ধন, জ্ঞান, বুদ্ধি ও নিপুণতা স্ধমরূপ হয়। চলর, রবির পণকর (দ্বিতীয়, পঞ্চম, অষ্টম, আফাদশ) স্থানে খাঁকিলে বিনযীদি মধ্যম রূপ হয়। আঁক ঞ্ী চন্দ্র ঘি রবির আপোক্রিম (তৃতীয়, ৰষ্ঠ, নবম, দ্বাদশ ) শ্থান- ্‌ শত হয়, তবে বিনযাদি সমস্তই উত্তমরূপ হইয়া থাকে । অথবা! চন্দ্র যদি স্বীয় অধিমিত্র গৃহে থাকিয়া! বৃহস্পতি বা শুক্র কতৃক ডু হয়, তবে ধনী ও মুখী হয়। এই বিদ্যাসাগর মহাশয়ের কোচীতে চক্র রবির আপোরিিম-গত ; অতএব উহার বিনয়াি কউৎকটরপ ছিল। তুঙ্গগত চন্রের ফল। গতিৎ সুমতিৎ কমনীঘ্বতাৎ কুশলতাৎ হি নৃণামুপভোগতাম্‌। তো হ্মগুভ্শমাদিশে সুকৃতিতঃ কৃতিতশ্চ সুখানি চ॥ ুণ্িরাজ। জন্মকালে চন্দ্র, বৃধরাশিগত হইলে, জাত মানবের স্থির গতি, তৃদ্ধি, সৌন্দর্য, নৈপুণ্য উপভোগ এবং স্বীয় পুণ্য ও কার্য ত সুখ হইয়া থাকে। ইহার জন্মকালে বৃষ রাশিতে ছিল। তুঙ্গগত বুধের ফল। ঢুণ্িরাজীয়-জাতকাভরণে-- চনানুরতশ্চতুরে। নরো লিখনকর্খ্রপরো হি বরোন্নতিঃ। কীশিহূতে যুবতৌ চ গতে দুখী হুনয়নানয়নাঞচলচেষ্টিতৈ ॥ ৪ ৩৮ বিদ্যাসাগর । জন্মকালে কন্তারাশিতে বুধ থাকিলে, জাত মানৰ সদৃবক্তা, চতুর, উত্তম লেখক, উন্নতিমান্‌ এবং সুন্দরী রমণীর নয়নাঞ্চল- চেষ্টাদি ছ্বারা”ত্খী হয়। বিদ্যাসাগর মহাশয়ের জন্মকালে কন্তারাশিতে বুধ আছে। লগ্মাৎ কর্ম্বণি তুর্ধে চ যদি স্যুঃ পাপখেটকাঃ। স্বধন্মে নিতরাৎ ভশ্ত জায়তে চঞ্চলা মতিঃ ॥ জাতকালদ্কারটীকায়াম্‌ । জন্মলগ্নের চতুর্থ ও দশম শ্ছানে নাগ থাকিলে, মানবের দ্বধর্ম্ে চঞ্চল মতি হয়। কামাতুরশ্চিত্তহরোহজনানাং স্তাৎ সাধুমিত্রঃ জুতরাৎ পবিত্রঃ। ্রমন্নমুর্তিশ্চ নরে। বৃষন্থে শীতছ্যুতৌ ভূমিস্থতেন দৃষ্টে ॥ ঢুন্টিরাজ। জন্মকালে বৃষরাশিস্থ চক্রের উপর মঙ্লের দৃষ্টি থাকিলে, জাত মনুষ্য কামাতুর, কামিনী-মনোরগ্রন, সজ্জন-বন্ধু, অত্যন্ত পবিত্র এবং প্রস্মমুর্তি হয়। | ব্যয়েশে তদ্রিপ্ফগতে তত্র দৃষ্টে শুভৈগ্র হৈঃ। দ্বানবীরে। ভবেন্লিত্যৎ সাধুকন্্রন্ত মানবঃ ॥ শভুহোরাপ্রকাশ। ষেব্যক্তির জন্মকালে লগ্গের দ্বাদশ স্থানের অধিপতি গ্রহ) দ্বাদশের দ্বাদ্শগত হয়, আর এ দ্বাদশ স্থানে শুভগ্রহের দৃষ্টি থাকে, তবে সেই ব্যক্তি সৎকর্ম দানবীর অর্থাৎ অত্যস্ত দ্বাতা হয়। বিদ্যাসাগর মহাশয়ের লগ্গের দ্বাদশাধিপতি যন্থধ পাঠখালার শিক্ষা। ৬৯ ঞ্কাদশ গ্ছানে আছে এবং এ দ্বাদশ স্থানে বৃহস্পতি শু ষন্ছের দৃষ্টি আছে। উত্তরকালে ইনি একজন প্রসিদ্ধ বদান্ত, হইয়াছিলেন। ্ ( ইতি সংক্ষেপ )। শুভগ্রহ সঙ্গে সঙ্গে। ভবিষ্যৎ জীবনের পূর্বাভাস জন্ম ্টাহণেই। ক্ষণজন্ম! বিদ্যাসাগর মহাশয় জন্মগ্রহণ করিলেন। পিতা ঠাকুরদাসের ভাগ্য-স্রী সংবর্ধিত হইল। থীরে তীরে অলক্ষ্যে দরিদ্র ত্রাঙ্মণের কুটীরে একটু লক্ষমী-শ্রী দেখ! দিল । পাড়া পাড়ায় রৰ উঠিল চবীডুদ্যেদের বাড়ীতে পর়মন্ত ছেলে 4 . পিতামহ: রাঁজসয়, জাত পৌত্রের নাম রাখিয়াছিলেন,-_ জর । পর্চম বৎসরে ঈশ্বরচজ্রের বিদ্যার হয়। তখন স্বীরসিংহ গ্রামের অবস্থা তাদৃশ উন্নত ছিল না। গ্রাম্য-পাঠ- ই বালকদিগের বিদ্যারস্ত হইত। পাঁঠশালার শিক্ষা স্ন হইলে, উহারই মধ্যে .অবস্থাপন্ন ব্রাহ্মণ-সস্ভানেরা' টোলে ত শিক্ষার হুত্রপাত করিতেন। টোলেই বিদ্যার পর্যযব- | কেহ কেহ বাজমিদারী সেরেস্তাবিদ্যাও শিখিত। সে সময় সনাতন সরকার গ্রামের গুরুমহাশয় ছিলেন। কার মহাশয় বড় প্রহারপটু ছিলেন বলিয়া, ঠাকুরদাঁস পুত্রের অন্ত গুরুর অন্বেষণ করেন। কালীবাস্ত চট্টোপাধ্যায় নামক কি কুলীন ব্রাহ্মণ তাহার মনোনীত হন। কালীকাত্তের নিবাস 6৩ বিদ্যাসাগর | বীরসিংহ গ্রাম । তিনি কিন্ত ভদ্রেশ্বরের নিকট গোরুটা গ্রামে শ্বশুর-বাড়ীতে বাস করিতেন। কালীকাস্ত স্বকৃত ভঙ্গ-কুলীন। কৌলীন্ত-কল্যাণে তাহার অনেকগুলি বিবাহ হইয়াছিল। ঠাকুরপাস তাহাকে আনাইয়া নিজগ্রামে একটা পাঠশাল: করিয়া দেন। বালক বিদ্যাসাগর ও গ্রামের অন্তান্ত বালকের! তাহার পাঠশালে পড়িত। তিনি ঘত্বসহকারে সকলকে শিক্ষা দিতেন। কালীকান্তের সৌজন্তে প্রতিবাদিমণ্লী স্তাহার প্রতি বড়ই অনুরক্ত ছিলেন। পাঠশালেও প্রতিভার পরিচয়। বালক ঈশ্বরচন্দ্র তিন বৎসরে পাঠশালার পাঠ সাঙ্গ করেন। এই সময় তাহার হস্তাক্ষর ঝড় হুন্দর হইয়াছিল। তখন সর্বত্র হস্তাক্ষর সমাদৃত হই । হস্তাক্ষরই বিবাহের জর্ষোচ্চ হৃপারিস্‌। গু কালীকান্ত, বালক বিদ্যাসাগরের বুদ্ধিমত্তা ও ধারণা দেখি প্রারই বলিতেন,_“এ বালক ভবিষ্যতে বড় লোক হইবে৷ এই সময় বালক বিদ্যাসাগর প্লীহা ও উদরাময় পীড়ায় আক্রাস্ত হন। এই জন্ত তাহাকে জননীর মাতুলালয পাতুলগ্রামে যাইতে হয়। তাহার মধ্যম ভ্রাতা দীনবন্ধুও তাহাদের সঙ্গে ছিলেন। পাতুগগ্রামে ত্রমাগত ৬ ছয় মাস কাল চিকিৎসা হয়। খানাকুল-কষ্ণজনগরের সন্নিহিত কোঠরা-গ্রাম'. বামী * কবিরাজ রামলোচনের চিকিৎসাগুণে বালক বিদ্যাসাগর * বিদ্যামাগর মহাশয়ের স্বরচিত জীবন-চরিতে “কোঠরা” স্থরে “কোটরী” মুদ্রিত হইয়াছে । “উপ্রক্ষত্রিয় প্রতিনিধি” পত্রিকায় খানাবুণ ধাল্য চাপল্য। €* স্ৈখাত্রা রক্ষা পান। পাতুলগ্রামে সম্পূর্ণরূপে আরোগ্য লাত রিয়া, তিনি বীরসিংহ গ্রামে পুনরাগমন করেন। পুনরাস & কান্তের উপর তাহার শিক্ষা-ভার সমর্সিত হয়। কালীকাস্ত শ্রচরকে বড়ই ভাল বামিতেন। প্রত্যহ সন্ধ্যার পর তিনি চন্রকে পাঠশালার চলিত অঙ্ক প্রভৃতি শরিক্ষা দিতেন । ্াত্রিকালে তাহাকে কোলে করিয়া লইয়া বাড়ীতে রাখিয়। আঁসিতেন। এই কালীকান্তের প্রতি বিদ্যাসাগর মহাশক ্রকালই ভক্তিমান্‌ ছিলেন। | বদ্যাসাগর বালক-কালে বড় ছুষ্ট ছিলেন। তাঁহার বালক. সুলভ অনেক “ছুটুমি”রই পরিচয় পাওয়া ঘায়। অনেকেই ক বালক কালে দুষ্ট হইয়া থাকে; কিন্ত সকলের কথ! তো৷ আর শীয় হয় না; পরস্ত ইতিহাসের পৃষ্ঠায়ও স্থান পায় না। বষ্যৎ জীবন ধাহার উত্ভ্বলতম হয়, তাহার বাল্য জীবন তে লোকের আগ্রহ হইয়! থাকে। তাহার বাল্য জীবনের ম” টৃকু শুনিতে কেমন যেন মিষ্ট লাগে। ভগবান্‌ মানবা- লীলাচ্ছলে কৃষ্ণূপে গোপ-গোপীদের রে প্রবেশ করিয়া ধর হাড়ি ভাঙিতেন; শ্রীস্রীমহাপ্রভু ই্রচৈতন্ বাল্য কালে তীরে ব্রাহ্মণদের নৈবেদ্য কাঁড়িয়া খাইতেন। এ সব কথা গর-লিবাপী প্রযুক্ত মহেচ্্লাথ বিদ্যানিধি "পজীলমাজ”-নীমক থানা- কষ্নগরের ইতিহাসে প্রথমে এ জমের উল্লেখ করেন। কিন্ত তিনি জনন শোধন করিতে, অন্য ভ্রমে নিপতিত হইয়াছিলেন। ভিনি উিবাজ অধর সুধাকরের নাম লিখিয়াছিলেন। : ৪২ বিদ্যালাগর। কি শুনিলে রাগ হয়? কি যেন একট! অপূর্ব ভাবেরই উদ হয় না? সেক্সপিয়র বাল্য কালে ছুষ্ট ছেলেদের সঙ্গে জুটিয়া হরিণ চুরি করিয়াছিলেন। করি ওয়া্ন্ওয়ার্থের জালায় তাহা? জননী জালাতন হইতেন। কোথায় কিছু নাই, এক বার বালৰ ওয়ার্ডনওয়ার্থ, ঘরের এক খানা সেকেলে সাবেক ছবি দেখি বড় ভাইকে বলিয়াছিলেন, “দাদা! ছবিখানিতে খা-কতব চাবুক লাগাইয়া! দাও তো”। বড় ভাই শোনেন নাই। তখন ওয়ার্ডস্ওয়ার্থ আপনি সপাসপূ চাবুক বসাইয়া দেন। এি কম “ছুষ্টুমী!” বিলাতী পাদ্রী ডাক্তার পেলি বাল্য কানে বড় দুষ্ট ছিলেন। তখন তাহার জালায় রাত্রি বেলায় পাড়া; লোক ঘুমাইতে পারিত না। এ সব কথা গুনিলে কি রাগ হয়। এমন অনেক প্রতিভাশালী প্রতিষ্টাবান্‌ ব্যক্তির বাল্য জীবনে? বাল্য স্বভাবোচিত “ছুষ্টুমি*র কথা শোনা যায় । সে সব শুনিতে তেমন হর্ধ না হউক; কেমন একটু বিস্ময় জন্মে। ছেলে ছু হইলে, অনেকেই অনেক সময় এই সব দৃষ্টাস্তের ম্মরণ করির। ভবিষ্যতের জন্য বুক বাধিয্না থাকেন। এক সময় এক ব্যদি। একটি পুত্রকে সঙ্গে করিয়া লইয়া বিদ্যাসাগর মহাশয়ের সহি? সাক্ষাৎ করিতে যান। বিদ্যাসাগর মহাশয় বলেন, ছেলেটী ভবিষ্যতে বড়লোক হবে”। আগন্তক বলিলেন, “মহাশয় ! এ বড় দুষ্ট” । বিদ্যাসাগর মহাশয় বলিলেন. “দেখ, ছেলে বেলায় আমিও অমনই ছুষ্ট ছিলাম) পাড়ার লোঃকর বাগানের ফল পাড়িয়া চুপি চুপি খাইতাম; বে বালা চাপল্য | ৪৩ ক্কাপড় শুথাইতে দিয়াছে দেখিলে, তাহার উপর মল-মূত্র ত্যাগ করিত আমিতাম; লোকে আমার জালায় অস্থির হইত।” ঃ '. বিদ্যামাগর মহাশয় নিজ “বাল্য দুষ্টুমি” কথা নিজে স্বীকার করিয়াছেন। এতন্ক্যতীত তাহার আরও «ছুষ্ুমী”র ছুই শকটা চষ্টান্ত পাওয়া যায়। মধুর মণ্ডল নামে এক জন প্র বানী ছিল। মথুর মণ্ডলের জননী ও দ্্রী বালক বিদ্যা- াগিরকে বড় ভালবাদিতেন। বালফ বিদ্যাসাগর কিন্ প্রান প্ীত্হ পাঠশালায় যাইবার সময় মথুরের বাড়ীর দ্বারদেশে 4: মা) ্ 8 'জমূত্র ত্যাগ করিতেন। মখুরের-স্্রী ও মাতা ছুই হস্তে তাহ! মু করিতেন। বধূ কোন দ্বিন বিরক্ত হইলে, শ্বাগুড়ী বলিতেন, তং ইহাকে কিছু বলিও না। ইহার ঠাকুরদাদার মুখে শুনিয়াছি, ঞছেলে এক জন বড় লোক হইবে ।* এক দ্বিন বালক বিদ্যা- বাজারের গলায় ধানের “ছুঙা” আটকাইয়া গিয়াছিল। তাহাতে নি যৃতকজ হন। পিতামহী অনেক কষ্টে সেই নু? হর করিয়া দিলে, তিনি রক্ষা পান। ছুষ্ট বালক প্রত্যহ ট্পর-ক্ষেত্রের পাশ দিয়া যাইতে যাইতে ধানের “মিষ তুলিয়া ইয়া খাইত। এক দিন তাহারই উক্তর্ূপ ফল ফলিয়াছিল। [সাগর মহাশয়ের ' সেই বার্ধক্যের শান্ত-দান্ত স্থির-ধীর দেখিলে কেহ মনে করিতে পারিত না যে, বাল্যে তিনি হষ্ট ছিলেন। বস্তঃতই প্রায় দেখিতে পাই, অনেকেরই ্ীল্যর হু্ট-প্রকৃতি অধিক বয়সে পরিবর্তিত হইয়া যায়। পাঠশালের বিদ্যা সাঙ্গ হইলে, কালীকাত্ত, ঠাকুরদাসকে 88 বিদ্যাসাগর | এক দ্বিন বলেন, “ইহার পাঠাশালার লেখা-পড়া সাজ হইয়াছে এ বালক বড় ধুদ্ধিমান ; ইহাকে তুমি সঙ্গে করিয়া লইয়া গিয়া কলিকাতায় রাখ; তথায় ভাল করিয়া ইংরেজী বিদ্যা শিক্ষা দাও।” কালীকান্তের কখা শুনিয়া ঠাকুরদা বালক বিদ্যা. সাগরকে কলিকাতায় আনাই স্থির করেন। এই সময় পিতামহ রামজয় তর্কভূষণের দেহত্যা্গ হুয়। তাহার মৃত্যু হইবার পর ১৮২৯ ধষ্টাব্ষে বা ১২৩৬ সালের কার্তিক মাসের শেষ ভাগে ঠাকুরদাস, গুরুমহাশয় কালীকান্তের পরামর্শে ঈশ্বরচক্্রকে লইয়া* কলিকাতা যাত্রা করেন। জঙ্গে কালীকাস্ত ও আনন্দরাম গুটি নামক এক ভৃত্য ছিল। অই্টম-বধাঁয় বালক, গৃহ পরিত্যাগ করিয়। বিদেশে যাইতেছে দেখিঘ্া, বালক বিদ্যাসাগরের দ্ষেহময়ী জননী মুক্তকঠে রোদন করিয়ীছিলেন। বিদ্যাসাগর যেমন মাতৃভক্ত "ছিলেন; তাহার জননীও তেমনই পুত্রবৎসলা ছিলেন। পিতা, পুত্র, গুরু মহাশয় এবং ভূত্য,_-চারি জনকেই পদ প্রজে কলিকাতায় আসিতে হইয়াছিল। তখন জলপথ বড় হৃগম ছিল ন1। উলুবেড়ের নুতন খালও তখন কাটা হয় নাই। গাঙের মাঝ দিয়া নৌকা করিয়া আসাটাও বড় বিপদ্‌-সস্ুল ছিল। একে তো ঝঁড় তুফানের ভয়; তাহার উপর দহ্য-ডাকাতের উপড্রব ) কাজেই গৃহস্থ লোক বড় কেহ নৌকা করিয়া আসিতেন না। ব্যবসাক্দার মহাজন্রোও নির্দিষ্ট দিনে, জোট বাঁধিয়। ঘাতায়াত করিতমাত্র। এততিম্ন অনেককেই হাঁটা পথে ধাল্য প্রতিভা । ৪৫ আদতে হইত। যাতায়াতের সময় অনেকেই মধ্যে মধ্যে চটি বা আম্মীযববর্ণের বাড়ীতে আশ্রয় লইত। ঠাকুরদাসও স-দ্ল-বলে প্রথম দ্বিন পাতুলগ্রামে মামা" শুরের বাটাতে বিশ্রাম করেন। পর দ্িন তিনি সন্ধ্যার সময় ১০ দশ ক্রোশ দুরস্থিত সন্গিপুর গ্রামে এক জন আত্মীত ব্রাহ্মণের বাটীতে থাকেন। পর দ্বিন তাহার! শেঁয়াখাল৷ হইতে শালিখার বাধ! রাস্তা দিয়া কলিকাত! অভিমুখে যাত্রা! করেন। ঈপ্ঘরচন্্র যে ধারকতাশক্তি ও তুদ্ধিবৃত্তি প্রভাবে ভবিষ্যৎ জীবনে কীর্তিকৃশলত। লাভ করিয়াছিলেন ”্এই পথের মাঝে, সেই সুকুমার কোমল বয়সেই, তাহার নিদর্শন দেখাইয়্াছিলেন। বিশালু বৃক্ষের অন্কুরোস্ভব এইখানে হইল। এই পথের মাঝে “মাইল-স্টোন” অর্থাৎ পথের দূরত্ব-জ্ঞাপক (শিলাখণ্ড দেখিয়া, বালক ঈপ্বরচন্্র জিজ্ঞাস! করেন,_-“বাবা, টন! বাটিখার শিলের মতন এট কি গ1%” পিতা ঠাকুরদাস জব হাসিয়া বলিলেন,_-“ইহার নাম 'মাইল-্োন'__আধ- ক্ষোশ অন্তর এইরূপ এক একটী নৃষতেন। পোতা আছে। ইৎরেজী অক্ষরে “মাইলের অঙ্ক লেখা ।” ঈশ্বরচন্দ্র “মাইলষ্টোন” দেখিয়া ১ হইতে ১০ পব্যন্ত ইংরেজি অক্ষর শিখিয়া লইলেন। মধ্যে এক স্থানের “মাইল-্টোন”? দেখান হয় নাই। ঈশ্বরচন্ত্ লেন, আমরা একট! 'মাইল-স্টোন, দেখিতে ভুলিয়া ঃ টনিযাছি ৮ গুরুমহাশষ কাঁলীকীন্ত বলেন): “ভুলি নাই, তুমি ধশিখিয়াছ কি না, জানিবার জন্য তোমাকে দেখাই নাই” ক্রমে সন্ধ্যার সময় তাহারা শালিখার খাটে গঙ্গা পার €৬ .. বিদ্যানাগর। হইয়া বড়বাজারের দয়েহাটায় শ্রীযুক্ত জগদৃছূর্লভ সিংহেক্র ঘাটাতে উপস্থিত হন। এই জঙদৃদুর্ণভ সিংহের পিতা ভাগবতচরণ সিংহ, ঠাকুরদাসকে বাড়ীতে আশ্রয় দিয়াছিলেন। ঈশ্ুর্চন্দের কলিকাতায় আসিবার পূর্বে ফাহার মৃত্যু হয়। জগদৃহুর্লভ বাবু পিতার ন্যায় ঠাকুরদাসকে ভক্তি শ্রদ্ধা, এমন কি, তাহাকে পিতৃ-সন্ষোধনও করিতেন। জগদৃদুর্লত একমাত্র ধাড়ীর কর্তা । বয়স তাহার তখন ২৫ পঁচিশ বৎসর মাত্র। গৃহিণী, জ্যেষ্ঠা ভগিনী, তাহার স্বামী ও দুই পুত্র, এক বিধবা কনিষ্ঠ ভগিনী ও তাহার এক পুত্র)-এইমাত্র তাহার পরিবার । বালক ঈশ্বরচন্দ্র এই পরিবারের বড় প্রীতিপাত্র হুইয়া- ছিলেন। পর দিন প্রাতঃকাল হইতেই এই শ্রীতির স্ুত্রপাত হইয়াছিল। বালক নিজের অদ্ভূত ধারকতা-শতি-বলে ফিংহ- পরিবারের সকলকেই স্তস্তিত করিয়াছিলেন। যে দ্বিন সন্ধ্যার সময় বালক ঈশ্বরচন্দ্র কলিকাতায় আসিয়া উপস্থিত হল, তাহার পর দিন পিতা ঠাকুরদা স, জগদৃছ্র্লত বাবুর কয়েক- থানি ইংরেজী বিল ঠিক দিতেছিলেন। সেই সময় বালক ঈশ্বরচন্দ বলেন,বাবা আমি ঠিক দিতে পারি।” কেবল বল! নহে; সত্য সত্যই বালক কয়েক খানি বিল ঠিক দিয়া দিয়াছিলেন। একটাও ভুল হয় নাই। উপস্থিত ব্যক্তিগণ চমতকৃত হইলেন। ওর কালীকান্ত পুলকিত চিতে ও প্রফুর্ বদনে ঈশবরচন্্রের মুখচুল্বন করিয়া বলিয়া উঠেন,--“বাবা ঈশ্বর ! বাল্য গ্রতিভা ৷ 8৭ ভূি চিরজীবী হও। তোমুয় যে আমি অস্ত্রের সহিত ভাল বাসিতাম, আজ তাহ! সার্থক হইল 1” _ মানব-জীবনের ইতিহাস পর্যালোচনা করিলে ইহা বড় বিম্ময়ের বিষয় বলিয়! মনে হয় না। অসীম প্রতিভাসম্পন্ন বা অপরিমেয় বিদ্যাবুদ্ধিশালী বহুসংখ্যক ব্যক্তির বাল্য কালে ভবিষ্যৎ জীবনের পূর্বাভামের পরিচয় এইরূপ পাওয়৷ যায়। ভবিষ্যৎ জীবনে ধাহার যে শক্তিপু্টির প্রতিপত্তি, ৰাল্য জীবনে তীহার সেই শক্তির অস্ধুরোৎপত্তি। এই জন্য মিপ্টন্‌ বলিয়াছেন,__- 901119 0101101১004 ৪1০3 69 10020 &3 700010105 তম 079 ৫০] )” প্রাতঃকাল-দৃষ্টে যেমন দ্রিবার বিষয় বুঝা যায়, মানবের স্থাল্য দৃষ্টে তাহার উত্তর কাল তেমনই বোধগম্য হয়। ্্াডগ্ওয়ার্ঘও বলিয়াছেন 50%1]৭ 18 09 9009৮ ০125009? কবি ঈশ্বরচন্ন গুপ্ত যখন সাত-আট বৎমরের সময় কলি- *ন্কাভায় আসেন, তখন এক জন তীহাকে জিজ্ঞাম! করিয়া- ফ্িলেন,-_“ঈশ্বর, কলিকাতায় কেমন আছ % ভবিষ্যতের কৰি দিলেন, . “রেতে মশী, দিনে মাছি। এই নিয়ে কল্কাতায় আছি ।” বক্ছিমচুত্র এক দিনে “ক, খ,” শিথিয়াছিলেন। ৪৮ খিদ্যাসাগর। জন্সনের অত্যান্ত গুণের মধ্যে» ধারকতা শক্তির প্রতিষ্ঠা সর্বাপেক্ষা অধিক ছিল। ষে সময়ে বালক জন্সনূ সবেমাত্র লেখ! পড়া শিথিতে আরম্ভ করিয়াছিলেন, সেই সময় এক দিন তাহার মাতা, তাহাকে একখানি প্রার্থনা-পুস্তক মুখস্থ করিতে দেন। মুখস্থ করিতে বলিয়া মাতা উপরে উঠিষ্া যান। পুত্র পশ্চাৎ পশ্চাৎ গিয়া বলেন,“মা মুখস্থ করিয়াছি ।” স্ত্য সত্যই বালক অনায়াসে সমস্ত মুখস্থ বলিয়া গিয়াছিলেন। তিনি ছুই বার মাত্র পুস্তকখানি পড়িয়াছিলেন। পোপ ১২ বার বংসর বয়সে কবিতা পিখিঘাছিলেন।* বাল্য- কালে তিনি কবিতা লিখিতেন; তাহার পিতার কিন্তু তাহা অভিপ্রেত ছিল না । এই জন্ত পিতা স্ভাহাকে কবিতা লিখিতে মিষেধ করেন। পোপ কিন্তু তাহা গুনিতেন না। এক দিন তাহার পিতা এই জন্ত তাহাকে প্রহার করেন। প্রহারের পরও বালক এক কবিতায় বলিফ্া! ফেলিল ;- 4১915 10808 0105 ৯4০১ জ)]] 100 20070 561:598 10)2,009,1? *মিপ্টন্‌ বাল্যকালে ঘে পদ্য লিখিয়াছিলেন, তাহা দেখিয়া তাতকালিক প্রসিদ্ধ লেখকবর্গ বিস্মিত ও লজ্জিত হইয়াছিলেন। বিখ্যাত বিলাতী কারিকর (119087510) শ্মিটন্‌ ৬ ছয় বৎসরের বয়সে কলের ছা প্রস্তত করিয়াছিলেন ' পপ পপ সা ঈ* 006 00 50116009, বাল্য গ্রতিভা ৷ ৪৯ এরপ দৃষ্টান্ত অনেক আছ্ছে। এ সব অমানুষিকী শক্তিরই পরিচয়। ইহা লইয়া! ভাবিতে ভাবিতে কত মহা মহ। চিন্তাশীল শক্তিশালী দার্শনিকের জীবনপাত হইয়াছে । বুদ্ধি-বৃত্তির ক্রমোন্নতি বা ক্রমবিকাশ-তত্ব লইয়া, কত্ত দার্শনিক ইহ-জগতের হৃখৈশ্বধ্য ভোগবিলাস পরিত্যাগ করিঘ্বা, চিন্তার অনস্ত সমুছে ডুবিয়া গিযীছেন। আমরা ক্ষুদ্র জীব, তাহার কি মীমাংস; করিব % তবে ষখনই দেখি, তখনই বিস্ময়-বিষ্কারিত নেতে চাহিয়া থাকি; এবং ভাবিয়া অকুল সমুদ্রে নিমগ্ন হই। মে বিচার-বিতর্কের শক্তি নাই; এবং তাহার প্রবৃভিও নাই । সবই প্রারন্ধ কর্মের ফল বলিয়া বুঝি; এবং তাহা! বুঝিয়াই নিশ্চিত হ্ই | : বালক বিদ্যাসাগরের বুদ্ধি-বুন্তির পরিচয় পাইয়া উপস্থিত সকলেই বিস্মিত হইয়াছিলেন। সকলেরই সনির্ধন্ধ অনুরোধ, ঈ ধরচন্রেকে কোন একট। ভাল স্কুলে ভর্তি করিযবা' দেওয়া হয়। পুত্রের প্রশংসাবাদে পি ঠাকুরদাস পুলকিত হইয়া বলেন, “আমি ঈশ্বরচন্ত্রকে হিশ! স্কুলে পড়াইব।” উপস্থিত সকলেই বলিলেন,-”আপনি ১০২ টাকা মাত্র বেতন পান, আপনি ২ টাক বেতন দিয়া কিরূপে হিনু স্কুলে পড়াইবেন £” ঠাকুরদাস লিলেন_“ ৫২ টাকায় যেরূপে হউক, সংসার চালাইব।” ঠাত্রদাদের ছুদয্ধ তখন উচ্চাকাজ্র প্রচলিত অনল-শিখায় ্দীপিত। বালকের প্রতিতা-কথা! ন্মরণ করিয়া, ব্রাঙ্গগ আপনার ূ রিদ্র্য-ছুঃখ বিস্মৃত হইয়া গ্রয়াছিলেন। দরিদ্র ব্রাহ্মণ পূর্ণানন্দে ৫ %০ ্‌ বিদ্যানাগর। পর্ণ ভাবে নিমগ্ধ। ঠাকুরদাস, পুত্র ঈশ্বরচন্রকে হিল স্কুলে পড়াইবেন বলিয়াই স্থির করিয়া রাখিয়াছিলেন? কিন্তু তিন মাস কাল তাহা আর টিয়া উঠে নাই। এই তিন মাস কাল ঈশ্বরচন্দ্র, নিকটবর্তী একটা পাঠশালায় যাইু্তেন। এই পাঠশালার গুকুমহাঁশয়'সম্বন্ধে বিদ্যাসাগর মহাশয় স্বরচিত চরিতে লিখিয়াছেন,-”পাঠশালার শিক্ষক স্বরূপচত্তর দাস, বীরসিংহের শিক্ষক কালীকান্ত বন্দ্যোপাধ্যায় অপেক্ষা, শিক্ষাদান বিষয়ে, বোধ হয়, অধিকতর নিপুণ ছিলেন।” দুর্ভাগ্যের বিষয়, আজ কাল বাঙ্গালা শিক্ষার এরূপ হুনিপুণ গুরুমহাশহু দুর্দভ। এ দূর্লভতার হেতু লোকের প্রকৃতি-প্রবৃত্তির পরিবর্তন । এখন পাঠশালাও আছে, গুরুমহাশয়ও আছে; নাই সেই তলম্পণিনী জাতীয় শিক্ষা) আর নাই দেই জাতীয় ভাবাপন্ন হদক্ষ শিক্ষক; এখনকার, পাঠশালা ইংরেজিরই রূপান্তর; গুরু অন্তরূপ হইবে কিসে? “কর্তব্যোমহদাশ্রয়)” মহাজনের এই মহাবাণী অবস্ঠা- পালনীয়। এ বাণীর সাক্ষাফল প্ররত্যন্বীভৃত হইয়াছিল, ঈশ্বরচন্্রের বাল্য জীবনে । জগদ্দর্ণত সিংহ কেবল যে পিতা- পুত্রকে আশ্রয়-মাত্র দিয়াছিলেন, তাহা নহে; তাহার পরিবার- বর্গ ও তিনি স্বয়ং তাহাদিগকে যথেষ্ট সমাদর করিতেন। জগন্দভ বাবুর কনিষ্ট তগ্নিনী রাইমণি, বালক ঈশ্বরচন্্রকে ত্রাপেক্ষাও ভাল বাদিতেন। এই রমদী-সন্বন্ধে বিদ্যাসাগর, মহাশয় স্বয়ং বলিয়াছেন,-“ন্েহ, দয়া, সৌজন্য, অমাস্রিকতা। কলিকাতায় আগমন । ৫১ ঈদ্ধিবেচনা প্রভৃতি জদৃগুণ বিষয়ে, রাইমণির, সমকক্ষ স্ত্রীলোক এ পর্যন্ত আমার নয়ন-গোচর হয় নাই। এই দরয়াময়ীর সৌম্য মূর্তি, আমার হনয়-মন্দিরে, দেবীমুর্তির স্তায় প্রতিষ্ঠিত হইয়া বিরাজমান রহিয্বাছে। প্রদর্থক্রমে তাহার কথা উ্বাপিভ হইলে, তনীয় অকৃত্রিম গুণের কীর্তন করিতে করিতে অশ্রুপাত না করিয়া থাকিতে পারি না।” বাস্তবিকই রাইমণির মেই অকৃতিম যত্ব-ন্তেহ ব্যতিরেকে বিদ্যামাগরের কলিকাতায় থাক দাত হুইত। তিনি স্গেহমযী মাতা ও পিতামহীর কথা ভাবিয়া প্রথম প্রথম বড় ব্যাকুল হইতেন। পিতু। অর্বক্ষণ তাহার নিকট থাকিতে পারি- তেন না। তিনি প্রাতে এক প্রহরের সময় কর্মন্থানে যাইতেন এবং রাত্রি এক প্রহরের সমর বাসায় ফিরিয়া আজি- তেন । এই সময় রাইমনি এবং জগন্দ লভ বাবুর অন্তান্ত পরিবার নানা মিষ্ট কথার তাহাকে লাই রাখতেন ;) এবং নানা রিং আহারীয় ও অন্তান্ত মন-ভুলান জিনিষপত্র দিয়া, অনেকট। আন্না করিতেন। এইরূপ অনেক দীনহীন বালকই মহদাশ্রয়ে থাকল প্রতিপালিত হইয়া, পরিণামে কীর্তিমান্‌ হইয়া গিয়া- ধছেন। কলিকাতার কোটিপতি রামছুলাল সরকার বাল্য কালে দি হাটখোলার সেই জদাশয় দত্ত-পরিবারে প্রতি-পালিত না টহইতেন, তাহ! হইলে কে বলিতে পারে, তিনি ভবিষ্যৎ-জীবনে মহল ধনের অধিকারী হইয়া, অক্ষয় কীর্ভি-সঞ্চয়ে জমর্থ হইতে রামছুলাল্র বাল্য'দরিদ্রতা এবং দত্ব-পরিবারের ৫২ বিদ্যাসাগর । তত্প্রতি সদাশত্বতার কথা স্মরণ হইলে, বাস্তবিকই মনে এক অগিস্তনীপ্ষ ভাবের উদয় হয়। বিলাতের বিখ্যাত গ্রন্থকার জনাথন্‌ সুইফট ষদ্দি বাল্য কালে স্তর উইলিয়মূ হামিপ্টনের আশ্রয় না লইতেন এবং জার্দ্মাণ পণ্ডিত হ্মি ধন্মপিতার সাহাধ্য না পাইতেন, তাহা হইলে এ জগতে তাহারা কুটিতেন কিনাসন্দেহ। | বালক বিদ্যাসাগর অগ্রহীয়ণ মাসে কলিকাতায় আসিঘাঁ- ছিলেন; কিন্ত ফাল্তন মাসের প্রারন্তে রক্কাতিমার রোগে আক্রান্ত হন। ক্রমে পীড়। এত দূর উতকট হইয়া পড়ে ষে, মল-মুত্রত্যাগে তিনি সর্বদা সাবধান হইতে.পারিতেন ন!। কাহার পিতাকেই অনেক সময় স্বহাস্তে 'মলমৃত্র পরিফার করিতে হইত। এ পত্রীর ছুর্ণাদাস কবিরাজ, তাহার চিকিৎসা করেন; কিন্চ রোগ উন্তরোভর বৃদ্ধি প্রাপ্ত হইয়াছিল । বীরসিংহ গাষে সংবার ঘায়। পিতামহী সংবাদ পাইয্াই কলিকাতায় আসিয় উপন্থিত হন। তিনি কলিকাতায় ছুই তিন দিন থাকিয়া ঈশগর চন্দুকে বাড়ী লইয়া ঘান। তথায় সাত আট দিনের মধ্যে বিনা চিকিত্সাম্ তিনি সম্পূর্ণকূপ আরোগ্য লাভ করিঘ্াছিলেন। বৈশাখ মাস পর্ধ্যন্ত ঈশ্বরচন্দ্র বাঁড়ীতেই ছিলেন৷ 'জ্যেট মাসের প্রারন্তে পিতা ঠাকুরদাস ত্বাহাকে পুনরায় কলিকাতায় আনঘ্বনার্থ বীরপিংহ গ্রামে গ্রমন করেন। এবারও পদব্রজে আস স্থির হয়। পুর্ব বারে সঙ্গে ভৃত্য ছিল। ভৃত্য, মধ্যে মধ্যে বালককে কাধে করিয়া আনিয়াছিল। এবার পিতা জিজ্ঞার্মি কলিকাতায় পুনরাগমন । ৫৩ লেন,--"কেমন ঈশ্বর ! তুমি চলিয়া যাইতে পারিবে, না আনন্দ- রামকে দূঙ্গে করিয়া লইব ?” বালক বাহাছুরী করিয়া বলিল, “না, আমি চলিয়া যাইতে প্মরিব।” বিদ্যাসাগরের বাহাদুরীর গরিচন্ন বাল্য কাল হইতে। এবার পিঁতাপুত্রে চলিয়া আসিয়া প্রথম দিন পাতুলগ্রামে আশ্রয় লেন। পাতুলগ্রাম বীরসিংহ হুইতে ৬ ছয্ব ক্রোশ দুর। ঈশ্বরচন্রের এদিন চলিতে কষ্ট হয় নাই। তারকেশ্বরের লিকট রামন্গর গ্রামে ঠাকুরদাসের কনিষ্ঠা ভগিনী অনপর্ণঢকে দেখিতে যাইবার প্রয়োজন হয়। কন্তা পীড়িত হইয্াছিলেন। রামনগর পাতুলগ্রাম হইতে ছত্ব ক্রোশ দুরবন্তী। পিতাপুত্রে ছুই জনে প্রাতঃকালেই রামনগর অভিমুখে যাত্রা করেন। তিন ক্রোশ পথ গিষ্ব! ঈশ্বর আর চলিতে পারেন নাই । পা টাটাইয়া দুপিয়া যায়। পিত1 বড়ই বিপছৃগ্রস্ত হন। তখন বেল] ছুই 'প্রহরের অধিক। ঈশ্বরচন্দ্র তখন এক রকম চলচ্ছক্তি-হীন। পিতা বূলিলেন_“বাবা! একটু চল, আগে মাঠে কুটি- তরমুজ খাওয়াইব।” পশ্বরচত্ত্র অতি কষ্টে প্রাণপণে হাটিয়া, অগ্রসর হইয়াছিলেন। দেই মাঠের কাছে গিয়া ফুটি-তরমুজ খাইলেন। পেট ঠাণ্ডা হইয়াছিল বটে; পা কিন্ত আর উঠে ্াই। পিতা রাগ করিয়া পুত্রকে ফেলিয়া কিয়দ্দর চলিয়া ঘন) কিন্ত আবার ফিরিয়া আসিয়া, রোকুদ্যমান পুত্রকে কাধে করি লন। ছূর্ববল-দেহ. পিতা, অষ্টম বর্ষের বলবান্‌ (বাশককে কত দূর কাধে করিয়! লইয়া যাইবেন! খানিক ৫9 বিদ্যামাগর। দুর পিয়া, আবার তিনি ঈশ্বরচন্্রকে কাধ হইতে নামাইফ। দেন; বিরক্ত হুইয়! ছুই একটা চপেটাঘাতও করেন। ঈশ্বরচনের উচচ্চঃস্বরে ক্রন্দন ভিন্ন আর কি উপায় ছিল? এখন একেবানে চলচ্ছক্তি-হীন। পিতা আবার পুত্রকে কাধে করিয়া লন; এরূপ একবার কীধে করিয়া, একবার নামাইয়া, একটু একটু বিশ্রামান্তর চলিয়াছিলেন। এইকূপ অবস্থায় তাহারা সন্ধ্যার পূর্রে রামনগররে উপস্থিত হন। পর দ্িন তাহারা আরামপুর থাকিয়া, তৎ্পর দিব কলিকাতায় আসিয়া উপস্থিত হইলেন। এই বার আবার বিদ্যালয়ে ভর্তি করিবার কথা। পিত। ঠাকুরদাস, ঈশ্বরচন্্রকে সংস্কৃত শিখাইতে মনঃস্থ করেন। তাহার ইচ্ছা, বিদ্যামাগর সংস্কৃত শিখিলে, দেশে তিনি টোল করিয় দিবেন। এই সময়ে মুনদন বাচম্পতি সংস্কৃত কলেজে অধ্যয়ন করিতেন। তিনি বিদ্যাসাগর মহাশয়ের মাহ-মাতুল রাধামোহন বিদ্যাভূষণের পিতব্য-পুত্র । মধুস্দন বাচম্পতি, ঠাকুরদাসকে পরামর্শ দেন)--"আপনি ঈশ্বরকে সংস্কৃত কলেজে পড়িতে দেন, তাহ! হইলে আপনকার অভিপ্রেত সংন্কত শিক্ষা সম্পন হইবেক; আর যদ্দি চাকরী করা অভিপ্রেত হয়, তাহারও বিলক্ষণ সুবিধা আছে) সংস্কৃত কলেজে পড়িগা যাহারা €ল কমিটার পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়, তাহারা আদালতে জজ-পপ্তিতের পদে নিযুক্ত হইয়া ধাকে। অতএব আমার বিবেচনায় ঈশ্বরকে সংস্কৃত কলেজেই পড়িতে দেওয়া উচিত। চতুগ্পাঠী অপেক্ষা কলেজে রীতিমত সংস্কৃত শিক্ষা হুইয়। থাকে ।” শিক্ষার ব্যবস্থা । ;.. €€ বিদ্যামাগর মহাশয়ের আত্ম-জীবশীতে এ সকল কথ! আছে। অধিকন্ত তিনি লিখিয়া গ্িয়াছেন,-_"বাচস্গতি মহাশ্ এই বিষয় বিলক্ষণন্ূপে পিতৃদেবের হুদযঞ্গম করিয়া দিলেন। আনেক বিবেচনার পর বাচস্পতি মহাশয়ের ব্যবস্থাই অবলম্বন স্থির হইল ।” এই অময়্ ঠাকুরদা মংস্কত কলেজের ব্যাকরণাধ্যাপক প্ডিত গঙ্গাধর তর্কবাণীশের সহিতও এ সম্বন্ধে পরীমর্শ করিয়াছিলেম। শেষে সংস্কৃত কলেজে দেওয়াই স্থির হয়। তৃতীয় অধ্যায়। ধস্কৃত কলেজে ভর্তি, সংস্কৃত কলেজের উদ্দেশ্য ও প্রতিষ্ঠা, তাৎকালিক শিক্ষার অবস্থা) ভবিষ্যদ্‌ আভাস, ব্যাকরণ- শিক্ষা) কলেজের অধ্যাপক, বেতন*ব্যবস্থার ফল, পিতার শান, ব্যাকরণে প্রতিপত্তি ও পুরস্কার, একগুয়েমি, অধ্যয়ন ও অধ্যবসায়, কাব্যের শিক্ষা ও প্রতিষ্ঠা, দ্রারিজ্য-কঠো- রতা এবং.ব্যাকরণ ও কাব্য শিক্ষার ফন । ১২৩৬ সালে ২০শে জ্যৈষ্ঠ বা ১৮২৯ ধষ্টাজে ১লা ভুদ সোমবার ঈশ্বরচন্দ্র সংস্কৃত কলেজে ভর্তি হন। ঈশ্বরচন্ত্র যখন সংস্কৃত কলেজে প্রবেশ করেন, তখন সংস্কৃত কলেজে সংস্কৃত শিক্ষারই প্রচলন ছিল। ইংরেজি শিক্ষার অতি সামান্তমাত্রই স্বতন্ত্র ব্যবস্থা ছিল। তখনকার জংস্কতা- ধ্যায়ী ছাত্রগণ ইংরেজি পড়িতে বাধ্য ছিলেন না। কেহ ইচ্ছ! করিলে, ইংরেজি পড়িতেন মাত্র । সংস্কৃত কলেজে প্রথমে যে শিক্ষাপ্রণালী প্রবর্তিত হইয়া- ছিল, তাহার আলোচন! করিলে, আদৌ মনে হয় না, সংস্কৃত কলেজে ইংরেজী শিক্ষা চালাইবার, কতৃপক্ষের কোনরূপ সম্বল ছিল। তখন কেবল দ্বিজসন্তানেরই সংস্কৃত কলেজে প্রবেশাধি- কলেজের প্রতিষ্ঠা । ৫৭ কার হ্িল। তাহারা ঘরের মেজে বিছানার উপর বসিয়া, টোলের ধরণে অধ্যয়ন করিতেন; আর অধ্যাপকগণ স্বতন্ত্র আসনে বসিগ্া তাকিয়। ঠেপান দিদা] অধ্যাপনা করিতেন। কর্তৃপক্ষের অন্তরের উদ্দেশ্য হউক বা না হউক, আমাদিগের ছুরদৃষ্টে সে শিক্ষাপ্রণালী সম্পূর্্ধপে পরিবর্তিত হইয়া গিয়াছে! সেই পরিবর্তনের শুত্রপাত বিদ্যাসাগরের পাঠ্যাবন্থায়; পরি- পুট্টি তার কার্ধ্যাবস্থায় । ১৮২৪ গুষ্টান্দে সংস্কত কলেজ প্রতিট্িত হয়। এই কলেজের প্রতিষ্টা-প্রস্তাবে, রাজা রামমোহন রায়-প্রমুখ বঙ্গের তাকালিক অনেক শক্তিশালী ব্যক্তি, আপত্তি তুলিয়াছিলেন। রাজ। রামমোহন রায় সংস্কত কলেজের প্রতিষ্ঠা-কঙ্গে প্রকৃতপক্ষে মনস্তাপ পাইয়াছিলেন। ১৮৮২ বষ্টাবে যে শিক্ষা- কমিশনের অধিবেশন হইয়াছিল, তাহার রিপোর্টেই রাম- মোহন রায়ের সে মনস্ত্াপের পরিচর পাওয়া যায়। রিপোর্টে _এইরর্পলেখা আছে ২ ; 00 110120, 5০7) 1009 ৯101630 790073890181056 01 38 70079 &080000. 170012)0918 0? 1116 1317)00 00113)0- । 20ট0) ০২079889059] 915810001010097 ০2. (8৪ 7১৪৮৮ ০ ১0007205৩18 2050 1718 0381017738৮ 000 £580181105, 01 ; 09৩৮07077006776 0 8818101190৪ 067 3877816 0011৬03 র 81736690 01 & 89171119য 06816060 10 1101)91: 81)30700- ; (7০2 0 609 708, 3৫150098900. 11011090117 ০৫ 1700, ৫৮ বিদ্যাসাগর | রাজা রামমোহন রাম বলিয্াছিলেন, টোলে (ধরূপ মং্কৃত শিক্ষা হইতেছে, তাহাই হউক; বরৎ তাহার $1ৎকর্ধমাধনের ব্যবস্থা হউক; কিন্ত সংস্কৃত শিখাইবার জন্য দ্বতন্ত্র কলেজের প্রয়োজন নাই । যাহাতে পাশ্চাত্য সাহিত্য, বিজ্ঞান প্রভৃতির শিক্ষাপ্রমীরের জন্য ভ্বতন্ত্র কলেজ প্রতিষ্ঠিত হয়, তদর্থে কর্তৃ- পক্ষের যত্বশীল হওয়া কর্তব্য । টোলের শিক্ষ। অব্যাহত রাখি- বার পরামর্শ দেওয়া সাপু কল্পনা, সন্দেহ নাই ; তবে পাশ্চাত্য- শিক্ষাপ্রমারের পরামর্শ দিয়ী তিনি হিন্দ-মমাজদ্রোহিতারই প্রিচঘ দ্রিযাছিলেন। তাৎকালিক ইংরেজি শিক্ষার ফলাফল আলোচনা করিলে, আমাদের এ কথার সার্থকতা হদয়ঙ্গম হইবে | : | হিন্দ কলেজের প্রসাদে তখন কলিকাতা সহরে উচ্চু্খল ইংরেছি শিক্ষার আবর্তে পড়িয়া অনেক হিন্দ-সম্ভান বিপথগামী ও সমাজদ্রোহী হইয়া পড়িয়াছিলেন। আকম্মিক ইংরেজি শিক্ষার প্রবাহ, হিন্দু সমাজকে তখন অনেকটা উদ্বেলিতক্কিরিয্বা- ছিল। সংস্কৃত কলেজের প্রতিষ্টা-প্রতিবাদীরা তাহাতেও প্র হন নাই। সংস্কত রূলেজ প্রতিষিত হইবার ৭ সাত বং্মর পূর্্ে হিন্দু কলেজ প্রতিষ্ঠিত হইয়াছিল। ঈগ্বরচন্ত্র যখন সংস্কৃত কলেজে প্রবেশ করেন, তখন হিন্দু কলেজের অনেক ছাত্র, বিজাতীয় বিদেশীয় শিক্ষকের বিজাতীমু শিক্ষাভাব-প্রণোদনে এবং বিজাতীয় ইংরেজী শিক্ষার বিষময় ফলে, বিজাতীয় ভাঁবাপন্ন হইয়া, হিন্দ সমাজে একটা বিষম বিপ্লব ডি ২২ 01011 পি পণ্ডিত তারানাথ বাচম্পতি । শিক্ষার অবস্থা । ৫৯ খঘটাইবার উপক্রম করিয়াছিলেন। তাহাদের পূর্বে বাহারা কলেজের শিক্ষা সমাপ্ত করিয়া, সংসারক্ষেত্রে বিচরণ করিতে- ছিলেন, তাহাদের অনেকেরই অসদাদর্শে হিন্দু কলেজের তাৎকালিক অনেক ছাত্রেরই মৃতিগ্রতি বিকৃত হইয়াছিল। হিন্দ কলেজে পড়িয়া, অনেক হিন্দৃ-সস্তান পাশ্চাত্য সাহিত্য- বিজ্ঞানে পারদর্শিতা লাভ করিয়াছিজেন, সন্দেহ নাই; কিন্ত পাশ্চাত্য শিক্ষায় তাহাদের অনেকের কিরূপ- মতিগতি ঘটিয়া- ছিল, তাৎকালিক অধ্যাপক হোরেশ হেমান্‌ উইলসন্‌ সাহেবের রিপোর্টেও তাহ প্রকাশ পাইয়াছে। তাহারই কথা এখানে ন্‌ রা ; টস 6৫ ১6 177901910 [3510 (007007701881080) [. 2575 উস্থার তো ইহাই ভাবার্থ- অনেক ভদ্র বশজাত এবং ুদ্ধিমান্‌ হিন্দু-সন্তান প্রকাশ্য তাবে স্বধর্ম্মে আস্থাশৃন্ত হইয়া- ছিলেন। অতঃপর পাঠকের বোধ হয়, আর কোন্‌ সন্দেহ রহিল না। তাৎ্কালিক অন্বেক ইংরেজি-পিক্ষিত হিন্দু-সম্ভান ইংরেজির গুণানুকরণে অক্ষম হইয়া দৌষাবলীরই সম্পূর্ণ অনুকরণ করিয়া বমিয়াছিজেন। ইংরেক্গরাজ্বা) ইংরেজ জগতে প্রভৃত শি- ৬৩. বিদ্যামাগর। শালী ; ইংরেজ সমুন্নত সভ্য জাতি বলিয়া সমগ্র পৃথিবীতে পরিগণিত সভ্য ইৎরেজ ঘাহা যাহা করিয়া থাকেন, তদানীস্তন ইংরেজি-শিক্ষিত অনেক কৃতী ব্যক্তি, তাহাই সভ্যতানুমোদিত বলিয়া মনে করিয়াছিলেন । প্রকৃত গুণের অনুকরণ বড় সোজ। কথা নহে ভে। গুণান্ুকরণ ক্বাহাদের সাধ্যাতীত হইয়াছিল। যাহা সহজ- সাধ্য এবৎ অকষ্ট-কল্প, তাহাই তাহাদের অনুকরণীয় হইল। ইংরেজ গরু খান, ইংরেজ মদ খান, ইংরেজ কোট-প্যাণ্ট লম্‌ পরেন, ইংরেজ াড়ের চুল ছ্াটিয়া মস্তকের সম্মুখ ভাগে লম্বা লম্মা চুল রাখেন। এই অব অনয্রাস-সাধ্য, কার্ধ্য গুলিকে সভ্যতার অন্গ ভাবিয়া, ইৎরেজি-শিক্ষিত হিন্দ-জন্তানেরা তদনু- করণে পূর্ণ মাত্রায় প্রবৃত্ত হইয়াছিলেন। এমন কি, তখন হিন্দ কলেজের অনেক ছাত্র, কলেজের সম্মুখে, গোলদীঘির অনাবৃত প্রাঙ্গণে বসিয়া মদ খাইতেও কুগ্ঠিত হইতেন না। অনেকে গরু ধাইয়া, ভুক্কাবশেষ অস্থি-মাৎম, প্রতিবাসী গৃহস্ছের বাড়ীতে নিক্ষেপ করিয়া পরম আনন্দান্ুভব করিতেন । তাহারা ভাবি” তেন, এরূপ ন1 করিলে, তাহাদের বর্বরতার কলঙ্ক অপনীত হইবে না। | ইৎরেজি শিক্ষার এতারবশ বিষময় ফল-সন্দর্শনে সমগ্র হিন্দু সমাজ সন্ত্রস্ত -ইয়৷ পড়িক়াছিল। এক হিন্লু কলেজেই রক্ষা হিল না; তাহার উপর সংস্কৃত কলেজটী ইৎরেজি কলেজ হইলে, বোধ হয়, ঘরে খবরে নরক-দৃশ্ত দেখিতে হইত। সে সময় সংস্কৃত ভবিষ্যৎ আভাম। ৬১ কলেজ, ইংরেজি কলেজের অনুকরণে গঠিত, হইলেও, সংস্কৃত শিক্ষার প্রচলন থাকায়, উহ! হিনু-সন্তান বনি তবুও কতক আশ্রয়-স্থল হই়াছিল। . তদানীন্তন ইংরেজি শিক্ষার কুফল-সন্দর্শনেই ঈশ্বরচন্দ্র (পিভা, বোধ হয়, ঈশ্বরচন্দকে সংস্কৃত কলেজে প্রেরণ করেন। ঈবরচন্ত্র ইংরেজি পড়িয়া, তদানীস্তন ইৎরেজি-শিক্ষিত ব্যক্তি- বর্ণের স্তায় বিকৃত হইয়া! না পড়েন, ইহাও ঠাকুরদাসের উদ্দেশ্য ছিল। কিন্তু সে উদ্দস্ট মন্পূ্রূপ সিদ্ধ হয় নাই। ঈশ্বরচন্ন, সংস্কৃত কলেজে শিক্ষিত হইলেও, ইংরেজি শিক্ষার বাহ-বেই্টনে আবদ্ধ ছিলেন। এক দিকে হিলু কলেজের উন্মাদিনী শিক্ষা) অগর দিকে মিশনরী কলেজের মোহিনী মায়া) তদুপরি শভ্িশ[লী সাহেব দিবিলিয়নদের গাড় খনিষ্ঠতা। ৈ ব্মর ঈশ্বরচন্দ্র, সংস্কৃত কলেজে প্রবেশ করেন, তাহার পর বৎসরে পাদরী ডফ সাহেবের গুল প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৮১৭ স্টানদে ৃষ্টানী স্কুল বি কলেজ” প্রতিষ্ঠিত হইয়াছিল। ইংরেজি শিক্ষার অপ্রতিহত খাত-প্রতিঘাতে হুদয়বান্‌, মনস্বী ও তেজন্বী ঈশ্বরচন্দও বিচলিত হইয়াছিলেন। অবিমিশ্র সংস্কৃত (শিক্ষা লাভ করিরাও ঈপ্বরচন্্র ভাবিয়াছিলেন, ইংরেজি না 'শিখিলে, বর্তমান যুগে সংসারের শ্রীবৃদ্ধি সাধন হুঃসাধ্য। তাই তিনিও সংস্কৃত পাঠ সমাপনান্তে কার্ধ্যাবস্থায় ই”*+জি শিক্ষায় প্রবৃত্ত হইয়াছিলেন। ফলে ইংরেজি শিক্ষার তুফল, হাতেও 'নেকট। সংক্রামিত হইয়াছিল। তবে সংস্কৃত শিক্ষার ফলে, ৬২. বিদ্যানাগর তিনি অনেকটা! জাতীয় ভাব সংরক্ষণে সমর্থ হইয়াছিলেন। ইহার পরিচয়-প্রমাণ দুল্প্রাপ্য হইবে না। . ঈশ্বরচন্ সংস্কৃত কলেজের ব্যাকরণ শ্রেণীর তৃতীয় বিভাগে ভর্তি হইয্া সন্ধিত্ত্র পাঠ করেন। সংস্কৃত ব্যাকরণ শিক্ষা, সংস্কৃত ভাষা শিক্ষার সম্পূর্ণ সাহাষ্য- কারিধী। এই জন্ত তারতে চিরকালই সংস্কৃত শিক্ষার্থী দ্িগকে সর্বাগ্রে কয়েক বর ধরিয়া ব্যাকরণ অধ্যয়ন করিয়া ক£স্থ করিতে হয়। মুক্ধবোধ, পাণিনি, অংক্ষিগুসার প্রভৃতি ব্যাকরণই পাঠ্য। এই সব ব্যাকরণ সহজে আয়ুন্ত করিবার জন্য অনেকেই জংক্ষিপ্তনারের “কড়চ1” অভ্যাস করিয়া থাকেন। ব্যাকরণ শিক্ষার অনুপাতে মংস্কৃত শিক্ষার ব্যুৎপন্তি-বিকাশ্ব। নংক্কত ব্যাকরণে বুত্পন্তি লাভ করিলে, সংস্কৃত শিক্ষা ঘেক্প লপর্শিনী হয়, ভধুনা উপক্রমণিকা, কৌমুদী গলি সেরূপ হয় সা। টোলে ব্যাকরণ শিক্ষার যে প্রথা প্রচলিত, প্রপ্মতঃ সংখত কলেজে সে প্রথাই প্রবর্তিত হইয়াছ্িল। পরে এ প্রথার কিরপ পরিবর্তন হইক্বাছিল, পাঠক পরে তাহ। বুঝিতে পারিবেন । ঈশ্বরচন্দ্র যখন ব্যাকরণ শ্রেণীতে ভর্তি হন, তখন কুমারহট. নিসাসী পণ্ডিতপ্রৰর পঙ্গাধর তর্কবাদীশ ব্যাকরণের অধ্যাপক, ছিলেন। সংস্কৃত কলেজের প্রতিষ্টাকালে, অধ্যাপক উইল্সন সাহেব, বঙ্গের কৃতবিদ্য বিচক্ষণ পরডিতগণকে নির্বাচিত করিয়া, কঙেজের অধ্যাপনাকাধ্যে নিযুক্ত করিয়াছিলেন। নিয়লিথিত অধ্যাপক নিমলিখিত বিষয়ে অধ্যাপনাংকাধ্যে ব্রতী হুইয়? বেতম-ব্যবস্থার ফল। ৬৬ ছিলেন )_নিমটাদ শিরোমণিত_দর্শল ) শড়ুচন্্র বাচস্গতি” বেদান্ত; রামচন্্র বিদ্যাবাদীশ,স্মৃতি ; ুপিরাম বিশারদ)- আনুর্কেদ ; নাখুরাম শান্দ্রী-মলগ্কার) জয়গেপাল তর্কাল" দার)-সাহিত্য) গঞঙ্ষাধর তর্কবাণীশ,ব্যাকরণ) হরিপ্রমাদ তর্কালক্ষার,-ই) হরনাথ তর্কভূষণ। ; যোগধ্যান মিশ্র, জ্যোতিষ । বেভন-ব্যবস্থায় অধ্যাপক-পত্তিত নিুক্ত করিয়া, গবর্ণমেন্ট অনেক অধ্যাপক-পণ্ডিতের সচ্ছন্দে সংসার নির্বাহের সবিধ! ' করিয়া দিয়াছিলেন। কিন্তু বেতন-ব্যবস্থায়, অধ্যাপক-পপ্তিতের নিয়োগে, অনেকেরই মুখরোধের নুঘোগ্ন শুত্রপাত হইল । বেত- নের বাধ্য-বাধকতাঁয়, স্বাধীন মত প্রকাশে, অনেক সময় ব্যাঘাত 'ঘটিয়া থাকে । তখন না হউক, এখন তে। তাহার প্রমাণ পদে পদে পাইতেছি।* গবর্ণমেণ্টের উদ্দেশ্য লইঘ্জা কোন আলোচন! ক্ষিরি না। করাও উচিত নহে। ভবে যাহা অধুনা প্রত্যক্ষ- গোচরীভূত, তাহা। তো অঙ্গীকার করিবার যো নাই। যে বিধি- বিধানে হিন্দুর ধর্ম্াধন্্ব-সম্পর্ক, তাহাতে অনেক বেতন-ভোগী আধ্যাপক পণ্ডিত'মগ্ুলী স্বাধীন মত প্রানে পশ্চাংপদ হইয়! খাকেন। অধুনা অধ্যাপক-ব্রাহ্মণ-পণ্ডিতিগের বেতন- বৃত্তির * ১৮২১ খুষ্টাদ্দের $ঠ1 ডিসেম্বর তারিখে মহমরণ আইন বিধিবদ্ধ হয়। ততকালে সংস্কৃত কলেজের তদানীন্তন অধাপকদের ধর্্ববিশ্বীন প্রবল লে বলিয়াই হউক ব| কতৃপক্ষ উইল্মন্‌ সাহেব, আইনের বিরোধী ছিলেন ঘলিয়াই হউক, তাহার! গবর্ণমেট্টের স্বপক্ষে মত দেন নাই। ৬৪ বিদ্যামাগর | বরাদ্দ অন্ত গবর্ণমেট সবিশেষ যত্বশীল। ব্রাহ্মণ-পর্ডিতের পোষণ পক্ষে যথেষ্ট সুবিধা ভাবিঘা, অনেকেই এজন্য গবর্ণ, মেট্টের প্রশৎসাবাদে মুক্ত-প্রাণ। কিন্তু লুক্ষাদশী প্রকৃত হিন্দু ইহাতে অনেকট। বিভীষিকারই ছায়া! দেখিয়! থাকেন । ঈশ্বরচন্দ কলেজে ভর্তি -হইলে, পিতা ঠাকুরদাস, প্রত্যহ ৯ নয়টার সময় ঈশ্বরচন্ত্রকে কলেজে দিয়া আমিতেন; এবং অপরাহু ৪ চারি টার সময় লইয়া যাইতেন। ৬ ছয় মাস কাল এইরূপই করিতে হইয়াছিল। তাছার পর ঈশ্বরচন্দ স্বয়ংই কলেজে যাতায়াত করিতেন। ৬ ছয় মাস পরে ঈশ্বরচন্ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হম ৫ পাঁচ টাকা বৃত্তি পান। ঈশ্বরচন্দ্র বাল্য কালে “বাটুল* 'ছিলেন। ছাতা মাথা দিয়া চলিয়া যাইলে মনে হইত) যেন একটা ছাতাই যাইতেছে । তাহার মাথাটা! দেহের অনুপাতে একটু বড় ছিল। এই জন্য বালকেরা তাহাকে 'যণ্তরে কৈ? বলিয়া ক্ষেপাইত। বালক ঈশ্বর" চন্দ সমবয়ঙ্গদের বিদ্রপোক্তিতে বড়ই বিরক্ত হইতেন। অনেক সময তিনি রাগে রক্তমুখ হইয়া উঠঠিতেন; কিন্তু কথা কহিতে নিয়া আরও হাস্তাম্পদ হইব. পড়িতেন। তিনি তখন বড় £তোতলা' ছিলেন। সেই জন্য সহজে সকল, কথা উচ্চারিত হইত না; এবং এক একটী কথা উচ্চারণ করিতে কাল-বিলম্ব হইত; সুতরাং তাহাতেই সমবয়ন্ক বালকেরা হাসির মাত্রা চড়াই! বিদ্রপের মাত্রাও বাড়াইয়া দিত। ক্রমে “শুরে কৈ' নামটী 'কজুরে কৈ শব্ধে পরিণত হইয়াছিল। বালকের! ব্যাররণ শিক্ষ!। ৬৫ তর্খন কি বুঝিত,-এই মাথা-মোটা “শুর কৈ' কালে কত বড় লোক হইবে ? তাহারা কি তখন কুঝিত,_মাথা অপেক্ষা বালক ঈশ্বরচন্দ্র হৃদয়টা কত বৃহৎ ? বালক বিদ্যুসাগর কলেজে যাহা শিখিয়া আমিতেন, রাত্রি কালে প্রত্যহ পিতার নিকট তাহারই আবৃত্তি করিতেন। তাঁহার জনক মহাশয়, সংক্ষিপ্তার ব্যাকরণ সম্পূর্ন না হউক, ডাহাঁর অধিকাংশই যে জানিতেন, বিদ্যাসাগর মহাশয় তাহা _আত্ম-জীবনীর একাংশে স্বীকার করিয়া গিয়াছেন। তিনি যে ব্যাকরণ পাঠ করিযা, আয়ন করিতে পারিষীছিলেন, তাহার নিদর্শনও পাইয়াছি। তাহার নিকটে যিনি ব্যাকরণ পড়িয়া, ছিলেন, এখন তিনি রীতিমত ভট্টাচার্য হইয়া অধ্যাপক! হরিতেছেন। প্রত্যহ পুত্রের আবৃতি শুনিয়া শুনিয়া ব্যাকরণে হারও অভিজ্ঞতা বদ্ধিত হইয়াছিল। পুত্র কোন কথা বিশু হইলে, পিতা তাহা ম্মরণ করাইম্বা দিতেন। পুত্র বুঝিতেন, তাহার পিতা ব্যাকরণে সবিশেষ ব্যুৎ্পন্ন । পুত্রের নিকট পিতার প্রকারাস্তরে কৌশলে অনুশীলন ।৬ এবপ দৃষ্টান্ত বিরল। পুত্রের বিদ্যানুরাগিতা-সবর্ধনসন্বন্ধে, পর-সেব-নিরত হুই- নি ঃম্বা্ড পিতা, এক মুহূর্তের জন্য কোনরূপ ত্রুটি করিতেন না। কাধ্য-স্থানের কঠোর পরিশ্রমেও, তিনি ক্লান্তি বোধ করিতেন না। রাত্রি ৯টার পর বাসায় ফিরিয়া আসিয়া তিনি রন্ধনাদি করিতেন) এবং পুত্রকে আহার করাইয়া আপনি আহার “করি- তেন। তাহার পর পিতা পুত্রে একত্র শয়ন করিতেন। শেষ ৬৬ বিদ্যাসাগরু। রাত্রিতে পিতা, পুত্ের পঠিত বিদ্যার পর্ধ্যালোচনাব্র ব্যাপৃত থাকিতেন। মধ্যে মধ্যে তিনি পর-মুখ-শ্রুত নিজের অভ্যস্ত নানাবিধ উদ্ভট গ্রোক পুত্রকে শিখাইতেন। | ঠাকুরদ্বাস কোপন-স্বভাব এবং কঠোর-শাঠানের পক্ষপাতী ছিলেন। যেদ্দিন তিনি দেখিতেন, ঈশ্বরচন্ত্র ঘুমাইয়া পড়িয়া" ছেন, সেদিন তাহাকে নিদাকণ প্রহার করিতেন। এক দ্রিন ঈশ্বরচন্তর পিতার নিকট চালাকাঠের মার খাইয়া, কলেজের তদানীন্তন কেরাণী রামধ্ন গঙ্গোপাধ্যায়ের বাড়ীতে পলায়ন করিয়াছিলেন। রামধন বাবু ভাহাকে অতি যত্বের সহিত বাড়ীতে রাধিয়া 'আহারাদি করান। পরে তিনি ঈশ্বরচন্দ্রকে সঙ্গে করিয়া লইয়া গিয়া বাসায় পৌছাইয়। দেন। সময়ে জুময়ে পিতার নিকট মার খাইরা, ঈশ্বরচন্ত এমনই আর্তনাদ করিতেন যে, তাহাতে মিংহ-পরিবার উত্ত্যক্ত হইয়া উঠিতেন ) এবং ঠাকুরদাসকে বলিতেন,_-*এক্প প্রহারে হয়তো বালক কোন্‌ দ্রিন মারা যাইবে; অতএব যদি এরূপ প্রহার কর, তাহা হইলে এঞ্ান হইতে তোমাকে স্থানাস্তরে যাইতে হইবে” ইহাতে প্রহারের মাত্রা কিছু কম হইত। ঈশ্বরচন্রও অনেকটা সাবধান হইয়া চলিতেন। পাছে নিদ্রা আসে বলিয়া, তিনি আপনার চক্ষে সরিষা তেল দ্িতেন। তেলের জালায় নিদ্রা! পলায়ন করিত । বর্তমান যশস্বী খ্যাত- নামা কোন কোন ব্যক্তি ঘুম ভাঙাইবার জন্য বাল্য কালে এইরূপ ও অন্তরূপ উপায় অবলম্বন করিতেন, ইহাও আমরা পিতার শাসন। ৯? জানি। লেখকেরই কোন বন্ধু বাল্য কালে ঘুমাইবার পূর্ব পায়ে দড়ি বাঁধিঞ্জা রাখিতেন। দড়ির টানে নিপ্রা ভঙ্গ হইলে, তিনি পাঠাভ্যাসে রত হইতেন। ইনি বিশ্ববিদ্যালয্বের উচ্চ স্থান অধিকার করিয়াছিলেন; এবৎ এক্ষণে এক জন অধিক বেতন-ভোগী উচ্চপদস্থ কর্মচারী । 4 ,.. বুদ্ধিমান ও প্রতিতাশীল বালকদিগের জন্ত প্রচণ্ড -প্রহার- স্রীড়ন বা কঠোর দণ্ড-শীদনের প্রয়োজন হয় না। বরং এ ব্যথায় অনেক সময় বিপি ক ফলই ফলিয়া থাকে। যাহারা ্ে কিছুতেই কিছুই হয় না; পরন্ফ এমনও রা জরি শাসন -পাড়নে অনেক স্বাভাবিক বুদ্ধিমান্‌. বালক বিভিন্ন মূর্তি বারণ করিয়াছে। আমাদেরই এক জন আত্মীয়ের একটা বুদ্ধি. স্থান পুত্র ছিল। পিতা ভাবিতেন, নিয়ত কঠোর শাসনে রাখিতে শী রলেই, পুত্রের বিদ্যা-বুদ্ধির মাত্রা বাড়িবে। এই বিশ্বাসে, গুঁত্রের সামান্য দোষ দেখিলেই, পিতা, পুত্রের প্রতি কঠোর প্রহার- পীড়নের ব্যবচ্থা করিতেন। .ফলে, পুত্রের ভদয়ে, পিতৃ- শাসনের বিভীষিকা এত দূর ঘনীভূত হইয়া! দাড়াইয়াছিল থে, পুত্র পিতাকে দেখিলেই দূরে পলায়ন করিত। তৃখন বহু সাধ্য- [ধনায়ও তাহাকে সমীপবস্তাঁ কর! দুঃসাধ্য হইত। সুৃতরাৎ স্হার জন্য শাদন, ফলে তাহাই ঘুচিয়া গেল! এইরূপ শাদন- টমিতীধিকায় পুত্রের ভবিষ্যৎ জীবনের উন্নতি-পথ রুদ্ধ হইয়া রি বা প্রহার-পীড়ন-ফলে, বুদ্ধিমান ঈশ্বরচন্তের অবশ্ঠ ৬৮ বিদ্যামাগর । সেরূপ হয় নাই। স্বগাঁয় ভূদেব মুখোপাধ্যায়ের জীবনেও এরূপ শাসন-পীড়নের পরিচয় পাওয়া যাঁয়। তাহার পিতাও ঠাকুরদাসের ন্তাঁয় কোপন-স্বভাব ও কঠোর শাসনের পক্ষপাতী ছিলেন। আবার ইহাও দেখা যায়, এক জনের বুদ্ধিহীন পুত্র পিতার প্রহার-গীড়নেও, নির্বুদ্ধিতার সীমা অতিক্রম করিতে নাপারিয়া অধঃপাতে গিয়াছে; অপর বুদ্ধিমান্‌ পুত্র অক্ষত- পৃষ্ঠে জীবনের পথ উজ্জ্বল করিয়াছে । এ সব দুষ্টান্তের আলোচনায় অদৃষ্টবাদিত্ের পক্ষপাতিত্ব আসিয়া পড়ে না? ব্যাকরণ শ্রেণীতে বালক ঈশ্বরচন্দ অন্য ছাত্র অপেক্ষা অধ্যাপকের শ্রীতিপাত্র হইয়াছিলেন। অন্থান্ত ছাত্রাপেক্ষ' ব্যাকরণ বিদ্যায় তাহার অসম্ভাবিত বুযুৎপত্তি দেখিয্বা অধ্যাপক তাহার উপর বড় জন্তষ্র থাকিতেন। তিনি পাঠান্তে ঈশ্বর- চন্দর্কে আপনার নিকট বসাইঘা উদ্ট শ্লোক শিখাইতেন। পিতা ও অধ্যাপকের নিকট ঈশ্বরচন্দ প্রশনয় চারি পাচ শত উদ্ভট শ্লোক শিথিয়াছিলেন ।* * বিদ্যালাগর মহাশয়ের মন্কলিত ণ“শ্নোক-মগ্তরী” নামক গ্রচ্থে বড় মংখ্যক উভ্ভট শ্লোক দেখিতে পাইবেন । বিঙ্গাসাগর মহাশয় লিধিয়াছেন, “এই ভভট শ্লোক দ্বার! আমরা নবিশেষ উপকার লাঁভ কৰিয়াছিলাম, নন্দেহ নাই । আমাদের পঠদ্দশায়, উদ্ভট শোকের যেকূপ আদর ও আলোচন] লক্ষিত হইয়াছিল, এক্ষণে আর নেরূপ দেখিতে ও শুনিতে পাওয়া যায় না । বস্ততঃ উদ্ভট শ্লোকের আলোচন! একেবারে লুপ্তপ্রায হইয়াছে” বাকরণে গ্রতিপত্তি। ৬৯ ব্যাকরণ শ্রেবীতে তিন বৎসরের মধ্যে তিনি দুই বর প্রচুর পারিতোধিক পাইয়াছিলেন; এক বৎসর পান নাই। সেই বৎসর তিনি মনঃসৎক্ষোভে ও অভিমানে সংস্কৃত কলেজ পরিত্যাগ করিবার সঙ্কল্প করিরাছিলেন; কিন্ত পিতা ও ঘধ্যা- পকের অনুজ্ঞায় পারেন নাই। সে ব্মর যে তিনি পারি- তোধিক পান নাই, তৎসন্বন্ধে কাহারও কাহারও মত এইরূপ, এ বতসর প্রাইস সাহেব পরীক্ষক ছিলেন। সাহেব ভাল বুবিতে পারিতেন না। ঈশ্বরচন্দ্র যাহ? উত্তর করিতেন, তাহা! ঠভালন্মপ বিবেচনাপূর্রবক করিতেন ) সুতরাৎ উত্তর দিতে বিলম্ব এহুইতণ) কিন্ত প্রায়ই তাহা নির্ভুল হইত। যে বালক বিবেচনা সা করিঘা তাঁড়াতাড়ি বলিয্বাছিল, তাহ ভাল হউক, আর মন্দই রর উক, সাহেব তাহাকে বুদ্ধিমান জানিয়া অধিক নম্বর দিয়া- পছিলেন ? সংস্কৃত ব্যাকরণের পরীক্ষায়, সাহেব পরীক্ষক সম্বন্ধে রূপ হওয়া অসম্ভব নছহে। সাহেব কেন, কোন কোন কটালের' ও কলেজের অধ্যাপকদের এরুপ সংস্কার ছিল ও আছে, যে বালক দ্রেত উত্তর করিতে পারে, সে নির্ভুল বণিতেছে। অত্বর উত্তর করায় তাহারা ভুল ধরিতে পারেন না। পি তারাগাথ 5 মহাশয় ছুই এক বার প্ররূপ রঃ ₹ এই সময় বালক ঈখরচন্দ্রের "একগুঁয়নেমী” ফুটিতে আরম্ভ, হিয়। এই “একপুয়েমীর” দরুণ পিতা, অনেক সময় উত্ত্যক্ত [হইতেন। পিতা বলিলেন,__“ফরসা কাপড় পরি স্থলে যাও।” : ৭০ বিদ্যামাগর। ঈগ্বরচন্দর বলিতেন,__এময়ুল! কাপড় পরিষাই যাইব ।” যেদিন ঈশ্বরচন্দ্র স্নান করিব না! বলিয়া মনে করিতেন, সে দিন তাহাকে স্নান করান বড়ই ছুক্ধর হইত। পিতা তাহাকে ধরিয়া লইয়া গিয়া, গঙ্গার ঘাটে বলপূর্র্বক শান করাইয়া দিতেন । অন্ত কোন গুক্ক জন কোন কথা ব্ণিলে, ঈশ্বরচন্দ্র যদি মনে করিতেন, করিব না, তাহা হইলে, কেছই তাহাকে তাহা করাইতে পারিতেন না। গুণের মধ্যে এই ছিল, ঈঞ্বরচন্দ কাহারও কথায় কোন উর ন1 দিয় কেবল ঘাড় বাকাইযাঁ দাড়াইয়া থাকিতেন। এই জন্ত পিতা ঠাকুরদা, তাহাকে অনেক সময় প্ঘাড়কেদো” বলিয়া ডাকিতেন। বালক ঈগরচন্দের “একগুয়েমীর”? কথায় বালক জন্দনের “একখয়েমির? কথা মনে পড়িরা যায়। বাল্য কালে এক জন ভূত্য, জন্সন্কে প্রত্যহ স্কুল হইতে লইয়া আসিত। এক দিন ভূত্যের যাইতে বিলম্ব হওয়ায়, বালক জন্সন্‌ আপনি একাকী স্কুল হইতে বাহির হন ; এবং পথে চলিয়া যান। স্কুলের কত্রাঁ জানিতে পারিয়া ভাবিলেন, বালক হয়, পথ জুলিয়া অন্ত্র শিল্পা পড়িবে; না হয় অন্ত কোনরূপ বিপত্গ্রস্ত হইবে। এই ভাবিয়া তিনি জন্সনের অনুবর্ভিনী হন। বালক জন্সন্‌ দেখি- লেন, কত্রা তাহার পশ্চাৎ পশ্চাৎ আসিতেছেন। ত্বাহার শক্তি- সম্বন্ধে কত্রা সন্দিহান হইয়াছেন ভাবিয়া, বালক জন্সন্, অভিমানে অভিভূত হইলেন; এবং অত্যন্ত ক্রোধাম্থিত হইয়া! উঠিলেন; এমন কি, তখনই ফিরিয়! গিয়া কতরঁকে যথাসাধ্য প্রহার করিলেন। জন্নন্র জীবনীলেখক বস্ওয়েল্‌, তাহার ইহরেজি শিক্ষা । ৭১ এই «একপুদ্নেমী”র বা ঢুট্প্রতিজ্ঞতার দৃষ্টান্ত তুলিয়া বলিয্া- ছেল “জন্মনের ভবিষ্যৎ জীবনে ইহারই পরিচয় পাওয়। 'যায়।” বিদ্যাসাগর-সন্বন্ধে আমারাও এই কথা বলিতে পারি। ; ব্যাকরণ পাঠের সময় ১২৩৭ পালে বাঁ ১৮৩* হষ্টাকে ঈশ্বর-, নল কলেজের ইংরেজি শ্রেণীতে প্রবেশ করিয়াছিলেন। ৯২৩৩ লেবা ১৮২৬ খৃষ্টাব্দে এই ইংরেজি শ্রেণী প্রতিষ্টিত হইয়া- ল। ভবিষ্য বিশাল ইৎরেজি-বৃক্ষের ইহাই বীজান্কুর। ক্ছাত্রেরা, কাজেহ মতন যংকিবিৎ ইৎরেজি শিখিতে চা ইংরেতি শিখিয়া, ইংরেজি চিকিৎমা গ্রন্থাদি কতক পরমা সহঃ (তে ও বাম্ম!লাষ অনুবাদ করিতে গারে, এই উদ্দেশে রি ; রেজি শ্রেশী প্রতিটিত হইয়াছিল্র। তৎকালে উলষ্টন সাহেব ই শেশীর শিক্ষক ছিলেন ।* ইহাতে পড়িতে কিন্ত অনেকের রতি ছিল না। বহু ছাত্রের মধ্যে অন্সনংখ্যকই পড্ডিত।, দ্যিমাগর ৬ ছয় মাস মাত্র এই শ্রেশী-ত পড়িদান্িলেন। ৃ তিরাং ইংরেজিতে তিনি তাদুশ ক্কান ল'ভ করেন নাই। ৃ রদ ডিবি জীবনে অন্য চেষ্ট! ব্লত্িতে হইয়াছিল । তত্ব পরে পাইবেন । ও এই বার বালকের অক্ষ খমশীজভার পরিচদু লইন। বুযাক- খেতে তিনি ওতিন বহ্মর ৬ ছয় মাল অধ্যঘন করেন। | বধ্মরে ব্যাকরণ পাঠ সান করিরা, বাঁকি ছয় মাস, তিনি পাশা শিাপিশীসপিশাশিশিটী শী শপপ৮ রং / * 00100965501 076 মানু 0০91189, 1825, পপীশীপািক্পপিপানশাপিসপিপপিপী পিপিপি পিপিপি (পরত ৭২. বিদ্যামাগর | অমর-কোষের মনুষ্যবর্ণ ও ভটিকাব্যের পঞ্চম সর্গ পর্যন্ত পড়িয়াছিলেন। এ অন্প বয়মেও তিনি প্রায় সারা রাত্রি জাগিয়া পাঠাভ্যাস করিতেন। রাত্রি ১টার সময় আহারাস্তে ঠাকুরদাস হুই ঘন্টা জাথিয়া থাকিতেন। ঈশ্বরচন্দ্র তখন নিদ্রা যাইতেন। রাত্রি ১২টার সময় পিতা তাহাকে তুলিয়া দিতেন। তার পর বালক-সস্ত রাত্রি পড়িতেন। এইরূপ গুরুতর পরিশ্রমে ঈশ্বরচন্দকে মধ্যে মধ্যে গীড়া ভোগ করিতে হইত ৭ এইরূপ অমানুবিক পরিএম বিদ্যাসাগর যাংজ্জীবনই করিয়াছিলেন। আবুনিক বিশ্বিদ্যালয়ের : অনেক ছাত্র পাঠ্যাবস্থায় এইব্লপ পরিশ্রম করিয়া থাকেন বটে ) কিন্ত ভবিষ্যৎ জীবনে অনেকেরই তাহা দেখিতে পাওয়া যায় নাঁ। পরিশ্রম করা তো পরের কথ!) দুই পয়সা উপার্জন করিতে শিখিলে,ভাহারা বিলাস-. মদ-লালসার সম্পূর্ণ পরবশ হইয়া, এক একটা *বাবুজী” হইয়া পড়েন। বাদ্ধক্যে কগ্রশয্যায়ও বিদ্যাসাগর মহাশয় পুস্তক পরি ত্যাগ করিতেন নাঁ। নবম বর্ষ বয়সে ঈশ্বরচন্দ কলেজে ভর্তি হুইয়াছিলেন। একাদশ বৎসর বয়সে উপনগ্তন হয়। কিছু দিনেও মধ্যেই তিনি সু্ধ্যাআহিক ভুলিয়া যান। কেবল পিতার, ভয়ে সন্ধ্যাবন্দনাদির ক্রমগ্ডলি করিতেন। ঈশ্বরচন্দ্রের এই কপটতা আবত্মছুর্বলতা-প্রশ্থত। তখন তিনি বিদ্যাসাগর নন) যখন তিনি ঈশ্বরচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়) ইহ" মেই সময়ের ঘটনা; পাঠক তাহা ম্মরণ রাখিবেন। দ্বাদশ বৎসরে ঈশ্বরচন্দ্র সংশ্ৃ কাব্যে গ্রতিষ্ঠা। ৭৩ দ্ধালেজের কাব্য শ্রেণীতে প্রবেশ করেন। সেই সময় পণ্ডিতবর জররগোপাল তর্কালঙ্কার সাহিত্যাধ্যাপক ছিলেন। মদনমোহন কার ও মুক্তারাম বিদ্যাবাগীশ মহাশয়, বালক বিদ্যা- ্ররের সঙ্গে পাঠ করিতেন।* বিদ্যাসাগর মহাশয় অন্যান পর অপেক্ষা অল্পবয়স্ক ছিলেন । কিন্তু তাহার অদ্ভুত ধী-শক্তির টীচয় পাইয়া, অধ্যাপকমণ্ডলী বিন্মিত হইতেন। প্রথম বৎসরে াম়চনদ রবুবংশ, কুমারদত্তব, রাঘবপাওনীয প্রভৃতি সাহিত্য- য় সর্বপ্রধান শ্থান অধিকার করিয়াছিলেন। দ্বিতীয় রে টিন মাঘ, ভারবি, শতুস্তলা, মেত্বদূত, উত্তরচরিত, কোন সক্কোচ হইত না। তদানীম্তন পণ্ডিতগণ তাহার স্মৃতিশক্তি ও অশ্রুত-পূর্বব বাক্যবিস্তাস-ক্মত। দেখিয়া ত হইতেন এবং প্রায়ই বলিতেন,_“এ বালক পৃথিবীতে ঘ্বু পুত হইবে।” প্রতিভা আর কাহাকে. বলে? দিন বালকের এরপ প্রতিভার পরিচয় পাওয়া যায়? এই মদনমোহন উত্তর কালে সৃকবি খ্যাতি পাইয়াছিলেন ও মুক্তা- চু মভাগবতের বঙ্গীহুবাদাদি কার্যে লিপ্ত থাকিয়া সুপত্ডিত বলিল ি্িটিত হইয়া ছিলেন । ৭ বিদ্যাসাগর | দ্বিতীয় বৎসর সাহিত্য-পরীক্ষায় ঈশ্বরচন্দ্র সর্বপ্রথম হন। হস্তাক্ষরের জন্য তিনি প্রতি বংসরই পারিতোধিক পাইতেন। হস্ত।ক্ষরের প্রশংসা তাহার যাবজ্জীবনই ছিল। সকল সাহিত্য- মেবকের ভাগ্যে এন্প প্রশংসা ঘৃটিয়া উঠে না। আধুনিক উচ্চতম সাহিত্য-দেবক ও সাহিত্য-সমালোচকদিগের সংঅবে থাকিয়া, আমাদের কতকট। এই প্রতীতি জন্মিয়াছে । বিদ্যা- সাগর মহাশয়, অনেক সংস্কৃত পুঁথি স্বহস্তে লিখিয়া লইতেন। পুঁথির লেখা দেখিয়া সকলেই তাহার ভূয়সী প্রশংসা করিতেন । তিনি যে সকল পুঁধি স্বহস্তে লিখিয়া গিয়াছেন, তাহার পতিন্ত- গুলি দেখিলে, বোধ হয়, ষেন মুক্তা সজ্জিত রহিয়াছে । এই সময় বালক বিদ্যাসাগর নিদারুণ কঠোরভার নির্ম্মম্‌ অভেদ্য দ্যুহ-বিবরে পতিত হন। সে কঠোরতা দরিদ্র হীনা- বন্থাপন্ন বালকের অন্ককরণীয়। শিক্ষণীয় এবং সর্বসাধারণের চিরম্মরধীয়। সেই সময় তাহার মধ্যয ভাতা দীনবন্ধু * শিক্ষার্থ কলিকাতায় আগমন করেন। পাক-কার্যের ভার ঈশ্বরচন্ত্রের উপর পতিত হয়। কেবলই কি তাই? তিনি প্রত্যহ প্রাতঃকালে স্বান করিয়া বাজাক্ষে যাইতেন এবং বাঁজার হইতে পিতার অবস্থান্ুসারে আলু, পটোল গতি তরি- তরকারি ও মহস্তাদি ভ্রুয় করিব লইয়া, বাসায় ফিরিয়। আদিতেন। তৎপরে তিনি নিজেই ঝাল হলুদ ণিলে বাটিয়া * ইনি পরে স্ায়রত্ব উপাধি-ভূষিভ হন। ইনি স্কুলের ডিপুটী ইনৃস্‌- পেক্টর হইয়াছিলেন। ইহার রচিত একখানি পদ্য পুস্তক ছিল । দারিত্র্য'কঠোরতা। ৭ জইতেন। ভখন পাথুরে করলার প্রচলন হয় নাই। তিনি দবহস্তে কাট চাল! করিতেন এবং উন্ুন ধরাইতেন। বালা চারিটি লোক খাইতেন। চারি জনের জন্ত ভাত, ডাল, মাছের রোল রীধিয়া তিনি সকলকেই আহার করাইডেন। আহারান্তে সকলের উচ্ছিষ্ট মুক্ত করিতেন ও বাসনাদি ধুইতেন। হলুদ বাটিয়া, কাট চিরিয়া, বামন মাজিয়া সত্যমত্যই তাহার অঙ্গুলি ও নখ ক্ষ হইয়! গিয্বাছিল। তুমি আমি গুনিলে শিহরিয় টি বটে) বালক ঈশ্বরচন্দ্র ইছাতেই কিন্ত অপার আনন ও পরম গরিতোষ লাভ করিতেন। অনেক অবস্থাহীন ব্যক্তি বাল্য কালে এইরূপ কঠোরতার সহিত সংগ্রাম করিয়া, ভবিষ্যৎ জীবনে অদুল কীর্তিমান ও যণন্বী হইয়া! গরিয়াছেন। ডাকার গুডিব, চক্রবর্তীর সম্বন্ধে এইবূপই শোনা ষায়। তিনি এক জনের বাঙ্গায় রন্ধন করিতেন; রন্ধন করিবার সময় পুস্তক লইয়া পাঠ করিতেন। ইনি ভবিষ্যৎ জীবনে এক জন যশত্বী চিকিৎ মক বলিয়া পরিচিত হন। বাল্যে বা যৌবনে: কঠোরতার সঙ্গে লংগ্রাম করিয়া ভবিষ্যৎ জীবনে কোন না কোঁন বিষন্ে কীর্তি- মান হইয়াছেন, এমন তৃষ্টান্ত ভারতে বা ইয়ুরোপে অনেক পাওয়া যায়। দারিদ্র্যের কঠোরতায় উবিষ্যৎ জীবনোন্নতির বাজ উপ্ত হয়। দারিদ্র্যের নির্রমতায়, অসাধারণ চরিত্র-শ্তি ধা বুদধি-বৃত্িপ্রক্ষুটিত হইয়া! উঠে; কঠোরতার উত্তেজিকা শক্তি, রিদ্ের শিরায় শিরায় শোণিত-প্রবাহে বিদ্যুৎ ছুটায় এবং ঠারিজ্যের আলিঙ্গনে শ্রীতি ও প্রকুল্পতা, অধ্যবসায় ও আত্মসংয্ম ৭৬. বিদ্যাসাগর । তাহার পক্ষে সহজসিদ্ধ হইয়া থাকে। এই জন্ত রিচার্‌ বলিয়াছেন ;-- £ণু 0010 000৮ 90 01089 (9 ৪৪ 6০ 0০0৮9: 136 ও] 00009) ৪০ 01১০0 0029 10 00 1966 11) 1169, স্পেনীয্ষ কবি সারবেত্তিসের দ্ারিদ্যের কথায় এক জন বলিয়াছিলেন “ইহার দারিদ্র্যে পৃথিবী ধনশালিনী।” অথাৎ তাহার গ্রন্থে জগৎ উপকৃত । সত্যসত্যই তো বুদ্ধিভ্রীবী শক্তিশালী ব্যক্তি, দারিদ্রের সঙ্গে সংগ্রাম করিয়া যে শক্তি ও ক্ষমত। সঞ্চয় করেন, আত্মীয়-পরি- জন-পরিবৃত অতুল ধনের উপর অধিষ্ঠিত ব্যক্তি অনেক সময় তাহা পারেন না। কার্ণাইল্‌ সাধে কি বলিয়াছেন; গন 00 1088 1020619৫) আ919 16 0017 101) [০০৮ 900. 1910. 601], দ1]] 09 10000. ৪00206981 8200 0206 52্৮091:6 0285 159 ছা)0 00010 ৪৮৮7 9 11010610701) 0119 08619) 0078998160 &000106 078 100:051810) 2£009, ০: 9৮92) £956 00280160117, %010106 ৮] 009 ৪৮0৮ বালক বিদ্যাসাগর রন্ধনাদ্দি করিয়া ভ্রাতা ও পিতাকে মনের আনন্দে আহার করাইতেন এবং সততই আত্মপ্রসাদে প্রকল্প থাকিতেন। যাহাকে আমাদের কঠোর কষ্ট বলিয়া! মনে হয়, তাহা তাঁহার স্বখকর বলিয়াই মনে হইত। তিনি রদ্ধনের ক্লেশকে ক্লেশ বলিয়া মনে করিতেন না; অধিক্ত পাঠাভ্যাসে শ্গ দীরিদ্র-কঠোরত]। ৭৭ বিরাম পরিশ্রম করিয়াও কিছুমাত্র কই অনুভব করিতেন না কষ্টের সীমা ছিল না। যেঘরে তিনি রন্ধন করিতেন, সে ত্বরটা অতি জবন্ত ছিল। একে তো ত্বরটা বাড়ীর সর্ক্ব নিযিতলে, তাহার উপর জানাল1 অতাবে ভয়ানক অন্ধকারময়। নিকটে ছুইটা পাইথানা ছিল; সবতরাৎ ঘরটা সদাই দূর্দন্ধে পূর্ণ থাকিত মলমৃত্রের কীট সকল “কিলি বিশি? করিয়া বরের ভিতর ঢুকিত ঈশ্বরচন্ম রন্ধন করিবার সময় ঘটাতে জল লইয়া বিয়া থাকি, তেন। পোকাগুলো ঘরের ভিতর ঢুকিলেই, তিনি জল দিয় ধুইয়া দ্রিতেন। এতদ্যভীত ঘরময় প্রাপ্র আরমুল! ঘুরিয়া ফিরিয় বেড়াইত। সময়ে সময়ে ভাতে-ব্যঞ্পনে আরম্ুলা। উড়িয়া পড়িত হঠাৎ্কোন দ্িবম ঈশ্বরচন্র্রের ব্যঞনের সঙ্গে একটা আরম্থল বাধা হইয়া গিয়াছিল। প্রকাশ করিলে বা পাতের নিকট ফেলিয়া 1 রাখিলে, ভ্রাত্গণ বা পিতা দ্বণাপ্রযুক্ত আর ভোজন ক্ষরিবেন না, ইহা ভাবিয়া তিনি আরছুলাটী ব্যঞ্জানের মহিৎ ভক্ষণ করেন। ৃ আহারের তো এই অবস্থা। শয়নের অবস্থা শুনিলে চমৎ আধা বন্দ্যোপাধ্যায় মহাশয়ের খে রর শয়নব্যাপারের রর ্লিইরূপ পরিচয় পাইয়াছি। নারায়॥ বাবু বলেন, _“এক দি উন্দননগরের বাসা-বাড়ীতে আমি বলিলাম, বাবা এ ছোট ঘরে হইতে আপনার কষ্ট হইবে না তো? বাবা বলিলেন, বলি কিরে! ছেলে বেলায় বড়বাজারের বাসায় আমি দেড় হাথ ৭৮ বিদ্যাসাগর । চওড়া দুই হাত লম্বা, একটা বারাণ্ডায় প্রত্যহ শয়ন করিতাঁ । বারাপ্ডার আলিস' আমার বালিস ছিল। আমি বারাগডার মাপে একটী মানুরী করিয়াছিলাম, সেই মাজুরীতেই শয়ন করিতাম। এক দিন রাত্রিকালে দেখিলাম, সেই মাজুরীর উপর আমার দুই ভ্রাতা শুইয়া আছে। আমি তাহাদের নিকট গিয়া অনেক ডাকা-ডাকি করিলাম; তাহারা কিন্ত কিছুতেই উঠিল না; তখন আমি তাহাদের নিজের বিছানায় গিয়া শুইলাম। শুইবামাত্র আমার গায়ে বিষ্ঠা লাগিয়া গেল। আমি তখন আস্তে আস্তে উঠিয়া একটু মজা করিব বলিয়া, যেখানে আঁমার সাধের বিছানায় আমার দুইটী ভাই শুইয়াছিল, সেই- খানে পিষ্বা, তাহাদিগকে ডাকিঘ্বা বলিলাম, উঠ্বি তো ওঠ, নাহলে তোদের গায়ে বিষ্টা মাখাইত্বা দ্িব। তখন তাহারা তাড়াতাড়ি উঠিপ্তা পড়িল। তাহাদিগকে উঠিতে দেখিয়া চলিয়া আমিলাম। সে রাত্রিতে আর নিদ্রা হয় নাই।” জগদ্,্লত বাবুর বাড়ীর সন্মুখে তিলকচন্্র ঘোষ নামক এক ব্যক্তির বাড়ীর নিমতলে একটা ঘরে ঈশ্বরচন্দ্র শযুন করিবার আদেশ পাইয়া- ছিলেন। তখন তাহার তৃতীয় ভ্রাতা শর্ডুচন্র কলিকাতা থাকিতেন। ভ্রাতা তাহার শয্যায় শয়ন করিতেন। বালক বিদ্যাসাগর পাঠাভ্যাস করিয়। অধিক রজনীতে শয়ন করিতেন। এক দিন ভ্রাত| বিছানায় মলত্যাগ করিয়া ফেলিয়াছিলেন! পাছে এ কথ! বলিলে, পেটের ব্যারাম হইয়াছে বলিয়া খাইতে না পান, সেই ভঙ্ষমে ভ্রাতা মলত্যাগের কথ প্রকীশ করেন নাই। অধ্যয়ন ও অধ্বমায়। 9৯ ঈরচন্্র তো তাহা জানিতে পারেন নাই। তিনি প্রাতে উঠিয়া দেখেন, তাহার সর্কাঙ্ধে বিষ্ঠা। তখন তিনি বিষ্ঠা ধৌত করিয়া, স্বহুস্তে ভ্রাতার মলমুত্রাদ্ধি পরিষ্কার করিয়া ফেলেন। বিদ্যাসাগরের পিতৃ-মাতৃ-ভক্তি যেমন ছিল, ভ্রাতৃন্েহও বরাবর ঃতন্ধপ ছিল। দর বালক নশ্বরচন্্র ষখন সাহিত্য শ্রেণীতে পড়িতেন, তখন ্ঠাহার উপর এক বেলা রদ্ধনের ভার ছিল। রাত্রিকালে পিতা উটার সময় বাসায় আসিয়া পাকাদি করিতেন। এত কষ্টেও উহার পাঠাভ্যানে ক্রটি ছিল না। তিনি কলেজে যাইবার ঈময় পুস্তক খুলিয়া পড়িতে পড়িতে যাইতেন) এবং কলেজ ইইতে আসিবার সময়ও রূপ পাঠ করিতেন। চিরকালই তিনি বিলাসে বীতস্পৃহ ছিলেন; অঞ্চয়ে সমর্থ হইয়াও মোটা কাপড় ও মোটা চাদর ব্যবহার করিতেন। বাল্যে তাহার জননী চরকাঘ্ব হৃতা কাটিয়া, বধ প্রস্তত করিয়া, িকাতার পাঠাইতেন। সেই যোট। কাপড় পরিফ্বা, তিনি কলেজে ঘাইতেন। নিদ্যাভ্যাসে তাহার ক্রটির কথ। শোনা ক নাই। দৈবাৎ একটু ক্রট হইলে, পিতা ঠাকুরদাস ভয়ানক ্ীঘন করিতেন। তিনিও পিতার শাসনকে বড় ভয় করিতেন। ল্যাবস্থায় তিনি সন্ধ্যার মন্ত্র ভুলিয়া গিয়াছিলেন। এ কথা [ন্বে একবার উন্লেখ করিয়া আঙিয়াছি। পিতা তাহাকে লীন করেন। করিবামাত্র তিনি সন্ধ্যার মধ দেখিয়া সন্ধ্যা ০ করিয়াছিলেনশ ৯০ বিদ্যাসাগর । কাব্যে ও ব্যাকরণে ঈশ্বরচন্দ্রের অসাধারণ ব্যুৎ্পত্তি অত্যন্ত ব্যাপার। বীরসিংহ গ্রামে আদ্য শ্রাদ্ধাদি উপলক্ষে তিনি এত অল্প বয়সে অনেক সময় সংস্কৃত কবিতা রচন। করিয়া] দিতেন ' তাহার রচনা দেখিয়া, তাৎকালিক প্রসিদ্ধ পণ্ডিতমণ্ডলী অবাক হইতেন। মিলটন্‌ ত্রয়োদশ বর্ষে কবিতা রচন1 করিয়া, তাৎ কালিক বিলাতী প্ডিতবর্গকে মুগ্ধ করিয়াছিলেন। * জীবিত, সর্বত্র প্রচারিত ও প্রচলিত ইংরেজি ভাষায় কবিতা লিখিবার চেষ্টামাত্রেই যদি মিলটন্‌ প্রতিভাশালী বলিয়া অভিহিত হইতে পারেন, তাহ! হইলে বালক বিদ্যাসাগর অধুনা সংকীর্ণ-প্রচার অপ্রচলিত সংস্কৃত ভাষায় পণ্ডিত-জনমুগ্ধকর কবিতা রচনা করিয়া তদপেক্ষা অধিকতর প্রতিভাশালী বলিয়া কি পরিচিত হইতে পারেন না? সংস্কৃত ভাষা আজ যদি প্রচলিত থাকিত; সংস্কৃত যদি হিন্দু-সস্তানের সাধারণ শিক্ষণীয় ও পঠনীয় হইত, তাহা হইলে এই প্রতিভাশালী বাল-কবির মস্তিস্ক হইতে ভবিষ্য জীবনে অপূর্ব জ্যোতিশ্য়ী কবিতা নিঃস্ঘত হইয়া থে প্রতিভার পূর্ণ বিভায় দিগস্ত উদ্ভাসিত করিত মা, তাহাই বাঁকে বলিতে পারে ? বালক বিদ্যাসাগর শ্রাদ্ধদভায সমাগত পণ্ডিত- £ 1715 0180 80691006820. 100910 দা০:৪ 00809 88 981] 95 115 136) 5687১ ৪০ 01086 109 15 &৪ ৪6105176 20 11780800504 097001য 98 01 00০ 01 0670108,০৮৮১118 58, ৩50999008 17001551) 14196791576 শিক্ষার ফল ৮১ মণ্ডলীর সহিত সংস্কৃত ভাষায় ব্যাকরণের বিচার করিতেন। তাহার সংস্কৃত-ভাষাভিজ্ঞতা ও কথনশক্তিশীলতার প্রত্তিপন্তি ক্রমে চারি দিকে প্রচারিত হইল। চারি দিকে ধন্য ধন্য রব টিল। লোকে বলিতে লাগিল, তিনি “অদ্বিতীয় পণ্ডিত।” চতুর্থ অধ্যায়। বিবাহ, শ্বশুরের পরিচয়, অলঙ্কারে প্রতিষ্ঠা) দয়া, সখ ও শ্রম । ঈগ্বরচন্দরের ভূয়সী খ্যাতি-প্রতিপন্তি হওয়ায়, নিকটব্ গ্রামবাীদের মধ্যে অনেকেই তীহাঁকে কন্তা সমর্পণ করিবার জন্য লালাধ্বিত হন। বিধির নির্বন্ধে, ক্ষীরপাইনিবাসী শত্রু ভট্রাচার্ধ্য মহাশয়ের সগুম ব্াঁয়া কন্ত দীনময়ীর সহিত তাহা বিবাহ হয্ব। এ বয়মে তাহার বিবাহ করিবার আদে ইচ্ছা ছিল না; কিন্তু পিতার অনুরোধে বিবাহ করিতে বাধ্য হন। দীনময়ী পাছুকা-কন্তা। পাহুকা-কন্তার মৌভাগ্যফলে স্বামী; লক্ষ্মী অচল হত্ব। দীমমদীর পতির অৃষ্টে তাহাই হইয়াছিল তাগ্যব্তী দীন্মরীও পুত্র কন্যা রাখিষ্কা স্বামীর পুর্বে ইহলোৰ পরিত্যাগ করিয়া, নিজ সৌভাগ্যশালিতার এবং শুভ গ্রহসম্পনন তার পরিচয় দিয়! গিয়াছেন। তিনি মৃত্যুর পূর্বে বহৃবর্ষব্যাপৰ' কুক্ুসাধ্য সাবিত্রী-ব্রত উদ্যাপন করিয়াছিলেন। অকল নারীর ভাগ্যে মধবা অবস্থার এই কঠোর ব্রত উদ্যাপিত কর] ঘটয়া উঠে না। অনেককে ব্রতের অনুদ্যাপিত অবস্থাতেই তনু ত্যাগ করিতে হয়। দীনমন্ীর কপাল তেমন ছিল না। তিনি প্রকৃত সাধধীরই মত সকল দিক বজায় করিয়া, পতিৎপুত্র রাখিয়া দিব্যধামে প্রয়াথ করেন। . শ্বশুরের পরিচয়। ৮৩ এইখানে দীনময়ীর পিতা শক্রদ্ব ভট্টাচার্যের একটু . শ্রিচয় দিই। এ পরিচয়ে পরিণামের সম্পর্ক আছে। উইশৌরদের সম্বন্ধ বুঝাইবার জন্ত এই পরিচয়। ৯ শক্রপ্ন ভট্টাচার্ধ্য অতি তেজন্বী, ক্রোথী ও বলশালী ত্রাঙ্গ লেন। ততৎকালে ত্বাহার গ্রামে তাহার বলবস্তার ক লনা। পরন্ত তিনি সহজাতা জন্গদয়তা ও উদারতা গুণে ঘিজনের ভক্তি ও গ্রীতি আকর্ষণ করিতেন । তাহার বলরত্া উদারতার ছুই একটী গল্প শুনুন। প্রতি ব্ষর ক্ষীরপাই সহরে গাজন হইত। ভঙ্রাচার্্য এই জনের অধিনেতা ছিলেন। গাজন লইয়া, সহর প্রদক্ষিণ করা নকার নিয়ম ছিল। স্বয্ং শক্রত্ব ভট্টাচার্য্য গ্রাজনের সঙ্গে দন যাইতেন। ুর্ভাগ্যবশতঃ একটা পন্লীর লোক, তাহার যম প্রতিপক্ষ হইয়া দঁড়াইয়াছিলেন। তাহাদের ' বিষম [তিজ্ঞা হইয়াছিল, তাহার? খক্রদ্বকে গাজন লইয়া তাহাদের ত যাইতে দিবেন না। শক্রুত্ব ভট্টাচার্য্য ইহা জানিতে যাছিলেন; কিন্ত বলঘৃপ্ত ব্রাহ্মণেরও প্রতিজ্ঞা হইল, টুনি যে প্রকারেই হউক, প্রতিপক্ষের পল্লীতে যাইবেন। তিনি ঈন লইয়া, সেই দিকে অগ্রসর হন; কিন্তু গিয়া দেখেন, পল্লীর র সম্মুখে একটী হস্তী দণ্ডায়ষান, ভৎপশ্চাতে কিয়দ্দরে [ানি রধ; তৎপশ্চাতে আরও দূরে প্রতিপক্ষের অবস্থিত লন। ভট্টাচার্য্য বুঝিলেন, এ সব গরতিরোধের ব্যবস্থা । চিনি কিন্ত কিছুতেই ত্রক্ষেপ না করিয়াই, পথ হইতে একখানি ৮৪ বিদ্যাসাগর ৷ ইট্‌ কুড়াইগ্আা লইলেন। পরে হস্তীর শুও বগলে চাপিয়। রাখিয়া, সেই ইষ্টক খণ্ডে হস্তীকে এমনই প্রহার করিল যে, হস্তী তাহা সহ করিতে না পারিয়া, গর্জীন,করিতে করিতে পলায়ন করিল। পরে ভট্টাচার্য সবলে রখখানা একাকী টানিয়া ফেলিয়া দেন। দুর্দীস্ত বীরের বিক্রম-ব্যাপার দেখিয়া! প্রতিপক্ষ পলায়ন করেন। ভট্টাচ'ধর্য ক্রোধান্ধ হইয়া, একাকী তাহাদের পশ্চান্ধাবিত হন।, প্রতিপক্ষের দলপতি হালদার ভয়ে বাটীর দ্বার কুদ্ধ করিয়া দেন। ভট্টাচার্ঘ্য পদাঘাতে, লৌহকীলবিশিষ্ট দ্বার ভগ্ন করিয়া বাড়ীতে প্রবেশ করেন। ত্বাহার পায়ে একটা লৌহ-শলাকা ফুটিয়া গিয়াছিলু। তাহাতেও তাহার ক্রক্ষেপ ছিল না। ত্াহায স্টালক ও অন্তান্ত আত্মীত্ববর্গ আসিয়া, তাহাকে ধরিয়া ফেলিয়া বলিলেন,--“ভট্টাচাধ্য করিয়াছ কি,পায়ে যে পেরেক ফুটিয়াছে' ভটাচাধ্য বলিলেন,__“বটে বটে, টানিয়া বাহির করিয়া! লও ।" পেরেক বাহির করা হইল। ভট্টাচার্যের নিবৃন্তি নাই ।. তিনি প্রতিপক্ষের দলপতি হালদারের অন্বেষণে বাড়ীর ভিতরের দিকে ছুটিলেন। দলপতির লোকেরা ভঙ্্ে, তাহাকে এমনই স্থানে ভয়ঙ্ররূপে ইঞ্টকাঘাত করেন ষে, তাহাতে ভট্াচারধ্য বড়ই কাতর হইয়। পড়েন। তখন তাহার আত্মীয়ের তাহাকে ধরাধরি করিয়া লইয়া, তাহাকে বাড়টুতে লইয়া আজেন। প্রতিপক্ষের দল ভাবিলেন, ভট্টাচাধ্যকে সাংশ্বাতিক আঘাত, লাগিয়াছে, তিনি বোধ হয়, আদালতে নালিশ করিবেন। ভটা' চাধ্যের মনোগত অভিপ্রায় জানিবার জন্য, ক্কাহারা এক জন শ্বশুরের পরিচয়। ৮৫ চর পাঠাইয্বা দেন। ভট্াচার্ধ্য, চরকে দ্েখিয়াই গাহার অভি- আপ্ায় বুঝিয়াছিলেন। তিনি বলিলেন, “হালদার ভাবিয়াছে, [মি নালিশ করিব। নালিশ করিব কি রে ? উকীল-পেয়দাকে সা খাওয়াইব এবার সে ম়ারিয়াছে, আগামী বারে আমি রিব। নালিশ-ফৌদদরী করিলে কি, আর গাজন থাকিবে $* রি এই কথা শুনিয়া চলিয়া যায়। পরে প্রতিপক্ষ সকলেই ৃঁ ার বাড়ীতে আসিয়া উপস্থিত হন এবং ক্ষমা ভিক্ষা কয়েন । লরপতি হালদার বলেন,_-“ভট্রাচার্ধ্য, তোমার বল-পরীক্ষার ই উপ করিয়াছিলাম। তুমি দ্বিতীয় ভীম বটে; তোমার বল নহে. মনুষ্যত্ব আছে। তোমার তেজ আছে ; তোমার বিষ্যৎ ভাবিবার বুদ্ধি আছে। আমায় ক্ষমা কর।” হালদারের কথা শুনিয়া, ভট্টাচার্য বলিলেন,__-“এ সব কথায় [নর কাজ নাই; আজ আমার বাড়ীতে তোমাদের সকলকে য়া যাইতে হইবে।” ৃ প্রতিপক্ষ-*ন, ভট্টাচার্যের নিমন্ত্রণ পরমাননে রক্ষা করিয়া, [লেন। তাহারা ভট্টাচার্যের বাড়ীতে পরম-পরিতৌপূর্ব্বক হারাদি করিয়া বিদার লইয়াছিলেন। | আর এক সময় ভট্টাচার্য, এক দোকানে বসিয়াছিলেন। সময়, চারি মণ কলাই-বোধাই এক' ছালা আসিয়া স্থত হয়। উপস্থিত সকলে বলিল,__“তট্টাচার্যয, তুমি যদি ছালা, বাড়ী লইয়া যাইতে পার, তাহা হইলে, তোমায় কলাই দি।” ভট্টাচার্য বলিলেন,_প্পারি বটে; কিন্তু ৮" হু ধিদ্যামাগর | জা হইয়া যাইব না; ছুই পাও ছুই হাত মাটিতে রাখিয়া, গক্ুর মতন চলিব; তোমরা আমার পিঠে এক খানি লেপ দিয়া, তাহার উপর কলাই চাপাইয়া দিবে ।" তাহাই হইল । ভট্টাচার্য্য. ষেই খান হইতে প্রায় আধ ক্রোশ দূরে দেই চারি মণ ছাল! বহিয়া, বলদের মতন হাটি বাড়ী গিয়াছিলেন। তাহার সঙ্গে সঙ্গে প্রায় ২০০। ৩০০ ছুই শ তিনশ লোক থিখ্বাছিল। বাড়ীতে পেৌঁছিলে, সকলেই ভট্টাচাধ্যকে কলাই লইতে অনুরোধ করে. ভট্টাচাধ্য বলেন,_ গ্ভামি কলাই লইয়া কি করিব; কোথায় রাখিব? তোমরা উপযুক্তরূপ চাউল তরি-তরকারী প্রভৃতি লইয়া, এস; এই কণায়ে দাউল হউক ; রীধিয়া-বাড়িয়া, সবাই আনন্দে আহার করিব |” তাহাই হইল। এক সময় ভট্টাচার্যের গ্রামস্থ ঘোষ উপাধিধারী এক সদেগাপ 'নিকটবন্তা একটা খালের নিকট, বেণাবনের ভিতর লোক ঠেডাইয়া মারিত। ঘোষ খুব বলবান্‌ ছিল। গ্রামের লোক তাহার জন্য সদাই শঙ্কিত থাকিত। এক দিন ভট্টাচার্যের জ্যেষ্ঠ ভ্রাতা বলেন৮-“শতু, তুই থাকিতে ঘোষ জব্দ হয় না" শত্রত্ব- বলিলেন,__-"তাহার আর কি, এন্ড দিন তো বল নাই? শত্রুর, ঘোষকে জব করিতে প্রতিশ্রুত হইলেন । 'শক্রদ্ধ এক দিন প্রাতঃকালে চুপি চুপি গিয়া, বেণবনে লুকাইয়! থাকেন, কিম্বতক্ষণ থাকিয়া, তিনি দেখিলেন, সমস্ত বন আন্দোলিত হইতেছে; বুঝিলেন, ঘোষ কাহাকে ধরিয়াছে। শ্বগুরের পরিচয় ৮৭ বাস্তবিক ঘোষ গে দিন এক জন পশ্চিমে খোট্রাকে ধরিয়াছিল খোট্রাটী খুব বলবান্‌ ছিল। ঘোষ তাহাকে সহজে গাড়িতে রে নাই। দুই জনেই ধ্বস্তাধ্বস্তি হইতেছিল। ভট্রাচার্ধ্য এই সময় তাহাদের সম্মুখে উপস্থিত হন। তাহাকে দেখিয়া ঘোষ শীকার ছাড়িয়া সন্মুখে একটা সিমুল গাছে উঠিয়া! পড়ে। এই সম খোট্টাটা অজ্ঞান হইয়া পড়িয়াছিল। ভট্টাচার্য্য তাহার মুখে জল দিয়া তাহার চৈতন্য সম্পাদন করেন। পরে তিনি শিমুল বৃক্ষের তলায় গিয়া, বৃক্ষের উপর উঠিতে চেষ্টা করেন। . স্থুলকায় বলিম্বা উঠিতে না৷ পারিয়া, তিনি লিমুল-তলে দাড়াইয! রহিলেন। বলিলেন,-%ঘ্বোষ ! তুই কতক্ষণ থাকিবি? তোকে না মারিয়া আমি ষাইতেছি না।* ঘোষ গাছের উপর বমিয়া র্‌ থর্‌ কাপিতে লাগিল। সে কোন মতেই গাছ হইতে নামিল না। ঘোষ গাছ হইতে কিছুতেই নামিতেছে না ' দেখিয়া, ভট্টাচার্য বলিলেন,--“নামিয়া আয়; আমার পা টুইয়। দিব্যি করুযে, আর এ কাজ করিৰি না) তাহ'লে এখাত্রা! তোকে ই ক্ষমা করিব?” .. ঘোষ বলিল,“তুমি পৈতা ছুইয়া দিব্যি ক'র, আমি | নামিয়া *গেলে আমাকে মা'রবে না, তা হ'লে, আমি | নামৃব।” ভট্টাচার্য হাসিয়া বলিলেন,_“আমি পৈতা ইয়া দিব্য করিলে, বিশ্বাস হইবে কেন 1* ঘোষ বুলিল।-_"আমি তোমার পা উুইয় দিব্যি করলে তুমি ৮৮ বিদ্যাসাগর । বিশ্বাস করবে? আর তুমি ব্রাহ্মণ পৈতা টুইয়া দিব্যি করলে আমি বিশ্বাস কর্ব না, এ বেশ কথা ।” ভট্টাচার্য পৈতা উুইয়া দিব্য করিলেন। ম্বোষ নামিয়া আসিয়া ভট্টাচার্যের প' ছ্ুইয়। দিব্য করিল। ভটাচাধ্য ক্ষমা করিলেন। ঘোষ চলিয়া গেল। পরে ভট্টাচার্য সেই আহত খোট্রাটাকে সঙ্গে লইয়া বাড়ী ফিরিয়া যান। তিনি খোটাটাকে যথাযোগ্য আহারাদি করাইয়। বিদায় দেন। ভট্রাচার্য্যের প্রতাপে সেই সময় অনেক দশ্ু-লেঠেল জব্দ হইয়াছিল। এক বার তাহার পৃষ্ঠ-ব্রণ হয় ৷ ভাক্তার অস্ত্র করিবার পূর্বে “ক্লোরোফরমৃ" করিয়া তাহাকে অজ্ঞান করিবার উপক্রম করেন। তিনি বলেন, “অজ্ঞান কর্বে কেন ৭ অস্ত্র কর, জামি অজ্ঞান হইয়া আছি।” ডাল্তার ছুরি বসাইলেন, ছুরি ভাষা গেল। আবার ছুরি আনিয়া তবে অস্ত্র করিতে হয়। দীনময়ী এই তেজন্বী পুরুষের কন্তা। এই তেজস্বিনীর পরিচয় ষথাশ্থানে পাইবেন। এখন ঈশ্বরচন্দ্রের পাঠ্য-প্রতিষ্টার পর্যালোচনা কর] যাউক। পঞ্চ দশ বর্ষ বয়সে ঈশ্বরচন্দ্র অলঙ্কার-শ্রেণীতে, প্রবেশ করেন।* সেই সময় পণ্ডিত-প্রবর প্রেমটাদ তর্কবাসীশ ক্গ ১২৪২ সালে ঈশ্বরচন্র অলঙ্কার শ্রেণীতে পাঠ করেন। ইতিপূর্বে শিক্ষ প্রথার প্রচলন-সন্বন্ধে ছইটী দল হইয়াছিল । একটী দল প্রাচ্য-শিক্ষ1- প্রথা প্রচলনের, অপরটা পাশ্চাত্য-শিক্ষা প্রথা প্রচলনের পক্ষপাতী হইয়া অলঙ্ক।রে প্রতিষ্টা ৷ ৮৯ শহাশয় অলঙ্কার শ্রেহ্ীতে অধ্যাপনা করিতেল্। এই শ্রেশীতে ঈশ্বরচন্দ অন্যান্য ছাত্র অপেক্ষা অন্গবয়ন্ক হিলেন। এক বৎসরের মধ্যে তিনি সাহিত্যদর্পণ, কাব্যগ্রকাশ, রসগন্াধর প্রভৃতি অলঙ্কার গ্রন্থ পাঠ করেন। অলঙ্কারের বাৎসরিক পরীক্ষায় তিনি সর্ষোচ্চ পারিতোষিক প্রাপ্ত হন। তখন পুস্তক ও টাকা পারিতোধিকের ব্যবস্থা ছিল। ঈশ্বরচন্্র এই কয়খানি পুস্থক পারিতোধিক পাইয়াছিলেন,-ছ্রঘুবংশ, সাহিত্যদর্পণ, রত্বাবলী, মালতীমাধব, উত্তররামচরিত, যুদ্রারাক্ষস, বিক্রমো- বশী, মুচ্ছকটিক। | এক দিন পণ্ডিতপ্রবর তারানাথ তর্ববাচস্গতি মহাশয়ে, ধাড়ীতে উহাকে সাহিত্যদর্পণের আবৃত্তি করিডে দেখি, তাত্কালিক বিখ্যাত দর্শনশান্্বেতা। জয়নারায়ণ তর্কপন্টানন বলিযাছিশ্লেন,__“এত ছোট ছেলে সাহিত্যদর্পণের এমন জুন্দর 'আবৃ্টি করিতে পারে, ইহাই আশ্চর্যের বিষয়।” তর্দগঞ্জানন মৃহাশর) ঈগধচন্্রকে পরীক্ষা, করিয়া! বলিষাছিলেন,-+এই ছিলেল। প্রথমতঃ প্রাচ' ''াঁর প্রচলন-কামীতরীই প্রবল হ্ইয়াছিলেন । তদানীন্তন অনেক উচ্চপদস্থ «*ন্ত সরকারী কণ্মচারী তাহাদিগের সহিত যোগ দিয়াছিলেন। জমে কিন্ত এ দেশীয় শক্তিশালীব্যক্তিদিগের সাহায্যে অপর পক্ষ প্রবণ হইয়! উঠিল" ১২৪২ লালে লাট সাহেবের অন্যতম নভ্য মেকেল সাহেব অভিমত প্রকীশ করেন যে, ভারতে কেবল পাশ্চাতা- শিক্ষা প্রথ] প্রচলিত করাই উচিত !. ভীহারই মত প্রবল হইল। প্রাচা- প্রথা-কামীদের আর মন্তক তুলিবার শক্তি রহিল না। ইংরেজি শিক্ষা প্রসারের ই একটা সুদৃঢ় স্তর। 2১০ বিদ্যানাগর |. বালকের বযোবৃদ্ধি হইলে, বালক, বাঙ্গালা দেশের অদ্বিতী লোক হইবে।” : এই সমধু, ঈশ্বরচন্ম কলেজে মাসিক ৮২ আট টাকা কৃ প্রাপ্ত হন।* তিনি ষ'হা বৃত্তি পাইতেন, তাহা পিতাকে আনিয়া দিতেন। পিতা, পুত্রের প্রথমাবস্থার বৃন্তি-লব্ধ টাকায় বীরসিংহ গ্রামের নিকট কতকটা জমি ক্রন্ন করিয়াছিলেন। এই জমিতে তাহার টোল বসাইবান্ধ সংন্ষন্ ছিল। টোল বসাইয়া ভাদ্র রাখিদ্রা, মংস্কত শিক্ষার প্রমার বৃদ্ধি করিবেন, পিতার এ সাব বরাবরই ছিল। পুত্রের বিদ্যা-গৌরব-সংকৃদ্ধির সঙজে তাহার চিরপোষিত সাধ অংবর্িত হইয়াছিল। বিদ্যাসাগর মহাশয়, প্রায়ই বন্ধু-বান্ববদিগের নিকট এ কথ! বলিতেন। তিনি ষে টাকা বৃত্তি পাইতেন, পরে গিতা তাহ। সমস্ত লইতেন না। _ ঈশ্বরচন্দ্র, বৃত্তির টাকার হস্ত-পিখিত পুঁথি ত্রয্ধ করিয়া ছিলেন। আজিও এ সব পুঁথ তাহার লাইব্রেরিতে বিদ্যমান আছে। 1 কেবল তাহাই নহে। তিনি বাল্যকাল হইতে পরছৃঃখ-মোচনে ব্রতী হুইয়াছিলেন। সেই ক্ষুদ্র বুকথানি, অনন্তব্যাপিনী দয়ার আধার। তার দয়। পৃথিবী- পপ * এই অময় কলেজে মাসিক ৫২ পাঁচটাকা ও ৮৯ আট টাক! বৃত্তি ব্যবস্থা ছিল৷ + বংনর কতক পুর্বে কোন স্থত্রে বিদ্যানাগর মহাশয়ের সহিত আলাপ-পরিচয় হওয়ায়, এই পখিগুলি দেখিবার সুযোগ ঘটিয়াছিল। মুদ্রিত অন্তান্ত সকল গ্রদ্থের স্তায় ইহা সত্ে রক্ষিত। দয়া। ০১ ব্যাপিনী; কিন্ত দা যেমন, উপায় তো! তেমন নহে; তবুগ মে কোন উপায়ে যথাশক্ি দানে, দীনের ছুঃখোদ্ধারে তিনি প্রাথান্ত গণ করিতেন। অবশিষ্ট যে টাকা থাকিত, তিনি সেই টাকায় জন খাইতেন। জল খাইবার অময়, ঘে সকল বালক তাহার নিকটে থাকিত, তিনি তাহা" দিণকেও জল খাওয়াইতেন। কাহারও ছ্রেঁড়া কাপড় 'দখিলে, নিজের হাতে পরমা না থাকিলেও দরওয়ানের নিকট ধার করিঘা, ভাহাদের কাপড় কেনিয়া নিতেন। বাসায় কেহ মিলে, তৎক্ষণাৎ তিনি তাহাকে জল খাঁওযাইতেন। গে 'ানিত, ঈগ্রচন্ত্ী বড় মানুষের ছেলে) কিন্ত ঈঙ্গর কিসে বড়) হাহা তো বুঝিত না। তিনি ধশে বড় ছিলেন না; তাহার মহত মন ছিল; তাহাতেই অবাধে এদ্দপ করিয়া যাইতেন। 'কাঁন সমববঙ্ক বালকের পীড়া হইলে, তিনি সকল কাধ্য পরিত্যাগ করিয়া, তাহার সেবা-শুশ্রাধা করিতেন। কাহারও কোন সংক্রামক পীড়া হইলে, অপর কেহ তাহার নিকট যাইত 1) তিনি কিন্ত অম্।নব্দনে ও অকঠিত চিত্তে, তাহার মল- মহাদি পরিষ্কার করিতেন। বালক বিদ্যামাগর, যখন বীবুসিংহ গ্রামে াইতেন, তখন সন্ধাগ্রে গুরুমহাশয় কালীকান্তের বাড়ীতে গ্িরা, তাহাকে প্রণাম করিতেন। পরে ক্রমে ক্রমে তিনি প্রত্যেক প্রতিবাসীর বাড়ী বাড়ী গ্রিরা, সকলের তত্ব লইতেন। কাহারও গীড়াদি হইলে নির্বিকার চিন্তে তাহার সেবাশুশ্রীধাদি করিতেন। এই ১হ বিদ্যাসাগর | জন্য তখন বালক বিদ্যাসাগর গ্রামবাসী কর্তৃক দয়াময় নাষে অভিহিত হইতেন। তিনি তখন বিদ্যাসাগর হন নাই; কিন্ত দ্য়াসাগর হইয়াছিলেন। কুকুর ঝিড়ালটা'মারিলেও তাহার চক্ষে জল আসিত। মরি! মরি! মদ বালকের কি অসীম দয়! ধাহারা বাল্য কালে তাহার মাননীয় ছিলেন, বয়সে তাহার! স্তাহার নিকট সমান সম্মানই পাইতেন। তাহারা বিদ্যা'বুদ্ধিতে হীন হইলেও, বিদ্যাসাগর বিদ্যাভিমানে বা পদ গৌরবে গর্বিত হুইয়া কখনই তাহাদের প্রতি অসম্মান প্রকাশ করিতেন না; বরৎ তাঁহারা পুর্বকার ন্সেহভাব বিস্মৃত হইয্বা, তাহার প্রতি সম্মান প্রকাশ করিলে, তিনি কুষ্ঠিত ও লঙ্জিত হইতেন। বিদ্যাসাগর মহাশয় ষখন কলেজের উচ্চ পদ প্রাপ্ত হইয়াছিলেন, তখন কলেজের তদানীস্তন কেরাণী রামধন বাবু তাহাকে দেখিয়া, সসন্্রমে গাত্রোখান করিতেন । পাঠ্যাবস্থায় বিদ্যাসাগর ইহার পরম ন্েহভাঁজন ছিলেন। ইহাকে এইরূপ সসন্তরমে সম্মান করিতে দেখিয়া, বিদ্যাসাগর এক দিন বলিয়াছিলেন,৮_ “আমি আপনার সেই ন্বেহপাত্র আছি, আপনি অমন করিয়' আমাকে লজ্জা দিবেন ন1।” বিদ্যাসাগরের অমায়িকতা ও বিনয়নআতা দেখিয়। রামধন বাবু বিস্মিত হইয়াছিলেন। বিদ্যাসাগরের বাল্য কালে সখ. ও সাধের মধ্যে ছিল, কবির গান শোনা । তিনি সমবয়ন্ক বালকদিগকে লইয়া কবির গাল করিতেন। কবির গানপ্রিয়তা-সন্বন্ধে এইরূপ একটা গল্প আছে। তিনি যখন চাকুরী করিয়া উপায়ক্ষম হন, তখন এক দিন স্বগ্রীম মি | ,আছে। তিনি তখন ভাহাঁকে বলিলেন, “ভাই ! আমি তোমার সখ। ৯৩ হইতে কলিকাতা আ্াসিতেছিলেন। মধ্যে তিনি এক রাত্রি এক চটাতে অবস্থান করেন। প্রাতঃকালে তিনি শুনিলেন, চটাতে এক জন অতি সুমিষ্ট-স্বরে কবির গান গাইতেছে। তিনি উঠিয়া গিয়া সেই লোকটার নিকট গমন করিলেন। যত ক্ষণ সেগান করিতেছিল, তিনি তত ক্ষণ নিঃশবে ও আনন্দোৎতুক জদয়ে গান শুনিতেছিলেন। গান্জ্থামিয়া গেলে, তিনি জিজ্ঞাসা করিয়া! জানিলেন, লোকটীর বাড়ী তথা হইতে ৬।৭ ছয়সাত ক্রোশ দূরে এবং তাহার নিকট অনেক কবির গান সংগৃহীত সঙ্গে যাইব; আমাকে তোমায় কতকগুলি গান দিতে হইবে ।” লোকটা স্বীকার পাইল। পরে তিনি সেই লোকটীর বাড়ীতে গিয়!) অনেক গান সংগ্রহ. করিয়া আনেন । যেখানে যে কবির গান শুনিতেন, তিনি তাহা সংগ্রহ করিয়া রাখিতেন। তাহার নিকট কবির গানের এক খানি প্রকাণ্ড খাতা ছিল। সখের মধ্যে এই কবির গান শোনা মাত্র এবং খেলা ছিল কেবল কগাটা ও লাঠি-খেল!। তিনি অনেক সময় সমবয়স্ক বালকদ্িগের সক্ষে জুটিয়া মাঠ হইতে ধান কাটিয়া আনিতেন। বিদ্যাসাগর যে দয়া ও সরলতার গুণে অমর হইয়া রহিলেন, তাহারই পরিচয্ব পাঠক, বিদ্যাসাগরের এই বাল্যে পাইলেন। এই সব কথা এবং বাজার করা, রন্ধন করা প্রভৃতির কথা, বন্ধু-বান্ধবদিগ্রের নিকট অবসর-ক্রমে খুলিয়া বলিতে তিনি কখন কুঠিত বা লজ্জিত-হইতেন না। ইহাতে তো মইতের মাহাত্ব্য- ৯৪ বিদ্যানাগর | ত্রুটি হয় না; বরৎ এই মর কথা, শ্রোতার যুখ হইতে প্রচারিত হইয়া, সাধারণের অনেক বিষয়ে শিক্ষাস্থানীয় হয়। অলঙ্কারের শ্রেনীতে পড়িবার সময় তাহাকে দুই বেলা রন্ধন করিতে হইত । রন্ধন-ভারে ও গুরুতর পাঠ পরিশ্রমে তিনি উন্রাময় রোগে আক্রান্ত হন। প্রত্যহ রক্তভেত্ব হইত। কলিকাতায় রোগ আরাম হইল না। অগত্যা তাহাকে পল্পী- গ্রামে যাইতে হইল। সেখানে দিনকতক থাকিয়া রোগ সারিয়। যায়। তিনি কলিকাতায় ফিরিয়া আসেন। এবারও সেই রন্ধন ও অধ্যয়ুন। তবে মধ্যম ভ্রাতা দীনবন্ধু বন্দ্যোপাধ্যায় অনেকট। সাহায্য করিতেন. এবৎ মধ্যে মধ্যে বাজারও করিয়! দিতেন। এক দিন দীনবন্ধু, সন্ধ্যার সময় বাজার করিতে গিয়া, ষোড়ার্সীকোর নূতন বাজারের এক স্থানে বসিত্বা ঘুমাইয়া পড়িয়াছিলেন। ঈশ্বরচন্দ্র অনেক রাত্রি পর্ধ্যত্ত ইতস্ততঃ বছু- দ্রিকে অনুসন্ধান করিতে করিতে, নৃতন বাজারে যাইয়া ভাতাকে নিদ্রিত অবস্থায় দেখিতে পান এবং তথা হইতে তাহাকে তুলিয়া লইয়া আদেন। শুনিতে পাই, ইহার পর হইতে, ঈপ্বরচন্, আর ত্রাতা দীনবন্ধুকে একাকী বাহিরে বাই দিতেন না।। | পঞ্চম অধ্যায়। শমৃতিতে প্রতিষ্ঠা, পিতৃতক্তির পরিচয়, বেদাত্ত পাঠ, পিতৃ্ণে কষ্ট, ন্ায়-দর্শনে প্রতিষ্টা, ব্যাকরণের অধ্যাপকতা, পাঠসমাণ্ডি ও প্রশংসাপত্র । অলঙ্কারের পাট সমাপ্ত হইলে পর) ১২৪৪ মালে বাঁ ১৮৩৭ ষ্টাবে তিনি স্মৃতির শ্রেণীতে প্রবেশ করেন। তৎকালে কলেজে মৃতির পূর্বে স্তায়- দর্শন ও তংপরে বেদাস্ত পড়িতে হইত । ঈপ্বরের ইচ্ছ! ছিল, মৃত গড়িয়া, “ল কমিটির” পরীক্ষা দিবেন তংপরে *ল কমিটি" পরীক্ষায় উত্বীর্ণ হইয়া, জজ-পণ্ডিতের গদ- প্রাপ্রিই তাহার মুখ্য উদ্দেশ্ত ছিল।* কর্তৃপক্ষের অনুগ্রহে তিনি ্তায়-দর্শন ও বেদাস্ত পড়িবার পূর্বে স্মৃতি পড়িবার আদেশ পান। ঈশ্বরচন্দের বয়ম তন ১৭। ১৮ সতর আঠার বৎসর ০২ ৬৮--পপাপা পাশা -পত 2521 .. * বিশ্ববিদালয় স্বপনের পূর্বে মদর কোর্টের (এধনকার হাইকোর্ট) উকিল হইতে হইলে “ল* কমিটির অধীনে পরীক্ষা দিতে হইত। 'ল” কমিটি সদর কোর্টের অন্তর্গত ছিল। এ কমিটির অস্তিত্ব এখনও লোপ পায় নাই। কমিটি এখন “র্লিডারমিপ” ও “মোক্তারনিপ” গরীক্ষা গ্রহণ করেন । বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপিত হয় ১৮৫৭ খুষ্টাকে। এ বৎমর হইতে “্ল এক্‌জামিনেনন" প্রতিচিত হয়। অতঃপর নিয়ম হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ে 'ল" পাম দিলে, তবে সদর কোর্টের উকিল হইবে; কমিটিতে পরীক্ষা হইবে না। ভদবধি কমিটি “প্লিডারসিপ” এবং “মোক্ারসিপ" পরীক্ষা : করিতেছেন। পূর্বে প্রতোক "জিলায়, যথাশান্ ব্যবস্থা দিবার জন্য, এক এক জন ধর্মশান্ত্রজজ পণ্ডিত নিযুক্ত ছিলেন। তাহার] মচরাচর আদালতের সম্ততণ্ডিত বলির! উল্লিখিত হইতেন। ৯৬. _.. বিদ্যাসাগর । হইবে। ঈশ্বরের অদ্ভূত কীর্তি! ভাবিলে বিস্মত্ধে লোমাঞ হইতে হম্ব। জচরাচর ২।৩ ছুই তিন বং্সরে পণ্ডিতগণও স্বৃতির পাঠাভ্যাস করিয়া উঠিতে পারিতেন না। বালক ঈশ্বরচন্দ্র ৬ ছয় মাষে পড়! সাঙ্গ করিয়া "ল কমিটীর” পরীক্ষা দেন. এবং প্রশংফিতরূপে উত্তীর্ণ হন। . এই ৬ ছয় মাদ, কাল তিনি রদ্ধনাদি করেন নাই। ৬ ছয় মাম কেবল প্রত্যহ । ২।৩ ছুই তিন ঘণ্টামাত্র নিদ্রা যাইতেন। স্মৃতি হার : ক্ঠস্থ'হইয়াছিল। অধ্যাপক এবৎ সহপাঠিগণ তাহার এতাদৃশ অভূত শক্তি দেখিয়া! আশ্চর্যযান্বিত' হ্ুইতেন। এমন নহিলে কি মানুষ ভবিষ্যৎ জীবনে যশ্বী হইতে পারে ৭ বিদ্যাসাগর মহাশয়ের এই অদ্ভূত শক্তির কথা যখনই আমাদের স্মৃতিপথে উদ্দিত হয়, তখনই মহাকবি ভবভূতির সেই স্বজাক্ষর গ্রতীর' ভাবপূর্ণ শ্লোকটী মনে পড়ে ;__ “বিতরতি গুক্ষঃ প্রাজ্রে বিদ্যাৎ যণৈধ তথা জড়ে ন তু খলু তয়োজ্ৰণনে শক্তিৎ করোত্যপহস্তি বা। তবতিচ তয়োর্ভুয়ান্‌ ভেদঃ ফলং প্রতি তদ্যধ। প্রভবতি শুচী বিন্বগ্রাহী মণির্ন মৃদাৎ চু ।” তাবার্থ ;_-গুরু, বোধ এবং নির্ধা্ধি দ্বিবিধ ছাত্রকেই সমভাবে বিদ্যা বিতরণ করেন; কিন্তু তদুভয়ের বুঝিবার শব্কি বাড়াইতে বা কমাইতে পারেন না। বিদ্যা-ব্ষিয়ে যে পূর্বোক্ষ ছাত্্বয় প্রভূত পার্থক্য প্রাপ্ত হন, ইহা বল! বাহুল্য । নির্ুল মণি) প্রতিবিষ্ব-গ্রহণে সমর্থ হয়, মৃৎ্পিও কিন্তু হয় না । বেদান্ত পাঠ। ৯৭ ঈরচন্দ্র যে সময় “ল কমিটী"্র পরীক্ষান়্ উত্তীর্ণ হন, সেই সময় ত্রিপুরা জেশ্লাব্ জঙগপণ্ডিতের পদ শূন্য হয়। তিনি পরীক্ষা $উীর্ণ হইয়া, এই পদের জন্ত প্রার্থনা করেন। প্রার্থন! 7 হইতে বিলম্ব হইল না; কিন্ত পিতা তাহাকে যাইতে ষেধ করেন। পিতৃভক্ত পুত্র, পিতার অনুরোধে আকাজ্ষা য় রি দিলেন। ষে পিতার সংসারকেশ-লাবের জন্ত হার এই পনদ-প্রার্থনা, সেই পিতা, ঘখন তাহাকে নিষেধ ০ তখন কি পিত্প্রাণ পুত্র তাহ। অগ্রাহছু করিতে রেন? পিতাই ষে তাহাত্র একমাত্র আরাধ্য-দেবতা এবং তা! থে একমাত্র আরাধ্য! দেবী ছিলেন। তাও বটে; আর দুইও তাহাকে অন্ত পথে লইরা যাইল না। আরও দুইটী বদ তাহার বাকি ছিল। দর্শন শাস্ত্র পড়া হয় নাই। তিনি ক্জপর্ড্তের পদ না লইয়া বেদান্ত শ্রেণীতে প্রবেশ করেন । দেই সমক্ব শঙ্ৃচন্দর বাচম্পতি মহাশয় বেদাস্তের অধ্যাপক ছিলেন। বেদান্ত পড়িবার সময় ঈশ্বরচ দু গণ্য রচনায় সর্ব্বোচ্চ য়া ১০০২ এক শত টাকা পুরস্কার পান । কষ্টের জীবনে দুঃখের স্ত কি সহজে হয়? সকলই ভগবানের পরীক্ষা বৈ তো নয়। পূর্বেই এক বার বলা গিয়াছে, তৎকালে ঈগ্ররচন্রের তৃতীয় তা শড়ূচন্দ্র কলিকাতার বাসায় উপনীত হন। বাসার একটী লাক বাড়িল; সুতরাৎ তাহার কাধ্যও বাড়িল। এতছুপরি ধাম পুত্র দীনবন্ধুর বিবাহ দিয়া, ঠাকুরদা বড় খণগ্রস্ত পছইয়া, পড়েন) কাক্ষেই ব্যয়ের হা করিতে হইল। এই ৯ টি ৯৮ বিদ্যামাগর | সময়ের ঘটনার উল্লেখ করিয়া বিদ্যাসাগ্র মহাশয় এক দিন জামাদিগের কোন বন্ধুর নিকট বলিয়াছিলেন,--“বাল্যকালে আমি অনেক কষ্ট পাইয়াছি; কিন্ত কোন কষ্টকেই এক দিনও কষ্ট বলিয়া ভাবি নাই; বরং তাহাতে আমার উৎসাহ-উদ্যম সন্ধিত হইত) কিন্ত ভাইগুলির কোন কষ্ট দেখিলে আমার থে কি অন্তর্ধীতনা হইত, তা আর কি বলিব!” বিশ্বপ্রেমিক বিদ্যাসাগরের পক্ষে ইহা বিচিত্র কি! যখন পিতা ঠাকুরদাক্ষ কলিকাতার বাসার ব্যয় কমাইয়া দেন, গুনিয়াছ্ি--তখন বৈকালের জলখাবার জন্ত আধ পয়সায় ছোলা আনিয়া ভিজান হইত এবং আধ পয়সার বাতাস! আমিত। এ ভজা ছোলার অর্ধেকে আবার রাত্রিকালে আলু-কুমড়ার ব্যঙ্তী প্রশ্নত হইত। প্রাতে ও রাত্রিতে কুমড়ার ডালনায় পোস্ত দিয়া ছোলার ব্যগ্তন হইত। ঈশ্বরচন্ত্রই ছুই বেলা পাক করিতেন। তাই ছুইটীর পাতে তরকারী দিবার সময় তিনি চক্ষের জঙগ সংবরণ করিতে পারিতেন না। এই সময় আহারের যেমন কষ্ট ; আবার থাকিবার ততোধিক কষ্ট হইয়াছিল। পিতা খণগ্রস্ত, ইহার উপর আশ্রক্বদাতা পিংহ পরিবারও খণগ্রস্ত । পিতা পুত্রগুলিকে লইয়া তে-তলায় শয়ন করিতেন; কিন্তু জগদৃছুল্নভ বাবু তে-তলাটী এক জনকে ভাড়া দেন। কাজেই তাহাদিগকে নিয়ে একটা ভদ্রলোকের বামের অযোগ্য জঘন্ত গৃহে বাস! করিতে হয়। কঠোর পরীক্ষা । ইহাতেও ঈশবরচন্র অকুঠিত। তিনি এই জময় স্বায়- স্যায়-দর্শনে প্রতিষ্ঠা । ৯১ _ মর্শন শ্রেণীতে প্রবিষ্ট হন। মহাঁপগ্ডিত নিমষ্টাদ ণিরোমথি মহাশয়, ায়শাস্ত্ের অধ্যাপক ছিলেন ।* ত্যায়-দর্শনের দ্বিতীয় বৎসরের পরীক্ষায় ঈশ্বরচন্্র সর্বপ্রথম হইয়া ১০০২এক শত টাক! এবং কবিতা রচনায় ১০০২ এক শত টাক পুরস্কার পান। কখরচন্রের কি অছৃত্ত শক্তি! তিনি ৫ পাচ বৎসরে দর্শন শরান্তের পাঠ সমাপ্ত করেন। আর কেহ ৮।১* আট দশ বসবে ষ্কাহ । পারিতেন, কি না জন্দেহ। প্রতিভা আর কাহাকে বলে? দায় তৃতীয় ভ্রাতা শ্রীণুক্ত শত্ৃচন্দ বাবু বলেন,__*যৎকালে ধতিনি দর্শন-শ্রেণীতে অধ্যয়ন করেন, তখন দেশে যাইলে অনেকের সহিত বিচার হইত) সকলেই তাহার সহিত বিচারে ন্ট হইতেন। কুরাণগ্রামবাসী সুবিধ্যাত দর্শনশাস্থবেতা রামমোহন তর্কসিদ্ধান্তের সহিত তাহার প্রাচীন স্তায়গ্রন্থের বিচার হয়। বিচারে তর্কসিদ্ধান্ত মহাশয়ের পরাজয় হয়। ইহা শুনিয়া পিতৃদেব তর্কসিদ্ধাত্ত মহাশয়ের প্দরজ লইয়া! দাদার 'মস্তকে দেন। এ বিষয়ের জন্ত শঙল্তুচন্্র বাবুর উপর নির্ভর করিতে হইল। বিদ্যাসাগর মহাশয়ের জীবনী- :স্দ্ধে যে সকল মহোদয়ের নিকট হইতে অন্তান্ত সকল বিষয়ের নিগঢ় তত্ব আমরা পাইয়াছি, তাহাদের সকলকেই এ কথা জিজ্ঞাসা করিয়া, কিন্ত অদুত্বর পাই নাই। কেহ কেহ । * এই নময়ে এই নিম্ীদ শিরোমণির মৃত্য হওয়ার পর ঈশ্বরচক্ত্রের 'চেষ্টায় পশ্ডিত জয়নারায়ণ তর্করতু ভাহার পদে অধিঠিত হন । ইহা প্াঠ্যাবস্থারও প্রতিপত্তি-পরিচায়ক। ১০০ বিদ্যাসাগর । তর্কচ্ছলে বলিতে পারেন,--অগ্রজ-সম্বন্দে তখনকার অনেক কথা শড়্ু বাবুর মনে থাকিবারই সম্ভাবনা; অথচ কথাটা বিদ্যাসাগর মহাশয়ের হ্যায় তীক্ষ-বুদ্ধি ও প্রতিভাশালীর পক্ষে অসম্ভবও নয় । আমর] কিন্ত বিপরীত ঘটনার সংবাদ সংগ্রহ করিতে পারিষাছি। দর্শনবিদ্যায় তাহার ষে রীতিমত পার- দর্শিতা জন্মে নাই ও তাহাতে যে তীহার তাদুশ প্রবৃত্তি ছিল না, তাহার গল্প, বিদ্যাসাগর অনেক জমবে অনেকের নিকট করিতেন। ঈশ্বরচন্তর সংস্কৃত কলেজের শেষ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হইয়া) কলেজের পাঠ সমাপন করিলে, কলেজ হইতেই “বিদ্যাসাগর** উপাধি প্রাপ্ত হন। বিংশতি-বধাঁয় যুবক-_“বিদ্যাসাগর 1” এমন ভাগ্যবান এ সংসারে কয় জন? ব্যাকরণ, সাহিত্য, দর্শন, স্মৃতি প্রভৃতি বিদ্যায় বিশারদ হয়, বিংশতি বর্ষ বয়ঃক্রমে কয় জন? কি অপূর্ব বুদ্ধি-বিক্রম! কলেজের অধ্যাপক-মাত্রেই বিম্মিত! যিনি ব্যাকরণের অধ্যাপক, তিনি ভাবেন,--"আমি ধন্ত”? ; যিনি সাহিত্যের অধ্যাপক, তিনি বলেন,_“আমার অধ্যাপন। সার্থক” ; যিনি দর্শন-ম্মৃতির অধ্যাপক, তিনি মুক্ত" * বিদ্যানাগর মহাশয়ের তৃতীয় ত্রাত শ্রীযুক্ত শত্তুচঙ্র বাবুর মতে «১৮৪৬ থুষ্ট অব্দের শেষে পাঠ্যাবস্থা শেষ করিয়া নংক্কৃত কলেজ পরিত্যাগ নময়ে উক্ত কলেজের অধ্যক্ষ ও অধ্যাপকগণ অগ্রজ মহাঁশয়কে বিদ্যাসাগর উপাধি প্রদান করেন।” ১৮৪৬ খৃষ্টা নিশ্চিতই তুল? কেননা, তিনি নংস্কৃত কলেজ পরিত্যাগ করিয়া, ১৮৪১ খৃষ্টাব্দে ফোর্ট উইলিয়ম কলেজে প্রথম চাকুরি করেন। গ্রশহলা-পত্র। ১০১ কঠে স্বীকার করেন,--ঈশ্বরচন্ত্র নিশ্চিতই অসাধারণ-শভি” সম্পন্ন” প্রত্যেকেই প্রত্যেক শান্ত্রের প্রশংসাপত্র প্রদান করেন। প্রমংসাপত্রে সকল বিষয়ের ও তত্তদ্িষয়ক অধ্য]পকের মতামতের একত্র সমাবেশ দেখিতে পাইবেন, “বিদ্যাসাগর? উপাবি-লিখিত প্রশংসাপত্রে। এই পত্র, কলেজের তদানীস্ত ধ্যক্ষ_রসময় দত্তের স্বাক্ষরিত। ১৭৬৩ শকের (১২৪৮ লালের ) ২০শে অগ্রহায়ণের বা ১৮৪১ ধৃষ্টাবের ১০ই ডিসেম্বরের গ্রদত উক্ত পত্রের অনুলিপি এই,__ £ “অস্মাভিঃ শ্রাঈশ্বরচন্র বিদ্যাসাগরায় প্রশংসাপত্রং দীয়তে । দে কলিকাতায়াং+ শ্রীমুতকোম্পানীসংশ্থাপেতবিদ্যামন্দিরে দ্বাদশ বৎসরান পঞ্চ মাংসাৎশ্চোপস্থায়াধোলিখিতশান্্রাণ্য- ধীতবান্‌। ব্যাকরনী5.25525557858 শ্রীঙ্গাধর শর্মভিঃ কাবাশাস মু .::.৮০.১১৭১০৪০ শ্লীজয়গোপাল শশ্মভিঃ অলঙ্কা নশাস্ত্রমৃ.....১.....১.১১০০ শ্ীপ্রেমচন্দ্র শশ্মভি; বেদান্তশান্রমৃ,১......,৭০০ৎ৭ শ্রীশন্ূচন্দ্র শব্মভিঃ ায়িগাতিয77754765 শ্রীজয়নারায়ণ শন্মভি? (যা তিশা 758555 আযোগধ্যান শর্মভি; ধগাতির:১০১১5:558। উশন্তুচন্্র শর্মভি? সুশীলতয়োপন্থিতস্তৈতশ্তৈতেষু শাস্সেমু মুমীচীন। টি রজনিষ্ট। ১৭৬৩ এতচ্ছকাবীয় সৌরমার্গশীর্ষস্ত বিংশতিদিবশীয়ম্‌ । (93), “0:5880১0) 10068) ৫0:98, 10 19908, 1841, ১০২ বিদ্যামাগর। ঈশ্বরচন্ত্র ছুই মাম ৫*২ পঞ্চাধ টাকা বেতনে ব্যাকরণের দ্বিতীয় শ্রেণীর অধ্যাপক্ক হইয়াছিলেন। এই টাকায় পিতা ঠাকুরদাস গ্রয়া তীর্থ পর্যটন করিয়া! আমেন। এই ছুই মাস কাল মাত্র তাহার অধ্যাপনা-পরিপাটী দেখিয়া, অন্তান্ত অধ্যাপক ও ছাত্রবর্গ মুগ্চিতে হার অর্বতোমুখী শক্তি স্বীকার করেন। | পঞ্চম অধ্যায়। অংন্কৃত রচনা, পরীক্ষার ব্যবস্থা, পরীক্ষার রচনা, অনুরোধে রচনা, স্বেচ্ছায় রচনা ও আমাদের বজব্য। ই কলেজের পাঠ সমাণ্ড করিয়া, ঈশ্বরচন্্র চাকুরীতে প্রবৃত্ত । পরবস্তাঁ অধ্যায় হইতে তদ্ধিবরণের বিবৃতি আরম্ভ হইবে। ঁ স্কত কলেজে পাঠের সময় তিনি যে সব রচনা লিখিয়াছিলেন, . রা 1র একত্র সমাবেশ হইলে, পাঠকগণের পড়িবার সুবিধা ক্ইইবে বলিয়া, এই অধ্যায়ে সেই সমস্ত সঙ্গিবেশিত হইল । ₹ রচনা, সাহিত্য-শিক্ষার সবিশেষ সাহাধ্যকারিণী। রচনা জগাহিত্যের শিক্ষা-পুষ্টির পরিচয় । যে সময় ঈশ্বরচন্দ্র সংস্কৃত (কলেজে বি মে সমস্ব রচনার উতকর্ষ-সাধন জন্য, কলে- সী পরম লীতি উৎপাদন করিত । পিতৃদেবের মুখে শুনি- পৃ ধন রচনার জন্য যেমন ছাত্র-শিক্ষকের আগ্রহ দেখ 1 সু 1 ং টখাইত, এখন আর বড় তেমন দেখা! যায় না। এখনকার মতন তথ্ন বিশ্ব-বিদ্যালয়ী বিমিশ্র শিক্ষার কাধাবাধি তো! ছিল না। ১০৪ বিদ্যাসাগর । তখন ধাহার যে বিষয়ে স্বাভাবিক প্রবৃত্তি থাকিত, তিনি গ্গে _বিষয়েরই উৎকর্ধ-সাধনের তুযোগ পাইতেন। ধাহার সাহিত্যে প্রবৃত্তি, তিনি সাহিত্যেরই উৎকর্ষ-সাধনে যত্বশীল হইতেন: গণিত বিজ্ঞান প্রভৃতি বিষয়েও সেইরূপ ছিল। অধুনা বিকট, বিমিশ্র শিক্ষার বাধার্বাধিতে কোন বিষয়ে প্রকৃষ্ট ব্যু্পত্তি লাভের সম্ভাবনা! থাকে না। তখন সাহিত্যে যাহার প্রবৃত্তি থাকিত রচনায়ও তাহার অনুরাগ দেখ। যাইত। সাহিত্যাধ্যাপকগণও তদ্বিষয়ে যথেষ্ট যত্বশীল হইতেন। যে ছাত্র, অলের ভিতর বহুভাবময় রচনা! লিখিতেন, তিনি প্রশংসিত হইতেন। এক বার আমাদের “পরিশ্রম”-সন্বন্ধে ইংরেজি রচনার ব্ষিয় ছিল! আমি এ সম্বন্ধে ১৫। ১৬ পনর ষোল ছত্র মাত্র লিখিয়াছিলাম। এই ১৫। ১৬ পনর ষোল ছত্রের জন্তও পুরস্কার পাইয়াছিলাম। প্রন্ত এই সময় হইতেই আমি অধ্যাপক ও পরীক্ষকের গ্রীতি- পাত্র হইয়াছিলাম।৮ সংস্কৃত কলেজে রচনার জন্ত পারিতোষিকের ব্যবস্থা থাকিলেও, ঈশ্বরচ্র, রচনায় বড় অগ্রসর হইতেন না। তাহার বিশ্বাস ছিল, “আমরা সংস্কৃত ভাষায় রীতিমত রচনা! করিতে অক্ষম। যদি কেহ সংস্কৃত ভাষাপু কিছু লিখিতেন, এঁ লিখিত সংস্কৃত প্রকৃত সংস্কৃত বলিয়া, আমার প্রতীতি হইত না।% * ঈশ্বরচন্জরের এ বিশ্বাস চিরকালই দৃঢ়বদ্ধ ছিল। তাহার জিনিভিকানারিনরারাঙারারিরারারোরেকা রে বাযাতি, * বিদ্যানাগর কতৃক প্রকাশিত “নংস্কত রচনা” । প্রথম পৃষ্ঠা । পরীক্ষার ব্যবস্থা । ১০৫ ্কারধ্যাবস্থায় এক জন কোন বিষয় সংস্কৃতে লিখিয়া, তাহাকে দেখাইতে নিয়াছিলেন। তিনি তাহার সংশোধন করিয়া দেন। স্কাহার সংশোধন-প্রণালী দেখিয়া, রচয়িতা চমতকৃত হইয়া" ছিলেন। তিনি বলেন,_“আপনি এমন সুন্দর সংস্কৃত লেখেন, কবে আপনি যে সকল সংস্কৃত গ্রন্থ মুদ্রিত করিয়াছেন, তাহার মুখবন্ধে বা বিজ্ঞাপনে বাঙ্গালা লেখেন কেন?” আঁতছতরে তিনি একটু হাস্ত করিয়া বলেন,--“সংস্কৃত ভাষায় সু পি খাকিলেও, বিশুদ্ধ সংস্কৃত রচনা দুরূহ বলিয়া আমার সধিখাস।” বিদ্যাসাগর সংস্কৃত রচনায় সহজে অগ্রসর হইতেন না টে? কিন্ত যখনই রচনায় প্রবৃত্ত হইয়াছিলেন, তখনই সর্ষোচ্চ স্থান অধিকার করিয়া, পারিতোষিক পাইয়াছিলেন। 5. টোলে রচনার প্রথা নাই। জংস্কত কলেজেও প্রথমতঃ জ্তাহা ছিল না। ইংরেজির প্রণালীমতে ১৮৩৮ হষ্টাবে বা ৯২৪৫ জালে সংস্কত কলেজে এ প্রথা প্রবর্তিত হয়। এই কসর নিয়ম হয়-স্মৃতি, ভ্তায়, বেদাস্ত এই ৩ তিন উচ্চশ্রেণীর ছাত্রদিগকে বার্ধিক পরীক্ষায় গদ্যে ও পদ্যে জংস্কত রচনা তে হইবে। এই নিয়মানুসারেই এ বৎসর সংস্কৃত গদ্যে .সত্যকখনের মহিমা”-সন্বন্ধে রচনার বিষয় ছিল। ১* দশটা হইতে ১ একটা পধ্যত্ত এই রচনা লিখিবার সময় নির্দারিত ছিল। বিদ্যাসাগর মহাশয় পরপৃষ্ঠায় প্রকাশিত রচনা লিখিয়া, ১৭ এক শত টাকা পুরস্কার পাইয়াছিলেন। ১০৬ বিদ্যাসাগর । সত্যকথনের মহিমা সত্যৎ হি নাম মানবানাৎ জার্কজনীয্বায়া বিশ্বসনীয়তায়! হেতুঃ ৷ তথাবিধায়াশ্চ বিশ্বনীয়তায়াঃ ফলমিহ বহুলমুপলভ্যতে তথাহি যদি নাঁম কশ্চিৎ সত্যবাদিতয়া বিনিশ্চিতো ভবতি সর্ব এব নিয়তৎ তদ্থচসি সম্যগৃবিশ্বসন্তি । সত্যবাদী হি সততৎ স্জন' সংসদি সাঁতিশঘ্ুং মাননীয়ঃ সবিশেষৎ প্রশংসনীয়শ্চ ভতবতি। যো হি মিথ্যাবাদী ভবতি ন কোহুপি কদাচিদপি তশ্মিন বিশ্বসিতি। স খলু নিঃসংশয়ং, নিরতিশয়ং দিন্দনীয়ো ভবতি ভবতি চ সর্বত্র সর্কথ। সব্ষেষাৎ জনানামবজ্ঞাভাজনম্‌ । কিমধিকেন শিশবোহুপি বাললীলাস্থ যদ্দি কশ্চিম্মিথ্যা- বাদিতয়' প্রতীয়মানে ভবতি ভো ভ্রাতরো নানেনাধমেনীস্মাভি। পুনর্ব্যবহর্তৃব্যঘ্‌ অয়ৎ খলু মৃষাভাষীত্যাদিকাং গিরমুগিগরস্তী* ত্যলং পল্পবিতেন | : ১* দশটা হইতে ১ একট] পর্ধ্যস্ত উল্লিখিত রচনার জন্য সময় নির্ধারিত ছিল। বিদ্যাসাগর মহাশয় এই পরীক্ষার সময় প্রথমে উপস্থিত ছিলেন না। উপস্থিত থাকিবার তাহার প্রবৃত্তি ছিল না। পণ্ডিত প্রেমচন্দ্র তর্কবাদীশের অক্রোধ, আদেশে তিনি বেলা ১২ বারটার সময় রচন| করিতে প্রবৃত্ত হন। তিনি ভাবিয়াছিলেন, তাহার রচন! হাস্তাম্পদ্দ হইবে; কিন্তু তদ্দিপ' রীতে তিনি এই রচনার জন্য পুরস্কার পান। ছিভীয় বৎসর বিদ্যাসম্বন্ধে রটনা! ছিল। উশ্বরচক্র পর" ৃ্টান্ব প্রকাশিত রচনার জন্ত পুরস্কার পাইফ়্াছিলেন। পরীক্ষার রচন]। ৯৬৭ বিদ্যা । বিদ্যা দদাতি বিনয়ৎ বিপুলঞ্চ বিত্ত চিত্তৎ প্রসাদক্পতি জাড্যমপাকরোতি। সত্যামৃতৎ বচসি সিঞ্চতি কিঞ্চ ব্দ্য। বিদ্য। নৃণাৎ সুরতকুর্ধরণীতলম্ঃ | ১ ॥ বিদ্যা বিকাশয়তি বুদ্ধিবিবেকবীধ্যৎ বিদ্যা! বিদেশগমনে তুদৃদ্ধিতীয়ঃ। বিদ্য। হি রূপমতুলং প্রখিতৎ পৃথিব্যাৎ বিদ্যা ধন ন নিধনৎ ন চ তস্ত ভাগঃ ॥২॥ রূপৎ নুণাৎ কতিচিদেব দরিনানি নূনৎ দেহুৎ বিভূষষতি ভূষণসন্নিকর্ধাৎ | বিদ্যাভিধং পুনরিদ্রৎ সহকারি শৃষ্ত্য- মামৃত্যু ভূষয়তি তুল্যতযৈব দেহম্‌ ॥ ৩ ॥ অন্তানি যানি বিদ্রিতানি ধনানি লোকে ঘানেন যাস্তি নিধনং নিযুতৎ নু তানি। বিদ্যাধনস্ত পুনরশ্য মহান্‌ গুণোহসৌ৷ ঘানেন বৃদ্ধিমধিগচ্ছতি যু অদেদমূ ॥ ৪॥ নৈশ্বধ্যেণ ন রূপেণ ন বলেনাপি তাদুশী। যাত্বশী হি ভবেৎ খ্যাতিধিদ্যয়া নিরবদ্যয়া ॥ ৫ ॥ ছুর্বলোহপি দরিদ্রোহপি নীচবংশভবোহপি সন্‌। ভাজনং রাজপুজায়া নরো তবতি বিদ্যা ॥ ৬ ॥ ১৪৮ বিদ্যাসাগর | বিদ্বৎভানু মনুজঃ পরিহীণবিদ্যো নৈবাধরং কচিহছপৈতি ন চাপি শোভামৃ। হাসায় কেবলমসৌ নিয়তং জানানাং তজ্জীবিতখ্বিফলমেব তথাবিধস্ত ॥ ৭॥ অজ্ঞানধণ্ডনকরী ধনমানহেতুঃ সৌখ্যাপবর্গফলমার্গনিদেশিনী চ। সা নঃ সমস্তজগতামভিলাষভূমি- বিদ্যা! নিরস্ত জড় চাৎ ধিয়মাদধাতু ॥ ৮॥ এই কবিতাগুচ্ছে প্রাচীন সংস্কৃত কবিতার মর্ম নিবন্ধ থাকিলেও, উহ! একটী বিদ্যা্ার রচনা বলিয়া বিবেচন। করিলে, মুক্তকঠে প্রশংসা করিতে হইবে। বিদ্যাসাগর মহা" শয়ের রচনার পক্ষপাতী না হওয়ার পক্ষে ইহাও এক কারণ। ফলতঃ কবিতাগুলি মারল্যে ও মাধুধ্যে পরিপূর্ণ ও অতিমাত্র স্বাভাবিক। প্রথম ও দ্বিতীয় বর্ষের পরীক্ষার সময় জি, টি, মার্শেল সাহেব সংস্কৃত কলেজের অধ্যক্ষ ছিলেন। তৃতীয় বতসর অধ্যক্ষ ছিলেন বাবু রসময় দত্ত। এ ৰতৎসর অগ্লীধ রাজার তগস্তা- সংক্রাস্ত বিষয়টা রচনার নিমিত্ত নির্দিষ্ট ছিল। রসময় বাবু কয়েকটী কখ! লিখিয়! দিয়া, তৎসম্বন্ধে কবিতায় শ্লোক রচনা করিতে বলিয়াছিলেন। তদনুমারে পরপৃষ্ঠায় প্রকাশিত কবিতাগুলি রচিত হয়। রসময় বাবু এ কবিতা দেখিয়া অত্যন্ত আহ্বাদিত হইয়াছিলেন। পরীক্ষার রচনা । ১৩৯ অগ্নীপ্র রাজার উপাখ্যান । অত্নীপ্রে। নাম ভূমীন্্রঃ প্রজারগীনবিশ্রুত । আরাধয়ৎ স্ুতাকাজ্জী গিরিপ্রন্থ্ে প্রজাপতিমূ ॥ ১ ॥ ভগবান্‌ সোহুথ তজ্ভ্ঞাত্ব। প্রেষয়ামাস সত্বরমূ। প্রধত্বত্তঃ পুর্ববচিত্তিৎ নাম কাঁমপি কামিনীম্‌ ॥ ২ ॥ নৃপতিস্তাং সমালোক্য কান্ত্যা ত্রিলোক্যমোহিনীমব । প্লোকানুবাচ কতিচিজ্জড়বন্মোহমাশ্রিতঃ ॥ ৩ ॥ আলীঢনীরদ্রচয়ে শিখরৈরাদ গ্রৈ- কচ্চাৰচৈরজগরৈরভিতো বিকীর্ণে । ক্রব্যাদ্দনৈরগণ নৈর্ভয়মাদধানে কিৎ নু ব্যবস্সি মুনীশ্বর ভুধরেহুম্মিন্‌ ॥ ৪ ॥ কোদগুধুগ্মমিদমদুতমন্তুজাক্ষি ধংসে কিমর্থমখবা হরিণৌপমানাম্‌ । বালে বশীকরণবাসন্য নিতান্ত- মম্মাদ্বশীৎ হতদৃশামজিতেক্রিয়াণাম্‌ ॥ ৫? বাণাবিমে বিবিধবিভ্রমমস্থরেই তে পুঙ্খৎ বিনাপি কুচিরে নিশিতাগ্রভাগৌ। ধাতুঃ কটাক্ষপ তিতায় হতাশ্রধ্বাত্ কস্মে প্রষোক্ভুমভিবাঞ্থসি তন্ন বিদ্য ॥ ৬ ॥ ঘদ্‌ দৃশ্ঠতে হুমুখি বিশ্বফলৎ মনোজ্ঞ মধ্যে হবর্পরিকজিতবাগুরায়াঃ | ১১০ বিদ্যানাগর | জানীমহে নহি করিষ্যতি কম্ত ঘুন- শ্চেতোবিহঙ্গমমশিশো বিপুলাৎ বিপত্তিমূ ॥ ৭1 অস্মিন্‌ নিরাকতকলদ্কশশাস্কবিন্বে নীলান্ুজম্মযুগলৎ যদিদ্ং বিভাতি। মন্তে সুধাহশুমুখি সংবননং বিধাত্র। _ লোকত্রযস্ত বিহিতৎ মহতাদরেণ ॥ ৮ ॥ যুক্মচ্ছিখাবিগলিতা ললিতা নিতান্ত শিষ্যা ইমে যুনিবরানুগত। ভবন্তমৃ। শ্রীতা ভজস্তি বিমলাৎ কিল পুষ্পবৃষ্টিং ধর্মব্রতা মুনিহ্বতা ইব বেদশাখাম্‌ ॥ ৯ তস্মাদৃবয্বৎ ভয়পরিপ্ন ববুদ্ধয়স্ত্াম্‌ অভ্যার্থষামহ ইদং চট্লায়তাক্ষি। উদ্যন্‌ বিজেতুমবনীৎ তব বিক্রমোহ্য়- মম্মাকমস্ত কুশলায় নিরাশ্রয়াণাম্‌॥ ১০। এইু নৈসর্গিক মধুরতাময় আদিরসাত্বক কবিতা! প্রাগ্তীলভা- গুণে সকলেরই চিত্ত প্রীত করিবে । যেন প্রাচীন কবির লিপি. পটুতা পদে পদে প্রতিভাভ। ১২৪৫ সালে বা ১৮৩৮ খৃষ্টাব্ে জন্‌ মিয়বু নামে এক সিবি- লিয়ন্‌ সাহেবের প্রস্তাবে বিদ্যাসাগর মহাশয়, পুরাণ) হৃর্ধযসিন্ধাস্ত * ১,২১৩, ৪,১ ৩১০ রসময় বাবুর কথান্মারে রচিত। ৫, ৬, ৭ ও বিদ্যালাগর মহাশয়ের ইচ্ছান্লারে রচিত | পরীক্ষার রচনা । ১১১ গু যুরোপীয় মতের অনুষারী ভূগোল ও খগ্োল বিষয়ে এক শত শ্লোক রচন! করিযা, এক শত টাকা পুরস্কার পাইয়াছিলেন। এই শ্লোকগুলি বিদ্যাসাগর মহাশষ্বের জীবদশায় পুস্তকাকারে মুদ্রিত হইতেছিল। তখন উহার মুন্রা-কার্ধ্য সমাপ্ত হয় নাই। তাহার মৃত্যুর পর ১২৯৯ সালে ১৫ই বৈশাখে পুস্তক প্রকাশিত হইয়াছে ।* ইহাতে এখন ৪০৮টী শ্লোক দেখা যায়। সুতরাং মিয়র সাহেবের নির্দিষ্ট শত গ্লোক অপেক্ষা ইহাতে অতিরিক্ত শ্লোক রহিয়াছে । সেগুলি বোধ হুয়, পরে রচিত। এ পুস্তকের প্রারভ্েই ঈশ্বরচন্দের আন্তিকতা, গুরুদ্দেবপরায়ণতা ও বিনয়- নঅতার প্রমাণ রহিয়াছে । * খগোল-ভূগোল রচনা-সংক্রীন্ত পুস্তকের রচনায় বিদ্যাসাগর মহাশয়, উাহার একটী সহাধ্যায়ীর ছুর্বাবহার লম্বন্ধে যাহ! লিখিয়াছেন, তাছ| একটু বিচিত্র । সেই জন্য তাহখ এইথানে প্রকাশ করিলাম,থগোল- ভূগোল নন্বন্ধে ₹টনা হইবার পূর্ষধে মিয়র সাহেব পদার্ঘ-বিদা] সম্বন্ধে রচনান্ন বিষয় নিদ্ধারিত করিয়া এক শত টাক] পুরস্কার দিতে প্রতিশ্রুত হইয়াঁছিলেন। ১০০টা গ্লোকে এইংরচনা লিখিবার কথা ছিল । বিদাসাগর মহাশয়ের এক জন মহাঁধ্যায়ী আমিয়1 তাহাকে বলেন,_“তুমি ৫ণ্টা শ্লোক লিখিও এবং আমি ৫০্টী লিখিব। পরে তোমার নামেই হউক, আর আমার নামেই হউক, এই রচনাঁটী কর্তৃপক্ষকে দেওয়া যাইবে |” লহীধা- প্লীর বহু লীড়াপীড়িছে বিদ্যাসাগর মহাশয় লম্মত হন। রূচন1 কর্তৃপক্ষকে দিবার কিয়দিন পূর্বে নেই নহাধায়টী আমিয়! বলেন যে, আমি শ্লোক- গুলি লিখিতে পারি নাই। ইহ শুনিয়া! বিদ্যাসাগর মহাশয় বলেল,-- “তবে আমার লেখা এই প্লৌকগুলি আর কি হইবে ?” এই বলির! ছিনি মেই স্বরচিত শ্লোকগুলি তৎক্ষণাৎ ছি'ড়িয়া ফেলেন। পরে কিন্ত উাহার নহাধ্যাক়ীটী ১০০ এক শত স্োরকই রচনা! করিয়। আনিয়া কর্তৃপক্ষকে দেখান এবং পুরষ্কার গান। ১১২ বিদ্যাসাগর | আস্তিকতার প্রমাণ) যতক্রীড়াভাগবগ্তাতি ব্রহ্গাগুমিদমদুতমৃ। অসীমমহিমীনৎ তং প্রণমামি মহেশ্বরমূ ॥ ১0 বিনয়নঅতা ও গুরুপরাক্পণতার পরিটয়)-- জগ্বর্ণনকর্্মেদৎ শর্মমণে কিমু মাদৃশামৃ। খদ্যোতানাৎ তমোনাশোদ্যমো হাল্তায় কম্ত ন ॥ ৪ 0 তথাপি শরণীকৃত্য* গুরূণাৎ চরণং পরমূ। কিকিদ্বক্ষ্যামি সংক্ষেপাৎ্ সুধিয়ঃ শোধয়ন্ত তৎ ॥ ৫1 এ ভাবের এমন প্রমাণ আর পরবস্তী গ্রন্থে পাই না। এইটা বুঝি, কেবল অবিমিশ্র সংস্কৃত শিক্ষার ফল। খগোল-ভূগোল পুস্তকে ষেরূপ বিতাগক্রমে দ্বীপ, বর্ষ, বর্ষখণ্ড এবং ভনপদসমূহ বর্ণিত হইয়াছে, তাহাতে অনেক স্থলে পুরাণের অপেক্ষা পুরাণাংশ নুখপাঠ্য ও হৃবোধ। পুরাণমতে সাতটা পরিচ্ছেদে পৃথক পৃথক্‌ দ্বীপবর্ণন, অষ্টম পরিচ্ছেদে ছ্বীপাতিরিক্ সত্ব্মূত ভমিভাগ, কাঞ্চনভূমি, লোকা- লোক পর্বত এবং ভূমগ্ডলের পরিমাণ, আর নবম পরিচ্ছেদে খগোল বৃত্তান্ত বর্ণিত হইয়াছে । খগোল বৃত্তাস্তে রাশিচক্র, গ্রহ-সংস্থান প্রভৃতি সংক্ষেপে বর্ণিত হইয়াছে । পুরাণমতের পরেই সৃধ্যসিদ্ধাত্তের মত। হৃর্ধ্যসিদ্ধান্ত-মতে একটা পরিচ্ছেদ । এক পরিচ্ছেদেই ভূগ্রোল ও খগোল সংক্ষেপে বর্ণিত আছে । তবে ইহাতে ভূগোল অপেক্ষা থগোলের বৃত্তাস্ত অপেক্ষাকৃত চান 'শরনীকৃত)” অভুভন্ভাবে “ভিভিন্তনী । পরীক্ষার রচন]। ১১৩ বিস্তৃত । পুরাণ ও হুষ্ধ্যসিদ্ধান্ত-মতে প্রথমে ভূগোল, পরে থখণোল। ভৃুর্ধ্যসিদ্ধান্ত-মতের পরে যুরোপীয় মত। তাহাতে প্রথমে ধগোল, পরে ভূগ্োল। যুরোপীয় ভূগোলে আসিয়া, ইউরোপ, আফ্রিকা ও আমেরিকা ক্রমে বর্ণিত। যুরোপ- খণ্ডে ইংলগ্াপিক্রমে প্রধান দ্েশগুলি পৃথক্‌ পৃথকৃ বর্ণিত। মুরোগীর ভূগোল-খগোল সংস্কৃত প্লোকাকারে রচিত হওয়ায় _বালকগণের অত্যাসের সুবিধা। সর্বত্রই রচনা প্রাঞ্ল। এই- কূপ সংক্ষিপ্ত, সরল, সুখবোধ্য রচনা বিদ্যাসাগরের এতদ্বিষয়ে ' বিশিষ্ট জ্ঞানের পরিচায়ক । সেই অল বয়সে ঈদুশ ভাষা ও পদার্থজ্ঞান ষে পুর্বজন্মের জুকৃতি ও পইহজন্মের অধ্যবপায়ের ফল, ইহা একবাক্যে সকলেরই স্বীকার্ধ্য। ফুরোপীয় মতের ভূগোল-সংক্রান্ত সংস্কত রচনার কযেকটী উদ্ধৃত হইল,_ পুরাণনৃর্ধ্যমিদ্ধান্তমতমেবং প্রদর্শিতমৃ। মতং যুরোপপ্রথিতৎ সংক্ষেপেণাধুনোচ্যতে ॥ ২৩০ ॥ আধারভূতৎ সর্বেষাৎ ধাত্র। নিশ্মিতমন্বরমৃ। তদভ্তরালসংলীনে বর্ততে তপতাম্পতিঃ ॥ ২৩১ ॥ নাস্ত্যন্ত প্রাণসঞ্চারো নায়ঞ্চলতি দৃরতঃ। তেজোময়ঃ পৃথুর্ৃমের্ধশলক্ষ-গুণেন সঃ ॥ ২৩২ ॥ ভ্রমতো গ্রহচক্রন্ত সদা মধ্যন্থলস্থিতঃ | উঞ্ণতাতেজমী তেভ্যো দদাত্যেষ নিরভ্তরমূ ॥ ২৩৩॥ মর্ধেষামেব বস্তৃনামন্তোন্তাকর্ষণৎ ভবেৎ। গক্ষণ| কষ্যতে তত্র লঘু শ্বাভিমুখং যতঃ ॥ ২৩৪ | ১১৪ বিদ্যামাগর | আকর্ষতি ততো! ভানুগ্রহান্‌ স্বাভিমুখং সদ1। তথাকর্ধতি পৃথীন্দূৎ ষতোহস্ত লঘুত। ততঃ ॥ ২৩৫ ॥ অ্কন্তা কর্ষণাদৃদ্ধীমধস্তাদাত্বনাং তথা । ভ্রমন্তি নিয়তং মধ্যদেশে পৃথ্যাদয়ো গ্রহাঃ॥ ২৩৬ ॥ এক সময় অধ্যাপক জয়গোপাল তর্কালক্কার মহাশয়, “গরোপালায় নমোহস্ব মে” এই চতুর্থ চরণ নির্দিষ্ট করিয়া এক ঘন্টা সময় দিয়া সকলকে শ্লোক রচনায় নিযুক্ত করেন। গোপালের কথা৷ কবিতার বিষন্বীভূত হইলে, বিদ্যাসাগর মহাশ জিজ্ঞাসা করিয়াছিলেন,_“মহাশয়,. আমরা কোন্‌ গোপালের বর্ণনা করিব। এক গ্লোপাল আমাদের সন্মুখে বিদ্যমান রহিয়া- ছেন; এক গোপাল বহুকাল পুর্তে বৃন্দাবনে লীল৷ করিয়া অন্তর্থিত হইয়াছেন।” পণ্ডিত মহাশয় হান্ত করিয়া, গোকুলের গোপাল-সন্বন্ধে লিখিতে বলেন। বিদ্যাসাগরের শ্লোক*্রচনায় প্ডিত মহাশয় সন্তষ্ট হইয়া, তাহার উত্সাহ বর্ধন করেন। সেই শ্লোকগুলি এই,_- “গোপালায় নমোহস্ত মে”। যশোদানন্দ কন্দায় শীলোৎপলদলশ্রিয়ে । ননগোপালবালায় গোপালায় নমোহস্ত মে ॥ ১ ॥ ধেনুরক্ষণদক্ষায় কালিন্দীকূলচারিণে। বেণুবাদনশীলায় গোপালায় নমোহস্ত মে॥ ২ ধূতপীতছুকুলায় বনমালাবিলাজিনে। গোপন্্ীপ্রেমলোলায় গোপালায় নমোহস্ত মে ॥ ৩। অনুরোধে রচনা । *১৫ বৃষ্িবংশাবতংসায় কংসধ্বংসবিধায়িনে । দৈতেযুকুলকীলায় গোপালায় নমোহঙ্ মে ॥ ৪ ॥ নবনীটতৈকচৌরায় চতুর্বর্গৈকদাধিনে। জগছাওকুলালায় গোপালায় নমোহস্ব মে। ৫ ॥ ইহাতে বিদ্যাসাগর মহাশয় আর এক শক্তির পরিচয় দিয়াছেন। তিনিষে শ্রোকের পাদ-পুরণ করিতে পারিতেন, পাঠক, এখানে তাহারও প্রমাণ পাইলেন। এ কবিতায় গোপা- লের প্রতি ভগবদ্াব প্রকটিত। তর্কালঙ্কার মহাশয়ের অন্থরোধে, আর একবার সরশ্বতী- পূজার সময়, ঈশ্বরচন্দ্র নিম্নলিখিত রস-পূর্ণ কবিতাটী লিখিয়া- ছিলেন,__- লুচী-কচুরী-মতিচুর-শোভিতৎ জিলেপি-সন্দেশ-গজা-বিরাজিতম্‌ । যন্তাঃ প্রদাদেন ফলারমাপুমঃ সরস্বতী সা জয়তান্নিরস্তরমূ ॥ কবিতাটীর রচনা-সন্বন্ধে বিদ্যাসাগর মহাশয় এইরূপ লিখিত্বাছ্থেন,-- . পগ্নোকটী দেখিয়া, পূজ্যপাদ তর্কালক্কার মহাশক্স আহ্মলা্দে পুলকিত হইয়াছিলেন এবং অনেককে ডাকাইয়। আনি, স্বয়ং পাঠ করিয়া গ্লোকটা শুনাইয়াছিলেন।” অক্পায়তনে কি সুন্দর রস-রচনা! ভবিষ্যং জীবনে কিন্ত পপ “ক “নংস্কৃত রচন” পুস্তক, ১৬ পৃষ্ঠা। ১১৬ বিদ্যাসাগর । এরূপ রস-রচনার পরিচয় দিবার সুযোগ ঘটে নাই। রম-রচনার সে পরিচয় নাই থাকুক; রসালাপের প্রসিদ্ধি অপ্রতুল নয়। পরীক্ষার্থ রচনা বা অনুরোধ-জন্ত রচন। ভিন্ন ঈশ্বরচন্দ্র, মধ্যে মধ্যে শ্বেচ্ছার কিছু কিছু রচনা করিতেন। সকল রচনা পাওয়া যায় নাই। এ সম্বন্ধে তিনি এইরূপই লিখিয়াছেন,_ “এক আত্মীয়, আমার রচনা দেখিবার নিমিত্ত আাতিশব আগ্রহপ্রকাশ এবং জত্বর ফিরিয়া দ্বিবার অঙ্গীকার করিয়া, সমুদায় রচনাগুলি লইয়। যান; বারংবার প্রার্থনা করিয়াও, তাহার নিকট হইতে, আর ফিরিয়া পাইলাম না। এইরূপে রচনাগুলি হস্তবহির্ভূত হওবাতে, আমি ষংপরোনান্তি মনস্তাপ পাইয়াছি। পুরাপ*কাগজের মধ্যে অনেক অনুসন্ধান করিয়া, থে কটা গ্রন্থ পাইয়াছিলাম, তন্মাত্র মুদ্রিত হইল”? ।* স্বেচ্ছাকৃত রচনার মধ্যে কেবল “মেধ”*বিষয়িনী একটা কবিতা পাওয়া যায়। দেই কবিতাটা এইখানে প্রকাশিত হইল,_ মেখ। প্রাঃ সহায়যোগ্াৎ্ সম্পদমধিকর্ভূমীশতে সর্কে। জলদাঃ প্রাবৃড্ভপায়ে পরিহীয়ন্তে শ্রিয়। নিতরামূ ॥ ১॥ কিৎ নিযগা জলদমগণ্ডলবর্জিতেন তোয়েন বৃদ্ধিমূপগন্তমধীশতে তাম্‌। * “খগোল-ভূগোল” রচনাঁটা লইয়1 যেমন একখানি পুস্তক হইয়াছে, এই রচনাগুলি লইয়া, ১২৯২ লালে ১ল] অগ্রহায়ণ বা ১৮৮৫ খুষ্টারকে শংস্কৃত-নচনা” গ্রন্থ প্রকাশিত হয়। স্বেচ্ছায় রচনা । ১১৭ ন স্তাদজশ্রগলিতং যদ্দি পান্থযুনাৎ সাহায়কায় কিল নির্মীলমশ্রুবধমূ ॥ ২ ॥ কাস্তাভিসাররসলোলুপমানসানাথ আতঙ্ককম্পিতদ্বশামভিসারিকাণামৃ । যদ্‌ বিদ্বকদ্‌ ছুরিতমজিতবানজত্রৎ কেনাধুনা খন তরিষ্যসি তন বিছ্বাঃ ॥ ৩ ॥ ক্ষীণং প্রিয়াবিরহকাতরমানসৎ মাং নে নির্দযৎ ব্যথয় বারিদ নাত্ববেদিন্‌। ক্ষীণো ভবিষ্যসি হি কালবশৎ গতঃ সন আস্তে তবাপি নিষ়তস্তড়িতা বিয়োগঃ ॥ ৪ ॥ সর্বত্র জন্নমৃতদস্ত টিনীশরীর- সংবদ্ধকস্তন্ুভৃতাৎ শমিতোপতাপঃ। ষচ্ছাত্তকেমু করুণাবিমুখোহজি নিত্যৎ নায়ৎ মতো! জলদ কিৎ বত পক্ষপাতঃ ॥ ৫ ॥ লোকোত্তরা ঘর্দি চ তোয়দ তে প্রবৃত্ভি- রেষা যদ্ব্ধিপরিতোরসি সঙ্গহেতুঃ | জাগর্তি সজ্জনসভাতু তথাপি ঘোরৎ তৎকলুষৎ কৃপণপাস্থবধুবধোখম্‌ ॥ ৬৪ তৃৎ হি স্বভাবমলিনস্তব নাশ্ঠ মজং ত্বপগর্জিতৎ বিরহিবর্ণনিসর্গ বৈরি | কত্তবাৎ স্তবীত বদ তোয়দ লোকসিদ্ধাং প্রেক্ষামহে ন ষদ্ি জীবনদায্সিতাৎ তে ॥ ৭॥ ১১৮ বিদ্যাসাগর । কাস্তাবিয়োগবিষজর্জরপা ন্থমুনাৎ ত্বং জীবনাপহরণব্রতদীক্ষিতোহসি। ত্বামামনস্তি ঘন জীবনদায়িনৎ যৎং কিং জ ভ্রমো ন বদ তৎ দ্বয়মেব বুদ্ধা! |. ৮॥ গর্জন্‌ ভৃশং তত ইতঃ সততৎ বৃথা কিং নো লজ্জদে জল পান্নিতান্তশত্রো। আস্তে হি নান্তগতিচাতকপোতচ্ু- সম্পূরণেহুপি বত ষস্ত ন শক্তিযোগঃ ॥ ৯॥ জীমৃত চাতকগণৎ নন বঞ্চয্িত। মা মুঞ্চ বারি সরমীসরিদর্ণবেধু। কং বা গুণৎ শিরসি সংস্তততৈললেপে তৈলপ্রদ্দানবিধিনা লভতেহত্র লোকঃ ॥ ১০ কবিতায় কি -হুন্দর স্বভাব-বর্ণন, কি মনোহর অলঙ্কার বিন্তাস, কি সরল রস রচনা-কৌশল ! বিদ্যাসাগ্নর কৰি বলিয়া পরিচিত নহেন; কিন্তু কেবল এই: একটী মাত্র কবিতা- পাঠে বলিতে পারি,বিদ্যাসাগর স্বভাব-কবি ! বাল-কবির কি অপূর্ব প্রতিভা! বাল্যকালে বস্িমচন্রুও বাঙ্গালায় “বর্ধার মান্ভগুন” নামে একটী কবিত! লিখিয়াছিলেন।