( অর্থাৎ) সমালোচনা-সংবলিত ঈশ্বরচন্জ বিদ্যাসাগরের জী শ্রঙ্ছিরিলীল, সরকার

কলিকাতা ১২নং সিকদারবাগান-বানব- পুস্তকান: সাধারণ পাঠাগার বা তৎসহ-সম্পাদক

পপ

কলিকাতা,

৩৪৯ সক ইত বাসীীেসিন রে

উতমর্গ-পত্র।

ধাহার সহায়স্তায় পবিত্র সাহিত্য-মন্দিরের এক প্রান্তে প্রবেশ করিবার প্রকৃত গথ গাইয়াছিলাম, সেই শ্র্/স্পদ সহৃদয় হুহৃদ-সহায় শীযুক্ত কেদারনাথ খিত্রকে এবং ধাহার সন্গদয়তা় কেদারনাথকে সুহনদস্বর্ূপে পাইয়াছিলাম, সেই প্রিয়তম মিত্র শ্রীযুক্ত নৃত্যগোপাল বন্ুকে দীনের সামান্ত সাহিত্য-সন্বল “বিদ্যাসাগর” উৎনষট হইন্স।

পিই

নিবেদন।

বিধি বিড়ম্বনায় “বিদ্যাসাগর” যথাসময়ে প্রকাশিত হয় নাই তিন মাস শধ্যশীয়ী ছিলাম। দৌর্বল্য জন্য ছুই মাদ "ধিদ্যাসাগর* সন্বদ্ধে কোন কাজ করিতে পারি নাই। ইহা অবশ্ঠ বিড়ম্বনার প্রকৃষ্ট প্রমাণ।

বিদ্যামাগর মহাশয়ের সহোদর শীমুক্ত শভুচ বিদ্যারত্ব মহাশ়, জর্বপ্রথম বিদ্যামাগর মহাশয়ের জীবনী প্রকাশ করেন। তাহার নিকট আমার জর্াগ্রে কৃতজ্ঞঙা-স্বীকার কর্তব্য বিদ্যাসাগর" প্রঞাশে অনেকেই অনেক প্রকারে আমাকে দাহাষ্য করিয়্াছেন। পুস্তকের অভ্যন্তরে তীহাদের মামোল্পেখ আছে। আমি তীহাদ্দের নিকট চির-কৃতজ্ঞতা- পাশে বন্ধ রহিলাম।

বিদ্য[%. ] মহাশদ্বের পুত্র শ্রত়ু নারায়ণ বন্যোপাধ্যায মহাথয়, জামাকে অনেক চিতি-পত্র দিন] সাহায্য করিয়াছেন। তাহার নিকট বিদ্যাসাগর মহাশয়ের জীবন-ঘটত ষে সমুদয় চিঠি-পত্র ছিল, সে সমুদয়ই পাইবার আশ! পাইয়াছিলাম। আমার ছরদৃষ্টশতঃ তহার কতক হস্তাস্তরিত হইগ্কা পড়ে। যাহা হউক, তিনি আমাকে যে সব ছুর্লত আবশ্যক চিঠি-পত্র দিয়াছেন, তাহার জন্ত তাহার নিকট আমি চির-ঝণী।

আমি বহু কষ্টে, বহ শ্রমে এবং অর্থব্যপ়ে যে সমস্ত উপকরণ সংগ্রহ করিয়াছি, হয়ত তাহাদের কাহারও কাহারও উপধুদ্ধ ব্যধহার করিতে পারি লাই। আশ। আছে, ভব্য্যিতে আম

1/০

. ঈপেক্ষা। যোগ্যতর জীবনী-লেখকের হস্তে তাহাদের সন্ধ্যবহার . হইবে আমি যাহা সংগ্রহ করিয়াছি, তাহা ধরি কোন জময়, সাধারণের অম্পত্তিরূপে, সাধারণের হিতার্থে নিয়োজিত হয়, তাহা হইপে, আমার সংগ্রহ-শ্রম সার্ক হইবে।