* ঈশ্বরচজ্ের কবিভায় ষেমন প্রথমে মেখের স্বভাব-বর্ণন, পরে বিরহিণীর বিরহ-ব্যগ্তন ) বন্ষিমচন্্রের কবিতায়ও তেমনই প্রথমে বর্ধার *্* ১৩০১ লালের, আবণ মালের সাহিতা। বিদ্যাসাগর মহাশয়ের দৌহিত্র শ্রীযুক্ত স্ুরেশচন্্র নমাজপতি কর্তৃক নম্পাদিত মালিক পন্র। আমাদের বক্তব্য । ১১৯ স্বতাব-বর্ণন, পরে মানিনীর মানভগ্জন। উভয়ই পূর্ণ কবিত্বময়। বাল্যে উভয়ে কবি। উত্তর কালে উভয়েই সাহিত্য-পুষ্টির উত্তর-সাধক। তবে পথ ও প্রণালী স্বতন্ত্র । রচনার বঙ্গানুবাদ দিলাম না । দিবার প্রয়োজনও নাই। রচনা, যেনূপ সরল ও মরল, তাহাতে ধাহাদের সংস্কৃত ভাষায় _কিঞিন্মাত্র বোধ আছে, তাহারা ইহার রস-মাধুধ্য হৃদয়ঙ্গম করিতে সমর্থ হইবেন। এ রচনাগুলি পড়িলে স্পষ্টই প্রতীতি হয়, সর্ধ-রস-বিকাশে এবং ছনোবিস্তাসে বিদ্যাসাগর শক্তি" 'মান্। বাল্যে িনি এমন মধুর, হুললিত ও বিশুদ্ধ সংস্কৃত ' লিখিতে পারেন, প্রবৃত্তি ঝা অভ্যাম রাখিলে, অথবা নিজ-রচনা' শঞ্জিতে অবিশ্বাসী হইয়া অংস্কত রটনাকল্পে উদ্দাসীন না হইলে, তিনি ভবিষ্যৎ জীবনে উপাদেয় এবং ভুপাঠ্য অংস্কৃত গ্রন্থ প্রণয়ন করিয়া সংস্কৃত সাহিত্যের অন্মান রক্ষা করিতে পারিতেন, সনেহ নাই। সংস্কৃত ভাষার সংকীর্ণ-প্রচারও বোধ হয়, সংস্কৃত গ্ন্থ-প্রণয়নের প্রবৃদ্ধি-প্রণোদ্বন-পক্ষে অন্তরায় হইয়াছিল। ষষ্ঠ অধ্যায়। কার্যাভাস, চাকুরিতে প্রবেশ, সাহেবের গুণগ্রাহিতা, ফোর্ট উইলিয়ম কলেজ, ইংরেজি শিক্ষা, অক্ষয়- কুয়ার দত্তের সহিত পরিচয়, মহাভারত- অনুবাদ ও অধ্যাপনা-প্রণালী। পাঠ্যাবস্থার অবসানে, কাধ্য-কালের প্রারভ্ত। এইবার কার্ধ্য-বীর বিদ্যাসাগর কাধ্্যক্ষেত্রে অবতীর্ণ হইলেন। কার্ধ্যময সংসারে কাধ্যের কীর্তি বিদ্যাসাগ্গর মহাশয়ের বহু প্রকারে। পাঠক! বাল্য কালে ও পাঠ্যাবস্থায় যে অপরিসীম শ্রমশীলতা, থে প্রগাঢ় গভীর একাগ্রতা, যে অবিচলি আত্মনির্ভরতা এবং যে অনিবাধ্য বৃদ্ধিমণ্তা ও তেজস্থিতা দেখিয়াছেন, কার্ধ্যক্ষেত্রেও তাহারও প্রচুর প্রমাণ ও পরিচয় পাইবেন। বিপদে নিতীকতা, কর্তৃব্যপালনে দৃট-প্রতিজ্ঞতা, নিরাশা মজীবতী। এবৎ জর্বীবন্থীয নিবভিমান্তা ও জর্ব কাধ্যে নিঃস্কার্থতা দেখিতে চাহেন তো পাঠক দ্েখিবেন, বিদ্যামাগরের জীবনে, কাধ্যাবস্থার প্রারস্ত হইতে, দেহাবসানের পুর্বাবস্থা পর্য্যস্ত। ককুণার কথা আর কি বলিব৭ বলিয়াছি তো তাহার তুলনা নাই। এ বহু-বর্ণময় ভারতভূমিতে বিদ্যাসাগর মহাশয়ের সকল কাধ্যই সর্র্ববাদিসম্মত হওয়া সম্ভব নহে এবং হয়ও নাই। কিন্তু সকল কার্য্যেই যে দেই শ্রমশীলতা, সেই দু়তা, সেই নিভাঁকতা, সেই বুদ্ধিমন্তা এবং সেই বিদ্যাবস্তা, কার্যযাভাস। ১৯১ জকল সময়েই পূর্ণ মাত্রায় পরিচালিত হইত, তাহা তাহার জীবনী-পর্ধ্যালোচনায় নিঃসনেহে প্রতিপন্ন হইবে। তিনি সকল কার্যে সকল সময়েই স্বাধিকারভূতা ও স্বকীয় বিদ্যা-বুদ্ধি- সন্মতা শক্তিরই আমুল সঞ্চালন ও পুর্ণ প্রয়োগ করিতেন। এক কথায় বলি, এমন এক-টানা খর ত্রোত, ইহ-সংসারে মনুষ্য- জীবনে বড়ই ছুর্নভ। এই বার ভার পূর্ন পরিচয় । করুণার- পরিচয় অবশ্ত জঙ্গে সঙ্গে পাইবেন। স্থুল কথা, জীবনে স্বাহা হাহা প্রয়োজন, বিদ্যাসাগরের জীবনীতে তাহাই থে পরিমাণে উদধাটিত হইবে! হিন্দু-ধন্ীনুরাশী হিন্দৃ- সন্তানকে অবশ্ঠ অতি সাবধানে বিদ্যাসাগরের জীবনী পর্যযা- লোচন। করিয়া দোষ-ভাগ পরিভ্যাগ পুর্ববক, গুণ-ভাগ গ্রহণ . করিতে হইবে । অলৌকিক গুণগ্রাম, বিদ্যাসাগরে ঘে বহুপ্রকার আছে, তাছা বল? বাহুল্য মাত্র। কন্মার জীবনে যে কখন কর্মাবসাদ হত না) বিদ্যাসাগর মহাশয্বেজ জীবন, তাহারই প্রমীণ। তাহাই সর্ব সময়ে সকলেরই অন্ুকরণীঘ্ম এবং শিক্ষসীর। কণ্মার কার্ধ্যাভাব যে কখন থাকে না, বিদ্যাসাগরের কর্মাবস্থার প্রধম হইতেই তাহার প্রমাণ। বিখ্যাত ইংরেজি গ্রন্থকার সিডন্‌ স্মিথ, বলিষাছেন,--. €1)9৮ 9 00810 109 00060)190) 800 00001)$99 10. 109 1038065% 92001070090 ০04 জ1)101 1015 178009 18 9808)19) 80৫ 019 10) 859 63090100870388 10080 109 1198 10006 138 7985) ১১ ১২হ বিদ্যাসাগর | অর্থাৎ সকলেই ধেন কার্যে নিযুক্ত থাকেন। ধাহার যেরূপ প্রকৃতি; তিনি যেন তদনুসারে উচ্চ কার্যে নিযুক্ত হন। আপন কার্ধ্য যথাসাধ্য সাধন করিয়াছেন, এইটী বুঝিয়াই যেন তিনি মরিতে পারেন । , এ মহাবাণীর সার্থকতা বিদ্যাসাগর মহাশয়ের জীবনীতেই পরিলক্ষিত হয়। সেই টুকুই, স্বৃহৃদয় পাঠক জদয়জম করিলে, শ্রম সার্থক জ্ঞান করিব। বিদ্যাসাগর মহাশয়ের কার্ধ্যারভ্ত ১২৪৮ সালের অগ্র- হায়ণ বা ১৮৪১ খুৃষ্টাবের ডিসেম্বর মাসে । এখানে কাধ্য-অর্থে চাকুরী বুঝিতে হইবে। কার্র্যের অবশ্ঠ সু-বিশাল অর্থ, মসুষ্য-জীবনের করণীয় মাত্র। চাকুরী, কাধ্যের অন্তর্ভূত। বিদ্যাসাগর মহাশয়, ষখন সংস্কত কলেজের পাঠ সমাপন করেন, তখন ফোর্ট উইলিয়মু কলেজের প্রধান পণ্ডিতের পদ শুন্য হয়। * বিদ্যাসাগর মহাশয় তখন বীরসিংহ গ্রামে। ফোট উইলিয়ম কলেজের তাতৎকালিক সেব্রেটরী মাসেল্‌ সাহেব, ত্রাহাকে তথা হইতে আনাইয়া, এই পদে অভিষিক্ত করেন। এই খানে মার্সেল সাহেবের গুণগ্রাহিতার একটু পরিচয় দেওয়া প্রয়োজনীয় । | প্রধান পর্ডিতের পদ শৃন্য হওয়ায়, অনেকেই ঘেই পদের প্রার্থী হন। কলিকাতা ব্হবাজার-মলঙ্গাপাড়া-নিবাসী কালি- দাস দত্ব, মার্সেল সাহেবের সবিশেষ সুপরিচিত ছিলেন। * এই কন” ১৮০০ বুষ্টান্ছে (১২০৭ মালে) প্রতিষ্ঠিত হয়্। সাহেবের গুণ-গ্রাহিতা। ১২৩ বিদ্যাসাগর মহাশয়ের অকৃত্রিম বন্ধু শ্রীযুক্ত রাজকৃ্জ বন্দ্যো- পাধ্যায় মহাশয়ের নিকট শুনিয়াছি, মার্সেল সাহেব, কালিদাস বাবুকে বড় ভালবাঘিতেন। কালিদাস বাবুর সনির্ববন্ধ অনুরোধ, কাহার. এক জন পরিচিত পণ্ডিত, ফোর্ট উইলিয়মু কলেজের প্রধান-পর্ডিত-পদে নিযুক্ত হন। মার্সেল্‌ সাহেব কিন্তু বিদ্যা- ঝ্লাগর মহাশয়কে ও পদে নিযুক্ত করিতে ইচ্ছা প্রর্কাশ করেন। [তিনি জানিতেন, বিদ্যাদাগর মহাশয় সংস্কৃত ভাষায় সবিশেষ ঝ্ুৎ্পন; অধিকন্ত এক জন অসামান্ত-শক্তিশালী বুদ্ধিমান্‌ ব্যক্তি। কালিদাদ বাবু, সাহেবের অভিপ্রায় বুঝিতে পারিয়া, িরুক্তি করিলেন ন1) বরং আনন্দ সহকারে সাহেবের সে সং- প্রস্তাবের সম্পূর্ণ পোষকতা করেন। কালিদাস বাবুও ঈশ্বর- চত্রের দক্ষতা ও বিদ্যা'বুদ্ধিমতা সম্বন্ধে আদেই সন্দিহান ছিলেন না। বিদ্যাসাগর মহাশয়কে ফোর্ট উইলিয়মু কলেজের প্রধান প্ডিত করা, মার্সেল্‌ সাহেবের একান্ত ইচ্ছা, বিদ্যাসাগর মহা- শয়ের পিতা এ সংবাদ পাইয়া, বীরমিধ্হ গ্রাম হইতে পুত্রকে কলিকাতায় লইয়া আসেন। মার্সেল্‌ সাহেবের এই খণগ্রাহিত! দেখিয়া, অনেকেই সাহেবকে ধন্তবাদদ করিয়াছিলেন। সত্য সত্যই মামে ল্‌ সাহেব প্রকৃত মহুদয় গুণগ্রাহী লোক ছিলেন। তদানীন্তন দিবিলিয়ান্‌, সওদাগার প্রভৃতি সকল সাহেব-সম্গ্- ঘায়ের এইরূপ সহদয়তা গু গুণগ্রাহিতার পরিচয় প্রায়ই পাওয়া যাইত। এখন আমাদের অদৃষ্ট-দোষ বলিতে হইবে, অনেকট। ১২৪ বিদ্যাসাগর । বিপরীত প্রমাণই প্রত্যক্ষীভূত হইয়! থাকে । এরূপ হইবার কার, কি? এ সম্বন্ধে ছুই মত আছে। এক মত এই, পুর্বে উচ্চ- বংশীয় সাহেবেরাই সিবিলিয়ান মনোনীত হইয়া আসিতেন। তাহাদের দৃষ্টি ও প্রবৃত্তি অনেক উচ্চ ছিল। নেটিত.কে তাহার! স্ব] করিতেন না। এখন প্রতিদ্বন্দ্িতাঁফলে বংশাবংশের বিচার নাই ;*% অুতরাৎ দৃষ্টি-প্রবৃত্তিও তারতম্য ঘটয়াছে। আর এক মত এই, এখনকার ইৎরেজি শিক্ষিত-সন্প্রদায় সাম্যবাদ- মন্ত্রে প্রভাবে অভিভূত হইয়া, সাহেবদের সঙ্গে সমান সন্মান- ভাগী হইতে চাহেন; সাহেব-জন্প্রদায় কিন্ত সে সাম্য-সম্মানের সীমান্তর্ভূত না হইয়া “নেটিতদের! নিকট অধিকতর সন্মান পাইবার প্রত্যাশা করেন। ঠিক্‌ সে সন্মানটা পান না বলিয়াই ত্টাহারা অধুনা নেটিভ.দের প্রতি বিরক্ত ও বিরূপ। ইল্বার্ট- বিলের আন্দোলন ফল, ইহার জীজ্ব্বল্যমান প্রমাণ । ফোর্ট উইলিয়মূ কলেজের প্রধান পণ্ডিতের বেতন ৫০ পঞ্চাশ টাকা । বিদ্যাসাগর মহাশয়ের পুর্ে মধুহৃদন তর্কালক্কার এই পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন। তাহার মৃত্যু হওয়ায় বিদ্যাসাগর মহাশয় এই পর্দ প্রাপ্ত হন। | বিলাত হইতে ষে সকল সিবিলিয়ান্‌, ভারতে চাকুরী করিতে আসিতেন, তাহাদিগকে এই ফোর্ট উইলিয়মূু কলেজে বাঙ্গালা, হিন্দী, উদ ওপার্শী শিখিতে হইত। ইহাতে উত্তীর্ণ হইতে *. ১৮৫৪ থুষ্টান্দে বা ১২৬১ সালে নির্বাচল-প্রথাঁর পরিধর্কে প্রতি- দ্বন্দিতা-প্রথ! প্রবর্তিত হয়। এই প্রথ1 এখনও প্রচলিত। ফোট উইলিয়ম কলেজ। ১২৫ গারিলে, তাহারা কর্মে নিযুক্ত হইতে পারিতেন। এই সকল ভাষার সাহেব-পরীক্ষকদিগকে সাহায্য করিৰার এবং জিবি- লিয়ানদিগকে শিক্ষা দিবার জন্ত* পণ্ডিত ও মৌপবী নিযুক্ত _খাকিতেন। বলা বাহুল্য, যে সময় বিদ্যাসাগর মহাশয় ফোট উইলিয়ম কলেজে প্রধান পণ্ডিত হন, সে সময় এখনকার মত বিলাতে, প্রতিযোগিনী সিবিলিয়ানৃ-পরীক্ষা। ছিল না। তখন মনোনীত হইয়া, তত্রত্য “হালিবরী কলেজে” পড়িতে হইত এবং তৎপরে সিবিলিয়ান্‌ হইয়া, এ দেশে আমিতে হইত। এই কন সিবিলিষান্‌ তখন "রাইটার্স অব দি কোম্পানী" নামে অভিহিত হইতেন। এই জন্ত তাহারা ষে বাড়ীতে থাকিতেন, ত।হার নাম ছিল, "রাইটার্সবিন্ডিঙ্*। এই “রাইটার্স বিল্ডিউ” হইতে বর্তমান “রাইটাসবিল্ডিঙ্* নাম। এখন কশিকাতার, যেখানে “রাইটার্স বিশ্ডিউ" অবস্থিত, তদানীত্তন "রাইটাস বিল্ডি$" সেই খানেই ছিল। সিবিলিয্বান্গণ এই "রাইটাস বিল্ডিডে” বাম করিতেন। এখানে সিবিলিয়ান সাহেবদের নাচ, ভোজ, অ।মোদ-প্রমোদ যথারীতি সম্পন্ন হইত। বাড়ীর মধ্যস্থলে, “ফোর্ট উইপিয়মূ কলেজ” ও তাহার “আফিদ্” ছিল। আফিসে পণ্ডিত ও মৌলবী ব্যতীত, “হেড, রাইটার? বা “কেসিয়ার” এবং তদধীন ছুই তিনটা কেরাণী কাধ্য করিতেন। ফোর্ট উইলিয়মূ কলেজ, ফিবিলিয়ানদের আশ্রত্ব-স্থল ছিল এ জন্ত ইহা সাহেব সম্প্রদায়ের নিশ্চিতই চির-স্মরণীয়। কিন্ত ইহা অপর বিশেষ কারণেও বাজালীর হুদয়ে চির-জাগরক ১২৬ বিদ্যাসাগর ধাকিবে। এই ফোর্ট উইলিয়মূ কলেজে, বিদ্যাসাগরের ইহ-বুগ- সম্মত ভবিষ্যৎ * সৌভাগ্য-গৌরবের হুত্রপাত হয়। ইহার পরিচয়, পাঠক, পরবস্তাঁ ঘটনাবলীতে প্রাপ্ত হইবেন। কিন্ত, ফোর্ট উইলিয়মূ কলেজের চির-ম্মরণ-যোগ্যতার অন্য গুরুতর কারণ আছে। ফোর্ট উইলিয়ুমু কলেজ, বাঙ্গাল! গদ্য-সাহিত্যের পু্ি-কল্পে অন্ততম শক্তিশালী সহায়। বাঙ্গালা গদ্য-সাহিত্যের সপ্টি-কাল নির্ণয় করা বড় দুরূহ । কেহ বলেন, আীচৈতন্তদেবের সময়েই ইহার স্ষ্টি। তিনি যে কৃষ্ণযাত্র, করিয়াছিলেন, তাহাই গদ্য-সাহিত্য-সট্টি-কল্ে প্রধান সহায় । কেহ বলেন, তাহা নয়. তাহার পরবত্তী কালেই ইহার হ্থান্। চৈতন্তমন্বল "গান হইবার পুর্ব্বে ষে “গৌর-চক্ড্িকা* কীর্তন হইত, তাহ গদে লিখিত ছিল। সেই গদ্যে বাঙ্গালা গরদ্য-সাহিত্য-ত্রোতদ্বতীর উৎ্পত্তি-স্বান। আমাদের পরমাত্বী্ বিশ্বকোষ-প্রকাশক যুক্ত নগেন্রনাথ বন্থু বলেন, তিনি ৩০*। ৪০০ তিন চারি শত বৎসরের পুর্বে বাঙ্গালা-গদ্যে লিখিত একখানি পুঁথ দেখিয়া ছেন। যাহ! হউক, তাহ! লইয়! এক্ষণে বিচার করিবার প্রয়োজন নাই। * ১৮০ ঘৃষ্টান্ের পুর্ব্বে গদ্য-সাহিত্যের অস্তিত্ব সত্বেও উহা অনেকটা। ছূর্বধল ও নিজীঁব ছিল। ফোর্ট উইলিয়ম কলেজ প্রতিষ্ঠিত হুইবার পর, গদ্য-সাহিত্য-পাঠের প্রয়োজনীগতা- পীড়নে, পাঠ্য গদ্য-মাহিত্যের পুষ্টিকজে ঢৃ্রি পতিত হয়। * বাঙ্গাল! গদ্য-নাহিত্যের হৃষি-পুি নহ্বন্ধে সবিশেষ বিবরণ, স্বত্গ পুস্তকে লিখিবার ইচ্ছা! আছে। ইৎরোজ শিক্ষা । ১২৭ ফলে ইহার পর অনেকগুলি পাঠ্য গদ্য পুস্তক প্রণীত হ্ইয়া- ছিল। সেগুলি গদ্য, সাহিত্যের পুষ্টিকল্পে অনেকটা সহায় ইইলেও, পুর্ণ পুষ্টির পরিচায়ক নয়। সে পরিচয়, অনেকটা বিদ্যাপাগর-প্রণীত পাঠ্য-পুস্তকে প্রতিভাত । ফোর্ট উইলিয়ুম্‌ কলেজ গদ্য-সাহিত্যের পুষ্টিকল্পের জন্য বাঙ্গালীর আশীর্লাদ- পাত্র বটে; কিন্ত বাঙ্গাল] গদ্য-সাহিত্য-পাঠ্যে ধর্মাতাব- প্রণোদনের কতক উত্তর-সাধক। ফোর্ট উইলিয়্র কলেজে থাকিয়া, সিবিলিয়ানদ্িগকে মাসে মাষে পরীক্ষা দিতে হইত। পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হইবার একটা সময় নিদ্দারিত ছিল। দেই নিপ্ধারিত সমযবের মধ্যে উত্তীর্ণ হইতে না পারিলে, সিবিলিয়ানদিগকে বিলাতে প্রতিগমন করিতে হইত। বিদ্যাসাগর মহাশয় মাসে মাসে পরীক্ষার কাগজ পত্র দেখিতেন। এতছিন্ন মাষে ল সাহেব, তাহার নিকট সংস্কৃত কাঁব্যাদি পাঠ করিতেন। অধ্যাপনে পশ্তিত হইলেও, কাধ্যে গ্তাহার ইংরেজের সঙ্গে সম্পর্ক) হুতরাৎ তাহার ইংরেজি শিখিবার প্রয়োজন হইল। তদ্ব্যতীত তাহাকে হিন্দী পরীক্ষাও কাগ্জপত্র দেখিতে হইত! কাজেই হিন্দী শিক্ষারও আবশ্তাক হইল। ইংরেজি শিক্ষা অপেক্ষা হিন্দী শিক্ষা অপেক্ষাকৃত সহজ; কেন না) বাসলা ও সংস্কতের অঙ্কে হিন্দীর অনেকট! সাদৃশ্ত। তিনি মাদ-কঘক পরিশ্রম করিয়া এক জন হিন্দী ভাষায় অভিজ্ঞ পণ্ডিতের নিকট হিন্দী শিখিয়্া লইলেন। .. ইংরেজি শিক্ষা অপেক্ষাকৃত কষ্টকর) বিশেষতঃ চাকুরীর ১২৮ ধিদ্যামাগর। অবস্থায়; কিন্ত বিদ্যাসাগরের মত অসাধারণ শ্রমশীল এবং অসীম অধ্যবসাম্মী ব্যক্তির নিকট কোন্‌ কাধ্য কষ্টকর? তাহা হইলে, অন্তান্ত সাধারণের সহিত তাহার স্বাতন্ত্ট রহিল কোথায়? সাধারণের সহিত অসাধারণের স্বাতজ্র্য সন্ব সময়ে, সর্কঝ দেশে । তাহা না! হইলে, ৫* পঞ্চাশ টাকার বেতনভোগণী এক জল সাম্য কর্খচারী, সংমারের সর্বোচ্চ পথে, ভবিষ্য বংশধর- দিগের জন্য সজীব পদান্ষ রাখিয়া যাইতে পারেন কি ? বেঞ্কামিন্‌ ফ্াঙ্ছলিন্‌ ছিলেন, প্রথম পপ্রিটার” ) রাল, ছিলেন, জামানত সৈনিক পুরুষ ; ইৎ্লগ্ডের কবি-গুরু চসর ছিলেন, সৈনিক পুরুষ; সেক্সপিক়র ছিলেন, নাট্যশালার নট; আর কত নাম করিব৭ ইহারা যে গুণে বড়, বিদ্যাসাগর দেই গুণে বড়। ইহাদের শ্বাতন্ত্য. সাধারণ হইতে যে গুণে, বিদ্যাাগরেরও স্বাতন্ত্র্য সেই গুণে । . সেই গু৭,- শ্রমশীলতা ও একাগ্রতা । পৃথিবীতে ধাহারা সর্কোচ্চ প্রতিভাশালী বলিয়া পরিচিত, পুঙ্খানুশুখন্রপে পর্ধ্যালোচন1 করিলে, বোঝা যাইবে, তাহারাই সব্দাপেক্ষা অধিক কর্মশীল).এমন কি, তাহাদের অধি" কাংশকে অতি হীন কার্যে নিঘুক্ত হইতে হইয়াছে । এই জন্তই বলিতে হয়, প্রতিভার পূর্ণ বিকাশ, মানুতষর সহিস্ুতাম এবং শ্রমশীলতায়। প্রতিভার কাধ্যে বিরাম বা বিরতি কোন কালে থাকে না। ওয়ামিংটন্‌ বাল্য কালে পাঠ্যাবস্থার অবসরে রমিদ, ছাড়, হাতচিঠী প্রসূতি নকল করিতেন । বিদ্যা- সাগরের প্রতিভ। বাল্য কাল হইত পরিপুষ্ট, তাহার শ্রমশীল- ইংরেজি শিক্ষা! । ১২৯ তায়। পাঠ্যাবস্থায় ক'জ না থাকিলে এবং আবশ্ঠক না হইলেও, ধিনি অবসরে, পুঁথি নকল করিয়া কার্ধ্যানুরাগ্িতার পরিচয় দিতেন, তাহার পক্ষে এই অবস্থায় চাকুরীর অত্যাবশ্যক ইংরেজি শিক্ষাটা আর কষ্টকর কি? বিখ্যাত ইতিহাসলেখক নিবে! চাকুরী করিতে করিতে, অবসর সময়ে আরব্য, রোমান এবং ন্তান্ত “শ্লাবনিক” ভাষ! শিথিয়া ফেলিয়াছিলেন। . বিদ্যাসাগরের ন্যায় এক জন অতি-শ্রমশীল বুন্িমান ব্যক্তি ; ষে ইংরেজিটা শিখিয়া লইবেন, তাহার আর বিচিত্র কিঃ ইংরেজি শিক্ষার উপর তাহাকে আরও গুরুতর পরিশ্রম-দাপেক্ষ কার্য্যের ভার লইতে হইয়াছিল। এই সময়, তাহার নিকট অন্ধ্যাকালে ও প্রাতঃকালে অনেকেই সংস্কৃত ব্যাকরণ ও কাব্যাদি পড়িতে আদিতেন। এই সকল লোককে পড়াইয়া, তিনি আবার ্বয়ং ইংরেজি পড়িতেন। এ অসাধারণ অধ্যবসায়ের কথা ভাবিলে, বাস্তবিকই বিশ্ময়াভিভূত .হইতে হয়। কখনই বা তিনি সময় পাইতেন, আর অত গুরুতর পরিশ্রমই বা! কেমন করিয়া করিতেন ? এই সময় তাহার বাসা ছিল, বহুবাজার পর্ধাননতলা নিতাই সেনের বাড়ীতে । এই বাড়ীর বাহিরে ছুইটী বড় বড় বর ছিল। একটা ঘরে তিনি ও তাহার ভ্রাতারা থাকিতেন এবং অপর ঘরে অন্তান্ত আত্মীয্নেরা বাস করিতেন। পরে এখান হইতে অতি নিকটেই হদয়রাম বন্দ্োপাধ্যায়ের বৈঠকখানা বাড়ীতে বাসা উঠিয়া যায়। ১৩০ বিদ্যাসাগর । বিদ্যাঁপাগর মহাঁশষের ইংরেজি শিখিবার বাসনা বড়ই বলবত্ী হয়। যেখানে ইচ্ছা, সেইখানেই উপায়। তিনি ডাক্তার নীলমাধব মুখোপাধ্যায়ের নিকট প্রত্যহ প্রাতে ইংরেজি . শিক্ষা করিতে লাণিলেন। নীলমাধব বাবু, রাজকষ্ণ বাবুর পিস্‌- ভূতো তাই। ইনি তালতগা-নিবাসী প্রসিদ্ধ ডাক্তার ছুর্গাচরণ ; বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছাত্র ছিলেন। ছুর্াচরণ বাবু খন ডাক্তার হন নাই? হেয়ার সাহেবের স্কুলে দ্বিতীয় শিক্ষক ছিলেন। ুর্গাচরণ বাবু এই সময় প্রায়ই প্রত্যহ বিদ্যাসাগর মহাশয়ের বাসায় আসিতেন। ক্রমে তাহার সহিত বিদ্যাসাগর মহাশয়ের ত্বনিষ্ঠ সৌহার্দ হয়। ছূর্গাচরণ বাবু ডাক্তার হইয়া, বিদ্যাসাগর মহাশপকে তাহার জদয়ের কার্ধ্যে অনেক সহায়ত] করিতেন। বিদ্যাসাগর মহাশয়, হুর্াচরণ বাবুর সহায়তায় ও চিকিৎসাধ ' অনেক আর্ভ*পীড়িতের কষ্ট নিবারণ করিতে সমর্থ হইতেন। নীলমাধব বাবুর নিকট কিছু দিন ইংবেজি শিখিয়া, তিনি হিন্দু কলেজের অন্ততম ছাত্র রাজনারায়ণ গুপ্তের নিকট রীতিমত ইংরেজি শিক্ষা করেন।* ইংরেজি অন্ক শিখিবার জন্তও প্রত - আলি লি বিদ্যাসাগর মহাশয় প্রান্থই শোভাবাজার-রাজবাড়ীতে শ্রীযুক্ত সপ * রাজনারায়ণ গুপ্ত মহাশয় বিদ্যামাগর মহাশয়ের নিকট মালিক ১৫. টাকা বেতন পাইতেন, যিনি বলেন, তাহার কথ? নির্বিবাদ নয়; কেন না রাজকৃষ্ণ বাবুর যুখে শুনিয়াছি, তিনি প্রত্যহ বিদ্যানাগর মহাঁশয়ের বাসায় আহার করিয়। কলেজে পড়িতে যাইতেন এবং মালে মানে যৎকিঞ্চিও পারিআ'মক স্বক্নপ পাইতেন। ্‌ শী শ্রীমুজ আনন্দরৃষ বনু। ইংরেজি শিক্ষা ১৩১ আননচন্ বন্থ, অমৃতলাল মিত্র এবং শ্রীনাথ ঘোষের নিকট স্বাইতেন ।* অঙ্ক শিখিবার জন্য, তাহার ষথেষ্ট চেষ্টা ছিল; পঁকি্ধ বিষয়ট। তাহার তত শ্রীতিপ্রদ হয় নাই ) অথচ ইহাতে আনেকট। সময় অনর্থক অতিবাহিত হইত; তছুপরি বিষয়টা সক্রাহার নীরস বলিয়া বিবেচিত হইত ; অগত্যা তিনি তাহা ত বিরত হন। বিদ্যাসাগর মহাশয়, অক্কবিদ্যা-চ্চ1 পরিত্যাগ করিয়া এঞ্জাভাবিক প্রবৃত্তি-মর্গ অবলম্বন করিয়াছিলেন। ইহার চরম ও ন,-আত্মোথকর্ষ। আধুনিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ধিমিশ্র শিক্ষা- 1প্রণালীতে অনেকেরই আত্মোৎকর্ষে ব্যাধাত টিয়া! থাকে। সন কোন কোন কর্তৃপক্ষ, এ কথা স্বীকার করিয়াছেন । । ্ কেরই স্বাভাবিকী টি পরিচালনার হুযোগ ঘটয়াছিল। ) সেই জন্য অনেকেই স্বাভাবিক প্রবৃত্তি-সন্মত বিষয়ে ব্যুৎপত্তি লাভ করিয়া, আস্বোত্কষের পরিচয় দিতে পারিতেন। এ 'আস্মোখকর্ষ তত্ব-সন্বন্ধে ১৩০১ সালের জ্যৈষ্ঠ মাসের “সাধনায়? ; 5 শপ্পািশিশশািশিটিাশিটা টি ১ * অমৃতলাল বাবু শোৌভাবাজারের ৬ রাঁজা-রাধাকান্ত বাহাদুরের আধাম জামাতা, নাথ বাবু কনিষ্ঠ জীমতা এবং আনন্দকৃষ্ণ বাবু দৌঁহিত্র। 'আানন্দ বাবুর জননী, রাজা-বাহাঁছুতের জোষ্ঠ কন্যা ছিলেন। ইহাদের সকলের মহিত বিদ্যাণীগর মহাশয়ের পরম বন্ধুত্ব ছিল। ইহার ছিন্ন ক্ষলেজে গড়িয়া ইংরেজিতে সপর্ডিত হইয়াছিলেন। এক্ষণে কেখল ্ানদ বাবু জীবিত আছেন । £ মামিক পতিকারম্ধীন্রনাথ ঠাকুর লম্পাদিত। ১৩হ বিদ্যামাগর। চিন্তাশীল লেখক শ্রীঘুক্ত জ্যোতিরিক্্রনাথ ঠাকুর, কয়েকটা যুক্তি-স্ত কথা বলিয়াছেন। কথাগুলি এই,__. “যদি কোন পাঠশাল] ব। বিশ্ববিদ্যালয় তাহার অধীনস্থ ছাত্রদিগকে এক ছঁচে ঢালিবার চেষ্টা করে অর্থাৎ তাহাদের প্রতোকের নিজত্ব না ফুটাইয়া তুলিয়া! যদি একটা! নাধারণ আদর্শে সকলকেই গঠিত করিবার প্রয়ান পায় তবে বুঝা যাঁয় যে, সে পাঠশাল] ব1 বিশ্ববিদ্যালয় প্রকৃত শিক্ষাবিধানে নিতান্ত অযোগ্য ও অনমর্থ। প্রকৃত শিক্ষা কি? না, আত্মোৎকর্ধ-সাঁধন- উন্নতি-সাধন। যাহ! আত্মার অভ্যন্তরে গুঢ্ুতাবে থাকে, তাহ! উপর দিকে আন1_-উন্নয়ন করা নিজত্বের কণ করাঁঁ_নিজেকে নিজের যথার্থ অনুরূপ করিয়া ভোল1। কোন ব্যক্তিবিশেষকে একট! স্থানীয় আদর্শের কিনা লোঁকিক আদর্শের অনুন্ূপ করিয়া! গঠন করিতে গেলে, শিক্ষার উদ্দেশ বিফল হইয়1 যায়|” . দ্বাভাবিকী প্রবৃত্তি-প্রণোদনে আত্মোথ্কর্ষের কিরূপ স্ুবিধা। তাহার দৃষ্টাত্ত-স্বরূপ, পুত্ররে। ও কলরাডোর সরকারী পাঠশালাঃ "ব্যক্তিগত শিক্ষা প্রণালীর* কথ! উল্লিখিত হইয়াছে । এখান, কার বিদ্যালয়ে, “প্রত্যেক খবরে কতকগুলি ছাত্র পৃথক্‌ পৃথৰ্‌ ভাবে আপন আগ্ীন কাজ করে, শিক্ষক তাহাদিগকে সারি সারি দীড় করাইয়! কিংবা মনোরঞ্রন করিবার চেষ্টা করিয়া অথবা লেকচার দিয়! কিংবা বাখ্য। করিয়া সময় নই করেন না। তিনি কেবল প্রত্যেকের ডেস্কের নিকট দিয়! ছাত্রদিগের সহকারি-ম্বরূপ হইয়া উৎসাহ ও উপদেণ প্রধান করেন ।” শিক্ষা-সাধন-সম্বন্ধে ষে কথ, বৃত্তি-নির্বাচন-লহ্বন্ধেও সেই কথা। এতৎ-সন্বন্বেও ১৩০০ সালের চৈত্র মাসের সাধনায় ইৎরেজি শিক্ষা । ১৩৩ (জ্জ্যোতিরিজ্র বাধু লিখিয়াছেন,“অনেক সময় দেখা যায় থে রর যাকে দাজে, সে কর্ম, মে পায় না, বা করে না। যে ভাক্তার বার উপযুক্ত, সে হয় তো আইন ব্যবসায় অবলম্বন করিয়াছে) ফ্বেআইন ব্যবসায়ের উপযুক্ত, লে হয তো ইঞ্জিনিয়রের কাজ | করিতেছে । এইরূপ অনুপযোগী কাজে প্রবেশ করিয়া কেহই মুফলতা জাভ করিতে পারে না__তাহার সমস্ত পরিশ্রম পণ্ড ষট্মা যায়”; জ্যোতিরিস্র বাবুর মতে, কে কোন্‌ কাজের মু, তাহা তাহার দৈহিক ও মানসিক লক্ষণে কতক বোকা উন, মস্তক বৃহৎ । রি আলেক্জা র্‌, রা টির ্্রভারিক দি গ্রেট, বায়ঃনৃ, বেকন্‌, প্লেটো, আরিষ্টটল্‌ প্রস্তুতি '্রৃতিভাশালী লোকদিগের মস্তক সম্বন্ধে আলোচনা করিলে, বিপরীত মীমাংসা উপশ্থিত হইতে হয়। : খন্ধপ অবস্থায়, দৈহিক-মানসিক লক্ষণ-নির্ণয়ে, বৃত্তি, মির্ধাচনের অব্যর্থতা শ্বীকার করিতে একটা দ্বিধা হয় না কি? বুংপ-পরম্পরাগত বৃত্তি-সাধনায় সেরূপ দ্বৈধ ভাব থাকিবার কথা ধাহারা এ কথা "মানবেন, তাহারা হিন্দুর জাতি- দেরই গ্রৌরব ঘোষণা করিবেন। ূ বিদ্যাসাগর মহাশয় অন্ক-শাস্ধ পরিত্যাগ করিয়া, আনন্দকৃষ্ণ ছীবুর নিকট, সেক্সপীয়র পড়িতেন। সেব্সুপীয়র পড়িবার জন্ত ১. ১৩৪ বিদ্যালাগর। প্রাথই তিনি শৌতাবাঁজীর-রাজবাটাতে -মাতায়াত করিতেল। এই ময় তিনি রাজা রাধাকান্ত দেব-বাহাছুরের নিকট পরিচিত হন। এক দিন মধ্যাহ্নে রাজা বাহাদুর, আহারাস্তে মুখ- প্রক্ষালন করিতেছিলেন, সেই সময় বিদ্যাসাগর মহাশয় রাজ- বষ্টীতে ভ+নন্দকৃষ্ণ বাবুর নিকট যাইতেছিলেন ) হঠাৎ তাহার প্রতি রাজা-বাহাছুরের দৃষ্টি পতিত হয়। তিনি পার্খস্থ একট আত্মীয়কে জিজ্ঞাসা করের,-“& যে ছষ্ট-পুষ্ট তেজঃপুগ্জময় বাক্ষণ-যুবকটী যাইতেছ্েন) উটী কে? উহার মুখে যেন প্রতিভার প্রভা ফাটিয়া পড়িতেছে। উহাকে ডাকিয়া আন তো।” আত্মীয়টী তখনই .বিদ্যাসাগরকে রাজা-বাহাছুরের নিকটে ডানিয়! লইয়া যান। রাজা-বাহাছুর, তখন তাহার নিকট তাহার আন্ুপুর্ষিক পরিচয় গ্রহণ করেন। তিনি বিদ্যাসাগরের কথা-বার্ভায় যথেষ্ট সন্তোষ লাভ করিয়াছিলেন এবং তাহাকে বুদ্ধিমান্‌ বলিয়াও বুঝিযাছ্িলেন। তখন তিনি,--“বিদ্যাসাগর”- উপাধিধারী একটা ব্রাহ্গণ-যুবক'মাত্র। সে “বিদ্যাসাগরে" বিশ্ববিশ্রাতি সংঘটত হয় নাই। তখনকার বিদ্যাসাগর, এখনকার বিদ্যাসাগর ছিলেন না। এই শোতাবাজার-রাজবাটীতে অক্ষয়কুমার দত্তের সহিত তাহার আলাপ*পরিচয় হয়। তখন* অক্ষয় বাবু তত্ব- বোধিনী পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন। * তত্ববোধিনীর সহিত্ত & কলিকাত। ব্রাঙ্গ-সমাজের মধ্যেই ১৭৬১ শকে (৯২৪৬ লালে) ওরা কান্তিকে তত্ববোধিনী নত? প্রতিচিত হইয়াছিল “১৭৬৫ শকের ্প্স্ঞ্ঞ্ ৬. জিপ পপ... টপ চির অক্ষয়কুমার দত্ত । অক্ষয়কুমার দত্তের সহিত পরিচয়। ১৪৫ জান্নদকুঞ্ণ বাবুপ্রমুখ অন্যান্য অনেক কৃতবিদ্যের ঘনিষ্ঠ সম্বন্ধ ছিল। আনন্দকুষ্ণ বাবুর মুখে শুনিষাছি।--“বিদ্যামীগর ও অক্ষ বাবু উভয়েই রাজ-বাড়ীতে ভিন্ন ভিন্ন সময়ে ইংরেজি অঙ্ক ও দাহিত্য পড়িতে যাইতেন। তাহারা ছাদের উপর বিঘা খড়ি দিয়া, অঙ্গ পাতিয়া, জ্যামিতির প্রতিজ্ঞ! পুরণ করিতেন। মাম পাঁচ ছর পরে, বিদ্যাসাগর অঙ্গ বিদ্যা পরিত্যাগ করেন। ইহাতে তাহার প্রবুত্তি ছিল না। অভঃপর তিনি সেক্সপীঘর পড়িতেন। ইহা শীঘ্রই আরতৃও করিয়াছিলেন।” তন্রবোধিনী পর্িকাষ় যিনি যাহা নিখিতেন, আনন্দরুক্ক বাকুপ্রন্খ কতবিদ্য ব্যক্তিকে তাহ। দেখিঘ্বা, আবস্তকমত অংশোধনাদি করিয়া দিতে .হইত। এক দিন বিদ্যাসাগর মহাশমু আনন্দ বাবুর বাড়ীতে ব্সিয্াছিলেন, এমন সমস অক্ষয়কুমার বাবুর একট! লেখা তথায় উপস্থিত হয় । আনন্দ বানু _ন্দ্যামাগর মহাশয়কে অক্ষয়কুমার বাবুর লেখাটা পড়াইয়া শুনাইয়া দেন । অক্ষয়কুমার বাবু পুর্দে যে সব অনুবাদ করিতেন) তাহাতে কতকট। ইংরেজি ভাব থাকিত। বিদ্যাসাগর মহাশয়, অ্ষনহুমার বাবুর লেখ! দেখিয়া বলিলেন,--“লেখা' ১৮৪৩ খুঃ) ভাত্র মান হইতে শ্রীণুক্ত বাবু দেবেজ্ত্রনাথ ঠাকুর রভতি খে এ সভা! হইতে "তন্রবোধিনী পত্বিক নামে এক মানিক-পজ্ঞ প্রকাঁশিত হইতে াঁগিল। ইতিপূর্েই ্ী বাবু তত্ববোধিনী সভার এক সভ্যকাঁষো ব্রতী হইয়া, ১৭৭৭ শক পর্যান্ত ১২ বংসর কাল অবাঁদে রঃ ই সম্পাদন করেন।- শ্রীযুক্ত নীমগতি স্তায়রভ-কৃত “বাঙ্গালা [হিত্য-বিঘয়ক প্রস্তাব ।” ২৫৫ পৃই। ১৩৬ বিদ্যাসাগর বেশ বটে ; কিন্তু অনুবাদের স্থানে স্থানে ইংরেজি ভাব আছে ।” আননদকুষণ বাবু, বিদ্যাসাগর মহাশয়কে তাহা সংশোধন করিয়া দিতে বলেন। বিদ্যাসাগর মহাশয় সংশোধন করিয়া দেন। এইরূপ তিনি বার কতক সংশোধন করি দিয়াছিলেন। অক্ষয় বাবু সেই জুন্দর সংশোধন দেখিয়া, বড়ই আননিত হইতেন তখনও কিন্ত তিনি বিদ্যাসাগর মহাশয়কে জানিতেন না। লোক দ্বারা প্রবন্ধ প্রেরিত হইত এবৎ লোক দ্বারা ফিরিয়। আমিত। তিনি সংশোধিত অংশের বিশুদ্ধ-প্রাগ্তল বাঙ্গাল? দেখিয়া ভাবিতেন,_-"এমন বাঙ্গালা কে লেখে ?”. কৌতহল- নিবারণার্থ তিনি এক দিন স্বয়ং আনন্দ বাবুর নিকট উপন্থিত হন; এসং ধাহাই নিকট বিদ্যাসাগর মহাশয্বের পরিচন্ন পান! আননকুফ। বাবুর পণ্চিয়ে বিদ্যাসাগর মহাশয়ের সহিত পরে তাহার আলাপ-পরিচয্প হয়। ইহার পর অক্ষয় বাবু যাহা কিছু লিখিতেন, তাহা বিদ্যামাগর মহাশয়কে দেখাইয়া লইতেন। বিদ্যামাগর মহাশয়ও সংশোধন করিয়া দিতেন। পরে পরস্পরের প্রগাঢ় মৌহার্দও সংগঠিত হয্ব। সাহিত্য-ক্ষেত্রে অপূর্ব শুভ-সংষোগ । এ শুভ-্মংযোপের দ্রিন বাঙ্গালীর চির স্মরনীয়। উভবেই বাঙ্গাল। ভাষার পুষ্টি সাধনের জন্য জীবন, উত্সর্গ করিয়াছিলেন। আডিসনৃ-ট্রীলের শুভ- ংযোগে ইংরেজি সার্থিত্য-প্রদারের শুভ লক্ষণ ভাবিয়া, আজিও বিলাতবাসী ইংরেজ আনন্দে উৎফুল হন। হয় তো অনেক আধুনিক ইংরেজি-শিক্ষিত বান্গালীও, এই শুভ সংযোগের ঠাকুর । জরীযুক্ত দেবেন্দ্রনাথ তত্ববোধিনীর সহিত সন্বন্ধ। ১৩৭ [দিনকে জাতীয় উৎসবের দিন বলিয়া মনে করিয়া থাকেন। দ্ধ বাক্গালার অক্ষয়কুমার ও বিদ্যাসাগরের এ শুভ-সংযোগ, কয় জন বাক্জালী স্মরণ করেন? ॥ অক্ষয়কুমার বাবুর প্রস্তাবে এবং তত্ববোধিনী সভার অন্যান্য গণের সমর্থনে বিদ্যাসাগর মহাশয় বা সভার ২০ জে 18 রি. রি ই তরে তিনি বি দেবেভ্রনাথ র অত্যন্ত ই ঘছিলেন। বলিয়া রাখি, ব্রাঙ্গ-সমাজের সহিত বিদ্যাসাগর ঃ ট্হাশয়ের কোন মন্বন্ধ ছিল না। “পেপার-কমিটা” বা পাপী * পকিছু দিন 85 মভার অন্তর্দত সথধা্ষ মভা নামে একটা গিনি টি ছিল। িরবোরিনা সভ1 হইতে যে কোন পুস্তক বা প্রবন্ধ 'স্থুদিত হইত, ভাহ) গ্রস্থাধাক্ষদের সম্মতি লইয়া মুদ্রিত করিতে হইবে, ক্ইরূপ ব্যবস্থা থাকে। তত্ববোধিনী সভা দেবেজ্দ্র-বাবুর স্সেহ- পাত্রী । পক্ধিনি অস্ত্র কোন সত্ব্যবস্থা দেখিলে, তাহ! এ সভাতেও প্রবর্তিত করিবার ইচ্ছা! করিতেন। তিনি এিয়াটিক সোনাইটার পেপার কমিটা দেখিয়া, ক্কত্ববোধিনী নতাভেও তদন্ৃরূপ গ্রন্থাধ্যক্ষ-মভা প্রবর্তিত করেন। ইহাভে উপকারও দর্শিয়াছিল। অবিশ্ুদ্ধ ভাষায় লিখিত বা! অন্যরূপে দুষিত, বক্ষোল প্রবন্ধ বা গ্রন্থ মুদ্রিত হইতে পারিত ন1। এমন কি,গ্রন্থাধাক্ষ- বিশেষের বিরচিত প্রবন্ধও কখন কখন অধিকাংশের মতক্রমে অগ্রীহন ইইয়াছে। আনন্দকৃণ বহু, রাজনারায়ণ বস, রাজেন্্রলাল মিত্র, ঈশ্বরচ্ ১ বিদ্যাসাগর, রাধাপ্রণাদ রায়, শ্যামাচরণ মুখোপাধ্যায়, প্রসন্নকুমীর ব্বাধিকারী ও আনন্দচন্দ্র বেদান্তবাগীশ এই সভার সত্য ছিলেন। বিদ্যা গরের সহিত এই শ্রংঅবাধীন অক্ষয় বাবু আপনাকে উপকৃত বলিয়! টষ্টলেখ করিয়াছেন ।”- যুক্ত মহেম্নাথ রাঁয় বিদ্যানিধি প্রণীত “অক্ষন্- উমার দত্তের জীবন ৃত্ান্ত” ৫০ ও ৫২ পৃষ্ঠা। ১৩৮ বিদ্যাসাগর | তত্ববোধিনী পত্রিকার সঙ্গে সম্বন্ধ ছিল, কেবল সাহিত্যের সংত্রবে, ধর্মের টানে নহে। তত্ববোধিনী পত্রিকায় কোন প্রবন্ধ প্রকাশ করিবার পুর্বে, অক্ষয় বাবুকেও তঙ্সন্বন্বে “পেপার- কমিষ্টাগর সভ্যদিগের মতামত লইতে হইত। তাহার একটা প্রমাণ নিগ্নে প্রকাশ করিলাম। “কবির পন্থিদিগের কৃতান্ত-বিষয়ক পাঙুলেখ্য প্রেকণণ করিতেছি, যথাবিহিত অনুমতি করিবেন ।” তত্ববোধিনী নতা, | ্ক্ষয়কুমার দণ্ড, ১৭৭০ শক, ১৪ই আঁফাঁ়। গ্রন্থ-নম্পাদক ! "প্ররিত প্রস্তাব-পাঠে পরিতোষ পাইলাম । ইহা! অতি মহজ ও মরল ভাষায় স্ুচারুক্ধপে রচিত ও সক্ষলিত হইয়াছে । অতএব পত্রিকায় প্রকাশ- বিষয়ে আমি মন্তপ্র-চিত্তে নম্মতি প্রদান করিলাম। ইতি-- , শীঈশ্বরচন্দ্র শর্মা । “্রীযুক্ত ঈপ্ববচন্্র বিদ্যামাগর উক্ত পাগলেখোর স্থানে স্থানে যে নকল পরিবন্ন করিয়াছেন, তাহ! অতি উত্তম হইয়াছে ।” শম্ঠামাচরণ মুখোপাধ্যায় । অক্ষয়কুমার দণ্তেরই যবে বিদ্যাসাগর মহাশয় ১৭৭০ শকের ফাল্তুন মাসে বা ১৮৪৮ ধষ্টাবে ফ্রেক্রয়ারি মাসে তত্ববোধিনী পত্রিকার ৬৭ সংখ্যায় মহাভারতের বাঙ্গালা অনুবাদ প্রকাশ করিতে আরম্ভ করেন। আদিপর্কের কিয়দৎশ-মাত্র প্রকাশিত হইয়াছিল। অন্রবাদধের একটু নমুনা এই 7 নারায়ণ ও নব্বনযোত্ম নর এবং সরস্বতী দেবীকে প্রণাম করিয়। জর উচ্চারণ করিবে । কোন কালে কুপপতি শৌনক নৈমিষারণ্যে দ্বাদশ বাধিক যজ্ঞানুষ্তান মহাভ।রতের অনুবাদ । ১:৪৯ করিযাছিলেন। এ নময়ে এক দিবন বত-পরায়ণ মহম্লিগণ দৈনন্দিন কর্খা- বমানে একত্র মমাগতত হইয়া কথাপ্রপর্গে কাল যাপন করিতেছেন, এই অবমবে সত লোমহ্ধণ-পুত্র পৌরাণিক উগ্রশ্রুব! বিনীত ভাবে তাহাদের সম্মুখে উপস্থিত হইলেন। নৈমিষারণাবামী ভপন্ষিগণ দর্শনমাত্র অদ্ভুত কথা শ্রবণ-বাননাপরবশ হইয়|, তাহাকে বেষ্টন করিয়া চতুর্দিকে দণ্ডায়মান হইলেন । উগ্রশ্রব! বিনয়নম ও কৃতাগ্রলি হইয়া] অতিবাঁদনপূর্বক নেই মমস্ত মুনিগিগকে তপস্তা কুশণ জিজ্ঞানা করিলেন। তীহীরাও যখোটিত অতিথি-সৎকারান্তে বলিতে আনন প্রদীন করিলেন। পরে সমুদীয় ঝধিগণ স্ব স্ব আঁমনে উপবিষ্ট হইলে, তিনিও নিপ্দিট আননে নিবিষ্ট হইলেন। অনন্তর তাহার শ্রান্তি দূর হইলে, কোন খধি কথাপ্রমর্গ করিয়। জিজ্ঞাসা কন্িলেন, “হে পণ্মপলাশলোচন শৃ'তনন্দন! তুমি এক্ষণে কোথা হইতে আমিতেছ এবং এত কাল কোথায় কোথায় ভ্রমণ করিলে বল |” *% কিছু দিন অনুবাদ মুদ্ধিত হইবার পর, কালীপ্রসন্ন সিংহ বিদ্যাঘাগর মহাশয়ের সম্মতি লইয়া মহাভারতের অনুবাদ প্রকাশ করিতে থাকেন। কালীপ্রদন্ন বাবু ইহা স্বীকার করিয়া গিল্পাছেন,_ | “মহাভারতানুবাঁদ সময়ে অনেক স্বলে অনেক কৃতবিদ্য মহাআ্বীর নিকট আমাকে ভূয়িষ্ঠ মাহাষ্ গ্রহণ করিতে হইয়াছে, তনিমিত্ত তাহাদিগের নিকট, চি্রজীবন কৃতজতা-পাশে বদ্ধ রহিলাম | আমার অদ্ধিতীয় নহায় পরম অদ্ধা- স্পদ শ্রীযুক্ত ঈরচন্্র বিদ্যানাগর মহাশঙ্ স্বয়ং মহাভারতের অন্বাদ করিতে ন্বারস্ত করেন এবং অনুবাদিত প্রস্তাবের কিন্নদ্রংশ কলিকাতা ব্রাঙ্গ-নমাজের অধীনস্থ তত্ববোধিনী পত্রিকায় ভ্রম।থয়ে প্রচারিত ও কিয়ন্তাগ পুস্তকীকারেও মুদ্রিত করিয়াছিলেন ;-কিপ্ত আমি মহাভারতের অনুবাদ করিতে উদ্যত পাশপাশি পল পপ * বলা বাছুল্য, ইহার পূর্বে মহাভারতের এন্সপ বঙ্গ হুবাদ হয় নাই। ১৪৪ বিদ্যাসাগর : ইইয়াছি শুনিয়া, তিনি কৃপাপরবশ হইয়া নরল-হৃদয় মহাভারতাম্বান্রে ক্ষান্ত হন। বাস্তবিক বিদযানাগর মহাশয় অনুবাদে ক্ষান্ত না হইলে, আমার অন্থবাদ হইয়! উঠিত না । তিনি কেবল অন্ববাপেচ্ছা পরিত্যাগ করিয়াই নিশ্চিন্ত হন নাই । অবকীশানুলারে আমার অনুবাদ দেখিয়া দিয়াছেন ও সময়ে সময়ে কার্যোপলক্ষে ষখন ম্বামি কলিকাতায় অন্পস্থিত থাঁকিতাম, তখন স্বয়ং আঁপিয়া আমার মুদ্রাযন্ত্রেরে ও. ভারতানুবাদের তত্বাবধারণ করিয়াছেন। ফলত: বিবিধ বিষয়ে বিদ্যানাগর মহাশয়ের নিকট পাঠ্যা- বস্থাবধি আমি যে কত প্রকারে উপকৃত হইয়াছি, তাহ] বাক্য ব। লেখনী দ্বার নির্দেশ করা যাঁয় ন11” মহাভারত অষ্টাদশ পর্ব অন্বাদের উপ- নংহার--(১৭৮৮ শক )। মহাভারত অনুবাদ করিবার পুর্বে বিদ্যাসাগর মহাশয় “বাহথদেব-চরিত” ও “বেভাল-পঞ্চ বিংশতি”, এই ছুই খানি গ্রন্থ অনুবাদ করেন। এ ছুই গ্রন্থে, অনুবাদের কৃতিত্ব দেখাইয়াছিলেন। তাহার বিস্তৃত আলোচন৷ অন্ত অধ্যায় হইবে। এই অধ্যায়ে প্রসঙ্গক্রমে মহাভারতের কথা এই- খানেই প্রকাশ করিলাম । তত্ববোধিনী সংশ্রব ত্যাগের কথাটাও এইখানে বলিয়া! রাখি। . কয়েক বৎসর পরে বিদ্যাসাগর মহাশয় তব্ববোধিনীর সম্পর্ক পরিত্যাগ করেন। তত্ববোধিনী পত্রিকার উপমুক্ত সম্পাদক অক্ষয়কুমার দত্ত, তত্ববোধিনী পত্রিকার সম্পাদ্কতা ত্যাগ করিলে, কানাইলাল পাইনের প্রস্তাবে ও বিদ্যাসাগর মহাশয়ের সমর্থনে ষম্পাৰককে বৃত্বি দিবার প্রস্তাব হয়। সেই সমক্স বাবু তত্ববোধিনীর সম্পর্ক ত্যাগ। ১৪১ দেখেক্রনাথ ঠাকুর তাহাতে এই বলিয় প্রতিবাদী হন, কেবল তত্তবোধিনী পত্রিকার আয়ে যদি বৃত্তি দেওয়া সম্ভাবিত হয়, তবে তাহা হইতে পারে ; তত্ববোধিনী সভার আম ও তত্ববোধিনী পত্রিকার আয় একত্র মিলিত করিরা তাহ! হইতে দেওয়া ক বিধি। আঁধারণ সভ্যের মতানুসীরে কিন্তু উহার বিপরীত বিদ্যালাগর মহাশব্, তত্তবোবিনী পত্রিকা হইতে অক্ষয়- ারকে 8 ক রঃ রি হার প্রধান উদ নী। ন্ট | নি 1 11075 মা দুঃখিত ও উদ্বিগ্ন নাভির ইাও বল! রিনি | রা ই গা? রি মানিক বৃত্তি শির্ারণ করিয়া দেন। দেশমান্ ও ধু ৬... হক ; পশ্চাৎ উদ্ধত হইতেছে, ; _ প্তন্থবোধিনী পত্রিকা প্রচারিত হওয়াতে, এতদেশীয জৌকপিগের ধে নানা গুরুতর উপকার লাভ হইয়াছে, ইহা বোধবিশিই বাক্তিমাত্রেই স্বীকার করিয়া থাকেল। আদ্যোপান্ত অনুধাষন করিয়া দেখিলে, শ্রীধুক্ত বাবু অক্ষয়কুমার দত্ত, এই ভত্ববোবিলী পত্রিকা স্ষঠির প্রধান উদ্যোগা এবং এই মহোপকারিণী পত্রিকার অসাধারণ স্রবদ্ধি লাভের অদ্বিতীয় কারণ বলিয়া বোধ হইবে । ভাহারই যত্বে ও পরিশ্রমে ততৃবোধিনী পত্রিকা! নর্ধত্র এক্সপ আদর-ভাজন ও সর্ব-নাধারণের এরূপ উপকার- ললাধন হইয়া উঠিয়াছে। বন্ততঃ তিনি অনন্য-মনা ও অনস্ত-কন্দা হইয়? ১৪২ বিদ্যাসাগর । কেবল তন্বুবোধিনী পত্রিকার শ্রীতৃদ্ধি-সম্পাদলেই নিয়ত নিবিষ্চিত্ত ছিলেন ! তিনি এই পত্রিকার প্রীবৃদ্ধি-সাধনে কৃতনঙ্কল্প হইয়া, অবিশ্রান্ত অত্যুৎকট গরিএম দ্বার! শরীরপাত করিয়াছেন, বলিলে বোধ হয়, অতুযুক্তি-দোষে দৃধিত হইতে হয় না। তিনি যে অতি বিষম শিরোৌরোগে আত্রীন্ত হইয়া, দীর্ঘকাল অশেষ ক্লেশ তোগ করিতেছেন, তাহা কেবল প্র অত্যুৎ্ধট মানসিক পরিশ্রমের পরিণাম, তাঁহার লন্দেহ নাই। অতএব যিনি তত্ববোধিনী পর্শিকার নিমিত্ত শরীরপাত করিয়ছেন, নেই মহোদয়কে সহশ্র ধহ্যবাদ প্রদান কর! ও তাহার প্রতি যখোচিত কৃতজ্ঞতা প্রদর্শন করা আবস্ঠক? না করিলে, তত্ববোধিনী মভাব লভাদিগের কর্তব্যানুষ্ঠানের বাতিক্রম হয়& দীবকাল ছুরন্ত-রৌগে আক্রান্ত থাকাতে, অক্ষয়কুমন বাবুর আটের সক্গোচ, ব্যয়ের বাহুল্য এবং ভনিবন্ধান অশেষ ক্লেশ ঘটিবার উপক্রম হ্ইয়] উঠিয়াছে। এ সময় কিছু অর্থ-পাহাধা করিতে পাঁরিলে, প্রকৃতননশে কৃতজ্ঞতা প্রদর্শন কর] হত, এই বিবেচনায় গত ভাঁবণ মানের দ্বাদশ দিবশীয় বিশেষ মতায় শ্রীঘুক্ত বাবু কাঁনাইলাল পাইন প্রস্তাব করেন বে, তত্ববোধিনী মভ1 হইতে কিছুকালের জন্য অক্ষয় বাবুকে নাহাা প্রদান করা যায়! তদনুসারে অদ্য সমাগত মভোরা নিপদারিভ করিলেন, মক্ষরকুমার বাবু যত দিন পর্যান্ত সুগ্থ ও স্বচ্ছন্দ শরীর ভইয়া পুনরায় পরিশ্রমক্ষম না হন, তত পিন তিনি নভা হইতে আগামী আশ্বিন মাস অবধি পদবিংশতি মুদ্রা মামিক পাইবেন। আন ইহাঁও নিপ্দারিত ভল যে, এই প্রতিজ্ঞার প্রতিলিপি অক্ষয়কুমার বাবুর নিকট প্রেরিত হয় এবং সর্বনাধারণের গোচরার্থে তত্ববোধিনী পত্রিকাঁতেও অবিকল মুত হয়।" --(তত্ববোধিনী পত্রিক1 ১৭৭১ শক, কার্তিক মান) & ৮5৭) * মুক্ত মহেন্নাথ রায় বিদ্যালিধি-প্রণীত "বাপু অক্ষয়কুমার দত্তের জীবন-ৃত্বান্ত" ২৩৩ ও ২৩৪ গৃষ্ঠা। সম্পর্ক ভ্যাগের কারণ। ১৪৩ বিদ্যাসাগর মহাশয়ের তত্ববোধিনীর সম্পর্ক ত্যাগ সম্বন্ধে নানাজনে নানাকথা বলেন। আয়র! বিশ্বস্ত-সত্রে এই কথা শুনিয়াছি শ্রীযুক্ত দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুরের সহিত অক্ষয়কুমার দত্তের মতবিরোধ উপস্থিত হওয়ায়, তত্ববোধিনীর অম্পর্ক ত্যাগ করাই অক্ষঘুকুমার দত্তের পক্ষে শ্রেয্বঃকলপ হইয়া দাড়াইয়াছিল। দেবেত্্রনাথ বাবুরও তাহ! বড় অন্ভিপ্রেত ছিল না। তবে সভার অন্তান্ত সভ্যের চেষ্টা ও উদ্যোগে অক্ষয়কুমার দত্ত পেন্মন্‌ লইয়া বিদায় গ্রহণ করেন। এ কথা আমরা উপরে বলিয়া আসিয়াছি। তত্ববোধিনীর সহিত অক্ষয়কুমার দত্তের সম্পর্ক-ভ্যাগে বিদ্যাসাগর যহাশয় ক্ষুঙ্র হইয়াছিলেন। এই জন্যই তত্ববোধিনীর প্রতি তাহার শ্রদ্ধার একটু হাস হইয়া- ছিল। ক্রমে াহিত্যের সঙ্গে ধর্দভাব. বিজড়িত দেখিয়া এবং কোন কোন বিষয়ে দেবেন্দ্রনাথ বাবুর সহিত তাহার ঠিক মতমিল হইতেছে 'না বুঝিয়্া, অক্ষয়কুমার দত্বের কিছুকাল পরেই তিনি তত্ববোধিনীর সম্পর্ক ত্যাগ করেন। ছুই জন স্বাধীন-চেতা। তেজন্বী-পুরুষের মত 'সংঘর্ষে পরিণাম এবূপ হওয়া বিচিত্র নহে। এই কারগ্ণেই কেশরচন্ত্র সেন-প্রমুখ কয়েক ব্যক্তির সহিত বান্গ-সমাজের সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন হয়। বিদ্যাসাথর মহাশয় যখন বাদায় ইংরেজি শিধিতেন, তখন হাইকোর্টের অন্ততম অনুবাদক শ্ঠায়াচরণ অরকার) রামরতন মুখোপাধ্যায়, নীলমণি মুখোপাধ্যায়, রাজকৃষ বন্যোপাধ্যায়, প্রভৃতি অনেকই তাহার নিকট সস্কৃত ক্ষ করিতেন। তাহার ১৪৪ বিদ্যালাগর | অধ্যাপনা-প্রণলী এমনই কৌশলম্ধ যে, অতি হুব্ধহ বিষয়ও অপ দিনের মধ্যে সহঙ্জে পিক্ষার্াদিগের আয়ত্ত হইত। সে শিক্ষা-প্রণাশীর কথা শুনিয়া, সংস্কৃত কলেজের তদানীন্তন পণ্ডিত'মগ্ডুলীও চমত্কৃত হইতেন। শিক্ষার্থীকে শিক্ষা দিবার জন্ত তিনি কিরূপ ঘত্ব ও পরিশ্রম করিতেন, এবং তাহার শিক্ষ। ' দিবার প্রণালীটা কিরূপ ছিল, রাজকুষ্ বাবুর সংস্কৃত শিক্ষা- তত্বটা, বিবৃত করিলেই, পাঠক তাহা বুঝিতে পারিবেন। বুঝিবেন, এই জগতে শ্রমশীল কর্মুশুরের অসাধ্য কিছুই নাই। রাঁজকষ্জ বাবু বহুবাঁজার-ন্বাসী ৬ হদঘুরাম বন্দ্যপাধ্যা যে পৌত্র। বিদ্যাসাগর মহাশয়ের বাসার সন্মুখেই ইহার বাড়ী ছিল। তখন হুহার বয়ন ১৫।১৬ বত্মর। ইনি হিন্দ কলেজে ইংরেজি পড়িয়া, এই বয়সেই পড়াশোনা ছাড়িয়া দেন। বিদ্যাসাগর মহাশয়ের সহিত ইহার আলাপ-পরিচয় হওয়াতে) ইনি প্রত্যহ সকাল-সন্ধ্যায় বিদ্যাসাগর মহাশয়ের বালাম ঘাইতেন। এক দিন তিনি দেখিলেন, বিদ্যাসাগর মহাশয়ের মধ্যম ভ্রাতা দীনবন্ধু, হর করিয়া, মেঘদৃত প়িতেছেন। হুন্দর সুর-লয়ে উচ্চারিত মেই রসপূর্ণ ও. ভাবময় গ্লোকের আবৃত্তি শ্রবণ করিয়া, রাজকৃষ্ণ বাবু বিমো-. হিত হইলেন। তখন তাহার সংস্কৃত শিখিবার বাসনা হইল। তিনি বিদ্যাসাগর মহাশয়কে আপনার অভিপ্রায় ব্যক্ত করি- লেন। বিদ্যাসাগর মহাশয়ও তাহাকে সংস্কৃত শিখাইত্ে মন্মত হইলেন। কিন্তু তিনি ভাবিতে লাগিলেন, এত রয়সে অধাপনা-গ্রণালী। ১৪৫ মুগ্ধবোধ পড়িয়া, সংস্কৃত শিথিতে গেলে, সংস্কৃত শিক্ষা তুক্বর হইবে; অধিকন্ত অনর্থক সময় ন& হইবে। বিদ্যাসাগর মহাশয় রাজকুষ্ণ বাবুকে বলেন,-“দেখ, আমি ঘখন মুগ্ধবোধ মুখস্থ করি, তখন ইহার এক বর্ণ ও বুঝিতে পারি নাই; পরে যখন অংস্কৃত সাহিত্যে অগ্রসর হইলাম, তখন ইহার অর্থ গ্রহণ করিতে সমর্থ হই। তোমাকে মুগ্ধবোধ মুখস্থ করাইয়া, সংস্কত শিখাইতে হইলে, এ বয়সে সংস্কৃত শিক্ষা দায় হইবে । অতএব তোমাকে একট! সহজ উপায়ে ব্যাকরণ শিখাইতে হইবে ।” এই বলিয়া তিনি সে দিন রাজকষ্ণ বাবুকে বিদান্» দেন। রাজকুষ্ণ বাবুকে বিদায় *দিয়া, তিনি ব্যাকরণ শিখাইবার একটা সরল পথের অন্বেষণে প্রবৃত্ত হন। প্রর দিন রাজকৃষ্খ বাবু আসিয়া দেখেন, তাহার জন্ত ব্যাকরণ শিখিবার সরল ও সহজ উপায় উপস্থিত। চারি “তা? ছুল্স্কেপ কাগ্রজে, বাঙ্গাল্রা অক্ষরে, বর্ণমালা হইতে ধাতু প্রত্যয়া্ি পর্যন্ত, মুগ্ধবোধের সারাংশ লিখিত। রাজকৃষ্ণ বাবু দেখিয়া অবাক হন। রাজকষ্ণ বাবু আমাদিগকে বলিয়।- | ছেন,--«“ইহাই উপক্রমণিকা ব্যাকরণের শুত্রপাত। উপক্রমনিক। ব্যাকরণের পূর্বাভাস এই খানেই তাহার মস্তকে প্রবেশ করে।” রাজকৃষ্ণ বাবু সেই কুল্স্কেপ কাগজে লিখিত ব্যাকরণের সারাংশ এবং তাতকালিক ব্যাপৃটষ্ট প্রেসে মুদ্রিত একখানি স্কৃত গ্রন্থ পড়িতে আরম্ভ করেন। মাস দুই তিন পড়িয়া, তিনি ব্যাকরণের আভাস কতকটা আয়ত্ত করিয়া লন। তিন. ১৩ ১৪৬ বিদ্যাসাগর । চারি মাসের পর তিনি মুগ্ধবোধ পড়িতে আরম্ভ করেল? বিদ্যাসাগর মহাশয়ের শিক্ষা দিবার প্রণালীর গুণে এবং স্বকীয় অসাধারণ অধ্যবসায়ে ও পরিশ্রমবলে রাজকৃঞ্ণ বাবু ৬ ছয় মাসের মধ্যে মুগ্ধবোধ পৃড়। সাঙ্গ করেন। পরে তিনি কাব্যাছি" পাঠে প্রবৃত্ত হন। এই সময় সংস্কৃত কলেজে “জুনিয়র? ও "সিনিয়র? পরীক্ষা প্রচলিত ছ্িল। বিদ্যসাগর মহাশয়, রাজকৃ্ণ বাবুকে “জুনিয়র” পরীক্ষা দিবার জন্য প্রস্তত হইতে বলেন। রাজকৃষ্ণ বাবুও সন্মত হন; কিন্ত বিদ্যাসাগর মহাশয় এক দিন জংস্কৃত কলেজে গিয়া শোনেন, একটা ব্রাহ্মণ-পণ্ডিত ৮ আটটী টাকা “জুনিয়র” বৃত্তি পাইতেছেন। ব্রাঙ্গণের সেই * আটটা টাকায় লেখাপড়া এবং আহারার্দি সবই নির্ভর করিত। এ সংবাদ পাইয়া, বিদ্যাসাগর মহাশয় ভাবিয়াছিলেন,--“রাজকৃষ্ণের জুনি- যর পরীক্ষা দেওয়া হইবে না; কেন স্ব, রাজকৃণ ষদি.পরীক্ষান় বৃত্তি পায়, তাহা হইলে পর বর্ষে এই ব্রাহ্মণের বৃত্তি.রোধ হইবে।” ম্বভাবসিদ্ধ পরদুঃখ-কাতর বিদ্যাসাগর, ব্রাহ্মণের অবস্থা ভাবিতে ভাবিতে বড়ই কাতর হইয়া পড়েন। তিনি . বাসায় ফিরিয়া আসিয়া, রাজকৃ্ক বাবুকে সকল কথা প্রকাশ করিয়া বলেন। রাজকৃ্ণ বাবুও “জুনিয়র” পরীক্ষা - দিবার কামনা পরিত্যাগ .করেন। ইহা! গুরুশিষ্যেরই জহ্ৃদয়তার পরিচায়ক নয়' কি? করুণা-আোতে উভয়েরই বলবতী বাসনা ভামিক্জা গেল! অতপর বিদ্যাসাগর মহীশয়, রাজকৃষণ বাবুকে অধ্যাপন'-প্রণালী। ১৪৭ “সিনিয়র”? পরীক্ষার জন্য প্রস্তত হইতে বলেম। “সিনিয়র্* পরীক্ষা! দিবার প্রস্তাব শুনিয়া রাঁজকৃষ্ণ বাবু বলেন,--“আমি কি পারিব % বিদ্যাসাগর মহাশয় বলেন,--কেন পারিবে না € তবে একটু বেশী পরিশ্রম করিতে হইবে। তুমি ঘদি প্রত্যহ আহারাদি করিয়া বেলা ৯ টার সময় আমার সহিত ফোট উলিষম কলেজে যাইতে পার, তাহা হইলে আমি তোমায় পড়াইতে পারি।” রাজকৃষ্ণ বাবু সম্মত হন। প্রত্যহ" ৯ নয় টার সম্ষ আহারাদি করিয়া রাজকৃ্ণ বাবু বিদ্যাসাগর মহাশঘ্বের সঙ্গে ফোর্ট উলিয়মব কলেজে যাইতেন। বিদ্যাসাগর মহাশয়, প্রায় বেলা ৩ তিনটা পর্ধ্যন্ত সাহেবদিগকে পড়াইতেন এবং অন্তাস্ত কাজ করিতেন। ইহার মধ্যে কোন রকমে অবকাশ পাইলেই, তিনি সাহেবের গৃহ হইতে বাহির হইয়া আসিয়া, রাজকৃঞ্ণ বাবুকে পড়াই যাইতেন। ৩ তিনটার সময় আফিসের কার্ধ্য সমাধা হইলেই, তিনি সন্ধ্যা পর্য্যস্ত ফোর্ট উলিয়মূ কলেজেই রাজকৃষ্ণ বাবুকে পড়াইতেন। পরে বাসায় ফিরিয়া, আসিয়া! উভয়ে আহারাদ্ি সমাপন করিয়া, অধ্যয়ন ও অধ্যাপনায় নিযুক্ত হইতেন'। ও সময় অন্যান্য শিক্ষাীদিগকেও শিক্ষা দিতে হইত। রাজকু্ বাধু কোন কোন দ্বিন পড়িতে পড়িতে বিদ্যামাগর মহাশয়ের বাসা দুমাইয়া৷ পড়িতেন। বিদ্যাসাগর মহাশয়, তাহাকে জাগরিত করিয়া পড়াইতেন। এইরূপ বিদ্যানাগর মহাশয়ের শিক্ষা দিবার, নুপ্রথালীতে এবং নিজের অবিচলিত অধ্যবসায়ে ১৪৮ . বিদ্যামাগর | রাজকষ্ণ বাবু ২* আড়াই বৎসরের মধ্যে ব্যাকরণ কাব্য ও স্মৃতিশাস্ত্রে শিক্ষিত হন। . | রাজকৃষ্ণ বাবুর অধ্যাপনায়, বিদ্যাসাগরের শুদ্ধ শ্রমশীলতা নহে, উদ্ভাবিনী-শক্ভিমত্তারও সম্পূর্ণ পরিচয়। সময়ের ছুনিবীক্ষ্য গতির প্রতি অন্তর্ডেদিনী দৃষ্টি সঞ্চালন করিয়া, তিনি স্বকীয় শক্তিমাহাত্্যে ছুর্জয় সিবিলিয়ানদিগকেও কিরূপ মন্তরমুগ্ধ করিয়া রাখিয়াছিলেন, পরে তাহার পরিচয় পাইবেন । ৪1৫ চারি পাঁচ বৎসরের শিক্ষা ২০ আড়াই বজসরে। কথাটা সহরময় রাষ্ট্র হইল। দলে দলে পণ্ডিতগণ, বিদ্যাসাগর ও রাজকষ্ণ বাবুকে দেখিবার জন্য আসিতে লাগিলেন। অকুত* পুর্ব অভিনব পদ্ধতি ও প্রথার প্রতিষ্ঠা এইরূপই। বিখ্যাত স্বচ, গ্রন্থকার কারলাইলের নৃতন পদ্ধতি ও প্রণালী মতে প্রবন্ধসমূহ পুস্তকাকারে * প্রকাশিত হইলে পর, ভূরি ভুরি বিজ্ঞতম বিদ্বমণ্ডলী, সুদুর স্কট্লগের পার্বত্য-প্রদেশ “ডমক্রের? ক্ষেত্রাবাসে গিয়া কারলাইলকে দেখিতে যাইতেন। আমেরিকার বিখ্যাত দার্শনিক গ্রন্থকার এমার্সন সাহেব, কেবল কার- লাইলকে দেখিয়া নগ্ন মন সার্থক করিবার জন্য স্থটলগ্ডে আসিয়াছিলেন। রা ১৮৪৩-৪৪ হষ্টান্দে বা ১২৫০-৫১ মালে রাজকৃষ্ণ বাবু, জংস্কৃত কলেজের “মিনিফ়র্‌” পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হায়! ১৫ পনর টাকা বৃত্তি পান; পরে ২ ছুই বৎসর পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হইয়া ২০ কুড়ি টাকা করিস! প্রথম শ্রেণীর বৃত্ধি প্রাপ্ত হন। আর এক বার পরীক্ষা অধ্যাপনা-প্রণালী। ১৪৯ দিবার ইচ্ছা.ছিল; কিন্তু দারুণ পরিশ্রমে তাহার স্বাস্থ্য-তঙ্গ হয়; এমন কি, তিনি মৃতকল্প হইয়ান্িলেন। শরীর শৌধরাই* বার জন্ত তাহাকে স্থানান্তরে যাইতে হয়? হুতরাং আর পরীক্ষা দেওয়া হয় নাই। অপ্তম অধ্যায়। প্রতিষ্ঠা-প্রতিপত্তি, বাঙ্গাল! চিঠি, শিক্ষা-ব্ভাগের পরিবর্তন; পিতার কাধ্য-ত্যাগ, বাসার অবস্থা) সহ্দয়ূতার পরিচয়, প্রতি্রতি-পালন, চলচ্ছক্তির প্রমাণ, বীরসিংহে কৌতুক, ছূর্বলে দয়া, মাতৃ-ভক্তি, সংস্কৃত রচনা) তেজস্থিতা, পদ্-পরিবর্তিন ও গুণগ্রাহিতা । ফোর্ট-উইলিয়মু কলেজে চাকুরী করিবার পূর্বে, পাঠ্যাব- স্থাতেও বিদ্যাসাগর মহাশয় নিজ-গুণগ্রামে শিক্ষাবিভাগের কর্তৃপক্ষের গ্রীতিপাত্র হইয়াছিলেন। তখনও তাহার অনেকটা! প্রতিষ্ঠা-প্রতিপত্তি হইয়াছিল। তাই, তিনি দর্শন- পাঠ-কালে অধ্যাপক পণ্ডিত নিমটাদ শিরোমণি মহাশয়ের মৃত্যু হওয়ায়, চে! করিয়া, পতিত জয়নারায়ণ তর্কপঞ্চানূনকে ত্পদে অধিষ্ঠিত করিতে সমর্থ হইয়াছিলেন। ফোর্ট উইলিয়ম্‌ কলেজে তাহার প্রতিপত্তি অধিকত্তর পরিবর্দিত হইয়াছিল। মার্সেল্‌ সাহেব, তাহাকে অস্তঃকরণের সহিত অদ্ধা-ভক্তি করি- তেন। বিদ্যাসাগর মহাশয়, কোন বিষয়ের জন্ত অনুরোধ করিলে, তিনি তৎসাধনে কৃতকার্ধ্য না হইয়া ক্ষান্ত হইতেন না। এই সময়, সংস্কৃত কলেজের ঢুই জন ব্যাকরণাধ্যাপকের পদ শুন্ত হয়। তখন বাবু রসময় দত্ত, কলেজের অধ্যক্ষ ছিলেন। পণ্ডিত দ্বারকানাধ বিদ্যাতুষণ এ পদের প্রার্থী গ্রাতিষ্ঠ। প্রতিপত্তি । ১৫১ হইয়াছিলেন।* ইনি আদি কলেজের পাঠ সমাপ্ত করিয়া- ছিলেন। এ পদের জন্ত কিন্তু একট| পরীক্ষা! দ্বিবার ব্যবস্থা হইয়াছিল। বিদ্যাভূষণ মহাশ্ পরীক্ষা দিয়া প্রথম হইয়া- ছিলেন। কি কারণে বলা যায় না, রসমর় দত্ত ইহাকে সেই. পদটা না দিয়া তাড়াতাড়ি পুস্তকালয্বের অধ্যক্ষ- পদে নিয়োজিত করেন। বিদ্যাসাগর মহাশয়, এ কথা মার্সে'ল্‌ সাহেবকে অবগত করেন। মার্সেল্‌ সাহেব, তদ্ানীস্তন “এডু- কেশন্‌ কৌন্সিলের” মেক্রেটরী ডাক্তার মৌয়েটকে এঁ কথ! বলেন। মৌয়েট ষাহেব, রসময় বাবুর বন্দোবস্ত বিপধ্যস্ত করিয়া দিয়া বিদ্যাভূষণ মহাশয়কে এ পদে নিযুক্ত করেন। 1 পণ্ডিতবর রামগতি ন্তায়রত্ব মহাশয়, স্বীয় “বাঙ্গালা ভাষার সাহিত্য-বিষয়ক-প্রস্তাব* নামক পুস্তকে বিদ্যাসাগর মহাশয়ের প্রতিপত্তি-সন্বন্ধে এইরূপ লিখিয়াছেন,-- “মার্শেল্‌ মাহেব বিদ্যাসাগরের সহিভ যত ঘনিষ্ঠ হইতে আরস্ত করিলেন, ততই তাহার বিদ্যা, বুদ্ধি, চরিত্র, তেজস্থিতা, উদারতা প্রভৃতি সন্দর্শনে মংপরোনাস্তি প্রীত হইতে লাগিলেন। তদবধি সকল বিষয়েই বিদ্যা নাগরের কথায় সম্পূর্ণ বিশ্বান করিতেন এবং তদীয়্ মত গ্রহণ ব্যতিরেকে প্রায় কোন কর্ম করিতেন না। এ সময়ে ডাক্তার মৌএট্‌ ম্বাহেব এডু-. * ১৭৪২ শকে বা ১৮২৭ খুষ্টাবে ইনি ২৪ পরশণার অন্তর্গত চাঙ্ড়িপোতা গ্রামে জন্ম গ্রহণ করেন ।৬ ১২ বৎনর সংস্কৃত কলেজে পড়িন্নাছিলেন। উত্তর কালে ইনি নোমপ্রকাশের নম্পাদক হন। ইঙ্ার নহিত বিদ্যাসাগর মহাশয়ের নবিশেষ সৌঁছার্দ ছিল । 1 নধধাধিকী, বাবু দ্বারকানাথ গঙ্গোপাধ্যায় কতৃক নংগৃহীত, ২২৮ পৃষ্ঠ1। ১৫২ বিদ্যাসাগর । ফেশন কৌজসিলের মেজ্জেটরী ছিলেন । ঝিরি নময়ে সময়ে নংস্কৃত বিদ্যা ও হিদ্ৃধর্সনংক্কান্ত কোন কথ। জানিবার প্রয্লোজন হইলে মার্শেল্‌ নাহেবকে জিজ্ঞাস! করিভে যাইতেন মার্শেল্‌ সাহেব, বিদ্যাসাগর স্বারা মৌএট, নাছেবের জিজ্ঞান্ত বিষয়ের মীমাংস1 করিয়া! লইতেম। এই হ্থুত্রে মোঁএট, মাহেবের নহি বিদ্যাসাগরের পরিচয় হয়। ভতদধধি তিনি বিদ্যানাগরের প্রতি অত্যন্ত সম্মান ও বিশ্বান করিতেন। ক্রমে ক্রমে ভাহার পরমাত্ীয় ও যারপরনাই হিতৈষা হইল! উঠিয়াছিলেন। মার্সেল সাহেব, বিদ্যাসাগর মহাশয়ের নিকট সংস্কৃত পড়িতেন। তিনি বেশ বাঙ্গাল! শিখিয়াছিলেন। বিদ্যাসাগর মহাশয়ের সঙ্গে বাঙ্গালায় কথাবার্তা কহিতে ভাল বাসিতেন। আবশ্যক হইলে, বিদ্যাসাগর মহাঁশক়, তাহাকে বাঙ্গালায় চিঠি" পত্র লিখিতেন। একবার তাহার বাড়ীতে আত্মীয়ের অধ ইওয়ায়, তিনি কার্ধেট উপস্থিত হইতে পারেন মাই। এ কথা তিনি বাঙ্গালায় চিঠি লিখিয়া পাঠাইয়া দেন। বিদ্যাসাগর মহাশয়ের পুত্র নারায়ণ বাবুর নিকট হইতে সেই চিঠিখানি সংগ্রহ করিয়াছি। চিঠিখানি এইখানে প্রকাশ করিলাম,-- *রীস্রীহ্র্গ শরণং। “মবিনয়নিবেদনৎ-.্ অদ্য আমার পিতৃব্যপুদ্ধের প্রাতঃকাঙ্গাবধি চারি বার ভেদ হইয়াছে ২* ড্রপ্‌ লডেনমূ দেওয়াতে আপাততঃ প্রায় এক ঘণ্টা] ভেদ বন্ধ হইয়াছে কিন্তু একেবারে নিবৃত্ত হুইয়াছে বাঙ্গ।লা-চিঠি। ১৫৩ এমত বোধ হয় না অতএব তাহার নিকটে থাকা অত্যাবশ্যক হৃতরাৎ অদ্য ধাইতে পারিলাম না ক্রুটমার্জনে আজ্ঞা হয়। কিমধিকমিতি ২৮ নবেম্বর ১৮৪৩ আজ্ঞাবর্তিনঃ ঈশ্বরচন্দ্র শর্দুর্জ; | মহামহিম-_ আমুজ্ কাণ্তা্ জি টি মার্শল মদেকাশ্রয় মহাশয় মহোদয়েযু- শরীদ চ শর্ণঃ ফোর্ট উইলিয়মকালেজ। এ পত্রের শিরোভাগে “আশুরা শরণং? লেখা আছে। ইহাঁবিশ্বাম কি অভ্যাসের ফল, ঠিক করিয়ী তাহ! বিবার উপায় নাই। উবে-তখনও বিশ্বাদের ফল বলিয়া একেবারে অবিশ্বাম করাও যাইতে পারে না। তখনও তিনি অবিমিশ্র সংস্কৃত শিক্ষার ফলভোনী। তবে ইহার পরবস্তী কালে, যখন তিনি ইংরেজি-বিদ্যায় ব্যুৎপন্ন হইয়া ইংরেজি ভাষাদর্শিত শিক্ষাপ্রণালীর পূর্ণমাত্রায় -পোষকতা করিতেছিলেন,' যখন হিন্দচিত ক্রিয়ানুষ্ঠানে বিরত ছিলেন, যখন ত্রান্ত-বিশ্বাসে হিন্দু সমাজের সংস্কার করিতেছেন বলিয়া প্রন্কুত হিন্দু সমাজের গ্রানিকর কার্ধ্যের অনুষ্ঠান করিতেছিলেন, তখনকার তাহার 'কোন. কোন চিঠিপত্রের শিরোনামায় “ীশ্রীহ্র্ণা শরণং বা *শ্ীীহরিঃ সহায়ঃ লেখা দেখা যায়। কোন সময় তিনি একবার সুকিয়াধ্রীট-নিবামী ডাক্তার চত্রমোহন ১৫৪ বিদ্যামাগর। ঘোষের বাড়ীতে বসিয়া, পাইকপাড়ার রাজবাটাতে এক পত্র লিখিয়াছিলেন। পত্র লেখা হইলে পর, চত্্রমোহন বাবু এক ধার পত্রখানি দ্রেখিতে চাহেন। ইহাতে. বিদ্যাসাগর মহাশয় ইাস্ত করিয়া! বলেন,_"তুমি যাহা ভাবিতেছ, তাহ! নহে; এই দেখ, শ্রীশ্ীহরিঃ সহায়ঃ লিখিয়াছি।”» ইহাতে মনে হয়, তিনি ঘে কারণে চাট ভুঁতা পরিতেন ) ধান-ধুতি, মোটা চাদর গায়ে দিতেন) ভট্টাচার্যের মতন মাথা! 'কামাইতেন, সেই কারণে পত্রের শিরোভাগে খ্ররূপ লিখিতেন। ইহাকে হয় তে] তিনি বাঙ্গালীর জাতীয়ত্বের একট! অঙ্গ মনে করিতেন। এ পত্রের আর একটা বিশেষত আছে। যেবিদ্যাসাগর মহাশয়ের গ্রন্থাদিতে অধুনা তরি ভুরি ইংরেজি মতামুসারী বিরাম-চিহ্রাদি দেখিতে পাওয়া যায়, এ পত্রে তাহার একটামাত্র “মাই । ফোর্ট উইলিয্বমূ কলেজে চাকুরীতে প্রবৃত্ত হইবার পরই, বিদ্যাসাগর মহাশয়কে তদানীন্তন শিক্ষা-বিভাগের একট! বিশিষ্ট পরিবর্তন দেখিতে হয়। শিক্ষা-বিভাগের সহিত তাহার মিষ্ট সম্বন্ধ সংঘটিত হইয়াছিল। শিক্ষা-বিভাগ্ের অধীন হইয়া, তম্মতানুসারে ফাহাকে শিক্ষা-প্রণালীর অনেক প্রবর্তন ও পরিবর্তন করিতে হইয়াছিল । এরূপ অবস্থায় শিক্ষা-বিভাগের কি ছিল, কি পরিবর্তন হইয়াছিল, তাহার একটা সংক্ষিপ্- বিবরণ বলিয়া] রাখা তাল। পরিবর্তনে শিক্ষাপ্রণালীর কিন্ূপ জ্ারতম্য হইয়াছিল, তাহাও কতকটা বুঝিগা রাখা উচিত। শিক্ষা-বিভাগের পরিবর্তন | ১৫৫ ইতিপূর্ব্বে শিক্ষা-বিভাগের পরিচালনা-ভার, *কমিটী অব. পব.লিক্‌ ইন্ট্রকৃশন্‌” নারী সভার হস্তে বিত্ত ছিল। এই সভা ১৮২৩ বৃষ্টাব্ধে বা ১২৩০ সালে প্রতিঠিত হয়। সভা! প্রতিষ্টিত হইবার পর, ১২ বর প্রাচ্য শিক্ষা প্রচলনকারী এবং পাশ্চাত্য- শিক্ষা-প্রবর্তন-প্রয়ামীদের মধ্যে দ্বন্দ চলিতেছিল। শেষে মেকলের মতামত-প্রতাবে প্রথমোক্ত দলের পরাভব হয়। ১৮৩৯ ষ্টাবে বা ১২৪৬ সালে তদানীস্তন গবর্ণর লর্ড অকৃলণ্ডের এই "মর্মে এক “মিনিট” প্রকাশিত হুয়,-_ইযুরোপীয় সাহিত্য, দর্শন ও বিজ্ঞান-শিক্ষা ইংরেজিতে হইবে বটে ) তবে বর্তমান প্রাচ্য ধিদ্যালয়গুলিও পুর! দমে চলিবে । ইংরেজি ছাত্রদিগ্নকে যেমন উৎসাহ দেওয়া যাইতে পারে; প্রাচ্য-বিদ্যার্থীদিগকেও সেইরূপ উৎসাহ দেওয়া হইবে; পরন্ত ইংরেজির সঙ্গে এ দেশীয় ভাষার শিক্ষা চলিবে) যে যাহা পসন্দ করে, সে তাহাই শিখিবে ।” অতঃপর “কমিটা অব. পব্‌লিক্‌ ইন্ট্রকৃশনৃ* এই শিক্ষা-প্রণালীর পর্যালোচনার প্রতি দৃষ্টি রাখিলেন। ইহার পর ইৎরেজি শিক্ষার বেগ খরতর হইয়াছিল। ইতিপুর্ব্বে ১৮৩৫ ষ্টাবে বা ১২৪২ সালে জংবাদ-পত্রের স্বাধীনতা প্রদত্ব হয়। ১৮৩৭ বৃষ্টাবে বা ১২৪৪ সালে আদালত হইতে পাগি ভাষা উঠিয়! যায়। এদেশীয় বিচার-কর্তার্দের উপর অধিকতর বিস্তৃত ভাবে কার্)ভার অর্পিত হয়। সুতরাং নৃতন শিক্ষা- প্রণালীর কার্ধ্যও প্রশস্ততর হইতে লাগিল । কমিটী, বান্ালাকে ৯ নয়টা সার্কেলে অর্থাৎ অংশে বিভক্ত করেন। প্রত্যেক ভাগে ১৬. বিদ্যানাগর | একটী করিয়া কলেজ হইয়াছিল।* প্রত্যেক ভাগের অনত্ভুত প্রত্যেক ভ্রেলায় একটী করিয়া! ইংরেজি-বাঙ্গালা স্কুল হইয়াছিল । ১৮৫২ ববষ্ঠাবধে বা ১২৫৯ সালে কমিটী, শিক্ষা-বিভাগ্ের ভার) অধিকতর শক্তিশালিনী সভা “কৌলিল অব. এডুকেশনের” উপর অর্গণ করেন। এই কৌন্সলের অধীনে বিদ্যামাগর মহা" শয়কে অনেক কার্ধ্য করিতে হইয়াছিল। পরবন্তী' ঘটনায় কৌন্সিলের কার্ধ্য-কলাপের ফল উদ্ঘাটিত ও আলোচিত ' হুইধে। : | ফোর্ট উইলিয়মূু কলেজে বিদ্যাসাগর মহাশয়ের কার্য" কালেই, ১৮৪ বৃষ্টাকে বা ১২৫১ সালে তদানীত্তন বড় লাট লর্ড হাডিঙ্জ, বাঙ্গালা ভাষ। শিক্ষার নিমিত্ত পাশ্ডতা বিদ্যালয়ের আদর্শে গঠিত বান্গাল! বিদ্যালয় স্থাপন করেন। ৪ চারি বত্সরের মধ্যে এইরূপ ১০১ এক শত একটা বিদ্যালয় প্রতিপ্রিত হইয়াছ্িল। এই সব বিদ্যালয়ের মহিতও বিদ্যামাগগর মহাশয়ের সম্পর্ক ছিল। এই সকল বিদ্যালয় বাস্কালা ভাষার প্রমার- প্রবর্তনের জন্ত হুট হয়; পরন্ত বাঙ্গালা পাঠ্যে বিজাতীয় ভাব-প্রণোদনের ষদ্পূর্ণ সহায় হইয়াছিল। সেই জন্য এই সমস্ত বিদ্যালয়ের প্রতিষ্টা কথাটা এইখানে বলিয়া রাখিলাম। * এই কমিটীর কার্ধাকালেও ১৮৩৫ খৃষ্টাব্দে বা ১২৪২ সালে হিসাব করিয়! দেখা হইয়াছিল, বাঙ্গালায় এক লক্ষ গ্রাম্য স্কুল ও পাঠশালা ছিল ১৮৫৫ খৃষ্টাব্দে বা ১২৬২ পালের পূর্বে ইহাদের উন্নতি-পক্ষে ফোন ঢচ্ট হয় নাই। পতার কধ্য-ত্যাগ | ১৫৩ ফোর্ট উইলিয়মূু কলেজের কাধ্য-কালে এক দিন পথে পিতা ঠাকুরদাসের কি একটা দুর্ঘটনা উপস্থিত হয়। কাহারও কাহারও মুখে শুনি, অশ্বের পদ্াঘাতে তিনি আহত হন; কিন্ত এ কথার সত্যতা-সত্বন্বে কেহই দায়িত্ব গ্রহণে, সম্মত নন। যাহা হউক, এই জময় বিদ্যাসাগর মহাশয়, পিতাকে কর্ম পরিত্যাগ -করিতে পরামর্শ দেন। তিনি বলেন, *বাবা! এখন তো আমি ৫০২ পঞ্চাশ টাকা পাইতেছি, দ্চ্ছন্দে ংসার চলিবে, আপনি আর কেন পরিশ্রম করেন? আপনি দেশে গিয়। থাকুন ।” বিদ্যাসাগর মহাশয়ের নিতাভ্ত অঙ্গরোৌধে পিতা ঠাকুরদাস কর্মে পরিত্যাগ করিয়া, দেশে যাইয়া বাস. করেন। বিদ্যাসাগর মহাশয়, তাহাকে মাসে মাসে ২০২ কুড়ি টাকা পাঠাইস্বা দিতেন বং বামায় ৩০২ ত্রিশ টাকা খরচ করিতেন। এই সমর বালায় রি ছুই সহোদর, ছুই জন পিতৃব্যপুত্র, ছুই জন পিস্তুতো। ভাই, এক জন মাস্তুতো ভাই এবং অনুগত ভৃত্য শীরাম নাপিত * থাকিতেন। এততদ্ব্যতীত দুই চারি জন অতিরিক্ত লোক প্রায়ই ছুই বেলা! আহার পাইভ।. বাসায় সকলকেই « বিদ্বানাপর মহাশয়ের পুত শ্রীযুক্ত লারায়ণচর্জ বন্দোপাধায় মহাশয়ের মুখে শুনিয়াছি, যখন নকিয়া প্রীটে বিদ্যানাগর মহাশয়ের বান! ছিল, তখন কতকগুলি আঁজীয়-লোক তাহার প্রাণনাশ-কল্সে ভয়ানক যড়মন্্ করিয়াছিল । তখন এই অন্নগত ভৃত্য ভ্ীরামের কল্যাণেই তিনি আত্ম- রক্ষায় মমর্থ হন। মেব্যাপার, ব্বমান কালে ধিৃত করিবার পক্ষে নান! হাধ! আছে। ৯৪ ১৫৮ বিদ্যামাগর। পর্ধ্যায়-ক্রমে রদ্ধন করিতে হইত। বিদ্যাসাগর.মহাশয়ও রদ্ষন করিতেন। তা! না করিলে কি ৩০. ত্রিশ টাকায় এত গুলি লোকের অন্ন-সংশ্থান হয়? বিদ্যাসাগরের নিকট কি শিখিবার বন্ত ছিল ও আছে, পাঠক! তাহা বুঝিতে কি এখনও বাকি রহিল? ৫*২ পঞ্চাশ টাকা বেতনভোী বাঙ্গালীর মধ্যে এরূপ কুদ্ছৃ্াধ্য ব্যবস্থা কয় জনের দেখিতে পাই ? এই সময়ে মার্সেল সাহেব, মংস্কৃত কলেজের “জুনিয়র” ও “সিনিয়ার্‌* পরীক্ষার পরীক্ষক হন। বিদ্যাসাগর মহাশয়কে সংস্কৃত প্রশ্ন প্রস্ত করিয়া সাহেবের সাহাধ্য করিতে হইত । ব্যাকরণ, কাব্য, স্মৃতি, বেদান্ত প্রভৃতি সকল প্রশ্মই তিনি নিজেই লিখিয়! দিতেন । ভাবি তাই, একটা ম'নুষ,এত কাজ কি করিয়ু! করিতেন? ভাবি, আর মুহর্তে মৃহূর্তে বিশ্বয়-বিমুঢ় হইয়া পড়ি। কিন্ত আবার যখন বিলাতের বিখ্যাত রাজনীতিজ্ক কবডেনের কথা মনে হয়৮-“আমি ঘোড়ার মতন, এক মুহূর্ত বিশ্রাম না করিয়া খাটিতেছি”; যখন ভাবি_রোমক সমাট দিজর্, আল্লপন্‌ হইতে সৈন্য সঞ্চালন করিবার সময় লাটীন অলঙ্কার" শান্তর সম্বন্ধে প্রবন্ধ শিথিয়ান্িলেন,”_-তখনই মনকে প্রবোধ দিই, শক্তিশালী শ্রমশীল ব্যক্তির ইহ-জগতে অসাধ্য কি? এই গণেই তো পশুর উপর মনুষ্যের রাজত্ব; সামান্তের উপর অসাঁমান্যের গ্রভূত্ব। মন্তিষ্ধের পরিচয় পাইলেন, এধন এই সময়ের একটু জুদয়ের পরিচয় লউন। গাঠ্যাবন্থায় যখন তিনি সামান্ত বৃত্তি গাইতেন, সহৃদয়তার পরিচয়। ১৫৯ 'তখন বিদ্যাসাগর মহাশয় তাহ! হইতেই অন্নার্থী ও বস্্ার্থাকে সাধ্যান্থুসারে অন্ন-বন্ধ্র দান করিতেন। এখন তিনি ৫০২ পঞ্চাশ টাকা বেতনভোগী। ২০২ কুড়ি টাকা দেশে পিতার নিকট পাঠাইতেন) আর ৩০২ ত্রিশ টাকা মাত্র রাখিতেন বাসা- খরচের জন্ত। উপরেই এই সংবাদ এক বার বল গিয়াছে। এই ৩+২ তিরিশ টাকার মধ্যেও তিনি বামাখরচ চালাইয়া, আবশ্তকঘন্ত সাধ্যানুসারে ভন্ন-বস্মাথী এবং গীড়িত ব্যক্তির দাহাধা করিতেন।. দৃষ্টান্ত অনেক আছে; কত বলিব? ছুই একটীর মার উল্লেখ করি! ূ ১৮৩৩ গষ্টান্সে বাঁ ১২৫০ সালে সংস্কৃত কলেজের অধ্যাপক ন্গাধর ত্বাণীশের বিস্ৃচিকা পীড়া হয়। বিদ্যাসাগর মহাশঙ সংবাদ পাইয়া, ডাক্তার দুর্গাচরণ বন্দ্যোপাধ্যায় মহাশয়কে সঙ্গে লইয়া, তর্দবাণীশ মহাশয়ের বাসায় উপস্থিত হন। ভাক্তার,, তাহার চিকিৎনা করেন এবং তিনি নিজ হস্তে মল:মৃত্র পরিষ্ক করিয়াছিলেন । ওঁধধের হৃঙ্য, বিদ্যাসাগর মহাশয় নিজে দিয়াছিলেন। কোন অনাথ দুঃস্থ লৌক গীড়িত হইলে, তিনি শ্রম গিয়া তাহার মেবা-শুশীষা করিতেন ; এবৎ তাহাকে ঝাচা- ইবাঁর জন্য নিজের ব্যয়ে সাধ্যানুমারে উষধ-পথ্য যোগাইতেন। এক বার নারিকেল-ডাঙ্গায় অধ্যাপক জয়নারায়ণ তর্কপঞ্চা- ননের ভাগিনেয় ঈশানচর্ত্র ভট্ট চার্যের ওলাউঠা হয়। বিদ্যা সাগর মহাশয় রাত্রিকালে তথায় উপস্থিত হইয়া তাহার চিকিত্সা করান। তিনি নিজের বাসা হইতে মাছুর-বিছবানা ১৬৩ বিদ্য'সাগর । লইয়া গিয়া, রোনীর শধ্যাঁর ব্যবস্থা করিয়া দেন। রাজকৃষ বাবু বলেনত_“াহাকে প্রায়ই এইরূপ করিতে হইত। তাহার মে অকৃত্রিম দয়ার কাধ্য কিসব আমার স্মরণ আছে? আর কতই বা বলিব মহাশয়, আর কতই বা শুনিবেন ? সে সব কথ! স্মরণ হইলে, সেই দয়াবতারের সেই করুণ-মূর্তি, হৃদয়ে জাগ- ক্লক হযু। তীহাঁর কথা ভাবিলে বুক ফাটি যায়; চক্ষের জল রাখিতে পারি না! আহা! তেমন দয়ালু দাতী কি আর এ জগতে দ্রেখিব % এক বার বিদ্যাসাগর মহাশয়ের বাসার সম্মুখে কোন এক- ব্যক্তির ভৃত্য, ওলাউঠ। রোগাক্রান্ত হয়। ধাহার ভৃত্য, তিনি তাহাকে হাত ধরিঘ। রাস্তায় বাহির করিয়া দেন? আহা! সে অনাথ-পীড়িতের এমন কেহই ছিল না যে, তাহার মুখে একটু জল দেন্ধ। দয়ার সাগর বিদ্যামাগর সংবাদ পাইয়া? তখনই গিয়া, সেই পীড়িত ভূত্যকে বুকে করিয়া তুলিয়া আনিয়া, আপনার শব্যাঘ্ শয়ন করাইয়া দ্েন। তাহার অবিরাম যত্ব-গুশ্রাষাঁর় এবং সুহদ-ডিকিৎ্সকের চিকিৎসায় রোশী, ২। ৪ ভুই চারি দিনের মধ্যে আরোগ্য লাভ করে। কি মায়া? কি করুণা! বিদ্যাসাগর মহাশয়, সুবিধা পাইলেই, আত্মীয় বন্ধু-বান্ধব এবং গুণবান্‌ কৃতবিদ্য লোকের চাকুরী করিয়া দিতেন। কোন কোন সময় তিনি অপরের জন্য হানি-শ্বীকার কঠিতেও কুষ্ঠিত হুইতেন না। এই সময় সংস্কত কলেজে ব্যাকরণের পপ্রথম গ্রতিশ্রতি-পালন। ১৬১ শ্রেণীর অধ্যাপকের পক শৃন্ত হয়। মার্সেল দাহেল, বিদ্যা" সাগর মহাশয়কে এ পদ গ্রহণ করিতে অনুরোধ করেন! এ পদের বেতন ৮০২ আমশী টাক! । ৫০২ পঞ্চাশ টাকার বেতন, ভোগী বিদ্যাসাগর, & পদ গ্রহণে অসন্মত ছন। তাহার কারণ এই,-- | তিনি পূর্বে তাৎ্কালিক বহু-শাস্্রাধ্যাপক তাঁরানাথ তর্দ- বাচম্পতি ধ্হাশয়কে যেরূপেই হউক কোন একটা চাকুরী করি দিব বলিয়া প্রতিশ্রুত ছিলেন ; এবং উপস্থিত পদে তর্কবাচন্গতি শ্রহাশয় উপযুক্ত ব্যক্তি বলিয়া, তাহার ধারণ! ছিল। লুযোগ পাইয়া তিনি প্রতিশ্রুতি পূর্ণ করিবার চেষ্টা পাইলেন। এই পদে তর্কবাচম্পতি মহাশয় ধাহাতে নিণুক্ত হন) তাহার জন্ত তিনি আার্সেল সাহেবকে অনুরোধ করেন । বিদ্যারত্ব মহাশয় লিখি- মাছেন,-শ্যখন সাহেব, বিদ্যাসাগর মহাশয়কে এই পদ গ্রহণ করিবার জন্ত অনুরোধ করেন, তখন তিনি বলেন, মহাশর টাকার প্রত্যাশা! করি না, আপনার অনুগ্রহ থাকিলেই, আমি চরিতার্থ হইব” বিদ্যানাগর মহাশয় যে এরূপ চাটুবাক) প্রয়োগ করিবেন, ভীহার জীবন-সমালোচনা করিলে, এব্সপ সিদ্ধান্ত করিতে সাহস হয় না। কেহ কেহ বলিতে পারেন যে) প্রকৃত প্রতিশ্রুতির কথ! বলিলে সাহেব হয় তো ভাহাকে আহ- স্কারী মনে করিবেম ; সৃতরাৎ কথা রক্ষার সম্ভাবনা! নাই বলিয়া, তিনি এইরূপ তুষ্টিকর কথ। বলিয়াছিজেন। কিন্ত বিদ্যাসাগর আত্মগোপন করিয়া, সাহেবের তুষ্টিকর কথা বলিবেন, এ কথা ১৬২, বিদ)াগাগর । বিশ্বা করিতে কাহারও প্রবৃত্তি হইবে না; আর মার্সেল, সাহেবও যে আত্মতুষ্টি-কর কথায় বিমূঢ় হইয়া পড়িবেন, এ ধারণাও আমাদের নাই। যাহা হউক, মার্সেল সাহেব, বিদ্য- সাগর মহাশষের কথায়, তর্কবাচম্পতি মহাশয়কেই উক্ত পদে নিগৃক্ত করিতে চাহেন। যে দিক্‌ দিয়াই হউক, ইহা বিদ্যাসাগর মহাশয়ের স্বার্থত্যাগের সজীব সঞ্ষেত। এক্সপ প্রলোতন পরি- ত্যাগ করিতে একটু জুদয়-বলের প্রয়োজন । জর পণ্ডিত হীানের জীবনী-পাঠে, তদানীস্তন মনন্ী রঙ্ষিনের এইরূপ" দবার্থত্যাগের পরিচয় পাওয়া যায়। রক্ষিনূকে এক বার একুটী 3 পদ দিবার 'প্রস্তাব হয়) তিনি কিন্তু হীনকে পদের পরুন্ত বিবেচনা করিস, উভ্ত পদ তাহাকেই দিবার জন্ত অনু- রোধ করেন। এব্যাপার, কেবল বিদ্যাপাগরের- স্বার্থত্যাগের পরিচয় নয়) প্রতিশ্রুতি রক্ষা করিতে, তাহাকে কিরূপ কঠোরতা জহ্থ করিতে হইয়াছিল, তাহার প্রমাণ পাইলে, পাঠক আশ্চধ্যাস্বিত হইবেন । বে স্ময় তর্কবাচণ্গতি মহাশয়কে নিষুক্ত করিবার কথ] হয়, সেই সময় তর্বাচম্পাতি মহাশয় অশ্থিকা-কাল্নায় অর্বাস্থতি করিয়া, তেজারতীর কারবার করিতেছ্িলেন; এতদ্ব্যতীত তথায় তাহার একটা টোলও ছিল। তাহাকে প্রয়োজন সোমবারে ) কথ। হয় শনিবারে ; হৃতরাৎ পত্র পাঠাইলে সময়ে পত্র পৌছি- বার সম্ভাবন! নাই; পৌছিলেও তর্কবাচস্পতি মহাশয় এ কার্য শ্বীকার করিবেন কিনা, তাহার স্থিরতা ছিল না। এই জন্ত গ্রতিশ্রতি-পালন। - ১৬৩ নিন্যাপাগর মহাশয়, সেই দিনই এক জন আত্মীয়কে সঙ্গে লইয়া কাল্নাভিমুখে যাত্র। করেন। কলিকাতা হইতে কাল্ন! প্রা ২৪। ২৫ ক্রোশ দূর। তিনি ও সেই সঙ্গী আত্মীয়, সারা-রাত পদত্রজে চলিয়া পরদিন তর্কবাচপ্পতি মহাশয়ের বাঁটাতে উপ. স্থিত, হন। তর্কবাচম্পতি ও তীাহার+ পিতাঠাকুর, বিদ্যাসাগর মহাশঘের মুখে তাহার গমন-কারণ জামিয়া চমতকৃত হইলেন এবৎ শতবার ধন্তপাদ করিলেন। প্রতিশ্তি রক্ষার জন্য বিদ্যা. সাগর অনায়াদে ও অক্রেশে এত পথ-শ্রম সহা করিয়াছেন, এ কথ। ভাবিয়া তাহার! বিস্ময়-বিহ্বলচিততে স্পষ্টাক্ষরে বলিলেন,-- “ধন্ত বিদ্যাসাগর ! তুমিই নরাকারে দেবতা।” যাহা হউক, শুনিত্বাছি, এ পরগ্রহণে তর্কবাচম্পতি মহাশয়ের কি একট! আপত্তি উপস্থিত হইফ্বাছিল। বিদ্য।সাগর মহাশয় আপত্তি খণ্ডন করিয়া, তাহাকে এ পদ গ্রহণে সম্মত করান। পরদিন তিনি আবার সেই আত্মীঘ্র সঙ্গে কলিকাতান্ব উপস্থিত হন্‌। তর্কবাচস্পতি মহাশয় সঙ্গে আমেন নাই; তাহার প্রসংশা পত্রাদি, বিদ্যাসাগর মহাশয় বয় আনিয়া মার্সেল সাহেবকে প্রদান করেন। মার্সেল, সাহেব, তর্কবাচস্পতি মহাশয়কে নিযুক্ত করিবার জন্য গবর্ণমেণ্টে অনুরোধ করেন। পরে তর্ক- বাচম্পৃতি মহাশয় কলিকাতায় আসিফ পদ প্রাপ্ত হন। বিদ্যাসাগর মহাশয়ের এ “পথ-চলার” কথাটা কবি-কল্পনাই বলিয়া যেন মনে হয় । সত্য মত্যই কিন্তু তাহার “পথ-চলা” শক্তি এমনই ছিল। তাহার “পথ-চলা”-সন্বন্ধে কত কথাই ১৬৪ বিদ্যাপাগর। শুনিয়াছি। তখন তিনি হষ্র-বলিষ্ট-কলেবর শক্তিশালী যুবক ছিলেন। উত্তর-কালে তিনি রোগ-ভগ্ন দেহে যেরূপ চলিতে পারিতেন, এক জন ভীম-কলেবর হুদৃট*দেহসম্পন্ন মুবকও তেমন চলিতে পারেন কি না, সনেহ। তাহার উত্তর কাজেও কিরূপ হাটিবার শক্তি ছিল, প্রসঙ্গ-ক্রমে তাহার এই থুানে ুই একটা দৃষ্টান্ত দিলাম, বিদ্যাসাগর মহাশয়ের দৌহিত্র শ্রীযুক্ত হুরেশচন্্র সমাজ. পতি মহাশয় আমাদিগকে বলিয়াছেন,-“এক দিন কর্ণটাডে আমি, দাদ] মহাশঘু এবং আর কয়েক জন, প্রাভদ্রমণে বহির্গত হইবরি উদৃষোগ করি। আমি বলিলাম, দ্দাদা- মহাশয় আজ আপনাকে হারাইয়া দ্িব। দেখি আপনি কেমন আমাদের অপেক্ষা হাটিয়! যাইতে পারেন দাদা মহাশ্র ঈষং হাগিয়। বলিলেন,-তাল তাহাই হইবে) এই বলিয়া আমরা মকলে হাটিতে আরম্ভ করিলাম) আমাদের সঙ্গীরা পশ্চাতে পড়িয়া থাকিলেন; আমি কেবল তাহার সঙ্গে যাইতে লাগিলাম) কিয়দূর যাইয়। দেখি, দাদা মহাশয় আমাকে পরিত্যাগ করিয়া, চটি জুতা পায়ে চু চট করিতে করিতে অনেক দূর অগ্রসর হইয়া! পড়িয়াছেন। আমি চেষ্টা করিয়াও, তাহাকে ধরিতে পারিলাম না। দাদা মহাশয় ঢূর হইতে হাসিতে হাসিতে বলিলেন, 'হারাবি না 1% আমি অবাকৃ।* বিদ্যা্াগর মহাশয়ের পুত্র শ্রীঘুক্ত নারায়ণচন্র বন্দো- চলচ্ছক্তি। ১৬৫. পাধ্যায় মহাশয় বঙ্গিয়াছেন,-“সংস্কৃত কলেজে চাকুরী করিবার সময়, এক দিন বাবার বীরদিংহ হইতে কলিকাতায় একদিনে আসিবার প্রয়োজন হয়। তিনি তাঁড়া-তাড়ি বাহির হইবার উদ্যোগ করেন। গেই সময় মদনমণ্ুল নামে এক জন-পাইক বাবাকে বলিল,-'আমি তোমার মন্গে কলিকাতায় যাইব 1 বাবা বলিলেন,তুমি আমার সঙ্গে হাটিতে গারিবে? সে ্ীকার করিল। পরে উত্র়েই হাটিতে লাগিলেন। ৪1৫ ক্রোশ পথ আসি মদনমণ্ডল দেখিল, বাবা স্তাহাকে ছাড়িয়া! ৩। ৪ রমি অগ্রসর হইয়াছ্েন। মে-হা রা রা" করিস, লাঠি ঘুরাইয়! আপনি ছু-চার পাক দরিয়া, দ্রতপদে বাবাকে ধরিবার চেষ্টা করিল) এবং ছুটিয়া গিয়া বাবাকে ধরিল। উভয়ে আবার চলিতে আর্ত করিলেন। ১০১২ ক্রোশ দরে গিয়া মদন বাবাকে বলিল,দেখ আজ আর কলিকাতায় যাওয়া হইবে না; এই চটিতে গ্বীকা যাক?" বাবা হাসিয়া বলিলেন, “আমাকে যাইতেই হইবে। তৃমি এই পর়গা লইয়া, চটিতে থাক) কাল্‌ তখন যাইও ।' মদন চটিতে রুহিয়ী গেল। বাবা কলিকাতা আমিলেন।” বিদ্যাসাগর মহাশঘু পূর্নে এক দিনেই হীঁটিয়া বাড়ী যাইতেন; এক দিনেই বাড়ী হইতে কলিকাতায় আমিতেন। বীরসিংহ গ্রাম হইতে প্রায় ১০। ১২ দশ বার ক্রোশ দরে মসাট নামক স্থানে একটা করিয়া ডাব খাইতেন মাত্র। যখন কলেজের পিন্সিপল ছিলেন, তখনও তিনি প্রায় হাটিয়া যাইতেন। ১৬৬ : বিদ্যাসাগর । এমন কি, সঙ্গীদের যোট-বোঝা ভারী হইলে, তিনি তাহাদের মোট-বোঝা কতক নিজের মস্তকে লইয়া ইাটিতেন। এক বার পথে তিনি এইরূপ অবস্থাঘ্ম যাইবার সময়, কলেজের ছুই জন্‌ দ্বারবানের সম্মুথে পতিত হন। দ্বারবানের] ত্বাহার তদবস্থা দেখিয়া, তাহার মোট লইবার চেষ্টা করে। তিনি কিন্তু তাহার্দিশ্বকে মিষ্ট কথায় বিদায় দিয়া, আপনি মোট বহিয়া চলিয়া যান। ফোর্ট উইলিয়য়ে চাকুরী করিবার সগয়, তাহার বাড়ী যাইবার যেরূপ প্রায় ভুযোগ ঘটিত, কলেজে চাকরীর অময় মেরূপ ঘটিত না। তখন তিনি প্রায়ই রাড়ী যাইতেন। বাড়ী গিয়া, প্রতিবেশীর তত লওয়া, আর্ভ-পীড়িতের শুশযা করা, অনাথ-অনাথার ছুঃখাপনোদনের চেষ্টা করা, আমোদ কৌতুক করা, তাহার কার্ধ্য ছিল। এত সমন্ধে, ছুই একটা দৃষ্টান্ত এইখানে প্রকটিত হইল। বাড়ী যাইলেই বিদ্যাসাগর মহাশয়, মধ্যে মধ্যে ভাতা পুত্র এবং অন্যান্ত আত ক্বজন সঙ্গে মধ্যাহ্থে নিমন্ত্রণ খাইতে যাইতেন। পথে কৌতুক করিবার জন্ত কোন নালা-নর্দম! দেখিলেই লাফা ইয়া পার হইতেন এবং মধ্যম ভ্রাতাকে সেই, নালা-নর্দমা পার হইবার জন্ত উপরোধ করিতেন। মধ্যম ভাতা বাহাছরী দেখাইবার জন্ত কখন কখন লাফাইতে গিয়া পড়িয়! বাইতেন। সেই সময় ছো হো! হাসির রব হইত। তিনি মধ্যম ভ্রাতাকে লইয়া এইরূপ কৌতুক প্রায়ই করিতেন। দুর্বলে দয়া । ১৬৭ এক বার তিনি বীরসিংহ গ্রাম হইতে হাটিক্া আসিতে- ছিলেন। এক মাঠের মাঝে দেখি লেন, একটী অতি বুদ্ধ কৃষক মাথায় মোট করিয়া দাড়াইয়া আছে। বিদ্যাঁসার মহাশয় জিজ্ঞাসা করিয়া জানিলেন, লোকটার বাড়ী দেখান হইতে ২।৩ দুই তিন ক্রোশ দূরে । তাহার মুবক পুত্র, তাহার মস্তকে বোঝা চাঁপাইয়! দিয়া! তাহাকে বাড়ী পাঠাইয়াছে। বৃদ্ধ এখন চলচ্ছক্তিহীন। বৃদ্ধের অবস্থ। দেখিয়া এবং পুত্রের ব্যবহারের কথা শুনিয়া, বিদ্যাসাগর মহাশয়েরও চক্ষের জলে বক্ষঃশ্থল ভাঙিয়া গেল। তিনি তৎক্ষণাৎ বুদ্ধের মস্তক হইতে জেই বোঝ আপন মস্তকে তুলিয়া লইলেন; এবং বৃদ্ধকে সঙ্গে করিয়। তাহার বাড়ী পর্যন্ত গেলেন। তিনি সেই: মোট, বুদ্ধের বাড়ীতে পৌছিযা দিয়া, আবার হা।টিয়া কলিকাতায় আসেন। এমন অনেক গল্প শুনিয়াছি, সব কথা বলিবার স্থান হইবে না। পাঠক ইহাতেই অবশ্য বুঝিক্ধাছেন, বিদ্যাসাগরের চশচ্ছক্তি কিরূপ অসামান্য । বল দেখি, মস্তি্ষ ও দেহের এরূপ শক্তিমমাহার ইহ-সংসারে অতি বিরল কি না?. আর কোন বাঙ্গালীর এমন দেখিয়াছ কি? কেবলই কি তাই? এমন অনাত্পরতা বা কর জনের আছে বল? বল, বুদ্ধি, দয়া, তিনটার একত্র সমাবেশ, বড় ভাগ্যবান না হইলে কি হয়? একাধারে যে ত্রিবেণীর ত্রিধারা। | _ ইহার উপর আবার মাতৃ-ভক্তির মন্দাকিনী-ধারা পুর্ণোস্ভাষে প্রবাহিত। এই খামে তাহারও একটু প্ররিচয় দ্িব। : ১৩৮ বিদ্যাসাগর । এই ফোর্ট উইলিয়ম কলেজে কার্ধ্য করিবীর সময়, বিদ্যা" - জাগর মহাশয়ের তৃতীয় ভ্রাতার বিবাহ-সন্বন্ধ হইয়াছিল। বীরলিংহ গ্রাম হইতে জননী পত্র লিখিয়া পাঠাইলেন,-“তুমি অতি অবশ্য আমিবে।* মাতভন্ত বিদ্যাসাগর আর স্থির থাকিতে পারিলেন না। তিনি তখন মার্ষেল সাহেবের নিকট ছুটার জন্য প্রার্থনা করেন; ছু'টা কিন্তু পাইলেন না। তখন তিনি ভাবিলেন)-“আমাকে না দেখিয়া মা মগিবেন। অত্যন্ত কৃতদ্ব আমি মাতৃ-আজ্ঞা পালন করিতে পারিলাম, না। হা ধিক! শত ধিক” সকলেই বাড়ী দিয়াছেন; বিদ্যাসাগর মহাশয় শূন্ত-প্রাণে ও উদ্রাঁস মনে, সারা রাত্রি কীদিয়া কীদিয়া কাটাইলেন। পর দিন প্রাতঃকালে তিনি প্রতিজ্ঞা করিলেন, চুটা না পাই, কর্ম পরিত্যাগ করিব। অদ্য কিন্ত বাড়ী নিশ্চিতই যাইব।” তিনি মার্সেল, সাহেবকে গিয়া বলিলেন )--ছুটা ন! দেন, কর্ম পরিত্যাগ করিলাম, ম্জুর করুন? চাকুরীর জন্য জননীর অশ্র-জল সহ করিতে পারিব* না” সাহেব স্তম্ভিত হইলেন ! ভাবিলেন,--এ কি'এ অদূত মাত ভক্তি 1” তিনি আর সবিরুক্তি না করিয়া প্রমন্নচিন্তে তখনই ছুটা মঞ্জুর করিলেন। চুটা পাইয়াই বিদ্যাসাগর মহাশয় বাসায় আদিলেন এবং বেলা ৩ তিনটার সময় ভৃত্যকে সঙ্গে লইরা যাত্রা করিলেন। আষাট মাস”আকাশ ঘনঘটায় আচ্ছন্ন,মুকরদুহঃ কড় কড় বজ্ত- ধবনি,--চকিতে বিছ্যুৎ-চমকানি--অবিরাম বাত্যা-প্রবাহিনী,-- মৃষলধারে বৃটি,-পথ ঘাট কর্দমাক্ত। বিদ্যাস্মাগর কিতেছুই মাতৃতক্তি। ১৬৯ জক্ষেপ না করিয়া, মাত-উদ্দেশে উর্ীশবামে চলিতে লাগিলেন । সন্ধ্যার সময় ভূত্য শ্রীরামের অনুরোধে, ত'হাকে দে রাতি, কষ্টরামপুরের এক দোকানে অবশ্থিতি করিতে হয়। তখনও ১২। ১৩ বার তের ক্রোশ অবশিষ্ট । পরদিন প্রত্যষে তিনি আবার চলিতে লাগিলেন। শ্রম ক্লাস্ত হইয়া পড়িয়াছিল। তাহার বাড়ী নিকটস্থ কোন গ্রামে । বিদ্যাসাগর মহাশয় তাহাকে বাড়ী যাইতে বলিলেন । শ্রীরাম কিন্ত প্রভুর বিপদা- শঙ্কায় সঙ্গ ছাড়িল না। দে ধীরে ধীরে প্রভুর পদানুদরণ করিতে লাগিল। কিয়দূর গিয়া বিদ্যাপাগর মহাশয় ক্ষুধা ও ক্লান্ত শ্ীরামকে একটা দোকানে ফলারে বসাইয়া বলি- লেন,-এআীরাম এই পয়সা লও) বাড়ী যাও।” এই কথা বলিয়া তিনি দ্রতপদে তীরবেগে চলিতে আরম্ভ করিলেন। আরাম সঙ্গ লইতে পারিল না। ক্রমে বিদ্যাসাগর মহাশয় দামোদর নদ্দের তীরে উপস্থিত হইলেন। বিষম বর্ধা্ দামোদরে খরতর একটানা তজোঁত,--ছুকুল-ভরা৮--কানে কান জল? | প্রীষ্মকালে দামোদ্রে সামান্ত-মাত্র জল থাকে; এমন কি, হাটিয়াই পার হওয়া যায়। বর্ধাকালে কিন্ত ইহা! প্রলয়ঙ্করী ংহার-মূর্তি ধারণ করে। আজ সেই দামোদর বাত্য'- বিক্ষোভিত বারিধিবৎ ভীষণ সংহার মূর্তি ধারণ করিয়াছে। বিদ্যাসাগর মহাশয় দেখিলেন,পারাপারের নৌকা অন্য. সাড়ে তাহার বন্ধু-বান্ধব, আত্মীত্ব স্বজন, পিতা, ভ্রাতা, ১৫ ১৭৩ বিদ্যাসাগর । ভগিনী, যুবতী বনিতা *-সবই আছে। আজ কিন্ত বিদ্যাসাগর ভাবিতেছেন, তাহীর কেহই নাই;-আছেন কেবল।-“জননী”। বিদ্যাসাগর বাহাজ্জান শূন্য ;_অস্তরে বাহিরে কেবল ষেই অন্নপূর্ণা মাতৃমূর্তি। অনন্ত-বিশ্ব-ব্যোম-ব্যাপিনী মাত মূর্তি । তিনি আর স্থির থাকিতে পারিলেন না। নৌক্কার অপেক্ষা না করিয়া, উচ্চকঠে 'মা) মা" বলিয়া ডাকিয়া, দ্রামোদরের জলে ঝাঁপ দিলেন। দেখিতে দেখিতে বিদ্যাপাগর সীতার দিয়া দামোদর পার হইয়া গেলেন। বিদ্যামাগর কি নিজ বলে সে হুর্ভয় দামোদর পার হইলেন? মানুষের শক্তিতে কি তাহ। কুলামণ এ ব্যাপার দেখিয়াই মনে ভয়, মাতৃতজের কাতর-ক্রন্দনে স্থির থাকিতে না পারিয়া) স্বয়ং মাতৃরপিনী মহামাঘা বিদ্যাসাগরকে বুকের ভিতর করিয়া লইয়া, সেই দুরত্ত দামোদর পার করিয়া দিয়াছিলেন। পার হইয়া বিদ্যাষাগর আবার চলিতে আরস্ত করিলেন। পথে তাহাকে দ্বাহকেশর নদ সাভতরাইযা পার হইতে হয়। মাঠের মাঝে “কুড়ান খালের নিকট সন্ধ্যা উপস্থিত হয়। এই খানে ভয়ানক দগ্যর ভয় ছিল। বিদ্যাসাগর মহাশয়, অকুঙোছয়ে মাতৃপদ ম্বরণ করিয়া চলিতে লাগিলেন । রাত্তি ৯. নয়টার, সময় ছি বাড়ীতে উপস্থিত হন। উপস্থিত হইয়া দেখেন, বর পিস তি শী সি শিসিশীপিপস্পাশীটিশিউিও পাপী পপপপাপিীপি শশী * ১৮৩৬ কি ৩৭ রি -৮১৩ কি 5৪ মালের ফাপ্ন মাসে বিদর্গু লাগর মহাশয়ের বিষাঁহ হইয়াছিল মাতৃভক্তি। ১৭১ পিবাহ করিতে ণিগ্নাছে; মাকিন্ত তরে দরজ| বন্ধ করিয়া, অনাহারে পড়িপ্না আছেন। বিদ্যালাগর মহাঁপয় এক বার উচ্চ কঠেডাকিলেন) “মা! মা! আামি এসেছি।” বিদ্যাসাগরের কর্ঠস্বর বুঝিধ়া, মা! ঘরের বাহিরে আসিয়া ক্রদন করিতে লাগিলেন। তথন মাও কাদেন, পুত্রও কাদেন । উভষেই অনাহারে ছ্িলেন। উদ্্াস-বেগের ভ্রাস হইলে পর, মাতা ও পুত্র, একত্র আহার করিতে বলেন। ব্হতর বিদেশীঘ্র-পন্থ-পাঠক, বহুতর মাতৃভক্ত বিদেশীষ পুরুষের নাম শুনিয়া থাকেন। জন্সন্‌, জেনারল্‌ ওয়াশিংটন্‌ প্রভৃতির মাতৃতক্তি, অতুলনীঘ্ব বলিয়া পরিবীর্ভিত; কিন্ধ বল- দেখি, বাঙালী বিদ্যাসাগরের এ মাতৃভক্তির তুলনা কি হয়? শুনিয়াছি, রোমক-বীর সম্রাট সিজর্‌, যখন ইংলও-বিজয়- মানসে, সাগর পার হইবার উপক্রম করেন, তখন ভয়ানক ঝাড়-বৃষ্টি উপস্থিত হইঘ়াছিল। তাহাকে জাহাজে উঠিতে অনেকেই নিষেধ করেন; কিন্ত তিনি কাহারও নিষেধ শোনেন নাই। বিদ্যাসাগর মহাশয়, ষখন দ্রামোদরে ঝাপ দ্বিবার উপক্রম করেন, তখন নিকটন্থ জন কয়েক লোক, তাহাকে পাগল ভাবিয়া, সে ছুক্ষর কাধ্যে বাধ! দেয়; বিদ্যাসাগর কোন বাধা মানেন নাই। বাহা জগতে উভয়েরই অবন্থা একরপ; অন্তর্জগতের ক্রিয়া নিশ্চিতই ভিন্ন রূপ। এক জনের বিজয়- বাসনা, অপরের মাতৃপৃজা। বল দেখি, পাঠক ! কাহার সাহস প্রশংসনীয়? এ জগতে কোন্‌ বীর ম্মরণীয় ? বিদ্যাসাগরের ১৭২ . বিদ।াসাগর । মাতৃতক্তির এই একটা মাত্র দৃষ্টাত্ত পাইলেন; পরে আরও বন্ুপ্রকার পাইবেন । বিদ্যাসাগর মহাশয়, বাল্য-রচনায় যেমন সুন্দর স্থুপাঠ্য কবিতা রচনা! করিতে পারিতেন, যৌবনেও তাহার সেইক্দপ কবিতা রচনা! করিবার শক্তি ছিল। তিনি যখন ফোর্ট উই- লিয়মু কলেজের পণ্ডিত, তখন কষ্ট-নামে এক সিবিলিয়ন্‌ সাহেব তাহাকে নিজের নামে একটী কবিতা রচনা করিতে অনুরোধ করেন। অনুরোধের বশে নিম্নজিধিত কবিতাটা রচিত হইয়াছিল,_ "ীমান্‌ রব্টকষ্টোহদ্য বিদ্যালয়মুপাগতঃ। সৌজন্পূর্ণেরালাপৈর্সিতরাৎ মামতোবয়ৎ ॥ সহি সদৃগুণগম্পন্নঃ সদাচাররতঃ সদ]। প্রন্নবদনো নিত্যৎ জীবতৃবশতং সুখী 8 কষ্ট সাহেব জন্তষ্ট হইয়া, বিদ্যাসাগর মহাশয়কে ২০০১ হুই শত টাকা পুরস্কার দিতে প্রস্তত হন। তিনি তাহ গ্রহণ না করিয়া কলেজে জম! দিতে বলেন। জাহেৰ তাহাই করেন। ষে ছাত্র, সংস্কৃত রচনায় প্রথম হইতেন, তিনি এই টাকা হইতে ৫০২ পঞ্চাশ টাকা পুরস্কার পাইতেন। ৪ চারি বৎসর ৪ চারিটী ছাত্র এই পুরস্কার পাইয়াছিলেন। ইহার নাম হইয়াছিল, "কষ্ট-পুরস্কার”? | বিদ্যাসাগর মহাশয় নিজে টাকা না লইয়া, সংস্কৃত-চঙ্টির গশুভোদেশে ৪ চারিটা স্বদেশী পণ্ডিতকে প্রকারাত্বরে এই টাক! দেওয়াইলেন। ইহা কি সংস্কৃত রচন।। ১৭১ কম মহত্ব! কথ সাহেবের দ্বিতীয় অনুরোধে বিদ্যাসাগর মহাশয় নিমুলিধিত শ্লোক রচন1 করিয়াছিলেন ;-_ “দোষৈধিনাকতঃ সর্কর্ৈঃ সর্ব্িরাসেবিতো! গুণৈঃ। কুতী সর্মান্থ বিদ্যা জীরাৎ কষ্টো মহামতিঃ ॥ দয়াদাক্ষিণ্যমাধুধ্যগাভীধ্য প্রমুখা গুণাঃ। নয়বর্স্রতে নূনত রমন্তেহস্মিন্‌ নিবন্তরমূ॥ সদাসদালাপরতেনিতাং সংপথবর্তিনঃ। সর্দলোকপ্রির়স্তান্ত সম্পদস্ত সদ! ন্থিরা ॥ অন্ত প্রশাস্তচিত্তস্ত সর্বত্র মমদর্শিনত। সর্ধধন্দপ্রীণগ্ত কীন্তিরাযুশ্চ বর্দতাম্‌ | নিদ্যাবিবেকবিনয়াদিগুণৈকুদারৈঃ | নিঃশেষলোকপরিতোষকরশ্চিরায়ু | দ্র নিরস্তখলছুব্বচনাবকাশঃ। শ্রীমান্‌ সদ। বিজফুতাৎ নু রবর্টকষ্টঃ ॥” কষ্ট সাহেব যখন এই কবিতা রচনা! করিতে অনুরোধ করেন, তখন তিনি পঞ্জাবের নিবিলিয়ান্‌ পদ হইতে চির-বিদায়ু লইয়া] বিলাত যাইবার উপকম করিতেছিলেন। অতঃপর উত্তর-চরিত, শকৃত্তলা ও মেঘদূতের সংক্ষিপ্ত টাকা ভিন্ন বিদ্যাসাগর মহাশয় এ ভাবে আর (কোন শ্লোকাদি রচন। করিয়াছিলেন কি না, তাহার বিশিষ্ট প্রমাণ নাই। তিনি ষে এ ভাবে আর সংস্কৃত গদ্য বাপদ্য রচন] করিয়াছিলেন, এমন বোৌধও হয় না। সংস্কত-রচনায় তাহার প্রবৃত্তি ছিল না। ১৭৪ বিদ্যামাগর। আধুনিক লোকে প্রকৃত বিশুদ্ধ সংস্কৃত রচনা করিতে পারে, এবিশ্বাম তাহার ছিল না। একদিন মেঘদূতের ত্বচরিত টাক! দেখিয়া, তিনি স্বীয্প দৌহিত্রের নিকট একটু হাসিয়া বলিয়া- ছিলেন)-“ওরে আমি বেশ সংস্কৃত লিখেছি তো।” ফোর্ট উইলিয়ম কলেজে অধ্যাপনার কালে বিদ্যাসাগর মহাশয় সাহেবদের পরীক্ষক হইতেন। তছৃপলক্ষে ধিদ্যারত্ব মহাশয় লিখিয়াছেন,_-*পরীক্ষায় পাস না হইলে, কোন কোন্‌ সিবিলিয়নকে দেশে ফিরিয়া যাইতে হইত। এ কারণ মার্সেল সাহেব দয়া করিয়া 8 সিবিলিয়নদের কাগজে নম্বর বাড়াইয়া দিতে বলিতেন। অধ্যক্ষের কথা না শুনিয়া বিদ্যাসাগর মহাশয়, ন্যায়ানুসারে কাধ্য করিতেন। উপরোধ করিলে খাড় বীকাইয়া বলিতেন, অন্যায় দেখিলে কাধ্য পরিত্যাগ করিব। এ কারণ জিবিলিয়ন্‌ ছাত্রগণ ও অধ্যক্ষ মার্সেল সাহেব, তাহাকে আন্তরিক ভক্তি ও শ্রদ্ধা করিতেন ।” বিদ্যাসাগর মহাশয়ের এরপন্তায়পরত্া অসভ্ভব নয়) কিন্ত রাজকৃষ্ণ বাবুর মুখে মার্সেল জাহেবের যেরূপ সদাশয়তা ও সৎসাহমিকতার কথা শুনি, তাহাতে তিনি বিদ্যাসাগরকে এরূপ প্রস্তাব করিয়াছিলেন, এ কথা হঠাৎ ত্বীকার করিতে যেন মন চাহে না। তবে স্বজাতি-প্রেমষের কথা দ্বতন্ত্র। 2 ইজওওিরযে অম অধ্যায়। বাশুদ্দেব-চরিত ও সাহিত্য-সন্ধান। ফোর্ট উইলিয়মূ কলেজে প্রবেশ করিবার পর, বিদ্যাসাগর মহাশয় কলেজের কর্তৃপক্ষ-কর্তৃক বুপৃণঠ্যু বাঙ্গাল! গদ্য.পাঠ্য পুস্তক প্রণয়ন করিবার জন্য অনুরুদ্ধ হন। সেই অনুরোধের বশবভাঁ হইয়া, তিনি “বানুদ্দেব-চরিত” নামক একখানি গ্রন্থ রচনা! করেন। প্বান্ুদেব-চরিত? আমন্ভাগবত্তের দশম স্ক্থ অবলম্বন করিয়! রচিত। “বানুদেব-চরিতে” প্রমস্তাগ্নবতের কোন কোন স্থান পরিত্যক্ত; কোন কোন শ্থবানের ভাবমাত্র গৃহীত এবং কোন কোন স্থান অবিকল অনুবাদিত। ইহা অবলম্বন বা অনুবাদ হউক; লিপি মাধুর্যে ও ভাষা-সৌন্দর্য্যে, মুল কটি সৌনধ্যেরই সম্যক সমীপবস্ভাঁ। “বানু দেব-চরিত” বাঙ্গাল গণ্য গ্রন্থের আদর্শ-স্থল। হিন্দু- সন্তানেরই ইহা প্রকৃত পাঠ্য । বাঙ্গালী হিন্দ পাঠকের দুর্ভাগ্য বলিতে হইবে, “বাস্থদেব-চরিত” ফোর্ট উইলিয়মু কলেজের কর্তৃপক্ষ কর্তৃক অনুমোদিত হয় নাই। যে “বাসুদেব-চরিতে” তগবান্‌ আকষের পূর্ণ-রহ্ত্ব প্রতিপাদদিত, তাহা ধৃষ্টান সাহেব সিবিলিয়ন কর্তৃক ঘে অননুমোদিত হইবে, তাহা আর বিচিত্র কি? “বাসুদেব-চরিতে? ভগবান শ্রাকৃষ্ণের পূর্ণ লীলা প্রকটিত; পত্রে পত্রে ছত্রে ছত্রে তগবদাবির্ভাবের পুর্ণ প্রকটন। ১৭৬ বিদ্যাসাগর | বিদ্যাসাগর মহাশয় অবশ্ত মনে করিয়াছিলেন, ইহাতে শ্রীক্ণের ত্রহ্মত্ব বিকসিত হইলেও, সংস্কৃত গ্রন্থের অন্থবাদমাত্র ভাবিয়া, সাহেব দিবিলিয়নগণ ইহাকে সাদরে উপাদেয় বার্থীল। পাঠ্য- রূপে গ্রহণ করিবেন । বন্ততঃ ইহা বিদ্যাসাগর মহাশয়ের রচিত প্রথম গ্রন্থ হইলেও, অনুবাদের গুণে, ভাষার লালিত্য- মাধু্যে, বর্ণনার বিকাশ চাতুধো এবং ভাব-সম্ভারের যথাযথ বিস্তামে, ইহা বাঙ্গাল! ভাষা-শিক্ষার্থী সাহেব সিবিলিয়নদের ষে অতি আদ্দরণীয় পাঠ্য হইয়াছিল, তাহার আর সন্দেহ নাই। ইহার পুর্বে বিশুদ্ধ ও প্রাপ্রল ভাষায় লিখিত, এমন হুন্দর বাঙ্গাল! গণ্য গ্রন্থ আার ছিল না। অনেক সংস্কৃতজ্ঞ পর্ডিতই এই ফোর্ট উইমিয়মু কলেজের পাঠাখীদের জন্য বাঙ্গাল! পাঠ্য পুস্তক রচনা করিয়াছিলেন) কিন্তু কোন পাঠ্যই এমন হুপাঠ্য হয় নাই; সুপাঠ্য কি, কদর্ধ্য ভাষার জন্য তাহার অধিকাংশই অপাঠ্য হইয়াছিল।* কেবল “ফোট উইপিয়মৃ* কলেজের পাঠ্য ৬ 24৭ . * কলিকাতার (1১উইলিয়মু কলেজ নামক যে বিদ্যালয় নংস্বাপিত ভয়, ভাহার ব্যবহারের জন্য অনেকগুলি বাঙ্গাল! পুস্তক রচিত ও মুদ্রিত তইয়াছিল। কেরি মাহে পীস্থানে মআপিয়াই বাঙ্গাল] ও ইংরেজিতে ব্যাকরণ ও অভিধান প্রস্তত করিয়াছিলেন । সেব্যাকরণ এক্ষণে ছুশ্াপ্য হইয়াছে? কিন্ত অভিধান এখন অনেক স্থলে দেখিতে পাওয়। যায়| * ক * সাহেষ ভিন্ন কয়েক জন বাঙ্গালী এ কালেজের অধ্যাপক হইয়া কয়েকখানি পুস্তক রচনা] করিয়াছিলেন । ভন্মধো বাঁমরাম বসু অতি কদর্ধ্য গদ্যে প্রতাপাদিতাচরিত নামে এক পুস্তক লেখেন এবং পঙ্িতবর সৃড়াঞ্চয় বিদ্যালক্কার প্রবোধচজিকা রচন] করেন।--বাঙ্গাল1 ভাষা ও মাহিত্য বিষয়ক প্রস্তাব ২৭৩1 ২০৪ পৃষ্ঠা। বাস্থদেব-চরিত। ১৭৭ কেন, যে সময় «বাহৃদেব-চরিত” রচিত হয়, সেই সময় এবং তাহার পুর্বে যে সকল বাঙ্গাল! গদ্য গ্রন্থ রচিত হইয়াছিল, তাহার কোন খানি ভাষ।"পারিপাটিতে, «বাভুদেব-চরিতে”র সহিত তুলনীয় হইতে পারে মী। ভাষার নমুন] স্বরূপ, “বাহদেব-চরিতে”র কিয়ুদংশ মাত্র এইখানে উদ্ধত করিলাম,-- “এক দিবস দেবধি নারদ মধুরায় আমিয়া কংসকে কহিলেন, মহারাজ ! তুমি নিশ্চিত রহিয়াছ, কোনও বিষয়ের অনুমন্ধান কর ন1; এই যাবৎ গোপী ও যাদব দেখিতেছ, ইহার দেবতা, দৈভাবধের নিমিত্ত ভূমণলে জন্ম লইয়াছে এবং শুনিয়াছি, দেবকী'র গর্ভে জন্মগ্রহণ করিয়া] নারায়ণ তোমার প্রাণসংহাঁর করিবেন, এবং তোমার পিত1 উগ্রমেন এবং অন্যান্য জ্বাতি-বান্ধবের| তোমার পক্ষ ও হিতাকাজ্জী নহেন $ অতএব, মহারাঁজ ! অতঃপর লাবধান হও, অদাপি মময় অতীত হয় নাই, প্রতিকার চিত্ত! কর। এই বলিয়া দেবসি প্রস্থান করিলেন। কংন শুনিয়া অতিশয় কুপিত হইল এবং ততক্ষণাৎ অপুত্র বস্থদেব-দেবকীকে আনাইয়া ভীহাদিগের নমক্ষে পুত্রের প্রাণনাশ করিল এবং ভীহাঁদিগকে কারাগারে নিগড়-বন্ধনে রাখিল। অনন্তর নিজ পিতা উগ্রমেলকে দুর্দীকৃত করিয়! স্বয়ং রাঁজ্য- শানন ও প্রজী পালন করিতে লাগিল এবং প্রলম্ব, বক, চাঁমুর, তৃখাবন্ত প্রভৃতি ছুবত্ত সৈন্গগণের মহিত পরামর্শ করিয়া যছুবংশীয়দের উপরি নানাপ্রকার অত্যাচার করিতে লাগিল। তাহারা প্রাণভয়ে পলাইয়া কুর, কেকয়, শা, পাথণল, বিদর্ভ, নিষধ আদি নান! দেশে প্রচ্ছন্নবেশে বাম করিতে লাগিলেন। কেহ কেহ কংসের শরণাপন্ন ও মভানুযায়ী হইক্সা মথুরাতেই অবস্থান করিলেন। চর ১ ক ৬ অনন্তর অইটম মাস পূর্ব হইলে ভাদ্র মানের কৃষ্পক্ষে অইমীর অর্ধরাত্র ১৭৮ বিদ্রানাগর। সময়ে ভগবান জিলোকনাথ দেবকীর গর্ভ হইতে আবিভূভ হইলেন। ততকালে দিক্‌ কল প্রমন্ন হইল, গগনমণলে নির্মল নক্ষাত্রম্ডল উদ্দিত হইল, গ্রামে নগরে নালা মঙ্গল-বাদ্য হইতে লাগিল । নদীতে নির্মল জল ও মঠ্োবরে কমল প্রদুল হইল। বন উপবন প্রত্ততি মধুর মধুকর- গীতে ও কোঁকিলকলকলে আমোদিত হইল? এবং শীতল সুগন্ধি মন্দ মন্দ গম্ধবহ বহিতে লাগিল। লাবুগণের আশয় ও জলাশয় সুপ্রমন্ন হইল । দেবলোকে ছন্দুভি-ধ্ননি হইতে লাগিল। সিদ্ধ চারণ কিন্নর 'গস্র্বগণ গীতি ও স্বতি করিতে লাগিল। বিদ্যাধরীগণ অপ্নরাঁদিগের শহিত নৃতা করিতে লাগিল। দেব ও দেবধিগণ হধিতমনে পুষ্পবধণ করিতে লাগিল! মেঘ মল মন্দ মন্দ গর্জন করিতে লাগিল ।” কেবল-সংস্কত-ভাষাভিজ্ঞ পণ্ডিতের রচিত বার্জালা ভাষার এ পরিপ:টা কি কম প্রশংসনীয় সংস্কতে অভিজ্ঞ হইলেই যে এরূপ বাঙ্গালা ভাব! লিখিবার শক্তি হয়, এ কথা৷ বলিতে পারি না। রাজা রামমোহন রায়, রাজা রাজেন্্রলাল মিত্র ও পাদরী কষ্ধমোহন বন্যোপাধ্যায় তো সংস্কৃত ভাষায় অল্প-বিস্তর অধি- কার লাভ করিয়াছিলেন । তাহারা বাঙ্গাল গদ্য-সাহিত্যের পুটিনাধন জন্য সামান্ত প্রা পান নাই । বাঙ্গালা ভাষার পুষ্টিসাধন-কল্সে তাহারাও কম সহায় নহেন। সেজন্য তাহারা বিদ্যাসাগর মহাশয়ের ভ্তায় চিরস্মরণীয় হইবার যোগ্য-পাত্র, সন্দেহ নাই?* তীহারাও কিন্ত বিদ্যাসাগর মহাশয়ের ন্যায়, ্পশাপীপীশীি পাশপাশি ২ সপপপালীশীশিশাীপিশাপশট শীশ্পীশদিশীশিশী। * চিরম্মবণের চিহ্ৃ-স্বরূপ এই তিন জলের প্রতিকৃতি স্থানান্তরে প্রকাশিত হইল। বাঙ্গাল! ভাষার প্রকৃষ্ট পু্টি-কর্তী বিদ্যাসাগর মহাশয়ের প্রতন্িকতিব্ নহিত ইহাদেঃও প্রতিকৃতি মতত বাঙ্গালা-পাঠকবর্গের লম্মুথে উপস্থিত থাকিলে, ভাষ]-পুগ্ি-নাধন-কলে উৎ্নাহ ও উদ্যমের উম্মেষণ। শ্রীযুক্ত রাজরুঞ্জ বদ্দ্যোপাধ্যায়। রাজ) রমখোহন রায়। সংহিত্য-সন্ধান। ১৭৯ বিশুদ্ধ ও প্রাগ্রল বাঙ্গাল! ভাষায় পুস্তক প্রণয়নে সমর্থ হন নাই। তুলনায় সমালোচনা করিবার জন্য, হাহাদেরও প্রত্যে- কের ভাষার একটু একটু নমুন। প্রকাশ করিলাম । রাজা রামমোহন রায় “পৌন্তলিকদিগের ধর্ম-প্রণালী”, “বেদান্তের অনুবাদ”) "কঠোপনিষদ্‌”, «বাজননেয়সখহিতোপ- নিষদ্‌”, “মাহুক্যোপনিষদ্‌”, “পথ্যপ্রদ্ধান” প্রভৃতি কয়েক খানি পুন্তক রচন! করিয়াছিলেন । ণপথ্যপ্রদান” হইতে ভাষার একটু নমুনা দিলাম, “বাস্থবিক ধর্ধনংহাঁরক অথচ ধর্-শংগ্রাপনাকাজশী নাম গ্রহণ পূর্ন যে প্রত্থাত্বর প্রকাশ করিয়াছেন, তাহা সযুশায়ে ছুই শত আগ্টাত্রিংশৎ পৃষ্ঠ সংথাক হয়, ভাহাতে দশ পৃষ্ঠ পরিমিত ভূমিকা গ্র্থাতছ্ছে লিখেন । এই দশ : পুষ্ঠে গণন1 কর গেল যে বাঙ্গ ও নিন্াস্চক শব্দ ভিন্ন স্পষ্ট কছুক্তি বিংশতি শব্দ হইতে অধিক আমাদের প্রতি উল্লেখ করিম্াছেন,-এইকপ । ৮১ ৯ এ 0৬৫ ও জি (০,459 জট পপর হইতে পারে । বিদ্যাসাগর মহাশয়ের পাঠীবস্থায় ১৮৩৩ খুষ্টান্দের ২৭শে মেট্টে্বর বাজা রামমোহন বায় বিলীতে ব্রিষ্টল হরে ৬১ বংলর বয়ছে মানবলীল1 নংবরণ করেন। রাজ] রাজেন্দ্রলাল মিএ ও পাদবী কৃষণমোহন বন্দোপাধায়, বিদ্যামাগরের অময়ে বাঙ্গালা নাহিতোর প্রসাৰে প্ররুত্ত ছিলেন। ইহারা উভয়ে ইংরেজীতে পারদর্শিতা লাভ করিয়াছিলেন; পরন্থ কৃ বন্দ খু্টান হইয়াছিলেন। ইহাদের বন্দাল1 ভাষার হিতৈ ষণ! প্রক্ততই প্রশংনার যোগ্য। ১৮১১ খৃষ্টান ৭৭ বংনর বয়মে রাজ! রাঁজেন্ত্ লাল মিত্র ও ১৮৮৪ খুষ্টান্দে ৮৫ বংসত্র বয়মে কৃষ্ণ বন্য মানবলীলা ঘত্বরণ করেন । রাজা রাজেন্রলাল মিত্রের মহিত বিদ্যালাগর মহাশয়ের এক লময় অনেকটা! ঘনিষ্ঠভ1 ছিল। “ওয়ার্দ্‌ ইনষ্টিটিমেনে”র কোন কাঁধ্যালোচনার পর উভয়ের মে ঘনিষ্ঠতা বিচ্ছিন্ন হয়। কৃষ্ণ বন্দ্যের সহিত্ব মৌথিক আলাপ-জীতিমাত্র ছিল। ১৮০ বিদ্য'সাগর | নমগ্র পুত্তক প্রায় হুর্বাকো পরিপুষ্ট হয়। ইহাতে এই উপলদ্ধি হইতে পারে যে দ্বেধ ও মৎসরতায় কাতর হইয়1 ধর্ন-নংহারক শাস্ত্রীয় বিবাদচ্ছিপে এইন্নপ কটুক্তি প্রয়োগ করিয়। শ্বন্তঃক৫ণের ক্ষোভ নিবারণ করিতেছেন, অন্যথা ছর্বাক্য প্রয়োগ বিন! শান্সীয় বিচার মর্বথা সম্ভব ছিল?” কষ্খমোহন বন্দ্যোপাধ্যায় “যড়্-দর্শন জংগ্রহ”) “বিদ্য।- কক্গত্রম* * প্রভৃতি পুস্তক প্রণরন ও প্রকাশ করিয়াছিলেন তাহার বিদ্যাকক্সপ্রম হইতে ভাষার একটু নমুনা দ্রিলাম,__ “এতদ্দেশের প্রাচীন ইঘ্িহান পুস্তকে অনেক অনেক নরপতি ও বীরদিগের দেবপুত্র্নপে বর্ণনা আছে, ইহাতে বোধ হয় পৃন্নকালীন লোক- দের সভ্যাপেক্ষ! অ্ুত বিবরণে অধিক আদব ছিল এবং পুরাণ লেখকের কবিতার ছন্দৌলালিতাদিব প্রতি অন্ৃরক্তা হইয়া শব্দধিস্তান করত পাক- বর্গের মলোরগ্ন পুরঃমর বিবিধ ব্যিয়ে উপদেশ করিতে প্রতিজ্ঞ করিয়া- ছিলেন, সুতরাং অবিকল ইতিবৃপ্ত লিখিয়া স্ব স্ব কল্পনাঁশক্তিকে থন্স করেন নাই | কাব্য ও মলগ্ষারের রসে রসিক হইয়া স্ব স্ব কবিত্ব ও নৈপুণা প্রফাশপুন্বীক সাধারণের মন্তোষ করিয়া উল্লিখিত শুরকীর ব্লাজাদিগের মানের গোরব করিবেন, ভাহাদিগের ইহাই বিশেষ তাংপধ্য ছিল?” _ রাজা রাজেজলাল মিত্র “বিবিধার্থ সংগ্রহ” নামক বাঙ্গালা মাসিক পত্র প্রকাশ করিযা, আপনার বিদ্যাবুদ্ধি ও গবেষণার পরিচয়ের সঙ্গে, বাঙ্গীলা1 ভাষার শ্রীবুদ্ধি-সাধনা-কামনারও পরিচয় দিয়াছেন। তাহা হইতে ভাষার একটু নমুনা দিলাম," * বিদ্যাকল্প-দ্রম কোস-গ্রন্থ; থণে খণ্ডে প্রকাশিত হইতেছিল। ইহাতে প্রথম জীবন-চত্রিত প্রকাশিত হয়! পুত্বকের এক দিকে ইংরেজি ও অন্ত দিকে তাহার বাঙ্গাল অন্বাদ আছে! বন্দা | কষ্চমোহন রি ৫01 সাহিত্য-সন্ধান। ১৮১ প্পরন্ত এতদেশীঘ্র মহাশয় জনমকল যদি একত্র হওত ঈবদনৃত্রহাৰ- জোফন করিয়া স্বদেশীয় মঙ্গলবৃদ্ধির উৎসাহ জন্মাইবার ইচ্ছা করেন, প্তাহা হইলে লাল] উপায় দ্বারা তদভিষ্ট নিদ্ধ হইতে পারে। ভত্র ভঙ স্থাবে অখবা গ্রামে গ্রামে সর্ব সাধারণের মার্বকালিক বংশপরম্পপ্পার উপকারার্থে গ্রামভেটি ও বারইয়ারির ধন অখবা তত্রত্য প্রত্যেক ব্যক্তি কিঞ্চিৎ কিপ্সি'২ মাসিক দান ত্বার এক গ্রন্থালয় স্থাপন করিলে কোন ব্যক্কির ব্যয়রেশ হইবে না, অথচ অতুল উপকার। গ্রন্থের অভাব প্রযুক্ত অনেকে নান শান্তালোচনার যোগ্য হইয়াও স্বয়ং গ্রশ্থনংগ্রহে অপারকবোধে আলনোর হস্তে পতিত হন। অনেকের ইতিহাঁন ও ভূগোলবৃত্বীস্ত অবণে ও পঠনে স্বতই ইচ্ছ! জন্মে, কিন্ত তাদৃশ গ্রন্থাদির অভতাবপ্রতুক্ত নিরর্থক ভৌতিক ও মানিক গল্পজল্পনাতে কালযাপন করেন। ,. “আমরা পলীগ্রামবাপী হনের প্রতি অমধাদ্ধিত হইকসা হূর্বাল পরামর্শ- পক্ষের উল্লেখ করিতেছি; কিন্তু তাহাই ঘে সর্ধাত্ররেই রীতি হউক এমত জামাদের অভিমন্ধি নহে। “এভদ্রপ ভদ্র ধনাঢ্য পল্লীগ্রাম জনেক আছে, যে তাহাতে প্রতিবংমতধ মিথ্যা কর্মোপলক্ষে অনেক বাক্তি শত শত টাকার বাকদ পোঁড়াইয় ক্ষণিক আমোদ করেন, মিথ! সং নির্মাণ করি। কভ শত মুন্্রা বায় করেন। এমভ কল গ্রামে এক একটি উত্তম গ্রন্থালয় ন1 থাক ভত্তদ গ্রামস্থ ব্যক্তিদিগের কি পর্যন্ত নিন্দাকর তাহ] তাহারাই বিবেচন] করিয়া দেখুন” ইহাদের গ্রন্থ হইতে অনেক সার কথার শিক্ষা লাভ হয়, সন্দেহ নাই) ভাষাও অনেকট! ব্যাকরণ-দোষাদিশুন্ত ; কিন্ত ভাষার বিশদতা ও প্রীঞ্ুলতার অভাব জন্য, তাহাদের রচন। ষে অনেকটা ছুর্বোধ হুইয়া পড়িযঘ্লাছে, তৎসন্বন্ধে কাহারও দ্বিধা থাকিতে পারে না। বাগৃ-বিন্তাসের দীর্ঘতা ও ছত্র-সমিবেশের ৯৬ ১৮২ বিদ্যামাগর | বিশৃঙ্খলতা হেতু এই সব রচনা, মনোহারিণী হইতে পারে নাই। কতকটা ইংরেজী প্রণালীর অন্ুবত্তী হওয়ায়, ইহাদের লিপি-পদ্ধতি অনেকট। জটিল হইয়া! পড়িয়াছে। এই তিন জনের মধ্যে রাজা রামমোহন রায়ের ভাষ| কিঞিত ছুর্বোধ। রাজেন্রলালের ভাষা কতকটা ভাল বটে; কিন্ত ইহা কষ্ণবন্দ্যের অপেক্ষা! দুর্বোধ । কৃষ্ণ বন্দ্যের ভাষা! কতকটা। জটিল বটে; কিন্ত অধিকতর প্রাগ্রল। কেবল বানুর্দেব- চরিতে" নহে, ইহার পরে রচিত বিদ্যাসাগর মহাশয়ের অনেক গ্রচ্থেই সংস্কৃত প্রণালীমতে দ্রীর্ঘ সমাসহুক্ত শবপ্রয়ো?, দেখিতে পাওয়া ঘাঁয়। কিন্তু ষেই সব শব্দ বা বাক্য এমনই বথাভাবে যথাস্থানে জন্নিবেশিত হইয়াছে যে, তাহা কোন্‌ রূপেই শ্রুতিকটু হুদ নাই; বরং তাহা মধুর মৃদক্গ-নিনাদব, পাঠক ও শ্রোতার কর্ণমুলে এবং হ্বদয়ের অন্তস্তলে অপুক্ধ স্থখ-সঞ্চার করিয়া থাকে । লিপি-পদ্ধতি একরূপ হইলেও, বিষয়ের জদৃতা ও গুর্ুতা অগুমারে, বিদ্যামাগর মহাশয়ের রচিত পুস্তকাবলীতে ভাষাপ্রয়োগেরও সারল্য ও গাতীধ্যের তারতম্য বনুপ্রকারেই দেখিতে পাইবে। এ জন্বন্ধে বিদ্যা- সাগরের অদুত শক্তি! বিদ্যাসাগর মহাশযের রচনায় ব্যর্থ বাক্যপ্রয়োগ অতীব বিরল। তিনি যেখানে যে বাক্যটা প্রয়োগ করিয়াছেন, মনে হয়, তাহ! তুলিয়া লইয়া তৎসম- সংজ্ঞক অন্ত বাক্য-প্রয়োগ ছুরূহ। এ শক্তির পরিচয় প্রথম হইতেই তাহার “বাস্বদেব-চরিতে”। ত্র রাজা রাজেন্ত্রলাল মি সাহিত্য-সন্ধান। ১৮৩ ফোর্ট উইল্থিযু কলেজের পু পুস্তক ব্যতীত, হাত্ুদেব- চরিত রচনা হইবার পুর্ব, অন্যান্ত অনেক মহাত্বাই বাঙ্গাল! শৃদ্য-সাহিত্ব্যের পুষ্টি-সাধন জন্য পুস্তক রচনা! করিয়াছেন । এ জন্য কেরি, মার্জমান্‌ প্রভৃতি মিশনরী বাঙ্গালীর আশীর্বাদ- পাত্র। তবে ইহারাও ষে ভাষার সম্যক পরিপাটা বা পরিপুষ্টি- সাধনে কৃতকাধ্য হন নাই, বাঙ্গালী পাঠকমাত্রেই তাহা বিদ্িত আছেন। মিশনন্ীী ভাষার একটু নমুনা এইখানে দিলাম, “প্রক বড় বিলেতে অনেক বেঙ্গের বমতি ছিল । তাহার ধারে কতক- গুলি বালক হঠাৎ খাপরা। খেলা থেলিতে লাগিল, আর জলে একজাই থাঁপব্রাবৃ্ি করিতে লাগিল? ইহাতে ক্ষীণ ও ভীত বেঙ্গেদের বড় দুঃখ হইল। শেষে সকল হইতে লাহসী এক বেঙ্গ বিল হইতে উপরে মুখ বাড়াইয়া কহিল, হে প্রিয় বালকেরা ! তোমর1 এত ত্বরাতেই কেন আপন জাতির নিষ্ঠুর স্বভাব শিক্ষহ ?” কেরি, মা মান প্রভৃতি মিশনরী ভিন্ন অনেক সিবিলিয়ন্‌ সাহেব ও বাঙ্গালী মনস্বী, সংবাদপত্র এবং পুস্তকাদি প্রকাশ করিয়া, বাঙ্গাল। ভাষার পুষ্টি-সাধনের ষথেষ্ট পরিচয় দিয়াছেন ।* গতারিরটারারাগক্ঞ্ব পক পাপা * ১৭৭৮ খুষান্দে হাঁলহেড, নামক এক সিবিলিয়ামু াহেব বঙ্গভাঁষায় এক ব্যাকরণ প্রকাশ করেন। তখন মুদ্রাযন্ত্র ছিল ন1। চার্লম্‌ উইলকিন্স নামক হাঁলহেড সাহেবের এক বন্ধু ম্বহস্তে ্ষুদিয়! ঢালিয়! এক সাঁট বাঙ্গাল! অক্ষর প্রস্তুত করেনশ। এই অক্ষরে হাঁলহ্ডে সাহেবের ব্যাকরণ মুদ্রিত হয়। ১৮১৩ থুষ্টান্সে লড কর্ণওয়ালিস্‌ বাহাছুর যে সকল আইন মংগৃহীত করেন, ফরষ্টর নামক এক নাতেব তাহা বাক্সালাতে অনুবার্দ করেন। ১৮১৯ খৃষ্টান্দে মানশন্‌, ওয়ার্ড প্রভৃতি মিলনরী শ্রীরামপুরে আগিয়া অবস্থিতি করেন। ইহারা আরামপুরে একটা মুস্রাধন্ত্র স্থাপন করিয়া! ১৮৪ বিদ্যাসাগর । স্থানাস্তরে যথাগ্রসঙ্গে সংবাদপত্রের আলোচনা! করিব। এখানে বাঙ্গালা ভাষার পুষ্টি-পরিচায়ক কয়েকখানি পুস্তকের উল্লেখ করিবমাত্র। এতছুল্লেখে বিদ্যাসাগর মহাশয়ের রচনা-প্রকৃষ্টতা ও বাঙ্গালা ভাষার চরম পু্িকারিতা কতক উপলব্ধ হুইবে। প্রকৃত বাঙ্গালা গদ্য-সাহিত্যের স্গ্ি-কাল নির্ণয় কর! ছুরহ। তবে আমরা প্রায় তিন শত বৎসরের পূর্বে লিখিত যে গণ্য" সাহিত্যের পুঁধি দেখিয়াছি, তাহার আলোচনা করিলে প্রতীত হয়, প্রকৃত গদ্য-সাহিত্যের সি ইহার বহুপূর্বে।* ইহার ভাষা তেজোময়ী ও প্রাণময়ী না হউক, ইহার গঠন-প্রকারে মনে হয়, প্রকৃত গদ্য-সাহিত্য হুগ্টির কাল নির্ণয় ছুক্ধর। এইখানে ভাষার একটু নমুনা দ্িলাম,__- "তাহার রূপ কি। স্বরূপ প্রকৃতিতে জড়িত | বাঁহজ্ঞান রহিত। ভেং নিত্য চৈতন্য | তাহাকে জানিব কেমনে । তেঁহ আপনাকে আপনি জানান। যেজন চেতন নেই চৈতন্স। অতএব স্বরূপ রূপ একবস্তব হয়। বর্তমান অনুমান এই ছুইরূপ।* * & | তাহার নামকি। নপ্ত স্বর্গ মণ্ত পাতাল কি কি। ভূলোক ভবলোক স্থরলোক মহোলোক দেবনাগর বাঙ্গালা প্রভৃতি নান! অক্ষর প্রস্তত করেন এবং সংস্কৃত, বাঙ্গাল, হিন্দি, উড়িয়া প্রভৃতি নান1 ভাষায় বাইবেল শ্গুবাদিত করিয়1 এ ষন্ে মুদ্রিত করিতে লাগিলেন | কৃত্তিবামী রামায়ণ, কাশীদাসী মহাভারত প্রভৃতি বাঙ্গালার প্রাচীন প্রাচীন গ্রন্থ নকলও উহাতে মুত্রিত হইতে লাগিল ।--বাঙ্গাল। ভাষা ও সাহিত্য-বিষয্নক প্রস্তাব, ২০৩ পৃষ্ঠ1। * এই পু'ধি কলিকাতা বিশ্বকোষ কার্য্যালয়ে আছে, ইতিপূর্বে এ পু'খির কথ! উল্লিখিভ হইয়াছে, তখন এ পূ'থি আমাদের হস্তগত হয় নাই। সাহিত্য-সন্ধান। ১৮১ ইয়াট্‌দ্‌ সাহেব জীবিত থাকিলে, তাহার মনের এ ক্রেশ একে" বারে না হউক, কতকটা দূরীকৃত হইতে পারিত, সন্দেহ নাই। ভাষার পুষ্টিতত্বনির্ণয় করিতে হইলে, প্রাচীনতম সাহিত্যের আলোচন। কর! কর্তব্য ) অন্ততঃ বিদ্যাসাগর বিরচিত বাসুদেব চরিতের ভাষা বুঝাইতেও তাহার প্রয়োজন ; কিন্ত এখানে সে সম্বন্ধে আলোচনার স্থানাভাব; এতৎসম্বন্ধে বিস্তৃত আলোচনা পাঠকের বিরক্তিকর হইবার সম্ভাবনা । তবে কতকটা কৌতুহল নিবৃত্তির জন্য কয়েকখানি পুস্তকের উল্লেখ করিলাম । প্রথমে “তোতা-ইতিহাসে”র উল্লেখ করা উচিত। এখানি “তোতা-কাহানী” নামক উর্দূ পুস্তকের অনুবাদ । হিন্দীতেও “গুকবাহাত্তরী” নামক এইরূপ একখানি পুস্তক আছে। তোতা অর্থাৎ শুকপক্ষীর মুখে গল্পচ্ছলে কয়েকটা প্রসঙ্গ । ইহার লিপি- প্রণালী বিশুদ্ধ নয়; ভাধাও গ্রাম্য-দোষ-বর্জিত নয়; স্থানে স্থানে বিজাতীয় ভাব-ব্যক্তিরও অভাব নাই; সংস্কৃত শবের সঙ্গে অযথা! গ্রাম্যবাক্য প্রয়োগে অনেক স্থানে শ্রুতিকটু হইয়াছে। তবে শব প্রয়োগ সরল ও সহজ । একটু নমুন1 দিলা ম,_- 'পূর্বকালে ধনবানদের মধ্যে আম্দ-স্ুলতাঁন দামে এক জন ছিলেন; তাহার প্রচুর ধন ও প্রশ্র্যা এবং বিস্তর সৈল্য-মামন্ত ছিল; একমহত্র অশ্ব পর্চশত হস্তী নবশত উদ্রী ভারের নহিত ভাহার দ্বারে হাজির থাকিত | কিন্ত তাহার নন্তাননন্ততি ছিল ন!। এই কারণ তিনি দিবারাত্রি ও প্রাতে ও সন্ধ্যাতে ঈশ্বরপূজকদের নিকট গমন করিয়া সেবার দ্বার সন্তা- ১৯৩ বিদ্যাসাগর । নের বর প্রার্থন|! করিতেন । কতক দিবন পরে ভগবান স্বগ্টিকর্ত। সুর্যের হ্যায় বদন চন্দ্রের হ্বায় কপাল অতি সুন্দর এক পুত্র তাহাকে দিলেন। আমদ সুলতান এ সন্তান পাইয়! বড় প্রফুলিতচিত্ত পুষ্পবৎ বিকসিত হইয়া] সেই নগরস্থ প্রধান লোক আর মন্ত্রী ও পর্চিত এবং শিক্ষাঞ্তর আর ফকির- দিগকে আছ্বানপূর্ধবক আনয়ন করিয়া! ব্যুলা খেলাও বন্ত্রীদি দিলেন। যখন মেই বালকের সপ্তম বদর বয়ঃক্রম হইল তখন আমদ সুলতান্‌ একঞন বিদ্বান লোকের স্থানে পড়িবার জন্যে মেই পুত্রকে সমর্পণ করিলেন। কতক দিবমেতে মেই বালক আরবী ও পারলী শাস্ত্রের লমুদয় পুস্তক পড়িয়া মাপ্ত করিয়া রাজমভাব ধারামতে কথোপকথন আর বসন উঠন শিক্ষা করিলেন। "তার পর রাজার আর মভাঙ্থ লোকদের পননদেতে ই হলেন |? “তোতা ইতি খাস” কাহার লিখিত, তাহা জানিতে পারা যায় নাই) তবে যে ইহা এদেশীয় লোকের লিখিত, ইয়াটুস সাহেব তাহার স্পষ্ট পরিচয় দিয়াছ্ছেন। এদেশীয়ের লিখিত হইলেও, ইহার বাঞ্জালা কতকটা পাদরীদের বাজালার মতন । ১৮০২ স্বষ্টাব্ধের রামরাম বন্ুর লিখিত “লিপি মালা" প্রকাশিত হয়। পত্রের উত্তর-প্রত্যুত্বরচ্ছলে সকল প্রবন্ধই লিখিত। লিখন'প্রণালী প্রায়ই পুর্ষোক্তরূপ। তবে অপেক্ষা- কৃত মার্জিত ; কিন্তু ভাষা জটিল। নমুনা এই,__ “তোমাদিগের মঙ্গলাি সমাচার অনেক দিবস পাই মাই, তাহাতেই তাবিত আছি; সমাচার বিশেষন্ূপ লিখিবা। চিরকাল হইল ভোমার থুল্লতাত গল্গ1! পৃথিবীতে আগমন হেতু নমাচার প্রশ্ন করিয়াছিলেন, তখন তাহার বিশেষণ প্রাপ্ত হইতে পারেন নাই ।” | সাহিত্য-সন্ধান। ১৯১ ১৮০৪ খৃষ্টান্সে "্রাজাবলী” নামে গ্রন্থ প্রকাশিত হয়। কতকগুলি হিন্দু ও মুপলমান রাজার সংক্ষিপ্ত বিবরণ লইয়া ইহা] লিখিত। ইহার ভাষা কতকট1 পুষ্টতর বটে; কিন্ত দুরান্বপ্তাপ্রযুক্ত শ্রুতি-কঠোর | নমুনা, “শকাদিত্য পাহাড়ী রাজার অধর্্ম ব্যবহার শুনিক্া। উজ্জয়িনীর রাজ। শিক্রমাদিতায দসন্তৈ দিলীতে আনিয়া শকাদিত্য রাজার নহিত যুদ্ধ ক্রয়! তাহাকে যুদ্ধে জয় করিয়া আপনি দিলীত্বে সন্জাট হইলেন। * * * এক দিবন ধাররাজ বিক্রমাদিত্যকে ও তত ইরিকে আপদ নিকটে খালাইয়। উপদেশ করিতে লাগিলেন, অরে বাছারা, বিধাহীয় যে মহৃয্য নে গ": অভএব্‌ নান! শাস্তজ্ঞ পঞ্চিতপিগকে যত্বেতে প্রদন্ন কি এস পণতাদের জখুধাৎ, আপনার হিত নিয় ও বেশ ও ব্যাকরণাদি বেদাঙ্গ ও স্তর ও জান- শাস্ত্র ও নীতিশান্্র ও ধনুর্দোদ ও গ্্থব্ববিদাণ ও লানাবিধ শিরিবিদা! উত্তম- রূপে অধায়ন কর? এই শকল বিদযাতে বিলক্ষণ বিচক্ষণ হও; ক্ষণমাত বৃথা কালক্ষেপ করিও না ও হস্তি অশ্ব রথারোহণেতে সুচ হও ও নিত্য ব্যায়াম কর, ও লক্ষেতে ও উল্লশ্ষেতে ও ধাবনেতে ও গড়চক্রভেদেতে ও বযহরচনাতে ও বাহভঙ্গেতে নিপুণ হও ।” মৃত্যুগ্যয় শর্মার লিখিত বত্রিশসিংহাসনও এই জময়ে কতকট। এই প্রণালীতে লিধিত হয়। ইহার ভাষা “তোতা! ইতিহাস” ও “লিপি-মালা” অপেক্ষা অনেকটা ভাল। তবে কষ্ট-কলিত ; হুতরাৎ রঙ্গ-মাধুধ্যের অভীব। নমুনা “এক দিবস রাজ! অবস্তীগুতীতে মভ1 মধ্য দিব্য নিংহামনে বলিয়া ছেল, ইতোমধ্যে এক দরিদ্র পুরুষ আঁপিয়! রাজার সম্মুখে উপস্থিত হইল, কথ1 কিছু কহিল ন1। তাহাকে দেখিয়া রাজ| মনের মধ্যে বিচার করিলেন, ১৯২ বিদ্যাসাগর । বে লোক যাড্র। করিতে উপস্থিত হয়, ভাঁহাঁর মরণ কালে যেমন শরীরের কম্প হয় এবং মুখ হইত্বে কথা নির্গত হয় না, ইহারও সেই মত দেখিতেছি, অতএব বুঝিলাম, ইনি যা করিতে আমিয়াছেন, কহিতে পারেন ন11” ইনার পর রাজীবলোচন মুখোপাধ্যাপ্ন কর্তৃক প্রণীত মহারাজ কৃষ্ণচন্ত্র রায়ের চরিত্র উল্লেখযোগ্য । ইহা ১৮০৮ হৃষ্টাবে প্রথমে আ্রীরামপুরে ও পরে ১৮১৮ ধৃষ্টাে লণ্ডনে মুদ্রিত হয়। বাঙ্গালা ভাষায় বাঙ্গালা জীবনী বোধ হয় ইহাই প্রথম । ইহার ভাষা সরল ও সহজ; পরন্ত ইহাতে অধিকতর পুষ্টিরও পরিচয়; কিন্ত শব্দ-লালিত্যের বড়ই অসন্ভাব। নমুনা এই)--- “তাহাতে পাত্র নিবেদন করিলেন, মহারাজ, আমরা পুরুষানুক্ষমে এ রাঁজোর পাত্র, কিন্তু স্বগাঁয় মহারাজার1 আর আর প্রকার সুখ্াভি করিয়াছেন, যজ্ঞ কেহ করেন নাই । মহারাজ এই বাক্য শ্রবণ করিয়া] পাত্রকে কহিলেন, আমি অতি বৃহৎ যজ্ঞ করিব, তুমি আয়োজন কর; ইহার পর এবং বিদ্যামাগর মহাশয়ের “বাহৃদেব-চরিত” প্রকাশিত হইবার পুর্বে, রামজয় তর্কালঙ্কারপ্রণীত *সাৎখ্য- তাষা-সংগ্রহ”, লক্ষমীনারায়ণ স্থায়ালঙ্কার প্রণীত “মিতাক্ষরা- দর্পণ*, কাশীনাথ তর্কপঞ্চাননপ্রণীত "ন্তায়-দর্শন,? "পুরুষ- পরীক্ষা “হিতভোপদেেশ, “জ্ঞান-চন্রিকা,? “প্রবোধ-চক্ত্রিকা» প্রভৃতি পুস্তক প্রকাশিত হয়। ইহার মধ্যে "পুকষ-পরীক্ষা। “হিতোপদেশ” “প্রবোধ-চশ্রিকা,” প্রভৃতি ফোর্ট উইলিয়ুমৃ কলেজের পাঠ্য ছিল।* এই কর়খানি পুস্তক প্রায় এক * এই নব পুস্তক মুদ্রিত হয়। অনেক অমুিত হন্ত্লিখিত পুত্তকও খাহিত্য-সন্ধান। ১৯৩ প্রধালীডে ন্িধিত। তবে ইহাদের তায! পূর্ববোক্ক পুস্তকের ভাষা অপেক্ষা পুষ্টতর। লিপি-পদ্ধতি বিশুদ্ধতর। সংস্কৃত” শক-প্রয়োগ বহুল। বাক্যাড়ম্বর ও দূরান্বমূতা হেতু ইহা জটল, নীরস সন্ধি-প্রয়োগ-দোষে শ্ুতি-কঠোর। শুতিতুধ- কারিতার জন্তই তো! সন্ধি-নিযুম। সকল পুস্তবের ভা।-নমুন। উদ্ধার করিবার স্থান হুইবে না। পুকুষ-পরীক্ষা হইতে একটু নমুনা দিলাম, | প্ব্চক কহিতেছে, ভে রাজধুমার আমি ম্বাতাবিক লুক্ধ বণিকৃ ভোমার ধন লইয়! বাশিজ্যার্থে বৃহন্গৌকারোহণ করিয়া লাগর-পারে গিয়াছিলাম। মেখানে ভীত বদ্ত বিক্রয় করিয়া মুল ধন হইতে একশত গণ লাভ পাইয়! তথ| হইতে আমিতে মমুত্রের তটের নিকটে আমার বৃহস্করণী মগ্ন হইল, “ভাহাতেই আমার নকল ধন নষ্ট হইল, এখন প্রাণমাত্রাবশি্ হই] আনিক্লাছি। সে যাহা হউক, আমি পূর্ে তোমার নিকট অপরাধ করিয়াছি, ভন্নিমিত্ব তুমি আমার প্রাণদগড কর।" এখানে আর একখানি পুম্বক উল্লেখযোগ্য । এ খানি জন্সন্কৃত “রসলাসে”র অনুবাদ্দ। ১৮৩৩ প্বষ্টান্দে মহারাজ কালীকৃষ্ণ বাহাছুর কতৃক অন্ববাদিত ও প্রকাশিত হয়। ইহার ভাষা জটিল;--শবাালস্কারপূর্ণ। ভাষা অশুদ্ধ নহে; তবে ব্যাকরণ ও অলঙ্কারের অসামঞ্জস্ত এবং অন্বয়ের দোষ আছে। সেই জন্য জটিল। নমুন1 এই,_ সপ শিশপিপিপাপিসপিপ পাঠ ছিল। আমর! হস্তপিখিত ভগবদ্ীতার একখানি পাখুলিপি দেখি- যাছি। ইহা পদ্যে অন্ুবাদিত। ১৭ ১৯৫ বিদ্যাসাগর “ইমলাঁক উত্তর করিলেন, সুখ দুঃখের কারণ নানাহিপ এবং অনিশ্চিত। আর মদ1 পরম্পর ক্লান্ত এবং নানানন্বন্ধে চিত্রষিচিত্র ও অপূর্বা নানাঁ- ঘটনাঁধীন হয়। অতএব যিনি আপনাবস্থাকে অতি নির্বিবাদে নির্ধারিত করেন, তিনি অধশ্ঠু জীবিভ থাকিয়া, বিবেচনায় ও অনৃমন্ধানে পঞ প্রাপ্ হইবেন।” ভাষার ঘে নমুনা! দিলাম, ইহাতে ১৮৭ ব্াষ্টাৰের প্রারস্ত হইতে ১৮৪৯ বৃষ্টাব পধ্যত্ত বাজালা গদ্যের যে কয়টা ভ্রুয় হইয়াছে, পাঠক, তাহার কতক অবশ্ত আতাম পাইলেন। প্রথম ক্রম।পাদগীদের লেখ।। দ্বিতীয় ক্রম,-এদেশীয় লেখকদের লিখিত “তোতা-ইতিহাস,” “লিপি-মালী,” "রাজাবলী,” “কুফচন্ত্র রায়ের চরিত্র” “বত্রিশ ফিংহাসন?? প্রভৃতি; তৃতীয় ক্রম-_ ফোর্ট উইলিয়মু কলেজের পাঠ্য পুস্থক)_ “পুরুষ-পণীক্ষা,” “হিতোপদেশ” প্রভৃতি। তিনটা ক্রমেই পুষ্টতরতার পরিচয়। এখন পাঠক বুঝুন, প্বাজদ্রেব-চরিতের” ভাষা আরও কত ুষ্টভর। ইহার প্রণালী-পথ সম্পূর্ণ নৃততন। এমন বিশুদ্ধ ও হ্বধবোধ তাষা পুর্কো কোন গ্রন্থেরই ছিল কি? বিদ্যা, সাগর মহাশয়ের ভাষার সরলতা ও হুখবোধতার প্রমাণ-গ্বরূপ পণ্ডিত রামগতি ন্তায়রত্ব মহাশয় একটা রহস্ত-জনক টান দিয়াছেন,. এক সময়ে কৃষ্ণনগর রাজবাটাতে স্থানীয় কোন বিষয়ের বিচার হয়। সিদ্ধান্ত স্থির হইলে এক জন গণ্তিত তা হা বাঙ্গালা লেধেন। সেই রচনা শবণ করিয়া এক জন অধ্যাপক অবস্ঞ! সাহিত্য-সন্ধান। ১৯৫ প্রদর্শনপূর্ধক কহিয়াছিলেন,-এ কি হধেছে $ এ যে বিন্যা- সাগরী বাঙ্গালা হয়েছে । এ ষে অনায়াসে বোঝা! যায় ।” ভাষ-পুষ্টিকারিত্বেরে কৃতিত্ব বিদ্যাসাগরের অন্থবাধেই আরম্ত। বিলাতের জন্সন্‌, মিষ্টনূ, স্কট কার্লাইল্‌ প্রতি প্রায় সকল প্রতিপত্তিণাশী লেখককে প্রথম প্রথম অনুবাদেই হাত পাকাঁইতে হইয়াছিল। অনুবাদ হউক, “বাস্থদেব-চরিতে” উদ্ভাবন শক্তির পরিচয় আছে। প্রার্ন ও বিশুদ্ধ বাঙ্গালায়, কিজ্পে অবিকল হুন্দর অনুবাদ করিতে হু, বিদ্যাসাগর মহা শয় তাহার পথ দেখাইলেন। তবে “বাহুদেব-চরিতেশ্র অনু- বারের ভাষা ও লিপিভঙ্গী অপেক্ষা, তাহার পরবর্তী অনু- বাদ ও প্রবান্ধার্দির লিপিভন্গী যে অধিকতর পরিমার্জিত ও বিশুদ্ধীকৃত হইয়াছে, ততৎ্পক্ষে সন্দেহ নাই। “০8৪9 $০ £1551075 (ভয়েজ টু আবিদিনিয়া) নামক গ্রন্থের জন্সন্‌ সব্বপ্রথম যে গদ্যান্ুধাদ করিয়াছিলেন, তাহার জিপি-পদ্ধতির সহিত, ততকৃত পরবস্তাঁ পুস্তাকাদ্ির লিপি-পদ্ধতির তুলন। করিলে যেমন তারতম্য অনুভূত হয়, বিদ্যাসাগর মহাশছের পরবতী গ্রন্থাদির লিপি-পদ্ধতির সহিত এ অনুবাদের লিপি- পদ্ধতির তুলন! করিলে তেমনই তারতম্য বোধ হইবে। বঙ্গভাষ! যতই উন্নতি ও শ্রীনৃদ্ধি হউক, বন্ববাসীকে বিদ্যা- সাগর মহাশয়ের নিকট চিরখণী থাকিতে হইবে। তাহার লিপি-ভন্গী ও বাগ-বিন্যাম-চাতুরী যেন “নিতুই নব।” অবিকল অনুবাদ হইয়াছে; কিন্তু ভাব-তন্গ আদ হয় নাই। ১৯৬ ... বিদ্যাসাগর | ্বল্পাক্ষরে যিনি বহু ভাব প্রকাশ করিতে পারেন, তিনি শক্তি- শালী লেখক বলিয়। পরিচিত । তাব-পূর্ণ সংযমিত শব-প্রয়োগে ধিনি নিপুণ, তিনি স-জেখক নামে প্রতিষটিত। বিদ্যাসাগর মহাশয়ের এ প্রতিষ্ঠা ঘে আছে, তাহা তাহার পরবস্তাঁ “বিধবাঁ- বিবাহ” ও “বহুবিবাহ” সম্বন্ধে পুস্তক এবং ভন্যান্ত অনুবাদিত ও সঙ্কলিত পুস্তকাবলীর মুখবন্ধ, প্রস্তাবন! প্রভৃতি পাঠ করিলে সহজে উপল হয়। অনুবাদে এবং লিপিচাতুধ্যে অক্ষয়কুমার দত্তেরও কৃতিত্ কম নহে। ভাষার পরিশুদ্ধি ও সুপদ্ধতি সম্বন্ধে অক্ষয়কুমার বিদ্যাসাগরের সমকক্ষ । তবে বিদ্যাসাগরের স্যায় অক্ষয়কুমারের ভাষায় বৈচিত্র্য নাই। বিদ্যাসাগরের ভাষা একসুরে কাধা কিন্তু রাপালাপের বৈচিত্র্য বুল। এ ভাষায় খেয়াল, প্রপদ, টপ্পা, চুটুকী সবই আছে। অক্ষয়কুমার দত্তের ভাষা একই সুরে কাধা ; কিন্ত রাগালাপের বৈচিত্র্য নাই। বিদ্যাাগরের ভাষায় যৃদঙ্গ, তবলা, ছোল, ধোল সকলেরই আওয়াজ পাইবে 3 অক্ষয়কুমারের ভাষায় কেবল মৃদঙ্গেরই আওয়াজ । বিদ্যা- সাগরের ভাষা না বুঝিলেও, তাহার কেমন একট! মধুর-স্ফুট আওয়াজ কানে বাজিবে। যাহা হউক, “বাহ্দেব-চরিতে”র সায় উপাদেয় পাঠ্যও ফোট উইলিয়মূ কলেজের কর্তৃপক্ষ কর্তৃক পরিত্যক্ত হইয়াছিল । বৃষ্টান সাহেবের! এ পুস্তকের অনুমোদন করেন নাই; তজন্য দুঃখ নাই। দুখ এই, একখানি স্ুপাঠা পুস্তকে হিন্দুন্তানের বামুদেব-চরিত। ১৯৭ বঞ্চিত হইয়াছেন। ছুঃখ এই, বিদ্যাসাগর মহাশয় এইবপ ভগবান্র অবভারত্ব-প্রতিপা্ক পুস্তক আর লেখেন নাই। চিরকালই কিছু তাহাকে মাহেব দিবিলিক্নৃদের জন্ত পাঠ) লিখিতে হয় নাই। প্রবৃত্তি ও ইচ্ছা থাকিলে, তিনি হিন্দু" নস্তানদ্বের জন্ত এইরূপ ইহ-পরকালের শিক্ষণীয় সুপাঠ্য পুস্তক লিখিতে পাপিতেন। সাহেবদের জন্য এরূপ গদ্য লেখেন নাই; হিন্দ-সন্তানদের জন্যই বা লিখিষাছেন কৈ? সে প্রবৃত্তি বা ইচ্ছা থাকিলেও, ভাষা-সম্পদ্‌ সীভার বনবামেও তাহার পরিচয্ব পাইতাম । আরও ছুঃখের বিষয়, “বা ু-দেব্চরিত"যুদ্রিত হয় নাই। বিদ্যাফাগর মহাশয় জীবিতাবস্থায় এ পুস্তক মুদ্রিত করিবার জন্য ইচ্ছা! করিয়াছিলেন; কিন্ত সে সময় পুস্তকের পাওুলিপি গ'জিয়া পান নাই। তাহার পুত্র নারায়ণ বাবু & পৃস্তকের গাগুলিপি অনেক কষ্টে খু'ঁজিয়া বাহির করিয়াছেন। তিনি এ পুস্তক মুদ্রিত করিতে আরম্ত করিয়াছেন। মুদ্রিত হইলে) ইহ! যে হিন্দ-সন্তানের একখানি প্রকৃত পাঠ্য হইবে, তাহার আর সদদেহ নাই। ভগবান্‌ আীকঞ্ের ব্রদ্ধব প্রতি" পাদিনী আদ্যস্ত লীলাকথা সঙ্গন্ধে এক হিন্দী প্রেমসাগর * এসপি আধ পপ পি পাপা * আগরার লল্প,জি “প্রেমনাগর”-প্রণেতা। ইনি হিন্দীভাঁষাত প্রথম উ.কৃষ্ট গদ্া-গ্রন্থকর্তী। *প্রেমমাঁগর” উ$কৃষ্ট হিন্দী-গদয গ্রন্থ! ইহার প্রণীত “মভা-বিলাস” নামক পদা-গ্রন্থও মাধারণের পরম প্রিয় পাঠা। ১৮৬, খৃষ্টাব্দে গিলক্রাই্ট সাহেবের অনুরোধে প্রেম সাগর” লিখিভ হইয়া কতকাঁংশে মুদ্রিত হয়। ১৮৬১ থুষ্টান্দে ইহা! পূর্ণাকারে মুদ্রিত হয়। ১৯৮ বিদ্যাসাগর । ভিন্ন, বাঙ্গালায় এমন সৃললিত গণ্য আর দ্বিতীয় নাই। আর! নারায়ণ বাবুর নিকট পুস্তকের জীর্ণ গাতুলিপি দেখিয়াছি । ইহাতে কোন বৎসর বা তারিখের উল্লেধ নাই। ১৮৪২ থষ্টা্ এবং ১৮৪৭ বুষ্টাবের মধ্যে যে কোন সময়ে ইহা লিখিত হইয়াছিল। নবম অধ্যায়। গ্রত্তিপত্তবি-পরিচর, ফোর্ট উইলিয়ম কলেজের কার্ধ্য-ত্যাগ, সংস্কৃত কলেজের আসিষ্টা্ট সেক্রেটরীর পদে নিয়োগ, কলেজের সংস্কার, তেজন্থিতা, গুণগ্রাহিত॥ ভ্রাতৃবিয়োগ, কলেজের কারধ্য-ত্যাগ ও সখের কাজ । ফোর্ট উইলিয়মূু কলেজে চাকুরী করিবার সময় কেবল সিবিলিয়ন্‌ সাহেব সম্প্রদায় কেন, ভাৎকালিক এ দেশীয় অনেক ঈম্পত্তিশালী অন্তরান্ত ব্যক্তির সহিতও বিদ্যাসাগর মহাশয়ের ্বনিষ্ঠতা হইয়াছিল। এই সময় মুরশিদাবাদের বর্তমান মহা রাণী, স্বরময়ীর স্বামী রাজা কষ্ণনাথের সহিত ত্বাহার আলাপ পরিচয় হয় । মুরশিদাবাদ রাজ- পরিবারের কর্দচারিগণ তাহাকে বথেষ্ সম্মান করিতেন। ১৮৪৭ ব্ষ্টাবধে বা ১২৫৪ সালে মৃত রাজার উইল সম্বন্ধে ষে মোকদ্দম! হয়, তাহাতে নবীনচন্দ্র নামে এক ব্যক্তি সাক্ষ্য দিয়াছিলেন,_“রাজ1 কৃষ্ণনাথ ইংরেজিতে ঘে উইল করিয়াছিলেন, রাজার ইচ্ছানুসারে আমি, পত্তিত ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের সাহায্যে, সেই উইলের বাঙাল অনুবাদ করি। আমি অনুবাদ করি এবং বিদ্যাপাগগর মহাশয় তাহা লিখেন। উইল অনুবাদের সময় বিদ্যাসাগর মহাশয়, ফোর্ট উইলিয়ম্‌ কলেজের প্রধান পণ্ডিত ছিলেন। এক্ষণে তিনি সংস্কৃত কলেজের সহকারী সেক্রেটরী ।” * *:1]1)6 19069] 70187৯ ৯০০ 10019 98899) 21।এ1৪ঞয) 22 ০]) 1847, ২৩০ বিদঠালাগর । পরে মুরশিদাবাদ রাজ-পরিবার এবং স্বয়ং মহারাণী শ্বর্ণ- ময়ীর সহিত বিদ্যাসাগর মহাশয়ের এতাদৃশ শ্ষনি্ঠতা হইয়া ছিল যে, বিদ্যাসাগর মহাশয় আবশ্ঠক হইলে, মহারাণীর নিকট অর্থ ধপ লইতেও কুঠিত হইতেন না। বিদ্যাসাগর মহাশয়, বাজ-পরিবারের কর্্চারিগণকে যেরূপ মানা বিষয়ে সাহায্য করিতেন, মহারাধীর নিকটও তিনি সেইরূপ অনেক বিষঙ্গে সাহাষ্য পাইতেন। এ সম্বন্ধে চিঠি-পত্রাদি ষথাপ্রসঙ্গে শ্থানা- স্তরে প্রকাশিত হইন্সে। কেবল মুরশিদাবাদের রাজ-পরিবার কেন, পাঠক! পরে পরিচয় পাইবেন, এই দরিদ্র-সম্ভান দরিদ্র ত্রাণ, কত রাজ) মহারাজা, হমীদার, তাঁকদার প্রতৃতি অতুল বিভবশালী সন্বাস্ত ব্যক্তিগণের কিরূপ সহায় হইয়াছিলেন । ১৮৪৬ সালের মাচ্চ মাসে বিদ্যাসাগর মহাশয়, ফোট উই- লিয়মূ কগেজের কাধ্য পরিত্যাগ করেন। এই সময়, সংস্কৃত কলেজের আসিষ্ান্ট সেক্রেটরী রামমাণিক্য বিদ্যালক্গার মহা" শয়ের মৃত্যু হয়। রাধু রসময় দণ্ড তখন জঅংস্কত কলেজের সেক্রেটরী ছিলেন। তিনি বিদ্যাসাগর মহাশয়ের এক জন সবিশেষ গণগ্রাহী ছিলেন। বিদ্যাসাগর মহাশয়, আসিষ্টাণ্ট সেক্রেটরীর পদ গ্রহণ করিলে, সংস্কত কলেজের প্রকৃণ্ই অনেক উন্নতি হইবে, ইহাই ভাহার দৃঢ়বিশ্বাম ছিল। তবে এ পদের বেতন পঞ্চাশ টাকা ছিল। বিদ্যাষাগর মহাশয় ফোর্ট উই” লিয়মু কলেজেও পঞ্চাশ টাকা বেতন পাইতেন। ন্ৃতরাৎ এ আনিগ্ান্ট সেকেটরী। ২০১ পদের জন্ত, বিদ্যাাগর মহাশয় যে ফোর্ট উইলিয়মু কলেজের প্র ত্যাগ করিবেন না, রসময় বাবুর ইহাও ধারণ! হইয়াছিল । কিন্ত তাহার এ্রকান্তিক ইচ্ছা, বিদ্যাসাগর মহাশয়ই এই পদ গ্রহণ করেন। তিনি বিদ্যাসাগর মহাশয়কেই এই পদে অধি- ফলিত করিবার দৃঢ় সঙ্গল্প করিয্রা, ১৮৪৩ ধষ্টান্ধের ২৮শে মার্চ শিক্ষা বিভাগে এক পত্র লেখেন। এই পত্রে বিদ্যাসাগর মহাশঘ়ুকে আসিষ্টাণ্ট সেন্রেটরী করিবার জন্য তাহার সবিনয় অন্থরোধ ছিল। এই পদের বেতন বৃদ্ধি করিয়া দিবার জন্যও তিনি যথে্ই উপরোধ করিয়াছিলেন। তিনি প্পষ্টই লিখিয়- ছিলেন, এপদের বেতন বৃদ্ধি না হইলে, বিদ্যাসাগরের ন্যায় এক জন উপযুক্ত লোক পাওয়া দুরূহ। রসময় বাধু ষে পত্র পাঠাইয়াছিলেন, তাহার সহিত বিদ্যাসাগর মহাশয়ের পদ- প্রার্থনার আবেদন-পত্র ও প্রশৎসা-পত্রাদি পাঠান হইয়াছিল। রসময় দত্তের পত্র ও বিদ্যাসাগর মহাশয়ের প্রশংসা-পত্রাদি পাইয়া, শিক্ষা-বিভাগের তাৎকালিক সেব্রেটরী এফ, জে, মোনাট্‌ এম, ডি, সাহেব অতি সন্তোষ-সহকারে বিদ্যাসাগর মহাশয়কে সংস্কত কলেজের আসিষ্টান্ট সব্রেটরী পদে নিচুক্ত করিতে স্বীকার করেন। তবে তিনি দে সময় পদের বেতন বৃদ্ধ করিতে সম্মত হন নাই। মোনাট্‌ সাহেব, ১৮৪৬ ধৃষ্টান্ের ২র1 এপ্রেল, রসময় বাবুকে এই মর্খে পত্র লেখেন,_“ঈশ্বরচক্ত্র বিদ্যাসাগরকেই আসিষ্টাণ্ট সেক্রেটরী পপে নিযুক্ত করা হইল? কিন্ত আপাততঃ তাহার ২০২ বিদ্যাসাগর । বেতন বৃদ্ধি হইবে ন1। পরে কার্য বুঝিরা বেতন বৃদ্ধি করিবার সন্তাবনা রহিল।” ৪ঠ| এপ্রেল, এই পত্রের এক অনুলিপি ফোর্ট উইলিয়ম্‌ কলেজে বিদ্যাসাগর মহাশয়ের নিকট প্রেরিত হইয়াহিল। রসময বাবুও তাহাকে আসিষ্টান্ট সেক্রেটরী পদ গ্রহণের জন্ অনুরোধ করেন। তিনি ধুঝাইয়া বলেন,--“তুমি যদি এ পদ গ্রহণ কর, তাহা হইলে, কলেজের উন্নতি হুইবে। কলেজের উন্নতি হইলে, নিশ্চিতই বেতন বৃদ্ধি হইবে” বেতন বৃদ্ধির অ.শা বুঝিনা এবং রসময় বাবুর অনুরোধ রক্ষা নাকরা অন্যায় ভাবিয়া, বিদ্যামাপ্র মহাশয় পদগ্রহণে সম্মত হন। এই এপ্রিল মাসেই তিনি সংস্কৃত কলেজের আসি- ্টান্ট সেক্রেটরী হন । খস্কত কলেজের আসিষ্টাণ্ট মেক্রেটরী পদ গ্রহণ করিলে পর, বিদ্যাসাগর মহাশয়ের অনুরোধে ভাহার দ্বিতীয় ভ্রাতা শীনবন্ধু স্তায়রত্ব মহাশয় ফোর্ট উইলিয়ম কলেজের পণ্ডিতপদে নিযুক্ত হন। ইতিপূর্রে বিদ্যামাগর মহাশয় মার্সেল সাহেবকে বলিয়া কহিয়া, কলিকাতার তালতলা.নিবাসী ছূর্গাচরণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে ফোর্ট উইলিয়ম কলেজের হেভ-রাইটার-পদে নিযুক্ত করিয়া দেন.। সংস্কৃত-কলেজের আসিষ্টাণ্ট সেক্রেটরী হইয়া, বিদ্যাসাগর মহাশয় কলেজের অনেক সংস্কার সাধন করেন । পূর্ষে শ্রিক্ষকই কি, আর ছাত্রই কি, কলেজে আসিবার বা যাইবার কাহারও কলেজের শংস্কার। ২০৩ কোন বাঁধাকাধি, ্টা-ক্মা্টি নিয়ম ছিল না। একদা তিনি সকল অধ্যাপকের আগমনের বহুপূর্বে সমাগত হইয়া কলেজের প্রবেশ-দ্বারের অন্মুখভাগে আপন মনে পদ চারণ করিতে- ছিলেন। পণ্ডিতাগ্রগণ্য ম্মার্ত ভরতচন্ত্র শিরোমণি, তাহা লক্ষ্য করিয়া অপরাপর অধ্যাপকদিগকে কহিলেন, ওগো! আর আমাদের বিলম্বে আস! চলিবে না, বিদ্যাসাগর অগ্রে আসিফ কৌশলে আমাদিগকে তাহা জানাইতেছেন।” তৎ্পর দিব্য হইতে গ্াহারা সকলে যথামময়ে উপস্থিত হইতে লাগিলেন। বিদ্যাসাগর, শিরোমণি, প্রভৃতির ছাত্র ছিলেন, স্বতরাং তিলি মুখে কোন কথা বলিতে কু ঠত হুইতেন। বিদ্যাসাগর মহাশয়, অনেক বিষয়ে হ-কৌশলে সু-ব্যবন্থ! ও হুনিষম করিয়া দেন। তিনি সংস্কৃত-কলেজে প্রথম কাষ্ঠের পাশ প্রচলিন্ত করেন । কোন ছাত্র এই পাশ না লইয়া বাহিবে যাইতে পারিত না। কাহারও সেক্রেটগীর অনুমতি ব্যতীত কোন কাজ করিবার অধিকার ছিল না। ইনি ষে সকল কবিতা অশ্রীল মনে করিয়াছিলেন, তাহা সংস্কৃত পাঠ্য-দাহিত্য হইতে তুলিয়া দেন। সাহিত্যত্রে্তে অন্কশিক্ষার ব্যবস্থা ইহার দ্বারাই প্রবর্তিত হয়। পূর্বে এ ব্যবন্থ ছিল না। এই সময়ে হিন্দু-কলেন্ের *প্রিনদিপল” কার সাহেবের সহিত, বিদ্যাসাগর মহাশযের একটু মনাস্তঃ স্বটিয়াছিল। এক দিন বিদ্যাসাগর মহাশয়, কার্‌ সাহেবের সহিত সাক্ষাৎ করিতে মান, যাৰ তথুন টেবিলের উগর পা তুলিয্া বসিয়াছিলেন। ২০৪ বিদ্যাসাগর । ডিনি তদবন্থায় বিদ্যাসাগর সহাশয়ের সঙ্গে কখা কছেনম। ইহাতে বিদ্যাসাগর মৃহাখর), আপনাকে অপমানিত জ্ঞান করেন; কিন্ত দে দিন তৎসন্বন্ধে কৌঁন কথা না কহিয়া ফিরিয়া আসেন। আর এক দিন কার্‌ দাহেব, বিদ্যাসাগর মহাশফের সহিত সক্গাৎ করিতে আসেন । বিদ্যাসাগর মহাশয় পুর্ব কথ? ম্মরণ করিয়া আপনার চট্টরাজ-শোভিত পা ছুখানি টেবিলের উপর তুলিয়া দেন; অধিকন্ত সাহেবকে বফিতেও বমেন নাই। সাহেব সে দিন সংক্ষুব্ধ মনে ফিপিয়। আসিয়া বিদ্যাসাগ্নর মহাশয়ের ব্যব- ছারের কথা, শিক্ষ।-সমাজের সেক্রেটরী ময়েট সাহেবকে বিদিত' করেন । বিদ্যাসাগর মহাশেষ়র নিকট কৈফিয়ৎ লওয়া হইল। কৈফিছ্ুতে বিদ্র্যানাগর মহাশন, কার্‌ জাহেবের ছূর্বযধহারের কথ। উল্লেখ করেন। মঞ্সেট সাহেব, বিদ্যাসাগর মহাশয়ের ইহা তীর তেজস্ষিতা ভাবিয়া সঞষ্ট হন। এট বিদ্যাসাগর মৃহাশমের তেজন্ষিতা নিশ্চয়ই) কিন্ত তিনি যদি সাহেবের সঙ্গে প্র্ূপ ব্যবহার না করিয়া, সাহেবকে দুটো মিষ্ট কথায় উপদেশ দিয়া অথবা কর্তৃপক্ষক্কে বলিয়া শিক্ষ। দ্দিতে চেষ্টা করিতেন, তাহ হইলে আমাদের বিবেচনায় ত্বাহার অধিকতর মাহাত্ঝ্য প্রকাশ হইত। বিদ্যামাগর মহাণয় চিরকালই গুগের পক্ষপাতী ছিলেন। এই ময় সংস্কৃত কলেজে জাহিত্য'শান্ত্ের অধ্যাপক- পদ শুন্য হয়। বাবু রপসময় দত্ব। তখনও কলেজের সেক্রেটণী ছিলেন। তিনি বিদ্যাসাগর মহাশয়কে এই পদে গুণ-গ্রাহিত!। ২০৫ নিঘুন্ত হইতে অন্থরোধ করেন। শুনিতে পাই, এ পদ গ্রহণ করিলে অনেকটা কর্তৃত্ব লোপ হইবে এবং কর্তৃত্ব লোপ হইলে, কলেজের শিক্ষা-প্রণাশীর শীবুদ্ধি সম্বন্ধে অনেকটা অন্তরায় ঘটবে ভাবিয়া, তিনি এ পদ্র গ্রহণে অসশ্মত হন; তবে এ পদে যাহাতে এক জন প্রকৃত গুণবান্‌ উপঘূন্ত লোক নিযুক্ত হুন, ইহাই হার অন্পর্ণ চেষ্টা ছ্িল। সেই জমঘ, তাহার বাল্য ।সহাধ্যাত্ধী মদনমোহন তর্কালঙ্গার কুষ্ণনগর কলেজের প্রধান 'পর্ভিত ছিলেন । বিদ্যাসাগর মহাশয় জানিতেন, তর্কালক্কার মহাশয়, সাহিত্য শান্ধে সবিশেষ ব্যুৎপন্ন। তিনিই যোগড়- ন্ত্র করিয়া, তর্কালক্কার মাশয়কে এই পদে নিঘুক্ত করেন । তর্কালক্ষার ম্হাখরের আসিবার পুক্সে বিদ্যাসাগর মহাশয়, দ্রিনকতক সাহিত্য শ্রেণীতে পড়াইয়াছিলেন। এই সময় বিদ্যাসাগর মৃহাশয্জের চতুর্থ ভ্রাতা দ্বাদশ বধাঁয় বালক হরচন্দের ওলাউঠায় মৃত্যু হয়! ভ্রাত-শোকে বিদ্যাসাগর মহাশয় মুত-কল হন। ভ্রাতার মৃত্যু-সময়ে তিনি দেশে উপ- শ্থিত ছিলেন। কাধ্যবশে তাহাকে কলিকাতায় আসিতে হইয়াছিল বটে; কিন্ক ভ্রাতৃ-শোকে তিনি ৫:৬ পাঁচ ছয় মাস এক রকম আহার-নিদ্র পরিত্য।গ করিয়াছিলেন বলিলে হয়। এই দুর্ঘটনার পর সংস্কৃত কলেজের সেক্রেটরী রসময্ব দত্তের সহিত তাহার মনাস্তর ঘটে। তিনি শিক্ষা-প্রণালী সম্বন্ধে ষে সব প্রস্তাব করিতেন, তাহা অময় সময় সেক্রেটবীর আনু- মোদিতু হইত না। মতাস্তরই মনাভ্তরের কারণ। তেজস্থী ১৮ ২০৬ বিদ্যাসাগর | বিদ্যাসাগর কর্ম পরিত্যাগ করিলেম। পদত্যাগ করিতে দেখিয়া, আত্মীয়, বন্ধুবান্ধব, স্বজন, পরিজন, সকলে অবাক হইলেন। কেহ কেহ বলিলেন, বিদ্যাসাগর পরিত্যাগ করিলেন বটে; কিন্ত এত বড় সংসার চালাইবেন কিসে? সত্য সত্যই ইহা ঘোরতর অবিমুষ্যকারিতা ) কিন্ত তেজন্বী বিদ্যাসাগর দিগ্বিজয়ী বীরের ন্যায় অচল অটলভাবে ও অল্নান বদনে উ্তর দিলেন,__ “আলু পটোল বেচিযঘা' খাইব, মুদ্ীর দোকান করিব, তবুও যে পদে সন্মান নাই, ফে পদ্দ লইব না।% এ সময় তাহার বাসায় অনেকগুলি অনাথ বালক অন্নবস্ত্র পাইত। তিনি তাহাদের কাহাকেও অন্ববস্ত্রে বঞ্চিত করেন নাই। মধ্যম ভ্রাতা ফোর্ট, উইলিয়মূ কলেজে চাকুরী করিয়া 'যে ৫০ পঞ্চাশটা টাক! পাই- তেন, তাহাই একমাত্র উপায় ছিল। এই টাকায় বাসাধরচ চলিতে লাগিল। মাসে মাসে ৫০২ পঞ্চাশ টাকা ঝণ করিয়! বাড়ীতে পাঠাইতে হইত। রাজকষ্ণ বাবুর নিকট শুনিয়াছি, “পদ পরিত্যাগের পর ত্বাহাকে একটা দিনের জন্যও মলিন বা বিষণ দেখা যায় নাই। পূর্বের স্তায় তিনি তেমনই হিমগ্সিরিবৎ গাতীঘ্যপুর্ণ। যুখ দেখিয়া মনে হইত না, তাহার মনে কোন কট কি ছুঃখ আছে।” অনন্তোপায় আমান্যাবস্থাপন ব্যক্তির পক্ষে এরূপ পদত্যাগ ছুক্ধর নিশ্চিতই ; কিন্ত ধাহাদের ভিতরে তেজ আছে, ধাহারদের আত্মশক্তি ও স্বাম্যের উপর অচল বিশ্বাস আছে, তাহাদের পক্ষে ইহা! বিচিত্র কিছুই নহে। ২৮৪৯ ব্ষ্টাবের ফেব্রুয়ারি মাসের পূর্ব পর্যন্ত বিদ্যাসাগর সখের কাজ। ২০৭ মহাশয় কোন চাকুরীতে পুনঃ প্রবৃত্ত হন নাই। এই ময় হিন্দী ও ইংরেজি বিদ্যায় তাহার অনেকটা বৃতপত্তি হইয়াছিল। আননকুষ্খ বাবু বলেন,--“তাহার মুখে সেক্সপিয়রের আবৃত্তি শুনিয়া আমরা বিমোহিত হইতাম ।” শিক্ষা-সমাজের অধ্য্ষ মার্সেল সাহেবের অনুরোধে বিদ্যাসাগর মহাশয় কাণ্েন ব্যাস্ক সাহেবকে করেক মাম হিন্দী ও বাইবেল শিক্ষা দেন। ব্যান্ক সাহেব মামিক ৫০২ পঞ্চাশ টাকার হিসাবে তাহাকে কয়েক মানের বেতন একবারে দিতে চাহেন। তিনি কিন্তু তাহ! লন নাই। দশম অধ্যায়। বেতাল-পঞ্চবিংশতি, সংস্কৃত-যন্ত্র ও কবি-শ্রীতি। ১৮৪৭ হৃষ্টান্বে বা ১২৫৪ সালে বিদ্যাসাগর মহাশয় মার্সেল সাহেবের অনুরোধে হিন্দী “ব্তোল-পঙচ্ছিসী” নামক গ্রন্থের বাঙ্গালা অনুবাদ করেন । “বেলাত-পঞ্চবিংশক” নামক একখানি সংস্কৃত গ্রদ্থও আছে ।৯ ্‌ বিদ্যাসাগর মহাশয়, স্বয়ং হ-বিশাঃদ সংস্কতজ্ঞ হইয়াও, মূল সংস্কৃত-প্রমঙ্ের জনুবাদ না করিয়া, অন্ুবাঁদিত হিন্দী গ্রষ্ অবলম্বন করিলেন কেন, এ প্রশ্ন উতাপিত হইতে পারে। এই ম্ময় তিনি হিন্দী ভাষায় যথেষ্ঠ অভিজ্ঞতা লাভ করিয়া-' ছিলেন। মেই অভিজ্ঞতার পরিচয়-স্বরপই বোধ হয়, হিন্দী গন্থের অনুবাদ । বস্ততই অনুবাদিত “বেতালে” তাহার নবার্জিত হিন্দী-ভাষাভিজ্ঞতারই প্রকৃষ্ট পরিচয়ু। হিন্দী “বৈদ্ঞাল-পঁচ্চিপী”র যে যে স্থান অশ্লীল বলিয়! মনে হইয়াছে, বিদ্যাসাগর মহাশয় তাহা! পরিত্য'গ করিয়াছেন। “বেতার ভ'ষা প্রাঞ্জল, ললিত, মধুর ও বিশুদ্ধ। তবে প্রথম সংস্করণে, দীর্ঘ দীর্ঘ সমাস-সমস্থিত রচন| হেতু, “বেতাল” বড় শ্রাতি-কঠোর হইয়াছিল। প্রথম সংস্করণে এইরূপ শ্রুতি কঠোর সমাস-সমঘ্বিত বাক্যের প্রয়োগ ছিলি, _প্উত্তাল তঃঙ্- » * এই গ্রন্থ শিবদাস ত্র কর্তৃক রচিত। মংবৎ ১৮৯৩৬ কৃষ্ক-অষ্টমীতে বৃহস্পতিবার এই পুস্তাকের রচল] নমাপ্ হয়। বেত'ল-পঞ্চবিংশ্তি। ২০৯ মালা-সন্ধুল উৎফুল্ল ফেননিচতবচু্সিত ভর়ঙ্কর তিমি মকর নক্রু টক্র ভীষণ আ্রোতম্বতীপতি প্রবাহমধ্য হইতে সহসা! এক দিব্য তরু উদ্ভূত হইল” এপ ভাষা বার্গালার উপযোগী নয় বলিয়া, পরে বিদ্যাসাগর মহাশয় বুঝিতে পারিয়াছিলেন। এই জন্য আপুনিক সংস্করণে ইহা। পরিত্যক্ত হইয়াছে মনস্বী ও বিচক্ষণ লেখকেরা সহজেই আপনাদের ভ্রম বুঝিষী তাহা সংশোধন করিয়া লয়েন। জনসনের “রাম্ব।লার" বাক্য 'বড়ম্বরে অনেকটা] শ্রতিকট্‌ হইন্বাছিল। ইহা! তিনি বুঝিতে পারিযা, "কবিদিগের জীবনী”তে এ দোষ পরিত্যাগ করিতে সাধ্যানুমারে প্রশ্নাস পাইয়াছিলেন। “রাম্বালা”র অপেক্ষা “কবি-জীবনী”র ভাষ। অধিকতর সরল ও সহজ হইয়াছে । “বেতালে"র প্রথম সংস্করণের বাক্য ডন্বর-প্রমীণ জন্ত যে শ্ছল উপরে উদ্ধত হইয়াছে, তাহার পরিবর্তে এখনকার সংস্করণে এইরূপ আছে ;-_-“করো- লিনীবঞ্পভের প্রবাহ্মধ্য হইতে, অকস্মাৎ এক স্বর্ণমযু ভূরুহ বিনির্গত হইল ।” বেতাল, একাদশ উপাখ্যান, ৯৫ পৃষ্ঠা। বিদ্যাসাগর মহাশয়, অনেক শ্ছলেই ঠিক অনুবাদও করেন নাই। যেস্থান উদ্ধৃত হইল, তাহার মুলেই ইহার প্রমাণ। হিন্দী মূলে এইরূপ আছে, “রাহি হন ঝীনজ্জা নহনহ লিজ্ন্জা। শ্রস্ছ অন্তু- হহুষ্ধী সান, ঘ্ব্রহাজক্জী দৃষা, ্বজীক্ী দবীতি ইত্জা ভূষ হা জা ঘা,জ্ি জিদ্বজ্ঞা মান নম্থী স্কী ভজ্জনা জ্জীহ ভব্সহ্‌ লক্কা ভ্তন্হতী মীন স্বাঘর্ল জখ নীল মী ম্বযীব নানী ঘী।” ২১০ বিদ।)সাগর। মূলে, নাগরের বাক্যাড়ন্বরময় বিশেষণ নাই; কিন্তু বৃক্ষের পাতা, মূল ও ফলের প্রকার আছে। অনুবাদে বিশেষণ আছে; কিন্ত ফলাদির প্রকার নাই। “বানুদেব-চরিতে*র ভাষা অপেক্ষা বেতালের ভাষা অধিক" তর মংঘমিত ও মার্জিত। ভাষার একটু নমুনা এই, “উজ্জয্মিনী নগরে গন্ধর্বষেন নামে রাজা ছিলেন। তাহার চারি মহিষী। তাহাদের গর্ডে রাজার ছয় পুত্র জন্মে। রাজ- কুমারের সকলেই সুপগ্ডত ও সর্ব বিষয়ে বিচক্ষণ ছিজেন। কালক্রমে, নৃপতির লোকাস্তরপ্রাপ্তি হইলে, সর্ধজ্যেঠ শঙ্ু সিংহাননে অধিরোহণ করিলেন। ততৎ্কনি্ঠ বিত্রমাদিত্য বিদ্যান্ুরাগ, নীতিপরতা ও শাস্ত্রাহুশীলন দ্বারা সবিশেষ বিখ্যাত ছিলেন) তথাপি, রাজ্যভোগ্ের লোভসংবরণে অসমর্থ হুয়া, জ্যেণ্টের প্রাণসংহারপূর্কাক, স্বয়ৎ রাজ্যেশ্বর হইলেন ) এবং, ক্রমে ক্রমে, নিজ বাহুবলে, লক্ষযোজনবিস্তীর্ণ জমৃত্বীপের অধীশ্বর হইয়া, আপন নামে অন্ধ প্রচলিত করিলেন ।” মাইকেলের অমিত্রাক্ষর ছন্দ প্রথমে যেমন সমাদৃত হয় নাই, বিদ্যাসাগর মহাশয়ের “বেতালও" প্রথম সেরূপ সমাদর পায় নাই। কেহ কেহ বলেন, শ্রীরামপুরের মিশনীরা ইহার আদর প্রথম বাড়াইয়া দেন। অসম্ভবই বা কি? স্কটের “ওয়েভালি” প্রকাশিত হইবামাত্রই সমাদৃত হয় নাই। তাহার সমাদর হইতে অনেক সময় লাণিয়াছিল। সেকস্পিয়রের আদর, তদীয় জীবিত.কালে হয় নাই। জর্মণ-প্ডিতের বেতাল-পঞ্চবিংশতি । ২১১ গুনগ্রাহিতাগুণেই তাহার প্রতিভার পরিচয় পাই; নহিলে মে প্রতিপত্তি প্রস্থাটত হইতে হয় তো আরও অনেক সময় লাগিত। মিলটনের জীবদবস্থায় “প্যারাডাইস্‌ ল্টের” প্রতি- পন্তি ছিল না। এমন অনেক দুষ্টান্তই পাওয়া যায়। যাহাই হউক, “বেতালে"র আদর প্রথমে হউক বাঁ না হউক, যখন ইহা? আদরণীয় হইয়া উঠে, তখন অনেকেই বেতালের আনেক অংশ মুখস্থ করিয়া রাখিতেন। রাজকঞ্চ বাবুর মুখেই আমরা এ কথা গুনিয়াছি। “বেতালে"র প্রথম কয়েক সংস্কবণে বিরাম-চিহন অর্থাৎ কমা, মেমিকোলন প্রভৃতি ব্যবঙ্গত হয নাই; পরে সাধারণের সুবিধার্থ ব্যবহ্থত হয়। ফেট উইলিয্বম ক্েজের জন্য কতৃপক্ষ, ৩০০২ তিন শত টাকা দিয়া, ১০*২ একশত খণ্ড বেতাল ক্রন্ন করিয়ছিলেন। কয়েক বৎসর পূর্বে, ৬ মদনমোহন তর্কালস্কারের জামাতা! বাবু যোগেন্রনাথ বিদ্যাভূষণ এম, এ, তর্কালঙ্কার মহাশয়ের জীবন-চরিত লেখেন । এই জীবন-চরিতের ৪২ পৃষ্টায় “বেতাল”- সন্বন্ধে নিমলিখিত কয়েক ছত্র লিখিত হয় )২- “বিদ্যাসাগর-প্রণীত “বেতাল-পঞ্চবিংশতি”তে অনেক নৃতন ভাব ও অনেক হুমধুর বাক্য তর্কালঙ্কার দ্বারা এতদূর সংশোধিত ও পরিমার্জিত হইয়াছিল যে, বোমান্ট ও ফ্লেচরের লিখিত গ্রন্থগুলির ন্তায় ইহা উভয় বন্ধুর রচিত বলিলেও বলা. যাইতে পারে।? ২১২ বিদসাগর। বিদ্যামাগর মহাশয় এ কথা স্বীকার করেন নাই। তিনি বলেন, শ্রীমুক্ত নিরিশচন্দ্র বিদ্যারত্ব ও মদনমোহন তর্কালম্কারকে “বেতাল” পড়াইয়া শুনান হইয়াছিলমাত্র। তাহাদের কথা" মতে ছুই একটা শবমাত্র পরিবর্তিত হইয়াছিল, ইহার প্রমা- পার্থ তিনি শ্রীযুক্ত গিরিশচন্্র বিদ্যারত্বকে এই পত্র লেখেন ;-- অশেবগুণাশ্রয় শ্রীযুক্ত নিরিশচন্্র বিদ্যা রত ভ্রাতৃপ্রেমাম্পদেষু সাদ্দরমভ্তাধণমাবেদনমূ তুমি জান কি না বলিতে পারি না, কিছুদিন হইল, জংস্থৃত- কলেজের ভূতপুব্ৰ ছাত্র শ্রীযুক্ত বাবু ষোগেন্্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় এম, এ মদনমোহন তর্কালক্কারের জীবনচরিত প্রচারিত করিয়া" ছেন। এ পুস্তকের ৪২ পৃষ্ঠা লিখিত হইয়াছে, "বিদ্যাসাগর- প্রনীত বেতালপঞ্চকবিংশতিতে অনেক নূতন ভাব ও অনেক স্থমধুর বাক্য তর্ক।লঙ্কার দ্বারা অন্তর্নিবেশিত হইয়াছে । ইহ। তর্কাশস্কার দ্বার! এত দূর সংশোধিত ও পরিমার্জিত হইয়াছিল যে বোমাণ্ট ও ফ্লেচরের লিখিত গ্রন্থগুলির ন্তায় ইহা উভয় বন্ধুর রচিত বলিলেও বলা যাইতে পারে”। বেতালপঞ্চবিংশতি সপ্রতি পুনরা্ মুদ্রিত হইতেছে । যোগেন্্র বাবুর উক্তি বিষয্কে কিছু বল! আবশ্যক ধোধ হওয়াতে, এই সংস্করণের বিজ্ঞাপনে তাহা ব্যক্ত করিব, স্থির করিয়াছি । বেতালপঞ্চবিংশতির সংশোধন বিষয়ে তর্কালঙ্কারের কত দূর সংশ্রব ও সাহায্য বেতাল পঞ্চাবংশাত । «১৬ ছিল, তাহা তুমি মবিশেধ জান। যাহা জান, লিপি দ্বারা আমায় জানাইলে, অতিশয় উপকৃত হইব। তোমার পত্র খানি, আমার বক্তব্যের সহিত, প্রচারিত করিবার অভিপ্রায় আছে, জানিবে ইতি। তদে কশর্বরশম্দু্ণঃ কলিকাত।। আঈগররচন্দশর্দরণঃ ১০ই বৈশাখ, ১১৮৩ সাল । বিদ্যারত্ব মহাশয় ভদুত্তরে যে পত্র লেখেন, তাহা এইখানে সন্নিবেশিত হইল -- 'পরমশদ্ধাম্পদ শীণুজ ঈগরচল খিদ্যামাগর মহাশয় জ্যোষ্টভ্রাতপ্রতিমেসু নি শীনুক্ত বাবু ফোগেন্দনাথ বন্দোপাধ্যায় এম, এ) প্রন্নীত | মদনমোহন তর্ক(লঙ্গারের জীবন চরিত গ্রন্থে ব্তালপঞ্চবিংশতি সম্বন্ধে ষাহাঁ লিখিত হুইরাছে, তাহা দেখিয়া বিশ্ম্াপন্ন হই- লাম। তিনি লিখিয়াছেন) *“বিদ্যাসাগর-প্রণীত বেতা*প্চ- বিংশতিতে অনেক নৃতন ভাব ও অনেক হথমপুর বাক্য তর্কালঙগার দ্বারা অন্তনিবেশিত হইয়াছে। ইহ তর্কালগ্কার ছারা এতদূর সংশোধিত ও পরিমার্জিত হইয়াছিল যে, বোমাণ্ট ও ফ্লেচরের লিখিত গ্রন্থগুলির ন্যায় ইহা! উভম্ব বন্ধুর রচিত বলিজেও বল! যাইতে পারে ।” এই কথা নিতাস্ত অলীক ও অসঙ্গত; আমার বিবেচনায় এপ অলীক ও অনঙ্গত কথা লিখিয়া প্রচার কর! যোগেন্্রনাথ বাবুর নিতান্ত অন্তার কার্ধ্য হইয়াছে। ২১৫ বিদ্যাসাগর | _ এতদ্বিষয়ের প্রকৃত বৃত্তান্ত এই-ঘআাপনি, বেতালপঞ্থ- বিংশ্তি রচনা করিস, আমাকে ও মদনমোহন তর্কালস্কারকে গুনাইয়াছিলেন। শ্রবণকালে আমরা মধ্যে মধ্যে ত্ব স্ব অভি- রায় ব্যক্ত করিতাম। তদনুসারে স্থানে স্থানে ছুই একটা শব পরিবর্তিত হইত। বেতালপঞ্চবিংশতি বিষয়ে, আমার অথবা! তর্কালঙ্কারের এতদতিরিক্ত কোন সংস্রব বা সাহায্য ছিল ন1। আমার এই পত্রখানি মুদ্রিত করা যদি আবশ্তক বোধ হয়, করিবেন, তদ্বিষয়ে আমার সম্পূর্ণ স'্ঘতি ইতি । কলিকাতা । সোদরাভিমানিনঃ ১২৮৩ সাল, ১২ই বৈশাখ। গিরিশচন্দ্র শর্ণঃ পণ্ডিত যেগেন্্নাথ বিদ্যাভূষণ নাকি পণ্ডিতপ্রবর ভারানাথ তর্ক বাচম্পতির নিকট উহ] শুনিয়াছিলেন। যখন এই পত্র লেখালেখি হয়, তখন বাচম্পতি মহাশয় জীবিত ছিলেন ন1। প্রথমাবস্থায় সকলকেই ষে একটুকু অধিক সতর্ক, কিঞ্চিং কুটঠত থাকিতে হয়, এই ঘটনায় তাহা। সপ্রমাণ হইতেছে। এই স্ময়ে মদনমোহন তর্কালস্কার মহাশয়ের সহিত পরামর্শ করিয়া, বিদ্যাসাগর মহাশয় “জংস্কৃত-যন্ত্র” প্রতিষ্ঠিত করেন।* ৬০০২ ছয়শত টাকা খণ করিয়া একটা প্রেস ক্রয় * বিদ্যাসার মহাশয় ও মদনমোহন তর্কালক্ষার মহাশয় উভয়েই এই মুদ্রান্ত্রের সমান অংশীদার ছিলেন। ছল দ্রিনের মধ্যে মদনমোহন তর্কাল- কারের নহিত বিদানলাগর মহাশয়ের মনান্তর হয়। বিদ্যাসাগর মহাশয় কোন কারণে তকালক্ষার মহাশয়ের উপর বিরক্ত হইয়া, তাহার নহিত সহস্কৃত-যন্ত্র। ২১৫ করা হয়। এই প্রেসে বিদ্যাসাগর মহাশয় প্রথম ভারতচন্্রের গ্রন্থ মুদ্রিত করেন। গ্রন্থের পাগুলিপি কৃষ্ণন্গরের মহা রাজার বাড়ী হইতে আনীত হয্ব। মার্সেল সাহেব ফোর্ট উইলিয় কলেজের জন্য ৬০০২ ছয় শত টাকায় ১০০২ এক শত খণ্ড ভারতচন্্র ক্রয় করেন। এই টাকায় দেন। শোধ হয়। এই প্রেসে সাহিত্য, স্তায়, দর্শন প্রভৃতি গ্রন্থ মুদ্রিত হয়। ত্রয়ে «প্রেসটা* লাভবান হইতে থাকে । তারতচন্ত্ের গ্রন্থ বিদ্যাসাগর মহাশয়ের বড় প্রিয় ছিল। ভাঁরতচন্দকে তিনি ভক্তি ও শ্রদ্ধী করিতেন । তাহার বিশ্বীস,-- কালিদাস যেমন সংস্কৃতে, ভারতচত্ত্র তেমনই বাঙ্গালায়। কালিদাসের গ্রন্থে যেমন সংস্কতের ; ভারতচজ্রের গ্রন্থে তেমনই বাঙ্গালার পরিপাটী। অন্রদ্বামঙ্গলের পরিমার্জিত ভাষা, বাঙ্গালা ভাষায় আদর্শ বলিয়া, তাহার ধারণ ছিল। তিনি ভাবিতেন, বাঙ্গালার ভারতচন্ত্র খাটি বাঙ্গালী কবি। ভারতচন্দের পর, দাশরধি রায়, ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত ও রসিক- চন্্র রায়কে খাঁটী বাঙ্গালী কবি বলিয়া বিদ্যাসাগর মহা* শয়ের শ্রদ্ধাভীজন ছিলেন। ঈশ্বরচন্দ্রের সঙ্গে তাহার কোন কোন বিষয়ে, বিশেষতঃ বিধবা-বিবাহ্‌ সম্বন্ধে, মতের মিল না থাকিলেও, তিনি ইশ্বরচন্্রকে প্রকৃত বাঙ্গালা কবি বলিয়া নম্পর্ক পরিত্যাগ করিতে প্রয়ানী হন। ৬ স্টামাচরণ বিশ্বান ও প্রীবুক্ত রাজকৃ্ণ বন্দোপাধ্যায় মহাশয় সালামি হইয়া গোল মিটাইয়! দেন। প্রেন বিদ্ব্যানাশ্বর মহাশয়ের সম্পত্তি হয়। ২৩ বিদাসাগর | শ্রদ্ধা করিতেন । তাহার রন! প্রকৃত বাঙ্গাল! কবিতাঁর আদর্শ ভাবিয়া, তাহার কবিতাকে আদর কঠিতেন। ঈশ্বরচন্তের কবিতায় ইংরেজী ভাব বা ছায়া থাকিত না, অথচ তাহার রটনার 'ভাঁষ। তাহার নিজন্ন ;_বাঙ্গালা ভাষায় নিজস্ব । বাঙ্গালা-ভাঁষার,_বাঙ্গ'লী জাতির ইহ? গৌরবের বিষদ্ব বলি- মাই, বিদ্যাসাগর ম্হাশয়ু ঈশ্বরচন্দের কবিতার খ্যাঁতি- প্রচার করিতেন ঈশ্বরচল্পের স্তায় কৰি রসিকচন্দ্রের কবিতায় তিনি পরম প্রীতি প্রদর্শন করিতেন। রসিবচন্দ্ প্রকৃত বাঙ্গালী কবিশ্রেণীর শেষ কবি। রসিকচন্দের দেহাস্তরে খঁ'টা বাঙ্গালী কবিশ্রেণীর অবসান হইবে বলিয়াও বিদ্যাসাগর মহাশয়ের বিশ্বাস ছিল। রমিকচন্দ্রের সহিত বিদ্যাসাগর মহাশয়ের যথেষ্ট বন্ধুত্ব জন্মিয়াছিল। রঙ্িকচন্রের কোন কোন কবিতা-পৃস্তক, বিদ্যাঁনাগর মহাশয়ের যত্বে পাঠ্য-পুস্তকরূপে পরিগণিত হুইয়াছিল। রদ্িকচন্দের কবিতা) ভিনি এত ভাল বাসিতেন যে, আপনার দৌহিত্রদিগকেও তদ্রচিত অনেক কবিতী মুখস্থ করাইতেন | রমিকচন্্, আধুনিক মাহিত্য-সেবক- দিগের মধ্যে, বিদ্যালাগর মহাশযের নিকট যেরূপ উত্সাহ: পাইতেন, তেমন আর কাহারও নিকট পাইতেন না।, শ্রীরামপুর--বর! গ্রামে রগিকচন্ত্রের নিবাস ছিল। কলিকাতায়: আসিলে তিনি সর্ধাগ্রেই বিদ্যাসাগর মহাশয়ের সহিত সাক্ষা্খ করিতেন। বিদ্যাসাগর মহাশয়ও তাহার ঘথেঠ আদর করি, তেন। রসিকচন্ত্রের সহিত, আমাদের সাক্ষাৎ হইলে, ভিন্সি, কবিস্্রীতি। ২১৭ শতমুখে বিদ্যাসাগরের সন্দয়তা ও বর্দান্যতার কীর্তন করি- তেন। খি্দ্যাসাশরের নামে, তাহার শতধরায় ভক্তি-প্রবাহ উধলিয়া উঠিত। বিদ্যাসাগর মহাশষের মৃত্যুর পর, রসিক" চন্দ একবার কলিকাতাদ্ব আপিয়াছিলেন। অন্তান্ত অনেক বার বৃদ্ধ রমিকচন্ের মুখে অনেক রস-ভাষ শুনিষাছিলাম। তাহার বার্ধক্য-জরা বদ্দনমণ্ডলেও যৌবনহৃলত হাস্ত-কৌতুকের লহুরী দেখিয়াছি। এবার কিন্ত আর ত্বাহার সেভাঁব দেখি নাই। বিদ্যাসাগরের মৃত্যুতে বৃদ্ধের দেহ-যষ্টি ভগ্ন হইয়াছিল । পরম হুদ্ৃদ বিদ্যানানরের গুৰগরিমা ও বান্ধব-বাংসল্য ম্মরণ করিয়া তিনি কেবলমাত্র অশ্রু বিসর্জন করিয়াছিলেন । রম্িকচন্ত্র " বলিয়াছিলেন, “যখন বিদ্যাসাগর নাই ; তখন আমিও আর নাই) জামি জীবন্ত হইস্া রহিলাম।” বিদ্যাসাগর মহাশয়ের মৃত্যুর বংসর ছুই পর বৃদ্ধ কবি রসিকচন্দ্ু, মান্ব্লীলা সংবরণ করেন। সহ্গদয় শুহাদের সুদারুণ শোক, অনেকটা রদিক রায়ের মৃত্যুর কারণ হইয়াছিল। ১৯ একাদশ অধ্যায়। বাঞ্জালা-ইতিহাস, ছূর্গাীচরণের পরিচয়, ফোর্ট উইলিয়ম্‌ কলেজে পুনঃপ্রবেশ, ইৎরেজি লিপি-পটুতা, শুতকরী, জুনিঘ্বর দিনিযুর পরিক্ষা, গণবানের পুরস্কার, পুত্রের জন্ম ও ভ্রাতবিয়োগ। ১২৫৬ সালে বা ১৮৪৯ ধষ্টাকে বিদ্যাসাগর মহাশয় মার্শমানূ সাহেব-ক হ হিষ্টরি অব বেল “12130)য 0116788]” অর্থাৎ ইংরেজিতে লিখিত বঙ্গ দেশের ইতিহাস নামক পুস্তকের বঙ্গানু- বাদ করেন। সর্নত্রই ইহার আদর হইয়াছিল। ভাষা তেমনই মনোহর, প্রাপ্তল ও বিশুদ্ধ । এই ইতিহাসে নবাব সিরাজদ্দৌলার রাজত্বকাল হইতে বড় লাট লঙড বেন্টিকের রাজত্বকাল পধ্যন্ত শাদন-বিবরণ বিবৃত হইয়'ছে। ফোর্ট উইলিয়ন্‌ কলেজের মার্সেল সাহেবের অনুরোধে ইহা রচিত হইয়াছিশ। রামগতি ন্যায়রত্ব মহাশয় মিরাজদ্দৌলার পূর্বন্তী ঘটনা লইয়া, একথানি ইতিহাস লিখিধাছিলেন। এই জন্য বিদ্যাসাগর মহাশয়, এই ইতিহাসকে দ্বিতীয় ভাগ বলিয়াছেন । * পা * ১৮৫৫ খৃষ্টান পর্ষান্ত অবধারিত ছিল, বিদ্যাসাগর মহাশয় ইংরেজ. রাঁজত্বের পুর্ব ঘটন| অবলম্বনে আর এক পুভ্তক হন্ুবাদ করিবেন। কেন নে মঙ্গল্প পরিতাক্ত হয়, জ্ঞাত নহি। বাঙ্গাল।-ইঠিহাস। ২১৯ প্রথম সংস্করণে, এই ইতিহাস “মামেল সাহেবের অনু মত্যনুপারে লিখিত,” এইব্ূপ দেখা যায় বিদ্যাসাগর মহাশম ইংরেজি পুস্তক হইতে এই প্রথম বাঙ্গালা অনুবাদ কৰিলেন। সংস্কৃত ও হিন্দী হইতে বাঙ্গাল! অনুবাদে বিদ্যানাগর মহাশয় যে কৃতিত্ব প্রকাশ করিয়াছেন, এই ইতিহাসেও সেই কৃতিত্বের পরিচয় পাই। ইংরেজি হইতে হউক, হিন্দী হইতে হউক, আর সংস্কৃত হইতে হউক, অনুবাদের কৃতিত্ব বিদ্যাস!গর অতুলনীন্ন। তবে ইতিহাসে অনুবাদের কূতিতুপ্র থাণ যেন, গবেষণ। ও প্রন্কৃত তথ্যনির্ণষের কৃতিতরপ্রমাণ সেরূপ নহে। মার্শমান্‌ সাহেব, সিরাজুদ্দৌলাকে যেন্রূপ নিষ্ঠুর, নৃশধম ও অ-রাঁজনীতিজ্ঞ বলিম্বা প্রমাণ করিবার প্রয়াস পাইয়াছেন, গ্বেষণাফলে তাহারই বিপরীত প্রমাণ কর! যাইতে পারে। বিদ্যাসাগর মহাশয়ের লাইব্রেীতে যে সব ইতিহাস-সংগ্রহ দেখিতে পাই, একটু মনোষোগ্ন সহকারে তাহারই আলোচন! করিলে, সিরাজুদ্দৌলার চরিত্রের তাহাতেই বিপরীত প্রমাণ হইতে পারে । বিদ্যাসাগর মহাশষের লাইব্রেরীতে সংগৃহীত ইতিহাসসমূহের সাহায্যে, আমি জন্মভূমিতে সিরাজুদ্দৌলার চরিত্রের কলস্ক-প্রক্ষালণে প্রয্ণাস পাইয়াছিলাম। মনে হয়, তাহাতে কতকটা কৃতকার্য হইয়াছি। এই সব ইতিহাসের পর্যযালোচনায়, অন্ধকূপের অস্তিত্ব-সন্ন্ধেও সন্দেহ উপন্থিত হুইয়াছে। ভারতবর্ষের প্রকৃত ইতিহাম লিখিবেন বলিয়াই, বিদ্যাসাগর মহাশয় প্রটীনতম ও অধুনাতন ইতিহাজ গ্রন্থ-সমূহ ২২০ বিদ]াপাগর । সংগ্রহ করিয়াছিলেন। কিন্ত দুঃখের বিষয়, তিনি মনস্কামনা সিদ্ধ করিতে পারেন নাই। মনস্কামন1 সিদ্ধ হইল না বলিয়া, এক দিন আলমারিবদ্ধ এই সমুদয় ইতিহাস পুস্তক দেধিত্ডে দেখিতে অবিরল-ধারায় অশ্রুবর্ষণ করিয়াছিলেন। ১২৫৬ সালে বা ১৮৪৯ ধষ্টাকে মার্চ মাসে ফোর্ট উই- লিয়মু কলেজের “হেড রাইটার”? এবং *ট্রেঞগারার? পদ শৃন্ত হুয়। দুর্গাচরণ বন্দ্েপাধ্যায় মহাশয় এই কাজ করি তেন। এই পদে নিযুক্ত থাকিয়াই, দুর্গাচরণ বাবু মেডি- কেল কলেজে পড়িতেন। ইনিই পরে প্রসিদ্ধ ডাক্তার হন। ইনি মেডিকেল কলেজের "আউট টুডেন্ট” ছিলেন) অর্থাৎ বিন! বেতনে পড়িতে পাইতেন ; পরীক্ষা দিয়া উপাধি ' পাইবার অধিক!রী ছিলেন না। কেবল মার্সেল সাহেবের অনুগ্রহে তাহার 'পড়াশোনা চলিত। চাকুরী করিতে করিতে একবার মার্সেল সাহেব, ছুটি লইয়া, বিলাত গ্রিয়াছিলেন। সেই সময্ব কর্ণেল রাইলি সাহেব, তাহার স্থানে কাজ করিতে- ছিলেন। ছুর্গাচরণ কাজ করিতে করিতে “পড়া-শোনা” করেন, রাইলি সাহেবের এমন ইচ্ছা! ছিল না । এই জন্য দুর্গাচরণকে বড়ই বেগ পাইতে হইয়াছিল। যাহা হউক, মাসল সাহেব ফিরিয়া আসিলে, দুর্গাচরণের আবার একটু সুবিধা হইয়াছিল। পরে ১২৫৬ সালে বা ১৮৪৯ প্ৃষ্টাব্দে তিনি “হেড রাইটারী” পদ পরিত্যাগ করেন। ুর্মীচরণের জীবনীতেও অনেক অলৌকিক ঘটনার পরিচয় পাওয়া যায়। বিদ্যানাগর মহাশয়ের সহিত্ত ফোট উইলিয়ম্‌ কলেজে পুনঃগ্রবেশ। ২২১ তাহার যে সম্পর্ক ছিল, মেই সম্পর্ক-সংখঘঘটিত শ্ঘটনাবলী একে একে বিবৃত করিলে, একখানি অতি বৃহত পুস্তক হইতে পারে। কাহারও জীবনী লিখিতে গেলে, তৎসংশ্লিষ্ট খ্যাতনাম! ব্যক্কি- বর্গেরও জীবনীর অন্ততঃ কিছু কিছু আভাস দিযা। না যাইলে, জীবনী-লেখ। সার্থক বা সম্পূর্ণ হয় না। কিন এ পুস্তকে ভাহাঁর জন্তাবনা নাই। ছুর্গাচরণ বাবুর একখানি সম্পূর্ণ জীবনী বাঙ্গাল। ভাষায় রচিত ও প্রকাশিত হওয়া! উচিত। তাহার একখানি ইংরেজি জীবন-চরিতে দেখিয়াছি । তাহাও সম্পূর্ণ নহে। ৃ মাসেল সাহেবের অনুরোধে বিদ্যাসাগর মহাশয় ফোর্ট- : উইলিয়মূ কলেজে ছৃগ্গাচরণ বাবুর পদ গ্রহণ করেন। ফোর্ট উইলিঘ্মু কলেজের “হেড রাইটারের” বেতন ছিল ৮০২ আশী টাকা । এইবার বিদ্যাসাগর মহাশয়ের সাংসারিক অবস্থা কতক সচ্ছল হইল। তিনি এ সময়ে শ্বকীষু ইংরেজী বিদ্যার উন্নতি-সাধনে অধিকতর যত্ুশীল হইয়াছিলেন। যাতে সিদ্ধি নিশ্চিতই। তাহার ইৎরেজী লেখার জিপি-নৈপুণ্য দেখিয়া সিবিলিয়ন্‌ সাহ্বগণও সন্তষ্ট হইতেন। বাঙ্গাল! হস্তাক্ষরের হ্যায় তাহার ইংরেজী হস্তাক্ষরও সুন্দর হইয়াছিল। ইংরেজী হস্তাক্ষরের ছত্রগুলিও মুক্তাপঙ.কিবৎ প্রতীয়মান হইত। তাহার বাঙ্গাল! ও ইংরেজি হস্তাক্ষরের নমুনা স্থানা- স্তরে প্রকাশিত হইল। লিপিনৈপুণ্যেরও পরিচয় যথাস্থানে পাইবেন। ২২২ বিদ্যাসাগর | ১২৫৬ সালে বা ১৮৪৯ খর্টান্দে হিন্দু কলেজের কয়েক জন ছাত্র “ভভকরী?, নামে এক পত্রিকার প্রচার করেন। * বিদ)াসাগর মহাশয় কতকগুলি লোকের অনুরোধ-পরবশ হইয়! এই কাগজে বাল্য-বিবাহের দোষ উল্লেখ করিয়া একটা প্রবন্ধ লেখেন। কাহারও কাহারও মতে “চৈত্র মাসের চৈত্র-সৎক্রা" ভ্তিতে লোকে যে জিহবা বিদ্ধ করে, পিঠ ফুড়িয়৷ চড়ক করিয়।! থাকে এবং মৃত্যুর পুর্বে যে গল্গায় অন্তর্জলি করে, এই দ্বিবিধ প্রথার নিবারণার্থে প্রবন্ধ লিখিবার জন্য দীনবন্ধু ন্ায়রত্ব ও তত্কালীন সংস্কত কলেজের হুলেখক মাধবচন্তর তর্কসিদ্ধাস্ত গোস্বামীর প্রতি বিদ্যাসাগর ভার দিয়াছিলেন।” রীজকৃষ্ণ বাবুর মুখে শুনিয়াছি। বিদ্যাসাগর মহাশয়ের লেখার গুণে “শভকরী'? কতকট। প্রতিপত্তি লাভ করিয়াছিল। পণ্ডিত মাধতচনত্ত্র গোস্বামীর লিগি-কৌশলেও উহার সুনাম হওয়া ঘে সঠিক-সংবাদ্, তাহ আমরা অক্ষয়কুমার দত্তের স্তায় শ্রদ্ধেয় ও বিশ্বস্ত লৌকমুখে অবগত হইয়াছি। শুতকরীর অস্তিত্ব কিন্ত অল্প দিন মাত্র ছিল। এই সময় বিদ্যাসাগর মহাশয়, হিন্দৃ- কলেজ, হুগলী-কলেজ এবং ঢাকা-কলেজের সিনিয়র ছাত্রদ্দিগের বাঙ্গালা পাঠ্যের পরীক্ষক হন। রচনার প্রশ্ন ছিল, স্্রী-শিক্ষা * পুরাতন *শুতকরী* পাইবার জন্য চেষ্টা করিয়াছিলাম। চেষ্টা বিফল হইয়াছে । “উত্তরপাড়া” লাইব্রেতীতে “ফাইল” ছিল। দুর্ভাগ্যের বিষয়, ফাইল নষ্ট হইয়। গিয়াছে । রাজ প্যারিমোহন মুখোগাধটায় মহাশয়, আমাকে ১৩০১ পালের ১২ই অগ্রহায়ণ এই নংবাদ দিয়াছেন। হস্তলিপি। 4724০ %৮%০৮47%/ ৫£7//-4447/৮৮ ফস রি ৩২, ২৯অঞ্ট'বর আর এখ- রেবানউ বোর্ডের] আক সিয়েটিং সেহরি স্মরেবের নিস ৫১৮-অন্বরের গত্ব। জুনিয়র মিনিয়র পরীক্ষা । ২২৩ হওয়া উচিত কি না। এই সুত্রে কলিকাতার বর্তমান বালিকা বা মহিলা-বিদ্যালয় বীটন কলেজের প্রতিষ্ঠাতা ডিষ্ক ওয়াটার বীটন্‌ সাহেবের সহিত ঠাহার সাব সংস্থাপিত হয়।* এই সকল ব্যাপারে ঠিক বোঝা। ধায়, দেশের দুরদৃষ্টবশে ও ধসর্দদোষে বিদ্যামাগর-সদূশ পণ্ডিতেরও যৌবনাবস্থাতেই ধর্মবিরুদ্ধ সংস্কার, হৃদয়ে বদ্ধমূল হইয়ীছিল। যে সময় বিপ্যাসাগর মহাশয় ফোর্ট উইলিয়ম কলেজের “ছেড রাইটার” সেই সময্ব তিনি সংস্কৃত কলেজের “জুনিয়র? ও দিনিয়র” বিভাগের বাত্ম্রিক পগীক্ষ। গ্রহণ করিবার ভার প্রপ্ত হন। এ কাজেও তাহাকে সাহেবের সঙ্গে সম্পর্ক রাখিতে হইয়াছিল। তিনি এবং জর্ম্মীণ-পণ্ডিন্ত ডাক্তার রোয়ার সাহেব, উপরি-উক্ত দুই পরীক্ষার প্রশ্ন প্রস্তত করিতেন। রোয়ার সাহেব 1 সংস্কৃতজ্ঞ ছিলেন বটে ; কিন্তু সংস্কৃত প্রশ্ন প্রণ- য়নে তাহাকে বিদ্যাসাগর মহাশয়ের অনেকট। সাহায্য লইতে হইত। প্রশ্রসক্ষলনের জন্য, প্রকৃত পারিশ্রমিক না! হউক, পুবস্কার-স্বন্নপ উভয়েই কিছু কিছু অর্থ পাইযাছিলেন। বিদ্যা" সাগর মহাশয়, একটা সতৎকারধ্যে মে অর্থের ব্যয় করেন। * ১৮৪১ থুষ্টান্দে বা ১২৫৬ নালে বীটন্‌ বালিকা বিদ্যালয় প্রতিঠিত হয়। ইহার নাম প্রথমে ছিল হিন্দু-বালিকাবিদ্যালয়। প্রথম ২৫ পঁচিশটী বাঁলিক। লইয়। এই বিদ্যালয় প্রতিচিত হয়। 1 ইনি নাহিত্যদর্পণ নামক অলঙ্কার গ্রন্থ ও ভাষা-পরিচ্ছদ নামুরু হ্ায়শাস্ত্রের প্রসিদ্ধ গ্রন্থের ইংরেজীতে অনুবাদ করিয়াছেল। ২২৪ বিদ্যানাগর | সিনিয়র পরীক্ষাপ়্ রামকমল ভট্াচাধ্য, কাব্যে ও অলঙ্কারে সর্ধব- প্রথম হইয়াছিলেন। বিদ্যাষাগর মহাশয় আপনার পারিশ্রমিক প্রাপ্ত অর্থ হইতে, তাহাকে সমগ্র সংস্কৃত মহাভারত ক্রয় করিয়া দিয়াছিলেন। যে অর্থ অবশিষ্ট ছিল, তাহা দ্রীন-দরিদ্রে বিতরিত হইয়াছিল। রামকমল ভট্াচার্ধ্যকে বিদ্যাসাগ্ঝর মহাশয় যে পুরস্কার দিয়াছিলেন, তাহার জন্য তাহাকে তদানীভ্তন শিক্ষা-বিভাগের (এডুকেশন কৌন্সিলের) কর্তৃপক্ষের সম্মতি লইতে হইয়াছিল । ১৮৪৯ স্বষ্টাব্দের ৫ই ডিসেম্বর বিদ্যাসাগর মহাশয়, অনুমতি পাইবার জন্ত কৌন্সিলে পত্র লিখিয়াছিলেন। কৌন্সিল্‌ ১২ই ডিসেম্বর পত্র লিখিয়া সম্মতি প্রদান করেন। বৌন্সিল্‌ বিদ্যামাগর মহাশয়ের এই কাজটাকে তাহার বদ্যন্ততার উপযোগী বলিয়া স্বীকার করিয়াছিলেন। স্পষ্টই লিখিয্না- ছিলেন,-"076016916 0 1119 11১929116০1 75001 [88070090067 ১0:0৮ ইহাতেই বোঝা যায়, বিদ্যাসাগরের “বদান্যতার” প্রচার ইহার বন্ুপূর্ব্ব হইতেই । ১২৫৬ সালে ৩০শে কার্তিক বা ১৮৪৯ হৃষ্টান্ে ১৪ই নবেম্বর বিদ্যাসাগর মহাশয়ের জ্যেষ্ঠ পুত্র ীনুক্ত নারায়ণচন্ত্র জন্মগ্রহণ করেন। ইহার কিছুদিন পর বিদ্যাসাগর মহাশয়ের আবার ভ্রাতৃ-বিদ্বোগ্গ ঘটে।- তাহার পঞ্চম সহোদর হরিশন্্র কলি- কাতায় আমিয়াছিলেন। বয়স তাহার ৮ বৎসর'মাত্র। কলি- কাতাক্স আসিবার কিয়দ্দিন পরে কাহারও ওলাউঠ। রোগে মৃত্যু ত্রা ভবিয়োগ | ২২৫ হয়। বলা বাহুপ্য, বিদ্যামাগর মহাশন, ভ্াতৃশোকে বড়ই কাতর হইয়া! পড়েন। এই সময়ে তিনি শোকাতুরা! জননীকে সান্তনা করিবার জন্য, কলিকাতায় লইয়া আসেন। বিদ্যা" সাগর মহাশয়ের জননী কলিকাতায় আসিষ়া রাজকুষ্ণ বাবুর বাড়ীতে ছিলেন। বিদ্যাসাগর মহাশয়, রাজকৃষ্ণ বাবুর মাকে “মা? বলিয়া ভাকিতেন। রাজকুষ্জ বাবুর মাতাও তাহাকে পুত্রবৎ স্েহ করিতেন। শোক কিছু শ্রান্ত হইলে, ৫।৬ পাঁচ ছয় মাস পরে, বিদ্যাসাগ্র মহাশয় জননীকে বীরসিংহে পাঠাইয়া দেন। তিনি নিজে কিন্ত সহলে ও শীঘ্ব ভ্রাতৃশোক ভুলিতে পারেন নাই। বাদ্যরধবনি ভ্রুতিগোচর হইলে, তিনি চক্ষের জলে ভাদিয়। যাইতেন। এই সমন» তাহার মৃত ভ্রতার কথ! হৃদয়ে জাগব্ধক হইত । হরিশ্চন্দ্র এক দিন কোন বিবাহের বাজনা শুনিয়া! বলিয়া- ছিলেন,-এদাদা! আমার বিয়ের সময় তোমায় এমনই বাজন। করতে হবে।” কনিষ্ঠের সেই সুধাব্ষা তুমিষ্ট কথ। বিদ্যা" সাগর মহাশয়ের হৃদয়ে শক্তি.শেল সম বিদ্ধ হইয়াছিল। দ্বাদশ অধ্যায় সাহিত্যাধ্য পরা বা ১উর্ালঙ্কারের পত্র, রিপোর্ট ও'জীবন-চরিত। ১২৫৭ সালে ২৫শে অগ্রহায়ণ বা ১৮৫০ বষ্টাষ্টে ১ই ডিসেম্বর মোমবার বিদ্যাসাণবু মহাশয় সংস্কৃত কলেজের সাহিত্যাধ্যাপক- পদ প্রাপ্ত হন। এই পদের বেতন ছিল ৯০২ নববুই টাঁকা। তিনি ৮ই ডিসেম্বর ফোর্ট উইলিয়ম্‌ কলেজের “হেড রাইটারী” গদ পরিত্যাগ করেন। শিক্ষা সমাজের অধ্যক্ষ মাসল সাহে- বের অনুরোধে তিনি সংস্কত কলেজের পদগ্রহণে সম্মত হন। ইহার পুর্বে মদনমোহন তর্কালক্কার সংস্কৃত কলেজের সাহিত্য- শাস্ত্রের অধ্যাপকতা করিতেন। তিনি মুরশিদাবাদের জজ- পণ্ডিত হওয়ায় এই পদ শৃ্ঠ হয়।* বিদ্যাসাগরের অনুরোধে তাহার প্রিয় শিষ্য ও ল্লোদরসম মিত্র রাজকুষ্ বাবু ফোর্ট উইলিয়মূ কলেজের “হেড রাইটার” পদে নিযুক্ত হন। ইহার পূর্ব্বে রাঁজকৃ্ণ বাবু জাডিন কোম্পানির বাড়ীতে “খাজাঞ্চি” ছিলেন। _ বিদ্যাসাগর মহাশয় যখন সাহিত্যাধ্যাপক-পদে নিযুক্ত হইবার অন্য অনুকুদ্ধ হইয়াছিলেন, তখন তিনি স্পষ্টই বলিয়- ছিলেন,--"আমাকে যদি শীগ্রই কলেজের অধ্যক্ষপদে নিযুক্ত করা হয়, তাহা হইলে, এ পদ গ্রহণ করিব।” শিক্ষা-সমাজের ্প্প্প্পপাপ্পাািিাশিীশাা্াশাশী্ীশীসীী শী ীিশিপিশ্ী শপ * “্জদ-পর্ডিতি” পদ প্রান্ত হইবার কদ্েক মাম পর, ঘর্কালক্ষার ষ্হাশয় ডিপুঈ মাজিইর হন। ১ তর্কালঙ্ারের প্র; ই২৭ অধ্যক্ষ ময়েট সাহেক্ট-ভীহার :নিকট হইতে এই মর্খে পত্র লিখাইয়া লয়েন। মদনমোহন তর্কালস্কারের জামাতা শ্রীযুক্ত যোগেজ্রনাথ বিদ্যাভূষণ, শ্বগুরের জীবনীতে লিখিয়াছেন, “কলেজের অধ্যক্ষপদ্ তর্কালস্কার মহাশয়কেই দিবার প্রস্তাব হয়; তিনি তাহা দ্বয়ৎ না লইয়া বন্ধু বিদ্যাসাগর মহাশয়কে সেই পদে নিযুক্ত করিবার জন্য অগ্ুরোধ করেন ” বিদ্যাসাগর মহাশয় এ কখ। অন্বীকার করেন। তিনি নিজ-পদপ্রাপ্তি- সম্বন্ধে এইরূপ লিখিয়াছেন,__ “আমি যেহ্ত্রে সংস্কৃত কালেজের অধ্যক্ষতা পদে নিযুক্ত হই, তাহার প্রকৃত বৃত্তান্ত এই মদনমোহন তর্কালঙ্কার, ' জজ-পপ্ডিত নিযুক্ত হইয়া, মুরশিদাবাদ প্রস্থান করিলে, সংস্কৃত কলেজে সাহিত্য-শাজ্ের অধ্যাপকের পদ শুন্য হয়। শিক্ষা- ঘমাজের . তৎকালীন সেক্রেটারী, শ্রীযুক্ত ডাক্তার মোফেট সাহেব, আমায় এ পদে নিযুক্ত করিবার অভিপ্রায় প্রকাশ করেন। আমি নানা কারণ দর্শাইয়া, প্রথমতঃ অস্বীকার করি। পরে, তিনি সবিশেষ যত ও আগ্রহ প্রকাশ করাতে, আমি বলিয়াছিলাম, “ঘদি শিক্ষাসমাজ আমাকে প্রিন্সিপালের ক্ষমতা দেন, তাহা হইলে আমি এই পদ স্বীকার করিতে পারি।' তিনি আমার নিকট হইতে এ মর্থে একখানি পত্র লেখাইয়! লয়েন। তত্পরে, ১৮৫০ সালের ডিসেম্বর মাসে, আমি সংস্কৃত কালেজে সাহিত্য-শাস্ত্রের অধ্যাপকের পদে নিযুক্ত হই। আমার এই নিয়েগের কিছু দিন পরে, বাবু রসময় দত্ত ২২৮ বিদ।াসাগর। মহাশয় কর্তৃক সংস্কৃত কালেজের বর্তমান অবস্থা ও উত্তরকালে কিরূপ ব্যবস্থা করিলে; সংস্কৃত কালেজের উন্নতি হইতে পারে, এই ছুই বিষয়ে রিপোর্ট করিবার নিমিত্ত, আমার প্রতি আদেশ প্রদত্ত হয়। তদনুসারে আমি রিপোর্ট সমর্পন করিলে, & রিপোর্ট দৃষ্টে সন্তষ্ট হইয়া, শিক্ষা-সমাজ আমাকে সংস্কৃত কালেজের অধ্যক্ষের পদে নিযুক্ত করেন। সংস্কৃত কালেজের অধ্যক্ষতা কার্ধ্য, সেক্রেটারী ও আসিষ্টা্ট সেক্রেটারী, এই ছুই ব্যক্তি দ্বারা নির্বাহিত হইয়া আমিতেছিল; এ ছুই পদ রহিত হইয়া, প্রিন্সিপালের পদ নূতন সৃষ্ট হইল। ১৮৫১ সালের জানুপ্রারি মাসের শেষে, আমি সংস্কৃত কালেজের প্রিন্সিপাল অর্থাৎ অধ্যক্ষের পদে নিযুক্ত হইলায় * বিদ্যাসাগর মহাশয়কে সংস্কৃত কলেজের অধ্যক্ষপদে নিযুক্ত করিবার জন্য, তর্কালপ্ষার মহাশয়ের যে তন্ুরোধ ছিল না, স্বয়ং বিদ্যাসাগর মহাশয়ই তাহা স্পষ্টই বলিয়াছেন। কিন্ত বিদ্যাসাগর মহাশয়ের যত়ে ও চেষ্টায় যে, তর্কালস্কার মহাশয়ের পদোন্নতি হইয়াছিল, তাহ তর্কালক্কার মহ'শয়ের লিখিত একখানি পত্রে প্রকাশ পায়। যখন বিদ্যাসাগর মহাশয়ের সহিত তর্কালন্কার মহাশয়ের মনান্তর হয়, তখন খর্কালক্কার মহাশয় ছুহখ করিয়া পরম মিত্র শ্যামাচরণ বিশ্বাম মহাশয়কে ষে পত্র লিখিয়াছিলেন, তাহাতেই উক্ত কথার প্রমাণ পাওয়। যায্স। পত্রধানি এই 7-- ই পাপন গগ বেভালপ্ব.শতির দশম নংস্বরণের বিজ্ঞাপন । দু £ ৮০ ॥ তর্ক'লঙ্কারের পত্র। ২১৯ 'আাতঃ 1 ক্রেষশঃ পদোন্নতি ও এই ডেপুটি মাজেঞ্র্ে্টো পদ" প্রাঞ্ি যে কিছু বল, সকলই বিদ্যাসাগরের সহায়তা-বলে হইয়াছে । অতএব তিনি যদি আমার প্রতি এত বিরূপ ও বিরক্ত হইলেন, তবে আর আমার এই চাকরী করায় কাজ নাই) আমার এখনি ইহাতে ইস্তাফা দিয়া, তাহার নিকট উপস্থিত হওসা উচিত। ক্যাম হে! কি বলিব ও কি লিখিব? আমি এই সবভিছিজনে আসিয়া অবধি যেন মহা সাপরাধীর সাম নিতান্ত মান ও স্র্তিহীন-চিত্তে কর্ম-কাজ করিতেছি । 'অথবা আমার অন্থথের ও মনোগ্রানির পরিচয় আর কি মাথা-মুণ্ড জানাইব, আমার বাল্যপহচর, একছদয়ঃ অমায়িক, সহোদরাধিক, পরয বান্ধব বিদ্যাসাগর আজি ৬ ছয় মাস কাল হইতে আমার সঙ্গে বাক্যালাপ করে নাই। আমি কেবল জীবন্ম তের ন্যায় হইয়া আছি। শ্যাম! তুম আমার সকল জান, এই জন্তে তোষার নিকট এত দুঃখের পরিচত্ব টি ক তর্কালক্গার মহোদয়ের জামাতা ও তীয় চরিতাখ্যায়ক মুক্ত পণ্ডিত যোগেন্সনাথ বিদ্যাভূষণ মহাশয় এই পত্রকে রর প্রামাণিক পত্র বলিয়াছেন। ভাহার আলে।চনা স্থানাভ্তরে নিবন্ধ হইবে। | *. আমরা বিশ অবগত হুইয়াছি, "এডুকেশন কৌন্সি- লে র? সেক্রেটরী ময়েট সাহেবের নিত াতে বিদ্যাসাগর 'মহাশাচু স্বত কলেজের সাহিত)।”শপক পন্দ গ্রহণ করেন। ০ ২৩০ বিদ্যামাগর। পণ্ডিত রামগতি ভ্তায়রত্ব মহাশয়ও তাহার “বাঙ্গ|লা-ভাহা ও সাহিত্য বিষয়ক” প্রস্তাবে এই কথাই লিখিয়াছেন। সংস্কত কলেজের সাহিত্যাধ্যাপক হইয়াই কলেজের শিক্ষা" প্রণালী সম্বন্ধে *রিপোর্টা লিখিবার জন্য বিদ্যাসাগর মহাশয় ময়েট সাহেব কর্তৃক অনুরুদ্ব হন। শিক্ষা-বিভাগের বর্তৃপক্ষরা এই সময় সংস্কত কলেজের অচির-অস্তিত লোপের আশঙ্কা করিয়াছিলেন। এইরূপ আশঙ্কার কারণও ছিল। সংস্কৃত কলেজে পুক্রের ন্যায় ছাত্র ভর্তি হইত না। ক্রমেই ছাত্রসংখ্যা কম হইয়া আসিতেছিল। ছাত্রৎখ্য' হ্রাসের বলবৎ কারণও উপশ্থিত হইয়াছিল। সংস্কৃত কলেজের পাঠ-সমাপনে অনেক সময় লাগিত; পরন্ত সেই সমস ইংরেজি-বিদ্যার বেগও আঁধকতর বৃদ্ধি প্রাপ্ত হইয়াছিল। ইংরেজি বিদ্যার প্রসার বাড়াইবার জন্য তখন শিক্ষা- বিভাগের কর্তৃপক্ষরাও অধিকতর যত্বশীল হুইয়াছিক্েন। ১৮৪২ ুষ্টান্সে “এডুকেশন-কৌন্সলে”র উপর শিক্ষা-বিভাগের ভার পড়িয়াছিল। কৌন্সিল উচ্চশ্রেণী ইংরেজি ও বাঙ্গাল! শিক্ষার উত্কর্ষসাধনেই বদ্ধপরিকর হইয়াছিলেন। এতদর্থ তাহারা পরীক্ষা ও বৃত্তির যথোচিত ব্যবস্থ। করিয়াছিলেন। যাহারা বেশ কৃতকার্য হইত, তহাদিগের অরকারী কারো প্রবিষ্ট হইবারও বেশ তুবিধা হইত। ইংরেজি শিক্ষার জন্য পাঠ্য- নির্ধারণ, পরীক্ষা-গ্রহণ,। শিক্ষক-নিফজোজন প্রভৃতি কাধ্যে কৌন্সিল কোনরূপ ত্রুটি করিতেন না। ১৮৪৩ হষ্টান্দ ২৮টী রিপোর্ট। ২৩১ স্থল ছিল। ১৮৫৫ রষ্টাবন্দে কৌন্সিলের যত্ব ও চেষ্টায় ১৫১টা হইযাছিশর। ছাত্র ছিল, ৪,৬৩২ টা; হইয়াছিল, ১৩,১৬৩ টা ্ শিক্ষক ছিল, ১৯১টী, হইয়াছিল, ৪৫৫টা। যাহারা ভাল ইংরেজি লেখা-পড়া শিখিত, তাহারা সহজেই চাকুরী পাইত। ইতরেজি বিদ্য। অর্থকরী বিদ্যা হইয়াছিল ; সংস্থৃত বিদ্যাত আর তাহ! ছিল না) পরজ্ধ সংস্কতপাঠ-সমাপনে অনেক জময় লানিত। কাজেই সংস্কৃত পড়িবার প্রবৃন্তিও লোকের কম হইয়াছিল। ক্রমেই সংস্কৃত কলেজের ছাত্র কমিতে আরস্ত হয় । এই জন্ত কৌন্সিলের কর্তৃপক্ষরাও সংস্কত কলেজের লোপাকাজ্ণ করেন। তীহার1 সংস্কৃত কলেজটা উঠাইয়া দিবার একরপ সঙ্কল্প “করিয়াছিলেন। তবে কলেজটী একেবারে না উঠাইযা কোনরূপ ইহার সংস্কার হইতে পারে কি না, ইহাও ঠাহাদের আলোচ্য হইয়াছিল। তাহার! ভাবিম্মাছিলেন, কলেজের শিক্ষা-প্রণালী কোনরূপে সহজ করিতে পারিলে এবং কোনরূপে ইহাতে ইংরেজি শিক্ষার প্রচলন করিতে পারিলে, অনেকেরই সংস্কৃত কলেজে পড়িবার প্রবৃত্তি হইতে পারে। এই সব ভাবিয়া, তাহারা বিদ্যাসাগর মহাণরকে ইহার একটী রিপোর্ট লিবিতে বলেশ। বিদ্যানাগ্রর মহাশয় এ সম্বন্ধে দক্ষ, তাহাদের এইরূপই ধারণা ছিল । কৌল্সিশের কর্তৃপক্ষ কি ঘকিপ্রয়ে রিপোর্ট লিখিতে বলিয়াছিলেন, বিদ্যাসাগর মহাশয় তাহা বেশ হৃদযক্গম করিয়া- হিলেন।. কি উপায়ে সংস্কৃত কলেজে সহজ শিক্ষাপ্রণীলী ই৩২ বিদ্যাসাগর । প্রবর্তিত হইতে পারে, তাহাই তাহার একমাত্র চিন্তার বিষয় হইল। সহজ-প্রণাশীর উদ্ভাবন করিতে না পারিলে যে সংস্কৃত কলেজ থাক ভার হইবে, তিনি তাহা বুঝিয়াছিলেন। সেই সহজপ্রণালীর উদ্ভাবন করিয়া, কৌন্সিলের অনুমত্যনুসারে তিনি প্রকাণ্ড রিপোট লিখিয়ান্িলেন। রিপোর্টটা ইহরেজীতে লেখা। আমরা বাঙ্গালায় তাহার মন্বান্ুবাদ করিয়া দিলাম। এফ, জে, ময়েট কোৌঁদ্সিল অব এদুকেশল (শিক্ষানমিতির) মম্পাদক মহাশয় নমীপেষু। মহাশয়? কৌন্সিন্‌ অব্‌ এডুকেশনের অবগতির জগ আমি সংস্কৃত কালেজের শিক্ষ1 নন্বন্ধে একটী রিপোর্ট দিতেছি। ব্যাকরণ-বিভাগ। বর্তমান-পদ্ধতি অনুনারে এই বিভাগ পাঁচটা শ্রেণীতে বিভক্ত! (১) ১৮২৪ খুষ্টান্দে সংস্কৃত কালেজ প্রতিটিত হইবার পর্ন দুইটা মাত্র ব্যাকরণের শ্রেণী ছিল। একটা মুগ্ধবোধ শ্রেণী ও অপরটা পারিনি । দ্বিতীয় যুগ্ধবোধ বানান শ্রেণী ১৮২৫ খৃঃ জানুয়ারি মানে ধোলা হয়। তৃতীয় টা ১৮২৫ খুঃ নবেদ্বর, চতুর্ঘ টা ১৮৪৬ খুঃ মে, পঞ্চম ১৮৪৭ থুঃ জান্ৃ- যারি। পাণিনি শ্রেণী ১৮২৮ খুঃ উঠিয়া যায়। নিম্মলিখিত গ্রশ্থগুলি পঠি৬ হইয়া থাকে । মুগ্ধীবোধ, ধাতুপাঠ, অমরকোষ, ভটটট্রকাব্য। পঞ্চম শ্রেণীতে মুগ্ধবোঁধের ১৭ পুঠ1 পধ্ন্ত পঠিভ হয়। চতুর্থ শ্রেণীতে উক্ত পুস্তকের ৪২ পৃষ্ঠা পর্যান্ত পাঠ হয়। তৃতীয় শ্রেণীতে ১০০ শত পৃষ্ঠা ও দ্বিতীয় শ্রেণীতে উক্ত পুস্তকের অবশিষ্ট ১১ পৃষ্ঠা ও ধাতুপাঠ। প্রথম রিপোর্ট । ২৩৪ শ্রেণীতে ভার্ট্রি কারোর কয়েক মর্গ ও অমরকোষের কিয়দংশ অধীত হয়। এই বিভাগে অধায়ন করিতে চারি বত্শর কাল নির্ধারিত হইয়াছে। কিন্তু উপরোক্ত পঞ্চ বিভাগে হ্বধায়ন করিতে হইলে পাঁচ বখসর ময় অতিবাহিত করা প্রয়োজনীয় বোধ হয়। অপেক্ষাকৃত উৎকৃষ্ট প্রণালীর অভাবে, ইহাই প্রতীয়মান হয় ঘে, যালকেরা এই বিভাগে পাঠকাঁলে ষেনম্য় অতিবাহিত করেন, সমঘের মহিভ তুলনা করিলে, তাঁহাদিগের শিক্ষা যৎনামান্য বলিচে হইবে । মুশ্ববোধ আছি নংক্ষিপ্ত বাকরণ। ইহার প্রণেতা বোপদেব, নংক্ষিপ্ততার প্রতি বিশেষ লক্ষ্য রাখিয়াছেন বলরিয়! বোধ ভ্য়। তাহার এরূপ অভিপ্রায় থাকাতে তিনি ভাহার পুস্তককে অতিশয় ছৃন্ধহ করিয্লাছেন। একে নংস্কৃত ভাষা অতিশয় কঠিন, তাহাতে একথানি দুন্ধহ বাঁকরণ সহকারে ইহার শিক্ষা সুর কর, নামার বিবেচনায় সঙ্গত বলিয়া বোধ হয় না। এভাদৃশ ব্যাকরণে প্রবেশ লাভ করিতে হইলে যেন্ধপ কষ্টে পতিত হইতে হয়, তাহ! বিশেষজ্ঞ ব্যক্তিমাত্রেই অবগত আছেন। সুকুমার-মতি বালকবৃন্দ নংস্কৃত শিক্ষা আরম্তকালে মুগ্ধবোধ ব্যাঙ্গরণের কাঠিল্সপ্রমুক্ত ভাতাদিগের শিক্ষকগণের উচ্চাত্রিত কথাগুলি কেবল মুখস্ত করিয়া রাখে! ভাহীরখ যে পুস্তক পাঠ কবে, তাহার বিন্দুবিসর্গ ও নিজে নিজে বুঝিতে পারে না । এক্ধপে কেবল বাকরণ অধ্নায়নেই পাচ বৎসর অতিবাহিত হয়| কিন্তু ভাষায় কিছিম্মাত্রও প্রবেশাধিকার জন্মে ন। ইহ1 নিতান্তই বিশ্ময়কর যে, এক ব্যক্তি ক্রমাগত ভাঁধাশিক্ষ/য় পাঁচ বৎনর কাল ব্যয় কবিল, অথচ তাহার বিন্দমাত্রও বৃখিতে নমর্থ হইল ন1। বিশেষতঃ মুস্ধবৌধের বুহদাঁকার টীক1-টিসনি নত্বেও উহ নিতান্তই অমন্পূর্ণ গ্রন্থ। সুতরাং বর্তমান পদ্ধতি অনুসারে 'স্কত কালেজের ছাত্রের প্রথম পাচ বঙ্নর বৃথা বায় হয়। তাহার সমস্ত পরিএরম ও কষ্টের ফল এইমাত্র হয় যে, ব্যাকরণ শাস্ত্রে তাহার অধীত-বিদ্য] দিভান্ভই অসম্পূর্ণ। এই বিভাগে ধাতুপাঠ দামে যে জপর ২৪৪ বিদ্যাসাগর । পুস্তক অধাঁত হয়, তাহার ছন্দোবদ্ধ সংস্কৃত ধাতৃসংগ্রহ মাত্র । অমর-কোব একধানি ছন্দোনিবন্ধ অভিধান । আমি স্বীকার করি যে, এই ছুই গ্রস্থ সম্যকৃরূপে আয়ত্ব হইলে নাহিতা-শাস্্র অধায়ন-কালে কিছু স্থবিধা হইতে পারে; কিন্ত উক্ত গ্রন্থতব মুখস্থ করিতে যে সময় ও পরিশ্রম ব্যপ্লিত হয়, তাহার তুলনায় প্রাপ্ত উপকার অকিঞ্ণকর বলিয়া বোধ হয়! বিশেষতঃ প্রচলিত উৎকৃষ্ট নংস্কত পদ্দা-গ্রন্থীবলী, ষাহ1 সংস্কৃত লাহিত্য- শাস্ত্রের ভূষণস্বরূপ, প্রায়ই প্রনিদ্ধ টীকাঁকার মল্িনাথের অত্যুৎকৃষ্ট বাখ্যায় অলম্কাত; সুতরাং উক্ত পুত্তকদ্বয়ের অধ্যয়ন নিতান্তই অপ্রয়োজনীয় বলিয়! বোধ হয়। এ স্থলে ইহার উল্লেখ আবশ্ঠক যে, উপরোক্ত টাকাঁকার তাহার অল্পান্য সহযোগীর ন্যায় নহেন। তাহার! গ্রহ্থের ছুব্ধহ অংশগুলি পরিত্যাগ করির! অপেক্ষাকৃত সরল অংশগুলি বিশেষভাবে ব্যাথা করেন। এই সকল, বিষয় সবিশেষ পর্্যালোচন1 করিয়া দেখিলে বিশেষ প্রতীতি হইবে যে, মুগ্ধবোধ, ধাতুপাঠ ও অমর-কোষ পাঠে পাচ বনর কাল অতিবাহিত কর] নিতান্ত যুক্তিবিরুদ্ধ। এই বিতাগে অপর পাঠ্যপুস্তক ভর্ট্টকাধ্য। ইহ রাম ও তাহার কার্ধ্য-কলাপ-সমস্থিত একথানি পদা-গ্রস্থ। এই পুস্তক ধানি ব্যাকরণ শান্ত্রের সুত্র সকলের উদাহরণ প্রদর্শনাভিপ্রায়েই লিখিত হইরাছে। ইহ ব্যাকরণ বিভাগের নিতান্ত অনুপযোগী বলিক্না বোধ হয় না। এক্ষণে ব্যাকরণ বিভাগে প্রচণিত শিক্ষাপ্রণালীর নংস্কার করিতে ইচ্ছ!করি। আমার সামাম্ বিবেচনায় ইহ1 যুদ্রি-সঙ্রত ঘলিয়! যোধ হয় যে, ষে চারি বথ্মর ব্যাকরণ বিভাগে অতিবাহিত কর। নির্ধারিত আছে, উক্ত লমঙ্ষের মধ্যে যে ছাত্রের ফেবল ব্যাকরণেই পারদর্শিতা! লাভ করিবে, ভাহা নহে; তাহার পঙ্গে নঙ্গে সাধারণ মাহিতোও কিঞ্চিং প্রবেশাধিকার লাভ করিতে পারিবে। এক্ষণে তাহার লাহিত্য-বিভাগে রিপোর্ট । ২৩৫ যে কেশ অনুত্ভব কশ্, তাহাদিগকে আঁদো ভাহ! করিতে হইবে নাঁ। একখানি অসম্পূর্ণ ব্যাকরণ অধায়নানত্তর তাহাদিগকে লাহিত্য বিতাগে প্রবেশ করিতে হয় এবং ভাঁধায় তাহাদিগের কিকিন্মাত্রও জ্ঞান জন্মে না। আমি যে প্রণীলী-প্রচলনের পক্ষপাতী, তাহ! নিম্বে বিবৃত হইভেছে। প্রথমতঃ বালকের! সংস্কত ভাষায় লিখিত বাাকরণ পাঠ করিবার পরিবর্থে এ দেশীয় ভাষায় রচিত ব্যাকরণের প্রধান প্রধান নিয়ম ও সুত্রগুলি পাঠ করিবে। ভৎপরে তাহার ছুই কিংবা! ভিন থানি সংস্কৃত পাঠা অধ্যয়ন করিষে। এই নকল গ্রন্থে হিতোপদেশ, পঞ্চতন্ত,বামায়ণ, মহাভারত প্রভৃতি গ্রন্থসমূহ হইছে বালকদিগের পাঁঠোপযোশী উদ্ধৃত অংশ থাকিবে। এই নমন্ত পাঠে ছাত্রদিগের ছুই বৎসর কাল অতিথাহিত হইবে। তৎপরে ভাহার1 সিদ্ধান্ত-কৌঁমুদী আরগ্ত করিবে ও তাহা ব্যাকরণ বিভাগে উচ্চতম-শ্রেণী পধ্যন্ত অধায়ন করিধে। সমস্ত সংস্কৃত ব্যাকরণের মধ্যে এইথানি সর্বাত্রেষঠ গ্রন্থ ও ব্যাকরণ শাস্ত্রে একমাত্র নর্বোংকৃষ্ট পুস্তক। ইহা ঘেরূপ সম্পূর্ণ, তাদৃশ লরল। নিদ্ধান্ত-কো মুদীর লঙ্গে লঙ্গে ছাত্রের রঘুবংশ, তর্ট্রকাবা হইতে উদ্ধত্ত অংশ ও দশকুমারচরিত পাঠ করিবে। আমার প্রস্তাব এই যে, পাঁচটা শ্রেণীর পরিবর্তে চারিটামাত্র শ্রেণী থাকিবে ও পঞ্চমটা চতুর্থ শ্রেণীর একটী বিভাগ বলিয়! গণ্য হইবে । উভয় বিভাগেই একই পুস্তক অধীত হইবে। এই বন্দোবস্ত দ্বারা একটা বৎসর বাঁচিয়া যাইধে এবং ব্যাকরণ বিভাগে পীচ বংমরের পরিবর্তে চারি বৎমর নিক্ধীরিত হইবে । সাহিত্য-বিভাগ । ব্যাকরণ বিভাগ হইতে ছাত্রের এই শ্রেণীতে উদ্গীত হইলে তাহা- দিগকে এখানে ২ছুই বংসর কাল পাঠ করিতে হয়। তাহার এখানে নিযললিবিত পুণ্তকগুলি অধ্যয়ন করে। (১) রঘুবংশ, (২) কুমার-সম্ভষ, (৩) মেঘদৃত, (8) কিরাভার্জনীয়, (৫) শিশুপালবধ, (৬) নৈষধ-চরিত, ২৩৬ বিদ্যাসাগর । (৭) শকুন্তলা, (৮) বিত্রমোর্ব শী, (১) রত্বাধলী, (১৯) মুদ্রারাক্ষণ, (১১) উত্বর- চরিত, (১২) দশকুমার-চরিত ও (১৩) কাদম্বরী। তাহার এখানে বাঙ্গাল] হইতে নংস্কত এবং সংস্কৃত হইতে বাঙ্গাল। ভাষায় অন্বাদ করিতে অভ্যান করে ও গণিত-শ্রেণীতে অধ্যয়ন করে। উপরোজ্ ভ্রয়োদশ থানি পুস্তকের মধ্য প্রথম ছয়খানি প্রনিদ্ধ পদা-গ্রস্থ। সপ্তম, অষ্টম, নবম, দশম ও একাদশ নাটক) অবশিষ্ট ছুই খানি গদ্য | রধুবংশ একখানি এভিহাগিক পদা-্রন্থ ও উনবিংশ নর্গে বিতক্ত। রামচন্দ্র, ভাহার উপরিতন তিন পুরুষ ও তাহার সন্তান-সন্ততি্ণের কার্য-কলাপই রঘূধংশের বর্শিত ব্ষিয়। ইহাতে রাজ অগ্সিষণ্ের বৃত্তান্ত পর্যান্ত লন্নিবিষ্ হইয়াছে। “কুমার-মন্তব এই নামকরণেই ইভা প্রতীয়মান হয় যে, কার্তিকেয়ের জন্ববৃত্তান্ত ইহার বর্ণিত বিষয়। কিন্ত ইহার প্রচলিত মাত মর্গ পাঠে দৃষ্ট হইবে যে, ইহাতে বর্ণিত বিষয়ের কিয়দংশ নিবি ভইয়াছে বটে? কিন্ত কার্তিকেয়ের মাত পার্ধতীর জন্ম, শিব কর্তৃক কামদেব ভশ্ম, পার্ধতীর তপন] ও তাহার নহিত শিবের বিবাহ প্রভৃতি ব্যাপারও ইহাতে বর্ণিত আছে। মেঘদৃত ১১৮ গ্লেকে রচিত একখানি পদাগ্রন্থ। কোন ষক্ষ তাহার প্রভু ধনাধিপতি কুবেরের কেন কারণে ক্রোধভাজন হওয়াতে, তীহার প্রভূ কর্তৃক অভিশপ্ত হইস়্1 সুদূরবন্তা প্রদেশে প্রিয়া-বিরহিত হইয়] পূর্ণ এক ঘংসরকাল বাঁদ করিতে বাধ্য হইয়াছিলেন। প্রণয়ী ষক্ষ এই বিপৎপাতে নিতান্ত ক্লিট হইয়। নিজ প্রিয়ার নিকট তাহার বাণীবহনের ভন্য একথণ মেঘকে কুষেরের রাজধালী অলকা-লগরীতে বাইতে অনুরোধ করিয়াছিলেন । শকুণ্তলা ও বিক্রমোর্বশী ছুই থানি নাটক। প্রথম ধানিতে কথবধি- প্রতিপালিত শকুন্তলা ও রাজ! ছুম্মন্তের প্রণয়-ব্যাপার অবলশ্বনে লিধিত। দ্বিতীয় খানি রাজ] পুরু ও উর্বশীর বৃত্বান্ত-ঘটিত ব্যাপারে পরিপূর্ণ। এই রিপোট। ২৩৭ মমন্ত অতি উট গ্রন্থ ও অমর কবি কাপিদাসের রমময়ী লেখনী -প্রস্থত | প্রত্তোক গ্রন্থেই ভাতার আলেোকিক প্রতিভার সুপ্পট পরিচয় দেদীপামাঁন আছেন শিশ্পাল বধ, কিব্রীভার্জরনীয় ও নৈষধ-ভরিত বীররন-প্রপান কাবা প্রথম খানি মহাকবি মাধ-রচিত ও বিংশনর্গে বিভক্ত । ক্বিতায়, কবি ভারবি বুচিত ও নহদশ মর্গে বিভক্ত । ভূভীয় খানি আহপ্রণীত ও স্বাবিংশ নর্গে বিভক্ত । শ্রাকন্গের হস্তে শিশপালের মৃত্যু কবি-মাঘের পদ্য- গ্রন্থের বর্মিত বিষয় । কিরাতাজ্জুনীয় গ্রন্থের বর্ধিত বিষয়, অর্জুনের তপন । ছগ্মবেশধাঁবী কিরাঁতিনপী শিবের অঠিভত তাহার যুদ্ধ ও অবশেষে তাহার বীরত্বের পরিতোধিক-ম্বক্ূপ মহাদেবের নিকট হইতে তাহার পাশ্রপত্ত- অন লাভ। রাজ] নলের কারা কলাপই নৈষধ চরিতের বণিত বিষয় । উপরোক্ত প্রথম দুই খানি পুস্তকে উতকৃট বাররশান্সক কাবোর সমস্ত গুণ নক্ষিত হয়। কেবল মধো মধো ক্লেশকর্ব ছুই একটা স্থান দৃ্ট হয়। শিশুপাল-বধের সপ্তম, অইঘ, নবম, দশম ও একাদশ নর্গ উন্নত ভাবপুর্ধ কবিতায় পরিপূর্ন; কিন্তু উহাতে ও কিরাভান্্রনীয়ের স্থানে স্থানে অস্্ীল- শ্লোক দুষ্ট হয়। নৈষব-চরিত আরন্ত হইতে শেষ পর্ধান্ত শব্দাডন্বর ও অতুক্তি বর্ণনায় পরিপূর্ণ । ইহার ভাষা বিশুদ্ধ বা প্রাঞ্জল নহে । কিন্তু মধ্যে মধো শ্লোক সকল মুন্দরভাবে পরিপূর্ব। ভন্ভূতিপ্রণীও উত্ত-চরিত এক খানি নাটক-বিশেষ | ইভাতে রাষচন্দের জীবনের শেষ অংশ বর্ধিত আছে। বৃতাবলী একখানি নাটক। দক্ষ ইহার গ্রস্থকর্তী। রাজা আরীহর্ধ কতৃক অর্থদানে পুণস্কত ভইয়! তিনি উক্ত পুস্থকথানি প্রণয়ন করেন। তিনি এরন্ধীপ আর একখানি পুস্বক রচন1 করিয়! উভয় পুস্তকই রাজ শ্রীহষরচিভ বলিয়। প্রচারিত করেন । রাঁজা উদয়ন ও রতাবলী ঘটিত প্রণয়-কাহিনী অবলন্দনে উক্ত নাটকথানি রচিত। এই উভয় পুস্থকই সর্ববিধায়ে অতি উকৃই। খধিশাখদত্তপ্রণীত মুদ্রারাক্ষল একখানি রাজনৈতিক নাটক নামে অ(তিহিত হইতে পা্ধে। ইহাতে আমর1 দেখিতে পাই যে, গ্রীকপিপের ২৩৮ বিদ্যামাগর | বণিত চাল্রকোটালের চন্দ্রগুপ্তের (প্রধান মন্ত্রী চাঁণকা) স্বীয় প্রভু নৃতন অধিকৃত রাঁজোর দৃঢ়তা মম্পাদনের জন্া কটনীতিপূর্ণ কৌঁশল প্রয়োগ দ্বারা নন্দবংশোভব শেষ রাজার প্রভৃতক্ত'প্রধান মন্ত্রী রাক্ষমের সমস্ত চেষ্টা বার্থ করিয়া দিভেছেন। ইহাঁও একথানি সকোৌশলমম্পন্ন সুন্দর গ্রন্থ। দশকুমারচরিত ও কাদন্বহী গদাগ্রন্থ। প্রথমোক্ত গ্রন্থে কতকগুলি বন্ধু নিজ নিজ ইতিহাস বর্ণনা করিতেছে । ভাষ1 বিশুদ্ধ ও গ্ুন্দর। কিন্ ইহাতে স্থানে স্থানে দোধপূর্ণ অংশ জ্বাছে। দণ্ডী ইহার গ্রন্থকর্ভী। কাদশ্বরী একখানি উপন্ান বা গদা-বীররলাজ্বক কাবা । ইহ1ছুই অংশে বিতক্ত। প্রথম অংশ নংস্কৃত রচনার একখানি আদর্শ গ্রন্থ । গ্রস্থকর্ত| বাঁণভষ্ট এই নর্বাজন প্রশংসনীয় পুস্তকখাঁনি সম্পূর্ণ করিবার পূর্ে মৃত্যুমুখে পতিত হন। তাহার পুত্র দ্বিতীয় ভাগ রচন| কবেন। পুত্রের রচন। পিতার অপেক্ষ! নর্বতোভাবে নিকৃষ্ট । এ নম্বন্ধে আর অধিক বক্তবোর প্রয়োজন নাই। গণিত-শিক্ষা-নন্বন্ধে আমার বক্তব্য, জ্যোতিষ-শিক্ষা-প্রকরণে প্রকাশ করিব। আমি যে পরিবর্তনের প্রস্তাব করি, তাহ! এই | ব্যাকরণ-বিভাগ- নংক্রান্ত রিপোর্টে আমি উল্লেখ করিয়াছি, রঘবংশ প্রথম ব্যাকরণ- [এনীতে অধীত হউক ও দশকুমারচরিতের উদ্ধাত অংশ সকল অপর একটা ব্যাকরণ-খিভাগে পঠিত হউক এবং শিশুপাঁল-বধ, কিব্রাতাক্ছরনীয় ও নৈষধ-চরিত্বে অনেক অশ্লীল শ্লোক থাক! প্রমুক্ত নমস্ত পঠিত হইবার পরিবর্তে উহার উদ্ধৃত অংশনমূহ পঠিত হউক। কাদশ্বনীর পূর্বভাগ পাঠ্য- পুস্থকরূপে গণা হউক । অন্যান্ত মমুদয় এন্ছ অমস্তই পঠিত হউক। আামি ইহাও প্রস্তাব করিভেছি যে, বীর-চরিত ও শান্তিশতক এই শ্রেণীতে পাঠা- পুস্তকরনপে গৃহীত ভউক | বীত্-চরিত ও উও্এচবিভ একখানি নাটকরপে পরিগণিত হইতে পারে । ঘম্মধ্ বার-চরিত পূর্ব্দ ও উত্বর-চরিত অপরাদ্ধ। বীর-ট্রিভ উত্তব-চরিত অপেক্ষা কোন অংশে নিকৃষ্ট নহে-। রিপোর্ট । ২৩৯ শান্তিশতফ একখানি সুন্দর নীতিপূর্ণ পদ্য-গ্রন্থ। ছাত্রের! এ সময় অনুবাদ ও সংস্কৃত ও বঙ্গভাযায় প্রবন্ধীদি লিশিতে অভ্যান করিবে । অলঙ্ার শ্রেণী। মাহিভাচর্চার পর ছাত্রেতা এই শ্রেণীতে আসে ও এখানে ছুই বৎসর কাল অধার়ন করে। তাহার এই শ্রেণীতে অলক্ষার-নন্বন্ধে লিস্বলিখিত পুস্তকগুলি জধায়ন করে। (১) নাহিত্য-দর্পণ। (৩) কাব্য-দর্শন। (২) কাব্যপ্রকাশ। (৪) রমগঙ্গাধর | সাহিত্য-শ্রেণীতে যে সমস্ত পদা গ্রন্থ পাঠ করিবার তাহাঁদিগের অবমর থাকে, এস্থলে তাহারা মেই পদ গ্রন্থনমূহ পাঠ করে। এতদ্বাতীত তাহ1- দিগকে অনুবাদ ও রচন] শিক্ষা! করিতে হয়! তাহাদিগকে আবার গণিত শ্রেণীতে গমন করিতে হয়। এই গণিতশ্রেণী-লন্বন্ধে আমি নিম্ুলিখিত পরিবধ্ূনের প্রয়োজনীয়ত] অন্বুভব করি। অলদ্ধার-নন্বন্ধে কাব্য প্রকাশ ও দশরূপক অতি উতকৃষ্ট গ্রন্থ। কিন্ত মচরাচর সাহিতা-দর্পণই পঠিত হইয়। থাকে । কিন্ত আমি নিম্নলিখিত কারণে কাব্যপ্রকাশ ও দশরূপফ ্রন্থস্বয়কে অপেক্ষাকৃত উৎকৃষ্ট বলিয়! স্বীকার করি। কাব্যপ্রকাশ, সাহিতা- দর্পণ অপেক্ষ। নব্ববিষয়ে গাস্তী্র্যপূর্ গ্রন্থ। সকলেই একবাক্যে শ্বীকার করিবেন যে, অলক্কারশাস্ত্র-বিষয়ে ইহ] একখানি শ্রেষ্ট গ্রন্থ। মলিনাখের স্যায় উৎকৃষ্ট টাকাকারগণ তাহাদিগের ব্যাখ্যায় পুনঃ পুনঃ ইহার উল্লেখ করিক্মাছেন। কিন্তু কাব্যপ্রকাশে নাটকরচলা-নন্বন্ধে কোন উল্লেখ নাই। . দশন্ধপকে অল্ষারশাস্ত্রের উক্ত ব্তাগের বিশে আলোচনা কর] হই- যাছে। বিশেষতঃ নিজ বিভাগে ইহা অভি শ্রেষ্ঠ বপরিয়া! পরিগণিত ।__ মাহিত্য-দর্পণ অপেক্ষা কাবাপ্রকাশ ও দশরূপক অপেক্ষাকৃত অল্প সময়ে পঠিত হইতে পারে। তন্নিমিত্ব কাব্য প্রকাশ ও দশরূপক, সাহিতা-দর্পণের স্থান অধ্কার করিতে পারে। উক্ত গ্রন্থগ্বয় পাঠ করিবার পর অপরটী ৭০ ব্দ্যাসাপির | অধায়ন কর! কেবল নময় নষ্ট মাত্র । যদি ব্যাকরণ-শশ্রণী-ন-ত্রাও আমার ঘক্তবাগুলি গৃহ হয়, তবে অলক্ষার শ্রেণীতে কেবল গ]হিত্যবিষয়ক গ্শ্থাপি পাঠের আবষ্টঠকত] থাকে না। এ কারণে যে নময় উদ্দত্ত থাকিবে, তাহা গণিত ও অন্তান্ত ব্যিয়ে নিয়োগ কর1 ঘাইতে পারে। ভাহাতর উল্লেখ পরে করিব 1% জ্যোতিষ ও গরণতশ্ণী। সাহিভা ও অলন্দার শ্রেণীর ছাত্রের এই শ্রেণীতেও অধায়ন কৰে। এখানে তাহারা! লীলাবভী ও বীজগণিত পাঠ করে। জীল!বতী ভাঁঙ্করাচার্ষাপ্রণীত একথাণি অদ্ধ ও পরিমিত বিষয়ক গ্রন্থ । বজগণিত উক্ত গ্রন্থকারপ্রণীত। উভয় গ্রন্থই অভি শক্ষিপ্ত। পুস্তকদ্ধয়ে কোন প্রকার শৃঙ্ধল1 নাই ও ইংলতীয় ভাষায় রচিত ভ-মদৃশ পুত্তকের ক্ষায় উহাতে কিছুই নাই। ভাহ| অকারণে অতিশয় কঠিন করিয়া রচিত হইয়াচে। প্রশ্নাবলী ছন্দে নিবদ্ধ। এই ছুই থালি পুস্তক শিক্ষ1কপিতে ছাত্রগণের ছুই বংসর লাগে। অধ্যয়ন বিভাগের এই স্বানে সবিশেষ পরিবর্লের আবস্ঠক। ইংলশীয় গ্রশ্থকারগণের পুস্তক হইতে অঙ্ক, বীজ- গণিত ও জ্যামিতি নশন্ধে পুস্তকাদি নংগ্রহ হওয়| উচিত। এই অমকল পুন্তক অধ্যয়নের পর বালকের! অতি মহজেই লীলাবতী ও বীজগণিত পুস্তক শিক্ষা! করিতে পারিবে । গণিভবিদশীর উচ্চ শাখাসযুহ অনবাদিত ও পাঠ্য পুস্তকন্ধশে গণ্য হওয়া উচিভ। হার্শেল মাহেবকত জোঁতিষ- শাস্ত্রের স্ঠায় পুস্তকের বঙ্গতাষায় অনুবাদ ইওয়] উচিত ও গণিত শ্রেণীতে তাহার পঠনা 5ওয়] আবস্টাক। এ নমস্ত পৃশ্তক ইংরাতী ভাষাতেই পাঠা হইতে পারে। কিন্তু বঙ্গভাষাঁয় অনুবদিত হইলে বাঙ্গাল] বিদ্বাঁলক্জের ৯ শিশীীশিশশিপাশিী ০ পেস পে রি * পূর্বে এ অলন্দার শ্রেণীতে এক বশর পড়িতে হইত। ১৮% অন্দের২৮শে নবেগর ছুই বখলর পড়িবার নিয়ম হয়। তে জনও রা রি রিপোর্ট । ২৪১ বিশেষ উপযোগী হইবে। লাহিতা ও অলঙ্কার শ্রেণীর ছাঁত্রগণ ব্যতীত সৃতি ও ন্যায় শ্রেণীর ছাত্রদিগেবও গশিতাধ্যাপকের উপদেশ শ্রবণ করা উচিত। এস্থলে শংস্কৃত কলেজের নিম্বশ্রেণীর কাঁবোর শেষ হইল, ইহ? বিবেচিত হইতে পারে । এই বিভাগের শ্রেণীলমূহে যলোহর অথচ প্রয়ো- জনীয় বিষয়মন্বলিত বঙ্গভাষায় রচিত পুস্তক নকল অধীত হইবার প্রয়ো- জনীর়ত1 আমি অমব করি, সুতত্নাং এই প্রস্তাব করি যে, উক্ত পুস্তক- নমূহে নিম্নলিখিত বিষন়নগুপে সন্িধিই থাকে । ব্যাকরণের চতুর শ্রেণীর জন্য-__পশ-মংক্রান্ত ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র গল্প । তৃষ্ঠীয় শ্রেণীর জন্ত-_রুডিমেন্টস্‌ বব নলেজ ও চেন্বার্ঁস সাহেব কৃত গ্রন্থাবলী। দ্বিতীয় শ্রেণীর জন্য_-চেম্বার্ন সাহেব কৃত মরালর-ক্লাম-বুক | * প্রথম অেণীর জন্ত বিবিধ বিষয় । যথা_সুদ্রাক্ষণ, চুদ্বকীকর্ষণ, নে-বিদাণ, ভুমিকম্প, পিরামিড, চীনপেশীয় প্রাচীর, মধুমক্ষিক1 ইত্যাদি | নাহিত্য.শ্রেণী? জন্য_চেম্বার্ন মাহেব কৃত জীবন-5রিত ও অগ্যান্ত মনোহর ও প্রয়োজনীয় বিবিধ-বিষয়ক প্রবন্ধ। যথ1-টেলিমেকৃল, রঠসেলাস্‌ ও মহাতারত প্রভৃতি গ্রন্থ হইতে উদ্ধৃত অনুবাদমমূহ। অলঙ্কার শ্রেণীর জন্য- নৈতিক, রাজনীতিক ও সাহিত্য-বিষন্নক পুস্তক্কাবলী ও প্রাকৃতিক বিজ্ঞান-বিষয়ক পুস্তকাঁদি। যদি এডুকেশন কৌন্সিলের জধ্যক্ষেত্া এই সকল বঙ্গভাঁষায় রচিত গ্রন্থ, পাঠ্য-পুস্তকরূপে নির্দি্ট করেন, তবে সংস্কৃত কলেজের ছাত্রের অল্পায়ানে বঙ্গতাষায় সুন্দর পারদর্শিত1 লাত করিতে পারিবে ও ইংরেজী তাষা' শিক্ষ1! আর্ত করিবার পূর্বে অনেক প্রয়োজনীয় জ্ঞান উপার্জন করিতে সমর্থ হইবে ও তাঁহাঁদিগের চিত্বরৃত্বি বিশেষ উংকধ লাত করিবে। পূর্বোক্ত বাক্গালা গ্রন্থের মধ্যে জীবন-চগ়্িত মুদ্রিত হইয়াছে। ২১ ২৪২ বিদ্যাসাগর বোঁধোদয় ও দীতিবোধ মুজ্রিত হইতেছে এবং অস্ঠান্য পুস্তকগুলি প্রন্ত তইতেছে। এই সমস্ত পুস্থক প্রচলনের জন্ভ কৌন্সিলকে কোন অতিরিক্ত বায় বহন করিতে হইবে না| এন্থলে ইহাঁও উল্লেখযোগ্য যে, বঙ্গভাষায় রচিত মংস্কাত ব্যাকরণের উপক্রমণিক1 ও নংস্কৃত ভাষায় লিখিত নক্ষলন- লি প্রন্তত করিতে কোন আর্ধিক আনুকলোর প্রয়োজন হইত্ব ন1। শংস্কত কলেজের গণিত শ্রেণী ব্যবহারের জন্য গ্রন্থাবলী। যথা, আস্কবিদা, বীজগণিত, জামিভি ও জ্যোতিষ-শান্ত্র। এই পকল গ্রন্থ রচন1 করিবার জন্ত কৌপসিল অব. এডুকেশনের লাহাষ্য নিতান্ত আবশ্টুঙ্গ ও কৌন্সিলের সন্ধি অর্থ হইতে এ বিষয়ে সহজেই লাহাষ্য করা যাইতে পারে। স্মৃতি বা আইন শ্রেনী। অলঙ্কার শ্রেণী হইতে ছাত্রের]! এই শেণীতে উন্নীত হয় ও এখানে তিল বমর কাল অধায়ন করে। পাঠ্য-পুত্ত কুলি এই £__মহ্ৃমংহিতা, মিতাক্ষর। দ্বিতীয় অধ্যায়, বিবাঁদ-চিন্ত'মণি, দাঁয়ভাগ, দত্তক-মীমাংসা, দত্তক-চন্ত্রিকা, অষ্টাবিংশতি তত্ব। হিন্দুআধন সন্বন্ধে মন্থমংহিতাই সর্বশ্রেষ্ঠ গ্রশ্থ। ইহাতে লামাজিক, নৈতিক, বাজনীতিক,ধর্খমনংক্রান্ত ও অর্থ-শান্ত্রবিষয়ক নিয়মাবলী সন্নিবি্ট আঁছে। প্রাচীন কালে আঁদর্শ-হিন্দু-সমাজের বিষয় ইহাতে বর্ণিত আছে। বিজ্ঞানেশ্বর-রচিত মিতাক্ষরা, মহধি যাজ্ঞবক্কা প্রণীত গ্রন্থের টাকাঁমাত্র। দ্বিতীয় অধ্যায়ে দেওয়ানি, ফৌজদারি ও দায় নন্বস্কীয় আইন-কানুন বিবৃত আছে। পশ্চিমোত্তরাঞ্চলে মিতাক্ষরা এক থানি মর্ববাদি-সম্মত প্রামাণ্য-গ্রন্থ। বিবাদ-চিন্তামণি বাচস্পতিমিশ্র-প্রণীত। ইহাতে দেওয়ালি ও ফোঁজদাঁরি বিধি বিবৃত | বিহারে ইহা! প্রমাণ-গ্রন্থ। জীমূতবাহন দায়- ভাগের প্রণেত1। উত্তরাধিকারিত্ব ইহার প্রতিপাদা বিষয়। ইহ! বাঙ্গালার সর্ববাদি-সন্মত প্রমাণ-গ্রস্থ। পোঁষাপুত্র গ্রহণ ও তাহাদের দেওয়ানি রিপো্ট। ২৪৪ অধিকার বিষয় লইয়া! দত্তক-মীমাংলা ও দত্তক-চন্্রিকা। মীমাংন! পশ্চিমোত্বত্ৰাঞ্চলে এবং চন্দ্রিক! বাক্গালায় প্রমাণ-গ্রন্থ। দায়তত্ব, ব্যবহার-ভত্ব এবং অস্তান্য বিষয়ক ছান্বিশ খানি গ্রন্থ লইয়া অষ্টাবিংশতিতত্ব। ইহ রঘুনন্বন-প্রণীত। প্রথমোক্ত খানি দায়নন্থন্ধে । দ্বিতীয় খালি আদালতের কার্ধাবিধি সন্বন্ধে। অন্য ছাকিশখানি ধর্মানুষ্ঠানসংক্রান্ত। এই গ্রেণীমন্দন্ধে আমার বক্তব্য এই ঘে, অষ্টাধিংশতিতত্বের অধ্যাপনণ বন্ধ হওয়া উচিত । ইহ ঘাঁজনব্যবশায়ী বাঙ্গণ পুরোহিভদিগের শিক্ষোপযে'গ্ী। ওরপ গ্রন্থাদি বিদ্যালয়ে অধীত হইবার অম্পূর্ণ অনুপযোগী । অপর পুস্তকগুলি পাঠে কোন গতিবন্থার নাই ও প্রচলিত থাকিতে পারে । উক্ত গ্রন্থাদি অনুশীলনে ভাঁরতব্যগথ যাবতীয় প্রদেশের হিনু-আইন মন্বন্ধে অভিজ্ঞত! জন্মে । | ম্যায় শেণী। তর্কশান্ত্র ও দর্শলবিদা1 ঘটিত ব্যাপার লইয়াই স্তায়শান্ত্র। মধ্যে মধ্যে রসায়ন, দৃষ্টিবিজ্ঞান, গভি-বিজ্ঞান প্রভৃতি নশ্বন্ধেও উল্লেখ আছে। মীমাংন1 ও পাহগ্ল ব্যতীত অন্যান্য শান্ত্রমন্বন্ধেও পরন্নপ বলা যাইতে পারে। মীমাংসা ও পাতঞ্জলে ধর্নুষ্ঠান ও ঈথর নন্বন্ধে চিন্তার বিষকক উল্লিখিত আছে। চারি বংনর কাল অধায়ন করিতে হয়। দিম্নলিখিত গ্রন্থগুলি পাঠ্য পুস্তকরপে নিদ্দিষ্শ-ভাধা-পরিচ্ছেদ, মিদ্ধান্তযুক্তীবলী, ম্যারহত্র, কুহ্মাঞ্জলি, অন্ুমানচিন্তামণি, দীধিতি, শবশক্তিপ্রকীশিক।, পরিভাষা, তত্বকৌযুদী, খণ্া ও তত্ববিষেক | ভাঁধা-পরিচ্ছেদ প্র বিশ্বনাথ পধানম প্রণীত। ইহা ন্যায় শাসকের সকল শাখ! লম্বন্ধে একখানি গ্রন্থ। গ্রচ্থকার স্বরচিত ভাষাঁপরিচ্ছেদ মন্বন্ধে একখানি টাক। লক্লন করিয়া- ছিলেন। ভাহার নাম পিদ্ধান্তযুক্তীবলী। ত্যাযৃত্র গৌঁতম-খবি-প্রনীত। কুহ্মাগ্রলে গ্রন্থে ঈখরের অস্তিত্ব ও পরককাল-মংক্রান্ত বিষয় উল্লিখিত আছে। ২৪৪ বিদ্যাসাগর | ইহাতে যে তর্কপ্রণালীর অনুসরণ হইয়াছে, তাহ প্রধানত; আধুনিক ইউবোপীয়গণের প্রণীত গ্রস্থাবলীতে অবলশ্বিত তর্কপ্রণালীর তুল্য । ইহার গরন্থকর্তীত্র নাম উদয়নাচার্য। অআ্বন্মানচিষ্তামণি বর্তমান গ্াঁয়-শান্্র- মন্পরদায়-নন্মত একথানি উপপন্তি (10৭0901107) বিষয়ক গ্রশ্থ। ইহার গ্রন্থকর্তীর নাম গঙ্গেশ উপাধ্যায়। ইউরোপের মধামুগের পণ্ডিতদের আব- লন্বিত বিচীরপ্রণালী মদৃশ এই শ্রন্থকর্থার বিচারপ্রণালী। যাহাক্ষে বেকন “বিদ্যার উর্ণনাত জাল” বলিয়াছেন, উক্ত গ্রন্থ সেইরূপ । এই গ্রন্থ অধ্যয়নকাঁলীন বিস্তর কষ্ট অনুভব করিতে হয়। বর্তমান হ্ায়-মন্প্রদায়ের অধিনায়ক রঘনাথ-শিরোমণি-প্রণীত অনুমান্দীধিতি নামে ইহার একখানি টীক1 আছে। শব্শক্তিপ্রকাশিক1 বাক্যের অর্থ সংক্রান্ত একথানি গ্রশ্থ। ধর্শারীজ-প্রণীত “পরিভাষা” গ্রন্থখানি বৈদান্তিক মতের মমর্থনকাঁরী। বাঁচস্গতি-মিশ্র-প্রণীত তত্বকৌমুদী গ্রন্থখানি মাংখা- দর্শন মন্ন্ধে একখানি বিস্তীর্ন পুস্তক শ্রীহ্ষ-প্রণীত গ্রস্থের নাম খণ্ন]। গ্রন্থকর্ভার অভিপ্রায় এই যে, অন্তাস্থ মমুদয় দর্শনসন্প্রদায়ের মতগুলি খণ্ডন করিয়া নিজের প্রিয় বৈদান্তিক মতের প্রতিষ্ঠ করা। গ্রশ্থথানি বিশেষ প্রনিদ্ধি লাভ করিয়াছে। গ্রন্থকত্ বর্নিত বিষয় অতি হূর্ষোধ ভাষায় অবতারণা করিয়াছেন। উদয়নাচার্ঘয-প্রণীত তত্ববিবেকে নাস্তিকতার বিরুদ্ধে তর্ক নকল উ্থাপিত ও রক্গাণ্ডের একজন হ্ঠিকর্তার প্রয়োজনীয়ত] সন্বন্ধে বিচার করা হইয়াছে । এই গ্রন্থের ভাষ। যেরূপ ছুব্ধহ, তেমলই অমংলগ্ন। এক্ষণে আমার নিধেদন এই যে, উক্ত শ্রেণীকে ন্যাক্স শেণী নামে অভি- হিত না করিয়া, দর্শন শ্রেণী নামে অভিহিত কর! 'উচিত। অনুমান- চিন্তামণি, দীধিতি, খণ্ডন1 ও তত্ববিবেকের অধ্যাপন বন্ধ হউক ও ভাহার পরিবর্তে মীমাংমা ও ধর্শানুষ্ঠান লন্বলিত নিম্বলিখিভ দর্শন শাস্ত্র নম্ধী খ্রন্থগুলি অধীত হউক। রিপোর্ট । ২৪৫ €১) মাধ্াগ্রবচন। (৩) পঞ্চদশী। (২) পাতঞ্জরহৃত্র। (৪) নর্বসাব্রসংগ্রহ। সংস্কৃত কলেজে শিক্ষার কাল ১৫ বর মাত্র। ভাহাতে এরূপ আশ কর] যাইতে পারে যে, একবাক্তি এই সুদী সময়ের মধ্যে নংস্কৃত বিদ্যায় উদ্তম পারদর্শিতা লাভ করিতে পারে । ভারতবর্ষে প্রচলিত মমস্ত দর্শনশাত্রে জানলা না করিতে পাৰিলে কেহই সংস্কৃত বিদ্যায় পাখিতা লাভ করিয়াছেন বলিয়! গণ্য হইতে পারেন না। ইহা অতি মতা কথা যে, হিন্দু দর্শন-শান্ের অধিকাংশের মহিত আধুমিক লময়ের উন্নত চিন্তার নৌনাদৃগ্ত অল্পই লক্ষিত হয়। তথাপি ইহা কখনই অস্বীকার কর। যাইতে পারে ন1 যে, এক জন মংস্কৃডাঁভিজ্রের পক্ষে উক্ত দর্শনশান্তে জ্ঞান লিভান্তই প্রয়োজন। ইংরাজী বিভাগ বন্বদ্ধে আমার মন্তব্যগুলি রিপোর্টের স্থানান্তরে উল্লেখ করিব। যঙ্দি কৌন্সিল অধ্‌ এডুকেশন আমার মন্তব্যগুলি গ্রহণ করেন, তাহ1 হইলে যে মময়ের মধ্যে ছাত্রের! দর্শন শ্রেণীতে উন্নীত হইবে, সেই সময়ের মধ্য তাহাপিগের শিক্ষিত ইংরেজী ভাষাজ্ঞান অনায়ামেই ভাহাদিগকে ইউরোপ খণ্ডের দর্শন শাস্ত্রের জটিক্ল বিষয়নমূহ প্রণিধান করিতে নমর্ধ করিবে । ভাহারাঁ পাশ্চ।ভা দর্শনশান্ত্রের নহিভ তাহাদিগের স্বদেশীয় দর্শনশান্ত্রের তুলনা! কৰিতে নহজেই পারগ হইবে। যুবকেরা এই পদ্ধতি অনুমাতে শিক্ষিত হইলে, সহজেই প্রাচীন হিন্দু-দর্শলশাস্ত্রের ভ্রম-প্রমাদাদি প্রদর্শন করিতে সক্ষম হইবে। কিন্ত ঘদি ভাহাদিগকে হিন্দুদর্শন-শাস্ত্রের জ্ঞান ইউরোপীয়- দিগের দিকট শিক্ষ] করিতে হয়, ভবে উপরোক্ত স্থৃবিধ! তাহাদিগের কখনই টিয়া] উঠিবে ন1। ভারতবর্ষে প্রচলিত যাবতীয় দর্শনশান্ত্র শিক্ষার ফলে ছাত্রের নহজেই অন্গৃতব করিতে পারিবে যে, ভিন্ন ভিন্ন দর্শনশাস্ত্র. সম্প্রদায়ের প্রবর্তকগণ পরস্পরের অম-প্রমাদাদি প্রদর্শন করিষার ক্রটা করেন দাই। ছাত্রের পক্ষে এ সম্বন্ধে স্বাধীনভাবে বিচার করিয়া তথ্য নির্ন ২৪৬ বিদ্যাসাগর ! করিবার যথেই সুবিধা রহিয়াছে । তাহার ইউরোপীয় দর্শনশাস্্রজ্ঞান, বিভিন্ন দর্শন-সম্প্রদায়ের দোষ ৪৭ বিচাঁরের পক্ষে প্রকৃষ্ট পথপ্রদর্শক হইবে । ইংরেজী বিভাগ .* যে পদ্ধতি অনুনারে এই বিতাগটী অধুনা! ঘটিত, তাহ অতীব অনন্তেধ- কর। এ বিভাগে কি শিক্ষা করিতে হইবে, ভাহ1 ছাত্রের ইচ্ছাধীন। যখন ইচ্ছা, নে তাহার পাঠ আরশ করে ও ইচ্ছাশ্বমারে ভাহ1 পরিত্যাগ করে) অনেক ছাত্র বিদ্যালয়ে ভর্তি হইবার পরেই ব্যাকরণ শ্রেণীতে পাঠের সঙ্গে নঙ্গেই ইংরেজী শিক্ষা করিতে আরস্ত করে। কিন্ত একেবারে দুইটী নূতন ভাষা শিক্ষা করিতে তাহাদিগকে বিশেষ ক্রেশ স্বীকার করিতে হয়। স্বতরাং অল্প দিনের মধোই অধিকাংশ ছাত্রই হয় ইংরেজী কিংবা মংস্কৃত ভাষা শিক্ষায় ক্মবহেলা প্রদর্শন করে। প্রায়ই পরীক্ষার পুর্বে অধিকাংশ ছাত্র ইংরেজী বিভাগ হইতে পলাইয়] ম্বাইমে । সেই ছাত্রেরাই আধার পর ষংসরের আঁরস্তে ভন্তি হইতে আইসে। অন্য একটা কারণে বিশেষ গোলযোগ উপস্থিত হয়। একটী ইংরেজী বিভাঁগের শ্রেণীতে অনেক নংস্কৃত বিভাগের শ্রেণীর ছাত্রের। অধ্যয়ন করে। তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্রগণের বিষয় দেখ! যাঁউক। তৃতীয় শ্রেণীতে ত্রয়োদশটা ছাত্র পাঠ করে। তন্মধ্যে চারিটী স্মৃতি শ্রেণীর ছাত্র, একটা ন্যায় শ্রেণীর, একটী অলঙ্কার শ্রেণীর, তিনটা তৃতীয় য্যাকরণ শ্রেণীর ও অধশিষ্ট চারিটা চতুর্ধ ব্যাকরণ শ্রেণীর ছাত্র। চতুর্ধ শ্রেণীতে ৩৩টী বালক অধ্যয়ন করে। ম্মধ্যে ২টা অলঙ্কার শ্রেণীর, ৫টা শি ইংরেজী-বিভাগ প্রথমতঃ ১৮২৭ থু: শ্বাপিত হয়। ১৮৩৫ থুঃ নবেশ্বর যানে সাধারণ শিক্ষার জেনারেল-কমিটির আদেশানুলারে ইহ1 উঠিয়! যায় পুনরায় ১৮৪২ থুষ্টাব্ের অক্টোবর মাসে উক্ত কমিটির আদেশাহুসারে পুমঃ প্রতিঠিত হয়। ইহা রিপোট। ২৪" সাহিত্য শ্রেণীর, ২টী প্রথম ব্যাকরণ শ্রেণীর, «টা দ্বিতীয়, ১০টী তৃতীয়, ৬টী চতুর্থ এবং ২টী পঞ্চম বাকরণ শ্রেণীর ছাত্র । বিতিন্ন সংস্কৃত শ্রেণী হইতে ছাত্রের ইংরেজী-বিভাগে পাঠ করিতে আইনে । ইহাতে এই কুফল উৎপন্ন হয় যে, ছাত্রগণ উক্ত মংস্কৃতশ্রেণীতে নিয়মমত উপস্থিত হইতে পারে ন1। বিশেষতঃ ইংরেজী শিক্ষ] ইচ্ছা ব1 অনিদ্ার উপত্ব লির্ভর করিতেছে । সুতরাং সংস্কৃত শ্রেণীর অতি অল্মংখাক ছাঁত্রই ইংরেজী বিভাগে অধায়ন করে। এই ছাঁত্রগণ বিশেষতঃ নিন্পশ্রেণীর ছাত্রের! বিশেশন্ধাোপে উভয্মধিধ শিক্ষায় এক সময়ে মনোগসোগ দিতে অক্ষম) শৃতরাং শিক্ষাবিষয়ে তাহ1- দিগের ভাদৃশ উন্নতি দৃট হয় না। ষদাপি ইংরেজী বিভাগ বর্তমান নিয়মে পরিচালিত হয়, তবে ইহার ফুল যে নিভান্তই অমন্তোষভানক ,হইবে, তদ্বিষয়ে আর সংশয় নাই। ইংরেজী বিভাগ প্রতিষ্ঠিত হওয়1 অবধি ঈদৃশ নিয়মে পরিচালিত হওয়াতেই উহ নিতান্ত মন্দফল উৎপন্ন করে ও অবশেষে সাধারণ শিক্ষার জেনারেল কমিটির আদেশে একেবারে উঠি! যায়। যদ্দ অপেক্ষাকৃত শুবন্দোবস্ত না কর] হয়, তবে পূর্বের ম্বায় ইহা হইতে অন্দকল ফণিবে। তজ্জনা আমি ঘষে কয়েকটা বন্দোবন্তের অবভারণ করিতেছি, ভাহ1 কাধ্যে পরিণত হইলে নিক্চম়ই মৃ-ফল উপন্ন হইষে। আমার মন্তব্যগুলি এই,-- ছাত্রের নংস্কৃত-ভাষায় কিছু পারদর্শিতা ন! দেখাইতে পারিলে, তাহ দিগকে ইংরেজী তাঁধ] শিক্ষ। স্থারস্ত করিতে দেওয়| চিত্ত নয়। সংস্কৃত শ্রেণীর ছাত্রের সেই লঙ্গে তাহাদিগের নিজের শ্রেণীতে ইংরেভী ভাষাও শিক্ষা করিবে। ইংরেজী শিক্ষ] ইচ্ছাধীন ন1 হইয়া অন্তান্ত পাঠের্ঞ্জার অবশ্টপাঠ্য হইবে। কোন ছাত্র যদি ইংরেজী শিক্ষা করিতে নিতান্তই অনিচ্ছা প্রদর্শন করে, তথে হার পক্ষে এই শিয়ম বলব হু হইবে যে, পরে কোন দমনধেই নে সংস্কৃতভাষ। শিক্ষাকালীন ইংরাজীশিক্ষা আরম্ত করিতে ২৪৮ বিদ্যাসাগর । পারিবে না। তাহার জন্ভ অন্ত একটী ইংরেজী শিক্ষার শ্রেনী হি কর! একেবারে অনন্তব। নংস্কত শিক্ষার প্রস্তাবিত প্রণালী অনুনারে সাহিত্া শ্রেণীর ছাত্রগণ সংস্কৃত ভাষায় বিশেষ বুযুৎপর্থি লাত করিতে সক্ষম হইবে । আমি তজ্জন্য প্রস্তাব করিতেছি যে, অলঙ্কার শ্রেণীতেই ইংরেজি শিক্ষার আরন্ত হয়। তাহা হইলে ছাত্রগণ ইংরেজী বিদ্যা শিক্ষা করিতে অন্যুন দ্বি৭ সময় প্রদাল করিতে নমর্থ হইবে এবং ভাহাদিগের চিত্ত এক্ষণে গুমার্জিত হওয়াতে তাহাদিগকে মামান্ত বিষয় হইতে আর্ত করিস্তে হইবে না। আলদ্ার শ্রেণী হইতে কলেজের শেষশ্রেণী পর্য্যন্ত পাঠ করিভে ঘাইলে ৭৮ বর লাগে । স্ৃতরীং উক্ত সময়ের মধ্যে একজন বুদ্ধিমান ও ভমশীল ছাত্র অনায়ামেই ইংব্রেজী ভাষা ও সাহিতো যথেই্ট পারদর্শিতা পাত করিতে পারিবে । আমি আর একটী বিশেশ ঘটন1 কোঁন্সিলের মমক্ষে আনয়ন করিতে ইচ্ছা করি। ব্যাকরণের পঞ্চম অধাঁপক শ্রীঘুক্ত পণ্ডিত কাশীনাথ ভর্কপপ্গানন ভাহার শ্রেণীতে অধ্যাপনা করিতে বিশেষ সমর্থ বলিয়? বোধ হয় ন1। তিনি অতিশয় বৃদ্ধ হইয়াছেন ; সুতরাং নিজের কর্তব্য কর্ম গুলি সুচারুজ্রপে মম্পাদন করিতে অপারগ । অজ্পবয়ন্ক বালকগণের শ্রেণীতে স্বুন্দরন্রপে কাব্য পড়াইতে হইলে, যে কার্ধযতৎ্পরতা ও দৃঢ়তার প্রয়োজন, তাহ! তাহার নাই। প্রাচীন বলিয়া তিনি কাহারও উপদেশেন্র বশবত্ব্ণ হইয়া চলিভে অনিচ্ছুক । ম্থভরাং তাহার শ্রেণীতেই বিশেষ গোলযোশের প্রভাব । ভন্নিমিত্ত আমি প্রস্তাব করিতেছি যে, তাহার বর্তমীন বেতন মানিক ৪০২ টাক দিয়া তাহাকে লাইব্রেরির ভার দেওয়া হয় ও লাইরেরির বর্তমান অধ্যক্ষ, এই বিদ্যালয়ের একজন প্রনিত্ব ছাত্র ্রীযুক্ত পঙ্ডিত গিরিশচচ্্র বিদ্যারতুকে.৩০২ টাঁক| বেতনে ব্যাকরণের পঞ্চম ভেণীর অধ্যাপক পদে নিযুক্ত কর! হয়। পরিশেষে সুবিধ! ঘটিলে সাহার বেতন ৩০২ টাকা] হইতে ৪০১ টাকায় হৃদ্ধি করিয় দেওয়া হয়। রিপোট। ২৪৯ শেশী হইতে অন্য শ্রেগীতে উন্নয়ুন। বালকগণের এক শ্রেণী হইতে অন্য শ্রেণীতে উন্নয়ন সন্বন্ধে কলেজের বর্তমান পন্ধতি এই যে, তাহার! নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত এক শ্রেণীতে পাঠ করে। পরে নময় অতীত হইলেই, ভাহাদিগের বিদ্যার পারদর্শিতা] জাভ হইল কিন! মে বিষয় দৃষ্টি নল] করিয়!, ভাহাদিগকে অস্ত শ্রেণীতে উন্নীত কর] হয়। এই পন্ধতি হইতে এই কুফল উপন্ন হয় যে, কোন শ্রেণীতে কেহ পাঠ শেষ করিলেও তাহাকে নির্দিষ্ট মময় অতীত না হইলে, উপরকার শ্রেণীতে উঠিতে দেওয়1 হয় নাঁ। কিন্তু যদ্যপি অপর কোঁন ছাত্র, সকল বিষয়ে অন্থৃপযুক্ত হইয়াও কোন শ্রেণীতে নির্দিষ্ট নময় শমাপ্ত করে, তবে তাহাকে উপরকার শ্রেণীতে পাঠ করিতে দেওয়] হয়| আমি তজ্জন্ত প্রস্তাব করি যে, গুণাহ্মারে উঠাইয়া। দিবার ব্যবস্থা করাহয়। আরও এই নিপ্ধম প্রচলিত হউক যে, বৃত্বিমংক্রান্ত নিয়মানুযায়ী মময়ের অতিরিক্ত কাল কেহই কলেজে পাঠ করিতে পারিবে ন1। আমার দৃঢ়বিশ্বান যে, এরূপ বন্দোবস্ত প্রচলিত হইলে মধাবি ছাত্রাপেক্ষা অপেক্ষ:কৃত বুদ্ধিমান ছাত্রের] নির্দিষ্ট সময়ের কমেও নিজ নিজ পাঠ শেষ করিতে সক্ষম হইবে। বর্তধমীন শময়ে বিদ্যালয়ে সুবন্দোবস্তেব্র অভাব, সকলেরই বিশেষ পরিচিত। বালকগণের উপস্থিতি, সাঁমান্ত কারণে শেণী পরিত্যাগ করিয়! বাহিরে যাওয়। ও অনাবশ্যক গোলমখল ও কথাবান্তা এবং সর্বপ্রকার গ্লোলযোঁগ নন্বন্ধে আমাদিগের বিশেষ দৃষ্টি 2াখা| কর্তব্য। অন্যান্য ইংরেজী বিদ্যালয়ে যেক্সপ নিয়মণদি ও সুশৃঙ্খল] দৃষ্ট হয়, এই বিদায়ে কেন যে ভাহ| প্রবর্তিত হইবে না, ভাহার কারণ বুঝিতে পারি না| সেইরূপ প্রণালী এ বিদ্যালকেও প্রতিষ্ঠিত হওয়া নিভান্তই উচিত। অবশেষে নিবেদন এই যে, কলেজের মৃবন্দোবস্তের নিমিত্ব আমি যে প্রস্তাবের অবতারণণ করিয়াছি, ভাহ| বহু দিবমের প্রগঢ় চিন্তা ও ২৫০ বিদ্যামাগর | বিবেচনার ফল। আমার বিবেচনায় যে প্রণালীর অনুষ্ঠ'ন বিদায়ের উন্নতিকল্লে নিতান্তই প্রয়োজনীয়, আমি কেবল তাহাঁরই উল্লেখ করিয়াছি ও আশ] করি যে, যদাপি কৌন্সিল আমার প্রস্তাবিত পরামর্শগুলি কার্ধে পরিণত করেন, তবে অল্পদিনের মধে]ই অতি ম্ুফল উৎপন্ন হয় ও বিদযা- লয়টা পবিত্র ও প্রকৃত সংস্কত বিদার আগার স্বরূপ হইবে । বিশেষত: ইহঠ হইতে জাতীয় নাহিত্যের উংপত্তি ও সুশিক্ষকের নংঘটন হইতে থাকিবে ও এই বিদ্যালয় হইতে সৃশিক্ষা প্রাপ্ত হইয়া! সুদক্ষ শিক্ষকগণ নাধারণের মধ্যে জাতীয় বিদ্যা প্রচার করিয়] দেশের সর্বতোতাবে মঙ্গল সাধন করিতে থাকিবেন। মংস্কৃত কলেজ ১৬ই ডিলেন্বর ] (স্বাক্ষর) শ্রীশ্রচন্ত্র শর্মা । ১৮৫০ সাল। রিপোর্টে কেবল সহ শিক্ষাপ্রণালী উদ্ভাবিত নহে; সংস্কৃত কলেজের সমগ্র সংস্কৃত পাঠা সংক্ষেপে সমালোচিত হইফ়াছে। একাধারে একত্র সংস্কৃত পাঠ্যে+ এবূপ সমালোচনা আর কোথাও পাওয়া যায় না। ধর্মশীক্্ পাঠ-বিরতির প্রস্তাবে বিদ্যাসাগর মহাশয়ের ধর্মপ্রবৃত্তিরও একট! গতিনির্ণয় হয়। রিপোর্টের ইংবেজি সহজ, সরল ও সংযত । প্রয়োজনীয় কথাগুলি বিনা বাক্যাড়ম্বরে সাজাইয়া গুদাইয়া বলা হইয়াছে । রিপোর্টপাঠে শিক্ষা-বিভাগের কর্তৃপক্ষের! প্রম প্রীতি লাভ করিয়াছিলেন। সংস্কত কলেজের [লাপাশঙ্কা তাহাদের অনেকটা কমিয়া আসিয়াছিল। ন্স্ততঃ রিপোর্ট-লেখার গুণে বিদ্যাসাগর মহাশয় শিক্ষ-বিভ।গে যথেষ্ট যশ লাভ করিয়া. রিপোর্ট । ২৫১ ছিলেন। উহার পর এক ভূদেব বাবু ভিন্ন রিপোর্ট লিখিয়! শিক্ষাবিভাগে এতাদৃশ যশস্বী কেহুই হন নাই। বিদ্যাসাগর মহাশয় ও ভূদেব বাবুর চরিত্রে ও কর্মে বৈচিত্র্য যতই থাকুক, নানাগুণে তাহারা উভয়েই বাঙ্গালায় বরণীয়) পরজ্ধ শিক্ষা-বিভাগেরও চিরস্মরণীয়। আর কোন কারণ না থাকিলে ৪) তাহারা এক শিক্ষা-তত্ব সম্বন্ধে ইতিহাষে অমরত্ব লাভ করিতেন। রিপোর্ট-লেখার গুণে উভয়েই পদ, সম্পদ, সম্মান, সম্ত্রম,__এই সকল বিষয়েরই পথ উন্ুুক্ত করিয়া- ছিলেন । এক রিপোর্ট-ফলে বিদ্যাসাগর মহাশয়ের চরম পদ মতি । সাৎদারিক হৃখ-শীবৃদ্ধির মূলাধার ইহাই । তিনি রিপোর্টে শিক্ষা-প্রণালীর পথাবলম্বন স্বরূপ যে বাঙ্গাল! পাঠ্যের উন্লেখ করিয়াছিলেন, তাহারই অধিকাংশ স্বয়ং প্রণয়ন করিবেন বলিয়া সঙ্গল করিয়াছিলেন । কেবল শিক্ষা বিভাগের কর্তৃপক্ষগণের অনুমোদন মাত্র অপেক্ষা ছ্থিল। উল্লিথিত পুস্তকগুলি একে একে পরে প্রকাণিত হইয়াছিল। ইহার পুর্বে তিনি কেবল পাঠ্য-নক্কলে জীবন-চরিত প্রকাশ করিয়াছিলেন। ১৮৪৯ বৃ্ান্সের ১৭ই সেপ্টেম্বর বা ১২৫৬ সালের ২৬শে ভাদ্র সোমবার জীবন চরিত প্রকাশিত হইয়াছিল। রবার্ট ও উইলিয়ম চেন্বস” সাহেব কর্তৃক সঙ্কলিত জীবন-চরিতের কতি- পন চরিত্র লইরা “জীবন-চর্িত” লিখিত। এই জীবন-চরিত্ে ক্লোপর্ণিকস্‌, গালিলেও, নিউটন, হর্শল, গ্রোসিয়ন্‌, লিনীয়দ্‌ ডূবাল, জেস্িন্স, জোন্স, এই কয়টী চরিত অনুবাদিত হইয়াছে ২৫২ বিদ্যাসাগর । অনুবাদে কৃতিত্ব পুর্ববৎ। তবে অনুবাদে ফোন কোন দাঝের বাঙ্গালা-ভাষায় অদন্গতি আছে, বিদ্যাসাগর মহাশয় স্বয়ং এ কথা স্বীকার করিয়াছেন। নহিলে ভাষা তেজস্বথিনী ও হ্বদয়গ্রাহিণী। জীবন চণ্রতে যে সকল ন্জাতীয় ও বিদ্েশীঘ় চগ্ত্রের অবতারণা হইপ্জাছে, তাহাতে শিক্ষণীর গুণ থাকিতে পারে) ফলে কিন্ত অলক্ষ্যে ইহাতেই কেমন একটা কু-শিক্ষা আমিয়। পড়ে। জীবন-চরিতের বিষয়ীভূত চছ্ত্র পাঠে ধারণা জন্মে, তাহারাই মনুষ্যের আদর্শ; ভুতরাৎ তর ।হাদের অন্তান্ত আচার, ব্যবহার, শিক্ষা, দীক্ষা গ্রভৃতিও অনুকরণীয় । কাজেই সেই সকলের অন্ৃকরণেই প্রবৃত্তি সহজে ধাবিত হয়। মনে হয়, এই সকলের অনুকরণেই সেইরূপ আদর্শে উপস্থিত হওয়া যায়। সত্য সত্য সে সব কিছু আর হিন্দ-সন্তানের শিক্ষণীয় বাঁ অন্ু- করণীয় নহে। হিন্দুর তাহাতেই অধঃপতন হিন্দুর অধুনাতন অধঃশতনও ত এইব্ূপ কারণে । অকাজের অনুকরণ করিতে অশীতিব্ষাঁয় বৃদ্ধেরও সহজেই প্রবৃত্তি হয়; শুকুমারমূতি বালকদিগের ত কথাই নাই। স্বধর্দমপরায়ণ হিন্দুর অথবা পুরাণান্তর্গত পুণ্যগ্লোক-পবিত্র-চ্িত্রাবলীর যেকোন গুণ, যে কোন আকারে প্রকটিত হউক না কেন, তাহাই হিন্দু সম্তানের শিক্ষণীয়। সেই প্রকটিত গুণানুসরণে, হিন্দু সম্ভান চরিভ্র. টির যেখানে গিয়া উপস্থিত হউক না, দেখিবে, হিলুর চরিত্র- গঠনোপযষোগী উপকরণ তথায় জাজল্যমান। সংস্কৃত'ভাষা- জীবনচরিত। ২৫৩ পারদশাঁ ও বছ-শান্তরজ্ঞ বিদ্যাসাগর মহাশয়ই যে এইরূপ চররিত্র-মংগ্রহে মমর্থ ছিলেন, তাহাতে আর সন্দেহ কি? তাহ হয় নাই? শুদ্ধ দেশের হুরদৃষ্ট-দোষে। শিক্ষার আোত তখন বিপথে ধাবিত হইয়াছিল। শোভাবাজার-রাজ ৬ রাধাকান্ত দেবের দৌহিত্র ত্ুপ্রিন্ধ বিদ্বান ও বিদ্যাসাগর মহাশয়ের ইৎরেজির শিক্ষার্ডর শ্রামুক্ আনন্দকষ। বনু মহ'শয় বিদ্যাপাগর মহাশয়কে ম্বদেশীয় লোকের জীবনী লিখিতে অনুরোধ করিয়াছিলেন । বিদ্যামাগর মহাশয় তাহাতে সম্মতও হইয়াছিলেন। একবার তিনি এ দেশীয় ব্যক্তিগণের জীবনী লিখিপার জন্য সবিশেষ উদ্যোগী হইয়াছিলেন। এতংসন্বদ্ধে অনেক পুস্তক তিনি সংগ্রহ করিয়াছিলেন। ছূর্ভাগ্যবশতঃ কাধ্যে তাহ! ঘটে নাই । ডাক্তার শীযুক্ত অমুশ্যচরণ বহু এম, বি, মহাশয়ের মুখে আমর! এই কথ। শুনিয়াছি। জীবনচরিত লিধিবার জন্য, অমূল্য বাবুই পুস্তক সংগ্রহ করিঃ়াছিলেন। ২ বয়োদশ অধ্যায়। ৰ্সময় দত্তের কর্মত্যাগ, বিদ্যাসাগরের প্রিন্সিপাল পদ, কাধ্য-ব্যবস্থা, ছাত্র-প্রীতি, কায়িক-বিধানের নিষেধাজ্ঞা, রহস্যপটু তা, শিরঃ পীড়া) বীটন্‌ স্বুলের জন্বন্ধ ও বোধোদয়। বিদ্যাসাগর মহাশয় কর্তৃক সংস্কৃত কলেজের শিক্ষা-প্রণালী- অন্বন্ধে রিপোর্ট, শিক্ষা-বিভাগে প্রদত্ত হইলে পর, কলেজের সেক্রেটরী বাবু রসময় দত্ত, কন্ম-ত্যাগের জন্য আবেদন করেন। এই আবেদন করিবার পূর্বে রসময় বাবুর কোন কার্ধ্য- পর্ধ্যালোচন। জন্তা একটী কমিটি বসিয়াছিল। কমিটার ফলে, র্সময় বাবু বুঝিয়াছিলেন, তাহার কাধ্য ত্যাগ করাই শ্রেয়ঃকল্স। তিনি কলেজের অধ্যক্ষ থাকাতেও খন বিদ্যাসাগর মহাশয়কে শিক্ষাপ্রণালী-মন্বন্ধে রিপোর্ট দিতে আদিষ্ট হন, তখন তাহার ধারণা হইয়াছিল, কর্তৃপক্ষীয়ের! বিদ্যাসাগর মহাশয়কেই অধ্যক্ষপদে অধিষ্ঠিত করিবেন। এই ষকল ভাবিয়াই তিনি কাধ্য পরিত্যাগ করেন। পণ্ডিত রামগতি বিদ্যারত্ব মহাশয়ও লিখয়াছেন,-- “মদনমোহন তর্কালঙ্কার মুশিদাবাদের জজ-পতিভ হইয়া] জাসিলে নংস্কৃত কলেজের লাহিভ্যাধ্যাপকের পদ শৃন্ত হয়। মৌয়েট লাহে শীড়াপীড়ি করিয়] ১৮৫১ থুঃ ছক্জের ডিসেম্বর মাসে ৯০ টাকার বেতনে বিদ্যা মাগরকে এ পদে নিযুক্ত করিয়াছিলেন। এঁনিয়োগকালে এডুক্ষেশম রসময় দত্তের কর্ম ত্যাগ। ২৫৫ কৌন্সিলের মেম্বরের| নংস্কৃত কলেজের বর্তমান অবস্থা এবং উহা! উত্তর- কালে কিরূপ হওয়া উচিত? তদ্বিষয়ে রিপোর্ট কব্িবার জস্ত তাহাকে আদেশ দিয়াছিলেন। বোধ হয়, এই নকল দেখিয়। গুনিয়াই লেক্রেটরী রসময্স বাবু কন্মতাগ করিলেন ।” বাঙ্গাল! ভাষা ও সাহিত্য বিষয়ক প্রস্তাব, ২৩৮ পৃষ্ঠা। ৪ঠা জানুয়ারি, শিক্ষা-বিভাগের সেক্রেটরী মৌয়েটু সাহেব এক পত্র লিখিয়া, রসময় বাধুর কন্মরত্যাগের আবেদন গ্রাহ্ করেন। এই পত্রে রস্ময় বাবুর কার্ধযদক্ষতার জন্ত ধন্যবাদ দেওয়া হইঘাছিল। * পরন্ধ মৌফেটু সাহেব তাহার পদত্যাগ মগ্ুর করিয়া, তাহাকে বিদ্যাসাগর মহাশয়ের হস্তে কার্ধ্ভার অর্পণ করিবার আদেশ করেন। ২*শে জানুয়ারি 'ভাৎ্কালিক বেঙ্গল গবর্ণমেন্টের অওর সেক্রেটবী ডবলিউ, সিটনকর সাহেব, বেঙ্গল পন্নমেন্টের অনুমত্যনমারে বিদ্যাসাগর মহাশয়কে রসময় বাবুর পদে অধিষ্ঠিত করেন।1 এই নিয়োগের পর সংস্কত কলেজের সেক্রেটরী ও আসিষ্টাণ্ট সেক্রেটরী পদ উঠিয়া যায়। এই ছুই পদে এক্পদ হইল) “প্রিন্সিপাল” । এ পদের বেতন ১৫০২ টাক1। ] সংস্কৃত কলেজের প্রিন্সিপাল হইয়া, বিদ)াসাগর মহাশঙক কলেজের শিক্ষা-পরিবর্তনে আত্মনিয়োগ করেন। তাৎকালিক * সংস্ভত কলেজের এই করজন মেক্রেটবী ছিলেন,_“টড়, জি, টি, মসেপ, কাপ্তেন ফয়ার, রামকমল নেন, রসমর় দগ্ত। 1 145৮৮5] ০7০ %:15৮65৮ ৯০ ১? ২৫৬ বিদ্যাসাগর। পণ্ডিত-মণ্ডলী ও ছাত্রবৃন্দ, ঠাহার অনস্াাধারণ শ্রমশক্তি অব" লোকন করিয়া, বিস্মিত হইতেন। প্রিন্সিপাল-পদে অধিষিত হুইযা, «প্রিন্সিপালের” কাধ্য ব্যতীত, ত্বাহাকে অন্ান্ত বহু কার্যে ব্যাপৃত থাকিতে হইত। তিনি তে! কখনই, উপজীব্য পদের “লেফাফা-পোরস্ত”? কার্ধ্য করিয়াই, দ্রিনের অবশিষ্ট কাল, স্বভাব-বিলাসী বাঙ্গালীর স্তায় বিলাস ব্যমনে অতিবাহিত করিতেন না। বিদ্যাসাগর স্বভাবত কর্ম বীর । তাহার বিরাম-বিরতি কবে? কলেজের কাধ্য ব্যতীত ক্ষুদ্র দেহে তিনি দেশের ও সমাজের জন্ত, কি অমানুষিক শক্তিবলে অলৌকিক কাধ্য সম্পন্ন করিতেন, পাঠক! একে একে তাহার পর্চিয় পাইবেন । এই পপ্রিন্সি- পাল”-কাধ্যের সময়েই বিদ্যাসাগরের নাম-যশঃ দিগস্তব্যাপী হইয়াছিল। এই পপ্রিন্সিপালে”র কার্যেও তাহাকে যেকূপ অতিরিক্ত পরিশ্রয করিতে হইয়াছিল, তাহা প্রকৃতই বিস্ময়- বহ। তিনি শিক্ষা-প্রণালী-সন্গদ্ধে যে রিপোট দিয়াছিলেন, কর্তৃপক্ষ তাহাতে সঙ্ষ্ট হইয়া, তাহাকে তদনুসারে কাধ্য করিতে অনুমতি দিয়াছিলেন। ম্ুুঙ্রাং সংস্কৃত কলেজের পাঠ্যসন্দদ্ধে তিনি ষে সংকল্প করিয়াছিলেন, এক্ষণে তাহ! কার্যে পরিণত করাই, গ্াহার অতি-কর্তষ্য হইয়া! উঠিয়াছিল। এই সময়ে তিনি পাঠ্য-পুস্তক প্রণয়নে তম্ময় হইয়া পড়িয়াছিলেন। ইহার অঙ্গে সঙ্গে, ফলে যাহাই হউক, কলেজের আভ্যন্তরীণ সংস্কার-সাধনে তাহাকে সবিশেষ মনোষোগী হইতে হইয়াছিল। ছাত্র-গ্রীতি। ২৫২ ছাত্রদিগের প্রতি সদ্ধ্যবহার, আভাস্তগীণ মৎস্কারের মলাধার বলিয়াই তাহার ধারণ। ছিল। ছাত্রদিগের প্রতি সদ্ববহার করিলে) কলেঞ্জের নিণীত নিয়মে ও প্রচলিত পাঠ্যে, বালক" দিগের যনোভি নবেশ হইবে, ইহা তিনি বুঝিতেন। এই ভন্ত তিনি কলেজের ছাত্রদিগের প্রতি পুত্রবহ ব্যবহার করিতেন। এই লেখকের সা'হত্য গুরু, বিদ্যাসাগর মহাশয়ের অন্যতম শিষা এ'ং বর্তমান দৈনিক সম্পাদক পণ্ডিতপ্রবর আনু ক্ষেত মোহন সেনগুপ্র বিদ্যারত্ব মহাশয্ব বলিয়াছেন,-আমরা খধন সংস্কত কলেজে পড়িভাম, তখন বিদ্যাসাগর মহাশয় প্রায়ই সংস্কৃত কজেগেই থাকিতেন।* কলেজের ছটা হইলে পর অনেক ছাত্র ভাহার নিকট উপাস্থত হইত। তিনি সেই হু-প্রদন মহাত্ত-বদনে স$ঞলকেই যথারীত সন্মেহ সম্ভাষণ কংরয়া, নানা প্রনর্গে নানাবিধ জ্ঞানগ্ত ও রহন্তপূর্ণ কথাবাত্তাী কহিতেন। তাহার কাছে যাইলেই, ছাত্রেরা প্রায়ই “রসগোল্প৮ “সন্দেশ” খাইতে পাইত। তাহার প্রীতসন্তাষণে কেহই বিখুখ হইত না। বালকদিগের প্রতি বিধ্যাসাগর মহাশয় চিএকালই বান্ধব- * রাজকৃষ্ষঃ ধাবুত মুখে শুপিয়াছি, “বিধবা-বিবাহে”র আন্দৌলন-কালে তিনি প্রা়ই সংক্ৃত ক্‌প/জই রাত্র যাপন করিতেন) এবং [নজ মত মমর্থনার্থ নান শান্রের আলোচনা করিতেন। কলেজে? মধ্মুখেই হ্যামা- চর্ণবিশ্বাদের বটা। রাত্রক।পে কথন কখন ভিন হা 53৭ বাবুর বাটান্ধে আহার কাঁঃতেন; কখন ব1 কলেজেই থাইতেন। প্রাতে কিন্ত প্রত্যহ রাজকৃ্ক বাবুর বাটীভে আহাবের ব্যবস্থা! ছিল। শ্ঠামাচ3৭ বাবু বিদ্যান।গর মহাশয়ের অন্যভম অভিপরহ্দয় শুহ্দ ছিলেন। পল তি ২৫৮, বিদাসাগর। ব্যবহার করিতেন,--ত| কি সংস্কত কলেজে; পরার কি দ্বকৃত, বিদ্যালয়ে। ছাত্রবর্গকে সর্বদাই মধুর আত্বীম-সম্তাষ্্রে 'তুই” বলিয়া সম্বোধন করাই তাহার স্বভাব ছিল। তাহার মুখে সেই অনৃতাচমান "তুই” সম্বোধন শুনিয়া, প্রিষব সথাত্রবর্ণ আপনাদিগকে তাহার আড্ীয় ভপেক্ষা আত্ীয় বিবেচনা কঠিভ। ত্য সত্যই সেই *তুইপ্টুকু যেন স্বগাঁয় ন্নেহের ক্ষবরভরা। যেন মেই *তুই্টুকুরই মধ্যে বিশ্বস্তরা আত্মী- মতা নিহিত ছিশ। বাশকদিগের প্রতি যেমন তিনি সততই কোমল ব্যবহার করিতেন, আবার আবশ্তক হইলে, কর্তব্যান্ু- (রাধে, তেমম্ই কঠোর হইতেন। বলা বাহুল্য, স্কুলের বা কলেজের অধ্যাপক, শিক্ষক ও কর্তৃপক্ষের এইরূপ কথন কঠোরতা, কখন বা কোমলতা, কত্তব্যান্ষ্ঠানে প্রয়োজনীয়। করুণা ধাহার স্বভাব-সিদ্ধ কঠোরতা তাহার কিন্ত ল্পক্ষণ- ঘায়ী। বিদ্যাসাগর মহাশয় কর্তব্যে কঠোর হইতেন বটে ; কিন্ত কঠোরতার কারণ দূর হইলেই, কারুণ্যে ভাসিয়া যাই, তেন। তখন দেই মুখে কি ধেন একটা শোভনীয় হুন্দর স্বগাঁ শ্রী আবির্ভাব হইত! প্রসঙ্গক্রমে এইখানেই সাহার উত্তর. কালীন ছাত্র-গীতির একটা দৃষ্টান্ের উল্লেধ ঝরি। এক বার তিনি শ্ব-প্রতিষ্িত “মেট্রোপলিটান কলেজের শামপাজারন্থ শাখা-বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণীর ছাত্রদিগকে অবা- ধাজনোষে! জন্য তাড়াইয়া দেন। কর্তব্যান্ুরোধে দ্বিতীয় অেদী একবারে উঠ'ইয়া দিতে হইয়াছিল। দ্বিতীয় শ্রেগীর ছাত্রগণ ছাত্র-গ্রীতি ২৫৯ বিতাড়িত হইয়া, পরদিন প্রাতে, তাহার বাছুড়-বাগানস্মিত বাটাতে যাইযু। উপস্থিত হয় এবং কাতরকঠে করযোড়ে ক্ষমা প্রার্থনা করে। বালকদিগের কোমল-কঞ্চণ মুখ দেখিয়া, দয়ার্ণব বিদ্যাসাগর মহাশয়ের সে দুরন্ত ক্রোধ মুহুর্তে অন্তহিত হইল তখন তিনি সাদর কেহ-সম্তাষণে বলিলেন,-"ষ', আর এ কাজ করিস্‌ না; এবার মাপ কর্পেম।” ছাত্রগণ এই কথা শুনিষ! আঙস্ত হইল। তখন বেলা ১২ কারট।। বাঁড়ী ফিরিবাঁর জন্য বিদায় লইয়া, ঠিক্‌ সিঁড়িতে নামিবার অময়, তাহাদের এক জন হ[সিতে হাসিতে অনুচ্চস্থরে বলিল,৭কি কঠোর-প্রাণ! এত" খানি বেলা হ'ল, তা, বলূলে না, একটু জল খেয়ে যা।” কথাটা »বিদ্যানাশর মহাশয়ের কানে গেল। ভিনি তখন তাঁড়াতাড়ি মিঁড়িতে নামিঘ়া জামিয়া, সকলকে বলিলেন,_*ঠকু বলেছিপ) আমার কণোর প্রাণ বটে; অন্তমনশ্তে তোদিগে একটু জল থেতে বলি নাই ; আর, আয়, একটু একটু জল খেয়ে যা ছাত্রগ্রণ তখন অপ্রস্তত হইল। কেহ কেহ হাঁতষোড় করিয়] ক্ষমা চাহিল) কেহ কেহ বা তাড়াতাড়ি পালাইবার চেষ্টা কহিল। বিদ্যাসাগর মহাশয় বাড়ীর দরভ বন্ধ করিয়া দিতে বলিলেন। পরে তিনি সকলকে ধরিয়া উপরে লইয়া গেলেন। উপরে গ্রয়া সকলকে জপ খাইতে হইল। তখন তাহার সেই প্রকু্প প্রলন্ন বদনধানি দেখিয়া একজন আর একজনকে বলিয়া- ছিল;--এ লোকের রাগ হয় কেমন করিয়া %। বিদ্যাপাগর মহাশয়, ছাত্রদিগের কায়িক দ্ণ্ড-বিধান্র ২৬০ বিদ্র্যালাগল। এন্াভ্ভ বিরুদ্ধ ছিলেন। এক দিন তিনি দেখিতে পান, সংস্কৃত কলেজের কোন জধযাপক, ক্লাসের ছেলেগুলিকে দাড় করাইয়। রাখিয়াছেন। তিনি তত্ক্ষণাৎ্ৎ অধ্যাপককে অন্তরালে ডাকিত্ব! লইয়। গিঘ্বা, একটু রহপ্ত করিয়া বলিলেন,_"ক হে! তুমি ঘারার দ্ল করিয্বা্ছ নাকি? তাই ছোকরাদিগকে তালিম দিতেছ ? তুমি বুঝি দূতী সাজবে %” অধ্যাপক একটু অপ্রতিভ হইয়াছিলেন। আর এক দিন বিদ্যাসাগর মহাশয় এই অধ্য।পকের টেবলে একগাছি বেত দেখিয়া অধ্যাপককে জিজ্ঞাসা করেন) “বেত কেন হে?” অধ্যাপক মহাশয় বলেন,"মানচিত্র দেখাইবার হুবিধা হয়)” বিদ্যাসাগর মহাশয় বলেন,_-*রথ দেখা, কল! বেচা ছুইই হয়। ম্যাপ দেখানও হয়? ছেলেদের পিঠেও পড়ে ।? বলা বাহুল্য, এই অধ্যাপক মহাশয়ের সহিত বিদ্যাসাগর মহাশয়ের প্রায়ই রহস্তালাপ হইত। বিদ্যাসাগর মহাশয়, চিরকানই স্ময় বুঝঠা, লোক বুঝিগ্া, রহস্ত করিতেন। তিনি স্বাভাবিক রহস্তপটু ছিলেন। কন্-বীরের গাভীব্য পুর্ণ চরিত্রে স্ব।ভাবিক রহস্ত-রঙ্গের ভাব বড়ই মনোহর । যেন তরুণ অকরুণ-কিরপোগ্ভাসিত প্রভাতের “ক্লাঞ্চন-জভ্ব11” বীরের গাভীধ্যে, তরলের রঙ্গ-মাধুধ্য অনেক সময় বিরল বটে; কিন্ত যে চরিত্রে এই ছুয়েরই জমাবেশ, তাহা অতি মহান্‌। 'মুদন?-বীর জেনারেল গঙনের গাভী ধ্য পুর্ণ রহস্পটুতা। ২৬১ ব্দন-মণ্ডলের বিস্ষারিত নীল-নয়ন্দ্বয়ে সতত রহন্ত-ভাব উদ্ভাসিত হইত | কারের সময় গর্ডন, গাতীর্্যে যেন হিমালয়; কিছ কার্ধাবসরে, বিশবাস্তালাপে যেন আলোক-পুলকিত স্কুট- কোরক কাদ্ব। তিনি যখন গল্প করিতে বসিতেন, তখন তিনি এমনই মিষ্ট করিদা, উপযা দিয়া, গল্পগুলি সাজাইয়া বলিতেন, সঙ্গে সন্ধে এমনই রস-তরঙ্গ ছুটাইতেন যে, দিনরাত্রি সে গলপ শুনিলেও শে'তমণ্ডলীর মুহূর্তের জন্য ধৈর্গাচ্যতি হইত না। তাহার উপমার গুণে মনে হইত. গল্পের বর্ণিত বিষয়, যেন চিত্রের মত চক্কর সনযুখে প্রতিফলিত হইত | গর্জন রণ-বীর বিদ্যাসাগর কর্ম বীর। গর্ডনের জীবনী-লেখক বটগর্‌ ফাছেব, যে ভাষায় গনের রহস্ত চরিত্রের বিশ্লেষণ করিষ়াছেন, গে ভাষায় বলিবার শক্তি আমাদের নাই। তখে বটুলার্‌ সাহেব, রণ-বীর গর্ডনের চরিত্র সন্তন্ধে যাহ] বলিয়া" ছেন, আমরা কর্ম বীর বিদ্যাসাগর মন্থন্ধেও তাহাই বলি। গ্ভনের এক জন বন্ধু ততসন্বন্ধ বলিতেন, "3 ৪৪ 119 10086 0799ঃ19] 0181] 27 191৫৯ বিদ্যানাগর মহাশয় জন্ব দ্ধ তদীয় বন্ধু আনন্দকৃঞ্ণ বাবু ঠিক্‌ এই কথাই বলেন আনন্দ বাবু বলেন, “বিদ্যাপাগর আমাদের বাড়ীতে আমিলে, ৭।৮ শণ্টার কমে বাড়ী ফিরিতে পারিতেন না। আমরা তাহাকে ঘ্বেরিয়া, ক 01)91163 (790]6৪ 007008) 7] 00101€1 ১:১ ভ)11197) ঢা, 000127) 5, 89, ২৬২ বিদ্যাসাগর । বসিষ় তাহার মুখের রহস্ত-রসালাপম্য় গল্প শুনিতাম। কথন হাসিভাম, কখন কাদিতাম, কখন ছবির মত তাহার মুখের দিকে তাকাইয়া থ কিতাম, কখন তাহাকে আহ্লাদে আশিঙ্গন করিতাম। তিনি উপমার অক্ষয়-ভাগার। নিত্য নতম গল্প, নিত্য নতন উপম।। গল্পে আমোদ করিতে এমন আর কেহই পারিতেন না? মধ্যে মধ্যে পাঠক, বিদ্যাসাগরের এই রহস্ত-পটুতার পরিচয় পাইবেন। রহস্য রঙ্গে বিদ্যাসাগর মহাশয় কাজ ভূলিতেন না। তিমি পূর্বোক্ত অধ্যাপক মহাশ.যুর সহিত রহস্য-রন্দ করিয়া নিশ্চিস্ত ছিলেন ন1। অধ্যাপক মহাশয়, এই রহস্তেই অবশ্ত সাবধান হইয়াছিলেন; কিন্র অন্যান্ত সকলকে সাবধান করিবার জন্তা) ুনি শারীরিক দণ্ডবিধান নিষেধ করিয়া, এক শ্তরকুলর জারি ্য়াছিলেন। প্রিনিপাল পদে প্রত্ঠিত হইবার ৫1 ৬ মাস পর বিদ্যা সাগর মহাশয় গীড়ায় আক্রান্ত হন। ঈশ্বরেচ্ছা় তিনি শীন্ত আরোগ্য লাভ করেন। এই সময়ে তাহার শিরঃগীড়ার হৃত্রপাত হয়। তবেতিনি সে সময় বিলম্ণ বলিষ্ঠ ছিলেন বলিয়া, শিরঃপীড়া তাহাকে বড় কাতর করিতে পাতিত না। দেহে তখন বল এবং শরীরে বস্ত যথেঃ ছিল। সকাল জন্ধ্যা তিনি “মুগ্ডর”? তাজিতেন; “ডন” ফেলিতেন; এমন কি রীতিমত ব্যায়ামও করিতেন। ইহাতে তাহার দেহে এত রক্ত জন্মে যে, ভাক্তারের! তাহার একট। কঠোর পীড়া হইবে বলিয়া আতঙ্ষিত শিরঃগীড়া। ২৬৩ হইয়াঞ্িলেন। তিনি তখন ভাল করিয়া ঘাড় বাকাইতে পারিতেন না। কঠোর পীড়ার আশঙ্কা করিয়াই ডাক্তার নীল- মাধব মুখোপাধ্যায় ছুই বার তাহার ঘাড়ের ফন্ত খুলিয়া খানিকটা রক্ত বাহির করিয়া দ্িয়াছিলেন। তখনকার দে তেজস্দিনী মূর্তির একখানি প্রতিকৃতি, বিদ্যাসাগর মহাশয়ের স্বাড়ীতে এখনও দেখা যায়। সে প্রতিকৃতি দরেখিলেই মনে ছর, ধেন উন্নত-ললাট, তেজঃপুপ্ত, সুন্দর পুরুষের গওস্বলে রক্ত টিয়া বাহির হইতেছে। & প্রিন্সপাল-পদে প্রতিষ্ঠিত হুইবার কয়েক মাস পরেই, মদ্যাসাগর মহাশয়কে পরম হিতাকাজ্জী বন্ধু বীটন্‌ সাহেবের সুত্যজন্ত দারুণ মনস্তাপ পাইতে হইয়াছিল। বীটন্‌ সাহেব রী স্থাপক সভার সদস্য ও শিক্ষা-সমাজের সভাপতি ছিলেন। স্ত্রীশিক্ষার বহুবিস্তার উদ্দেশে ইনি কলিকাতায় বালিকা [বিদ্যালয় '্থাপন করেন।* বিদ্যাসাগর, এতৎপক্ষে বীটন্‌ সাহে- বের ঘথেষ্ট সাহায্য করিয়াছিলেন। বীটন্‌ সাহেব ম্ব-প্রাতি- ্$ বালিক':বিদ্যালঘ়ে বিদ্যাসাগর মহাশয়কে অবৈতনিক এই স্কুল অধুনা বেখুন বালিক1-বিদ্যালর বলিয়1 প্রথিত। প্রকৃত কন্ত “বাঁটনৃ”। বাক্গালার বালিকা1-বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠ1! এই প্রথম বালিক1ব্দালক্র-প্রমারের চেষ্টাও প্রথমে বীটন্‌ সাহেবের নহে। রর হুল মোসাইটা”্র চেষ্টায় ১৮২০ হুষ্টান্দে বালিকাদের জন্ত কলি- কার নন্দনবাগানে "'যুবনাইল” পাঠশাল1 নামে এক পাঠশাল! প্রতিচিদ্ধ চুর্দ। ১৮২৪ থুষ্টান্দে কজিকাতায় পরশশটা স্ত্রী-পাঠশাল! হয়। নাকুল্যে &,টা যালিক! শিক্ষা পাইত। রাধাকান্ত দেবপ্রীত বলিয| খ্যাত স্্রী- ২৬৪ _. বিদ্যাধাগর। "মেক্রেটরী” করেন। মেয়েদের লেখাপড়া-শিখান কর্তব্য, এ ধারণ' ছিল বলিয়াই বিদ্যাসাগর মহাশয় সে সম্বন্ধে প্রাণপণে পরিশ্রম কঞিয়াছিলেন। অনেক বিরুন্ধ-বাদীর সহিতও তাহাকে অনেক বাগৃবিতণ্ডা করিতে হইয়াছিল। তাহার এ ধারণার মূল কারণ, ধর্ম্মশাস্ত্রের একটী শ্লোক,-৮ একন্তাপোবং পালনীয়! শিক্ষণীয়ান্চিযতুত£।” শিক্ষা বিধায়ক নামক পুস্তকে ইহার বিস্তৃত বিবরণ পাওয়ু। যায়। এই কল বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার জঙ্ট কলিকাতার “ফিছেল জুবেনাইল মোনাইটী,। মিস্‌ কুকৃ বা] মিশেস্‌ উইলনহ্‌ এবং অন্যান্য টমিমনরীর] শ্বনেকট। কৃতিত্ব ভাগী। কোন কোন হিন্দু, খৃষ্টান হওয়ায়, হিন্দু ও থুষ্টানের মধ্যো সভভাবের খর্ধতা হয়। এট জঙ্গা বালিকা-বিদ্যালয়ের অভাব হয়! এই অভাব দুরী- করণ-উদ্দেশেই বীঁটনু মাহে, প্রথমে লুকিক্স] ্রীটের বাবু দক্ষিণাচরণ মুখো- ধায়ের বৈঠক শ'নায় বালিকা-বিদ্যালয় স্থাপন করেন। পরে গোলদীঘির দক্ষিণ কোণে হেয়ার নাহেবের স্কুল গৃহে ইহার কাধ্যারস্ত হয়। পরে ইহ নীমুলিয়াস্থ ব্তমান গৃহে প্রতিচিত হয়| বাটন্‌ মাহেব হৃদয় মম্্রান্ত লোক ছিলেন। ফলে যাহাই হউক, তাহার বিশ্বাস ছিল, ছিন্দু-ত্রীলোকদিগকে লেখা-পড়1| শ্িখান, হিন্দুমমাজের উন্নতিনাধনের একট! প্রধান উপায়। যাহাতে ভত্প্রতিঠিত স্কুলে ফোনরূপে পুষ্টানী ভাবসংপৃক্ত না হয়, ইহাই তাহার উদ্দেশ্ঠ ছিল। এই শরজ বিশ্বানেই তিনি এই স্কুলের প্রতিষ্ঠা করেন। বাঙ্গালী "যাহাতে বাঙ্গাল1-ভায়ার অনুশীলম ফরেন, তৎপক্ষে বীটমু মাহেষের নবিশেষ যত ও চে] ছিল। ইহ! তাহার সহদয়তার পরিচায়ক নহে কি1 ফালিকাবিদ্যালয়ের সৃষ্ি ও পুষ্টিসাধনে বান্গেরাও অনেকট। মহায় হইয়্াছিলেন। বাজিকখ-বিদালয়ের পুষিতত্বের বিস্তৃত বিষরণ ধাছার। জানিতে চাহেন, ভাহার। আযুদ্ক ঈশানচন্্র বস্ু-লিথিত প্রবন্ধ পাঠ করূদ। ইহা ১২১৯ লালের ফাল্ঠন যানে, ১৩০* বালের মাঘ ও ফাঙ্কন মানে এবং ১৩০১ লালের ভাত্র ও আঙিন মানে নব্যভারস্ছে প্রক!শিত হইয়াছে! বাঁটন্-সুলের সম্বন্ধ । ২৬: ইহাতে তিনি বুঝিয়াছিলেন, মেয়েদের লেখাপড়া শিখান উচিত; এবং বীটন্‌ সাহেবকেও বুঝাইযাছ্িলেন এইরূপ ঘে গাড়ী করিয়! মেয়েরা স্কুলে ঘাতায়াত করিত, তাহাতে ও লেখ! থাকিত, এই কয়েকটি কথা । আমরা অধম হিন্দ, এখনও এই বুঝি, আমাদের পুর্বতন রমণীর! যে শিক্ষায় অন্পপূর্ণারূপে কীর্ভিমতী হইয়া গিয়াছেন, সেই শিক্ষাই এই শ্রোকের উপপাদ্য আমাদের ক্ষুদ বুদ্ধির ধারপী, যাহাতে ইহ-পরকালের কর্তব্য- সাধন হয়, তাহাই হিলু-রমণীর শিক্ষণীয় । লেখাপড়া না শিখিয়া হিন্দু রমণীর! যদি দে কর্তব্যসাধন করিতে পারে, তাহ! হইলেই বলিব, তাহাদের শিক্ষা হুইয়াছে। শান্মকারেরা সেই শিক্ষায় লক্ষ্য রাখিয়া, এই শ্লোক রচনা করিয়াছেন। কেবল গুরূপদেশ শুনিয়া সীতা দ্রৌপদী যে শিক্ষা লাভ করিয়া. ছিলেন, সেই শিক্ষাই হিন্দু-রমণীর গ্রহুণীয়। যাহাই হউক, বিদ্যাসাগর মহাশয় তাবিয়াছিলেন, লেখা-পড়া শিথিলে " হিন্দুর সংসার হ্খমন্্র হইবে। তিনি এইটী ভাল ভাবিতেন, তাই ইহার জন্য প্রাণ উৎসর্গ করিয়াছিলেন। তাই বীটন্‌ সাহেবের মৃত্যু-সংবাদ শুনিয়া বালকের স্তায় তিনি ক্রন্দন করিয়াছিলেন। বিপ্র্যাসাগর মহাশয়, যাহ] ভাবিয়া ঘ্বাহাই করুন, ফলে মেয়েদের লেখা পড়া-শেখায় এ মুহুর্তে গরল। উদ্গীর্ণ হইতেছে । বিদ্যাধাগর মহাশয় আজ লোকাস্তরিত) কিন্তু য্দি তাহার মত কোন ভাগ্যবান তাহার প্রতিনিধিকূপে উত্থিত হন, তাহা হইলে, তাহাকে নিশ্চিতই বলিতে হইবে,__ ৩ ই৬৬ বিদাস'গর। "নুখের লাগিয়ে এ তর বাধিনু, আগুনে পুড়িক়া গেল। অময়া-সাগরে সিনন করিতে সকলি গরল ভেল।”) ফলে যাহাই হউক, ত্কাহার উদ্দেশ্তে সাধুতার আরোপ করিতে আপত্তি বোধ হয়, কাহারও হইবে না। তাৎকালিক শাদন-কর্তৃপক্ষেঃও সে অন্বন্ধে সন্দেহ কিছুই ছিল না। সেই জন্তই ভীহার! বিদ্যাসাগর মহাশয়ের সবিশেষ সম্মান করিতেন। বীটন্‌ সাহেন্সের সমাধিকালে তদানীন্তন ডেপুটা লাট হেলিড়ে সাহেব, তাহাকে আপন শকটে আরোহণ করাইয়া, সমাধি- ক্ষেত্রে লইয়া গিযাছিল্েন। বীটন্‌ সাহেবের মৃত্যুর পর গবর্ণর জেনারেল লর্ড ডালহোনী, খাটনৃ-প্রতিষ্ঠিত বালিকা বিদ্যালয়ের ভার নিজ হস্তে গ্রহণ করেন। তিনি ৫ পাঁচ বত্সর কাজ এতদর্থ ৮০০০ আট হাজার টাকা ব্যত্ধ করিয়াছিলেন *“হোম- ডিপাটমেণ্টে”র তাত্কালিক সেক্রেটারী স্তর জিসিল বিডন্‌ সাহেব, বিদ্যালফের প্রেদিডেউ নিঘুক্ত হন ।* বিদ্যাসাগর মহা- শয়, বাটন্‌ সাহেবের শোকে এত অধীর হইয়াছিলেন যে, তিনি বিদ্যালয়ের সেক্রেটণী পদ পরিত্যাগ করিতে উদ্যত হন। তিনি স্পষ্টই বলিয়াছিলেন,--ষে মহাত্মার অবিচলিত অধ্যব- জায়ে এই বিদ্যালয় প্রতিষিত; ফিনি উহার প্রাণ, তিনিই * ১৮৫৪ নাল অবধি ১৮৬৮ সাল পর্যযপ্ত এই বিদ্যালয় এ দেশীয় ব্যক্তি- দিগের একটি ₹ভার অধীন ছিল। রাজ] কাঁলীকৃফ বাহাছুর, কুমার হরেন্রকুষা, বাঁবু কাশীপ্রসাদ ঘোষ, ধাবু হরচন্্র ঘোষ প্রভৃতি এই সভার মভ্য ছিলেন। মব্য-ভাঁরত, ১২১৯ সাল, ফান্তুন মান, ৫৬৬ পৃষ্ঠ]। বীটনৃ-স্ুলের সম্বন্ধ । ২৬ ঘখন জন্মের তন চলিয়া গেলেন, তখন জার এ বিদ্যালয়ের অঙ্গে সম্পর্ক রাখিতে প্রবৃত্তি হয় ন11” বীটন্‌ সাহেবের প্রতি বিদ্যামাগর মহাশয়ের এতাদশ শ্রদ্ধাতক্তি ছিল বলিয়াই, তিনি তাহার প্রতিকৃতি প্রস্তত করাইয়া আপন বাড়ীতে রাঁধিয়া দিয়াছিলেন।* কতৃপক্ষের সনির্বান্ধ অনুরোধনিবন্ধন, বিদযা- সাগর মহাশয় সেক্রেটরী পদ পরিত্যাগ করিতে পারেন নাই; ১৮৬৯ হৃষ্টা্ বাঁ ১২৭৬ সালে পথ্যন্ত এই পদে নিযুক্ত ছিলেন! বিদ্যামাগপ্ধ মহাশয়ের তত্বাবধাম সময়ে বীটন্‌ স্ুলের প্রতিষ্ঠা ভারতের মগ্বত্র প্রচারিত হইয়াছিল। বোম্বাই-অঞ্চলে একজন পারসী কলিকাতার বীটন্‌ বিদ্যালয্রের মতন একটী বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠ! করিবার উদ্যোগ করিয়াছিলেন। সেখানকার মিবিলিয়ন আরক্চিন সাহেব সেই পারসী কর্তৃক অন্ুরুদ্ধ হইয়া, বীটন্‌ বিদ্যালঘ্বের বাটার একটি নক্সা পাইবার জন্ত সিটনকর সাহেবকে পত্র লিখিয়াছিলেন। সীটনকর সাহেব মে সম্বন্ধে বিদ্যাসাগর মঠাশয়কে হুহৃদভাবে পত্র লেখেন। যত দিন বিদ্যাসাগর মহাশয় বীটন্‌ বিদ্যালয়ের সেক্রেটরী ছিলেন, তত দিনই তিনি কারমনোবাক্যে ইহার শ্রীরদ্ধিমাধনে চেষ্টা করিতেন। বিদ্যালয়ের বালিকাগণকে তিনি কন্তার মত ভাল বাঁসিতেন। ভালবাসাই ছিল তাহার স্বভাবসিদ্ধ গণ। তিনি কাহাকেও দিদি, কাহাকেও মাসী, কাহাকেও মা, পাটি ীশিশীশী শি শশী * এখনও পুত্র নারাসবণ বাবু মেই প্রতিকৃতি দধত্বে রাখিয়! দিয়াছেন। ২৬৮ বিদ্াযামাগর। ইত্যাদিরূপ সম্বোধন করিয়া, সকলেরই সহিত সাঁদর-সভাষণ করিতেন । এক বার রাজা দিনকর রাও, তাহার সহিত বীটন্‌ কালিকা-বিদ্যালয় দেখিতে গিয়া,বালিকাদিগকে মিঠাই খাইবার জন্য ৩০০২ তিন শত টাকা দিঘ্লাছিলেন। “মিঠাই” থাইলে মেয়েদের পেটের পীড়া হষ্টুতে পারে, প্রেসিডেন্ট বিন্‌ সাহে- বের এই ধারণা গ্থিল; হৃতরাৎ তিনি মিঠাই খাওয়াইতে নিষেধ করেন। বিদ্যাসাগর মহাশয় তখন সেই টাকায় বালিকা" দ্িগকে কাপড় কিনিয়া দিতে কৃতসন্কল হন। তিনি মাসী, মা, দিদি ইত্যাদি সম্তাষণে প্রত্যেক বালীকাকে ডাকিয়া, প্রত্যেকের মত চাহেন। অধিকাংশেরই কাপড় লওয়া মত হয়। বিদ্যাসাগর মহাশয় তখন ঢ্রাকাই সাড়ি ক্রয় করিয়! বালিকাদিগকে বিতরণ করেন। বীটন্‌ বিদ্যালয়ের সেক্রে- টরা পদ পরিত্যাগ করিবার পরও বিদ্যালয়ের উপর গ্াহার যথেষ্ট ল্েহ ও মমতা ছিল। শুনিতে পাই, বীটন্-বিদ্যালয়ের শিক্ষাপ্রণ।লীর পরিচালন-প্রথা তাদৃশ মনোমত না হওয়ায়, তিনি ইহার প্রতি শেষে বীতশ্রদ্ধ হইয়াছিলেন। ১৮৫১ সালের ৬ই এপ্রেল বা ১২৫৭ সালের ২৫শে চৈত্র বিদ্যাসাগর মহাশয় চেম্বর আাহেবের *35010097005 ০1 0০18০" নামক গ্রন্থের অনুবাদ করেন। ইহারই নাম বোধোদয়। বীটনৃ-বিদ্যালফ্জের পাঠ্য জন্য এই পুস্তক সম্কলিত হইয়াছিল। ইহার পূর্বে পণ্ডিত মদনমোহন তর্কালঙ্কার প্রণীত শিশু-শিক্ষা প্রথম ভাগ, দ্বিতীয় ভাগ ও তৃতীয় তান বোধোদয়। ২৬৯ প্রচারিত হইয়াছিল। এই জন্য বোধ হয়), বোধোদঘ্নের প্রথম নাম হইয়াছিল, শিশুশিক্ষা টতুর্থ ভাগ ।