নানা কাপে, মূল ইংরেজী চিঠি-পত্র প্রকাশ করিতে পারিলাম না। মুলের সৌন্দর্য অনুবাদে রক্ষিত হয় না। তবে অনেকট। ভাবগ্রহ হইয়া থাক্চে। এই জন্য ইংরেজী চিঠি, পত্রাদির বাঙ্গালায় মন্্ানুবাদ দিয়াছি।

ইৎরেজী চিঠি-পত্রাদির অনুবাদ সম্বন্ধে আমার পরম শ্রদ্ধা- স্প বন্ধু শ্রীযুক্ত ক্ষীরোদপ্রদাদ বিদ্যাবিনোদ এম, এ, শ্রীযু্ রাজেজ্রনাথ বন, বি, এল, মোদরপ্রতিম শ্রীমান্‌ নারায়ণচন্্র ঘোষ, বি, এ, আরমান কানাইলাল ঘোষ এবং আমার শ্্ধাস্পদ 'সহকানী শ্রীযুক হরিমোহন মুখোপাধ্যায় জনেকটা সাহায্য করিয়াছেন। তৃতপূর্ধ্ব ডাইরেক্টর টনি সাহেব, অনুগ্রহপুর্ক্বক সংস্কৃত-কলেজের পুরাতন কাগজপত্র দেখিবার অনুমতি দিয় ছিলেন সংস্কত-কলেজের ভূতপুর্্ব অধ্যক্ষ মহা-মহোপাধ্যান্ পণ্ডিত মহেশচন্্র স্তাক়রত্ব মহাশয়, ততৎমন্বন্ধে সহায়তা করিয়া" ছিপেন। নিম্নলিখিত পত্রে তাহার প্রমাণ,

শীঞ্রনুর্গ। সংস্কৃত কলেজ, শরণখ। ৮৮ ৯২ সবিনয়নিবেদনমিদমূ।

যুক্ত ডিরেই্র সাহেবের চিঠি আসিয়াছে। ১বিদ্যামাগর

1/০

মহাশয়ের জীবনী সম্বন্ধে কলেজ হইতে যাহ! অনুসন্ধ'ন কঙ্গেন

তাহ! পাইতে পারেন। ইতি ভবদীয়স্ত

শ্ীমহেশচন্্র শর!

বদযাপাগরকো হন যে চক্ষে দেখিয়। থাকে এবং হিন্দৃন যে চক্ষে দেখা কর্তধ্য, বিদ্যাসাগরের কাধ্যালোচনায় তাহ। বুঝাইবার প্রয়াম পাইয়াছি। মে অন্বন্ধে কতদূর কৃতকাধ্য হইজ্কাছ, তাহারাবচার বিজ্ঞ পাঠকগণই কঞিবেন।

পিচ পন জলজ

প্রার্থন! |

মানুষ অপূর্ণ। তাই মানুষের কাজ একেবারে ভ্রমবর্জিত- হয় না। আমি মুঢ়, প্রতিজ্ঞা করিয়াছিলাম, *বিদ্যাসাগরকে” একেবারে ভ্রমশূন্ত করিব। বিশেষতঃ ষোড়শ বর্ধাধিক কাল বাঙ্গালা ছাপাথানাত্র সহিত কুটুন্বিত! করিয়াও যখন আমার এইপনপ স্পর্ঘিত প্রতিজ্ঞা, তখন আষার মুঢ়তা অপরিমেয় অমাজ্নীযু। কেবল ছাপাখানার দোহাই দিয়া আত্ম-নি্কৃ- তির প্রয়াস পাইলে, প্রত্যব্যয় হয়। ছাপাখ।নার ভ্রম অনে* কাংশে অক্ষরগত। আমার ভ্রম বিষয়, ভাব ভাষ' সংক্রান্ত কেবল ভ্রম কেন, কোন কোন স্থানে ক্রটি সংশয় আছে। আমার সবিনয় নিবেদন, পাঠকবর্ম অনুগ্রহপূর্বক অক্ষরগ্ত ভ্রম স্বপ্তৎ সংশোধন করিয়। লইবেন। আত্মকৃত যেভ্রম-ক্রাট

॥$

যুদ্ধিগোচর হইয়াছে, তাহার যথাযোগ্য সংশোধন করিয়া লইতে স্ষুচিত নহি। আমার বুদ্ধিগোচর হয় নাই, এমন ভ্রমও থাকিতে পারে। দয়া করিয়া, কেহ তাহ। দেখাইয়া দিলে, অনৃতজ্ঞতার কলস্কে কলুষিত হইব না।