* ' বোধোদয় হিন্দু-সম্তানের জম্যক্‌ পাঠোপষোগী নহে। বোধোদয়ে বুদ্ধির অনেক স্থলে বিকৃতি ত্বটিবারই সম্ভাবনা । “পদার্থ তিন প্রকার,চেতন, অচেতন ও উদ্ভিদ”) আর “ঈশ্বর নিরাকার চৈতন্তদ্বরূপ”, ইহা বালক ত বালক, কঘ্ুজন বিজ্ঞতম বৃদ্ধের বোধগম্য বল দেখি? গ্রন্থকার বিজ্ঞাপনে লিধিয়াছেন,-"মুকুমারমতি বালক" বালিকার! অনায়ামে বুঝিতে পারিবেক, এই আশয়ে অতি সরল ভাষায় লিখিবার নিমিত্ত সবিশেষ ঘত্ব করিয়াছি) কতদূর কতকাধ্য হুইয়াছি বলিতে পারি না1” যন্র ঠিক সফল তক নাই । . বোধোদঘ্নের ভাষ! স্থানে স্থানে এইরপ),উজ্জল্য ব্যতিরিজ্” ) প্নুনাধিক্য বশতঃ” ; ্নীর শক্জনকণ )ইফত্তা করা ছুঃসাধ্য*) *উল্ভ্ূলতা অনুসারে ভারতম্য”? ইত্যাদি এক এক স্থলে বোধোদযের পারিভাখিক শন্ব গ'"'গ্র **্যক হয় নাই। পদার্থ শব ধরুন। বোধোদযে ইতস্ততঃ পরিছু*মান বন্ত জমুদয় পদার্থ আখ্যা! পাইয়াছে। পদার্থ খশবের এরূপ অর্থগ্রহ বড় সঙ্গীর্ণ। সংস্কৃত দর্শনে যাহা কিছু শব্ববাচ্য, তাহাই পদার্থ। জাতি, ৩৭, অ্ধক কি অভাবও পদার্থ। পক্ষান্তরে, জন্ত শবের প্রয়োগ-স্থল বড় বিস্তীর্ণ হইয়াছে । সিপপপাপাপপাশপ৮ শশিপাপপশী পপ পীর সপ ৮১৫১০ * নব্য ভারত ১২১১ সাল, ফাল্তন মান, ৫৬৬ পৃষ্ঠ] । ২৭০ বিদ্যাসাগর । বোধোদয়ের মতে পক্ষী, মত্স্ত, কীট, পতঙ্গ সকলই জন্ত আমরা এখন জন্ত শব এরূপ অর্থে ব্যবহার করি না। জীব বা প্রাণী শব্ধ প্রয়োগ করিয়া থাকি। বোধোদয়ে আছে জন্থ- গণ মুখ দ্বারা আহারের গ্রহণ করিষা! প্রাণ ধারণ করে। জন্ত অর্থে ষদ্ি প্রাণী হয়, তবে এ কথা ঠিক নহে, কারণ এক এক প্রাণীর মুখ নাই; অথচ সে সঙ্গীব। বযোধোদক্ষে অনেক বিষয় শিখাইবার প্রয়াস হইয়াছে । প্রগীতত্ব, নীত্বি, বিজ্ঞান, দর্শন, অঙ্ক, ব্যাকরণ ইত্যাদি । বিজ্ঞান ও দর্শনের যে অংশ বোধোদয়ে শিক্ষণীয়, তাহ! প্রায়ই উপযোশী; কিন্ত স্বানে স্থানে এরূপ কথা আছে ষে, তাহা শিশুবুদ্ধির অধিগম্য নহে। যথা ১--চন্ত্রহৃধ্য জোয়ার ভাটার কারণ; শুক্ ও কুষ্ণ বর্ণ নহে? কর্ণপটাহে শব্ের প্রতি ঘাত ইঠ্যাঘি। দুই একটা কথ! বোধ হয, আধুনিক বিজ্ঞান. সম্মত নহে; যধা,-ত্বপ্প সকল অদূল্য চিস্তামাত্র; অভিজ্ঞতা জন্মিশে হিতাহিত বিবেচনা করিবার শক্তি হয়। অঙ্কশান্ত্রোক্ত সংখ্যা, পরিমাণ, মাপ ইত্যাদি বিষয়ের স্থান বোধ হয়, বোধোদয়ে না হইয়া! পাটাগ্রণিতে হইলে ভাল হইত। ব্যাকরণোক্ত কথা সম্বন্ধে ও এরূপ বলা যায়। (পুরণ বাচক শব্ধ, বিভিন্ন ভাষ। ইত্যাদি )। প্রাণীতত্ব ও বিজ্ঞান সম্বন্ধে অনেক অবশ্ঠ-জ্ঞাতব্য কথ! আছে। ছেলেদের সে সকল কথা জানা ভাল। এরপ গ্রন্থের উদ্েস্ত শুধু জ্ঞানশিক্ষা না হইয়া বিজ্ঞানে যে সকল বিস্ময়ের বোধোদয়। ২৭১ কথা৷ আছে, যাহাতে শ্রিশুর মন গল্পপাঠের মত উৎসাহী ও উৎফুল্প হইতে পারে, মে সকল কথার (ইংরেজিতে যাহাকে [01782700801 30162)09 বলে) অবতারণা থাকা ভাল। বোধোদয়ে সে প্রণালী আদৌ অনুষ্থত হয নাই। ফলে বোধোদয়ের বোধ নীরম, সরস নহে ।* এন্দ্যতীীত বোধোদযের অসগঙ্গতি-দোষের ধাহারা আলো?" চনা করিতে চাহেন তাহাদিগকে ১৮৮৬ খুষ্টঠান্জের ২৯শে মে বা ১২৯৩ সালের ১৬ই ন্যেষ্ট তারিখের বঙ্গবাধীতে প্রকাশিত গঞ্চানন্দ দেখিবার জন্য ভানুরোধ কাব। * যোধোদয় পাঠ্য-তালিক। হইতে উঠিয়া! গিয়াছে। আ্রীযুক্ত চন্দ্রনাথ ধনুর নুতন পাঠ তাহার স্থান অধিকার করিয়াছে টতুর্দশ অধ্ায়। স্কৃত কলেজে শুদ্র ছাত্রগ্রহণের ব্যবস্থা, কলেজের বেতন- ব্যবস্থা, উপক্রমণিকা ব্যাকরণ, বীরসিংহে ডাকাইতি, আত্মরক্ষার কৈফিয়ং, ডাকাইতির কারণ, নীতি বোধের রচনা, ঝুপাঠ ও কৌমুদী ব্যাকরণ, শিক্ষা-প্রণালীর পরিবর্তন, পাঠয-প্রনয়ণ সভা, বীরসিংহ গ্রামে বিদ্যালয়, বেতন-বৃদ্ধি ও বিদ্যালয়ের ব্যয়। ভালই হউক, আর .মনই হউক, বলিয়াছি, বিদ্যাসাগর মহাশয় যে কাজ ঝনিবেন বলিয়া মনে করিতেন) যে কোন প্রকারে হউক, তাহা না করিয়া ক্ষান্ত হইতেন না। সংস্কৃত কলেজের প্রিন্সিপাল হইস্া, ভিনি মনে করিতেন, সংস্কৃত কলেজে শুর জাতিরাও শিক্ষ। পাইবে না কেন? তখন কেবল ব্ান্মণ ও বৈদ্য-জাতিই শিক্ষা পাইতেন। যাহাতে কায়স্থ জাতিও সংস্কৃত-শিক্ধা লাভ করেন, বিদ্যাসাগর মহাশয় প্রিনিপাল-পদে প্রতিষ্টিত হইয়া, তৎপক্ষে বন্ধ-পরিকর হন। তিনি শিক্া-ভায় আপন জভিপ্রায় ব্যক্ত করেন। কলেজের প্রধান প্রধান অধ্যাপগণ ঘোরতর আপন্তি উাপন করিয়া, ছিজেন। বিদ্যাস্সাগর মহাশয় আপন পক্ষমমর্থনার্ঘ ্বকীয় শুর ছাত্রগ্রহণের বাবস্থা । ২৭৩ স্বভাবোচিত দৃঢ়তা সহকারে, নানা বচন-প্রমাণ-প্রয়োগে এবং ইৎরেজ কর্তৃপক্ষের মন্পেরগুক বহুবিধ মুক্ত-তর্কবলে, বিপক্ষ পক্ষের মত খণ্ডন করিতে জাধ্য।নুসারে চেষ্টা করিয়াছিলেন । * তাহাকে এ জন্বন্ধে যথেষ্ট পরিশ্রম করিতে হইয়াছিল। তিনি কোন বন্ধুর নিকট বলিয়াছিলেন,_“যদি এ কার্যে সিদ্ধিলাভ না করিতে পারি, তাহা হইলে এ ছার পদ পরিত্যাগ করিব ।” তাহার সৌভাগ্য বলিতে হইবে, তাহারই প্রস্তাব কর্তৃপক্ষের অনুমোদিত হয়। কতৃপক্ষের যাহা মনোগত, বিদ্যামাগর মহাশয়ের প্রস্তাব তাহাদের মনোনীত না হইবে কেন? ইহার পর কায়স্থেতর বর্ণ ও সংস্কৃত কলেজে সাহিত্য, কাব্য, অলশ্কার, কৃতি ত ও দর্শনশান্ত পড়িধার অধিকার প্রাপ্ত হয়। * নংস্কত কলেজে ব্রাহ্মণ ও দা বাতীত অন্য বর্ণের ছাত্র লওয়! যাইতে পারে কি না, শিক্ষাবিভাগের কর্তৃপক্ষ তৎনন্বন্ধে বিদযালাগর মহাশয়কে রিপোর্ট লিখিভে বলেন | বিদ্যানাগর মহাশয়, ১৮৫১ থুঃ অন্দের ২০ মার্চ বা ১২৫৭ লালের ৮ই চৈত্র এক হিপোর্ট লিখেন। রিপোর্টে তিনি মত দেন,"ঘখন বৈদা কলেজে পড়িতে পারে, তখন কাক্পস্থ পড়িবে নাকেন? বৈদ্য শূদ্র জাতি। আরযষখন শোভাবাজারের ৬ বাঁধাকান্ত দেবের জামাত! হিন্দু স্কুলের ছাত্র অন্বৃত লাল মিত্র সংস্কৃত কলেজে পড়িবার অধিকতর পাইয়াছে, তখন অন্যান্য কারস্থ পড়িতে পারিবে না ফেন? কায়স্থ ক্ষত্রিয়, আন্দুলের রাজ। রাজনারায়ণ বাহাছুর ভাহার প্রমাণ করিতে প্রয়াস পাইয়াছেন। কায়ছেরো অধূন! বাঙ্গলার সম্্বান্ত জাতি। আপাততঃ কায়ন্দিগকে মংস্কৃত কলেজে লওয়1 উচিত |" এই (রিপোর্টে ভিনি স্পষ্টই লিথিয়াছেন,__ +10)9 00011010909 01 0170 1):1700781 07090095015 01 918 0011909 900. 108 010100৮ 8৩ 8০156 ৮0 (135 50000791020 ২৭৪ বিদ্যাসাগর । বর্তমান অধ্যক্ষ মহাশয় অবাধে বেদ-পরঠের ব্যবস্থা করিয়া আরও বাহাছুরী লইবার চেষ্টা পাইতেছেন। অধঃপতন ক্রুমেই ঘনীভূত হইতেছে কি না। অনধিকারী শুদ্রের বেদ-পাঠে প্রবৃত্তি, কলির চরম পরিণাম; শাঙ্কের লেখা, ব্যর্থ হইবে কেন? যাহা হউক, বিদ্যামাগর মহাশয় শুদ্রের সংস্কৃত শিখিবার ব্যবস্থা করিলেন বটে; কিন্তু বেদে অধিকার দ্বিতে পারিলেন না। বিদ্যাসাগর মহাশয়ের সময় ব্রাহ্মণ, বৈদ্য বা শুদ্র_ষে কোন বর্ণের ছাত্র কলেজে ভর্তি হইয়াছিল, তাহার নিকট হইতে বেতন লইবার ব্যবস্থা! হয়। সংস্কৃত কলেজের প্রতিষ্ঠা হইতে 'আর বিদ্যাসাগর মহাশয়ের প্রিন্সিপাল হইবার পূর্বকাল পর্যযত্ত বেতনের ব্যবস্থা আদে৷ ছিল ন|। গবর্ণমেণ্ট বিন! বেতনে ছাত্রদিগকে পড়াইবার ব্যবস্থা করেন। সেই গবর্ণমেণ্টই শেষে বিদ্যাসাগর মহাশয়ের পরামর্শা্থসারে বেতনের ব্যবস্থা করেন। সংস্কৃত কলেজের ইংরেজ-কতুর্পক্ষ যাহ1 করিতে পারেন নাই, বিদ্যাসাগর তাহাই করিলেন। ১৯০৮ সংবত, ১২৫৮ সালে ১লা অগ্রহায়ণ বা ১৮৫১ ঘষ্টাব্ধের ১৬ই নবেম্বর বিদ্যাসাগর মহাশয়, উপক্রমণিকা ব্যাকরণ মুদ্রিত ও প্রকাশিত করেন। বঙ্গের বিদাধিমাত্রেরই নিকট উপক্রমণিক পরিচিত । উপক্রমণিকার প্রণালী সংক্ষিণ্- সার ব্যাকরণের “কড়চা” হইতে অস্থকত। অনুকরণ হইলেও কোন কোন বিষয়ে উদ্ভাবনী-শক্তি উপলন্ধ হয়। উপক্রমণিকা বীরসহহে ভাকাইতি। ২৭৫ পাঠে ব্যাকরণে অবশ্য তলম্পশিনী ব্যুৎপত্তি জন্মে না কিন্ত সাধারণের সংস্কৃত শিক্ষার এমন সহজ প্রবেশপথ আর দ্বিতীয় নাই। ১৮৫২ সালের ১১ই মে ১২৫৯ জাল ৩০শে বৈশাখ বা মন্লবার কীরসিৎ্হ গ্রামে বিদ্যাসাগর মহাশয়ের বাড়ীতে ডাকাইতি হইয়াছিল। ৩০।৪* জন লোক তাহার বাড়ীতে পড়িয়া সন্বন্ধ লুঠিয়া লইয়া যায়। বিদ্যাসাগর মহাশয় তখন প্রীষ্মাবকাশে বাড়ীতে ছিলেন। ড;কাইতি পড়িলে, তিনি পরিবারবর্গমহ খিড়কীর দ্বার দিয়া পলায়ন করেন। এই ডাকাইতি-কালে বিদ্যাসাগর মহাশয় সপরিবারে জতসর্বস্থ হইয়াছিলেন। তখন পিতা ঠাকুরদা জীবিত ছিলেন। বাড়ীতে ভয়ানক ডাকাইতি হইয়া গেল, বিদ্যামাগর মহাশয়ের তাহাতে কিছুমাত্র ভাবনা-চিন্তা ছিল না। পরদিন প্রাতঃকালে তিনি বন্ধু-বান্ধব ও ভ্রাতৃবর্গের সহিত পরমানন্দে কপাটী থেলিতে- ছিলেন। থে দারোগা তদন্তে আসিয়াছিলেন, তিনি তাহাকে তদবস্থায় দেখিয়া! অবাক হইয়াছিলেন। তিনি যখন শুনিলেন, এই নিশ্চিন্ত যুবা দ্বেশের শাদনকর্তৃপক্ষেরও জন্মনাম্পদ্, তখন তাঁহার উন্নত মুণ্ড হেট হইয়াছিল । যাহা হউক, তদাত্ত ডাকাইতির কোন কিনার। হয় নাই। গ্রীশ্বাবকাশের অবসানে বিদ্যাসাগর মহাশয় কলিকাতায় ফিরিয়া আসেন। এইখানে বলিয়া রাখি, বিদ্যাসাগর মহাঁশয়েরই উদ্োগে ও চেষ্টা রান্নালার স্কুলসমূহে গ্রীম্মাবকাশ প্রবর্তিত হয়। ২৭৬ বিদ্যানাগর । কলিকাতায় ফিরিয়া আপিক়া, বিদ্যাষাগর মহাশয়, তদানীস্তন ছোট লাট হেলিডে সাহেবের সহিত সাক্ষাৎ করেন। ছোট লাট বাহাদুর তাহার মুখে ডাকাইতির কথা শুনিয়া বলিয়াছিলেন,--"তুমি তো বড় কাপুরুষ; বাড়ীতে ডাকাইতি পড়িল, আর তুমি প্রাণ লইয়া! পলায়ন করিলে?” এতছুত্তরে বিদ্ব্যাসীগর মহাশয় বলিয়াছিলেন।-_-"এখন আমার প্রতি কাপুরুষতার অভিযোগ আরোপ করিতে পারেন; কিন্ত এই দুর্বল বাঙ্গালী যুবক যদি একাকী সেই ৩০। ৪০ জন সবল ডাকাইতের জিত যুদ্ধ করিত, তাহ] হইলে নিশ্চিতই ইহাকে প্রাণ বিসর্জন করিতে হইত। তখন বিদ্যাসাগরের নির্বুদ্ধিতারই কক্দ্ক জগতময় রাষ্্র হইত। আপনিই হয় তো সর্বাগ্রেই তাহারই রটনা করিতেন( যখন প্রাণ লইয়া, আপনার সম্মুখে উপস্থিত হইতে পারিয়্াছি, তখন লুর্ঠিত সর্ধবন্থের জন্য আঃ ভাবনা কি বলুন 1” বিদ্যাসাগর মহাশয্পের বাড়ীতে হঠাৎ ডাকাইতি হইল কেন, এ প্রশ্ন স্বতই উশ্খিত হইতে পারে। বাস্তবিকই কি তিনি তখন তাদৃশ বিষয়-বিভবসম্পন্ন হইয়াছিলেন ৭ এ ব্ষিষ্কের সন্ধানে আমর! যাহ! জানিতে পারিয়াছি, তাহাই «এইখানে বিবৃত হইল। বিদ্যাসাগর মহাশয় বাড়ীতে ষা'ইলে, বীরসিংহ ও নিকটবন্তাঁ গ্রামের দীন-দরিদ্রে অবস্থাহীন ব্যক্তিব্্গকে আপনার সাধ্যমত অর্থসাহায্য করিতেন। জদ্ধ্যার পর তিনি চাদরের খুঁটে টাক1 বাধিয়া, লোকের বাড়ী বাড়ী গিয়া, ভাকাইতির কারণ। ২৭৭ গোগনে ঘর্থ-সাহায্য করিয়া আদিতেন। এইন্ূপ গোপনে অর্থসাহাধ্য করিবার কারণ এই যে, এই সকল লোক অবস্থা- হীন বটে; কিন্ত ভদ্র পরিবারভুক্ত; স্বতরাৎ প্রকাশে ভর্থ- সাহায্যের প্রার্থনা! করা নিশ্চিতই তাহাদের পক্ষে ঘোরতর ল্জজাকর । এইরূপ অকাতরে অর্থ বিতরণ করিতেন রশিয়া, লোকের মনে ধারণ। হইয়াছিল যে, বিদ্যাাগর মহাশয়ের পরিবার ধিলক্ষণ বিষয়-বিজন-সম্পন্ন। তাত্কালিক দহ্থ্য- ডাকাইত- জন্প্রদায়ের মনেও সেই ধারণা হইয়াছিল। কোন কালেই বিদ্যাসাগর মহাশয়ের সঞ্চয-বাসনা হিল না। তাহার পিতা- মাতাও পুত্রকেই সঞ্চিত সম্পত্তি মনে করিতেন। বিদ্যাসাগর মহাশয়ের জননী, একবার হারিসন্‌ সাহেবকে স্পঞ্থাক্ষরে এই কথাই বলিয়াছিলেন। * পিটিশন * ১২৬১ সালে বা ১৮৬৮ থৃষ্টান্দে হারিসন্‌ মাহেব ইনকম্‌ ট্যাঞ্ের তদন্তের জন্য কমিশদর নিযুক্ত হন। বিদ্যালাগর ভখন স্বাধীন। ভিনি একদিন হারিলমূ সাহেবকে বীরলিংহের বাড়ীতে লইয়] যাইবার জন্ত নিমন্ত্রণ করেন। হাপিসন্‌ লাহেব বলেন,“হিন্দুপ্রথা্বসারে বাড়ীর কর্ত? ব1 কত্রা লিষন্্রণ ন1! করিলে, নিমন্ত্রণ লইব ন11” সুতরাং নিমন্ত্রণ স্থগিত রহ্লি। সময়ান্তরে বিদ্যানাগর মহাশয়ের জননী, হারিসন সাহেবকে নিমন্ত্রণ করিয়া পাঁঠান। সাহেব, বীরনিংহ গ্রামে গিয়া, হিন্দু-প্রথামতে দণ্ুষ২ হইয়া» বিদ্যামাগর মহাশয়ের জননীকে প্রণাম করেদ। তিনি হিন্দু- প্রথাম্সারে আননপিড়ি হইয়া! বনিয়া, আহারাদি নমাপনপূর্ধক বিদা?- সাগরের জলনীকে জিজ্ঞানা করেন,_ণআপনার কত ধন?” জননী হাস্য বদনে উত্বর করিলেন,_-"চাঁরি ঘড়। ধন ।” সাহেব বলিলেন,_-“এত ধন ?” ২৪ ২৭৮ বিদ্যামাগর । প্রিন্দিপাল হইবার পুর্বে বিদ্যাসাগর মহাশয় ইংরেজি ম্রাল্‌- কাস ুক্‌ 481), 01538 0০০1” শামক গ্রন্থের অনুবাদ করিতে আর্ত করিঘাছিলেন। উহার নাম নীতিবোধ হইয়াছিল। সমহ্গাভাব হেতু তিনি রাঁজকুধণ বাবুকে পুস্তকখানির সত প্রধান কবেন। রা্গকপ্। বাপু শীতিবোধের বিজ্ঞাপনে ১৯৭৮ সংবতে ৪ঠা আণবধে বা ১৮৫১ কষ্টান্দ ১৮ই জুলাই তাহা কাত করিয়ীছেন) “পরিশেষে কভজ্ঞতা প্রদর্শনপূর্বক অঙ্গীকার করিতেছি, মুক্ত ঈশ্ব চক্র বিদ্যান!গর মহাশয় পরিঅম শীকার করিয়া আদ্যোপান্ত সংশোধন করিয়! দিয়াছেন এধং ছিনি নংশোধন করিয়াছেন বলিয়াই আমি নাহন করিয়! পুক্ক মুধিত ও প্রচারিত করিলাম। এন্লে ইহাঁও উল্লেখ করণ আবস্ু যে, তিনিই প্রথমে এই পুস্তক লিখিতে আস্ত করেন। পুত্রগণের প্রতি ব্যবহার, পরিবারের প্রতি বাবহার, প্রধান ও নিকৃষ্টের প্রতি ব্যবহার, গরিশরম, স্বচিন্ত1 ও ম্বাবলম্বন, প্রতাৎপন্ন-মতিত্ব, বিনয় এই কযেকটী প্রস্তাব তিনি প্ুচমা করিয়াছিলেন। প্রত্যেক প্রস্তাবের উদ্বাহরণ-স্ববীণ যে সকল বৃত্তান্ত লিখিত হইয়াছে, তন্মধো নেপোলিয়ন বোনাপা্টের কথাও ভীহারু রচন1) কিন্তু তাহার অবকাশ না থাকাতে তিনি আমার প্রতি এই পুস্তক ্রস্তত করিবার ভারাপঁণ করেল) তদনুমারে আছি এই বিষয়ে প্রত্বত্ হই |” জননী তখন মহাস্য বদনে জোষ্টপুত্র বিদ্যাসাগর মহাশয় ও অপর তিনটী পৃত্রের প্রতি অন্ভুলি-মদ্ষেত করিয়া বলিলেন,__'এই আমার চারি ঘড়? ধন।” ,লাহেব বিস্মিত হইলেন। তিনি বজিলেন,-«ইনি দ্বিতীয় ব্বোমক-রমণী কণনিলিয়]।' এই গল্পটা নারায়ণ বাবুর নিকট ভ্রুত হইয়াছিলাম। ক ১২৬৫ লালের ২৪শে জ্যেষ্ঠ বা ১৮৫৮ খুটানের ৫ই জুলাই টেলিমেকসের খজুপাঠ ও কৌমুদি বাকরণ। ২৭৯ উপক্রমপিকার সমসাময়িক সংস্কত ধজুপাঠের প্রধম ভাগ প্রকাশিত হয়। অর্ধককি, একই দিনে (১৯০৮ ঘংবতে ১লা অগ্রহাক্ণে ) উভক্ব পুস্তকের বিজ্ঞাপন লিখিত হইয়াছিল। ইহা গগ্রহ। সু-সংগ্রহ বটে। ১২৫১ সালের ১২ চৈত্র বা ১৮৫৯ ঃষ্টান্দের ৪ঠ| মার্চ দঙ্ুপাঠের দ্বিতীষ্ষভাগ পু প্রকাশিত হয়। প্রথম সংস্কতশিক্ষার পক্ষে উভযুই উপযোগী । উভন্নই প্রান মংস্কত সাহিত্যপুবাণের জার-সপ্গলনমাত্র; আতা হিনদু- পাঠাখীরও পাঠোষোগী। এই কল পুস্তক-প্রণয়ের পর সংস্ত কলেজে শিক্ষাবিভান্ের আদেশন্নারে পুস্গলিখিত রিগোট অনুযাযী শিক্ষাপ্রণাশীর 'আরন্ত হয়। ১৮৫৩ ধৃষ্টান্দে ভৃতীত্রভ।গ বুপাঠ মুদ্রিত হুইজাছিল। তুজীব্ভাগ প্রেবেশিকা-পরীক্ষার পাঠ্য ছিল। ইহা অংগহ- শন্থ; পরন্ হমংগ্রহ। প্রাচীন ও প্রাঞ্ছশ ভাষা বিচি পপঞ্চতন্ত্র প্রভৃতি হইতে ইহা সংগৃহীত । & য্টাদেই বিদ্যাসাগর মহাশ॥ ব্যাকরণ বোমুদার প্রথম ও দ্বিতী্ব ভাগ প্রকাশ করেন। পর বহ্সর তীর ভাগ কৌবুদা মুদ্রিত হয়। কৌমুদী তিন ভাগ উপক্রমণিকার উন্চতম মোপান। সংস্কৃত মুনবোধ, পাণিনি প্রভৃতি ব্যাকরণ পড়িলে ২শাশিটিিটিটিশিট শীল টনি লিলি লিল বিজ্ঞাপনেও রাজকৃ্ণ বাবু পিখিয়াছেন,-“এহলে ইত1 উল্লেখ কর! আবগ্ক, অনুক্ত ঈখর$ল্্ বিদ্যানার পরিশ্রম স্বীকার করিয়া এই অন্ববাদের আগ্যোপান্ত নংশোধন কিয়! দিয়াছেন ।” ২৮০ বিদ্যানাগর। যে তণম্পর্শিনী শিক্ষা হয়, কয়খানি কৌমুদী পড়িলে, তাহ নিশ্চিতই হয় ন]। ইহার পর রিপোর্টানুঘায়ী শিক্ষার পূর্ণ প্রচলন হইয়াছিল । এততসম্বন্ধে পণ্ডিত রামগতি স্যায়রত্ব মহাশয় লিখিয়াছে ন,-- “পৃর্রে ইংরেজি ছাত্রদিগের এচ্ছিক পাঠ ছিল, এক্ষণে উচ্চ কয়েক শ্রেঈীভে অবস্পাঠ্য হইল । সংস্কভেও, নিষ্শ্রেণীতে মু্ধবোধ ব্যাকরণ উঠি] গিয়া তংপরিবপ্তে বিদ্যাসাগর কর্তৃক বাঙ্গাল। ভাষায় রচিত নংস্কৃত ব্যাকরণের উপক্রমণি কা, এবং ১ম, খয় ও ৩ ভাগ ব্যাকবুণ কৌমুদী অধা- পিত হইতে লাগিল । পঞ্চতপ্র, রামায়ণ, হিতৌপদেশ, বিঙ্গুরীণ, মহাভ।রত প্রত্থতি হইতে নঙ্কলনপূর্ধবক ষে তিন ভাগ ধজুপাঠ প্রস্তুত হইল, ভাহাও উহারই সঙ্গে ঙ্গে পঠিত হইতে লাগিল । এই শময়ে কয়েফজন বৃদ্ধিমাঁনৃ বালক উপক্রমণিক| হইতে অংক আবুস্ত করিয়া লক্ষ প্রদানপূর্বক উচ্চ উচ্চ জেলীতে উঠিভে লাগিল দেখিয়া, এ কল ভাধা-ব্যাকরণ পাঠের পর, নংস্কৃত-দিদ্ধান্ত কৌঁমুদীর পাঠনা হইবে, পূর্বে যে এই প্রস্তাব হইয়াছিল, তদ্দিষয়ে বিদানাগর আর বড় মনোযোগ করিলেন না” এ অবস্থায় সাধারণের অংস্কৃত শিক্ষা হুবিধ! হইল ) কলেজও টিকিয়া গেল; কিন্ত কপেজের প্রতিষ্টা-উদ্দেশ্ঠ বহুঢুর সরিয়া দাড়াইল। অংস্থৃতে আর পুর্ববৎ তলম্পর্শিনী শিক্ষা হইত ন1। এই ব্যবস্থা হইবার পুর্বে কলেজে ধাহারা শিক্ষিত হইয়াছিলেন, তাহাদের ভ্তা্স প্রগাট বিদ্যাশালী এ ব্যবস্থার পর আর কি কেহ হইতেন? ন1 এখনই হইতেছেন? বিদ্যাসাগর মহাশয় স্বঘখ বাঙ্গালা পাঠ্য রচনা করিয়া নিশ্চিন্ত থাকিতেন না। যে সকল সভা, পাঠা প্রণননে ত্রততী ছিল, বীরসি-হ গ্রামে বিদ্যালয় । ২৮১ তাহাদের কোন কোনটীতেও তিনি যোগ দিয়! উৎসাহ বর্ধন ফরিতেন। এই সময় খুলবুক-সোসাইটী এবং বর্ণেকিউলার- লিটারেচার-সোসাইটা দ্বারা অনেক পুস্তক প্রচারিত হইত। এই সভাতেও বিদ্যানাগর মহাশয়ের কর্তৃত্ব ছিল। ১৮৫৩ ঝষ্টাব্জে এই সভা! নিয়ম নির্ধারণ করেন যে, মুদ্রাঙ্কণোদ্েশে কেহ কোন গ্রন্থ রচনা করিলে, তাহার আদর্শ শীযুক্ত ঈশ্বরচন্দ্র বিদযা- সাগর ও পাদরি রবিন্মন্‌ সাহেব দেখিবেন। তাহারা মনোনীত করিলে সেই আদর্শ লঙ্‌ সাহেবের নিকট অর্পিত হইবে। পাদরি লঙ, সাহার গ্রাম্য পাঠশালায় তাহ! পাঠ করিয়া নিরূপণ করিবেন, এ রচনা গ্রাম্য বালকদিগের বোধগম্য হয় কি ন1। কেবল বিদ্যাসাগর মহাশয় নেন, ত্দানীত্তন নিয়লিখিত ধ্যাতনাম। ব্যক্তিগণও উক্ত সভার মহিত সম্পপ্ত ছিলেন। ্রীমুক্ত ওয়াইলি, শ্রীবুক্ত সিটনকার, শ্রীযুক্ত বেলি, শ্রীযুক্ত কালখিন্‌, শ্রীমুক্ত প্রাষ, শ্রীযুক্ত পাদরি লঙ, শ্রীযুক্ত উডরো, শ্রীযুক্ত রাজা রাধাকান্ত দেব, শ্রীঘুক্ত জয়কষণ মুখোপাধ্যায় ও শ্রীযুক্ত রসময় দত্ত । * ১২৬০ সালে বা ১৮৫৩ ধষ্টান্দে বিদ্যাসাগর মহাশয় বীর- সিংহ গ্রামে একটা অবৈতনিক বিদ্যালঘ প্রতিঠিত করেন। এ বিদ্যালয়ে রাত্রিকালে কৃষকপুত্রেরা লেখা-পড়া শিক্ষা করিত। বিদ্যাষাগর মহাশয়) নিজের অর্থে বিদ্যালয়ের জমী * নব্যতারত--+১৩০* নাল, মাঘ ও ফাস্তুন মাস, ৫৪৬ পৃষ্ভ।। ন্‌ বিদ্যাসাগর । ক্র করেন। বিদ্যালয়ের বাটী-নির্মাণও তাহারই অথ্ে হইয়াছিল। তিনি স্বযৎ কোদাল ধরিয়া গৃহনিম্াণের জন্ত প্রথমেই মৃত্তিকা খনন করিয়াছিলেন। এই সময়ে একটা খালিকা-বিদ্যালয়ও প্রতিঠিত হয়। এই বিদ্যালয়ের ব্যক্-ভার তিনি সকলই স্বয়ৎ বহন করি- তেন। এ ব্যণ্ম-ভার-বহনের একট! সুবিধাও উপস্থিত হুইস্কা- ছিল। তিনি সংস্কৃত কলেজে যে শিক্ষা-প্রণালী প্রবর্তিত করেন, ভাহ। শিক্ষাবিভাণের কতৃপক্ষের অম্পূর্ণ অনুমোদিত হইয়াছিল। তীহার সংস্কার-ফলে কলেজে পুর্বাপেক্ষা অধিক- তর সংখ্যায় ছাত্র হুইয়াছিল। ইহাকে শিক্ষাপ্রণালীর নুফল ভাবিয়া কর্তৃপঙ্গেরা আপন ইচ্ছায় ১৮৫৪ ধষ্টান্বের জানুয়ারি বা ১২৬০ সালের পৌষ মাসে তাহার ১৫০ দেড় শত টাক! হইতে ৩০* তিন শ্বত টাকা বেতন করিয়] দ্রেন। প্রতি মাসে বীরমিংহের বিদ্যা শিক্ষকাদ্দির বেতনে ৩০২ তিন শত টাকা ও শ্লেট পুস্তক প্রতৃতিতে ১০০২ একশত টাকা মামিক ব্যয় হইত। বালিকা'বিদ্যালয়, ও নৈশ- বিদ্যালয়ের ব্যয় মাসে ৪*২_-৪৫২ চল্লিশ হইতে পন্মতার্লিশ টাকার কমে হইত না। এই সময় গ্রামের দীন-দরিদ্রের চিকিৎসার্থ দাতব্য ওঁষধালয় স্থাপিত হয়। সকলেই বিনা মুল্যে ধধ পাইত। বিনা দর্শনীতে ডাক্তার, চিকিৎসা করিতেন। একান্ত অবস্থাহীন দীন-্দরিদ্র লোককে সাথ, হাতাস। প্রভৃতি দিবার ব্যবস্থা ছিল। তাহাতেও মাসিক বিদ্যালয়ের বায়। ২৮৩ ১০০২ একশত টাকা ধরচ পড়িত। বিদ্যামাগর মহাশয় কলেজে ৩০০, তিনশত টাকামাত্র বেতন গাইতেন; কিন্ত দুস্তকাদি-বিক্রয়ে তাহার ৪০০। ৫০০ চারি পাচ শত টাক! আয় হইত। তবে সঞ্চিত কিছুই থাকিত না। এইব্ূপে দান-কাধ্যেই আঘের পর্য্যবসান হইত্ত। স্বভাব'দাতা কি সঞ্চয়ের প্রত্যাণা রাখেন? বৃচ্তর ছদয়ে মদের প্রবৃভি প্রাছই স্থান পায়না পঞ্চদশ অধ্যায়ু। সুজ ইন্সপেক্টরী পদ প্রাপ্তি, নর্দ্দাল স্কুল, সফরে স্হছদযুতা, মাতৃনামে উচ্ছাস, জননীর দয়া, অন্ুগত-পালন, বন্ধুর আদর, সংগ্রহে আগ্রহ, সংস্কৃত ভাষা ও সাহিত্য-বিষয়ক প্রস্তাব, দান-পদ্ধতি) সংস্কৃত কলেজে ইংরেজির প্রসার ও শকুত্লা। ১২৬২ সালে বা ১৮৫৫ হ্ষ্টান্ে যখন গব্ণমেন্টের সাহাধ্যে মফস্বলে বাঙ্গালা ও ইংরেজি বিদ্যালয় সংস্থাপিত করা রাজ- পুরষদের অভিপ্রেত হয়, তখন হালিডে সাহেব, বিদ্যাসাগরকে তাহার মতে যে প্রণালীতে বাঙ্গাল! শিক্ষা! হওয়া উচিত, তদ্ধি- বয়ে এক রিপোর্ট দ্বিতে বলেন। বিদ্যামাগর মহাশযু রিপোর্ট জেখেন। কর্তৃপক্ষের! তাহাতে সন্ধষ্ট হইয়া, তাহাকে আসিষ্টান্ট- সবল-ইনৃস্পে্টরী পদ দেন। বিদ্যাসাগর মহাশয়, প্রিক্সিপালের পদ ছাড়! ইন্ম্পেক্টরের প্ও প্রাপ্ত হইলেন। এ পদের বেতন ২০০২ ভুই শত টাকা। মোট বেতন হইল ৫০০২ পাঁচ শত টাকা। হুগলী, বর্ধমান, নদীয়া ও মেদিনীপুর জেলায় ফুল স্থাপন ও পরিদর্শন করাই ইনস্পেক্টরের কাধ্য হইল। উক্ত অবেই বিদ্যাসাগর মহাশয়ের চেষ্টায় নর্মাল স্থল প্রতিঠিত হয়। নর্মাল. স্কুলে পড়িয়া পরীক্ষায় উত্তীর্ণ "হইলে, অন্তান্ত স্ুলে শিক্ষকতা করিবার অধিকার জন্গিত। ন্গ্াল সুল। ২৮৫ বিদ্যামাগর মহাশয়ের অনুরোধে প্রথমে অক্ষয়কুমার দত্ত এবং পরে পণ্ডিত রামকমল ভট্াচাধ্য নম্মীল সুলের হেড মাষ্টার নিমুক্ত হইয়াছিলেন। নর্মাল ঘুলের কাজ প্রথমে প্রাতকালে সংস্গত কলেজের প্রশস্ত ভবনেই সম্পন্ন হইত। বিদ্যাসাগর মহাশয় অক্ষয়কুমার বাবুর ভাষা সংশোধন করিয়াই নিরস্ত হন নাই। ভিনিই নর্ম্াল-স্মুলের হেড, যাষ্টারের প্র, অক্ষপ্নক্মার বাবুকে প্রদান করেন। এ সম্বন্ধে পণ্ডিত মহেত্্রনাথ রায় বিদ্যানিধি মহাশয় এইরূপ লিখিয্াছেন-- “বে অপরিহীধা কারণে এবারে স্থক্ষয় বানূকে কলিকাভ নশ্মীল স্কুলে প্রধান শিক্ষকের কার্ষো ব্রাতী হইতে হয়, এ গলে ভাহার নিগ্েশ কর1 অঃবগ্যাক.। নাথ বানু ও অমৃততল্র'ল বাবুৰ অভিমতান্বনারে বিদ্যানাগর মহ শয় অক্ষয় বানুকে এ কর্ণ দিবাত্র ভল্ভ শিক্ষ[বিভাগের তদানীন্তন ডিবরেক্টার ইয়€ সাহেবের মহিত কথাবার্তা স্থির করিয়। ফেলেন। পরে অমৃতলাল বাবু ইহাকে এ কৃত্বান্ত জ্ঞাপন করিলে ইনি বলিলেন, "আমি এই কর্ণ গ্রহণ করিয়া ততবোধিনীব কায পাব্রিতাগ করিলে, পত্রিকাথানি একেবারে নষ্ট হইয়। যাইবে । অতএব আমি এ কার্য গ্রহণ করিতে পারিতেছি না। আপনি বিদ্যানাগর মহাশয়কে এ কথা বলিবেন। পরে বিদ্যানাগর যহাশয়ের মহিভ নাক্ষাৎ হইলে, বিদ্যানাগর মহাশয় অক্ষয় বাবুব এ কাধ্য-গ্রহণের প্রদঙ্গ উপঞ্থিত করিয়া হর্য প্রকাশ করিলেন, তাহাতে অক্ষয় বাবু বিস্মিত ও চমৎকৃত হইয়া! বলিলেন, “কেন? অস্ৃত- লাল বাবু কি আপনাকে কোন কথা বলেন নাই? আমি ও-কার্ধ্য গ্রহণ করিতে পারিতেহি না। ও কাধ্য গ্রহণ করিলে তত্বঘোধিনী পত্রিকাথানি রি বিদ্যাঘাগর | একবারে ন্ট হইয়| যইবে | তখন বিদ্যাসাগর মভীশয় বিমষভা্ে বলিলেন, “এ বিয়ের যে শমস্ত প্রা নিরূপিত ভইয়1 গিয়াছে। এক্লপ ই আমাকে সাহেবের নিকট অপ্রতিভ হইতে হয়। আঁমি যে লোকের জন্য হ্বদবরোধ করিয়াছি, বান্তবিক মে বাক্তি সেই বর্শের প্রাঁথী নহেন নাহেব এ কথা] শুনিলে ভ্বামাকে অপদহ হইতে হইবে | যিনি রর করিেন, ভাহার মত না লইয়] এপ করা আমার ভাল হয় নাই, এখন বুধিতেছি।' অক্ষয় বাবু পরে বলিলেন,এখনও যদিএ রড পরি- বর্তনের মশ্ডাবন] থাকে, তদ্বিষয়ে তের কৌনবূপ কুটি করা না হয়।? বিদ্যানাগর মহাশয় ইভাতে অগতা অন্থাত হইলেন । কিন্তু শেবে ভান] গেল, পূর্বে বিদ্যানাপর মহাশয় প্রন্থব করিধামাজ্র এ কার্য অক্ষয় বাবুকে দিবারই বাবস্থ] হইয়া গিয়াছিল। শুঁততাং ইহাকে এ পদ সঃ ঠা হইল অক্ষরমুমার দত্তের জীবনদুতাপ্ত। €২ ও ৫৩ পুঠ11 | ্ ভাতার স্যার তন ৮১৯০৮ ১০ সি ৃ ইনম্পেক্টর হইফ। বিদ্যাসাগর মহানন, হুগলী, বদ্দমান এবৎ নদী! জেলার অনেক গ্রে ব্ংঙ্গালা বিদ্যালয় প্রতিষিত করেন এবং অনেক শ্থানেন সন্বান্ত অবস্াপন্ন লোকদিগকে ঝুল প্রতিষ্ঠায় পরামর্শ দবেন।* তাহাকে পরিদর্শনে যাইতে হইত। পরিভ্রমণ কালে পথে কোন পীড়িত চলংশভ্তিহীন লোককে পড়িঘা থাকিতে দেখিলে, তিনি * এই ময় উত্ততপাড়াও জমীবার ভয় মুখোপাধাদের মহিত ভাহারখ ঘনিষ্ঠতা হয়। মুখোপাধ্যায় মহান, বিদাামাগর মহাশরকে ফুল” প্রতিঠ। ও পরিচালন নন্দ্ধে অনেক পরামর্শ দিয়াছিলেন। বিদ্যানাগর মহাশয়ের পরামর্শে মুখোপাধায় মহীশ নও অনেক দুলে প্রতিষ্ঠী করিয়া" ছিলেন। বানু প্রসন্রকুমার সর্বাধিকাঁতী মহাশয়ও শ্বগ্রামে (থান।কুল- ক ন্গরাস্তঃপাঁতী রাধানগে ) বঙ্গবিদ]ালগরের প্রতিষ্ঠা করিয়াছিলেন। তখন প্রায়ই মফপল- র রে হু 3 চিযা17 ৮1 র ডি) 1101 & চল ? ২ 1 ৮ কও $ 1 ্ ৮ রর ॥ 1 ॥ ই না 11117 ৮. ঠা) ূ € ১:৩০ [75৮ » পি ৮2 পরশ ০৮ সপ টা এ তে রি ূ তে ০৯৩ 5 রঃ রিনি নর ৮ ই রঃ ১৪৪ ১৪৭ ঠ 14 : ৮ পু নর ১ (0.8 ৫ 2 “এ ২ হ স্‌ রা টি ২ চি, ২১১. ৬ টি ধু * সত সপ পি রঃ নয * রঃ ১৪ নাত রর :ট | ৯ টড টি. ৩ ০ ৩ পপ টা কিছ পাস ৯ 11 %% নে 2 শি এট পিপপারিতপোপাপপ 0, ০9 রি রর রি পতি 2 টি ্ ্ং জমীদার জয়কৃ্জ মুখোপাধ্যায়। সফরে মহৃদয়ত। ২৮৭ আপনি প'ক্ষী হইতে অবতরণ করিয়া, মেই আতুর লোককে পাল্দীর ভিচন্স তুশিয়া! দিতেন এবৎ শ্বযুৎ পদত্রজে চলিয়। ম্বাইতেম; পরে কোন চটি পাইলে, পীড়িত ব্যক্তিকে মেই চট্টিতে রাখিয়া, চটির কত্তাকে টাকা-কড়ি দিতেন । গরিঅমণ কালে তিনি মঙ্গে টাক, আধুলি, সিকি প্রভৃতি বাখিশ্বা দিতেন; দরিদ্র লোককে অবস্থানুসারে তাহা দান কঠিতেন। দয়ার মানা নাই! অভ্ভাব জানাইয়া কেহ কখন মুখ হইত নাঁ। কত অআভিভাবকহীন বালককে যে তিনি পুস্তক, বন্ম, বেতন প্রভৃতি দান করিম্বাহিলেন, তাঁহার কি গল! হত? কোথাও ধিপা যদি শুনিতেন, অন্নাভাবে বা অর্থ ভাবে ক'হারগ লেখাপড়া হইডেছে না, তিনি তখনই তাহাকে আপনার বাসায় আনাইঞ্জ| অথবা অন্য কোন রকম বন্দোবস্ত করিয়ী, তাহার লেখাপড়া শিখাইবার ব্যবস্থা করিয়া দিতেন। শুনিয়ান্ি, একবার পরিদর্শন কালে ২৪ চব্বিশ পরগণার অন্তর্গত নিবাধই-দন্তপুকুরনিবাসী কালীকৃষ্ণ দত্তের বাড়ীতে গিছ্া- ছিলেন। দেই সময় একটী দীন-হীন অনাথ ব্রাহ্মণ-সস্তান, তাহার সম্মুধে উপস্থিত হইয়া, কাতর-কঠে ক্রন্দন করিতে করিতে আপনার অভাব ও দুঃখের কথা নিবেদন করে। তাহার অবস্থার কথা শুনিয়া, বিদ্যাসাগর মহাশয়, বালকের মায় ক্রন্দন করিয়াছিলেন। তিনি পরে সেই ব্রাহ্মণ সন্তানকে আপনার বালায় আনাইয়া, তাহার লেখ পড়া শিক্ষার ব্যবস্থা করিয়া দেন। এইরূপ কত জনের মহ্বসংস্থান ও অভাব মোচন ২৮৮ বিদাসাগর । হইয়াছে, ভাহা কত বলিব কলিকাভাঁর বাসা এবং বীর- সিংহগ্রামের বাড়ীতে প্রত্যহ শতাবধি লৌক অন্ন পাইত। অনেকেরই লেখা-পড়। শিখাইবার ব্যক়-ভার তিনিই বহন করিতেন। ভাই বশি, ভীহার দয়ার তুলন1 হয় না। কেহ বিদ্যাসাগরের নিকট ভিক্ষা করিতে যাইয়া প্রায় রিক্ত-হস্তে ফিরিত না। কেহ যদি ভিক্ষা করিতে গিয়া বলিত,-.. "আমার ম! নাই”) তাহা হইলে, বিদ্যাসাগরের চক্ষের জলে বুক ভান ঘাইত! মাতৃপরায়ণ বিদাঠুসাগর, তখন শতকর্খ পরিত্যাগ করিয়া, সেই মাতৃহীন ভিক্কুককে যাজ্ঞাতীত সাহাষ্য করিতেন । *মানাই” শুনিলে বিদ্যামাগর বিচারাচার করিতেন না। এ কথা অঠ্বেকেই জানিতেন। তাহার একজন প্রতিবেশী মুদী একবার একট তিক্ষুককে শিখাইয়া দিয়াছিল,_-"বলিম্‌ আমার মা নাই ।” ২দস্বতঃ তাহার মা ছিল। বিদ্যাসাগর মহাশয় কোন কারণে জানিতে পারেন, ভিক্ষুকের কথা মিথ্যা। গ্নেষে মুদী দ্বার! শিক্ষিত হইয়,ছিল, তাহাও তিনি জানিতে পারেন। ভিক্ষুককে তিনি বঞ্চিত করন নাই )পরস্থ পুনরাঘ্ এরপ মিথ্যা বলিতে নিষেধ করিয়া দেন।, প্রকৃতই অনেকেই মা নাই বলিয়া) তাহার নিকট ফাকি দিয়া অর্থ লইত। “মা” নামে দাগ ম্্রমুগ্ধ হইছেন। “মা*ই যে তাহার জীবনের সাধ্য মন্ত্র“ছিল। বিদ্যাসাগর মহাশয়ের গান-বাজনায় বড় সধ ছিল না:। তবে কেহ কখন “মা” “মা” বলিয়া গ্রান গ্াাহিলে, তিনি, ছ্থির থাকিতে গারিতেন না। গায়ককে তিনি জননীর দয়া । ২৮৯ যেন বুকের কলিজার ভিতর পুরিয়া রাখিতেন। একজন অন্ধ মুসলমান ভিক্ষুক, বেহালা বাজাহয়া শ্তামা-সঙ্গীত গাহিত। সে সঙ্গীতে মা) মা? খাকিত। বিদ্যাসাগর মহাশয়, তাহাকে ডাকাইম়া, প্রায়ই তাহার গান শুনিতেন। গান শুনিতে শুনিতে তিনি অশ্রজল সৎব্রণ করিতে পারিতেন না। এই মুষলমান ভিক্ষুক বিদ্যানাগর মহ!শষের নিকট সময় সময় যথেষ্ট সাহায্য পাইত। একবার ইহার ত্র পুড়িক্বা গিপাছিল। বিদ্যাসাগর মহাশয়, গৃহনিন্্ীণের সুমন্ত ব্যয় দিয়াছিজেন। বিদ্যাসাগর মহাশয্নের বৈবাহিক (কনিষ্ঠ কন্তার শ্বশুর ঞজগ- ছুন্ন ভ চট্টাপাধ্যায়) ভাল গাহিতে পারিতেন। বিদ্যাসাগর মহাশয়, তাহাকে প্রাফুই বাড়ীতে আহ্বান করিয়া তাহার গান শুনিতেন; অন্ত গান শুনিতেন না; কেবল যে গানে “মা” “মা” থাকিত, সেই গানই শুনিতেন। গানে সখ ছিল না) কিন্ত মাতৃ-নামপূর্ণ গানে প্রাণ মাতিয়া উঠিত। মাতৃ-ভক্তের এমনই প্রাণ বটে ! বিদ্যাসাগর যেমন পুত্র, তাঁহার পিতা মাতাও তদ্রপ। অনদণানে পিতার অপার আনন্দ। প্রতিপাল্য অন্না্থাদিগের জন্য তিনি প্রত্যহ স্বয়ং বাজার-হাট করিয়া আনিতেন। আর অন্নপুর্ণান্রপিণনী বিদ্যাসাগর-জননী, অন্নব্যঞ্জনাদি প্রস্তত করিয্বা, পরিবেশন করিতেন। এ জন্বন্ধে, অনেক কথাই শোন! ধায়। নারায়ণ বাবু বলিয়াছেন, ণ্ঠাকুর মা গ্রামের অবস্থা ফ্রীন চাষাভূষো লোককে টাকা কড়ি ধার দিতেন। যাহারা ৫ ২৯৩ বিদ্যাসাগর | সহজে ধার শুবিতে পারিত না, তিনি স্বয়ং তাহাদের বাড়ীতে টাক1 আদ্রায় করিতে যাইতেন; কখন কখন খুব চটিয়া গিয় টক! চাহিতেন; বলিতেন,-তোরা যদ্রি টাক! না দিবি, তবে আমি আর কি করে 'টাকা ধার দ্রিব৭ তাহাকে রাগিতে দেখিয়া, কেহ কেহ তাহাকে নানা কথায় তুষ্ট করিবার চে! করিত ) কেহ বা ছু-ফোটা চক্ষের জল ফেলিয়া দুঃখের কথা জানাইত) আর কেহ বা বিদ্যামাগরের নাম করিয়া, ভগবানের কাছে, উহার মঙ্গল কামনা করিত। তখন ঠাকুর- যার রাগ থাকিত না। আগুন জল হইয়া যাইত। তিনি তখন বলিতেন,ভাল ভাল, যখন সুবিধা হবে, তখন দিদ্‌। আজ কিচ্ছু আমার বাঁড়ীতে চারিটা প্রসাদ পাপ কৃষক" কন্যার! তাহাকে আদর করিয়া মুড়ি, নারিকেল, বাতাসা, প্রভৃতি জলখাবার দিলে, তিনি তাহা আ্বাচলে বীধিয়া লইয়া আদিতেন। ঠাকুর্-মা প্রত্যহ মধ্যান্তে রন্ধনাদি সমীপন করিয়া এবং আশ্রিত অতিথিদ্রিগকে আহারাদি করাইয়া, বাড়ীর দরজার নিকট দ্াড়াইয়া থাকিতেন। হেটোর] হাট হইতে ফিরিবার সময় দরজার সম্মুখ দিয়া যাইলে, তিনি তাহাদিগকে ডাকিশ খাওর়াইতেন। কাহারও মুখখানি শুকনো! দেখিলে তিনি বপিতেন আহা! আজ বুঝি তোর খাওয়া হর নি? আর আর আমার বাড়ীতে খাবি আয ঠাকুর ঝা বড় বড় মাছ ভালবাদিতেন। মাছ কুটিয়া রীধিয়া খাওয়াই*: বেন, এই তার ঘাধ। এই জন্ত ঠাঠুর-মা কখন কখন ঠাকুর অনুগত-পালন। ২৭১ জাদাত্ব উপর বাগ করিলে, ঠাকুরদা বড় বড় মাছ আনি! তার মান-ভপ্তন করিতেন । কোন দিন ষদ্রি ঠাকুর-ম| রাগ করিছা ঘবের দরজা দিম্বা শুইয়া থাকিডেন, তাহা হইলে ঠান্ুংদাদা যেখান হইতেই হউক, একটা বড় মান্ সংগ্রহ করিয়া আনিম়া বরের দরজায় মাছটাকে আছাড় মারিয়। ফেলর! দিতেন। ঠাকুব-মা ঘরের ভিতর হইতে মাছ আছ- ডনির সাড়া পাইফ্বা তখনই খিল খুলিয়া বাহিরে আসিতেন এবং হাসিতে হাদিতে আপনি মাছ কুটিতে ব্সিতেন।” ধাহাকে ফেরূপ সাহাধ্য করিলে উপকার হইত, বিদ্যাসাগর মহাণয় তাহার জন্য তাহাই করিতেন। বাবু প্রসন্নকুমার সর্্বাধিকারী মহাশয় অনেক পাঠকেরই পরিচিত। ইনি হিন্দু- ছল হুইতে ৩০২ চল্লিশ টাকার বৃত্তি পাইঘা, কলেজের শিক্ষক হইয়াছিলেন। সে কাধ্যে হুবিধা না হওয়ায়, তিনি কতপক্ষের অজ্ঞাতসারে পদত্যাগ করেন। এই সময় বিদ্যাসাগর মহাশয় তাহাকে আপনার বাসায় অনেন এবৎ পরে কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করিয়া, হিন্দখ্লে তাহার একটা চাকুরী করিয়া দেন। এই প্রসন্নবাবু পরে সংস্কৃত কলেজের প্রিন্সিপাল এবং অবশেষে প্রেমিডেন্ি কলেজের অধ্যাপক হইয়াছিলেন। উত্তরের মধ্যে প্রগাঢ় আজীমতা ও তবনিষ্ঠত সংঘাটত হইয়াছিল। প্রসন্নকৃূমার বাবু বিদ্যামাগত্র মহাশয্বের সহিত বীরমিংহ গ্রামে গিয়াছিলেন। বিদ্যাসাগর মহাশয় অধিক বয়মেও প্রসন্ন বাবুর নিকট হইতে ইংরেজী শিথিতেন। ২৯২ বিদ্যামাগর। কি আত্্ীতব পরিজন, কি ভ্রাতা-ভগিনী, কি বন্ধু-বান্ধব, সকলের প্রতিই বিদ্যাসাগর মহাশঘ সমান গ্রীভিমান্‌ ছিলেন । কশিকাতা মিউনিদিপালিটার ভূতপূর্ধ ভাইস্‌ চেয়ারম্যান ক্যামাচরণ বিশ্বাস) বিদ্যাসাগর মহাশযের পরম বন্ধু ছিলেন। ইস ও বাড়ী সংস্কত কলেজের সন্মুখেই ছিল। ইহার পৈতৃক বাদস্থান হুগলী জেলার অন্তর্গত পাইতেল গ্রাম । উহা কলিকাতা হইতে ৮1৯ আট নয় ক্রোশ দুরে অবস্থিত । বিদ্যাসাগর মহণ- শয় শ্যামাচরণ বাবুর অনুরোধে একবার জগদ্ধাতী পুজার সময় পাইতেল গ্রামে গিয়াছিলেন । লেখকের পিতৃ-মাতুলালয় এই পাঁইতেল গ্রামে : পুজনীয় পিতার মুখেই শুনিয়াছি, বিদ্যা" সাগর মহাশগ্ন পাইতেলে গিয়া তত্রত্য অনেক দীন'দরিদ্রকে দ্বান করিয়াছিলেন । পাইতেল গ তন্নিকটবর্তঁ গ্রামবাসীরা বিদ্যাসাগর মহাশয়কে দেখিবার জন্য দলে দলে বিশ্বাস মহ শয়ের বাড়াতে আসিয়া উপশ্থিত হইয়াছিল। পাঁইতেল হইতে ফিরিয়া আয়া তিনি জররোগে আক্রাস্ত হন। জরের সঙ্গে নানা রোখেরও সঞ্চার হয়। শোনা যায়, এই সময় বিদ্যাসাগর মহাশয়) নত্য ব্যবহার করিতে আরম্ত করেন) কিন্তু কয়েক বৎসর পরে তিনি নন্ত ছাড়িক্বা দ্বেন। তিনি ৩০। ৩২ ত্রিশ বত্রিশ বংসর বয়সে তামাক ধরিয়াছিলেন। সে বৃত্বাস্ত এই,__ নারায়ণ বাবু বলেন )-বারাসত-নিবাসী ডাক্তার নবীনচন্্র মিত্রের সহিত বাবার অকৃত্রিম সৌহার্দ ছিল। ইহার সহোদর কালীক্চ বাবু বাঁবার বন্ধু ছিলেন। নবীন বাবু কলিকাতায় 1২২২২২ সা 1 ২ ২২১৯৭ 7 /২ রঃ ই রর রি রি ২১১ রা বা, উউ. 1, 10410 ক গ্রহে আগ্রহ । ৯৯৬ ঝামাপুকরে থার্চিতেন। বাবা প্রায়ই তাহার বাসাঘ যাই" তেন। নবীন বাবু বড় তামাকপ্রির ছিলেন। একদিন তিনি বাবাকে তামীক খাইবার জন্ত অনুরোধ করেন। বাবা কিছুতেই তামাক খাইতে অন্মত হন নাই? কিন্ত নবীন বাবু তাহাকে একবার তামাক না টানাইয়া ছাড়িলেন না। পরদিন নবীন বাবুকে আর তামাক খাইবার কথ! বলিতে হয় নাই। বাবা স্বয়ুংই হুকুম করিয়া তামাক আনাইলেন। বন্ধু নবীন বাবু কিন্ত দে তামাকের কলিকা পাইলেন না। এই সময় হইতে বাবা তামাকে অভ্যস্ত হন। তিনি তামাক ও পান বড় ভাল” বাঁজিতেন। বাবা তামাক থাইতেন কটে; কিন্তু ইহার জন্ম চ[কর-চাকরাঁণীকে কখন বিরক্ত করিতেন না। চাকরগুলে! ঘুমাইয়! পড়িলে বা ক্লান্ত হইলে, তিনি কাহাকেও না ডাকিয়া স্বয়ং তামাক স্াজিয়া খাইতেন। কেবল তামাক কেন, তিনি পানও স্বহস্তে সাজিরা খাইতেন। পানের হ্থপারি কাটা থাকিত; খবর চুণ প্রত্ৃতি অন্যান্ত মল! থাকিভ; তিনি পান চিরিয়া সাজিরা খাইতেন। উদৃবৃন্ত সুপারির কৃচগুলি শিশির ভিতর পুরিয়া রাখিতেন। এখনও স্গপারির কুচি-ভর1 অনেক শিশি আছে। কেবল হুপারির কুচি কেন, টুকরো দড়ি, টুকরো কাগ্গ, কোন জিননদই তিনি ফেলিতেন না। ভিনি প্রায়ই বলিতেন,_"যাকে রাখ, মেই খাকে।” বিদ্যাসাগর মহাশষের যত্বে বীটন্‌ সাহেবের স্মরণার্থ “বীটনৃ-মোলা ইটা" প্রতিষ্ঠিত হয়। এই সভায় তরিখিত সংস্কৃত ২৯৪ বিদ্যানাগর। ভাষা ও সংস্কৃত সাহিত্য শাস্ত্র বিষয়ক প্রবন্ধ পঠিত হয়। * এই প্রবন্ধ ১৯১৩ সংবতের ১৪ই চৈত্রে বা ১৮৫৬ প্বষ্টান্ে ১৮ই এপ্রিলে পুস্তকাকারে মুদ্রিত হয় । প্রবন্ধে নিম্ুলিখিত বিষয়ের আলোচনা হইয়াছিল ;_-সংস্কত ভাষা,__সাহিত্যশাক্্,-- মহা কাব্য )__রঘুবংশ, কুমার সন্তব, কিরাতার্জুনীয়, শিশুপালবধ, 'নৈষধ-চরিত, ভট্িকাব্য, রাঘবপাগুবীয়, গীত-গোবিন্দ; (খণ্ড কাব্য )-মেঘদূত, ধতুমতহার, নলোদ্য়, হৃর্ধযশতক ; ( কৌষ- কাব্য )--অমরুশতক, শাস্তিশতক, নীতিশতক, শূরঙ্গারশতক, বৈরাগ্যশতক, আধ্যাসপ্তশতী ; (চম্পৃকাব্য )--কাদন্বরী, দশ- কুমীর-চরিত, বাসবদত্তা) (দৃষ্ঠকাব্য )--অভিজ্ঞানশতুত্তল, বিক্রমোর্বশী, মালবিকাণিমিত্র, বীরচরিত, উত্তর-চরিত, মালতী- মাধব, রত্বাবলী, নাগানন্দ, মৃচ্ছকটিক, মুদ্রারাক্ষম, বেণীসংহার ; (নীতি-গ্রন্থ )__-পঞ্চতন্ত্র, হিতোপদেশ এবং কথামরিৎসাগর । ১২ পেজি ডিমাই আকারে ৮৯ পৃষ্ঠায় পুস্তক খানি সম্পূর্ণ । বিষয়-বিবেচনায় আলোচনা ষে অতি সংক্ষিপ্তমার হইয়াছে, এ কথা তিনি নিজেই স্বীকার করিয়াছেন। এতৎসম্বন্ধে তিনি যাহ লিখিয়াছ্েন, তাহ। নিয়ে উদ্ধত হইল ;-_ « এই প্রস্তাব, প্রথমতঃ, কলিকাতাস্থ বীটন মোলাইটি নামক সমাজে গঠিত হইয়াছিল। অনেকে, এই প্রস্তাব মুদ্রিত করিবার নিমিত্ত, সবিশৈষ অনুরোধ করাতে, আমি, তংকালীন লভাপতি মহামতি শ্রীযুক্ত ডাকার ক শুন] যার, ৬প্রন্রকুমার মর্বাধিকারী মহাশয় এই প্রবন্ধের ফ্রুইংরেজী অনুবাদ পাঠ কনিয়াছিলেন। হস্কত-বিষয়ক প্রস্তাব । ২৯৫ মোয়েট মহোদক্নের অন্থমতি লইয়া, ছুই শত পুস্তক মুদ্রিত কগিয়া বিতরণ করি। "ষে প্রস্তাব যে সমাজে পঠিত হয়, মে প্রস্তাব সে সমাজের স্বহাস্পদী- ভুত হইয়] থাকে; এজন্য, আমি উক্ত ডাক্তার মহোদয়ের নিকট প্রস্তাবের অধিকার ক্রয় করিবার প্রস্তাব করিয়াছিভাম। কিন্ত তিনি, অনুগ্রহ প্রদর্শনপূর্নক, আমাকে বিনা মূলো সেই অধিকার প্রদান করেন। তদমৃ- সারে, আমি এই প্রস্তাব পুনরায় মুদ্রিত ও প্রচারিত করিলাম । “আমি বিলক্ষণ অবগত আছি, এপ গুরুতর প্রস্তাব যেত্রুপ নষ্কলিত হওয়! উচিত ও আবস্টক, কোনও রূপেই মেরপ হয় মাই। বস্কতঃ এই প্রস্তাবে ব্বিস্তৃত মংস্কত সাহিত্য শাস্ত্রের অন্তর্গত কতিপয় সুপ্রণিদ্ধ গ্রন্থ নামোল্লেখ মান হইয়াছে । বীটন সোনাইটিতে, এক ঘণ্ট1 মাত্র মময়, প্রস্তাব পাঠের নিমিত্ত, নিরূপিতত আছে? নেই সময়ের মধ্যে যাহাতে পাঠ নম্পন্ন হয়, সে বিষয়েই অধিক দৃষ্টি রাখিয়া, অত্যন্ত সংক্ষিপ্ত প্রণালী অবলন্বন করিতে হইয়াছিল ।” বিদ্যাসাগর মহাশয় এ সন্গঘ্ধে সবিস্তর আলোচন। করিয়! পুস্তক প্রকাশ করিবার সন্ধমজ করিয়াছিলেন; কিন্তু অনবকাশ- হেতু সঞ্কল্প, কার্যে পরিণত করিতে পারেন নাই, ইহা বঙ্গের ছুরদৃষ্ট বলিতে হইবে। এই ক্ষুজ পুস্তকেও ভাষা-প্রাগুলতার পুর্ণ পরিচয় পাওয়া যায়। সংস্কৃত কলেজের প্রিন্সিপাল হইয়া অবধি, বিদ্যাস'গর মহাশয়, অনেক দুঃস্থ ও নিংস্ব ব্যক্তির মাসহার। বন্দোক্্ত করিয়া দিয়াছিলেন। রাজকৃষ্ণ বাবুর মুখে শুনিয়াছি, বিদ্যা- সাগর ও ততপিতার আশ্রয়দাতা জগদৃছুলভ সিংহের মৃত্যুর ১৯৬ বিদ্যাসাগর | [এ পর, দসিংংপরিবারের শোচনীম্ব অবস্থা উপস্থিত হইয়াছিল । বিদ্যাদাগরর মহাশয়, তত্পুত্র ভুবনমোহন মিংহের ৩০২ টাকা মাসহারার বন্দোবস্ত করিয়। দেন। ভুবন বাবুর মৃত্ার পর, তাহার পন্থী সেই বৃত্তি পাইয়াছিলেন। ভুবন সিংহের জামাতার প্রতি বিদ্যাদাগর মহাশয়ের যথেই অনুগ্রহ ছিল। জামাত! প্রা্থই বিদ্যাসাগর মহাশয়ের নিকট আসিয়া সাহায্য গ্রহণ করিতেন। এই সমগ্র বিদ্যাপাগর ম্হাশষ শ্তামীচরণ ঘোম্াল নামক এক আত্মীয়ের ১*২ দশ টাকা মাসহার! বন্দোবস্ত করিয়া দেন। মাসহারা বন্দোবস্ত অনেকেরই ছিল। মামহার1 ব্যতীত অনেকে অন্ত প্রকারে সাহায্য পাইত। সকল জানিবার উপায় নাই। কেনন1 পাছে লজ্জা পায় বলিয়া, অনেককেই তিনি গোপনে গোপনে জাহাষ্য করিতেন। নারায়ণ বাবু বলেন,--প্বাবা অনেককেই সাহায্য করিতেন বটে; দেধিতাম, অনেকেই তাহার নিকট সাহাধ্য লইতে আসিতেন ; কিন্ত তাহাদের অনেকে- রই নামধাম জানিতায না; এমন কি, অনেক দানের কথা ধতায় খরচ পধ্যন্ত লেখা হইত না। তবে ধাহাদের মাসিক-বন্দোবস্ত ছিল, তাহাদের নাম পাওয়া ষায়।” বিদ্যাসাগর মাশর যখন অংস্তত কলেজে প্রিন্সিপাল-পদে প্রতিষ্ঠিত হন, তখন কলেজে ইংরেজি পড়িবার ব্যবস্থা ছিল বটে; কিন্তু তাহার ভাদৃশ প্রাহুর্ভাব ছিল না। বিদ্যাসাগর মহাশয়ের যত্ব ও চেষ্টায় তাহারই প্রাছুর্তাব হয়। নিয়ম হইল, ইৎরেজির প্রসার । ২৯৭ সংস্কত পরীক্ষার যেরূপ নম্বর রাখিতে হয়, ইংরেজিতে সেবূপ নন্বর রাখিতে হইবে। কাজেই তখন ছাত্রগণ ইংরেজি-শিক্ষান পুর্বাপেক্ষা মনোনিবেশ করিলেন। মেই সময় হইতেই রীতিমত ইংরেজি শিক্ষা হইতেছে । বিদ্যাসাগর মহাশন উন্নত প্রণলীতে ইংরেজি শিক্ষা চালাইবার উদ্দেশ্টে, ভাল ভাল ইংরেজি শিক্ষিত শিক্ষক নিমুক্ত করিয়াছিলেন। শ্রনাথ দাস, প্রস্ন্নকুমার সর্ধাধিকারী, তাত্ণিচরণ চট্টোপাধ্যায্র প্রভৃতি ইৎরেজি-হ্দ্া- বিশারদ ব্যক্তিগণ তাহার সময় সংস্কৃত কলেজের অধ্যাপক ছিলেন। ইতরেজি শিক্ষার প্রারে সংস্কৃত শিক্ষা আোত অনেকটা তেজোহীন হয়। সংস্কৃত কলেজের প্রতিষ্ঠাকাল আপত্তি তুলিয়া, যিনি ইহাকে ইংরেজি-সুলরূপে প্রত্ঠিত করিবাঁর পরামর্শ দিয়াছিলেন, বিদ্যাসাগর মহাশয়ের জময় তাহার প্রেতাত্মার অর্ধাধিক তৃপ্তি হইয়াছিল; অধুন! প্রায় পুর্ণ ।* বিদ্যাসাগর মহাশয়ের সময় কাশ্মীরের ভূতপূর্ব সচিব শীদুক্ত নীলাম্বর মুখোপাধ্যায় সংস্কৃত কলেজের ছাত্র িজেন। বিদ্যামাগর মহাশয় তাহাকে বড় ভালবাসিতেন। ত্বাহার বিশ্বাস ছিল, নীলাম্বঃ ভবিষ্যতে বড়লোক হইবে। * মংকৃতি কলেজের পরিণাম স্মরণে ছুঃথ করিয়া একদিন ভূতপূর্ধব অধ্যাপক পণ্ডিত জয়গোপাল তর্কলম্বার বলিয়াছিলেন,-“হায়! নংস্কৃত বিদ্যালয়ের মেই সুখের মময় এবং বর্তমান পরিবর্তন স্মরণ করিলে প্রাণ কেমন করিয়। উঠে! কি. শোচনীয় পরিণাম ।” শ্রীযুক্ত রামাক্ষয় চট্টো- পাধ্যায় নক্ব্রিত ৬প্রেমাদ তর্কবাগীশের জীবন-চরিত। ৭৮ পৃষ্ঠ1। 1 নীলাম্বর বাবু উচ্চপদ পাইয়াও বিদ্যাসাগর মহাশয়কে ভুশিয়! যান ২৯৮ বিদ্যাসাগর । পূর্বে সংস্কত কলেলে লীলাবতী ও বীজগণিত পড়ান হইত। বিদ্যাসাগর মহাশয়, তাহার স্থানে ইংরেজিতে অঙ্গ শিখাইবার বন্দোবস্ত করিয়া দেন। তা২ক'লিক বীজণপিতের অধ্যাপক পণ্ড প্রিয়নাথ ভঙ্রাচাধ্য মঙগাশয়ু বিদ্যামাগর যহাঁশয়ের ঘত্ত্বে সিবিল আইন শিক্ষা করেন এবৎ বিদ্যাসাগর মহাশয়েরই চেষ্টাঘ্ ও যদ্ত্ে ভট্টাচার্য মহাশয় মুন্দেফ পদ পাইয়াছিলেন। ১৮ ৪ খষ্টানের ৯ই ডিসেম্বর বা ১২৪৭ সালের ৫ই অগ্র- হায়ণ বিদ]াসাগর মহাশয়ের বাক্ষাল! “শক্দ্তল। মুদ্রিত ও প্রকাশিত হয়। ইহা সংক্কত "অভিজ্ঞান-শকুস্তলেশ্র অনুবাদ । এ অনুবাদ অবশ্য নাটকাকারে নহে। অনেক ম্বলে অক্ষরে অক্ষরে অনুনাদ) অনেক স্থলে ভাবানুবাদ্দ। বল বাহুল্য, শকৃত্তশার এমন অনুবাদ পুর্দে প্রকাশিত হয় নাই। ধাহার! সংস্কচজ্ত নহেন, তাহারা বিদ্য'সাগর মহাশয়ের *শকুত্থলা পড়িয়া “অভিজ্ঞান-শতুত্তলেপ্র মাহাত্ম্য অনেকটা জদয়জম করিতে পারেন । এই শকুন্তলার দোষগুপ সম্বন্ধে দুই চারিটা কথা সংক্ষেপে এইখানে বলিদ--অভিজ্ঞান শকুস্তলের বহু কবিতৃসৌনধয নাঁট। তিনি মেখান ₹৬তে প্রগাঢ় তক্তিসভকারে বিদ্যাসাগর মহাঁশয়কে পরাদি লিশিয়া! শালা বিষয়ের পরামর্শ লইভেন। পদঙ্াগের সময় নীলাম্বর বাবু পুর্বে বিদ্যানাগর মহাশয়ের পরামর্শ জইয়াছিলেন। শকুত্তল।। ২৯৯ পুর্বে বলিয়াছি অনেক স্থলে অক্ষরে অক্ষরে অনুবাদ; অনেক স্থলে ভাবানুধাদ। ভাবানুবাদের ছুই চার্টার উল্লেখ করি- লাম,_-সব্ধ প্রথমেই নান্দী, প্রস্তাবনা ও পাত্র প্রবেশ পরিত্যাগ করিঘ্বা, তাহার স্থানে «অতি পুর্সকীলে ভারতবর্ষে দুয্যত্ত নামে সসাট ইত্যাদি আছে ।” ১২ পৃঃ ৭ পংক্তি হইতে ৮1৯ পংজ্তি। ১৭ গঃ শকুত্তলার নামকরণটা মহাভারত হইতে গৃহীত। না হইলে মিষ্ট হয় না। ১৯ পৃঃ ১১ পংভ্তি। ২য় পরিচ্ছদ্দে ২২ পৃঃ প্রথমাবধি ৮ পত্ক্তি পধ্যন্ত। ৩ষ় পরিচ্ছেদে প্রথমাবধি ১০ পৃংক্তি। সুলতর এই গুলি দেখাইলাম। নাটকের গৌরব রক্ষার্থ যাহা লেখা হয়, তাহা নাটকেই ভাল লাগে । «মন বিষয় অনেক পরিত্যক্ত হইয়াছে । ছুই একটী দেখাই,--"্যদা- লোকে শ্ক্মং_-" ইত্যাদির অনুবাদ । ষ্ঠ অঙ্কে মিশ্রকেশীর অবতারণা ইত্যার্দি।” অনুবাদের কৃতিত্ব বুঝাইবার জন্ত ছুই একটা দৃষ্টান্ত দ্রিলাম_ "নীবারাঃ শুকগর্ভকোটরমুখভট্টান্তরূণাম্ধঃ প্রন্নিপ্চাঃ কচিদিসুশীফলভিদঃ তুচ্যস্তএবোপলাঃ। বিশ্বাসোপগমাদভিমগতয়ঃ শব্বং সহস্তে মুগা- স্তোয়াধারপথাশ্চ বন্ধলশিখানিস্তন্দরেখাক্থিতাঃ ॥” অভিজ্ঞান-শকুত্তলং প্রথমোদ্কঃ। অনুবাদ)“কোটরস্থিত শুকের মুখভ্রষ্ট নীবার সকল তরুতলে গড়িয়া রহিয়াছে; তপন্থীরা যাহাতে ইন্তুলীফল ভাঙ্গিয়াছেন, সেই সকল উপলখও তৈলাক্ত পতিত আছে; & ৩০০ বিদ্যামাগর | দেখ, কুরুভূমিতে হরিণশিশু সকল নির্ভষ্চিত্তে চরিয়া বেড়াই- তেছে এবং ষজ্জীয় ধূমের সমাগমে, নব-পল্পব সকল মলিন হইয়া গিয়াছে ।? কি তুন্দর মধুর অনুবাদ । এমনই সুন্দর অনুবাদ সর্বত্রই । এ অনুবাদের তুলন1 নাই। অভিজ্ঞান-শকুস্তলের সংস্কৃত যেমন মনুর, এই শকুন্তলার বাঙ্গাল] তেমনই মধুর। এক কথায় বলি, অভিজ্ঞানশকুস্তল1 পড়িয়া যাহ! বুঝি নাই, ইহাতে তাহ! বুঝিয়াছি। শবুন্তলার হু্বন্তভবনে গমনকালে, শতুত্তলা, মহর্ষি কথ ও সখিদ্ধষের শোকভাব এমনই সুন্দররূপে লিখিত হইয়াছে ষে, পড়িতে পড়িতে চক্ষের জলে বুক ভাসিয়! যায়। মহ কথের মন্র্পর্শিনী বাণী,--বৈঝব্যৎ মমতাবদীঘৃশমিদং-_ কি মন্ান্তিক করুণ ভাবে অনুবাদিত হইয়াছে! ছুই একস্বানে পরিবর্তনে অপাবধানতা ঘটয়াছে। এক ক্থানের পরিহারে হিন্দ-সম্তানের আক্ষেপ করিবার কথা আছে। শতুত্তল৷ ও ছুন্মস্তের সন্মিলনসময়, গৌতমী যখন শতুত্তলাঁকে অসুস্থ ভাবিমা দেখিতে আসেন, তখন রাজা সরিয়। গিয়া আত্ম- গোপন করেন। অভিজ্ঞান-শকুতস্তলে, এই কথাটী আছে,--. “আত্মনামাবৃত্য ভিষ্টতি”। বিদ্যাসাগর মহাশয় এই খানে লিখিয়াছেন,-"লঙাবিতানে ব্যবহিত হইয়া শকুভ্লাকে নিরী: ক্ষণ করিতে লাগিলেন।” এই খানে অসাবধানতা। শতুস্তলাকে নিরীক্ষণ করিতে হইলে, গৌতমীকেও ত নিরীক্ষণ করা যায়। গৌত্মীকে নিরীম্মণ করান অমঙ্গত। কেননা, এই গৌতমী শকুন্তলা । ৩০১ শ্রডৃত্তলর সহিত হুম্মন্তালয়ে গিয়াছিলেন। অভিশাপ-প্রভাবে রাজ! শকুম্তলাকে যেন ভূলিয়! গিয়াছিলেন ৷ জঙ্গী খষিশিষ্যদ্বয় শার্দরব ও শারদ্বতকে রাজ! কখন দেখেন নাই। সুতরাং রাজা উাহাদিগকে যেন চিনিতে পারিলেন না । গৌতমীকে রাজা দেখিয়াছিলেন ; তাহার সন্গন্ষে ত কোন অভিশাপ ছিল না; রাজ! তাহাকে না চিনিবেন কিসে কবি কালিদাস, ভবিষ্য- তের এই অসঙ্গতি বুঝিয়া কেবল বলিষ! রাখিম্বাছিশেন, রাজা আত্মগোপন করিয়াছিলেন ; “নিরীদ্ষণে”র কথা বলেন নাই । বিদ্যাসাগর মহাশঘ্র কেন অসাবধান হইলেন, বলিতে পারি না। শতুত্তলা যখন দুম্যন্তপুরে যাইবার উদ্যোগ করেন, তখন তাহাকে সঙ্জিত করিবার জন্ত, কবি কালিদাস দেব-প্রদত্ত অলক্ষারের .সট্টি করিষাছেন। খধিশক্তি বুঝাইবার জন্য কালিদাসের এই স্ষ্টি। বিদ্যাসাগর মহাশয় ইহা] পরিত্যাগ করিয়াছেন। হিন্দুসস্তানের ইহ1 আক্ষেপের বিষয় নছে কি? ররর পরাণ ই ষোড়শ অধ্যায়। বিধবা-বিবাহ । এইবার সেই বিরাট ব্যাপার । যাহাতে হিদুসমাজে বিচ সাগর মহাশয়ের ঘোরতর অধ্যাতি; এবং অহিন্দু ও অহিন্দু- ভাবাপন্ন সমাজে যথেষ্ট প্রতিপত্তি; হুতরাৎ যাহার জন্ত তাহার নাম বিশ্বব্যাপী; এবার সেই “বিধবা-বিবাহেশ্র কথা আসিফ পড়িল। এ সন্নন্ধে এ ক্ষেত্রে অবিস্তর সমালোচনার স্থান হইবে না); তবে এইখানে এই পধ্যত্ত বলাই পর্্য'পগ্ত ষে, তিনি এতদর্থ ষেরুপ অটুট অধ্যবসায়-সহকারে জবিশ্রান্ত পরিশ্রম করিয়া- ছিলেন, তদনুরূপ ফল প্রাপ্ত হন নাই। এ অহিন্‌ আচার হিন্দুমমাজে যে অনুপ্রবিষ্ট হয় নাই, ইহ হিন্দুমাজের সম্যক্‌ সৌভাগ্যেরই পরিচয় বলিতে হইবে। কারুণ্য-প্রাবল্যে বিষ্যা- সাগর মহাশয় আত্মসং্যযে সক্ষম হন নাই। তাই তিনি ্রান্তবিশ্বাসের বশে এই অকীর্তিকর কার্ষো হন্তক্ষেপ করিযা- ছিলেন। ভিনি বিধবা-বিবাহের শীস্ীক্ প্রমাণ সংগ্রহার্থ শাস্ত্রের আশ্রয় গ্রহণ করিয়াছিলেন । এই জন্ত অনেকে তাহাতে শান্তরানুরাগিতা আরোপিত করেন? কিন্ত অনেকেই তাহা স্ীকার করেন না! শেষোক্তের মতে তিনি স্বেচ্ছাক্রমে শাস্ত্রের কদর্থ করিষাছিলেন। আমাদের মতে, তিনি হেচ্ছামতে ও জঙ্ঞানে অকাধ্য করিবার লোক নছেন। ভ্রান্তবিশ্বাসই মুলাধার। সারল্য ও কারুণ্যের পরিচয় পদে পদে । ঝাল্য-বিধবার ছুঃথে বিদ্যামাগর মহাশয় বড়ই ব্যথিত বিধবা-বিবাহ । ৩০৩ হইতেন তাই তিনি বাল্যকাল হইতেই বিধবা-বিবাহ-প্রচল- নের পক্ষপাতী ছিলেন। বিধবা-বিবাহ-প্রচলনের প্রবৃত্তি কেন হইল, তৎসম্বন্ধে বয় বিদ্যানাগর মহাশদ্প তাহার স্বগ্রামবামী ম্নেহভাজন শ্রীযুক্ত শশিডুষণ সিংহ মহাশয়কে যাহা! বলিয়াছিলেন, তাহাই এই- খানে উদ্ধৃত হইল,-_ “বীরসিংহ গ্রামে বিদ্যাসাগর মহাশয়ের একটা বাল্য-সহচরী ছিল। এই সহচরী ভাহারই কোন প্রতিবেশীর কন্ত] ৷ বিদ্যা- সাগর মহাশয্র তাহাকে বড় ভালবামিতেন। বালিকাটা বাল্য- কালে বিদ্যানাগর মহাশয়ের নিকট সর্বদাই থাকিত। বিদ্যা" সাগর মহাশযর ষখন কলিকাতায় পড়িতে আসেন, তখন বালি- কার বিবাহ হয়; কিন্ধ বিবাহের কয়েক মাস পরে তাহার বৈধব্য ঘটে । বালিকাটা বিধবা হইবার পর, বিদ্যাসাগর মহাশয় কলেজের ছুটীতে বাড়ীতে গিয়্াছিলেন। বাড়ী ফাইলে তিনি প্রত্যেক প্রতিবেশীর তরে ঘরে গিয়! জিজ্ঞাস করিতেন, কে কি খাইল? ইহাই তাহার স্বভাবছিল। এবার গিয়া জানিতে পারিলেন, তাহার বাল্য সহচরী কিছু খায় নাই; সে দিন তাহার একাদশী; বিধবাকে খাইতে নাই। এ কথা শুনিয়া বিদ্যাসাগর কীদিয়] ফেলিয়াছিলেন। সেই দ্রিন হইতে তাহার সন্কল্প হইল, বিধবার এ দুঃখ মোচন করিব; ষদ্দি বীচি, তবে যাহা হয়, একট করিব। তখন বিদ্যাসাগর মহাশয়ের বন্ধন ১৩১৪ বৎসর মাত্র হইবে। ৩০৪ বিদ্যাসাগর | আনন্দকুষ্ণ বাবু বলেন,_“কোন বালিকা বিধবা হইয়াছে শুনিলে, বিদ্যাসাগর কীদিয়া আকুল হইতেন। এই জন্ত ত্কাহাকে বলিতাম, তুমিকি ইহার কোন উপায় করিতে পার না? তাহাতে তিনি বলিতেন, শ্াস্কপ্রমাণ ভিন্ন বিধবা-বিবাহ প্রচলন দুক্ধর। আমি শাস্তরপ্রমাণ সংগ্রহে প্রবৃত্ত হইয়াছি।” শান্্রান্ুমারে বিধবা-বিবাহের শাস্ত্ীয়তা সপ্রমাণ করাই তাহার উদ্দেস্ট ছিল; কিন্ত প্রথমতঃ শান্ত্ীয় প্রমাণ সংগ্রহ করিয়া উঠিতে পারেন নাই। রাজকুঞ্ণ বাবু বলেন ;-_”১২৬৩ সালের বা ১৮৫৩ খ্ষ্টাকের শেষভাগে এক দিন রাত্রিকালে বিদ্যাসাগর মহাশয় ও আমি একত্র বাসায় ছিলাম। আমি পড়িতেছিলাম। তিনি একখানি পুঁথির পাতা উপ্টাইতেছিলেন। এই পুঁথিখাণি পরাশরসংহিত1। পাতা উপ্টাইতে উপ্টাইতে হঠাৎ তিনি আনন্দবেগে উঠিয্বা পড়িয়া বগিলেন,_পাইয়াছি, পাইয়াছি। আমি জিজ্ঞামিলাম,-“কি পাইয়াছ % তিনি তখনই পরাশরসংহিতার মেই শ্লোকটা আওড়াইলেন *-_ পপ শিপ পপ পিপিপি * ১২১৮ সাজের ৬ই ভাদ্র বা ১৯৯১ থু্ান্দের ২২শে আগষ্ট হিভবাদীতে ডাক্তার অমুলাচর্ণ বশ লিখিয়াছেন,-“তিনি স্কুল পরিদর্শনে কৃফনগরে গমন করেন। ভথাকাত বাজবাটিতে বিধবা-বিবাহের শান্ত্রীয়তা সম্বন্ধে কথ! উঠে। নেই আদর্শ ফলেই 'পরাশর-কৃত' এই বনটী শুলিভে পাই- লেন।”' অমুলা বাব্‌ স্বয়ং টাক1 করির] লিখিতেছেন,__“'এ বিষয় কিন্ত বিপ্যানাগর মহাশয়ের কাছে বা অগ্ন সুত্রে শুনিয়াছিলাম, আমার ঠিক ম্মরণ নাই। সুরা ইহার সত্যাসত্য মন্বন্ধে কিছুই বলিতে পারি না।* এরূপ অবস্থায় রাজকৃক্ণ বাবুর কখাই প্রমাণ । বিধবাবিবাহ । ৩০৫ 'নষ্টে ঘৃতে প্রত্রজিতে ক্লীবে চ পতিতে পতৌ। পথস্াপৎস্ু নারীণাৎ পতিরন্তে বিধীক্ঘতে ॥” বিধবা-বিবাহের ইহাই অকাট্য প্রমাণ ভাবিয়া) তিনি তখহ লিখিতে বসিলেন । সারা রাত্রিই লিখিয়াছিলেন। তিনি মাঙ্ছা লিখিয়াছ্িলেন, তাঁহ। পরে মুদদিত করিয়া বিভরণ কৰেন। সহরে আগুন জলিয়া উঠিল। চারি? ্ বাদ-প্রতিধাজ্ছে ধুম লাগিয়া গেল। বজ্ততঃ বিদ্যামাগর মহাশয় গুরুতর পি2, গহকারে নানা ধ্দবশাস্মের আলোচনা করিয়াহিলেন। ঃ একটী গ্লোকের অর্থ নির্ণয় করিতে দারা রাত্রি কাটা ছ্িল। ১২৬০ সালের ১৬ই মাঘ বা .৮৫৪ // 5১8 জানুদারী বিদ্যাসাগর মহাশয় বিধবাতধিবাহ প্রচ উচিত কিনা” নাক ২২ পৃষ্ঠায় একখানি পুস্তক নিখিং ্ রি টি ও প্রকাশিত করেন। “বিধবা বিবাহ প্রচলিত হওসা উচিত কি নম) বিদ্যাসগর মহাশঘু লিপিচাতৃধ্যের প্রকৃষ্ট পরিচয় 08500 81 এক সন্তাহ কালের মধ্যে এই পুগ্িকার প্রথম অং ৭5 ,55.1 ধিত হইয়া যায় ।” তঃপর ষে আলোচনা হইয়াছিল, আনন্দরুক। বানু সম্বন্ধে কর বলেন,"বিধব! বিবাহ হওয়া উচিত (ক এই সম্বন্ধে পুস্তিকা মুদ্রিত করিয়া, বিদ্যাসাগর 153 * ভতবোধিনী পত্রিকার তংকালীন সম্পাদক বানু অন্ষিযস্মর দল, এ পত্রিকায় উহ) আঁদ্য্ত মু্জিত করিয়াছিলেন। এস্পোিপিপপ্পিশা পিপিপি পা িশশাাী পেশি ৭০ ৩০৬ বিদ্যাসাগর ! বাড়ীতে আসেন। তাহার পুষ্তিকার সুন্দর লিপিচতুরত্া ও তর্ক-প্রথরতা দেখিয়া আমর! বিমোহিত হইয়াছিলাম। আমরা বলিলাম,_-“এখন তুমি পুস্তিকা প্রচার করিয়া, তোমার প্রস্তাব কার্যে পরিণত করিবার চেষ্টা কর” বিদ্যাসাগর বজিলেন,-- ঘখন এ কার্যে প্রবৃত্ত হইয়াছি, তখন ইহার জন্ত প্রাণাস্ত পণ জানিও। ইহার জন্য যথাসর্ধ্ দিব। তবে তোমার মাতামহ ঘদি সহান্ধ হন, তবে এ কার্য অপেক্ষাকৃত অল্প সময়ে ও সহজে সিদ্ধ হইবে। সমাজে ও রাজ-দরবারে তাহার যেরূপ সম্মান, তিনি সহায় হইলে, জমাজে সহজে আমার প্রস্তাব গ্রাহ্য হইবে।* আগি বলিলাম,-'দাদা মহাশয়ের সন্মুখীন্‌ হইয়া, এ কথ বলিতে সাহস হয় না। তিনি আমাদিগকে যথেষ্ট ভালবাসেন সত্য; কিন্ত তাহার নিকট এরূপ সামাজিক কথার উত্থাপন করাকে ধৃষ্টতা মনে করি। তুমি স্বয়ৎ একখানি পত্র লিখিয়া একখণ্ড পুস্তক তাহার নিকট প্রেরণ কর।, বিদ্যাসাগর আমাদের প্রস্তাবে অ'়ত হইয়া, পত্রসহ এক খণ্ড পুস্তিকা মাতামহ মৃহাশয়ের নিকট প্রেরণ করেন। মাডাঁমহ মহাশয় তাহার পুস্তিকা পড়িম্' পরম পরিতোষ লাভ করিয়াছিলেন তিনি বিদ্যাসাগর মহাশয়কে ডাকাইয়া বলেন,__দেখ, তুমি * বাস্তবিকই নমাজে ও রাভদরবারে তথন বাভ1 রাঁধাকণন্তদের বাহাঁছরের যেন্দপ মন্মান ছিল, সেরূপ আর কাহারও ছিল ন1। সাহার পিতামহ রাজ! নবকৃষ্ণ গে!ঠীপতি হইয়। সমাজে যথেষ্ট সন্মীনিভ হইয়া ছি ন। এইজন্য নমাজে রাজ! রাধাকান্তপেবেরও যথেষ্ট সন্মান ছিল ভিনি নিজ বিদ্যাবুদ্ধিষলে রাজদররবারেও নন্মান পাইতেন। বিধবান্বিবাহ। ৩০৭ ঘে প্রণালীতে পুস্তিকা লিখিয়াছ, তাহা অতি গনোরম। তবে আমি বিষয়ী লোক, এ সম্বন্ধে কোনরূপ বিচার আমার সাধ্যাতীত এবং অসক্গত। একদিন পণ্ডিতমণ্ডলীকে আহ্বান করিয্বা, এ সম্বন্ধে বিচার করাইবার ইচ্ছা করি। তুমি যদ্দি সম্মত হও, তাহা হইলে, দিন ধার্ধ্য করিয়া পণ্ডিতমগডলীকে আহ্বান করি।” বিদ্যাসাগর সম্মত হইলেন। নির্ধারিত দিনে অনেক পণ্ডিত ও বিদ্যাসাগর আমাদের বাটাতে উপস্থিত হইয়াছিলেন। সে দিন ৫কান মীমাংসা হয় নাই বটে; তবে বিদ্যাসাগরের তর্ক প্রণালীতে মাতামহ মহাশয় পরিতুষ্ট হইয়া, তাহাকে একখানি সাল উপহার দিয়াছিলেন।* বিদ্যাসাগরকে পুরস্কত হইতে দেখিয়া, তাৎকালিক সমাজপতিরা সিন্ধান্ত করিলেন, রাজা রাধাকান্তদেব বিধবা-বিবাহ-প্রচলনের পক্ষ- পাতী। একদিন বড়বাজারের গঙ্জোপাধ্যায় পরিবারের প্রধান ব্যক্তি প্রমুখ সমাজপতিরা মাতামহ মহাশয়ের নিকট আঙিয়। বলিলেন,-আপনি কি সর্বনাশ করিলেন। আপনি কি হিন্দুনমাজে বিধবা-বিবাহরূপ পাপপ্রথার প্রচলন করিতে চাহেন? নহিলে বিদ্যাসাগরকে পুরস্কৃত করিলেন কেন? ইহাতে মাতামহ মহাশয় উত্তর দ্িলেন_আমি বিধবা-বিবাহ- প্রচলনের পক্ষপাতী নহি। আমার ভাহাতে অধিকার কি? আমি বিষয়ী লোক, শীস্তর-বিচারেরই বাকি জানি । তবে বিদ্যা- * বার্ধক্যে স্থৃতিহান জন্ত এই মাল-উপহারের কথ! আনন্দ বাবু ঢু করিয়] বলেন নাই। ৩০৮ বিদ্যানাগর । সাগরের তর্ক-প্রণাশীতে তুই হইয়া, তাহাকে সাল পুরস্কার দিয়াছিলাম। ভাল, এততৎসন্বন্ষে পণ্ডিতমণ্ডলীর সভ1 করিয়া, আর একদিন বিচার করাইলেই হইবে ।, অত্তগপর আমাদের বাড়ীতে আর একদিন পণ্ডিতমণ্ডনীর সভা হইয়াছিল । এ দিন নব্ছীপের প্রধান ম্মাত ভ্রজনাথ বিদ্যারত্ব উপস্থিত ছিলেন। এ দিনও বিচারে কিছুই মীমাংমা হর নাই। বিচারকালে কেবল একট! গণ্ডগোল হইয়াছিলমাত্র। এ দিন মাত মহ মহাশয়, ব্রজমাথ বিদ্যারতু মহাম্বযকে সাল পুরস্কার দিয়া ছিলেন। অতঃপর বিদ্যাসাগর বুঝিষ়াভিলেন, মাতামহ মহ শয়ের নিকট তিলি কোনরূপ সাহাষা পাইদেন নঃ। তাহাতেও ্রাঙ্গণ বিচলিত হন নাই। ভিনি কাহারও মুখাংপক্ষী না হইয়া, অটুট বিক্রমে, অটন সাহসে, আপন কর্তব্য-সাধনে আত্মসমর্পণ করেন। সমাজে বিধবা-বিবাহ শ্রচলন করাই, তাহার ভটল প্রতিজ্ঞা। সে বিরাট পুরুষের সে প্রতিজ্ঞা কে ভঙ্গ করিতে পারে বাহ বেষ্টিত অভিমহ্যর ম্তায় বিদ্যালাগর সংসার সংগ্রামে ধিপক্ষ-বেষ্টিত হইয়া, অসমসাহয়ে গকুতোভকে শক্ত পক্ষের সহিত সমরে প্রবৃত্ত হইয়াছিলেন। সে ক্ষণভন্মা মহা পুরুষের তাতকালিক ভীধণ-সংগ্রাসমূর্তি অবলোকন করিয়া আমরা বাস্তবিকই বিস্ময়াভিতত হুইয়াঞ্ছিঙ্খাম। দুঃখের বিষয়, ইহার পর বিদ্যাসাগর আমাদের বাটীতে বড় আদিতেন ন1। মাতামহ মহাশক তাহার এ জীবনব্রতের সহায় না হইলেও, তাহাকে অন্তরের সহিত শ্রদ্ধা তক্তি করিতেন” বিধবা-বিধান্থ। ৩০৯ বিধবা-বিবাহ-সংক্রান্ত প্রথম পুস্তিকা প্রকাশিত হইবার পর, চারিদিকেই নানা পণ্ডিত-সমাজ হইতে ইহার প্রতিবাদ-পুস্তক প্রকাশিত হইয়াছিল। মুরশিদাবাদের বৈদ্য-প্রধান গঙ্গাধর কবিরাজ প্রধান প্রতিদ্ন্দী হইয়াছিলেন। সে সময়ে যে সকল প্রতিবাদ-পুস্তক প্রকাশিত হইয়াছিল, তাহার সকঙ্গ সংগ্রহ করিতে পারি নাই, ষে কয় খানি সংগ্রহ করিফাছি, তাহাদের নাম এইখানে প্রকাশ করিলাম,__ *বিধবা-বিবাহের নিষেধক। বিচারঃ। আ্ীউমাকান্ত-তর্ক। লঙ্কার-সংশেোধিতঃ । আটপুরনিবানিদর্শনশাস্ত্রাধ্যপক-স্রীন্ঠাম1' পদ-্যায়ভূষণ প্রণীতঃ পুনঃ প্রকাশিতশ্চ।” “বিধবা-বিবাহ- নিষেধক-প্রমাণাবলী। দ্বিতীয়া । কাশীপুরবাসি-শ্রীশশিজীবন- তর্করত্ব-শ্রীজানকীজীবন-ন্তায়রত্ব-সংগৃহীতা। অগ্ুক্ষীরাবানি- আযুক্ত-বাবু-পার্কতীনাধ-রায়চতুর্ধুরীণাদেশতঃ। *. পপৌনর্ভব- খণ্ডনব্‌ অর্থাৎ শ্রমদীশ্বরবিদ্যাসাগরেণ কলৌ বিধবা-বিবাহ-প্রচ- লিতার্থ-নির্ষিত-নিবন্ধস্ত প্রত্যুত্তরমূ। শ্রীমৎ্কালিদাস-মৈত্র- বিরচিতমৃূ।” *আীযুক্ত-ঈশ্বরচন্রবিদ্যাসাগরকল্িত-বিধবা-বিবাহ- ব্যবস্থার বিধবোদ্বাহবারকঃ। শ্রীযুক্ত অর্বানন স্তায়বাগীশ ভট্া- চাধ্যের মতানুদারে কলিকাতানিবাসী শ্রীযুক্ত রামচন্দ্র মৈত্রেয় কতৃক সংগৃহীত।” “বিধবাবিবাহ*প্রতিবাদ। শ্রীযুক্ত মধুশ্দন স্মৃতিরত্ব কর্তৃক জক্কলিত।” পবিধবা-বিবাহ প্রচলিত হওয়া উচিত নহে ।” *শ্রীদরচন্ত্র বিদ্যাসাগর বিধবা-বিবাহ-বিষয়ক ভ্রমমূলক পত্রাবলীর কাশীশ্থ পণ্ডিতসম্মত প্রত্যুত্তর |” *্ধর্মমন্ম- ৩১০ বিদ্যাসাগর । প্রকাশিকা সভা হইতে বিধবা-বিবাহবাদ প্রথম খণ্ড ।” “বিধবণ- বিবাহ প্রচলিত হওয়া উচিত কি না এতদ্বিষয়ক প্রস্তাবের উত্তর। শ্রীল শ্রীনৃত রাজ! কমলকুষ্ দেব বাহাছুরের সভাসদৃ- গণ কতৃক ভ্তি-ম্মৃত্যাদ্দি প্রমণাবলী সঙ্কলন পুক্বক লিখিত। *বিধবা-বিবাহ হওয়া উচিত নাহ ।” বিচিত্র স্বপ্নবিবরণ। শ্রাপীতাম্বর কবিরত্ব বিরচিতমূ 1” “ব্ধিবা-বিবাহ নিষেধ-বিষয়ক ব্যবস্থা ॥” * যশোহর হিন্দৃধশ্ম রক্ষিগী সভা ও কলিকাতা ধর্্ম-সভা হইতে বিদ্যাসাগর মহাশয় কৃত বিধবা বিবাহ প্রস্তাবের প্রবল প্রতিবাদ হইয়াছিল। যশোহর হিন্দু-ধর্মরক্ষিশী সভার চতুর্থ সাংবসরিক অধিবেশনের সময় নানাদেশীয় মহাঁঁযহোপাধ্যায় আহত হন। সকলেই বিধবা-বিবাহ অশাস্ত্রীয় ও অকর্তব্য বলিয়া ব্ভৃতা করেন। ইতিমধ্যে বিদ্যাসাগর মহাশয়ের পক্ষ-সমর্থন করিষা উপযুক্ত ভাইপে! প্রণীত পত্রজবিলাম" এবং উপযুক্ত ভাইপো! সহচর প্রনীত “রত্রপরীক্ষা” নামক দুই খানি পুস্তক প্রকাশিত হম্প। এই ছু-খানি পুস্তকের প্রকৃত গ্রন্থকারের নাম নাই । রাষ্ট্র এইরূপ, স্বয়ং বিদ্যানাগর মহাশয় ইহার প্রণেতা । বিদ্যাসাগর মহাশয়ের পুত্র নারায়ণ বাবু আমাকে বিদ্যাসাগর মহাশয়ের * গবর্ণমেন্টে প্রদত্ব হয়, এই অভিশ্রায়ে বিদ্যানণগর মহাশয় কর্তৃক, তাহার বিধবা-বিবাহ-বিষয়িণী পুস্তিকণ বিটিন্‌ ইতিয়1 মোসাইটাতে প্রেরিত হইয়াছিল। ব্রিটিপূ ইত্ডিয়। মোসাইটীর ভাৎকালিক সম্পাদক্ধ উইলিয়ম থিওবোন্ড ইহার ঘাথার্ঘযাধাথার্ঘ; নির্ণয়ার্থ ধর্শ-নভার মত চাহেন। ধর্মমত! তছুত্বরে যাহ! লিথিয়া(ছলেন, তাহাই লইয়। এই পুস্তিকা । বিধবাশ্বিবাহ। ৩১১ বঁচিত অমুদায় পুস্তক উপহার দিয়াছেন। তাহার মধ্যে রত্বু পরীক্ষা প্রাপ্ত হইয়াছি। পব্রজবিলাম”? ও *রত্ব-পরীক্ষা”য় পণ্ডিতগণের প্রতি আক্রমণ হৃইয়াছে। ইহাদের ভাষা-ভাঁব বদরদিকতায় পূর্ণ । যদিও রাষ্ট্র, ইহা বিদ্যা্াগর মহাশয়ের প্রণীত; কিন্তু বিদ্যাসাগর মহাশয়ের স্তাঁয় বিজ্ঞ-গভীর-চরিত্র লোক এরূপ চগলতা! প্রকাশ করিবেন, ইহ! প্রত্যয় করিতে প্রবৃত্তি হয় না। যশোহর-ধর্দুরক্ষিণী মভাষ ব্ধিবা-বিবাছের প্রতিবাদ করিষ়। ষে বক্তৃতা হইয়াছিল, তাহারই প্রতিবাদ করিয়া বিনযু-পত্রিকা প্রকাশিত হয়। এন্থকারের নাম নাই । রাষ্ট্র, ইহাঁও বিদ্যাসাগর মহাশয়ের রচিত ইহাতে নবদ্ীীপের পণ্ডিত ব্রজনাথ বিদ্যারত্ব, ভুবনমোহন বিদ্যারত্ব প্রভৃতি পণ্ডিতদ্িপকে আক্রমণ কর! হইয়াছে । ইহার ভাষা ও ভাব আলোচনা করিলে, ইহ! বিদ্যাসাগর মহাশয়ের রচিত বলিয়া বিশ্বাস হয় ন1। ইহাও চপলতা! তাষে সম্পূর্ণ কলদ্ষিত। তবে নারায়ণ বাবুর নিকট হইতে বিদ্যাসাগর মহাশয়ের রচিত বপিয়। যে সব পুস্তক উপহার পাইয়াছ্ি, তাহার মধ্যে এ পুস্তকও ছিল। বিদ্যাসাগর মহাশয়ের বিধবা-বিবাহ-বিষয্থিণী পুস্তিকা প্রচারিত হইবার পর, তত্প্রতিবাদ্ধে যে সব পুস্তক প্রচারিত হইয়াছিল, তাহার অধিকাংশেই গভীর যুক্তিপুর্ণ শান্ত্রবাকোর সমাবেশ ছিল। তবে বিদ্যাসাগর মহাশয়ের পুস্তিকা যেরূপ সরল গ্রাঞ্থল ভাষাম লিখিত হইয়াছিল এবং তাহার যুক্তিখ্যাপন ৩১২, বিদ্যাসাগর | থেরূপ সহজ প্রণালীতে সযাবেশিত হইয়াছিল, এ সধ পুস্তকে সেরূপ হয় নাই। যথার্থ শাস্্রশী শান্ত্রশীসিত ব্যভিদিগের নিকট এ সব পুস্তকের আদর হুইয়াছিল। তবে বিধবা-বিবাহের পক্ষপাতী তাৎকালিক ইংরেজি-শিক্ষিত লোকের এই স্ব পুস্তক উপেক্ষা করিয়া বিদ্যাসাগর মহাশয়েরই জযুঘোষণী করিয়া" ছিলেন। সেই জয়ঘোষণা রাজপুকষদ্দিগের কর্ণপটহে প্রতি- ধ্বনিত হইয়াছিল। রাজপুরুষদের অঙ্গে তাৎকালিক ইংরেজি- শিক্ষিত সম্প্রদায়েরই ঘনিষ্ঠতা ছিল কিনা। এই ঘময় সমাজে তিন সব্প্রদায়ের সংঘর্ষণ চলিয়াছিল। প্রথম সন্গ্রদায়--শাস্ত্ানুশাসিত ত্রাঙ্ষণপরিচালিত হিনু। ইঙ্ারা বিধবা-বিবাহের ঘোর প্রতিবাদী ছিলেন। দ্বিতীয় সন্গ্র- দায় ইংরেজিশিক্ষিত প্রৌঢ় হিন্দুসস্তান। ইহারা বিধবা- বিবাহের পক্ষপাতী ছিলেন; কিন্ত প্রকাশ্ঠে পঙ্গপাতিতা! প্রদর্শন করিতে পারেন নাই । তৃতীয় সম্প্রদায় ইংরেজিশিক্ষিত ইংরেজি সভ্যতাুপ্রাণিত হিন্ু-সন্তান। ইহার বিধবা-বিবাহের প্রগাঢ় পক্ষপাতী । ইহাদেরই হুন্দুভিনাদে বিদ্যাসাগরের জয় বার্তা বিদ্বোষিত হইয়াছিল। এখনও এইরূপ তিন সম্প্রদায়ের সংঘর্ষণ চলিতেছে । তবে এখনকার ইংরেজিশিক্ষিত ব্যক্তিদিগের মধ্যে জনেককে শাস্বপধে চলিতে দেখা যায়। এরপ মতিগতি বেশী দিম থাকিবে না। একদিন শীস্থাচারের বিলোপ হইবে, ইহা শান্ের ভবিষ্যদ্বালী। তবে এখনও সমাজ যে ভাবে চলিতেছে, বিধবা-বিবাহ । ৩১৩ ভীহাতে বিধবা-বিবাহ যে শীঘ্র প্রচলিত হইবে না, তাহা ঝা যাইতেছে । তখন ব্রাক্ষণপরিচালিত হিন্দুর প্রাধান্য জন্য বিবধা-বিবাহ হিন্দ-সমাজে প্রচলিত হয় নাই; এখনও হইবে না; যতদিন হিন্দুর প্রাধান্য থাকিবে, তঙদিন হইবে নাঁ। বিক্যাসাগর মহাশয় যে বিধবা-বিবাহ-প্রচলনের আন্দোলন প্রথম উ্াপিত করেন, এহন নহে ; ভাজারও প্রায় ১৯ কি ২৭ বহস্র পূর্ত অপ্যপ্রদেশ-নাণপুতের এক মছারাস্ীয বাণ এ বিষদ্ষেস আন্দোলন তুলিষাছিলেন । মে আন্দোলনে ফন হম নাই। প্রার শত বহসর পুলে ঢাজার কাজা রাজবন্লুভ বিধবা-বিবাহ চালাইবার চেষ্ট1 করিয়াছিলেন! তিনিও কত" কাধ্য হন নাই বিধবাঁবিবাহছ শান্ত হইলে, রাজ- বলভের স্তার শকিপালী পুক্ুষ কি চাশ্বাইত পারিতেন না নে সমদ্র বিদ্যাসাগর মহাশয়ের ভ্ায় কৌন কোন ভ্রান্ত পণ্ডিত বিধবা-বিবাছের পক্ষরমর্থনে ক্গাক্ষর করিয়াছিলেন । ঠিক এই ময় কোটার রালাও বিধ্বাবিবাহ চালাইবার ।চষ্টা করিয়া ছিজেন। কিন্ত তিনিও-ন্ার৫মলোরথ হইয়াছিলেন। যখন একজন শক্তিশালী রাজা ব্যর্থমুনোরথ, তখন অন্ম পরে কা কথা । বিদ্যাসাগর মহাশয্ষের বিধবা-ব্বাহ-বিষদ্রিণী পুশ্তিক। প্রকাশিত হইবার ২০ বহ্জ পুর্ষে যাদ্রাজের এক ব্রাঙ্গণ এতৎ- সম্বন্ধে আইন করাইবার জন্য চেষ্টা করিয়াছিলেন। তাহার চেষ্টাও কলবনী হয় মাই। দশ বসর পুর্বে ইহার আন্দোলন |হইয়াছিল। এ আন্দোলনও নিস্কল হয়। হুবর্ণ-বণিক ২৭ ৩১৪ বিদ্যামাগর। জাতীয় কলিকাতা জহরের প্রসিদ্ধ ধনাঢ্য মতিলাল শীল বিখবা-বিবাহ এচলনের উদ্যোগী হইয়াছিলেন। ইহার জন্ত তিনি বছু অর্থব্যয় করিতেও প্রাস্তত ছিলেন। কিন্ত তিনি তকার্ধ্য হন নাই।* দুই বৎসর পৃর্দে পটলডাজানিবাসী শ্যামাচর্ণ দাস নামক কর্মকার জীভীয এক ধনাঁঢা ব্যক্তি আপনার ন্ধিব! কন্তাঁর বিবাহ দিবার উদ্যোগ করিয়াছিলেন । নিঃলিপিত্ পঞ্জিক্ঞশণ এ বিবাহের ব্যবস্থা দিয়ছ্িলেন।" কাশী- নাথ তর্দবলঙ্গার, ভূ খা তু, রাষতন্ৃতর্বসিদ্ধান্ত, ঠা্ুরদাম চূড়ামপি, হহ্রিলীরাক়। তর্ক? আস্ত, মুক্তারায বিদ্যাবাশীশ। পরে ঈদের টক্করই তং. দর হুইয়াছিজ। কঠমাচরণ দাদ বিধবা কন্তার বিবাহ : পারেন নাই। ফাহা শীত্রসঙ্গত নহে, ঘাহা। দেশাচীর-হির্ভৃত, ভাহা কোট কোটি অর্থব্যয়েও দাধারণে প্রচলিত হয় কি? রিদ্যানাগর মহাশয়ের কারধ্যে অনেক ধন'ঢা ব্যক্তি সহায় হইফাছিলেন। 1 প্রলোভনে ব! ভান্তিবশে কোথায় রত কেহ বিধবা-বিবাহ কবিষাছিলেন ; তিজ্ত বিধধা-বিধাহ কি সমাজে চলিল ৭ যতদিন স্যাজেন বদনশ্গ্রন্থি দৃঢ় থাকিবে, ততদিন বিধবা-বিবাহ- হিন্দু- সমাজে প্রচলিত হইবে ন1। % শপ বাপ পপ * নংবাদ প্রভার, ১৮৫৫ খু্টা, ১০ই ফেব্রুয়ারী! 1 যুগলনেতুনিবাঁণী কালীগ্রমন্ন মিংহ সংবাদপত্রে বিজ্বাপন দিয়া ছিলেন, যে বাক্তি প্রথম বিধবা] বিবাহ করিবেন, ভীহাঁকে এক নহশ্র টাক! গারিতোধিক প্রদান করিব। নংবাদ প্রতাকর, ১৮৫৬ থৃষ্টাৰ ২৭শে নধেম্বর | বিধধা-বিবাঁহছ। ৩১৫ বিধবা-বিবাহের সমর্থনী পুস্তিকার প্রতিবা্দ-সমৃহ প্রকাশিত হইলে পর, বিদ্যাসাগর মহাশয়, ১৮৫৫ ধ্ষ্টাবের অক্টোবর মাসে বা ১২৬১ সালের কার্তিক মাসে “বিধবা-বিবাহ হওয়া উচিত কিনা” নামক দ্বিতীঘ পুস্তক প্রকাশ করেন। যে সকল পণ্ডিত বিধব। বিবাহের বিরুদ্ধে মত দিয়াছিলেন, এ পুস্তকে তাহা- দের অধিকাংশেরই মতধণ্ডনের প্রয়াম আছে। নিম্লিখিত পণ্ডিতদের মতখণ্ডন এই পুস্তকের প্রতিপাদ্য ,_-মআগড়- পাড়ানিবাসী মহেশচন্র চুড়ামণি, কোননগর-নিবাসী দীনবন্ধু স্যায়ুরত্ব, কাশীপুর-নিবাসী শশিজীবন তর্করত্ব, জানকীজীবন শ্যামুরত্, আরিয়াদহনিবামী শীরাম তর্কালস্কার, পুটিয়ানিবাসী ঈশানচন্ন বিদ্যাবাশীশ, সরদাবাদ্নিবাসী গ্রোবিন্বকাত্ত বিদ্যা" ভূষণ, কুষ্মোহন স্তায্-পঞ্চানন, রামগোপাল তর্কলক্কার, মাধব- রাম ন্সায়রত্ব, রাধাকাস্ত তর্কালন্কার, জনাইনিবাসী জগদীশ্বর বিদ্যারত্ব, আন্দূলীয় রাঁজসভার সভাপত্ডিত রামদাস তর্কাসিদ্ধাত্ত, ভণানীপুরনিবামী প্রসন্নকুমার মুখোপাধ্যায়, নন্দকুমার কবিরতু, আনন্দন্র শিরোমণি, গঙ্গানারায়ণ স্তায়বাচস্পতি, হারাধন কবিরাজ, ভাটপাড়ানিবাসী রামদয়ধল তর্করত্ব, শ্রীরামপুর- নিবাসী কালিদাস মৈত্র, মুরশিদাবাদনিবাসী রামধন বিদ্যা- বাশীশ। এই সকল পণ্ডিতের মতখণ্ডন জন্ত বিদ্যাসাগর মহাশকস নান] শাস্ত্রের বচনোদ্ধার করিয়াছেন। এ পুস্তকের ভাষাও গান্তীধ্যপূর্ণ ৷ ইহার গাভীরধ্যাহুসন্ষিৎসুতা ৩১৬ বিদ্যাসাগর । আলোচনা করিলে, কে সহজে বিশ্বাস করিবে, বিদ্যাসাগর নাম ভীড়াইয়া ব্রজবিলাস, রত্বপরীক্ষা * প্রভৃতি পুস্তকে বালনুলভ ব্দরপিকতার পরিচয় দিবেন? রত্বপরীক্ষার তাবা- ভাবের একটু নমুনা দেখুন, ণ্তিনি, নিতান্ত প্লান বদনে কহিলেন, দেখুল, আমি, ব্রজবিলীন লিখিয়া, বিদ্যারভু খুড়র মানধলীলানংবরণের কারণ হ্ইয়াছি। মদীয় বিষময়ী লেখনীর আঘাতেই, তদীয় জীবনযাত্রার মমাপন হইয়াছে, নে বিষয়ে অথুমাত্র সংশয় নাই । আমাদের সমীজে, গোহতা| ও ব্রক্ষ- হততা। অতি উৎকট পাপ বলিয়। পরিগণিভ হইয়া থাকে । ভুর্ভাগরাত্রমে, বক্ষ বিলান লিণিয়া, কোন পাপে লিপ্ত ভইয়।ছি, বলিতে পারি না । এ অবগ্থায়, আঁর আমার মধুবিলান লিখিতে নাহন ও প্রন্ত্তি হইতেছে না। মরূৃবিলান লিখিলে, হয়ত, আমায় পুনরায় এপ পাপে লিগ ইতে হইবেক | বিশেষতঃ, স্বৃতিরতুখুড়ী বুড়ী নহেন? ভাহাকে, ইদানীভ্তন প্রচপ্িত প্রণালী অনুণারে, দীঘ কাল, ব্রক্ষচরধ্যপালন করিতে হইবেক, সেটাও নিতান্ত হজ ভাবনা নহে । যর্দি বল, আমর! উদে)াগী হইয়] পুছঃমংস্কার সম্পন্ন করিব; মে প্রত্যাশাও সুদুরপরাহত। এই অমস্ত কারণবশভঃ, আর আমার, কোনও মতে, এ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করিতে, সাহল হইতেছে ন11” * ইহ] একরূপ মব্ীজনবিদিত, ঘিনি উপযুক্ত ভাইপোরূপে ব্রজবিলাদ লিখিয়াছেদ, তিনি উপযুক্ত ভাইপোঁনহচর বলিয়1, “রতুপরীক্ষা” লিথিয়া- ছেন। এই উভয়ই স্বয়ং বিদ্যাধাগর বলিয়া রা । বজব্ল্রানে ব্রজনাথ বিদ্যারত্ুকে ও রতুপরীক্ষায় মধসুদম স্ৃভিবতুকে আক্রমণ আছে। ভাষা ও বিরামচিহ্াদির শাঁলোচনায় সহজে ধারণা হইতে পারে, ইহ বিদ- নাগরের লিখিত। নভা ত্য যদি ইহ! ভাহাওই লিখিত হয়, তাহ! হইলে, তাহার কলক্ষেরই কথা বলিত্বে হইবে | হ্‌ বিধবা-বিবাহ। ৩১৭ যাহা হউক, বিধবা-বিবাহ সংক্রান্ত দ্বিতীয় পুস্তকে বিদ্যা- সাগরের পাণ্ডিত্য ও গবেষণার পুর্ণ পরিচয, সন্দেহ নাই। তবে মত-খণ্ডন কিরূপ হইয়াছে, তাহার বিচারে আমার অধিকারও নাই) শক্তিও নাই। পণ্ডিতগণ তাহার বিচার করিবেন। এই পর্য্যন্ত বলিতে পারি, সেই সমস্ত প্রধান প্রধান স্থানের প্রধান প্রধান পণ্ডিতগণ বিধব। বিবাহের বিরুদ্ধে মত দিয়াছিলেন। ৬কাশীধামের খ্যাতানামা বু পত্তিত ইহার বিক্ুদ্ধে মৃতগ্রকাশ করিয়াছিলেন। বাজ বাধাকাত্ত দ্রেব কলিকাভার শপ্চিশালী সর্োনত সমাজপতি। তিনি বিধব!- বিধাহের অযৌক্তিকত! প্রাণ জন্য বহুবিখ্যাত পঙিতের ব্যবস্থা সংগ্রহ কতিয়াছিলেন। তাৎকালিক ধর্মামতা হিন্দুমাজের প্রধান প্রতিনিধিস্বরূপ ছিলেন। এই সভার পত্তিতমণ্ডলী বিধবা-বিবাহের বিরুদ্ধে মচ পিয়াছিলেনু। বিদ্যাসাগর মহাশয়, আপন মততসমর্থনকারীদের মধ্যে এই কয়টী পণ্ডিতের নামোলেখ করিয়াছেন,-পর্ডিত ভরতচন্দ শিকোষণি, তারানাথ বাচম্পাতি ও গিরিশচজ বিদ্যারত্ব। ইহার! তাহার মতপোষক কতকগুলি বচন উদ্ধার করিয়া, সাহাধ্য করিয়াছ্িলেম। বলা বাহুল্য, ইহ্থীরা তৎ্কালে সংস্কৃত কলেজে বিদ্যামাগর মৃহাশঘের অধীনে চাকুরী করিতেন। জনকতক ভ্রান্ত পণ্ডিত, ইংরে্জি-শিক্ষিত নব্য বঙ্গীয় যুবক এবং ধনাঢ্য জমীদার বিধবা-বিবাহের পক্ষমমর্থন করিয়াছিলেন মাত্র. বিধবা-বিবাহ পাস্ত্রসঙ্গত হইলে, দেশের এত বড় বড় ৬১৮ বিদ্যাসাগর | বিজ্ঞ, পণ্ডিত ও সন্ত্রান্ত ধনাঢ্য মহোদয়গণ কখন কি ইহা বিপক্ষবাদী হইতেন€ শারানভিজ্ঞ ভ্রা্গণশাঙজ্গিত হিন্দ বুঝে, বৈধব্য পুষ্থজন্মের কন্ধফল) ব্রদ্দচধ্যই বিধবার গালা, নীয় ; ধাহারা মনে করেন এবং বখেল) বিপ্ববা কন্য! বা ভগিনী, পিতা বা ভ্রাত।কে ধনিতাহ্ধ-সপ্তোগ করিতে দেখিয়া, তণ্তশ্বাস পরিত্যাগ কৰেন ) এংহ বিধবা কন্তা ও ভনিধার আজীবন কষে, রতার ব্যবন্থ। করছ) খাপ জুখ্মাধলে লালাফিত। ভাহান। প্রকৃতই হিদুর কপাপাঞ। বিধবা কন! বা ভঙ্গি বৈধ) পিতা ব! ভাড়ার নন্মান্তিক কেশব?) দলেই কি বে তত, কালবিশ্বাদী হিনুর স্বোক-লান্বলা কর্টীকম্মের কলাফসন্মদণে। ব্ধবা-বিধাহের স্বিতী পুস্তক প্রকাশিত হইহার পরও বিদ্যাসাগর মহাশয়ের ভীবিভাবন্থায় অনেক পুতিবাদ-পুক্ত ক প্রকাশিত হইযাছিল। তাহাদের মধ্যে আখুক্ত প্রস্কূমার ও মহাশদ্ের পুস্তক উদ্লেধষোগ্য । হিন্দু-পাঠকগ্ণকে স্তক পড়িতে অনুরোধ করি। তবে দানিয়াড়ী মহাশয়, টিউন মহাখয়ের উপর যে কাপট্য আনোপিত করিয়া, ছেন, তাহ বিশ্বাম করিতে প্রবৃত্তি হয় না। তিনি বলেন, বিদ্যাসাগর মহাশয়, আপন মতদমর্থনার্থ জনেক গ্রাপ্থের প্রকৃত পাঠ পরিবর্তন ভরিয়াছেন। ইহার ত্চার অংস্ঠু পণ্তিন্জনই করিবেন) কিছ্ত বিদ্যাসাগর মহাশয়ের তীবন, চরিত সমালোচনা করিলে, এ কাপটযাচরূণ আরোপিত করিতে প্রন্থ ওই প্রবৃত্তি হয়না । বোধ হয়, গ্রন্থে গ্রকৃতই পাঠান্তর আছ ২ ্ বিষবাশ্শবহা । ৩১৪ তে পাত র্যা , ই, বিদ্যাসাগর কপট, এ কথা পেশ আমে না। ভটপলীদিবামট পণ্ডিত পঞ্চানন তত্র মহাশয়, বিধবা-বিবাঙ্ের বিক্ান্গে ষে মত গ্রন্থীপ করিয়াছেন, তাহা হিন্দ-সন্তানের পাঠ্য । ববাসী শ্য বসে সঃ নে ০ 7 জর এন খা শা ৮7 ৪১ এ নও হইতে যে পরাশরনহছিতা প্রকাশিত হইয়াছে, ভাহাতে তক্জরজ “বুতে জিতে ক্লাবে চ পতিতে পরতে) । গঞ্চসাপৎন নারীনাং ডি তা 1দবীয়তে ॥ জি 1, এও 5258 মহিত কনার বিষাত দিতে হইলে, ভতে ক ভাষী পতি বদি নিকদ্দেশ হয়, (৭ শা লে শা যা হিতে কি ত শা ভিজা সন্কাশি বত চে (বাতি ক মতরিয়! বাহ, গ্রতজা। অবজন্বশ কত কী বছিয়া রি হয়, বাঁ পাতি হয়, তবে এই পর্প্রক্গার জপদে, কনা! পাত্রীস্তবে প্রদান বিহিত |? ক এই'জপ অন্তবাদ কসর, ভতকনত্ব মহাশিফ ইহার এব? টাকা করিয়াছেন, “গে অনুবাদ প্রদত্ত হইল, ইহাই বহু পণ্িতসম্মজ । আরও একটি মুক্তি- 7 বাখাও প্রণ হইতেছে । এভদ্ব;ত1 নিঃস.শয়ে প্রতিপন্ন হইবে যে, বিবধা-টিষাত এখনকার প্রচলনীয় নহে । *ন্বামী ঘদি লিকদ্দেশ হর, অরিয় খায়, প্রণজা1 অবলম্বন করে, কী বালক স্থির হর, বা পতিত হয়, তাহ।- হইলে নাঁবী পজান্তঃ গ্রহণ করিবে 1৮ * এ বচনের ইহাই অন্ৃবাদ ; কিন্তু এই বচন অন্ুমতি-রক্ষা ব্যান শষয়ে নিধিদ্ধ। ঘথ1 পরাশত্র ভামাধত আাদপুরীণ | পপ শিশাাশািপ পাশা পিপিপি পপ পপ * মূল গ্লোেকেব এইরূপ অনুবাদ করিয়াই বিদ্যানাগর মহাঁশম বিধবা- বিবাহ-প্রচলনের আন্দোলন করিয়াছিলেন ৩২০ বিদ্যাসাগর। “দীর্ঘকাল ব্্ষ চর্য্যং দেবরেণ সুত্বোৎপত্তি্দত্বাকন্যা প্রদীয়তে। কম্যানামলবর্ণানাং বিবাহশ্চ দ্বিজীতিভিঃ ॥ দত্োরলেতরেধান্ত পুত্রতেন পরিগ্রহঃ। শৃদ্রেযু দাসগোপাল কুলমিত্রার্দসীরিণামূ | ভোজ্যাননত1 গৃহন্থত্য-------_ এভাঁনি লৌকণপ্তার্ধং কলেরাদে মহাত্রভিঃ। নিবর্তিতানি কর্মাণি ব্যবস্থা পূর্ববকং বুধৈঃ ॥+ অর্থাং কলি-প্রারভ্ডের পর, মহাগ্র! পত্িতগণ পুর্ধপ্রচলিত এই বকুল কর্ম সমাজরক্ষার্থ বাবস্থাপুর্বক নিষেধ করিয়া! গিম্াছেন। যথ| দীঘ- কাল ব্রহ্গচর্যয, দেবর দ্বার] পুত্র উৎপাদন, পরিণীতা নারীর পভ্ন্তর গ্রহণ, অসবর্ণাকন্তার ঘহিত দ্বিজাতিগণের বিধাহ, দণ্তক ও গুম ভিন্ন ক্ষেত্রজ প্রভৃতিকে পুত্র বলিয়া গ্রহণ এবং গুহস্থের দাস, গোপাল কুলমিত্র, অ্দ- দীরী শুত্রজাতির মধ্যে ইহাঁদিগের অন্নতোজন ইত্যাদি কলিধুগারত্তের পরেও এই বচন নিষিদ্ধ কতিপয় কার্যে অনুষ্ঠান দেখাইয়া এবং স্মৃতি ও পুরাণের খিরোধে স্মৃতির বলবস্তা শাত্রনন্মত এই প্রমাণে কেহ কেহ এই বচনের অগা্ত্ব? প্রতিপাদন করেন । আমর] বলি তাহ! নহে। এ নকল করব কলিযুগ প্রারভের পর্দে যে নিষিদ্ধ হয়, ইহ1 এ বচন প্রদর্শনেই নপ্রমাণ হইর1 থাকে । তবে ঠিক ফোন্‌ নময়ে যে নিষেধবিধি প্রচলিত হয়, তাহ বল! কঠিন। যাহ) হউক, যতদিন এ নিষেধ প্রচারিত হয় নাই, ততদ্দিন কলিযুগেও এ অমস্ত কার্য্যের অহ্ষ্ঠান প্রচতিত ছিল, অতএব পরাশর-সংহিতা! কেবল কলিষুগে ধর্মনির্ণায়ক হইলেও ক্ষতি নাই। কেন ম1! পরাশরের মত কলিতে কিছুদিন প্রচলিত ছিল, একেবারে স্থিতি-শূস্ত হইতেছে ন1। পরাশরমতে ইতিপূর্বে চতুর্বিধ পুত্র উক্ত হইয়াছে । ভবিষ্যতে দাদ, গোপালক, কুলমিত্র ও অর্ধনীরী-শুদদিগের বিধবাবিবাহ। ৩২১ অন্প-ভোঁজন বিহিত হইবে, এইবপ নকল মতের উপর নির্ভর করিয়া সমস্ত কলিধুগের এই ধর্ম এইরূপ স্থির করিলে, আদিপুক্লাণ প্রভৃতির বচন গ্রিতিশৃন্ত হইয়া গড়ে। প্রবলমতের সক্ষোচ কতিয়াও অপ্রবল মতের স্থিতি-শৃগ্ঠত| দোষ পরিহার কর চিরপ্রচলিত শান্ত্রকারীর ব্যবস্থা! । আব নামাজিক নিয়মও দেখ, এক্ষণে ওতুম ও দত্তক বাতীত পুত্র নাই! কেহই দা প্রভৃতির অন্ন ভোজন করে না। অতএব নর্বজনপরিগৃহীত আদি- পুরাণাদি বচমের অগ্রাহত1 প্রতিপাদনপ্রমান নর্বাতোভাবে অকর্ব্য। ইত্যাদি বিবিধ কারণে বিধব1-বিবাঁহ যে এখনকার অগ্রচলনীয়, ইহ" স্থিরমিদ্ধান্ত |” পরাশবমংহিভার বঙ্গানৃবাদ, ৭ পৃষ্ঠা । বিধবা-বিবাহ-সংক্তান্ত দ্বিতীয় পুস্তক প্রকাশিত হইবার পর যে সব প্রতিবাদ প্রকাশিত হইত্াছিল, বিদ্যাসাগর মহাশঘ তাহার আর প্রতিবাদ করেন নাই। বিধবা-বিবাহ সন্বন্ধে শাস্ত্রীয় বিচার বহ্প্রকারই হইয়াছে। সে বিচারবিশ্লেষণ নিশ্রয়োজন । আমি কেবল ইহার কতক এতি- হাসিক তত্ব প্রকাশ করিলাম। শাস্ত্রীয় বিচার ভিন্ন ভন্টপ্রকার বিচারও অনেক হুইস্সা গিয়াছে । এখনও হইতেছে । ১২৮৭ সালের জ্যৈষ্ঠ মাসের ব্দর্শনে বিধবা-বিবাহ-প্রচলনের বিপক্ষে যে মত প্রকাশিত হইয়াছে, তাহা সমাজহিতাকাজ্জীর পাঠ করা উচিত। সে প্রবন্ধের এই কয়টা কথা স্মরণীয়, “অনেকে বলেন, বঙ্গ বিধবাগণ চিরছুঃখিনী। তাহাদের কোন কার্য্যেই সুখ নাই, কোন প্রকার আমোদে ভাহার! মিশিতে পারে না, মনের দুঃখে তাহার] নর্ধণাই ছঃখিত। তাহাদিগকে আজন্ম এইরূপ কষ্টে রাখ! অতি নৃশংদের কাধ্য, যাহার দয়। নাই, মায়! নাই, যে স্বেহমমত] ৩২২ বিদ্যাসাগর | কাহাকে বলে জানে মা, পরের ছুঃখে যাহার মন গলিয়| লা] ফা, নেই এইব্প নি্ুরতাচরণ করিতে, লমর্থ। কিন্তু বিধবাদিগের ছুঃপ যে অনহয এমত আমাদের যোধ হয় না। যদিবাস্তবিক অমহা হয় অথচ ভাহাতে সমাজের উপকার থাকে, তবে তাহ1 মোচন করিবার আবস্টাক কি? পাঁচ জন বিধবার জন্য ধাহার প্রাণ কাদে, মমাজন্থ মহম্র নহম্ম লোকের জন্ত, তাহার হৃদয় ফাটিয়া! যাওয়া উচিত, যিনি এক জনের অঙ্গে শ্চ ফোটা দেখিতে পারেন না, তিনি শত শত লোকের ধলিদান কি রূপ দেখিষেন? যদি পাঁচ জন বিধবার দুঃখ মোচন লা করিলে নিষ্ঠুরতা হয়, তবে বিধব| বিবাহ চালাইয়া লমাঁজের সহত্্র ব্যক্তির অপকার কর? চগুলত!--) গোর মেরে জুতা দান ধর্ম নহে। বিধবা যদি দুশ্চরিত্1 হইবার আশক্ষা থাকে বিবাহ দিলেও সে আশঙ্কা! একেবার দির্পুল তয় না। অনেক লধবাও দুশ্চরিত্রা হয়। আমরা নরম প্রকৃতির লোক, এই জন্য কেবল দয়! করিতে শিথিয়াছি,্ঠায়পরতার উপ্রমুর্তি আমর! মহা করিতে পারি না। স্থৃতরাং গ্ঘায়ের দিকে দৃঠ্ি না রাখিয়! শুদ্ধ অনুভব শক্তির প্রতি লক্ষ করিয়া আমর! মতামত প্রকাশ করিয়া! থাঁকি। ইহাকে ম্পেন্নার দাহেব [1061008] 13195 অর্থাৎ আনুৃভাবিক পক্ষপাত বলিয়াছেন।” বিচারফলে যাহা হউক, বিধবা-বিবাহের প্রচলন-প্রাসঙ্গে একট তুমুল আন্দোলন উখিত হইয়ান্িল। বাত্যাবিক্ষো- ভিত বারিধিবৎ সমগ্র বন্গভুমি বিচলিত হইয়াছিল। ধনী, দরিদ্র, বিদ্বানূ, মূর্থ, স্ত্রী, বালক, যুব, বুদ্ধ সকলেরই মুখে দ্িবারাত্র এতৎসম্ন্ধে অবিরাম জল্পনা-কল্পনা চলিয়াছিল। হিন্দুর গৃহে প্রকৃতই একট। বিশ্বয়-বিভীষিকার আবির্ভাব হইয়াছিল । পক্ষে বিপক্ষে কত রকম হুড়া, গান রচিত হইয়াছিল, তাহার বিধবা-বিবাহ । ৩২৩ ইয়ত্ব| নাই। পথে, ঘাটে, মাঠে সর্ধত্রই নানারূপ গাঁন গীত হইত। গাড়ৌয়ান গাড়ী হাকাইতে হাকাইতে, কৃষক লান্গল দালাইতে চালাইতে, তাতি তাত বুনিতে বু'নিতে গান গাহিত। শান্তিপুরে বিদ্যাসাগর-পেড়ে নাষক এক রকম কাপড় উঠিপ্নাছিল! তাহার পাড়ে এই গান লেখা ছিল,-- “খে থাকুক বিদ্যাসাগর ভিরজীবী হয়ে। সদরে করেছে পোর্ট বিধবাদের হবে বিয়ে | কবে হবে শুভদিন, গ্রকাশিবে এ আইন, দেশে দেশে জেলায় জেলায় বেরবে হুম বিধবা রমণীর বিষের লেগে যাবে ধূম, মনের সুখে থাকব মোরা মনোমত পতি লয়ে। এযন দ্রিন কবে হবে, বৈধব্য-ষন্ত্রণ। যাবে, আভরণ পরিব সবে, লোকে দেখবে তাই-- আলোচাশ কাচকলার মুখে দিষ়ে ছাই,-_ এয়ে। হয়ে যাব সবে বরণডালা মাথায় লয়ে ॥” কবিবর ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত এই পদ্য রচনা করিয়াছিলেন," “বাধিয়াছে দলাদলি, লাপিয়াছে গোল। বিধবার বিস্গে হযে, বাজিয়াছে ঢোল । কত বাদী, প্রতিবাদী, করে কত রব। ছেলে বুড়ী আদি করি, মাতিয়াছে সব ॥ কেহ উঠে শাখাপরে, কেহ থাকে মুলে। কৰিছে প্রমাণ জড়ো, পীজি-পু'তি খুলে ॥ ৩২৪ বিদ্যাসাগর | এক দলে যত বুড়ে!, আর দলে ছৌড়া। গেড়া হয়ে মাতে সব, দেখেনাকো| গোড়া ॥ লাফালাফি, দাপাঁদাপি, কবিতেছে যত। ছুই দলে খাঁপা-খাঁপি, ছাপাছাপি কত ॥ বচন বুচন করি, কভ কথ বলে । ধের বিচার-গথে, কেহ নাকি চলে ॥ “গরাশর? গ্রামাণেতে, বিধি বলে কেউ । কেহ বলে এযে দ্রেঝি, সাগরের ঢেউ ॥ কোথা ব1 কঠিছে লোক, শুধু ভেউ হেউ। €কোথি। ব বাঘের পিছে, লাগিয়াছে ফেউ ॥ অনেকেই এই মত, লতেছে বিধান । “অক্ষাভ যোলিও? বটে, বিবাহ-বিধান ॥ কেহ বালে ্গতাচ্্ছত, কে আব বাছে 1 একেবারে তত্রে যাক, যত পাড়া আছে ॥ কেভ কহে এই বিধি, কেমনে হইবে ? ভিছুর ঘরের রশাড়ী, দি'ছর পরিবে ! পৃষ্ষে ছেলে, কাকে ছেলে, ছেলে ঝোলে কোনে। তার বিয়ে বিধি নয়, উলু উলু বোলে ॥ গিলে গিলে ভাত খায়, দাত নাই মুখে। হইয়াছে আত-খালি, হাত চাপা বুকে ॥ ঘাটে যারে নিয়ে যাব, চড়াঈয় খাটে । শাডী-পরণ, চুড়ি হাতে, গারে নাকি খাটে? শুনিয়] বিয়ের নাম, “কোনে” সেজে ব্ু।। কেমলে বলিবে মুখে, “থুড়! খুড়ী থুড়ীৎ ? বিধবাশববাহ । ৩২৯৫ পোড়া-মুখ পোড়াইয়খ, কোল পোড়া-মুখী। ছুখী, শুখী' মেয়ে ফেলে, কেঁচে হবে থুকী ? য্যাটা আছে যার ভরে, বেলগাছ এ্রচে। তুড়ী মেরে থুঢ়ী খলে, মে বনিবে কেঁছে ! গমনের আয়ে'জন, শমনের ঘরে | বিবাহের সাধ সেকি, মনে আত করে? যেখালে মেখানে শুনি, এই কলরল। বালার বিবাহ দিভে, রাজি আছে অব ॥ সকলেই এইন্ধপ, বলাবলি কৰে । ড্'ড়ীর কল্রাণে যেন, বুটী নাহি তরে ॥ শরীর পড়েছে ঝুলি, চুলগুলি পাঁ+1! কে ধরাবে মাছ তাবে, কে পরাবে শাখা? জ্বানহাঁর1 হয়ে যাই, নাহি পাঁই ধানে । কে পাঁড়িবে “সত্ব!প+, মায়ের কলযাণে 1 কবিভাস-ংগ্রহ, দ্বিীপ্লভাগ, ৭১--৮১ পৃষ্ঠ। বিধবা-বিবাহ সম্বন্ধে কবি দাশরথী রায় অনেক ছড়া ও গান না করিয়াছিলেন। তাহার মধ্য হইতে একটা ছড়া ও একটা যান উদ্ধৃত হইল, “বিধবার বিবাহ কথা, কপির প্রধান স্থান কলিকাতা, নগরে উঠেছে অতি রব। কাটাকাটি হচ্ছে বাণ, ক্রমে দেখছি ঘলবান, হবার কপ! হয়ে উঠেছে নব ॥ ক্ষীরপাই নগরে ধাম, ধন্য গণা গুণধাষ, ঈশ্বর বিদ্যাসাগর নাঁমক। ৮ ৩২৬ বিদ্যাসাগর । তিনি কর্ত! বাঙ্গালির, তাতে আবার কোম্পানীর, হিন্দু কালেজেয় অধ্যাপক । বিবাহ দিতে ত্বরায, হাকিমের হয়েছে রায়, আগে কেউ টের পায় নাই নেট1। তাঁর কলে অর্ডর, যেতে করে অর্ভর, চটাকে বৃদ্ধি আটিকে রাঁথিবে কেট] ॥ হাকিমের এই বুদ্ধি, ধশ্ম বৃদ্ধি প্রজ1 বৃদ্ধি, এ বিবাহ সিদ্ধি হলে পরে। বিধব1 করে গর্ভপাত, অমঙ্গল উৎপাত, তাতে রাজার রাজ্যে হতে পারে ॥ হিন্দু ধর্মে যার রত, প্রমাণ দিয়ে নানা মত, হবে না বলে করিতেছেন উক্ত। ইহাদের যে উত্তর, টিকবে নাকে। উত্তর, উত্তীর্ণ হওয়া অভি থাকত ॥ গীত। তোঁমর ঈখরের দোষ ঘটাবে কি রূপে । রাখিতে ঈশ্বরের মত, হইয়ে ঈশ্বর দত, এনেছেন ঈশ্বর বিদ্যাসাগর বপে॥ রাজ আজ্ঞায় দূতে আলি, কাটে মুড দিয়ে অলি, রমলি বেদ্ষে ফেলে অন্ধ কুপে। ত1 বলে দূতে কখন দুষী হয় না সেই পাপে। কি আর ভাব নকলেতে, হবে যেতে জেত্বে হতে, জেতের অভিমান নাগরে দাও ন'পে। বিধবা-বিবাহ। ৩২৭ এক কর্ম প্রায় জগত, ভারত আঁদি পুরাণ মত, ভারতে চলিবে না কোন রূপে । যখন করেছে এ ভারত অধিকার ইংরেজ ভূপে ॥ পলীগ্রামে চাষা-ভূষার মধ্যে বিদ্যাসাগরের নাম,_“বিধ- বার বিয়ে দেওয়া বিদ্যাসাগর” হইয়াছিল। দেশ জুড়িয়া আন্দোলন হইয়াছিল। রা'জপুরুষদের কর্ণ- গোচর করাইতে না পারিলে, প্রকৃত কার্য হওয়া দুক্ধর ভাবিয়া, বিদ্যাসাগর মহাশঘ, “বিধবা-বিবাহ হওয়া উচিত কিনা” পুস্ত- কের ইংরেজি অনুবাদ করেন। আননকৃষ্ণ বাবু শ্রীনাথ বাবু প্রভৃতি অনেকেই অনুবাদে সাহাষ্য করিয়াছিলেন। অনুবাদ মুদ্রিত হইবার সময় প্রসন্নকুমার সর্বাধিকারী মহাশয়, ইহার প্রুফ সংশোধন করিয়। দেন। ইংরেজি অনুবাদ হওয়ায়, বাস্তবিকই সবিশেষ ভুযোগ উপ- স্থিত হইয়াছিল। বিধবা-বিবাহ সম্বন্ধে আইন-বিষয়ক অনেক অন্তরায় ছিল। সেই অন্তরায় দূর করিবার অভিপ্রামে 'বিদ্যা- সাগর মহাশয় একটা আইন করাইবার সন্কল্প করিয়াছিলেন। ইংরেজি অনুবাদ পড়িয়া, হিন্দু বিধবার্দের বড় কষ্ট, হিচ্দু* বিধবাদের বিবাহ হওয়া উচিত, এতৎসম্বন্ধে আইন-সংক্রাস্ত অন্তরায় দুরীকৃত হওয়া উচিত, রাজপুরুষদের মনে এইরূপ একট। মৃদু ধারণা হুইয়! যায়। ইৎরেজি অনুবাদ প্রচারিত হইবার পর, বিদ্যাসাগর মহাশয় আইন করাইবার জন্ত তাৎকালিক প্রধান ৩২৮ বিদ্যাসাগর | | প্রধান রাজপুরুষদের সহিত পরামর্শ করিতেন । তাহারা বিদ্যা-। সাগর মহাশয়ের কথায় মন্ত্মুগ্ধ হইয়াছিলেন। তীহাদেরই পরামর্শে বিদ্যাাগর মহাশয়, ১৮৫৫ রষ্টাবের ৪ঠ1 অক্টোবর বা ১৮৬২ সালের ১১শে আশ্বিন মানে এক হাজার লোকের স্বাক্ষরিত, এক আবেদন-পত্র ব্যবস্থাপক সভায় পেষ করেন। আবেদন ইৎরেজিতে হইয়াছিল । তাহার মর্্ানুবাদ এই, 23 1 ০০ সু রা ড় ্া । “ভারতের মহামান্য বড়লাট বাহাদুরের মভ1-নমীপেষু।-_ “বঙ্গদেশেছ নিষ্ন স্বাক্ষরকারী হিন্দু প্রজাদিগের মবিনয় নিবেদন এই যে “দিন প্রচলিত দেশাঁচারানুমারে হিন্দু বিধবাদিগের পুমবিবাহ নিষিদ্ধ। “আবেদনকারিগণের মত এবং দৃঢ় বিশ্বাম এই যে, এই শ্ষ্চুর এধং ঃ অস্বাভাবিক দেশাচার নীভিষ্রিদ্ধ এবং অমাভের বহর অনিষ্টকারক| হিন্দুদিগের মধ্যে বাল্যবিবাহের প্রচলন আছে । অনেক হিন্দু-কন্ঠ। চলিতে বলিতে শিখিব€র পূর্বেও বিধব]1 হয়। ইহ1 সম'জের ধোবুতর অনিষ্টকারী। “আবেদনকারীদিগের মত এবং দৃ় বিশ্বা এই যে, এই দেশাঢার- প্রবর্তিত প্রথা শান্ত্রনঙ্গত নয়, কিংবা হিন্দুঅনুশাননবিধির প্রন্কৃত অর্থ- সঙ্গতও নয়। “বিধব1-বিবাহে আবেদনকাঁরিগণের এবং অস্তাঙ্ক হিন্দুল এমন কোন বাধ] নাই, যাঁহ। বিবেকবুক্ধির বিরুদ্ধ । এবন্প্রকার বিষাহে, নমীজ-প্রচলিত অত্যামহেতু এবং শাদ্ের কদর্থ জন্য মাতম বিশ্বাপহেতু যে বাধা বিঘ্ব হইতে পারে, ত'হ। তাহার! অগ্রাহা করেন। “আবেদনকারিগণ অবগত আছেন যে, মহারাণী ভিক্টোরিয়া এবং ইষ্ট ইতিয়ান কোস্পীনীর আদালতসমুগ্গে প্রচলিত হিন্দু-আইনবিধি অনুসারে বিধবা-বিবাই । ৬২৯ উক্তপ্রক্জার বিবাহ আইনবিরুদ্ধ এবং উত্তপ্রকার বিবাহে যে সমস্ত সম্ভান- নন্ততি হইবে, তাহার বিধিনম্মত সন্তান-সন্ততি মধ্যে পরিগণিত হইবে ন1। “যে হিন্দুত| এন্সপ বিবাহ বিবেকবিরুদ্ধ বলিয়া বিবেচন1| করেন না এবং নামাজিক এক" ধর্মমন্খবীয় অমশংক্গার মত্েও ধাঁভারা] উক্তপ্রকাত্ বিবাহ" হত্রে আংদ্দ হইতে ইঠহ্ক, তাহারা উপরোক্ত হিন্দু-াইন পচন কারণ এই প্রক্কার বিবাহ-প্রথ! প্রবর্তিত করিতে অক্ষয় । গবন্প্রকীর গুদতব লাঁমজিক অনি হইতে রক্ষা পাইবার পক্ষে যে শষ আপনমঙ্গত ব1ধ1 মাছে, তাঁত দূত করা ব্যবসথাগক নভার কণ্তহা। এই অলিই দেশাচার-অনবম্ হইলেও, বন্ুতর হিন্দু পক্ষে ইহা ভাত কের কারণ এবং ইঠ] হিন্দু অনুশাসন বিধির প্রকৃত মর্বিরন্ধ | “এই 7 শাহের আইমমঙ্গত বাধা অ্তহিত হওয়া, শ্বধন্ম পলাহণ আগাধান বসংগাক হচিদুত একান্ত অভিশ্রেত ও অহ্ৃমত। বাচার বিধব1-বিবাঁভ শাপ্নুতাতে পা বজিয়! স্থির বিশ্বাল করেন, হাহ বিশেষ বিশেষ বনে (কারণগুলি যদিও ত্রীন্তিপরিপূর্ণ ) এইবাপ বাবা সমাজের মঙ্গলঙ্গনক বলিয়। পোৌষকভা করেন, আইনসঙ্গত বাধ! অন্্রনিত হইলে, উহাদের দণ-ক্কার-বিকন্ধ বলিয়া বিস্ময়ের কারণ হইলেও, কোন একার অনিষ্রের কারণ »ইবে না। “এক্সপ বিন15 শভীবকিক্ুদ্ধ নয় কিংব। অন্য কোন দেশে দেশাচাতে ব আইনে নিষিদ্ধও নয়। ্যাহাতে হিন্দু ব্বিবাদিগের পুনর্ষিবাহ পক্ষে বাধ! ন1 থাকে এব. সেই বিবাহজাত সন্তান-মন্ততি যাহাতে বিধিপম্মত সন্তান-সন্ততি বলিয়| পত্রি- গৃহীত হয়, তাহার জন্য আইন প্রচলন কন্গিবার নঙ্গতিবিষয়ে মহাম্ান্ঠ ব্যবস্থাপক নভ1 আশু বিবেচন1 করুন” ৩৩০৪ বিদ্যাসাগর পরে এততসম্বন্ধে আইনের এক পাতুলিপি প্রস্তত হক়। ১৮৫৫ খ্ষ্টাব্ধের ১৭ই নবেম্বর বা ১২৬২ জালের ২রা অগ্রহায়ণ ব্যবস্থাপক সভার অন্যতম সদন্ত গ্রাণ্ট সাহেব, আইনের থে পাণ্ডুলিপি পেশ করেন, তাহার মর্যান্থুবাদ এই,_ এতন্বার। মকলে অবগত আছেন যে, ইগ্রিথিয়া কোম্পানীব্র শামনাধীলে, তাঁরতের দেওয়ানী আদালতমসযূহে প্রচলিভ আইন-অনমারে, হিন্দু বিধবার, দুই এক হৃলবিশেষ বাতিতেকে, একবার বিবাহ হইয়াছে বলিফা, দ্বিতীয় বার আইননক্গত বিবাহ করিতে পারেন না এবং যদি করেন, তাহা হইলে নেই বিবাহজাঁত নন্তাঁন-লন্ততি বিধিসন্মত সন্তান-সন্ততি মধ্যে পরিগণিত হয় ন1। কিন্তু অধিক'ংশ হিন্দুর বিশ্বাম এই যে, ইহা যদিও দেশাচার-অনুমত, তথাপি শান্্রসম্মত নয়। তাহাদের ইচ্ছা এই যে, বিবেকবৃদ্ধি-প্রবর্তিত হইয়াষদি কোন হিন্দু এইরূপ বিধবাবিবাহ দেল, তাহা হইলে আদালতপ্রচলিভ আইন যেন নে বিবাহে বাধা না দেয় এবং এইবূপ বাধার জন্থ যে নকল হিন্দু কষ্ট পাঁইতেছে, তাহাদের কষ্ট নিবারণ করাই উচিত। হিন্দু বিধবাদিগের পুনর্রিবাহ পক্ষে আইননঙ্গত বাঁধ! রহিত হইলে, হিন্দুদিগের ভিতরে স্থনীতি স্থাপিত হইবে এবং ভাহা* দের অনেক যঙ্গলের কারণ হইবে | মেই জন্য আইন কর] যাইতেছে যে- (১) মৃতভর্ক। হিন্দু কন্া, কিংবা যাহার ব্বাহের সম্বন্ধ হইয়াছে, কিন্ত যেব্দ্ির নঙ্গে সন্বন্ধ হইয়াছিল, তাহার মৃত্যু হওয়াতে বিবাহ হয় নাই, এমন অবস্থায় কোন হিন্দু-কন্তা যদি বিবাহ করেন, তাহা হইলে মেই বিধাহ আইনে অ্বলঙ্গত বলিয়া ধর! হইবে ন1; এধং মেই বিষাহ হইতে যেসভ্তান-লন্ততি হইবে, তাহার! বিধিমন্মত সস্তান-নন্ততি বলির! অস্থীকৃত হইবে ন1। দ্েশাচারপ্রবর্তিত প্রথা এবং হিন্দু-জনুশামধিধি এই অইানবিরূদ্ধ হইলেও, এই আইন নামঞ্জুর হইবে ন|। বিধবাশবিবাছ। ৩৩১ (২) মৃত স্বামীর বিষয়সম্পত্তিতে উত্তরাধিকারগুকরে কিন্বা খোরাক- পোঁধাকশ্থত্রে যে কোন দাবী-দাওয়া, তাহ] দ্বিভীয়বাঁর বিবাহে রদ হইয়! ধাইবে এবং সেই কন্ত। তাহার প্রথম স্বামী পক্ষে মুত খলিয়া! পরি- গৃহীত হইবেন। তাহার মৃত স্বামীর অবর্তমানে যে উত্তরাধিকারী, মেই স্বামীর বিষয়ের অধিকারী হইবে। কিন্ত ইহাওলিয়ম করা যাইতেছে যে,স্বামী ভিন্ন অন্ত উত্তরাধিকারহৃত্রে কোন বিধধার (কাল নম্পন্তিতে থে দাবী-দাওয়া, কিন্বা1 ভ্রী-ধন বলিয়! কোন বিষয় সম্পত্বির উপর থে দাবী দাওয়া, কিম্বা ম্বামীর জীবদ্দশায় কিন্বা তাহার মৃতার পর স্বোপা- র্রিত বলিয্া কোন বিষয়-সম্পতিতে যে দাধী-দাঁওয়| থাকিবে, পুনবিবাহ করিলেও তাহার সেই দাবী-দাঁওয়া অব্যাহত রহিবে। গ্রান্ট মাহে প্সাইনের যে উদ্দেশ্ত ব্যাখ্যা! করেন, তাহার মন্্ানুবাদ্দ এই) ০১৮৫৫, মালের 8ঠ1 অক্টোবর তারিথে ব্যবস্থাপক নভায় কলিকাতা স্থ এবং কলিকাতার নিকটস্থ লক্বান্ত বংশীয় আন্দাজ নতত্র হিন্দু দ্বার! স্বাক্ষরিত এই আবেদন পেশ হয়। আবেদনের উদ্দেগ্ত এই যে, এমন কোন আইন করা হউক, যাহাতে হিন্দু-বিধবার পুনধিবাঁহ আইনলক্গত যে বাঁধা, তাহা বদ হইবে এবং এক্সপ নিয়ম হউক যে, এ বিষাহজাত সন্তান-মন্ততি বিধিসম্মত সন্তান-নন্তত্ি বলিয়] গৃহীত হইবে। আবেদনকীরিগণ বজেন, বছদিন প্রচপ্লিত প্রথা অনুসারে এরূপ বিবাহ দিষিদ্ধ। এই প্রকার দেশাচার কিন্তু নিষ্ঠুরভার পরিচায়ক, অস্বাভাবিক, নীতিবিরুদ্ধ এবং অনিষ্টজনক | তাহাদের বিশ্বান এই মে, এই প্রচজিত "পা প্রকৃত শান্র্সঙ্গত নয়; ম্ৃতরাং এই প্রথ! তাহার! বিবেকবুস্ধিপ্রবর্তিত হইয়া গ'হা করিতে বাধ্য হইতেছেন। কিন্তু আদালতের চলিত আইন অনার ২ বিধবার পুনর্সিধাহ আইলনপত লয় কিনা এইরূপ বিধাহ্‌- ৬৩২ বিদ্যাধাগর | জাভ মন্ভান-সন্ততিগণ বিধিসম্মত নন্তান-নন্ততি বলিয়া! পরিগণিত হয় ম1। একারণ বাবস্থাপক সভানমীপে ভীহাদের প্রার্থনা এই যে, উক্ত মত! পুনঃধিবাহমিবারক বিধি রদ করিয়া তাহাদিগকে এই সক্ষট হইতে উদ্ধার করুন। আইন রদ হইলে, তাহাদের বিরুদ্ব-মভাঁবলশ্বী হিন্দুগণেরও কোন ক্ষতির কারণ হইবে না। ভাহীর। ব্াবস্থাপক শভাকে ইহাও বিশেষ করিয়া জানইতেছেন, যে আইন ভীছাদিগেন্র এই ছুঃখ মোচন করিবে, তাহ! বছুসংখ্যক স্বধন্রত হিন্দুর অন্ুমত ও অভিপ্রেত, তাহার আর সন্দেহ নাই। যাহারা আবেদন করিয়াছেন, হারা এক্ষণে তাহাদের মভাবজন্বী এসং ভবিষ্যতে যাহার তাহাদের মতাবপশ্বী হইবেন, তাহাদের কষ্ট মৌডন করাই, এই আইনের উদ্দেগ্ভ। ইহাতে অন্য কাহারও আনি হইবে ন1। সকলেই অবগত আছেন যে, শতাপাহ প্রথা যখন উঠিয়া গিয়াছে, তখন হিন্দু শাঙ্জানুমারে হিন্দু কন্টারা, বিধব| হইলে, শহগমন করিতে পারেন ন1। ভাহাদিগকে অবশিষ্ট জীবন কষ্টকর বৈধধ্য-যন্ত্রণা ভো? করিতে হয়। ধাহী31 শাঁবেদনকাঁরিগণের মতাবলম্বী, উহার বৈধব্যঘন্ত্রণ। তোগ অপেক্ষ। হিন্দু বিধব1 কন্যার পুনধিবাহ মঙ্লজনক হিতেচনায় ভাহার পোৌষধকত1! করেন। যাহারা তাহাদের বিরুদ্ধ-মতাঁবলশ্বী, তাহার! বিধবার বৈধব্যপ্রথার পক্ষশাতী। প্রচলিত আইন কিন্তু কোল পক্ষই নমর্থন করে না। অবেদনপত্রে যে মমস্ত কথার আলোচন1 হইয়াছে, তাঁহ। যে লতা, তাহার আবার নংশয় নাই। যেনকল হিন্দু বিধবাবিবাহের পক্ষপাতী, উহার! এদেশপ্রচিত মিউনিমিপাঁজ আইনের জন্য তাহাদের ইচ্ছাদণ্গ কর্তব্য কার্ধা করিতে পারেন না। যে হিন্দু বিধবাঁবিধাহ প্রচ ! বিশেষ উৎনাহী, এই মিউনিনিপাঁল আইনের দরুণ ভাহার! পা” '*1 বাধা পান। বিধবা-বিবাহ। ৩৩৩ নাঁধারণত দেখিতে গেলে, এই বিধব1বিবাহ-নিধারক আইন দ্বার স্ূনীতি স্থাপিত এবং জোঁকের কোন সুখ মাধিত হওয়া দূরে থাকুক, ইহ স্বনীতিকে পদাদলিত করিতেছে এবং লোকের ভয়ানক ক্লেশের, হেতু হইয়াছে। একাঁরণ মোটের উপর এই দেখ! যাইতেছে যে, দেওয়ানী কার্ধা-বিধির এই বিধিটী প্রচলিত থাকা, দ্বার কিছুতেই ঘুক্তিযুক্ত নয়। ইহাঁও বল! উচিত যে, অনেকের বিঙ্ছস, যে প্রথ। বিধবাবিবাহের বিরোধী, তাহ] শান্্রানুমোদিত এবং ভাহ| তাহাদের বিশেষ অআস্ধেয়। সুতরাং তাহাদের মতে শ্ুশীতিপরিচায়ক। এরূপ হইলেও যে মিউ- নিনিপাল আইন, মমাজে ছুনধতির অবধভারণ1 করে ও বিশৃঙ্খল! উপস্থিত করে, তাহার কোন সার্থকতা প্রতিপন্ন কর1 যাইতে পারে না। যথম দেখ] যাঁয় ঘে, এই আইন প্রচলিত থাকাতে বিধবাঁঁধিবাহ নিষিদ্ধ বজ্জিয়। ধাহারা। বিশ্ব না করেন, বরং ভাঁবেন, যে সমস্ত লোক উহাকে শান্তর বিরুদ্ধ বরিক্ন। মানে, সে মমস্ত লোক ভ্রান্ত ও শাস্ত্রের যথার্থ মশ্বগহণে অনমর্ণ, তীহাঁদের বিশেপ ীড়ার কারণ হইতেছে, তখন ইভাঁর মার্ঘকতা কোথায়? যদি কোন হিন্দু পিতা শান্্রজ্ঞান, বৃদ্ধি ও বিবেকের অনু- বন্তঁ হইয়া, তাঁহার কন্যাকে আমতা কষ্টতোগ কিন্বা বাভিচার হইতে রক্ষ/ করিতে চাহেন, তাঁভ1 হইলে কোঁন জাইনে যেন তীহাঁকে বাধ ন। দেয়। কোন থুষ্টান কিন্বা মুনলমানকে বিংন্মঁ বলিয়াই জোর করিয়] তাহার কন্'কে চিরজীবনের জন্য ছুঃখের কঠোর ক্রোড়ে অর্পণ করিতে বলাই যে ঘৃশীজনক, তাহ! নছে, যে হিন্দু, শাস্ত্রের এই ভয়ানক ভ্রম-পরিপুর্ণ অপ্রকৃত অর্থ অধিশ্বীস্ত বলিয়] অগ্রাহ করেন, তাহাকেও এরন্ধরপে কন্তাটিকে চিরকাল ছুঃখ ভোগ করিবার জন্য বাধা কর, কিছু কম ঘ্বণার বিষয় নয়। যে বিল এক্ষণে ব্যবস্থাপক সভায় পেশ হইয়াছে, ভাহা মিউনিনিপাল (আইনের দোঁধ সংশোধন করিবে । কিন্তু ইহা আবেদনকারিগণের ও শিরুদ্ধমতাবলশ্বীদিগের কোন অনিষ্টের কারণ হইবে না। বিবাহ দনদ্ধ ৩৩৪ _ বিদ্যাসাগর । শাস্ত্রের কোন্‌ প্রমাণটা যথার্থ, কোনটা যথার্থ কিংব1 এই ছুই বিরুদ্ধ মতের কোনটা অন্থরণ কর! উচিত, ইহাতে ভাহ! প্রতিপন্ন কর! হইতেছে না। ইহাতে এমন কোন বিষয় থাকিবে না, যাহাঁভে ইহ! কোন লোকের মতের বিরুদ্ধাচরণ করে। কিন্তু যদি কোন হিন্দু আপনার মতের পোষকত! করিতে গিয়া! কোন বিভিন্ন মভাবলম্বী বা অপেক্ষাকৃত হৃদয়বান প্রতিবেশিবর্গের ছঃখের কান্সণ হন কিংব1 তাহাদের মধ্যে ব্যভিচার বিষ বপন করেন, তাহা হইলে ইহ1 তাহাই নিবারণ করিবে। ১২৬২ সালের রা অগ্রহায়ণ বা ১৮৫৫ ব্বষ্টান্ের ১৭ই নবেম্বর, পাগুলিপি প্রথম পঠিত হয়। গ্রাণ্ট সাহেব, এই পাুলিপির পক্ষসমর্থনার্থ ষে সব কথা বলিয়াছেন, তাহার অধিকাংশ গুনিলে, প্রকৃত হিন্দ-সম্তানকে কর্ণে হস্তক্ষেপ করিতে হয়। ওয়ার্ড সাহেবের নজীর তুলিয়া গ্রাণ্ট সাহেব বলিয়াছিলেন,_-“]111689 7০91) 100৪) 19100 10))10067) 0 101917য ১ 2118)08 11100 6:091)100) 1099072)9 1):08- (9:৪” ঘর্থা হিন্দু বাল-বিধবার প্রায়ই বেশ্টা হয়। শিব! শিব! এই গ্রাণ্ট সাহেবই বলিয়াছিলেম,_”[])9 8100 [01০ 109 01 131801090108719 ৮88. 20 86092076 00 ৪606819 8081086 2086079১ 200. 1819 ৪1] 0৮161. 8666070%8 $০9 ৪0:06819 209108৮8605 9৪8. 928629] 008000988601” অর্থাৎ ্রহ্ষচর্ধয প্রকৃতির বিরুদ্ধ। এ প্রক্তিবিরদ্ধ-্াচার্ধ্য- পালনে হিন্দু অকৃতকার্য । এই কি প্রকৃত কথা? এই গ্রাণ্ট সাহেবই বলিয়াছিলেন,__“৩। ৪ তিন চারি শত বিধবা-বিবাহ। ূ ৩৫৫ বৎসর পুর্ষে পণ্ডিত রঘুনন্দন আপনার বিধবা কন্তার বিবাহ দিবার উদ্যোগ করিয়াছিলেন। এই রঘুনদদনের ধর্ম-শাস্্র সংগ্রহমতে সমস্ত বঙ্গ পরিচালিত ।” যে এঘুনন্দন বিধবা-বিবাহের বিরুদ্ধ-মুতপোষক বচন উদ্ধার করিয়া, বিধবা-বিবাহের বিধি নিষিদ্ধ বলিয়া সিদ্ধান্ত করিয়া ছেন, তিনি আপন বিধবা কন্যার বিবাহ দিতে উদ্যোগী হুইয়- ছিলেন, গ্রাণ্ট সাহেব এ সব কোথায় পাইলেন, তাহার নির্স নাই। হিন্দ-সমাঁজ অবষ্ঠ এ কথা বিশ্বাস করিবেন না। স্তর জেন্স কল্ভিলও গ্রাণ্ট সাহেবের প্রস্তাবের পোষকতা করেন। ১২৬২ সালের ৭ই মাঘ বা ১৮৫৬ হষ্টান্দের ১১শে জানুয়ারি গাঙুলিপি দ্বিতীপ্পবার পঠিত হয়। এই দ্বিনই পাওুলিপি সিলেট কমিটীর হস্তে অর্পিত হয়।* ১২৬২ সালের ৫ই চৈত্র বা ১৮৫৬ খৃষ্টাবের ১৭ই মার্চ আই?নর বিরুদ্ধে রাজা রাধাকান্ত দেব প্রমুখ ছত্রিশ হাজার সাত শত তেষট জন লোকের স্বাক্ষরিত এক আবেদন-পত্র পেশ হয়। ইহার পর আইনের বিরুদ্ধে নদীয়া, ত্রিবেধী, ভাটপাড়া, বাশবেড়িয়া, ক্সিকাত1 এবং অন্তান্ত স্বানের বহু পঞ্ডিতমণ্ডলীর * স্যব জেমস্‌ কল্তিল্‌, মিঃ ইলিয়ট, মিঃ নি, জেইট এবং মিঃ গ্রান্ট 'নিলেক্ট কমিটার নত্য ছিলেন। ৩৩৬ বিদ্যাসাগর | স্বাক্ষরিত আবেদনপত্র পেশ হয়। ইহারা সকলই বলিয়া ছিলেন, বিধবা-বিবাহ শান্ত্রসঙ্গত নছে। ১২৬৩ সালের ১৯শে জ্যেষ্ঠ বা ৮৫৬ বষ্টাবের *১শে মে সিলেক্ট কমিটা রিপোর্ট দাখিল করেন। ১২৬৩ সালের ৫ই শ্রবণ বা ১৮৫৬ রষ্টাব্ধের ১৯শে জুলাই পাণুলিপি তৃতীয়বার পঠিত হয়। ১২৬৩ সালের ১২ই শ্রাবণ বা ১৮৫৬ হষ্টাবের ২৬শে জুলাই আইন পাশ হইয়া যায়। এই আইনের বিকুদ্ধে, ৫০1 ৬০ সহত্র ব্যক্তির স্বাক্ষরিত ৪০ খনির উপরও আবে্দন-পত্র পেশ হইয়াছিল। ইহার পক্ষে হইয়ঠছিল, ৫ সহ লোকের স্বাক্ষরিত ২৫ খানি আবে" দন পত্র । তবুও আইন পাশ হইল। না হইবে কেন, ভারচ্ছের ভাগ্য- বিধাতা বিধানকর্তী রাজপুরুষেরা সিদ্ধান্ত করিয়াছিলেন, কেবল সিদ্ধান্ত কেন, স্পষ্টই বলিয়াছিলেন,__“হিন্দু-বৈধব্য বড়ই নিষ্ঠুর কাণ্ড; ইহা! প্রকৃতির বিরুদ্ধ; এ নি্টুর কাণ্ড নিবারণের জন্য বিধবা-বিবাহের প্রয়োজন; পুপিবাহে বিধবা যাহাতে আইনসম্মত অধিকার হইতে বঞ্চিত না হয়, তাহার জন্ত আইন কর প্রয়োজন; সেই প্রয়োজনবশতঃ এই আইন হইল; এ আইনের জন্ত যেসকল লোক আবেদন করিয়াছেন, তাহারা গণ্য, মান্ত ও বুদ্ধিমান ।” * * এই আইন-লন্বন্ধে যে বাদাহ্থধাদ হইয়াছিল, তাঁহার মর্খপ্রকাশ করিতে গেলেও, একথানি ম্বতগ্ত্র পুস্তক হয়। এই জন্য পাঠকবর্গকে বিধবা-বিবাহ। 9৭ বিধান-ব্ধাতাদের কলমের আচড়ে ৫০ হাজার মান্তগণ্য হিন্দুর আবেদন উপেক্ষিত হইল । ইংরেজ-রাঁজ শ্বদেশে সংখ্যা- নুপাতে সকল কান করিয়া থাকেন; পরাধীন পরদেশবাসী হিন্দু প্রজার পক্ষে স্বতন্ত্র ব্যবস্থা করিলেন। আত্ম-সন্ত্রম রক্ষার জন্য, দেশের ৫০ | ৬০ হাজার ছিনুর কথা, নগণ্য বলিষু! উপে- ক্ষিত হইল! দন্ত কলভিল্‌ স্পষ্টতঃ বলিয়াছিলেন;_-ণএ আইনে ফল হইবে, আমার এই ধারণা; যদি না হয়, তাহ! হইলে ইৎরেজ নামের জন্য এই আইন পাঁশ করা উচিত।” * ইহার উপর আর কথা কি? যুক্তি সকল সময়ই এইরূপ । "সতীদাহের আইনে ষে যুক্তি, বিধবাঁবিবাহের আইনে দেই যুক্তি, আবার সহবাস-মম্মতি আইনের সেই যুক্তি বিধবা-বিবাহের আইনে ৫০ । ৬০ হাজার হিন্দু অগণ্য হইয়া- ছিল) সহবাঁস-ফণ্মতি আইনে কোটি কোটি হিন্দু অগণ্য হইরাছে। বিদেশী বিধন্বী রাজ যাহাকে কর্তব্য ভাবিয়াছেন, তাহাই সাধন করিয়াছেন। দুরদৃষ্ট হিন্দুর। হিন্দু-সন্ভানেরাই । আপন পায়ে আপনি কুঠারাধাত করিয়াছে। পণ্ডিত নারায়ণকেশব নৈদয সক্ষলিত 4 00]16010). ০01817)0 ()8 )৮096৭1055 1001) 150. 0 (189 1088517060৫ 4১০৮ এডি, ০৫ 18১০” পড়িতে অনুরোধ করি। 4২ 00115061070 00081771710 38 77003801085 110 19৫ 6০ 089 7855:0€ ০৫ &৩৮ সুদ ০£1856. ২০ ৩৩৬ বিদ্যাল'গর। আইন যাহ! হইয়াছিল, তাহার অনুবাদ এই, উপক্রমণিক1। যেহেতু ইষ্ট ইতিয়। কোম্পানির অধিকৃত এবং শাসনাধীন দেশসমূহের দেওয়ানি আদালতে প্রচলিত আইন অনুসারে সাধারণতঃ হিন্দু বিধবাগণ একবার বিবাহ করিয়াছে বলিয়] পুনর্বার বিবাহ করিতে অক্ষম এবং এই সকল বিধবাব্ন পুনর্বিবাহলব্ধ সন্তান জারজ ও পৈত্রিকসম্পপ্ডির অলধিকারী বলিয়। পরিগণিত হয়; এবং যেহেতু অনেকাঁনেক হিন্দু বিশ্বাস করেন যে, চিরাগত আচাঁবলশ্মত হইলেও এই কক্মিত বৈধ প্রতিবন্ধকত1 তাহাদের ধর্মশানত্রের বিরুদ্ধ এবং নিজ ধারণার অনুকূল ভিমাচার অবলম্বনে ইচ্চুক ব্যক্তিগণ তবিধাতে আর ধশ্মাধিকরণের দেওয়ানি আইন কর্তৃক ; কোনরূপ বাধা না পান, ইহাই ভাহাদিগের ইচ্ছা এবং যেহেতু উক্ত : হিন্দুগণকে তাহাপিগের আপত্তি অনুমারে আইনের এই প্রতিবন্ধকতা : হইতে উদ্ধার করা স্ায়ানুমোদিত এবং হিন্দুবিধবার বিবাহে লমস্ত বাঁধ] নিরাকীত করিলে সুনীতির বিস্তার ও জননাধারণের হিতানৃষ্ঠীন হইবে, আইন নিম্বলিখিতক্লপে বিধিবদ্ধ কঃ? যাইতেছে +-- হিন্দু বিধবার বিবাহ বৈধকরণ। ১। কোননধপ বিরুদ্ধ আচার এবং হিন্দু-লিয়ের' কোনরূপ বিরুদ্ধ মর্শ থাঁকিলেও যে বিবাহক্কালে স্ত্রীর পূর্বাকৃত বিবাহের পতি কিংব] পুর্ঝ নির্ধীবিত বিবাহের বর পরলোক-গত, হিন্দুপিগের মধ্যে নম্পারিভ সেইরূপ কোন বিধাহ অবৈধ হইবে না এবং সেইক্প কোন বিবাহে সন্তান জারজ হইবে ম। | পুনর্ষিবাহে পূর্বপতির লম্পত্তিতে বিধবার স্বত্বাধিকার লোপ । ২। ভরণ-পোধণশ্ত্রে, পতি কিম্বা তাহার কোন উত্তরাধিকারীর উত্বরাথিকারহ্ত্রে কিংবা কোন উইল অথব1 লিধিত বন্দোবস্ত দ্বারা | আছি 'বধব] বিবাহ। ৩৩৯ গুনধ্বিবাছের প্রকাশিত অনুজ্ঞা বতীভ পতির সম্পন্তিতে হস্তান্তর- ক্ষমতাঁবিবর্জিত কেবল মীমাবন্ধ অধিকার প্রাপ্ডিস্থত্রে পরলোকগভ পতিন সম্পত্তিতে বিধব! ঘে কোন অধিকার বা স্বত্ব পাইবে, তাহা! বিধবার পরলোকপ্রাপ্তির পর যেক্পপ নষ্ট হয়, পুনর্বার বিধাহ করিলেও মেইবূপ নষ্ট হইবে; এবং তাঁহার মৃত পতির তৎপর-ওয়ারিসান্‌ কিংবা ভাতার সার পর যে কোন বাক্তির উক্ত সম্পত্তিতে অধিকারী হওয়া বিখেয়, সেই অধিকারী হইবে। বিধবার পুনর্বিবাহে মৃত পতিৰ নম্তনপিগের অভিভাবকতা।। ৩। মৃত পতির উইল বা! লিখিত বন্দোবস্ত দ্বারা যদি তাহার বিধব1 স্ত্রী থব! অন্য কোন ব্যক্তি তাহার (মৃত গতির) সন্তানদিগের অভিভাবক নিযুক্ত না হইয়া থাকে, তাহা! হইলে হিন্দু বিধবার পুনর্বিবাহের প্র মৃত পতির পিত1 কিংব1 পিতামহ, অথব] মাতা কিংব1 পিভামহী অথব! স্ব পতির কোন আত্মীয় পুক্রষ মৃত পতির মৃত্যুকালীৰ্‌ আইননক্গত বানস্থানের আদিম বিভামশম্পন্ন উচ্চতম দেওয়ানি আদালতে উদ্ভ শন্তানদিগের শ্ঘাষা অভিভাবক নিযুক্ত করিবার জন্য দরখাস্ত করিতে পারেন) এন্পঙ্থলে উক্ত আদালতের বিবেচনানুনারে উক্ত প্রকারের অভিভাবক নিযুক্ত কর! আইননঙ্গত হইবে) জার উক্ত অভিভাবক নিযুক্ত হইলে উক্ত নন্তানদিগের অথবা তাহাঁদিগেন্ মধ্যে কোনটির নাবালক থাক পর্য্যন্ত ভাঁহাদের মাভার পরিবর্তে রক্ষণাবেক্ষণের অধিকারী হইবে । অভিভাবাক নিমুক্তিকল্পে এস্থলে আদালত পিতৃমাতৃহীন বালক [ালিকাদিগের রক্ষণাবেক্ষণের জন্ব প্রচলিত আইন অনুনারে চালিত হইবেন । কিন্তু উক্ত নন্তানদিগের নাবালককাল পর্যান্ত ভরণপোঁষধণ এবং 1য্য শিক্ষার উপধোগী সম্পত্তি না থাকিলে মাতার অমৃমতি ভিন্ন উক্ত কারের অভিভাবক নিযুক্ত হইবে ন। ভবে পভ্ভানদিগের লাধালকত্ব ৩৪” বিদ্যালাগর । কাল পর্যান্ত ভনবণপোষণ এবং ম্যাধ্য শিক্ষা! নির্বাহ করিবার প্রথা প্রস্তাবিত শ্রভিভাবক কতৃক প্রপত্ত হইলে অভিভাবক নিযুক্ত হইবে | এই আইনেত্র কোন মর্খবান্বলারে নিঃসন্তান বিধবা উত্তরাধিকার স্ত্রে মম্পর্ভিত অধিকারিশী হইবে না। ৪1 এই আইন (বিধিবদ্ধ হইবার পূর্বে কোন বাক্তি সম্পত্তি রাখিয়? পরলোক গমন কৰিলে কোন নিঃমন্তান বিধব] উক্ত মম্পপ্তির অনধিকাতরিণী যলিক্না ষেন্ধপ পরিগণিত হইত, এই আইনের কোনও মন্মান্বনারে উত্ত বাক্তি সম্পর্থি বাখিয়] পরলোক গমন করিলে, উত্ত নিঃসন্তান বিধব1 উক্ত মস্পর্ডিত অধিকারিণী বলির! পরিগণিত হইবে ন1। পুর্ন তিনটি ধারার (২, ৩ এবং 8) নির্ধীপ্িত বিধয় ভিন্ন পুনর্বিবাহ- কারিণী ব্ধিবার অন্য স্বত্ব রক্ষা। ৫। পুর্ব তিনটি ধারার শির্ধাতিত বিষয় ভিন্ন অন্য কেন দশ্পন্তি ব1ন্বত্ত্বে কোল বিধবার অধিকারিণী হওয়! বিধেয় হইলে, দে পুলর্থিবাহ হেতু ভাহা হইতে বঞ্চিত হইবে না, এবং পুনপ্রিবাহকারিণী বিধব! প্রথম পরিণীতার স্থায় উদ্ধরাধিকার ম্বত্বের অধিক'ধিণী হইবে) বর্তমান আইনসঙ্গত বিবাছে যে সমন্ত ক্রিয়া প্রবোজ্য ভাহ। বিধব1- বিবাহে প্রদুক্ত হইলে লেইন্সুপ কাঁর্ধাকারিণী হইবে। ৬। অপুর্ব-পরিণীভ1 হিন্দু'স্্ীব বিবাতে যে লমস্ত মন্ত্র উচ্চারিত ক্রিয়া কলাপ আচরিভ কিংযা নিয়ম প্রতিজ্ঞীত হয়, কিংবা? যে লমস্থু ব্যবহার আশইনসঙ্গত বিবাহের জন্ঘ যথেষ্ট বলিয়া পরিগণিত হয়, হিন্দু বিধষার বিবাহে সেই লমস্ত উচ্চারিত, আচরিত কিংবা প্রতিজ্ঞাত হইলে ফলও তদ্রশ হইবে; এবং এ সমস্ত মন্ত্র ক্রিয়াকলাপ কিংবা নিয়ম বিধবার লন্বদ্ধে প্রযোজ্য নহে, এইরূপ আপত্তিতে কোন বিবাহ আইন বিরুদ্ধ বলিয়! পরিগণিত হইতে ন1। বিধবা-বিবাহ। ৩৪১ অগ্রাপ্তবয়দ্ধ! বিধবার পুনর্ধিবাহে অন্থমতি। শুনর্বিধাহোদাত। বিধব! অগ্রাপ্তবয়ক্ষা অক্ষতযোনি হইলে, পিতার, পিতার অবর্তমানে পিতামহের পিতামহের অবর্তমানে, মাতার, ইহাদিগের বন্ধমানে জোন নহোদরের কিন্বা জ্োষ্ঠ ঘহোদরেরও অবর্তমানে তৎপর নিকট আয় পুরুষের অনুমতিতে পুনর্বিবাহ করিবে। এই ধারা-বিরুদ্ধ বিবাহে সহকারিতার দণ্ড। যে মস্ত বাক্তি এই ধারার মর্শবিরুদ্ধ বিবাহে জ্ঞাতলারে নহকারিত! করিবে, তাহার। এক বংমরের অনতিব্িক্ত কাল কারাবাস, কিংবা! জরিমান! কি্ব! উভয় দণ্ডে দ্খনীয় হইবে । এইনূপ বিবাঁহের পরিণাম । এবং এই ধারার মাএ ব্ধাহ আদলত কর্ীক অধ বলিস! এস্থীকৃত হইতে সী্ে। রি ধারার মন্মবিরদ্ধ বিবাহে কোনকূশ আপত্তি উথ্1শিভ হইলে ধনিয়া ধরিয়া! লওয়া হইবে । এবং প্ররনগ দিনের প্র তি £ইয়| গেলে আর ভাহা অবৈধ বলিয়? অগ্রাহা হইবে না প্রাপ্তবয়ক! বিধবার পুনক্িব'হে সম্মতি । পরাপ্তবয়ন্ষা ক্ষতঘোনি বিধবার পক্ষে ছাঁহার আজমন্দতিমাত্র পুনর্বিবাহ জআবইনমঙ্গত এবং গ্রা্হ বপিয়|! স্বীকার করিবার জঙ্ত যথেষ্ট হইবে। গবর্ণমেন্টকে সামাজিক ব্যপারে হস্তক্ষেপ করিতে দেখি! হিন্দুমাত্রেই মর্মাহত হইফ়াছিল। সেই সময় প্রভাকর সম্পা- ক মন্াহত হইয়া, যে কবিতাঁটী রচন! করিয়াছিলেন, তাহ এইথানে প্রকাশ করিলাম; রি ৪২ বিদ্যাসাগর “হিন্দু-বিধধার বিয়া, আছে অপ্রচাঁর | বন্তকাল হতে যাঁর, মাহি ব্যবহার ॥ নে বিষয়ে ক্ষতাক্ষত, ন। করি বিশেষ । করিলেন একেব!রে, নিয়ম নির্দেশ & শত শত প্রজা তায়, ব্যথা পায় প্রাণে । তাঁদের আর্দাশ লাহি, শুনিলেন কাণে ॥ গ্রাষ্ট করি, গ্রান্টের সকল অভিলাষ । কালবিল, কাল বিলি করিলেন পাল ॥ না) হইতে শা মতে, বি বেত শেষ । বণ করি কারলেন, অইন এদেশ ॥ যাহাদের শু এই, আত লেশাউশুত্র | পরস্পর ভারা আমারে, বুক বিলার । বিশ্বিকি অবিধি তর], ঘত্তেে বুঝিবে | যা হয় উচিত, ত।ই শেতেতে কাবে ॥ করিছে আমার ধশ্ম, আমাতিড নির্ভর ॥ রাজা! হয়ে পরধশ্মে কেন দেন কর? আগে ভাগে বাজাদেশ, কদিতে প্রচার | এত কেন মাখাব্যথ।, হইল রাজার? ষপ্যপি বিধান হয়, বিধবার বিম্লে। আপনার। করুক, আশন দল নিক্পে॥ বুক্তি আর বিচাব্রেতে, যে হয় বিহিত। দেশেতে চলিত কর], তাহাভে। উচিত ॥ অনিয়মে করি একি, নিমের ছল । ভূপতি তাহাতে কেন, প্রকীতণেন বল? বিধবা-বিবাহ। কোলে কাকে ছেলে ঝোলে, যে সকল রাড়ী। তাহারা সধব1 হবে, প”রে শাক শাড়ী ॥ এ বড় হানলির কথা, শুনে লাগে ডর। কেমন কেমন করে, মনের ভিতর ॥ শাস্ত্র নয়, যুক্তি না, হবে কি প্রকারে? দেশাভারে, ব্যবহারে, বাথে। বাধে করে ॥ যুক্তি বোলে বিচার, করুন শত শত । কোন মতে হইবেন, শাকের সম্মত ॥ বিবাহ করিয়! তার, পুনর্ভবা হবে । সতা বলে অন্বোধন, কিনে করি তবে? বিধবার গভজাত, যে হয় মন্তান। “বৈধ” বোলে কিলে তাত, কঙ্জিবে গ্রমাশ ? যে বিষয় আবীব।দী সম্মত নাহয়। সে ব্সয় িন্ধ করা, শক্ত অতিশর ॥ কলে আর ছলে বলে, যত পার কর। ফলে মে কিছুই নয়, মিছে বকে মর ॥ শ্ীমান্থ ধীমান, নীতি-নিশ্নীণ কাতুক। বারা সবে হতে চাঁম, বিধবাতাীরক । নত ভাবে নিবেদন, প্রতি জনে জনে । আইন বৃক্ষের ফল, ফলিবে ফেমনে ? বিধবার বিয়ে দিতে, যাহার উদ্যত। তার মাঝে বড বড়, লোক আছে যত ॥ যারে ইচ্ছা? তারে হক্স ডাঁকিয়। আনিয়া । ঘরেতে বিধবা কত, পরিচয় নিয় ॥ ৬৪৩ ৪8 ধিদ্যাস[গর গোপনেতে এই কথা, ষলিবেন ভাবে । জননীর বিয়ে দিতে, পারে কিন! পারে ? ঘদি পারে, ভবে তারে, বলি বাহাছুত্ন। এখনি করিলে সব, ছঃখ হয় দুর ॥ সহজে ঘদ্যপি হয়, এন্সপ ব্যাপার । করিতে হযে ন1 তবে, আইন প্রচার ॥ যদ্দি কেহ নাহি পারে, মাহন ধরিয়। হিফল কি ফল তবে, আইন করিয়া? পরস্পর আড়খ্বর, মুখে কত কয়। কেহ আর মাঁথ1 তুলে অগ্রসর নয় ॥ গোলে-মাঁলে হরিবোল, শশুণঘোল মার। নাহি হয় ফলোদয়, মিছে হাহাকার । বাক্যের অভাব নাই, বদন ভাগারে। মত আনে তত বলে, কে দৃষিবে কারে? সাহস কোথায় খল, প্রাতজ্ঞা কোথায়? কিছুই ন1 হতে পারে, মুখের কথায় ॥ মিছ1মিছি অনু্1লে, মিছে কাল হনব! মুখে বল1, বল] নয়, কাজে কর1 কর! ॥ সকলেই তুড়ি মারে, বুঝে নাকে) কেউ । মম] ছেড়ে নাহি খালে, লাগরের ঢেউ ॥ নাগর যদ্যপি করে, লীসার লঙ্ঘন । তধে বুঝি হতে পারে, বিবাহ ঘটন ॥ মচেও ন1 দেখি কোন, মন্ভাবনা আর । অকারণে হই হই, উপহান সার ॥ বিধবা-বিবাহ। ৩৪॥ কেহ কিছু নাহি করে, আপনার ঘরে । যাবে যাবে, যায় শক্র, যাক পরে পরে॥ তখন এরূপ কবে, হ'লে ব্যতিক্রম “ফাটায় পড়েছে কলা, গোবিন্দায় নম ॥% রাজার কর্তব্য কথা, করিতে বর্ণন। এন্ধপ লিখিয়! আর, নাহি প্রয়োজন ॥ এইমাত্র শেষ কথা, কহিব নিশ্চয় । এ বিষয়ে বিধি দেওয়া, রাঁজধশ্ম নয় ॥ মরুক মরুক বাদ, প্রজায় প্রজাঁয়। কোন্‌ কালে রাজার কিহানিআছেতায়?* কবিভামংগ্রহ, দ্বিতীয় ভাগ, ৮--৮৫ পৃঠা1। আইন পাশ হউক, বিধবা-বিবাহ হিন্দু-সমাজ-সন্মত নহে । আইন পাশ হইবার পর ৬*। ৭০টা মাত্র বিধবা-বিবাহ হই- যাছে। এরূপ বিকহে লিপ বা'ভর গতি হিন্দুর সহানুভূতি নাই। বিধবার বিবাহ শংস্সঙগত বলিয়! হিন্দু সমাজে স্বীকৃত হ্য় নাই। &518110 (9097৮113815 নামক পত্রিকায় 0৮110 দ্দ?00ম্ম নামক প্রবন্ধলেখক এই কথ লিখিয়াছেন,_ “6 883 21০৮0 ৪, 4৬৪৫ 15167, ০6 001 0058 1% 91] ১০ 8১০০৪ 0 ৪, %7100% 1)58 0151] 1181)08 6০ 1)700911 100১91650. 0:010) 0067 11050900১05 5 088৪ 25০৮ 10 01৩ * নিধবা-বিবাহের আন্দোলন কালে বাঙ্গাল! ভাষায় কিবূপ হ্বস্থ। ছিল, এই শব পদ্যও তাহার কতক পিচায়ক। ৬৪১ বিদ্যাসাগর । 19950 ৫5899 001616860, 119 £61121008 81310116109 আ্ম1011 1310) 0:01)0005 101001)8 766%10. ৪০0) 1020911006৯ বিধবা-বিবাহের আইন পাশ হইল) কিন্ত আইনে বিধবার পুনবিবাহে, মৃত স্বামীর বিষগ্নাধিকার রহিল ন1। তান! থাকুক, বিধবা-বিবাহের পক্ষপাতীরা বিধবাবিধাহ প্রচলন পক্ষে এই আইনটাকে একী মহদা শ্রয়ন্পে অবলম্বন করিলেন। আইন পাশ হইবার পর, ১৮৫৬ ব্ষ্টান্দের ই ডিসেম্বর বা ১২৬৩ সালের ২৩শে অগ্রহায়ণ, বিদ্যাসাগর মহাশয়ের যত্বে ও উদ্যোগে, শ্রীনুক্ত রাঁজকষ্ বন্দ্যোপাধ্য।ণের সকিয়া গ্রীটস্থ ভবনে, প্র্পিদ্ধ কথক ৬রামধন তর্কবাগীশের কনিষ্ঠ পুত্র শ্রীশচন্র বিদ্যারত্ব বিধবাবিবাহ করেন।1 এই বিধবা-বিবাহ সন্বন্ধে তংকালে সংবাদ প্রভাকরে যে বিবৃত বিবরণ প্রকটিত হইয়া- ছিল, তাহাই এইখানে প্রকাশিত হইল,__ 'গত ২৩ অগ্রহায়ণ রবিবার বিধবার বিবাহপক্ষ বাক্তিব্যুহের বিশেষ স্ররণীয় হইবেক, প্রতি বংসর তাহারা এ দিবস পর্বাহ দিবদের ঠায় বিবে- চন] করিয়া! আমোদপ্রমোদ করিলেও করিতে পারেন, যেহেতু উক্ত দিবা- ৯1018 ত011091) 01 ]00017, 0১,197, 1 ১৫ই অগ্রহায়ণ বিবাহের কথা ছিল। কিন্ত প্শচ্র শ্যায়রত্ব মাতৃ- প্রতিবন্ধকের ছল ধরিয়|, বিধব1-বিবাহ করিতৈ অনম্মত হন। এই কখ! লইয়া, ভ্তংকালে ২৭শে নবেম্বর তারিখের ইংলিশম্যান ন্দ্রিপ করেন। ইহার পর প্রীশচম্্ পুনরায় বিবাহ করিতে সম্মত হম। শ্রীশচঙ্জের যে দিন বিধাহ হয়, সে দিন মবন্বীপাধিপতি রাজ! প্রশচন্্র লোকান্তরিত হন। সংবাদ প্রতাকর। ব্ধবা-বিবাহ। ৩৪২ মামিলীযোগে ভাহারা বিবিধ প্রকার প্রতিবন্ধকত] প্রতিসংভাবপূর্ধবক আপনাঁদিগের দলঙ্থ আীধুক্ত শ্রীশচন্্র ম্া়রতের দহিত লক্ষমীমণি নামী কোন অবীরার বিধবা-কন্ঘার উদ্বীহ কার্য নির্বাহ করিয়াছেন, এ বিবাহের কন্তাধাত্রিপ্রিগের নিকটে উক্ত অবাঁ81 যে রক্তাঁকার পত্র প্রেরণ করেন ভাঁধা এই 7 “আশ ্রহরিঃ| শরণং। শ্রীলম্মীমণি দেব্যাঃ__ নবিনয়ং নিবেদনমৃ। হ৩ অগ্রহায়ণ রবিবার আমার বিধবা কন্যার শুভ বিবাহ হইবেক মহাশয়ের] অনৃগ্রহপুর্ধাক কলিকাতার জন্তঃপাতী সিমুলিরার সকেনষ্ট্রাটের ১২ নংখ্াক ভবনে শুভাগমন করিয়া শুভকন্ম নম্পন্ন কর্সিবেন, পত্র দ্বার! নিমন্ত্রণ করিলীম। ইতি তারিখ ২১ অগ্রহায়ণ, শকান্দাঃ ১৭৭৮।৮ জগবৎকাঁলীর দ্বিতীয়োদ্বাহের এই রক্তময় পত্র প্রাপ্ত হইয়! বাঁবু নীল- কমল বন্দ্যোপাধ্যায়, বাবু রামগোপাল ঘোষ, বাবু রমাপ্রপাদ রায়, বাবু দিগশৰ মিত্র, বাবু পাারিঠাদ মিত্র, বাবু নুলিংহচ্জ বু, বাবু কালীপ্রমন্ন নিংহ, ভাক্কর মন্পাদক, প্রভৃভি অনেক লোক উপস্থিত হইয়াছিলেন বটে কিন্তু ভাহার মধ্যে বিদ্যালয়ের বালক ও কৌতুকদর্শি লোক সংখ্য!ই অধিক বলিতে হইবেক, রঙ্ষতংপর লোক-সমারোহে রাজপথ আচ্ছন্ন হইক্সাছিল, শারজন মাহেষের| পাহারওয়াল| লইয়া জনত1 নিবারণ করেন, রাত্রি অনুমান ১১ ঘটিকাঁকাঁলে বর বাহাছুর শকটারোহণে সমাগত হইয়! সভাস্থ হইলে সকলে নমাদরপূর্বক তাহাকে গ্রহণ করেন, ছুই এক টাক1 বিদায় পাইবার প্রত্যাশা পন্ন হইয়। প্রায় শতাধিক লোক জাল বনাতাৰ্ৃত ভট্টাচার্য্য ও রামগতি প্রভৃতি কয়েকজন ঘটক ও পণুভাট প্রভৃতি কয়েকজন ভাট ৩৮ বিদ্যামাগর । উপস্থিত থাকিয়| গোল করিয়া হাট বলাইয়াছিল, অনুষ্ঠানের কিছুমাত্র বৈলক্ষণ্য হয় নাই। | বিব!হ সময়ে বরবাহাছুত আননোপবিষ্ট হইলে উভয় পক্ষের পুরেখ- ' ছিতের। বিবাহমন্ত্র পাঠ করেন, ভাহার কিছুই রূপান্তর করেন নাই, লক্ষ্ীমণি কন্ঠাদান করেন, দান নামগ্রী অলঙ্কার লকলই ছিল, পরে বর স্ী-ছাচারস্থলে গ্রমনকালে এদেশের প্রচলিত প্রথাশ্বলারে "দ্বারষ্ী ঝঁটাকে” প্রণাম করেন, ও জ্ত্ী-াচারস্থলে উলুঃ উলুধ্বনি, নাকমলা, কাঁন- মল ও “কড়ি দে কিনলেমু, দড়ি দে বাদলেম্, হাতে দিলামূ মাকু একবার ত্য! করত বাঁপু।৮ রম্ণীগণের একান্ত প্রার্থনায় বর বাহাছুর ভ্যাও করিয়াছলেন। এইরূপে উদ্বাহ নির্বাহ হইলে আহারের ধুম পড়িয়। যায়, প্রায় ছক শত লোক রঙ্গ দেখিয়া! মোগ1 তাঙ্গিয়া গোল করিয়। ঢোল পিটিয়! পাড়া ভোলপাড় করিয়া বিদায় গ্রহণ করেন, বাসর ঘরের ব্যাপার আমর! কিছুই জানিতে পারি নাই, যাহা হউক এই বিবাহে রাজকৃষণ বন্দো1- পাধ্যায়ের গৃহ পবিত্র হইয়াছে, অঙ্গনাগণও বিল্ক্ষণ আমোদ প্রমোদ করিয়াছে, দম্পতির উভয় কুল পরিশুদ্ধ হইল, “যেমন হাড়ি তেমুনি মরণ” মিলিল, বিদ্যালাগর মহাশয় ও তদনুলঙ্গে বিধবার বিধাহ রঙ্গিগণের ভাবতপি দে থর! অনেকেই ভাহাদিগের সাধুবাদ, করিয়াছেন। পাঠকগণ! আমর! পূর্বেই লিথিয়াছি এবং এইক্ষণেও লিধিতেছি যে হিন্দু বিধবার এই প্রথম বিবাহ কোন ক্রমেই সর্ঝাঙ্গসুন্দ্রূপে বাচ্য হইতে পারে নাঁ, যেহেতু বিবাহস্থলে দম্পতির পরিবার ব1 জ্ঞাতি কুটুন্ব কেহই উপস্থিত হয় নাই, এবং কল্তার খুড়া কিন্ব1 ভ্রাত1 ইত্যাদি কেহই ভাহাকে পাত্রস্থ করেন নাং, তীহার জননী চক্রাকার ্ূপচাদের মোহন মন্ত্রে মুসা হইয়া তাহাকে অন্প্রদান করিয়াছেন, বর-পাত্রও কেবলমান্র . ঝাঁজদারে প্রিয়পাত্র হইবার প্রত্যাশায় এতদ্রপে জ্রিকুল পবিত্র করিতেন, বিধবা-বিবাহ। ৩৪৯ পরিশেষে কি হয় তাহ! অনির্বচীয়, যাহা হউক তিনি প্রথমতঃ সাহপিক- রূপে বুক বীঁন্ধিয়া এতদ্বিষন্নে প্রবৃত্ত হওয়াতে বিধবার বিবাহ পক্ষগণ অবশ্ঠু তাহাকে নাধুবাদ প্রদান করিবেন। ৬ সঃ রঙ রা লং “অপিচ এই নৃতন বিবাহের কথ! অধুন! মর্ধত্রই বাহল্যন্রপে আন্দোলন হইতেছে, এবং কত লোকে কত প্রকার আকাশভেদি কথার উতাঁপন করিতেছেন তাহার নংখ্য! হন না, কেহ বলিতেছেন যে মাহ্যবর মে'- হলিডে সাহেব বিধাহনমাজে লমাগত হইয়] দম্পতিকে মুল্যবান অন্ুবী যৌতুক দিয়াছেন, কেহ বা কৌতুকতৎপর হইয়! বলিতেছেন ঘষে কোঁন্সেলের বিজ্ঞধর ষেন্বর মেং গ্রা্ট প্রভৃতি কয়েকজন ইংরজ নভাস্থ হইয়াছেন, লর্ড কেনিং বাহাছরের আনিবার কথ! ছিল কেবল কার্ধ্য- প্রতিবন্ধকত1 জন্য তিনি আগমন করিতে পারেন নাই, এইরূপ বাজার গল্প বিস্তর, কিন্তু ইহার একটা কথাও সভ্য নহে, বিদ্যাসাগর মহাশয় ও ভাহার মঙ্গিপণ অতি স্ববিবেচনা পূর্বক হিন্দু-বিধধার এই প্রথম বিবাহে সাহেব নিমন্ত্রণ করেন লাই, কারণ নাহেবের1 আগমন করিলেই নাধারণে শ্রীশচন্দ্রের এই বিবাহকে সাহেষ বিবাহ বলিবেন, অধ্যাপকদিগকফে আহবান করিয়া কাহাকে দুই টাক] কাহাকেও ব1 চারি টাকখবিদায় দিয়াছেন, এবং পুস্তকে ভাহাদিগের নাম স্বাক্ষর করাইয়1 লইয়াছেন, আর পূর্বে এক পত্র প্রেরণ করিয়াছিলেন যে স্ায়রতু মহাশয়ের এই নূতন প্রকার বিবাহের লিমন্ত্রণে আগমনপুর্বক যংহার! উৎমাহ প্রদানের ইচ্ছ। করেন তাহারা তাহাতে ম্বাক্ষর করিবেন এই প্রস্তাবে নন্মত হইয়! বাহার! স্বাক্ষর করিয়াছিলেন ভাহাদিগের নিকটে নিমন্ত্রণ পত্র প্রেরিত হইয়াছিল, অতএব আমর1 বোধ করি যে এই বিবাহ বিবরণ যখন নর্ধ নাধারণের গোচরার্ব প্রকাশ হইযেক ভখন নতান্থ ব্রাহ্মণ পতিত ও অপরাপর ব্যক্তি- দিগের নাম প্রকাশ হইবার সম্পূর্ণ নন্জাবন! আছে। * ক ৩৬ পোপ ৩ ৩ ঢিদ্য'নগর। “নিলাম উক্ত ৈধব্যদশাবিগ্গত। মধবাদশাপ্রাপ্তা রমণীর বয়ংক্রম ১৫১৬ বংসর হইযেক।৮ সেই অমস্ন শ্রীগোপীমোহন মিত্র এই স্বাক্ষর করিয়া এক ব্যক্তি এতত্মন্বন্ধে স্বাদ প্রভাকরে যে পত্র লিখিয়াছিলেন, তাহারও কয়েকটা কথ! পাঠকগণের অবশ্ত-মনোযোগ্য বলিয়া উদ্ধৃত হইল,__ “অনেক স্বধন্ম-পরার়ণ ভদ্র.হিন্দু সন্তানগ্নণণ আশ্চর্য্য.ও কোৌত্হলাত্র হইয়া] কিরূপে চিব্নকাঁলাপ্রচলিত ও লনাতন-ধন্ব-বিরদ্ধ বিধখ1 বিবাহে অন্জাদি পাঠ হয়, এবং কন্যার শ্বশুর-কুল অথব! পিতৃকুল কিন্বা মাতৃকুলের মধ্যে কেই বাসন্গ্রদান করে, ইভ্যা'প বিবিধ প্রকার বিচিত্র স্বপ্লবও অভাবনীয় রক্স দর্শনে গমন করিয়াছিশ্েন। সভায় দুই সহজ লোক উপস্থিত ছিল যথার্থ বটে, কিন্ত তন্মধ্যে জধিক1ংশ অনিমন্দিত রঙ্গদর্শক । ইনার কেহই তথায় ভোৌজন করেন নাই এবং বিধবাঁবিবহ বৈধ বজিয়া নাম স্বাপতও করেম নাই; সুতরাং ইইাদিগকে তক্দতাঁবলম্বি ₹ল1 যাইতে পৃধরে না। ইংরাঁজগণের বিবাহ অথব1 সমাধি দর্শনে অনেক ত্রিয়াকলাপ- বিশিষ্ট সন্রান্ত হিন্দু গমন করিয়া থাকেন, অনেকে অগত্যা কমাই টোলায় গোঁহত্যাও দর্শন করিয়। থাকেন, তন্লিমিও তাহাদিগের কোন দোষ আইনে ন1। এক্ষণে আমি গৌরীশক্ষর ভট্টাচার্য মহশযকে বিনয় ঘচনে জিজ্ঞাম! করি গত রূবিধাশবীয় নিশাতে ্রীশ্চছ্রের বিবাহ অনিশ্চিত থাকাতে আত দুই তিন বর বিধাহস্থলে উপস্থিত ছি কি? চপল * এই সময় নমাচার-চক্ত্রিক, নংবা*-প্রভাকর ও ভাস্কর প্রধান সংবাদপত্র ছিল। ৬গোৌীশক্ষর ভটটীচার্ধা ভাস্করের মস্পাদক ছিলেন । ভাস্করে বিধব1-বিবাহের পক্ষমমর্থন হইয়াছিল। ভাক্ষরে প্রতাকরে প্রতিদ্বন্দীত1 ঢলিত। বিধবাবিবাহই। ৩৫১ এই বিবাঁহ ঘে মাঁধারণ হিন্দ-সমাজ-সম্মত হয় নাই, তাহার আর সন্দেহ কি? এই বিবাহ-সংস্পর্শ জন্ত সমাজচ্যুতি-দৃষ্টাত্তও বিরল মহে। নিম্বলিখিত পত্রথানি তাহার অন্যতম প্রমাণ । প্রঃ) শযুত ঈখরচন্দ্র বিদ্যানাশর সোঁদরাধিকেখু. ভ্রাতঃ! জক্ম্ীমণির বিধব1 কণ্ঠার বিবাহে আমার শ্ঞ্রঠাকুরাণী ঘটকভ। করিয়াছিল এই অভিযোগ দিয়া বহিরগাছি ধর্দাদহ প্রভৃতি গ্রামে লোকের1 ইহাদিগকে নিমন্্রণামন্ত্রণা্ি তাঁবত ব্যাপারে বর্জিত করিয়া একঘরিয়! করিয়াছে । এ নিমিত্ত আমার হৃদ্ধ শত ও শ্মশ্রঠাকুরাগীর মনে যে মর্মান্তিক দারুণ যাতন1 দুঃখ জন্িয়াছিল, সেই গ্লানি দূর কারবার জন্য ইতিপূর্বে রামনিংহ ছই শত টাক1 বার করিয়! দেশের নেই দলাঁদলি মিটাইয়া দেয়। আমি উহাকে তৎকালে এক্সপ আশাঁভরোসা দিয়] কহিয়াছিলাম ফে বিধবাধিষাহের নহকাব্রিত1 করিয়া] ভূমি এই দায়ে পতিভ হইলে, অতএব বিদ্যাসাগর ভায়া অবশ্টই কোন না কোন কিলার1 করিয়! দিষেন। তিনি কোন মতে অবিধেচন! করিবেন না। অভিম্ন-হৃদয় শ্রীমদমমোহন শর্শণঃ। বিধবা-বিবাহ করিয়া এবং বিধবা-বিবাহের জম্পর্কে থাকিয়া, অনেককেই এইরূপ পত্র লিখিয়। বা স্বয়ং বন্ধাঞ্জলি হইয়া, বিদ্যা- সাগর মহাশয়ের নিকট সাহাধ্য লইতে হইয়াছে। বিদ্যাসাগর মহাশয়ও অকাতরে সাহায্য করিয়াছেন । তাহার জীবিতাবস্থাস়্ ৩৫২ বিদ্যাসাগর। কয়েকটী মাত্র বিধবা-বিবাহ হইয়াছিল। কিন্ত ইহার সাহায্যার্থ তাহাকে খণগ্রস্ত হইতে হইয়্াছিল। থখণ ৪০1৫৪ সহ টাকার কম নহে।* তাহ।তেও বিদ্যাসাগর ক্ষণমাত্র বিচলিত হন নাই। প্রতি- জ্ঞায় বিদ্যাসাগর ভীম্বের ন্যায় অটল। অকারধ্যেও চরম আত্মোত্সর্ম। ভ্রমেও লানা-তাড়নাক় ক্রক্েপ ছিল না। প্রকৃতই অনেকে তাহাকে এ ব্যাপারে প্রথমতঃ উত্সাহ দিয়া, পরে ভ্রম বুঝিয়াই হউক, আর ষে কোন কারণেই হউক, তাহাকে পরিত্যাগ করিয়াছিলেন। তিনি কাহারও মুখাপেক্ষী না| হইয়া, স্বয়ং একাকী বিশ্ববিজয়ী বীরের ন্তায় যুঝিয়াছিলেন। হিন্দু-সম্তানকে বলি, বিদ্যাসাগরের ভরমে ভুলিও না। তাহার দৃঢ়তা, একাগ্রতা, আত্মনির্ভরতা ও কর্তব্যপরায়ণতা শিথিয়া লও। ভগবদিচ্ছায় একটু শ্-বাতাম ফিরিয়াছে। ইংরেজিণিক্ষিত অনেক হিন্দু-সম্তানের মতিগতিও ফিরিয়াছে। ইংরেজি শিক্ষার প্রধম উদ্যোগে যতট। উচ্ভৃখলতা ঘটিয়াছিল, এখন ততট। নাই। ভ্রোতস্বতীর উত্পত্তি-স্থলে প্রথম জলোছ্ছাস উত্তাল তরঙ্গে পাহাড় ভাঙ্গিয়! ছুকুল ভাসাইয়া লইয়। যায় গরে নদীন্ধপে আোত প্রবাহে সে উদ্ভুঙ্খলতা থাকে না। ইংরেজি * শুনিয়াছি, বিধবাঁবিবাঁহের সগ্চল্লে কোটার রাঁজ1 ১৪ হাজার টাকা ব্যয় করিয়াছিলেন। ধিমি বিধব| কন্ঠ] বিবাহ দিবেন এবং যিনি বিহাঁহ করিষেন, ভাহািগ্ের প্রত্যেককে দশ হাজার টাকা দিব ধলিয়া,, ধনকুবের মতিলান শীল নক্ল্প করিয়াছিলেন মাত্র। ব্ধিবা-বিবাই | ৩৫৩ শিক্ষ।-ত্রোতের এখন কতক দেই ভাব। শাস্ত্র-শিক্ষা প্রচার- বাহুল্য জন্ত ইংরেজিশিক্ষিত ব্যক্তিগণের উদ্ছুঙ্খনলত1 কতক প্রশমিত। বিধবা-বিবাহের অশাস্ত্রীন্নতা এখন অনেকেই দ্বীকার করেন। বিধবা-বিবাছের জন্ত বিদ্যাসাগরকে অনেক লাঞুনা ও তাড়না সহিতে হ্ইয্বাছিল। কেহ কেহ ত্বাহার প্রাণনাশেরও জন্কল্প করিয়াছিল। বিদ্যাসাগর তাহাতেও বিচলিত হন নাই। তাড়না ও লাস্ন1 অন্বন্ধে ডাক্তার অধুল্যচরণ বনু ১২১৮ সালের ২০শে ভাদ্রের হিতবাদীতে এইব্ধপ লিবিয়াছেন ;__ * “বিদ্যানাগর পথে বাহিৰ হইলে চারিদিক হইভে লোক আসিয়া উাহাকে দিরিয়! ফেলিত7 কেহ পরিহান করিত, কেহ গালি দিত। কেহ কেহ তাহাকে প্রহার করিবার-_এমনকি মারিয়| ফেজিবারও ভয় দেখইত | বিদ্যানাগর এ সকলে জক্ষেপও করিতেন না। একদিন শুনিলেন, মারিবার চেষ্রা। কলিকাতার কোনও বিশিষ্ট ধনাঢ্য ব্যক্তি, বিদ্যামাগয়কে মারিবার জন্য লোক নিুক্ত করিয়াছেন। ছূর্বাত্বের গ্রভূর আজ্ঞাপালনের অবনর প্রতীক্ষা) করিতেছে বিদ্যাসাগর কিছুমাত্র ভীত বা বিচলিত হইলেন না। যেখানে বড়ষান্য মহোদয় মন্ত্িবর্গ ও পারিষদগণে পরিনত হুইয়! প্রহরীরক্ষিত অট্রালিকাক্স যিদ্যালাগরের ভবিষ্যৎ-প্রহারের উদ্দেশে কাল্পশিক সুখ উপভোগ করিতেছিলেন, বিদ্যাসাগর একেবারে সেইখালে গিয়| উপনীত হইলেন। ভাহাকে দেধিবামীত্র সকলেই অগ্রপ্তত ও নির্বাক্‌ হইয়া পড়িলেম। কিয়ৎক্ষণ গত হইলে একজন পাঁরিষদ বিদা- সাপবেকর আগমনের কারণ জিজ্ঞান| করিলেন। বিদ্যামাগর উত্তর করিলেন, 'লোকপরম্পরায় শুনিলাম, আমাকে মারিযার জন্ত আপমাদের নিযুক্ত জোকেরা আাহার নিজৰ! পরিত্যাণ করিয়! আমার সন্ধানে কফিরিতেছে ও ৩৫৪ বিদ)াসাগর। থু'জিতেছে? তাই আমি তাধিলাম, তাহাদিগকে কট দিবার আবস্টুক কি, আমি নিজেই যাই? এখন আপনাদের অভীষ্ট মিদ্ধ করুন। ইহার অপেক্ষা উত্তম অবমর আর পাইবেন ন।” লজ্জা সকলে মস্তক অবনত করিলেম।” বিধধা-বিবাহের বিপক্ষবাদীদের মধ্যে কেহ কেহ ধৈর্ধ্যাব- লম্বন করিতে না পারিয়া, বিদ্য।সাগর মহাশয়কে অজত্র গালি- মন্দ দিত। এতৎসম্বন্ধে এইরূপ একটা! গল্প আছে,_“একদিন বিদ্যাসাগর মহাশয় বর্ধমান হইতে কলিকাতায় আসিতে- ছিলেন। বিদ্যাসাগর মহাশয় গাড়ীর যে কামরায় ছিলেন, পাতুয়া ্টেশনে সেই কামরায় একজন ব্রাঙ্গণ-পণ্ডিত উঠিয়া- ছিলেন। ব্রাহ্মণ বিদ্যাসীগরকে জানিতেন না। তিনি বিদ্যা" সাগরকে উদ্দেশ করিয়া গালিমন্দ দ্বিয়াছিলেন। পরে হুগলী, ্রেশনে নামি তিনি জানিতে পারেন, বিদ্যাসাগর মহাশয়ের সাক্ষাতেই বিদ্যাসাগ্গরকে গালি দেওয়া হইয়াছে । অকম্মাৎ এই ব্যাপার বুঝিতে পারিয়! ব্রাহ্মণ কেমন যেন সংজ্ঞাহীন হইয়া, ষ্রেঘনের প্্যাটফরমে পড়িয়া গরিয়াছিলেন। বিদ্যাসাগর মহাশয় তাহার তজষ। করেন এবৎ পথ্যের স্বরূপ কিঞ্চিৎ ঘর্থ সাহাষ্য করেন।” | বিধবা-বিবাহের প্রতিবাদ সম্বন্ধে অমুল্য বাবু হিতবাদীতে এই রহন্তঙ্গনক গল্প লিখিঘ়্াছিলেন,_-"স্থুল-ইনৃস্পেক্টর প্রাট সাহেব, বিদ্য।সাগর মহাশয়কে জিজ্ঞানা করেন, আপনার পুস্তকের ঘে সব প্রতিবাদ বাহির হইয়াছে, তাহার মধ্যে বিধব|-বিবাইি। ৩৫৫ কাহার গ্রতিবাদ ভাল? যে ব্যক্তি বেশী গাল পিয্লাছিলেন, বিদ্যাসাগর মহাশয়, রহস্ত কহিয়া তাহার নাম করেন। প্রাট সাহেব, কথাট। সত্য ভাবিয়া, তাহার নাম টুকিয়া লন। পরে তিনি সেই ব্যক্তিকে ডিপুটা ইনৃস্পেক্টর পদে নিযুক্ত করেন। সেই ব্যক্তি এক দিন প্রকৃত ব্যাপার জানিতে পারিয়া, বিদ্য- সাগর মহাশঘুকে বলেন্,_“ষাহা হইবার হইয়াছে, দেখিবেন যেন চাকুরিটা না যায়। বিদ্যাসাগর মহাশয় হাসিয়া বলেন, তাহা হইলে আর চাকুরী হইত ন1।” কেহ কেহ বলেন, বীরমিংহগ্রামে একবার একটী বালিকার বৈধব্য সংঘটনে ব্যথিত হইয়া বিদ্যাসাগর মহাশয়ের জননী, শাস্ত্রীয় মতে বিধবার বিবাহ হইতে পারে কি না, পুত্রকে প্রশ্ন করেন। বিদ্যাসাগর মহাশয্প সেই দ্দিন হইতেই শাস্ত্রীয় প্রমাণ-সংগ্রহ করিতে থাকেন। এ কথা কতদূর সত্য) তা জানি না) তবে নারায়ণ বাবুর মুখে শুনিয়াছি, বিদ্যাসাগর মহাশয়ের জননীর ধারণ। ছিল, তাহার পুত্র এ বিষয়ে অভ্রাস্ব। বিদ্যাসাগর মহাশয় যে সকল বিধবা*বিবাহ দিয়্াছিলেন, বিদ্যাসাগর মহাশয়ের জননী তাহাদের কাহার৪ কাহারও সহিত আহার করিতেন। এক দিন নারায়ণ বাবু বিদ্রপ করিয়া বলিলেন,_“ঠাকুর মা! তুমি যে ইহাদের সহিত আহার করি- তেছ? ইহাতে ষে জাতি যাইবে।» বিদ্যাসাগর মহাশয়ের জননী উত্তর দিপেন,__*দোষ কি 1 ঈশ্বর বহুশান্ত্রজ; ঈশ্বর কি অন্ঠায় কান্দ করিতে পারে 1" ৬৬ বিদ্যামাগর। বিধবা-বিবাহ সম্বন্ধে বিদ্যাপাগর মহাশয্বের পিতার কি মত ছিল, তৎসম্বন্ধে মতধ্বৈধ আছে। কেহ বলেন,তাহার মত ছি না; বিধবাংবিবাহের জম্পর্ক-হেতু নানা সামাজিক লান! ও তাড়না সহিতে হইয়াছিল বলিয়া, তিনি কাশীবাসী হন। কেহ বলেন,--“তাহার মত ছিল। বিধবা-বিবাহ যদি শাঁস সম্মত হয়, পুত্র ষদি তাহ প্রম।ণ করিতে পারে, তাহা হইলে বিধবা-বিবাঁহে ক্ষতি কি, এইরূপ তাহার মত ছিল। বিধবা-বিবাহ সম্বন্ধে পুস্থিক| প্রকাশিত হইলে পর, পিতা ঠাকুর দাস পুত্রকে বথেষ্ট উৎসাহ দ্িয়াছিলেন ।” শ্রীযুক্ত শ্তামলধন মিত্র মহাঁশয়কে, বিদ্যাসাগর মহাশয় স্বয়ং বলিয়াছিলেন,--*পিতা1 মাতার মত না থাকিলে, অন্তত" তাহাদের জীবদ্দশায় এ কার্যে হস্তক্ষেপ করিতাম না গ্তাম্ধন বাবু হিতবাদীতে এই কথ! প্রকাশ করিয়াছেন। পিতৃ মাতৃ-ভক্ত বিদ্যাধাগরের একথ। বিচিত্র কি? পিতা ঠাকুর দাসের ভ্রান্তি হওয়াই বা বিচিত্র কিং বিশেষ পুত্রকে যখন তাহার শান্ত্রদর্শী বলিয়া বিশ্বাস, আর পুত্রও ঘখন শান্ত, মতে ব্ধিবা-বিবাহ-প্রচলনে প্রস্াসী, তখন পিতার শাহ অস. স্রত বোধ না হইতেও ত পারে। মাতা সমবন্ধেও অন্ত কথ! কি? পিতামাতার অমত হইলে, বিদ্যাসাগর হয়ত, শ্হয়ত কেন, নিশ্চিতই, তাহাদের জীবদশায় বিধবা-বিবাহ-প্রচলনের প্রয়ামে বিরত হইতেন। পিতামাতাই ষে তাহার উপান্তদেবতা ছিলেন। তিনি প্রায়ই বন্ধু বান্ধবকে বলিতেন,_“পিতামাতাই ঈশ্বর । বিধবা-বিবাহ। ৩৫৭ পিতামাতার তুষ্টি-সাধনই তাহার জীবনের চরম কামন ছিল। নিজের বিশ্বাস থাকুক বা নাই থাকুক, পিতামাতার যাহাতৈ তু্টি, তৎসাধন পক্ষে তিনি কখন কোনবপ ক্রুটী করিতেন না। এক বার বীরসিংহ গ্রামে জগন্ধাত্রী পুঁজ! উপলক্ষে তাহার পিতা ও মাতার মধ্যে মতাবরোধ উপস্থিত হুইয়াছিল। পিতার ইচ্ছা, পুজা উপলক্ষে বাদ্যবাজন! ধুমধাম হয়; মাতার ইচ্ছা! এ ষব না করিয়া, কেবল গরীব কান্গালীদের খাওয়ান হয়। বিদ্যা সাগর মহাশয়, কলিকাতা হইতে, বীরসিংহ গ্রামে গমন করিলে, পিতামাতা উভয়েই আপনাদের মনোগত অভিপ্রায় তাহাকে বিদিত করেন। বিদ্যাসাগর মহাশয় একটু হাসিয়া বলেন, “উভয়েরই কথ! থাকিবে” বিদ্যাসাগর মহাশয় উভফ্বেরই মনন্তট্টি-সাধক কার্য্যের অনুষ্ঠান করিয়াছিলেন। পিতামাতার প্রতি খাহার এরূপ ভাব, তিনি তাহাদের অসম্মতিক্রমে কৌন কার্ধ্যই করিতে পারিতেন না। পিতামাতা ব্যতীত তিনি, জগতের আর কোন ব্যক্তির মুখাপেক্ষী হইয়া, অনুষ্ঠিত কার্ধ্য হইতে পশ্চাৎপদ হইতেন না। এই বিধবা-বিবাহ ব্যাপারে, তাহার শিক্ষার প্রেমটাদ তর্কবাশীশ মহাশয়ের মত ছিল না; কিন্তু বিদ্যাসাগর মহাশয়, তাহাতেও পশ্চাৎপদ হন নাই। এতৎসম্বদ্ধে তাহাদের উভ- যেরই যে কথাবার্ত। হইয়াছিল, তাহা এইখানে উদ্ধৃত হইল,-_ “এক দিন তর্কষাগীশ বিদ্যাসাগরের সঙ্গে সাক্ষাৎ করিয়া ঘলেন,-.. খর | বিধযা-বিবাহের অনুষ্ঠান হইতেছে বলিয়! প্রবল জলরব। কতদূর ৩৫৮ বিদ্যাস'গর | কি হইয়াছে জানি না। এক্ষণে জিজ্ঞান1 এই যে, দেশের বিজ্ঞ ও বৃদ্ধ- মগুলীকে স্বমতে আনিতে কৃতকার্ধ্য হইয়াছ কি মা? যদি না হইয়া! থাক, তবে অপরিণামদশর্ নব্যদলেব্র কয়েকজনমাত্র লোক লইয়াই এইরূন গুরুতর কার্ষো তাড়াতাড়ি হস্তক্ষেপ করিবার পূর্বে হিশেষ বিবেচন করিবে ।* বিদ্যাসাগর বলিলেন,_মহাশয় ! আপনার প্রশ্নভঙ্গীতে আমার উদ্যমতঙ্গের আশক্ক। দেবিতেছি; ছাপনাকে অন্তরের মহিত শ্রদ্ধা করিয়। থাকি, নচেং আপলাকে'তর্কবাগীশ ভীহীর কথ। শেষ ম! হইতেই ঘলি- লেম, “মচেং আমাকে এই আপন হইতে এখনি উঠাইয়া দিতে । ঈশ্বর! তুমি এই কার্যে যেক্প দৃঢমক্ষল্প এবং একা গ্রচিত্ব হইয়া, তাহাতে আমি এইরূপ উত্তর পাইব বলি! প্রস্তভ হইয়া আগিয়াছি। ইহাতে অণুমাত্র ক্ষুৰ নহি। বিদ্যামাগর বলিলেন, আমি তত লাহসের কথা বলিতেছিলাম ন1। আপনি বিজ্ঞ ও বৃদ্ধমগ্ুলী ধলিয়! যাহ! কহিতেছেন, ইহাতে কগি- কাতার রাধাকান্ত দেব বাহাছ্‌র প্রভৃতি আপনার লক্ষ্য কিনা? আমি উহাদের অনেক উপানন! করিক্লাছি, অনেককেই নাঁড়িন্ন। চাঁড়িয়া দেখি- য়্াছি, মকলেই ক্ষীণবীধ্য ও ধর্শকধুকে সংস্কৃত বলিয়া নিশ্চয় কহিয়াছি। ধাহার! মুক্তকঠে সহান্ৃভূতি প্রকাশ করিয়াছিলেন, এখন তাহাদের আচরণ দেখিয়া! নিতান্ত বিশ্মিত হইয়াছি। মহাশয়! আমি অনেক দূর অগ্রনর হইছি, এখন আয় আর প্রতিনিবৃত্ব করিবার কথ! বল! ন| হয়।, তর্কবাগীশ বলিলেন,_-ঈর্বর ! বাল্যাবি তোমার প্রকৃতি ও অদমা মানলিক শক্তির প্রতি আমার লক্ষ্য রহিয়াছে, তোমায় ভগ্নোদ্যম ও প্রতি মিবৃত্ত করাআমার নক্ষল্প নহে ।* ভুমি যেকার্ধটীকে লোকের হিতকর যলিয়! * বিদ্যাসাগর বাল্যাবন্থা কাল হইতেই র্কবাগীশ মহাশয়ের প্রীতির পাত্রহন। ঘর্কবাগীশ মহাঁশয়ও ভাহাকে পুত্রবৎ ভালধামিতেন। ইহার একট! দৃষ্টান্ত দিই,_তবাগীশ মহাশয় নাহিত্য দর্প৭ নামক অলঙ্কার বিধবা-বিবাহ। ৩৯ জ্ঞান করিতেছ এবং যাহার অন্ৃষ্ঠান বিষয়ে প্রগাট চিন্তা করিয়াছ, মেই কার্ষোর মুলবন্ধন নম্যক্রূপে দৃঢ়তর হয় এবং ভাহা অর্ধমন্পন্ন হইয়াই বিগীম না হয়, ইহাই আমার উদ্দেন্ট | কেবল কলিকাতার কয়েকটা বৃদ্ধ আমার লক্ষ্য নহে। উত্তরপশ্চিম প্রদেশ, বোম্বে, মাদ্রাজ প্রভৃতি স্থানে বথায় হিন্দুধর্শ-প্রচলিত--ততদূর দৌঁড়িতে হইবে? ধর্দমবিব ও লোক- মধধ্যাদার অতিক্রম কর1 হইতেছে বঙগিয়া যাহার মনে করিতেছেন, তাহা" দিগকে নম্াকৃনপে বুঝাইতে হইবে; মকলকে বুঝান হজ নহে মত) প্রধান প্রধান স্থানের সমীজপতিদিগ্নকে অন্তত; স্বমতে আঁনিতে হুইবে। এইরূপে মমাজনংস্কার কর] কেবল রাজার নাধ্য। অন্ত লোকে পরন্নপ কার্যে হাত দিতে গেলে বিপুল অর্থ ও জোক আবশ্যক। বিজাতীয় রাজপুরুষ দ্বার এইরূপ সংস্কারের মস্তাবনা1 নাই । বিধব|গর্ভজ!ত আন্তান গ্রন্থের টাক! ম্বহন্তে লিখিয়াছিলেন। ছাত্রের পুথিব পাত] বাহির করি! লইন্লা বানায় বাইত। অধ্যাপনা! নময়ে কখন কখন আবশ্যক হইলে পাতা মিলিত মা। তর্কবাণীশ মহাশয় পুঁথি পাঁত। বাপায় লইয়। যাইতে নিষেধ করেন। বিদ্যালাগর তখন অলগ্ষাব্-শ্রেণীতে পড়িতেন। ভিনি একদিন অপরাহে পু'খির পাত। চুপি চুপি লইয়। বানায় যাইভেছিজেন। হি হওয়ার দরুণ তিনি পড়িয়া গিয়াছিলেন। পাতাগুলি ভিজিয়! গিক্সা- ছিল। বিদ্যামাগর এক ভুনৌওয়ালার দৌকানে প্রহেশ করিয় ভ্বলম্ত চুলার পাশে পাতাঙলি রাখিয়। শুকাইতে দেন। হঠাও তর্কবাগীণ মহাশয় মেইথান দিয় যাইতে ধাইতে ঈশরচজ্্রকে দেখিতে পান। তিনি ঈশ্বর- চন্দ্রকে জিজ্ঞাস করিয়! জানুপূর্রিক মকল বিষয় অবগ্রত হম। ঈশ্বরচন্দ্র বড় অনুতপ্ত হইয়াছিলেন। ঈরশ্বরচন্্র ভিজিয়1 গিয়াছে তর্কবাগীশ মহাশয় দেখিয়। বড়ই দুঃখিত হন। ভিনি পুখির কথ! কিছু ন1 বগিয়া, তাহাকে আপনার চাদরখানি পরিতে দেন। ঈশ্বরচন্দ্র চাদর পগ্গিতে ইতস্তত; করেন। তখন তর্কবাগীশ মহাশয় তাহাকে একখানি গাড়ী করিয়। আপন বাসায় লইয়া যাঁদ। অনুতপ্ত ঈশ্বরচন্দ্রকে তর্কবাগীশ মহাশয় বিষিধরূপে সাত্বন। করেন। ৩৬০ বিদ্যাসাগর দায়ভাক হইবে বলিয়া যে বিধি হইয়াছে, তাহাই পর্য্যান্ত জাম করিতে হইবে। যধন তুমি রাজপুরুষদের মাহায্যে এই বিধি প্রচলিত করাইতে নমর্থ হইয়াছ, তখন পূর্বকধিত দেশবিভাগের নমাজপতিদিগের মহায়তা লাভে যে কৃতক্যর্ধা হইবে, তদ্দিষ্নে সনেহ জন্সিতেছে না। ইহাতে যেমন কালবিলদ্ব ঘটিবে, তেমন নময়ের আত তোমারই অনুকূলে বহিবে। লোঁকধলের নিকটে অর্থাভাব অনুভূভ্ভ হইবে লা। ত্বরায় প্রয়োজন দেখি ন1। হিন্দুসমাজ এ পর্যান্ত অনেক নম্প্রদায়ে বিভক্ত হই- য়াছে। দুই চারিটা বিধবা বিবাহ দিলে আর একটী থাক বাড়ান মাত্র হইবে) সমাজ-বন্ধন এইক্সপে আরও শিথিল করিবার প্রয়োজন নাই। ঈশ্বর ! যাহ] বক্তব্য বলিলাম। তুমি বড় ব্যস্ত দেখিতেছি, চলিলাম, বিবেচনা] করিও |” প্রেমঠাদ তর্কবাণীশের জীবন-চরিত, ৬১-৬২ পৃষ্ঠ]। ইহা বিদ্যাসাগরের অটল দৃঢ় প্রতিজ্ঞা ও একাস্তিক একাগ্র- তার উজ্বপ দৃষ্টান্ত। হায়! হিনূর করণীয় কার্যে এই দৃঢ়" প্রতিজ্ঞতা,_এই একাগ্রতা পরিচালিত হইলে, আজি হিন্দ- সমাঙ যে অধংপতনের মুখে অগ্রসর হইতেছে, তাহার অনেকট! গতিরোধ হইত! সপ্তদশ অধ্যায়। বর্ণপরিচয়, চরিতাবলী, বিশ্ব-বিদ্যালযু, হেলিডের নিকট প্রতিষ্ঠা, ই়ঙ সাহেবের সহিত মনাস্তর ও পদত্যাপ। বহু কঠোরতর কার্ধ্যে ব্যাপৃত থাকিয়া বিদ্যাসাগর মহাশয়, পাঠ্য-পুস্তক-প্রণয়নে নিবৃত্ত ছিলেন না। ১২৬২ সালের ১লা বৈশাধ বা ১৮৫৫ সালের ১৩ই এপ্রেল এবং ১২৬২ সালের (১৯১২ সংবতে ) ১লা আবাঢ বা ১৮৫৫ সালের ১৪ই জুন বর্ণপরিচয়ের প্রথম ভাগ এবং দ্বিতীয় ভাগ মুদিত ও প্রকাশিত হয়। বর্ণপরিচয়েও বিদ্যাসারের উদ্ভাবনী শির পরিচয়। বিদ্যাসাগর মহাশয় বর্ণপরিটস্ষের প্রথম ভাগে বাঙ্গালা বর্ণবিচারে প্রবৃত্ব হম। এ বিচারে তিনিই প্রথম। এ জঙ্বন্ধে আমাদের মতবিরোধ আছে। দৃষান্তস্বত্ূপ বলি; তিনি বাঙ্গালা স্বরবর্ণে “র”র ব্যবহার করেন নাই। জংস্কৃত প্র্মোগানুমারে বন্ালায়ও “দ্ধপ্র ব্যবহার হইতে পারে। যথা *পিতৃণ*। এ বর্ণবিচার সম্বন্ধে ঢাকার বান্ধব-সম্পাদক বহুম্ধণত্থী প্রযুক্ত কাশীপ্রমন্ন ঘোষ ও ভট্টপন্লীনিবামী পর্ডিতপ্রবর পঞ্চানন তর্করত্ব ষে আলোচন! করিয়াছেন, তাহা পাঠ কর! কর্তব্য । এক দিন প্রেসিডেন্সি কলেজের ইংরেজী আাহিক্যের অধ্যা- পক বিদ্যাসাগর মহাশয়ের অভিন্নছ্দয় হুহুদী ৬ গ্যাপীচরণ মরকারের, চোরবাগনস্থিত বাঁটীতে নির্ধীরিত হয়, প্যারী ১ ৩০২ বিদ্যাসাগর । বাবু ইংরেজি শিক্ষার প্রাথমিক পাঠ্যসষুহ এবং বিদ্যাসাগর মহাণয় বাঙ্গালা পাঠ্যদমৃহ প্রণদন করিবেন। প্রকৃত পক্ষে ছুই জনই এই ভার লইয়াছিলেন। বিদ্যাসাগর মহাশয়, মফস্বলে স্কুল-পরিদর্শনে যাইবার সময় পান্ধীতে বসিয়া বর্ণ" পরিচয়ের পাণুলিপি পরস্তত করিতেন। প্রথম প্রকাশে বর্ণ- পরিচদ্ধের আদর হয় নাই। ইহাতে বিদ্যাসাগর মহাশয় নিরাশ হন; কিন্তু ক্রমে ইহার আদর বাড়িতে থাকে। ১২৬৩ সালে মাত মাসে বা ১৯১৩ সংবৎ ১ জা শ্রার্ণ বা ১৮৫৬ গৃষ্টাবের জুলাই চরিতাঁবলী মুদ্রিত ও প্রকাশিত হয়। দরিদ্র ও হীন অবস্থা হইতে ত্বকীয় অধ্যবসায়ে লোকে কিরূপে উন্নতির পথে অগ্রসর হইতে পারে, তাহা প্রদর্শন করাই চরিতাবলী-রচনাঁর উদ্দেস্ঠ । এই ঘন্তই এই গুস্থে ডুবাল, উইক্ফিম, রস্থো প্রভৃতি বৈদেশিক খ্যাতনামা ব্যক্তির সংক্ষিগু জীবনাভাস প্রক্টিত হইয়াছে । জীবন চরিভ সম্বন্ধে আঘাদের ঘষে মত, চরিতাধলি সন্বন্ধেও সেই মত। ১৮৫৫ ব্বষ্টান্বে কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিটিত হয়। বিদ্যাসাগর মহাশয় ইহার অন্যতম সভ্য হন। -এই সময় বিশ্ববিদ্যালয় হইতে জংস্কত শিক্ষা উঠাইবার প্রস্তাব হয়। বিদ্যাসাগর মহাশঘ্স একাই জিনেটের ভঅন্ান্ত সভ্যদিগ্রের প্রতিঘন্্ী হইয়া, এই প্রস্ত/বের প্রতিবাদ করেন। অবশেষে স্কাহঃই জয় হয়। বিদ্যাসাগর মহাশ “সেন্ট্রাল কমিটির? দা হইস্বাছিলেন। ফোর্ট উইলিয়ম কলেজ হইতে উত্তীর্ণ গ্রাতিষ্ঠ। | ৩৬৩ হইনা, দিবিশিয়ানেরা কার্ধে মিষুক্ত হইলে পর, এই “সেন্টল কমিটা"র নিকট এদেশীয় ভাষার পরীক্ষা! দিতেন। এই কমিটি বড় লাট বাহাদুর জর্ড ডাপহৌপী কর্তৃক প্রনষ্ভিত হইয়াছিল । ১৮৫৬ ত্বঃ অন্দে “এডুকেশন কৌ কালে"র গ্থানে বর্তমান “পৃষলি $ ইনষ্টিটউশনে”র প্রতিষ্ঠা হয় । বর্তমান ভাইবেক্টরের পদ-সস্টিও এই জমদু হইল। গর্ডন ইয়ুঙ সাহেব প্রধম ডই- ০ রি পদে নিষুক্ত হন। ইয়ুঙ সাহেব তখন নবীন গ্িবিলিক়্ান । ছোট লাট হেলিড়ে সাহেবের অনুরোধে বিদ)াসাগর মহাশয়, মাকয়েক ইহাকে শিক্ষা-বিভাগের কাধ্যে শিক্ষা দেন। ছোট লাট হেলিডে সাহেব বিদ্যাসাগর মহাশয়ের ফথেষ্ট সম্মান করিতেন । এমন কি, ছোট লাট বাহাছুর গাহাকে পরমাত্ীন়্ বন্ধু ভাবতেন। প্রতি ফৃহম্পতিবার বিদ্যানাগর মহাশদ্ ছোট লাট বাহাছরের বাটাতে পিছ নানা খ্ষিয়ের পরামর্শ করিতেন । বিদ্যালাগর মহাশয্ম কোন কারণে নির্ধারিত দিনে ঘাইতে না! পারিলে, হেলিডে সাহেৰ, উহাকে ডাকাইয়া পাঠাইতেন। একবার ছেলিভে সাহেবের সহিত ৮রাজেশ্বলাল মল্লিক সাক্ষাৎ করিতে গিয়'ছিলেন। সে দিন বিদ্যাসাগর মহাশয়ের বাইবার কধ। ছিপ; কিন্ত তিনি ধাইতে পারেন নাই। হেজিভে সাহেব রাজেন্্র বাবুকে অনু- রোধ করেন) মেই দিনই যেন তিনি বিদ্যাসাগরের নিকট হাইয্া, তাহাকে পাঠাইয়া। দেন। রাজেক্স বাবু সেই দিন ৩৬৪ বিদ)াসাগর। রাত্রিকালে, বিদ্যাসাগর মহাশয়কে হেলিডে সাহেবের অনুরোধ জ্ঞাপন করেন। বিদ্যামাগর মহাশয় পর দিন হেলিভে সাহে- বের সহিত সাক্ষাৎ করেন। একদিন বু জন্ত্রাস্ত লোক ছোট লাট বাহাছুরের সহিত সাক্ষাৎ করিতে ঘান। তাহারা যাইলে পর, বিদ্যাসাগর মহাশয় তথায় গিয়া উপস্থিত হন। ছোট লাট বাহাছুর সর্বাগ্রেই ক্কীহার সহিত সাক্ষাৎ করেন। বিদ্যাসাগর মহাশয়, ছোট লাট বাহাদুরের সহিত সাক্ষাৎ করিতে যাইতেন, চটিজুতা পায়ে এবৎ মোটা চাদর গায়ে দিয়া। ছোট লাট বাহাদুর তাহাকে চোগা, চাপকান ও পেন্টলন পরিয়া যাইতে বলেন। বিদ্যাসাগর মহাশয়, তাহার কথামতে দ্বিন কয়েক মাত্র চোগা-চাপকান পরিয়। গিয়াছিলেন; কিন্ত ইহাতে তিনি লজ্জা ও কষ্ট বোধ করিতেন। সেই জন্য তিনি সে বেশ পরিত্যাগ করেন। ইহার পর জীবনে তিনি আর এ পরিচ্ছদ ব্যবহার করেন নাই। ১২৬৪ সালে বা ১৮৫৭ ধষ্টাবে বিদ্যাসাগর মহাশয়, হেলিড়ে সাহেবের আদেশে বহুস্থানে বহু বাবিকাবিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত করেন। এই সব বিদ্যালয়ের শিক্ষক-পর্ডিতগণ মামিক নেতনের জন্ত বিল করিয়া, বেতন প্রার্থনা করিলে, তদানীস্তন শিক্ষা- বিভাগের ভাইরেউর ইয়ঙ সাহেব তাহা মঞ্জুর করেন নাই। বিদ,সাগর মহাশয়, ষখন ইনৃম্পেক্টর-পদে নিযুক্ত হন, তখন হইতেই, ইয়ঙ সাহেবের সহিত মতাস্তর হওয়ায়, একটা মনোবাদ হয়। বর্তমান বিল নামঞ্ুরী হৃত্রে সেই মনোবাদ মনাস্তর ৷ ৬৬৫ প্রবলততর হইল। বিদ্যাসাগর মহাশয় ছোট লা বাহাহুরকে এ কথা জানাইলেন। ছোট লাট বাহাদুর নালিষ করিয়া টাকা আদাফু করিতে বলেন। বিদ্যাসার ষহাশঘ্ধ নালিষের চির- বিরোধী; কাজেই তিনি স্বয়ং খণ করিয়া টাকা দেন ।* ক্রমেই মনান্তর গুক্ুতর হইয়াছিল । কাহারও কাহারও মতে মনাস্তরের কারণ এইরূপ,--“বিদ্যাসাগর মহাশয় ছগলি, বর্ধমান, নদীয়া, মেদ্বিণীপুর, এই চারি জেলার স্কুল-সমুহের এস্পেসিয়াল জল বিশ্বকোষ অতিধানে লিথেভত আছে,_'নংস্কাভ কলেজের অধ্যাপন] সময়, তংকালীন গবর্ণমেপ্ট :মেক্রেটরী হাপিডে লাছেবের আহত ব্দ্যামাগরের আলাপ পরিচয় হয়। তিনি নানা বিষয়ের পরা- মর্শ করিবার জন্য প্রতি সপ্তাহে এক দিন করি], বিদ্যাপাগরকে লইয়া যাইতেন, আনেক লময়ে তিপি বিদ্যানাগরের সৎপরামর্শ গ্রহণ করিতেন। তীাহারই যত বিদ্যাসাধর “ুল-ইনস্পে্ুর, হইয়া ছিলেন। তংকালে বাঙ্গল] বিভাগের চারিটী জেলায় নর্বহুদ্ধ ২* কুড়িটা মডেল স্কুল স্থাপিত ছিল। এ নময়ে কুড়িটী বিদ্যালদ্নের পরিদর্শমভার, বিদ্যানাগরের উপর্থান্ত হয়। এই সময়েবেখুন লাছেবের ম্বত্যু হইলে তংপ্রতিঠি হ বালিক1-বিদ্যালয় গর্ণমেন্টের হস্তে যাইল। এ নময়ে বিদা- নাগর বেখুন স্কুলের তত্বাবধারক ছিলেন। ইনিস্ত্রীশিক্ষা-নন্বদ্ধে বিশেষ যতু করিতেন। এই নময় ইনি হালিডে দাঁছেবের উৎপাহ বাঁকে উৎ নাহ্ত হইয়] বাঙ্গালার স্থানে স্থানে প্রান ৫০।৬০টা বাজিক1-বিদ্য'লক় হাপন করেন | কিন্তু ছুঃখের বিষয়, গবর্ণমেন্ট অই বৃহৎ কার্ধো মনোবোগ করিলেন না। কিছু (দন পরে বিদর্যানাগর এ লমন্ত বাজিকাধিদ্যালয়ের খরচ পত্রাদির বিল করিয়া! পাঠাইলে, গবর্ণমেন্ট এ টাক1 দিত্বে লম্মত হইলেন দ1। হ্বাহার উৎমাহে এ নকল বিদ্যালয় দ্বাপিত হইল, সেই হাঁলিডে মাহেষ ঘখন নিরত্বর রহিলেন। ধন বিদ্যাগাগর নিজ হতে খ বমপ্ত টাক। দিয়! বিদ)!লয়গলি কিছু দিন চ'লাইয়াছিলেন।” ৩৬৬ বিদ্যাস'গর । ইনৃম্পেটর হইয়াছিলেন। জেলাচতুষয্বের বিদ্যালয়গুলির তিনি যেরূপ উন্নতি অবলোকন করেন, তদনুরূপ রিপোর্ট করিতেন। তন্নিবন্ধন তদানীনভ্ত ডিরেক্টর (শিক্ষাসমাজের কর্তা) বিদ্যা- সাগরকে বলেন, “এতদপেক্ষা উৎকৃষ্ট রিপোর্ট করিবে, অর্থাৎ গুছাইয়। লিধিবে নচেৎ সাধারণের নিকট গৌরব হইবে না।” তিনি বলিলেন, “বেমন দেখিব, তেমই লিখিব; বাড়াইয়! লেখ। আমার কর্ম নহে। যদ্দি ইহাতে সন্তষ্ট না হন, তাহা হইলে আমি কর পরিত্যাগ করিতে প্রস্তত আছি।” তেজন্বী বিদ্যা. সাগরের ইহা অমন্তবই ঝাকি! ইযও সাছেবের সহিত মনোবাদের আরও একট! কারণ শুনিতে পাই। ইয়ঙ সাহেব সংস্কৃত কলেজের ছাত্রদের বেতন বৃদ্ধি করিতে চাঁহেন। বিদ্যাসাগর মহাশয়, তাহার প্রতিবাদ করেন। ১৮৫৮ স্বষ্টান্দসের ওর] জুন বিদ্যাসাগর মহাশয়, অতি সতেজে পত্র লিখিয়া, ইয়ঙ সাহেবের প্রস্তাবের প্রতিবাদ করিয়া- ছিলেন। তিনি স্পষ্টই লিখিয়াছিলেন--“সংস্কৃত কলেজের বেতন বাড়াইলে, কলেজ থাকিবে না। ভারতের শিক্ষা সম্বন্ধে ১৮৫৪ বষ্টান্দে বিনাত হইতে ষে কাগজ-পত্র আসে, তাহাতে সংস্কৃত কলেজের বেতন-বৃদ্ধি সম্বন্ধে কোন উল্লেখ নাই। আমি জেই উপদেশ পত্রের অনুসারে কাজ করিব ।” ইয়ঙ সাহেব কলেজে বেতন পাঁচ টাক। করিতে চাহিয়াছিলেন। ইহার পর ইয়ঙ সাহেবের সহিত মনাস্তর খোরতর হইয়াছিল। বিদ্যাসাগর মহাশয়, তেজস্ষিতার সহিত ইয়ও সাহেবকে পত্র লিখিতেন। মনাস্তর। ৩৬৫ বাদ্মীবর রামগোপাল খোষ পত্রলেখা সম্বন্ধে অনেকট! আহাষ্য করিতেন। তিনি বিদ্যাসাগর মহাশয়কে প্রায়ই বিদ্রপ করি- তেন,-“সিবিলিয়ান সাহেবকে জোর করিয়া পত্র লেখা চাল, কলা-খেগে ব্রাহ্মণেরর কম্ম নযু। রাঞজকৃষণ বাবুর মুখে শুনিয়াছি, বিদ্যাসাগর মহাশয় ইয়ও সাহেবের নামে ছোট লাট বাহাছুরের নিকট অনেক বারই' অভিষোগ করিয্বাছিলেন। ছোট লাট বাহাছুর, ডিরেক্টর মহাশয়ের সহিত সম্প্রীতি রাখিয়া কাজ করিতে পরামর্শ দেন। বিদ্যাসাগর মহাশয়, তৎপক্ষে চেষ্টাও করিয়াছিলেন; কিন্ত চেষ্টা ফঙ্গবতী হয় নাই। ইয়ও সাহেষের সহিত সম্প্রীতি হইল মা; অথচ ছোট লাট বাহাছুর কোন জছুপায় করিলেন না) অগত্যা রাগে দুঃখে বিদ্যামাগর মহাশয় প্রিনিপাল ও ইনৃস্পেক্টর পদ্দ পরিত্যাগ করেন। তেজন্বী বিদ্যাসাগর এক কথায় সংস্কৃত কজেজের প্রিন্সিপাল এবং স্ুল-ইনৃস্পেরের পদ্দ পরিত্যাগ করেন। ৫০৬ পাঁচশত টাকা বেতনের মোহাবরণ, কার্্য-বীরের মে অটুট দর্পের সতীক্ষ কৃপাণাতাতে মুহূর্তে খণ্ডবিখণ্ড হইন্া গেল৷ ইয়ঙ সাহেবের বাবহারে, বিদ্যাাগর মহাশয় দারুণ মনঃ- ক্ষোভে মান্ত ছোট লাট বাহাছর হেলিডে সাহেবকে পদ" পরিহারকল্পে পত্র লিখেন। পত্র গাইস্া, বনেশ্বর বিস্ময়াশ্িত হুইয়াছিলেন। বিদ্যাসাগর ষে সহসা ৫০* টাকা ব্তেনের পদটা! অগ্নান বদনে পরিত্যাগ করিতে কৃতসৎকল্প হইবেন, এটা কখনই ৩৬৮ বিদ্যাসাগর । তিনি ভাবেন লাই। বিদ্যাসাগর মহাশর, তাহার নিকট ইয়ও সাহেব অন্বন্বে অনেকবারই অনুযোগ করিয়াছিলেন । ১৮৫৫ ব্বষ্টাবে প্রেরিত শিক্ষা্ন্ন্ধে “ডে ন্প্যাচের” ম্ধবার্থ লইয়া ইয়ঙ সাহেবের সহিত বিদ্যাসাগরের কতকট। মনোবাদ চলিতেছিঙল, তাহাও তি“ম দ্রানিতে পাতরিয়াছিলেন ) তবে দে মনোবাদ পরিণামে ষে এক ভয়ঙ্কর হইয়া উঠিবে; এবং তাহারই ফলে অবশেষে বিদ্যাসাগর যে পনপরিত্যাগে সংস্কল করিবেন, তাহা তিনি মনে করেন নাই। বিদ্যানাগর মহাশয়। ছোট লাটের নিকট অনুযোগ করিতেন ;-“শিক্ষাসংপ্রদারণ সম্বন্ধে, বিলাত-প্রেরিত “ডেদ্‌- প্যাচে'র বে মর্ম, আমি সেই মর্্মানুসারেই কাধ্য করি? কিন্ত ইয়ঙ সাহেব, তাহার বিপরীত মর্মগ্রহণ করিয়া, পদে পদে আমার কার্যের প্রতিবাদ ও প্রতিবন্ধকতা করিয়া থাকেন; এন্সপ অবস্থায় আমার চাকুরী কর1 দায়।” বিদ্যাসাগর মহাশয়ের অনুযোগ শুনিয়া, বঙ্েশ্বর তাহাকে ইয়ঙ সাহেবের সহিত মিলিয়| মিশিঘ1 কাজ কথিতে পরামর্শ দিতেন) এবং ইয়ুড সাহেবকে এতৎত্সদ্বন্ধে হুপরামর্শ দিবেন বলিয়া, আশ্বাস প্রর্দান করিতেন। বিদ্্যারাগর মহাশয়ও ছোট লাট বাহাছুরের আশ্বাস বাক্যানসারে মিলিয়ামিশিরা সভাবে অপ্রণয়ে কাধ্য-" নির্ব্ধাছের চেষ্টা করিতেম) কিন্ত তিনি বুঝিলেন ষে, ছোট লাট বাহাদুরের নিকট পুঃপুনঃ অনুষোগেরই প্রয়োজন হয়; অথচ অনুযোগ করা বৃখা। ছেটি লাট যাহাছুয়ের আশ্বালানু- মনান্তর। ৩৬৯ সারে কার্ধ্ে প্রবৃত্ব হইয়াও ইয়ঙ সাহেবের মতিগতি সন্বগ্ে বিদ্যামাগর মহাশয়ের ধারণ। অন্তরূপ হইল না। যে ইয়ুত সাহেঞকে তিনি হাতে করিয়া, শিক্ষা-বিভাগের সকল কাজ শিখাইয়াছেন, সেই ইয়ঙ সাহেবই তাহার সকল কাধ্যের বিরোধী এবং প্রতিবাদী; অথচ তং-প্রতীকারেরও আর পথ নাই; এইব্প ভাবিয়াই তিনি ছোট লাট বাহাছুরকে পর্দ- পরিত্য।গের পত্র লিখিয়াছিলেন। ছোট লাট বাহাছুর, বিদ্যাসাগর মহাশপরকে যথেষ্ট ভাল বাসিতেন নিশ্চিতই | তিনি বিদ্যাসাগর মহাশয়কে মিষ্ট বাক্যে সান্তনা করিবার জন্ত চেষ্টিত হইয়াছিলেন; এবং পত্র প্রত্যাখ্যান করিয়া লইবার অন্যও সনির্বান্ধ অনুরোধ করিয়া" ছিলেন। পত্র প্রত্যাখ্যান করিয়| লইলে, বিদ্যাসাগর মহাশদঘ্ব ষে যথেষ্ট প্রতিষ্ঠাভাজন হইবেন, বিদ্য সাগর মহাশয় দ্বোট লাট বাহাদুরের নিকট এ আশ্বাসও পাইয্রাছিলেন। মে আখাস-বাণীতে কিন্তু বিদ্যাঞ্লাগ্র বিচলিত হইলেন না। তখনও তাহার হয় দাক্ণ মর্মনবেদনার প্রচণ্ড উগ্র তাপে জর্জরিত। তিনি পত্র-প্রত্যাখ্যানে বা পুনরায় পদগ্রহণে কিছু- তেই আর সম্মত হইলেন না। তিনি ছেলিডে সাহেবকে স্পষ্টই বলেন,-“সহিযু'তার সীম। অতিক্রম করিয়াছি ; আর ফিরিবার পথ দেখি না; ক্ষমা করুন, আমি আর চাকুরী করিব না) আমার আর তাহাতে প্রবৃত্তি নাই ৮ ছোট লাট বাহাছুর, বিদ্যামাগর মহাশয্বের এইবপ তেজন্থিত৷ দেখিয়া, বাস্তবিকই ৩৭৪ বিদ্যাপংগর । বিস্মধান্থিত হইয়াছিলেন। তিনি উপাব্বাস্তর না দেখিঘা, অগত্য। বিদ্যাসাগর মহাশষের পৰ-পরিহার মঞ্জুর করেন। * ১২৩৫ সালের ১৯ণে কার্তিক বা ১৮1৮ বষ্টাজে ৩1 নবেম্বর বিদ্য।সাগর মহাশর় তদানীভ্তন প্রেশিভেন্স কলেজের অধ্যাপক কাওয়েল সাহেবকে কার্ধ্য ভার অর্পন করিয়া বিদ্বান লম। বিদ্যানাগর মহাশয়কে পদ পরিত্যাগ করিতে দেখিয়া, তাহার মাতা, পিতা, আবত্মীত, বন্ধু-বান্ধব সকলেই জংন্গুন্ধ হইদ্লাছিলেন। তংকর্খলে তাহার কোন বন্ধু স্কুল ইন্ম্পে্টর বলিয়াছিলেন,--“বিদ্যাসাগর ! তুমি ভাগ কাজ করিতেছ ন1। দেখ, আজ কালিকার বাজারে পাঁচ শত টাকা বেতনের পদ * স্কুগনমূহের ভূতপূর্ব ডিশুটা ইনৃস্পের ও “দৈনিকের” বর্ধ গান সম্পাদক শরঘুক্ত ক্ষেত্রমোহন সেনগুপ্ত বিদ্যারতু মহাশরের যুখে শুনি স্াছি,-নিপাহী-বিদ্রোহ্র মধয় অনেকগুলি আংত নিপাহী নংস্কৃত কলেজে ঘাশ্রয় লইয়াছিস। এই জন্ত বিদ্যাপাগর মগাশর ডাইন্কেরের অগ্মন্ত না] লইরাও মস্ত কণেজ বদ্ধ রাধিনাছিলেন। নিভিলিয়ন ই সাহেবের লহিত মনোবাদেহ ইহাও একটা কারণ। কোথাও কোথাও একশ জরনাশুব1 যায়, ইরঙ লাহেষ বিদ্যাসাগর মহাশয়ের উপর বিরক্ত হইর1, ত:হাকে পন্চাত করিবার জঙ্ক উহার দোষাখেশণে প্রবৃত্ব হইয়াছিলেন। শেধে তিনি এই দোষ পান যে. (বিদ্যা লাগর মহাশঘধ সবকা “লেকাকাং* ভিত! আ্বানার পুস্তক পুরিয়া, স্াপান্তরে পাঠাইয়াছিলেন। এ কথ! ছোট লাটকে শ্ববগন্ত কর] হয়। বিঙ্াঁদাগ! ম-শয় এ কথ1জানিতে পারির| আপনি পঙগত্যার করেন। আহি বু চে করিয়াও এ কথ! গ্রঘা। সংগ্রহ করিভে পারি নাই। এই জন্ম একবার আদেবিশব,স হয় ন|। বিশেষ বিদ্যাপামর মছাশয় অন্বদ্ধে উহা একেবারে ঘবিশ্ব.স্ত | কি করিয়। এমন কব] উঠ, তগবানই জানেন। | পদত্যাগ । ৩৭১ দুর্লভ; বিশেষ তোমার মতন এক জন বান্রালীর পরগতের পক্ষে। তুমি পদ পগ্ত্যাগ করিলে বটে 7 কিন্তু তোমার চলিবে কিসে?” বিদ্যাসাগর মহাশয় একটু হাসিয়া বলিঘ্লাছিলেন,--“আমি জানি, মানুষের সন্রমই জগতে দুর্শভ; চলিবার কথা কি বলি- তেছ? আমি যখন সংস্কৃত কলেজের সেক্রেটারী পদ পরিত্যাগ করিয়াছিলাম, তখন আমার কি ছিল? এখন তবুও আমার প্রনীত ও প্রকাশিত পুস্তকের কতক আয় আছে । বিদ্যাসাগর মহাশয়েয় এ পদ পগ্ত্যাগে, তাহার পরিচিত সরকারী কর্দচারিবর্ণ বড় ব্যধিত হইয়াছিলেন। সর্বাপেক্ষা দুঃখিত হইয়াছিলেন, তাৎক'লিক সেক্রেটরী সিল বিডন সাছেব। বিভন সাহেব বিদ্যাসাগর মহ'শয়কে প্রগাটু শ্রদ্ধা, ভক্তি ও বিশ্বাস করিতেন। বাঙ্গ'লীর মধ্যে বিদ্য|সাগর মহা. শয়ের সতত, আর কেহই বিডন সাহেবের বিশ্বাস-ভাজন ছিলেন না। তাহার একটা প্রকৃষ্ট প্র..ণ এই)--বিধবা-বিবাছের অইন গাশ হইবার পর ১৮৫৭ ধৃষ্টাবে লো'মহর্ধণ দিপহী-বিদ্োহ ঘটিত হয় কোন কোন অঞ্চলে ব্ধিব-বিবাহের আইনটা এই দিশ্াডী-বিদ্রে হের ক্কারণ বলিয়া নির্দেশিত হইয়া থাকে। সে কথা লইয়া এখানে তর্ক-বিতর্কের প্রয়োজন নাই। ভগবত” কূপা সেবিদ্রোহ প্রশর্মত হইলে পর, মহারাণীর অভয়বাণী ঘোষণাপত্র প্রকাশিত হয়। সেই ঘোষণা পত্র নান! ভাষায় অনুযাদিত হইয়াছিল। বিড়ন সাহেব, সেই হে'ষণা-পত্র ঙপ৭্ল২ বিদ্যামাগর। বাঙ্গালায় অনুবাদ করাইবার জন্য বিদ্যাসাগর মহাঁশয়কে পত্র লিখিয়াছিলেন। বিদ্যাসাগর মহাশয়ের পদত্যাগ করিবার একমাষ পুর্ধ্বে বিডন সাহেব নিম্মিলিখিত মন্ম্ে পত্র লিখেন)-. “আমার ইচ্ছা) আপনি খোষ্ণাপত্র বা্সালায় অনুবাদ করেন। আগামী কল্য ১১টার সময় আফিসে আসিলে ভাল হয়। কাগজ-পত্র গাঠাইবার নিয়ম নাই) নতুবা পাঠ।ইতাম। এ চিঠির মর্ম কাহীকেও বলিবেন না। আপনি যে ইহার ভর্জাম। করিতেছেন, এ কথ! কেহ যেন জানিতে না পারে।” ১২৬৫ সালের ৭ই কার্ভিক ১৮৫৮ সালের ২২শে অক্টোবর এই পত্র লিখিত হয়। ইছাতেই বুঝা যায়, বিদ্যাসাণর মহাশয়, বিন সাহেবের কিরূপ বিশ্বাম-ভাজন ছিলেন। অন্টাদণ অধ্যান্্। স্বাধীন জীবনের আভ।স, ওকাঁলতীর প্রবৃত্তি ত্যাগ, পিতামহীর মৃত্যু, পিভামহীর আাদ্ধ মন্ত্র গ্রহণে অপ্রবৃ নি, আচার অনুষ্টান, সংস্কৃত যন্ত্র ও ডিপজিটরী, পরোপকার ও উপক্কারে অকুতজ্ঞত|। সংস্কৃত কজ্জের প্রিন্দিপাল-পর্-পরিত্যাগ বিদ্যামাগরের পক্ষে ম্বলপ্রদ হইল। পরবন্তী জীবন-ঘটন1 তাহার প্রমাণ। পর পদ-মেবায় মানবজীবনের আয্মোত্কর্ষপাধন সহজ-সম্তব- পর নয়। রুদ্ধব্বার পিগ্ররে আবদ্ধ তুন্দর শকের ঘে অবস্থা) পরপদ-পেবী মানুষের অবস্থা তদতিরিক্ত নয় তো।। স্বাধীন প্রাণে স্বাধীন ভাবে কাধ্য-প্রমারণে কাধ্যবীরের যে শুবিধা, পরাধীন প্রাণে দে হুবিধ। নাই। স্বাধীন প্রাণ মুতপথে প্রধাবিত হয়। মানব-জীবনের উত্কর্ধ ও উন্নতি তাহাতেই; তযিনি যে পথে যাউন না কেন? মানুষ আপন বুদ্ধিবশে, এক পথ দিয়! পিক] স্বাধীন জীবনপ্রবাহে পার্থিব সখের চরম মীমায় পৌছিতে পারে; আবার অন্ত পথে গিয়ু। অপার্থিব সুখের অন্তিম পর্য্যন্ত পাইতে পারে । জংস্কত কলেজের প্রিন্নি- পাল'পদ পরিত্যাগ করিবার পর হইতে, বিদ্যাসাগর মহাশয় স্বাধীন প্রাণে কার্য করিবার শত পথ আবিষ্ষার করিয়াছিলেন। মে সকল পথ এহিক শ্রীতি প্রতিষ্ঠার সমাক্‌ অভিমুখীন্‌। , ৩৭৪ বিদ্যানাগর স্বাধীন ভাবে কাধ্য করিতে পাইয়াছিলেন বলিষা, বিদ্যাসাগর মহাশম আধুনিক সভ্য সমাজে পূর্ণ-প্রতিষ্ঠা লাভ করিয়া গিয়া- ছেন। যাব এ জগৎ তাবই তাহার প্রতিষ্ঠ]। সে প্রতিষ্ঠার একে একে পরিচয় লউন। বিদ্যাসাগর মহাশঘের ভ্রাত1 বিদ্যারত্ব মহাশয় নিযলিখিত বৃন্তাস্তটী লিখিয়াছেন,-- “যে সময় বিদ্যানাগর মহাশয় প্রিন্সিপাল পদ পরিত্াগ করেন, মে সময় কলিকাত। স্বপ্রিম-কোর্টের প্রধান বিচারক কল্বিন্‌ নাহেধ বিদ্য1- নাগর মহাশয়কে উকীল হইবার জন্য পরামর্শ দেন। বিদ্যাসাগর মহাশয় ভাহার পরামর্শানুমারে উকীল হওয়! যুক্তিসঙ্গত কি না, তাহ ছ্ির করি- বার জ্্ প্রত্যহ সকাল ও নন্ধ্যার নমর, তাঁৎকালিক প্রধান উকীল দ্বারকানাথ মিত্রের কার্যাবলী দেখিবার জন্য তাহার বাটীতে যাইতেন। ভিনি তথায় গির1 দেখেন যে, টাকার জন্ত হিন্দস্থানী মোজারদের নহিভ ছড়াহুড়ি করিতে হয়। দেখিয়! শুনিয়া! ওকালতী কর্ধে, তাহার ত্বণ। জন্মে। পরে তিনি কল্বিন্‌ পাহ্বেকে গিয়া আপনার অভিমত প্রকাশ করেন। কলবিনু সাহেব বলেন, “তোমার মত পথ্ডিত লোককে টাকার জন্ত মোক্তারদের নঙ্গে ছড়াছড়ি করিতে হইবে না তুমি ওকালতী কর।” বিদ্যানাগর মহাশয়ের মে কাধে প্রবৃত্তি হইল ন1। বিদ্যাসাগর মহাশয়ের গ্রামবাসী তদীয় পরম মেহভাজন শীমু্ত শশিভৃষণ মিংহ মহাশয় আঁমাকে বলিয়াছেন, প্বারফালাথ মিত্র কেবল মোকেলদেনস কাগজ-পত্র লইয়! ব্যস্ত থাকিতেন। কাহার পড়াশুনার পময় থাকিত পা1। বিদ্যাঁলাগর মহাশয় ইহ1 স্বচক্ষে দেখিয়াছিলেন | ষোকদ্দম! লইয়1 থাকিলে পড়াগুন1 হইবে ন1 ভাবিয়া, তীহার ওকালভী করিতে প্বৃত্তি হয় মাই 1” পিতামহীর মৃত্যু । ৩৭৫ আধুনিক আদালতের অনেক উকীলকেই যেটাকার জন্ত হুড়াহুড়ি মারামারি করিতে হয়, তাহাতে সন্দেহ নাই। বিদ্যাসাগর মহাশয়ের ভাপ এক জন শান্তিপ্রিয় ভ্তায়পরায়ণ ব্যক্তি ঘে সেটাকে দ্বণ। করিবেন, তাহা বল] বাছুল্য। কিন্তু দ্বারকানাথ মিত্রের ন্তায় প্রতিষ্টাবান্‌ উকীল কি টাকার জন্য মোক্তারদের সঙ্গে এক্নূপ হুড়াহুড়ি করিতেন এ কথাটা! মনে স্থান দ্বিতে কোনমতেই সহজে প্রবৃত্তি হয় না। শশিবাতু বাহা বলিয়াঞ্থেন, তাহাই এক্ষণে সম্ভবপর বলিয়! মনে হয়। বিদ্যাসাগর মহাশয় অমীম সাহসে মংমার-সাগরে ঝাঁপ দিলেন। তাহার পুস্তকের কতকটা আয় ছিল বটে: কিন্ত গণও বিস্তর ছিল। দানের তো ক্রুটী হয় নাই। ঞণেও বিদ্যাসাগরের অছৃত তেজস্বিভাঁর পরিচয়। সংস্কৃত কলেজের প্রিন্িপ।ল-পৰ্দ পরিত্যাগ করিবার অব্যব- হিত পরে, বিদ্যাসাগর মহাশয়ের পিতামহীর ৬গদ্ধা লাভ হয়। পিতামহীকে গীড়িতাবস্থায়ু বীরসিংহু গ্রাম হইতে আন্য়ন করা হইয়াছিল। এখানে ভাগীরথীতীরে সালিখা ঘ'টে ২, বিশ দিন মাত্র গন্গাজল পান করিয়া তিনি জীবিত ছিলেন। তাহার শ্রাদ্ধোপলক্ষে বিদ্যাসাগর মহাশয়ের বহু অর্থ ব্যয় হইয়াছিল । এতংসন্বন্ধে বিদ্র্যারত্ব পিখিয়াছে ন)_- “তাহার শ্াদ্ধাপি কার্যো বিধবা-বিবাহের গ্রতিবাদিগণ অনেকে *ক্রত। করিয়াও কৃতকার্য্য হইতে পারেন নাই। শ্রাস্থোপলক্ষে এ প্রদেশের ৩৭৬ বিদা'সাগর। বহুসংখাক ব্রাহ্মণ ও পণিতগণের লঙ্গাগম হইয়াছিল। জনেকে মনে করিয়াছিল, বিদা(নাগরের পিতামহীর আাদ্ধে কোনও ব্রাঙ্গাণ ভোজন করিতে আবিবেন না) তাহা হইলেই পিতৃদেব মলোছুঃখে দেশভগাশী হইবেন । বহার] এজ্প মনে করিয়াছিল, তাহার। অতি নিন্লোধ, কারণ আগ্রজ মহাশয় দেশে অবৈতনিক ইংন্রেজি সংস্কত বিদ্যায় স্থাপন কঠিয়াছিঙেন, প্রায় চারি পাঁচ শত বাপককে বিন] বেভলে শিক্ষা ও অমস্ত বালককে পুস্তক কাগজ শ্রেট প্রভৃতি প্রদান ঝকরিতেন। ইহা ভিন্ন ব'টীতে প্রভাহ ৬০টা বিদেশহ সন্ত্রস্ত ও অধ্যাপকদের বিদ্যাথর্ণ সন্তানগণকে অন্ন- বস্ত্র প্রদান করিয়া! অধ্যপ্সন করাইতেব। মধো মধ্যে অনেক ভিন্ন গ্রামের ছাঁত্রণণের চাকরি করিয়! দিতেন। দাতব্য ওউধধালর স্বাপন করিয়া- ছিলেন । ডাক্তার বিনা ভিজিটে গ্রামের ও লন্লিহিত গ্রামবাপদিগের ত্রবনে চিকিওলা করিতে যাইত | নাইট স্কুলের ছাঃগণের মধ্যে অনেকেই কলিকাভার বানায় অন্নবস্ত্র পাইয়া মেডিকেল কলেজে বিদাশিক্ষা করিয়া চিকিতমক হইয়াছিল । এতত্ব্যতীত অনেকেই অর্থাৎ কি ধনশালী 1ক মধ্যবিত্ত কি দরিদ্র নকল সম্প্রদায়ের লোক বিপদাপন্ন হইয়া আশ্রয় লইলে বিপর্দ হইতে পরিত্রাণ পাইত। চাদ প্রদান করিয়] বিশ্তুর বিদ।ালয় স্থাপন করিয়া লাধারণের অতিশয় প্রিয়পাত্র হইয়'ছেন। এব- শ্িধ লোকের শিশামহীর শ্রান্ধে কেমন করিয়া! শত্রপক্ষ বিগ জন্মাইতে পারে ?” শ্রান্ধে খিদ্ব ঘটাইবাঁর চেষ্টা না হইয়াছিল যে এমন নহে; কিন্তু উত্ত অংশের কথাগুপি অক্যন্ত সন্দেহোদ্দীদক, তৎপক্ষে সনেহ নাই। কোন হৃত্রে বিদ্য সাগর মহাশয়ের নিকট বাধ্য নহেন, এমন কোন প্রকৃত ধর্্াচারী শান্ত্রদশা খ্যাতনামা ব্রাহ্মণ-পণ্ডিভ শ্রাদ্ধোপলক্ষে বিদ্যাপাগর মহু-শয়ের বাড়ীতে পিভামহীর শ্রাদ। ৩৭৭ আহার করিয়াছিলেন কি না, লোকে ইহাই জানিতে ইচ্ছুক হয়। যাহাই হউক, বিদ্যাসাগর মহাশয় পিভামহীর সপিশু উপলক্ষে পিতাকে অনেক অর্থ-সাহাষ্য করিয়াছিলেন। বিদ্যাসাগর মহ'শদ্র আত্মীর পরিবারের স্ব-বিশ্বীসানুচিত কোন ধন্মা?্ষ্ঠানে কোনরূপ ব্যাঘাত করিতেন না; বরং আবশ্তকমত অর্থ সাহাধ্য কঠিতেন। এরূপ কার্য্ের ফলাফল-সন্বন্ে তাহার মতামত কেহই জানিতে পারিতেন না; কিস্তু কোনরূপ ব্যঘাত দেওয়া যে অকর্তব্য, তাহা তিনি অনেক জঅময়ই বলিতেন। পিতামহীর মৃত্যুতে বিদ্যাসাগর মহাশয় বড় শোকাকুল হই্লাছিখেন। পিত'মহী তাহাকে প্রাণাপেক্ষা ভাল বামিতেন। তিনিও পিতামহীকে অন্তরের সহিত শ্রন্ধা-ভক্তি করিতেন। বাল্য কালে কলিকাতায় বিদ্যাসাগর মহাশয়ের পীড়া হইলে, এই পিতামহী বীরসিংহ হইতে ছুটিয়' আসিয়', সেবা-শু-শষ। করিতেন) এবং রোগ অসাধ্য হইলে, সঙ্গে করি বাড়ী লইয়। যাইতেন। ফৌংনে কার্ধ্যাবন্থায়ও এই ভাব ছিল। বিদ্যাসাগর মহাশয় য| কিছু আদর-অ নদার, তাহারই নিকট করিতেন। তিনি বিদ্যামাগরকে এত ভাল বামিতেন যে, কোন গুরুতর বিষয়ের অবাধ্য হইলেও, তিনি বিদ্যাসাগরের উপর রাগ করিতেন না। বিদ্যাসাগর মহাশয়ের বংশে নিয়ম ছিল,--পিতা, মাতা, পিতামহ বা পিতামহী মন্ত্র-দীক্ষা দিবেন। বিদ্যামাগর মহাশছের পিতা বিদ্যাসাগর মহাশয়কে ঢুই একবার ৩৭৮ বিদ্যামাগর। মন্ত্ত দিবার প্রস্তাব করদ্প' বড় শ্ৃবিধা বিবেচনা! করেন নাই । হবতরা তিনি সে বিষণ্রে কান্ত হন। পরে ঞ্কাহার জননী ব্দ্যাসাগরকে মন্ত্র দিবার প্রস্তাব করেন। বিদ্য'সাগর বিবেচনা করিয়া লইব বলিয্জ।, ্গীকার করেন। একদিন পিতা- মহী পীড়াশীড়ি করাতে বিদ্যাসাগর মহাশয় মন্ত্রগ্রহণের একান্ত অব্যাহতি নাই ভাবিয়া, পিতামহীকে নানা যুক্তি প্রদর্শন করিবার প্রয়াস পান। মন্ধ্গ্রহণে বিদ্যাসাগরের ইচ্ছ1 বা মত নাই বুঝিয়া, পিভামহী আর মন্ত্র লইবার কথা বলেন নাই। বেশী বলিলে, পাছে প্রিয়তম পৌত্রের প্রাণে কষ্ট হুত্ু বলিয়া ন্নেহ-বাজসল্য-বঞ্চিতা বৃদ্ধ! পিতামহী ক্ষান্ত হইলেন। এমনই বাখ্সজ্য-বিমোহন ! * প্রপঙ্গক্রমে এইখানে বিদ্যাসাগর মহাশয়ের আচারান্ু- ষানাদি সম্বন্ধ ছুই এক কথা বলি। তিনি তো পিত মহ্ধীর নিকট মন্ত্র এহণ করেন নাই; পরম সন্ধ্যাহ্িক পুজাদিতেও গ্কাহার প্রবৃন্তি ছিল না। তবে অপর কাহারও সন্ধ্যাভিকক্রিয়। দেখিয়া তিনি নাসিকা হক্কুচিত করিতেন না। আপন পরিবারের মধ্যে কাহারও প্রতি তৎসম্বন্ধে তাহার নিষেধও ছিল না। বরত-স্বস্তযযুনাি ক্রিঘায় কেহ কখন তাহার নিকট বাধা প্রণ্ত হয় নাই। সন্ধযাুক-আচারানুষ্ঠানে বিরত থাকিলেও, হিন্দুর আচার-সম্মত খ.দ্যাখাদ্য সম্বন্ধে তিনি অনেকট। বিচার করিতেন । মুরণী, মদ প্রভৃতি অধাদ্য-ভোজী তাহার ফৌহার্দ, ডর প্রীযুদ্ত ছযুল]তরণ বসু »হাশয়ের মুখে এই বিষয়টা শু4নয়াছি। হস্কুত যন্ত্র ও ভিপজিটরী । ৩৭৯ সৌভাগ্য লাভ করিলেও) তাহাকে নিমন্ত্রণ করিয়া, কখন নিজের বাড়ীতে খাওড়াইতে প'রিতেন না। রাজকুঞ্চ বাধুর মুখে শুনিযাছি, কোন এক জন শর্তশালী ব্যক্তি, শ্যামাচরণ বাবু ও বিদ্যাসাগন্ল মহাশয়ের বন্ধু ছিলেন। তিনি অখাদ্য খাইতেন বলিয়া, শ্তমাচরণ বাবু ও বিদ্যাসাগর মহাশয়) তাহার বাড়ীতে কখন নিমন্ত্রণ খাইতে ষাইতেন না। এইবার বিদ্যাসাগর মহাশয়, স্বাধীনভাবে অর্ধোপ- ভ্নের পধ অবলম্বন করিলেন। সাহার সংস্কৃত যন্ত্র ও সংস্কৃত ডিশজিটনী তখন প্রধান ভরসা-্ছল। গেসে পুস্তক মুদ্রিত এবং ভিপজিটঠীতে নিজের ও অপরের পুস্থক বিত্রীত হইত বলা বাহুল্য, এই প্রেমে ও ডিপ্জিটগীতে অনেক লোকই প্রতিপালিত হইত। কিন্ত ক্রমে তিনি কোন কোন প্রতিপালিত কম্মচা্ার ব্যবহারে অসন্্ট হইয়া পড়েন। কাধ্যে বিশৃঙ্খ্তা বিলক্ষণ হইয়াছিল এবং হিসাব পত্রেও যথেষ্ঠ গোলযোগ ঘটিয়ান্িল। এই সব দেখিয়া, তিনি রাঁজকৃঞ্চ বাবুকে ডিপজি- টণীর কার্য পরিদর্শন করিবার জন্য অন্থুরোধ করেন। বাজকৃষঃ বাবু তখন ফোর্ট উইলিতুঘ কলেজে ৮* আশী টাকা বেতনে কশ্মন কণ্বতেন। ব্দয।সাগর মহাশয়ের অনুরোধে তিনি ১২৬৭ সালের ঠা পৌষ বা :৮৫৯ রৃষ্টান্দের ১৮ই ভিগেম্বর ফে ট উইলিয়ম কলেজ হইতে ৬ছয় মাসের অবসর গ্রহণ করিম্বা, ডিপলিটগীর কাধ্য তত্বাবধানে নিযুক্ত হন। এই ৬ ছ্প মাপের মধ্যে অসীম মধ্যবস্যা্স সহকারে কাধ্য নির্বাহ করিয়া, তিনি ডিপজিটরীর ৩৮০ বিদ্যাসাগর । অন্পূর্ণ শ্ুশৃঙ্খন! স্থাপন করেন। তখন হিগাবপত্রও একপ স্বশৃঙ্খল হুইয়াঞ্ছিল যে, আবশ্যকমতে সকল সমর আয়-ব্যয়ের অবস্থা জানিতে ক্ষণমৃহর্ত বিলম্ব হইত না। বিদ্যাসংগর মহাশদ্জের পিতা, রাজকফ বাবুৰ কার্ধ্য-প্রণালী সনর্শনে, এতাদৃশ সন্ত হইয়াছিলেন যে, তিনি গ্াহাকে ফোট উইলিঞম কপেজ পরিত্যাগ করিয়া, ডিপজিটরীরই কাধে স্থায়িরণে নিযুক্ত হইতে অনুরোধ করেন। বিদ্যাসাগর মহাশয়ও তাহ.কে মেই পরামর্শ দেন। অগত্য। রাজকৃষ্ণ বাবু ফোর্ট উইলিয়ম কলেন্গ পরিভ্তাগ্ন করেন। একার্য্ে তাহার বেতন হইল ১৫০২ দেড় শত টাকা। বিদ্যাসাগর মহাশয়ের মৌভাগ্যে এবং রাজকৃষ্ণ বাবুর প্রগাঢ় যত্ে প্রেম ও ডিপজি- টপীর কার্ধ; সবিশেষ সুশৃঙ্খলায়্ পরিচালিত হইয়া অনেকটা লাভজনক হইয়া দাড়াইয়ছিল। কিন্জঞ কেবল পরোপকারার্থ তাহাকে পরে এ প্রেসও বিক্র্ধ করিতে হইয়াছিল। সে কথা যথাস্থানে বলিব। রাজক্চ বাবু ধিদ্যাাগর মহাশয়ের আ-ফৌধন হুহদৃ। তাহার সর্ব্যাজীন শ্রীরৃদ্ধ-সাধনের মুলই বিদ্যাসাগর মহা” শয়। কৃতক্ত!-প্রকটনের ইহা? অন্যতম প্রমাণ। যে রাজকুঝ বাবুর বাড়ীতে বিদ্যানাগর মহাশয় অন্তরতম আত্মীয়ের ন্তায় আহার, শঙ্কন প্রভৃতি নিত্য ক্রিয়া সম্পন্ন করিতেন, যে রাজকুষ বাবু তাহাকে জ্যেষ্ঠ ভ্রাতার ন্যায় সম্মান ও শ্রন্ধ। করিতেন, যে রাজকৃষ্ণ বাবুর একটা শিগুকন্তার মৃত্যুতে বিদ্যাসাগর মহাশয় গরোপকার। ৩৮১ মৃতকল্প হইয়ছিলেন, * যে রাজকুষ্চ বাবুর জননী বিধ্য- সাগরকে পুর্ব স্নেহ করিতেন, সেই রাজকুষ্ণ বাবুর উন্নতি বিধান করা) বির্যাসাগরে বিচিত্র কি? কেবল রালকৃঞ্ক বাবু কেন, বিদ্যাপগর মহাশর কত লেকের চাকুরী করিয়া দঘা- ছেন, তাহার গণন। হয় কি? রাজকৃষঃ বাবু তে। খনিষ্ঠ-ঙ্গাত্ম- সম্পকী, কত দূর সম্পকীয় অজানিত লোক তাহাই প্রসাদে চাকুণী পাইনা, অন্নস"স্থান করিয়া লইত। ছুঃখের বিষয়, বিদ্যাসাগর মহাশয়ের প্রমাদে ধাহারা 'টাকুটী লাভ করিয়াছিজেন, তাহাদের মধ্য অনেকেই অকুতজ্ঞ। এমন কি অন! কোন উচ্চপদন্থ যশধী ব্যক্তি, তাহার সঙ্গে 'যেন্ধূপ ব্যবহার করিক্বাছ্িলেন, তাহা শুনিলে জজ্জ' ঘৃণাঘ মর্াহত হইতে হন্ব। এক ব্যক্তি বিদ্যাসাগর মহাশয়কে 'চাকুণীর জন্ত ধরিয়াছিঙস। তখন এ যণন্সী ব্যক্তি উচ্চপদস্থ সরকারী কর্মচারী । এই উদ্চ পন বিদ্যাসাগর মহাশক্জের প্রা- দেই প্রাপ্ত । তাহার অধীনে চাকুরী খালিছ্িল। যে লোকটী চাকুণীর জন্য ধরিয়াগ্ছিল, দে বিদ্যাদাগর মহাশঘষের নিকট * রাভকৃ্ বাবুর এই কন্ত'টীর মৃত্যুতে ব্দি1সাগর মহাশয় শোকো- ইশীয় বূঘন বৈশাখ মানের “মাহিতে)” প্রকাশিত হইয়াছিল। ইহ] প্রভা ধ্তী-দন্ভাষণ” নামে পুন্দকীঁকারে মুদ্রিত ও প্রকাশিত হইয়াছে। গদ্যে ইহ করুণাপ্রক্ক কাব্য । পড়িতে পড়িতে চক্ষের জল নংবরণ কঃ] বান না। প্রভাবত্ী কি করিত, কি বলিত, কি থাইত্ব ইত্যাদি কবিত্তায় ভাষায় পিধিত। ইছ। কাব্য-রচনা-শ.ক্তমত্তার পরিচম্ম। ৩৮ বিদ্যান'গর | হইতে -উক্তপদস্থ বাবুর নামে এক সুপারিস্‌ চিঠি লইয়া, একদিন বাবুর চাকুরীশ্থানে, তাহার বাসায় যাইয়া উপস্থিত হন। তধন বাবু ইয়ারবর্ণে পরিবেষ্টিত হইয়া, সোফায় বমিয়া, আলবোলায় তামাক খাইতেছিলেন। লোকটা সেই সমদ্র তাহাকে বিদ্যাসাগর মহাশয়ের লিখিত চিঠিখানি দেন। বাবু তাষাক টানিতে টানিতে একটু মৃছু হামিলেন। ইঘ়ারবর্গ জিদ্জা্া করিণেন, ব্যাপার কি? বাবু বলি" লেন, *ব্যাপার আর কি, বিদ্যাসাগর ব্যবসায় ধরিয়াছে। চাকুরী ক'রে দা৪ ”) বানুর কথা শুনিয়াই উমেদার অবাকৃ। কোন কথাঙী ন। ব্লিয়াই তিনি তথা হইতে চলিয়। আসেন ; কিন্তু লক্জায় বিদ্যাসাগর মহাশয়ের সহিত আর সাক্ষাৎ করেন নাই। জহদা একদিন সাক্ষাৎ হয়। সেই সাক্ষাতে বিদ্যামাগর মহাশরঘ বাবুর অকুতজ্রতাঁর পরিচয় পান। অন্য এক সমগ, কোন সরকাদী আফিসে চাকুরী খালি হইয়াছিল। আফিসের যে বিভাগে চাকুরী ধালি ছিল, বাগ- বাজারের ৬ প্রিক্ননাথ দন্ত দেই বিভাগের বড় বাবু দ্িলেন। পুর্বে যে ব্যক্তি বিদ্যাপ্লাগর মহাশয়ের নিকট হইতে উচ্চপদস্থ বাবুর নামে চিঠি লইফাছিলেন, ইনি এক্ষণে এই চাকুগীর জন্য প্রিয় বাবুর নামে চিঠি লইবার জন্য বিদ্যাসাগর মহাশঘের নিকট যান। প্রিয় বাবু দহিত বিদ্যাসাগর মহ'শয়ের আদ আলাপ-পরিচয় ছিল না। সেই জন্ত তিনি পত্র দিতে ইতস্ততঃ করেন। কিন্তু লোকটার নিতান্ত পীড়াপীড়িতে পত্র না দিয়া ' উপকারে অকৃতজ্ঞত। | ৩৮৩ থাকিতে পারেন নাই। লোকটী চিঠি লইয়া, প্রিয় বাবুর নিকট যান। আফিনে পাঁচটা চাকুরী খালি ছিল। কিন্তু এই কয়ুটী চাকুরীর জন্ত পরীক্ষ। দিণর নিয়ম হইয়ান্িল। প্রিয় বাবু লোকটাকে পরীক্ষা দিতে বঙেন। লোকটা সম্মত হন। পরীক্ষায় কিন্ত তিনি সপ্তম হইয়াহছিলেন। বিদ্যাসাগর মহাশফেের কথ। রক্ষা হয় না ভাবিয়া, প্রয় বাবু অত্যন্ত কাতর হন। অবশেষে কর্তৃপক্ষকে বলিয়া কহিয়া, তিনি আর দুইটা নৃতন পদ বাড়াইয়া সন। ইহার একটা বিদ্যাপাগর মহাশষেষ লোক প্রাপ্ত হন। বিদ্যাসাগর মহাশয় পরে এই অংবাদ পাইয়া বলেন, "বিচিত্র মৎসার ! আমি যাহার প্রকৃত উপকার করিয়াছি, সে আমার কথ। রাধিল না, আর উপকার করা ত দুয়ের কথা, ধাহার সহহুত আলাপমাত্র নাই, তিনি আমার মর্য্যাদা রক্ষা । করিলেন ।” এই কথ! বলিয়াই বিদ্যাসাগর মহাশয়, তদত্ডেই বাগ- বাজারে গিয়া, প্রিয় বাবুর সহিত আলাপ করেন। * আর একবার বিদ্যাসাগর মহাশয় একটা লোকের চাকুরী করিয়া দিবার জন্য একটী লোককে অনুরোধ করিতে যান। এই ব্যক্তি বিদ্যাসাগর মহাশয্পেরই চেষ্টায় একখানি সংবাদ- পত্রের সম্পাদক হইয়াছিলেন। বিদ্যাসাগর মহাশয়ের অনু- ০০ ৫৯ * অীযুক্ত স্বানন্দবকৃষঃ বসু মহাশয়ের নিকট এই কথ! শুনিয়াছি। ইহইারই নিকট লঙ্কান লইয়া, বিদ্যানীগর অহাশয় প্রিয় বাবুর নহি জাপাপ করিতে যান! ৩৮৪ বিদ1লাগর। রোধ গুনিয়াই, ইনি বলিঘাছ্িলেন,_*এমন ছনুরোধ করিবেন না। এখন আমি সম্পাদক, আমি যদি সাহেব-শুভোকে অনুরোধ করি, তাহা হইলে, স্বাধীনভাবে আর লেখা চলিবে না,” বিদ্যাপ গর মহ'শয় এই কথা শুশ্রাই চলিয়ী অ.সেন। তিনি ধখন অনুরোধ করিতেছিলেন, সেই সময় তথা কোন সগদাগর আফিণের সনর মেট উপশ্থিত ছিলেন। বিদ্যামাগর মহাশয় চলিয়া আপিলে, এই ষদর- মেট বাবুটাও তাহার সঙ্গে চলিয়া আমেন। ইনি পধিমধ্যে অতি বিনরু-বাক্যে বিধ্যা- সাগর মহাশব্রকে বলেন,_্থহাশয় ! লৌকটার ২০ টাকা মাহি- নার চাকুরী হইলে চলিবে কি তাহা যদি হয়, আমার অধীনে এক্টী চাকুরী আছে, অমি তাহা! আপনার লোককে দিতে পারি ।১ * সদূর-মেটের সৌজন্তে বিদ্যাসাগর বিস্মিত হইছ্া, উপকৃতের অকৃতজ্ঞতা ন্মরণে একটু হাস্ত করিলেন। তিনি সদ্দর-মেটের মহত্বের প্রশংসা করিয়া, তাহারই কখামতে আপনার লোকীকে ত্াহারই আফিসে পাঠাইতে সম্মত হুন। ূ এরূপ অকৃতজ্ঞতার বহু প্রমাণই পাওয়া বায়। কেহ নিন্দা করিয়াছেন শুনিলে বিদ্যাসাগর যহাশত্র বলিতেন _- “মে কিরে, আমার নিন্দা! আমি ত তাহার কোন উপকার করি নাই * পণিভবর শ্রীযুক্ত রামনর্বগ্ব বিদ্যাভূষণ মহাশয়ের মুখে এ কথা শুনিয়াছি। উপকারে অকৃতজ্ঞত| ॥ ৪ তিশি প্রায় বলিতেন”_তিনি বাহার যত উপকার করিয়াছেন, তাহার নিকট তত অধিক ্রত্যপকার প্রাপ্ত হইয়াছেন। * উপকাণীর প্রত্যুপকার কর! দূরের কথা, উপকারীর অপকার করার দৃষ্টান্ত, এ কলুষময় কলিকালে চারিদিকে দেদীপ্যমান। দির কারার বরাত * মাধিত্রী লাইব্রেরীর চতুর্দশ অধিবেশনে প্রযুক্ত হীরেশ্রমাথ দত্ত এম" এ, বি, এল, মহাশয় কর্তৃক পঠিত প্রবন্ধ । সি ৩৩ একোনবিংশ অধ্যায়। বিধবা-বিবাহে খণ) বিধবা-বিবাহ নাটক, দান-দানিব্য, ইংরেজী স্কুল, কৃতজ্ঞতা, হিন্দু পেটরিয়ট, মোম- প্রকাশ, বর্ধমানরাজের সহিত ঘনিষ্ঠতা, সোম- প্রক।শে বিদ্যাভূষণ ও সংবাদ-পত্রের সংক্ষিপ্ত বিবরণ। বিদ্যামাগর মহাশয় যে বৎসর সংস্কৃত কলেজের প্রিন্মিপান- পর্দ পরিত্যাগ করেন, জেই বৎমর তিনি ছগনী জেলার মধ্যে কতকগুলি গ্রামে নিজ ব্যয়ে ১৫ পোনেরটা বিধবার বিবাহ দি.।- ছিলেন। অনেক পুনর্ধিবাহিত বিধবাদের ভরণ এবং সংরক্ষণ জন্ত তাহাকে অনেক অর্থব্যয় করিতে হয়। ইহার জন্তু তাহাকে ধণগ্রস্ত হইতে হইয়াছিল। থণ করিয়াও তিন দীন- হীন খনীর খণ পরিশোধ করিতেন, স্বয়ং ধণএরস্ত বটেন; বিদ্ব দানে যে তিনি মুজ-হত্ত। দয়! বা দানে এতাদৃশ অসংঘম বিজ্ঞজনমন্মত হে; অধিকত্ত ইহা সংসারীর অন্ত্রাস- কারী। অসংযম কিছুতেই ভাল নহে। বিদ্যাসাগরের ন্তান় বিচক্ষণ বুদ্ধিমন্‌ ব্যক্তি যে তাহা বুঝিতেন না, তা.কেমন করিয়া বলিব? কিন্তু তাহার দান ও দয়া এইরপই ছিল। হয়ছে তিনি কোন নৈসর্গিক শক্ষিবলে বুঝিতেন, খণ যতই হউক, পরিশোধের পথ পরিক্ষার করিব; অথবা স্বভাব-দাতার পথ তগবৎকৃপায় আপনি পরিষ্কৃত হইয়। পড়ে; বন্ততঃ বিদ্যা: বিধবা-বিবাহু নাটক। ৩৮৭ সাগরের দান ও দয়ার কথা ভাবিলে কি যেন একটা এন্্র- জালিক ব্যাপার মনে হয়। এই জঅময়েও বিধবাঁবিবাহ সম্বন্ধে তুমুল আন্দোলন চলিয়া- ছিল। এই আন্দোলন সতত প্রজলিত রাখিবার জন্য নান! দিকে নানা উপাপ্প উদ্ভাবিত হইয়াছিল। এই উদ্দেশ্টে হাই- কোটের ভূতপুর্ত্ব জজ মাননীঘ্ যুক্ত রমেশচন্ত্র মিত্রের জ্যেষ্ সহোদর ৮উমেশচন্দ্র মিত্র “বিধবা-বিবাহ” নাটক রচন| করেন। এই সম অর্থাৎ ১৮৫৯ হৃষ্টাৰের প্রারস্তে ইহার অভিনয় হয়। ৬একেশব্চল দেন এই অভিনয়ে “স্টেজ ম্যানেজার” এবং বাবু নরেনাথ সেন, বাবু প্রভাপচন্্র মজুমদার, ৬কুষ্খবিহাঁরী সেন প্রস্ততি অভিনেতা ছিলেন। বিদ্যাসাগর মহাশয়ের ধিয়েটর দেখিবার প্রবৃত্তি ছি না। একবার একাত্ত অনুরোধ এড়াইতে না পারিয়া, তিনি বেলগাছিয়ায় পাইকপাড়া রাজ-বংশ কর্তৃক অনুঠিত নাট্যাভিনয় দেখিতে গিয়াছ্িলেন। বর্তমান প্রসিদ্ধ নট-কবি শ্রীযুক্ত গিরিশচন্ত্র ঘোষ দ্বপ্রণীত সীতার বনবাস বিদ্যাসাগর মহাশয়ের নামে উত্সর্গ করিয়া, তাহার অভিনয়ু দেখাইবার অন্ত বিদ্যাসাগর মহাশয়কে অনুরোধ করিয়াছিলেন । বিদ্যাসাগর মহাশয় সে অনুরোধ রক্ষা করিতে পারেন নাই। কিন্ত তিনি বিধবাঁবিবাহের অভিনয় একাধিক বার দেখিয়া- ছিলেন এবং এ সম্বন্ধে উত্সাহ দ্দিতেন। অভিনক্ষ দেখিতে দেখিতে চক্ষের জলে তাহার বক্ষঃস্থল ভাসিয়া বাইত। * ক₹ 1116 01010967200. 108০7 0 05 20০0871979৩ ৮৮ বিদ্যাসাগর | বিধবা-বিবাহ-প্রচলনের জন্য যিনি প্রাণাস্তপণ, বিধবা-ধিবা" হের আন্দোলনোদ্দীপক অভিনয় বলিয়াই ত তাহার এত সহানুভূতি ছিল। কলেজের চাকুরী নাই, আয়েরও নূতন উপায় উদ্ভাবিত হয় নাই ; অথচ খণ অনেক ; এমন অবস্থায় বৈচিনিবাসী গোকুল- চাদ এবং গ্রোবিনটাদ্র বন্থ নামক ছই ভাই আসিক্া, বিদ্যাসাগর মহাশখকে বলিলেন-“নীলকমল বন্দ্যোপাধ্যায় * আমাদের বসতবাটী ক্রোক করিতে সংকল্প করিজাছেন; আপনি রক্ষা করুন।” বিদ্যাসাগর শরণাগতের কাতর ক্রন্দনে ব্যথিত হইলেন। তিনি তখনই নীলকমল বাবুকে ১০০২ এক সহজ টাকা দিয়া বন্-পরিবারের বাস্তভিটার উদ্ধার করিয়া! দেন। রাজকৃষ্ণ বাবু আমাকে বলিয়াছেন, তিনি ভিপজিটরীর কার্য পরিত্যাগ করিলে পর, বিদ্যাসাগর মহাশয় গোকুলটাদ্দ বাবুকে ৫» পঞ্চাশ টাকা বেতনে সেই কাধ্যে নিযুক্ত করিয়াছিলেন। বিদ্যাসাগর মহাশষ গ্রোকুলটাদের মত কত বিপন্ন ব্যক্তির দ্ায়োদ্ধার করিক্জাছেন, তাহার সঠিক সংবাদ সংগ্রহ করা বড় ছুঃসাধ্য ব্যাপার; কেন না তিনি ঢকা'শব্দে গগন-মেদিনী 17005621262) 1১21701 192, 01080018197 98868708206 27076 01080 0006 800. 17200/-116720650. 88 176 18) 95 10)0৮60. 10 09098 ০1 685,150 800. 0198 01017065 07 165109 017075067 96. 77 15:05 210295057 ৮, 114-771106. * নীবকমল বন্দ্যোপাধ্যায় বজকৃফ বাবুর হাত। দান-্দাক্ষিণ্য। ৬৮৯ ফাপাইয়া, দান করিতেন না; অনেক সময়, তিনি অনেককেই এক কালেই দান করিতেন ; কিন্ত সে গব প্রান্ুই লিপিবদ্ধ করিতেন ন!। তবে রাঁজকষ বাবুর ন্যায় ন্থু এবং ভ্রাতৃবর্ণ যেমব দানের কথ! জানিতে পারিতেন, তাহা সঙদ্ধে অমদ্ধে লোকপরম্পরায় প্রকাশিত হইস্বা পড়িত। যে সময গোকুলউদের বাস্তভিটার উদ্কাতদাধন হবু, সেং লময় শ্যামাটতণ বন্দ্যোপাধ্যায় নায়ক এক ব্যক্ধির ৫৭০ পাচ শত টাকার দেনার দায়ে বাটা নীলাম হইবাঁর উপ্ক্র্ রাহ! ব্ন্দ্যোপাধ্যান্স অহাশঙ্ব বিদ্যাসাগর মহাশয়কে ছিত দাদ জানাইলেন। বিদ্যাসাগর মহাশয় কবি | মি উহাকে ৫০০ পাঁচ শত টাকা দ্ব'ন করেন। একটা মহতর দাল ও দার পরিচঙ্গ এইখানে দিই। হাজকঞ্* বাবুকে জিজ্ঞানা করিলেও, তিনি ইহার মুলতত্ত স্বরণ করিয়া বলিতে পারেন নাই। ইহা বিস্তৃত বিবরণ, ধিদ্যারত্ব মহাশদ্ধের লিখিত জীবনচরিতে হিনিত আছে। “আমাদের বাটার সন্নিহিত * বাধানগরনিরাসী জমিদার ৬ বৈদ্যনাথ চৌধুরী এ প্রদেশের মধ্যে আদ্দান্ত ও মান্তপ্ণ্য জর্দ্দার ছিলেন। তাবু ঘমাপ্রমাদ রায়ের নিকট ইনি জমিদারী বন্ধক রাখিয়া পর্চাশ হাজার টাক! খণ গ্রহণ করেন। ইইার পুজ্রও+ ২৫ পঁটিশ হাজার টাকা লইয়াছিলেন। এই পাত্র হাজার টাকার কিস্তিবন্দী করিতে যাইয়! যাতু শিবনারাকণ পপ পিপপপপপস্পীন। * এই রাধানগর ক্ষীরপাই-রাধানগর বলিয়। খ্যাত 1- গ্রন্থকার । 1 হ্রিনারায়ণের পুত্রের নাম শিবনারায়ণ চৌধুরী ।-গ্রন্থকার । ৩১৩ বিদ্যামাগর। চৌধুরী, কলিকাঁভাঙথ রায় মহাশদের দণ্তবধানার পর্ব প্রাপ্ত হম। উহার পুত্র্বক্ন রমাপ্রনাদ বাবুর নিকট কাদিয়! পদানত হইলেও উক্ত রায় মহাশয়ের অন্তঃকরণে দয়ার উদ্রেক হইল ন1| অনন্তর ক্ষীরপাঁই রাঁধানগর- নিবামী মৃত শ্রিবনারাক্সণ চৌধুরীর পুক্রদ্বয়্ এবং মুত সদানন্দ ও শিষলারারণ চৌবুত্রীর বিধব1 পতী, ইহারাও কলিকাতায় বিদ্যাসাগর মহাশয়ের নিকট যাক রোদন করিতে লাগিলেন । ইহাদের রোদনে অগ্রজ মহাশয়েরও চক্ষে জল আমিল। ইহার! রমাপ্রণাঁদ বাবৃত্র ভয়ে তাহার বাটা পরিত্যাগ করিয়া, খিদির্পুরস্থিত পদ্মপুকুরের ধর্খদাদ কেরাণীর ভবনে গুপ্তভাঁবে প্রায় চারি মানকাল অবাস্থতি করেন। অগ্রজ ইহাদিগকে খণজাল হইতে মুক্ত করিবার চেষ্টা করেন। ধাহার নিকট টাকার স্থিত করেন, রমাপ্রলাদ বাবু ভাহাঙ্গিগকে টাকা দিতে নিবারণ করিক্সা দিতেন। তজ্জঞন্ত কলি- কাতার মধ্যে কোন মহাজন টাক] ধার দিতে অগ্রসর হয় নাই। অবশেষে রাজা প্রতাপচন্্র নিংহের আঁআীয় বাবু কালিদান ঘোষ মহাশয়ের নিকট গঞ্চাশ হাজার টাক1 ও অন্ক এক ব্যক্তির নিকট পঞ্চাশ হাজার টাক1 সংগ্রহ করিয়া ট।ক1 ধিলেন? কিন্ত মহাজন উক্ত রায় মহাশয়, ট(ক] গ্রহণ করিতে অন্বীকৃত হইজেন। কারণ,তিনি তাহাদের জমিদারী লইবার দৃঢ় সংঙ্ষরর করিয়াছিলেন, সুতক্নাং অগ্রজ মহাশয় স্ুইন্হো! কোম্পানীর বাটাতে গতি- বিধি করিয়| অখিজন্যে টাক জম| দিয়, উহাদিগকে রমাপ্রসাদ বাবুর নিকট ঝণদায় হইতে.অব্যাহতি করিয়া দেন। অগ্রজ মহাশয় রাধানগরের চৌধুণী বাবুদের জমিদারী রক্ষার জন্য ক্রমিক ছয় মান কাল নাল! স্থানে নিজের প্রায় ছই সহ্ত্র মুদ্রা ব্যয় করিয়া কৃতকার্য হইয়াছিজেন। তিনিও রমাপ্রনাদ বাবুর হস্ত হইতে উহাদিগকে পরিত্রাণ করিয়া দেশস্থ লাধা রখের নিকট বিলক্ষণ প্রশংসাভাজন হইয়াছিলেন। কিন্ত এই জন্য তদবধি বাবু ম্বমাপ্রলাদ রায়ের সহিত অগ্রজের ধনান্তর হইয়াহিল। জভঃপর কয়েক ব্নর চৌধুত্রী ধাঁবু পরম স্ুণে কালাঁতিপাত্ত' করেন। ইংরেজী স্কুল । ৬৯১ ছু'খের ব্ষ্ এই, ভ্রাতৃবিরোধ ও বন্দোবস্ত না হওষ্বাতে ছুই এক মহাজন পরিষত্ধের পর এ সম্পর্ডি ক্রোক্ষে নীলাঁমে বিক্রয় হয়। তন্নিবন্ধল উহাদের কই উপস্থিত হইল । মুত শিবনারায়ণ চৌ:ক'র পতী ও. সদানন্দ চৌবুরীর পত়্ীকে মাসিক ব্যয় নির্বাহার্থে অগ্রজ মহাশয় প্রতি মাসে গ্রাত্যেকক্ষে সমান ভাবে ৩০ টাকা মামহার! প্রেরণ করিতেন। কিছুদিন পরে মোনপুরের কাশীলাথ ঘোশ ৮.. শত টাকার জন্য উক্ত চৌধুবীদের নামে অভিযোগ করিয়। নাণিন কগ্গিণে আমি উক্ত মহাশক্সদের জনরোধে কাশীনাখ ঘোষের নহিত ১৫০ টাকায় রফ1 করিয়, দাদার নিকট এ টাক! লইয়া উক্ত বিষয় খোলল। করিয়] দিয্লাছিলাম 1৮ কলেজের চাকুরীকালে কর্তব্য াবিষা শিক্ষার উন্নতিকল্সে বিদ্যানাগর প্রাণপণ করিতেন। চাকুরি পরিত্যাগ কগ্য়াও তং্পক্ষে এক মুহ্র্তের জন্যও তিনি খঁদাঙ্গান্ত প্রকাশ করেন নাই। বরং সে সম্বন্ধে স্বাধীন ভাবে কাধ্য করিবার প্রশস্ততর পথ প্রাপ্ত হইয়া, দবিগুণতর উৎসাহ ও উদ্যমে আত্ম-উৎসর্ণ করিয়া- ছিলেন। ইংরেঙ্গা শিক্ষার স্ুবিস্তর সংপ্রসারণে দেশের প্রকৃত মঙ্গল সাধন হয়, এট! অবশ্ঠ বিদ্যানাগর মহাশয়ের হুদ ধারণা ছিল। সেই জন্ত কি পরাধীন অবস্থা, কি স্বাধীন অবস্থা) মর্ধাধস্থাতেই তিনি ইংরেজী শিক্ষার সতপ্রসারণ-সংকলে আত্ম- প্রাণ নিয়োজিত করিতেন। ইংরেজী আদর্শে গঠিত চরিত্রবান অনেকেই ইৎরেজী শিক্ষা-বিস্তারে চেষ্টা করিয়াছেন ; কিন্ত বিদ্যামাগরের মত কৃতকার্য ক জন? চাকুরীকালে তিনি নেখন নানা "্থানে নানা স্কুলের প্রতিষ্ঠা করিয়াছিলেন, চাকুরী ধাইবার পরও তাহার যন্ধে এবং অর্থব্যয়ে নানা স্থানে সুল ৩৯২ বিদানাগর। প্রতিষ্তিত হইয়্াছিল। আপন আর্থিক উন্নতি মাঁধন অপেক্ষা এ কাধ্যকে তিনি জীবনের অধিকতর কর্তব্য বিবেচনা করি- তেন। তাহারও পরিচয় পদে পদে পাইবেন । চাকুরী পরিত্যাগ করিবার পর প্রথমতঃ ১২৩৫ সাল ২৯মে চৈত্র শুক্রবার ব। ১৮৫৯ শ্ঠানের ১1 এশ্রিল বিদ্যালাগর মহাধ্য়ের হতেও উদ্যোগে মুর্শিদাবাদের জভ্ত/ত কান্দগ্রামে একটী ইৎরেছী ও সংস্কৃত ছল প্রতিটিত হয়। কান্দীগ্রাম পাইকপাড়া রাজবংশী বাজ প্রতাপচত্র সিংহের জন্মস্থান । রাজা বাহাছুরেরাই আপন ব্যয়ে সুধের প্রতিটা করেন) কিন্ত ব্দ্যাসাঁথরের সম্পর্ণ উত্তেজনাগ়। স্বএৎ বিদ্য।জ গর মহাশ এই স্কুলের তত্বীবধায়ক ছিলেন। ই মই রাজা প্রতাপনারায়ণের সহিত বিদ্বা, সাগর মহাশয়ের সবশেষ সাব জংগ্বাপিত হয় । সিংহ রাঙ্পরিবারও এক সহ্য শ্দ্যাসাগরের নিকট যথেষ্ট উপকার ও স.হাধ্য গাইয়াছিলেন। বিদ্যাসাগরের ম্বভাবসিদ্ধ সরলতা এমনই মোহকরী আকর্ধনী শক্তি যে, একবার স্কীহার সহিত ধাছার আলাপ-পরিচয় হইত, তিনি তাহার হুদয়ে অঙ্ধিত হইযা থাকিতেন। এই সময়ে, এই কান্দীগ্রাষে বিদ্যাসাগর মহাশয়ের পূর্ব" আশ্রয়দাতা / জগদ্রভ সিংহের কন্তা শ্রীমতী ক্ষেতমণি দাসীর সহিত: আাক্ষাৎ্ৎ হয়। ক্ষেত্রমণি রাজ্জ-পরিবারের র জবাটার তাঁগিনেয়-বধু। রাঁজব।টার ভাগিনেয় লালমোহন শ্বোষ হার স্বাধী। বিদ্যাসাগর বাটীতে গিয়াছেন শুনিয়া, শ্রীমতী হিন্দুপেটরিয়ট। ৩৯৩ ক্ষেত্রমণি তাহার সহিত সাক্ষাৎ করেন। নানা কারণে ক্ষেত্রমণির অবস্থা বড়ই হীন হইয়াছিল। বছ দ্বিনের পর সেই দীনহীনা ক্ষেত্রমণিকে দেখিয়া বিদ্যাসাগর জহাশস চক্ষের চলে ভাজিয়া গিয়াছিলেন। তিনি ক্ষেত্রমণির প্রার্থনায় মালিক দশ ১০ দশ টাকা বৃত্তি বরাদ্দ করিয়া ঘ্বেন। বিদ্যাসাগর গুণী ও গুণগ্রাহী। ইহ-সংসারে সকল গুণীরই গুণনির্ণঘে শক্তি থাকে না। সেশক্তি যে অন্তর্ভেদিনী হৃক্ষা- দৃ্টর অন্তর্ভহা। বিদ্যাসাগরের দে শঞ্জি অতুলনীয়প। চাকুরী- কালে তাহার বহু পণিচয় পাইয়াছি। স্বাধীন অবন্থায় হিশ্পেটরিয়টের সম্পাদক-নিয়োগেও তিনি সে শক্তির প্রৃষ্ পরিচয় দিয়ছিলেন। ৯২৬৮ সালের ১লা আষাঢ় বা! ১৮৬১ খ্বষ্টাব্দের ১৪ই জুন শুক্রবার বেলা ৯ নয়টার সময় হিন্দুপেটয়রিটের দ্বত্বাধিকারী ও সম্পাদক স্ুলেখক হুরিশ্চন্্র মুখোপাধ্যাক্ের মৃত্যু হয়। ্ বৎসরে ১২৬৮ সালের ১১ই শ্রাব্ণ বা ১৮৬১ খৃষ্টানদের ২৫শে জুলাই পেটিয়ট কার্য্যালয় ভবানীপুর হইতে কলিকাতায় উঠিয়া আইসে। বাবু কালীপ্রসন্ন মিংহ ৫-০, পাঁচ হাজার টাকা দিয় হিন্দুপেটরিয়টের সত্ব ক্রয় করিয়া, ইহ! পরিচালিত করিয়াছিলেন। কিন্তু এরূপ অবস্থায় তিনি বেশী দিন রাখিতে পারেন নাই। অবশেষে তিনি বিদ্যাসাগর মহাশয়কে হিন্দুপেটফ্রিটেয় ভারার্পণ করেন। এই সময় বাবু কৃষ্দান পাল মহাশয়, "কৃটিস ইতডিয়ান আমোলিক়েসনে”র কেরাতী ছিলেন। বিদ্যাসাগর মহাশয় ৩৯৪ বিদ্যাসাগর | তাহাকে উপযুক্ত বিবেচনা করিয়া, হিশ্ৃপেটরিয়টের জম্পাদক- পদে নিযুক্ত করেন। কষ্ধদাম পাল কেবল সম্পাদক নহেন; স্বত্বাধিকারীও হইলেন। ইহার জন্ত তাহাকে এক কপর্দকও ব্যয় করিতে হয় নাই। উদীপুমান লেখক কষ্*দাসের প্রতি বিদ্যাসাগরের এরূপ অসভ্তব বিশ্বাস-প্রীতি দেখিয়া সেই সময় অনেকেই চমকিত হইয়াছিলেন। দীর্ঘদশী বিদ্যামাগরই বুঝিপনাছিলেন, কৃষ্ণদাস এক জন শক্তিশালী প্রতিভাসম্পন্ন পুরুষ । কৃষ্ণদাসের অশেষ শক্তিসম্পন্নতার অনুভবে বিদ্যা, সাগর ঘে আপনারই সুভীক্ষ শক্তিসম্পন্নতীরই পরিচয় পিয়া" ছিলেন, তত্কাপে তাহার আত্মীয় বন্ধুবান্ধবেরাও তাহা বুঝিতে পারেন নাই ; কিন্ত পরে কষ্*দাসের অসীম শি- শীলতার অকাট্য প্রমাণে তাহাধিগকেও জজ্জায় মত্তক অবনত করিতে হইয়াছিল। প্রিন্সিপাল-পদ পরিত্যাগ করিবার বৎসর ছুই পূর্বেও বিদ্যাসাগর মহাশয় কেবল পরপোকারার্থ “সোমপ্রকাশ” প্রকাশ করিয়াছিলেন। এক দিন সারদাপ্রসার্থ গঙ্গোপাধ্যায় নামক এক ব্রাহ্মণ তাহার নিকট আঙিয়া স্ল-নয়নে বলিলেন, --“ম্হাশয় ! রক্ষা করুন। সংসার চলে না।” সারদাপ্রসাদ সংস্কৃত কলেজের শ্শিক্ষিত ছাত্র ছিলেন। তিনি ইংরেজী ও সংস্কৃত ভাষায় বুাৎ্পন্ন হইয়া! বৃত্তি প্রাপ্ত হুইয়াছিলেন। দৈব-বিড়ম্বনায় তাহার শ্রুতি-শক্তি নষ্ট হয়। বিদ্যাসাগর মহাশয় তাহায় হঃথে বিগলিত হইয়া, তত্পরিবার.প্রতিপালনের অনারেবল কৃষ্ধদাম পাল বর্ঘমানরাজের মহিত ঘনিষ্ঠতা । ৩৯ _[দছৃপায় চিন্তা করিতে লাগিলেন। অবশেষে তিনি সারদা" প্রমাদ্েরই উপকারার্থ “সোমপ্রকীশ” প্রকাশ করেন। বিদ্যাসাগর মহাশয়ের অনুরোধে সারদাপ্রসাদ পরে বর্ধা- ন-রাজবাটিতে মহাভারতের অনুবাদ কাধে; এবং লাইব্রেরি যান পদে প্রতিষ্িত হন। বর্ধমানরাজ মহাতাপচক্দ্র বাহাছুর, বিদ্যাসাগর মহাশয়ুকে যথেষ্ট ভক্তি করিতেন। ১২৫৪ সালে বা ১৮$৭ ইষ্টাব্দে বিদ্যাসাগর মহাশয়ের সহিত মহারাজের প্রথ্থ সাক্ষাৎ-পরিচন্ হয়। সেই সময় বিদ্যাসাগর মহাশয়, বাবুং রামগোপাল ঘেষ ও ভূকৈলাসের রাজা সত্যশরণ ঘোষালের সহিত বর্ঘমান-দর্শনার্থ গমন করেন। তাহারা তিন জনেই এক বাপায় ছিলেন। বিদ্যাসাগর মহাশয়, রাজবাটার সিদায় উদর পূর্ণ করিতে. অঙ'মত হইয়া, অপর কোন বন্ধুর বাড়ীতে ভোজন- ক্রিয়া সম্পনন করিতেন। মহারাঞ্জ এ সংবাদ পাইয়াছিলেন। তিনি বিদ্যামাগর মহাশয়ের, সহিত আলাপ-পরিচয় করিবার অভিপ্রায়ে তাহাকে বাড়ীতে আন'ইবার জন্য লোক প্রেরণ করেন। বিদ্যাসাগর মহাশয় প্রথম যাইতে সন্মত হন নাই; কিছ্ব নানা স।ধাষাধনায় আর অনুরোধ এড়াইতে পারেন নাই। বিদ্যাসাগরের সঙ্ষে আলাপ পরিচয় করিয়া, মহারাঞ্জ আপ- নাকে ধন্ত জ্ঞান করিয়াছিলেন। বিদায় লইবার সময়, মহারাজ তাহাকে উপহার স্বরূপ ৫** পাচ শত টাক ও একজোড়। শাল দিক়্াথজেন। বিদ্যাসাগর মহাশয় কিন্ত ইহা প্রত্যাখ্যান করেম। তান বলেন, “আমি কাহারও দান লই না) ৩১৬ বিদ্যানাগর। কলেজের বেতনই আমার স্বচ্ছন্দে চলে; চতুষ্পাঠীর অধ্যাঁপক- গণ এইরূপ বিদায় পাইলে অন্দেকট। উপকৃত হইতে পারেন ।” রাজা বিশ্বৃত হইখেন। সেই সময় হইতে বিদ্যাসাগর মহাশয়, যখনই বর্মান যাইতেন, তখনই মহারাজ, তাহাকে সসন্রমে আদ্র অভ্যর্থনা করিতেন । বর্ধমানাধিপতি বিদ্যাসাগর মহাশদ্লের এমনই শুভাকাজ্ী ছিলেন যে, বীরমিংহ গ্রামকে তাহার তালুক কত্রিয়া দ্রিবার জন্ত তিনি স্বয়ং স্বতঃ-প্রবৃত্ত হ্ইয়। প্রস্তাব করিয়াছিলেন। এ প্রস্তাবে বিদ্যাসাগর মহাশয় বলিয়াছিলেন,-“আমার যখন এমন অবশ্থা হইবে যে, আমি জমুদয় প্রজার খাজনা দিতে পারিব, তখন ভালুক, লইব।”৮ * এই বর্ধমানরাজই বিধবাঁবিবীহ-বিষয়ে বিধ্যাঃগর মহা শয়ের প্রধান পৃষ্ঠ-পোষক ভ্িলেন। বিধবা-বিবাহের আইন জন্য যে আবেদন হইয়াছিল, তাহাতে বর্ধমাম*রাজের দ্বাক্ষর ছিল। ূ যে বিদ্যাস'গর মহশয়ের সহিত বর্ধমান-রাঁজের এত খনি- ঠতা ও আত্মীয়তা, তাহার অনুরোধমাত্রেই যে সারদাপ্রসাঘ, বর্ঘমান-রাপবাটীতে কর্ম পাইবেন, তাহা আর বেশী কথা কি? সারদাপ্রসা্দের সংসার-পরিচালন জহ্ন্ধে বিদ্যাসাগর মহাশক় নিশ্চিন্ত হইলেন। বিদ্যাসাগর মহাশয় স্বয়ং সোমপ্রকাশে লিখিতেন। জুলেখক মদনমোহন তর্কালক্কার মহাশয়ের ছুই শি « এ কথ! উত্তরপাঁড়ানিষানী শ্রীযুক্ত রাঁজ। প্যারিমোহন মুখাপাধ্যা মহাশয়ের নিকট শুপিয়াছি। সোমপ্রকাশে বিদ্যাভূষণ। ৩৯৭ একটা প্রবন্ধও মধ্যে মধ্যে ইহাতে প্রকাশিত হইত। ক্রমে কিন্ত প্রতি সোমবারে নিষুমিত জোমপ্রকাশ বাহির করা বিদ্যাসাগর মহাশঘ্নের পক্ষে কিছু ভারদ্বরূপ হুইয্বা পড়িল। সময়াভাব- প্রযুক্ত তিনি ইহাতে আর মম্যক মনোষোগী হইতে পারিতেন না। এক দিন বিদ্যাসাগর মহাশয় স্পষ্টই বলেন,_“একেতে। আমার সময় নাই; তাহার উপর যথানিফমে সাপ্তাহিক সংবাদপত্র প্রন্কাশ বাস্তবিক্ই চাকুরী অপেক্ষা কইটকর।” অগত্া! এক জন তুদক্ষ সম্পাদকের অনুসন্ধান হইতে লাগিল। তিনি পণ্ডিত দ্বারকানাথ বিদ্যাভুষণ মহাশঘ্নকে উত্ত কার্ষ্যের উপযুক্ত পাত্র বিবেচনা করিয়া তাহারই হস্তে সোমপ্রকাশকে সমর্পণ করেন। বিদ্যাভুষণ মহাশয্ুই মোমপ্রকাশের সম্পাদক ও দ্বত্বাবিকারী হইশ্রেন। অধ্ুন। ধে প্রণালীতে ও যে প্রকরণে ইংরেজী সংবাদপত্র পরিচালিত হইয়া থাকে, বিদ্যাভূষণ মহাশঘ়ু সেই প্রণালীতে ও সেই প্রকরণে সোমপ্রকাশ পরিচালিত করেন। বিদ্যাভূষণ, ন্দ্যাসাগরের মুখোজ্ভ্বল করিয়াছিলেন । সোমপ্রকাশ প্রকাশিত হইবার পূর্ব্বে অনেক বাঙ্গালা সংবাদপত্র প্রকাশিত হুইয়াছিল। সেই অব জংবাদপত্রের অধিকাংশেই সমাজ ও ধর্ম্সংক্রোস্ত বিষয়েরই আলোচনা অধিক পরিমাণে হইত। রাজনীতির আলোচনা হইত না, এমন নহে ) তবে সোমগ্রকাশের গ্তায় উচ্চতর গভীর প্রণালীতে নহে। ভাষার পুষ্টি-সাঁধন সঙ্গস্ধে মোমপ্রকাশ উচ্চতর আদর্শ হুইয়া দাড়াইয়াছিল। যাহা ৩৪ ৩১৮ বিদ্যা গর । বিদ্যাসাগরের প্রতিঠিত, তাহাতে যে ভাঁষা-পুট্টিকারিতাঁর উচ্চ- তর সোঁপানই প্রতিগিত হইবে) তাহাতে আর সন্দেহ কি? তবে সোম গ্রকাশে। পুর্ষে যে অব সংবাদপত্র প্রকাশিত হইয়া ছিল, তাহারা ও বাঙ্গাল] ভাষায় পুষ্টিমাধন ভন্ত 185 বরণীয়। প্রকৃতই বাজালা-গদ্যের পু্টি-প্রারত বানা! জংবাদ- পত্রে। প্রথম অৎবাদপত্রে পুষ্টি-মশর ; পরে তাহার ভ্রেম- বিকাশ । সোষপ্রকাশের পুর্বে যেসব অং্বাদ-পত্র প্রকাশিত হয়, ওভাকরের ভুক্তপূর্ক সম্পাদক শ্রীধুক্ত গোৌপালচ্র মুখো- পাধ্যা মহাশয় দ্িভীন বধের দ্বা্শ-সংখ্যক “নবজীীবনেশ * “বালা অংবাদপত্রের ইতিহাস” নামক একটী গব্ষণাপুর্ণ প্রবন্ধ লিখিয়) ভাহাদের অধিকাংশের উল্লেখ বরিয়াছেন। আমরা তাহা হইতে জংক্ষেপে এখানে তাহার উল্লেখ করিল, অনেকের ধারণা, মিসনরীরা প্রথমে বাঁজালা মৎবাঁদপত্র প্রকাশ করেন; কিন্ত প্রকৃত কথা তাহ! নহে । ১২২২ সালে বা ১৮১৫ হষ্টাবে গঙ্গাধর ভট্টাচার্য নামক এক জন পণ্ডিত কলিকাতা হরে সর্বপ্রথম “বাক্গালা-গেজেট” নামে সংবাদপত্র প্রচার করেন। ১২২৪ সালে শ্রীরামপুরের পাদরী সাহেবের ৮৪৬1 নামে মতবাদ প্রচার করেন। | ১২২৭ সালে পাধ্যায় ৫ “সংবাদ জি নামক জংবাদপত্র প্রকাশিত সাপে * উযুক্ক অক্ষয়চন্্র সরকার মম্গাদিত মানিক-পত্র। এত্বাদপরের ধংক্ষিপত বিবরণ. ৩১৯ হয়। রাজ রামমোহন রাস এই অংবাদপাত্রে সতীপাহ প্রচার- বিরুদ্ধে প্রবন্ধ লিখিতে আরন্ত করেশ। ইহাতে ভবানী বাকু ইহার সম্পান্দবীর়তা ত্যাগ করেন। ১২২৮ স:লে ভবানী বাবু সমাচার-চশ্ত্ি গা নামে সাগ্ডাহিক সংবাদপত্র প্রকাশ করেন। ইহ] পরে প্রাত্যহিক হক্সু। এক্ষণে ইহা বঙ্গবাসী কার্য্যালয় হইতে প্রকাশিত দৈনিক নামক প্রাত্যহিক পত্রের সহিত সম্মিলিত হইয়াছে । টন্দ্রিকা প্রকাশিত হইবার পর যৃজাপুর- নিবাপী কঞ্চগোছন প্লাম “লংবাদ-ভিঘিব-লামক” সাপ্তাহিক পত্র প্রকাশ করেন। করেক বর্ধ পরে এখানি উঠিয়া যায়। তিমির নাশক প্রকশ হুহবার পর রাজা রামমোহন রায়, বাবু দবারকানাথ ঠা এনং প্রসন্ন ছুমার ঠাকুরের উদ্যোগে “বঙ্গদৃত” লামক সংবাপর-পত্রের সৃষ্টি হয়। ১২৩৭ সালের ১৬ই মাঘ শুক্রবার সংবাদ-গ্রভাকর প্রকাশিত হয়। পাথুরিয়।ঘাটাঁর ৬যোগেন্দ্রঘোহন ঠাকুর সংবাদ-প্রভাকর প্রকাশের প্রধান উদ্দ্যোনী। ৬ঈশ্বরচন্্র গুপ্ত ইহার সম্পাদক হইয়াছিলেন। ১২৩৩ সালে যোগেন্ বাবু মানবলীল1 সংবরণ করেন। প্রভা- করের প্রচারও বন্ধ হয়। এই বর্ষে গুপ্ত মহাশয় “সংবাদ- রত্বাবলী” নামক সৎবাদপত্রের সম্পাদক হন। কিছু দিন পরে তিনি ইহার জম্পাদ্কীয়ত! পরিত্যাগ করেন। পরে ১২৪৩ সালে ২৭শে শ্রাবণ তিনি আবার সংবাদ-প্রভাকর প্রকাশ আরত করেন। এই সময প্রভাকর সপ্তাহে তিন দিন প্রকাশিত হইত। ১২৪৬ সালের ১ল! আষাঢ় প্রাত্যহিক হয্স। ১২৪২ ৪৫০ বিদ্যাসাগর । সালে পুর্ণচ্দোদয় প্রকাশিত হয়। ইহা প্রবমে প্রতি পূর্ণিমান্ প্রকাশিত হইত। ১২৪৩ সালে সাপ্তাহিক ও কয়েক বতসর পরে প্রাত্যহিক হয়। ১২৩৭ সাল হইতে ১২৫৯ সাল পর্য্যস্ত ষে সকল জংবাদ-পত্র প্রকাশিত হইয়াছিল, গোপ!ল বাবু তাহার একটা তালিকা প্রকাশ করিয়াছেন। সে তালিকায় প্রকাশকের এবং সম্পাদকের নাম অ.ছে। কোন সংবাদপত্রের কত দিনে আরম্ত, তাহারও উল্লেখ আছে। গণনায় ৮৯ খানি হইবে । “সংবাদ মুহ্যুএয়ী” নামক একখানি সংবাদ-পত্রের বিজ্ঞাপন হইতে সংবাদ পধ্যস্ত পদ্যে লিখিত হইত। প্রবন্ধ, অন্ুবন্ধ, সংবাদ প্রভৃতি সর্বাবিধ ভাষা, কুচি ও ভাব সম্বন্ধে সোমপ্রকাশ পুর্গ প্রকাশিত সংবাদপত্র অপেক্ষা উন্নততর । গু বিংশ অধ্যায়। মহাভারতের অনুবাদ, সীতার বনবাম, অমাম়িকতা, যৌবনের বিক্রম, গুরুভক্তি, রাজা ৬ঈশ্বরচন্র, মধুরে-কঠৌরে, ৬রমাপ্রপাদ রায়, ও আর্ত-ত্রাথ। তত্ববোধিনী পত্রিকায়, বিদ্যাসাগর মহাশয়ের অনুবাদিত ভারতের যে অংশ প্রকাশিত হইয়াছিল, ১৯১৬ সংবতে (১২৬৭ সালে ) ১লা মাঘে বা ১৮৬০ থ্ৃষ্টাকে ১৩ই জানুয়ারিতে বিদ্যা- দাগর মহাশয় ত।হা পৃস্তকাকারে প্রকাশিত করেন। অন্তান্ত পুস্তকের, মত এ পুস্তক তত লাভজনক হয় নাই। মহাভারতের অনুবাদাংশ লাভজনক না হইলৈও, বিদ্যা, 'ন'গর মহাশয় ১৯১৮ সংবতে (১২৬৮ মালে) ১লা বৈশাখে বা ৮৬১ হুষ্টান্দের ১২ই এগ্রেল “নীহাঁর বনবাস” প্রকাশ করেন। মীতার বন্গবামে প্রতিপত্ভিপরিচত়্ আর দিতে হইবে ন1। ভধভূতিপ্রধীত উত্তরচরিত অবলম্বনে সীতার বনবাম লিখিত। অবশ্য উত্তরচরিতের সর্বাধশেই সীতার বনবাসের সামঞ্জ্ নাই। বিয়োগাস্ত নাটক সংস্কৃত অলঙ্কারবিকুদ্ধ বলিয়া 'ভব্ভূতিকে উন্তরচরিতের উপসংহারে “বামসীতা” সশ্মিলন মাধন্‌ বিতে হইয়াছে । বিদ্য।পাগর মহাশয়, “ধিয়োগাস্তেই” সীতার বনধাসের উপ্মংহার করিয়াছেন। ভবভূতিলিধিত ছায়ামীতার মপুর্ধ কল্পনা বিদ্য'সাগরের সীতার বনবাসে অনুক্গত হয় নাই। ৪০২ বিদ্যাধাগর 1 ছাঁয়াসীতার দৃশ্তে রামসীতার অমানুষিকত্ব প্রতিপাদ্দিত হুইয়া থাকে । এতত্প্রতিপাদন বোধ হয় বিদ্যাসাগর মহাশয়ের অভিপ্রেত ছিল না। ভাষা"শিক্ষাকলে সীতার বনবাস বাঙ্গালা সাহিত্যের উপাদেয় পদগ্রন্থ ৷ বিদ্যাসাগর মহাশয় চারি দিনে "সীতার বনবাস” লিখিক্বা সমীপ্ড করেন। দিবাভাগে নান। কাধ্যে ব্যস্ত থাকায়, লিখিবার অবসর পাইতেন না) ধাত্রি ২০ আড়াইটার সময় হইতে পরদিন বেলা ১০ দশটা পধ্যস্ত লিবিতন। একবার লিখিয়া পুন্রাজোচনা! করিবার ময় ছিল না। এস্থলে তাহার অমায়িকতা, সরলতা ও সদশয়তার একটা দৃষ্টান্ত দিই। চাকুরীর অবস্থায় বিদ্বযাসাগর মহাশয় অবসর পাই- লেই বীরসিংহগ্রামে যাইতেন। স্বাথীন অবস্থায় অবশ্ঠ যাইবার সময় ও নুবিধা অনেকট] হইয়াছিল। তিনি কলিকাভাত়্ থাকিলেও, জন্মভূমি বীরসিংহ, তাহার মনোমধ্যে জাগদুক থাকিত। বীরসিংহ গ্রামে যাইলে, পূর্ব্ববৎ তিনি স্বগ্রামস্থ ও নিকটবন্তী গ্রামসমূহের অবস্থাহীন ও অবস্থাপন্ন সকল অধি- বামীরই তত্ব লইতেন; আবশ্তকমতে অবন্থাভেদে আকাজিজ- ত্রকেই প্রকাশ্টে অপ্রকাশ্টে যথাসাধ্য সাহাষ্য করিতেন; আগন্তক অভ্যাগত জনকে জাদরসভ্বাষণে আদর- অভ্যর্থনা করিতেন) এবং যে যাহাতে যন্ত্ট হইত, তিনি তাহাকে তাহাতেই সন্তুষ্ট রাধিতেন ৷ একবার তিনি বাড়ী যাইলে, তাহার মাতার মাহুলালয় পাতুলগ্রামন্দিবাসী রাখব রাদ্ধ নামক এক জন অমায়িকতা ৷ ৪০৩ বাস্দী আঙিরা, তাহাকে সাইাঙ্ধে প্রণাম করিল এবং প্রাণামান্তে উঠিয়া দড়াইয়া তাহাকে বসিল,--“কিহে আমাকে চিনিতে পার) শ্োোমায় আমায় এক পাঠশালায় লিখিতাম; গুরু মহাশকের হাত থেকে তোমায় কতবার বাচয়েছি |) বিদ্যা- সাগর মহাশয় পুরাতন সহপাঠী রাখবকে চিনিতে পারিয়া বলিলেন )-“তুমি তো! রাঘব?" রাখব একটু বিমর্ষ হইয়া কর্ণে হস্ত প্রদান করিল। তখন এক জন বিদ্যামাগর মহাশয়ের পার্ষে দাড়াইয়া কানে কানে বলিয়া দিল,_“উহাঁকে কৃষ্ণ বায় বলুন) রাঘব আপনাকে বগ্ড়ি কষ্ণগায় দেবতা বলিয়া মনে করে; উহার উন্মাদের অনেকটা ছিট আছে; ও ব্রাহ্মণের চালে চলিয়! থাকে; ও বাদীর অন্ন খায় না; এমন কি, ক্ষুধায় মন্খা যাইলেঞ্ড বৈষ্থব-জ্ৰাতীক্স পৈতাধারীদিগেরও অস্ত্র গ্রহণ করে না।” বিদ্যা দাগর মহাশয় মকল ব্যাপার বুঝিলেন। তিনি মাহম্তবদনে রাতবকে প্রেমালিঙ্গন দিয়া, আনন্দ-গপগদ-স্বরে বলিলেন-_-তুমি কৃষ্ণ রায়*। রাধবের আর আননের সীম! রহিল না, বিদ্যাসাগর মহাশয় যত দিন বাড়ীতে ছিলেন, তত |দনই রাবকে আপনার সন্মুখে সর্ধক্ষণই বস।ইয়া! রাখিতে এবং তাহার দহিত তাহার তুষ্টিক্নক কথাবার্তী কহিতেন। এক দিন বিদ্যাসাগর মহাশয়, বীরসিংহগ্রামে আপন ঘ্বরের “দাওয়ায়? বসিয়াছিলেন, এমন সময় মটুক ঘোষ নামক এক সপেগোপ তাহার সহিত দেখা করিতে আসে। বিদ্যামাগর মহাশয় তাহ!কে সাদর-সম্ভ বণ করিয়া, উপরে উঠিয়া বসিতে 8০3 বিদাতমাগর । বলিজেন। মে একটু ইতস্তঙ; করিতেছিল। বিদ্যাাগর মহাশয় তখনই তাহাকে দেই “দাওদার উপর হইতে দুই হাত দিয়! বলপুর্ব্বক তুলিয়া, উপরে লইয়া বসাইলেন । এখানে সদাশয়তার দৃষ্টান্ত উপলক্ষে যৌবনের বল-বিক্রেমের কথা কিছু বলিয়া! লই। বিদ্যাসাগর মহাশয়, বাল্যাবস্থার স্তায যৌবনেও ভীমপরাক্রম ছিলেন। তিনি বাল্যকালে কপাট খেলিতে খেলিতে অতি বলবান মুবককেও ধরিয়া নিশ্চেষ্ট করিয়! ক্লাবিতেন। একটা গল শুনা যায়, গদাধর পাল নামক এক অতি- অমানুষিক বল-বিক্রমশালী সুবক বীরদিংহ গ্রামে বাস করিত। একবার এই গদাধর গঙ্গ'পার হইতে হইতে নৌকামজ্জনে "মগ্ন হযু। গনাধর তখন দুই জন অপর লোককে বগলে পুরিয়া তার দিতে দিতে নিকটবস্তী একখানি ্টামারের নিকট যাইয়া উপস্থিত হয়। গ্রীমারের লোকের! দড়ি ফেলিয়া, অপর ছুই জন লোককে একেবারে তুলিয়া লয়; কিন্তু গদাধরকে তুলিতে ধারুণ কষ্ট হইয়াছিল। এমন কি, প্রথম বার ীমারের লোকের! ত'হ1কে একবার খানিকটা তুলিঘ্াই ফেপিয়! দিয়াছিল। এই বীর গদাধর কপাটী খেশিতে খেলিতে বিদ্যাসাগরের নিকট জন্দ ছইভ। সেই বিদ্যালাগরই যৌবনে পুষ্ট:দরহ মটুক বোষকে শৃন্যে তুপিয়া দাওয়ার বসাইয়াছিলেস। বাল্যের সদয়তা ও বলবস্তা, বিদ্যাপাগবের যৌবনেও পূর্ন মাত্রার ব্তমান ছিশ। বাল্য-যৌবনে দেহ-মন্রে একাথারে এমুন শক্তসম্পন্নতার পুর্ণ বিকাশ অতি বিরল নহে কি? গুরুতক্তি। 8৭ বিদ্যাসাগর মহাশদ্ধ যখন বাড়ী যাইতেন, গুখনই প্রান তাহার সঙ্গে ৫০০। ৬৯০ পঁচ শ, ছয় শ,টাকা থাকিত। এতদ্যতীত তিনি প্রান ৪০০। ৫০০ চারি পাঁচ শ, টাকার বন্ত্রলইতেন। টাকা ও কাপড় দীনহঃঘীকে বিতরিত হইত । সব্বদাই কিকাতার বাটাতেও বিবিধপ্রকারের অনেক টাকার কাপড় মন্ত্রুত থাকিত। তিনি ষথাপাত্রে যখাষেগ্য বস্ বিতরণ করিতেন। ১২৬৯ সালে বা ১৮৬২ ₹ষ্টাবে তিনি একবার বীরসিংহ গ্রে গিঘ়াছিলেন। এক পিন মধ্যাহ্ত-ভোজনকাপে দেখিলেন, তাহার সম্মুধে একটা বধাঁমপী রমণী ও একটা যুবতী দাড়াইয়! রোদন করিতেছেন। তিনি অবগত হইপেন যে, ব্যীদসা তাহ।র গুক্ষমহাশপ্রের সী এবং যুবতী, কন্তা। গুরুমহাশয়ের বছবিধাহ। তিনি এই স্ত্রী এবং তদায় কন্যার ভরণপোষণের তার বহন করেন নাই। তাহাদের ছুই বেলা অন্ন জোটে না। বিদ্যাসাগর মহাশয় তধনই গুকুমহাশম়কে ডাকা ইয়া, স্ত্রীও কন্তার ভার গ্রহণ করিবার জন্ত তাহাকে অনুরোধ করেন। গুরুমহাশয় বিদ্যাসাগর মহাশয়ের কথায় অন্মত হন। বিদ্যা" সাগর মহাশয় ইতিপূর্বে গুরুমহাশয়কে বীরদিংহ গ্রামের কুলে পণ্ডিতপদ্দে নিযুক্ত করিয়াছিলেন। এক্ষণে তাহার জী ও কন্যার জন্ত তাহাকে মাসে মাসে ৪ চারি টাকা দিতে স্বীকার করেন। কেবল স্বীকার নহে, ভখনই তিন মাসের অগ্রিম দিলেন এবং তিন ম'সের করিয়া অগ্রিম দিবেন বলিয়। ৪০৬ ধদ্রযাসাগর | প্রতিঞ্ত হন। উহাদের বস্ম সরবরাহের ভ:রও বিদ্যাদাগর মহাশয় লইগ্রাছিশেন। কিন্ধ কিছু দিন পরে, গুরুমহাশত স্ত্রী ও কন্ত'কে তাড়াইস্গা দিক্মাছিলেন। বিদ্যালাগর মহাশগন দে কথা শুশি্বা অশ্রু স্বরণ কঠিতে করিতে পারেন নাই; গুক্ু- মহাশয়ুক্ধে য.্থই ভক্তি করিতেন বলিয়া তাহাকেও কিছু বশিতে পাহেন নাই। ১৮৩৬ সালের ২২শে মাধ বা ১৮৬১ ব্বষ্টাবের ২৬শে কেক্রুারি কশিকাতা পাইকপাড়াঙ্থ রাজবংশের ভন্যতম ব্শধর রাজা ঈগ্বরচন্ন সিংহ মানদলীঙা জত্বরণ করেন। ইনি বিদ্যাসাগর মহাশদষের সম্পূর্ন গুণগ্রাহী এবং কর্্মান্তরাণী ছিলেন। বিদ্যাসাগর মহাশয়ের অন্ুঠিত সকল কার্য্যেই রাজা বাহাদুঠের অবশেষ সমবেদনা! ছিল। রাজ| বাহা- ছুরের বিয়োগে বিশ্যানাগন্ন মহাশয় বড়ই কাতর হুইয়াছিলেন। রাজ। বাহাছুরের মৃত্যুঙ্মধে বিদ্যাসাগর মহাশয় সাহার নিকটে উপস্থিত ছিলেন। পাইকপাড়া-রাজবংশ বিদ্যামাগর মহাশছের নিকট নানা কারণে কৃত্তজ্ঞ। বিদ্যামাগর মহাশয় যেমন দীন-দয়াল, তেমনই জন্বাস্ত ধনাঢ্য ব্যক্কিবর্গেরও সহায়-নুহদু ছিলেন। কাহারও নিকট তিনি একটা পর্পপ'রও প্রত্যাশা করিতেন না; কিন্ত সকলেরই উপকারার্থ দেহ-প্রাণ উত্র্গ করিতেও কুর্ঠিত হইত্ডেন ন!) এমন কি, অনেক সময় বিপন্ন কুবেরকুলেরও বিপছ্দ্ধরার্থ, অকতণে নিলের অর্থব্যঘ করিতেন এবৎ অবিশ্রাস্ত শ্বেদভারে রাজ। ঈশ্বরচন্দ্র নিংহ। এরমগসাদ রায়. ৪০৭ কখন মুহর্তের ভগ কাতর হইতেন না। আবার), কাঁহ! দারা কোনজপ কর্তব্য-তেট দেখিলে, অথনা কাহা ছারা কোনক্রপে আত্মদন্পমের ক্রটি দেখিলে, তিনি তদগুই বঙগাদপু কঠোঃহ্দয়ে কুবেরসম কোটিপতি হুহদেটও সৃদ্ঢ় মৌহার্দ স্েহংন্ধন ছিন্ন করিয়া ফেলিতেন। ঘৃণায় ভার তাহার পানে তিনি মুখ তুলিয়াও চাহিয়া দেখিতেন না। তখন কাজকুলের৪ নেই জৌধহর্শর্যাব্দী উহার চ:ক্ষ ভীহণ হ্তকারকূপে হতীফমান হইভ। যেমন বাহিকে। তেমনই ঘার। স্বভাবসেছে আজ্ীঘ়-স্বজন ও হ্হদ্‌-সন্ভানের প্রতি যেখম ক্ষীরধারের অনন্ত জেত ছুটিত; আবাদ্ধ কাহারও কর্তত্য ক্রু ব্বেখিলে, হে মনই দারুণ মনঃক্ষোভে অহআ ৃর্য্যের হত)ক্ষ জালাময্ব তীবতাপ ফুটিক়্া উঠিত। প্রকৃতই বিদ্য।- সাগরের জ্দ্য,--“্জ'দপি কঠোরাণি মৃদৃনি কুতমাপি। ১২৬৯ সাজে বা ১৮৬২ খ্ুষ্টান্বে ৬ রাজা রামমোহন রায়ের কনিষ্ঠ পুত্র, হাইকোর্টের প্রপ্রিদ্ধ উকীল রমাপ্রমাদ কাছের দেহান্তঃ হযব। রমাগ্রসাদ বাবুই প্রথমে হাইকোর্টের ধিচার- পতি-পদে অধিটিত হইবার আজ্ঞাপত্র পাইয়াছিলেন ) কিন্ত হীহাকে হাইকো্টর ষে পবিত্র আজষন্োবেশন-সুখ ভোগ করিতে হয় নাই। রমাপ্রসাদ রায়ের সহিত বিদ্যাসাগরের প্রগাঢ় সধ্যতা ছিল; কিন্ত টিধবাবিবাহের আনোলন-কালে একট! মনোমালিন্য সংঘটিত হয়। শুনিতে পাই, বিদ্যাসাগর অহ'শয় ব্ধব-বিবাহের আন্দোলনে প্রথমতঃ রমাপ্রমাদ রায়ের 21 ৪০৮ বিদ্যানাগর | নিকট হইতে সবিশেষ সহানুভূতি পাইয়াছিলেন , কিন্ক কাধ্য- কালে সাহায্য পাওয়া! দূরে থাকুক, তাহাকে ছুই একটা মর্শান্তক কথা শুনিতে হইয়াছিল। * বিদ্যাসাপ্তর মহাশয় ৬রমাপ্রসাদ রায়ের বাড়ী প্রায়ই যাইক্েন) কিন্ত ইহার পর গতিবিধি একূপ বন্ধ হইয়াছিল। রমাপ্রসাদ রায়ের মৃত্যু সংবাদে কিন্ত বিদ্যাধাগর ক্ত্-জ্বরণ করিতে পারেন লাই। পপ সপে স্পা * এই কথা মহ্বন্ধে মতবিরোধ আছে। জগ্জীবমীতে প্রকাশিত হইয়াছিল,__“উশ্চজ্ঞ বিপ্যারভু মহাঁশয়েবর অব্বপ্রথম ধিধব1 বিবাহ হয়| তখন কিকাঁভার অনেক ঘড় লোঁক এব্ষিয়ে মাহাধ্য করিতে এবং বিবাহ- স্থলে উপস্থিত হইতে প্রতিশ্রত্ত থাকিয়া একখানি প্রতিজ্ঞাপত্রে স্বাক্ষর 'করেন। লজ্জার বিষয় এই যে,কেহই উপস্থিত হন নাই । এই বিষাহের পূর্বে তিনি স্বাক্ষরকারিপণের মধো মহাত্রা রাজা রামমোহন রায়ের পুত্র শ্রীযুক্ত কমাগ্রলাদ রায়ের মহিত আাক্ষাৎ করিতে যান। রমাপ্রলাদ রায় বলিলেন, আমি ভিতরে ভিতরে আছিইভ, লাহাযাও করিব, ধিবাহন্থলে নাই গেলাম? এই কথা শুনিয়া] ঘৃণা এবং ক্রোধে বিদ্যাসাগর মহাশয়ের কিসৎক্সণ কথ! বাহির হইল না। তাহার পর দেওয়ালে স্থিত মহাত্া] রাজ! রামমোহন বায়ের ছবির প্রতি লক্ষ্য করিয়! বলিলেন “ওট1 ফেলে দাও, ফেলে দাও” । এইব্সপ বক্তিয়। চলিয়। গেলেন |” এতৎসন্বন্ধে পঙ্িত মছেম্জলাপ বিদ্যানিধি মহাশয় প্রকৃতি নামক সংবাদপত্রে লিখিয়াছিলেন,_“আমাঁর পিভৃদেব গোগপীনাথ রায় চুড়ামণি মহাশয় বিয়াছিলেন, তিন ( রমাপ্রণাদ ) বিদ্যাসাগর মহাঁশয়কে কহিয়।- ছিলেন, “আমার পিতা, সমাতনংস্বারের কমুর করেন নাই । তাতেতে। কোনই ফল ফলে নাই। অতএব জার চেষ্ট1 পাঁওয়] বুখ1; এই বলিয়া বিধষ1 বিষাহের নভায় যাইতে অস্বীকুত হন | বিদাখসাগর ও রমাপ্রসাদ বাবুর কথোপকথন পময়ে বাবু প্রণছকুমার লর্বাধিকারী, পতিত কাঁলিদা'ল ছর্কনিদ্ধান্ত প্রভৃতি অন্যান্য জনেকেই উপস্থিত ছিলেন। তাহাদের নিকটও এই কথাই শুনির। আমিতেছিলান।” . দন ধন । ৪০৯ শক্জিনম্পম পুক্তঘ, শৃঞ্ষিপুজকের চিএকালই পুঞ্জনীয় । বিদ্যা" সার প্রকৃত শক্ি-দেবী; রম প্রসার রায়ঞ প্রকৃত শক্ষিশালী পুকুষ ছিলেন। | এই বৃষ্টান্জে কপিকাত্তার সিমলা অঞ্চলে একটা বিধব্” বিবাহ ক্রিয়া সম্পন্ন হয় । বর-কন্ত। উভড়ই ভাত । ইহার পর অন্যান্য স্থানে ভারও কতকগুল বিধবা-ব্বাহ হইসসাছিল । পুস্তক-বিক্রয়ে ও ছাপাখানার কাজে বিদ্যাসাগর মহাশয়ের মাঘ অনেকট। বড়িন্বাছিল বট; কিন্ত বিধবাঁিষাছের কাছে ও ক্ন্যান্য বছব্ধি দান-ব্যাপারে তাহার ধণণ্ বিলক্ণ হইয়াছিল। কখনও কেহ হাহার নিকট হাত পাতিষা কষে! বিমুখ হইত নাঁ। বিপন্ন ও শ্ণাগত জন সনখে জাসিং। উপশ্থিত হইলে, বিদ্যাসাগর স্থির থাকিতে পারিতেন না। হস্তে এক কপর্দক নাই) কিন্ক দশ হাজার টাংা দিয়া, এক জন বিশন্নকে রক্ষা! করিতে হইবে । অর্থ নাই; কিঞ্ বিপনের অন্য প্রাণ ব্যাকুল। গ্রে ব্যাকুলতা আমর] জনযুহীন কি বুঝল বল? সে ব্যাকুলভার বেগরোধ বিদ্যাপাগরের অসাধ্য হইত । কাজে, পণভিন্ন উপান্াস্তর হিল না। খণ করিয়া দুঃঘীর দুঃখযোচন করা, বিদ্যামাগরে র বাল্যবস্থ! হইত্তে অভ্যা। যখন কলেজে গড়িতেন, তখন কাহারও বস্ত্রাভাব বা অন্নাভাবের কথা শুনিজেঃ তিনি দ্বারবানের নিকট চারি পয়সা ছুদ দিজ্ঞাধার তইতেন। বিদ্যাসাগর মহাশয় বলিতেন) দ্বারবানেরা জানি, আমি নিঃদশ্বল) তবু যে তারা আঘাকে কেন ধার দিত, বঙ্গিতে ৩৫ 8১০ বিদ্যামাগর | পারিনা। বিদ্যাসাগরের জীবনে প্রায় অর্ধ লক্ষাধিক টাকা ধণ হইয়াছিল; কিন্তু তিনি মৃত্যুকামে এক কপর্দক ৭৭ রাখিয়া যান নাই। দশ হউক) আর দশ হাজারই হউক, প্রার্থনার প্রকৃত প্রয়োজন বুঝিলেই) যেখান হইডেই হউক) বিদ্যাঙাগর মহাশয় তাহা মংগ্রহ করিয়া দিতেন। মাইকেল মধুহদনকে তিনি ১০১০০৫ দশ সহ মুদ্রা অকাতরে দিয়া ছিলেন। এই ১৯১০০ দশ মহত টাকা ক্ঠাহাকে থণ কধিতে হইয়াছিল। এই টাক! তিনি প্রথমতঃ হাইকোর্টের মৃত জঙ্গ অনুতলচন্্র মুখোপাধ্যায় মহাশয়ের নিকট ৭ণ করিয়াছিলেন পরে পণ্ডিত পীশচন্্র বিদ্যার মহাশয়ের নিকট হইতে টাকা লইয়া, ভিনি অনুতুল বাবুর টাকা পরিশোধ করেন। এই আশবিদ্যারতবই বিদ্যাসাগরের মতের গ্রথম বিধবা-বিবাহকাযী। এই দেন! শোধের নিমিন্ব এই টাক! আবার তাহাকে ছাগাথানার অংশ বিক্রয় করিয়া দিতে হয়। মে বৃ্বা পরে খথাস্থানে প্রকটিত হইবে। চি ৫ ৬ সপ এ িউপিটিশান্সিনাটি পি চা £ ঠা রঙ এ একবিংশ অধ্যায় । মাইকেল ও বিদ্যাসাগর । ১২৬৯ জালে বা ১৮৬২ খরষ্টান্বে মাইকেল মধুহ্দন দত্ত বারিষ্টার হইবার জন্য ব্লাত ধাত্রা করিয়াছিলেন। কলি: কাতার কোন প্রসিদ্ধ উকীলের যোক্তার তাঁহার জমী-জমার পত্তনী লইয়াহিলেন। কোন কায়ন্থ রাজ! বাহাছুর, মেই পন্তনীপাত্রের.নিকট হইতে টাকা আদায় করিয়া মাইকেশকে বিলাতে পাঠাইবার ভার গ্রহণ করিয়াছিলেন। মাইকেল বার কতক টাকা প।ইয়াছিলেন মাত্র; তার পর বারবার পত্ লিখিয়াও টাকা পাওয়া দুরের কথা, পত্রের উত্তর পধ্যস্ত পান নাই। অর্থাভাবে তাহার কষ্টের সীমা ছিল না) এমন কি, কাঝাবাসের উপক্রম হইয়াছিল। তিনি নিরুপায় হইয়া, সকরুণ বাকৃ-বিস্তাসে পত্র পিখিক়া, বিদ্যাসাগরের নিকট সাহায্য প্রার্থনা করিয়াছিলেন। বিদ্যাসাগর মৃহাশঘও, সত্য সত্যই মাই কেলের সেই পত্র পাঠ করিতে করিতে কুদ্ধকঠে অশ্রু-বিসর্জন করিয়াছিলেন।* হত্তে এক কপর্দক ছিল না; কিন্ত * মাইকেল ফতানি-রাজ্য হইতে যে লব প্র বিদ্যাসাগর মহাশর়কে লিখিয়াছিলেন, তাহার অনেকগুলি আমার হস্তগত হইয়াছে। নেই অব পত্রের প্রত্যেকেই প্রায় ট।কার প্রার্থন। ও প্রাপ্িশ্বীকার। নেনহ পত্র প্রকাশ নিপ্রয়োজন। যে সব পত্র লিখিয়া মাইকেল, বিদ্যানাগরকে শ্রবীভূত করিয়াছিলেন, ভাহারও অধিকাংশ মাইকেলের জীবন-চরিত্তে প্রকাশিত হইয়াছে । সুদ্ধরাং তাহারও প্রকাশ এখানে মিগ্রয়োজন। 8১২ বিদ্যাসাগর | ৬০০ ছয় সহত্র টাক! ঝৰ করিয়া তিনি তদ্দণ্ডেই মাইকেলকে পাঠাইয়া দেন। টাকার প্রয়োজন হলে, তিনি প্রায়ই ব্ছু-বান্ধবপিগের নিকট হইতে কৌম্প,নী কাগজ লইয়া, বন্ধক দিতেন; পরে সময্ব মত্ত টাকা জংগ্রহ করিয়া, সুদে-আসলে সম পরিশোধ করিতেন: বিদ্যাসাগর মহাশয় যদ্দি সাহাব্য না করিতেন, তাহ হইলে, মাইকেলকে নিশ্চিতই অনাহারে মরিতে হইত | মৃতকল্প মাইকেজ) অন্শ্য আদে মনে করেন লই যে, ভিনি একেবারে এন নাহাধ্য পাইবেন। বলা বাহুল্য, এ ষাহাঘ্যে তাহার মৃত দেহে জীবন সঞ্চার হুইস্থাছিল। তিমি তধনই জীবনদাত| বিদাপাশংকে হৃন্য়ের গভীর কঙজ্ঞত! গ্রকাশ কমিযা আনন্ব-বিগিলিত-চিন্তে, অন্হখ্য ধন্তবদ দিয়া, পত্র লিবিয়াছিন। কুতজ্ঞত। কেবল পত্রে নহে) কবির অমর “চতুর্দশপদী কবিভাবলীতে”ঃ জলত্ত দিণ্যাক্ষরে এখনও জাজল্য- মান। বিদ্যাসগরের দাতৃত্ব ও মহত্ব কবির মর্মে মর্থ্বে উচ্ছু- মিত। সে মর্তবোঙ্ছুম চৌদ ছত্রের অক্ষরে অক্ষরে উৎসারিত। বিদ্যাসাগরের সহত্র গুণ সত্য; কিন্তু মাইকেল, দ্াতৃত্ের পূর্ণ পরিচয় পাদ্য়ান্ছিস্ন, গুধমেই বিদেশ বিলাতভূমে _- অতি-ব্ড় শক্কটে। ডাই কৃভজ্ঞ কবি, মে "দাতৃত্েরর যেন একটা বিরাট সজীব মুর্ত সম্মুখে গড়িয়া, তাহাতেই তন্মঘ হয, কাতরকঠে সপ্ত সুর চড়াইয়া, মুক্কপ্রাণে মুক্তোচ্ছাদে গাহিয়'ছিলেন,- মাইকেল ও বিদাযমাগর | ৪১৩ “বিদ্যার সাগর তুমি বিখ্যাত ভারতে । করুণার পিদ্থু তৃমি, সেই জানে মনে; দ্বীন যে, দীনের বন্ধু! উত্ভল জগতে হেমাদ্রির হেম-কান্তি অমন কিরণে। কিন্ত ভাগ্যবলে ! পেয়ে মে মহাঁপব্ৰতে, ঘে জন আশ্রয় লয় জুবর্ণ চরণে, সেই জানে কত গুণ ধরে কত মতে শিরীশ ! কি সেবা ভার সে স্বথ-সদ্দনে 1. জানে বারি নদীক্ূপ বিমল! কিন্ধরী ; যোগায় অমৃত ফল পরম আদরে দীর্ঘশির তরুদল, দাসরূপ ধরি ; পরিম কুল-কুল দশ দিশ ভরে, দিবসে শীতজশ্বাসী ছারা, বনেশ্বরী, নিশায় সুশান্ত নিদ্রা) ক্লান্তি দুর করে?) চতুর্দশপদী কবিতাবলী, ৮৬ পৃষ্ঠা । ১২৭৩ সালে ফাল্ধন মাসে বা ১৮৬৭ খৃষ্টানদের ফেব্রুয়ারি মাদে মাইকেল বিশাত হইতে কলিকাতায় আগমন করেন। তখনও তিনি নিঃস্ব; এক রকম নিরন বলিলেও বোধ হয়, অত্যুন্তি হয় না। মাইকেল বিলাত হইতে আসিবার পুর্বে বিদ্যা- সাগরকে পত্র লিখিষ্বাছিলেন। বিদ্যাসাগর মহাশম, তাহার জন্ত একট| তেতল। বাড়ী সাজাইয়! গদ্থাইয়া রাখিয়াছিলেন। মাইকেল আঙগিস্সী কিন্ত একটা হোটেলে থাকেন। বিদ্যাসাগর ১১৪ বিদ্যাসাগর | মহাশয়, তীহাকে সেই হোটেল হইতে তুলিফা লইয়া আদেন। “বারিষ্টারী” কধ্যে প্রবেশ করিবার পক্ষে মাইকেলের একটা অন্তরার উপস্থিত হইয়াছিল। বিদ্যাসাগর মহাণয়ের সাহায্যে কে ভন্তরার ডি হইতে পারে, মাইকেলের এইরূপ দর রি হি ধা সময় হিদ্যাসগ7 যহাপয় বর্দমানে ছিলে । কেছ বরিষঃদ শিশ্কা কাতরকণে সাহায/ প্রার্থনা করেন। হন মহাপক ফাহাত্র থাপ কলিকাভায় আজি জয়া, লাল; খোগাড়ঘন্ত্র কসিরাত যাইকেজকে "বারিষ্টারী” কান্দে নখ জবাই দেন! মাইকেল, ব্বচানাণর মহাশযকে পিতার মত হন হ্নিতেন। বিব্যামাগর যণ্ড তাহাকে কেশ পারবা নানি নশোন ইপাজীনে অঙ্গ হইকাছিলেদ। শ্বপ্রকাশিত হকের পি বায় পাকিত€ রন দন পানদোষে অমিভব্যযী ছয় পভিরাছিচশ 1 এ কারদ ভাহাঙ্কে বিদ্যাসাগর মহাশয়ের 17) ৫ নব্য মধ্যে সাছব্য নইতে হইত । হস্তে এক কপ রত নে, মাইকেল, বিদ্যাদাপর মহাশয়ের নিকট বা ভপান্থত্র হইলেন; দেখিলেন, থাকে থাকে টাকা সাজান; চ-দুট। তে জন্তু হস্ধ প্রমারণ করছিলেন) “দিদি নে, নিস্‌ ৭ করিতে করিতে, সুঠে! ভারা তুলিস্জা লইলেন । বিদ্যাসাগর মহাশন উহার এজপ কাধোও্ড বিরক্ত হইভেন না। দংঅ খ্বভাব-দে।ষনভেও, মাইকেল বুদ্ধি-প্রতিভাঁবলে প্যানগরের শ্রীতিভাজন হইয়াছিলেন। মাইকেলের হা, হা উবে ০24 রর নে ৃ 1৩. মাইকেল ও বিদ্য'নাগর | ৪১৫ “গ্রতন্।” জগতের পুজনীগ্জা) প্রতিভার পুর্নাকর বিদ্যামাগরের প্রেমগ্রীতি ঘে আকর্ষণ করিবে, তার বিচিত্র কি? প্রতিতার পু প্রতিভার কাছে: প্রতিভার রাজ্যে প্রেমের প্রঅবণ ছুটে; প্রতিভ1 মান্থষের দোষ টাকিয়া রাখে; প্রতিভা মান্য ভন্দ করে) জগতের ইতিহাসে, প্রেমের সসারে, এমন সহ দৃষ্টান্ত রা ূ বিদ্যাঘাসর মহাণিঘ় আাইকেলেহ প্রতিভা এতাশ বিমোহিত রঃ ঘে, অনেক সময় মাইকেল কথার অবাধ্য হইজে ও, ভিনি ভাহাতে রাম করিতেন না। জাখাতৃপুত্রেরও অপিষ্ঠত) আধাধ্াতা, ক ষ্যপরাজুখতা এবং হৃক্কতিপোব বা যে 57 জে রি এযন কি, উহাদের মুখাব- [শাকনেও বাহার প্রন শি হু ? খেই বিদ্যামাগর মাইকেলের গত ভ্পহা্থ বু দিসি শইতেন। প্রতিভা-পুজার গ্রক্কত পিচ ইহা আপেক। আহ কি হইতে পারে? মাইকেলের শাহাধ্য্ টি নঃ.ক আরশ চারি সহ টাকা ব্যয় করিতে হইয়াছিল মাঈকেন এক কপর্দকও গুণ পরিশোধ কগিতে পারেন নই । এহদ্ব তীভ মাইফেদের আরও অনেক টাকার ঞণ ছিল। নিমজিবিত পত্রে ও তালিকার তাহার প্রমাণ ;- ঈশ্বনঃ শরণমূ। পিত্ত! পধকোটের অমহারাজার নিীন্বাতিখয়ে বাধা হইয়া, অদ্য রাত্রিতিই ৪১৬ বিদ্যাসাগর আমাকে পুরুলিয়া যাগ্রা করিতে হইল। সুতরাং মহাশয়ের সহিত নাক্ষাৎ করিতে অক্ষম হইলাম । ভরস1 করি, আগামী মোমবারে পুনরায় 5রণ-নম্লিধানে উপস্থিত হইতে পারিব। দ্ততজ মহাশয়ের ঝণদাতৃপ্নণের দামদন্বলিত ঝণের “তালিক|” এই পাঠাইলাম। মহাশয়েত্র ্রচরণকমলে বিনীত ভাবে আমি এই প্রার্থধা করি ষে, যেরূপে পারেন, বিপদ দও্জকে এবারে রক্ষা করিয়! স্বীয় অপার করুণার আরে! সুপরিচয় প্রদান করিবেন। কলতঃ মহাশমের অনুগ্রহ ভিন্ন বর্তমানে দত্বজান আর উপায়ান্তর লাই ! নিবেদন ইতি, ১*ই আশিন, ] পদানত দাঁন বাত্রি। অকৈলাসচন্জ্র বস্থ। মাইফেল মধৃস্থন দত্তের দেনার হিসাব | ট্রেড এমো সিয়াম ৫৯০৯, বাবু কালীচরণ ঘোষ ৫০০০, টার্জি- দাতের মখুব কু ৪০০, গোিন্ চন্দ্র দে বত্ধাজার ৩০০*, দ্বারকানাখ মিত্র ২৫০০ ঞ্াণ্কুষ দত্ত শামবাজার ১১০০, হত্রিমোহন বন্দ্যোপাধ্যায় খিদির- গুরু ১৩০৪১, রাঁজেন্দ দণ্ড ডাকতর চনাদনগর ২০০২, কেদার ডাঁকতর ২৯৭১, গোদাকৃষ। গোন্বামী ১০০, লালা বড়বাঁজার ৮৫০০, গমেজ, লাহেব ৬*০১, বিশ্বনাথ লাঁহা, ১*১, দে কোম্পানী ১০০, মানভূম ৫৯০১, মণিরাদিমৃ ৪*০, আমিরন আয়! ২০০১, ঈখবরচন্জ যস্থু কোম্পানী ৩৬০০, বেণারসের রাজ| ১৫*০১, মতিটাদ বন্দ্যোপাধ্যায় ২০০০, উ্দেশটক্র বসু ও মুনলীর মাহি আল! €০০), ঘাঁড়ি ভাঁড়া ৩১০, চাক্করানের মাহিআন1 ৭৯০ ব্থ-সমুদ্র হইভে মাইকেপকে উদ্ধার করা বিদ্যাসাগর মহাশয় হুঃলাধ্য ভাবিঘাছ্িলেন। ১২৭৯ সালের ১৫ই আশ্বিন বা ১৮৭২ খষ্টান্দের ৩৫শে সেপন্বর তারিখে, তিনি মাইকেলকে মাইকেল ও বিদ)ানাগর। £১৭ ইংরেজীতে এই মর্মে পত্র লিখিরাছিলেন,-«তোমার আর আশা-ভরসা নাই। আমি কি আর ক্কেহই তোমাকে রঙ্ছ করিতে পারিবে না। তালি দিয়া আর চলিবে ন'।” কোনরূপ ছুরভিসন্ধি-বশে মাইকেল যে বিদ্যামাগর মহাশধের খণ পরিশোধ করেন নাই, তাহা নহে; প্রকত পক্ষেই তিনি ধণ পরিশোধে অপারগ ছিলেন। এই অপারগ" তার মূল কারণ অতীব 'অমিত-ব্যফিত(। একে অমিতব্যয়ী, তাহার উপর উপার্জনে তিনি সম্পূর্ণ অমনোযোগী ছিলেন। গুনিযাছি, অনেক অমন বিদ্যাসাগর মহাশয় তাহাকে জোর- জবরদস্তী করিয়া! আদালতে পাঠাইয়া দিতেন। এইরূপ না হইলে, তাহাকে অকালে আলিপুরের দাতর্য হানপাতালে ঘীনহীন কাকজ্জালের মত, দারুণ মনস্তাপে প্রাণত্যাগ করিতে হইবে কেন * মাইকেল থণ পরিশোধে অপারগ ছিলেন! বিদ্যাাগর মহাশয় তজ্জন্ত আদে চিন্তা করিতেন না। * ১২৮০ মালের ১৬ই আষ1ট ব1 ১৮৭৩ সালের ২১শে জুন রবিবার বেজ ২ টার লমর যুত্যু হয়। মৃত্যুর ছুই এক বংসর পূর্ব হইতে মাইকেল বিদযানাগর্র মহাশয়ের বক্ষঃস্বল হইতে বিচ্ছিন্ন হইয়াছিলেম। তিনি নিজের শ্বভাবের দোষাতিরেকে বিদ্যামাগর মহাশয়ের সহিষুতার নীম! ধধ্যে স্থির হইয়। থাকিতে পারেন নাই। মাইকেল শেষে বিদ্যা" সাগর মহাশয়ের লহিত আদেো নদ্বাবহার করেন নাই। একবার বিদ্যানাগর আহাশয় মাইকেভ্রকে বাবু সন্বোধন করিয়)। পত্র লিবিয়া ছিলেন। মাইকেল মে পত্র প্রত্যাখান করেন। অত্ধঃপর বিদ্যানাগর মহাশয় ধিলাত-ফে?ত বান্গালীকে বড় প্রীতির চক্ষে দেখত্বেন ন/। ৪১৮ বিদ্যামাগর। সাহায্যার্থ অর্থব্যয় করিয়া, সে অর্থের প্রতিরোধ প্রত্যাশ। ন| করিয়া বিদ্যামাগর মহাশয় মাতৃভূমির কৃতজ্ঞ পুত্রের কার্ধ্য করিয়াছিলেন। থণ পরিশোধ ন| হউক, কাব্যে মাহিত্য- সমারে মাইকেঙ্গ মাতৃভ মির বহুখণ পরিশোধ করিয়া! পুণ্য মঞ্চ করিয়াছেন। দ্বাবিংশ অধ্যায়। অধমর্ণের ব্যবহার ও অযাচিত দান। বিদ্যাসাগর মহাশয়) ণ করিয়া, যে সব খণগ্রস্ত অধমর্ণকে উতমর্ণটদ্িগের হস্ত হইতে উদ্ধার করিয়াছিলেন, তাহাদের কাহাকেও একটী দিনের জন্য টাকার তাগাদা বিরন্ত করিতেন না। অনেক ধণগ্রস্ত অধযর্ণ, তাহার কৃপায় উদ্ধার শাভ করিয়া, থণ পরিশোধ করে নাই। কেহ কেছ ক্ষমতা পড়েও পখ পরিশোধ করেন নাই) কেহ কেহ লা অত্য-সত্যই এশপরিশোধে অক্ষম ছিলেন। এমন কত গণগ্রস্ত ব্যক্তি, তাহার কৃপায় মুন্তিলাভ করিয়াছিল, তাহার নিরপথ নাই। সদীয় ভ্রাতা বিদ্যার মহাশয়, যে কয়টা উদ্দাহরণের উল্লেখ করিষ্বাছেন, আমা পাঠকবর্দের পরিতপ্তযর্থ ভাহারই পুম্কল্লেখ এইখানে করিলায় ১ ্‌ (১) রাধানগর-নিবাজী রায়কমল মিশ্র এবং গঞ্গাদাসপুর- নিবাসী গোরাাদ দত্ত, গন্গাদাসপুর-নিবামী তারাটদ সর- কারের ৫** টাক! ধারিতেন। ভার'টাদ উত্ভযেরই নাষে নালিম করিয়া “ডিক্রী” গান। পরে এ ছুই জন দেনাদায়, ওঘ্ারেন্টে গ্রেপ্তার হইয়াছিলেন। ইহারা কঙ্গিকাতায় বিদ্যামাগর মহাশয়ের শরণ।পন হন। ঘিদ্যাসাগর মহাশয়, তখন ৬খ্যামাচরণ দে মহাশয়ের বাড়ীতে ছিজেন। তাহার নিকট তখন টাঁকা ছিল না। তিনি তথায় রাখাল মিত্র নায়ক ৪২০ বিদ্যামাগর। এক ব্যক্তির নিকট খত জেখাইন্া বং দ্কুৎ সাক্ষী হইছ়। ৫১৯ টাকা উাহাদিগকে দ্রিয়াছিলেন। তাঁহার] কিন্তু ইহার পর আর বিদ্যাসাগর মহাশযেন্স সহিত জাক্ষাৎৎ করেন নাই । রাখাল বাবুর মৃত্যুর পর বিদ্যামাগর মহাশয়, তাহার সক অদ-সহ টাকা দিয়া, খত খোজা করেন। (২) একবার পণ্ডিত জগঙ্ষোহন ভর্জালক্কার ৫০০ টাকার জন্য বিপদগ্রস্ত হইযাছিলেন। তিনি বিদ্যাসাগর মহ?শষের নিকট কাদিয়া কাটিয়া পড়েন । বিদযাদাগর মহাশয় ৫০০ টাক? ঘার করিযণী তাহান্কে দিয়াছিলেন। ইহার পরে তর্দালদ্ারেক সহিত আর তাহার সংক্ষাঙ্ হক নাই, (৩) এক সময় জাহানাবাঁদের নিকট কোন গ্রামনিবাষ) ভট্ট চার্ধ্য, ভু. শত টাক! ঝণ করিয়া পুর-পরিজন প্রর্িপাজন করিয়াছিলেন! তিনি এ খপ পরিশোধ করিতে পারেন লাই! পাওনদার মহাজন, স্বাহাকে ব্যতিব্যস্ত করিয্বা তুলিফাছিকেন। ভষ্টাচার্ধ্য মহাশমু, বিদ্যাসাগর ম্হশয়ের নিকট আাপির। গলদশ্রলোচনে কাতরকণ্ঠে আপনার দুঃখের বথা জানাইঃ1- ছিলেন। বিদ্যাসাগর মহাশয়, তাহাকে ছুই শত টাকাই দান করিয়াছিলেন । ও পাঠক! একবার ভাব) গৃহন্থ বিদ্যালাগরের একি অপার করুণা এবং ভশ্রুতপুর্ব অঙ্মসাহস। বিদ্যাসাগরের এ দাতৃত" পরিচয়ে কোটিপতি ধনকুবেরকেও সবিস্ময়ে সহস্র বার মস্তক অবনত করিতে হয়। হিন্দু, মুসলনান, হষ্টান) শিখ, অযাঠ্তি দান। ৪২১ পারসীক,ষে কেন হউক না, বিদ্যাসাগরের নিকট হাত পাতিয়া কখন কেহ বঞ্চিত হয় নাই। ভাটপাড়া-নিবাধী মহামহোপাধ্যায় শ্রীযুক্ত রাধালদাস ্তা়রত্ব মহাশয়, বিদ্যাসাগর মহাশয়ের নিকট চতুগ্গাঠীর সাহা য্যার্থ প্রার্থন! করিয়া মাসিক ১০ টাকা বৃত্তি চারি বৎসর কাল পাইয়াছ্িলেন। পরে তিন্ন উপার়ক্ষম হইযা বৃন্ধ বন্ধ করিয়া দেন। মাসিক বৃত্তি ব্যতীত ভ্তায়বতু মহাশয় আরও নানারূপ সহ্থাযা পাইতেন। বিদ্যাসাগর মহাশক্র, কেবল সাহায্যপ্রার্ধীমাত্েরই প্রার্থন! পূর্ণ করিয়া ক্ষান্ত থাকিতেন না। কোথায় কাহার কিরূপ কণ্ঠ, কে কোথায় অর্থাভাবে দ্রারণ দ্বারিদ্য-নিষ্পেষণে বিপদাপন্ন অথব। অন্নাভাবে ভীষণ জঠরাঁনলে অবসন্ন, তাঁহারও জন্ধান লইয়া, তিনি স্বকীন্ন জধ্যমত আর্তত্রাণোপযোগী সাহাধ্য করিতেন। যখনই তিনি বাহির হইতেন, তখনই টাকা আধুলী, ছুয়ানী, পয়সা সঙ্গে করিয! লইতেন। সেগুলি প্রায়ই ফিরিষু আমিত না। শুনিয়াছি, সময়ে স্ময়ে, রাত্রিকালে বাড়ী ফিরিবার সময়, কোন অভাগিনী বেশ্তাকে উপার্জন-আশাঙ কষ্টভোগ করিতে দেখিলে, তিনি তাহাকে টাকা পয়স| দিয়া, সে রাত্রির জন্ত তাহাকে ঘরে ফিরিয়া যাইবার পরামর্শ দিতেন । এক সময়ে কলিকাতা সহরে এক অতি দরিদ্র দুস্থ মাদ্রীজী, স্ত্রী ও বহু অস্তান সম্ভতি লইয়া, অতি নীচ ভথন্ত জন্পর্ণ অন্বাস্থ্যকর স্থানে বাস করিতেছিল। তাহাদের দুঃখের পার ৪২২ বিদ্যাসাগর। ছিল না। বিদ্যাসাগর মহাশয়, তাহাদের সে শৌচনীয় অবস্থার কথা শুনিয়া, দ্বয়ং তাহাদের আলয়ে উপস্থিত হুইয়ানছ্বিলেন এবং তাহাদিগকে হুখ-দ্বচ্ছন্দে থাকিবার ব্যবস্থা করিয়া দিয়াছিলেন। ৃ এক দিন বিদ্যাসাগর মহাশয়, একটা বন্ধুর সহিত কলি- কাতায় মিমলা-হেছক্মার নিকট পাদচরণ করিতেছিলেন। /সই সময় একটা ব্রাঙ্গধ গন্গাম্মান করিয়া অতি বিষ ভাবে তাহার সন্দূধ দিয়া যাইতেছিলেন। ব্রাঙ্গণের চক্ষে জল পড়িতেছিল। বিদ্যাসাগর মহাশয়, তাহাকে ভাকিয়া বলিলেন, “আপনি কাদিতেছেন কেন +" বিদ্যাসাগর মহাশয়ের চটি জুতা ও মোট! চাদর দেখিয়া, সাঁযান্ত লোকবোধে, ব্রাহ্মণের কোন কথাই বলিতে প্রবৃত্তি হয় নাই। কিন্ত বিদ্যাসাগর মহাশয়ের পীড়াপীড়িভে তিনি বলেন,--“আমি এক ব্যক্তির নিকট হইতে টাকা ধার করিয়া, কন্তাদায় হইতে উদ্ধার লাভ করিয়াছি; কিন্ত সে টাকা পরিশোধ করিতে অক্ষষ। বণদাতা আদালতে আমার নাষে নালিস করিয়াছে ।” বিদ্যা সাগর মহাশয় জিজ্ঞাদিলেন,-“মোকদ্দমা কবে £” ব্রাঙ্গণ বলিলেন,--“পরশ্ব | ক্রমে ক্রমে বিদ্যাসাগর মহাশয়, মোকদদমীর নম্বর, ব্র।