ভ্রম

“পঞ্চম অধ্যায়? ছুইটী হইয়াছে। পাঠক! শেষেরটাকে “পঞ্চম কে)? করিষ়া লইবেন। বিদ্যামাগর মহাশয়ের পুত্রের মাম *নারাফণ” না হইয়া চুই এক স্থানে “নারায়ণচন্দ্র” হই- মাছে? ৪৮ পৃষ্ঠা ত্রয়োদশ ছত্রে পপ্রহারের পরও” না হইয়! “প্রহারের সময়েও” হুইবে। ৫১ পৃষ্ঠার চহুদ্দশ ছত্রে “বালক ঈশ্বঃচন্দ্রকে” না হইয্বা “তাহাকে” হইয়াছে সংস্কৃত সংকীর্ণ- প্রলার াধ'রণে অপ্রচলিত। ৮০ পৃষ্ঠার ধশম ছত্রে “সাধারণ” কথাটি পড়িয়া গ্িগ্ান্থে। ১৮৩ পৃষ্ঠার নোটে পঞ্চম ছত্রে “১৮৯৩ হৃষ্টাবে” না হইয়া! «১৭৯৩ ধৃষ্টাব্ডেশ হইবে ৩০৯ পৃষ্ঠার প্রথম ছতত্র “কুরুদ্মি” কথাটা “কুশ-ভূমি* হইবে। “এডুকেশন কৌন্সিলে”র সেক্রেটারীর নাম মোযেট সাহেব।

কোন কোন স্থানে “যোনাট" হইয়াছে। $৯১ পৃষ্ঠার ষষ্ট ছত্রে “পাঁচ মহত্র” কথাটা 'পঞ্াশ সহ হুইবে।

ইসি 72:25 চা

রায় দীনবন্ধু মিজ বাছাছুৰ |

ভ্রটি।

রাপ্ধ দীনবন্ধু মিত্র বাহাদুরের চিত্র সন্নিবেশিত হইয়াছে। কিন্ত তাহার সম্বন্ধে বিশেষ কিছু উল্লেখ নাই। বিদ্যাসাগর মহাশয়ের সহিত তাহার ঘনিষ্ঠ সখ্য ছিল। উভয়ের পরি- বারের মধ্যে পরস্পরের এরূপ শ্বনিষ্ঠত। ছিল যে, সহসা] ভিন্ন পরিবার বলিয়া, কেহ বুঝিতে পারিত না। ইহা অপেক্ষা আর বেশী বলিবার স্থান অবশ্য এধানে হইবে না। বিদ্যাসাগর মহাশয়ের রচিত, সঙ্কলিত অনুবাদিত পুস্তকের মধ্যে কথামালার কথ। কিছু বলা হত নাই। ৰথামাল! স্থুকুমারমতি বালকের দিব্য মুখরোচক। ধে সকল চিত্র সন্নিবেশিত হইয়াছে, তাহাতে এন্গ্রেভার পেন্টার শ্রীযুক্ষ হরিদাস সেনের মাম উল্লিখিত হওয়া উচিত ছিল। অধিকাংশ চিত্র তাহারই অস্থিত। ধারাবাছিকরূপে বধে বর্ষে বিদ্যাসাগর মহাশছ্জের জীবনশটত কার্ধ্যাবলীর ' আলোচনা! হইয়াছে। কোন কোন স্থানে ইহার ব্যতিক্রম ঘটিয়াছে। দৃষ্টাত্ত দ্বরূপ কলেজ-প্রতিষ্টার বিষয় উল্লেধিত হইতে পারে। ভাবোক্ভাষিত হদয়াবেগে বিচিত্রকর্ম। বিদ্যানাগরের একই প্রবৃত্বি-পরিচ।য়ুক ভিন্ন ভিন্ন কার্ধযালোচনায় ছুই এক স্থানে মন্তব্য-ভাবে পুনরাবৃত্তি খটপ্তাছে। একাস্ত বিরক্তিকর বোধ হইলে, প'্ঠকগণ দয়! করিনা, মে অংশ বাদ দিয়া পড়িবেন।