ঙ্গণের নাম, ধাম প্রভৃতি একে একে সব জানিয়া লইলেন। ব্রাক্ষণ চলিয়া গেলে পর, তিনি সন্গী বন্ধুটীকে মোকদমার প্রকৃত তথ্য অবণত হইতে বলেন। ত্বধ্যা্থদক্ধীনে ঠিক হয়, ব্রাহ্মণের কথা সত্য; দেনা তার অযাচিত দান। ৪২৩ সদ্দে আদলে ২৪০০ টাক|। বিদ্যামাগর মহাশয়, ২৪** টাকাই আদালতে জম! দেন। তিনি আদালতের উকীল-আমলাকে বলিঘা! রাখেন,-“আমার নাম যেন প্রকাশ না হয়; নাম প্রকাশের জন্য ব্রাহ্মণ যে পুরস্কার দিতে প্রস্তত হইবে, আমি তাহা দিব” ব্রাদ্ষণ মোকদমার দিন উপস্থিত হইয়! বুঝিলেন, কোন পুরুষোত্তম, তাহার দেনা পরিশোধ করিয়া- ছেন। তিনি বহু চেষ্রীয়ও উদ্ধার-কর্তার নাম জানিতে না পারিয়া, বিষাদ-পুলকে বাড়ী ফিরিয়া যান। কিছু দিন পরে বিদ্যাসাগর মহাশয়ের বন্ধুটীর সহিত ব্রাদ্ষণের এক দ্বিন সাক্ষাৎ হইয়াছিল। ব্রাঙ্ষণের ধন পরিশোধ হইয়াছে, বন্ধু ব্র্ধণের মুখে তা শুনিরাছিলেন? কিন্তু বিদ্যাসাগর মহাশস় ঘে তাহার উদ্ধার-কর্তা, তিনি তাহা ঘুণাক্ষরে প্রকাশ করেন নাই। ব্রাহ্দন সহরের অনেক ধনীর নিকট ছুঃখের কথ! জানাইয়াও যে এক কপর্দক কাহারও নিকট পান নাই, বিদ্যাসাগর মহাশর, ত্রাদ্ষণের মুখে তাহ পূর্ধ-সাক্ষাতে শুনিয়ছিলেন। * কর্মফল অবশ্ঠস্তাবী। একটী মিথ্যা কহিয়! ধর্মবতার যুধিষ্টিরের নরক দর্শন হুইয়াছিল। বিদ্যাসাগর মহাশয়, ধর্ম বিগহিত কার্যের অনুষ্ঠান করিয়া গিয়ান্বেন। তাহার অসীম * এ দান-বিবরণটী আমরা ভট্টপল্লীর খ্যাতনান1 পণ্িতপ্রবন শ্রীযুক্ত পর্চানন তর্ক৪তু মহাশয়ের মুখে শুনিয়াছি। ৪২৫ বিদ্যাসাগর | দতৃত্বগুণে সে কর্মফল খণ্ডিত হইবে না নিশ্চই । তবে তিনি তাহার দাতৃত্বকার্ধেযর অন্ুন্ূপে ও অনুপাতে, পরকালে পরম সুখকহ্ভোগী হইবেন। ত্রয়োবিংশ অধ্যায়। পুনঃ কাধ্য-্রার্থনা, ওয়ার্ড ইনট্টিটিউসন ও শাস্ত্রীয় ব্যবস্থা। ১২৬৯ সালে বা ১৮৬২ স্টাবে ব্যাকরণ-কৌমুদীর চতুর্থ তাগ মুদ্রিত ও প্রকাশিত হ়। বিদ্যাসাগর মহা, অরকারের কাধ্য পরিত্যাগ করিয়া" ছিলেন বটে) কিন্ত সরকার তাহাকে পরিত্যাগ করিতে পারেন নাই। অরকারী বৈতনিক কাধ্যে তিনি আর আত্ম-নিযোগ্ন করেন নাই। ভবে বিধধা-বিবাহ-প্রচলন জন্য ব্যন্-নিবন্ধন নানা প্রকারে ধণ-জালে জড়িত হইয়া, তিনি আর একবার সরকারী কর্মের প্রার্থী হইয়াছিলেন। তাহার এ কাধ্য প্রার্থনা ইহ-সংসারে একান্ত বিম্ময়াবহ ব্যাপার নহে। অবন্থার আবর্তন-বিবর্তনে ইহা অসভ্তবপরও নহে। রাজপুতনার বীর প্রভাপসিংহ, পরিবার সহ পর্বতে পর্বতে পরিভ্রমণ করিয়া বেড়াইয়াছিলেন) তবুও মুসলান দআাটের হস্তে আত্ম-বিসর্জান করেন নাই। কিন্ত যেদিন তিনি দেখিলেন, তাহার প্রাণ প্রিতধ শিগগণ ঘাজের কুটি খাইতেছে ; আর মে রুটি বিড়ালে মুখ হইতে কাড়িয়। লইতেছে; সেই ধিন সে দৃশ্ঠা তাহার অসম হইয়াছিল। আর সহিতে না পারিয়া, তিনি সক্জাট আকবরকে জাত্ব-বিসর্জন-কলে পত্র লিখিয়াছিলেন। কিন্ত ৪২৬ বিদ্যাসাগর । প্রকৃত পক্ষে তিনি আত্ম-বিষর্জন করেন নাই। প্রশ্তাপজিৎহের ন্যায় তেজন্বী দেশতস্ত আর কে আছে? যখন 'অবশ্থাভেদে তাহ।রও আত্ম-ক্রুটি, তখন অন্ত পরে কথা কি? বিদ্যাসাগর মহাশয়, খণ-নিষ্পীড়নে পুনরায় সরকারী কর্মের প্রার্থা হইয়াছিপেন বটে; কিন্তু ইহ-জগতের অধিকতর মঙ্গল- জনক কাধ্য-সাধন জন্ত ঠাহাকে পুনরায় সরকারী কার্যে প্রবৃত্ত হইতে হয় নাই। তবে সরকারের অনুরোধে, সাধারণের হিতার্থে, তাঁহাকে অনেক অবৈতনিক সরকারী কার্দ্যে ব্যাপৃত হইতে হইয়াছিল। ওয়ার্ড ইনফিটিউসনের পরিদর্শন-কাধ্য তাহার অন্ততম। ১২৬৯ সালের ৭ই ফাল্তন বা ১৮৬৩ বৃষ্টান্বের ১৮ই ফেব্রু- য়ারী, সরকার বাহাছুর, তাহাকে ওয়াডদ্‌ ইনগ্রিটিউসনের পরিদর্শন-কার্যে নিযুক্ত হইবার জন্ত, নিম্লিখিত মন্দ্রে পত্র লিখেন ;-- “গবর্ণমেন্ট ওয়ার্ডন ইনপ্িটিউপনের জন্ত চারি জন কি পাঁচ জন এ দেশীগ সন্্াত্ত লোককে পরিদর্শন-কাধ্যে নিযুক্ত করিতে ইচ্ছা করেন। বৎসরের মধ্যে পর্ধযায়ক্রমে নির্ধারিত মাসে এই পরিঘর্শকগ্রণকে ইনিষ্টিটিউসন পরিদর্শন করিতে হইবে। ইহার উন্নতিকল্গে যে পরিবর্তন ও প্রবর্তন তাহারা যুক্তিসগত মনে করিবেন, তাহা গবর্ণমেন্টকে অব্গত করাইতে হইবে। গবর্ণমেন্ট জানেন, বিদ্যাসাগর স্বদ্দেশবাসীর সকল উন্নতিজনক কার্যে মনোধোশী হন। সেই জন্ত ছোট লাট বাহাদুরের ওয়ার্ড ইনগ্রিটিউসন। চহ৭ একান্ত ইচ্ছা, বিদ্যাসাগর মহাশয় ইনষ্টিটিউসনের পরিদর্শন কার্ধ্যতাক়্ গ্রহণ করেন ।?? অভিভাবকহীন নাবালক জমীদার-পুত্রগণকে সরকার বাহা- ছুরের তত্তাবধানে রাখিয়া শিক্ষা দেওয়াই এই ইনষ্টিটিউসনের কার্য । বিদ্যাসাগর মহাশয় অনুরোধপরততন্ত্র হইয়া এবং স্বদেশ- বাসী জমিদারসন্তানবর্ণের উপকার হইবে ভাবিয়া, ১২৭৯ সালের অগ্রহায়ণ বা ১৮৬৩৩ ব্বষ্টাব্ধের নবেম্বর মাসে ওয়াস ইনট্রিটউলনের পরিদর্শক নিযুক্ত হন। ইনষ্টিটউসনের উন্নতি- কামনায় তিনি নান1 পরিবর্তন-প্রস্তাব করিয়া গব্থমেন্টকে লিখিয়াছিলেন। তিনি ইংরেজীতে যে সব ম্মারক-লিপি ও রিপোর্ট লিধিয়াছিলেন, তাহার মধ্য হইতে নিম্নলিখিত স্মারক-লিপি ও রিপোর্টের বঙ্গানুবাদ প্রয়োজনবোধে প্রকাশ করিলাম ম্মারক-লিপি (১) ইমট্রিটিউসনের ভিতরকার বন্দোধন্ত দেখিয়া নন্ধট্ট হইয়াছি। কিন্ত এফ বিষয়ে কিছু পরিবর্তন করিবার দরকার। তাহা এই, বু$মান বন্দোবস্তমতে হমন্ত নাবালক এক ঘরে জড় হইয়া এক টেবিলের চতার্ঘকে পাঠ করিতে বসে। আমি প্রথম দিনই দর্শন করিয়া, ইহা অতান্ত অসন্তেষজমক বোধ করি এবং উত্তরোত্বর দর্শন করিয়! অমস্তোষই দৃঢ়মুল হইয়াছে । জমীদার-পুত্রগণ ভিন্ন ভিন্ন কলামে পড়ে। স্পেলিং বুক হইতে এবট্ান্স কোর্স পর্য্যন্ত ভিগ্র তিন্ন যালকের ভিন্ন ভিন্ন পাঠ্য নির্দিষ্ট আছে। একশ ছলে এ ভিন্ন ভিন্ন ক্লানগুলি এক টেবিলের চতুর্দিকে ৪২৮ বিদ্যাসাগর । খলিযাঁর দরুণ, বড়ই গোলযোগ উপস্থিত করে এবং পরস্পরের বড় ক্ষতিহয়। ইহাদিগের মধ্যে যাহারা মন£নংযেগী নহে, তাহারা পাঠে একেবারেই অবহেলা করে। প্রাতঃকালে ডাইরেক্টার এ স্থলে বসেন এবং বালকগণ স্ুপের জন্ত পাঠ তৈয়ারি করিয়াছে কি না, তাহ! দেখেন। কিন্ত এ সময়ে ধধানে ভাহার অধিষ্ঠান আরও গোলযোগের কারণ হয়। যেহেতু সে নময়ে তাহার নিকট বাহির লোক নদানর্ধবদ1 যাঁওয়। আস! করে। এক জম গৃহশিক্ষক সমন্ত বালকগণকে সন্ধাকালে গড়াই থাকেন। ইহ! আমার ক্ুদ্রবুদ্ধিতে অভ্যন্ত অন্যায় বলিয়া! বোধ হুয়। কারণ ইহা এক জনের পক্ষে অসম্ভব। তিনি এক জন বাঁজককে ১৫ মিনিটের অধিক কাজ দেখিতে পারেন না? সৃতরাঁং ইহাঁচ্ছে ভাহাদিগের উপকার হইবার কোনই লন্তাবলা নাই। ইহার ফল এই হক্স যে, বালকগণ নন্তোষজনকরূপে জেথ।-পড়ায় অগ্রণর হইতে পারে ন]। এই কল দোষ মংশোধন করিষার নিশিত্ত কতকগুলি পরিবর্তনের প্রয়োজন। নিয়ে ভাহার উল্লেখ করিতেছি । ১ম। প্রত্যেক কাদের একটি করিল ভিন্ন টেখিল এবং তিন্ন স্থান থাক। উচিত। ২য়। গ্রত্যেক ক্লান এক এক জন ভিন্ন গৃহশিক্ষকের ভাবে থাক! উচিত। শয়। নিম্ন কালনমূহে শিক্ষকগণের মকাল বিকাল হাজির হওয়] উচিত এবং উপর ক্লানলমুহে তাহারা হয় সকালে, লয় বিকালে, হাজির হইবেম। বালকগরণকে ভাল রকম মাহাষ্য করিবার জন্য আমি এই ভিন্ন তিন্ন শিক্ষকের কথা উাপন করিলাম। কারণ বর্তমান নময়ে দুলে যেক্সপ শিক্ষা! দেওয়া! হয়, তাহাতে ভাল রকম সাহাঘ্য ব্যতীত সাধারণত ওয়ার্ডস্‌ ইনষ্রিটিউমন। ৪২৯ বালকপণ কিছুই শিথিতে পারে না। এক জন লোঁক এক কিন্বা ই বট| কাল এতগুণি লোককে শিক্ষা দিলে ভাল শিক্ষার আশ! ক্কর। যাইতে পারে না। না-বালক জমীদার-পুত্রগণ যাহাতে সম্পূর্ন মাত্রায় লাহাষ্য প্রাপ্ত হয়, ইহ1 একান্তই যাঞমীয়। যদি পূর্বোক্ত সংস্কারমকল কার্ধো পরিণত হয়, তাহ? হইলে গোল- যোগের সমস্ত কাংণই বিদুরিত হইতে। অন্যমনন্কদিগের পাঠে অবহেল। কমিয়! আনিবে | ভবিষাতে আরও সুফল ফলিবার নভাবন] হইবে । পুনস্চ,-এই সংস্কভ বন্দোবস্ত অনুসারে ডাইবেক্টারকে আতর প্রত্যহ বালকগণের পাঠ দেখিতে হইবে ন।| সেবিরক্তিজলক কার্ধ্য হইতে তাহাকে এবনর দিয়া, আমি তাহাকে বাঁলকগণের মানমিক উন্নতিসাধলে নিমুক্ত করিতে ইচ্ছা করি । এইরূপ কার্ধ্য তাহার উচ্চ গুণগ্রামের উপযুক্ত হইবে। বর্তমান সময়ে যদিও তিনি এই কার্ধয কতকট৭ করেন? কিন্ত তাহাকে এই ধিরক্তিজনক কার্য হইতে ধিএাম দিলে, এই কার্য আরও ভাঁলকপে সুনষ্পন্ন হইবে। না-বালক জমীদার-পুত্রগণকে মহরে আনিবার উদ্দেশ্টু, তাহাঁদিগের মদের ভাল রকম শিক্ষ1 দেওয়া। তদাধনে যত্ুধান হওয়া] উচিত। ঈমখরচন্দ্র শর্মা, ৪ঠ1 এপ্রেল, ১৮৬৪ খুঃ। অনিতা রিপোর্ট । আর্, বি, চাঁপমান্‌ স্কোয়ার, | রেভিনিউ বোর্ডের সেক্রেটনী মহাশর নমীপেষু- মহাশয়! ওয়ার্ড ইনট্িটউননের গত বংসরের কার্ধ্যপ্রণালীর পুঞজাপুগ্থ রিপোট [দিবার জন্য অনুজ! করি ১৮ই লবেশ্বতরে ৪৮৩ নং যে পত্র প্রেরণ করিয়া" 85০ বিদ্যাসাগর | ছিলেন, তাহ! প্রাপ্ত হইর়াছি। সেই রিপোর্ট দিবার পূর্বে মহাশয়ফে জ্ঞাত করিতে চাই যে, পরিদর্শকরৃন্দের রিপোর্টের নহিত এই রিপোর্টও পাঠান হইবে, ইহাই প্রথমে স্বর কর1 হইয়াছিল? কিন্ত কোন কোন বিধতরে তাহাদের মহিত মতদ্বৈধ হওয়ায়, আমি একটী আলাহিদ। রিপোঁ পাঠাইতেছি। এই রিশোর্ট পাঠাইতে, উক্ত কারণে যে বিলম্ব হইয়াছে, তাহার জন্য আপনার নিকট ক্ষম! প্রার্থন। করি। | ছাত্র সংখ্যা। গত ৩০শে প্রপ্রেল তারিথে রেজেপ্রীতে ছাত্র নংখা। ১২ জন। শিক্ষোন্নতি | ছুই একটা শিক্ষণীয় বিষন্ন ব্যতীত বাজকেরা যেব্ধপ উন্নতি করিয়!ছে, তাহ! সন্তোষকর ন1 হওয়ায়, 'মেইগুলির পুনগ়্ালোচনা আবন্টক। এই বিষয়ের বিশেষ বিবরণ পরে বিবৃভ হইখে। ব্যায়ামশিক্ষা!। ব্যায়ামশিক্ষার প্রণালী অতি হুন্দর হইক্সাছে। গ্ুজের বালকরৃণ্দ রীতিমত নির্ধারিত প্রণালী অহৃসারে ব্যায়ামশিক্ষ। করিয়াছে। হ্বা্য। নাধারণতঃ বালকত্ৃনদের স্বাস্থ্য ভালই ছিল। থাদ্য। খাদ্য দ্রব্যাদি যত দর আমি তত্বাবধান করিয়াছি, তাহ] অতি উৎকৃষ্ট ও শ্বাছ্যকর। ভাহাদের নিজের নিজের লোক দ্বারা ধাদয ্বপতন্ত রগ্ধনাগারে প্রপ্তত হইত। ব্যক্স। বাৎসরিক মোট ব্যয় ৩১৫২৪%১৪ পাই অর্থাৎ গল়্পড়ত। প্রতি বালকের প্রতি খাখনরিক ২৬২৭ ট।ক1 অথব1২১৯ টাক মানিক। বালক- দিগের যেরূপ অবস্থা! অর্থ।২ তাহার1 যেরূপ ধমাঁচ্য এবং কলিকাতায় থাক! ঘেরপ ব্যয়মাধ্য, তাহাতে বাৎসরিক উক্ত ব্যয় আমার বিষেচনায় অতিরিষ্ক বলিয়! বোধ হয় ন1। দর্শকরৃন্দের পরিদর্পন। রেভিনিউ তোর্ডের দ্বারা জনুজ্ঞাত হইয়া ১৮৩৩ ভারিখে নবেশ্বর হইতে গত বর্ধের শেষ পর্য্যন্ত উক্ত ইনিগ্িটিউসনটি ওয়ার্ডস্‌ ইনগ্রিটিউমন। ৪৩১ পাঁচবার পরিদর্শন করি। প্রথম হইতে আমার ধারণ! হয় যে, ওয়ার্ড দিগের শিক্ষাপ্রণ!লী সম্পূর্ণ হুচারু লয় এবং তাছার সংস্করণ হওয়া আবস্টাক। আমি গত ৪ঠ] এপ্রেল তারিখে একথানি স্মারকলিপি প্রেরণ করি। তাহাতে উক্ত প্রণালীর যে যে দোষ আছে, ভাহ। দেখাইয়াছি এবং যে ধে উপার অবলম্বন করিলে আমার বিবেচনার দেই দেযের নংশোধম হইতে পারে, ভাহারও উল্লেখ করিয়াছি। ভাহার পর উক্ত প্রণালীর সংককারের মধ্যে কেবল একটী উপরন্ত প্রাইভেট শিক্ষক নিযুক্ত কর। হয়। বিন্ত আমি মহাশয়কে লবিনয়ে নিবেদন করিতেছি যে, আমি ইহার প্র শে কয়েকবার পরিদর্শন করিয়াছি, ভাহাতে শিক্ষাপ্রণালীর বিশেষ কোন উন্নতি দেখিতে পাই নাই। উল্লিখিত স্মারকলিপি প্রেরণ করিবার পরে আমি সাতিশয় মনোযোগের মহিত এই বিষয়টার পর্যালোচনা করি এবং যোর্ডকে জ্ঞাত করিবার জন আমার নিজ মত প্রকটিত করিবার এই স্বযোগ অবশন্ধন করিয়াছি। আমার মতে ওয়ার্ডগণের শিক্ষাপপ্রণাশীর আদ্যোপান্ত নংস্করণ হওয়। জবস্টুক। সাধারণতঃ ওয়ার্ডদিগকে এই ইনিষ্রিটিসেনে ৪ হইতে ৬ বৎমর রাখা হয় এবং যদি ওয়ার্ডদিগকে সাধারণ স্কুলে পাঠান হয় ও নেই খান- কার প্রণালী মত পড়ান হয়, তাহ! হইলে এই অল নময়ের মধ্যে তাহাদের বিশেষ শিক্ষোননতি আশ! কর যাইতে পারে না । এ নকল বিদ্যালয়ে বর্ণপরিচয় হইতে ইউনিভািটির প্রবেশিকা-পরীক্ষার উপযুক্ত শিক্ষা পাইতে গেলে, দাঁধারণতঃ ধালকরৃদ্দের নয় বমর লাগে? কিন্ত শিক্ষা পরীক্ষায় উপযুক্ত হইলেও তাঁহার ইংরেজীতে এন্সপ দধল জন্গায় না, যেরূপ দখল তাহার পাঠাভ্যামকালের পর অত্যাব্ঠক। আতএব ইহ! নহজেই অনুমান কর1 যাইতে পারে যে, যে ছাত্রের প্রবেশিকা-পরীক্ষার উপযুক্ত শিক্ষাও ন! পাইয়া, ইতিমধ্যেই পাঠাভযান ত্যাগ করে, তাহাদের শিক্ষা কতদূর হইল। ছুর্ভাগ্যক্রমে অধিকাংশ ওয়ার্ছদিগের শিক্ষা! এই ৪৩২ বি্দাযসাগর | প্রকারের হইয়। থাঁকে এবং যত দিন সাধারণ দুলে তাহাদের পাঠাভ্যাসের বন্দোবস্ত থাকিবে, তত দিন এইবূপই হইতে থাকিবে । যাহ1 হউক, যখন ইহা যাহুনীয় যে, ওয়ার্ডগণ ইনিগ্রিটিউনন্টী পরিত্যাগ করিবার পূর্বে কার্যযোপযোণী জ্ঞান লাভ করে, তন আমি বিনয়পুরঃনর দিবেদন করি ঘে, তাহাদের শিক্ষা প্রণালীর নৃতন বন্দোবস্ত কর! হয়। ১। এই ইনিগ্রিটিউমনটী এক্ষণে গুদ্ধ ওয়ার্ডগণের খাসস্থান বলিয়া নির্ধারিত আছে। ইহাকে খোডিং বিদ্যালয়ে (এই স্থালে বালকগণের বানগ্থান এবং পাঠাভ্যান এই উভয় ব্যবস্থাই হয়) পরিণত করা উচিত। ২। ওয়ার্ডদিগের বিশেষ গুয়োজনীয় স্বততন শিক্ষা-পুস্তক সকল প্রণয়ন করা! হউক। ৩। ভাহাদের শিক্ষা দিবার উপযুক্ত আঁবস্টকমত তৃযোগা শিক্ষক সকল নিধুক্ত কর হউফ। লাধারণ বিদ্যালয়ের পদ্ধতি অন্মারে তাহাদিগকে শিক্ষ1 দিবার অপেক্ষা এই প্রণালী অবলম্বন করিয়া শিক্ষা! দেওয়! যে কত শ্রবিধাঁজনক, ভাহার প্রমাণ ম্বভঃপিদ্ধ এবং তাহার বিস্তারিত বর্ণনা! করণ বাহুল্য মাত্র। নাধারণভঃ বিদ্যালয়সমূহে প্রত্েক শিক্ষককে অনন ৩০ জন বাজবে শিক্ষ। দিতে হয়। সুতরাং কেন শ্রেণীতে নির্ধারিত পাঠা-পুপ্তক হইতে কয়েক ছত্র মাত্র পড়ান নম্তব। এই কয়েক ছত্র মাত্র শিক্ষা করিবার জগ্থ ওয়ার্ডগণকে প্রতিদিন ও ছয় খণ্ট1 করিয়! বিদ্যালয়ে থাকিতে হইবে এবং মেই টুকু পাঠ অভ্যান করিতে প্রাতঃন্ধ্য ছুই ঘণ্টা করিয়া ৪ খণ্ট কাল বাটীতে অধ্যয়ন করিতে হইবে। কিন্তু উত্তাধিত ম়্িম অনুমারে ছুই ঘণ্টার মধ্যে তাহার] ততটুকু পা? বথারীতি অভ্যাস করিতে পারিবে । ফলতঃ দেখ। যাইতেছে যে, ওয়ার্ডগণ এই ইনিিটিউমনে যে জল্প নময় অবস্থান করে, মেই দম[য়ের মধ্যে ইংরেজী ভাঁধাত্বে বিশেষ বুৎপন্ন হইতে পাঁরিধে এবং ছনেক বিষয়ের বিশেষ গুফ়োজনীয় বিবরণ জাত ই ওয়া্ডহ ইনষ্রিটিউমন। ৪৩5 পারিবে এবং পরে শমাজের গণ্যমান্য জোক বলিয়া পরিগণিত হইতে সক্ষম হইবে। কিন্তু প্রবর্তিত প্রথা! অন্নারে চণিলে, এরপ ফলে প্রত্যাশা কর] যাইতে পারে না; এবং এই প্রথ। যদ্যপি প্রচজ্িত থকে ও ওয়ার্ডগণূকে এইক্পপ অকিদ্ধিতকর জ্ঞাদলাভ করিয়া যদি ইনিগ্িটিউলন পরিভাগ করিতে হয়, তাহ] হইলে আমার বিবেচনায় তাহাদিগকে গৃহ এবং আতীয় স্বজনের নিকট হইতে পৃথক করিবার যে উদ্দেগ্ঠ, লে উদ্দেষ্থ নফল হইল ন1। এই ইনিষ্রিটিউপনে ওয়া$গণকে শানন করিবার যে নিয়মাবলী আছে, তাহার একাদশ নিয়মটী বিশেষ কিয়? উল্লেখ করিতে চাই । এ দিক্পমটন তাৎপর্য এই ষে “কোম্প্রকার গুরুতর অপরাধ ন1 হইলে ওয়র্পণকে শারীরিক দণ্ড দেওয়া হইবে ন1'। কিন্তু অর্ডারবুক দৃষ্টে প্রতিপন্ন হইতেছে যে, প্রতিমাদে বাঁলকপিগকে ৪ হইতে ১২ পর্য্যন্ত বেত্রাঘাত নহা করিতে হইয়াছে। যে যে অপরাধে তাহার] উদ্ভরূপ দণ্ড প্রাপ্ত হইয়াছে, তাহ! একটা ব্যতীত অন্ত কোনটা কোনন্ূপই “গুরুতর অপরাধ” বলিয়া প্রতিপন্ন হইতে পারে না এবং নেটীরও বিশেষ কোন বিবরুণ পাওয়া যখৃক্স না। কিন্ধ আমি ইহ নব্নিয়ে প্রকাশ কছিতে চাহি যে, অপরাধ যে প্রকারের হউক ন1 কেন, ওয়াউগণকে শাসন করিতে শারীরিক দণ্ড একেতারে রদ করিয়া দেওয়। হয়। শারীরিক দণ্ডবিধানের অনিটটকর ফলের জন্য তাহা অপর পাধারণ সমস্ত বিদ্যালয় হইতে উঠাইয়া দেওয়া হইয়াছে । শত শত বালক বেক্রযষ্টির সাহাষ্য ব্যতীত শানিত হইতেছে; স্ত;াং ওয়ার্ডন্‌ উনিষ্টিটিউদনে ইহার প্রচলন কিগ্রকার অহ্থমোদনীয়। ওয়ার্ড ইনিষ্িটিউ- সনের বালকবুন্দ যে এইপ্রকার রূঢ় ও কঠিন ব্যবহারের উপযুক্ত, ইহ! আমার ক্ষুদ্রবুদ্ধি কিছুতেই ধারণ! করিতে পারে ন1। বালকদিগের শাসন বিষয়ে আযার কিছু অভিজ্ঞতা আছে এবং আমার স্থির বিশ্বাস এই বে, শারীক্রিক দণ্ড-বিধানের ফল অনিষ্টকর হওয়ায় তাহার দ্বাঃ1 দণ্ডিত ৬৭ 8₹৪ ব্দ্যসাগরু। কক্তিত চরিত্র মংশোধিত হওয়। দূরে থাক, আরও জঘগ্ত হইয়া পড়ে) আমি একারণ সবিনয়ে মহাশয়কে জ্ঞাত কহিতেছি যে, মে শিল্পনটা শীত দ তই] যাঁউক। আঁ এবটী [িষয়ে অমি মহাশয়ের মশোযোগ আকুই কছিতে ইচ্ছ। করি। এক্ষণে অধিকাংখ ওয়ার্ড এক-তল| গৃহ অবস্থান কলে এবং সন করে। কিন্ত কশিকাতার অনাহ্যকর আব-ছাওয়ান ঈহপ' এক্গভলাহ গৃহে বান কঠিলে স্বাহাহাশি হইবার বিশেষ মস্তাবন।। সুরা ধান কেনশ্রকারে সুবিধা কত বাইতে পরে, তাহা ভইলে ভাঃাদের বিলে অবহ'নের ব্যবহ! ক্র] ভউক। পে বিবে আমার মহ প্রকাশ কায়াছি, মেহতা স্বামি আগ্রহ লহকারে পুথ হুপুর পর্যালোওনা কহ্য়াছি। সৃহরাং এ বিষয়ে কতক- উপ সুলিক্রম উদ্ভাহন করণ, জামার ক্ব্য বলিয়া মনে ফবি। তশখন আীগথ চন্দ শর্খ, ১১ই জ নুনারী, ১৮৬৪ মূল) সপন শ্ম'রক দিশি (২) বা-নারকণণ তল রকম লেব। পড়া শিশিয়! এলং মখাচোগারুশে কাঙ্জের খোক হই] পরে ভাল জমীদার এধং সমাজের উপকাতক হইন্তে পাকে, তৎমাধনই নাবালক বিদ্যংলগ়ের উদ্দেন্ঠ। কিন্ত এইথাদে তাহাজা যে শিক্ষা প্রাপ্ত হয়, ভাহ1 শিক্ষা নাজের উ*সুকুই *হে এবং তারা কুল পরিত্যাগ করিবার লমক্ দামান্তরঘাওই ই'ত্রেভী জ্ঞান ল'ভ, কর । আতর এক্ষণে যেন্রপ বরোবন্থ আছে, তাভাতে এর শ্শোও ভালু ওয়াডগ্‌ ইদস্রিটিউপন। ৪5৫ কলের ছাশা কর] বাইচ পারে না। এই নকল দোষ লশোধল করিবার নিমিত্ত অমি গত ১১ই জানুরাতির গিপো্ট কতকগল প্রস্তাব উতাদন করি। এই ব্যান লমিতি গঠন হইবার পর হইছে হাম মেই গুল হিতেষ করিয়া আলোচনা হরি দেবিহছি এত এ মন্ত পরিবর্ধন করিবার কোনই কারণ দেখি লা। আ্বামার দুঢ় বিশাল ম, আমি বে যে ইলগি- টিউমলের লংস্কাতেতর কথা উল্লেখ করিয়াছি, উ মতে সন্ধার ভইজে, ঘেসৃকঙ্ বলেত উদ্দেত্টো ইনঠিটিউদম দ্বাপিত হঈয়াছে, লেই উদ্দেশ মিদ্ধ 5 পাবে যে ই-ঠিউউলল্দে পরে বোঁডিও সুপ কট। বলিয়া মনে হয়, ভাঁছা হলে শিককির্বাচল বিষিয়ে শিশের মত টান হওয়া উচিত | উপন্ক্ত দ্থো পা ওয়জা শিক্ষক আহক | হি প্রবারে যুষকদিশকে শিক্ষ দেওয়া চয়, ভাত উভাদেহ ভাল রকম জালা উচিত এবং শিক্ষিত মাদার ঘেনকর কোষে দূত থাকে, তা] মেল তাহাদের নাঁথকে। ভুলের ক্ষণাঙ্েক্ষবেঃ ভার ভেডযাটিতের হত্ত থাঙ্কা) উচিষ্ভ। এইদপ নেক হইলে, লে কের এই কু এর উপর যে ব্তিষণ আছে এপং যাহ1 শিখা ফল1 যাতে পাতে না, আমার বিশ্বাস, ত1ছআণতোদ্ত হইশে পারে এবং ইহার উর লোকের বিশ্বান পুনঃ অংস্থাপিত হনতে পারে । কিন্ত এখন সে আবস্থাহ ুণ চধিতেছে, তাহাতে এই কর যদি উই দেওয়া হয়, তব ণ হইলে খাধি দুতখিত্ত হইব না। এইখখলে প্রতেপালিত কতকগুলি যুশক্ষেধ ভীবন এই বিদায়ের কলঙ্ক ঘোঁষণ1 করিভেছে। যদি এই দুল শিক্ষিত নাবালক ন্গ্রনায়ের ভিত অন্তর শিক্ষত নাবালক জহিদ'র- খের ভুল,1 কর? বায়, ভাঁহা হইলে শেষে ক্ক সম্পাদ'য়কে ভাল বলিতে হবে । বর্ধমন নষয়ে না-বালকপিপেত এই কর কৃষনগরে সথান-স্ততিত ক.! কে.নম্তেই ঘু্কসিদ্ধ নহে । কারণ তথান্ত এখন ভয়'নক মডড়কেন প্রাহর্ভাব ৪৩৩ বিদ্যাস'গর । ইহাকে বীরভূম কিম্বা বহরষণুরে স্থানাস্তরিত করিলে কোন ক্ষতি হইবে ন।। কিন্ত জামিযে সমস্ত সংসারের কথ] বপিয়াছি, তাঁহ1 যদি প্রবর্তিত হয়, তাহা হঈল্লে আমি এই সুত্র কলিকাতায় খাক বেশী পছন্দ করি। কারণ পল্লিগ্ৰাম হপেক্ষা সবে নজরেয় উপর স্কুলের তত্বাবধারণ ভাল হইনে। দর্শকগণের প্রায়ই পরীক্ষিত হইলে এবং শামনকারী কর্তৃপক্ষগণের নজরের উপর থাকিলে, স্কুলে থু সৃ্ষল ফলিবাঁরই সম্ভাবনা । ইহ পল্িগ্বামে ছাশ1 কর] যাইতে পারে 1 আমার বিবেগন'য় মাবারকদিপের আাবংলক হইবার বয়ম যদি ১৮ বংসব হইতে ২১ব২মর করা যায়, তাহ হইলে মাবালকদিগের পক্ষে বিশেষ উপকারী হইবে। তাহা হইলে তাহার! আতত্মোান্রতভি করিবার আরও বেশী মময়পাইবে। এইকপ বয়দে তাভাদ্গের ম্বন্ব হ্বিষ্ন পাওয়া উচিত । এই বয়নে লোকের চরিত্র এককশ গঠিত হইয়াযায়। বয়সে এই পরিবর্ধন অত্রত্য জমিদারগণের অনভিপ্রেত হইবে না। আমিজানি যে, ঠিটিশ ইতিয়ান সভা এই বিষয়ে আইম পরিবর্তনের জন্য চেষ্টা করিয়াছিল। শ্রীঈখরচন্্র শখ, ২১ শে আগস্ট, ১৮৬৫ থুষ্টাঝ। ওদ়ার্ডদ্‌ ইনপ্িটিউলন রেবিনিউ বোর্ডের অধীন ছিল। রিপোর্টাদি বোর্ডের কর্তৃপক্ষের নিকট পাঠাইতে হইত । বিদ্যা- সাগর মহাশয় মচ্6, জুলাই ও নবেম্বর মাসে ওয়ার্ড পরিদর্শন করিতেন। বোডের কাধ্যালোচনায় গ্কাহার আন্তরিকতা আব্সম্বাদী। তাহার প্রদত্ত হিপোর্ট ও স্বারকলিপি ইহার অন্ততম অকাট্য প্রমাণ। আত্তরিকতা মনুষ্যত্বের মুল মর্ঘম। বিদ্যাসাগরের সকল কার্য্যেই আন্তরিকতার পুর্ণ পরিচয় গাওয়া যায়৷ ওয় ইনস্রিটিউনন। ৪৩৭ ধবদ্যাসাগর মহাশর ধে স্ব পরিবর্তনের প্রস্তাব করিয়া ছিলেন, তাহার অধিক্কাংশই গ্রাহথ হইয়াছিল। তবে একী বিশিই পরিবর্তন-প্রন্তা গ্রাহত হয় নাই। ইনট্রিটিউজনের ছাত্রবর্পকে বেজ্জাঘাত করা হ্ইত। বিদ্যাঁনাগর মহাশয় বেত্র- ঘ্ড উঠাইবার চেষ্টা করেন। ইনস্রিটউসনের পেক্রেটরী ৬হাজেন্ত্রত্াল যিত্র ইহার প্রতিবাদ করষেন। এতৎসন্বদ্ধে কি করা কর্তব্য, তগিদ্ধারণর্থ একটী কমিচীও হইয়াছিল । কণ্মসীতে র জেন্মলালের প্রস্তান্গ গ্রাহা ছয় ইহার পর নানা কারণে রাজেক্ক বাধুর অহিত বিদ্যাসাগর সহাবয়ের মনাত্তর হয়। অনেকেই বলেন, এই মনান্তর হেতু বিদ্যাসাগর মহাশয় ইনি টিউসনের কার্ধ। পণ্রত্যগ করেন। প্রক্কত পক্ষে কি কারণে তিনি ওয়ারেন কার্য পরিত্যাগ করিষাছিঙ্গেন। তাহ] নির্ণঘ কর] ছঃদাধ্য। আমি অনেষ্ক অনুসন্ধান করিয়া গুকত কাঃণ নির্ণঘ করিতে পারি নাই। এমল ক) প্রকৃত কারণ নির্ণবার্থ রেধিনিউ বোর্ডে অন্ততম সেক্রেউরী মানতীয় আমুক্ত নন্দকৃষ্ণ বনু মহ শয়কে অনুরোধ ফরিয়াছিপাম। তিনি বোর্ডের কাগজপত্র দ্েখিয়' শুনিয়া কোন কারণ নির্ধারণ করিতে পারেন নাই। এই পর্য্যস্ত কেবল জাল] ঘায়, ১২৭১ সালের ১৬ই চৈত্র বা ১৮৬৫ ব্ষ্টান্দের ২৮*শ যার্ড তারিখে তাহার শেষ পরিদর্শন ।* ইহাতে অন্যান সং [১50010. 1:০961)0], 08 7০০, 1০ 0১9 188 06০ 0৮. 2০ 0৪ 198৪ ১. পাশা াশ্পশাা শাাীস্পিপশীিশিশীপিসপী। ৪৩৮ বিদ্য।পাণর | হয়, উপরোক্ত শেষ ম্মারক-লিপি লিখিয়া, তিনি ইনট্রিটিউসনের পরিদর্শন-কাধ্য পরিত্যান্ধ করেন। কোন্‌ পরীক্ষার কি ম.স্কৃত পাঠ্য হওয়া উচিত, তনির্দারণার্থ ১২৭* জালে বাঁ ১৮৬৩ বৃষ্টান্বে একটী কমটী হইয়াছিল। বিদ্যাসাগর মৃহাশৃদ্প ১২৭০ সালে ১৩ই ভাদ্র বা ১৮৬৩ খৃষ্টাঝোর ২৯৭ আগষ্ট এই কঘিটার এক জন সত্য হুইয়াছিলেন। উতর ও কাওয়েজ মাহেব ইহার সভ্য ছিজেন। স্বকীয় ও পরকায় বহ কাধ্যে ব্যপৃহ থাকিয়া, পরোপ- কার৫থ সামান্ত বিষয়েও বিদ্যাসাগর মহাশর ওঁদাসীন্য প্রকাশ করিতেন না। কেহ একটী জামান্স বিষয়ের প্রশ্ন করিলেও, তিন তাহার আত্ম জ্ঞান-ঈন্ঘত ধথোত্তর দ্বানে কুঠ্িত হইতেন না। এইব্ূপ নিত্য কত প্রশ্নের উত্ত7 দিতে হইত, তাহার সংখ) হয় না? এক শপক্রন্ম। পুক্ষষ্র জীবনে অগণিত কার্ষে/র প্রতিষ্া। ১২৭১ মালের ৪ঠ। জ্যৈষ্ঠ বাঁ ১৮৬৪ হৃষ্টাব্দের ১*ই মে পা শিপ পাপ প্পপপপপপা 18001 152৮ 009001%, ড1078005৮ 0510. 2 52516 6০ 1১6 ৬919. 10501156101) 9%10860%, র (99.) ২. 1. 8০090) 2071, [15 1886 99 25 2811) 119701১1865, [0 990, (৩.) টব, টব * 3691) 29-7$ শান্ধীয় ববস্থা । ৪৩৯ ছোট নাগপুর-রাচি হইতে প্রেনফোর্থ মাহেব একখানি চিঠি লিখিদ্রা * নিযুলিখিত প্রশ্নের মীমাৎসা প্রার্থনা করেন। “ক নামক এক জমীদার পা্গল। তাহার প্রজার তাহার বিবাহ দ্বেওয়ায়। এবিবাহ ব্যাপারটা কি, জমীদার তাহার কিছুই বুঝেন নাই । কালে এই বিবাহিত স্থীর গর্ভে একটা পুত্র হয়। এই পুত্র জমীদারের প্রকৃত উত্তরাধিকারী হইতে পারে কিনা ১২৭১ সালের ১০ই আষাঢ় বা ১৮৬৭ ব্ৃষ্টান্তের ২২শে জুন বিৰ্যানাগর মহাশপ্ ইহার এইরূশ উত্তর লিখিয়! পাঠান, “এই পুত্রই উত্তরাধিকাণী হইবে । যখন বিবাহ হয়, তখন দেই বিবাহ-ব্যাপারট1 কি, যদিও জমীদার তা বুঝিতে পারেন নই) কিন্চ এপ ক্রুটিসম্পন্ন বিবাহ হিন্দুর আইনের চক্ষে অন্ধ নছে।” + সহ্বে ৬ কিশোরী টাদ মিজ্ঞের মাঃ এই চিঠি খানি পাঠাইয়! গেদ। কিশোরী বাবু বিপ্যানাগর মহাশয়ের বন্ধু ছিলেন। চতুর্ধ্িংশ অধ্যায় । মেটশলিটন। ১২৭৬ সালে বা ১৮৬৭ বই নে চি ণং-সুলে”র চিভা-ক্টে উপর, বিদ্যাসাগরের কীর্তিস্তভ্ত "2্ট্রপলিটন ইনস্রিটিউমন, প্রতিঠিত হয়। ঠাকুরদা চক্রবন্তাঁ, ৬ ঘাদবচন্দ্র পালিত, ৬ বৈষবচরঞ অঢ্য, ৬ মাধবচন্ল ধাড়া) ৬ পতিতপাবন ফেল এবং ৬ গ্রস্াচরণ সেন কর্তৃক ১৮৫৯ টাকে কলিকাতা শঙ্কর খোষের লেনে “ট্রেনিং গুল” প্রতিঠিত হইয়াছিল। বিখ্যাত কবি আীমুক্ত হেমচক্ বন্দ্যে পধ্যায় মহাশয় বিদ্যালয়ের প্রধ ন শিক্ষকতার ভার প্রাপ্ত হইদ্াছলেন। কলিকাতার বহুবাজারের দন্ত পরিধার এই স্কুলের লাইব্রেতীর জন্ত অনেক পুস্তক দান করিয়াছিজেন। বিধ্যাঙ্ত ধশী ৬ শ্বামাচরণ মল্লিক অন্তরূপ সাহাব্য করিতেন। সংস্কৃত কলেজের প্রিন্সপাল-পদ ত্যাগ করিলে পর, বিদ্যাসাগর মহাশয় এই স্থুলের প্রতিষ্াতুগণ কর্তৃঞ্ক অনুকদ্ধ হইয়া স্কুলের সেক্রেটরী পদে নিযুক্ত হন। এই জময় এ্রকুল পরিটালনার্ঘ একটী কর্মটা হয়। এই কমিটা ৯৮৬১ হৃষ্টাবের মার্চ মান পর্ধ্যত্ত নির্বিবাদে ও নির্কিদ্বে স্কুল পরিচাপিত করি্ীছিলেন। এই ময় সভ্যবদর মধ্যে মনোমাপিস্ত উপঞ্থিত হয়। বিদ্যালয়ের কোন সভ্যের চরিত্র- দৌষ-সন্দেহে সেই মনোমালিগ্। ক্ু্রগৃহে একদিন একটী মাকড়ী পাওয়া ষায়। অনুসন্ধানে প্রকাশ হইল, এক জন সভ্য ফ্টেপলিটন। ৪৪১ রাত্রিযোগে স্কুঙগৃ'হ বেস্ট। আনিতেন। মাকড়ী মেই বেশ্ঠারই। মনান্তরৈর মূলোৎপত্তি এই খানেই পরে যাহার উপর সনে হয় তাহারই কোন থিয় পোষ্য শিক্ষকের পদচু।তি জইয়া মনাভ্তর পাকাপাকি হইয়া উঠিনাছিল। এই সম বিদ্যাসাগর মহাশয়, স্কালের সেক্রেটরী পন পরিতাণগ করেন। ৬ ঠাকুরদা চক্রবন্ভাঁ এবং ৮ মাধব্চন্দ ধাড়া "ট্রেণিং স্কুলের বেঝি চেয়ার প্রভৃতি সরঞ্জাম স্থানাভ্তরে লইয়া গিয়া, *উ্রণিৎ একাডেমি” নামক একটী নৃতন স্কুল স্থাপিত করেন। ট্রেনিং স্কুলের অবশিষ্ট অধিষ্ঠ'তৃগণ, বিদ্যাসাগর মহাশয়, রাজা প্রতাপচন্্র মিংহ, ব্রমানাথ ঠাকুর, হিরলাল শীল) রামগে.গাশ ঘোষ এলৎ বায় ইরচন্্র খোষ ধাহাহ্রকে স্কুল পরিচালনের ভ'র গ্রহণ করিতে অনুরোধ করেন | বিদ্যা্াগর মহাশয় ব্যতীত আর সকলই ভারগ্রহণে সম্মত হন। বিদ্যাসাগর মহাশয় বলেন, “আর তাবেদারীতে কাজ করিতে প্রবৃত্তি হয় না।” প্রতিষ্ঠাতৃগণ বলিলেন,_“তাব্দোরী করিতে হইবে না; স্কুল আপনারই হইল; আমরা পৃষ্ঠপোষক রহিলাম মাত্র ৮ অনেক আাধ্য- জাধমাস বিদ্যামাগন্ মহাশয় ভার গ্রহণ করেন। ১২৬৮ সালের বৈশাখ বা ১৮৬১ হৃষ্ীকে এপ্রেল মাসে উপরোক্ত সন্ত্ান্ত ব্যক্তিগণ লইয়া একটী কমিটী হয়৷ রাজা প্রতাপচন্্র সিংহ সভাপতি ও বিদ্যাসাগর মহাশয় সেক্রেটরী হইয়াছিলেন। ১৮৬১ খষ্টান্বের ন্ম্বের মাসে রায় হরচন্তর খে ও বিদ্য,সাগর মহাশয়ের নামে বংঙ্াল ব্যাষ্ে হিসাব 8০১ বি.ফাঁগর ধেদা হদ। ১৮৬৪ কাজ “রহ জজের হাষ হি অথম প্রথ্ম সা জন্য বিদ্য সাগর মহশকে নিজের অনে্গ ভর্থ ব্য ক্দিতে ইঘ্াছিশ॥। নিদ্যালয়ের বেতন, উচ্চশ্রেশী হইতে হিনশেলী পরাগ ৩২ টাক ছিল নট; ব-প্রত্ঙিত ট্রেনং এক ভেগগ তধন নটর প্রতিদন্দী হইদাছন। ্্রিলিউনেরই পার নিক শুই বাড়িয়া যায় ক্রমে ছাত্রপংখ 1 বাডিতে থকে । বিদ্যাস'গ মহাশতের ক্ট্‌ুট যনে ও আধাবঙাদে ৫বং প্রণালী গুণে 0 টীশলটন” একটী উচ্চশ্রেণীর ইংবেছী বিদ্যালয়ের মধ্যে পরিগণিত হয়। ক্রমে সালের আছে স্ুলের ৫ তম" পু ৮১৮ ছি কার্ধ্যনির্গীছ হইতে থাকে । উতহজে ইহার জন্তী ঘর পয়সা বাহির করিচ্ছে হই না| স্কুলের পঃসা ছিনি কথন রে লইদ্রা য'ন নাই। প্রথম প্রথম ৬ দ্বারকানথ মিত এবৎ ৬কুষ্দাদ পাল এই স্কুন পরিচালন স্ম্বন্দ বিব্যাসগর মহাপণয়ুকে সাহাধ্য করি" ভেন। ইহ র"ও সুলের ম্যাল্ভোর হিশেন। সুলে এস)এ, কু সখু শবার হ্ুন্য বিশ্বিদ্যালতোং মিণিকেটে তবে অন্দর করা হম, মেই ম্মানেনন পত্রে য্যন্জার বলিয়া ইঁ স্বাক্ষর ছিলু। মেটপটিটন | 8৪5 ইংরেভী পিক্ষা্থ হিনদপন্তনের নানা! কাধে কু-প্রনৃত্তির হয়। ইহ] 'দশেঃ ছুর্ভ গ্য। কিন্ত ইংরেজী এখন হইঠানছ, অর্থঃ বিদ্যা। এই ইহকেজী-শিক্ষাপ্রমাংণের কৃতিত্ব বিদ্যলাগা মহাশয় বঙ্গ কষ্টই লাভ করিঝ!ছেন। ক €/ এ 1 'গঞটী ণালটত এ শিষকতার আঅলেক এদেশী ইৎরেশী শিক্ষিত এ ট সা ”₹% সি ৮1 € ন্ন্ডি। অর্থ নর উদায়মন্থান হইরাছে। অধ্যবৃদ্থ গৃংস্থ ৯ রণ ০০০ ৪ টি টির লোকের ইংরেজী ব্দ্যি তদিন্র সুলভ প্ধ পাইছাছে। ইত রভী বির্যাপপ্রের প্রতর্ভন-প্রত্নে শ্রকারাভ্তরে হিন্দু স্তলের ঘোর তর কু-প্রবৃত্ত প্রণেদনে যে পেষেকত। কন্তা হয়, তাহা হিন্দু" মরেই গীতার কহিবেদ। তবে হখন ইংরেজী শিক্ষা ভিন উপরান্সো সহসা ইওম়া আজ কাল ছুক্ষর হইয়া পড়িয়াছে, তখন বিপ্যাসারর মহাশদ। ইংরেঞী বিদ্যাপ্রসাঃণেও প্রশস্র পন আবিক্কার করিম সে এ খুগে যশস্থী হইবেন, তাহার ভাঃবিঠিন্ বিগ তিনি যে গ্রপন বিদ্যালয়ে ইহরেজ শিক্ষক ব,ছপ্যাপক নিম না করিদা এ শে; শিক্ষক বা অধ্যাপক দসুন্ু কওুঙন তাহা তাহার দেশপোহকতা-প্রবৃতির পরিতন। এবেশী শিকড় লইঠা বিদ্যা গহ মহাশয় প্রতিগ্ন্দ, আম বিথঘিজই। পস্ঠ ত্য বিদ্যার উতকর্দদাবন পক্ষে ত্বে প্রণালী ও পদ্ধতির ধোন) বিদ্যাপাপত হছাশন্ব তাহাতে সিদ্বহস্ত। পরধীন খা স্ত়েও গং্কুত কলেজে তিনি তাহার চুড়ান্ত পরিচয় শিধভিলেন। স্বধীল হব্স্থার [জের [দ্যা যে তিনি 8৪8 বিদ্যাসাগর | গে সম্বন্ধে অভাবণীয় কৃতিত্ব প্রদর্শন করিবেন, তাহা বল! ব'হুল্যমাত্র। এখনে ত আর প্রভুদ্দিগের রোষকষায়িত কটাক্ষ- বিক্ষেপের বা শামনহৃচক ও্র্জানী তাড়নার বিড়ম্বনা ক্োোগ করিতে হঘ নাই। তা সৃত্তাই ভাহার কুতিত্ের ধশ এখন বিশ্বব্যাগী। অধুনা এদেশীয় অনেক বান্তি ইৎরেজী-বিদ্য| প্রচারার্থ দেই প্রণাশী-পদ্ধতিরই পথান্ুঙারী। ঘখন বিদ্যাসাগর যে কোন ইংরেজী-বিদ্যাবিশীরদ এদেশী লোক পাইতেন, তখনই উহাকে নিজের বিদ্যালয়ে নিগুক্ত করিতেন । বালক- দিগের প্রতি কটু-ব্যবহার করিবার বা বেত্রাদি দণ্ড দিবার অপ্বকার (কাল শিক্ষকেরই ছিল না। অথচ প্রায় কোন শিক্ষক- কেই ছাত্রদ্দিগের ছুরস্ত দুর্দমনীয়তার জন্ত অনুযোগ করিতে হইত ন1। যধন কোন ছাত্র দুর্দান্ত হইয়! উঠিত, তখন তাহাকে বিদ্যালয় হইতে তাড়াইয়! দেওয়া হইত: এমন কি, কথনও কধনও অবিনযের অপরাধে কোন কে'ন শ্রেণীর সমুণায় ছাত্র বিতাড়িত হইত। তিনি ছাত্রদ্রিগকে. শিক্ষকগণকে এবৎ ভৃত্য ও অন্যান্ত কর্ম্চারিগণকে ততই মন্ে হ দৃষ্টিতে অবলে'কন কমিতেন। আমর জানি, একবার স্ুশের ছাত্রগণ, তাহার নিকট পৌষ-পার্ণের ছুটি চাহে। বিদ্যাসাগর মহাশয় ছু্টী মণুর করেন; পরন্ত ছ্বাতবৃন্দকে সহান্তে সঙ্গেহে বলেন, “তোমাদের অনেকের ত বিদেশে বাড়ী; কলিকাত র বাসাত় পিঠে পাইবে কোথায়?” বালকের! বশিল,_“অ'পনার বা্টীতেশ” বিদ্যালাগা মহাশয় হাসির বলিলেন,--ভাগ মেট্পলটন 83£ তাহাই হইবে ।) তিনি বালকদিগের জন্য বাড়ীতে: প্রচুর পিষ্টকের উদ্যোগ করিয়াছিলেন! চক্ষে বিদ্যালয় পারিদর্শন করা গ্কাহার একট হ্বাভাবিক অভ্যাপ ছিল। বিদ্যাসাগর মহাশয় কোন কাধ্যের ভার জপরের হস্তে দিয়া নিশ্চিপ্ত থাকিতেন না। যাহা কিছু করিবার ভিনি স্ব়ংই তাহা! করিতেন । কুগ্বপেহেও পরনির্ভরতা ভাহাকে আদে স্পর্শ করিতে পারে নাই। এই জন্য এক্ষণে বিদ্যাসাগর মহাশয়ের প্রক্তত শিষ্য হুজ্প্াপ্য | যধন্‌ বিদ্যাসাগর মহাপকু, সুপ পর্গিদর্শনে আমিতেন, তখন তিনি কাহাকে ও 'পুর্বাহ্ছে' তাহা জাপ্তে দিতেন ন!। অধ্যাপক অধ্যাপনায় গাঢ় মনোনিবিষ্ট হইয়া আছেন, এমন সময় হয় ত তিন ধীরে ধীরে আসিয়া, তাহার পশ্চান্তাগে দ গায়মান থাকি তেন। কোন ফ্রেমে শ্রিক্ষক বা অধ্যাপক, তাহাকে দেখিতে পাই সদশ্রমে দণ্ডায়মান হইলে, তিনি বলিতেন,_“তুমি পড়াইতে পড়াইতে উঠিও না; তোমার কর্তব্য তুমি পালন কর; আম'র খাতির করিতে গিয়া, তোমার ধেন কর্তব্য-ক্রুটি না হয়।” কখনও কোন ছাত্রকে নিদ্রিত দেখিলে, তিনি ত'হাকে স্থানাঁভুরে নিদ্রা যাইবার ব্যবস্থা করিয়া দিতেন) স্ুল-পরিদর্শনে তাহার নিয়মিত কোন সময় ছিল না; কালেই ছ ত্র অধ্যাপক, অকল- কেই মতত জাংধ'নে থাকিতে হইত। মেই জন্য কোনক্রমে কোন সময়ে কাহারও কোন ব্ষিয়ে জমখোগ্গিতার সম্ভাবন। ছিল ন1। শ্রিক্ষার চঃমোতকর্ষও সেই সঙ্গে হইয়'ছিল। ৩৮ ৪.৬ বিদ্যাস'গর। পুলের শিক্ষক বা অধ্যাপক কোন কার্যশত্রে স্কুলের কাধ্যান্তে বাড়ীতে ষ্ভাহার সহিত সাক্ষাৎ করিতে যাইলে, তিনি সর্ববকন্ম পরিত্যাগ করিয়া সর্াগ্রে ক্কাহাকে জলযোগ করাইতেন। এযন শু“নয়াছি যে, তিনি স্বহস্তে আম কাটিয়াও থাওয়াইয়া- তেন। স্কুলের কোন ভৃত্যের কোনরূপ তুষধ হইলে, সর্কর্ধম পরিত্যাগ করিয়া, তিনি তাহার চিকিৎসা করাইতেন। বিদ্যালয়ের পুরাতন কাশী দ্বারবানের একটা বিষম ন্ফোটকে সতুযু হইয়াছিল । বিদ্যাসাগর মৃহাশঙ্ককে কাশী তাহার ব্যারা- মের কথা আদৌ জানায় নাই। বিদ্যাসাগর মহাশয়, তাহার মৃত্যুর পর, তাহার ব্যারামের কথা জানিতে পারিয়াছিলেন। ইহার পর হইতে তিনি গুলের কর্ম্চারিবর্ের চিকিৎসার্থ এক জন ডাক্তার নিযুক্ত করিয়াছিলেন । এইরূপ গাহার আকুত্রিম সঅহদয়তায় এবং শিক্ষা-প্রণ'লীর তুশৃজ্খজায়ু, তাহার বিদ্যালয় প্রকৃতপক্ষে সবিশেষ প্রতিপন্তিশাশী হইয়াছিল । এ প্রতিপত্তিরও মৃশাধার, বিদ্যাসাগরের সাহস, উদ্যম, উৎ্সাছ, অধ্যবসায় ও একাগ্রতা। মেট্রপলিটনের হেতন ৩২ তিন টাকী। অনেকেই বিদ্য- সাগর মহাশয়ের অনুগ্রহে বিনা বেতনে পড়িত। কেহ কেখ তাহাকে বঞ্চনাও করিতেন। কলিকাতা! সহরের কোন লক্ষ- পতি বিদ্যা্াগর মহাশয়কে বলিয়া কহিয়া আপনার শ্যালককে বিনা বেতনে স্কুলে ভর্তি করিয়া দেন। অবশ্য বিদ্যাসাগর মুহাশয় জানিতে পারেন নাই, এটী লক্ষপতির শ্যালক; পর্ছ মেইপলিটন ৮৪৭ জানিয়াছিলেন, সে অতি দরিদ্র । এক দিন বিদ্য(সাগর মহাশক স্টলে গির। দেখেন, শ্টালকটা দিব্য পরিচ্ছদে ভূষিত ;) রসগোজা পান্য়া প্রভৃতি বহু উপাদেয় দ্রব্য জলোষোগ করিতেছে? বিদ্যাাগর মহাশন্র ইহাতে বিস্মগাধিত হন। পরে তিনি ঘন্ুসন্ধানে শ্তালকের প্রকৃত তত্ব অবগত হন। তাহার পবু দেই লক্ষপতির নিকট গিমা তিনি বলেন, “আমার সঙ্গে বঞ্চনী! তোমায় ধিক! কি করিয়া তুমি শ্যালকটাকে বিনা বেতনে ক্লে ভর্তি করিলে” লক্ষপতি নির্সাকৃ। শ্যালকটা গুল হইতে ব্তাড়িত হইয়।ছিল। মেট শলটনের জন্ত বিদ্যাস'গর মহাশয়কে একবার দেও- যানী মোকদ্দমার আসামী হইতে হইয়াছিল। মে্রপলিটন প"শুরঞ্জাঘাটার জমীদার ৬খেলাচ্চন্ত্র ঘোষের ভাড়াটাগা বাটাতে ছিল। ভাড়াপাওনার দরক্কণ খেশাৎ বাবু হাইকোর্টে নালিশ করিফ্জাহিলেন। আফামী হুইয়াছিলেন, রাজ প্রতভাপচন্ত্র সিংহ এবং বিদ্যাসাগর মহাশয় । বাঁড়ী মেরামত কবিবার কথা ছিল। মেরামত হয় নাই বলিয়া, ভাড়া দেওয়া হদ্ধ নাই। মোকদদনা কুজু হইবার পুর্বে ৬রমানাথ ঠাকুর, হীরালাল শীল ও রাম- গোপাল ত্বোষ গোলযোগ মিটইবার চেষ্টা করেন। খেলা বাবু যাহা চাহেন, ইহা তাহাই দিতে বলেন। বিদ্যাসাগর মহাশয় ও অন্যান্য মেদ্বরগণ তাহাতে রাজি হন নাই। এই জন্ত শুনা যায়, রমানাথ ঠাকুর, হীরালাল শীল ও রামগোপাল ছেষ স্কুলের সম্পর্ক ছাঁড়িসা দেন। ১২৭১ সাল্র ১ল1 চৈত্র বা ৪৪৮ বিদ্যামাগর। ১৮৬৫ ধষ্টাবের ১৩ই মে বিদ্যাপাগর মহাশয়; স্কুলের অবৈতনিক সোক্রটরীকূপে খেলাং বাবুকে এই মর্মে ইংরেজীতে পত্র লিখিয়াছিলেন,_ “আমি ভাড়'র হিষাবে একেবারে পঁঁচ শত টাকা দিতে পারিনা। তবে বিল পাঠাইলে, মাসিক ভাড়ার হিসাবে বাকি পাওনা ভাড়া দিতে পারি।” যাহা হউক, অংশেষে সকল গোল মিটিয়। গিয়াছিল। ১২৭১ সালে বা ১৮৬০ স্বষ্টান্সে আখ্যানমঞ্জদীর প্রথম ভাগ প্রণীত, মুদ্রিত ও প্রকাশিত হয়। চদ্িতাবশী, জীবনচরিম্চ সম্বন্ধে যে মত, আধ্যানমঞ্চরী মন্বন্ধেও সেই মত? ০ পঞ্চবিংশ অধ্যায়। আত্ত-মতনিষ্টা, বেখুনে নরম্যাল, বেখুনে মিম পিগট্‌, পিতার কাশীবাস, প্রমননকুমার ও দুর্ডিক্ষ। বিদ্যাপাগর মহাশয়, সংস্কৃত কলেজ ছাড়িম। দ্রিবার পর, কচিৎ কোন পুঁথির প্রয়োজন হইলে, কলেজে যাইতেন। তিনি সংস্কৃত কজেজ পরিত্যাগ করিয়াছিলেন বটে; কিন্ত কলেজের ছাত্র ও অধ্যাপকবর্গ তাহাকে পুর্ধবৎ শ্রদ্ধাভক্তি করিতেন । কলেজের অধ্যক্ষ বা অধ্যাপকের সময্ষে সময়ে নানা বিষজ়ে তাহার নিকট পরামর্শও লইতেন। ১২৭* সালে বা ১৮৬৪ বষ্টানদ সংস্কৃত কলেজের তাৎকালিক অশঙ্কার-অধ্যাপক পণ্ডিত গ্রেম- টাদ তর্কবাগীশ পেন্সন লইয়া! বিদায় লয়েন। পেন্সন লইবার পুর্ব্বে, তাৎ্কািক অধ্যক্ষ কাওয়েল সাহেবের সহিত তাহার এই পরামর্শ ও প্রস্তাব হইয়াছিল যে, পণ্ডিত মহেশচন ন্যায়বতু তাহার পদে, তদীয় সহোদর রামমধ় চট্োপাধ্যায়, ম্তায়রতু মহাশয়ের গদে এবং পুত্র রামকৃষ্ণ চট্টোপাধ্যায় সংস্কৃত কলে- জের কোন কার্যে নিযুক্ত হইবেন। ন্যাঘরত্ব মহাশয় তখন ৫* টাকায় সংস্কৃত কলেজের সহকারী অধ্যাপক ছিলেন। তর্কবাণীশ মহাশয়ের পেন্ষনপ্রার্থনা গ্রাহ হইবার পুর্বে পর্ডিত গিরিশচন্্ বিদ্যারত্র মহাশয় আপনি তুলেন। তিনি বলেন,-“আমি রামমপূ চট্টোপাধ্যায়ের পূর্ববন্তী লোক) অতএব স্ভায়রত্ব মহাশয়ের পদ আমি পাইব।” বিদ্যার ৪২০ বিদ্যাসাগর । মহাশয্ষের আপাতত শুনিয়া কাওয়েল সাহেব কতকট কিৎকব্য* বিমুঢ় হউলেন। তিনি তখন ন্তায়রত্ব মহাশছকে দিয়া বিদ্যা- সাগর মহাশয়ের মত চাহিয়া! পাঠান। বিদ্যাসাগর মহাশয় বলেন, “গিরিশচন্দ্র বিদ্যারত্বই মহেশচভ্্র স্তায়রাতের পদ পাইবার যোগ্য । আমি যাহা বলিলাম, তাহাই ম্তায়; আর যাহা হইবে, তাহা অন্তাঁয়।” তর্কবাদীশ মহাশয় কড়ই ছুঃখিত হইলেন । কাওছেল জাহেব) তখন বিছ্্যাসাগর হহ;শয়কে মধ্যশ্থ মানিবার প্রস্তাব করেন। তর্কবাশীশ মহাশয় ভাবিজেন, বিদ্য'সাগর তাহার পরম ভক্ত শিষ্য, তিনি নিশ্চিতই তাহার সহোদরেরই পৌঁষকতা করিবেন। এই ভাবিয়া, তিনি বিদ্যাসাপর মহাশয়কে মধ্যস্থ মানিতে অন্মঘত হইঈলেন। বিদ্যাপাগর মহাশয়, ইতিপুকে ত্যায়রত্ব মহাশয়কে যাহা বলিয়া- ছিলেন, এখনও তাহাই বলিজেন। ভর্কবাগীশ অধাক্‌ হইলেন। কিন্ত তিনি জানতেন, বিদ্যাস'গর ঘন্তায় বলিযার জোক নহেন ) ভাই আর কোন দ্িরুক্তি না করিয়া, পেন্সন লইলেন। কলেজ হইতে বিদায় লইয়া তিনি কাশীবাসী হইয়াছিলেন । সেইথানেই ১২৭৩ আঁঙ্গের ১৩ই চৈত্র বা ১৮৬৭ ধৃষ্টাব্দের ২৫শে মার্চ ৬১ বৎসর বয়সে তাহার দেহাভ্তর হয়। ইহার অন্ডতম ভ্রাত! শ্রীযুক্ত রামক্ষয় চটোপাধ্যায় মহাশয় বিদ্যাসাগর মহাশয়ের চেষ্টায্র ডিপুটী মাজিষ্টর হইয়াছিলেন। বিদ্যাসাগরের গুরু বলিয়া, তর্কবাগীশ মহাশয় অততই গৌরব করিতেন । হিন্দুপেটরিছ্ট এই কথারই উল্লেখ করিয়া, তাহার মহিম। বেথুনে নরম্যাল ৪৫১ প্রচার করিয়াছিলেন। তাহার ভ্তায় নুকবি পণ্ডিত এখন বিরল। বিদ্যাসাগর এহেন গুক্ুর জন্যও আপন মত পরিবর্তন করিতে প্রস্তত ছিজেন না। বিদ্যাসাগর মহাশঘ্ চিরকালই জ্ত্ীশিক্ষার পক্ষপাতী ছিলেন। বেখুন স্কুলের সহিত উহার ঘনিষ্ট সম্বন্ধ ছিল। ১২৭১ সালের ১লা চৈত্র বা ১৮৬৫ খু্টাব্সের ১৬ই মার্চ বেখুন- বিদ্যালয়ের পারিতোধিকের সময় ভিনি এক ছড়া সোণার চিক উপহার দিয়াছিলেন। এই পারিতো'ষক-সভায়ু ঝড় লাট লরেন্স ও তাহার পত্রী উপস্থিত ছিজেন। বিদ্যালাগর মহাশয়, মধ্যে মধ্যে এইরূপ পারিতোষিক দিতেন বেখুন স্কুলের কোন বিভ্রাট উপশ্থিত হইলে তশ্মীমামার ভার তাহারই উপর অর্পিত হইত। ১২৭3 জালে বা ১৮৬৭ খ্রষ্টান্সে বেখুন্‌ সুলকে নম্দ্যাল স্কুলে পরিণত করিবার কথ| প্রস্তাবিত হয়; অর্থাৎ এইখানে হিন্দু জীলোককে এম*ই করিয়া শিখান হইবে ঘে, তাহারা] পরে শিক্ষয়ত্রী-কার্যে নিযুক্ত হইয়া উপার্জানক্ষম হইবেন। বিদ্যাসাগর মহাশয়, এ প্রস্তাবের পক্ষপাতী ছিলেন না। তৎ্কালে ৬ কেশবচন্দ সেন, বাবু এম, এমূ ঘোষ প্রন্থতি ব্ক্ষিগণ ইহার একাত্ত পক্ষপাতী ছিলেন। এ প্রস্তাব কধ্যে পরিণত করা ভীাচত কি না, তন্লিষ্ধারণার্থ একটা “কমিটি” হইয্বাছিল। সে কমিটিতে বিদ্যাসাগর মহাশয় ছিলেন। কিন্তু এ কেশবচন্্র সেন-প্রমুখ ব্যক্তিগণ ব্রহ্ম সমাজে একটী সত করিয়| সিদ্ধান্ত করেন থে, ৪৫২ বিদ্যাসাগর | নধূর্যাল সুলের প্রতিষ্ঠা জন্য লেপ্টনেন্ট গবর্ণরকে আবেদন করিতে হইবে। এ মীমাংসাট1 অতি তাড়াতাড়ি হইয়াছিল । বিদ্যাসাগর মহাশয়ের মতে এত তাড়াতাড়ি হওয়া উচিত ছিল না। তিনি জানিতেন, এতৎসম্বন্ধে খ্যাতনামা ব্যক্তি বর্ণের মতামত লওয়া! হইবে এবং তাহাদিগের সঙ্গে পরামর্শ করিয়া কাধ্য করা হইবে। তাহা হয় নাই। এই জন্য বিদ্যানাগ মহাশয় বিরক্ত হইয়া, এক পত্র লিখিয়া, কমিট হইতে আপনার নাম উঠাইয়া লয়েন। বিদ্যাসাগর মহাশয়, ৬ কৃ্ঘদাস পাল প্রভৃতির মত ছিল ঘে, সৎকুলজাত ভদ্র-মহিলারা মেষে পড়াইবার জন্য শিক্ষালাত করিতে সম্মত হইবেন না। এই জন্ত তাহা:দর আপত্তি ছিল। এ প্রস্তাবের বিকদ্ধে আপত্তি করিবার জন্য একট “কমিটি &” সংগঠিত হইয়াছিল, _তাহাতে নিয়লিখিত ব্যক্তিগণ জভ্য ছিলেন ;--"অনারেবল ডবলিউ, এস, সিটনকর,_সভাপতি ; অনারেবল শম্তুনাথ পণ্ডিত ; ভবলিউ, এন্‌, আটকিনসন ) রাজা কালীকৃষ্* বাহাছুর; হরচন্দর ঘোব; কাশীপ্রসাদ ঘোষ) রাজেব্রনাথ দত্ত; নরসিধ্হ দত্ত; হরনাথ রায়; কুমার হরেক্র- কৃষ্ণ বাহাছুর এবং ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর | প্রস্তাব অবশ্য কার্য্যে পরিণত হয় নাই বটে; কিন্তু ক্রমে বেখুন স্কুলের শিক্ষাপ্রণালী বিদ্যাসাগর মহা০য়ের অদনুমোদিত হইয়া উঠে। সেই জন্ত ১২৭৬ সালে বা ১৮৬৯ ধষ্টাব্ে তিনি বেখুন স্কুলের দেক্রেটরী পদ পরিত্যাগ করেন। ১২৭৪ সালের পিতার কাশীবাদ। ৪৫৩ ফান্তন মাসে বা ১৮৬৮ খ্বষ্টাের ফেব্রুয়ারী মালে তাহাকে বেখুন-স্কলের মার৪ একটী গুরুতর কার্যের মীমাংস! করিতে হইয়াছিল। স্কুলের তত্বাবধায়িক1 মিস্‌ পিগটের নামে এক অভিযোগ্ধ উপস্থিত হত যে, তাহার অমনোযোগিত1 হেতু বিদ্যালয়ের অবনতি হইতেছে। তদ্যতীত স্কুলে হষ্টানী গান গীত হইত, এইব্নপও একটা অতি ভয়ক্ষর অভিযোগ হয়; অধিকন্ত স্কুলের বেত্তনবৃদ্ধির প্রস্তাব হইয়াছিল। এই জন্ত অনেকেই স্থলে আর মেয়ে পাঠাইত না। এই আভিযোগের অন্থসন্ধানার্থ এক কমিটি হয়। বিদ্যাসাগর মহাশয় ও ৬প্রসম্নকুমার সর্বাধিকারী মহাশয় এই কযিটির জবকমিটিতে সভ্য ছিলেন। অনুষন্ধ'নে নির্ধারিত হয়, মিস্‌ পিগট্‌ বাস্তবিক 'অপরাধিনী।* তিনি পদচ্যুত হন। ১৮৬৫ বৃষ্টাব্ের শেষ ভাগে বিদ্যাসাগর মহাশঘের পিতা কাশীবামী হন। পিতৃভক্ত পুত্র পিতাকে প্রথমতঃ কাশী পাঠাইতে সম্মত হন নাই। পিতার সনির্করদ্ধ হ্যগ্রতা দেখি তিনি অবশেষে তাহাকে কাশী পাঠ,ইতে বাধ্য হন। পিতাকে কাশী পাঠাইবার পূর্বে, তিনি ৩ তিন শত ট.কা ব্যয় করিয়া, পিতার প্রতিকৃতি অস্কিত করিয়া লয়েন। এ প্রতিকৃতি এখনও বিদ্যাসাগর মহাশয়ের বাড়ীতে বিরাজমান। অতঃপর তিনি জননীরও প্রতিমূর্তি অস্কিত করিয়া লইয়াছিলেন। জননীর * মিদ্‌ শিগট্‌ আম্মপক্ষনমর্থনার্থ একটা বিস্তর মন্তব্য লিখগাছজেন। ৪৫৪ বিদ্যাসাগর | প্রতিকৃতি পিতার প্রতিকতির সন্মুখই প্রতিষ্ঠিত আছে। পিভামাতার মৃত্ার পর, তিনি সময়ে সমহ্ে তাহাদের প্রতিকৃতি দেখিয়া চক্ষের জলে ভাসিয়। যইতেন। প্রত্যহ তিনি দুইবার করিয়া তাহাদের প্রতিকৃতি দেখিতেন। * ১২৭২ সালের ১৬ই বৈশাখ বা ১৮৬৫ হষ্ট'ন্দের ২৭শে এপ্রেল, মংস্কত কলেজের প্রিন্সিপাল, ৬প্রসন্নকুমার সব্বাধি- কারী মহাশয় পর্দ পরিত্যাগ করিয়াঞ্িলেন। প্রেমিডেন্স কলে.জর প্রিন্সিপাল জাটক্রিফ সাহেবের মহিত তাহার মনাস্তর হইয়াছিল। জংস্কত কক্জের দ্বিতলের একটা গৃহে প্রেষিডেন্সি কলেজের লাইব্রেরী ছিল। সেই ঘরে লাইব্রেরির স্থান সন্চুলান হইত না। .যে ঘরে সংস্কৃত কলেজের লাইত্রেরি শিশির স্পট ৯২৮৮ --পিপিশিপীশীিটিতিট জি পোশিপীপপপশপাপাশান। * লিতা ঠ.কুরদাসের কাশীধান লন্বস্ধে, পুত্র মারাঁঃ়ণ বাবুর মুখে এই কথ] শুনিক্াছি,-পিতার ক,শীবান করিবার প্রস্তাব শুনিয়া, বিদ্যানাগর মহাশয় বাড়ী যন। তথায় শির্জানে ভিশি পিতাকে বলেন, “আপনি কাশীশানী হইবেন কেন? যদি পুণ্যার্থে যান, তবে কথ] নই? ঘদি সংপার-ধৈরাগ্যে যান, তাতেও কথ! নাই? কিন্ত সুখস্বস্ছন্দে সংলার চখলাইবার উ“যৃক্ত টাক! পান না বণিয়| যদি যান, ভাহ। হইলে, আমি টাকার বন্দোবস্ত করিতে পারি” পিত। বলিলেন,--“পুণযার্থেই যাইব ।” বিদ্যানাগর মহাশয় দ্বিকুক্তি করেন নাই। পি] যখন কাশী ষাইবার জন্ঠ উদ্যোগী হইয়!, কগিকাতায় আনেন, তখন বিদ্যালাগর মহাশয়, পুত্র নারার়ণকে বলিলেন,-“দেখ, ঘোর ঠকুরদাদার যাচাতে কাশী না যাওয়1 হয়, তাহার চে কর্‌ দেখ ।” অতঃপর নারার়ণচন্দ্র ঠাকুরপাদার সঙ্গ ছাড়িলেন না। ঠংকুরদাদ। নাতির মায়া জড়াইয়। পড়িলেন। ক্রমে কাশী যাওয়1 বন্ধহইবার উপক্রম হইল । এমন দময় কনিষ্ঠ পুত্র ঈশানচচ্ত্র আনিয়া! উত্তেজনাবাক্যে পিতার মতপপ্রিবন্ধন কদেন। গুমনকুষার। 8৪৫ ছিল, সার্টকুফ সাহেব, প্রেসিডেদি কলেজের লাইব্রেরির জন্য সেই ঘঃটী চাহেন এবং সংস্কৃত কলেজের লাই ত্ররিটীকে নঘ়তলে লইয়া যাইতে বলেন। প্রপন্ন বাবু তাহাতে সম্মত হন নাই। ইহাতে অর্টক্িফ জাহেব প্রসন্ন বাবুর উপর বিরক্ত হন। পরে প্রদন্ন বাবু তাৎ্কাপিক ডাইরেকীর আটকিনসন্‌ সাহেবের নিকট হইতে জংস্কত কলেজের লাইব্রেরি স্মনাস্তরিত করিবার ভ্ুন্ত আদেশ-পত্র প্রাপ্ত হন। প্রসন্ন বাবু পত্রখানি বড় অপমানজনক মনে করিয়া, তদ্দণ্ডেই একখানি ভআভিমানহুচক পত্র লিখিয়া পদ পরিত্যাগ করেন। তাহার পদত্যাগের পর জণ্ডর্সসাহেব ছয় মাস কাল সংস্কত কলেজে প্রিন্সিপাল ছিলেন। এক দ্রিন বিদ্যাসাগর মহাশয় ছোট লাট বাহাদুর বিউন সাহেবের নিকট গিয়া, প্রস্ বাতুর পন্দত্যাগের কথা উল্লেখ করিয়া বলেন,--“আ'পনার র'জত্বে এক্চি অন্তায়!” হিডন জাহেব বলেন,_“আমি গননঙ্কে পুন্রাস্্ প্রিন্গপালের পর্মগ্রহণ করিবার জন্য অনুরোধ করিব” ইহাতে বিদ্যাসাগর মহাশয় বলেন,“তিনি যেরূপ স্বাধীনচেতা! ও তেজন্বী, তাহাতে আমার মনে হয় না যে, তিনি আবার পদ গ্রহণ করিবেন ৮ তছুত্তরে বিডন সাহেব বলেন,_প্প্রন্ন আমার ছাত্র, আমর অনুরোধ সে ঠেলিবে না.” ইহাতে বিদ্য।সগর মহশন্ অত্যন্ত সন্তোষ লাভ করিয়া! ফিরিয়া আদেন। পরে ১২৭২ সালের ১৬ই ভাঙ্র বাঁ ১৮৬৫ হুষ্টাকের ৩১শ আগস্ট হিডন সহে'বির আনুরোধে ৮:০2 সপপাপপস্কীপপিপপাপপাসপপ পপ পপিপিসপীপপীশী পিসী পাপী পাশ ৪৫৩ বিদ্যাসাগর । প্রসন্ন বাবু সংস্কৃত কলেজের প্রিন্দিপালের পদ্দ গ্রহণ করিয়াছিলেন ।* সরকারী কর্মে বিদ্যাসাগরের আর কোন সম্পর্ক দ্বিল না, তবুও রাজপুরুষগণ তাহার কত অন্মান করিতেন, তাহ! এইখানেই বুঝ| যায়। ভেক্স্বী বিদ্যাসাগর মহ'শয়ও বজে- শ্বরকে স্পষ্টাক্ষরে কথা বলিতে কুর্ঠিত হন নাই। বিদ্যাসাগর মহাশয় বুঝিতেন, হিডন সাহেব ফ্ৰাহার যথেষ্ট সন্মান করিতেন; নহিলে তিনি কি অমন করিয়া বলিতে পারেন,--"আপনার রাজত্বে একি অন্তায়!”* কোথায় সন্্মক্রটর সম্ভাবনা, আর কোথায় নহে, তাহার বিচার করিয়া, তিনি ভাল মন্দ কথ। কহিতেন; এবং কহিতে জানিত্ডেন। ১২৭৩ সালের বৈশাখ, জ্যৈঠ ও আযাঢ মাসে বা ১৮৬৬ সালে মে, জুন ও জুলাই মাপে দেশব্য'গী দুর্ভিক্ষ অ.কিভুত হইয়াছিল। সে দুর্ভিক্ষের কথা স্মরণ হইলে শরীর শিহরিয়। টা এবং মস্তক ঘুরিয়া পড়ে। কত লোককে শাক, কচু *. ১২৭১ মালের ১লা পোঁষ হা ১৮৭২ ষ্টার ১৪ই ডিদেম্বর গমন বাবুকে ন স্কত কলেজের প্রিক্সিসাল-পদ পরিভ্যাগ করিয়া] বহরমপুর কলেজে যাইতে হইয়াহছিল। তখন এ পদের বেতন হাজার টাঁক| ছিল। এই ফেতনের উল্লেখ করিয়া, ০স্যামাচরণ বিশ্বাস মহাশয়ের স্ত্রী, বদ্যাদাগর যহাশয়ের জ্যেষ্ঠ কম্তাকে বজিক্পাছিলেন,_-"এত দিন (তামার বাপের হাজার ট:ক1 ফাহিনা হইত।” হিদ্যালাগর জভাশয়ের কন্তা হলেন, “তাহ! হইলে স্কুল, বাঁড়ী, এ নব হইভ কি?” বিদ্যানাগর মহাশয় ফল্যার মুখে এই কথ'শুনিয়] বলিয়াছিজেন,_"হইত বৈকি? আঙগরাও ঝি, হইত বৈকি, ধপি ইয়ং সাহেতের সত মনান্তর মন! হইত. ভুর্ভিক্ষ। ৪৫৭ সিদ্ধ করিয়া থাইতে হইদ্বাছে; কত লোঁক অনাহারে মরি- ঘ্াছে; কত পিতামাত। পুরকন্তাকে ফেলিয্বা;) কত স্বামী, স্ত্রীর মুখ না চাহিয়া! ) কত স্ত্রী, স্বামীর অপেক্ষা না করিয়া ; দ্ধ জঠর- জালায় অস্থির হইয়া, এক মুষ্টি অন্বের জন্য সহরে দলে মলে ছুটগাছিল, তাহার অবিস্তার বিকৃতির শ্থান তো হইবে না। তষে এ দুর্ভিক্ষ-সন্বন্ধে বিদ্যাসাগর মহাশয়ের যতটুকু সম্পর্ক, তাহারই একটা সংক্ষিপ্ত উল্লেখ হইবে মাত্র। জাহানাবাদ দেল অঞ্চলের ছুর্ভিক্ষ-বার্তী প্রথম হিনু-পেটরিয়টে এক জন লিবিয়। পাঠান । ছুর্তিক্ষ দমনে তত্রত্য জমীদারমণ্ডলী প্রথম উদাসীন ছিলেন। তাৎ্কালিক ডিপুটী যাজিষ্টর বাবু ঈশ্বর- চন্্র মিত্র প্রথম প্রধম এবিষয়ে তত যনোধোগী হন নাই । হিন্দ-পেটরিফ্লটে লিখিত হয়, গড়বেতার ভিপুটা মাজিষ্টর শ্রীযুক্ত হেমচন্ত্র কর মহাশয়, বহুশ্রম ত্বীকার করিয়া, দেশের অবস্থ! পরিদর্শন করেন; এবং গ্েেশের লোককে সাহায্য করিবার শরন্ত গবর্ণমেন্টকে অনুরোধ করিয়া পাঠান। জাড়ার জমীদার শিবনারায়ণ রায় মহাশন্প অনেককে অন দিবার ব্যবস্থা করিয়া, ছিলেন। প্রথমতঃ বিদ্যাসাগর মহাশয়, এ দাকণ ছুর্ভিক্ষের সংবাদ পান নাই। হিন্দু-পেটরিয়ুটের এক জন সংবাদ-দাতা কাতরকঠে বিধ্যাসাপর মহাশয়কে আবেদন করেন এবৎ বিদ্যাসাগর মহাশয়ও গ্রাম হইতে সংবাদ প্রাপ্ত হন। স্বভাব" দাত| বিদ্যাসার কি আর স্থির থাকিতে পারেন? তিনি তখনই গ্রমে অন্নসত্র স্থাপনের ব্যবস্থা করেন। ইতিপূর্বে বিদ্যাজা গর ৩০) ৪৫৮ বিদ্যান গর । মহাশয়ের জননী অনেককেই অন্ন দিতে আর্ত করিয়াছিলেন দয়াময়ের দয়ামধী জননী, অকাতরে অকুগ্িভ চিত্তে, বছু লোককে অন্নদান করিতেছিলেন। হিন্দু পেটরিয়ুটের সংবাদ- দাতা ১২৭৩ জলের ১৫ই শ্রাবণ বা ১৮৬৬ বৃষ্ট'ব্বের ৩*শে অুলাই তারিখে এই মর্মে বিধিয়াছিলেন,_ এবীরমিত্হ গ্রাঙ্ছে বিদ্যামাগর মহাশয়ের মাতা প্রত্যহ ৪1৫ শত শোক খাওয়াইয়া কেন ॥ ইহার পর বিদ্যাসাগর মহাশয়, বীব্রসিংহ এবং নিকটবস্তাঁ ১৯1১২ খানি গ্রামের নিরন্ন লোকদিগের জন্য অন্নসত্র স্থাপন করিয়াছিলেন। প্রথম প্রথম বীরদিংহের অন্নসত্রে এক শত করিয়া লোক অন্ন পাইয়াছিল। ক্রমে ন্নাথা, দলে দলে বৃদ্ধ পাইতে লাগিল। বিদ্যাসাগর মহাশয়ও তদনুপাতে সাহায্য-পরিাণ বাড়াইয্বা দ্রিলেন। তিনি দয় অন্ব-সত্রের ব্যবস্থা করিয়া নিশ্চিন্ত ছিলেন না। যাহাতে এ বিষয়ে গবর্ণমেন্টের মনোযোগ আকৃষ্ট হয়, তৎ্পক্ষে তিনি সর্বাগ্রেই যত্রশীল হইঘ্রাছিলেন। বাবু ঈশ্বরচন্দ মিত্র প্রথমতঃ উদ্দাপীন ছিলেন বটে ; কিন্ত অবশেষে তিনি দুর্ভিক্ষের দ্ারণতা অনুভব করিয়া, বিদ্যামাগর মহাশয়ের মধ্যম ভ্রাতা দীনবন্ধু- ্যাপ়রত্ব মহাশয়কে লইয়া, ঘাটাল, ক্ষীরপাই-রাধানগর, টন্্রকোনা প্রভৃতি স্থান পরিধর্শন করিয়া অনসত্র স্থাপন করিবার জন্য গবর্ণমেণ্টকে অনুরোধ করেন। তাহার অনুরোধ রক্ষিত হইয়াছিল। জুন, জুলাই, আগষ্ট, সেপ্টেম্বর, অক্টোবর, তুরিক্ষ। ৪৬১ টাকা প্রেরণ করেন। এভদ্যতীত এ নময় কোন কোন ভর্জ- লোক পিতৃহীন অবশ্থার বাজরা করিতে আইসেন, ভাহাদের মধ্যে কাহাক্কেও ৫০. টাকা, কাছ।কেও ১০০২ টাক", কাহাঁকেও ২৯০. টাকা দান করেন। ২৮শে বণ পৃথক বাউীতে ন্নসত্র গ্লাপিত হয়। ১লা পৌঁষে ভোজনের গর অন্ন বন্ধ করা হইযাছিল। কিন্ত বিদেশীত্র নিকুপান্্রগণ ৮ই পৌব পর্যযন্ধ অন্সত্রগহে উপস্থিভ ছিল। একার ছুর্ধল নিকুপায় প্রা ₹” জনকে কেক দিন ভোজন করাইতে হইছিল ।” ঙ ধড় বিংশ অধ্যায়। রাজা প্রতাপচন্ত্র, রাজ-পরিবার, অবাধ সাক্ষাৎ) অনাহ্‌তের অত্যাচার, দেবোত্তর সম্পত্তি, দারুণ দুর্ঘটনা ও পারিবারিক পার্থক্য। ১২৭৩ সালের ৪ঠা শ্রাবণ বা ১৮৬৬ সালের ১৯শে জুলাই রাত্রি ৩ টার জময় পাইকপাড়ার রাজা প্রতাপচন্ত্র সিংহ বাহাছুরের মৃত্যু হয়। রাজ! প্রতাপচন্ত্রাব্যাসাগর মহাশয়ের ' পরম বন্ধু দ্বিলেন। বিধবা-বিবাহ, স্ট্রী-শিক্ষা এবং অন্তান্ত ৃ অনেক কাধ্যে রাজাবাহাহ্র বিদ্যাসাগর যহাশঘ্বের প্রধান মুহায় ও পোষক ছিলেন।* মৃত্যুর পূর্বে বিদ্যাসাগর মহাশয়, মুগশিদাঁবাদে গিয়া রাজা বাহাছুরের যথেষ্ট চিকিৎসা-হুশ্রাষাদি করিয়াছিলেন। ডাক্তার মহেত্রলাল সরকার রাজাবাহাছুরের চিকিৎসা! করিতেন। এতঘর্থ তিনি মাসে সহত্র টাকা পাই" তেন। কাশীপুরে গঙ্গাতীরে রাজার মৃত্যু হয়। তিনি মৃত্যুর পুর্বে বিদ্যাসাগর মহাশয়কে বিষের টরষ্টি নিযুক্ত করিধার জন্য অনেক চেষ্টা করিয়াছিলেন; কিন্ত বিদ্যাসাগর মহাশয় তাহাতে সম্মত হন নাই। *₹. [79 5 0136 01 0139 1011001198] 80107907218 04 06 1501816 501)0018 98/8/)1151160 800 119008800 0 7920 1850: 9009001% 51905801797, | | 11179022010) 1866, 28, ৭০1 রাজন্পরিবার ৪৬৩ সবাজ। প্রতাপচজের মৃত্যুর পর. পাইকপাড়া-রাজ-পরিবারেক শোচনীয় অবস্থা উপস্থিত হইয়াছিল। রাজা প্রতাপচত্ত্র সিংহের পিতামহী রাণী কাত্যায়নীর অনুরোধে বিদ্যা সাঞ্গর মহাশয়, তাৎকালিক বন্ষেশ্বর বীডন সাহেবকে অনুরোধ করিরা। পাইকপাড়া ষ্টেট, কোর্ট অব. ওয়ার্ডের অন্তর্ভুত করিয়া! দেন ।.. বিদ্যাসাগর মহাশয়, তাৎকালিক পাইকপাড়ার না-বালক রাজ- পুত্রদিগকে সঙ্গে করিয়া বন্গেশ্বরের নিকট লইয়! গিয়াছিলেন। বিষদ্ন কোট অব ওয়ার্ডের অন্তর্ভূত হইবার সম্বদ্ধ অনেকটা গোলযোগ হইয়াছিল। বাহল্যভয়ে তহল্পেখে নিবৃত্ত হুইলাম। তবে একট, কথা বলা নিতান্ত আবস্তক। কলেকন্টরী খাজনার ] দায়ে পাইকপাড়া রাজবংশের বিষয় বিক্রয় হায় অজাবনা. হইয়াছিল। বিদ্যাসাগর মহা":স্ুর অনুরোধে বঙ্ধেশ্বর সে যাত্রা কিক্রপনদায় হইতে উদ্ধন্যের ন। কোর্ট অব ওয়ার্ডে বিষয় পিম্বাছিল বটে ; কিবা আমাক রাজপুত্রদিগকে, ওয়ার্ডের অধীন বিদ্যালয়ে থান্তি! আর নাই। যাহাতে রাজকুমার- দিগকে ওয়ার্ডের বি”হাশক্োইতে না! হয়, ভাহার জন্ত রাণী কত্যায়নী, বিদ্যা্র'র মহাশয়কে বাপ্পাকুলিত-লোচনে অন্ুয়োধ করেন। এতদর্থ বিদ্যাসাগর মহাশয় বঙ্গেশ্বরকে অনুরোধ করিয়াছিলেন। অনুরোধ রক্ষা হইয়াছিল। বিদ্যাসাগর মহাশক়, প্রান্ছই পাইকপাড়ার রাজবাচীতে যাই- তেন। এক দিন পথিমধ্যে তাহার পুর্বব-পরিচিত রামধন নাষে এক মুদি াহাকে ডাকিয়া আপনার দোকানে লইয়া বায়। ৪১৪ বিদ্য।সাগর | রামধন বিদ্যাসাগর মহাশয়কে খুড়া খুড়া বলিয়া ভাকিত। রামধনের সাদর অত্যর্থনায় আপ্যাঁয়ত হইক্সা বিদটাসাগর মহাশয় অয্নান বদনে, তাহার দোকানের সন্মুখে, ত্বাজের উপর বঙ্িয়া থেলে! হুকায় তাযাক খাইতেছিলেন। এমন সময় রাজবাটার কয়েক জন তাহাকে দ্বেখিতে পান। বিদ্যাসাগর মহাশয়, রাজবাট'তে যাইয়া উপস্থিত হইলে, কেহ কেহ এ কথার উল্লেখ করেন । এটা “ভবাদুশ জনোচিত নহে” বলিয়া একট। মৃছুতীক্ষ মন্তব্যও প্রকটিত যে না হইয়াছিল, এমন নহে। বিদ্যাসাগর মহাশয়, কিন্তু ধার-গন্জীর বাকো, প্যাধচ একট মু হালে, বলিককাছিলেন, গর্ব বড় মাস্থু আমার আই আমান র্‌ এক স্বর বিদ্যাদাসট+ মহাশয় 2 9 র এমন সময় দ্বারদেশে এক জ খাগী নি ডাহে! দ্বারবানেরা তাহাকে তাঁড়া ইস, । বিদ্যাসাগর মহাশক ইহাতে বড় সংক্ষুন্ হইয্াছিলেন। কেহ বলেন, ইহার পর হইতে বিদ্যাসাগর মহাশয়, রাজ" বাওয়া বন্ধ করেন) কিন্ত আমর! বিশ্বস্তহথাত্রে শুনিয়াছি, বিদ্য।পাগর মহাশয়, ইহার জন্য রাজবাড়ী যাওয়া পরিত্যাগ করেন নাই। কোন কোন রাকুমারের উচ্ছৃঙ্খল ব্যবহারে তিনি বিরজ্ত হইয়া পড়িয়া" ছিলেন। পাছে আর পূর্ব-সম্মান না৷ থাকে, এই ভাবিয়া, ত্বিনি রাজবাটী যাওয়া বন্ধ করেন। রাঁজকুমারেরা কি্ত একটা দিনের জন্যও তাহার প্রতি ভদ্ভিশুন্ত হন নাই। কুমার ই্রচত্র অবাধ সাক্ষাৎ । ৪€ 1 প্রায়ই তাহার বাড়ীতে আমিতেন। কেহ তাহাকে বাড়ীছে দ্বারবান রাধিবার পরামর্শ দ্রিলে, তিনি রাজবাড়ীর অঙ্গুলি সঙ্কেত করিতেন। এমন কি তিনি প্রায়ই বলিতেন,- 1 “্বারবান রাধিলেই ত, আমার বাড়ীতে ভিথারী এক মুদি রর পাইবে না; অধিকন্ধ প্রায় অনেক সাক্ষাৎকার-প্রার্ধা ভঙ্গ | লোকেরও সাক্ষাৎকার লাভে বঞ্চিত হইব ) তাহা অপেক্ষা মৃত্যু. ভাল।” বিদ্যাসাগর মহাশয়ের বাড়ীতে স্বারবান ছিল না।| কখনও কখন৪ তিনি আপনার দৌহিত্রবর্গকে বলিতেন,_-"ি শুনিতে পাই, বাড়ীর কাহারও দ্বারা আমার বাড়ীতে কোন ভদ্র লোকের আসিবার পক্ষে ব্যাত্বাত হয়, তাহ! হইলে, তৃঙ্গাকে বাদ্দী হঈল্ত ভাড়াইসা দিন” স্বারসান্‌ রাধিবার কথ। হইচছ. তিনি বজি,_ ,--“আমি জন্যের বাড়ীতে যে অন্থবিধা দেখির, আলিয়াছি, সে অহ্বিধা আমার এ বাহাতে না থাকে, তাহারই ব্যবস্থা কর] তে] আমার কর্তব্য ।:) বিদ্যাসাগর মহাশয়ের সাক্ষাৎকার লাভের পক্ষে কখনখ কোনরূপ বিদ্ব-বাধার ব্যবস্থা ছিল না। তিনি যে সময় সুকিয়া- ধ্রাটে রাজকৃষ্ণ বাবুর ব'ড়ীতে থাকিতেন, সেই সময় এক দিম মধ্যাহ্ন এক ব্যক্তি অতি ব্যস্তভাবে তথায় তথায় উপস্থিত হুন। তখন বিদ্যাসাগর মহাশয় উপস্থিত ছিলেন। লোকট. বিদ্যাসাগর মহাশয়কে চিনিতেন না। তিনি একটু বিরক্ত একটু উগ্রভাবে বিদ্যাসাগর মহাশয়কেই বলিলেন,--“বিদ্যা- সাগর কোথায়?” বিদ্যাাগর মহাশয় বলিলেন,্"কেন *" ২৬ বিদ্যাসাগর । 4 [কটী বলিলেন,__“তাহার জহিভ সাক্ষাৎ হইবে কি? ই ম্ক বড় লোকের বাড়ী যাইলাম; কেহই সাক্ষাৎ করিলেন - ) দেখিয়া যাই, বিদ্যাস!গর কিরপ।” বিদ্যাসাগর মহাশতু বলিলেন,-.“আহার হইয়াছে 1 উত্তর হইল,-«আহার কি, জলম্পর্ণ হয় নাই। তৃষ্ণায় হাতি ফাটিতেছে।” বিদ্যাসাগর মহাশয় বলিলেন,_“বিদ্যাসাগরের সহিত সাক্ষাৎ হইবে। এখন আপনি কিঞ্চিৎ জলযোগ করিয়া শান্ত হউন।” লোকটী বলিলেন,-“অগ্রে সাক্ষাৎ চাই।” ইতিমধ্যে দিব্য-রূপ দলযোগ্নআসিপ । বিদ্যাসাগর মহাম্ব?ে -অনতুরীধে লোকটা ৮:52 করি পরেন ০১১ হইয়া, ভিনি বিধ্যানাগরের . হাৎকারপ্প্রার্থী হইলে, বিছিাগর জুবাশর /ার আর্মন্েধপন করিতে পারেন নাই। তখন লোকটী বিদণাসাগর /যহাশম়ের প্রকৃত মহত্বান্ুভব করিয়া! পরম পুলকে বিদায় গ্রহণ করেন। অনেকেই আবার সাক্ষাৎকার জন্য অসময়ে বিদ্য,সাগর মহ[শয়ের উপর উত্পীড়ম করিতেন। এক বার উত্তর-পাড়া হইতে কতকগুলি লোক তাঁহার বাছুড়বাগানের বাড়ীতে তাহার সহিত সাক্ষাৎ করিতে আসেন। উদ্েশ্য,--চাকুরী-প্রার্থন।। এই সময় বিদ্যাসাগর মহাশয়ের কনিষ্ঠ কন্তা সাংঘাতিকরূপে গীড়িত ছিলেন। বিদ্যাসাগর. মহাশয় উপরে তীহারই সুশ্রাঘ! করিতেছিলেন। মন অত্যন্ত চঞ্চল ছিল। এমন অবস্থায় উপস্থিত ব্যক্তির! তাঁহার সহিত সাক্ষাৎ করিতে চাহেন। সেই স্মন্ধ ডাক্তার যুক্ত অমুল্যচরণ বন্ধু মহাশয় নীচে এক স্থানে অনাহুতের অত্যাচার। ৪৬৭ উপবিষ্ট ছিজেন। তিনি উপন্থত ব্যক্কিগণকে বিদ্যাসাগর মহাশয়ের অনের অবস্থ। জানাইয়া তাহাদিগকে জমস্বাস্তরে আসিতে বলেন। তাহার তাহার কথা গুনিলেন না; অধিকন্ত চাঁকরের ম্বারা বিদ্যাসাগর যহাশয়কে সংবাদ পাঠাইয়া দেন। বিদ্যাসাগর মৃহাশদ্র বলিয়া পাঠান,--“অদ্য আমার মন বড়ই চর্ধীল। কস্তাঁর কাছ ছাড়া হইতে পারি না। আপনার! অন্ত দ্রিন ভ্বাসিবেন |” লোক-কয়টী এ কথ! না মানিয়া, উপরে যাইবার জন্য সিঁড়ির উপর উঠিলেন। তখন বিদ্যাসাগর মহাশয় উপর হইতে না ময়া আসিফ, একটু বিরক্তি-সহকারে । বলিলেন--এজাপনার! বড়ই গরুজ সুঝেন। আিদের কি দয়া-মা্া নাই" ড যাউন, আর এক দিন আসিবেন (০৫ তখন লোকগুণি ক্প্রস্তত হইয়া চলিয্বা] যান। * | বিদ্যাপাগর মহাশঘ্সের উপর এইরূপ উৎপীড়ন প্রায়ই হইত। তিনি বলিতেন__"উৎপীড়ন প্রায়ই হইত বটে; কিন্ত উংলীড়ন সহ্য কন্ধিতে অভ্যাস করিয়াছি « ৫ এই সময় দেক্তর-বিষয়ের হস্তাস্তরকরণ সম্বন্ধে আইন করিবার বিল হয়। জরকার বাহাছুর বিদ্যাসাগর মহাশয়ের মত অবগত হবার জন্ বিশর্যাসাগর মহাশয়কে পত্র লিখিয়াছিলেন। বিদ্যাসাগর মহাশয়, নিয়ালিখিত পত্রে নিঘলিখিভ রূপ অভি- রায় ব্যক্ত করিয়াছিলেন । পত্র ইংরেজিতে লিখিত হইয়াছিল্ফায় এই খানে তাহার মর্্ানথবাদ প্রকাশিত হইল, টার $। * ডাক্তার শ্রীযুক্ত জমুজ্যচরণ বস্তু মইাশয়ের নিকট এই বৃত্তান্ত গুময়! ৪২৮ বিদ্যাসাগর । আর, বিঃ চ্যাগযান স্কোরার যোঁ্ড জব রেবিনিউ জাপিমের সেক্রেট রি মহোদয় লমীপেধু- মহাশয় ! আপনি গত ১৮ই ভুলাই ভারিখে ৬৫৬ মং বি মং পত্রে আমার যে মন্তব্য জানিতে চাহিয়াছেল, তাহার প্রতত্বরে আমার বক্তষ্য এই যে, হিন্দু ব্যঘহার-শাস্ত্রে দেবোত্বর সম্পত্তির বিক্রয় ব| হস্তান্তরের অনুকূলে বা প্রতিকুলে কোন প্রকার প্রমাণ-বাক্য দৃ্ট হয় ন1। কিন্ত দেশের চিরস্তশ পদ্ধতি, এবরূপ নম্পন্থির কোন প্রকার হস্তান্তরের প্রদ্ধিকুলে দণ্ডায়মান । সত: হিন্দধর্্াধলন্বীমাত্রেই যখন ঈদৃপর্জদযোত্বর সম্পত্তির প্রতিষ্ঠা ধরে গাহাদিখের তখন প্রধান উদদেক্যু এই যে, এরপ সম্পত্তি ভিষাতে যন ফোন প্রকারে হস্তাস্তরিত নাহয় ও চির দিন অক্ষুন্ন থাকে। অয়্প অভিপ্রায়ের বশবত্তাঁ হই উাহার! উক্ত প্রকার সম্পত্তি নংক্রান্ত কতকগদি। নিয়মের নির্দেশ করিয়া দেন। উক্ত মম্পত্থির টির! (অধাক্ষের! ) ভনিমিত্ত ঈদৃশ সম্পত্বি কোন প্রকারেই হস্তান্তর ব! বিক্রয়াদি করিতে নমর্ঘ হন না। যঙ্গিও এ নন্বন্ধে কোন প্রকার মুস্প্ই বিবি হিন্দু শাস্ত্রে লক্ষিত হয় না, তথাপি হিন্দু ব্যবহার-শাস্ত্রের নিয়মাহৃসারে ঈদৃশ সম্পৃতথির হস্তান্তর কোন ক্রধেই নমীচীন ঘলিক্া| বোধ হয় ন1। হিন্দু ব্যবহার-শ্স্তের পির্দেশাহথমারে নঙগত্তির কোন প্রকার হস্তান্তর উদ্ত দশ্পত্তির দালিকের স্পষ্ট সম্মতি ব্যতীত একেবারেই অসিদ্ধ। যেদেধতার উঠ্চেদশে দেযোত্তর লক্পত্ভির “ষ্টি ছয়, তিনিই আইমানুলারে উক্ত সম্পত্ধির একমাত্র হালিক। মৃতরাং বতার নন্মতি বাভীত উক্ত সম্পত্তির তৃত্তা্তর বা বিত্রয়াদি আদা ঘপর নহে। দেখতার নিকট হইতে তণাদৃশ লন্মতিগরহণ একেবারেই 'ব। লুভরাং দেবোতবর লম্পত্তির হন্তাস্তর কোম মডেই আইননগ্গন দারুণ দুর্ঘটনা ৷ ৪৭১ বিধানগুলি নিবি হইলে পাওুলিপি লিশিত্ত আইনটা হিনদু-ব্যবহাঁর শাস্ত্রের বিরোধী বা নাধারণ হিন্দু-লমাজের মনক্ষোভের কারণ হইবে ন]| কলিকাতা, 1 ৭ই আগ, ২৮৬৬ খৃঃ। স্বাক্ষর) প্রঈখরচন্তর শর্মা । বল? ব'হুল্য, দেবোভর সম্পত্তি-হস্তাভ্তর-করণ সম্বন্ধে কোন আইন পাশ হয় নাই। ১৮২৩ সালের রা পৌষ বাঁ ১৮৬৬ খষ্টাব্ের ১৬ই ডিসে- স্বর রবিবার বিদ্যাসাগর মহাশয়, মিদ্‌ কারপেপ্টারকে * লইয়া, উত্তরপাডাপ্ শ্রানুক্ত বিজগ্কৃ্ণ মুখোপাধ্যান্ত প্রতিষ্টিত বালিকা বিদ্যালয় পরিপর্শনার্থ গমন করেন। ভাতকাণিক শিক্ষা বিভাগের ডাইরেক্টর আটকিন্সনূ সাহেব এবং স্কুল-ইনস্পেক্টর উদ্রো সাহেব ঠাহাদের সঙ্গে |ছলেন। বিদ্যালয় পরিদর্শনান্তে সকলেই গাড়ী করিয়া ফিবিয়া আজষেন। বিদ্যাসাণর মহাশয়, একটী ভদ্র লোকের সহিত একখানি বণী করিয়া আপিতে- ছিলেন। গাড়ী চড়িবার সময়, তিনি সঙ্গী ভদ্র লোকটাকে বঙ্গেন,_“বাপু ! আমি কখন বশী চড়ি নাই) হাকাইও নাই; দেখ, সাবধানে াকাইও ।* ভদ্র লোকটা অবশ্য তাহাকে খুবই আশা-ঘরস! দিয়াছিলেন ; কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয়, গ্াড়ীধানি কিছু দূর আঙিয়। মোড় ফিরিবার সময়, একেবারে উটাইয়! * ভারতীয় আত্ীলোকদিগের লেখাপড়া-শিক্ষা-বিস্তারের আকাঙ্ষায় ইনি ভারতে আনিয়াছিলেন। বৃষ্টলে ইহারই পিস পাদরী কারপেন্টার নাহেষের গৃছে রাজ রামমোহন রায়ের স্ৃত্যু হল্গ। তখন ইমি বালিক]। ৪৭২ বিদ্যাসাগর । পড়ে। বিদ্যাসাগর মহাশয়, তখনই পড়িয়া অজ্ঞান হইঞ্জা- ছিলেন। যকৃতে দাকুণ আমাত লাগিক়াছিল। চারি দিকে লোকে লোকারণ্য হইয়াছিল। মিস্‌ কারপেশ্টার, তাহাকে বুকে তুপিয়া, আপন কুমাল পড়িয়া, ক্ষতস্থানে বাধিয়! দিয়া- ছিলেন। তাহার ও উড়ো সাহেবের সুআষায় বিদ্যাসাগর মহাঁশদ্ব চৈতন্য লাভ করেন। পরে তিনি চৈতন্ত লাভ করিয়া, অনেক কষ্টে কলিকাতার কর্ণওয়ালিস্‌ স্ত্রীটশ্থ বাসায় ফিরিয়া 'আসেন। এই দৈব-ছুর্ঘটনার কথা শুনিয়া, তাহার বন্ধুবান্ধব তাহাকে দেখতে যান। পরম বন্ধু রাজক্জ বাবু, তাহাকে ভুলিয়া লইয়! গিয়া, স্ুকিয়া স্রীটে নিজের বাটাতে লইয়া যান। ডাক্তার মহেন্দ্রলাল সরকার তাহার চিকিৎসা করেন। ভয়ানক আঘাতে উরুদ্বেশ ফুলিয়! উঠিয়াছিল। এক মাসের সুচিকিতৎসায় তিনি এক রকম সারিয়া উঠেন; কিন্ত যে কালরোগ্ে তাহার জীবলীলার বসান হয়, তাহার অস্কুরোৎপত্তি এই খানে। চিকিৎসকের] বলেন, তাহার যকৃৎ উপ্টাইয়া গ্রিয়াছিল। এই জময় হইতে তাহার স্বাস্থ্য ভঙ্গ হইল। ইহার পর তাহাকে প্রায়ই শিরঃপীড়া ও উদরাময় ভোগ করিতে হুইত। পরিপাকশক্তি ভ্রাস হইয়া যাইল; হৃততরাং আহার লঘূ হইল। ছুপ্ধ সহ হুইতনা। প্রাতে মাছের ঝোল ভাত এবং রাত্রিকালে বারণি রুটি, কখন কখন গ্ররম লুচিমাত্র আহার ছিল। পরে তাহাও অসহা হইয়াছিল। নেক জময় তিনি রাত্রিকাণে ছুই এক গাল মুড়ি খাইয়া দারুণ দুধটনা। ৪৭৩ থ।কিতেন। তিনি প্রায়ই বলিতেন,“বাল্যে পয়মার অভাবে হুপ্ধ ধাই নাই; বয়সেও রোগের জালায় তাহ হয় নাই। বিদ্যাসাগর মহাশয়ের দ্বমুখে শুনিয়াছি, উত্তরপাড়ায় পতনের পর হইতে তাহার সাহস, উদ্যম, অধ্যবসায়, চেষ্টা, নৈতিক ও আধ্যাত্ত্বিক শন্কি, ঘ। কিছু মকলেরই ভ্রাস হইয়াছিল । সেই সিংহবীধ্যশালী মহাতেজন্বী কার্ধ্যবীরের পতন এইখানেই । আর তিনি শোধরাইতে পারিলেন না। স্বাস্থ্য-রক্ষার্থ প্রায়ই উহাকে ফরাসডাঙ্গা, বর্ধমান, কাণপুর প্রভৃতি ধানে থাকিতে হইত। তবু৪ কিন্ত কাধ্যবীরের কার্ধ্যবিরাম ছিল না। পতনাধাত হইতে কতকটা আরোগ্য লাভ করিক্বা, বিদা" মাথর মহাশন্ন। ১৮৬৭ সালের প্রারন্তে বীরসিংহ গ্রামে গমন করিয়াছিলেন। এই সময় এক অবীর1 বিধবার আত্মীয়েরা, তাহার জমী আত্মসাৎ করিবার চেষ্টা করিগ্লাছিলেন। সেই বিধবা, বিদ্যাসাগর মহাশয়ের নিকট কাদিম়া-কাটিযা আপন চুঃধ জ্ঞাপন করেন। তিনি বিধবার আত্মীম্দিগকে ভাকাইয়! আনি, খ্ধিবার জমী আত্মসাৎ করিতে নিষেষ করেন। তাহার! তাহার কথা শুনেন নাই ; বরৎ তাহার! বিধবার নামে আদালতে নালিষ করিয়াছিলেন। কিন্ত বিদ্যাসাগর মহাশয়, এ বিধবার যথেষ্ট সহায়ত করিতেছেন শুনিয়া, তাহারা আর আদালতে উপস্থিত হন নাই। এই সমক্ বিদ্যাসাগর মহাশয়, বীরপিংহের বাটার নিন" লিখিত ব্যবস্থা! করেন ;-- ৪৭8 বিদ্যাসাগর | "মধ্যম ও তৃতীয় অহোদরের ও স্বীয় পুত্রের পৃথকু পুধকু ভোজনের ব্যবস্থা করিয়া দেন। সকলেরই মাসিক ব্যয়ের । নিমিত্ত যাহার যেরূপ টাকার আবশ্যক, সেইরূপ ব্যবস্থা করেন। এইরূপ করিবার কারণ এই,_-একত্র অনেক পরিবার থাকিলে কলহ হইবার সত্তাবন1) বিশেষতঃ বছুপরিবার একত্র অবস্থিতি করিলে সকলেরই সকল বিষয়ে কষ্ট হয়। ইতিপূর্বে ভগ্গিনী- দ্বয়ের পৃথক্‌ বাটা নির্মাণ করিয়া দেওয়া হইয়াছিল। বিদেশী যে সকল বালক বাটাতে ভোজন করিয়। বীরসিংহু বিদ্যালয়ে অধ্যয়ন করিত, তাহাদের মাসিক ব্যদ্ধ নির্বাহের জন্য সমস্ত টাকা দিয়া পাচক ও চাকর দ্বারা স্বতত্ত বন্দোবস্ত করেন। ইহার কিছু দিন পরে তাহার পুত্র নারাম্মণের পৃথক্‌ বাটা প্রস্তুত হয়। এবং নিজের নিকট জননীদেবীর অবশ্থিতি করিবার ব্যবন্থ। হইল” * এই ব্যবস্থায় হিন্দুর একাননভুক্ত পরিবারপ্রধার বিরোধ- প্রমীণ। বিদ্যাসাগর মহাশয় একানভুক্ত পরিবারপ্রথার পক্ষপাতী ছিপেন না। ইহা! তাহার দোষ নহে; দোষ তাহার শিক্ষার । হিন্দু ধর্পের অন্তস্তলে প্রবেশ করিবার অধিকার তাহার ছিল না; হিনদু-সমাজের গঠনের মুলতত্বে এই জন্যই তিনি লক্ষ্য করিতে সমর্থ হইতেন না। তিনি হিন্ুর থে * বিদ্যারতু মহাশয় এই কথ! লিখিক্াছেন। নারায়ণ বাবুকে জিজ্ঞান! করিয়! জানিলাম, মই মত্য। তষে কলছের নভ্তাবন! নহে নত্যনত্যই কলহ ধটিয়াছিল। পারিবারিক পার্থক্য। ৪৭৫ সামাজিক কার্যে হস্তক্ষেপ করিয়াছেন, ভাহাতেই ইহার পরিচয় পাওয়। যায়। এই একান্নভুক্ত পরিবারপ্রথার বিরুদ্ধা- চরণ করাও সেই বিষক্ষেরই পরিচয় দিতেছে । হিশুর সংসারে, সমাজে, ব্যবহারিক সকল বিষয়ে, পরমার্থতত্ব লাভের পরিচয় পাওয়া যাত্স। প্রকটভাবে অন্তস্তত্ব বুঝাইবার নিমিত্তই হিন্দুর বাহা ব্যবহারের কষট্টি। একান্নভুক্ত পরিবারপ্রথ। হিন্দু-সমাজ- গঠনের একটা প্রধান অন্গ-হিন্দ্র যোগ-সাধনের--যোক্ষ- প্রাণ্ির প্রধান পথ। এক অপরের সহিত যুক্ত হইলেই যোগ হয়। সমস্ত জগতের সহিত মিশিয়1 যাওয়া, আপনাতে সমস্ত জগতের লয় কর1, জাগতিক প্রত্যেক বস্কতে আপনার সত্ব! উপলব্ধি করিবার চেষ্ট( করাই হিন্দুর মুখ্য সাধন-পথ। গৃছে ইহার প্রথম হুত্রপাত হয়। প্রথম হুত্রপাত হয়,-একে একে,-অর্থাৎ হয় গুরু-শিষ্যে, না হয় স্বামী স্ত্রীতে, নাহয় পিতাপুত্রে ইত্যাৰি। ছুই এক হইয়। দ্বিগুণ বললাভ করিলে জপর এক জনকে গ্রহণ করা অর্থাৎ আপন শক্তিতে মিশাইয়া লওয়া সহজ। এইরূপ ছুই ও একে তিন হইতে তখন স্বচ্ছন্দ আর দুই জনকে লওয়। চলে,__ভাহার সুখহুঃখে সুখীহুঃখা হওয়া! যায়। যাহারা আত্মীয়, যাহাদের একইরূপ অংস্কার- বশে একই বংশে জন্ম, তাহাদের সহিত এরূপ মিল সহ এবং অধিকতর অল্পায়াস-সাধ্য । তাই একাম্ভুত্ক পরিবার- প্রথার হুষ্টি। অপ্তবিংশ অধ্যায়। তার অভিযান, শড়ুনাথ পণ্ডিত, রাজ! রাধাকাস্ত, হি্গু- পেটরিয়টে পত্র, জ্যেষ্ঠ কন্যার বিবাহ, রামগোপাল ঘোষ, সারদা প্রদাদ, খাটাল-গুপ, রাণী কাত্যারনী, ইন্কয্‌ ট্যাকা ও হরচন্তরু ঘোষ । নারাযুণ বাধুর মুখে শুনিষ্বাঞ্ছি, ভ্রাতীরা মধ্যে মধ্যে জে)ষ্ঠের উপর অভিমান করিয়া, মাসহরা1 লইতেন না। এজন্ত সময় সময় তাহাদের কঃ হইত? দেকষ্টের কথা ধিদ্যামাগর মহা" শয়ের কর্ণগোচর হইলে, তিনি বাটা বাইয়া, গোপনে গ্রোপনে ভ্রাতৃবধূদের অঞ্চলে টাক! বাধিয় দেওদ়াইতেন। ১৮৬৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাম বহুবিবাহ রহিত করণনন্বদ্ধে আইনের প্রত্যাশায় গবর্ণমেন্টে আবেদন হইয়াছল। ফণ হয় নাই। | ১২৭৩ সালের ১৮ই পৌষ বা ১৮৬৭ ধৃষ্টান্ের ৬ই জানুঘারি বৃহস্পতিবার হাইকোর্টের তুতপূর্ব জজ অনারেবন শস্ুনাথ পণ্ডিতের মৃত্যু হত্প। বেখুন-সকুলের জম্পর্কে ইহার অহিত বিদ্যাসাগর মহাশয়ের সবিশেষ ত্বনিষ্ঠত। হইয়াছিল। বিদ্যা লাগর মহাশয় যেবার বেখুন খুলে চিক পুরস্কার দেন, সেইবার ইনি দোণার বালা পুরস্কার দিয়াছিলেন। ১২৭৪ সালের ১লা বৈশাখ বা ১৮৬৭ ধষ্টা্জের ১৩ই এগ্রেল হিন্দু-পেটরিয়টে পত্র । ৪1৭ স্তর রাজা রাধাকাস্ত দেবের মৃত্য হয়। ইনি বিধবা-বিবাহের বিপক্ষবাদী ছিলেন; কিন্ত বিদ্যাসাগর মহাশয়ের তেজস্বিতা ও বুদ্ধিমত্ত! মুক্তকে স্বীকার করিতেন। এই সময় বিদ্যাসাগর মহাশয়ে অনেক দেন1 বলিয়া হিন্ৃ- পেটরিয়ট, এডুগেশন গেজেট প্রভৃতি সংবাদপত্রে সাধারণের নিকট সাহাযা প্রার্থনা করিয়া, এক বিজ্ঞাপন প্রকাশিত হয়। বিদ্যাসাগর মহাশয় তখন বীরমিংহ গ্রাযে ছিলেন। ফিরিয়া আসিঘা যখন তিনি এই কথ! শুনেন, তখন তাহার সেই প্রশান্ত বারিধিবৎ হৃদয়ে যেন মুতুর্তে বিষম বাড়বানল প্রজ্ভলিত হইয়া উঠে। তিনি তখনই তার একটা প্রতিবাদ করিস, হিন্দু-পেটরিয়টে এক পত্র লেখেন। পত্রের মন এইঃ__ “ধছ দিনের পর আমি বাড়ী হইতে কলিকাতান্ন আনিলাম। আসিয়। নিলাম, বিধবা-বিবাহ-নংস্কারের জন্য অনেকগুলি টাকার ঝণ হইয়াছে বলিয়া, টাদ1 তুলিয়া, নেই ঝণশোধের দিমিত্ত একট] ফণ্ড গ্াপনেত প্রস্তাব হইয়াছে? বল1 হইয়াছে, জামিই মেই ঝণ করিয়াছি । শুনিয়া আমি আশ্চর্যযান্বিত হইলাম। দেশী ইংরেজী সকল মংবাদপাত্রেই এ কথা ব্যক্ত হইতেছে; জোকের মুখে মুখে একথ| ঘুরিতৈছে; তথাকথিত খণের একট] তালিকাঁও দেওয1 হইয়াছে । কাজেই যত শীঘ্ব মন্তব, আমাকে প্রতিবাদ করিতে হইল। ঘণ্রিতে হইল, আমার সম্মতি লওয়া ত দুরের কথা, এ প্রস্তাব করিবার পুর্বে আমাকে একধার জানানও হয় নাই। এখিষর়ে আমি সম্পূর্ণ জজ্ঞাত। বলিতে হইল, ন! জানিয়! শুনিয়া যে 8৫ হাজীর টাকা ধণের কথ। কথিত হইয়াছে, প্রকৃতপক্ষে ঝণ তাহার অর্দাংশেরও অনেক অল্প? আর ৪৭৮ বিদ্যাসাগর । এই খণখাধের নিমিত্ত নাধারণের নিকট লাহাধ্যপ্রার্থন1 করিবার ইচ্ছ! আমার কধনই নাই। বিধবা-[ববাহ-সংস্কারের অনেক হিতৈধী অতি য্মামান্ত অর্থপাহাযাও করিয়াছেন) কিন্ত ম্বেচ্ছায়; আমি দেই শ্বেচ্ছাদত্ত অর্থ নাহায্যের কখনও প্রভাধাান করি মাই; কিন্ত ভাই লিক! ইহার জন্ত ব্যক্িবিশেষকে পীড়াপীড়ি করা আমার নীতিবিরুদ্ধ। কক্সেকটী বন্ধুর অর্থপাহাধ্য, এবং যত অল্পই হউক, আবার নিজ আয়ের উপর নির্ভর করিয়াই আরম এতাবৎ এই সংস্কারের পথে চলির়] আসিতেছি; এবং আশ! আছে, এখনও এইব্ূপ চলিতে পারিব। উল্লিখিত কয়েকটী বন্ধু এবং স্বেচ্ছণক্স ধাহার] অর্থমাহাধ্য করিতেছেন, এমন কতকগুলি ব্যডি এ পক্ষে খামার নহাম্। অনেক স্ছলেই ইহারা কথার মত কাজ করিয়।- ছেন এবং এখনও নাহায্যাদি করিতেছেন। ৬০ টী বিধব1-বিবাহে ৮২ হাজার টাক] খরচ হইয়াছে। শুনিলাম, এ জন্য কেহ কেহ বিন্মন্ন প্রকাশ করিয়াছেন। “কিন্তু যাহার] হিন্দুপমাজের অযন্থ। জানেন, এক দলাদলির জন্যই এ পক্ষে কত্ধ অধিক টাকার ব্যয় হইতে পারে, তাহা|! বোধ করি, তাহার অজ্ঞাত মহেন। মফঃস্বজের যেলকল গ্রামে বিধবাঁবিবাহ অনুষ্ঠিত হইক্সাছে, ভাহার অনেক ছ্ছলেই এইরূপ দলাদলি ? শুপ্ভরাং নহজেই প্রতীত হইতেছে, এরূপ গজের বিবাহ অবশ্ঠুই কিছু ব্যয়সাপেক্ষ। প্রথম বিধবা-ধিষাহের অনুষ্ঠান হস্স--কজিকাতখ সহরে। এই প্রথম বিবাহে একটু ধুমধাম কর1 এবং পণ্ডিতকুলীনাদির বিদায়াদি দেওয়া সংস্কার-সমিতির মভ্যঙগণের মতে প্রয়োজনীয় বোধ হয়। তাই বহুকুলীনদ ব্াঙ্মপাদি এ বিবাহে আহত হইয়াছিলেন, এবং বিদান্গাদিও তাহাদিগকে দেওয়৷ হইয়াছিল । শুদ্ধ এই একটা বিধাহেই দশ নহম্র টাক! ব্যরিত হইয়াছিল। কিন্ত অতিধ্যয়ের শুদ্ধ ইহাই কারণ নহে। মঞ্চম্বলে যাহার! এ সংস্কারের জন্ত----বিধব1বিবাহের জন্্র চে] করিত্েছিকেস, গাহ!- বাবু রামগোপাল ঘোষ রামগোপাল ঘোষ । ৪৮১ চিন্তা করিয়। সিদ্ধান্ত করিলেন, রামগোপাল বড় মাতৃ-ভক্ত ) মায়ের কথ। ঠেলিতে পারিবেন না; অতএব এ সম্বন্ধে তাহার মাকে দিয়া অনুরোধ করিতে হইবে। এই ভাবিয়া পর দিল প্রাতঃকালে বিদ্য।নাগর মহাশয়, রামগেোপালের বাড়ীতে যাইয়া তাহার ঠাকুর-দালানে বলিয়া থাকেন। ফেই সময় রাম গোপালের জননী গঙ্গান্গান করিয়া বাড়ী আসেন। তিনি বিদ্যাসাগরকে দেখিয়া জিজ্ঞামিলেন,“ঈশ্বর তুমি যে এখানে বসে %” বিদ্যাসাগর বলিলেন,-“ম1! কলে মড়া পোড়াইবার ব্যবস্থ! হইতেছে ।” রামগোপালের জননী শুনিয়া অবাকৃ! বলিলেন,_*বাব।! এ ব্যবস্থা যাহাতে না হদ্ু, তাহার উপাক্ কি নাই? বিদ্যাসাগর বশিলেন,---“এক উপায় আছে। কাল টাউন হলে সভা করিয়া ইহার মীমাৎসা হইবে। আপনার ছেলে ষদ্দি সভায় যাইয়া ইহাতে আপত্তি করে, তাহ1 হইলে, এ ব্যবস্থা বন্দ হইতে পারে ।” রামগোপালের জননী বলেন,__ “তা ষদ্ধি হয়, আমি এখনই রামগোপালকে বলবো” পরে তিনি বাড়ীর ভিতর যাইয়া! রামগোপালকে অনুরোধ করেন। রাগ্গোপাল বাহিরে আলিম বিদ্যাসাগরকে বলিলেন, _প্মাকে বলেছ। কি বলবো মার কথা ঠেলিবার নহে। ভাল, কাল তিনটার সময় এস, সভায় ষাইব। পর দিন বিদ্যাসাগর মহাশঘ্পকে সঙ্গে লইয়া, রামগরোপাল টাউন হলের সভায় গিপ্রা, কলে শবদাহ করিবার প্রস্তাবের তীর প্রতিবাদ করেন। উ.হারই প্রতিবাদে না কি প্রস্তাব রদ হইয়া যায়। | ৪৯ ৪৮২ বিদ্যাসাগর ' ॥.. ১২৭৪ সংলের ১৯শে ফাল্তন বা ১৮৬৮ বৃষ্টাবের .১৮ই মার্চ বুধবার বর্ধমান-চকদিখীর জমীদার জারদাপ্রসাদ রায়ের মৃত্যু হয়। সারদ। বাবুর সহিত বিদ্যাসাগর মহাশয়ের ঘনিষ্ঠতা ছিল। সারদ্ষ। বাবু কোন বিষয়ে বিদ্যামাগর মহাশয়ের মত না লইয়া চলিতেন না । তিনি নিঃসন্তান ছিলেন। পোষ্যপুত্র গ্রহণ কর। উচিত কিনা, একবার এ বিষয়ে তিনি বিদ্যাসাগর মহাঁশয়কে জিজ্ঞানা করেম। বিদ্যাসাগর মহাশন্র, তাহাকে পোষ্য পুত্র লইতে নিষেধ করি, স্থৃপস্থাপন, ডিস্পেনসারি প্রতিষ্ঠ! গ্রভৃণ্তি হিতকর কার্ধ্যানুষ্ঠানের পরামর্শ দেন। বিদ্যাসাগর অহাশয়ের পরামর্শ নুঘারে পারদ! বাবু ১৮৫৩ খৃষ্টাব্দে চকদিতবীতে একটা ভাক্তারখানা এবং ১২৬৮ সাগের ১৮ই শ্রাবণ বা ১৮৬১ হষ্টংবের ১গা আগষ্ট একটা অবৈতনিক বিদ্যালয় স্থাপন করেন। এই চকদ্দিধীতে এক দরিদ্র পরিবারকে বিদ্যাসাগর মহাশয় ১৫ টাক। করিয়া মাদহার! দিতেন। সারদ| বাবুর মৃত্যুর পর তদীয় উইল সম্বন্ধে এক মোকদম। হইয়াছিল। বিদ্যাসাগর মহাশয় তাহাতে সান্ষী ছিলেন। ফে কথ। যথাস্থানে বিবৃত হইবে। বিদ্যাসাগর মহাশয় দারুণ ঝণভারগ্রস্ত ;) তবুও কিন্ত কাহাকেও অর্থ সাহায্য কর! একান্ত আবশ্ঠক বিবেচনা করিলে, ঘেখান হইতেই হউক, অর্থ সংগ্রহ করিয়া, সাহায্য করিতেন। এই জময় মেদিনীপুর-ঘাটাল অঞ্চলে একটি এণ্টাান্স পগীক্ষার উপযোগী স্কপ-স্থাপনের সাহাধ্য-প্রার্থনায় বিদ্যাসাগর মহাশয়কে নিয়লিখিত পত্র লিধিত হয) ঘাটাল স্কুণ। ৪৯৩ ঘাটাল, ১৯শে জ্যে্ট সম ১২৭৫ মাল । সবিনয় লম্মানপুরঃসর নিবেদন মি দং-- অত্র স্থলে একটা এখন্স পরীক্ষার পাঠোপযোগী মংস্কৃতসহিত ইংরেজী স্কুল স্থাপিত হওয়া একান্ত আবস্টক বিবেচনাক্স তদনৃষ্ঠাদে প্রবৃত্ত হইয্লাছি বটে? কিন্তু এতন্দেণবাঁসী সম্ান্ত মহাশয়ের] এই মহৎ কার্য নাহায্য লন! করাম শ্তরাং মম্যকৃপ্রোধিত ব্যক্তিগণের আহুকৃজোযর উপর নির্ভর করিয়া আমর! সম্পূর্ণ কৃতকার্ধ্য হইতে পাঁরিতেছি ন1। এই জুলগৃহটি প্রস্তত্ত করিতে অন্ততঃ চারি হাঁজার টাকার আঁবস্টক, স্কুলইনস্পেক্টর শ্রীযুক্ত মাটি'ন মহোদয় অনুমতি করিয়াছেন অগ্রে স্কুল" বাটী প্রস্তুত করিয়া! দিলে পশ্চাৎ গবর্ণমেন্ট, অর্ধেক ছুই হাজার টাক! দিবেন। কিন্ত এক্ষণে এককালীন দানের যেন্নপ ফল দেখা যাইতেছে, ইহ! সম:কৃ নংগ্রহ হইজেও গ্রার পনর শত টাক1 মাত্র নংস্থান হইতে পারে। যদিও আমরা গবর্ণমেন্টের ভাবি জাহ্বকুলোর প্রত্যাশার থণের ঘারাহ ছুই হাজার টাক নংগ্রছের উপায় করিয়াছি, কিন্ত এদিকে এ পনর শত ব্যতীত আর প্রত্যাশ1 নাই কাজেই এখন এ কাজটা দির্বাহপক্ষে পাচ শত টাকার অন্টন টন] দেখ। যাইতেছে। এই সঙ্কলিত কার্ধ্যটা নংসাধিত পক্ষে আমর] ম্বতঃপরত নাহাষ্যের ক্রটা করি নাই। কিন্তু এ নটন মিরাকরণ কর] আমাদিগের নিতান্ত লাধ্যাতীত হওয়ায় সুতরাং এক্ষণে একমাত্র ঈখর ব্যতীত উপায়ান্তর উপলবি হইতেছে না, অধুন। অন্মদদীয় কামন। এই যে মেই মহাপুরুষ, প্রপন্ননেত্রে এ দ্বেশের প্রতি কটাক্ষ করত উল্লেখিত অনটন বিমোচন করির। স্বীয় নাম ও গুণের মাহাত্্য প্রকাশ করম নিবেদন ইতি। | (স্বাঃ) শ্রীতারিণীরণ মুখোপাধ্যায় ও প্রীকেদারনাথ হালদার। ৪৮৪ বিদ্যাসাগর । ইংরেজী শিক্ষ'-বিস্তার-ত্রতী বিদ্যাসাগর মহাশয় এ সাহাধ্য-দানে কি অঙম্মত হইতে পারেন? হাত পাতিয়া কেহ ত্রায় রিজহস্তে ফিরিত না) বিশেষ ইংরেজী শিক্ষার প্রসার-কল্পে। বিদ্যাসাগর মহাশয়, নিয়লিধিত পত্র লিধিক় সাহবা-দানে সম্মতি প্রকাশ করেন, নবিনয়ং সবহ্মানং নিবেদনমূ আপনার! অন্ুগ্রহপ্রদর্শনপূর্বাক আমায় যে পত্র লিবিয়াছেন, ভদ্বার। সমস্ত অবগত হইজাঁম আপনাদিগের উদ্যোগে খাটালে যে বিদ্যালয় হাপিত হইতেছে উহার গৃহনির্মীণ মন্বন্ধে যে ৫৯০৬ পাঁচ শত টাকার অনাটন আছে আমি স্বতঃপরতঃ তাহা সমাধ। করিয়া দিষ মে বিষদ্ে আপনার1 নিশ্চিন্ত ধাঁকিবেন ভজ্জন্র অন্ত চেই। দেখিবার আর প্রয়েরজন নাই কিন্ত আগামী সারদীয় পুজার পুর্বে এই টাকা আপনাদিগের হস্তগত হইবার সম্ভাবন। অতি অল্প যোধ করি এই বিলম্ব বিশেধ ক্ষতিকর বা অন্বিধাজনক হইযেক না আাবণ মাসের শেষভাগে আমার বাঁচী যাই- বার কামদ! আছে যদি যাওয়া হয় লাক্ষাতে নধিশেষ নিবেদন করিধ কিমধিকমিতি ২৪ আষাঢ় ১২৭৫ সাল ।* অনুগ্রহাকাঙ্ছিণঃ (স্বাঃ) শ্রঈখরচচ্গ শর্মণঃ। মাননীয় ভীযুক্ত এল এন টরমবুল স্বোয়ার জীযুক্ত বাবু তারিণীচরণ মুখোপাধ্যা্ শতুত্ত বাবু কেদারনাথ হালদার মহাশয় মদন গ্রাহকে যু ধাটাল। * শুনিতে পাই, বিদ্যাসাগর মহাশয়, বাঙ্গালার ,$ প্রভৃতি বিরাম- চিহ্বেহ প্রবর্তন করিয়াছিলেন। তাহার নকল পুস্তকেই ইহার ব্যবহার দেখিতে পাই; কিন্ত পত্াদিতে প্রায় দেখ! বায় না। এ পত্রেও আরো ফোন চিহ নাই। ইন্কম্‌ ট্যাস। ৪৮৫ ইহার পর, যথাসময়ে বিদ্যাসাগর মহাশয়, সাহায্য-দান করিয়াছিলেন। ১২৭৫ সালের ৩র1 ভার বা ১৮৬৮ হষ্টাব্ের ১৭ই আগস্ট পাইকপাড়ার বৃদ্ধ রানী কাত্যায়ণী দেহ ত্যাগ করেন। বিদ্যা" মাগর মহশয়ের দ্বারা ইনি কিব্ধপ উপকার পাইয়াছিলেন, তাহা পূর্বেই উদ্লিখিত হইয়াছে। ১৮৬৮ খৃষ্টান্ধের শীতকালে ইন্কমৃ-ট্যান্সের অসহা কর- নির্ধারণে প্রগীড়িত হইয়া, অনেকে বিদ্যাসাগর মহাশছের শরণা্গত হয়। বিদ্যাসাগর মহাশয়, সে কথা লেপ্টেনাট গ্রব্ণরকে বিদিত করেন। তাহার অনুরোধে লেপ্টেনান্ট গবর্ণর বর্ধমানের তদানীন্তন কমিশনর হাঁরিসন সাহেবকে ইনকম্‌ ট্যাক্সের তথ্যান্ুষন্ধানে নিযুক্ত করেন। তথ্যানুসন্ধানে নিণাত হয় ষে, প্রকৃত পক্ষে অন্তায়রূপে কর নির্ধারিত হই তেছে। বিদ্যাসান্নর মহাশয়, দুই মাস কাল অন্ত কার্য পরিত্যাগ করিয়া, এ তদস্ত-ব্যাপারে ব্যাপ্ত ছিলেন। ইহাতে তাহার প্রায় তিন ষহত্র টাকা ব্যয় হইয়াছিল। ১৮৬৮ খ্টান্দে বিদ্যাসাগর মহাশয়ের দ্বিতীয় ও তৃতীয় ভাগ আখ্যানমঞ্জরী প্রশীত, মুদ্রিত ও প্রকাশিত হর। ইহাতেও বৈদেশিক চরিত্রের সমাবেশ । ভাষা বান্গালী স্ুল-পাঠকের সম্পূর্ণ উপযোগী । ১২৭৬ সালের ২*শে অগ্রহায়ণ বা ১৮৬৯ হষ্টাবের ওর] ভিষেম্বর কলিকাতার ছোট আদালতের তূততপূর্র্ব জজ হরচন্ ৪৮৬ বিদ্যামাগর | খোষের মৃত্যু হয়। ইনিও বিদ্যাসাগর মহাশয়ের মত স্্ী-শিক্ষা' বিস্তারের অন্পূর্ণ পক্ষপাতী ছিলেন। ১২৭৬ সালের ২১শে পৌঁ বা ১৮৭০ ঘৃষ্টাবের ৪ঠা জানুয়ারী ৬হরচন্ত্র ধোষের মৃত্যু জন্ত শোৌক"চিহ্ন প্রকাশে এক সভা! হইয়াছিল। তাহার ম্বরপ- চিহ্ছ-নির্ঘারণার্থ এই সভাতে যে “কমিটি” হয়, বিদ্যাসাগর মহাশয়, সেই কমিটিতে ছিলেন। গ্রাবিংশ অধ্যায়। ছাপাথানার সত্ব, মনোবেদনা, হোমিওপ্য।ধিঝ চিকিৎসা, বর্ধমানে বিদ্যাসাগর, ধণের জন্য ধণ ও বিধবা-বিবাছে লাগনা। এক দিন বিদ্যাসাগর মহাশয়ের পুত্র নারায়ণ বাধু;" বিদ্য।স্াগ্গর মহাশয়কে বলেন,-“বাঁবা! মেজ'খুড়ো) ছাপা" বানার বখর। চাহিতেছেন।” বিদ্যাসাগর মহাশয়, শুনিয়া অবাক হইলেন। পরে তিনি মধ্যম ভ্রাতাকে ডাকাইয়! বলিলেন,--“তাই | ওুনিয়াছি, তুমি ছাপাখানার ভাগ চাহি" তেছ। ভাল, তাহাই হইবে। দেন পাওনা দেখ। অধ্যন্থ মান।” অতঃপর বিদ্যাসাগর মহাশয় ৮দ্বারকানাথ মিত্রকে এবং তদীয় মধ্যম ভ্রাত| দীনবন্ধু স্তায়রত্ব মহাশয়, বাবু হুর্গা- মোহন দাসকে মধ্যস্থ মানিলেন। এ সালিসিতে রাজকৃষ বাবু, বিদ্যাসাগর মহাশয্ের তৃতক্কা* সুজ শ্রীযুক্ত শতৃচন্্র বিদ্যারত্ব এবখ তদীয়্ পিত্ব্য-পুত্র পীতান্র বন্দ্যোপধ্যায়ক্_সাক্ষী মানা হইয়াছিল। বিদ্যারত্ব মহাশয় এবং বিদ্যাসাগর মহাশয়ের ষষ্ঠানুজ আীযুক্ত ঈশানচন্ত্র বন্য্যো* পাধ্যায় হাপাথানার অংশে দাবী করেম নাই। সাক্ষ্য দিতে হইবে বলিয়া, বিদ্যারত্ব মহাশয়, ভ্তায়রত্ব মহাশয়কে ছাপাখানার দরী পরিত্যাগ করিতে অনুরোধ বরেম। স্ভায়রত্ব মহাশয় ৪৮৮ বিদ্যাসাগর । অচ্ছরোধে দাবী পরিত্যাগ করেন।* ভ্যায়রত্ব মহাশয়, যখন ছাপাখানার অংশে দাবী করেন, তখন বিদ্যাসাগর মহাশয়, আপনাকে লইয়া চারি ভাই ও পিতা মাতা, এই কয় জনের নামে ছয় ভাগে ছাপাখানার অংশ করিতে চাহিয়াছিলেন। পরে সালিসীতে ধার্ধ্য হয়, ছাপাধানাত্স বিদ্যাসাগর মহাশয়ই সম্পূর্ণ সত্ববান। এই সময় বিদ্যাসাগর মহাশয়ের তিন ভ্রাতা বিদ্যমান ছিলেন, দ্বিতীয় দীনবন্ধু স্যায়রদ্ব, তৃতীয় শ্রীযুক্ত শডচন্দ্ বিদ্যারত্ব এবং যষ্ঠ মুক্ত ঈশানচন্্র বন্যোপাধ্যায়। ইতিপূর্বে চতুর্থ, পঞ্চম ও সপ্তম ভ্রাতা! ইহলীলা সম্বরণ করিয়া" ছিলেন৷ ইহার পর বিদ্যাসাগর মহাশক্জের জীবদশায় স্তায়রতু মহাশয়ের দেহাস্তর হয়। ইনি পণ্ডিত ও পরোপকারী ছিলেন। বিদ্যাসাগর মহাশয়, ভ্রাতৃবর্গ এবং অন্তান্ত আত্বীয়ের সতত শুভ কামনা করিতেন। তাহাদের মঙ্গল চেষ্টায় তাহার অনেক অর্থব্যয় হইত। সকলকেই তিনি সাধ্যনুসারে সত্ষ্ট করিবার চেষ্টা করিতেন; কিন্তু তিনি প্রায়ই দীর্ঘশ্বাস চক্ষের জল ফেলিতে ফেলিতে বলিতেন,_-“সন্ভষ্ট কাহাকেও করিতে পারি" শাম না। আমার কথামালায় যে বৃদ্ধ ও ঘোটকের গঙ্গ আছে, আমি দেই বৃদ্ধ।” : এই সময় হোমি€প্যাধিক চিকিৎসায় বিদ্যাসাগর মহাশক্পের প্রীতি ও প্রবৃত্তি জন্িয়াছিল। ইহার পূর্ব্বে ইনি 80585775887 * ্রীদুকত শড়ূচন্র বিদ্যারতব প্রণীত “অমনিরান* নাষক পুস্তকে এই কখার উল্লেখ আছে। | হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা । ৪৮৯ এই চিকিৎসার উপর বীতশ্রন্ধ ছিলেন। ১৮৬৬ ধঠাকে বিখ্যাত হোমিওপ্যাথিক চিকিৎমাবিদূ বেরিপী সাহেব, কলিকাতায় আঙিয়! হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসায় প্রবৃত্ত হন। কলিকাতা বহুবাজার-বাসী ডাক্তার রাজেন্নাথ দত্তের সহিত বেরিণী সাহেবের বেশ সংগ্রীত হইয়াছিল। রাজেল বাতু ইতিপূর্বে হোমিওপ্যাথিক শিক্ষান্ুশীলনে কতকটা মনোযোগী হুইয়া- ছিলেন। বেরিণী সাহেবের সহাঞ্তায় তিনি এ বিষয়ে সবি- শেষ বুযুৎ্পত্তি লাভ করেন। চিকিৎসাতেও গ্ৰাহার যথেষ্ট প্রতিপত্তি হইয়াছিল। হোমিওপ্যাথিক চিকিংসামতে রাজের বাবু, বিদ্যামাগর মহাশয়ের শিরঃলীড়া জারাম করিয়াছিলেন। র'জেন্ বাবুর হোমি€প্যাথিক ওষধ-সেবনে রাজকৃষ্ণ বাবু নিদারণ মলকৃচ্ছতা গড়! হইতে আরোগ্য লাভ করিয়াছিলেন। রাজকৃষ্ণ বাবুকে মলত্যাগ করিবার ময় ফিচকারী ব্যবহার করিতে হইত। ফিচকারী ব্যবহারে কঠোর মল অতি কষ্টে নির্গত হইত; এবং ত্কাহার ছুই জান্ুদ্বপ্ধ রক্তল্রাবে ভাসিয। ধাইত। এ হেন রোগ কেবল হোঙ্গিওপ্যাথিকের বিন্দুপানে আরাম হইল দেখিয়া, বিদ্যাসাগর মহাশদ্ন বিশ্মিত হুইয্া- ছিলেন। অন্তঃপর হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা বিষয়ে তিনি সবিশেষ মনঃসংযোগ করেন। ইহাতে কতকটা বুযুৎ্পন্তি লাভ করিয়া তিনি অনেকের চিকিৎসা করিতেন। তাহার পরামর্শে তদীয় মধ্যম ভ্রাতা দীনবন্ধু স্তায়রত্ব মহাশয়, এক জন হোমিওপ্যাথিক হৃচ়িকিৎসক হইয়াছিলেন। আধুনিক বিখ্যাত ৪৯০ বিদ্যাসাগর | হোমিওপ্যাথিক ভাক্তার শীযুক্ত মহেল্রগাল সরকার মহাশয় তখন এলোপ্যাথিক মতে চিকিৎসা করিতেন । হোমিওপ্যাধিক চিকিৎসার উপর তাহার বিষম বিদ্বেষ ছিল। তিনি প্রা হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসার নিন্দা করিতেন। এক দিন বিদ্যা সাগর মহ'শয় এবং মহেন্্র বাবু হাইকোর্টের জজ পীড়িত অনারেবল ভ্বারকানাথ মিত্রকে দেখিতে গিয়াছিলেন। প্রত্যা- বর্তনের মময় গাড়ীতে বিদ্যাসাগর মহাশয়েন্স সঙ্গে হোমিও- প্র্যাথিক চিকিৎ্মা সম্বদ্ধে মহেন্র বাবুর ঘোরতর বাদান্ুবাদ হইয়াছিল। শেষে মহেক্র বাবু, বিদ্যাসাগর মহাশঘ্সের কথা শিরোধার্ধ্য করিয়া বলেন,--"আযি এক্ষণে আর হোমিওপ্যাথির নিন্দা করিব না; তবে পরীক্ষা করিয়া দেখিব, ইহার কি গু৭।” পরীক্ষায় তনি হোমিওপ্যাথির পক্ষপাতী হইয়াছিলেন। ক্রমে অল দ্রিনের মধ্যে শ্র চিকিৎসায় তিনি ষশত্বী হইয়া উঠেন। তাহার যশঃ-প্রতায় বেরিণীর প্রতিপত্তি কমিয়া গিয়াছিল। এ দেশের লোক, প্রার বেরিণীকে না ড কিয়া, মহেন্দ্র বাবুকেই ডাকিতেন। মহেন্দ্র বাবুরই উপর সকলের বিশ্বাম জন্িয়াছিল। ১৮৬১ সালে বেরিণী সহেবকে শুন্য পকেটে ঘরে ফিরিয়া যাইতে হুইয়াছিল। তাহাকে বিদায় দ্রিবার সময়, ডাক্তার রাজেকতরনাথ বলিয়াছিলেন,_“কত সাহেব এদেশে জাসিয়া ফিরিয়া যাইবার সময়, পকেট ভরিয়া টাকা লইয়া যান; আপনি কিন্ত রিক্ত পকেটে ফিরিতেছেন।” এতছুত্বরে বেরিণী সাহেব বলিয়্াছিলেন ;-- হোমিওপ্য খিক্ক ঠিকিতস|। ৪১১ “আন্ম পাচ হাজার টাকা পকেটে পূরিয়া লইয়া যাইতেন্ছি” রাজেন্দ্র বাবু বিস্মিত হইয়া বললেন,--“সে কিরূপ” ? উত্তর হইল,__- “মহেন্দ্র ষে হ্যেমিওপ্যাথিকের পঙ্ছপাতী হইয়াছে, ইহারই মূল্য পাঁচ সহত্র টাকা ।” এই অমদ্ব গোবরভাঙ্গার জমিদার ৬সারদাপ্রমন্ন মুখো- পাধ্যায়, উত্তরপাড়ার জমীদার ৬জমুকৃঞ্ত মুখোপাধ্যায় এবৎ কলিকাতার ঝামাপুকুর*নিবালী রাজ দিগম্বর মিত্র হোমিও- প্যাথিকের পক্ষপাতী ছিলেন। ইহার ৬1৭ বংসর পরে বিদ্যাসাগর মহাশয়ের কনিষ্ঠ কন্তার অতি উৎকট পীঢ়া হোমিওপ্যাথিক ঠিকিংশায় আরাম হইয়া ছিল। এলোপ্যাথিক চিকিৎংস। হার মানিষাছিল। ইহাতে হোমিওপ্যাথিকের উপর বিদ্যাসাগর মহাশয়ের অধিকতর তক্তি হইয়ান্িল। তিনি এই সময় হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা- বিদ্যাশিক্ষা করিবার কত্ত পুর্ববাপেক্ষা অধিকতর যত্ুশীল হন। শববিচ্ছেদ শিক্ষা ভিন্ন চিকিৎসা-বিদ্য। ব্যর্থ হয় বলিয়া, তিনি কতকগুলি নরকঞ্ধাল ক্রয় করিয়াছিলেন। হকিয়া গ্রীটনিবাসী ভাজার চত্তরমোহন ঘোষ, হাকে এত দ্িষয়ে শিক্ষা! দিতেন। বিদ্যাসাগর মহাশয়, পরে এই সব নরকগ্কাল রাজকৃষণ বাবুর পুত্রকে দিয়াছিলেন। এই জম তিনি বুসংখ্যক হোমিওপ্যাথিক পুস্তক ক্রয় করিয়াছিলেন ৪৯২, | বিদ্যাসাগর | এ সব পুস্তক তাহার লাইব্রেরীতে আছে। এই লাইব্রেরীতে হোমিওপ্যাথিক পুস্তক ব্যতীত প্রায় লক্ষাথক টাকার অন্ত পুস্তক আছে। তেমন নুন্দর বিলাতী বাধান পুস্তক আর কোন পুস্তকালয়ে আছে কি না! সন্দেহ। পুস্তকালয় তাহার জীবনাব- লন্ঘন বলিলেও বোধ হয় অতুযুক্তি হয় না। অধ্যয়ন তাহ র জীবনের ব্রত ছিল। এক মুহূর্ত তিনি পুস্তক ব্যতীত থাকি- তেন না। কাহাকেও তিনি লাইব্রেরীর পুস্তক লইয়া যাইতে দ্রিতেন না। এমন কি, একবার তাহার প্রিয়পাত্র স্রেহভাজন শ্রীযুক্ত নীলাম্বর মুখোপাধ্য।য় মহাশয়, ভারতবর্ষের ইহ! লিখিবেন বলিয়া, তাহার নিকট হইতে কতকগুলি পুস্তক চাহেন। বিদ্যাসাগর মহাশয়, তাহাকে লাইক্রেরীর পুস্তক না দিয়া, নৃতন পুস্তক কিনিয়া আনিয়া দেন।* এক বার তাহার একটা ধনাঢ্য বন্ধু লাইব্রেরীর বাধান পুস্তক দেখিয়া বলিয়া. ছিলেন,--"আপনি পাগল।” এত টাকা খরচ করিয়া বিলানত হইতে এ সব পুস্তক কীধাইয়া আনিয়া রাধিবার প্রয়োজন কি” বিদ্যাসাগর মহাশয় ইহার উত্তরে বলেন,--এক গছ দড়ি দিদা আপনি ঘড়্িটী বাধিয়! রাখিতে পারেন; তবে এত টাকার সোণ'র চেইনের প্রয়োজন কিণ কম্বল গায়ে দিতে পারেন; শাল গ্রায়ে দিয়েছেন কেন? পাগল আপনিও ত।” উত্তরপাড়াপ্ণ পড়িয়া যাইবার পর, স্বাস্থ্যলাভার্থে বিদ্যাসাগর * এই কথাটা ডাকার প্রযুক্ত অমুজ্যচরণ বসু মহাশগের দিকট শুনিয়াছি। বর্ধমানে বিদ্যানাগর। ৪১৩ এহাশয়, ফরাসভাঙ্গায় যাত্রা! করেন। সেখানে কিন্ত আ্বুবিধা না হওয়ার, তাহাকে বর্ধঘমানে যাইতে হয়। বর্ঘধানে যাইয়া) তিনি পঃম মিত্র প্যার্টাত মিত্রের বাড়ীতে থাঁকিতেন। প্যারিঠাদ মিঅজঙ্ আদালতের জেরেস্তাদার ছিলেন।* প্রণয়-সন্ভাবে বিদ্যাসাগর মহাশয় ও প্যারিটাদ বাধু হরি-হর-আঁক্মা। উভয়েই ঘেন এক পরিবারভুক্ত। বদ্ধমানেও বিদ্যাসাগর মহাশয়ের দান ও দয়ার কাধ্য অবিশ্রান্ত ভাবে চলিত। তাহার নাম শুনিলে, নেক দীন-দরিদ্র তাহার নিকট আগমন করিত। তিনি যাহার যেন্ধপ অভাব বুঝিতেন, তাহাকে সেইরূপ দান করিতেন। দানে তাহার জাতিবিচার ছিল না । অনেক দরিদ্র মুসলমান, তাহার নিকট সাহাধ্য পাইয়া, গুক্ততর দ্বায় হইতে মুক্ত হইত । বর্দমান হইতে বিদ্য।সাগর মহাশক্, প্রান্থ বীরসিংহ গ্রামে যাতায়াত করিতেন। সেই সম যত দীন-দর্ড্রি বালক, তাহার পান্থী ধরিয়া তাহাকে ঘিরিয়। দ্াড়াইত। তিনি কাহাকেও মিঠাই, কাহাকেও পয়সা, আর কাহাকেও বস্ত্র দান করিতেন। দয়ালু বিদাসাগর যাইতেছেন শুনিলে, সাহাধ্য-কামনা না থাকিলেও, * প্যারিচাদ বাধু কলিকাঁভা-পটলডাঙ্গার উামাচরণ দে মহাশয়ের ভগনীপতি ছিলেন। শ্ঠামাচরণ ঘাবুর ভগিনী অকালে প্রাণত্যাগ- করিয়াছিলেন । প্যারী বাবুষ্কে দ্বিতীয় বার দারপরিগ্রহণ করিতে হয়। প্রথম পত্ী গভ হইলেও প্যারি বাবু স্টামাচরণ বাবুর সহিত পূর্বধৎ লস্ভাখ রাধিয়াছিলেদ। প্যারি খাবুর দ্বিতীয় পড়ীও হামাচরণ বাবুকে জো্ঠ আন্ধার হত ধনে করিতেন। ক্টামাঁচরণ বাবু বিদ্যানাগর ষহাশয়ের হুদয় বন্ধু। এই হুত্রে প্যারী বাবুধ লহিত বিদ্যাসাগর মহাশয়ের বন্ধুত্ব হয়। € ৭. ৪১৪ বিদ্যামাগর। তাহাকে একবার দেখিবার জন্ত শত শত লোক উদগ্রীব হইয়। থাকিত। খণ-পরিশৌধ একান্ত প্রয়োজনীয় হইয়াছিল। হিন্দু- পেটরিয়টে বিদ্যাসাগর মহাশয়, যে পত্র লিখিয়াছিলেন, তাহাতে প্রকাশ পায়, তাহার দেনা ২০২২ হাজার টাকা । দেনা হইয়াছিল, প্রকৃতই অর্ছ-লক্ষাধিক টাকা। পত্র লিখিবার পুর্বে বিদ্যাসাগর মহাশয় অনেক দেন] শুধিয়াছিলেন ।* এক্ষণে অব- শিষ্ট খধ-পরিশোধের গত্যত্তর না! দেখিয়া, তিনি মুরশিদাবাদের মহারাণী স্বর্ণময়ীর সরকার হইতে থণ চাহিয়া! পাঠাইয়াছিলেন। মহারাণীর পরিবারের সহিত ইতিপুর্কবে তাহার বেশ ঘনিষ্ঠতা হইয়াছিল। এ কথা পুর্বে প্রকাশিত হইয়াছে । মহারাণী মধ্যে মধ্যে বিদ্যাসাগর মহাশয়কে আবশ্যকমত টাকা ধার দিতেন। বিদ্যাসাগর মহাশয় যখাসমূয়ে পরিশোধ করিতেন। ১২৭৬ সালের ২০শে কার্তিক বা ১৮৬৯ ঘুষ্টাব্বের ৪ঠ1 নবেম্বর বিদ্যাসাগর মহাশয় নিম্ললিখিত পত্র লিখিয়া, মহারাণীর সরকার হইতে টাক ধার চাহিয়াছিলেন,-- ওভাশিষঃসঘ্ত-- মাদর নম্বাণমাদ দূ আপনি অবগত আছেন বিধব1-বিধাহ কার্য্যোপলক্ষে আমি বিজক্ষণ খণগ্রস্ত হইয়াছি এ ধর্ণের জমে পরিশোধ করিতেছি। ছুই ব্যক্তির * জীযুক শঙুচন্্ বিদ্যারত্ব মহাশয় এ কথ! বজিয়াছেন। গণের জন্য থণ। 8৪৯৫ মিট কিছু অধিক খণ আছে ভাহীর। কমে লইতে লম্মস্ক নহেদ এক- ফালে টাক1পাইবার জন্য অভ্যন্ত ব্যস্ত করিতেছে এককালে তাঁহাদের ঝধ পরিশোধ করি তাহার শুযোগ নাই । কিন্তু ভাহ। না করিও কোন- তরঙ্গে চলিতেছে না| উপায়াভ্তর ন1 দেখিয়া অবশেষে আমতা রাণী অহোঁদয়ার মিকট প্রার্থনা করিতেছি তিমি দয়া করিয়! জামাকে ৭৫৩ সাত হাজার পাচশত টাক1 ধার দেল একধানি হ্যাদোট জিধিয়! দিব এখং তিন বৎলরে পরিশোধ করিব। এই ঝ৭ নিয়মিত সময়ে পরিশোধ করিতে পারিব মে বিষয়ে আমার অণুষাত্র সন্দেহ নাই সন্দেহ থাকিলে কধন আমি এনপে ধার চাহিতাষ না। জাপমকাঁর সহায়-ব্যতিরেকে আমার এই প্রার্থনা সফল হইবার মক্তাষম1 নাই | আপনি অসন্দিপ্ধচিত্তে মহায়তা করিষেন। এই অহারতা করিরা আপনাকে কখনও অগ্রত্বত হইতে হইবেক ম1। আমি এত অসম্রান্ত ও অপদার্ধ লোক নহি ষে পরিশোধ করিবার মম্ভাবনা নাই । তথাপি বণ করিতেছি অথচ পরিশোধ বিষয়ে অবত্কু করিব কিংব1 নিশ্চিন্ত থাকিব, আপনি এক মুহুর্তের জন্যও আশক্বা করিবেন ন1। রাজ! প্রতাপচন্্র নিংহ যতদিন জীধিত ও নহজ অবস্থায় ছিলেন, তাহার নিকট মধ্যে মধ্যে এইবপ ধার পাইতাম এবং ক্রমে ক্রমে পরিশোধ করিভাম। এক্ষণে এখানকার কোন ধমীর সহিদ্ক আমার এরপ আত্ীয়ত। নাই যে টাকা ধার চাহিতে পারি। আপনি ন! থাকিলে উমমতী রাণী মহোদকার নিকটেও ধার চাহিতে পাঁরিতাম ন]। এক্ষণে যাহাতে ঘামার প্রার্থনা সফল হয় দয়! করিয়। তাহ করিতে হইবেক। না করিধে আমি অপমানিত ও অপদন্থ হইব, এই বিবেচনা যাহ! উচিত হয় তাহ! করিবেন। অত্যন্ত অসুবিধায় না পড়িলে আমি কদাচ শ্রীমভীকে ও আপনাকে এরপে বিরক্ত করিতে উদ্যত হইস্কাম ন! জামিযেন। অগ্রহায়ণ মাসে আমার টাকার প্রয়োজন । এই টাক1ধার করিয়া দিলে আর পূর্বাধৎ বাধিক দাহাঁধ্য করিতে হইবেক ন1। প্রীমতী ৪৯৬ বিদ্যালাগর। আমার যথেঃ উপকার করিয়াছেন। এ নকল উপকার আমার অন্তঃকরণে নির্ভর জাগরুক রহিয়াছে । আমি যেভাহার ষথার্ঘ গুণগ্রাহী ও আমী- বাদক অনতিবিলম্বে তাহার পরিচয় দিব। আমি এক্ষণে কিচু ভাল আছি। আপনার লেজের ও রাজধানী নর্বাক্গীন মঙ্গল সংবাদ দ্বার পরিতৃপ্ত করিতে আজ্ঞা হয়। কিমধিকমিতি ২০ কার্তিক ১২৭৬ মাল। বিদ্যাসাগর মহাশয় এই পত্র লিখিয়া টাকা পাইপাছিলেন, এবং যথাসময়ে তাহার পরিশোধও করিয়াছিলেন । কেবল মহারাণী ত্বর্ণময়ীর নিকট হইতে কেন, আরও অন্তান্ত অনেক ধনাঢ্য ব্যক্তির নিকট হইতেও খণ করিতে হইয়াছিল। পাইকপাড়া-রাজ-পরিবারের কোন স্ীলোকের নিকট হইতে বিদ্যাসাগর মহাশয়, ২৫০* টাকা থণ লইয়া- ছিলেন। ১৮৭৬ বৃষ্টান্জে চকদীত্বির উইল সংক্রান্ত মোকদমায় বিদ্যাসাগর মহাশয় যে সাক্ষ্য দিয়াছিলেন, তিনি তাহাতে এই কথা স্বীকার করিয়াছেন। মফঃম্বলে বিববা-বিবাহ্সংশ্লিই ব্যক্তিবর্গের জন্ত ব্যয় অধিক হইত। সেই জন্য খণটা বেশী হইয়াছিল। হিন্দৃ-পেট রিয়ুটে বিদ্যাসাগর মহাশয়, এ কথা লিখিয়াছ্িলেন। কেবল ভর্থব্যঘ নহে; প্রকৃতই মফংস্বলের জন্ত তাহাকে নানাপ্রকারে ব্যতিব্যস্ত হইতে হইত। মফঃস্বলে বিধবাবিবাহের পক্ষপাতীদিগের তাড়না ও লাগুনার সীমা ছিল না। জাহানাবাদ-মহকুমার চন্রকোণ! থানার অন্তবত্তী কুমারগঞ্জে বিধবা-বিবাহের পক্ষ ও বিপক্ষদের এক সমক্ব খুব অংঘর্ধণ চলিয়াছিল। এতৎমন্বদ্ধে বিধবা] বিবাহে লাগনা। ৪৯৭ বিদ্যাসাগর মহাশয় স্বহস্তে ইংরেজীতে এক বিস্তৃত বিবরণ লিখিয়াছিলেন। তাহার মন্্র এই,-- “কুমারগঞ্জে বিধবা-বিবাহের পক্ষপাতী দলকে চড়ক পুজার শিবের মন্দিরে প্রধেশ করিতে দেওয়া হস নাই । এত্তৎনম্বন্ধে পক্ষপাতীদের পক্ষ হুইভে জাহানাবাদের ডিপুটী,মাজি্টরকে আবেদন কর1 হইযাছিল। তিনি তদন্তের হুকুম দেন। তদন্ত হইয়াছিল, উত্পব নাক্গ হুইবার পরে। জমীদার বিধবা-বিবাহের পক্ষপাত।দিণকে প্রহার করিয়। জরিমাঁন! আদায় করিয়াছিলেন। জমেকেই সপরিবারে গ্রাম ত্যাগ করে। পতিনে নংবাদ দিলেও, পুলিন তদস্থে উদানীন্য ঞ্রকাশ করিতেন ।” এই ঘটনায় বিদ্যামাগর মহাশয় স্পষ্টতঃই লিখিছ" ছিলেন,-_- “যদি উতপীড়ন নিবারণ ন] হয়, যদি অত্যাচারীর!1 নখিষ্ক ন1 হয়, তাহ] হইলে আমার এ পৃথিবীতে থাকিবার প্রক্লোজন নাই । তাহ! হইলে আমার জীবন-ব্রতের উজ্জাপন হইবে কিনে ? এ ব্রত-নাধদেই তো আমি আত্ম- ঘমর্পণ করিয়াছি । যদি ব্রত সিদ্ধ ন| হইল, ভাহা হইলে, জীবন হৃথ1।” একোনত্রিংশ অধ্যায়। পাচকের অপরাধ, বদ্ধমানে ম্যালেরিয়া ও দানে কৌতুক। হরকালী চৌধুরী নামে এক ব্যক্ষি, বিদ্যাসাগর মহাশয়ের বাসায় রন্ধন করিত। বর্দমানেও তাহার উপর রন্ধন করিবার ভার ছিল। একবার বর্ধমানের বাসা হইতে কোন একটা স্ীলোক, অনেকবার টাকা ও কাপড় লইয়া গিয়াছিল। হরকালী তাহাকে বলে-*মাপী, তোরা কি বিদ্যাসাগরকে লেদা আম পেয়বছিস্।” বিদ্যাসাগর মহাশয়, একথা শুনিয়া, হরকালীর উপর বড়ই বিরক্ত হন। হরকালী ক্ষমা প্রার্থন৷ করে। বিদ্যা" সাগর মহাশয়, তাহাতে কর্ণপাত না করিয়া, ছুই টাকা মাস হারার বন্দোবস্ত করিয়া দিয়া, তাহাকে বিদায় দেন। এ জতীব অবিশ্বীস্ত বিবরণ, আমর! বিদ্যারতু মহাশয়ের পুস্তক হইতে উদ্ধৃত করিলাম । বিদ্যারতু মহাশয়, বিদ্যাসাগর মহাশয়ের ভ্রাতা । তিনি এসম্বন্বে অভিজ্ঞ। তবে একবার একট! দোষ করিয়া, দীন-হীন অনুগত ভৃত্য, কাতর-কঠে ক্ষমূ চাহিলেও, বিদ্যাসাগর মহাশয় ক্ষমা করিতে কুরঠঠিত হইতেন এ কথ। বিশ্বাস করিতে সহজে কাহার প্রবৃত্তি হইবে ধল' তবে ঘটনা যদি প্রকৃত হয় তাহ! হইলে, বিম্ময়ের বিষ বলিতে হইবে। ধদ্ধমানে ম্যানেরিয়া। ৪৯১ কাহাকেও কোন দোষের জন্ত ভ€ংসন! করিলে, সে যদ্দি কোপ প্রকাশ বা উত্তর-প্রত্যুত্তর করিত, তাহা হইলে বিদ্যা- সাগর মহাশয়, তাহার উপর বড়ই অসন্তুষ্ট হইতেন; এমন কি, তাহার ষহিত আর বাক্যালাপও করিতেন না। কেহ যদি ভ৫সিত হইয়াও শীরব থাকিত বা ক্ষমা চাহিত, তাহা হইলে বিদ্যাসাগর মহাশয় অবসরক্রমে তাহাকে সামনা করিতেন। ইহা বিদ্যাসাগর মহাশয়ের চরিত্রাভ্যাস। সেই জন্ত, প্রাগুক্ত ঘটনায় বিশ্বাস করিতে প্রবৃত্ত হয় ন]। বিদ্যাসাগর মহাশযের শরীর তাজিয়াছে। রোগে দেহ- ষ্ি ক্ষীণ-বল হইপ্নাছে। তবুও কিন্ত কাধ্যের বিরাম নাই। বন্ধমানে আবার কঠোর কার্যকারিতার প্রয়োজন হইল। ১৮৬৯ সালে বর্ধমানে ভীষণ ম্যালেরিয়া জরের সংহার-মুর্তি দেখ! দিয়াছিল। ১৮৬৩ সালের ছুর্ভিক্ষ-দৃষ্তে ধাহার করুণ- বুক ফাটিয়। অবিশ্রান্ত শোণিতআোত ছুটিয়াছিল, আজ বর্ধ- মানের ম্যালেরিয়ার কি তিনি স্থির ধাকিতে পারেন? অংবাদ- পত্রেকোটি কণ্ঠের কাতর-ত্রন্দন উখ্িত হইল। রোগে ত্রাহি ত্রাহি; কিন্ত চিকিৎসা করিবার লোক নাই। দারুণ ছু্ৃ- ভিনাদে অংবাদপদ্র সমূহে এ সাংঘাতিক সংবাদ বিঘোধিত হইতে লাগিল। দে সময়কিযে মর্মান্তিক হুলনুল কাণ্ড উপস্থিত হইয়াছিল, তাৎকাঁলিক সংবাদপত্রের পাঠকমাত্রেই তাহা বলিতে পারেন। সে মহামারী ব্যাপার বর্ণনাতীত | হিলৃপেটরিয়ট-সম্পাদক, দে লোকক্ষয়কর কাণ্ডের প্রতীকার, ৫৪৮ বিদ্যাসাগর । প্রত্যাশায়, মৃহন্ম্হ চীৎকার করিয়া, গবর্ণমেণ্টের কর্ণাকর্ষণ করিতে তিলমাত্র ক্রুটি কন নাই। বম, বিদ্যাসাগর মহাশরু, রে'শীদ্িগের চিকিৎসার্থ “ডস্পে, নারি" স্থাপন করিয়াছিলেন। ওঁষধ-পধ্যের যথারীতি ব্যবস্থ1 হইয়াছিল। তিনি ত্বয়ৎ কলিকাতায় আসিয়া ম্যালেরিয়ার সেই ভীষণ সর্ধনাশকারিতার সংবাদ তাৎকালিক ছোট লাট গে সাহেবের কর্ণপোচর করেন। গ্রে সাহেব বাহাছুরও, সবিশেষ তথ্য নিদ্ধারাণা্থ প্রবৃভ হয়েন। তথ্য-নির্ণয়ে অবশ্য কালবিলম্ব হুইল না। জাহায্যের জাবশ্যকতা বিবেচনায়, ক্থানে স্থানে *“ডিম্পেন্সারি খোল হইল। জাতিবর্ণ-নির্কিশেষে গীড়িত ব্যক্তিগণ, বিদ্যাসাগর মহাশয়েস “ডিস্পেন্সারি” হইতে ওঁধধ, পথ; ও পয পাইত। তিনি প্রায় ছুই সহত্র টাকার বন্ধ বিতরণ করিয়াছিলেন । বিদ্যাসাগর মহাশয়, নামের প্রত্যাশায় এ সদনুষ্ঠানে প্রবৃত্ত হন নাই। কিন্তু তৎকালে হিনপেটরিয়টপ্রমুখ সংবাদপত্রে ভাহার নামে একটা আকাশ. ভেদী জয্-জয়কারধখনি উখিত হইয়াছিল ।* এই সমগ্র প্যারিটাদ্ বাবুর ভ্রাতুপ্পুত্র ডাক্তার গন্গানারায়ণ মিত্র মহাশয়, বিদ্যাসাগর মহাশয়কে জনেক সাহায্য করিতেন। স্তাহার উপর “ভিম্পেন্দারিশ্র ষন্পূর্ণ ভার ছিল। কুইনাইন বড় মুল্যবান, অথচ রোগীর সংখ্যা দিন দ্দিন বৃদ্ধি হইতেছিল। [70005190009 1569 বদ্ধমানে ম্যালেরিয়। । ৫০৩ এই জন্য গঙ্গানারায়ণ বাবু, পরামর্শ দেন যে, কুইনাইনের পরিবর্তে “দিঙ্ষোনা” ব্যবহার কর! হউক। বিদ্যাসাগর মহাশয়, বলেন,--"্গ্রীবের রোগ বলিয়া, প্রকৃত ঁষধ ব্যবহার করিবে না) এও কি কখন হয়? ছুঃখী-ধনী সবারই প্রাণ তো একই : পরস্তক রোগও এক” গঙ্গানারায়ণ বাবু, বিদ্যামাগরের মহত্রে ডুবিয়া গেলেন। যে সব রোগী ওষধ লইবার জন্ম «“ডিস্পেন্সারি”?তে আমিতে পারিত না, বিদ্যাসাগর মহাশয়, তাহাদের বাড়ীতে গিয়া, স্বয্তৎ ওধ্ধ-পথ্য- দিয়! আসিতেন। প্যারিচরণ বাবু, বিদ্যাসাগর মহাশয়ের প্রাণের প্রিয়তম সুহৃদ । মৃত্যুর পর, তাহার পরিবারবর্গ বিদ্যাসাগরের মেই সাদর ন্ষেহে বঞ্চিত হন নাই। বিদ্যাসাগর মহাশয়ের নিকট তাহারা চির-কৃতজ্ঞ। প্যারি বাবুর জেষ্টপুত্র ইভ ক্ষেত্রনাখ মিত্র এখন মুন্সেফ এবং কনিষ্টপুত্র শ্রীযুক্ত অবিনাশচন্্র মিত্র জজ আদালতের সেরেস্তাধার। বঙ্গবামী কলেজের যুক্ত গিরিশচন্দ্র বনু তাহার জামাতা। গিরিশ বাবু বিদ্যাসাগর মহাশয়ের প্রাণাপেক্ষ! প্রিয় ছিলেন। এখনও উভয় সংসারে পূর্ব্ববৎ সদ্ভাব বিদ্যমীন আছে। বিদ্যাসাগর মহাশয়, প্রায়ই গিরিশ বাধুর নিকট আপন জীবনের গল্প করিতেন। বর্ধমানে ম্যালিরিয়ার প্রাবল্য এবং প্যার্টাদ বাবুর সহিত সৌহার্দ জন্য বিদ্যাসাগর মহাশয়কে অনেক সময় বর্দমানে, যাইতে হইত। বর্দমানের দুঃস্থ দাফিদ্রমাঙেই ৫০২ বিদ্যাসাগর। বিদ্যাসাগরকে দয়ার সাগর ও দাত] বলিয়া চিনিত। তিনি ট্রেন হইতে স্টেশনে নামিলেই তাহার! বিদ্যামাগর মহাশয়কে ঘেরিষা দাড়াইত। একবার একটা অতি দীন-হীন মলিন বালক ত্বাহার নিকট একটী পয়স! ভিক্ষা চাহে। তাহার কক্কালসার জীর্ণ শীর্ণ দেহ ও তূলি-ধূল'রত মলিন মুখখানি দেখিয়া বিদ্যা- সাগর মহাশয়, অত্যন্ত দয়ার হইয়াছিলেন। তাহার দারিদ্র্য- মালিন্ত-রিিই মুখে কি যেন একটু জ্যোতিঃপ্রভা দিশ্রিত ছিল। বিদ্যাসাগর মহাশয়, সেই জন্তই একটু কৌতুহলাক্রান্ত হইয়া, তাহার সহিত একটু খবনিষ্ঠভাবে কথাবার্তী কহিয়াছিলেন। তিনি বলেন, প্জআামি যদি চারিটী পয়সা দিই ।” বালক ভাবিল,--চাহিলাম একটা, ইনি দিতে চাহেন চারিটী; এ কেমন, বুঝি ঠা্ট! করিতেছেন।” তখন সে বলিল, "মহাশয় ঠাট। করেন কেন। দিন একট পর়ল1।” বিদ্যাসাগর মহাশয় বলিলেন,_-'ঠ.ট। নহে, ঘি চারিটী পয়সা দিই, তাহা হইলে কি করিস্।” বালক বলিল,__“ত্ত1 হ'লে দুী পয়ুস। খাবার কিনি, আর দুইটা পয়সা মাকে গিয়া দ্রিই।” বিদ্যাসাগর বলিলেন,__-্যদি ছুই আনা দিই |” এবারও বালক ঠাট্টা মনে করিয়! চলিয়া! যাইবার উপক্রম করে। বিদ্যাসাগর মহাশয় এবার তাহার হাত ধরিয়া বলেন,__“বল, না, জত্যি সত্যি তাহা হ'লে তুই কি করিস? তখন বালক চক্ষের ছুফোটা জল ফেলিয়া বলিল,--”চার পয়সা চাল কিনে নিষ্ে যাই। আর চার পয়সা মাকে দিই । তাতে ক্সামানের আর এক দিন চ'লবে।” দানে কৌতুক। ৫৪5 বিক্র্াসাগর মহাশয় আবার বলিলেন,_গ্যদি চারি আন। দিই।” বালক তখনও বিদ্যা্জাগরের মুষ্টিগত; উত্তর দেওয়া ভিন্ন উপায্সাস্তর নাই। দে বলিল,--“ত হ'লে, ছু) আন! ঢৃ'দিন খাওয়া চলবে, আর ছুই জানার আম কিনি। আম কিনে বেচি। ছু আনা আমে চার আনা হ'বে। তাহা হ'লে আবার দু'দিন চল্বে। আবার ছু'আনা আম কিনবো । এমন ক'রে যদিন চলে ।” বিদ্যাসাগর মহাশয়, তখন তাহাকে একটী টাকা দিলেন। বালক টাক] পাইয়া জষ্টাস্তঃকরণে চলিয়া যায়। বৎসর ছুই পরে বিদ্যাসাগর মহাশয়, একবার বর্ধমান গিয়াছিলেন। তিনি স্টেশনে নামিয়া প্রায়ই একটা পরিচিত দোকানদারের দোকানে বজিতেন। এবার তিনি যেমন সেই পরিচিত দোঁকানদারের দোকানে প্রবেশ করিতে ষাইবেন, অমনই একটা হুষ্পুষ্ট বালক আমিয়া বলিল,__ “মহাশয় | এক বার আহ্বন, আমার দোকানে বদ্তে হ'বে।” বিদ্যাসাগর মহাশয় বলিলেন,তুমি কে, আমি তো তোমায় চিনি ন|। তোমার দোকান কেন যাইব ।” বালক তখন বাপ্পানুলিত- লোচনে বলিল,_-“আপনার স্মরণ নাই। আজ ছৃ'ব্সর হলো, আমি আপনার কাছে একটা পয়সা চেয়েছিলুম। আপনি আমাকে একট টাকা দিয়েছিলেন। সেই এক টাকায় ছু'আনার চা'ল কিনি, আর বাকি চৌদ্দ আনায় আম কিনে বেচি। ভাতে আমার বেশ লাভ হয়। তার পর আবার আম কিনে বেচি। ক্রমে লাভ বাড়তে থাকে। এটা সেটা বেচে ৫5০9 বিদ্যানাগর। বেশ পুঁজি হয়। এখন এই মণিহাগী দে'কানখানি করেছি ।: বিদ্যাসাগর মহাশয্ষের তখন পুর্-কথাটী মরণ হইল । চ্ডিলি বালককে আশীর্ব:ৰ করিদ্না) তাহার সন্তোষ জন্য তাহা দোকানে যাইয়া দিমাছিলেন। ৯ পপ সপ” পপ পপ, উপ ০ ০ পপ পাপ * ষ্ঠ গল্পটা ডাকার জীুদ্ক জমুল্যচরণ বব মহাশয়ের নিট 4 শুমিঘাছিলাম। ভরিংশ অধ্যায়। লাম্তিবিলাস, রামের রজ্যাভিষেক ও ভাষা-চচ্চ]। বোগ-কোলাহল-সদ্ষু্ন কাধ্যমঘ ব্দঘানে বদিঘাও বিদ্য।- সাগর মহাশয়, ফেক পয়রের *কমিডি অব এরারযৃ” অবলম্বন করিয়া) ভ্র স্তিবিলাস নামক গহ্থ রচনা করেন। ভ্রাস্তিবিলীসের ভাষা লালিঙ্যময়ী ও রহস্তোদীপিকা। ভাবাভুর-রচিত ও ইংঠেজী ভাবার অনুবাদ্িত পুরাতন পুল্থকের ছায়াবজস্বন করিয়া, সেকসপিয়র, “কমিডি তব, এরাঃস্ রচনা করেন। * ব্লা বাহুল্য, এ রচনায় ইতরেভী ভাষার বলপুষ্টি হইয়াছে "কমিডি অব এরারসূ* উৎকৃষ্ট নাটক মধ্যে পরিগণিত ন। হইলেও, শুন্দর রহস্টোদ্দীপক প্রহসন-প্রকারে পরিগণিত হইডে পারে। বিদ্যাসাগর মহাশয়ের কি অস্ত নুবাদ-শত্তি ছিল, বিদেশী ভাব ও ভাষাকে তিনি কেমন বজীয় পরিচ্ছদে সজ্জিত করিয়া অম্পূর্ণ নিজন্ব করিতে পারিতেন, ভ্রান্তিবিলাস তাঁহার ক (0019507 0£1971015 (0009607 ) 11৩ 81000001001 ৪0 410)100 01 10198105) (8 &0 01৭ [010 ৮৩ 17156011901 লুগ0) 1576-7, ৯০৬৯৪ 00018 2508119) 1.10075075% 0৮ 250, 5৩ ৫০৬ বিদ্যামাগর ' উৎকৃষ্ট উদ্বাহরণ। “কমিডি অব. এরারসের” গল্পাংশ কিছু জটিল। এ জটিলতা সত্বে বিদ্যাসাগর মহাশয়, উপাখ্যান ভাগের এমন হুন্দর সন্গিবেশ করিয়াছেন যে, মুল-কৌতুকাবহ- ত্বের কিছুমাত্র খর্বতা ত্টে নাই। ফলতঃ ভান্তিবিলাস একখানি উত্কষ্ট বাঙ্গালা উপন্তাস হইয়াছে । নাটককে উপ- স্তাসাকারে পরিণত করা কত্ত চুরহ ব্রত, তাহ। ল্যান্বলিখিত গল্পের পাঠকের অবিদ্িত নাই। কিন্ত এছুরূহ ব্রত বিদ্যা, সাগর হচারকপে সম্পাদন করিয়ান্বেন। বে লিপিকৌশল ভবভূতির মর্মর্পর্শী উত্তর-চরিত নাটককে সীতার বনবামে আকারিত করিয়াছে, তাহার সফলতা আমর! ভ্রান্তিবিলাসে দেখিতে পাই। বিদ্যাসাগর যদ্দি ভ্রাস্তিবিলাসের আদর্শে সেক্সপিয়রের অন্যান্ত নাটক বাঙ্গাল! ভাষায় জঙ্কলিত করি- তেন, ভাহা হইলে বাঙ্গালা ভাষার “বশেষ বৃদ্ধির সত্তা বন। ছিল। ভ্রান্তিবিলামের বিজ্ঞাপনে বিদ্যাসগুর মহাশয়, এই কথা লিখিঘ়াছেন,-"তিনি (সেকপিয়ুর ) এই প্রহসনে হাস্তরস উদ্দীপনের নিরতিশয় কৌশল প্রদর্শন করিয়াছেন। পাঠকালে হাস্ত করিতে করিতে বাকুরোধ উপস্থিত হয়। ভ্রান্তিবিলাসে সেই অপ্রতিম কৌশল নাই।” বিদ্যাসাগর সত্যদর্শী লোক; আপনার গুণ পঙ্পাতের চক্ষে দেখিতেন না। বাস্তবিক “কমিডির”* হাস্তরস অন্থবাদ রক্ষা করা সম্ভবপর নহে। ্রাস্তিবিলাসেও সম্পূর্ণ রক্ষিত হয় নাই। রামের রাজ্যাভিষেক। €০৭ আহিরীটেলানিবাপী সব জজ প্রযুক্ত রাজেন্দ্রনাথ বদ মহাশয়ের মুখে শুনিয়াছি,“বিদ্যাসাগর মহাশয় পনর দিনে ্রান্তিবিলাস লিধিয়াছেন। প্রত্যহ আহার করিতে যাইবার পূর্বে তিনি প্রায় পনর মিনিট কাল করিয়া লিবিতেন।” বিদ্যাসাগর মহাশয়, ষদি নীরস অন্কবিদ্যার চ্চ। পরিত্যাগ করিয়া, আনন্দ- কৃষ্ণ বাবুর নিকট সেব্সপিয়র না পড়িতেন, তাহা হইলে কি সেক্সপিয়রের এমন অন্ুবার্গ প্রকাশিত হইত মেকলেও যদ্ধি নীরন অঙ্কবিদ্যার অনুশীলনে শ্রথ-প্রযন্্র হইঘ্বা, সাহিত্য-বিদ্যানধি অধিকতর মনোযোগী না হইতেন, তাহা হইলে, বোধ হয়, কন্তকগুলি সুচারু ইংরেজী সাহিত্য পুল্ুকে বক্চিত হইতাম।* ভগবানই প্রন্তৃতিসম্মত পথ থলিয়া দেন। ভ্রাস্তিবলাস বদ্যাসাগর মহাশয়ের |লাখত বাঙ্গালা ক্ুণ- পাঠ্যের শেষ পুস্তক। তিনি স্কুল-পাঠ্য যতগুলি পুস্তক লিখিয়া- ছিলেন, তাহার জীবদাশায়, তাহা মুদ্রিত ও প্রকাশিত হইদ্বাছিল। দুঃখের বিষয়, ছুই খানি অতি উপাদেত্ধ পাঠ্য লিখিত হইয়াও প্রকাশিত হয় নাই। একখানি বাহুদেব-চরিত ) অপর খানি রামের রাজ্বাতিষেক। বানুদ্বেব-চরিত সম্বন্ধে বজজব্য ইতিপূর্বে প্রকাশ করিয়াছি । রামের রাজ্যাভিষেকের হুদ ফন্ম্। মাত্র মুদ্রিত হুইয়ান্িল। ১৮৬১ তৃষ্টাব্বে রামের রাজ্যাভিষেক লিখিত হইয়া মুদ্রিত হইতে আরভ্ত হয়। এই সময় যুক্ত শশিভূষণ চট্টোপাধ্যায় মহাশয়ের রামের *. 1110018 0708115)) 12086 [490:90006 [১ ত৪ি ৫৪৮" বিদ্যাসাগর | রাজ্যাভিষেক মুদ্রিত ও প্রকাশিত হইয়াছিল। শশি বাবু বলেন._“মত্প্রণীত রাজ্যাভিষেক মুদ্রিত হইলে পর, যে প্রেমে মুদ্রিত হইন্রাছিল, বিদ্যাপাগর মহাশয়, এক দিন ্বয়ং সেই প্রেস হইতে একথানি মত্প্রণীত রাজ্যাভিষেক ক্রয় করিয়! লইস্সা ঘান। আমি সেই সময় প্রেসে উপস্থিত ছিলাম ন1। প্রমসে আমিয্বা, এ কথা শুনিবামাত্র একধানি পুস্তক লইয়া, ত'ড়'তাড়ি তাহার ডিপজিটরীতে যাই। সেইখানেই তাহার সহিত সংক্ষাৎ্ হয়। তাহাকে নমস্কার করিয়া) আমি আমার পুস্তকখানি তাহার হস্তে অর্পণ করি। তিনি হাসিফা বজি- লেন,_“আমি যে একখানি কিনে এনেছি । ভাল, তোর থানিও নিলুম। বই বেশ হয়েছে ।” শশী বাবুর রুজ্যাভিষেক প্রকাশিত হইতে (দখিয় বিদ্যা" সাগর মহাশয়, ত্বলিখিত রাজ্যাভিষেকের মুদ্রাঙ্কণ বদ্ধ করিয়! দ্রেন। নারায়ণ বাবু। গত ব্সর ভাদ্র মাসে মুদ্রিত ছয় ফম্খা দেখিতে দিয়াছিলেন। পুস্তকের ভাষা অধিকতর সংযত্ত ও মার্জিত । এইখানে ভাষার একটু নমুনা! দিল ম,__ আমি দীর্ঘ কাল অফণ্টকে রাঁজাশানম ও প্রজাপালন করিলাম । জোকে, ঘেসমন্ত ম্ুখসভ্রোগের অভিলাব করে, আমি তদ্বিষয়ে পূর্ণাভিলাষ হই- রাছি। এইবপে সর্ধনুধমন্পন্ন হইয়াও, এক বিষয়ে বিষম অন্ৃখী ছিলীম; ভাবিরাছিলাম, দংসারাশ্রম সংক্রান্ত সকল সুখের সার ভূত পুত্রমুখ-দন্দর্শন- স্ুথে বঞ্চিত থাকিতে হইল । নৌভাগ্যক্রমে, চরম বয়সে, দেই নর্বাজম- প্ার্থনীয় অনির্বাচনীয় সুখের অধিকারী হইয়াছি। পুত্র অনেকের জন্মে, কিন্ত কৌনও ব্যদ্িই আমার সমান সৌঁভাগ্যশালী নহেন। কেছ কখলও রায় বন্ধিমচজ বাহাতুর ভাষা-চর্চ]। ৫০৯ রামসম সর্বগুণীপ্পদ পুত্র লাভ কর্রিভে পারেন নাই। ফলত:, কোন বিষয়েই আমার আর প্রার্থরিতব্য নাই; ফেবল রামকে নিংহাগনে মন্গি- যেশিত দেধিলেই, নকল স্থধের একশেষ হয়। গণ, বয়ন, লোকানুরাগ বিষেচনা করিলে, রাম আমার নঙাতোভাবে সিংহামনের :বাগ্য হইয়াছে । ভাহাঁকে যৌধরাঁজেযে অভিষিক্ করিয়া, শ্বয়ং কাওকাহা হইতে অবস্থভ হই । শরীর ক্ষণভঙ্গর / ঘিশেষত2, আমার চরম দশ] উপহিত? কথন কি ঘটে, তাহার কিছুই শ্বিক্ুভা নাই; অতএব এবিঘয়ে কাজাবিজন্দ করা বিধেয় নছে। যদি এক দিলের জন্য রামকে মিংহামনারঢ দেখিয়া, এই জরাজীর্ণ শীর্দ বরেবর পরিতাগ করিভে পারি, ভাহা হইলেই আমার জীবমযা সরা নকল হয়। মমে মদে এই সদন্ত আলে|চনা করিয়া, রাজ! দশরথ আমাভাগণেন মিকট অতি দংগোঁপনে আসন অভিপ্রায় ব্যক্ত করিলেন। ৪০ পৃ । কি মনোমোহিনী ভাষা! কি অতেজ-জোতময়ী লিপি-ভঙ্গী ! কি অব্যাহত-.গতি ভাব-ব্যতি! আজই যেন ভাষার আোত ভিন্নমুখীন্‌) কিছ্ভ এক দিন বঙ্গে বিদ্যাসাগরের ভাষাই আদর্শ হইয়াছিল। পুস্বক নিখিতে হইলে, এই ভাষারই জনুকরণ হইত । টেকট'দঠানুর (প্যাঞ্চাদ মিত্র ) মহাশয়, সরল গ্রাম্য ভাষাস্্ পুগ্ভক লিধিয়া, ভাষার জেত ফিরাইয়। দিয়াছিলেন। কিন্ত লিখিত ভাষায়, উহার প্রচলিত সে সরল গ্রাম্যশব্দপূর্ণ ভাষা স্থায়ী হইল না। বঙ্ষের গ্রতিভাশ্বাশী জেখক বন্ধিমচন্দ্ বাঙ্গাল! ভাষার নূন মুত্তির প্রকটন করেন। সে মূর্তি বিদ্যা- সাগর ও টেকটাদের ভাষার সংমিশ্রণে সংগঠিত 1 চুপ ও হলুদ তবতন্ত পদীর্ঘ। কিন্ত উভয়ে মিশিঘ এক নৃতন পদার্থ হইস্' ৫১০ .. বিদ্যাসাগর | ঈাড়ার। বিদ্যাসাগর ও €কটাদ ঠাকুরের ভাবা হিশাইরা। বঙ্গিষ বাবু ঘে নবীন ভাষার গঠনরাগ প্রস্তত করিয়াছেন, তাহা এক নন্তন পরদীর্ঘ হইয়া াড়াইয়াছে। তাহাই এক্ষণে অধিকাংশ শব; [ অন্য । বন্কিম বাবুর চে জালিয়া, অথচ একটু নৃততল করিগ, ভাবা-্টির প্রয়াস, কোধাও কোথাও হইতেছে। চারুর বাড ভাষা, তাহার অন্ততম দৃষ্টান্ত । লারা লা বলেন, বাঙ্গালা ভাঘা কিরপ হওয়া উচিভ, 'হ্যক্ষে বঙ্িম বাবু, বিদ্যাসাগর মহাশয়কে পত্র লিখিয়া ছিলেন । হুখের বিষ, অনেক অন্থুলন্ধান করিয়াও লে পত 17 যায় নাই। যাহা হউক, এ সম্বঘ্ধে কোন মীমাৎসা হদ্ব নাই! বছিন বাবু ্য়ং ভাষার স্বতশন্ধ পথের নির্দেশ করেন? দন টের অহশঞ্জের জীবিভাবন্থায় বন্ধিম বাবু, অনেক সময পতঅনের লেখায়, বিদ্যাসাগর মহাশয়ের প্রতি গ্রবারাভনে কঠোও কটাশবিশ্ষেপ করিতেন 1 উত্তর চরিতের সমালোচনা কক! আত পাওঘা যায়। বিদ্যাসাগর মহাশষের নিজ” ইদ্তীল উদ্লেখ করিয়া, বঙ্গদর্শনে প্রকারাত্তরে কিঞিৎ কিঞিৎ কটাক্ষগ হইত । বঙ্গ-দর্শনে বিদ্যাসাগর মহাশয়ের পুস্তক গুপি আলি, সিকির সহিত তুলিত হইস্সা, তাহার নিজন্বহীনতার পরাণ রা হইয়াছিল 1* পপ আপস ৭ « বিদযালাঞ্নর মহাশয়ের লোকান্তর হইবার পর, বপ্ষিম বাবু এক খাদি লনধেধনাহচক পত্র লিধিয়াছিলেন। নে পত্রও পাওয়। যা লাই । অত্তংপর বঙ্গদর্শন হইতে প্রবন্ধ মংগরহ করিয়া ব্ষিম বাবু যে তাঁষা-চচ্চ। ৫১১ যেখানে ষেন্ূপ হউক, ঘে ভাবে যে প্রকারে বিদ্যাসাগর হাশয়ের ভ"ষার আলোচনা হউক, ভাষা মন্বন্ধে কীর্ভিমানূ পরদ্নকারগণকে বিদ্যাসাগরের ৭ কট অল্সবিস্তর পরিমাণে খনী খাকিতে হইবে! বাঙ্গালা ভাণ। কোন্‌ মূর্তিতে দীড়াইবে, ভাহার এধনও শ্থির-নিশ্চাতা নাই । ব্বাঙ্গাল। ভাষা, ষে মূর্তিতে শড়কু না কেন, মুর্ভি দেখিয়া, সঞ্ক গ্রে বি্ব্যামাগরকে প্মরণ করিয়!। অবনতমন্্রক্ষে অহতবার অভিবাদন কবিতে হইবে। (স ফুণ্ততে বিন্যাস গ8০ট ভাঙার সৌনদধ্য-বিলাসের ছায়ালোক মিশির। থাকিবেই ধাকিবে। বাদল ভাবা ফংকত সি হতে অন্ত । স্থতরাং বাঙ্গাল। ধার দিঙ্গারদিগয্সোম সংস্কৃতানুমারে হইয়া থাকে। আজ স্াশ জনক শ্থলে তাহার ব্যত্যয় হইতেছে। বদিম বাবু মংক্বহানুমালে লিক্াদিপ্রয়োগে ছুটি রাখিতেন) অনেক স্থলে তাহার বাতা করিতেন । একপ ব্যত্যয় এখন প্রাধুই হয়। দ্যত্যয় হয় নাই, কার বাক্ষব-দম্পাদূক মনতী চিস্তাশীল জেধক স্ীতুদ কাজীপ্রমন্ন ঘোগ মহাশয়ের লেখায়। বাঙ্গালা ভা অংস্কভানুক ) আতএব তাহার লিঙ্গাদিপ্রয়োগে সংস্কজগুসারে চলা কভখা বলিয়া, এখনও অনেকের ধারণা । সে জন্বন্ধে দ্যত্যয় হইসে, ভাষা অশুদ্ধ হয়। সেবপ বিশুদ্ধ রক্ষা সম্বন্ধে আজ কাল কালীপ্রসনন বাধু অতুলনীয় । কিন্তু এখনকার উদীয়- বাপি পাপা পপ পিপাসা শপ পপ পাপ পপ পুস্তক প্রকাশ করেন, তাহতে বিদ্যাদাগর মহাশ্যমংকরাস্ত বক্রোত্তি পরিত্যত্ক হইয়াছে। ৫১২ বিদ্যা্াগর। মান অনেক নব্য লেখক এবং সাহিজ্য-ষেবী সম্রদায় বাঙ্গাম। ভাষায় সংস্কৃতের সব্ববিধ বাধন রাখিতে সম্মত নহেন। ফলে, ইংরেজী ভাষার ন্যায়, এধন বাঙ্গালাভাযাও পরিবর্তনমুখী। পরিবর্তন ষেরূপই হউক, বিদ্যাসাগর চিরকালই বাঙ্গালী মাতেরই বরণীয় হইয়া রহিবেন। 'হষায় সৌনর্ধ্য-বিলাসে) রাগ.অনুরাগে, যতই কেন পরিবর্তন সংঘটিত হউক) বিদ্যা- সাগরের ঠাট রাখিতেই হইবে। একত্রিংশ অধ্যায় । গৃহ-দাহ, ছাপাখানা-বিক্রয়, মেষদৃত, দেশ-ত্যাগ, সত্য-রক্ষা, ডাক্তার ছূর্থাচরণ, বিষয় রক্ষা ডাক্তার সরকার, মহারাজ মহাতাপটাদ, সভায় সাহাষ্য ও পুত্রের বিবাহ । ১২৭৫ জালের চৈত্র বা ১৮৬৯ হৃষ্টান্দের মার্চ মাসে বীরসিংহ গ্রামে বিদ্যাসাগর মহাশয়ের আবাস-বাটাতে আগুন লাগিয়া- ছিল। বাড়ী পুড়িয়া ভম্মাবশেষ হইয়া! গিয়াছিল। এই জমগ্প বিদ্যাসাগর মহাশয়ের মধ্যম ভ্রাতা ও জনশী নিদ্রিত ছিলেন। মৌভাগ্যক্রমে তাহারা সকলেই রক্ষা পান। বাড়ীর বিগ্রহটা পর্যন্ত দ্ধ-বিদীর্ণ হইয়াছিল ।* জিনিস-পত্র কিছু রক্ষা পায় নাই। বিদ্যাসাগর মহাশয়, এই সংবাদ গাইয়া বাড়ীতে গিয়াছিলেন। ১২৭৬ সালের ২৬শে শ্রাবণ বা ১৮৬৯ বৃষ্টাবের ৯ই আগ বিদ্যাজাগর মহাশয়, পরম বন্ধু রাজকু্ বাবুকে সংস্কৃত প্রেসের এক তৃতীয়াংশ চারি সহত্র টাকায় এবং শ্রীযুক্ত কালীচরণ ঘোষকে এক তৃতীয়াংশ চারি সহত্র টাকায় বিক্রয় করেন। রাজকৃষণ বাবুর মুখেই শুনিয়াছি, শ্রীশচন্ত্র বিদ্যারতু, পাওন। " কাহারও কাহারও মুখে শুনি, বিদ্যানাগর মহাশয়ের পিতা] নর্কাপ্রে বিগ্রহটী মন্তকে লইয়া, বাটী হইতে বাছির হইর! পড়েন। বিগ্রহ অক্ষত দেহে রক্ষা পাইয়াছিলেম। €১৪ বিদ্যাসাগর । টাকার জন্ত পীড়াপীড়ি করাতে, বিদ্যাসাগর মহাশয়, ছাঁপা- খানার অংশ বিক্রম করিয়া) তাহার দেনা পরিশোধ করেন। দেনার দায়েই বিদ্যাসাগর মহাশয়ের সাধের ছাপাখানা বিক্রীত হুইল । এই ছাপ:খানার কাধ্য-সৌকধ্যার্থ তিনি যে কি পরিশ্রম করিয়াছিলেন এবং কি উদ্ভাবনী শক্তির পরিচয় দিয়াছিলেন, পাঠক, তাহা অবগত আছেন কি? ইংরেজী বর্ণাক্ষরের ৭০ | ৭২টী ঘর; বাঙগালার প্রায় ৫০* খ্বর। 'র? ফলা, রন? ফলা, 'য' ফলা, এমন কত আছে। এই সব অক্ষর- ফোজন! সামান্য কষ্টকর নহে। কোথায় কোন অক্ষরটী থাকিলে অক্ষরযোজকের যোজন! পক্ষে সুবিধা হইবে, বিদ্যাসাগর মহাশয়, বছ পরিশ্রম করিয়া, তাহা নির্ধারিত করেন। ইহার পুরে অক্ষরযোজনার এমন হৃবিধা ছিল না। তিনি অক্ষর- সংরক্ষণের যে ব্যবস্থা! করিয়াছিলেন, অনেক স্থলেই তাহা অনুকৃ্ত হইয়া! থাকে। তাহার নাম বিদ্যাসাগর “সার্ট"। ১৮৬৯ বষ্টরীকে বিদ্যাসাগর মহাশবু মঙ্লিনাথের টীকা সহ মেখদৃত মুদ্রিত ও প্রকাশিত করেন। এইবার বড় হৃদয়বিদারক কথ।। এই সময় বিদ্যাসাঙ্গর মহাশয়, জন্মের মতন বীরসিংহ গ্রাম পরিত্যাগ করিয়। চলিয়া জামেন। নিলিধিত ক্ঘটনাটী, তাহার দেশ-পরিত্যাগ্নেয় অন্ত- তম কারণ। বিদ্যাঙগাগর মহাশয়ের অনুগত প্রতিবেশী জীযুক্ক গোপীনাথ প্রিংহের পুত্র, খ্ীযুক্ত ক্ষীরোদনাধ সিংহ মহাশয়ের নিকট হইতে শ্বটনাটা আদে্রোপাস্ত শ্রবণ করিয়াছি ;-- দেশ-ত্যাগ | ৫১৫ ক্ষীরপাইনিবাঁসী মুচিরাম বন্যোপাধ্যায় নামক কেঁচকাপুর- বলের হেভপণ্ডিত, কাশীগঞ্জবাসিনী মনোমোহিনী নামী এক ব্রাহ্মণ-বিধবাকে বিবাহ করিতে উদ্যোগ করেন। পাত্র-পাত্রী উভয়কেই বীরন্িৎহ এামে আনয়ন করা হইয়াছিল । সেই সময বিদ্যাসাগর মহাশয়, বীরসিংহ গ্রামে উপস্থিত ছিলেন। মুচি- রাম বন্দ্যোপাধ্যায়, ক্ষীরপাই গ্রামের হালদার-পরিবারের ভিক্ষা" পুত্র। হালদার বাবুর আসিয়া, বিদ্যাসাগর মহাশয়কে বলি* লেন,-“মহাশয় যাহাতে এ বিবাহ নাহয়, আপনাকে তাহাই করিতে হইবে।” বিদ্যামাগর মহাশত্) তাহাদের কাতরত! দেখিয়া, তাহাদিগকে অভয় দিলেন এবং বলিলেন,__“এ বিবাহ হইবে না, আপনারা উহাদ্বিগকে লইয়া যাউন।” তাহার! নিশ্চিন্ত হইলেন। কিন্তু বিদ্যাসাগর মহাশয়ের মধ্যম ভ্রাতা দীনবন্ধু ন্তায়রত্ব ও গ্রামের অন্তান্ত কয়েক জন, রজনীযোগে তবাহাদ্ধের বিবাহকাধ্য জম্পাদন করিয়া দ্েন। বিদ্যাসাগর মহাশয়, ইহার বিন্দৃবিসর্গও জানিতেন না। তিনি প্রাতঃকালে উঠিয়া, বাড়ীর বারান্দায় বসিম্বা, তামাক খাইতে খাইতে, অক- স্মাৎ শঙ্খধ্বনি শুনিতে পাইলেন; কিন্ত ইহার কিছু ভাব গ্রহণ করিতে পারিলেন না। সেই জময় গোগীনাথ সিংহ, তথায় আসিয়া উপস্থিত হন। বিদ্যাাগর মহাশয়, তাহাকে জিজ্ঞাসা করিলেন,--“শীক বাজিতেছে কেন?" সিংহ মহাশয় বলিজেন,স"আপনি জানেন না! মুচিরাম বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিবাহ হইয়া গেল।” শুনিয়া ক্রোধে, বিদ্যাসাগর মহাশয়ের €১৬ . বিদ্যাসাগর । বদনমওল রকিমা বর্ণ ধারণ করিল। তিনি আনন কোন কথ! না কহিয়া, কেবল তামাক টানিতে ট/নিতে মুহুন্মুহু ধৃমত্যাগ করিতে লাগিলেন । রাগ হইলে, তিনি প্রায়ই এইরূপ করিতেন। রাগ হইলে, তিনি অনেক সময় চুপ করিয়া থাকিতেন; ঝড় একট] কথা-বর্তী কহিতেন না। যদি কোন সেহাস্পদ বয়ঃ- কনিষ্কে “ইনি” “উনি” "বাবু" প্রভৃতি বাক্য প্রয়োগ করিতেন, তাহা হইলে বুঝিতে হইত, তাহার অন্তরে দাবানল প্রপূমিত। যাই হউক, বিদ্যাসাগর মহাশয়, সিংহ মহাঁশয়কে জিজ্ঞাস! করিলেন,_-“তুই ইহার কিছুই জানিস্‌ না?” সিংহ 'মহাশয় উত্তর দিলেন,--“জাপনার দিবা করিয়া বলিতেছি, আমি ইহার কিছুই জ।.ন না তখন বিদ্যাসাগর মহাশয় বলিলেন, “আমি ভদ্র লোকদিগকে কথা দিয়া, অত্য রক্ষা করিতে পাঞ্িলাম না; অতএব বীরসিংহ পরিত্যাগ করিলাম, আর আমিব না।” বিধবা-বিবাহের হটিকর্ত1 সত্যপ্রিয় বিদ্যাসাগর, সত্য-তন্গ হইল বলিব, জন্মের মত প্রিক্ম জন্মভূমি পরিত্যাগ করিলেন । আর তিনি ৰীরপিংহ গ্রামে গমন করেন নাই) কিছ্ব যাহার ঘেরূপ বৃত্তি বা মাসহারার বন্দোবস্ত ছিল, তাহা বন্ধ হয় নাই। | বীরসিৎহ গ্রাম পরিত্যাগ করিবার পুর্বে তাহারই অন্নে প্রতিপালিত কোন অতি-অভ্তরঙ্গ আত্মীয়, এক স্থানে দরাড়াই়া, তাহাকে উদ্দেশ করিয়! বলিয়াছিলেন, “জানেন, এখনই তার ধোপ। নাপিত বন্দ করে দিতে পারি; তাকে এখানে চেনে কে ৫" সলক্া-রক্ষ] 1 ৫১৬ সি ১৯৭৬ সালের ভা মাসে বা ১৮৬১ হটাত আঁগটি মাসে, [বদ্যাজাগর মহাশয়, কুষ্ধনগরবের ভভ্রজনাথ হুখোপাধ্যামকে "ভিপজ্জিটরী" প্রদান করেন । এই সমকু বিদ্যাশানদ মহাশর ডিপঞিটরীর কন্দচারীদের ব্যবহারে বড় বিরক্দ হউয্াছিতেন এক দিন তিনি রাজকুফ বাবুর বাড়ীতে কিয়া বির ভাব বলিয়াছিলেন,কেহ যদি ডিপজিটরী লয়, তাছা হহলে অমি কাটি।ল সেই সময় তরঙ্গ বাবু উপস্থিত হিলেন। তিনি অজেন)--“আগনি রাখ করিতেছেন; ন'-ত্য তা আপনার মনের কথাই ইহা।” বিদ্বাপাগর মহাশয় বলিলেন হাই আমার আনের কথা” বু বলিলেন)-পভবে আমাকে দিন।” বিদ্যাসাগর দহাশম়ু রা শর 1? ভমরা এই কথ! রাজকুঙ্ণ বাবুর মুখে শুনিযচ্ি । বিদ্যা মহাশয় লিখিয়াছেন) "আপনি এক্ষণে ডিপজিটনীর কার্য রীতিমত চালাইয়া, ইহার উপস্বত ভোগ ককুন, পরে যেন্ণ হয়, কতা যাইবে ।” রাঁজকঞ্চ বাবুর মুখে শুনিয়াছি, ইহার পর দুই এক জন লোক ৫1৬ হাজার টাক! দিয়া, ডিপণ্জটরীর সত্ব ক্রন্ধ করিতে চাহেন। বিদ্যাসাগর মহাশয়) তাহাতে জম্ম হন নাই । তিনি বলেন,*্যাহা এক জনকে এক বার দিয়াছি, কোটি মুদ্রা পাইলেও, তাহা ফিরাইয়া লইব না। ১২৭৬ সালের ১*ই ফাল্তন বা ১৮২০ ৃষ্টান্জের ২০শে ফ্রেক্রু" সারি রবিবার বেলা ৩টার সময়, বিদ্যাসাগর মহাশয়ের পরম বনু ভাক্কার দুর্গাচরণ বন্দ্যোপাধ্যায় মানকলীলা জন্বরণ করেজ। ৪& & ১৮, বিদ্যাসগর। যে অকৃত্রিম প্রিয় বন্ধুর নিকট বিদ্যাসাগর মহাশয়, ইংরেজী বিদ্যায় শিক্ষা লাভ করিয়াছিলেন ; এবং ধাহারা অলৌকিক উদ্দারতাগুণে এবং চিকিৎসা-সাহাষ্যে, বিদ্যাসাগর মহাশয়, শত শত অর্ভগীড়িতের প্রাণ-দাষধ করিতে স্ক্ষম হইয়ান্িলেন, সেই আভিন-ভ্দয় বন্ধুর বিয়োগে তিনি যে মর্দান্িক ভাপ পইয্রাছিলেন, তাহা বর্ণনাতীতি। বিদ্যাসাগ? মহাশসের কাধ্যে ঢচরণ বানু প্রাণ উত্সর্গ করিতেন; আবার দুর্াচরণ বাবুর “রে ব্দ্যানণর মহাশয় আ্নঃপ্রাদ উলিয়! দিতেন ১১৬৯ টানছে দুর্গাচর্ণ বাধুর জ্যেষ্ঠ পুত্র হরেন্দনাথ নিলাতে দিবি" খু নি উত্তীর্ণ হন) কিও তাহার বম লইসা গোল হইছিল হুরটিচঃণ বাবু দে সংবাদ পাইশা, এ দ্বারে উদ্ধার পইবার জন্য, আকুল প্রাণে বিদ্যাসাগরের শরণাপন্ন হন। দয*সাগর মশখন, পরম বন্ধু ৬ন্বারকানীথ মিত্রের সহিত নান পরামর্শ কয়া, ছুর্মীচরণ বাবুর দায় উদ্ধারার্ঘ বছব্বি চেষ্টা করিযাফিচেন । দ্বারকানাথ মিত্র ও বিদ্যাসাগয মহাশয়, আুরেজ বালুর কোড সংগ্রহ করিয়া, তাহার সিবিল সার্বিশ পরীক্ষোপ" মেলি সদন নির্ধান্ণপুর্দক, নানা তর্ধঘুক্তি সহকারে বিলাডে পদ্ধাদি শিখিয়াছিলেন 1 ইহাতেই বয্মসবিভ্রাট মিটিয়া যায়। শরেঙ্গুনাৎ পতীক্ষায় উত্তীর্ম বশিয়া গণ্য হন। ছুর্গাচরণ বাবুর হার চিত পরে, সে সংবাদ কলিকাতায় আসিয়াছিল। লোকান্তরিত বন্ধু ছুর্া'ভরণের স্মৃতিমাত্রেই বিদ্যাসাথর মহাশয়, উক্গের জলে ভামিয়া যাইতেন। যখন তুরেনত্রনাথ, নিজ কর্ম এ বিষচ-রক্ষা। ৫৯ কলে 'দিখিল নার্ক্িঘ” হইতে পদচ্যুত হন, তখন তিনি অনন্তোপায়ে, বাকৃ-বন্ত্র-সাহায্যে দেশহিতৈষা হইয়া পড়িঘা- ছিলেন বটে? কিন্তু তাহার অন্ন-সংস্থানে মে বাকপটুতা খুব অল্প মাহাথ্য করিয়াছিল। একদুর্রি উদরান্নের জন্য তাহাকে বিদ্যাসাগর মহাশয়ের শরণাপন্ন হইতে হয়। বিদ্যাপাগর মহা শয়, তাহাকে নিজের কলেজে অধ্যাপঞ্পদে নিমুক্ত করেন। দর্গাচরণ বাবুর পরিবারব্ণ নানা কাংণে বিদ্যাসাগরের নিকট ধবী। তাহার ব্ষিঘসম্পন্ি লইয়া, কাহার পত্রী ও তাহার পুত্রগণের মধ্যে মোকদ্দমা উপস্থিত হইয়াছিপ। বিদ্যানাগ্র মহাশয়) মধান্ত ভইযুা, মোকদ্দমা মিটাইয়। দেন। এ মোকদদমার মীমাংসাসংক্র নত পরাদদি আজি৪ বিদ্যাসাগর মহাশমের বাড়ীতে আছে । বিবাদ-মীমাংনা পক্ষে তিনি কিন্গপ শুক্ষ-বুদ্ধি ধারণ করিতেন, এই সব কাগজপত্রে তাহার পুর্ণ পরিচয় পাওয়া ষায়। শুদ্ধ ০ছুর্থাচরণ বাণুর বিষয্রের গোলধোগে কেন, অনেক ধনাঢ্য ব্যক্তি, বিষয়ের কোন গোলষেোগ হইলেই, তাহাকে মীমাংসা করিবার জন্ত সাদ্বর-আহ্বান করিতেন তিনি বিন! পারিশ্রমিকে বহু পরিশ্রমে কার্ধ্য করিয়া অনেকেরই বিবয়ের প্রোলযোগ্ব মিটাইয়া দেন। কলিকাতার বিখ্যাত ধন,ঢ্য আশুতোষ দেব (ছাতু বাধু) মহাশক্সের মৃত্যুর পর, বিষদ্ব- সম্পত্তির গোলযোগ হওগ্রান, গ্াহাকে ম্যানেজারপদে নিযুক্ত করা হইয়াছ্িল। তিনি বিন। পারিশ্রমিকে, বিষের গোলযোগ ফিটাইরার চেষ্টা করিমাছিলেন; কিন্ত আশু বাবুব আত্মীয় ও ৫১০ বিদ্যাসাগর । কম্ধরচারিবর্গের নানা বিষয়ে মতানৈক্য দেখিয়া, এ কার্ধযত?র পরিত্যাগ করেন। খিদ্যাপাগর মহাশয়ের তিনটা চিকিৎসক-বন্ধু সর্বকার্ধ্যে সহায় ভিলেন। ডাক্তার ছুর্গচরণ বন্দোপাধ্যয়, নীলমাধব মুখোপাধ্যাঘু এবং মহেন্দলাল দরকার । ছুর্দাচরণের কিছুকাল পূর্ে নীলমাধব লোকান্তরিত হন। মহেক্রলাল আজ চিকিৎস- রাজ্যের উচ্চ দিংহাসনে অধিঠিত। এই মহেআলালের সঙ্গে কিন্জ বসন কতক পরে দারুণ মনাস্তর সংঘটিত হয়। শুনিতে পাই, বিদ্যাসাগর মহাশয়ের কনিষ্উ কন্তার জঙ্কটাপন্ন গীড়াহত্রে এই মনান্তর উপস্থিত হইয়াছিল। মহেশ বাবু বিদ্যাস।গর মহ.শর-প্রেরিত আহ্বান পত্র না পড়িক্জা, রাখিজা। দিদ্বছিজেন; পরে সেই পত্র পড়িয়া, চিকিৎসর্থ গমন করেন। বিদ্যাসাগর মহাশয়, তাহার বিলম্বে আগমনের হেতু অবগত হইয়া, ক্ষুন্ন ও করুন্ধ হন। ইহাতেই মনান্তরের সুৃত্রপাত। ক্রমে মনাস্তর এত দুর ঘনীভূত ইইয়াছিল যে, কোন স্থানে হই জনের সাক্ষাৎ হইলে, চারি চক্ষু একত্র হইত না। সেই চার্টা বিশাল চক্ষের পুনঃ" সম্মিলন হুইয়াছিলমাত্র, বিদ্যাসাগরের মৃত্যুর পুর্বে কুগ্র- শধ্যায়ু! মহেন্ত্রলাল বিদ্যাসাগর মহাশযকে দেখিতে গিয়া ছিলেন। মৃত্যুশধ্যায় মনের মালিন্ত-ভেদ ও মিত্র-মিলন মহা-নাটকেরই বিষয়ীভূত!| মৈী-বিচ্ছেদদে বিদ্যাসাগর মহাশয়, কখন স্বতঃগ্রবৃত্ত হইয়া, বিগত মৈত্রীর পুনরুদ্ধারার্থ অগ্রসর হইতেন না। মৈত্রী-উদ্ধারের এরূপ অনাকা্ সভায় সাহায্য। &২১ মানব-চরিত্রের মহত্ব-পরিচায়ক নহে নিশ্চিতই ; কিন্তু কৃতাত্ম- নির্ভর ও তেজস্বী পুরুষে প্রায়ই এইরূপ দৃষ্টিগোচর হইয়া] থাকে । ১২৭৭ জালে বা ১৮৭০ খৃষ্টাব্দে বিদ্যাসাগর মহাশছের অন্যতম তুহ্দূ ও হাস, বর্ধমানের মহারাজা মহাতাপটা বাহাছ্রের মৃত্যু হয়। | বিদ্যাসাগর মহাশয়, ১৮৭০ সালে; ডাক্তার মহেন্রল.ল সরকার প্রতিতত ধৈজ্ঞানিক সভায় সহত্র টাক1 দান করিক্রা- ছিলেন। দীন-দরিছে দান; ঘচিতে-অযাচিতে দান; জভা- অমিতিতে ধান ; আজ্ব-পরে দান ; বিদ্যাচ্চায় দান; বিদ্যালম্ু-প্রতিষ্ঠায় দান ;--দানমছগ জীবনের অবারিভ দান! বিদ্যোমাহে বিদ্য[সাগর মহাশয়ের প্রটুর দানের কথা তুলিয়া, তাৎ্কালিক দক্ষিণ-পশ্চিম বিভাগের সুল-ইনৃম্পেক্টর মাটি লাহেব, বিস্মর-বিমোহনে শত মুখে তাহাকে ধন্ত ধন্য করিয়া" ছিজেন। ১২৭৭ জালের ২৭শে শ্রবণ বা ১৮৭০ যষ্টাবের ১১ই আগস্ট বৃহম্পতিবার পু নারাঘণ বাবু বিধবা-বিবাহ করেন। পাত্রীর নাম আ্মতী ভবসুন্দরী। খানাকুল কৃ্ণনগরবাসী ৬শভুচন্্ মুখোপাধ্যায়ের কন্ত। | বযুস ত্রয়োদশ বৎসর।* নারায়ণ বাবু, বিবাহ করিবার পুর্বে পিতাকে এই ভাবে বলিয়াছিলেন,_- “মামার এমন গন নাই যে, আপনার মুধোজ্জ্বল করি; তবে « বিদাত্রতব মহ শর বলেন,--যোল বঙ্নর। জমনিত্ান, ২৭ পৃষ্ঠা। ৫২ বিদ্যাসাগর আপনার জীবনের মহৎ ব্রত,-বাল-বিধব-বিবাহ-প্রচলন করিয়া, বাল-বিধবার ভীষণ বৈধব্য-যন্ত্রণ দ্বর করা। এ অধম জন্তানের তাহ! অবশ্য সাধ্যায়স্ত। আমি তাহাতে পশ্চাৎপৰ্ হইন ন1। তাহাতে আপনাকে কৃতকটা মঙ্থষ্ট করিতে পারিলেই ভামাত জীবন ধন্ত হইবে ; আর তাহা হইলে বোধ হয়) আপন(র সদভিপ্রায়ের বিপক্ষবাধীঃাও সন্দিহান হইতে পারিবে নত কন্তর মাতা, বিধবা কন্যাটীকে লইস্া প্রথম বীরসিংহগ্রামে উপ্িত হম! তথায় তিনি বিদ্যারতু যহাশয়কে কন্যার পুন' ন্িবাহ দিখার প্রস্তাব করেন। বিদ্যারত্ব মহাশয়, বিদ্যাসাগর দহ এক পত্র লেখেন। বিদ্যাসাগর মহাশয়, একটা পাত্র 3 জর কঙ্াকে কলিকাতা আনিবার জন্ত, বিদ্যারতু মহা- একে প্র লিখিয্কা পাঠান। ইতিমধ্যে কিন্ত মারাণ বাবু, ২8 বিবাহাখী হন। বিদ্যা গর মহাশয়, সে সংবাদ [ইডেন বাড়ীর অন্তান্ত অনেকের অমত ছিল। বিদ্যাসাগর এহন দম্পূথ অভিমতি প্রকাশ করেন। তাহারই আদেশ. কমে পাত্র ও গাজী কলিকাতাদ আনীত হয়। মৃজাপুর-নিবাসী ডিঃ কদেট্ অকালীচরণ ঘোষের বাড়ীতে পরিণয়-কাধ্য অম্পন্থ হইয়াছিল । প্রাতা বিদ্যরত্ু মহাশয়, এ বিবাহে আপাতত করিয়া, বিদযা- স'খর মহাশদুকে পত্র লিখিয়াছিলেন। বিবাহাস্তে বিদ্যাসাগর মহাশদ, ভ্রাভাকে নিমলিখিত পত্র লিখিয়া পাঠাইয়াছিলেন ;-- জে টু পুজরের বিবাহ । £হও ভাশিষঃ বন্ধ, ২৭শে শ্রাবণ বৃহস্পতিবার মারা়ণ তবশ্ুন্বরীর পাণগ্রহণ করিয়াছে! এই নন্বাদ হাতৃদেবী প্রভৃতিকে জানাইবে | ইতিপূর্বে তুমি লিখির়াছিলে, মারায়ণ বিধবাবিবাহ করিলে, আমাদের কুটুন্ব মহাশসের| জাহার ব্যবহার পরিত্যাগ করিবেন; অতএব নারায়ণের বিবাহ নিবারণ করা আবশ্ুক। এবিষক্সে আমার বক্তব্য এই যে, মারায়ণ শ্বভঃপ্রতৃত্ত হইয়! এই বিবাহ করিয়াচ্ছে আমার ইচ্ছা বা অনুরোধে করে নাই। যখন গুনিলাম, নে বিধবাধিবাহ কর! স্থির করিয়াছে এবং কন্তাও উপস্থিত হইরাছে, তখন নে বিয়ে সম্মতি না দিস প্রতিবন্ধকতাচরণ করা, আমার পক্ষে কোনও মতেই উচিত কার্ধা হইত ন1। আমি বিধবাবিবাহের প্রবর্তক! আমর উদ্যোগ করিয়। অনেকের বিবাহ পিয়াছি, এমন স্থলে আমার পুত্র বিধধাবিবাহ না করিয়া, কুমাটী বিবাহ করিলে, ক্বামি লোকের নিকট মুখ দেখাইতে পাত্রিতায না) তএপমাজে নিতান্ত হেয় ও অশ্রদ্ধের হইতাম । নারায়ণ শ্বতঃপ্রনৃত্ত হইয়া! এই বিবাহ কগিয়া, খামার মুখ উজ্্ধগ করিসসাছে এবং লোকের নিকট আমার পুত্র বণিয়! পরিচয় দিতে পারিবেক, তাহাত্র পথ করিয়াছে। বিধবাবিবাহ পরণভন আমার জীবনের সর্বপ্রধান মওকশ্ম। এজন্সে ইহ]. আপেপ্রাকিকনতর্ আত 6ক+৩মনকশ্ট কিনি পাারব্াভাহার সম্ভাবন] নাই। এ বিষন্পের জন্ম নর্বস্বান্ত করিয়াছি এবং আবগ্তক হইলে প্রাণান্ত ্বীকারেও পরাগ্ণ নহি। লে বিবেচনায় কুটুশ্ববিচ্হেদ আও মামাত কথা, বুটুদ্ব মহাশয়ের আহার ব্যবহার পরিভ্যাগ করিবেন, এই ভয়ে বদি আমি পুত্রকে তাহার অভিপ্রেত ব্ধবাবিবাছ হইতে বিব্রপ্ত করি- তাম, তাহ! হইলে, আম। শপেক্ষা! নরাধম আর কেহ হইত ন|। অধিক আর কিবগব, নে ম্বতঃপ্রবৃণ্ত হইয়া! এই বিবাহ করায় আমি আপনাকে চরিতার্থ জ্ঞান করিয়াহি। আমি দেশাচারের নিভান্ত পান নাহ, নিজের ব1নলমাজের মঙ্গলের নিমিত্ব ষাহ1 উচিত বা আবশ্ক যোধ হইবেক, তাহা ৫২৪ বিদ্যামাগর। করিব, লোকের বা কুটুশ্বের ভয়ে কদাচ নঙ্কুচিত হইব মা। অবশেষে আমর বক্তব্য এই ধে, নমাজে) ভয়েবা আন্ত কোন কারণে নারার়ণের মহিত্ত আজাহার ব্যবহার কগিতে ধাহছাদের শাহস বাপ্রন্ত্তি ন হইবেক, ভাহার! স্বচ্ছন্দে তাহ! রহিত করিবেন সেজঙ্, মারায়ণ কিছুমান ছঃধিত হইবেক, এক্প বোধ হয় না] এবং আমিও তজ্জগ্ত বিঃভ্ত 1 অনন্তট হইব ন1। আমার বিবেচনায় এন্সপ বিষয়ে নকলেই মন্পূর্ণ স্বতন্্রেচ্ছ, অন্মদীয় ইচ্ছার অমুব্ড ব! অনুরোধের বশবপ্ডাঁঙুইয়] চল1 কাহারও উচিত নহে। ইতি ৩১শে আ্াবণ।* শুভকা(্ফিনঃ (ম্বাঃ) ঈখ্খরচন্ত্র শশ্মণঃ। এই বিবাহের অমস়, নীরাফুণ বাবুর জননী উপস্থিত ছিলেন না। এ বিবাহে তাহার মত নাই ভাবিয়া, বিদ্যাসাগর মহাশয়, তাহাকে সংবাদ দিতে দেন নাই। নারায়ণ বাঝু বলেন, "ইহাতে যে মায়ের মত ছিল, বিবাহাস্তে মা তাহা স্পষ্টই বলিয়়াছিলেন।” বিধব-বিবাহে নারায়ণ বাবুর জননীর সম্পূর্ন অমত ছিল, বিদ্যাসাগর মহাশর, ইহ! নিশ্চিতই সিদ্ধান্ত করিয়াছিলেন। কেননা, পাছে বধু ও বনিতার অমভ্ভাব হয়। এই জন্যই বিদ্যাঞ্গাগর মহাশয়, নারামণ বাধুকে দ্বতত্ত্র বাস! করিয়া দেন। * এই পত্র পুর্মে সংবাদপত্রে প্রকাশিত হইয়াছিল। সেইমুত্রিত পত্র উদ্ধৃত করিয়াছি। বিদ্যানাগর মহাশয়ের হস্তলিখিত পত্রাদিতে প্রার বৈরাম চিড়ু দেখ যায় না। এ পত্রে আছে। আমাদের বোধ হয়, ধাহার। পত্র মুদ্রিত করিয়াছেন, তাহার চিহু বনাইয়1 দিয়াহিলেন। পুজের বিবাহ। ৫হ1 বিদ্য(মাগর মহাশক্র, তথায় প্রায়ই যাইতেন এবং আহারার্দি করিতেন । ইহার পর শব্ধ, পুত্র ও বধূ, সকলেই বছদিন একত্র কাল- যাপন করিখ্াছিলেন। নিরক্ষরা বিদ্যাসাগর-পত্রী, স্বং্ো সম্পূর্ণ প্রবৃতিঘতী হইয়া, পতি-পুত্রের স্ষেহনিবন্ধন শেষে পুত্রের সংকআ্রব পরিত্যাগ করিতে পারেন নাই। এইখানে একটা! কথ। বলিয়া রাখি, বিদ্যাসাগর মহাশয়ের পিতা, মেয়েদের বেখাপড়া শিখাইতে বড়ই নারাজ ছিলেন। এই জন্য তাহার সকল পুত্র-বপূরই লেখাপড়া শিখিবার পক্ষে বিশেষ অন্তরায় ঘাটগাছিল। বিদ্যাসাগর ভণ্ড নহেন। যে কাধ্য, সাধু বলিয়া তাহার বিবেচনা হইয়াছিল, তত্সাধনর্থ তিনি ফমগ্র সমাজের চক্ষের উপর অটগ্র বীরত্বের পরিচয় দিয়াছিলেন। অধুনাতন যে সব কুলাঙ্গার, সম্পূর্ণ অনাচারী এবং ধর্মববিরোধী হইজ়াও, বাহিরে হিন্দু-নামে পরিচয় দেয়; এবং হিন্দুর সংসারে স্বচ্ছন্দধিহারে প্রশ্াম পায়, তাহাদের নরকেও স্থান নাই । এই সব ভণ্ড-পাষ- গ্ডের দল-পুষ্টিতে আজ সমগ্র সমাজ আন্ত্রাসিত। ভয় তাহা- দিমেরই জন্য । বিদ্যাসাগর বা রামমোহন, এক মুহূর্তের জন্ত আত্ম-গোপনে প্রস্জাম পাইতেন না; বরৎ তাহাদের আত্ম পরিচয়ে বীরত্বেরেই বিকাশ । ঝোকে তাহাদিগকে চিনিয়াছে ; ভুতরাৎ তাহাদের প্রোষ-গুণের বিচংরে সহজে বিড়ম্বনা ঘটবাৰ সম্ভাবনা নাই। ব্যক্ত শত্রু অপেক্ষা! পু শক্রই ভঙ়স্কর। দ্বাতিধশ অধ্যায়। কাশীতে জননী, মাত-বিয়োগ, পিতৃ সেবা, কাশীর কাধ্য, হিন্দ-উইল, রাজ! সতীশচন্ত্র, রাণী ভুবনেশ্বরী, উত্তর-চরিত ও অভিজ্ঞন শকৃত্তল নাটক। ১২৭৭ সালের ভা বা ১৮৭০ ধৃষ্টাব্দে আগষ্ট মাসে বিদ্যা, সাগর মহাশয়ের জননী, ৬বারাণসী ধামে গমন করেন। তিনি তথায় কিছুদিন থাকিয়া, বছ তীর্থ-পর্যযটনে বাহির হন। ভীর্থ- পর্ধযটটনান্তে তিনি পুনরায় কাশীধামে ফিরিয়া আসেন! নারায়ণ বাবুর মুখে শুনিয়াছি, কাশীতে ফিরিয়৷ আসিয়া, তিনি স্বামীকে বলেন,--“আশা'ম বাড়ী ফিরিয়া যাই; মরিবার এখনও বনু বিলম্ব আছে; এখন দেশে যাইলে, দেশের অনেক গরিব-দুঃধী খাইতে পাইবে; ঠিক মরিবার পূর্বে এই ধানে আসিব” এই কথ| বলিস, বিদ্যাসাগর মহাশয়ের জননী দেশে ফিরিয়া আদেন। এধানে তিশি দরিদ্য-হঃখ-হরণ-রূপ মহাব্রতে নিঘুক্ত হন। এই মহাব্রতের উদ্যাপন কিন্তু এই বার এই- খানেই হইল। পর বৎসর ফেব্রুয়ারি মাসে, ৬বারাণসী ধামে বিদ্যাসাগর মহাশয়ের পিতার সাংঘ।তিক পীড়া হয়। এই জন্য বিদ্যাসাগর মহাশয়, তাহার মধ্যম ভ্রাতা, তৃতীয় ভ্রাতা এবং জননী, কাশীবামে গিঘ্বাছিলেন। পিতা আরোগ্য লাভ কৰেন। বিদ্যাসাগর মহাশয় ফিরিয়া আসেন। ছুই মাস কাশী-বাস করিয়া বিদ্যাসাগর মহাশয়ের জননী কিন্তু চৈত্র" সংক্রান্তিতে বিহৃচিক রোগে প্রাণত্যাগ করেন। কাশর কার্যয। ৫২৭ বিদ্যাসাগর মহাশয়, কাশী হইতে ফিরিয়া আলিয়া, অন্ু- স্থতা-নিবন্ধন কলিকাতা-কাশীপুরের গঙ্গাতীরে দেড় শত টাকাষ একটা বাড়ী ভাড়া লইয়! বাম করিতেছিলেন। এই খানে তিনি জনশীর মৃত্যু-সংবাদ প্রাপ্ত হন। মাড়ভক্ত পুরুষ, মাত হার হইলেন! যে মাতৃ-আজ্ঞার প্র পাইফা, মাত-চরণ-দর্শনীকাজ্জার বিদ্যাসাগর, প্রাণের মমতা বিজর্ভন দয, হুন্তর দমোদরের থর-ত্রোত সাঁতার দ্বিয়াভিলেন, দেমা আজ নাই! মাতৃ ভন্কের সে মন্ান্তিক বেদনা কি বর্ণনীদ! তিনি কয়েক মাষ বি্ষয়-কাধ্য পরিত্যাগ করিয়া) ন্ড়িত নিলয়ে কেবল অস্চ- বিমর্জন করিতেন। মাতার মৃত্যুর গর, তিশি এক বৎসর হবিষ্যান্নাহ'রী হইয়াছিলেন। এই এক বংমর কাল তিনি ছত্র, শয্যাস্ন প্রভৃতি বিলাসদ্রব্য ব্যবহার কগিতেন না। ধুর্ষ তিনি প্রায়ই কাশী যাইতেন। মাতার মৃত্যুর পর ছুই: বৎসর যান নাই। মাতৃশোকে জর্ঞঠিত হইদ্জাও কিক তিনি পিত-পাদ্দপদ্ব বিশ্বাত হন নাই। পিতার সেবার্থ, ভ্রাতা ও অন্ত কোন আত্বী£কে নিযুক্ত করিয়) পিতপ্রিযু দ্রব্যাদি এখান হইতে পাঠাইয়া দিতেন। কাশীর বাঙ্গালী ব্রা্ষণদের প্রা তাহার শ্রদ্ধা ছিল না। গ্কাহার! কিছু পাইবার প্রত্যাশায় আসলে, প্রায়ই বিমুখ হইতেন। মহারাধ্রীর ব্রাহ্মণদের প্রতি তাহ।র যথেষ্ট ভক্তি ছিল। কোন কার্যোপলক্ষে তিনি কাশীতে মহারাস্্ীয় ব্রহ্ষণদিগকেই ভোজন করাইতেন। এমন কি, তিনি স্ব্ৎ তাহাদের পাদ প্রক্ষালনাদি করিয়া দিতেন। কৌন €২৮ বিদ্যাম'গর। প্রতার ক্ষত-পঁজ দেখিয়াও দ্ণা বোধ করিতেল না। কাশীতে যাইলে, পিতার অনবাপুমাদি হস্তে ক্বন করিয়া দেওয়া এবং পিতার ভোভনাব্নিষ্ট গজাদ গ্রহণ করা) ভঁভার নিত্যত্রিয়া মধ্যে পরিগণিত হইত ৯ কচু তিনি ব!জার করি] আনিতেন। হঃতবিফোগের পর ১৮৭৩ লালে নব্হছের মাসে) পিতার অত্যন্ত লী হইয়াছে প্রনিয়া, তিনি সকল কর্দু পরিতাগ ঢড কাশী গিরাছি লন! তথামু এক পাক্ষর মধ্যে পিতা অল্পর্ণজপ আরেগ্য লাভ করেন। পবিত্র কাঈপামে তিনি কহ প্রাতঃতালে কা, আধুখ্ধী, মিঝি লইফা পদত্রজ বাহুর হইতেন; এবং রহ দরিদ্র ব্যভকে যখ সাধ্য বিভর্ণ করিতেন । এই মরে এক দিন এক ব্যভি) তাঁহাদের বাদাছু আগমন কতেন। বিদ্যাসাগর মহাশপু) হনে করেন) তিনি তাহার পিতার পরিচিত) পিতা মনে করেন, পুত্রের পরিচিত । বিদ্যামাগর মহাশয়, মেই সময় কি একটা বিশেষ কার্ধোর ভন্ত স্থানাভরে ঘান; পরে [ফরিয়া আসিয়া দেখেন, শোৌকটী নাই। খন * বাল্য কালেব্দ্যাসাগর মহাশয়, দাহিদ্রা পাড় হেতু হতে রম্বন করিভেন। শুতরাং বন্ধনে তিন লিদ্ধ-হন্ত। ছচ্ম্দ-উপার্জনে মক্ষষ হইয়াও, অনেক মময়, কেবল পিতৃমেবার্ধ বেন, জন্বেকেই স্বহত্তে রন্ধন করিয়া! খাওয়াইতেন। স্বইন্তে হুন্ধন করিয়া খাওয়ান, তাহার একট! পধ ছিল। থাওয়াইয়। তিনি পরম শ্রীতি লাভ করিতেন । খাওয়াতে বনিক", প্রায়ই প্রীতিপ্রফুল্পতাভরে বাঁলতেন,- প্ছত্‌ দেয়ং হ1ই। দেয়ং দেয়থ করকম্পদে। শিক্পনি চালনে দেয়ং ন দেয়ং ধ্যাবম্পনে |% কাম্ীর কাধ্য। ৪২৯ তিনি পিতাকে লোকটীর পরিচয় জিজ্ঞাসা করিলেন পিতা বলিলেন,-*মে কি, আমি জানি, উনি তোমারই পরিচিত; মনে করিলাম, তৃমি আসিয়া উহার সহিত কথাবার্তা কছিবে। আমি একটা বিশেষ কার্যে ব্যাপৃত ছিলাম)” বিদ্যাসাগর মহাশয়, ব্যাপার বুবিয়া, বড় ছুঃধিত হইলেন। তখনই ভিনি চাদর লইয়া, বাক্গালীটোলায় ভাহার অদ্দেষণে বহির্ণতি হন। অনেক অনুসন্ধানের পর, তাহার সাক্ষাৎ ল'ভ হয়? নাল মহাশয়, তাহাকে আপনাদের ক্রুটী স্বীকার করিয়া, চুমা প্রার্থনা করিলেন। লোকটীও যথেষ্ট আপ্যাফ়িত হইলেন। ঠারে বিদ্যাসাগর মহাশয়, জিজ্ঞ'জসা করিলেন) "আপনি আমা” (দের বাসায় গিক্কাছিলেন কেন? ভদ লোকটী বলিলেন,_- “শুনিশাম, জাপনি আসিয়াছেন, তাই দেখিতে গিয়াছিলাম ; আর ধর্ম সম্বন্ধে কিছু জিত্াসা করিবার ইচ্ছা ছিল ।” বিদ্যা সাগর মহাশয় বলিলেন)--“কি জিজ্ঞাসা করিবেন % ভদ্র শোকটাী বিদ্যাসাগর ষহাশযের ধর্মমত কি. জানিতে চাহিলেন। বদ্যালাগর মহাশয় বলিলেন,--“আমার মত কাহাকে কখন লিনাই; বলিবও লা; তষে এই কথা বলি, গজান্সানে যদি মাপনার দ্রেহ পবিত্র মনে করেন) শিবপুজায় যদি ছদঘের দৃগ লাভ করেন; তাহা হইলে, তাহাই আপনার ধর্ম ।?” বশিযাই ভিনি ফিরিয়া আসেন। বিদর্যারত্ব মহাশয়) এক স্থানে লিখিয়াছেন,_“কাশীর ব্রা্ষ- শেঃ হলেন,আাপনি কি তবে কাশীর বিশ্বেশ্বর মানেন না? &৫ ৫৩০ বিদ্যাসাগর 1 ইহা গুনিয়া দাদা উত্তর করিলেন, আমি তোমাদের কাশী সা তোমাদের বিশ্বেশ্বর মানি না। ইহা! শুনিয়া, ব্রাহ্মণের ক্রোধান্ধ হইয়া বলেন,_তবে আপনি কি মানেন ৫ তাহাতে অগ্রজ উত্তর করেন, আমার বিশ্বেশ্বর ও অন্নপূর্ণা উপস্থিত এই পিতদেব ও জনন। দেবী বিরাজমান ।” এই খানেই বিদ্যাসাগরের ধর্ধপ্রবৃত্তির পরিচয়। তাহার ব্'ণ-সেবা কেবল মাতাপিতার তৃপ্ত্যর্থ বলিতে হইবে । ১২৭৭ জালের ১৭ই ভাদ্র বা ১৮৭ খৃষ্টানদের ১ল ্েপ্টে- সর, “হিন্দু উইলনস্‌ আক" পাস হয়। ১৮৬৯ সালে ইহার পাঙুলিপি “পেশ” হুইয়াছিল। ইহার পুর্বে “ইগিয়ান সাকৃ- সেন্‌" নামক আইনে কার্য চলিত) সে আইন কেবল সাহেব- দের জন্ত। ভাহারই কতকগুলি ধারা পরিবর্তন করিয়া, হিন্দু, বৌদ্ধ ও জৈনদের জন্য *হিনু উইলদ্‌ আই” হয়। পুর্কো বপ্রিম কোট হওয়ার পর, কলিকাতায় ধনাঢ্যমণ্ডলী, আপনাদের স্বেচ্ছামতে উইল করিয়া যাইতেন। ক্রমে বিচারে প্রকাশ পায়, এইরূপ উইলে নানারূপ অহ্বিধা ও জুয়াচুরি ঘটে। এত ন্নবারণ উদ্দেশ্টে, এই বিলের হট্টি! এই বিল লইয়! তুমুল আন্রোলন হইরাছিল। গ্নবর্ণষেপ্ট হইতে এ বিষয়ে যাবতীয় গণ্যমান্ত ও হিন্দৃ- শান্ত্রজ্ঞ পণ্ডিতগপের মত গ্রহণ করা হয়। বিদ্যাসাগর মহা- শরও উক্ত আইন সম্বন্ধে স্বীয় মত প্রদান করিতে আহত হইয়াছ্ধিলেন। তিনি আইনের মর্ম বিশেষরপে পর্ধ্যালোচন! হিন্দু উইল। ৫৩১ করিয়] ছুইটী বিষয় অমর্থন করেন নাই । প্রথমতঃ হিন্দু শাস্তা- চুসারে অজাত কোন ব্যক্তিকে দান করিলে, তাহা বৈধ হয় ন]। গ্রহীতার ও দাতার জীবদশীয় বর্তমান থাকা ও বোধ- বিশিষ্ট হওয়া চাই। ক্কিন্ত উক্ত আইনে এ প্রকার দন কোন কোন স্থলে বৈধ বলিয়া গৃহীত হইয়াছে। দ্বিতীদ্তঃ উক্ত আইনে, ধাহাকে 10193 88108৮ 7০৪৮০3” অর্থাৎ "“আবহমানকাল স্বত্বাধিকার বিরুদ্ধ বিল; বলে, তাহাও হিন্দু আইন-সন্মত নহে বলিয়া, বিদ্যাসাগষ মহাশয় মত প্রকাশ করেন। যেরূপ সচরাচার খটিয়া থাকে, বিদেশীয় শীসনকর্তারা উক্ত আপ-্ততে কর্ণপাত করেন নাই । তাহার ঘুক্তপুর্ণ আপত্তি অগ্রাহ্য করিয়া, উক্ত আইন বিধিবদ্ধ হয়ু। ১২৭৭ সালের ৯ই কার্তিক বা ১৮৭০ হৃষ্টাব্ধের ২৫শে অক্টোবর নবদ্বীপের মহারাজ সতীশচন্দ্র বাহাদুরের মৃত্যু হয়। নবদ্বীপ রাজ-বংশ্রের সহিত বিদ্যাসাগর মহাশয়ের ঘনিঠ সংশ্রব ছিল। সতীশচন্রের পিতা মহারাজ আীশচন্র বাহাদুরের জঙ্গে ভারতচন্ত্রপ্রণীত গ্রন্থ-সংগ্রহ এবং কঞ্চনগর-স্ুলের পরিদর্শনহৃত্রে এই অংশ্রবের স্ুত্রপাত হয়। মহারাজ শ্রীশচল্র, বিদ্যাসাগর মহাশয়ের গুপগ্রামে বিমুগ্ধ হইয্রা, তাহাকে সদৃঢ় সখ্য-শৃঙ্খলে আবদ্ধ করিয়াছিলেন। কোথায় সেই বাঙ্গালীর সর্বজন-পৃজ্য ও সর্ব'সাধারণ-মান্ত ব্রা্ষণ-কুলপ্রনীপ রাজ্যেশ্বর মহারাজ কৃষ্ণ- চত্ত্রের বংশতিলক মহারাজ শ্রীশচন্্র! আর কোথায় পরসেবী দীন-হীন ব্রাহ্মণ ঠাকুরদাসের বংশধর গৃহস্থ বিদ্যাসাগর ! ৫৩২ বিদ্যানাগর। বিদ্যাসাগ্করের সহিত সাক্ষাৎ হইবামাত্র, মহারাজ শ্রশচন্ বত্ব-মিংহামন পরিত্যাগ করিয়া, পুলক-গ্রীতিভরে সেই বেশ” ভুষা হীন দগিদ্র-বেশধ।রা ব্রাহ্গণকে প্রেমালিঙ্গন দিতে কিঞিৎ- ত্রও কু্ঠিত হইতেন নাঁ। এত অনুরাগ কিসের? এমন কি, যহারাজ শীণচন্ত্র, বিদ্যালাগর মহাশয়ের ধন্মরবিগত্ত বিধবা, বিবাহকাণ্ডে সহায়ত করিতে পাশ্চাৎপদূ হন নাই। * বিধবা-বিবাহের আইনসন্বন্ধে আব্দনপত্রে মহারাজ আ্শচজ স্বাক্ষর করিয়াছিলেন । প্রথম বিধবা-বিবাহের দিনে তাহার লোকান্তর হুইয়াছিল। যে হিনুকুল-চুড়ামণি মহারাজ কষ্ণচন্দ্র াশশীীশী পপ ক কেহ কেহ বলেন, পরাশরের যে ধচন অবলম্বন করিয়া! বিদাসাগর মহাশয়, বিধব1-বিবাহের আন্দোলন উখাপিত করেন, মহারাজ শুশচশ্, তাহার বহু পুর্বে সেই বচদ-সহায়ে ব্রাক্ষণ পতিতের সঙ্গে তর্ক করিতেন। কুষমগর-রাজধানীর দেওয়ান বাহাটছুত ৬কার্তিকচন্ত্র বায় কর্তৃক নক্ষলিত, ক্ষিতীশ-বংশাবপী-চরিতে এইরূপ লিখিত জাছে,_"পরাশরোক্ত বে, বচন মুল করিয়1, মহামতি শ্রীযুক্ত ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর, বিধবা-বিষাঁহের অখণ্ড বাবস্থা দেন, রাঁজ1 (শচল্্র) অনেক দিন পুর্বে সেই বচন সহায়ে বছ ব্রাক্ষণপত্ডিঘ্ধের মহিত বিচারে প্রবৃত্ত হম এবং যখন বিদ্যানাঞরের সহিত প্রথম পাক্ষাৎ হয়, তখন তিনি বিধব1-বিধাহের প্রসঙ্গে এ বচনেন উলেখ করেন ।” এই ক্ষিতীশ-বংখাবজী-চরিতে বিধব1-বিবাহ লন্বন্ধে যে একটা কৌঁতু- কাবহ ঘটনার উল্লেধ জাছে, ভাহাভে বুঝিতে হয়, মহারাজ কৃষ্চন্দ্রের নময়, বিধব1-বিবাহ শাত্্রনঙ্গত কি না, তদ্বিযয়ের আলোচন। হইয়াছিল । তত্কালে বিক্রমপুরবানী প্রলিদ্ধ রাজ! রাজবলভ স্বীয় তরুণবয়স্ক! কম্ঘার বৈধব্যব্যাকুলতান্স কাতর হইয়| বিধষ'-বিষাহ চাজাইবার উদ্যোগ করেন। মভারাজ কৃষণচন্দ্রের কৌশপে নে চে] বিফলীকৃত্ত হয়। নে বৃত্থান্ত ব্ণনের স্থান হইবে ন1। পাঠকবর্গ ইচ্ছ1 করিলে, ক্ষিতীশ-বংশাবজ- চরিভের ১৫৪--১৫৬ পৃষ্ঠা পাঠ করিতে পারেন । রাজ। সতীশচন্্র। €৩৩ বিধবা-বিবাহের প্রতিদন্ী ও প্রতিবাদী ছিলেন, হাহারই বংশীয় মহারাজ ্ীনচন্দ্র বিধবা-বিবাহের পৃষ্ঠপোষক হইলেন! ইহা শিক্ষা, সংঅব ও যুগ-ধদ্ধের পরিচয় | শ্শচন্দের পুত্র সভীশচন্ত্রও পিতার মতন বিদ্যাসাশত মৃহাশহকে শ্রদ্ধা-ভক্তি করিতেন । পিতার মৃত্যুর পরও মহারাজ সহশচল্র বিদ্যাসাগর মহাশমের অহিত পুর্ব ঘনিষ্ঠ সং্রৰ দংসুচ্গথ ৪6 । স্তীশচন্তরের মৃতাতে বিদ্যাসাগর মহা শয়ের হযে দাক্ষণ শ্রোক-শেল বিদ্ধ হইকাছিল। টা চলের মৃত্যুর পরও, বিদ্যাসাগর মহাশয়কে কৃষ্ধনগর হাজোর হুশুঙ্খলাস্থাপন ও স্রবৃদ্ধিসাধন ভন্য অন্ুরুদ্ধ হইঘুঃ অনেক সময় ক্ষতি ও অর্থহানি স্বীকার করিতে হইয়াছ্িল। উপকারী বন্ধুর উপকাঁরসাধনার্থ এরূপ ক্ষতি-দ্বীকার কুভও। 'অদ্যাাগরের স্ভাববসিদ্ধ। এ সম্বন্ধে বিদ্যাস্গাগর মহাশয় একটু কলক্ষ আরে'প করিয়াছেন, এক্কমাত্র ৬মনযোহন তর্কাঅক্কারের জামাতা বানু যোগেন্রনাথ বিদ্যাভূষণ। সে কলঙ্-প্রক্ষালনার্থ বিদ্যাসাগর মহগাশত, শয়ৎ “নিদ্ুতি লাভ প্রায়াস” নামক একথানি ক্ষুদ্র পুস্তক প্রকাশ করিয়াছিলেন। তাহারও প্রতিবাদ হইয়াছিল। বিদ্যাসাগর মহাশয় তত্প্রতিবাদার্থ প্রয়াসী হইয়া, আপন মত-সমর্থনার্থ২ আর একখানি পুস্তিকা লিখিতে আরস্ত করিয়াছি্েন। তিনি তাহা সম্পূর্ণ করিয়া যাইতে পারেন নাই। বিদ্যাতৃষণ মহাশয়ের স্থুল কথা, বিদ্যাসাগর মহাশয়, ৬ম্ন- €৩৪ বিদ্যাসাগর । মোহন তর্কালস্কারের শিশুশিক্ষা আস্ুসাৎ করিফাছেন। বিদ্যা" সাগর মহাশক্বের কথা; আত্মসাৎ নহে; ছাপাধানাসংক্রাস্ত বিবাদ-মীমাৎসায়, তাহা তাহারই বিষয়ীভূত হুইয়াছিল। বাদ-প্রতিবাদ সংগ্রহ করিয়া, একট মীমাৎসা-স্থলে উপন্থিত হইতে হইলে, একখানি প্রকাণ্ড পুস্তক লিখিবার প্রয়োজন হয়। বিদ্যাসাগর মহাশয়ের চরিত্র-সমালোচনায়, এ কলন্ক ভাহতে ফে ভসন্তষ, এ ধারণ। অবশ্ অর্বসাধারণেরই হইবে। আমদকণড ঘটপা ভাই । রাজকুষ্। বাবুর মুখে আদ্যন্ত বিবরণ তি, আঘাদেও ত্র ধরণী দুঢ়তর হইয়াছে । অন্যরূপ যদি কহ! হু, ভাস! তাহাকে বাদ-প্রতিবাদের পুস্তক মনোভি- শিট অহ তা পড়িতে এবং তাহারা পদ্যালোচনা করিতে হি সত: হ-তশীশচল্রের ছুই মহিষ্বী ছিলেন। মহারাজ উট পলা কবীরা যদি তা না হন, তাহ! হইল জামাত ছাভমানে কনিষ্উ। হাই দত্তক গ্রহণ করিবেন । স্ব নিলি দক লা জন, তবে ভ্েঠা রাঁজ্জী লইবেন ।৮ মহ রাজ আইিবিভাবস্থায় জ্যেষ্ঠা রাজ্জীর মৃত্যু হয়। মহারাজ মতীমচক্র জেক্াস্তবিত হইলে পর, কণিষ্ঠা রাজ্জী ভুবনেশ্বরী, দদুৎ বিষয়-ককাধ্য চাইতে ইচ্ছা করেন। কিন্তু তাৎকালিক দান ৬কর্তিকচন্্র রায় দেখিজেন, বিষয়ের যেরূপ শোচনীয় আবগ্মা ভাহাতে স্বয়ৎ মহারাণী ব্ষয়ভার গ্রহণ করিলে, নানা কাঠণে বিষছের আরও শৌচনীয়তর অবস্থা সংঘটিত হইবে! রাণী ভুবনেশ্বরী। ৫৩৫ '্তৎ্সন্বন্ধে কর্তব্য-নিদ্ধীরণার্থ তিনি বিদ্যাসাগর মহাশয়ের সধ্তিত পরামর্শ করেন। বিদ্যাসাগর মহাশয়, সকল অবস্থা পর্যালোচন করিয়া, কোর্ট অব্‌ ওয়ার্ডের হস্তে বিষয় থাকা ভাল বলিয্লা, অভিপ্রায় গ্রকাশ করেন।*% তখন রায় মহাশয় বিদ্যাসাগর মহাশয়কে অনুরোধ করেন যে, তিনি যেন রাজ্ছী ভুবনেশ্বরীকে বুঝাইয়া, বিষয় কোর্ট অব ওয়ার্ডের হস্তে ছর্পণ করিতে পরামর্শ দেন । বিদ্যাসাগর মহাশয়, তাহাডেই জম্মভ ভূন । তিনি জর্ধ কশ্ম পরিভ্যাগ করিয়া, কুঝনগরে যাইডা, রাণীক্ে বিধিমাতে পরামর্শ দেন। রানী তাহার পরামর্শ মুক্তি- লগত ভাব্য্া, কোট অব. ওষ্চার্ডের হতে বিষয় অর্পণ করেন। ২? গিট পপ শাল শশাীশীশ্পিশাশীশিশিশশাটোিশিটা শটিশিশশীীিশি তাপসী টিপি ১৫টি সিলিশিল ৭. নাঁধজফী জিব চক্ষাফিহনোদ্দেশে কোট হব, ওয়াডের সি। ঘংলগকরিতে ধাঁঘাভ ভাবিয়াই মে গধর্ষেণী এ কাধো হক্যাক্ষপ করেন, আইনম্শাতেক ভাহ। স্পইাক্ষতে ম্বীকাহ করিয়াছেল। স্বার্থ-রক্ষার জন্তু নর্পমেন্টেত এই পরারথসহতাত্ব আবোদন 1 কেটি অব ওয়ার্ড হিষদ্প দিলো যে, রক্ষা ভয় না, খন অতো । শুটিয়ার বাণী শরৎসুন্দতী ও বহরমণুরের মহারাণী শ্বময়ী, হার জাঙ্দজামান শ্রমাণ। ওয়ার্ডে বিষঙ্্ শিয়!, অনেককেট থে লানালাহনা ভোগ করিতে হইয়াছে, তাহারও ব্হ প্রমাণ আছে । তীক্ষবৃস্থি বিদ্বামাপস্্র মহাশয় যে তাহ! বুঝিতেন লা, প্রমন নহে | তবে তিন বুঝিস্াছিলেদ যে, নবদ্বীপ রাঁজোর ব্যয় কোট” অধ ওয়ার্ডে না পিগে, বিষম রক্ষা কর] ছুক্ধব$ তাই তাহাকে ওয়ার্ডের যুলনীতি উপেক্ষা ক্ষরিতে হইয়াছিল । বাত্তবিকই ওয়ার্ডে পিয়া, বিষ শীনৃদ্ধিমম্পর্র হইক্সটছিত। পূর্বের নব ঝণ পরিশোধিত হয়। এখন ব্ষিয়ের বেশ শবচ্ছল অস্থা। খর্তমীন মহারাজ ক্ষিতীশচন্দ্র যাহাছুত্ রাণী ভুবনেশ্বরখর পৌধাপুল । ইনি নাবালক হইয়।, ছুই লক্ষ দশ হাজার টাক পাইয়!ছেন। মহারাজ ক্ষিতীশচচ্্র ওয়ার্ডের ভুলে ছিলেন। €৩৬ বিদ্যাসাগর | ১২৮৫ সালের ২৩শে পৌষ বা ১৮৭৯ বষ্টান্দের ওই জানুঘারি, বিষয়-সম্পত্তি কোর্ট অব্‌ ওয়ার্ডে অর্পিত হয়। ১৮৭১ হ্ব্রাজে বিদ্যাসাগর মহাশয় সংস্কত উত্তর-চরিত ও অভিজ্ঞান শতুত্তল নাটক প্রকাশ করেন। তিনি ছুইখানি পুস্থকের টাকা করিয়াছিলেন। ছুই খানি পুস্তকের বঙ্গভাষাঙক লিধিত উপক্রমণিকা-টুকু উপাদেক্ পাঠ্য প্রবন্ধ। সেই মৃদ্- নিলাদ-নিলী গুরুপ্নন্ডীর ভাষাধবনি | সেই মধুর-কৌমল-কান্ত শাক্য-বিন্তাস ! অল্সায়তনে ভবভূতি ও কাঁলিদাসের গুণ-গরিমা! ও প্রতিভা-প্রতিষ্ঠার এমন প্রক্ষট পরিটষ আব কুত্রাপিও পাইবে না। এঁভদ্যডীত বিদ্যাসাগর মহাশয় কতক সংস্কৃত *শিশুপাল পধ*। *“কাদন্বরী”, *কিরাতাজ্ঞনীয়”, “রদৃ-বহশশ ও. হর্ঘচরিগ দুদ্রিত ও প্রকাশিত হইয়াছিল। এই কল গ্রছ্ছে টীকা নাই? তবে ইহার পাঠ পরিশুভ্ধ। নিননশ্রেণী ইংরেজী পাঠকের পাঠ-সৌকর্ধযসাধন-কজে তিনি তিন খানি ইংরেজী গ্রন্থ প্রকাশ করেন। এই তিন খানি গ্রন্থ সার.সংকলন। ভিন খালি পুস্তক এই),_-+391600008 (0) 0৩ 71008 ০1 0010 37111) 301500078 1700) 10021)91) 15116796076 509 7১০০৮ 1708] 56160010208, রয়নত্িংশ অধ্যায়। পাদরী ডল, কেশবচন্ত্ব সেন, রাজনারায়ণ বন ও রামকৃষ্ণ পরযহংস। পাদরী ডগ সাহেবের সহিত বিদ্যাসাগর মহাঁশঘ্লের মৌহ দ ও সন্ভাব হইয়াছিল। পাদরী ডল, আমেরিকার ইউনাইটেড &টসের রাজধানী বোষ্টন সহরের অধিবামী ছিলেন। তত্ত্য «ইউনেটেরিয়ান” ঘৃষ্টান জমাজ কর্ভুক তিনি এ দেশে প্রেরিত হন। এ দেশে আসিয়া, তিনি “ইউস্ফুল আর্টস্‌ স্কুল” নামে কণিকা ধর্মৃতলা গ্রীটে একটী বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত করেন। তিনি এই বিদ্যালয়ে এ দেশবাসীকে ইংরেজী ও তত্সঙ্গে শিপ, স্গীত, ব্যায়াম প্রভৃতির শিক্ষা] দিবার ব্যবস্থা করিয়াছিলেন। দীন-দরিদ্রে ভাঙার অপার করুণা । বিদ্যা* সাগর মহাশয়ের জায় দীন-পালন তাহার জীবনের সাধন ব্রত ছিল। দীন-হীন-দরিদ্র বালকদিগকে বিনা বেতনে পড়াইধার জন্ত তিনি একটী বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত করিয়াছিলেন। এই জন্য বিদ্যাসসাগ্থর মহাশক, তাহাকে সতত শ্রদ্ধা-ভক্তি করিতেন। তিনি অদানদ্দ, সরল, সাহসী ও সত্যপ্রিয় ছিলেন। এই সব গুণ চিরকালই বিদ্যাসাগরের চিস্তাকর্ক। ডল আহেবের মুখে প্রান্নই বিদ্যাপাগরের গুণব্যাধ্যা শুশিতাম। এক সময় তাহার বিদ্যালয়ে ছাত্র ছিলাম্ম। সুলের শিক্ষক বা অন্ত কোন কর্মচারীর প্রয়োজন হইলে, ডল সাহেব, তৎ্সম্বন্ধে বিদ্যাসাগর ৪৮ বিদ্যাসাগর । মহাশয়ের সহিত পরামর্শ করিতেন। এতভিন্ন শিক্ষা-সংক্রান্ত অনেক বিষয়েই তিনি বিদ্যাসাগর মহাশয়ের পরামর্শ না লইয়া থাকিতে পারিতেন না। ছুই জনেই দাতা ও দঘ্াল। গ্রহ- উপগ্রহের পরস্পর অবিচ্ছিন্ন আকর্ষণের স্তায় ছুই দ্বাতা ও দয়ালু হৃদয়ে আকর্ষণ-সংঘটন হইয়াছিল । স্বদেশী হউক, বিদেশী হউক, ব্রাহ্ম হউক, বষ্টাদ হউক, হিন্দু হউক, মুসলমান হউক, সাহসী, সদাঞাপী, সরল ও সত্য-সন্ধ ব্যক্ভিমাত্রেই বিদ্য।সাগর মহাশয্বের হৃদয় অধিকার করিতেন। ধিনি যে পথেই চলুন, দেশের হিত-কামনাই তাহার জীবনের চরম লক্ষ্য বুঝিলেই, বিদ্যাসাগর মহাশয়, তাহাকে প্রাণ ভরিয়া প্রেমালিঙ্গন দিতেন। ৬কেশবচত্র সেনের সহিত তাহার অনেক বিষয়ে মতবিরোধ ছিল; কিন্ত তিনি কেশবকে দ্বেশের হিভকামী বলিয়া বিশ্বাস করিতেন) এবং তাহাকে সতত প্রীতির চক্ষে দেখিতেন। কেশব বাধুও গ্ভাহাকে অন্তরের সহিত শ্রদ্ধা-ভক্তি করিতেন। বহু-বিষয়ে উভঙ্ষে বিরুদ্ধবাদী হইলেও, মাক্ষাৎ-সন্মিলনে উভয্নের অসীম তুখানু" ভব হইত । কেশব বাবু প্রায়ই বিদ্যাসাগর মহাশয়ের বাটাতে আমিতেন। উভয়েরই মধ্যে কেবল দেশের মঙ্গলাকাম্য কথারই আলোচনা হইত । সরলতা! ও সত্যপ্রিয়তাগুণে ব্রাহ্ম শ্রীযুক্ত রাজনারায়ণ বসুর সহিত বিদ্যানাগর মহাশত্নের ঘনিষ্ঠত| হইয়াছিল । বিদ্যাসাগর মহাশত্বের প্রতিও রাজনারায়ণ বাবুর অটল শ্রদ্ধা-ভক্তি, ছিল। বাগ্সিগ্রবর কেশবচত্্র সেন । রাঁজনারায়ণ বস্তু | €৩:) তিনি মনে করিতেন, বিদ্যাসাগর মহাশয়, ধর্থপ্রচারক হইলে, দেশের মহ] মঙ্গল জাধিত হইতে পারিত। এক সময় তিনি বিদ্যানাগর মহাশয়কে একধা খুলিয়া বলিতে কুঠিত হন নাই। তছুক্ঞরে বিদ্যাসাগর মহাশয় একটু রহস্ত-ভাবে বলিয়াছিলেন,__ “কাজ নাই, মহাশয়, ধর্বপ্রচারক হইয়া, আমি যা আছি এবং যাহা করিতেছি, তাহার জন্য যদি দ্ডভোখ করিতে হয়, তাহ! আমিই করিব। যাহাদিগকে ধন্মে অপাইব, তাহাদিগকে যখন্‌ জিজ্ঞাসা করা হইবে, তোমরা কাহার মতে ধর্ম পালন করিয়া, তখন ভাহারা যদি আমার দিকে জন্গুলি নির্দেশ করে, এবং ভাহার। ষদি দণ্ড পাইবার পাত্র হয়, তাহ! হইলে তাহাদের বণ্ডটা আমার উপর পড়িবে নিশ্চিতই। আমার অপরাধের জন্ত আমি বেত খাইতে পারি ) কিন্ত অপরের জন্ত কত বেত থাইব 1” *% | রাজনারায়ণ বাধু অনেক বিষয়েই বিদ্যাসাগর মহাশয়ের পরামর্শ লইতেন। বিদ্যাসাগর মহাশয়ও বিবেচনাপূর্বাক অতি আাবধানে পরামর্শ দিতেন। নিয়লিখিত পত্রখানি ইহার একটা প্রমাণ, “জাদরমন্ভাধণমাবেদনযৃ-_ “কয়েক দিবম হইল, মহাশয়ের পত্র পাইয়াছি; কিন্তু মাম] কারণে মাঁতিশয় ব্যস্ততা-প্রযুক্ত এত দিন উত্তর লিধিতে পারি নাই ক্রটা গ্রহণ করিবেন ন1। *. এই কথাটা নাহিত্য-ওক ই্রাযুক ক্ষেঅমোহন মেদ গপ্ত মহাশয়ের মুঝে শ্ুনিয়াছি। £95 বিদসাগর । “আপনার কন্তার বিধাঁহ-বিষয়ে আনেক বিষ্েন! করিয়াছি, কিন্তু আমাকে কি পরামর্শ দিষ, কিছুই স্থিত্র করিতে পারি নাই। ফল কথা! এই যে, এরূপ বিষয়ে পরামর্শ দেওয়া! কোন ক্রমেই লচজ ব্াপার মে । প্রথমতঃ অশপনি বাঙ্গাধর্বাবলন্বী । বরাধর্থে আপনার যেস্প শ্রদ্ধা আছে, তাহাতে দেবেন বাবু যে প্রণালীতে কন্যার বিষাহ দিক্সাছেদ, ষদি তাহ! ব্রা্গধর্থের অন্থষার্িলী বলিয়া! আপনার বোধ থাকে, তাহ হইলে প্র প্রণালী অন্মারেই আপনার কন্যার বিষাহ দেওয়) সর্বাতোভাবে বিধেয় | দ্বিভী- য়তঃ, যদি আপনি দেবেক্চ বাবুর জবলশ্থিত প্রণালী পহিত্যাগণর্দপক প্রাটীন প্রণালী অন্মাত্ে কন্যার বিধাহ দেল, তাহ] হইলে রাঁদ্র-বিবাভ প্রচলিত তওয়ার পক্ষে বিলক্ষণ বাঘাত ভন্মিষেক। ততীয়তঃ, রাজ্দ- প্রণালটতে কল্সার বিবাহ দিলে এ বিষাঁভ সর্বাংশে নিদ্ধ বলিয়| পরিগৃহীত তইবেক কি ন1 ভাঁত1 স্থির বলিতে পারা যায় ন1। এই সমন কারণে আমি এ বিষয়ে সস আপনাকে কোন পরামর্শ দিতে উংন্তক হা সমর্থ মঠি। এই মাত পরামর্শ দিতে পারি যে, আপমি নহমণ কোন প্ক্ষ অআবলন্বন করিবেন না। “উপস্থিত বিষয়ে আমার প্রকৃত বক্তব্য এই ধে, একপ বিষয়ে অহোর নিফট পরামর্শ জিজ্ঞাম1 কর1 বিধেয় নতে। ঈদৃশ গ্বলে নিজের জ্বন্তঃকরণে অন্ধাবন করিয়! ষেব্ধপ যোধ তয়, তদম্বসারে কর্ন করাই কর্তবা। কারণ, ধাাকে জিজ্ঞাম| করিবেন. নেবাক্তি দিজের যেরূপ মত ও অভিপ্রায়, ভদম্নারেই পরামর্শ দিষেন, আপনকার হিতাহিত যা কর্তব্যাকর্তবা বিধয়ে ভত দৃষ্টি রাধিবেন না। “এই নমন্ত অন্ধাষম করিয়। উপস্থিত বিষয়ের শ্বয়ং কর্ধব্য নিন্পর্ করিলেই আমার মতে র্বাংশে ভাল হয়। | “আমি কারিক ভাল আছি। ইতি তাং ও আশ্বেন।* ভবদীয় শঈশ্বরচন্দ্র শর্্মণঃ 1 * এই পত্রধানি পণ্ডিত শ্রীযুক্ত যহেম্দ্রনাথ বিদাালিধির ঘত্বীবধাঁনে পরিচালিত অন্থশীলম নামক মানিক পঞজের প্রথম ভাগের য্ট ও মপ্তষ সংখ্যায় (১৩১১ সালের ক্ষান্তন ও চৈত্র) প্রকাশিত হইয়াছিল। »রামকৃ্চ পরমহৎস। রামকৃষ্ণ পরমহত্স । ৫৪১ বিদ্যাসাগর মহাশয়, ৬রান্কৃষণ পৃরমহখস দেবকে অতি রম্গ ও ুমূঢ়-বিশগামী বলিয়া মনে করিতেন । এই জন্তই পরমহতম দেবের প্রতি ভাহার ঘথেষ্ শ্রদ্ধাভক্তি ছিল । প্রথম জাক্ষাৎ- কারেই বিদ্যাসাণর মহাশয়, পরুমহং্স দেবের সরলতার পরিচঙু পাইযুছিলেন। পরমহংল দেব, বিদ্যাপাগ» মহাশয়কে দেখি- হার জন্ত তাহার বাটাতে আসিঘানিলেন ! টিনি জাক্ষাৎ করিছ়। বলেন,“আলি সাগরে আনি ছি, কিছু রত সংগ্রহ কিছ! লহয়া যাইব ।* ইহাতে বিদ্যাসাগর মহাশয়, একটু স্ব হালি হাসিয়া বলেন,-এএ সাগরে কেবল শামুকই *ইবেন।” ইহাতে প্রমহংস দেব পরম পুলকিত চিত্তে বলেন,এমনল ন। হইলে, সাগরকে দেখিতে "াসির কেন ” অতঃপর বিদ্যা সাগর মহাশয়, পরমহংম দেবের মুক্তপ্রাণতার পরিচয় পাইয়া, কৃঙতই ত্বাহাকে অন্তরে স্থান বিষাছিলেন। প্র্ম্হৎস দেব যে সময় বিদ্যাসাগর মহাশষেন জাদর-অভ্যর্থনায় আপ্যায়িত হইয়া আপন গ্রহণ করেন, সেই সময় বর্ধমান হইতে ঘিদ্র্য]- সাগর মহাশয়ের এক জন আন্ত বন্ধু এক হাঁড়ি খাবার লইয়া আসমেন। বিধ্যামাগর মহাশম্ব, পরমহৎস দেবকে তাহা আহার করিবার জন্ত অনুরোধ করেন। পরমহৎস দেবও সরস-সহান্ত বনে বিদ্যাসাগর মহাশষের অনুরোধ রন্ষণ করিয়াছিলেন । বিদ্যাসাগর মহাশয়ের বুদ্ধিপ্রবৃত্তি যেরূপই হউক, ভগবৎকুপায় তিনি এরূপ সাু-সমাগমে নিতাত্ত সৌভাগ্যহীন দ্বিলেন না। ৪৬ তুস্ত্রিংশ অধ্যায়। | বহু-বিবাহ। ১২৭৮ সালের শ্রাবণ মাসে বা ১৮৭১ খুষ্টাবে জুলাই মাসে, “বহুবিবাহ রহিত হওয়া উচিত কি না” বিচারের প্রথষ পুস্তক প্রকাশিত হয়। পুস্তকের প্রথম প্রতিপাদ্য বিষয়, বহু- বিবাহ শাস্ুমন্মত কিনা। কয়েকটা কারণে হিন্দুর একাধিক বিবাহ ষে শান্খসম্ৃত, বিদ্যাসাগর মহাশর) এ পুস্তকের প্রারস্তে তাহা স্বীকার করিয়াছেন। দশরথ বন্ু-বিবাহ করিয়াছিলেন। পুতাভাব-নিবন্ধন দ্রশরথের বজ্-বিবাহ অশাস্থীয় নহে, বিদ্যা সাগর মহাশয় তাহাও বজিতেছেন। যে কযুষ্টী কারণে একাধিক বিবাহ শান্তসন্মত বলিয়া দ্বীকৃত, তাহা এই,_- (১) যঙ্গি স্ত্রী হু্াপাতিনী, ব্যভিচারিী, সতত ্বামীর অভিপ্রায়ের বিপরীতকারিী, চিররোগিনী, অতি কু স্বভারা ও অর্থ-নাণিনী হয় তত্সত্বে অধিবেদন অর্থাৎ পুনরায় দার- পরিগ্রহ বিধেষ়্। (২) স্ত্রী বন্ধ্যা হইলে অষ্টম বর্ষে, মৃতপুত্র! হইলে দশম বর্ণে, কন্তামাত্রপ্রদরিনী হইলে একাদশ বর্ষে ও অপ্রিকবাদিনী হইলে কালাতিপাত্ ব্যতিরেকে বিবাহ কৰিবে। এততৎকারণ ব্যতীত একাধিক দারগ্রহণ অশান্ত্রীয় এবং নিষিদ্ধ, বিদ্যাসাগর মহাশয়, ইহাই প্রতিপন্ন করিতে চেষ্টা পাইয়াছেন। কলিষুগে অসবর্ণ। বিবাহ রহিত হইয়াছে ; হ্বতরাং ধর চ্ছা প্রবৃত্ত বিবাহের আর স্থল নাই, ইহাই বিদ্যাসাগর বছুনবিবাহ। ৫৪৩ মহাশয়ের কথা । এ কথার শবান্্রীয্ুতা বা আণাক্্রীয়ুতা লইয়া! কোন বিচারও উত্থাপিত হয় নাই। বিদ্যাসাগর মহাশয়ের মতে কৌপীন্ত সণ্মত বহুবিবাহ পাপাবহ ও শাস্সুবিরুদ্ধ। এতৎ- প্রামাণার্থ তিনি সাধ্যানুসারে চেষ্টা করিয়াছেন। কোন আত্মীয় কন্যার কষ্টান্ুভবে তিনি বহু-বিবাহ রহিত করিবার জন্ত উদ্দ্যোগী হন। আত্মীয় কুলীন কন্তার পতি বহু-বিবাহ করিয়াছিলেন। তার প্রায়ই পতিসাক্ষাৎ-লাভ ঘটিত না। তিনি বিদ্যাসাগর মহাশয়ুকে বলিয়াছিলেন,__ “আমাদের অনৃষ্টে যা ছিল, তা হইমান্তে;) আমাদের কন্যার যাহাতে আর কষ্ট না পায়, তাহার একটা উপায় করিতে পারেন ইহারই পর হইতে, তিনি বহ-বিবাহ রহিত" করণের জন্য প্রাণপণে চেষ্টা করেন। বাঙ্গালার কোন্‌ কোন্‌ কুলীনের একাধিক বিবাহ হয়, তাহারও তিনি তালিকা সংগ্রহ করেন। এই তালিকা *বহু"বিবাহ* বিষয়ক প্রথম পুস্তকে সন্নিবেশিত আছে । ১২৬২ সালের ১৩ই পৌষ বা ১৮৫৫ খৃষ্টানদের ২৭শে ডিসেম্বর, বহু-বিবাহ-রদ করণাভিলাষে বধ্ধমানের মহারাজাপ্রমুখ অনেক ব্যক্তির স্বাক্ষরিত এক খানি আবেদন-পত্র গবর্ণমেন্টে প্রেরিত হইপ্রাছ্িল। এই আবেদনের মর্ম এই,_*কোন কোন বিশেষ কারণে শান্্ে একাধিক বিবাহের বাবস্থা আছে বটে; কিন্ত এখন এততংসম্বপ্ধে যথেচ্ছাচার ব্বটিয়াছে। কুলীনদের ভিতর এই যথেচ্ছার প্রবল। কেবল অর্থ-লালসায় অনেকেই বছ-বিবাহ্‌ ৫৪৪ বিদ্যাসাগর । করিয়া থাকে। সমাজে ভ্রণহত্যা রূপ নানা অনর্থ সংঘটিত হইতেছে। এতনিবারণার্থ গবর্ণমেণ্টের কোনরূপ আইন কর! উচিত।” এ আবেদনে ফল হয় নাই। তবুও আন্দোলন চলিয়া" ছিল। ১৮৫৭ বৃট্টাবে সিপাহী-বিদ্বোহ-ব্যাপারে বিব্রত ছিপেন বলিক়্া, গবর্ণমেন্ট ইহাতে মনোযোগী হইতে পারেন নাই। বিদ্যালাপর নিশ্চিন্ত থাকিবার পাত্র নহেন। ১৮৬২ খুষ্টাকে যখন কাশীর রাজ দেবনারাছণ দিত্হ বাহছাছুর, ব্যবস্থাপক সভার সভ্য ছিলেন, সেই সময় এসম্বন্ধে আইন হইবার উদ্বেগ হয়; কি কিয়দ্িন পরে রাজাবাহাছুরকে ব্যবস্থা সমাজ হইতে যথানিয়মানুলাঁরে বিদায় লইতে হইন্রাছিল; সুতরাং উদ্যোগ কাব্যে পরিণত হইল না। ১৮০৫ সাশে তাখকালিক বঙগেশ্বর স্তর সিসিল বিন সাছেবের নিকট ব্হুজন-স্াক্ষরিত এক আবেদন পত্র প্রেরিত হয়। তাহাতে যেকোন ফলোদয় হত নাই, তাহ! পুর্ববেই উল্লিখিত হইয়াছে। ইহার পর বিদ্যাসাগর মহাশয়, উত্তরপাড়ায় পড়িয়া যান। শরীরের অন্থম্থতানিবন্ধন তিনি এতৎতসন্বষ্ধে আর কোন আলোচনা! করিতে পারেন নাই। ১৮৭০ বৃষ্টাবে তাৎকালিক সনাতন ধর্মমরক্ষিণী সভায় এতৎ সম্বন্ধে একট আন্দোলন উপন্থিত হয়। সভায় বাদানু- বাদ ও তর্কবিতর্ক চলিয়াছিল। এই অবসরে বিদ্যাসাগর নহাশয়, পুনরায় এতদ্দালোচনায় প্রবৃত্ত হন। সেই আলো" চনার ফল, এই প্রথম পুস্তক। প্রথম পুস্যক প্রকাশ্রিত হইবার পর, ৬ত্তারানাথ বাচম্পতি; বহ-বিবাহ। ৫৪৫ এদ্ারকানাধ বিদ্যাভুষণ, পণ্ডিত আদুক্ত ক্ষেত্রনাথ জ্ুুতির। মুর্ণিধাবান্ের খ্যাতনামা কবিরাজ ৬গর্গাধর কবিরতুপ্রমুখ অনেকেই ইহার প্রতিবাদ করেন। সেই সমদ্ধ ইহা? লইচা, সমগ্র বগদেশ বিলোড়িত হইয্মাছিল। তর্কবাচন্পতি মহাশয়ের পুস্বক সংস্কৃত ভাষাষু রাঁচিত হইয়াছিশ। অন্তান্ত পুস্থক্ক বাক্গালাযব। এই জব প্রতিবাদী মত খগ্ুনার্থ, ১২৭৯ জাজেতু চৈত্র মাসে বা ১৮৭২ খষ্ান্ধের মাঞ্ড মাদে "বহু-বিবাহ রহিত হওয়া উচিত কি না?” বিচারের দ্বিতীয় পুস্তক প্রকাণিত হয়। ধহু-বিবাহের আন্দোলন কালে উপমুক্ত ভাইতায়ের গুনরা বি€াব হইয়াছিল । উপমুক্ত ভাইপো এবার ভারালাধ বাচস্পতি ঈহাশয়কে লইয়া পড়িয়ান্িজেন। ভাতানাথের উর ভাইপোদ উর আক্রমণ । ভাষা-তন্্রী ভীষণ জহুটামযী। তাহা জভ্য পাহিতোর স'ানান্পদ নহে। একটু নমুনা দিই “এত কাল পরে সব ভেঙ্গে গেল ভুর। হতদর্প হইল বাটস্পতি বাহাহ্ন ॥ সকলের বড় আমি মম ঘন দ্বাই। কিলে এই দর্ম কর €ভবে লাছি পা গং ৪ র্‌ ক 5৮ তুমি গো পণ্ডিত দুখ বুদ্ধিশুদ্ধিহীন। অতি অপদার্থ ভূমি আও অর্তাচীন 0৮ ভাইপৌর এ পুস্থকের নাম্‌ "মতি অগ্গই হুইল ।” পুস্মস্ের খারক্ে উপরোক্ত ছড়া। গ্রে আরও গালিগালজ গদো। ৫৪ বিদ্যাসাগয়। তটুদ্ধার নিচ্গায়োজন। অনেকেই বলেন, এ ভাইপে। স্ব বিদ্যাদাগর মহাশিয়ই। আমরা কিন্ত ইহার তাদৃশ প্রমাণ পাই নাই। এ ভাঁখার ভাব-তঙ্গী বিদ্যাসাগরের চরিত্রোচিত নহে। পণ্ডিত তারানাথ বাছশতি অহাশয়ও ইহার উত্তরচ্ছলে একথানি ২৭ পুষ্ঠার পঞ্জিকা জিখিয়াছিলেন। ইহ ভাইপোর নক্ষন তীর নহে। তবে ভাইপোর উপর কটাঙ্গ আছে। "ভাইপোস্ত” অন্দ জ্অততদ্ধ ধরিস্রা, বাচম্পতি মহাশয় ভাইপোকে স্বতিকা-গ্রোধিত কনিসাছেন। “কন্তচিৎ উচিত-বাদিনঃ নাম দিয়া এক ব্যক্তি “ত্রেরিত তেঁতুল” নামে এক খানি ২৫ পৃষ্টা কুন পুস্তিকা লিখিয্বাক্ছিলেম। ইহাতে বিদ্যাসাগর মহাশয়ের প্রতি আক্রমণ সিল! এতদ্যতীত গ্লান-ছড়াও অনেক রকম প্রকা- শিত হইখাছিল। এডুকেশন গেজেটের প্রেরিত পত্রে পকুলীন কালীর উক্তি” লাষে একটা পদ্য প্রকাশিত হইয়াছিল। ধ৮ম্গতি ম্হাশরু, দুক্গপ বিদ্যাসাগর মহাশজকে আক্রমণ পয়াদিলেশ ১ এবং বিদ্যাসাগর মহাশয় বাচস্পতি মহাশয়কে হে ভাবে আন্রদণ কৃবিয়াহিলেন, তাহা বিজ্ঞোচিত হয় নাই। এই সুতে উত্ভাফের যে মনোমালিন্য হইয়াছিল, তাহা আর এ জনে বিদুগিত হয় নাই। বিদ্যাপাগ্ঝর মহাশদ্ধ। ঘিচারে 'ভাযাতিজ্ঞভা, তর্কনিপুনত!, মীমাংমাপট তা, অনুসন্ধিৎমুতা লব বিদ্যাবৃক্ষিমজার গ্রুকত পরিচয় দিয়াছিপেন বটে; কিছু শাচম্পতি মহাশয়কে আক্রমণ করিতে গিয়া ধৈর্যচ্যুভ হইয়া শাড়াছিলেন। আমরা মুক্তকণ্ঠে স্বীকার করিব, বিদ্যামাগর বইশাববাহ। ৫৪৭ ধহার্ধয়। এ সম্বন্ধে যে তর্কপ্রণালীর অবতারণা করিয়াছেন, বাঙ্গালায় এ পর্ধার্ভ ভেমন অল্প লোকেই পারিয়াছেন। কোন কোন আত্মম্পদ্ধী দ্বাক্তিক লেখক, তাহাকে সময়ে সময়ে “নিজব্বা-হীন বলিক্া, উহার গৌরবহানির চেষ্টা করিয়া ধাকেন; এবং সমফে স্যণ্রে তাহার অনুবাদ্িত গ্রস্থনিচয়। সেই সব ফাস্তিক পুকুষদের রঙ্ন্ত-ব্ষিয়ীভূত হইয়া! থাকে। বিদ্যাসাগরের "বনু বিবাহ রহিত হওয়া উচিত কিনা? পুস্তক প্রকাশিত হইবার পর, বাহার্দের একপ স্পৰ্ধী দেখিয়াছি, তাহাদিগকে আমর] কপার পাত্র মনে করিয়া রাখিয়াছি। কেননা। েরপ "পরী ব্যাধি-বিশেষ । বছ-বিবাহ রহিত হওয়া উচিভ কি না বিষয়ক পুত্তক ইসা, বাদানুবাদ করিতে চাহি লা। তাহার স্থানও নাই। এ জন্বন্ধে আইন ঘে হয় নাই, ইহাই দেশের মঙ্ঈলের বিষন্ব। আইনে বৃহ অনর্থপাতের সন্ত।বন1। বৈদেশিক বিচারকের? ধম্থার্থের অক্ষ মর্খথ বুঝিতে না প্রারিষা, বহু অনর্থ ঘটাইতে পারিতেন। শাস্ত্বনম্মত একাধিক বিবাহেও বু ব্যাখাত ঘ্বটি- বার সম্ভাবনা ছিশ। প্রা-পুরুষের অস্তানোত্পত্তির শক্তিীবচারে ঘে নানা কুৎদিত কাণ্ডের অভিনয় হইত না, ভাহাই বা কে নিতে পারে? বিদ্যাপাগর মহাশ্রয়। “বহু বিবাহ” সংক্রান্ত পুস্তকের ইৎরেজী অনুবাদ করিয়া, মুদ্রিত করিতে আরম্ব করিক্লাছিলেন ) কিন্তু ইচ্ছা সম্পূর্ণ হয় নাই। পকাত্র'শ অধ্যায়। দ্িতী কন্যার বিবাহ, পুত্র-বর্ধ্ধন ও আনুইটি ট ও । ১২২৪ মালের আহাঢ মানে বা ১৮৭২ গষ্তীন্ষের জুন যাগ বিদ্যঘাগর মহাশয়ের মধ্যম কন্। জীমতী কুযুদিনীর সহিত টন্রিগ্ন পরগণা কুদ্রপুরনিবাণী শ্রী অতোরনাথ বন্দযোপা, ধটাসের বিধাহ হম্ু। এই অমন পুত্র নারায়ণের শ্রতি বিদ্যাসাগর অহাশছ, শ্লানা কারণে বিরক্ত হন। ক্রমে বিরক্তি এত ঢুর উত্কট হইয়া উঠিস ষে, গ্রিক পুত্রক্ষেও হদমের শত যোজন দরে নিশেগ করিতে হইল । অধ একা বিরাট ব্যবধান পড়িয়া গে। পিতার অন্তরে কি হইতেছিল, তাহ অভ্তধযামী বলিতে গাছেল কিন্ত পুত্রের কর্তৃব্যক্রুটী সংশোধিত হইলে লা বগিত্বা, গুঘবে বিমর্জন করিতে পারিয়াছেন, ভাহার বাহা ভাবে মলে হইত। তাহাতেই তিনি যেন আত্মগ্রদার্দ জাত্ব করিয্াছেন। পুত্র সারায়ণের বিষর্জীনে মাত দারুণ হনস্তাপ পাইয্াছিলেন। ছহসাদপি কোমল প্রাণ দাবানলে দ্ীভত হইগাছিল। মাতাঃ আর ভুধ-ন্বচ্ছনূতা ছিল ঘ1। ইহার জন্য বিদ্যাপাগর মহাশয় ্নিতার শ্র্ব্লতাঁফলভোগে কতক বফ্িত হইতে হইয়াছিল। নারাধণ পিভা কতৃক গরিবর্জি্ত হইয়া, প্বকীয় চে? লবরেভিউরের কাধ্যে নিযুক হছন। ভিনি পিতার স্ভায় ডেদাট) পৃত্র-বর্ডভন। €৪১ ও কৃতাত্নির্ভর ছিলেন। মধ্যে মধ্যে তিনি কলিকাতা পিতার বাড়ীতে আপিতেন। দিনকতক থাকিয়া আবার চলিয়া যাইতেন। পিতার সঙ্গে কিচু বাক্যালাপ হইত না। কর্তৃব্য-ক্রটীহেতু একেবারে পুত্রবিসর্জন এ সংস:রে বিরল। বিদ্যাসাগর মহাশয়, পুত্রবর্জনের একটী প্রকট দৃষ্টাত্তস্থল। কিন্ত স্বভাঁবিক মমতা সহজ পদার্থ নহে। কর্তৃব্যানুরোধে বিদ্যাসাগর মহাশয়, পুত্র নারায়ণকে পরিত্যাগ করিয়াছিশেন বটে) কিন্ত নারামুণের প্রতি তাহার দেহ যে বিচলিত হয় নাই, তাহার প্রমাণ পাওয়া যায়। এক দিন তিনি নারায়ণের ফটোগ্রাফ দেখিয়া, দ্বরবিগলিতধারে অশ্রুবিসর্জন করিয়া ছিলেন। নারায়ণ বাবুর প্রতিগৃহীত হইবার বড় আশাও ছিল না। অনেকেই তাহার বিপক্ষে প্রায় গুরুতর অভিষোগ আনিত। তাহাতে পুত্রকে পুনগ্রহণের প্রবৃত্তি আর জাগিতে পারিত না। ১২৭৯ সালের ২রা আষাঢ় বা ১৮৭২ ব্বষ্টাীকের ১৫ই জুন “হিন্দু ফ্যামিলি আনুইটি ফণ্ড* প্রতিচিত হয়। এই “ফণও"- প্রতিষ্ঠার মহছুদ্দেশ্ত । জামান্ত আরু-সম্পন্ন বাঙ্গালী, যৃত্যুকালে পিতা, মাতা, বনিতা, অস্তান-সম্ভতি কিন্ব। আত্মীয়বর্গের অন্ত কোনরূপ অংস্থান করিয়! যাইতে পারে না। ষাহাতে এরূপ সংস্থান হয়, তাহারই জন্য এই ফওডের হপ্রি। তুমি যর্দি ইচ্ছা! কর, তোমার স্ত্রী কিন্বা অন্ত কোন আত্মীয়, তোমার মৃত্যুর পর মাসে মাসে যাবজ্জীবন পাঁচ টাকা হিমাবে পাইবে, তাহা হইলে ৫৫5 বিদ্যাসাগর । তোমাকে প্রত্যেক মাসে এই ফণ্ডে ছুই টাকা চারি আনা আন্দাজ জমা দিতে হইবে । তোমার দেহান্তে, তাহা হইলে তোষার স্ত্রী বা আত্মীয় মাসে মাসে পাঁচ টাকা পাইবে। এইবপে দশ টাকার সংশ্থান করিবার ইচ্ছা হইলে, উপরোক্ত হিনাবের অনুপাতে ফণ্ডে টাকা জম দিতে হইবে। ত্রিশ টাকা পর্য্যন্ত সংস্থানের ব্যবস্থা আছে। এইরূপ একটী ফণ্ডের যে প্রয়োজন, ১২৭৮ সালের ১২ই ফাল্তন বা ১৮৭২ খষ্টাবের ২৩শে ফেব্রুয়ারী মেট্রপপিটন ইনট্রিটউসনে একটী সভা করিয়া, তাহার সিদ্ধান্ত হয়। প্রথম ১০টা “সবস্কইবার” লইয়া ৩২ নং কলেজ গ্রীটে ইহার কার্ধ্যারস্ত হয়। এত্ছ্ব্যতীত ছুই চারি জন ইহার সাহায্যার্থ এককালীন মোট টাকা দিয়াছিলেন। পাইকপাড়ার রাজপরিবার দিয়াছিলেন, ছুই হাজার পাঁচ শত টাকা। প্রথম বৎসর বিদ্যাসাগর মহাশয় ও অনারেবল দ্বারকানাথ মিত্র মহাশয়, ইহার *ট্রষ্টি* হইয়াছিলেন। দ্বিতীর বৎসর এই ছুই জনই ট্রি” থাকেন। তৃতীত়ু বৎসর অনারেবল দ্বারকানাথ মিত্রের মৃহ্যুর পর রাজ! যতীব্্রমোহন ঠাকুর, অনারেবস রমেশচন্ত্র মিত্র ও বিদ্যাসাগর মহাশয় “ট্রি? হন। সভার প্রতিষ্ঠাকালে নিম্নলিখিত ব্যক্তি, নিয়লিবিত পদে অধিঠিভ ছিলেন,--মাচরণ দে, -চেয়ারম্যান। মুরলীধর মেন,-ডেপুটা-চেক়্ারম্যান। রার দীনবন্ধু মিত্র, রাজেন্্রনাথ মিত্র, গোবিন্দচন্্ ধর, নবীনচন্ত্র সেন, ঈশানচত্্র মুখোপাধ্যায়, প্রনননহুমার সর্বাধিকারী, নন্দলাল মিত্র, রাজেন্ত্রনাধ বন্দ্ো” আমুইটি ফণ্ড। 8৫১ পাধ্যায়, নরেন্্রনাথ সেন এবং পঞ্চানন রায়চৌধুরী,-ডাইরে- টর। নবীনচজ্স সেন,__স্েক্রেটরী । ডাক্তার শ্রীযুক্ত মহেন্্রলাল সরকার,--“অবস্কাইবারপ্দের রোগাদি-পরীক্ষক। “আছুইটি ফণ্ড” যে উদ্দেশে প্রতিষ্ঠিত, সেই উদ্দেশে “আলবার্ট লাইফ আমহ্ুরেন্সা কোম্পানী” নামে একটা কোম্পানী প্রতিঠিত হইয়া ছিল। কিন্তু তাহা টিকে নাই । অনেকের ক্ষতি হইয়াছিল। ১৮৭৫ খষ্টাব পধ্যন্ত এই ফণ্ডে বিদ্যাসাগর মহাশঘ্ের সংত্রবস্থিল। তাহার মতে “ফণ্ড প্রতিষ্ঠিত হইবার পর তিন বত্মর “ফণ্ডের? কার্ধ্য হুশুঙ্খশায় চলিয়াছিল। ১২৮২ সালের ২৩ই পৌষ ব! ১৮৭৫ হৃষ্টাজের ২৭শে ভিসেম্বর তিনি ডিরেইর- দিকে ফণ্ডের সংঅবত্যাণ্ধের কল্পে পত্র লিখেন। ১২৮২ সালের ১৯শে পৌয বা ১৮৭৬ বষ্টাব্বের ২র! জানুয়ারিতে একটী বিশেষ ঘভাষ় ডাইরেইরেরা তাহার সংঅব ত্যাগ্ধের কারণ জানিতে ইচ্ছ। প্রকাশ করেন। ১২৮২ সালের ১*ই ফাল্গুন ব। ১২৭৬ সালের ২১শে ফেব্রুয়ারি বিদ্যাসাগর মহাশ্যস এক খানি দীর্ঘ পত্র লিখিয়া, সংশ্রবত্যাণ্ধের কারথ বিদিত করেন। এই পত্র মুদ্রিত হইয্াছিল। পত্র খানি “ফুলিস্কেপ" কাগজের প্রায় ২০২২ পৃষ্ঠ। হইবে। পত্রের ভাষা তেজস্িশী। সংশ্রবত্যাগের কারণ যুক্তিপুর্ণ। পত্র পড়িলে এই বুঝা যায়,_ তাৎকাপিক সেক্রেটরী ও তত্দলাক্রাস্ত কয়েকটী ভাইরে- টরের একাধিপত্যে ফণ্ডের কাধ্য বিশৃঙ্খল হইতেছে ভাবিয়া, বিদ্যাসাগর মহাশয় ফণ্ডের ংশ্রব পরিত্য।গ করিয়াছিলেন । ৫৫২ বিদ্যাস।গর। বাঙ্গালী পঁঁচ জনে একত্র কাজ করিতে পারে না বলিয়া, বিদ্যাসাগর মহাশয় সিদ্ধাত্ত করিফাছিলেন। ফণ্ডের বিশ্প্থল- তার উল্লেখে তিনি স্পষ্টই এ কথা বলিয়াছিলেন। এই বিশ্বামে তিনি প্রথমে এ ফণ্ডের কাধ্যে ষোগ দিতে চাহেন নাই। পরে একান্ত অন্ুরোধপরতুস্ত্র হইয়া তিনি ফণ্ডের কাধ্যে হস্তক্ষেপ করেম। ফণ্ডের কার্ধ্যে "সবস্থইবারগণ” উদ্দাসীন ছিলেন, ইহাই বিদ্যাসাগর মহাশয়ের ধারণা হুইয়াছিল। ডাইরেক্টওদিগের সম্বন্ধে এই অনুযোগ হয় যে, গ্কাহারা ফণ্ডের নিম মানেন লা পরজ্ধ ফণ্ডের মঙ্গলসাধন পক্ষে তাহাদের মনোযোগ ছিল ন.। ডইরেক্টর ও সবস্ধাইবার জন্বন্ধে এই অন্থুযোগের বথা ফণ্ডের রিপোর্টে লিখিত আছে। * | সেক্রেটরী ও তৎ্দলাক্রাস্ত ডাইবে্ক্টারধিগের একাধিপত্য কিন্নপ হইয়াছিল, তাহার প্রমাণ হুরূপ বিদ্যাসাগর মহাশয়, সেই সুদীর্ঘ পত্রে ছতি বিন্তুতভাবে অনেক বথায়ই অবতারণা করিয়াছিলেন। হিসাব-নিকাশ না ; ফঞ্ডের নিয়মপরিবর্তন আবশ্তক হইলেও তাহ করা হয় নাই; সভার রিপোর্টে সভা- ক₹ক:1]01179 01275628175 6106 801)07370085 25 10 01091 0006 10 76 81311501116 ঢ0০৭ 2110. 0106 01797065 8:0810.8 ৮1১০ 1)100060%5 679. 01576৫8700৫ (106 হস168 8150. 77068190৮04 06 17:06 17067৩51501 0016 [0700 [70996910085 01 & 90018] 706911176 ০01 ৪0102011679 19 9. 101090. ঢা90031য 4১005110009) 2৪19 ৪0 09 ১০০০, 80100] 0) ১০0%য) 200 9709917 1816৭. আনুইটি ফণ্ড। ৫৫৩ গতি স্বাক্ষর না করিলে, তাহার নাম স্বাক্ষর করা হইয়াছিল; ব্যাঙ্ক হইতে টাকা বাহির করিয়া আনা হইয়াছিল; ইত্যাদি ব্যক্তিবিশেষের উপর অনেক দোষারোপ আছে। সে সব কথ। প্রকাশ করিবার প্রয়োজন নাই! তত্প্রকাশে ফলও নাই। ইহাতে আর একটা গুরুতর অভিযোগ ছিল। ডাইরেকউ্রদিগের একাভ্ত অনুরোধে বিদ্যাসাগর মহাশয় “ফণ্ডের জন্ত এক জন কেরাণী মনোনীত করিয়া নিমুক্ত করেন। এই কেরাণী অন্যত্র কাজ করিত। বিদ্যাসাগর মহাশয়, তাহাকে ছাড়াই! আনেন। পেক্রেউরী ভাইরেক্টররের সহিত কোনকূপ পরামর্শ না করিয়া, এই কেরাণীকে ছাড়াইয়া দেন। এ জন্ত বিদ্যাসাগর মহাশয়কে অত্যান্ত অপ্রস্তুত হইতে হইয়াছিল। বিদ্যাসাগর মহাশয়, ষে সব কারণ ও যুক্তি দেখাইয়া কণ্ডের জংস্রব ত্যাগ করেন) তাহা মন্ান্তিক কষ্টক্কর। এ সংশ্রবত্যা গে তিনি যেকিনূপ মন্মবেদনা পাইফ়াছিলেন, তাহ? তিনি অতি সরল ও করুণ ভাষায় ব্যক্ত করিয়াছিবেন। যে কয়েকটা কথ, লিখিয়া, তিনি পত্রের শেষ করিয়াছেন, তাহ1 এইখানে উদ্ধত করিয়। দ্বিলাম,_- “এরই ফণ্ডের সংস্থাপন ও উন্নতি সম্পাদনবিষয়্ে আমি যথাপাধ্য চেষ্টা, যত্ত ও পঠ্শ্রম করিয়াছি। উত্তবকালে আপনাদের ফললভোগের প্রত্যাশ! আছে; আমিনে প্রত্যাশা রাখি ন। যেব্যক্তি যে দেশে জন্মগ্রহণ করে, নে গেশেত হিভলাধনে নাধ্যাহৃসারে মচেষ্ট ও যতুবান হওয়া, তাহার পরম ধশ্ব ও তাহার জীবনের লর্বপ্রধান কর্ম; কেবল এই বিবেচনায় আমি, ৪৭ ৫৫৪ বিদ্যানাগর | তাদৃশী চেষ্টা, ফু ও পরিআ্ করিক্সাছি, এততিন্ন এ বিষয়ে আমার আয কিছুমাত্র স্বার্থলন্বদ্ধ ছিল ন1। বলিলে আপনার! বিশ্বা করিবেন কি না জানি না; কিন্তু মা বলিকাও ক্ষান্ত থাকিতে পারিতেছি না, এই ফতের উপর, আপনাদ্দিগের নকলকার অপেক্ষ1, আমার অধিক মারা । আমায়, নেই মারা কাটাইয়া, ফণডের সংক্ব ত্যাগ করিতে হইতেছে, নে জন্য আষার অন্তঃকরণে কত কষ্ট হইতেছে, তাঁহ। আমার অস্তরাআই জানেন। যাহাদের হস্তে আপনার! কার্ধ্যভার অর্পণ করিয়াছেন, তাহার! নরল পথে চলেন না, এবং আপনারাও কোদ বিষয়ে কিছুমাত্র অনুসন্ধান করিয়! দেখেন না| এমন স্থহো, এ বিষয়ে লিপ্ত থাকিলে, উত্তরকাচল কলক্কভাগয হইতে ও ধর্বদ্বরে অপরাধী হইতে হইবে; কেবল এই ভয়ে, দিতাস্ত নিরুপায় হইয়], নিতান্ত ছঃখিত মনে, নিতান্ত অনিচ্ছা পূর্বক, আমার এ সং্রব ত্যাগ করিতে হইতেছে। “রা জাঙ্গুয়ারির বিশেষ সভায় আপনার! ইচ্ছ। প্রকাশ ও অন্থু- রোধ করিয়াছেন, আমি পুনরায় এই ফণডের নংঅবে থাকি? কিন্তু আাপদাদের অনুরোধ রক্ষা কর1 আমার পক্ষে বড় ঝঠিন হইয়। উঠিয়া, ফণডের নবস্কইবার হইবার জাতঞ্রায়ে, অনেকে আমায় পরামর্শ জিজ্ঞান! করিতে আইসেন। €ে লময়ে আমার [বধম নম্বটে পড়িতে হয়। ফণ্ডের যেরূপ কাণ্ড দেখিতেছি, তাহাতে আমার বিষেচনার়, কাহাকেও সবস্কাইবার হইতে পরামর্শ দেওয়া যারপরনাই অন্তরায় করা) আর, কাহাকেও সবস্কাইবার হইতে নিষেধ করাও যারপরনাই আস্ায় কর) কাতণ উত্তরকালে বিশ্ৃড্খল1 ঘটিবার নম্বাবন| জানিয়া, কাহাকেও সংগ্াই- বার হইতে পরাদর্শ দিলে, ভাহাকে প্রতারণা কর! হয়; সবন্কাইবার হইতে নিষেধ করিলে, ফণডের প্রতিকূলাচরণ কর] হয়। জ্ঞানপুর্বক কাহা- কেও প্রতারণ! কর1, জার, কোন বিষয়ে [লপ্ত থাকিয়া! কোন অংশে & বিষয়ে প্রতিকূল আচরণ করা, এ উভয়ই অত্যন গঠিত কর্প। অতঃপর আনুইটি ফণ্ড। ৫৫৫ ধণডের সংতরধে থাকিতে গেলে, হয় প্রথম, নয় দ্বিতীয়, গহিত কর্ম ন! কণিলে, কোনমতে চলিবে না। এই উভয় শক্ষটে পড়িয়া, আমি আপনাদের অন্থরোধ রক্ষায় নক্ষম হইতেছি না) নে জন্ত আমায় ক্ষমা করিবেন। বিষেচন!| করিয়! দেখিঙ্গে, আমি অতি নাষাশ্য ব্যক্তি; তথাপি আপনার! জামার উপর এত দুর বিখান করিয়া, গুরুতর তার অর্পণ করিয়াছিলেন ; এজন আপনাদের দিকট অফপট হৃদয়ে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করিতেছি। এ গুরুতর ভার বহন করিয়া, যন্ত দিন এই ফণ্ডের সংমধে ছিলাম, নেই সময় মধ্যে জঅবস্টই আমি অনেক দোষে দোষী হইয়াছি? দয়। করিয়।, আপনারা খামার নকল দোষের মার্জন] করিবেন | যতদিন আপনাদের টষ্টি ছিলাম, নংশ্যাহনারে ফের হিতচেষ্ট। করিম্াছি; জ্ঞানপূর্বাক বা ইচ্ছাণূর্ধক কধ (ও সে বিষয়ে অযতু, উপেক্ষা! বা অমদোধষোগ করি মাই। এক্ষণে আপনার] প্রনন্ন হইয়া, বিদার দেন, প্রহ্থান করি। কলিকাতা, | ভবদীয়স্ত ১০ই ফাতন, ১২৮২ নাল। শঈখরচন্ত্র শশ্মণঃ। অতঃপর ফণ্ডের সহিত বিদ্যাসাগর মহাশয়ের আর কোন সংত্রবছ্থিল না। অনারেবল রমেশচন্ত্র মিত্র ও রাজ যতীন" মোহন ঠাকুর ইহার পর ফণ্ডের সংঅ্ব ত্যাগ করেন। ফণ্ডের কর্তৃপক্ষদ্দিগকে সরকার বাহাহ্রের আশ্রর লইতে হইয়াছিল । বিদ্যাসাগরের সংশ্রবত্যাগে ফণ্ডের অস্তিত্ব লোপ পায় নাই। অধুন। ফণ্ডের কাধ্য হুচারুরূপে চলিতেছে । বিদ্যাপাগর মহাশয়, বড়ই উৎসাহে, যোল-আন প্রাণ খুলিয়া, আহুইটি ফণ্ডের প্রতিষ্ঠায় উদ্যোনী হইয়াছিলেন। ৫৫৬ বিদ্যাসাগর । প্রধান উদ্যোগী বলিয়! প্রথম গঠনবন্ধনে ইনি এই সমাজের টষ্টি বা কর্তানায়ক হইক্বানছ্থিলেন। এক বৎসর কাজ করিলেন । প্রথম ব্সর খর উতসাহ-বেগ একটু কামিল; দ্বিতীয় বর আর একটু; তৃতীম্ব বৎসরে বিদ্যাসাগরের প্রাণ এ বন্ধন আর সহিতে পারিল না। বিদ্যাসাগর বাঙ্গালী; এ যুগের কুটস্ত বাঙ্গালী। এ যুগে বান্গালী দশে যিলিয়া এক সঙ্গে থাকিতে পারে না, দশে মিলিয়া এক সঙ্গে কাজ করিতে পারে না। এখন সকলেই স্বাধীন, সকলেই হ্েচ্ছচারী; সকলেই আপন মতের অবলম্বী। দেশের লোকের এ বিষয়ে মতিগতি বিকৃত পথে যাইতেছে দেখিনা, বিদ্যাসাগর আমুইটি ফণ্ডের উপর বিপরীত দৃশ্য দেখাইবার চেষ্টা করিয়াছিলেন। কিন্ত কালপ্রভায় তীব্র তেজের নিকট ক্ষুদ্র ব্য'গর ক্ষুদ্র তেজ টিকিবে কেন? তিন বৎসরের মধ্যেই বিদ্যাসাগরকে হাল ছাড়িতে হইল। তিনি অনেকের ঘাড়ে এক সঙ্গে কাজ করিবার অনমর্থতার দোষ চাপাইয়া ফণ্ড-তরীর কাগ্ডারিগ্িরি ছাড়িয়। দিলেন। তিনি দোষ দিলেন অপরকে ; কিন্ত অপরে দোষ দেন তাহাকে । তাহারা বলেন, বিদ্যাসাগর কখনই কাহারও সঙ্গে একষোটে কাজ করিতে পারেন নাই। প্রথমে তিনি মিশিতেন বটে; কিন্তু শেষে রাখিতে পারিতেন না। বিদ্যাসাগরের বিশেষত্বই ইহার কারণ। এক্লপ বিশেষত্বে তেজব্বিতার পরিচয় সন্দেহ নাই; কিন্তু অনেক সময় ইহাতে যথেচ্ছাচার আসিয়। পড়ে। যটত্রিংশ অধ্যায়। স্বাধীন মত, জামাতার মৃত্যু, ছুহিতা-দৌহিত্র ও মেট্রপলিটনের শাখা। বিদ্যানাগর মহাশয়, কাহারও সন্তোষ বা অপভ্তোষের জন্য, কোন কথ। গোপন করিতেন না। তাহার বিবেচনায় যাহ! অন্তায় বোধ হইত, তাহা! তিনি স্পষ্ট করিয়া খুলিয়া বলিতেন। নিজেব্র অভিপ্রায় বা মত, অকপটচিত্তে না বলিলে, প্রত্য ধ্যয়- তাগী হইতে হয়, ইহাই সাহার বিশ্বাস ছিল। ফণ্ডের সংত্রব- ত্যাগ্ের পত্রে ইহার প্রষাণ। তিনি কখন আপন মত্ত স্বাধীন. ভাবে বলিতে কৃ্িত হইতেন না। অপরকে স্বাধীন ও সঙ্গত মত প্রকাশে অহঠত দেখিলে, তিনি প্রীতি লাভ করিতেন। নির্লিখিত ঘটনাটা তাহার প্রমাগ-_- এক দিন ভট্টপল্লীনিবাসী মহামহোপাধ্যায় আযুক্ত রাখাল দাস ন্যায়রত্ব, পণ্ডিতবর শ্রীগুক্ত শিবচন্ত্র সার্বভৌম, আবু মধুনুদন স্মৃতিরত্ব এবং শ্রীযুক্ত পঞ্চানন তর্করত্ব মহাশয়, বিদ্যাসাগর মহাশয়ের সহিত সাক্ষাৎ করিতে যান। তর্করত্ব মহাশয়ের তখন ছাত্রাবস্থা। তবে পাঠ-সমান্তি প্রান হইয়াছে । ভ্টপল্লীনিবামী পত্তিতগ্পের সহিত বিদ্যা" সাগর মহাশয়, অনেক কথাবার্ত। কহিলেন। শেষে একটু ধর্মের তর্ক মহম। আসিয়া পড়িল। | ৫৫৮ বিদ্যাসাগর | বিদ্যানাগর মহাশয় বলিলেন, দেখ, ধর্মকর্ম ও সব দূল- বাধা কাণ্ড; এই দেখ, মনুর একটা গ্রোক,_ ষেনান্ত পিতরে যাতা যেন যাতাঃ পিতামহাঁঃ। তেন যায়াৎ সতাং মার্গং তেন গচ্ছন্‌ ন ছুষ্যতি ॥ পিত। পিতামহ যে পথে চপিয়াছেন, সং্পথ অবলম্বন করিয়া সেই গথেই চলিবে, তাহাতে চপিলে দোষ হয না; কেন, বাপু, মখ্পখেই যি চলিবে, তবে আবার পিতা পিতামহ কেন আর ষণ্দ পিতা পিতামহের পথেই চলিতে হু, তবে আবার স্পথ কেন? ছুই পথ না বলিলে, দল রক্ষ। হয় না, এই না! পাছে অপরের, অপর জাতির সংপথে লোক যায়, দল ভারঙ্গিদ্রা যা, এই জন্যই না! মনু ঠাকুরকে এত মাথ। ঘ্বামা- হতে হইয়াছে । তাই বলি, ধন্ম কম্ম্ব ও সব দলবাধা কাণ্ড। মুক্ত পঞ্চানন তর্করত্ব মহাশয়, বিনীত ভাবে বলিলেন, আমার প্রকৃত অভিপ্রায় স্বতন্ত্র; তবে উপস্থিত ক্ষেত্রে মনু- ব্চনের যেরূপ ভাব হইলে, মহাশয় কিএ়দ্ংশে সঙ্থষ্ট হইতে পারেন, একটু যত্র করিলেই ত সে অর্থ করাধায়। বিদ্যাষাগর। কিন্্পে সে অর্থ হয় বল। তর্করত্ব। সিতাৎ মার্স" এই স্থলে শেষের অনুস্বারটা লিপিকরপ্রমাদে -ঘটিয়াছে। অনুষ্বার না হইয়া বিজর্গ হইলে এই গ্লোকের অন্যপ্ধপ অর্থ হইতে পারে। অর্থাৎ পিত। পিতা" মহের অবলম্থিত পথে চলিবে। ইহাই সাধুগণের পন্থা । বিদ্যাসাগর ন্তায়রত্ব, এই হেলেটা ত ভাল দেধিতেছি। জাগায়ের বৃত্যু। ৫৫৪ গ্ায়রড্ব মহাশর প্রভৃতি, তর্করত্ব মহাশয়ের বিশেষ প্রশংস! করিলেন। পরিশেষে বিদ্যাসাগর মহাশয় বলিলেন, এত ঘে প্রশংস। করিতেছ, ইহার পরিণাম ত ভিক্ষাবৃত্তি ! ্ায় পড়ি" মাছে, অন্ত দর্শন পড়িয়াছে, বেশ করিয়াছে, এখন বাড়ীতে বলিয়া উপবাস করিবে, তার আর ভাবন। কি? ১২৭৯ সালের ২৩শে মাধ বা ১৮৭৩ হুষ্টাবের ৪ঠ। ফেব্রুয়ারি, ৬বারাণদা ধামে, বিদ্যালাগর মৃহাশফের জ্যে্ঠ জামাত! গোপাধচন্্ মঘঞপতি, ওশাউঠ। রোগে প্রাণত্যাগ কথেন। ইনি বিদ্যানাগর মহাপঘ্বের ভাগিনেম্স শ্রীণুক্ত বেশীমাধব মুখোপাধ্যার্রের সহিত ক।শী ণিয়্াছিলেন। ইতিপুর্বে ইহার ্বাঙ্থ্য ভঙ্গ হইয়াছিল। জাগাতার মৃত্যু-মংবাদ পাইয়া, বিদ্যা" সাগর মহ।শয়, পোক-সম্তাপে অধান হইয়া পড়েন; 1কন্ত শোককাতরা কন্তাকে স্ন্তুন। করিবার পরন্ত তিনি প।ষাণ-চাপে দাক্চ4 শোকানল চাপা রাখমাহিপেন। বিপ্যাপাগর মহাশয়, পবা জামাতা গোপাপচন্দর্ে পুত্রাধিক ভাল বাসিতেন। জামত। যেমন সু বুরুষ, হুশ্রী ও বিধান ছিলেন) তেমনই অমায়িক ও বিনয়ী ছিলেন। কবিতা-রচনাক্স তাহার শ.স্ত ও আলক্তি ছিল। বিধব। কন্তার মুখপানে তাকাইলে বিদ্যানাগঠ্ের বুক ফাটি বাইত | কন্ত। একাদশী করিতেন। তিনিও একাদশী দিন অন্নঞ্জল গ্রহণ করিতেন না। ছুই এখলার আহারও পারত্যাগ্গ করিপ্রাছিলেন। কন্তার অনুরোধে কিন্ত কিমান পরে তাহাকে এ কঠোরত| পরিত্যাগ করিতে হয়। ৫৬০ বির)ামাগর । কন্তাকে তিনি গৃহের সর্ধময়ী করিয়াছিলেন। কন্তাও কায়মনোবাক্ পিতৃ-সংসারের খ্রবৃদ্িসাধনে যত্বতী ছিলেন। ত হার কর্দমূপট্তায় এবং স্বেহস্থবজনতান্ম পরিবারবর্গের সকলেই সস্তোষ লাভ করিত। বিধবা কন্যা, বিদ্যাসাগরের গৃহে অন্নপূর্ন নূপে বিরাজমানা। তার পুত্র ছইটী, বিদ্যাসাগরের স্ষেহ- বাঞ্সপ্যে এবং করুণাশ্রয়ে প্রতিপালিত হইয়াছিলেন। পিতার আদরঘত্বে এবং পিতৃনংসারের কাধ্যানবচ্ছেদে তিনি স্বর্গীয় স্বামীর স্মৃতিসংযোগে একটাবারও অশ্রুপাতের অবসর পাই- তেন না। বিদ্যাসাগর মহাশশ্প, দৌহিত্রঙ্য়ের বিদ্যার্জনের পক্ষে কোন ক্রুট রাখেন নাই। জ্যেষ্ঠ দৌহিত্র তু হৃরেশ চত্্র সমা্পতি এবং দ্বিতীয় দৌ হিত্র শ্রীযুক্ত যতীশচন্ত্র সমাজ- পতি উভ্ই বাড়ীতে মংস্কৃত ও ইংরেজী শিক্ষা করিতেন। লে বেওরা) বিদ্যাসাগর মহাশঘ়, দুক্তিযুক্ত মনে করিতেন না। তি'ন স্ব ঠাহাদিগকে সংস্কৃত শিধাইবার ভার লইয়াছিলেন। তাহার্দিগকে তাহার অদেয় কিছুই ছিল না। তাহাদিগের পাছে কাট। ফুটলে, বিদ্যাঙাগরের বুকে বাজ বাজিত। তীহাদের মুখে পিতৃবিয়োগের ম্মৃতিজনিত কোন আক্ষেপোক্তি শুনিলে, বিদ্যাপাগর মহাশর, ষ্পরোনাস্তি ষাতন! অনুভব করিতেন। একবার দ্যেষ্ঠ দৌহিত্র, ধিলাত ঘাইবার জন্ত উদ্যোনী হন। মাতামহ ও মাতা) উভদ্দেই নিষেধ করেন। হুরেশচন্ত্র এক দিন আহার করিতে করিতে, মাকে বালয়ান্িলেন,--"“আমার বাপ থাকিলে কি, তোমার বাপকে বলিতে যাইতাম ?* বিদ্যাসাগর ুহিতা-দৌহিন্র। ৫৬১ মহাশগ, অস্তরাল হইতে এই কথা শুনিয়া, চক্ষের জলে ভাসিযা গিগ্াছিলেন। নৌছিত্রদের আহারের সময তিনি প্রত্যহ নিকটে বসিয়া থাকিতেন। কাহারও কোন সদনুষ্টান দেখিলে, তাহার আনদ্দের সীযা ধাকিত না। একবার কনিঠ দৌহত্র, পথ- পতিত এক্টী আমাশর-রোগাক্রান্ত রোগীকে তুলিঝ়া লইয়া, বাড়ীতে আনিয়াছিলেন। বিদ্যাসাগর মহাশনের আনন্দের সীমা ছিল না। দৌহিত্রের করুণীয়, তাহার করুণাআ্োত মিশিয়া, গঙ্গা-যগুনার শোত বহিয়াছিল। তিনি অয়খ রোশীর ওধধ ও পথ্যের ব্যবস্থা কারয়া দেন। বহু চৈষ্টান কিন্ত রোনী জীবন লাভ করিতে পারে নাই । জ্যেষ্ঠ হুরেশচন্দের রচনা- শক্তি তাহার বড় প্রীতিপ্র্াদ্মিনী হইয়াছিল। ইনি এধন সাহি- ত্যের ম্পাদক। তাহারা বিদ্যাসাগর মহাশষের পুত্রবৎ স্মেহের ভার্জন হইম্সাছিলেন; কিন্তু লৌকিক ব্যবহারে মাতামহের রহন্ত-ভাষেও বঞ্চিত হইতেন না। বিদ্যাসাগর যে ষড় রসের পূর্ণাধার। তিনি আপন ছুইটী দৌহিত্রের ভারত তো লইঞ্না- ছিলেন; অধিকম্ভ জামাতার মাতা, ভ্রাতা ও ভগিনী, তাহার . প্রতিপাশ্য হইয়াছিলেন। তিনি ্ঠাহাদের স্বতন্ত্র বামা করিয়া দিয়াছিকশ্লেন এবং সমগ্র ভরণপোষণেরও ভার গ্রহণ করিয়া- _ছিলেন। দারুণ শোক-তাপেও বিদ্যাসাগর মহাশয়, স্বল-কলেজের শুভানুধ্যানে এক মুহূর্ত বিরত হুইতেন না। স্কুল-কলেজের কথা মূনে হইলে, তিনি শোকতাপের সকল ঘ্তরণ। বিস্মৃত হই- ৫৩২ বিদ্যাসাগর । ডেন। শোকতপে অউভূত হইয়া, তিনি ১৮৭৪ সালে কলি- কাতা শ্ামপুকুরে মেট্রপলিটানের শাখা প্রতিঠিত করেন। মূল বিদ্যালয়ের স্তা, জল দিনে ইহারও শ্রীবৃদ্ধি ও প্রতিপত্তি হইয়াছিল । টি নপ্তত্রিংশ অধায়। গাঢুকা-বিভ্রাট। ১২৮০ জালের ১৬ই মা বা ১৮৭৪ হৃষ্টান্দের ২৮শে জানুয়ারি বিদ্যাসাগর মহাশয়, কাশীর মৃত কবি হরিশ্চন্ত্রকে কলিকাতার “মিউজিউম” (যাছুত্বর ) দ্রেখাইতে লইয়া যান। সঙ্গে রাজকৃঞ বাবুর দ্বিতীয় পুত্র শ্রযুক্ত হুরেন্্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় ছিলেন। তখন পার্কগ্রীটে যাহুত্বর ও এসিয়াটিক-সোসাইটা এক বাড়ীতেই ছিল। বলা বাহুল্য, বিদ্যাসাগর মহাশয়ের বেশ, সেই খান ধৃত, থান চাদর ও চটি জুতা । কবি হরিশ্চন্ররের * পোষাক- পরিচ্ছদ আধুনিক সভ্য-জনোচিত,-পায়ে ইংরেজি জুতা, * হরিশ্ন্্র এক জম প্রতিভাশালী হিন্দী কবি। হিঙ্গী কবিত্যশে র্ঠমানকালে তিনি অতুলমীয়। বিদ্যানাগর মহাশর, তাহার গণগ্রাহী ছিলেম। গুণগ্রাহিতার় গুখে বিদ্যানাগরের নঙ্গে হরিশঙ্্রের প্রগাঢ় মধ্য স্থাপন হইয়াছিল। হরিশ্চদ্র বিদ্যানাগরের উৎমাহে বাঙ্গাল] শিখিয়াছিরেম। ১৮৬৬ খৃষ্টাব্দে হতিন্চপ্্ জগমাঁথ ভীর্ধে যাইবার ভক্ক কলিকাতায় জামেন। সেই সময় বিদ্যাসাগর মহাশয়ের মহিত তাহার আলাপ হয়। বিদ্র্যানাগর মহাশয় তাহাকে আপনার নকল পুস্তকের অনুবাদাধিকার দিয়! রাথয়াছিজেন। বিদ্যাসাগর মহাশসের জননী যধন কাণীধামে ছিলেন, হরিঙ্চন্্র তখন তাহা: তত্বাবধাম করিতেন । এক দিন হরিঙন্ বিদ্যাসাগর মহাশয়ের জননীকে বজেন,--“বিদ্যালাগরের মায়ের হাতে ক্গপার খাড়ু।” ইহাতে বিগ্যালাগরের জননী উত্তর দেন,--“মোণ! পায় কি করে? উড়িব্যায় ছুর্ভিক্ষের নময়, এই হস্ত বীধিক্ন| মহত গংম্র লোককে থাওয়াইয়াছিল। তাহাই বিদ্যাসাগরের মায়ের হাতের শোত11” কহি হরিখন্র অকালে ১৮৮৫ বৃষ্টান্দছের জানুয়ারি মামে ৩৪ বৎ্মর ব্মসে মানবলীল] নন্বরণ ফরেছ। ৫৬৪ বিদ্যাসাগর । গায়ে চাপকান-চোগা। এবং মন্তকে পাগড়ী । গাড়ী হইতে নামিয়া) তিন জনেই যাদুঘরে প্রবেশোবখ হইলেন। দ্বারবান বিদ্যাসাগর মহাশয়কে যাইতে নিবধ করিল। হরিশ্চার পক্ষে নিষেধ রহিল না; হুরেন্দ্র বাবুগ্ড নিশ্চিতই সজ্জিত ছিলেন); কেনন] তিনিও অবাধে প্রবেশাধিকার পাঁইলেন। বিদ্যাসাগর মৃহাশয়কে অবশ্য বুঝান হইল, তাহার মত্তন এক জন উড়িয়াকে জুতা খুলিয়া রাখিয়া যাইতে হইবে। * বিদ্যামাগর মহাশয়, আর দ্বিকুক্তি না করিয়াই গ্রড়ীতে আসিয়া বঙ্গিলেন। এ সংবাদ তাৎ্কালিক “এসিয়াটিক মোসাই- টা”র আসিটান্ট সেক্েটরী ও কলিকাতার আধুনিক রেভিছার এচুক্ত প্রতাপচন্দ শ্বোষ মহাশয়ের কর্ণগোচর হইয়াছিল। তিনি মতবাদ পাইয়া, তাড়াতাড়ি আফিয়া, বিদ্যাসাগর মহা- শয়কে ভিতরে লইয়া যাইবার জন্য অনুরোধ করেন। বিদ্যা- সাগর মহাশঘ্ধ বপিলেন, আমি আর যাইতেছি না; অগ্রে কর্তীদ্িগকে পত্র লিখিয়। জানিব, এরূপ কোন নিয়ম আছে কি না; আর যদ্দি থাকে, তাহা হইলে তাহার প্রতীকার করিতে নস পি সপ * বিদ্যানাগর ষহাশর, অনেক গময় অপরিচিত জনের নিকট মতা মত্যই একজন মভ্যভব্য উড়িয়ার সম্মান লাভ করঠিতেন। তিনি এক দিন স্বয়ং হালিতে হালিতে এই গল্পটা করিয়াছিলেন,_-“আমি পটলডাক্ষার পথ দিয়া যাইতেছিলাষ 7 সেই লয় তাগাঁ-হাতে, দাঁন। গলায়, তনর-পরা. তোধ হয়, কোন বড় মাহযের নি যাইতেছিল। আমার চটি ভুতার ধূল! ভাহার গায়ে লাপিয়াছিল। মাগী বলিল,__“আ1 হু উড়ের ঠেজ দেখ।” কাহ্েল নাহেব লতা নতাই আঁহঙ্গাকে উড়ে করেছে। কানে মাহেবের নময় বাঁরানংহ গ্রাম মেদিনীপুর জেলার অন্তর্গত হয়|, | লু, ঢা, 01509100805. 17001, ১5৩৮, (0 ৮09 11050663) [701%1) 11056010, 311) [গ্যাছে 08000০85190 00 ৮86 ড9 1)2্য 01 (2 518110 300795 911390051) [ 0৯]109 020. 6119 23 0700৭] 195) 00 95 1 09 08615091088) [ 31001 800016190) 91019851 ৩০] 1686 117 ৪1005 1১0171100, ] 116 50 0100). &100690. ৮:৪৮ [0807১05000০ 80) 6%1)9519180101, 00158 1 8১11) 10 0020310010) ] ৪9 (09 08119 ড1816018) ৩০200 08৩ 97535) আও 00539 006 ০ €0 0100৮৩70861 1966, ১৫৮ 8130 0 ৫ঞচ্য 01910815053 1) (0০1 0৮ 18)১0$) 10901 096 676 801) 0- ০০০৮ 79016 10105100১00 30) 006 101050002) 1:001113 ভা] 0) 1151) 511095 01, ্ সঃ ঈঁ রঃ ্ 73581093) 11 10559108 ৪০ মা 99101 213009 ০ ৮৩ [709- 1151) [09/637, 60000 90111060100) 00019 ০ &৭1111- (60 অ1) 80095 00) ] 00010 000 00919 ০006 জায় 03730/5 01 68০ ৪00) 89603 5৪ 111১ 20. 0903 ৮ 81011 18৮ 01000) 76515068 ৯00০19. 27৮ 6 20116600, 8100) ১০০৯০১০ 0০7 119000900 60 ৩০: 010 81993, &১, ্ ্ ্ রং ্ ঈং 10955 &০, (১৫.) ] 0. ১৪11010$ ট-2-74. পাঢৃকা-বিভ্রাট। ৫৬৫ পারি ত মামিব ১ এই বলিয়া! তিনি সঙ্জিগণকে সঙ্গে লয়! ফিরিসা আসেন। অআঙ্গঃপর বিদ্যাসাগর মহাশপ্ু, মিউজিযুমের কর্তৃপক্ষকে নিলিখিত পত্র লিখিয়াছিলেন)__ ইতিয়ান মিউজিয়মের ট্গ্িত্র অনরূরি সেক্রেটনী প্রযুক্ত এইচ, এফ, ব্রযানফো্ড স্বোক়ার সমীপেষু._.. মভাশয়, আমি গভ ২৮শে জানুয়ারি এলিয়াটিক সোলাইটার লাইরেন দেখিতে মাই । আমাও পায়ে দেশী ভুত। ছিল বলিয়া), কিন্ত ভিতরে প্রবেশ করিতে পাই মাই । জুত্1নাখুজিলে *নিলাম, প্রবেশ নিষেধ । ইহার কারণ কিছু বুঝিতে পাত্বিলাম না| কতকট| মনক্মন্ম হইয়া আমি ফিরিয়া আলিলাম। ূ দেখিলাম, ঘে মব দর্শক চটি জূচাঁ পায়ে দিয়াছিল, ভাহাঁদিগকে ভুত] খুলিয়া, ভাতে করিয়া লইয়া, ফিরিতে হইতেছে। কিন্তু ইহাঁও দেখিলাম, কতিপয় পশ্চিমালোৌক দেশী জুতা পরিমাই ঘাঁছুঘরের এদিক ওদিক ফিরিতেছে। আরও দেখিলাম, সম্ভবতঃ কালীঘাটের প্রসার্ধী পুষ্পম'লা গলায় পরিয্।া যাহার! যাঁছুবরে যাইতে চাহিতেছে, তাঁহাদিগকেও ফুলের মাত! বাহিরে রাধিকা যাইতে হইভেছে। এ সি জুতা-রহস্তের কারণ আমি কিছু বুঝিতে পাঁরিতেছি নাঁ। যাঁু- ঘর ভোলাধারণের আরাম বিশ্র।মের স্থান। এখানে একধপ জুভাবিভ্র?ট দেধাবহ | যাছ্ঘর যখন মাছ্র-মেড়, কারপেট-বিছান যা কারুচিত্রিত নহে, তন এন্সপ নিষেধবিধির আঁবস্টুকতাই ব1 কি? তা ছাড়া, পায়ে ঘাহ'দ বিলাতী জুতা, কিন্তু আনিয়াছে পদব্রজে, তাহার যখন প্রবেশ করিতে পাইতেছে, ভখম ভাহাদের সান অবস্থাপন্ন লোকে, পায়ে শুদ্ধ ৪৯ ৫৬৬ বিদ্যাসাগর । দেশী জুস্তা বলিক্প! প্রতেশ করিতে পার ম1 কেন, ইহ1 আমি ঠিক করিতে পারিত্তেছি ন1। অবস্থা ধাহাদের ইহাদেরও অপেক্ষণ! উন্নত, আনেন গ্রাড়ি পানী করিরা, তাহাদিগ্েত্র উপরই খা এক্সপ নিষেধবিধি প্রবর্তিভ ৬য় কেন? পমার-প্রথ্যাতিতে নামে মানে হাইকেট নকলের (নর1। মেখানেও যখন এরপ ব্যবস্থা নাই, তখন মাধারণের আরাম ্শ্রাষের স্থানে একপ অমন্গভ নিষেধবিবি দেখিয়। আমাকে অতি বিদ্বয়াবি্ট হইতে হইয়াছে। এ কথা তুলিয়া! আপনাপিগকে কষ্ট দিতে প্রথমে আমার ইচ্ছা! হর নাই! কিন্ত পরে ভাবিলাম যে, টরিদিগের শ্রার বিশিষ্ট এবং শিক্ষিত ভদ্র লোক কত্তক এই পাছুকার ব্যবস্থা! অশ্বমোৌদিত হইয়াছে; কিন্ত ইইীরাই আপন বাটাতে অথব। জননমাজে কখনও এই অনন্ানসৃচক এবং বিরুক্তিকর প্রথার সমর্থন করিয়াছেন বলিয়া] প্রকাশ নাই; সুতরাং এ কথা তাহাদের কর্গগোচর না করিলে, তাহাদের প্রতি অবিচার কর1 হইবে । অতঞ আমার অন্রোধ, এ বিষরের মীষাংনা! জন্য আপমি পত্রখানি অন্থগ্র করির। টষ্টিদিগকে দেখাইবেন। ৫11৭8 €(ম্বঃ) প্রদখরচন্জ্র শব্মা। সিজিয়মের কতঁপক্ষ এতৎসম্বন্ধে নিযলিখিত পত্র মোসাইটার কতৃপক্ষকে লিখেন,-- এসির়াটিক সোসাইটির অবৈতনিক মম্পাদক মহাশর নমীপেষু-_ কলিকাত?, ২৬শে মার্চ, ১৮৭৪ থুঃ। মহাশয়! ১৮৭৪ থুষ্টান্দে ২৮শে জানুক্জারি তারিধে এক জন দেশীর সন্তান্ত ভপ্ন লোক এনিয়াটিক লোসাইটী নংলগ পুস্তকাগারে প্রবেশ কালীদ পাঢুকা-বিভ্রাট । ৫৭ ধহিদেশে পাছক1! পরিত্যাগ করিক্। যাইতে ম্বাদি্ট হইয়াছিলেদ। তৎমংক্রান্ত পত্রগুলি উদ্ত সোদাইটার অধ্যক্ষমভাত বিচারার্ধ প্রেরিত হইল । আপানার বশম্বদ ভৃত্য (শ্বাঃ) হেন্রি এক ব্যানফোড, ইয়ান ফিউজিয়াষের ট্রিগণের ছবৈভনিক সম্পাদক । মিউজ্িয়মের কর্তৃপক্ষ, বিদ্যাসাগর মহাশছ্ুকে নিরলিখিত পত্র লিখেন, কলিকাতা, ২৩শে মার্চ, ১৮৭৪ খুং। ইদুক্ত ঈশ্বরচন্দ্র শর্মা মহাশয় সমীপেঘু_ মহাশম় ! আপনি গত €ই ফেব্রুয়ারি ভ্বারিধে শিউগ্জিয়াম গ্রবেখকাতীন জাতীয় গ্রধাহৃলারে বহির্দেশে পাছুক1 পরিত্যাগ বিষয়ে আপনার অনন্তেোষ প্রকাশ করিয়। যে পত্রথানি প্রেরণ করিয়াছেন, গ্কাহ1 উক্ত মিউজিয়ামের ট্রষ্টি গণের গোচরার্৫থ অর্পণ করিয়াছি এবং প্রতুত্তরে আপনাকে অবগত করিতে জাদিট হইয়াছে যে, ট্রগ্িগণ উক্ত প্রথ1 সন্বদ্ধে কোন প্রকার আদেশ প্রচার করেন নাই বা] এ বিষয়ে ষতামত প্রকাশ করিবার কোন কারণ উপস্থিত হয় মাই। আপনার ব্যক্কিগত আবেদন নম্বন্ধে আমাব্র বক্তবা এই যে, উত্ত মিউক্রিয়াম, এনিয়াটিক নোনাইটীর অট্রালিকার মধ্যে আংশিকভাবে অন্তভুক্ত। নোনাইটার পরিচারকবর্গ মিউজিয়ামের ট গ্রিগণের আজ্ঞাবীল মহে। যে নমত্ত ভূত্যের বিরুদ্ধে আপনি অভিযোগ আনয়ন করিয়াছেন, তাহার1 মিউজিয়াম ব। সোনাইটী নংক্রান্ত কিন। ভাহ1 আপনার পরে প্রকাশিত নাই। যাহা হউক, আপনি যধন উল্লেধ করিতেছেন যে, ৫৬৮ বিদ্যাসাগর । নোনাইটার পুন্তকাঁগারে যাইবার পথে অট্ালিকাঁয় প্রতেশকালীন উজ ঘটন] ঘটিয়াছে, আপনার পত্রখানি উক্ত দোনাইটার অধ্যক্ষসভার অব. গতির জন্য প্রেরিত হইয্রাছে। আপনার বশহ্গদ ভৃত্য (ম্বাঃ) হেনুরি এফ র্যানকো ৩ অবৈত্তনিক মম্পাদক। পত্র লেখালিখি অনেক হইয়াছিল; কিন্ত বিদ্যাসাগর মহা- শম়ের কথ] রক্ষা হয় নাই । বিদ্যাসাগর মহাশয়, আর কখন সোসাইটা বা মিউজি£মে মান নাই । এততসম্বদ্ধে তিক'লে হিন্দ-পেটরিজুটে এইনপ লেখা হইয়াছিল,_-“বিদ্যালাগর মহাশর, গহে আসিয়া মিউজিয়মের তত্তাব্ধায়দিগ্রকে নরমভাবে একখানি পত্র লিখিয়া জানিতে চাহিলেন, মিউজিয়মের অধ্যক্ষগণ দেশী ভ্হাপয়েদিয়া প্রবেশ করিতে নিষেধ-স্চক কোন আদেশ করিয়াছেন কি না; আর বুঝাইয়া বলা হইল যে, এক্প নিষেধ থাকিলে মান্ত গণ্য দেশীয় ভদ্র পোক অথবা থে সব ব্রাহ্গণ পণ্ডিত দেশী চটি জুতা পায়ে দেন, তাহারা আর সোসাইটীতে যাইতে চাহিবেন না। সোসা- ইঠ্টীর কারধ্য-নির্ধাহক সভাকে এই মর্মে স্বতন্ত্র পত্র লেখা হয়। মিউজিয়মের অধ্যক্ষ প্রত্যুন্তরে বলেন যে, এরূপ হুকুম দেওয়া হয় নাই; বিদ্যাসাগর মহাশত্র ফিরিয়া গিয়াছেন বলিয়| কিন্ত তাহার জন্ত একটু ছুঃধপ্রকাশও করা .হইল না; দ্বারবানৃকে দোষী করাও হইল না) আর ভবিষ্যতে তাহাকে এরূপ করিতে বারণ করা হইবে, তাহাও বল! হইল না। সোসাইটীর অধ্যক্ষ" পাুকা-বিভ্রাট। ৫৬৯ ভা বিদ্যাসাগর মহাশয়কে একটু টিটকারী দিয়া বলেন যে, দেশীয় লোকে দেশী আচার ব্যবহার ভাল জানেন। পাঠক অবশ্য বুঝিবেন যে, মিউজিক়মের অধ্যক্ষ, আর সোসাইটার অধ্যক্ষ সভ। স্বতন্ত্র জিনিল। ছুই পক্ষের পত্রাপত্রি চলিতে লাগিল। সোমাইটীত কাধ্য-নির্বাহক সভাকে বুঝাইয়া! বলা হয়,"দেশীয় আচার জুতা খোলা বটে, কিন্ত সে কোথা? যেখানে চেমারে বিবার ব্যবস্থা সেখানে জুতা খুশিতে হয় না; যখন ফরাস বিছনায় ধপিতে হয়, তখনই জুতা খুশিতে হয়। ০ সম্মান দেখাইবার জন্য জনতা খোলা ভীক্বালীর নিফম নহে। এই জন্বন্ধে ইৎলিসম্যান এই ভাবে বলিয়াছিজেন,--. “বিদ্যাসানরের মতন এক জন পণ্ডিতের প্রতি যখন এইন্ধপ ব্যবহার, তখন এসিকলাটিক দোমাইটীতে আর কোন পণ্ডিত যাইতে চাহিবেন না” সোসাইটার জুতাবিভ্রাটের সত্র ধরিগাত ১২৮১ সালের ২৬শে আষাট বা ১৮৭৪ যৃক্টান্দেত ১২ই জুলাই তাতিবের "সাধারশীগতে "তালতলার চটি” শীক, নিরলিখিত শ্লেষী লিখিত হইয়াছিল, “রে তালশুলজার চটি, ইংরাজেত আমলে কেবল ভোএই অনৃষ্ট ফিরিল না! ইংরাজ, বটবিটপীর মহিত লাফোটক শমান করিয়া তুলিয়াছেম, কেবল বুট, চটিব গৌরব এক করিতে পারিলেম ন1। ইংরাঁজ, মহারাজ সভীশচঙ্জ বাহাছরের সহিত মধু যুচীকে এক কাণ ফে ডা কাগভে শীবি- জেন, কেবল, রে চটি] তোর ছ্ুরদৃক্রমে, বুট 5টি, একভাবে দেখিতে ৫৭০ বিদ্যাসাগর । পারিলেন ন1। ইংরাজ, বিচারকাধোর লাহাযা জন্য সাক্ষী ডাকিয়! আনেন, জানিস, তিন ক্ষেপার স্থানে ধর সার্বঘভৌমকে দাড় করান, আবার সাব্বভৌমের হানে গুলজার মণ্ডলকে উঠাইয়! দেন, ইংরাজের চক্ষে উচ্চ নীচ নাই, কেবল রে তর্শ-চটি! তোরই প্রতি তাহাদের লমবৃষ্ট হইল ন1। ইংরাঁজ বাহাছ্ন বন্ত্র-পরিক্ষারকক্ষে অন্ত্রচিকিতপক করিয়াছেন, মলজীবায় পুত্রকে মসীজীবী করিয়াছেন, ধীবর মংলজীবীকে, ধীমান বিচারপতির কার্ধ্যে নিযুক্ত করিয়াছেন, পীঃবক্স থাকে রায় বাহাছুর করিয়াছেন, কিন্তু হতভাগ! তালতলার চটি, এত উন্নতিতেও তোর কিছুমাত্র উন্নতি হইল ন1। চটি তুই আপনার কন্মদোষে আপনি মার! গেলি! এমম লামাজিক জোয়ান তাই তুই ঠেলিয় উঠিতে পারিলি ন1! তুই আপনার কর্মদোষে মার! গেলি; এ কথা কেন বলি? তবে শোন্‌ £_মহামনি রবরায়, আমাৰ মেকলে, আচার্ধ্যবর ডাক্তার ডক, পাদরি মনক্রিক, উড, শেষ ধাশত্তি- নম্পন্ন তি বদান্ত জারজ কাব্ছেল প্রভৃতি মহাতা! লোক অপেক্ষ1স্কটল্যাণ্ড' বালী নাধারণ লোক যত নী5; জাবার নেই নাধারণ স্বটপরশীয় হইতে ইংজতীয়ের1 তত নীচ। দেই ইংলখীয় জপেক্ষা! ইট[লীয়ের1 আবার মেই পরিমাণে নীচ; ইটালীর হইতে হিন্দুধাত্রেই ততোবিষ্ক নীচ, নেই হিন্দু অপকৃষ্ট বাঙ্গালি, যে নীচগ্য মীচ, তুই ন! ইংবাজের মন্তক থাকিতে, স্কটলখীয়ের বিশাল বক্ষঃ থাকিতে, ইটালীয়ের হুন্দর দেহ থাকিছে, এভ জাতর এত অবয়ব থাকিতে, তুই কিন1 চচি নেই নীচস্ত নীচ বাঙ্গ'- লির পদতলে আশ্রয় গ্রহণ করিলি? €তার ঈধা হইবে, ভাহাতে আর মন্দে কি? তাহাতেই ফলি, চটি তুই আপনি আপনার কর্শদোষে মারা গেলি! তোকে যে নকল মহৎ স্থান দেখাইর়। দিলাম, যদি এত দিন সেই নকল স্থানে বিশ্রামের উদ্যোগ করিতিনূ, তাহা হইজে এত দিন তোর শৌরষ, তোর গণ সাড়ে রিখিউ পাঢুকা-বিভ্রাট | | ৫৭১ ংহিভ1 পর্য্যন্ত ব্যাখ্াত হইত। মেইবশ উন্মতির উদ্যোগ করণ দুরে থাকুক, তুই কিন! নেই নীঠস্য নীচ বাঙ্গালি জাতির মধ্যে ষেকুনন্তান ঈশব্রচন্্র বিদ্যানাগর, ভাহারই ফাট। পায়ের আশ্রন্ন লইয়!, মহামন্ত্রপুত ইংরাজের যাছুগৃহে প্রবেশ লাভ করিতে ইচ্ছ! করিস্‌ ! তালতলাক্স সস্ভুতায় এতদূর স্পর্দ/! শোচিকালরের শিভৃতার্ প্রদেশে ঘদি ক্রমাগত দশ হাজার বৎন্র উপধু[পরি থাকিয়া লর্ভ মেকলের তপস্ক। করিতে পারিস, করিয়া, লালবাজাব্রে জন্মগ্রহণ করত পেন্টলনধারী কোন কেহাণীতর পদধূণি দর্ধাঙ্গে ধারণ করিতে পারিস্‌, ঘবে এনসপ স্থানে আনিতে আকাওয। করিদ্‌। তোর এ জন্মে, এ চশ্মচটি-জন্মে, কুমজ্তান [বদ্যানাগরের বলে তৃই এ স্থানে প্রবেশ করিতে পানিবি ন। যোধ হয়, তুই ঝখন মহধি ভার্ধিনের তঙ্রণাস্্র পাঠ করিস্‌ নাই--মেটকাফ ভবনে বাইতে পানিবি না, নে তন্ত্র দেখিতে পাইব কোথ। হইতে? যদি ঘোর ভার্বিশ- তন্্র পড়া থাকিত, তবুঝিতে পারিতিষ্‌। পাক স্ট্রটের মন্দির রাজপুক্ষগণের পিতৃপুরুষপিগের সমাধি-শাজ]। ইহাতে ভাহাদের পিতৃপুজষগণের, জরাতৃবরের, কুটুন্বলজ্জনের পহ্ত্ি অঞ্িনধ্ত থাকে । ইহার জন্ত পুজারি, পুরোহিত, পারস্বরূক, প্রয়াজক . প্রভৃতি কশ্মচারী নিযুক্ত আছে? ইহার জন্য বিপুষ অর্থব্যয়ে নৃতন নমাজ- মান্দর গ্াঠত হইতেছে, তাই কল।ক্কনী, তালতল। সম্ভু তা, অপকৃষ্ট জুতা, বিদ্যানাগর পদাশ্রিতা, তোর কেন এস্পন্ধ1। 1!!! দৃরীতব | _.. চটির বড় লাঞ্থনা। বিদ্যাস।গর মহাশগ্ের পুত্রোপম প্রিয্র- পাত্র ডাক্তা্ন শ্ীদুক্ত অমুল্যচরণ বস্তু মহাশয়ের মুখে এ সম্বন্ধে নিম্নলিখিত আর একটা গল্প শুশিয়াছি,- পূর্ব্বে ঘহু-বিবাহের আবেদনপত্রে স্বাক্ষর করাইবার জন্য, বিদ্যাসাগর মহাশয়কে বর্ধমা।নর রাজবাটাতে যাইতে হইয়াছিল । রাজ-দরধারের ৫৭২ বিদ্যামাগর | দ্বাররক্ষক, তাহাকে চটি জুতা খুলিম্না রাখিয়া যাইডে বলে। বিদ্যাসাগর মহাশয়, ভুত] থুলিয়াই, দরবারে প্রবেশ করেন। বলা যাহ, মহারাজ, তাহাকে মাদর-মস্তাষণে শাপ্যায়িত করিয়াছিলেন। রাজার নিকট বিদ্যালাগরের এত মলাদরলন্মান দেখিয়|, দ্বার-রক্ষক আশ্তর্যযাদ্বিত হইয়াছিল। সে আন্ান্ত কর্মচারীকে জিন্ঞানা করিয়! জানিতে পারে, ধাহার এত আন্মান, ভিনি ন্বরং বিদ্যানাগর। কার্যান্তে বন্ধমানরাজ, বিদ্যাদাগর মহাশয়কে বিদায় দিবার জন্য দ্বারদেশ পর্যান্ত আলিয়াছিলেন। বাজ] বাচাহুর, ধিদায় দিয়া যেমন কিরিবেদ, অমনই তবাত্র-রক্ষক করঘোড়ে বিদ্যানাগত্র মভাশর়কে বণিল,-"আঁমি চিনিতে পারি নাই, ক্ষমা করুন|" বিশ্যানাগর মহাশয় বলিলেন,"তোষাঁর দোষ কি? তোমার মনিষের যেষদ হুকুম, তেমনই করিয়া |" রাজা এ কথা শুনিতে পাইয্লাছিলেন। বিদ্যামাগন্র মহাশয় চলিয়া আানিলে পর, তিনি দ্বার-রক্ষককে ভঙমম! করিয়া, ভাডাইয়। দেন! দ্বার-রক্ষক অন্তত কর্শচাতীর পরামরর্মতে বিদযালাগর মহাশয়ের শণাপন হয় । বিদ্যা্গাগার মহাশয়, ইহাতে অতানত ্র্ধ হইঘ়াছিলেন। তিনি তখনই দ্বার-ক্ষকে পুনতায় কাধে নিও করিবার জস্ত অমতোধ করিয়া, বাজা-বাহাছুরকে একথানি লঃম-গরম পত্ লিখেন রাজা-বাহাছুর পভ পাইয়া, দ্বার-ওক্ষককে পুনায় কাধ নিযুক্ত করেল। লাগাম পেপে রগ পায়ো বেক অইত্রিংশ অব্যায়। কলেজ-প্রতিষ্ট!, মসীঘুদ্ধ, দৈনিক্ষের মত) আগু-হ্বাস, স।ওতালের সহানগুহুতি, রহস্ত-রস ও অনারেব্ল দ্বারকানাথ । ১২৭১ সালের ১১ই বৈশাধ বা ১৩০3 খষ্টান্দের ২২শে এপ্রেল েট্রপলিউন ইন টউননে বিএ ক্লাস পথ্যন্ত খুলিবার জন্য, তাৎকালিক বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিষ্টার এইচ, স্মিথ মাহেবকে আবেদন করা হইয়াছিল। সে আবেদনে রাজা প্রত'পচন্ মিংহ, হরচন্দ ঘোষ ও বিদ্যামাগর মহাশয়ের স্বাক্ষর গ্িল। ইহারা তখন মানেজার ছিলেন। ফাষ্ট আর্ট ক্লাস খুলিবার কোন ক্রট ছিল না। এই ক্লাসে ৩৯টা ছাত্র ভর্তি হইয়াছিল। শীত আনন্দকু্ণ বনু, হিড়ম্থলাল গোস্বামী, বিএ ও মহেশচন্ত্র চ'ট্রপাধ্যাঘু অধ্যাপক নিশক্ত হইয়াছিলেন। এ আবেদনে ফল হয় নাই। কর্তৃপক্ষের কলেজ খুলিতে অনুমতি দেন নাই। বিব্যাসাগর মহাশয় ছাড়িধার পাত্র নহেন। কলেজ খুললবার জন্ত তিনি প্রাণপণ করিয়াছিলেন। ১২৭৮ সালের ১২ই মাঘ বা ১৮৭২ বৃষ্টান্দের ২৫শে জানুয়ারি কলেজ খুলিবার জন্ত বিদ্যাসাগর, দ্বারকানাথ মিত্র ও কৃষ্ণা পাল একত্র নাম স্বাক্ষর করিয়! ত.ৎকাপিক বিশ্ব-বিদ্যালয়ের রেলিষ্টার সার্টক্লিফ সাহেবকে আবেদন করিয়াঙিপেন। ১২৭৮ সালের ১৪ই মাত ৫৪ বিদ্যাসাগর । বা ১৮৭২ হৃষ্টাব্ষের ২৫শে জানুয়ারি বিদ্যাস'গর মহাশয়, ভাইস চ্যান্সলারকে স্বয়ৎ স্বতন্ত্র এক আবেদন করেন। এ আবেদনর মর্ম এই, 'আমরা মেউ্রপজিটন বিদ্যাজয়কে বিশ্ববিগ্যালয়ের সহিত সংযুক্ত করিতে অদ্যকার নিথিকফেটটর মিকট আবেদন পাঠাইলাম। আপনা- দিগের নহায়তার আশ] মা করিলে আমি এ বর্খব করিভাষ না। গত বৎসর আপনার সহিত দেখ| করিতে পারি নাই বলিয়! জামার দরখাস্ত কর] হয় নাই। আমি জানি মা, পিথিকেটের অস্তান্ত মত্যগণ এ সমন্ধে কি মতামত প্রকাশ করিবেন; কিন্ত এই ইনগ্রিটিউসনের এক জন কার্ধনির্বাহক, সট ক্ষ, ও আটকিনৃলন লাহেবের নহিত দেখ! করিস্া- ছিজেন। শেষোক্ত মহোদয় বলিযম্াছিলেদ, যদিও এ লন্বদ্ধে তাহার অনেক জাপতি আছে, তথাপি তিনি আবেদনে লন্মন্তি প্রদান লঙ্বন্ধে বাধ) দিষেদ না| ঘর্দি পিপিকেটে সভ্য মহোদয়গণের মধ্যে এমন কথ! উঠে যে, দেশীয় অধ্যাপকগণ কর্কৃক পরিচালিত বিদ্যালয়ে পা+- কার্ধ্য তেন মুগারুন্পপে নিম্পন্ত হইবে না, ভাহা হইলে আমি বলিতে পারি, সংস্কৃত কলেজে, বি,এ পর্য্যন্ত পড়ান হইয়1 থাকে এবং তাহা শুনধ এ দেশীরদিগের দ্বার! পরিচালিত | এ কলেজেও সেই প্রকার শিক্ষককে শিক্ষাকার্ো নিযুক্ক কর] হইবে। আমাদিগের বিশ্বাস, যতু ও বিষেচনা- পূর্বক দেশী অধ্যপক লইতে পারিণে, তাহাদিগ্রের ত্বার1 সুচাক্তত্রপে কার্ধ্য চলিতে পারে। কিন্তযদি কার্য করিতে রিতে ইংরেজী শিক্ষায় ইংরেজী অধ্যাপকের প্রয়োজন বোধ হয়, ভাহা হইলে আমর1 মিশ্যয়ই এক জন ইংরেজী অধ্যাপক নিযুক্ত করিব । এ কথ| বল! বাহুল্য, বিদ্যালয়ের উদ্নত্ধিসাধমই আমাদিগের উদ্দে্ট | মে জন্য আমর] নাধামত চেষ্ট| করিব। বিদ্যালয়ের অধ্যাপকদিগের যেস্ধন কিরূপ হওয়া উচিত, বোধ করি কেহ কল্নেজ-প্রতিষ্ঠা। ৫৭৫ কেহ জানিছে ইচ্ছ1 করেল | সেট] দ্বামার বিবেচনা ম্যুক্ নিয়োভকের ভিতরে মীমাংমার কথ1। আমাদের উদ্দেশ্য, যতদূর সম্ভব, স্বল্পবায়ে ভাল তাঁল লোক নিযুক্ত করা | আমি অনেক কাল ভ্ইত্ে বিদ্যালয় পরিচালন! করি আমিতেছি। আশা করি, অধ্যাপকনির্বাঁটম ও বেতননির্ধারণ মন্ধন্ধে আমার নিজের বিবেচন1 মত কার্ধা করিতে দিবৈন। অধিক আঁ কি বলিষ, আমাদের বিধ্যানয়টাতে উচ্চ শিক্ষা) দিবার উপঘে,গী করিবার বিশেষ প্রয়োজন হইরা! পড়িক্সাছে। মধ্যবিত্ব লোকের, অধিক বেতন দিয়া, পুক্রদিগকে প্রেমিডেদ্সী কলেজে পাঠ করিতে দেওয়। অসস্তব। এদিকে তাহার! পুত্রদিগকে হিঘনবী স্কুলে পড়িতে দিতে ইচ্ছা! কটন ন|। কাজেই প্রবেশিক1 পড়াইয়াই, তাহাদিগকে পুজের শিক্ষণ দেওয়া] বন্ধ করিতে হয়। তাহাদিগের পক্ষে এই বিদ্যালয় অনেক উপকারে আমিবে। আমি, জঙ্িম দ্বারকানাধ মিত্র ওবাবু কৃক পাল--এই তিন জনে এই বিদ্যালয়ের কাখ্যশির্বাহক। আমাদিগের হাতে বিদ্যালয় পরি- চালনের উপযোগী অর্থ আছে। যদি কোন সময়ে অর্থের অনাটন ঘটে, তাহা হইলে আমর নিজের হই্‌ক্ধে মে অভাব পুরণ করিতে পশ্চাতপদ্ হইব ম11” আবেদন মগ্ডুর হইয়াছিল। এই বৎমর ফাষ্ট আট“ ক্লাস প্রতিষ্ঠিত হয়ু। আবেদন করিবার পুর্বে বিদ্যাসাগর মহাশয়, তাৎকালিক সেক্রেটারী ই, মি, বেলী ঘাহেবের সহিত সাক্ষাৎ করিয়াছিলেন। জাক্ষাতে তিনি বলেন--"আপনাদের মহিম। বুঝা ভার। আপনার! বলেন, বাঙ্গালী সকল কার্য্েই গবর্ণ- মেট্টের মুখাপেক্ষী। কিন্ত আমি আমার স্কুলে কলেজ খুলিয়। বাঙ্নাশী অধ্যাপক প্র তপালিত করিতে চাহি। ইহাতে গবর্ণ, ৫১৬ বিদ্যাসাগর । ঘেন্টের মুখাপেক্ষিতা কিছুই নাই। আপনারা কিন্ত ভাহান্টে 1 সাধিলেন। পাছে মিশনতীদের কাধ্যে ব্যাঘাত পড়ে, এই উদ্দেশ্যে আমার কার্যে ব্যাখা । মিশনরীরা উচ্চ শিক্ষার ভার লইয়া, হিন্থু সপ্তানকে আয়ন্ত করিয়াছেন। আমার কজ্জে হইলে, তাহাতে একট! ব্যান্াত খ্টিবার সম্ভাবনা । ভাই তাহারা আমার কলেজ-স্থাপন প্রস্তাবের খোর প্রতিবাদী ।” ক্দ্যাজাগর মহাশয়ের কথ। শুনিয়া, সাহেব বলিলেন।“আপনি আবার আবেদন ককুন।৮ বিদ্যাসাগর মহাশয় বলেন)--"আপনি যদি মার পক্ষসমর্থন করেন, তাহ! হইলে আমি আবেদন করিতে পারি । সাহেব বলেন, আমি একা সমর্থন করিলে কি হইবে %” বিদ্যাসাগর মহাশয় বলেন, ণতাহা। হইসেই হইবে। বিশ্ব-বিদ্যালয়ের সকল সরকারী সভ্য তো আপনার অধীন । আপনি যে পথে যাইবেন, উ'হারাও ফেই পথে যাইবেন। তাহাদের অকলকেই অনেক বিষয়ে আপনার উপর নির্ভর করিতে হুয়।” সাহেব পক্ষ সমর্থনে রাজি হন। মেট্পলিটনে কলেজ প্রতিষ্ঠিত হইলে, শিক্ষা-বিভাগের এক জন উচ্চতম সাহেব কর্মচারী বলিয়াছিলেন,-এইবার উচ্চশিক্ষার সমাধি হইল |” * বলা বাহুল্য, মেট্রপলিটনের এম, এ পর্য্যন্ত শি্ষতের নিত্য স্পপপপ * এই কথাটী হাইকোর্টের অন্ততম উক'ল গ্রযুদ্ত গেলাপচজ্ শাহী মহাশয়ের মুখে শুনিয়াছি। কলেজশ-গ্রতিষ্ঠ! ৫৭৭ কীর্তিভূশ ধত] এই গর্বিত কর্মচারীর গর্বধর্বকারিতার কৃপাধ' নিশান স্বন্ধপ দ্েদীপ্যমান রহিয়াছে। কলিকাতার স্ুকিয্বা স্্রীটে শীযুক্ষ প্যারিমোহন রাছ্জের বাড়ীর নিকট প্রথম কলেজ প্রতিষ্ঠিত হয়। ইতিপূর্বে শঙ্কর ঘোষের গ্রট হইতে, সুকিক্াসট্রাটের এক স্বতন্ত্র বাড়ীতে স্কুল উঠিয়া আদিয়াছিগ। কলেজের জগ্ত বিদ্যাসাগর মহাখ্য়কে অনেক অর্থ-ব্যক করিতে হইয়াছিল। ছাত্রপিগের বেতন তিন টাকার উদ্ধ হইল না; অথচ অধিক বেতনের অধাক্ষ চিথুক্ত করিতে হইল) হুতরাং ঘরের অর্থব্যয় ভিন্ন আর উপণয় কি? যেরূপেই হউক, কলেজের শিক্ষা তুচাকরূপে চলিতে লাগিল। এ দেশীয় ইৎরেজী শিক্ষিত ব্যক্তিরাই অধ্যাপনার ভার লইয়াছিলেন। এই সময় সংস্কৃত কলেজের "স্মৃতি-বিভাগ” লইয়া, তদানীস্তন ছোট লাট বাহাদুরের সহিত বিদ্যাসাগ্রর মহাশয়ের মসীমুদ্ধ চলিয়াছিশ। ছোট লাট বাহাছুর, ব্যয়সংক্ষেপ-সন্ষল্পে স্মৃতি- খাস্ত'ধ্যাপকের পদ উঠাইয়া দিবার ইচ্ছা করেন। এতত্ব্যতীত সাহিত্যের দুইটী ইংরেজী অধ্যাপক পদ উঠাইয়া এবং অন্যান্ত ছুই একটা কার্ধ্য তুলিয়া দিয়া, মামিক প্রায় ৬৫* টাকার ব্যয়- সংক্ষেপ করিবার জন্কল হয়। চারি দিকে একট! হুলন্ুল কাণ্ড বাধিল। তৃদল আন্দোলন উঠিল। যাহাই হউক, পরে ধার্য হয়, স্মৃতির অধ্যাপনা, অলঙ্কারের অধ্যাপক ছারা সম্পাদিত্ত হইবে। দাধারণ্যে রব উঠিল, বিদ্যাসাগর মহাশয়ের সঙ্গে ৪৯ ৫৭৮ বিদ্যাগাগর | পরামর্শ করিয়াই, এই স্থিরসিদ্ধান্ত হইয়াছে । বিদ্যাসাগর মহাশয় কিচ্চ তাহা শ্বীকার করেন নাই। এই দৃত্রেই মসীতুদ্ধ। এতহসম্বন্ধে যে পত্র লেখা-খেখি হইয়াছিল, ভাহার ভাবার্থ নিয়ে প্রকাশিত হইল। বিদ্যাসাগর মহাশয়, ছোট লাটের প্রাইকেট সেক্রেটরি লট' সন জনসন সাহেবকে প্রতিবাদ কিয়া যে পৃত্র লেখেন, তাহার মন্ত্র এই ১ “সুতি শান্ধু এগ্ত প্রকাণ্ড যে, এক জন মনুষ্য সমস্ত জীবনে তাহা পূর্ণরূপে আগ্ুত করিতে পারে না। সংস্কৃত সাহিত্যে ব্যুৎপন্ন, অথচ স্ৃত্তি ভাল জানেন, এমত লোক থাকা কিছু 'অসন্তব নহে) কিন্ত নিতান্ত বির্ুল। প্রেমিডেন্ি কলেজের এক জন সাহিত্যে অথবা গণিতের অধ্যাপককে নিজের কাজ করিয়া আইনের অধ্যাপকতা। করিতে বলিলে যেরূপ ফল হয়, ইহাতে ৪ দেইবূপ ফল হইবার সম্ভাবনা । ন্যাষরধ মহাশয়ের পাগ্ডডিত্যের উপর আমার বিশেষ শ্রন্ধা আছে) তবে একজনের উপর এত অধিক ভার দিলে আইন-শ্িক্ষাও ভাল হইবে না; অন্তান্ত শিক্ষাও ভাল হইবে না। হিন্দু-সমাজের ইচ্ছা, স্মৃতির এক জন স্বতন্ত্র অধ্যাপক থাকেন। ছোট লাট যে মতামত জানিয়া কার্ধা করিয়াছেন, ইহা তাহার বিশেষ অনুগ্রহ, সন্দেহ নাই। শোকের ইচ্ছা! যেরূপ, তাহা আমি জানি; তথাপি ছেটে ঘধন আমার মত লওয়া হইয়াছ্ছে বলিয়া লেখা হুই- কাছে, তধন দেশের লোকে মনে করিবে, আমার বুঝি রগ দৈনিকের মত। ৫০৯ জভিপ্রান্ণ; কিন আমার মত ইহার যল্পূর্ণ বিরোগ্ী; ইহা প্রকাশথাকা আবশ্যক ।” ২৫শে মে তারিধে জনসন সাহেব, এই পত্রের যে উত্তর (দন, তাহার মন্দ এ এই," «আপনার নিজের মত এপ নহে, ডাহা ঠিক কথ]। তবে অধ্যাপনা সম্বন্ধে ছোট লাটেঙ্ মত এই, অধ্যাপকের স্মৃতি- অধ্যাপনাই প্রধান কার্য হইবে; ঠান্ত অধ্যাপনা নিঘস্থ'ন অপ্িকী করিবে । পডিত মহেশতল্ক ভায়রহ্ব এই কাধ উত্তন- ফ্শে সন্গন করিছেছেন। উপস্থিত বন্দোবস্ত আপাত? ঢুলিতেছে ; পরে যদ ভান না চন, তবে নূতন বন্দোবস্ত করা যাইবে ৮ বিদ্যানাগর মহাশঘ,। ১০ই আপের হিুশ্টেরিঘুটে আপন অভিপ্রায় গ্রকাশ করিয়া, আপনার নির্দোবিভ] প্রমাণ করেন। বিদ্য সাগর মহাশঘের এইসপ ৫েক্বিতার কথ। ম্মরণ করি- স্বাই, বোধ হয়, দৈনিকসম্পাদক পিখিয়াছিলেন,-- “যে সকল উন্চপদস্থ রাজশুকুষের কাছে অন্যে মাথ। হেট করিষু। থাকেন) বিদ্যাসাগর তাহাদিগকে আপনার সমান বলি! মনে করিতেন । উক্চপদস্থ রাজপুরুষদিগের সহিত বন্ধুততুশাত সন্ভাবলন্বৰ ছিল; তিনি কোন কালেই কাহারও তোষাযোদ করেন নাই। গবর্ণর ও ক'উন্সিধের অভ্যদিগকে বিদ্যাসাগর নিজের বন্ধু বিয়া মনে করিতেন; বড় আদালতের জজব্িগ- কেও সেই ভাবে দ্েখিতেন। উচ্চপদে এমন ইংরেজ ছিলেন না। ৫৮০ বিদ্য।স|গর। খাহার কাছে বিদ্যাসাগরকে ভয়ে ভয্ে মাথা হেট করিয়া কথা কহিতে হইত।” ইহার পর শিক্ষা বিভাগে বিদ্যাসাগর মহাশয়ের পুস্তকের বিক্রয় কমিত্ব] যাওয়ায় আয়ের ভাস হইয়াছিল। বিদ্ব্যারত্ব মহাশয়, বিদ্যালাগর মহাশয়ের মুখে নিন্ন'লখিত কথা শুনিয়া ছিলেন)__ “বর্তমান ছোট লাট কাম্বেল সাহেবের মহিত আমার মনাস্ত- রের কারণ এই ষে, কলিকাতা সংস্কৃত কলেজের স্মৃতিশাস্্াধ্যাপ- কের পদ পাইবার সময় আমার সহ পরামর্শ করিয়া, আমার উপদেশের বিরুদ্ধে এঁ পদ্দ পাইবার আজ্ঞা দেন এবং প্রভাশ করেন ষে, এ বিষয় তিনি আমাদের সহ পরামর্শ করিয়া, কাধ্য করিয়াছেন; কিন্ত আমি ইহা? দ্বারা সাধারণের ক্ষতি ও নিজের অপবাদ দেখিয়া, & বিষয় প্রকাশ করায়, তাহার সহ মনান্তর হয়। এই কারণে শিক্ষা বিভাগে আমার পুস্তকের বিক্রয় কমিরা যাওয়ায় আফ্নের অনেক হ্রাস হইয়াছে ।” এই কারণে বিদ্যাসাগর মহাশয়কে কাহারও কাহারও মাষিক বন্দোবস্ত কমাইতে হয়। পরে আয় বৃদ্ধি হইলে, জুক- লেরই বন্দোবস্ত পুর্ববব হইয়াছিল । কলেজ-প্রতিষ্ঠার পর, বিদ্যাসাগর মহাশয়কে কলেজের জন্য যৎপরোনাস্তি পরিশ্রম করিতে হইত । ইহাতে তাহার ভগ্ন- শরীর আরও ভাঙ্গিয়া। পড়িল; হ্বুতরাৎ ক্রমেই অতি স্বাস্থ্য- প্র নিভৃত ছানে বাস করিবার প্রয়োজন হইল; এই সমগ্ সাওতালে সহানুভূতি । ৫৮১ িওঘরে একটা বাঙ্গাল! বিক্রদ্ার্থ প্রস্তুত ছিল। বিদ্যাসগন্ন মহাশয়, প্রথমত তাহ! ক্র করিতে চাহিম্বাছিশেন; কিন্তু তাহার মূল্য অত্যধিক বিবেচন| করিয়', তিনি তাহাতে ক্ষান্ত হন। পরে তিনি অতি সুন্দর স্বান্থ্যপ্র বন্জঙ্গলে পরিবুত কর্মু- টারের এক অতি নিভৃত স্থানে একটা বাঙ্গালা প্রস্তুত করেন। কর্মট। সাঁওতাল পর্গণার অন্তর্ভ। সওতালগণ তাহার প্রতিবেশী হইল। অদভ্য ঈ[ওতালগণ ক্রমে হাহার আত্মীয় অপেক্ষা আত্মীয্স হুইয়। দড়াইল। বিদ্যাসাগরের করুণা"মন্মু তাহার] বুঝিয়্া লইল। কেহ দাদা, কেহ বাবা, কেহ জেঠা, ইত্যান্দিকূপে সম্পর্ক পাতাইল। জীর্শ পর্ণ-কুটার ময় মতিন সগুতাল-মণ্ডপ, বিদ্যাসাগরের করুণত্রোতে হ্াবিত হইল। বিদ্যাসাগর শীতের সময় সঁওতালপধিগকে চাদর ও ক্ষন বিতরণ করিতেন ॥। বে সময়ের যে কম, সবি-হুরস-বঞ্চিত দরিদ্র মওতাল, বিদ্যাপাগরের প্রনাদে তাহার রআস্বাদনে পরিতৃপ্ত হইত। বস্ত্র নাই, বিদ্যাসাগর বস্ত্র দিতেন) অন্ন নাই, অন্ন দিতেন) যা নাই, তাই দ্বিতেন। সাঁওতাল প্রবশ পীড়াস শষ্য/গত) বিদ্যাসাগর তাহার শি্রে বপিয়া মুখে ওধধ ঢাপিয়া ধিতেন; হী করাইয়া পথ্য দ্বিতেন? উঠাইয়া বসাইযা মলমূর ত্যাগ করাইতেন) সব্বাঙ্গে হাত বুশাইজ়া দিতেন। বিদ্যাসাসর যেখানে, সেই খানেই প্রেষ ও করুণা। তিনি প্রাতঃকালে ভ্রমণে বাহির হইতেন; প্রত্যেক সগতাল. 'বন্ধুর গৃহে গৃহে ঘুরিরা বেড়াইতেষ) কাহারও নিক্কট কুমড়া, ৫৮২ বিদ্যাসাগর | কাহারও নিকট বেগুন, কাহারও নিকট শশা ইত্যাদি উপহার লইয়া, প্রকুবদনে বাঙ্গালা ফিরিয়া আঙিতেন। বাঙ্গালার প্রাঙ্গণ-ভূমি পরিচ্ছন্ন-পরিস্কৃত এবং স্বহস্ত-রোপিত নানা ফ-ফুলের বৃক্ষে পরিশোভিত ) যেন একখানি ক্ষ ননন-কানন। যখনই তিনি কর্মটাড়ে যাইতেন, তখনই হয় কন্য।, ন| হয় দৌহিত্র, না হয় অগ্ত কোন আত্মাম তাহার সঙ্গে থাকিতেন। ইচ্ছা হইলে বিদ্যাসাগর, সঁ(ওতালদিগকে নাচ,ইতেন। জন্লল-্হুদয় সাঁওতালদের মেই বর্বর-নর্তনে সারল্যের অনুপম মারুধ্য অনুভব করিয়া, বিদ্যাসাগরের ককুণ-হৃদ্যুখানি বিপুল পুনকে প্লাবিত হইফ্বা যাইত । সত্য সত্যই কম্মটাড়ে যাইয়া, ভিনি স্বগায় শান্ত উপভোগ করি- তেন। সঁ।ওতালদিগের শিক্ষার জন্ত ধিদ্যাসাগর মহাশয়, একটা বিদ্যালয় প্রতিষিত ক্রেন। বিদ্যাসাগর মৃহাশন্বের বন্ধু-বান্ধব পরিচিত ব্যক্তিগণ স্বাশ্থ্য- সম্পার্ধন মানসে অনেক সময় কর্খট ড়ে যাইতেন। বিদ্যাসাগর মহাশয়, সকলকেই সাদর সম্ভাষণার় ও আতিথ্য-অভ্যর্থনায় আপ্যাদিত করিতেন। একবার সংস্কৃত কলেজের বর্তমান প্রিন্সিপাল শীনুক্ত নীলমনি ন্যাক়ালস্কার মহাশয়, অত্যস্ত অহু্থ হইপা, কর্মটাড়ে গিয়াছিলেন। বিদ্যাসাগর মহাশয়, স্বহৃস্তে তাহার মল-মূত্রার্দি পরিষ্ষারের ভার লইয়াছিলেন। ইহাতে নীলমণি বাবু লঙ্িত হইয়াছিলেন। বিদ্যাসাগর মহাশয় বলেন,-“ইহার জন্ত লজ্জা! কি! বায়না দিয়া রাখিলাম।' রহশ্তা-রম | ৫৮৩ বপিধ়াছি ত, বিদ্যাসাগর সময্ন বুঝি্া, পাত্র বিবেচনায় সকল সমর ষবাষোগ্য রহমত করিতেন। একধার তিনি চারিটা পণ্ডিতকে লইয়া লাট-দরবারে গিয়াছিলেন। পণ্ডিতগণ দেখেন, বাঙ্গালী ব্যতীত সকলের মস্তকে উ্ষীষ। তাহার! বলেন, ইহার কারণ কি? বিদ্যাসাগর মহাশয় হাসিয়া বলেন,--"বাঙ্গালী মাতৃইমির আর কোন কাজ করিতে পারেন নাই); মাথার উষ্কীষ ত্যাগ করিয়া! মাতভূমির ভার কমাই* ফাছে।। ইহ। রহস্ত বটে; কিন্ত মর্মান্তিক । বিদ্যাসাগর মহাশয়, সঁ(ওতালদিগের সরলতা ও সত্য- প্রিরতার প্রথম পরিচয় এইরূপে প্রাপ্ত হন,"পুর্বে কর্মুটাড়ে জনশী-ঘার অটটা-আানি সরহদ্দ ছিল না। অনেকে অনেক সমঘু জমী কিনিয়া, অপরের জমী টানিয়া লইতেন। এক জন বাঙ্গালী বাবু একবার এইব্নপ একটু জমী টানিয়া লইয়া বেড়া দেন। অভিযোগ হইপ্লাছিল। অতিযোগে হাকিমের তদস্তে আমিবার কথ! ছিশ। যে দিন হাকিমের আঙসিবার কথা, মেই দিন কতকগুলি সঁ(ওতাল বাবুটার জমীতে কাজ করিতে- ছিন। বাবুটা তাহাদিগকে বলেন,--"হাকিম আজিলে তোরা বলিন্‌,বেড়ার ভিতরের জমী সব বাবুর ।” হাকিম আসিলে) স(ওতালগণ উক্তত্প কথ! বলিল। কিন্ত হাকিম ছুই একবার ভাল করিয্বা জিজ্ঞাসা করাতে, তাহার! কীদিয়া ফেপিল। তাহারা আর অত্য ন। বলিয়া থাকিতে পারিল না। বিদ্যাসাগর মহাশয়, এই ব্যাপার স্বচক্ষে দেখিঘ়্াহিলেন। সেই দিন ৫৮৪ বিদ্যামাগর | হইতেই সঁঁওতালদের প্রতি তাহার অটল প্রীতি, * তিনি এক পিন কবি হরিশ্ন্দকে বলিয়াছিলেন,_“পূর্ধে বড় মানুষ- নের সহিত আলাপ হইলে, বড় আনন্দ হইত; কিন্ত এখন তাহাদের সহিত আলাপ করিতে প্রবৃত্তি হয় না। সঁগওতালদের সছিত আলাপে আমার গীতি । তাহারা গাণি দ্রিলেও আমার তৃণ্ত। তাহার! অনত্য বটে ; কিক নরল ও সত্যবাদী ।? 