অংশয়।

৩৫১ পৃষ্ঠায় মদনমোহন শর্শা-স্বাক্ষরিত একখানি পর প্রন্কানিত হইয়াছে পত্রধানি প্রকৃত। কিন্ত নাম অন্বন্ধে সংশয় আছে। আমার অহুম্থাবস্থায় এই অংশ মুদ্রিত হইয়ান্িল। মামট্টা মিলাইতে পারি নাই। ছূর্তাগাবশতঃ পত্রধানি অধুনা হস্তচ্যুত। ৫৮৬ পৃষ্ান্ব বিদ্যাসাগর মহাশয়ের রহস্ত-রদের পরিচয়ঙ্থলে লাট-দরবার সম্বন্ধে ঘে কথা লিখিত হইয়াছে, তদ্বিবরণ মাদ্রাজের বারিষ্টার রামন্বামী রাজু বি, কতৃক প্রণীত্ত “্রীঘত্পগ্ডিত রাজতরজিণী” নামক গ্রন্থ হইতে জঙ্কলিত হুইয়াছে। কেহ কেহ ইহার ষত্যত। জন্বন্ধে সনেহ করেন। এমন কি, বিন্যামাগর মহাশয়ের কোন কোন আতীয় ইহাকে কল্পিত বলিতেও কুহিত নহেন। |

শেষ কথ।।

“জনভুমিতে” বখন বিদ্যাসাগর মহাশয়ের জীবনী প্রকাশ করি, তখন নিয়লিধিত বিষয়গুলি সংগ্রহ করিতে পারি নাই। বিদ্যাসাগর মহাশয়ের জীবনীর সঙ্গে এই সধ বিষয় এই প্রথম প্রকাশিত হইল।

[ 1] একাদশ অধ্যায়। বিইন্ন প্‌ বাঙ্গাল! ইতিহান, হূর্াচরণের পরিচয়, ফোর্ট উইপিয়ম

কলেজে পুনঃগ্রবেশ, ইংরেজি লিপি-পটুতা, গুভকরী, জুনিয়র, নিনির়র পরীক্ষা, গুণধানের পুরস্কার, পুত্রের জন্ম ভ্াতৃ-

বিয়োগ রর ২২১--২২৫ দ্বাদশ অধ্যায়। লাহিভ্যধ্যাপকভা, কৈকিন্নং, তর্কালক্ষারের পত্র, রিপোর্ট জীবনচপিত উঃ ২২৬---২৫৩ ভ্রয়োদশ অধ্যায়।

রমময় দত্তের কর্ধত্যাগ, বিদ্যানাগপরের প্রিদিপালপদদ, কার্য-হ্যবশ্থ1, ছাত্র-ত্রীতি, কারিক-দণগখিধানের নিষেধাজ্ঞা, রহস্ত- পটুভা, শিরঃপীড়।, বিটন্‌ স্কুলের নন্বন্ধ যোধোদয় *** ২৫৪-২৭১

চতুর্দশ অধ্যায়। সংস্কৃত কলেজে শৃত্র ছাত্রগ্রহণের ব্যবস্থা, কলেঞ্জের বেতন- আ্যবস্থ1, উপক্রমণিক1 ব্যাকরণ, যীরনিংহে ডাকাইতি, আত্মরক্ষা ককিন্নং, ডাকাইতির কারণ, নীভিযোধের রচদা, ঝভুপাঠ |কোঁমুদী ব্যাকরণ, শিক্ষাপ্রবালীর পরিবর্তন, পাঠ্য-প্রণরন-দ তা, বীরসিংহ আছে বিদ্যালর, বেতন'5দ্ধ বিদ্যালয়ের বায়. ২৭২--২৮৩

পঞ্চদশ অধ্যায়। স্কুধ-ইন্দপেক্টরী পনগ্রান্তি, নর্মাল স্কুল, সফরে নহদয়তা, মাতৃনাষে উচ্দুন, জননীর দয্ব!, অন্থগত-পালদ, বন্ধুর আদর, শুঃগ্রহে আগ্রহ, সংস্কৃত তা! লাহিত্য-ধিষগক প্রস্তাব, দান- পদ্ধতি,নংস্কৃত কজেজে ইংরেখির প্রদার শকুত্তলা/! “** ২৮৪ --৩০১

[| ]

ষোড়শ অধ্যায়ু। বিষয় পৃষ্ঠ! বিধবা- ব্যাহ টি ৩০২-৩৬০ সপ্তদশ অধ্যায়। ধর্ণপরিচয়, চরিতাঁধলী, বিশ্ব ধিপ্যালমন, হেলিডের নিকট প্রতিষ্ঠা ইয়ও মাহেষের লহিভ মনান্তঃ পদত্যাগ ৩৬১-৮৩৭২ অষ্টাশ অধান।

স্বাধীন জীবনের আভা, ওকালতীর প্রত্তি তাগ,পিভামহীরু মৃতু, পিভামহীর শ্রাদ্ধ, মন্তরগ্রহণে অপ্রবৃ্চি আচার-অমৃ টান, নংস্ৃত ঘন্তরও ডিসজিটরী, পরোঁপকান্র উপকারে কৃতজ্ঞতা ৩৭৩--৩৮৫

একোনবিংশ অধ্যায় বিধব1 বিবাঁছে ধণ, ব্ধবা-ধিবাহ নাটক, দান-দাক্ষিণা, ইংরেজি দ্কুধ, কৃত্তজ্ৰতা, হিন্দু-পেটরিয়ট, মোমগপ্রকাশ, বর্ধমান- রাজের লহিত ঘনিষ্উতা, নোমপ্রকাশে বিদ্যাভূষণ সংবাঁদ- পত্রের নংক্ষিপ্ত বিষর্ণ ৩৮৬ ৮৪৪৪

বিংশ অধ্যায়। মহাভারতের অন্থবাদ, নীভার বমবান, অমারিকত1, ঘোঁষনের বিক্রম, গুরুগ্ক্ি, রাজ! এঈশ্বরচন্তর, মধুরে-কঠোর, ৬রমাঞরদাঁদ রায় আত-ত্রাণ ফি ৪০১-৮৪১৫ একবিংশ অধ্যায় মাইকেল বিদাদাগর ৪১১--৪.৮ দ্বাবিংশ অধ্যায়। ধমর্ণের ব্যবহার অযাচিত দান রঃ ৪১৯--৪২৪

| ও]

ত্রয়ৌবিংশ অধ্যায়।

বিষ পু্ঠ11 পু; কার্ধ/-প্রার্থনা, ওয়উডদ্‌ ইনিছ্িটিউনন শাস্ত্ীত ব্য রঃ ৪২৫-৪৩১

চতুর্তিংশ অধ্যায়। যেটপলিটন না 8৪০---8৪৮

পর্কবিংশ আযাধয়। আজ -হতনি1, বেখুমে নরম, বেখুনে মিদ্‌ পিগট, পিতার কাশীধান, প্রননকূমার হূর্ভিক্ষ। ৪৪১-_২৬১ ষড়ুবিংশ অধ্যায়ু। রাজ প্রতাপচন্ত্র, পাজ-পরিবার, অআধাধ লাক্ষাং অনাহতের অত্যাচার, দেধোত্বর নম্পন্ত, দরুণ হুর্ঘটন| পারিযারিক পার্ধক্য রঃ ৪৬২-+৪৭৫ সপ্তবিংশ ঘধ্যান্ন। ভ্রাতার ্বতিমান, শত্গুলাধ পরিত, াজ| রাঁধাকাপ্ত, হিন্দু- পেটরিপনটে পত্র, জো কক্জার বিধাহ. রাঁমগোপাজ ঘোষ, নারদ. গ্রনাদ, তাটাল-কুণ, রাণী কান্যায়নী, ইনৃকমূ টক হরচন্ ঘোষ ৮৯৪ ৪৭৩ --.৪৮%

অষ্টাবিংশ অধ্যায় ) ছাপাখানার নত, মনোবেদম1, হোষিওপ্যাথিক্ক চিকিৎসা, বর্ধমামে বিদ্যানাগর, ঝণের জন্ত ঝণ বিধব| ধিবাহে জাগুন1 ৪৮২--3৯৭