1 ১২৮* জালের ১৪ই ফাল্তব বা ১৮৭৪ খৃষ্টানদের ২৫শে ফেব্রুয়ারি, হাইকোটের অন্ত তম জঙ্গ দ্বারকানাধ মিএ ইহলোক পরিত্যাগ করেন। দ্বারকানাথের মৃত্যুতে বিদ্যাসাগর মহাশয় শোকে অভিভূত হইয়াছিলেন। বিদ্যাপাগর বনু কাধ্যেই দ্বারকানাখের পরামর্শ লইতেন; দ্বারকানাথও বিদ্যাসাগরের মৃত না লইয়া, কোন কঠিন বিষয্জের সহসা মীমাৎ্না করিতেন না। উভয়েই উভগ্নে্ইই আহা ও পৃষ্টপোষক। পতিত! রমণীর বিষদ়াধিকারের মোকদ্দম| সম্বন্ধে উভঘ্নের মতভেদ- মাত্র লক্ষিত হইয়াছিল) নতুবা অন্য কোন বিষয়ে কোন মতভেদ দেখা! যায় নাই। দ্বারকানাধের মৃত্যুর পূর্বে হাই- কোর্টে উক্ত মোকদ্দম! উপস্থিত হয় । মোকদ্দমার পুর্ব্বে বিদ্যা" সাগর, মহামহোপাধ্যান্্ব শ্রীযুজ মহেশচন্্র ম্তায়রত্ব এবং ৬ভরতচন্্র শিরোমণি মহাশয়ের মত গৃহীত হন্স। বিচাধ্য টি িরিেতারিরিিলিহের যারা ততো রাত রা টি * শ্রীযুক্র আনন্দকৃষঃ বঙ্গ মহাশয়, বিদযানাগর মহাশয্জের মুখে এ কথা গুনিয়াছিলেন । : 1 হরিশ্চগ্গের মায় রাধাকৃক বাবু একথ! পিধিয় পাঠ(ইক্গাছেদ। অনারেধল জগ্টিম্‌ দারকানাথ মিত্র । অনারেবল দারকানাথ। €৮৫ এই)হিন্দু-রমণ স্বামি-বিযোগান্তে, স্বামি-পরিত্যক্ত বিষয়ের একবার উত্তরাধিকারিণী হইলে পর, যদ্যপি তাহার চরিত্র কলক্ষিত হত, তাহ। হইলে হহন্দূশাস্্রমতে পুনরাদ্ধ মে অধিকার হইতে বঞ্চিত হইবে কিনা? বিদ্যাসাগর মৃহাশয় ব্যতীত, অপর ছুই জন পণ্ডিত উপস্থিত হই বলেন, হিন্দশাস্মমতে কশক্কিত বিধবা, বিষণচ্যুত হইতে পারে। দ্বারকানাথের এই মত ছিল; কিন্ত তাহার এই মত টিকে নাই । দশ জন বিচারক এই মোকদ্দঘার বিচারভার গ্রহণ করিয়াছিলেন। ছুই জন ব্যতীত কেহই, দ্বারকানাথের পঞ্চ সমর্থন করেন নাই। পরম বন্ধু রাজকৃষ্ণ বাবু কর্তৃক ভিজ্ঞাসিত হইয়1, বিদ্যাসাগর বশিয়া- ছিলেন,_“আমি অন্তায় কিরূপে বলিব? অন্তায়ই বা শুনিবে কে? মামি অবশ্য ভ্রষ্টীচারের পক্ষপাতী নহি; কিন্ত এক জন বিষঘের অধিকারিণী হইলে, কেমন করিয়া! বলিব, আবার সে বিষয়চুতত হইবে; তাহা হইলে তে নানা কারণে পদে পদে বিষয্পচ্যুতির মোকদদমা সংঘটিত হইবে।” এ বিষযজে বিদ্যা- সাগরের দূরদর্শিতার পরিচয্ব নাই সত্য) সমগ্র হিন্দুসমাজ ইহাতে সংক্ষাভিত ) কিন্ত বিদ্যাসাগর দৃঢ় ধারণা ও প্রতীত ছিল যে, এরূপ অবস্থায় কেহ বিষয্চ্যুত হইতে পারে না। অনেকে বলেন, পতিতা-রমণীর বিষয়চ্যুতি আইনজিদ্ধ হইলে, বিদ্যাসাগরের প্রিঘ্ন বিধবাবিবাহ-ত্রতে কতকটা ব্যাঘাত ঘটিবার সত্তাবনা) দূরদর্শী বিদ্যা্গাগর ইহ] বুঝিদ্ধাই ছ্বারকানাথের বিরুদ্ধবাদী হইয়াছিলেন। কিন্তু এ কথায় বিশ্বাস করিতে পা ৫৯ বিদ্যাসাগর । সহজে আমানের প্রবৃত্তি হয় না। আমরা প্রতিশিঘুতই দেখিয়া আসিতেছি, শক্রা ক্রহৃঈীভঙ্গে মিত্রের সঙ্গেহ অস্তাষণে বা আপনার ার্ধনাধন উদ্দেশে, বিদ্যাসাগরের কখন কোনরূপ পদগ্রলন হর নাই । দ্বারজ'নাথ প্রান্সইী ব'্লতেন,_পনিদ্যাাগরই আমার উন্নততর মূল । বিদ্যাসাগর পরামর্শে ামি ৪কালতী পরীক্ষায় প্রবৃন্ত হই। তিনি সে পরামর্শ না দিলে, হয়ত আমার সে প্রবুন্তি আধো হইত না” দ্বারকানাথ বিদ্যানগর মহাশয়ের অভিন্ন-জদযু শুঙ্গন ছিলেন। তিনি বিদ্যাসাগর মহাশয়কে আন্তরিক আদ্ধা ও ভক্তি করিতেন । পানদোষ জন্য পাচ্ছে শিদ্যামাগর মহাশয়ের বিরক্কিভ'জন হঈত হয বশিশ্া, তিনি বিদ্যাসাগর মহাশক্ষের নিকট অতি নাবনানে থাকিতেন। যখন উদ্জীল, তখন উক্ষীলের বেশে, ববন জজ তখন জজের পরিচ্ছদে, বিদ্যামাগর মৃহাশত্রের বাদাম যাইঘ্া উপস্থিত হইতেন। যখন-তখন তিনি বিদ্যা" সাগরের বাসা রাত্রি যাপন করিতেন। পীরড়ত-পরিত্রাণে ধেঘন ডাজ্জার হুর্মাচরণ, জমীদার-পীডিত প্রক্জা-উদ্ধারে তেমনই দ্বারকানাথ, ব্দ্যাপাগবের অকুত্রিয সায় ছিলেন। এক সময় উদ্ধরপাড়ার জমীদার জর্কৃঞ্চ মুখোপাধ্যায় মহাশয়, বক্েত্বর কাড়িয়। লইতেছেন বলিয়া, অনেক ব্রাহ্মণ বিদ্যাসাগর মহাশয়ের শরণাপন্ন হন। বিদ্যাসাগর তাহাদের মোকদ্দমায় জাহায্য করিতেন। দ্বারকানাথ তাহার অনুরোধে বিনা পয়সায় অনেকের অনারেবল দ্বারকানাথ | ৫৯৭ মোকদম। চালাইতেন। এক দিন দ্বারকালাথ বলেন,-“পাছে আপনি মনে করেন, টাকা পাইব না বলিয়া ইহাদের মোকদমা ফেরত দিলাম, তাই আপনায় নিকট বুঝাইয়া বলিতে আসি" য্লাছি, ইহাদের কোন অত্বই নাই; যর্দি তিলমাত্র প্রম,ণ পাইতাম, তবে প্রাণপণে লড়িতাম।” দ্বারকানাথের কথাত্ব বিদ্যাসাগর মহাশয়, জিদ্বাত্ত করেন) জয়কুষ্। দোষী নহে? ঘাহার গত নাই, মে কেন জমী ভোগ করিবে বিদ্যাসাগর মহাশয় নিজে বলিয়।ছিলেন)--যনি স্বত্‌ প্রমাণ করিতে পারি” তেন, জত্রকষ্চ বাবু তাহাকে জমী ফেরৎ দিতেন» এ তত আমি পরে জানিতে পারিয়াছিলাম।” প্রর্ঠোত্তর ব্যাপারে জয়কুষ্ণ বাবুর উপর বিদ্যাসাগর মহাশয়ের শ্রদ্ধা একটু কমি! গরিছ্জাছিল) কিঞ্ক দ্বারকানাখের কথায় পুঝ্ব শ্রদ্ধা স্জীবিত হইয়া উঠে। তিনি ততই জয়কু্ণ বাবুর দাতৃহ্ব ও অসাধারণ পৃণ্যকারের প্রশংজা! কটিতেন। জয়কুফের সঙ্গে তাহার যথেষ্ট স্বনিষ্ঠতা ছিল। তিনি রাজনীতির কোন সভার সহিত সংভ্রব বাখিতেন না; কেবল জয়কৃষ্ণ ধাবুর সহিত সাক্ষাৎ করিবান্র জন্ত প্রায় ব্রিটিন্‌ ইণ্ডিস্ান সভায় ধাতায়াত করিতেন। একোনচত্বারিংশ কধ্যায়। কন্তার বিবাহ, উইল ও সাক্ষ্য-বাক্য। ১২৮২ সালের ৩*শে আষাঢ় বা ১৮৭৫ হৃষ্টাকের ১৩ই জুলাই বিদ্যাসাগর মহাশয়ের তৃতীয় কন্যার বিবাহ হয়। পাত্র যুক্ত হূর্ধ্যকুষার ছধিকারী। ইনি বি, এ, উপাধিধারী। পুত্র- বর্জনের পর বিদ্যাসাগর মহাশয়) জামাতা হৃতধ্যবুমারে পুতপ্রেম টালিয়া দিয়াছিলেন। ১৮৭৫ সালে এক উইল হয়। এই উইলে পুত্র নারাগণ বিষয় বর্জিত হন।* শাস্মানুমারে অহ্য কোন উত্তরাধিকারী বিষযু পাইবেন বলিয়া, স্থির হয়। উইলের ভাষা বিশুদ্ধ মার্ডিত বাঙ্জালা। রেজিষ্টার শ্রীযুক্ত প্রতাপচনদ ঘোষ, উইলের ভাষা দেখিয়া চমত্কত হইয়ান্িলেন। উইলের লিপি-পুণালীতেও নূৃতনত্ব পরিলক্ষিত হইয়া! থাকে। উইলে প্ঠাহার দানশীলতা! ও মুক্তপ্রণণতার পরিচয়। উইল থামি এই) * এই উইল অদৃলারে নারায়ণ বাবু প্রকৃতপক্ষে হিষয়বর্জত হইতে পারেন কি না, বিদ্যাসাগর মহাশয়ের মৃত্যুর পর, তশ্গিষাংসার্ঘ হাইকোর্টে মোকদদমা উপহিত হইয়াছিল। বিচারে সিষ্ধাস্ত হয়, মারায়ণ বাহু বিষয়- ঘধিত হইতে পারেদ ন1। তিমি এখন বিষয়াধিকারী। উইল। ৫৮৯ উত্রীহবি-- শরণমূ। ১। আমি স্বেচ্ছা প্রস্থ হইয়1 শ্বচ্ছন্দচিত্তে মামার সম্পত্তির অন্তিম বিনিয়োগ করিতেছি । এই বিনিয়োগ দ্বার! আমার কৃত পুর্বান সমস্ত বিনিয়োগ মিরন্ত হইল । ২। চৌগাছানিবাসী প্রীত কালীচরণ ঘোষ পাথরানিবাঁলী ভরীমূত ক্ষীত্রোদনাধ মিংহ আমার ভাগিলেক় পলপুরনিবাঁসী শ্রীঘুভ বেশীমাধব মুধোশাধ্ায় এই তিনি জনকে আমার এই অন্তিম বিনিক্োগপত্রের কাাদশর্ধ নিযুক্ত করিলাম তাহারা এই বিনিক্পোগপত্রের অনুষায়ী যাবতীয় কারা শির্বধাহ করিবেম। ৩। আমি অবিদামান হইপে আমার সমস্ত সম্পন্ত নিষুক্ত কার্য্য- দশরখদিগের হস্তে বাইবেক। ৪ | এক্ষণে আমার যে নকল সম্পপ্তি আছে কার্ধাদশদিগের অবগতি নিমিত্ত ত*সমুদয়ের বিবৃতি এই বিনিয্োগপত্রের নহিত গ্রধিত হইল ॥ ৫। কাধ্যদর্শার! আমার ঝণ পরিশোধ ও জামার প্রাপ্য আদাক ক্িবেন। ৩। আমার লম্পপ্থির উপস্বত্ব হইতে আমার পৌধাবর্গ ও কতকগুলি নিরুপায় জাতি কুটুন্ব আত্মীয় প্রস্থৃতির ভরণেপাধণ ও কতিপর অনুষ্ঠানের ব্যয় নির্বাহ হইরা আঁপিতেছে এই সমস্ত ব্যয় এক্ককালে রহিত করিয়! আপন জ্বাপন প্রাপ্য আঁদারে প্রত্ত্ব হইবেন আমার উন্বমর্ণের মেরূপ প্রকৃতির লোক নহেন কার্ধাদশাঁর1 তাহাদের নম্মতি লইন্সা এক্সপ ব্যবন্ করিধেন যে এই বিনিয়োগপত্রের লিখিত বৃত্তি প্রভৃতি প্রচলিভ থাকিয়া তাহাদের প্রাপ্য ক্রমে আদায় হইয়1 যার। *। এক্ষণে দে নকল ব্যক্কি আমার দিকট মাসিক বৃত্তি পাইয়া ৫০ ৫৯০ বিদ্যাসাগর ৷ থাকেন আমি অধিদ্যমান হইলে তাহাদের সকলের সেরপ বৃদ্ধি পাওয়! মশ্তব নহে । ভক্গধ্যে যাহার আমার বিষয়ের উপস্বত্ব হইতে যেরূপ মানিক বৃত্বি পাইবেন ভাহ] মিষ্বে নির্দিষ্ট হইতেছে ।-_ প্রথম শ্রেণী। পিতৃদেষ আঘুত ঠাকুরদান বন্দ্যোপাধ্যায় ৫০৯ পঞ্চাশ টাক1। মধ্যম মহোদর প্রীযুত দীনবন্ধু রত ৪০ চ্শ টাক1। তৃতীয় মভোদর মুত শহুচন্ত্র বিদ্যারুত্ু ৪০. চল্লিশ টাক1। কনিষ্ঠ মহোদত আধুত ঈশানচ্্ বন্দ্যোপাধ্যাক্স ৩০ ভ্রিশ টাক1। জোট ভগিনী শ্রীমতী মনোমোহিনী দেবী ১০ দশ টাক1। মধাম] ভগিনী ই্রীমতী দিগন্বরী দেবী ১০ দশ টাকা। কনিষ্ঠ ভগিনী ্রমতী মন্দাকিনী দেবী ১০. দশ টাক1। বনিত1 গমতী দীনময়ী দেবী ৩০ ত্রিশ টাকাঁ। জোন্ঠ! কন্যা পমতী হেমলত] দেবী ১৫ পনর টাক1। মধ্যম1 কনা] শ্রমতী কুমুদিনী দেবী ১৫ পনর টাকা। তৃত্তীর কন্যা ্মতী বিনোদিনী দেষী ১৫২ পনর টাকা। কনিষ্ঠ কন্যা! শ্রীমতী শরৎকুযারী দেবী ১৫ পনর টাকা। পুত্রবধূ শ্রমপ্তা ভবসুন্দরী দেবী ১৫২ পনর টাক1। পৌজী প্রঘতী মৃণালিনী দেখা ১৫২ পনর টাক1। জোঠ দৌহিত্র আরমান শ্বরেশচম্্র নমাজপাভ ১৫২ পনর টাক।। কনিষ্ঠ দৌহিত্র প্রীমান ষতীজ্্রনাথ নমাজপতি ১৫২ পনর টাকা। দৌহিত্রী শ্রমভী রাজনাণী দেবী ১৫২ পনর টাক1। কম্ছি ভ্রাভৃবধূ শ্রমতী এলোকাশী দেষী ১০২ দশ টাকা। শ্বাপুড়ী প্রমতী তারা- হুন্দরী দেবী ১০২ দশ টাকা । জো] কণ্ঠার শ্বাশুড়ী প্রত) স্বর্ণময়ী দেবী ১০২ দশ টাক1| জ্যেষ্ঠ কন্তার মনদ মত ক্ষেএঅরমণি দেবী ১৬ দশ টাকা । মাতৃদেবীর মাতুলকল্া! পরণতী ডমাহুন্দনী দেবী ৩২ ভিন টাক1। মাতৃদেবীর মাতুলদোঁতিআ গোপালচচ্্র চট্টোর বনিত1 ৩২: তিন টাকা। পিতৃন্বস্পুত্র ভ্রিলোচন মুখোপাধ্যাক্সের বনিত1 ৩২ ভিন টাক1। পিতৃ- দেখে পিতৃম্বসকন্ত1 ইষতী নিল্তাদিনী দেবী ৩২ তিল টাক1। বৈবাহিকী উইল। ৫৯১ ঞমভী সাদ! দেবী ৫২ পাচ টাক1। অদলষোহন তর্কালক্কারের মাতা ৮* আট টাক1। শ্রযুত্ধ মদনমোহন বন্থুর বনিতা শ্রীমতী নৃত্যকালীদালী ১৪২ দশ টাকা । ্রনৃক্ত মধুশদন ঘেধের বনিতা শ্রীমতী থাকমণি দানী ১০, দশ টাক1| বারাশতনিবানী শ্রীণুক্ত কালীকৃক্ক মিত্র ৩০২ ভ্রিশ টাক।। কালীকু্ষ ম্রিয়। গেলে ভাহার বনিত1 শ্রীমতী উমেশ- মোহিনী দাঁনী ১০২ দশ ট।ক|। ক্রীম প্রাষাপিকের বনিত। শ্রীমতী তগবতী দালী ২. টাক1। দ্বিতীয় ভ্রেনী। মাতৃস্বস্থপুত্র ঈণত নর্কেখর বন্দ্যোপাধ্যায় ১০৬ দশ টাক] | ভাগিনেরী শ্বীমভী মোক্ষ1 পেধী ৫২ পাঁচ টাক1। জোষ্ঠ|1 ভগিনীর ননদ ভ্রীমত্তা ভারামণি দেবী ৫৬ গচ টাক1। শিতৃম্থা কা! শ্রফতী মোক্ষদা দেবী ২৬ ছুই টাকা । মাতৃদেবীর মাতৃন্ব্তপুত্র হীগুত শ্টামাডরণ ঘোষাল ৫২ পাচ টাকা | মাতদেবীর মাতুজপুর তারারশ মুখোব পরিবার ৮২ আট টাকা। যাতৃদেবীর যাতৃষ্বঙপুত্র আত কালিদাস যুখো ৫৯ পাঁচ টাক1। মাতৃদেবীর পিতৃপ্বস্থপুত্র রামেশ্বর মুখোর পরিবার ৫২ পাঁচ টাক|। মাতৃদেবীর মাতুলকন্য শ্রীমতী বরদ| দেধী ২২ ছই টাকা। বারাঁশভনিবাসী নবীনকৃক্ণ মিত্রের যনিত1 শীমতী শ্ামাসুন্দ রী দালী ১৭২ দশ টাক1। মদম- মোহন তর্কালক্কারের কন্তা শ্রীমতী কুন্দম(ল। দেবী ১০২ দশ টাক1। মদন- মোহন তর্ক।লক্কারের ভগিনী জমতী বাঁমামুন্দরী দেবী ৩২ ভিন টাক1। বর্ধমানের প্যারীচাদ মিত্রের বনিত1 শ্রীমতী কামিনী দাঁলী ১০২ দশ টাকা । ৮। যদি কার্যাদর্শার! দ্বিতীয় শ্রেমীনিবিষ্ট কোন ব্যদ্ধিকে মানিক বৃত্তি দেওয়। অনাবস্ঠক বোধ করেন অর্থাত আমার দত্ত বৃত্তি না হইলেও তাহার চলিতে পারে এক্লপ দেখেন তাহ! হইলে তাহার বৃত্তি রহিভ করিতে পারিষেন। :৯। আমার দেহান্ত সয়ে আমার মধ্যম তৃতীয়| ও কনিষ্ঠ কন্তার ষে ৫৯২ বিদ্যামাগর। নকল পুত্র ও কন্ত। বিদযমান থাঁকিবেক কোম্ও কারণে তাহাদের ভরণ- পোষণ বিদ্যাভাল প্রভৃতির বার নির্বাহের অস্বিধা ঘটিলে তাহার! প্রত্যেকে ঘ্বাবিংশ বখ বরঃক্রম পর্যন্ত মাসিক ১৫২ পনর টাক] বৃত্তি পাইবেক। ১০। আমার দেহান্ত মময়ে আমার যে নকল পৌত্র ও দৌহিআর অথব1 পৌঁত্রী দৌহিত্রী বিদ্যমান থাকিবেক ভাভাদের মধ্যে কেহ অন্ধত্ব পন্গুত প্রভৃতি দোষাক্রান্ত অথব1 অচিকিৎস্য রেপপ্রস্থ হইলে আমার বিষদ্নের উপন্বহ্থ হইতে যাবজ্জীবন মাদিক ১০২ দশ টাকা ব্ুত্তি পাইবেক। ১১। যদি আমার মধামা অথবা কনিষ্1 ভশিনীর কোনও পুত্র উপা- অর্ঘনক্ষম হইবার পূর্বে তাহার বৈধষ্য ঘটে তাহ1 হইলে যাব তাহাত কোনও পুত্র উপার্জনক্ষম না হয় তাঁবৎ তিনি আমার বিষয়ের উপশ্থত্ হইতে নপ্তম ধারানির্দি্ট হৃত্তি ব্যতিরিক্ত মানিক আর ২০২ কুড়ি টাকা বৃদ্ধি পাইবেন । ১২। যদি শ্রীমতী নৃতাকালী দানীর কোনও পুত্র উপ.আঘনক্ষম হই- বার পুর্বে তাহার যৈধব্য ঘটে তাহা হইলে যাও তাহার কোনও পুত্র উপার্জনক্ষম ন1! হয় ভাবৎ তিনি আমার বিষয়ের উপশ্বত্ব হইতে মপ্তম ধার! নির্দিই বৃত্তি ব্যতিরিক্ক মানসিক আর ১০৬ দশ টাক1বৃত্ধি পাইবেন। ১৩) কার্যযদর্শর1 আমার বিষক্পের উপন্বত্ব হইতে নীলমাধব ভট্ট চার্ষেযর বনিতা ্রমতী নারদ! দেবীকে ভাহার নিজের ও পুত্ত্রয়ের ভরণ- পোষণার্ধে মান মাস ৩০২ ত্রিশ টাক আর তাহার পুত্রের! বয়ঃপ্রাপ্ত হইলে যাবজ্জীবন কাল মান মান ১০২ দশ টাঁক1 দিবেন। তিনি 1ববাহ করিলে অধব1 উৎপথবর্তিদী হইলে তাহাকে উক্ত উভয় বিখেয় মধ্যে কোনও প্রকার বৃত্তি দিবার আবশ্যকতা নাই। ১৩। আমি অধিদ্যমান হইলে আমার বিষয়ের উপন্থত্ব হইতে যে তহৃষ্ঠানে যেক্ূপ মাপিক ব্যয় হইবেক তাহা লিয়ে নির্দি্ হইতেছে। উইন্ল। ৫৯৩ জন্মভূমি ধীরনিংহ গ্রামে আমার ছাপিভ বিদ্যালয় ১০০২ এক শত টাকা। এ এ গ্রামে আমার স্থাপিত চিকিতনালয় ৫০* পঞ্চাশ টাক1। এ এ গ্রামের অনাথ ও নিরুপায় লোক ৩০২ ত্রিশ টাক1। বিধব1-বিবাহ হু টঃ ৮ ১০৯৯ এক শত টাকা । ১৫। যদি শ্রীবৃদ্ত জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় শ্রীপুত উপেষ্্নাথ পালিভ গুধুত গোবিন্দচন্ত্র তড় এই তিনজন আমার দেহান্ত লময় পর্য্যন্ত আমার পরিচারক নিযুক্ত ধাকে তাহা হইলে কার্ধদশীর! ভাঁচাদের প্রত্যেককে এককালীন ৩০৯২ তিন শত টাক1 দিবেন । ১৬। কাবাদশররা বিষয় রক্ষ। লৌকিক রক্ষা! কন দান প্রড়তভের আবু কবায় নবীর বিবেচনা অনসারে করিবেন। ১৭। এই বিনিক্োগপত্রে ধাহার পক্ষে অথবা যে ধিষদ্গে ঘেক্ধপ নির্বস্ধ করিলাম যর্দি তাচাতে তাহার পক্ষে মৃবিধ! অখব]! নে বিষের সুশৃঙ্খল না হয় ভাহ1 হইলে কার্ধযদশর্রা সফল বিষন্পের নবিশেষ পর্যযা- লোচনা করিয়! যাহার পক্ষে অথব1 যে বিবন্ষে যেক্পেপ নির্ঝন্ধ কর্সিষেদ তাহা আমার ম্বকৃতের স্তায় গবনীর ও ষাননীয় হইবেক। ১৮। এক্ষণে আমার নম্পপ্তির যেরূপ উপশ্বত্য আাছে যদি উত্তব্রকালে তাহার ধর্বত| হয় তাহ। হইলে ধাহাকে ব1 যে বিষয়ে যাহ1 দিবার নির্বন্ধ করিলাম কার্যযদর্শারা ম্বীয় বিষেচন! অনুধারে তাহার ন্যনত্তা করিতে পারিষেন | ১১। আবন্টক বোধ হইলে কাধ্যদর্শীরা আমার সম্পত্তির কোন হংশ বিক্রশ্ন করিতে পারিবেন । ২০। আমার রচিত ও প্রচারিত পুস্তক সকল শত়ুচজের (নংস্ৃত ঘন্্রেব্) পুস্তকালয়ে বিক্রীত হইতেছে আনার একাস্ত খভিলাষ মুত ব্রজনাথ মুখোপাধ্যায় যাবৎ জীবিত ও উক্ত পুস্তকালয়ের অধিকারী থাক্ি- বেন ভাবংকাল পর্য্যন্ত আমার পুস্তক নকল এ ছ্ছানেই বিত্রীত হয় তখে ৫৯৪ বিদ্যাসাগর । এক্ষণে যেরূপ স্কুপ্রণালীতে পুস্তকালয়ের কাধ্য নির্বাহ হইতেছে তাহার ব্যতিক্রম ঘটিলে ও তগ্রিযন্ধন ক্ষত্তি বা অসুবিধা বোধ হইলে কার্ধযদশরর! স্থানান্তরে ব1 প্রকারাস্তরে পুস্তক বিক্রয়ের ব্যবস্থা! করিতে পারিবেন । ২১। কার্য্যদ্রশ্শরা একমত হইয়] কাধ্য করিবেন মতভেদস্থলে অধি- কাংশের ষতে কার্য্য নির্বাহ হইবেক। ২২। নিযুক্ত কার্ধযদশর্পিগের মধ্যে কেহ অবিদ্যমান অথবা এই বিনিক্লোগ্পজের অনুযায়ী কাঁধ্য করিতে অসম্মত হইলে অবশিষ্ট ছুই জনে তাহার ছলে অন্য ব্যক্তিকে নিযুক্ত করিবেন। এইবপে নিযুদ্ত ব্যক্তি আমার নিজের নিয়োজিত ব্যক্তির স্তায় ক্ষমতা! প্রাপ্ত হইবেন। ২৩। যদি নিযুক্ত কার্ধযদশণর। এই বিনিক্োগপজ্ধের অনুযায়ী কাধ্য- ভার গ্রহণে অনম্মত ব1! অলমথ্‌ হয় তাহ ভইলে ধাহার1 এই বিনিয়োগ পঞ্র অহুনারে বৃত্তি পাইবার ম্বধিকারী তাহার! বিচারালয়ে আবেদন করিয়। উপযুক্ত কার্ধযদরশঁ নিধুক্ত করাই! লইবেন। তিনি এই বিনিয়োগপত্রের অন্যায় নমস্ত কার্ধ্য নির্বাহ করিবেন। ২৪। যাবৎ আমার ধণ পরিশোধ না হয় তাবতকাল পর্যন্ত এই বিনিয়োগপত্জের নিয়ম অনুনারে নিযুক্ত কার্য্যদরশাদিগের হস্ত সমস্ত ভার থাকিবেক। ঝণ পরিশোধ হইলে এ নময়ে যাহার! শাস্্রাহ্সারে আমার উত্তরাধিকারী থাকিবেন তাহার] আমার সমস্ত ম্পন্তির অধিকারী হইবেন এবং নপ্তম মবম দশম একাদশ দ্বাদশ ত্রয়োরশ চতুর্দশ ও পঞ্চদশ ধারার নির্দিষ্ট বৃদ্ধি প্রভৃতি প্রদানপূর্বক উপন্বত্ব ভোগ করিবেন। এ উত্তরাধি- কারীর] বরঃপ্রাপ্ত হইলে কার্ধযদশরা ভাহাদিগকে সমস্ত বুঝাইয়! দিয়া অবস্থত হইবেন। ২৫। অমার পুত্র * * * শ্রীযুত নারায়ণ বন্দোপাধ্যায়ের * * ক গু ক ক ্ং ক রা সঃ * . * নংশ্রব ও নম্পর্ক পরিত্যাগ করিয়াছি। এই হেতু ঘশতঃ মৃদ্ধ উইল। ৫৯৫ নির্ববদ্ধস্থলে তাহার নাঁম পরিত্যক্ত হইক্সাছে এবং এই হেতু বশতঃ তিনি চতুর্বিংশ ধার! নির্দিষ্ট ধণ পরিশোধকালে বিদ্যমান থাকিলেও আমার উত্তরাধিকারী বলিয়া পরিগণিত অথবা দ্বাবিংশ ও অ্রক্সোবিংশ ধার! অন্থু- নারে এই বিনিয়োগ পত্রের কাঁধ্যদরশশাী নিযুক্ত হইতে পারিবেন ন1। তিনি চতুর্তিংশ ধার! নির্দিষ্ট খণ পরিশোধ কালে বিদ্যমান না থাকিলে ধাহারের অধিকার ঘটিত তিনি ত্ৎকালে বিদ্যমান থাকিলেও তাহার] চতুর্বিংশ ধারাব্র লিখিত মত আমার মম্পত্তির অর্ধিকারী হইবেন । ইতি তাং ১৮ জ্যৈষ্ঠ ১২৮২ নাল ইং ৩১ মে ১৮৭৫ মাল । (স্বাক্ষর) শ্রীঈথরচন্ত্র বিদ্যালাগর মোকাম কলিকাতা। ইসাদী | আরাজকৃ্ক মুখোপাধ্যায় প্রীষ্তামাচরণদে ই্রীবিহাধীলাল তাছুড়ী আরাধিকাএনন মুখোপাধায় শ্রনীলমাধব মেন শ্রীকাঁলিচরণ ঘোষ গিরিশচন্দ্র বিদ্যার যোগেশচঙ্র দে নর্ব নাকিম কলিকাত1। চতুর্থধারার উল্লিধিত সম্পত্তির বিবৃতি-. (ক) নংস্কৃতযন্ত্রের তৃতীয় অংশ-.- (ধ) আমার রচিত ও গ্রগারিত পুস্তক-_ বাঙ্গাল--- (১ বর্ণপরিচন্ন ছুই ভাগ (২) কথামাল| (৩) বোধোদন্গ 8) চরিতাবলী (৫) আধ্যামমগত্রী ছুই ভাগ (৩) বাঙ্গালার ইত্িহান ২য় ভাগ (৭) জীবম- চরিত (৮) ফেভালপঞ্চবিংশতি (১) শকুন্তলা (১) নীতার বনবাঁন (১১) তাস্তিবিলান (১২) মহাঁভারত্ত (১৩) সংস্কৃতভাঁধ! প্রস্তাব (১৪) বৈধবাবিবাহ বিচার (১৫) বছবিবাহ বিচার । ₹৯৩ বিদ)ামাগর | নংস্কৃত- (১) উপক্রমণিক1 (২) ব্যাফরণকৌমুদী (৩) খভুপাঠ য় ভাগ (৪) মেঘ- ! দূত (৫) শকুন্তল1 (৬) উত্ত্নচরিত। ইঙ্গরেজী-_ (1) 139010091 891690119)0, (9) ৯9190100110) €901070061), (গ) যে নকল পুস্তকের সত্াধিকার ক্রয় কর! হইয়াছে। €১) মদনমোহম তর্কালক্কার প্রণীভ শিশুশিক্ষা! তিন ভাগ। (২) রামনারায়ণ তর্কবতু প্রণীত্ত কুলীনকুলসর্ববন্ব। (ঘ) কাদন্বরী নটীক বালীকি রামায়ণ গ্রভৃতি মুদ্রিত নংস্কৃত পুস্তক । (৩) শিঙ্গ ব্যযহারার্থ সংগৃহীত নংকুত বাঙ্গাল] হিন্দী পাশা ইংরেজী প্রভৃতি পুস্তকের লাইব্রারী। (চ) কর্টশাড়ের বাঙ্গাল1 ও বাগান । (ম্বাক্ষর) আঈশ্বরচন্্র ব্দ্যাদাগর। পি উইলে নগদ টাকার কোন উল্লেখ নাই। নগদ ছিল না ও ধাকিত না। মৃত্যুর পুর্বকাল পধ্যন্ত বিদ্যাসাগর মহাশরের মাসিক আয় প্রা চারি হাজার টাকা ছিল।, দান ও অংজার- খরচে প্রায় সবই ব্যতিত হইত। শুনিতে পাই) মৃত্যুকালে তিনি ১৫। ১৬ হাজার টাকা মাত্র নগদ রাখিয়। গিয়াছিলেন। অবা- রিত দান না থাকিলে, তিনি লক্ষ লক্ষ টাকা নগদ রাখিয়! যাইতে পারিতেন। উইলে একাধারে উদ্লিখিত পুস্তকাবলীর তালিকায় পাঠকের হৃদয়ম হইবে, বাঙ্গালীর উপর বিদ্যা" মারের সাহিত্য কিরূপ আধিপত্য বিস্তার করিত । উইলে সাক্ষা-বাকা। ৫৯৭ দেব-সেবাদির কোন উল্লেখ নাই। ইহাতেও বিদ্যালাগরের মতিগতির পরিচয় । ১৮২৫ ব্ীন্দে ব্ধমান-চকৃদিতধীর জমীদার সারদাপ্রসাদ্ রায়ের উইল-সংক্রান্ত মোকদ্দম| উপস্থিত হয্ব। ১২৮৩ জালের ১৮ই ও ১৯শে শ্রারণ বা ১৮৭৬ খৃষ্টাব্সের ১লা1 এবৎ ২র! আগষ্ট বিদ্যাসাগর মহাশয়, এই মোকন্দমায় সাক্ষ্য দেন। উইল প্রন্কৃত নহে বণিয১ আরদা বাবুর বিধবা স্ত্রী রাজেশ্বরী এই মোকদম। রুজু করিয়াছ্িশেন। বিদ্যাসাগর মহাশক়, বাৰি- নীর পক্ষে সাক্ষ্য ছিপরেন। তাহাকে ছুই দিন অন্ুশ্থাবন্থায় সাক্ষ্য দিতে হইয়ান্িল। চকৃদিঘীর জমিদার পরিবারের সহিত তাহার কিরূপ ঘনিষ্ঠতা ছিল, এই সাক্ষ্যবাক্য তাহার প্রমাণ। সাক্ষো বিদ্যানাগর মহাশয়ের অনেক প্রাণের কথা বাহির হইয়াহিল। আম্মবাক্যে প্রাণের কথা প্রকাশ্‌ পাত্ব। এই সাক্ষ্য- বাক্যে ব্যক্তিগত অনেক এঁতিহাসিক ও সামাজিক তত্ব জাশিতে পার! ষায়। সাক্ষ্য-বাক্য ইংরেজীতে লিখিত । আমর] তাহার (অনুবাদ দিলাম, মং ৮৮৫ হইতে ৮৭*-_5র্ঘ নাক্ষী ঈর্বরচন্জ শশ্ব। ধিপ্যানাগরের এজ1- “হার। তারিখ ১৮৭৬ সালের ১ল1 এবং ২র1 আগষ্ট । বর্ধমানের--পূর্ববিভাগের দেওয়ানি আদালত। উপস্থিত্ত যাবু নবীনচন্দ্র গাঙ্গলী দ্বিভীয় মবিনেট জজ । মকদমার নং ১৮৭৫ সালের ৭১ নং । ১৮৭৩ লালের ১ল1 আগষ্ট । বাদীর পক্ষে ৪নং নাক্ষী উপস্থিত হইয়| বিধি অনৃমারে শপথ গ্রহণ ৫৯৮ বিদ্যামাগর | পূর্বক বর্পিতেছেন, আমার নাম পত্ুচচ্ঞ শর্খবা বিদামাগর। আঁমি। ৬ঠাকুরদান বন্যোপাধায়েন পুত্র । নিবান কপ্রিকাতা, বয়ন ৫৬ বং । লেখক বাবনায়ী। নাক্ষী বলিতেছেন,_আমি কিছুদিন পূর্বে হত ককেজের শ্রিন্সি- পাল ছিলাম । জামিব্হনংখ/ক সংস্কৃত এবং বাঙ্গাল পুসৃক পিখিয়াছি। আমি চকৃপিঘীর নারপাপ্রনাদ রায়কে চিনিত্কাম। আমার বিবেচনায় তাহার মভিত আমার ২০ বংমকের অধিক কালের শ্বালাপ। ভাতার মৃত ১০1১২ বংনর পুর্ব হইতে ভাতাকে চিমিতাম। উহা সহিত আমার বিশেষ আলাপ ও ব£ভাব ডিল | তিনি বিষয়মন্ধক্ধে জানার পরামর্শ গ্রহণ করিতেন। আমি নাবালক লপিতমোহন রায়কে চিশি। সারদা বান, তাহার মৃত্যুর পর কিন্ধপে তাহার বিষয়ের বন্দোব হইবে, মে বিষয়ে আমার পরামর্শ জিজ্ঞানা করিয়াছিলেদ। ভিনি আমাকে ডাহার উইলের একখানি ধনড়। দেখাইয়াছিলেন। আমার বিবেচনায় ইহা ভাতার মৃত 81৫ বত্নর পূর্বে ; কিন্তু আমার ঠিক মনে নাই। মেই খনড়া আমার হতে আনিয়াছিল। উহা পাঠ করিবার নিমিপ্ত উনি আমাকে দিয়াছিলেন। এই প্রকাবেই উহা আমার হাতে আনে। উহ1 ভাল কি মন্দ ইহা দেখি বার জন্ক তিনি আমাকে শিয়াছিলেন। এথনড়া আমার কাছে অনেক দিন ছিল। আমার বোধ হয়, উহ1 এক বংনর কি পেড় বৎনন্র আমার নিকটে ছিল। কিন্তু এক্ষণে আমার ঠিক মনে নাই । এ থনডা আমি সারদা বাবুকে প্রত্যর্প+ করি। উহলের এ নকলের ফোনু অংশ আপত্তিজনক, তাহ জানি তাহাকে দেখাইয়। পিই এবং এ খনড়া তাহাকে ফ্িরাইয়] দিই। এ আপত্তিজনক জংশগুলির বিষয় তাঁহাকে আমি মুখেই বলি। তাহাকে এ খসড়1 ফিরিয়া দিবার পর নারদ! বাবুর মহিত আমান একধার কি ছুইবার কখাহরর। আমার স্মরণ আছে, তিনি পশ্চিমে যান। যখন তিনি পচ্চিমে যাইবার ইচ্ছ! করেন, তাহার কিছু পূর্বে তাহার নিত আঁমাও সাক্ষ্য্বাক্য। ৫৯৯ 1 মাক্ষাং হয় নাই । এক সময়ে তাহাকে আমি জিজ্ঞাস! করিক্াছিলাম যে, উইলের বিষয় কি হইল? তাহাতে তিনি উত্তর দেন যে, আমান একথার পশ্চিমে যাইবার ইচ্ছা! আছে এবং আমি মনে মলে এইস্থিব করিয়াছি যে, তথায় যাইবার পূর্বে ছামি যাহ| হউক একটাস্ত্ির করিয়া যাইব । : তাহার সহিত আমার ন্মম্য কিটু কথ! হইয়াছিল কি ন1 ভাহ1! আমার স্মরণ নাই এবং ইতাও আমার ঠিক্ক স্মরণ নাই, পশ্চিমে যাইবার কত দিন পূর্বে তাহার মহিত এ কথা হইয়াছিল। কিন্তু আমার বিবেচন| হয়, তথায় যাইবার 1৭ মান পুরে ভাতার সহিত এ কথা হইয়াডিল। (প্রঃ-ডইলে স্বাক্ষরকারী নাক্ষী কে চইবে, ছার নন্বন্ধে আপনাদের কোন কখাবাত। কিন্বা এ শন্বত্বীয় কোন কথাবাত1 হইয়াডন কিনা?) আমি তাহাকে বগিয়াছিলাম ঘে, উইজ লঙ্বন্ধে প্রায়ই গোলযোগ উপস্থিত হয়, ভজ্জগ্ আমার বিবেচনায় এইকসপ লোকের সমক্ষে উইল লেখা উচিত যে, পঞ্জে কেহ কোন গোলযোগ উপছ্থিত করিতে নাপারে। তাহার পরে বতুক্ষণ ধরিয়া তাহার নাহত কথাবা্ হয় এবং ইহ| নিদ্ধান্ত হর যে, তিনি ভীহাত্র উইল হবহাউন্‌ নাহেব, হগ্‌ সাহেব, লফোউ সাহেব, হিরালাল শীল, আম চাটুধোও আমার সমক্ষে উইল পিথিবেল এবং স্বাক্ষর করিবে এবং লিখিবার পর রেজেষ্টারি করাইয়! লইবেন। পশ্চিম অঞ্চলে যাইবার পূর্বে তাহার নহিভ আমার এই কথা- বাত হয়। পুর যে কথাবান্ভ হইয়াছিল, তাহার বিষয় আমি পুর্কে বলিরাছি। কিন্তু এই কথাবান্! ভাহারও পুর্কে হইয়াছিল্র। যম উইলের নন্বস্ধে কথাবা্ধ| হইতে ছিল, তখনই ইচ] শিদ্ধীত্িত হইয়াছিল যে, মাননীয় ব্যক্তিমমৃত এই উইলের স্বাক্ষরকাদী সাক্ষী হইবেন এবং এ উইল নিয় মিতরূপে পলেজেষ্টারী করা হইবেক। হৃযহাউস্‌ মাহেব বর্ধমান বিভাগের এক জন বিচাক ছিলেন এবং পরে ভিনি হাইকো।ট বিচারক হম। যখন আমি নারদ] বাবুকে মাননীয় নাক্ষীলমূহের কথা বাল, তখন তিনি মিজেই ৬০০ বিদ্যান'গর। এ তিন জন ভদ্র জোকের নাম করিয়াছিজেন। হগৃলাতের এক্ষণে কলি- কাত গুলিষের কমিসনর | জফোড সাহেব তখন বর্ধমান বিভাগের মাকি- টেট হিলেন। তিনি এক্ষণে কোথায় আছেন, তাঁ| আমি জানি না? পূর্রো শ্রীরাম চাটুর্যোর মিধান বর্ধমান ভেলার মাঁকোনাড়া গ্রাম । তিনি এ নময়ে পাকপাড়া রাজব1টার এক জন কর্মকা ছিলেন। মারদ। বাবুর সহিত ভীহাঁর আত ঘনিষ্ঠতা এবং ব্দুত্ব ছিল। সারদা বাকু পূর্বোক্ত হিরালাল শীলের বাটিতে যার যান । আমার যত দুরু স্মরণ আছে, তাহাতে আমি বিবেতল] করি যে, উইলের এ খলড়া শ্রীরাম চাটুর্যোর স্বগন্তের লেধা। তিনি এখনও জীবিভ আছেন। সাঁনাঁদা বাবু পশ্চিম হইতে ফিবরয়! আমিলে পর অন্বু বার একটা বিষক্ের সহিত ভাতার লঙ্গে উইলেরও কথ] হয়। সে কথাবার1 এই--ভিনি কলিকাতায় আগিয়া ছিলেন এবং আবামাকে ম্বয়ং জিজ্ঞান] করিয়াছিলেন, “যে কতকগুলি লোক ললিতযোহনকে পৌযাপুত্র লইবার জন্্র এই পরামর্শ দিতেছে, আপনার এ বিষয়ে মত কি? আমি এবিষয়ে আপত্তি উখাপন কবিরা বলিয়াছিলাম যে, ক্ষত্রবংশের একজন প্রকে শান্ত্রমতে পৌধাপুত্রন্বপে গ্রহণ কঃ] যাইতে পারে না, মম্পর্কে আবাধার ভাখিনেল্স হয় এবং যদি তিনি এ ভাগিনের়কে পৌধাপুক্রন্ধপে গ্রহণ করেন, তাহ1 হইলে ইহ1 আইনব্রিদ্র কার্য ভইহেক। আছি এ কথা বজিলে তিনি ওধ্যিয়ে আর কোন কথ উখাপম ফরেন নাই। তৎপরে আমি তাতাকে বঙজিয়াছিলাম, ললিতমোহনকে যি বিষয্ দেওয়াই অভিপ্রেত হয়, তাহ1 হইলে উইল করিয়াই এবিষয় দেওয়াই শ্রেয়ফর, মার কোন প্রকারে নহে । তিশি বলিলেন, আচ্ছা, ঘধন আমি পুনরায় কলিকাতায় এত্যাগমন করিষ, তখন উইলের একটা খসড়! সামিব এবং কলিকাায় পুম্রাগমমে এ বিষয়ের শেষ করিব। নারদ! ধাতুর উত্তর পশ্চিম প্রদেশ হইতে প্রত্যাগমনের পর এই কথাবার্তা! হইয়াছিল। আমার ঠিক মনে নাই যে, এই কথাবার্। তাহার গ্রত্ভযাগমনেয় কত [দদ স'ক্ষ্যতবাকা। ৬৪১ পে হইর্রাছিল। নারদ বানু কধল আমাকে বলেন মাই যে, তিনি ভীহন উইল প্রন্থাত কহিক়'ছেন। আমার বোধ হইভেছে যে, তিনি আমাকে একবার হ্রিজ্ঞীনা করেন যে, পুনবাঁয় বিবাহ কর উচিত কি না। কিন্ত আমার মনে মাই যে, কখনব্‌ ত্বিনি ক্াম'কে ইহা জিজ্ঞান| করিয়াছিলেন । হর মাস কিন্বা এক বৎ্মন অধিক হইতে পারে যে, আমার সহিত মাদ1 বাবুর মৃতার পর্সে সাভার শেষ লাক্ষাং ভয় । আমি উইলের এ থনড়টী প্রভ্যর্পণ করিবার পত্র অন্য কৌন থমস্ঢা কিন্বা এ প্রহাশিত খনলডা পুনল্চ দেধিনাই। জেরা কতাত্তে মাক্ষী বলেন,-আমীত বোধ হয়, উইলের এ খসড়। মারদ1 বাবৃস্থবতস্তে আমাকে দিয়াছিলেন। আমি থন্ডার কোন অংশের পরিবন্তন করি নাই; কিন্ত মামি খগড়ার এ আপত্তিজনক অংশগুণ্ল উহাকে বাছিয়া দিয়াছিলাষ | তবুও আমার মমে নাই যে, উহার কিছু পরিবর্তন করিয়াছিলাম কি না| আমি এই কলিয়| শ্বাশত্তি করি ছিলাঙ্ক যে, এক ভাগিনেয়কে নমত্ত বিষয় জেওয়া এষং অশরকে একেবারে বধিংভ্ক কর। নিতান্ত অশ্যায়। আমি বলিয়াছিলাম, অপর ভাগিনেয়েত্র কিছু পাওয়া উচিত । এ ভাগীনেয়ের নাম প্রিয়ন্ব । ভগ্বী:1 অপেক্ষাকৃত জল্প অংশ প্রাপ্ত হন। আমি তাঁধাঞ্ষের আরও কিছু বেশী করিয়া দিতে বজি। আমি আরও তীাভার স্ত্রীকে কিছু বেশী করিয়া! দিতে বলিয়্1- ছিলাঁষ। ভ্বাহ'তে দ্বিনি উত্তর দেন, আ'চ্ছ!! আমি এই বিষয়ে বিবেচন| করিব। আমার বোধ হয়, উইলের এ খনড়াতে ভাহার স্ত্রীকে মাসিক এক শত টাকার মালহার1 দেওয়া! ছিল। যখন আমি এ উইলের খনড়াটা পাই, তখন আমি ইহা1 কণিকাতার কাঁহাকেও দেখাই মাই। ললিত- মোছম কোন ছ্ানে জন্মগ্রহণ করেন, তাহা আমি জানি নঠ। কিন্ত বালাকাল হইতে তিনি লারদ1 বাবুর বাটাতে মানুষ হইতেছিজেন। মারদ1বাবু তাহাকে অত্যন্ত ভাল বাপসিভেন এবং ত1হকে অত্ত,স্ত হত ৫১ ই ৬৪২ বিদ্যাসাগর |. করিতেদ। রাজেশ্ী তাহ!কে যত করিতেন কি ন|, তাহ! ছামি জানি ন1। কারণ খন আছি ভাহাদের অন্দরমহলে যাইভাষ ন1। আহি এ নমরে রাজেশবদীকে দেধি ন1ই। আমার নহিত নারদ] বাধুর যে কয়েকবার দেখা হক্স, তাহা ছিনি আমাকে তিন চারি বার বলেন যে, আমি আমার সম্ত্ত বিষয় ললিভমোহনকে দিয়] যাইব । তিনি যে এ লম্বদ্ধ যতপরিষর্তীন করিয়াছিলেন, এমন কথ| কখন শুনি নাই। কিন্ত এক লধয়ে তিনি বলিক্াছিলেদ, কিন্ত কবে তাহ] অ'মার যনে দাই যে, ললিভামোহনের দ্বার! তিমি বড় ভ্বালাত্বন হইতেছেন। তিদি বজিয়াছিলেন যে, লফিত- মোহন বহি গিক়্াছে। কিন্ত কবে তিনি বলিয়াছিলেন, তাহ] মনে মাই । নারদ বাবু যখন পশ্চিমে যান, ভখন আহি ফলিকাতার। পক্ষিষে বাইবার পুর্বে ডিমি জামার সঙ্গে সাক্ষাৎ করিযার মনন করিয়াছিজেন কফিন! তাহা আমি বলিতে পারি ন1। ১২৭২ লাজের ভাত মালের শেষে. তিনি জাদাকে চকদিখী যাইযার দিমন্রণ করিয়াছিলেন কি না, তাহা আমার যনে নাই। লারছাঞ্জদাদ রায়ের হি আমি তিনি। জানি অনেক বার ভাহার সহি দেখিয়াছি। আষার বিবেচনায়/ আমাকে তাহার লহি (দেখাইলে, ভাহ! ছামি চিনি পারি। আমার দে নাই, পক্চিষে যাইযার কত দিন পর্বাঘষি তাহার সঙ্গে লাক্ষাৎ হয় দাই। ইহাছয় মাস কিনব! এক বখসরও হইতে পারে । পশ্চিম হইতে কিছ! আনিবার কত্ত দিল পরে '্তাহার. 'মহিদ্ভ আমার সাক্ষাৎ হয়, তাহা! জানার মনে দাই। গ্তাহার পরচ্যাগমনেত পর ছ্ছাধার বোধ হয়, তাহার লি আদার হুইবার দেখা 'ছয়। হখন লমিমোহনকে পোৌঁফাপুত্ জইবার কথ! হয়, গুখন আর কেহ উপস্থিত ছিল কি না, ভাহা। আমার মমে মাই। দারদা বাধুর পক্চিম খাই পর হার সৃতার পূর্ পরান ছামি চকৃদিবী যাই মাই। লারা সবার জীবিসাবনথার দ্যানি রাঁজেখরীফে কখন দেখি দাই। লঙ্গিতের “আন্মাইথার দুর্জ হইে আমি লাংদ! খাবুকে জানি। লারদ| খাযু যখন সাক্ষ্য বাক্য । ৬৩৩ স্বড়ামুধে পতিত্ত হন, তধন আবি কলিকাভায়। নারদ! বাধুর স্বৃত্যুর পর দিঘল আরাম চাটুর্য্যে আমার নিকট আনিক্াহিলেন এবং বলিয়াছিজেন, রৃশ্দাবনচন্র রায় অত্যন্ত শোক-সন্তপ্ত হৃদয়ে বাদি চলিয়া গিয়্াছেন এবং আমাকে আবাপমার নিকট “নারদ ঘাবু তাহার উইল লিখিয়! নিয়াছেন,» ইহ! বলির! পাঠাইয়াছেন এবং *গাপনি ভাহার সমস্ত কীর্থি বজায় রাখিতে স্বাদ হইবেন; আপনি উইলের বিষয় লমস্তই আবগত আছেন” । এই কথ! গুনিধার পর আমি ভাঁবিক্লা।ছলাষ যে, ভিনি মুখে থে উইলের কথ! ভাহার জীবগশায় বলিয়াছিলেম, সেই্রূপই উইল করিল পিক্লাছেদ। উইলের ক্রোড়-পত্রের বিষয় আহি রা বাবুর নিকট হইতে কিছুই গুনি নাই। স্বামি রাম বাঁধুকে উইলের একটী নকল পাঠাইন্স| দিতে বলিয়াছিলাম। - আছি ঈ নকজ পাঠ করিয়1 যদি কোন আপত্তিজনক বিষয় ন! দেখিতে পাই, . তাহ! হইলে আজি আমার নাখামত লাহাযা করিব বধিয়াছিলাম। অঙ্গ দিন পরেই এ উইল এবং উহার একটা ক্রোড়পরের নক আমাকে পাঠাইয়া দেওয়া হইয়াছিল । অামার বোধ হয়, হৃন্বাবনচন্্র রায়ই ইহা! দাঠীইঙগ নেন। এ উইল এবং উদ্ধার ক্রোড়পত্র পাঠে আমি কততকট। বিদ্মিত্ত হই কারণ আমি ভাবিয়াছিলাম, এ উইল যখানিয়ধে সম্পন্ন হুইক্লাছে। আমার, যোধ হয়, আমি রাম বাবুর নিকট হইতে শুমিয়াছিলাধ ফে,, এই উইলের- বিষরই তিমি বলিয়াছিলেন। আমি তখন বুঝিতে পারি নাই যে; প্রথমে কেম উইল এঘং তাহার পরে ক্রোড়পত্র গিখিভ হয় ঈন্ধাম চাটুর্ষেঃ যাহা বলিয়াছিলেন, তাহাতে আমি ঘুবায়াছিলাম যে, নারদ বাহু. ডর, লময় এ উইল করেন। আরাষ চাটুর্যোর সহিত কথা! হইযার আহুমাদিক. পক লগ্তাহের ষধ্যে আমি উইল এবং ক্রেংডপত্রের নফল ঝা হই ব্াহি & নকল পাঠ করি। ছুই একটা কখ! ছাড়! পুর্বোষি খিক খসড়ার লহিতধ উইলের মিল ছিপ। আমি এ খসড়ার কতকগুলি বিষ দ্ধ, পরিষর্ধদ করিবার পরামর্শ দিযাছিমাম, হুখ] হার পরিধার)' তী ৬০৪ বিদ্যাসাগর । এবং ভাগিনেকের মাঁনহার| বৃদ্ধি। আমি ইহাতে বর্ধিত মামহারান উল্লেখ দেবিয়াছিলাম। খনড়ার সহিত ইহার এই কেবলমাত্র গ্রভেদ। থনড়া? প্রথম অংশেই ইহ1 লিখিত ছিল, "শামি উইলে সমস্ত বন্দোবস্ত করিয়াছি ।”” আমি আমল উইল কিম্বা তাহার ক্রোড়পত্র কখন দেখি নাই। লারদা বাবুণ মৃত্যুর পর ছকনলাল রায়কে কখন কলিকাতায় দেধি নাই । জয়ার বোধ হয়, ভাহার মঙ্গে আমার একবার চন্দননগরে দেখ! হয় এবং আমার বোঁধ হয়, সেই সময় তীভার মহিত আমার কথাবার্ত| হয়। ছকনলালের নিষাস চকৃদিধী। তিনি শ্বং আমাকে উইলের বিষয় কিছু বলেন নাই । কিন্ত আমার জিজ্ঞান] করিবার পর ভিনি বলেন, উরাষ চাটুর্যো দে সময় ত্তখায় উপস্থিত ছিলেন না। (প্রশ্ন,আপনি কি ছকদলাল রায়কে জিজ্ঞান! করিক্সাছিলেন যে, শেষ উইল যখন স্বাক্ষরিত হয়, তখন তিনি কোথাক্স ছিলেন?) বাদিনীর কৌন্িিল এই প্রশ্ব উথাপম করিতে আপত্তি করেন। উত্তব,আমি তাহাকে এ রকম প্রশ্ন জিজ্ঞান! করি নাই। কারণ জামি পুর্বে গুনিরাছিলান যে, তিনি নেই সময় হিরালাল বাঁবুর বাগানে ছিলেন। নারদার মৃত্যুর পর বাঙ্গিনী আমাকে একধানি পত্জ লিখেম। নে চিঠি আমার নিকট নাই, ভাহ1 জামে ছি'ডিকা ফেলিয়াছি। তিদি আমাকে চকদিঘীতে যাইবার কথ! লিখেন। আমি চকৃদিঘীতে যাই। কিন্ত আষাঢ় মানে কিম্বা অন্ত কোন মানে এবং কো তারিখে গিয়াছিলাম, তাহ! আহার ম্মরণ নাই । আমি ঠাকুরপ্রলাদ মামধারী ফোন লোককে জানি মাঁ। একটী লোক আমাকে চকদিখা লই! যাইবার জন্ক এক খানি চিঠি লইয়! আসে। এটি দিবার ছুই ভিন দিবন পরে আমি চকদিখী যাই। ইহার পরের ৩ এ, নম্বর কাগজ দেখিয়। সাক্ষী বলেম,_ আমি জামি না, এই কাগজের উপর লেখা কাহার হত্তের। আনি নারদ! বানুর বাঙ্গাল| হস্তাক্ষর দেখি নাই। যখম আমি চকদিতীতে সাক্ষ্য*্বাক্য | ৬৪৫ পিয়াছিলাষ, তথন ১৮৬* খুষ্টানের ২৭ ধার1 মতে এবং ১৮৫৮ ুষ্টাবের ৪৯ ধার মতে নার্টকিকেট লওয়1 হয় নাই। যখন আহি চকৃদিষীতে শিযাছিলাম, তখন আমি রাঁজেশতরীকে প্রথম্গে কিছু বলি নাই। তিনি জামাকে জিজান। করিয়াছিলেন বে, ছাঁপনি প্রথমে উইলের খনড় দেখিয়াছিলেন এবং এক্ষবে উইলের নকল দেবিঘাছেদ। এই হাঁজ উইল জামার স্বামীর ইচ্ছাষত হইয়াছে কিনা? ভাহাতে আমি উত্তর দিয়া ছিলাম, ছটে! একট| বিষয়ে একটু তফাৎ আছে। তত্তিন আর সমস্ত বিষম ই তাহার ইচ্ছামত হইয়াছে। ইহার পত্রে তিমি পুনর্বর আমাকে জিজ্ঞান1! করেন যে, নানা লোকে এ বিষয়ে নানা কথ! কহিতেছে। এধন আমার কি কও1 উচিত। তাহাতে আমি উত্তর দিরাছিলাম, আপনার স্বামী যেক্্রপ বলির! গিয়াছেন, নেইরূপ করাই উচিত। লোকে যাহা বলে, সেন্সপ করা উচিত নয়। উপরে যাহা বল1 হইল, ইহ! তাহার সহিত কথ| কহিবার ফল। আমার ঠিক মরণ নাই, আমি চকৃপিঘীতে কত দিন ছিলাম, আমার বোধ হয়, ছুই ভিন দ্রিবদ। নাক্ষীকে একখামি পত্র দেখান হইয়াছিল। ভিনি ইহার গ্রতি দৃষ্টি করিয়| বলিক্লাছিলেন,_ম্বামি বলিতে পারি না, ইহা কাহার হত্বাক্ষর। ইহা রাজেখরীর হস্তাক্ষ হইতে পারে। ইহার নহির প্রতি লক্ষ্য করিয়া! নাক্ষী বলেন,_ছামি আনাম চাঁটুধ্যের হস্তাক্ষর যতগর চিনি, ভাহাভে বলিতে পারি, ইহা প্রীরাম চাটুর্যের হস্তাক্ষর মহে। এই চিঠি কাহার হত্তাক্ষর, ভাহ1 আমি বলিতে পারি না। ইহার পর সাক্ষী ৪নং কাগজ দৃষ্টি করিয়া বলেন,--ইহা আমার হস্তাক্ষর। ইহ! আমি রাজেখনী এবং যোগেন্দ্র বাবুকে লিধিয্াছিনাম। সারদ! বাবুর ভতঙ্গী কূলদ] দেবীর ফোন বন্দোধপ্ত ন| হইবার দরুণ, তিনি আমাকে ইহা জানাইলে, আহি এই পত্র লিখি। নারদ] বাবুর বাঙ্গাল! সহি আমি জানি ন!। প্রথথ। জাপনি কি বলিছ্ধে পারেন, আপনি কি বিশ্বাস করিয়াছিলে, ৬০৬ বিদ্যালাগর | আপনি যখন ৪ নং চিঠি লেখেন, তখন লারদ1 বাধু ঠাহার উঠল করিয়াছেন? উত্তর। আমি তাঁহ1বিশ্বান করি দাই। প্রঃ। আপনি কি নেই লময় বিএস করিয়াছিলেন ধে, মারদ। ঘাঁবু, ভ্াহার উইল করেন নাই? উ$। আমার তাহাতে ননেহ ছিল। প্রঃ। আপনার কি বিখান হইয়াছিল? উঃ। আমি বিখান করি নাই যে, তিনি কখন উইল করিয়াছিজেন। প্রঃ। আপনি পন্জ লিধিয়াছিলেদ, তাহার ইচ্ছাকে কাধ্যে পরিণত করিতে তোমর1 সকলে চেষ্ট| করিবে । এই বিশ্বামে এবং এই বিবেচনাত্ে স্বাত নারদাপ্রনাদ বাবু আপনাদের ছুই জনের হস্তে কাধ্যভার অর্পণ করিরাযান। আপনি যধন এপত্র লিখিয়াছিলেন, ত্ধম আপনার কি মন্দেহ হইয়াছিল যে, সারদা! বাবু আপনাদের ছুই জনের হত্তে কার্ধ্ের ভার দিয়! গিয়াছেন? যখন আপনি এ পত্র লিখেন, তখন আপনার কি নদ্দেহ হইয়াছিল যে, লারদ1 বাবু, রাজেশ্বরী এবং যোগেশ্রের হনে মস্ত বিষয়ের ভত্বাবধারণের ভার দিয়াছেল? উ:। আমি এই প্রশ্ন নম্পূর্ণকপে বুঝিতে পারিলাম ন1। (এই প্রশ্নটা পুনরায় আদালত দ্বারার় বাঙ্গালার বল। হয়।) সারদ] বাবুর উইলের ব্যয়ে আমার নন্দেহ ছিল। আদাণতে যে উইল ফাইল কর! হয়, ভাহাতেই দুই জনের দ্বার| বিষের রক্ষণাবেক্ষণের কখ। উল্লেধ আছে এবং তন্জন্য আদালতে যে উইল ফাইল হয়, স্ভাহার অনুযায়িক রাজেখরী এবং যোগেছ ঘিষয়ের তত্বাধধারণের জন্ত আদালত '““হইভে' অন্ুষতি পাইয়াছিলেন এবং এরূপ অবস্থাতে কোন বিষয়ের বঙ্গোধত্তের জন্ত ভাহ1- খ্বিগকে পত্র লিথিতে হইলে, তাছার] উইল দ্বার যে ক্ষমত্তাপয়, তাহ! উল্লেখ করিতে হয়। চলেই কারণেই আমি ঠাহাদিগকে এ ভাষে পত্র সাক্ষ্য বাক্য। ৬০৭ লিথি। মেধাহ! হউক, উইল যখার্ধ, তাহ! আমার বিশ্বা ছিল ন1 এবং মারদা বাবু যে উইল দ্বার! কার্ধ্য করিতে ভাহাদিগকে ক্ষমতা! দিয| গিয়াছেদ, তাহ1 বিদ্বান করি নাই। নবীনচন্ত্র গাক্ষুলি সব জজ। ইব1 আগষ্ট, ১৮৭৬ বৃষ্টাব | ঘে তিল খানি পত্র আমি পাইয়াছি, তাহার মধ্য এক ধানি বৃদ্দাধন- চঙ্র রায়, এক খানি ছকনলাল এবং এক ধানি রাঁজেখরী দেবী লিথিয়- ছিলেম। এ তিন খানি পঞজ্জ উইল নন্বন্থীয়। জামার বরণ নাই, আঙি কাহার নিকট হইতে শুনিয়াছিলাষ ষে, মারদ] বাবুর যখন মৃত্যু হয়, তখন ছক্ধমলাল রায় হিরালাল বাবৃর বাগানে ছিলেদ কি ন1। জামে পতরথানি ছক্ধদলাল বাঁপুর নিকট হইতে পাইয্লাছিলাম। তাহার সহিত আমার চচ্দন- নগরে মাক্ষাৎ হয়। আমার বোধ হয়, ইহা সারদা বাবুর মৃত্যুর এক মান কিশ্ব! দেড় মান পরে। লারদ! বাধুর মৃত্ার পূর্বে কিম্বা পরে ছক্ধনলাল বাবুত্র সহিত আমার আর লাক্ষাৎ হয় নাই। লারদ1 বাবুর মৃত্যুর পরেই চকৃদিঘীতে ঘোগেম্ছ্র বাবুর মহিত্ত আমার লাক্ষাৎ হয়। (যোগেম্ বাবু নারদ] বাবু মৃত্যু পর আমার মহিত দেখ| করিবার জন্য কলিকাতায় আনিয়াছিলেদ। আমার মনে হয়, লারদা বাবুর মৃত্যুর পর ষখন আমি চকৃদিষীত্ে যাই, তখন রাজেখ্বরী এবং বৃন্দাবন ঝায়ের লহিত জামার কথাবার্ী হয়? কিন্তু যোগ্েশ্রর নহিত আমার কোন কখাবাধ| হয় মাই। স্বন্দাবন রায়ের নহিত যখন আমার কথাবার্ধ হয়, তখন যোগেম্র যাবু কোথায় ছিলেন, আমি তাহ। জানি না। জামি তাহাকে মণিরাম হাবুর বাটাতে দেখি মাই। তাহাকে চকৃদিঘীতে দেখিয়া থাকিতে পারি। আমি হুন্দাবনচদ্দ্রের নহিত্ভ চক্দিখীতে যাই। আমি ভাহার নহিত্ব কথা কহিয়্াছিলাম। তিনি বলিক্লাছিলেম,-এখাদে বছগ্রকার গোলযোগ উপস্থিত হইয়াছে ) লারদা বাবুর কীর্ধি বজার়রাধিধার জলন্ত আপনাকে ৩০৮ বিদ্যাসাগর এখানে আনাইবার উদ্দেশ । তাহাতে আমি বলিয়াছিলাম, আমাকে কি করিতে হইবে। তাহাতে তিনি বলিয়াছিলেম,_ আপনাকে এমন করিতে হইবে, যাহাতে রাজেম্বরী বিপক্ষতাচরণ ন1 করেন । ভাহাঁর মানে, উইলের বিপক্ষভাচরণ ন|) করেন। এই থানেই তাঁহার মহিত কথাবার্তার শেষ হয়| ভ্ৎপরে আমি বাটা ভিভরে যাই এবং ব্রাজেশ্বণীর সহিত নাক্ষাৎ করি। তাহাতে তিনি দর্বপ্রধমে আমাকে জিজ্ঞানা! করেন যে, আপমি উইলের থনড়াটী দেখেন এবং আপমি উইল দেখিয়াছেন, এই ছুইটী উইলের বিষয় এক কি না। তাহাতে আমি উত্তর দিয়াছিলাম যে, উহাতে আপমার স্বামীর অভিপ্রায় ব্যক্ত আছে। তাহাতে তিনি বলেন, আমার এক্ষণে কি কর! উচিত। আমি বলিক়্াছিলাম, আপনার মৃদ্ধ স্বামীর ইচ্ছামত কার্ধ্য কর! উচিত। আমার এই কথাবার্তার বিষয় মনে আছে। আর কোন কথাবার্বী হইয়াছিল কি মা, মনে নাই। আমি লপিতমোহনের জেখা-পড়ার নন্বন্ধে কথ! কহিয়াও থাকিতে পারি? কিন্ত আমার ঠিক ত্ররণ মাই। আমার আরও মনে লাই, আমি বলিয়াছিলাম কি ন! ঘে, জলিতমোহনকে যদি রীতিমত জেখ-পড়া শিধান, তাহা হইলে ফোন বিষন্ে আর গোলযোগ হইবে না। আঙ্ি তখন উইলের মর্খে জানিতাম যে, ললিতমোহনকে নারদ বাবু উইলের দ্বার! উত্তরাধিকারী করিয়! গিয়াছেদ। আমার ম্মর্ণ নাই, জামি ললিতমোহনের রীতিমত লেখা-পড়া নন্বন্ধে রাজেশবগীকে কিছু বলিয়াছিলাম কি না? কিন্তআমি হন্দাবনচদ্্ রায়কে বজিয়াছিলাম যে, যাহাতে এই নাবালক ভালরপ শিক্ষ। পার, আপনার ভাহা কর! উচত। আমার ম্মরণ মাই, রাজেশ নবীকে আষি বৃলিয়াছিলাম কি মা যে, জলিঘ্ভমোহ্ন ইহার পর তাহার কাছে কোন প্রকার কৃতজ্ঞতাপাশে বন্ধ থাকিবে না। ঘোগেল্স বাবুর সেই লময় কত বয়দ ছিল, ভাহা আমি বধিতে পারি না। তাহার চেহার। দেধিয়া এড জন অনুমান করিতে পারে, তাহার বয়ন ১৩1১৭ কিন্া ১৮। আমার সংক্ষাম্বাক। ৬০৯ যোঁধ হয় ধোগেছা বাবু সেই সময় আমাকে বলিকাছিলেন ধে, ভাহার বয়স অতি কম এবং এরূপ বৃহৎ বিষয়ের ভত্বাবধারণ কঃ] তাহার পক্ষে সোধা। আছি উহাক্কে কি বলিয়াছিলাম, তাহা আহার মরণ দাই। কাল্প্রন্ন লিং মহাশয়ের নন্বস্কে কিছু বলিদাঁছিলাম কি না আমার মম মাই। কোনবিষয়েই তত্বাধধারণার জন্য আমি ফোন ভ্ত্রীলোকের সহিত কথন তত্ববধায়ক ছিলাম দ1। আমি কথন কাহারও বিষয়ের তত্বীত্ধাঁয়ক ছিলাম না| যথম যোগেজ্জ ল্ল বয়স হেতু এত বড় বিষয়ের ভত্বাধধারণ বিষয়ে অপারকতখ জানাইয়াছিলেন, তখন আমি ভাহাকে সারদা বাবু ইচ্ছাম্বঘা্গিক কার্ধায করিতে বলিয়াছিল!ম কি না, তাহা আমার স্মরণ নাই; হয়ত ওরশ বলিক্| থাকিতে পারি, ত্বাহা আমি এখন ভুলিয়! গিয়াছি। যখন রাঁজেশ্বদীত্র সহিত আমার নাক্ষাৎ হয়, তখন আমি তাহাকে লি মাই যে, উইলের মকল আমি দেখিয়াছি। তিনি উইল সন্বন্ধে যেকপ বলেন, তাহ] আমি পুর্বে বলিয়'ছি। আমি 'প্রথমে উইজের কথ! উত্থাপন করি মাই। তিনি প্রথঙে আমাকে উইলের কথ! বলেন। ইহার পর বাজজেশ্বরীর মহিত্ত ভুইবার চক্দিধীতে আমার নাক্ষাং হয়। এই সাক্ষাতের পর শামি চকৃদিষী হইতে চলিয়া আসিলে, রাঁজেশ্বরী আমাকে আর পত্র লিখেন নাই। বৃন্দাধমচন্ত্র আমাকে পঞ্জ লিধিয়াছিলেম কি নাখ্ামার ম্মরণ নাই | যুন্দাবমচঙ্জ্রকে হুল দন্থন্ধ কোন পত্র লিখিয়া- ছিলাম কি ম1 তাহ আমার শ্মরণ মাই। আমি বিষয় সন্বদ্ধে তাহাকে পত্র লিখিমাছিলাম কি না, ভাহাও আমার মনে মাই । আমি চক্দিষীতে রাজেশখবনীর পিভাঁকে দেবিয়াছি। ম্বামি আরও চক্দিঘীতে তাহার জাত? ব্র্জকৃককে দেখিয়াছি। গরুদয়াল রাজেশ্বরীর পিতা ওরফে বিরজ! জামাকে পত্র লিখেন নাই। গুরুপন্লাল একবার কলিকাতায় আমার সহিত লাক্ষাৎ করিবার জন্ম আমিয়াছিলেন। কিন্ত জামার হনে নাই, চকৃগিষী হইতে ফিরে আচিবার কত দিন পরে আলিয়াছিগেন। সম্ভবতঃ ৬১০ বিদ্যাসাগর | ২৩ বৎসরের পরে হইতে পারে। তিনি আমায় বলিয়াছিলেম যে, তিমি উহার কমার বিষয় সন্বন্ধে কথা কহিভে আনিয়াছেম। ভাহাত্ে আমি বলির়াছিলাম, জানি ওকখ! শুনিব ম1। আমি শুনয়াছিলাষ যে, বিষন্তত্বাবধায়কদিগের মধ্যে গোলযোগ চলিতেছে এধং ন্হিয়ের তাল রকম ব্যবস্থা! হইতেছে না?) তদ্জন্ত আমি তাঢ'তাড়ি বলিয়াচিলাম যে অমি ওকথ]! শুনিব ন1। সারদা বাবুর মৃত্বার অল্পদন পরে ফোন ঘ্যক্তি তাহার বিহন্সে বিশৃবল| ঘটাইয়াছে কি না, তাঁহ1 জামি শুনি নাই। কিন্ত আমার বোধ হয়, ছই মাল পত্রে মধন জমি বাটাত্তে ছিলাম, তথন আহি বৃন্দাবদ রায়ের নিকট হইতে একখানি পত্জ পাইয়াছিলাম, তাহাতে এ গোলজালের কথা! লেখাছিল। তাচাচইক্ষে বুঝন্াছিলাম যে, রাজেশখরী অঙ্ক লোকের পরামর্শ লইয়াছে এবং উইল লন্বন্থে গোলযোগ করিতেছে । নং কাগজে সাক্ষী দৃরি কিয়া বলিক্লাছিলেম,-- আমি এই পত্রলিধি। আমার যোঁধ হয়, যুন্বাবনচন্জ্র যে পত্ত লিখেন এবং যাহার কথা পূর্বে বলিয়াছি, এই পঞ্জে তাহার জবাব লেখা হইক্সাছিল। এই পত্রের শিরোনাম! আমার হস্তে লেখা। চিঠি দেখিয়া ঘলিতে পারি না, বৃন্দাষনচ্থ্ে পত্রের উত্তরে এইনূপ লিধিক়াছিলাম কিলা। চিঠিধানি সাক্ষীকে শুনাইয়া! পড়! হইলে সাক্ষী বলেম, আমি খধর জানিঘার জন্গু পত্র লিধিয়াছিলাম। আঙি এ ধর প্রাপ্ত হইয়াছিলাম কি না, আমার স্মরণ নাই । আমার শ্লরণ নাই, এ চিঠি লিখিবার আগেকি পরে হকনলালের নিত চন্দনলগরে লাক্ষাৎ হয়। আমি ছকনলাল বাবুর নিকট হইতে উইল সম্বন্ধে খধর পাঁই। আমি কলিকাত1 হইতে এ পত্র দিখি। আমি কলিকাভ| হইতে চন্দদমগরে শিয্াছিলাম? কিন্ত কোন্‌ বাসে, তাহা আহার স্মরণ মাই। আমার বোধ হয়, জ্যে্ঠ মাসে হইবে। ছকনজালের মহিচ্ছ জাযার চন্দননগরে লাক্ষাং হয়। হামি জানার এ পত্রে নিধি, তাহার উপকারের জন্তই তাহাকে ছাহি পরামর্শ পিব? কিন্তু পেই সাক্ষা-বাক। ৬১১ উপকার কদিয়াছিলাম কি না, তাহ আমার শ্ররণ নাই। এ চিঠি লিখিবার পর আনম চকৃদিঘীতে আলিবার পর কিছু করিয়াছিলাম কি না, ভাহ! আধার ন্রণ নাই | আবামি বলিকাছিলাহ যে, জাঁমি ছকনলালের নিকট হইতে পশিয়াহি যে, তিনি উইল লিধিবাঁর সময়ে উপস্থিত ছিলেন? কিন্ত আমার ব্রণ নাই, আমি এই কথ চকৃদিঘীভে বলিক্লাছিলাষ কি ন1। ইহার পর সাক্ষী বলেন, ছক্নলাল বলিয়াহিলেন যে, তিমি হিরালাল বাবু; বাগানে ছিলেন। ইহার পর মাক্ষী ৭ এবং ৭এ লং কাগজে দৃঠি করিয়া বলেন, এই চিঠি এবং খাম আাঙার হস্তের লেখা। সারদ1 বালুর মৃডার পুরে চকৃদিধীর স্কুল গবর্ণষেন্টের সাহাযা প্রাপ্ত হইতেছিল। নারদ বানু মৃতার পর হইতে ডহাফিস্কুপ হয়। উইলের ক্রেড়পত্রের জনৃষারিক। সুপ কিপ্রচ্চারে চলিবে তাহার হন্দোবন্ত আমি করি। সাক্ষী চিঠিখানি পড়িয়াছিলেন। যে নূতন ব্াবস্থার কথা পত্রে উলিধিত আছে, তাহ! উইলের উল্লিখিত মিয়ম মকলের অনুমত। আধিঠিক করিয়! বলিতে পারি মা, উইলের ত্বার উইল বুঝাইতেছে কি উইলের ক্রোড়পত্র বুঝাইতেছে। & পতেতে দ্বিভীর় শিক্ষকের কথা উল্লিখিত আছে; কিন্ত ভাহার নাজ জানি না। জানি প্রথম শিক্ষকের নামও জানি না। পত্র খন্যারিক আমি চক্দিঘীতে আলি এবং স্কুলের বন্দোবস্ত করিস! যাই। নাক্ষী ৮নং কাগজে দৃষ্টি করিয়া] ব্‌লন যে, আমি এই পত্র লিধিয়াছি। প্রশ্-_-“এ কি র্ফম, আপনি চক্দিখীতে যান মাই বলিয্লা, গোলযোগ উপস্থিত হইল!” উঃ,-ঘামি তখন ইহা! জানতাম ম|। আমি ইহ! বিশদ- কূশে বঞ্ষিতে চাহি । আমার বো হর, বৃন্দাধনচঞ্জ রায় আমাকে এক খানি পত্ত জিগেন। ভাহাতে তিনি উল্লেখ করেন যে,আাপমার এখানে না জালাছে বড় গোলযোগ হইতেছে। আমি এ পত্র ইহার প্রতাত্রে লিথি। এ পত্রে ঘাহা লেখ মাছে, জামি তাহ! লিখি। আমি এই ভাবিয়! পত্র লিধিয়্1- ছলাম যে, ঠাহার। আমার পরামর্শ গ্রহণ করিষেন এবং এপ ভাবে ৬১২ বিদ্যালাগর কার্ধা বরিষেন যে, তাহাতে গ্লোলযোগ কমির|যাইবে। ১ চিহ্িত কাগজ দেখিপা সাক্ষী বলেন,_এই পত্র রাজেশ্ববীর লেখা । গবর্ণঘেন্টের উকিল অিলাল চৌধুরীকে আামি চিনি। কুলদ| হুন্দরীর দাবীর বিদয় বলিম্বা- ছিলাঘ কি না, ভাহ1 আমার প্মরণ নাই | আমি যথার্থই হলিতেছি, আমার স্রহণ নাই। বালি ব্শৌীমাধব রায়কে চিনি। তিনি তীাহাত ছেলের পক্ষে রাজেশখনী এবং যোগেছ্োর বিপক্ষে এক ফোকজমা কতেন। আমার শ্ব্ণ আছে, আমি মতিগাল চৌধুরীকে এ মোকন্দমার কথা বলি। আমার বোধ হয়, আমি ব্পিয়াছিলান, আপনি হ্ৌমাধব রায়ের পুত্র প্রিয় উইল অন্যারিক মালহারা পাইবার চের|করিবেন। লাক্ষী ১০ এবং ১ এ মং কাগজে মহির প্রতি লক্ষা করিয়! বলেম,কাগজের তলার রাজে- খ্বশীর যেশ্বাক্ষএ খাছে, তাহ রাজেখনীর স্বাক্ষর বলির! আমার বোধ হম্ঘ। আমি যোগেছ্ের বাঙ্গাল! তস্তাক্ষত দেখি নাই। (প্রযাশের সছি)। একট! ক।গজের প্রতি লক্ষা করিয়া সাক্ষী বলেন,--কাগজের শেষ রাঁজে- স্বটীর যে নছি আছে, তাহ রাজেখরীর বলিয়! আমার ধোধহয়। মাক্ষী এক "নি চিঠি লক্ষ্য করিয়! বলেন,+ইহা কাহার হতে লেখা, আমি বলিতে পারি ন1। রাজেখরী আমার বাটিতে আপিয়াছিলেন। দ্ধিনি ১৪। ১৫ ছিন পূর্বে আমার যাটাতে অ'মেন এবং প্রায় এক মপ্তাত আমার ঘাটাতে থাকেন। শুবিধামতন বাটি ন! পাওয়। ধাওয়াতে আমি তাহাকে আমার বাটাস্কে রাথি। নাবালক জলিতজোহনদ এবং রাজেখবনীর ধাহাতে মঙ্গল হয়, আনি ভাভার চে] করিয়াছি। এই লন্বদ্ধে আমি ককরেল লাহেবের দহিদ্ধ দেখা! করি। তিনিবর্ধমান বিভাগের কমিশনর। আমি আঃও উদ্বেশচচ্ছ মিত্রের পরামর্শ লই | মধাস্থ স্বাতা! মোকদম! মিটাইয়া ফেলিখার চে! করি। উশেচন্র দের্রপ পরামর্শ দেন, সেই পরামর্শ অনুষায়িক যেকদমার মীমাংলা হয়, ইহাই আমার ইচ্দ্াা ছিল। আমি শপথপূর্বাক ঘলিতেছি যে, নর্বপ্রথষে মধ্্থ দ্বার মিটাইধার স'ক্ষা-বাক্য ৬১৩ কথ| আামি উল্লেখ করিলাই। আমাকে এক জম যধাহ বলিয়া নির্ধারিত কর! হহ। আারও অস্থাস্ত যাহার] মধান্থ হইবেন, ভাহাদিগের মাম ছামি উল্লেখ করি। এ মধান্থদিগের নাম প্রসন্তকুঙাত্র সর্ধাবিকারী এবং রাজকুক্চ বন্দোপাধ্ায়। প্রমন্থ বালু সংস্কৃত কলেজের প্রিশ্নিপাল এবং অসরু ৰাক্তি প্রেসিডেন্সী কলেজের এক জন অধাঁপক। উভয়ই আমার বন্ধু। ককরেল লাহেবের সহিত সাক্ষাৎ হইবার পর তিনি আমাকে বলেন যে, ছু বিগশ্ে এই হোকন্দঘ1 মধান্থ দ্বার মিটাইবার সিদ্ধান্ত হইয়াছে । আমার যোধ হর যে, বাদ্দেনী ভয়ে এইন্রপ বলিয়াছেন। যখন আছি কলিকাতায় ছিলাম, তখন আমি উছ্ছেশতচ্ঘ বানুকে উইজের একপানি নকল দেখ'ই এবং তাহা মহত্ব জার কতকগুলি প্ারক-পত্র দেখাই। এইল্মারক-পত্তগুলি জাহি চকৃদিখীতে লিখি । সারদ1 বাবুক্ স্বহার পর যখন আমি চকৃপ্দঘীতে ছিজাষ, তধন জ্বামি এ স্মারক-লিপি- গুধণি লিধি। আমি পূর্বেই বলিল্লাছি যে, উইল এবং উইলের নকল হুদ্বাধনচচ্জ নান আমাকে পাঠাইয়াদেন। জামি এগুলি উমেশবাবুকে দেখাই। আমি এহন কখ] লি নাই ধে, আমাকে মধ্য্থ কর হইয়াছে লিয়। উইল বজার বার । আহি শপথগ্রহণপূর্বক এই কথা বলিছেছি। ককটেল লাহেষের মহিত লাক্াৎ করিয়া ফিরিয়া আপিবার পর আমি এ সম্বন্ধে কোন কথ| বলি নাই। আমি মালেজার উদ্লেশচঙ্জ মিত্রকে রাঙ্গেশ্বীর এ পত্র ধামি দিই। জাষি ম্যানেজারকে বলি যে, নাঃদ। বাবু! প্রেভাত্বা ধঘদি এখনও বর্তমান থাকে, লনিতমোহন বিষ ন! পাইলে, তিনি অত্যন্ত ছুঃখিদ্ত হইবেন। আহি আরও বলিয়াছিলাহ যে, জলিতধোহন বিষয় ঘি না পান, তাহ হজে জাজিও ছুঃখিত হইধ। আঁধার ম্মবণ মাই, আমি বলিয়াছিলীম কি ন1, নাঁধাজককে উঠ্জ ভনুষায়িক যে বিষয় দেওয়া হইয়াছে, উ₹1 তাহাকে তোগ করিস দেওয়া হউক, ইহা আমার ইচ্ছা!। আমি বলিয়াছিলাম যে, যদি জলিত- ৫২ ৬১৪ বিদ্যামাগর গোহন হিষন্স গাল এবং রাঁজেখবরী মনের ঘধে থাকেন, তাহ] হইলে আঙ্গি জতান্ত আনন্দিত হইবঘ। ঘথন আমে উহ বলিক্লাছিলীম, তখন আমার ধারণা ছিল না, সারদা বাবু কোন উইল করেন মাই। ধখম আমি মতি বাবুকে বেণিষধষের পুজের পক্ষে উইল অন্যায়িক মোকদমা আদিতে বলি, ত্তধনও আমার ধারণ। ছিল যে, লারদ1 বাবু কোন উইল করেন নাই। বখন জ্বাহি রাঁলেষ্খরীকে বলি যে, আপনি আপনার ম্বামীর ইচ্ছানৃষায়িক কার্য করিত্ধে বাধ্য, ভন আমার ধারণ! ছিল যে, সারদাবাবু উইজ করেন লাই । জাষার দৃঢ় বিশ্বাস যে, আমি রাজেখবরীকে কথন বলি নাই যে, জাপনার স্বামী উইল করেন দাই। আমি এ কথা যোপেঙ্গকেও বলি নাই। যখন জমি মতি বাবুকে বেণিমাধবের পক্ষে মোকদ্দমা আানিত্তে বলি, তখন আমার দৃঢ় বিশ্বান ছিল যে, উঠলটা জাল এবং 'কাল্পনিক। এই ৮ বংসর ধরিয়া আমি এই বিষয় মনে রাধিয়াছি | আমি বৃদ্দাধনচঙ্্র রায়কে ঈশ্বরমিংছের স্বাক্ষর বনছ্থে কিছু বলিয়াছলাম কি না, তাহা প্রন্রণ নাই। জানি পাকপাড়ার রাজাদিগের নিট টাক] ধাতি ন1; কিন্ত আমি এবাটীর এক ন্ত্রীলোষের নিকট হইতে ২০০৯ টাক1 ধার করিয়াছি। প্রশ্র,তোমার এক্ষণে দেন] আছ কিনা? উ:-দ্াজে এ গ্রাশ্বের জবাধ দিব ন1। আদালত এই % পুনরায় ভিক্ঞাল] করিত্ধে দেন এবং তাহার জবাধ ঢান। লাক্ষী বলেন,_আঁমার দেন] আচছে। আমি কৌন বইর কপিরাইট ত বেনামেতে রাঁধি মাই। লারদ!বাবুর মৃত্যুর পর তাহার বিষয় হইসে আমি টাক! ধার চাহিক্লাছিলাষ কি না, ভাহ1 আঁঙার মনে নাই । বোধ হয়, আমি চাহি নাই। জআাষি ঝণ চাহিভে লক্ষম নই। পুনরায় জিজঞান1 করিলে লাক্ষী বলেন,-ছাথি কলিকাস্ বিশ্ববিদ্যালয়ের এক জন লদস্ত। কিন্ত আহি সিঙিকেটের এক জন মেশ্বার নতি। আমি মেটরপোলিটন ইনিটি- ডিউলনের প্রধান ত্বত্বাবধারক। €মট্রপলিটন স্ুল এবং কলেজের নাঁদ। সাক্ষ্য বাক্য। ১৫ প্রত্ধ _-ক্বাসমি কি হিন্দু-বিধব1 বিধাহের উদ্তেজক্ক ? এই প্রশ্নে আপত্তি কর! হইজ। উঃ,-এই হিসাবে আমার দ্বার! আনেক টাক1 খরচ কর! হইয়াছে। আমাকে অনেককে মানহারা দিতে হয়। যাহার হিধবা-বিযাহ করিয়াছে, ভাছাদের অবেককে টাক! দিতে হত, আমি এই দান ব্দাস্তত! জন্ক করি- ্লাছি। কাতুণ আমার বিবেচনায় হিধবাদিগের পুনর্কিবাহ দেওয়া] নৎ কার্ধয। বিধধাদিগের বিধাহ দিবার জন্্রকিন্ব(এ হিনাবে আমার দেলা!। আমি আনেক দিন পূর্বে সংস্কৃত শিক্ষা করিয়াছি। আমি ইহার হবার! জীবিক! নির্বাহ করি না। প্রশ্র,-সারদা বাবু যে খলড়া দিয়াছিলেন, তাহাতে ভত্বাবধারক নিতুক্ত কর্রঘার কোন বন্দোবস্ত ছিল? কিন্ব। কাহাঁকেও তত্বাবধারক বলিয়া উলিখিত ছিল? এই বিষয়ে আপত্তি উখাপন কর! হয়। প্রশ্ন” স্বাপনি বজিগেন, সারঙগাপ্রণাদ খন উইল করেন, তখন ছকনলাল মেখানে উপস্থিত ছিলেন, এ কথ তিনিই আপনাকে বলিয়াছেন । লারদাপ্রলাদের উইল করিবার মময় সভা সত্যই কি ছকদলাল সেখানে উপস্থিত ছিলেন? জপর পক্ষ হইতে এ প্রশ্থে আপত্তি উঠিল। কিন্ত উত্তর হইল,_-গ মি জানিয়াছি ঘে, উইল করিযার সময় ভিনি লারদা বাধুর নিকট উপস্থিত ছিলেন। প্রপ্»,-_আপনি ছকনলালের নিকট কোৰ্‌ সময়ে এই উইল কর হয়, শুমিয়াছেন? উত্তর,--যৃতর পূর্বে তিজি এই উইল করেদ। তখন তিনি হীবালাল বাবুর বাগানে ছিলেম। ছবন- লাল এই উইল করিবার লময় লারদ1 বাবুর কাছে ছিলেন। প্রশ্ন । আপনি যদি বিশ্বান করিয়াছিলেন যে, নারদা বাবু উইজ করেন নাই, তবে আপনি কেমন করিয়া ভাহার বিধবা আ্ীকে উইল অনুযায়ী কাধ করিতে পরামর্শ দিরাছিলেন ? নাক্ষী বলেন,-'আহি অত্যন্ত পীড়িত এবং ভুর্বল; খিশেষতঃ সকাল বেলা আহার করি নাই; ফাল বুবিয়াছিলাহ যে, ১১টার তিভরেই তাহার এজাহার শেষ হইয়া যাইবে? জবার বুঝিতেও পারি না! এবং কথা ৬১৬ বিদ্যামাগর। কছিতেও পারি ন1।” বাদিনীর পক্ষে কৌন্সিল বলেন,-তাহার এজাহার প্রায় শেষ হই আসিয়াছে । তাহাক্কে আর ছুইটী মাত্র প্রশ্ন কর|হইষে। এখন ছুইট1 বাজিপ্লাছে। ড;। আহি তাহাকে তাহার স্বামীর ইচ্ছা অঙ্গযায়ী কার্য করিতে বণিয়াছিলাম, এই বিষেচমার যে, তাহা হইলে দেশের উপকার হইবে ও নারদ বাবুরও কথ! ধজায় খাঁকিষে। বদি রাজেশখবরী আমাকে জিন্ঞান] করিতেন, উইল জাল কিমা, তাহাঁহছইলে আমার মনের যাহ! বিশ্বান, তাহা আহি নিশ্চয় তাহাকে বলিতাম। তিনি সাহার নেবিষয়ে কোঁদ কথ] জিজ্ঞাল| করেন মাই এ্রধং আমিও কোন কথার উল্লেখ করি নাই । আনি ফপিয়াছি ঘে, আজিরাজেখধীর পত্র উদ্দেশ হিজকে দিই। উদ্বেশ মিত্র নে পত্রথাশি পাইন) খুব চাঁপ দেক্স অর্াৎ তিনি বলিক্পা- ছিলেদ যে, তিনি বি এইননীপ পত্র পাঁন, তাহ! হইলে তিনি কালেক্টার আফিসে যাইযেন? আর মমন্ত বির দাবি করিষেন। তিমি এই কথ! বলিলে, জআাষি রাজেশখদীকে মেইমত কার্যা করিতে বলি। হ্হার পরে কোন লোক ইংরেজিতে একখানি খলড়া করে। আমি তাহ! সর্বপ্রথমে রাজেশবরীকে দেখাই। পরে উমেশ বাবু মেই পত্রের কতফ অংশে আপত্তি উত্বাপন করিলে, রাজেখরখীকে উহার বিষ জানান হয় এবং এই পত্রধানি বদলাইয়। আঁধার একখানি খনড়| ভইয়ার কর] হয়। পরে ইহ1 আবার পগসিক্ষার করিয়া নক্কল কর] হয়। রাজেখনী তাহাতে স্বাক্ষর করেন। প্র । ইহ1 ফেমন করিয়া! হইল যে,র়াজেশরী কলিকাতায় আপনার বাটাতে আনিলেন? "উঃ উমেশচগ্জ আমাকে কোন কথা বলেদ। আহি তজ্জহা রাঁজে- শ্বরীকে একখানি পত্র লিখিয়! ঠাহাকে আমি লীমই কলিকাতা আনিতে যলি। সাক্ষাম্বাকা | ৬১৭ উড সাহেবের অমুরোধে দাক্ষী বলেন,বধন লারদ বাবু মার! যাঁম, তখন আহি এমন পহ যে, বাটী ছাডিতে ছক্ষম। বিধযা-ব্বাহের ধরচ যোগাইতে শামি করন ট|দ1 তুলি লাই? দ্িষ্ত লোকে যাহ! স্বেচ্ছা দিত, ভাহ! আমি গ্রহণ করিতাম। বিচারে উইপ প্রকৃত বণিয়া দিদ্ধান্ত হয়। হাইকোটের আপীগেও ইনপ সিদ্ধান্ত হইরাছিল। উইণে সারদা বাবুর ছিল। বদ্দমানে সাক্ষ্য দিবার পর, বিদ্যামাগর মহাশয়, ঠাহার কোন বন্ধুকে বলিয়াছিলেন,_*জেরার জবরদন্তীতে কৌসসিলেরা সত্যবাদী মাক্ষীকেও সত্য বলিতে দেম না।” যে দিক দিয়া হউক, যে ভাবে হউক, আধুনিক আদালত-সমূহ জনেকটা মিথ্যার প্রণয় দিয়া থাকে, এরূপ একটা কলঙ্ক জগধরাষ্ই। চত্বারিংশ অধ্যায়। কলেজে জামাতা, পিতৃ-বিয়োগ, কন্তার বিবাহ, বসত.বাডী, অনুখে প্রবাস, উপাধি, বি,এ ক্লাস, নিয়মে নিষ্ঠা, বি,এর ফল, কানপুরে প্রবাম, ছাপাথানার-শেষ, ৭ শোধে সাধুতা, ঠাকুর বাড়ীর বিবাদ, মনাস্তরের ফল, সিবিলিন রমেশচন্ত্র, কলেজ-বাড়ী, পত্বী-বিয়োগ, পত্বী- চরিত্র, জামাতার পদচ্যুতি, কলেজের ভার; গুরুদাস বাবু, বীরমিংহের পত্র ও ভগবতী বিদ্যালয়। ১২৮২ সালে বা ১৮৭৬ বষ্ট/বের জামাতা হৃর্ধয বাবু, ফেট্ু- পলিটন ইনট্টিটিউসনের ফেক্রেটরী পদে নিযুক্ত হন। ইহার পুর্বে তিনি হেয়ার গুলের শিক্ষক ছিলেন। ১২৮২ পালের ৩*শে চৈত্র বা ১৮৭৬ খৃষ্টাব্দে ১১ই এপ্রেল পিতা ঠাকুরদাস কাশীপ্রাপ্ত হন। পিতার মৃত্যুকালে বিদ্যাসাগর মহাশয় কাশীতে উপস্থিত ছিলেন। তিনি পিতৃবিয়োগে পঞ্চম বৎসরের শিশুর মত উচ্চৈঃস্বরে ক্রন্দন করিয়াছিলেন । মা গেলেন) পিত| গেলেন) ইহু-সংসারে বিদ্যাসাগরের সকল হুধ অপন্থত হইল। ১ল1 বৈশাখ বা ১২ই এপ্রেল বিদ্যাসাগর মহাশদ্বের ভেদ-বমি হইয়াছিল। তাহাকে তদবস্থায় কলি- কাতায় আনা হয়। সুস্থ হইয়া তিনি বারান্তরে কাশী গিয়া" ্ রা ৃ বিদ্যামাগরের বাড়ী । বমতশবাডী। ৬১৯ ছিলেন। তথায় তিনি পিতার শ্রান্ধার্দি করেন। ইহাই তাহার পিতার আদেশ ছিল। ১২৮৪ সালে বা ১৮৭৭ হষ্টান্দে মুক্ত কার্তিকচন্ত্র চটো- পাধ্যায়ের সহিত বিদ্যালাগর মহাশয়ের কনিষ্ঠ কন্যা আীমতী শরত্কুমারীর বিবাহ হয়। কন্তা ও জামাত বাড়ীতেই থাকি- তেন। বিদ্যানগর মহাশম জামাতা, কন্তা এবং তাহাদের পুত্রকন্তাদিগকে বড় ভাল বাসিতেন। এই বৎসর কলিকাতার বাছুড়বাগানের বাড়ী অম্পূর্ণ হয়। বিদ্যাসাগর মহাশয় বহুব্যয়ে এই বাড়ী প্রস্তত করেন। শীত কালে তিনি এই বাড়ীতে প্রবিষ্ট হন। প্রথম তিনি স্বয়ং লাইব্রেরী লইয়া এই বাড়ীতে একাকী থাকিবারই জঙ্কল্স করিয়াছিলেন; কিন্তু অন্ত বাড়ী প্রাপ্ত হইবার স্থবিধা না হুওয়ীঘ, পরিবারে বাস করিতে বাধ্য হন। আর দেহ বহে না! রোগে শরীর জীর্ণ! ইহার উপর মাতৃশোক ও পিতৃুশোক! আর কত সহে! তেজন্বী পুরুষ, তাই এত দিন দেহ বহিয়াছিল। আর কত দিন! প্রকৃতির সঙ্গে সংগ্র/মে দেবতা হারে। মানুষ কোন ছার ! দুর্জয় বীর বিদ্যাসাগর ক্রমে শোণিতশুন্ত ও শক্তিহীন হইয়া আঙিতে লাগিলেন। তিনি সংসারের সকল কঠোর কার্ধ্য পরিত্যাগ করিলেন। কলিকাতায় আর তিনি বেশী দিন থাকিতে পারি. তেন না। ক্রমে জংলার-কোলাহল ভয়ঙ্কর কষ্টকর হইতে লানিল। তাই তিনি কখন ব| কর্ম্টায়, কখন বা ফরাসভাঙ্গায় ৬২০ বিদ্যাসাগর | ধাকিতেন৭ কর্দটটাড়েই তিনি বেশী দিন খাকিতেন। কর্মটাড়ে সরল সঁওতাঁলগণ তাহাকে মন্ত্রমু্ধ করিষাছিল। তিনি তাহা, দিগকে সহজে পরিত্যাগ করিতে পারিতেন ন। গ্রত্যহ সওতালগণের কেহ না কেহ যথাসাধ্য উপহার লইয়। তাহার সহিত সাক্ষাৎ করিতে আমিত। একবার একটী সাঁওতাল একটা মোরগ উপহার আনিয়াছিল। বিদ্যাসাগর মহাশয়, মোরগ উপহার দেখিয়া, হাসিয়া বলেন -_"আমি ব্রাহ্গণ, মোরগ পরই কি করিয়া?” সীওতাল কীাদিয়া ফেলিল। অগত্যা বিদ্যাসাগরকে মোরগটী হাতে করিয়া লইতে হুইল । সীও- তালের আনন্দের সীম রহিল না। সাওঙাল চলিয়া আমিলে পর মোরগটাকে অবশ্ঠ ছাড়িয়া দেওয়। হয়। সাঁওতালদের. সহিত তাহার ঘনিষ্ঠ আত্মীয়তা ঘটিয়াছিল। এক দিন একটা সাঁওতাল তাহার আত্মীয় স্ত্রীলোঁককে সঙ্গে লইয়া বিদ্যাসাগরের সহিত সাক্ষাৎ করিতে যায়। সে সাক্ষাৎ করিয়া বলে, «একে একখানা কাপড় দিতে হবে” বিদ্যাসাগর মহাশয় একটু কৌতুক করিবার অভিপ্রায়ে বলেন,_“কাপড় নাই। আর ওকে দিব কেন সীঁঙতাল বলিল,__“ত1 হবে না, কাপড় দিতেই হবে।” বিদ্যাসাগর মহাশয় বলিলেন, «কাপড় নাই।” তখন সঁওতাল বলিল,--“দে তোর চাবি। চাবি খুলে সিন্দুক দেখবে1।” বিদ্যাসাগর মহাশয়, হাজিয়া সওতালকে জিন্দুকের চাবিটী দেন। সাঁওতাল চাবি দিয়া মিদ্ূক খুলিয়। দেখে প্রচুর কাপড়। সে বলিল,_এএই ষে উপাধি ৬২১ কাপড়।” এই বলধা, দে একখানি ভাল কাপড় বাহির করিয়া আনিয়া, স্ত্রীলোকটাকে প্রন্দান করিল। ইহাতেই বিদ্যা- সাগরের অপার আনন্দ। সুযোগ্য কৃতবিদ্য জামাতাকে স্কুলের ভার দিয়া তিনি অনেকট! নিশ্চিন্ত হইয়াছিলেন। কিন্তু পুলের ভাঁবন1 সদাই মস্তিদধে ঘুরিয়া বেড়াইত। ১২৮৬ মালে বাঁ ১৮৭৯ প্বষ্টাব্ে কলেজে বিএ ক্লাম ধোলা হয়। ইহার৪ চরমোন্নতি হইয়াছিল । পরে বি, এল, ক্লাস প্রতিঠিত হইয়াছিল। বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয্মানুমারে কলেজের পরীক্ষারধীদিগকে শত কর! হিসাবে নির্ধীরিত দিন উপস্থিত থাকিতে হয়। না ঘাকিলে পরী দিবার অধিকার থাকে না। এ নিম্মপালনের প্রতি বিদ্যা- সাগরের দৃঢ় ঢৃট্টি ছিল। এ নিয়মভঙ্গে প্রত্যব্যয় আছে, এই ধারণায়, কলেজের অধ্যাপক মাত্রকেই তিনি এ সম্বন্ধে সাবধান থাকিতে উপদেশ দিতেন। কাহারও ক্রুটি বোধ হইলে ভ€পন! করিতেন। একবার রীপণ কলেজ হইতে, এক জন বি, এল, পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হুইয়াছ্িলেন। তাহার উপশ্থিতি-নিয়মে ক্রু ছিল। বিদ্যাসাগর মহাশয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের কতৃপক্ষকে ও কথা বিদিত করেন। তাহ! লইয়! হলম্তুন বাধিয়াছিল। রীপণ কলেজের কর্ত| ুবরেন্ত্র বাবু বেশ অপ্রস্তত হইফ়াছিলেন। অতঃপর সকল কলেজকে এ সম্বন্ধে সাবধান হইতে হইয়াছিল। ১২৮৭ মালে বা ১৮৮৭ বষ্টাব্ধে বিদ্যামাগ্র মহাশয়,গবর্ণমেন্টের ২২ বিদ্যামাগর। নিকট হইতে জি, আই, ই, উপাধি প্রাণ্ত হন। তিনি প্রথমতঃ উপাধি-গ্রহণে অনম্মত হন। পরে উপরোধ এড়াইতে মা পারিয়া উপাধি গ্রহণ করেন ; সলন্দ লইতে কিন্ত দরবারে যান নাই) ইহার পর তিনি কলেজের বাড়ী নিশ্মাণের ভাবনাক় বিব্রত হুইগ়াছিশেন। তিনি বতসর প্রাপ্ন আর কোন বিশিষ্ট সাধারণ জ্ঞাতব্য কাঁধ্য করেন নাই। ১২৮৯ সালে বা ১৮৮২ বৃষ্টাব্ধে প্রেবেশিকা পরীক্ষা হইতে ধজুশাঠ তৃতীয় ভাগ উঠিয়া যায়। ষোল বৎসর কাল এই পুস্তক পাঠ্যন্তর্ুত ছিল। খজুপাঠ উঠিঘ্া যাওয়ায়, অনেকটা আয়ভাস হইয়াছিল। এই জমকপ বিদ্যাসাগর একটু বিব্রত হইয়াঁছিলেন) কিন্ত বিচলিত কিছুই হুন নাই। ইহার পূর্বে স্কুলের অনেক শিক্ষকের বেতন বাড়াইয়া দিবার আশা দেওয়া হুইয়াছিল। তাহার! আয়হ্রাম জন্ত কতকটা নিরাশ হইয়া, ছিলেন। কিন্ত বিদ্যাসাগর মহাশয়, কাহাকেও নিরাশ করেন নাই। ষেূপেই হউক, তিনি অর্থ সংকুলান ক€?ষ। লইয়া- ছিলেন। সাধুমস্কল্প অলম্পূর্ণ রহে না। ১২৯১ সালের অগ্রহায়ণ মাসে বা ১৮৮৪ খৃষ্টীবের নবেম্বর মাসে বিদ্যাসাগর অত্ুস্থ হইয়া! কানপুরে যান। ১৮৮৫ খৃষ্টাব্দে বি,এ পরীক্ষায় মেট্রপলিটন সর্ব্বপ্রধম স্থান অধিকার করে। ১৮৮৫ ধষ্টান্দে বড়বাজারের শাখা ও ১৮৮৭ খষ্টীবে বুবাজারের শাখা-বিদ্য।লঙ্ প্রতিষ্ঠিত হয়। ১২৯১ মালের ১৮ ই পৌষ বা! ১৮৮৫ বৃষ্টাবের ১! জাহ্ুয়ারি থণসশোধে সাধুতা ' ৬২৩ বিদ্যামাগর মহাশয়, রাজকৃষ্ণ বাবুকে, তাহার সংস্কৃত প্রেসের অবশিঃ অংশ ৫ সহত্র টাকায় বিক্লয় করেন। প্রেমের কার্ধ্যে তাহার প্রবৃত্তি-হীনত1, এ বিক্রয়ের কারণ; অধিকন্তু ইহাতে তাহার অনেক টাকান পণ শোধ হুইয়াছিল। পুস্তকের আদ্র মসিক প্রায় ৩।৪ স:ত্রটাকা দীড়াইয়াছিল। মৃত্যুর পূর্ব দেনা তিনি এক পয়সাও রাধিয়া যান নাই। বিদ্যাসাগর দেনা করিয়াছিলেন অনেকেরই ; দেনা রাধেন নাই কাহারও । পাওনাদার পাওনার কথা ভূলিতেন, বিদ্যাসাগর দেনার কথ! ভুলিতেন ন1। যাচিয়! খণ পরিশোধের শত-পরিচক্প বিদ্যা- সাগরের জীবনে পাইবে । একবার তাহার নিকট গবর্ণমেন্টের প্রায় পাচ হাজার টাকার পাওন! ছিল। গবর্ণ মণ্ট পাওনার কথ! ভুলিঘা গ্রিয়াছিলেন। হিসাব-নিকাশেও ইহার উল্লেখ ছিল না। বিদ্যাসাগর মহাশয় স্ব:ৎ পত্র লিখিয়া, এই কথ! তুলিয়া, টাকা পরিশোধ করেন। শুনা যায়, বিদ্যাপাগর যখন সংস্কত কলেজের প্রিন্সিপাল ছিলেন, তখন পাটাগণিত, ইতিহাস প্রভৃতি ছাপিয়া হলভ মূল্যে বিক্রয় করিবার উদ্দোষ্তে এই টাকা দিয়াছ্িলেন। উদ্দেশ্ঠ সিদ্ধ হয় নাই। এই টাকা খরচ হইয়া! গিয়াছিল। এই সময় পাথুরিয়াাটার মহারাজ যতীন্রমোহন ঠাকুর ও তদীয় ভ্রাতা রাজা শৌপিক্রমোহন ঠাকুরের মধ্যে বিষয় লইয়া মনাভ্তর হয়। বিষয়ের গোল মিটাইবার জন্ত ১২৯২ সালের ২৫শে বৈশাখ বা ১৮৮৫ ঘ্টাবের “ই মে উভভ় ভ্রাতা নিম্নলিখিত ৬২৪ বি?যাদাগর | সালিসীনাম। লিখিয়া বিদ্যাসাগর মহাশয়কে সালিসী হইবার জন্ত অনুরোধ করেন। মাননীয় পযুক্ত পতি চ ঈশ্বরচচ্ত্র বিদ্যালাগর মহাশয় নমীপেষু-_ স্বাঃ শ্রীষভীজ্ম মোহন ঠাকুর ত্বাঃ্রশোরীজ্রমে'হন ঠাকুর সবিনয় নিবেদনম-_- আর! ছুই সহোদর একাল পর্যন্ত একাগ্বন্তাঁ থাঁকিরা কালযাণন করিতে ছজাম এক্ষণে সেরূপ কালযাপন করার মান! ছনুবিধা বোধ করিয়া! পরস্পর পৃথক আন্ন হওয়া আবগ্টাক হইয়াছে এবং ওভুপলক্ষে বিষয় বিাগও অপরিহার্য আপোশে নকল বিষয়ে শ্শুঙ্খলরূপে মিষ্প্থি হওয়া! অনস্তাবমীয় বোধ করিয়া আমর! উভয়ে একমত হইয়া আপনাকে নালিশ নিযুক্ত করিয়| এই ভার দিতেছি আপনি আমাদের উভয় পক্ষে নিকট হইতে নকল বিষয় অবগত হইয়| ও সবিশেষ তদস্ভ করিয়া আমাদের ছাবরাস্থাবর নমুদাঁয় লম্পন্তি বিভাগ করিয়া দিবেন আমর! উভয়ে অঙ্গিকার করিতেছি আপনার কৃত বিভাগ মান্য করিয়া! লইব সে বিষয়ে কোন ওজর আপত্ব করিব ন| যদ্দি করি তাহ! বাতিল ও মামঞ্চুর হইবে এতদর্ধে শ্বেচ্ছাপূর্ধক এই সালিশনাম1! লিধিয়। ছিলাম। অদ্যকার ভারিধ হইতে তিম মাসের মধ্যে এই বিষয় নিষ্পত্তি করিয়| দিবেন ইতি মদ১২১২ বাঃশত বিরানবই মাল তারিখ ২৫ বৈশাখ । বিদ্যাসাগর মহাশয়, গোলঘে গ মিটাইবার জন্য সাধ্যান্ু- সারে চেষ্ট। করিয়াছিলেন। বিষয়-সম্পত্তি সংক্রান্ত কাগজ-পত্র আনিয়া, তিনি পুঙ্ানুপুঙ্ঘরূপে অবিশ্রাস্ত পরিশ্রমে, পর্ধযালোচনা নশাস্তরের ফল ৬২৫ করিতেন। নানা কারণে গোলযোগ মিটান দুঃসাধ্য ভাবিয়া, তিনি ১২৯২ সালের ১৫ই আষাঢ় বা ১৮৮৫ বৃষ্টাবের ২৮শে জুন উভয় ভ্রাতাকে নিমুলিধিত পত্র লিখিয়া, সালিসীর ভার পরিত্যাগ করেন। বিনয়নমস্কার ব্ভ্মানপুর£ঃনর আবেদন মিদমৃ-_- আপনাদের বিষয়বিভাগ সংক্রান্ত বিবাদনিষ্পত্বির ভার গ্রহণ করিয।- ছিলাম । কিন্তু নানা] কারণে এত বিরক্ত হইয়াছি যে আর আমার এ বিষয়ে পরিশ্রম করিতে প্রত্ত্বি হইতেছে ন1। এ জন্তু লিরতিশয় ছুঃধিত অন্ত:করণে আপনাদের গৌচর করিতেছি, আমি এ বিষয়ে ক্ষান্ত হইলাম। আপমাদের বিবাদমিষ্পত্বি করিয়। প্রতিষ্ঠাতাজন হওয়া! ও আন্তরিক ৃধলীভ কর! জামার ভাঁগো ঘটিয়া] উঠিল না। কিমধিকমিতি ১৫ই আষ'চ, ১২১২। ১২৯২ সালের ১৭ই অগ্রহায়ণ বা ১৮৮৫ প্বষ্টাব্দের ১লা ডিসেম্বর, বিদ্যাসাগর মহাশয্), মনাস্তরবশতঃ সংস্কৃত ভিপজি- টরি হইতে আপনার জঅমুদায় পুস্তক তুলিয়া লইয়া! আনিয়া, স্বপ্রত্িষিত কলিকাতা লাইব্রেরীতে রাখিয়া দেন। কলিকাতা লাইব্রেরী এখন কলিকাতা-নুকিয়া-গ্রীটে অবস্থিত। বিদ্যাসাগর মহাশয়ের যাবতীয় পুস্তক এইখান হইতে বিক্রীত হইয়া ধ'কে। এই ময় বিলাতফেরৎ সিবিলিয়ান খণেদপ্রকাশক বাবু রমেশচন্র দত্তের সহত বিদ্যাসাগর মহাশয়ের জালাপ- -পরিচন্ হয়। রমেশ বাবু, বিদ্যাসাগর মহাশয়ের বাড়ী যাইতেন। বিদ্যাসাগর মহাশয় অহুস্থ ছিলেন। তিনি রমেখ বাবুকে , €তি ৬২৬ বিদ্যাসাগর । বলেন,__এভাই, উত্তম কাঁজে হাত দিয়া, কাঁজটী জন্পন্ন কর. দি আমার শ্রদীর একটু ভাল থাকে, যদি আমি কোনবূগে পারি, তোমার ফাহাষ্য করিব।” স্বয়ং রমেশ বাবু এই জব কথা নব্য-ভারতে লিখিয়াছিলেন: বিলাতফেরৎ শুদ্র সিবিলিয়ানকে বেদ-প্রকাশে প্রশ্রয় দিয়া ব্রাহ্মণ-স্তান বিদ্যাসাগর, এ যুগোচিত কাধ্য করিযাছেন। অধিকার-অন্ধিকারের হুক তত্ব মর্দ্দে বিদ্যাসাগর দৃট্টিহীন, এ ঘটনায় তহারই অন্তত প্রমাণ। তিনি যে সে মর্ম বুঝিয়াও আত্মগোপন করিয়াছিলেন, এ কথ বলিতে কাহারও সাহম হইবে না। তিনি যে অত্য-প্রায়ণ। ১২৯৩ সালের মাঘ মাসে বা ১৮৮৭ ধৃষ্টাকে জানুয়ারি মাজে শঙ্কর ঘোষের লেনে নৃত্তন বাড়ীতে কলেজ ও সুল প্রবেশ করে। জমী ক্রয় করিতে ও বাড়ী নিক্দাথ করিতে প্রায় দেড় লক্ষ টাকা ব্যয় হইয়াছিল । প্রায় লক্ষ টাকা ধার হইয়াছিল। ১২৯৫ সালের ৩০শে শ্রাবণ বা ১৮৮৮ বষ্টার্ের ১৩ই আগষ্ট বিদ্যালাণর মহাশয়ের পত্রী রক্কামাশয় গীড়া় লোকাস্তরিত হন। মৃত্যুর কিয়তকাল পুর্বে ইনি কপালে করাত্বাত করিতে আরভ্ত করেন। জ্যেষ্ঠা কন্তা পিতাকে ভাকিয়া বলেন,--*বাঁবা মা কি বলিতেছেন শুনুন ।” বিদ্যাাগর মহাশয় বলিলেন,“ *বুবিয়াছি, তাই হইবে); তার জন্ত আর ভাবিতে হইবে না।' কপালে করাত্বাত,-_পুত্রের জন্ত করুণা-ভিক্ষা। আশ্বাস পাইয়া স্ভী হুথে প্রাথ বিসর্জ্ঞান করেন। গত্রী চরিত্র। ২৭ পরী দীনম্রী প্রকৃত গৃহ্নী ছিলেন। তিনি শ্বশ্রঠাকুরাধীর তায় সবহান্তে রন্ধন করিম লোকক্্রনকে খাওয়'ইতে বড় ভাল বামিতেন। দানধ্যানে& তাহার পূর্ণ প্রবৃদ্ধি ছিল। বজ্জিত পু নারায়ণের জন্ত পতির সহিত ষ্ঠাহার অ:নক যম বাদবিসম্বা্দ ঘটত। এই বাদবিমন্নাদই সন্ভাবক্রটার মুল কারণ হুইয়াছিল। অনেক সময় তিনি গোপনে পুত্রকে অর্থনাহাধ্য করিছেন 7) এমন কি, নিজের অপঙ্ার পরান্ত বন্ধক দিতেন। এজন্য বিদ্যাসাগর মহাশয়, বিরক্ত হইয়া] টাকা কড়ি দেওয। বন্ধ করিতেন। পিতা খুক্রদ্ব যেমন তেজপ্ধী ছিলেব, কন্ত। দীনমধীও তেমনি তেজ ন্বনী ছিবেন। স্ব।মীর নি্ট একবার কোন জিনিষ চাহিয়া না পাইপে, তিনি হুর্জ্ন অভিমানে অভিভূত হইতেন। তেজদ্বী বিদ্যাদাগ্থর তাহার জন্ত বিচপিত হইত্েন না। এইরূপে মনান্তর ঘটত। দীনমরী তেজপ্বিনী ছিলেন? কিন্তু পিতার স্তায় তাহার যথেষ্ট উদারতা ছিল। পত্তী-বির়োগের পর বিদ্যাসাঞ্গর মহাশবের হৃদয়ে দাম্পত্যি- হুধাভাবের নুদীরুণ স্মৃতি জাগরিত হইয়াছিল। সেই স্মৃতি- তাড়নায় সহণা অনু টাপ-দাবানল প্রবল বেগে প্রজ্লিত হইয়া উঠিব়্াছিল। দেই অন্তনিহিত দাঁব*দাহের যন্ত্রণায় রোগও বাড়িয়া গিয়াছিল। এত আধি-ব্যাধির জালাময়ী যন্ত্রণাও বিদ্যাসাগর, এক মুহূর্তের জন্য আপন কর্তব্য বিস্মৃত হন নাই। স্কুল-কলেজ সর্বদাই তাহার হৃদয়ে জাগকুক থাকিত। জামা হূর্ধয ৬২৯৮ বিদ্যাসাগর। বাবুর উপর ভার দিয়া, তিনি গুরু কার্ধযভার হইতে অবসর লইয়াছিলেন বটে; কিন্তু ভাবনা প্রাণের ভিতর জবিরাম। বিধাতা বিমুখ ! পত্রীবিয়োগের দিন কতক পরেই, বিদ্যাসাগর মহাশয়, জামাত1 হৃষ্য বাবুর কোন কার্ধ্যের কর্তব্যক্রটি- বিবেচনায় বিরক্ত হুইয়া, উহাকে পদচ্যুত করেন। পুত্রবর্জ- নাস্তে ধাহাকে পুত্রর্ূপে কোল দিয়াছিলেন, ধাহার কার্ধ্যপট্‌- তায় কুল-কলেজের় সম্যক শ্রীবৃদ্ধি সাধন হইয়াছিল, এবং ধাহার উপর স্কুলের ভার দিপা, গুরুতর কাধ্যতভার হইতে অব- কাশ পাইয়াছিলেন, তাহাকে বিদ্যাসাগর মহাশয়, পদচ্যুত করিলেন। নিশ্চিতই সে কর্তব্যক্রুটীকে তিনি ক্ষমাতীত মনে করিয়াছিলেন। জামাতার পদচ্যুতির পর, বিদ্যাসাগর মহাশয়কে প্রায়ই দ্বুল-কলেজের পরিদর্শন করিতে হইত। তিনি পান্ধী করয়! যাইতেন এবং পান্ধী করিয়া আসিতেন। উত্তরপাড়ায় পড়িয়া যাইবার পর, তিনি প্রায় গ্রাড়ী চড়িতেন না। নিজের গাড়ী- ঘোড়া রাখিবার অর্থ-সামর্থ্য ছিল; কিন্তু প্রবৃত্তি ছিল না। বহু পুর্বে তিনি গাড়ী-ঘোড়া। রাখিয়াছিলেন বটে; কিন্ত নান! কারণে তাহা তুলিয়া দেন। এই সময়, তিনি মাননীয় শ্রীযুক্ত গুরুদাস বন্য্যোপাধ্যাস্ মহাশয়কে স্কুলের ভার দিবার প্রস্তাব করিয়াছিলেন। গুরুদাস বাধু এ গুরু ভার-বহুনে সম্মত হন নাই। এ অসম্মতির কারণ অবশ্ত অক্ষমতা । গুরুদাস বাবু, বিদ্যাসাগর মহাশয়কে পিতৃবৎ গুরুদাস বাবু ৬২৯ ভক্তি করিতেন। যখন কলিকাতা-রাধাবাঁজারে কলিকাতা প্রেমের কার্ধ্যাধ্যক্ষ ছিশাম়, তখন দেই প্রেগে গুরুদাপ বাবুর প্রণীত ইংরেজি ছস্ক পুস্তক মুদ্রিত হইত। সেই সময় তাহার সহিত আলাপ-পণ্চিয় হইঘাছিল। তাহ।র মুখে প্রায় বিদ্য'- সাগর মহাশঘ্নের গুন কীর্তন শুনিতাম। তিনি স্ব-প্রণীত অঙ্ক পুস্ক বিদ্যালয়ে প্রচলিত করিবার জন্ত একমাত্র বিদ্যাসাগর মৃহশকে অনুরোধ করিয়াছিলেন। অন্ত কাহাকেও বলিতে তাহার প্রবৃত্তি হইত না। এ কথা, তখন তীহারই মুখে শুনিয়াছিলাম। এক গুরুনাস বাবু খুল-কলেজের ভার লইলে, বিদ্যাসাগর মহা, নিশ্চিন্ত থাকিতে পাহিতেন। এমন অটল বিশ্বামতো আর কাহারও উপর ছিল না উভয়ের জয়ে নিভ্য-তরক্গারিত ঘাভ-প্রতিত্াতে তক্তি-বাৎসল্যের অবিচ্ছিন্ন জেত প্রবাহিত হইত। বিদায়-হিসাবে বিদ্যাসাগর মহাশয়, কোন দ্রব্য লইবেন ন! বুঝিগ্রা, গুরুদাস বাবু, মাতৃ-শ্রাদ্ধোপলক্ষে বিদ্যাস'গর মহাশয্বকে একটা রৌপ্য-নিষ্মিত প্রান উপহার দিয়াছিলেন। গত বৎসর নারায়ণ বাবুর নিকট এই হুন্দর হগঠিত গ্রাসটা দেধিয়াছিলাম। গ্রামে এইন্সপ কথা খোদ্িত আছে, “পানপাত্রমিদৎ দত্তৎ বিদ্যাসাগর শশ্মণে। ছর্গ কামনায় মাতুর্তরুদাসেন শ্রদ্ধয়া ॥1 রোগ-শীর্ন-দেহে স্কুল-কলেজের চিন্তায় জর্জরিত হইঘ্র'ও, বিদ্যাদাগর এক দিনের জন্ত জন্মভূমি বীরসিংহ গ্রাম বিস্মৃত ৬৩০ বিদ্যাসাগর | হননাই। $৮।১৯ বত্সর তিনি বীরসিংহ গ্রামে গমন করেন নাই বটে; কিন্ত বীরমিংহের মায়া পরিত্যাগ করিতে পারেন নাই। এক দিন তিনি কলেজ হইতে ফিরিয়া আমিয়া, উপরে উঠিতেছিলেন, সেই সময় বীরসিংহ গ্রাম হইতে প্রেরিত এক. খানি মুদ্রিত ক্ষু্র পুস্তক তাহার হস্তগত হয়। স্বঘং বীরসিংহ- জননী যেন কাতর-কঠে বিদ্যাসাগরকে উদ্দেশ করিয়া! সেই পুস্তক লিখয়াছিলেন। সে পুস্তক পাঠ করিতে করিতে বিদ্যাসাগর অত্র ধারে অশ্রু বর্ণ করিয়াছিলেন । ইতিপূর্বে ম্যালেরিয়ার তাড়নায় বীরগিংহ গ্রামের স্কুলটা উঠিয়া গিয়্াছিল। ১২৯৭ সালের ২রা বৈশাখ বা ১৮৯, ষ্টাবের ১৪ই এপ্রিল তিনি এই বিদ্যালয়ের পুনংপ্রতিষ্টা করেন। দ্বগাঁর় জননীর নামে এই বিদ্যালয়ের নাম হুইল বীরসিংহ তগবী বিদ্য।লয়। এখনও এই স্কুল চলিতেছে । একচত্বারিংশ অধ্যায়। পীড়া-বৃদ্ধি, ফরাসডাঙ্গায় প্রবাস, দয়া সহৃদয়ূতা) সহবাস-সম্মতি আইন, মত, রাজনীতি, আলোচনা, গীড়ার অবস্থ। ও দেহান্তর। আর কত সন! শৌকতাপপরীত, ব্যাধিজর্জারিত ও জুদারণ শ্রমভারাক্রাস্ত জীর্ণ দেহে আর কত সয়! এ কন্করিত সংসারক্ষেত্রে বিদ্যালাগর বাল্যকাল হইতে বার্ধক্য পধ্যন্ত কঠোরতার হুর্বার সংগ্রায়ে আজন্ম জয়ী । কিন্ত এজগতে কে কালজয়ী! ইতিপূর্বে প্রাণপ্রতিম বন্ধু প্যারীচরণ দরকার, স্যামাচরণ বিশ্বাস, মধ্যম ভ্রাত। দীনবন্ধু ও প্রিয় ভক্ত কৃষ- দান পাল, বিদ্যা্াগরকে শোকের অনস্ত শর-শধ্যায় শয়ন করাইয়া, একে একে হহমৎসার হইতে বিদায় লইয়াছিলেন । সুতরাং আর কৃত সয়! ১২৯৭ সালের প্রারত্বে বা ১৮৯০ খৃষ্টাবের এপ্রিল মাঙ্গে উদরাময় পীড়া বলবতী হইয়া উঠে। ইহার পূর্বে ছয় বৎসর কাল ভিনি উদরামযে ভুগিতেছিলেন। এই ছয় বৎসর কাল আহারে অম্নাদির গুরুপাক কতকটা সহ হইত। ১৮৯০ থৃষ্টাবে অন্নাহার একবারে বন্ধ হইয়াছিল। সিদ্ধকর! বাণি, পালে! প্রভৃতি মাত্র আহার ছিল! অগ্রহায়ণ মাসে ডাক্তার শ্রীমুক্ত ৬৩২ বিদ্যানাগর | হিরালাল ঘোষ, বিদ্যাসাগর মহাঁশয়কে নির্জনে থাকিবার পরামর্শ দ্েন। বিদ্যানাগর মহাশয় বলেন,“কলিকাতায় থাকিলে তাহা চলিবে না; লোকে সাক্ষাৎ করিতে আসিলে, বলিতে পারিব না, সাক্ষাৎ করিব না) আর দ্বরজাধু দরোয়ানও বঙাইতে পারিব নী” অবশেষে স্থানাভ্তরে যাওয়াই সিদ্ধান্ত হইল। আগ্রহাপ্পণ মাসে তিনি জ্যেষ্টা' কন্তাকে সঙ্গে লইয়া ফরাসভাঙ্গায় ধান। সেখানে ভাগিরথীতটে একট হুন্দর-সুগঠিত স্বাস্থ্য প্রদ দ্বিতল বাড়ী ভাড়। লওয়া হইয়াছিল। এই বাড়ীতে থাকিয়। বিদ্যাসাগর মহাশয় অপেক্ষাকৃত ভাল ছিলেন। ফরাডাঙ্গার শ্বান্্য-প্রবামেও দান ও দয়া অবিরাম। সহ্ছদগ্নভার অবাধ আোত। এক দিন একটা অন্ধ মুসলমান ভিন্ষুক, স্ত্রীর হাত ধরিয়। ভিক্ষান্ন বাহির হুইয়াছিল। জমন্ত সহর ঘৃরিয়া একমুগ্টি ভিক্ষা মিলে নাই। শেষে সে বিদ্যামাগর মহাশক্লের নিকট যাইয়া উপস্থিত হয়। বিদ্যাসাগর মহাশয়, তাহার অবস্থা অবগড হইয়া, দয়র্রচিত্তে তাহাকে গোটাকততক পয়স। দিয়া, জিজ্ঞাসা] করেন,-ণতোর কি খাইতে ইচ্ছা হয়?ঃ ভিন্ষুক বলিল,--"আমি লুচি ও দই অনেক দিন খাই নাই। আমার এখন তাই খাইতে ইচ্ছা! হয়।” বিদ্যাসাগর তখনই আপনার কন্যাকে দিয়! লুচি প্রত্ত করাইয়া, ভিক্ষুক ও ভিক্ষুকের স্ত্রীকে পেট ভরিয়া খাওয়াইয়া দেন। অধিকন্ভ তিনি তাহাদিগকে দুইটী টাকা দরিয়া বলেন,” সহদয়তা ৬৩৩ “প্রত্যেক রবিবার আপিয়া লুচি ধাইয়া যাদ্‌।” কেবল ইহাই নহে,তাহাদের ঘর-ভাড়া স্বরূপ তিনি প্রত্যেক মাসে ॥* আনা করিয়া দ্রিবেন বলিয়া! প্রতিশ্রুত হইয়াছিলেন। ফরামডাঙ্গা যর থাকি বিদ্যামাগর মহাশয়, প্রান্মই নিকটবন্তাঁ স্থানে বেড়াইতে যাইতেন। একবার তিন্নি ভদ্রপ্বরের একটা ্রাহ্মণ কর্তৃ$ অনুকুদ্ধ হই, তাহার বাড়ীতে বেড়াইতে পিয়াছিলেন। সঙ্গে ভ্রাতা শত্বচ্্র ছিলেন। ব্রাঙ্গ-ণর কুষ্ট- রোগগ্রন্ত পুত্র তামাক সাজিয়া দেন। বিদ্যানাগর মহাশয়, অয়ান বদনে নির্বি্বধার চিন্তে তামাক খাইয়াছিলেন। ফিরিয়া আনিবার সময়, পথে ভ্রাতা বলিলেন,--“মাপনি কেমন করিয়া, কুঠের হাতের সাজা তামাক খাইলেন।” বিদ্যানাগর মহাশয়, গভীর ভাবে উত্তর দেনস_“ষ্দি তোমার বা আমার কুষ্ঠ হইত, তাহা হইলে কি করিতাম।” ফরাস্ডাঙ্গার় অবস্থিতিকালে গবর্ণযেণ্ট, সহব'সসন্মতি আইন সম্বন্ধে, বিদ্যাসাগ্কর মহাশয়ের মত জানিতে চা হয়াছিলেন। এই জন্য তিন দিন পাঁচ ছয়ের জন্ত কলিকাতায় আমেন। বহু পরিশ্রম সহকারে, নানা শাস্সরের আলোচন। করিয়া, তিনি আইনের বিরুদ্ধেই অভিমন্ত প্রকাশ করিয়ান্ধিলেন।* এতৎ- * রাজকুলের অন্থরোধে মধ্যে মধ্যে বিদযাদাপর মহাশয়কে নৃতম আইন-কানুন মন্বন্ধে মতামত প্রকাশ করিতে হইত। কখন তিনি কোন রাজনীতি-আান্দোলনে ব| রাজলীভি-মভায় নংআরধ রাখিতে না। একবার তিনি একটী রাজনীতি-দতা-নংগঠনের উদ্যোগ করিয়াছিলেন মাত্র। নব বািকী, ১৫৩ পৃষ্ঠ] । ৬৩৪ বিদালাগর । সন্বক্ধে তিনি যে মভ পিখিয়া গবর্ণমেণ্টকে পাঠাইয়াছিলেন, তাহা নিদ্ে প্রকাশিত হইল, “এই বিলের নর্ধতোভাবে অনুমোদন কঙিতে আমি নমর্থ নহি। থে স্থলে স্ত্রী দ্বাদশ বর্ধ বয়ঃক্রমের পূর্বে খতুবতী হয্স, মে গলে উক্ত ব্তি আইনে পরিণত হইলে, নর্বধিধায়ে গর্ভীধান-নংস্থাবানুষ্ঠানের প্রতিপক্ষ হুইয়] দাড়াইবে। গর্ভাধান, লস্কর শাস্্রবিহিভ।; নকলের পক্ষে অনু- ডের ও লাধারণতঃ বঙ্গদেশে প্রচলিত। স্ত্রীর প্রথমে রজোদর্শন হইলে স্বামীকে এই অনুষ্ঠান লম্পন্ন করিতে হয়। এই অনুষ্ঠানের অন্থকৃতে আনেক শ্রান্্রীয় বচন উদ্ধৃত করিবার প্রক্সোজন দৃষ্ট হয় না। এস্বলে কলি- যুগের নর্কপ্রধান প্রামাণ্য একটী পরাশরবচন উদ্ধৃত করিলে যথেঃ হইবে, “্তুহ্বানান্ত জী মাই ঘহলিষী নীঘবাক্ছুনি। সীহাতাঁ সুমন্ত ঘুভ্ন লাল অত্র: 08181” প্রথম রজোমর্শনকাঁলীন খতুস্বাত1 ভার্ধ্যানমীপে ষে স্বামী গমন ন1 করেন, দ্িনি ভ্রণহত্যারপ মহাপাতক মঞ্চয় করেম।” ষে ছেতু কতকগুলি বালিক1 দ্বাদশ বধ অতিক্রম করিবার পূর্বেই প্রথম বজোদর্শন করে, বিল আইনে পরিণত হইলে, তাহাদিগের সম্বন্ধে উক্ত বিধির অনুষ্ঠান আদৌ হইতে পারিবে ম1$ সুতরাং রাজবিধি দ্বারা বৈধ ধর্মামষ্ঠানের গ্রতিরোৌধ করিলে, জন-সমাজে ইহার বিরুদ্ধে অভিযোগ ুকিযুক্ত বলিয়! প্রতীয়মান হয়। বালিকা স্ত্রীগণের রক্ষার জন্ত উদ্ভ বিল যে জাশ্রয় প্রদানে উদাত্ত হইয়াছে, তাহ নিভাত্ত অকিঞ্তকর। বহুনংখ্যক ঘটনায় দৃষ্ট হয় যে, নচরাঁচর দ্বাদশ বর্ষ হইতে পঞ্চদশ ব্ধ বয়সের মধ্যে প্রথম রজোদর্শল ঘটিয়। থাকে। দ্বাদশ বর্ষে নম্মতিবিধি নির্ধানিত হইলে, ইহার ফল মত। ৬৩৫ এই হইবে যে, উক্ত বর্ষ-ন্বতিক্রমকাঁরিণী বালিকাগণ নিতান্তই আভয়- শুন্য হইবে। অধিকন্ত তরী দ্বাদশ বর্ষে পদক্ষেপ করিলেই স্বামী স্ত্রী-দহ- বাসে উদ্বেস্ন ও প্রশ্রয় প্রাপ্ত হইবে । যেবিধি, ত্্রী দ্বাদশ বর্ষে পদার্পধ করিলেই, তাহার প্রতি নৃশংস আচরণের পথ প্রশন্ত করিয়! দিতে উদ্যত, নে বিধির সমর্থন আমি কোন প্রকারেই করিতে প্রস্তত নহি। যগিও এই নকল কারণে আমি বিলের নমথন করিতে অপারগ, তথাপি প্রচলিত কোন ধর্ম: স্বারের প্রতিকুলাচরণ ন] করিয়া, এ্রমন কোন আইন হউক, যাহাতে বালিকা স্্ীগণ সমূচিভ আশ্রয় প্রাপ্ত হয় । ভাহাতে আমি সম্পূর্ণ অতিলাধী। আমা প্রস্তাব এই যে, স্ত্রী রভঃন্থলা হইবার পুর্বে তৎ্নহবান দণ্ডনীয় অপরাধ বলিয়া নিিষ্ট হউক। অধিকাংশ বালিক1 জয়োদশ, চতুর্দশ অথব1 পঞ্চদশ বধের পূর্বে পরায় রজঃম্বল1 হয় মা। সুতরাং জামার প্রস্তাব বিধিবদ্ধ হইলে ভাহাদিগকে প্রস্তাধিত আইন, অপেক্ষাকৃত বাস্তবিক ও অধিকতর প্রশস্ত আশরপ্রদানে নমর্থ হইবে। তৎনঙ্গে র্শানুষ্ঠানের বিরোধী বলিয়! উদ্ত বিধির বিরুদ্ধে কোন প্রকার আপত্তি উত্থাপিত হওয়। নম্তবপর নহে। হিন্দু শান্ত্রান্থমারে রজংন্বলার পূর্বে স্ত্রী-নহবাল স্বামীর পক্ষে নিতান্তই ধর্শাবহিভূত কার্ধ্য। এ সঙ্গন্ধে তিনটী শাস্ত্রীয় বচন উদ্ধৃত করিলেই হইবে। প্রথম বচনটী বাচস্পতি মিশ্রকৃজ “ন্থৃতিনার নংগ্রহ* হইতে উদ্ধৃত করা হইতেছে __ "বামীঘাল পলা ভীনী ক্ষত্বক্সাজীন ক্সাহী হন:ঘজ:।” “প্রথম রজোদর্শন হইলে, আ্ীর জনলেঙ্জিয়ে প্রথম বীর্যনিষেকের নাষ গর্ভতাধান সংস্কার 1৮ উক্ত বচনে প্রথম” এই শবের নির্দেশে ইহাই স্পষ্ট প্রতীয়মান হইভেছে যে, রজোদর্শমের পুর্বে স্বামীর স্ত্রীর দিকটে অভিগমন শাস্ত্রের অনভিপ্রেত। দ্বিতীয় ঘচদ হলগলংহিতার ট্রীকাকার মেধাতীধিপ্রণীত্ত টাকা হইতে উদ্ধৃত হইল, ২৩৬ বিদ্যাসাগর। 'ক্কত্বক্জাবাপিবানী হ্যান্। হ। 8৮ “থহুকাঁলে (চতুর্থ দিবসে) ভ্ত্রীপহবাস কর্তব্য” "ভবী বিনান্ব:। নব্বিন্‌ লিল্রন্টী ঘন্থণজাল ছাল নহুন্বইবিক্ঞীঘবামী দা্ী ললিনল্বনঅীনিকলাহ্‌- বনি । নল নিনাছব্বমনন্নহ নক্ম্থঈন ০ রগ নঙ্বি হতনা দনীহ্বিন ॥ “বিবাহের ব্যিয় উক্ত হইল। বিধাহানুষ্ঠানের পর বালিকার পরী প্রতিচিষ্ত হইলে, ইচ্ছ! থাকিলে লেই দিনেই স্ত্রী-সহবাঁন সম্ভব । বিবাহের অব্যবহিত পরেই ম্্রীগ্ম নিষিদ্ব। তবে কি করা কর্তবা? খতুকাল পর্যান্ত তাহার (অর্থাৎ স্বামীর) অপেক্ষা! কর! উচিত।” কমলাকর ভট্প্রণীত “নির্ণঘমিন্ধু” হইতে তৃতীক্ম বচনটা গৃহীত হইল । "গঅদন্নী;: দুল্ন ভীবানন ন ভাঙন গান্ীহঙ্গনান্‌ দলী লশ্বাকৃ বালা দমন: । ন্ঘীক্দাই্যা বঙ্গ লপ্তাছতালবাঘূতান্‌ ॥ কুনি গ্মাতন্রজাত্রলীবীঃ।" ভ্নীত: হিজর: ॥ প্রথম রজোদর্শনের পূর্বে দ্্ী গমম নর্বথ! অনুচিত । অঙ্বলীয়ন বলেন যে, বতুদর্শনের পুর্বে কাহারও ভ্ত্রীগমম উচিত নহে। এক্সপ কার্ধো। মহা প্রতাবায় নধর হয়। অকারণ বীরঘত্যাগে মনু দ্যা পাগে; লিপ্ত হয় |? ৃ | ] এইকসপ বিশেষ পর্যালোচনা করিলে, ইহাই যুভিঘুক্ত বলিয়া বোধ হয় যে, রজঃম্বলার পুর্বে অরী-নহযাস দতনীয় অপরাধ বর্জিয়া গণনীয় মত ৬গণ ছইতে। ইরশ আইল বিধিবদ্ধ হইলে যে, কেবল জন-সমাঁজের উপকার ও বাঁজিক1 পত্বীগণের লমুচিত রক্ষা) হইবে, ভাঁহ] নহে। বরং শান মোদিভ ধন্ানুষ্ঠানের বহিরে.ধী না হইয়া! শান্্রনির্দিষ্ট বিধির মমর্থন বাড়িবে। উক্ত নিয়মের বিক্ুদ্ধীচরণ করিলে শান্ত্রে যে দণ্ডবিধির উল্লেখ আছে, তাহ! আধ্যাত্িক; স্তরাং অধিকাংশের অগ্রাহ । আইনানুলারে ইহা দণ্ডের স্বারা নিবিদ্ক হইলে, শাস্ত্রীয় বিবি অধিকতর কার্ধাকারী হইবে । গধ্ণমেন্টের মনযোগ আকর্ষণ করিয়া এ বিষয়ে বিচারার্থ ক্বহরোধ করিতেছি । আমার প্রস্তাবিত আইমের কার্যাকালে যাহাতে কোঁন প্রকার অনি মা ঘটে, মেই উদ্দেশ্টে নির্দেশ করিতেছি ঘে, উক্ত অপরাধে পুদিষ কোনক্প হপ্তক্ষেপতে| করিতে পারিবেন না; পরন্ত স্ত্রী অথবা ভ্রীর অনুট]' বন্ঘায় তাহার আইনাম্বমোদিভ অভিভাবক বাভীত অপর কেহ স্বামী কর্তৃক স্ত্রীর লাৎকার মংক্রান্ত অভিযোগ আদালাতে আঁময়ন করিতে প'রিবে না। (শ্বাক্ষর) ভীঈশ্বর তে শশা ১৬ই ফেব্রুয়ারি ১৮১১ | এ মত অবশ্য ইংরেজীতে লিধিত হইয়াণ্ছল। এখানে অনু- বাদমাত্র প্রদত্ত হইল। বল! বাহুল্য, বিদ্যাসাগর মহাশয়ের মতে কার্ধ্য হয় নাই। ইংরেজী-রাজনীতিতত্বের গঢ়মর্খবান্থ ভব করিবার ইহা অন্ততম হ্াযাগ। বিদ্যাপাগর অহাশয় বিধবা- বিবাহ সংক্রান্ত আইনের প্রার্থনা করিয়াছিলেন । সে প্রার্থনা পূর্ণ হইয়াছিল। বিধবা-বিবাহ ইংরেজ রাজের প্রকৃতি ও মীতির অনুমোদিত । সহবাস-সম্মতি আইন সম্বন্ধে বিদ্যা ৫৪ ৬৩৮ বিদ্যাসাগর | সাগরের মৃত গ্রাহ হইল না । ইহাঁও ত ইংরেজ রাজের প্রকৃতি ও নীতির অননুমোদিত নহে। বিধবা-বিবাহে ঘষে বিদ্যাসাগর, সহবাদ-সম্মতি আইনেও সেই বিদ্যাসাগর । বুঝিলে, ইংরেজ. রাজনীতির হুক্ষম-তত্ব ? বিধবা-বিবাহ-বিচারে ষে ভ্রম হইয়াছিল, সম্মতি আইনের বিচারে সে ভ্রম ঘটে নাই দেখিয়া) জমগ্র হিন্দু-সমাজ হুখী হইঘ়্াছিল। ইতিপূর্বে বিদ্যামাগর মহাশয়, বিধবা-বিবাহের কার্ধ্যকারিতা অন্বন্ধে অনেকটা নিশিপ্ত ছিলেন। এক্ষণে তাহাকে আবার সহবাস-সম্মতি আইনের বিপক্ষে মত দ্দিতে দেখিয়া, অনেকেই জল্পনা-কল্পনা করিয়া! থাকেন যে, বিদ্যাসাগর মহাশয়, বিধবা-বিবাহ সম্বষ্ধে মাপনার ভ্রম অনুভব করিতে পারিয়াছেন। বিধবা-বিবাহের পক্ষপাতীরা বলেন, শরীরের অনু তা ও স্বদ্দেশবামীর ছুর্বর্যবহার, এই নিলিগ্ুতার কারণ। আমাদের ধারণা, বিদ্যা'গর মহাশয়ের সে ভ্রমনুভব হয় নাই। হইলে, তিনি এমন কপটাচারী নহেন যে, তাহা সাধা- রণ্যে স্বীকার করিতে কুঠিত হইতেন। অধিকন্ত আমরা জানি, জীবনের শেষাবস্থাতেও তিনি ছি দৌহিত্রের বিধবা-বিবাহ দিবার উ.দ্যাগ করিয়ান্থিলেন। জমাজে বিধবা*ধিবাহ-প্রচলনে কৃতককাধ্য না হইয়া তিনি নিরাশ-ছাদয়ে সমাজের উপর বিরক্ত হইয়াছিলেন। নৈঠাষ্ট জন্যই বোধ হয়, তিনি বাবু হৃর্গা- ঘোহন দাসের সসস্তান-বিধব'-রিবাহে আহ্লাদ করিয়া পত্ত জিথিয়াছিলেন। পীড়'র অবস্থা! । ৬৩৯ সহবাস-সম্মতি আইন সম্বন্ধে অভিমত প্রকাশ করিয়! তিনি ফরাসডাঙ্গা় ফিরিয়া যান। সেধানে চৈত্র ম'স পর্য্যস্ত ভাল ছিলেন ঢু চৈত্র মাষে ছুই দিন অন্নাহার করিয়াছিলেম। বৈশাখ মাসে আবার পীড়া বৃদ্ধ পায়। এই সমদ্ধ ঠাহার জোষ্ঠ কন্যা কলিকাতায় আসিয়া ৭০০৮০০ টাকা! বয়ে স্বস্তযয়নাদি করিযাক্িলেন। জ্যৈষ্ঠ মাসের শেষে হঠাৎ তাহার পার্শদেশে একটা বেদনা উপস্থিত হয । কিছুতেই বেদনার উপশষ হয় নাই। তখন তিনি কনিষ্ঠ দৌহিত্র বহীশ্চন্দ্ের সহিত কলিকাতায় ফিরিয়া আসেন । কঙ্পিকাতায় ইলেক্টে।-হোমিগপ্যাধিক মতে চিকিৎসা হইল। তাহাতে বিশেষ ফপ হইল না। এই সমদ্ব তিনি আছিফেন পরিত্যাগ করিবার জঙ্কল্প করেন। তিনি বলেন,-“অহি- ফেন খাইলে ছুধ খাইতে হয়। ছচুধত অমার জ্প না। কাজেই খাই না। চৃধ না খাওয়াঘ্ ফগ হইতেছে না । অতএব অহিফেন পরিত্যাগ করাই কর্তব্য। এমন একটা ওষধ খাওয়া উচিত, যাহাতে অহিফেন ত্যাগ করিলেও কই হইবে না।% ডাক্তার শ্রীযুক্ত হিরালাল ঘোষ ও শ্রীযুক্ত অমুল্যচরণ বহু অহিফেনভ্যাগে বিপদের আশক্ষ1 করিয়াছিলেন। কয়েক জনের সহি পরামর্শ করিয়। কিন্ত অহিফেনত্যাগই দিদ্ধাত্ত হর । কলি- কাত'-কলুটোলার হামিক আবদুল লতিফ জহিফেনত্যাপগ করি- বার খীষধ দেন। দেই ওষধ ছুই দিন জেবন করিবামাত্র পীড়ার প্রকোপ বাড়িয়। উঠে। বেদনা বাড়িল; আবল্য আদিল) হি! ৪০ বিদ্যাদাগর। দেখ| দিল। সকলই আশদ্কিত হইলেন। চিকিংসার জন্ত ডাজ্ঞার বার্চ ও ম্যাকোলনকে আনান হয়। তাহার! বলেন,_- “উদার ক্যান্সার? হইয়াছে ।” রোগের উপশম হইল না। কধনও বেদন1 বাড়ে, কখনও কোষ্ঠরদ্ধ হন্ন, কখনও হিকা বাড়ে। আবার কোন দিন একটু ভাল, কে'ন দিন একট মদ হয়। কোন দিন আহারে আদে গ্রবৃন্ত থাকে না, কোন দিন একটু প্রবৃত্তি হত । ৩*শে আষাট পর্যন্ত এইরূপ অবস্থায় যায়। ৩১শে আষাঢ় হোঘিওপ্যাথি ডাক্তার সল্জজার সাহেব চিকিৎস। করিতে আরম্ভ করেন। হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক একটু উপকার হইয়াছিল পূর্বে মলত্যাগ করাইতে পিচকারী ব্যবহার করিতে হইত, অতঃপর পিচকারী ব্যবহার করিতে হয় নাই। ডাক্তার সলজার “অল্মার্‌? অন্থুতব করিয়াছিলেন তিনি বলিয়াছিলেন,--পন্াবা কমিবার সম্ভতাবন1; না কমিলে, সাত দিনের মধ্যে মৃত্যুর সম্ভাবনা । কমিলেও এক মাসের অধিক বাঁচিবার সম্ভাবনা নাই।” এই ময় গর্দত-চু্ধের ব্যবস্থা হইয়াছিল। কোন দিন গর্দত দুগ্ধ সহিত, কোন দিন সহিত না। কোন দিন একটু বল হইত, কোন দিন হইত ন1। কোন দিন হিক। কমিত, কোন দিন বাঁড়িত। গাড়ী-ঘোড়ার শবে কষ্ট হইত বলিয়া, বাড়ীর পার্থে গলিতে বিচালি বিছ্বাইষা! দেওয়! হইয়াছিল। গ্াড়ী-ঘোড়া যাইলে শব্ষ হইত ন1। মিউনিসাপালিটা স্কাভেগ্রারের গাড়ী যাওয়া বন্ধ করিয়া দিয়াছিলেন। ওরা শ্রাবণ ডাক্তার শ্রযুক্ধ মহেত্্রাল অরকার ঈীড়ার অ্বস্থা। ৬৪) দেধিতে শিয্বাছিলেন। তাহার মতে পুরাতন গ্রহিণী যত অনিষ্টের মূল। ভাক্তারেরা আসিতে, দেখিতেন, চলিয়া যাইতেন 7, কিন্তু ডাক্তার অমুল্যচরণ বিদ্যাসাগর মহাশয়ের নিকট দ্িবারাত্রি বসিয়া থাকিতেন, শুশ্রীষ। করিতেন, মুহুরুছু রোগের গতি নিরীক্ষণ করিতেন । বিদ্যাসাগর মহাশয়, অমূল্য চরণকে পুত্রের স্কাঁয় স্বেহ করিতেন। অমৃখ্যচরণও পুত্রের স্তায় কাধ্য করিয়াছিলেন। ৪31 শ্রাবণ বিদ্যাসাগার মহাশয় শষ্যাশায়ী হন। ইহার পূর্বে তিনি উঠিতে ব্িতে পারিতেন। আর তাহ! পারিলেন না। এই দিন একটু জর হইয়াছিল। ইহার পর ১*ই শ্রাবণ পর্যযস্ত কোন দিন একটু ভাল, কোন দিন একটু মন্দ গিয়াছিল। ৮ই শ্রাবণ নূতন উইল করিবার কথ! উঠে। শ্রীযুক্ত গোলাপচন্্র শাস্ত্রী মহাশয় উইলের খন্ড়াও করিয়াছিলেন; কিন্ত বিদ্যা" সাগর মহাশয় তাহাতে স্বাক্ষর করিতে পারেন নাই। এই সময় বিদ্যাসাগর মহাশয়, স্কুল ও কলেজ একটি কমিটার হস্তে সমর্পণ করিবার সন্ল্প করিয়াছিলেন। ঘে কথা উইলে লিখিত হইয়াছিল। ১১ই শ্রাবণ রবিবার প্রাতঃকাল হুইতে বেল! আড়াই প্রহর পর্যন্ত অবস্থা খুবই মন্দ হইয়াছিল। আবল্য ও মাদকত। বাড়িয়াছিল ? নিশ্বাস-প্রশ্বাসেও ভাবাস্তর হইয়াছিল; প্রবল ভাপে জর কুটিয়াছিল। এই দিন কবিরাজ ৬ ব্রজেন্্রকুমার ঘন আশক্কিত হইয়াছিগেন। কবিরাজ ্রঘুক্ত বিজয়রত ৬প২ বিদ্যাসাগর | সেনকে আনান হইয়াছিল। তিনি একটি বারমাত্র দেখিরী- ছিলেন । তিনি বলেন,--“বাহিরে ধত মন্দ বলিয়া বোধ হয়, ভিতরে তত মন্দ নয়।) কিন্ঞ হায়) বিধি বাম! ক্রমেই রোগ বৃদ্ধি পাইতে লাগিল। ১২ই শ্রাষণ সোমবার একরূপ অঠৈতন্ত অবস্থা ছিল। মুখের ভাব বিকৃত হয় নাই। ভাবে বোধ হইত, ভিতরে ভয়ানক যন্ত্রণা, বিরাট পুরুষ বিদ্য।- সাগর, সে যন্ত্রণ। সহা করিয়াছিলেন রোগের সঙ্গে যাতনা বাড়িল। যাতন। বাড়িল; কিন্তু সাগরের ছ্্র্ধ্যচ্যুতি হয় নাই। অন্তরের যাতনানুভূতি তিনি বাহিরের লোককে বাহাকারে বুঝিতে দিতেন না। যতক্ষণ ম। চৈতন্ত-লোপ হইয়ছিগ, ততক্ষণ তিনি কাহাকেও সহজে মল মুত্র বা বমনাদি পরিষ্কার করিতে দিতেন না) সে পক্ষে কেহ উদ্যেগী হইলে? বরং বিরক্ত হইতেন। কাহারও কোন কষ্ট দেখিলে, তাহার প্রাণ কীদিয়। উঠিত; কিন্ত নিজের অসহা কষ্ঠতাপেও তিনি কখনও কাতর' হইতেন না; নিরশ্র ভীষ হিমগিরিবৎ অচল ও অটল থাকিতেন। একবার তিনি আপ- নার কনিষ্ঠ কন্তরর পুত্রকে সঙ্গে করিয়া কোন পুস্তকালয়ে গিয়াছিলেন। দেখানে তাহার পায়ের উপর একটা ভঞ়ানক ভারী লৌহ-চাপ পড়িয়া! যায়। অপর কেহ হইলে, হয়ত উঠিতে পারিতনা'; তিনি.কিন্ত অগ্লান; বদনে উঠিয়া, পান্ী চাপিয়্া বাড়ী আমেন। যাতনা যৎ্পরোনান্তি হইয়াছিল কিন্ত সে ঘাতনায় বাহাবয্নবে বিকৃতির লেশমাত্র হয় নাই। গীড়ার অবস্থা । ৬৪৩ দৌহিত্রী যতীশচন্র জিজ্ঞাসা করিলেম,-*যাতনা হু তেছে কি?” তিনি ঈষদ্‌ হাসিগা বলিলেন।--*যাতন1 ষা হইতেছে, তোদের হইলে, ডাক্তারের ডাক বসাইতে হইত); আমাকেও পাগল করিতিস্।» আর একবার বিদ্যাসাগর মহাশয়ের পায়ে “কারবঙ্কল” হুইয়াছিল। তিনি সদানন্দ-সহান্ত-বদনে বসিয়া ৬ প্যারিচরণ সরকারের সহিত কথা কহিতেছিলেন। সেই মদ ভাজার আসিয়া, তাহার “কারবন্কল” কাটিয়া দেন। “কারবন্কণ” কাটিবার সমগ্ন, তাহার একটুমাত্র মুখ-বিকৃত্তি দেখা যান নাই। পারি বাবু অবাক হইয়াছিলেন। এমন সহিঞ্ুতার পরিচয় সহত্র প্রকারে পাইবে। বার্ধক্যেও কণ্টকময় অভ্ভিম শয্যায় ছে সহিষ্ুতার সর্বোচ্চ পরিচয়। যাতনা অগ্রিকুণ্ড হইতে ও যথপাত্রে যথাষেগ্য রহস্তাভাসের হুধা-ধার। বর্ধিত হইত। যে বরে জননীর চিত্র ছিল, সেই খরেই তিনি শুইয়াছিলেন। জননীর চিত্র ছিল পুর্ব দিকে, তাহাকে উত্তর শিয়রে শয়ন করাইয়া দেওয়া হইম্বাছিল। তিনি বাকশুস্ত অচেতন) কিন্ত কি এক মন্ত্রপ্রভাবে, সেই মুমুর্ষ মাতৃতক্ত মুহূর্তের মধ্যে, বুরিয্বা! পশ্চিম দিকে মাথা! লইয়া যান। সম্মুখে পূর্ব দ্বিকে। জননীর মুর্তিপানে নিম্পন্দনয়নে দৃষ্টি নিক্ষেপ করিয়া, জবিরল- ধারে অশ্রু বিস্ঞ্গন করিয়াছিলেন। মঙ্গলবার আদে৷ চৈতন্ ছিল না। আর আশ! নাই! পলকে পলকে প্রলয়! গণ্ভীর শোক. ৬3৪ বিদ্যামাগর। হবার শান্ত-নিকেতন আচ্ছন্ন হইল। আত্মীয়, স্বজন, পুন দৌহিত্র, ভ্রাতা, কন্যা, তক্ত, অনুগত, সকলেই প্রতিমুহূর্তে উৎ্ক্ঠিত চিন্তে মুমুর্ধুর মুখমণ্ডল নিরীক্ষণ করিতে লাগিল। ভিতরে হয় ত দারুণ দাবানল, বাহিরে কিন্ত অনাবিল শুল্ত শার্তি। মুখমণ্ডল অবিকৃত। প্রাতে, যধ্যাহে। অপরাহে, মন্ধ্যা- সমাগমে এই একই ভাব। রাত্রি ১১টার সময় নাভিশ্বাস আরত্ত হইল। রাত্রি ২টা ১৮ মিনিটে দেই করুণাময়ের করণ-কান্তি নিবন্ত ভ্যেতি জন্মের মত নির্াপিত হইল ! ঙ ১০০ দ্বিচত্বারিংশ অধ্যায়। শেষ। এইবার শেষ। শৃন্য-দেহের শ্বশানদৎকার। নিত্য মৃত- গ্রাপী নিমতলার খাটে বিদ্যাসাগরের সৎকার হইয়াছিল! ছই দ্রিন পূর্বে এই নিমতলার শ্বাণান-শয্যায় বঙ্গের অন্যতন শভিশণালী পুরুষ, রাজা রাজেপাল মিত্র বাহাছুর, শেষ শুন করিয়াছিলেন! বঙ্গের ইতিহাসে, নিমতলার এইব্প সৌ ঠাগ্য- শালিতার পরিচয়, এই বুঝি প্রথম। বিদ্যাসাগর যে হুন্দর স্ুশোতভন খট্রাঙ্গে শয়ন করিতেন, সেই খট্টাঙ্েই তাহার শবদেহ শায়িত হইয়াছিল । পুত্র, ভ্রাতা, দৌহিত্র, আত্মীবর্গ এবং ভক্তবৃন্দ খট্টাঙ্গ স্বন্ধে লইয়া, রাত্রি প্রা চারি ঘটিকার সময় নিমলতাভিমুখে যাত্রা করেন। মেট্রপলিটন ইনৃট্টিটিউমনের অন্মুখে উপস্থিত হইলে, পুত্র মারাণ বাবু বাপপাকুলিতলোচনে উচ্চ কঠে বলিয়াছিলেন,.__ “বাবা, এই তোমার সাপের যেব্রপেটন। আশীর্বাদ কর, ষেন তোমার এই কীর্তি বঙ্গায়ু রাখিতে পারি” মেই শোকপরাত কাতর ক্রদনে উপস্থিত কেহই অপ্রু সম্বরণ করিতে পারেন নাই। নিশার শেত্ভাগে অনেকেই এই পোকময় সংশাদ শুনিয়া, শে দেখ] দেধিবার জন্ত উতীাগে ধাবিত হইয়াছিল। অনেক ভক্ত, ঘট্রান্গ ম্পর্ণ করিগা জীবনকে সার্থক জ্ঞান করিয়াছিল। হর্ষেযাদগ্ধের পূর্বে শা শুশানে উপস্থিত হয়। বিদ্যাসাগর ৬৪৬ বিদ্যাসাগর | মহাশয়ের ভ্রাতবর্গ হুর্য্যোদধের পুর্ববেই ঈৎকার করিবার অংকল্প করিয়াছিলেন। দৌহিত্রগণ কিন্ত শব-দেহের শেষ ফটো গ্রাফ তৃলিবার জন্ত উদ্যোগী হইয়াছিলেন। তাহারা বিখ্যাত ফটো- গ্রাফার শ্রযুক্ত শরচ্চন্দ সেন মহাশয়কে ডাকাইয়া আনাইয়া, ঠিক হৃর্ষ্যোদয়ে ফটো গ্রাফ তৃলাইয়া লন। দেখিতে দেধিতে, ক্রমে শ্বাশান-ঘাট অঙংখ্য জন-সম।গমে পূর্ণ হইল। জকলেই বিদ্যাসাগরকে শেষ দেখ! দেখিবার জগ্ত উত্গ্রীব। অনেক স্ত্রীলোক দেখিতে গিয়াছিল। ধাহার! প্রত্যহ প্রাংস্সানে যাইয়া থাকেন, তাহারা সংবাদ পাইবামাত্র সর্বাগ্রে শাশানে গ্রিয়া উপস্থিত হন। সেই জময় প্রকৃতি প্রকৃতই একট! বিশ্বব্যাপিনী সৌম্য-গভীর-শোকময়ী মূর্তি ধারণ করিয়াছিল। ভাগিরধীর কলকল-নাদে সমাগত ব্যক্তিবর্গের হাহাঁকার-আর্তনাদ এবং অশ্রুভারাবনত আত্মীফ়বর্গের নীরব দীর্ঘগ্বাস মিশিয়া কি যেন এক অপূর্ধ্ব দৃশ্ঠের আবির্ভাব হইয়াছিল ! ফটোগ্রাফ তুলাইভে এবং সমাগ ত ব্যক্তিবর্গের দর্শনাকাজ। মিটাইতে জতকারের বিলম্ব হুইয়াছিল। হৃর্ষেযোদয়ের পর শবদেহ চিত-শব্যার় শায়িত হম়। চিতার জন্য বড়বাজার প্রন্থতি স্থান হইতে ঘধাসম্তব চন্মনকাষ্ঠ সংগৃহীত হইয়ান্থিল। মুহূর্তে চিতা জলিল! পুত্র নারারুণ মুখাগ্সি করিলেন ।% বেল! * বিদ্যাসাগর হাশর, যুদূর্ু পড়্ীর নিকট যে প্রতিগ্রুতি করিয়া, ছিলেন, ফরাসডাঙ্গ।র খেষ গ্রবানে তৎপালনের প্রমাণ পাওয়া গরিক্নাছিল। নারাক্গ: বাবু পিতৃ শুঞ্রধার অধিকার পাইয়াছিলেদ। শেষ। ৬3৭ প্রায় ১১ট। পর্যস্ত চিন্তা জলিয়াছিল। ক্রমে সব ফুরাইল! চিতা নিবিল! অনেক ভক্ত অস্থি এবং ভম্ম সংগ্রহ করিয়াছিলেন। দৌহিত্রদ্বয় হই কলস ভম্ম সংগ্রহ করিয়! আনিয়াছিলেন। যাহা! অবশিষ্ট ছিল, তাহাও ছুই দিন পরে জ'হ্লবীর জলে মিশাইল। কিছুই রহিল না। রহিল কীর্তি! আর রহিল স্মৃতি! কবি মানকুমারী শ্ণানে স্বচক্ষে বিদ্যাসাগরের সৎকার দেখিয়া, মর্ম্র্শিশী ভাষায় লিখিয়াছিলেন,--“অই জাহ্ৃবী-বক্ষে ধু ধু করিয়া চিতার আগুন জলঙেছে! অই আগুনে বাঙ্গালার সর্বনাশ হইতেছে! বাঙ্গালীর পিয়ামিড ভম্মসাৎ হইতেছে । তঁ ধু ধূ করিয়া আগুন জলিতেছে! এ আগুনে বাঙ্গালার সম্মান-গৌরব পুড়িয়। হাই হইতেছে। ওঁ জলম্ত আগুনে বাঙ্কালীর প্রধান গর্ন্, প্রধান জঅহস্কার পুড়িয্া যাইতেছে। প্র চিতার আগুনে আজ কতকি ফুরাইল। কত কাঙ্গাল গরীব মাত পিতা! হারা হইল! কত লয় আদি আশা ভরসা হারা হইল। শ্রাবণের মেঘ স্ততিত্ত হইয়া দেধ্তেছে। বিশব-্রন্মাণ্ড স্ততিত হইঘ্া দেধিতেছে! এ চিহু ফুরাইয়া আমিতেছে!” সৎকারাস্তে কান্সালী বিদায় করিয়া সকলেই বেলা প্রায় ছুই প্রহরের সময় বাড়ী ফিরিয়া আদেন। প্রায় দশ বার দিম বিদ্যাসাগরের ভক্কবৃন্দ মধ্যে মধ্যে শ্বশানে চিতা-চিত্ের পার্থ সন্কীর্ভন করিয়াছিলেন। ত্রিচত্বারিংশ অধ্যায়। শোক! 'জ্রাম শোকময় সংবাদ সহরমধ্ত বার হইল। ভাঁরাতঃ ছিন্ন ভিন্ন ভাষায় প্রকাশিত জংবাদপত্রসমূহে এ শোকমঘ জত্বাদ প্রকাশিত হইয়াছিল। যিনি যে ভাবে বিদ্যাসাগরের মহত বুঝিতেন, তিনি সেই ভাবে দেই মহত্রে পরিচয় দিয়াছিলেম। এলাহাবাদের পাইওনিয়ুর লিখিয়াছিলেন,_-"নৃ৪ ৪8 & 10711119510 €00081107981180) ৪100 া০]1-10]10া। 101 718 12015 20 01)6. 01020011008 01 171000 ড10০0স- 10078171860”, 29৮) এ], 189], ইংলিসম্যান লিখিয়াছিলেন,-*/$ 7190 01 ৮270 68 900 01080. ৪7201080)155- 8011 ৪17, 1891. ডেলিনিউদ্‌ লিখিয়:ছিলে ”১--+1)680) 1395 8881) 0018 স96] 021190 9 &:১০1)০৮ ০1 616 1071210951 )06115 ০৫ [0019 20 9], 189]. ্রেটসম্যান লিখিয়াছ্িলেন,-_-*81000)6৮ 0 1016 87৩- 01036 1067) 01 13606811985 £০706 ০06] (0 ৮06 102101017, 294৮ ০15) 189], ইংলণ্ড ও আমেরিকার প্রসিদ্ধ পত্রসমূহে এতৎ সম্বন্ধে হুল্প- বিস্তর পরিমাণে লিখিতহইয়া ছিল। আমেরিকার কোন পত্র, বিদ্যালাগরকে গ্রাডষ্টোনের সহিত তুলনা করিয়াছিলেন ক্রমে জ্রমে ভারতের গ্রাম, পল্লী, নগর, সহর সর্বত্রই এই শোক। ৬১ বিদ্যার সাগর খ্যাতি-_সারেো মমোহর বিশাল উদ্ধার চিত্ত দয়ার জাগর ;-- তেমন অস্ভান মাগো, কে আর তোম'র। কাদিছে, হের গো, ভারে করি! স্মরণ, দরিদ্র কাশাল ছুঃখী কত শত জন). “কেবা ভানন দিবে আর, কে ঘুচাবে ছুঃধ, জকিদ্র কাঙ্গালে দেখে কে চাহিবে মুখ; কত রাজ। রাণী আছে এ রাজ্য ভিতর-_ কাঙ্গালে হেরিয়া কেবা করে সে আদর!” মানব দেহেতে সেই দয়া মূর্তিমান,-- প্রাতে স্মরণীয় নিত্য ধার গুণগ্বান! জীহেমচ্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় ॥৮ (জর “ঈশ্বর বৈকুষ্টে। আমার ঈশ্বর প্রভু, আমার প্রাণের প্রাণ, আমার গুকুর গুরু, জ্ঞানের জ্ঞেয়ান; আপার দয়ার সিন্ধু, অসংখ্য দীনের বন্ধু, ভাষার ভাস্কর-ইন্দু, দেবতা মহানু। বিদ্যাসাগর । বিধবার কাতরতা, ্দনাথের প্রাণব্যথা, ছাত্রের জীবন গুরু ঈশ্বর আমার £ বিদ্যার সাগর ধীর, সত্যের তেজস্বী বীর, অন্ঠাত্ের মহা বৈর, ভ্ায়-অবতার । গাভীধ্যের মহা মূর্তি, রহন্তের মহাস্ফুর্তি, শিশ্টের পালন প্রভু ছুষ্টের দমন; অমর ঈশ্বর মোর, অমরগণের জনে হুদয়-বৈকুঠে মোর বিরাজে কেমন। মোর মত শত শত লক্ষ লক্ষ হৃদয়েতে এতদ্দিনে পূর্ণরূপে ঈশ্বর-বিকাশ ; একটি বৈকুঠ নয়, লক্ষ লক্ষ--ততোহধিক হুদয়-বৈকুঠ এবে ঈশ্বর--নিবাস। কেন তবে কাদ্দ জবে, ণ“জয়েশ্বর্”? উচ্চ বুবে তোলে! মুর বহু দূর আকাশ ভেদিয়া; শোক । ৬৫৩ পৃথিবীর ষে যেথায়, শওনুক সে উচ্চ তুর, কোটি কোটি চক্ষু মেলি দ্নেখুক চাহিয়! ১ বাঙালীর ঘরে ঘরে, লক্ষ লক্ষ-__ছয় চোটি হুদয়-বৈকৃঠ মাঝে দয়ার সাগর ঈশ্বর-_ঈশ্বর--গুক অমর ঈশ্বর। শ্রীরাজকৃঞ্চ রায় ।” “কে বলে ঈশ্বর নাই? কে বলে ঈশ্বর নাই? ঈশ্বর জীবনে, ঈশ্বরের কার্য জ্বলিছে দেখিতে পাই। মৃত লোকে ভরা, স্বার্থপর ধরা ঈশ্বরে হারায়ে আজ মৃত শোকভরে, কার্দিতেছে সবে ধরিয়া শোকের সাজ । বুঝেনা ভাহারা, অমর ঈশ্বর- মরন তাহার নাই ৬৫৪ বিদ্যাসাগর | নিঃস্বার্থ প্রেমের, অম্বতের ছবি সংসারে রহিল তাই। এ ছবি দেখিয়া কত ম্বৃত প্রাণ নূতন জীবন পাবে। পরবতী কত নূতন জীবন আদর্শে গঠিত হবে। অমুতের পুত্র, অমর ঈশ্বর অমর ভবন-বাজী, প্রেম বিলাইক্সা, অনস্ত প্রেমেতে পিয়াছেন ণেষে মিশি। অমৃতের পুত্র, অমর ঈশ্বর তাহার বিরহে আজ-_ ক।দিতেছে লোক, অমৃতের ভাষায় «দখে হুদে পাই লাজ ! অমর বিরহে, কার্দিবার তরে চাই গে! অমর ভাষা। মৃত লোক তোরা, তুলেছিস কেন তোদের এ মৃত ভাষা? অমৃতের পুত্র, অমর যাহার! এসে অগ্রসর হয়ে-_ অমর ভাষাষ্ম বিরহ জঙ্গীত উঠ গে €তামর। গেয়ে । শোক । ৫৫ মে সঙ্দীত গিয়ে, প্রতি মৃতপ্রাণে ঢালুক অমৃত-ধার! মুহূর্তের তরে, অজীব হইয়! হউক আপনাহারা। শ্রীমতী ভূপেন্দ্রবালা দেবী » ১৮৯১ খৃষ্টানদের ২৭শে আগষ্ট বা ১২৯৮ সালের ১১ই তান্্র টাউনহলে, রাজ। রাজেন্রলাল মিত্র ও বিদ্যাসাগর মহাশয়ের মৃত্যু জন্য শোকপ্রকাশ এবং তাহার স্মৃতি-চিহব সঙ্ল্পে এক বিরাট সভা হইয়াছিল। .বঙ্গেশ্বর স্তর চার্লম্‌ ইলিঘট সভাপতি হুইয়াছিলেন। হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি পেখরাম সাহেব, প্রীত রাজ। প্যাপীমোহন মুখোপাধ্যায়, অনারেবল গুরুদাস বন্যোপাধ্যায়, মহারাজ যভীম্ত্রমোহন ঠাকুর প্রভৃতি উপস্থিত ছিলেন । এই সভায় বিদ্যাসাগর মহাশয়ের স্থায়ী স্মৃতি-চিহলু রাখিষার সংস্কলপসিদ্ধান্ত হইয়াছিল। এ পধ্যন্ত কিন্ত কোন স্মৃতি-চিহ্ন প্রতিষ্ঠিত হয় নাই। এরূপ ব্যাপারে আধুনিক বাঙ্গালীর এন্সপই পরিণাম। আমরা বুঝি, কীন্তিম।নের কীপ্তিই অনস্ত অক্ষ স্বতি-স্তস্ত। ধাতু্স্তঃনিশ্মিত প্রতিষুপ্তি বা পটাস্থিত প্রতি- কতি পদে পদে প্রকৃতির অধীন। ছুই দিনে তাহার লয়-সস্তা- ৰন1। প্রণয়েও কীর্তির বিলোপ নাই। কীর্তি অবিনশ্বর ও অনস্ত-ভাত্বর। ধাহারা স্ৃতি-চিহ্ন স্থাপনের সংকল্প করিয়া, ৩৫৬ বিদ্যামাগর | সিদ্ধ করিতে পারেন না, তাহাদের জন্য আমাদের বাস্তবিক আন্তরিক কষ্ট হয়। সভা করিয়া বাগাড়ম্বরে শোক প্রকাশ করিখান প্রথ। বাঙ্গালীর সম্পূর্ণ অপরিচিত ছিল। এ প্রথার পরম গুরু, বিলাতী সাহেব সম্প্রদায় । তবে জাহেব অম্প্রদায়, আধুনিক শিক্ষিত বাঙ্গালীর মতন পলে পলে প্রতিজ্ঞা-ভঙ্গে পটু নহেন। বান্গালীর এ গৌরববাদ অধুনা বিশ্ব-বিসর্পিতি। সাহিত্যের কচির চিত্রপটে ভাষার ললিত বর্ণলাবণ্যে কবি রবীন্ত্রনাধ, বাঙ্গালী-চরিত্রের এই অংশের একটা উজ্জ্বল চিত্র অঙ্কিত করিয়াছেন। এমারেন্ড থিয়েটারে বিদ্যাসাগর মহাশয্বের ন্মরণ জন্ত ১৩০২ সালের ১৩ই শ্রাবণ যে সভা হইয়াছিল, তাহাতে রবীন্ত্র বাবুর পঠিত “বিদ্যাঙ্গাগর চরিত” প্রবন্ধের ' একস্থলে এই কথা লেখা ছিল,--*আমরা আরস্ত করিয়া! শেষ করি না; আড়ম্বর করি, কাজ করি না; যাহা অনুষ্ঠান করি, তাহা বিশ্বাস করি না; যাহা বিশ্বাস করি, তাহা পালন করি না; ভূরিপরিমাণ বাক্য-রচনা করিতে পারি, ভিলপরিমাণ আত্মত্যাগ করিতে পারি না।” এই সভার সভাপতি মাননীদ্ন জীযুক্ত গরুদাস বন্দ্যোপাধ্যায় মহাশয়, এই স্মৃতি-চিহ্ৃ-প্রতিষ্ঠার অকৃতকার্ধ্যতা স্মরণ করিয়া, যেন আত্মচিত্ত-প্রসাদ্কলে বলিয়াছিলেন, _কীর্তি-চিহ্ুু প্রতি- চিত না ছউক, বিদ্যাসাগর বাঙ্গালিমাত্রেরই হৃদয়ে প্রতিষ্ঠিত । এ স্তোক-বাণী নিশ্চিতই বিক্ষত-বক্ষের নিপব-প্রলেপ। চতুশ্তত্বারিংশ অধ্যায়। আত কথ।। কাল-আ্োতে বিদ্যাসাগর যে অক্ষয় কীর্ত রাধিয়া গিয়াছেন, তাহ প্রকটিত্ত হইল। বিদ্যাঘাগরের মহতৃ এবং কৃতিত্ব কেহই অস্বীকার করিতে পারেন না। বিদ্যাসাগর প্রকৃত পক্ষে বড় লোক ছিলেন। বিদ্যাসাগর দানে বড়; বিদ্যাসাগর পরছুঃখ- কাতরতায় বড়; বিদ্যাসাগর বুদ্ধিবলে বড়; তিনি আরও কত শত বিষয়ে সাধারণ লোক হইতে অনেক বড়। জআধারণ হইতে তাহার এই অমাধারণত্ব-পার্থক্য ছিল বলিয়্াই, তিনি সমাজে 'প্রতিষ্ঠ। স্থাপন করিতে পারিয়াছিলেন; কর্মক্ষেত্রে তুমুল সংগ্রাম বাধাইয়াছিলেন। ফল মন্দ বা ভালই হউক). অলাধারণত্ব তাহার মধ্যে পূর্ণ প্রতিষঠিত। বিদ্যাণাগ্রের যে কালে জন্ম, সে কালে কালধর্্ম সাধনের নিমিত তাহারই মত এক জন অসাধারণ লোংকর প্রয়োজন হইপ্াছিল। কাল-ত্রোতের পরিবর্তনের বখন প্রয়োজন হয়, তধন এইরূপ লোকেরই জন্ম হইয়াথাকে। ইত্তিহাসে ইহার ভূরি ভুরি প্রমাণ পাইবে। কালপ্রভাবে হিন্দুধর্ম ক্রমশঃ ক্ষীণ হইয়া আগিতেন্তিল) হিন্দুর পর মুমপমান, মুমলমানের পর বৃষ্টান আসিয়া রাজ হইলেন) হিনদৃপ্ভার অনেক দিন হইতেই শ্লথ হইতেছিল; ঘুমলমানী ভাব মে স্থান অধিকার করিয়াছিল; এখন রাজা ৬৫৮ বিদ্যামাগর | ইংরেজ সে স্থান অধিকার করিবার অবসর পাইরাছে। বাঙ্গালার এমনই ছর্দিমে বিদ্যাসাগরের জন্ম হইল। বিদ্যা" সাগ+গাপন অপাধারণ প্রতিভা এবৎ কার্যক্ষমতা লইয সেই ভাবপ্রচারের সহায় হইলেন। আর তাহার প্রতিষ্ঠা প্রবন্বেগে প্রমারিত হইল। বিদ্যাসাগরের জন্ম এক শত বৎসর পুর্বে বা এক খত বৎসর পরে হইলে, সমাজে তাহার এত জন্মানপ্রতি্ঠা হইত কি না সন্দেহ। সমাজে প্রতিষ্ঠা হত্ব» কালোচিত ধর্প্রতিপালনে বিদ্রযানাগর তাহাই করিয়'- ছিলেন। নতুবা! বল দেখি, অধ্যাপকের বংশে জন্ম লইয়া, ব্রাহ্মণপণ্তিতের সন্তান হইন্বা, হৃদয়ে অসাধারণ দয়া, পরহৃঃখ- কাতরতা প্রবৃত্তি পোষণ করিয়া, হিন্দু শাস্ত্রের প্রতি, হিন্দুর ধর্ম কর্মের প্রতি তাহার আন্তরিক দৃষ্টি হুইল না কেন? দয্মাম কপ! করিয্বা, কাল-ধন্ম-সিদ্ধিত্ব মানসে তাহার হৃদয়ে পরছুঃ' কাতরতার আোত এতই প্রবল করিয়া দিয়াছিলেন যে, বংশ- পরম্পরাগণ্ত ধন্মভাব শান্্রজ্ঞান, কোথায় ভাগিয়। গেল। বিধবার ছুঃখ দেখিয়া বিদ্যামাগর গলিয়া গেলেন। বহু বিবাহে কুলীন কামিনীর ক্লেশ দেখিয়া তখিমোচনে বিদেশী রাজার আশ্রঘু লইলেন। কিন্তকি হইতে কি হইল? হিন্দুর বিবাহে কি পবিত্র জন্বন্ধ, ব্রদ্দচধ্যের চর্ম উদ্দেগ্ত কি, কোথ1 হইতে কোন্‌ মুখ্যধর্্রসিদ্ধির জন্য ত্রহ্মচর্ধ্ের ব্যবস্থা হইয়াছে, কিরূপে ব্রক্ষমচর্ধ্যে ব্যাঘাত পড়িল, কিরূপ ব্যাঘাতে সমাজের কি অনিষ্টের হুত্রপাত হইয়াছে, বিদ্যাসাগর তাহা বুঝিলেন মা, আত্মকথ। ৬৯ স্কাহার অপার দয়াপ্রবৃত্ি তাহাকে তাহা বুঝিতে অবসর দিল না। তাহার মেই দয়াগুণে তাহার পৈত্রিক ধর্ধব, তাহার শী-স্ত্রদ্ধা সবই ভাঙিয়া গেল। এইরূপ বিদ্য ঘুঃগরের চরিত্রে দেখিবে, দয়াগুণেই,-আ ত্মনির্ভরতাগুণেই তাহার নিকট আর কিছুই তিঠিতে পারে নাই। বিদ্যাসাগর কালের লোক। কালধর্মই তিনি পালন করিয়া গিয়াছেন। ইহাতে হিন্দুর অনিষ্ট হইয়াছে; হিন্ব্প্ম আঘাত লাগিয়ছে; হিন্দ সযাজ বিশৃঙ্খলতার ভ্রেশ্ষ ভাগিক়াছে। কিন্তু বিদ্যা- সাগরের অপরাধ কি? যিনি তাহার হৃদয়ে এত দয়া-পরছ্ঃখ- কাতরত| দ্রিয়াছিলেন, তিনিই জানেন, কেন এমন হইয়া-* ছিল। নতুবা বড় কথা কহিতে চাহি না, বিদ্যাসাগরের ধখন জন্ম হয়, সে সময় ব্রাঙ্গণের ঘরে নিত্য জদ্ধ্যা-আহিক করিত না, এমন লোক প্রায় দ্েধা বাইত না। কিন্ত নিষ্ঠাবান্‌ ব্রাহ্মণের বংশধর বিদ্যাসাগর, উপনয়নের পর অভ্যাস করিয়াও ব্রাহ্মণের জীবন সর্ঝন্ব গ্রাযত্রী পর্য্যন্ত ভুলিয়া গিঘ্াছিলেন। তাহার ধর্মভাব কোন্‌ আোতে বহিবে, করুণাময় বাল্যকালেই ইঙ্গিতে তাহার আভাস নিয়াছিলেন। | ইহাই বিদ্যাসাগর-চরিত্রনির্ধ্যাস | আত্তরিকত] ও একাগ্রন্তা সে চরিত্রতিত্বিক্ মূল উপকরপণ। হিন্দুস্তান বিদ্যাসাগরের এই আত্তরিকতা ও একাগ্রতা লইয়া, শান্তরনিশ্চিত দ্বধর্ম্ের পথান্বস্তাঁ হইয়া, শ্বকারধ্য-সাধনে তৎপর হয়, ইহাই কায়মনোবাক্যে প্রার্থনা। এই প্রার্থনা লইয়াই, *বিদ্যাসাগরে"র প্রকাশ। ৬৬৪ বিদযাসংগত প্রথম বৎসরের নবজীবনে, কবিবর *মচজ্ত্ম ষে সরল ও সরষ ভাষায় এবং সম্যক উপঘোগী গ্রাম্য-উপমায়, বিদ্যাসাগর” চরিত্রেকস্পষ্ট নির্দেশ করিয়াছেন, তাহা উদ্ধত করিয়া, চরি চঙ্চার উপসংহার করিলাম। কবি সংক্ষেপে কয়েকটী কথ. লিখিঘ়াছেন ;- “আস্চে দেখ সবার আগে বুদ্ধি হ্ুগ্রভীর, বিদ্যার সাগর খ্যাতি, জ্ঞানের মিহির। বঙ্গের সাহিত্য গুরু শিষ্ট-সদালাপী, দীক্ষা-পথে বুগ্ধঠাকুর সেছে জ্ঞানব্যাপী। উত্সাহে গ্যাসের শিখ? দ্রাঢ্যে শালকড়ি, ক।ক্গাল বিধবা-বন্ধু অনাথের নড়ি। প্রত্তিজ্ঞায় পরশুরাম দাতাকর্ণ দানে, স্বাতক্ত্র্যে সেঁকুল কাটা, পারিজাত ভ্রাণে। ইৎরেজীর ঘিয়ে ভাজা সংস্কৃত ডিস» টোল, স্কুলের অধ্যাপক ছুয়েরই ফিনিদ্‌।”