একোনত্রিংশ অধ্যায়। পাচঙ্কের অপরাধ, বদ্ধ ঘনে ম্যালেরিয়। দানে কৌতুক ৪১৮--৫০৪

[ ]

ত্রিংশ অধ্যায়। বিষয় | | পুষ্ঠ]। জান্তিবিল1স, রাষের রাজযাভিধেক ভাষা-চর্চ| €০৫-৮৫১২ একত্রিধশ অধ্যায়

গুহ-দাহ, ছাঁপাখান।-বিক্রঘ, মেধদূত, দেশ-স্যাগ, সত্তধ্য-রক্ষা, ডাক্তার দুর্গাচঃণ, বিষয় রক্ষা, ভাক্তীর নরকার, মহারাজ মহাতাপ চাঁদ, নভায় সাহাধ্য পুত্রের বিবাহ ৫১৩-৮৫২৫

দ্বাত্রিংশ অধ্যয়ু। কারীতে জননী, মাতৃ-বিয়োগ, পিতৃ-সেব, কাশীর কার্য্য, হিন্দু-উইল, রাজ! নতীশচন্ত্র, রাণী ভূবনেশ্বরী, উত্বর-চরিত অভিজ্ঞান শকুন্তলামাটক ... ৫২৬-৮৫৩৬

ত্রয়স্তিংশ অধ্যায়

.. পাদরী ডগ, কেশবচন্্র দেন, রাজনারারণ বনু রামকৃ্ পরমহংন 4৪৪

১৪৪ ৫৩৭-"৫৪১ চতুস্ত্িংখ অধ্যায় বছ-বিষাহ ৪৪ ৪৪৬ ৫৪২.-৮৫৪৭ পঞ্চত্রিংশ অধ্যায়। [দ্বিতীয় কন্ঠার খিধাত, পুতর-বর্জান আনুইটি কও ৫৪৮--৫৫৫ ষটটত্রিংশ অধ্যায়। | স্বাধীন বন্ধ, জাষাতার যৃত্যু, দুহিষ্ভা-দৌহিজ যেউপলি- উনের শাখা * ৫৫৭৫ সপ্তত্রিংশ অধ্যাম়্।

. পাছ্‌ক্ষা-ঘিত্রাট ৫৬৩--৫৭২

বিদ্যামাগর।

বিদ্যামাগর।

অবতরণিকা।

দ্বিতীয় দাতা-কর্ণ এবং দয়ার সাগর অনাথ-বান্ধৰ বছের “বিদ্যাসাগর? ১৮৯১ তবঃ অক ২৯শে জুলাই,বা ১২৯৮ সালে ১৩ই শ্রাবণ, মঙ্গলবার রাত্রি ২টা ১৮ মিনিটে ইহলোক পরিত্যাগ করিয়াছেন।

বলা বাহুল্য,_-«বিদ্যাস্াগর” বলিলে, ঈশ্বরচ্জ বিদ্যা- সাগরকেই বুঝায়। দেই বিশ্ব-বিশ্রুত “বিদ্যা সাক্ষর” প্রায় তিন বংমর হইল, আমাদিগকে পরিত্যাগ করিয়া, চলিয়া গিয়াছেন। কর্মক্ষেত্রে, সেই কর্ম-শূর, আপন কর্ম সাধন করিয়া, অপেক্ষাকৃত অল্পতর ভাগ্যহীন ব্যক্তিবর্গকে কর্শের শিক্ষা-দীক্ষা দিয়া, স্বস্থানে প্রত্যাবর্তন কনিয়াছেন। জীবমাত্রের এই অবস্থা দেই আদ্যাশক্তি মূল প্রকৃতির এই ব্যবস্থ1। অবোধ মায়াময় ভীব আমরা, মায়া-মুগ্ধ হইয়া, সব তত বুঝিষ্বাও, বুঝিতে পারি না। অনিত্য সংদারে কেবল বিয়োগ- বিলাপেই অধীর হইয়া পড়ি। তাই বিদ্যাসাগরের স্মৃতিতে

বিদ্যাসাগর |

এখনও বিষ্বোগ-বাড়বানল প্রজলিত হইয়া উঠে। যেষায়, সে তআর আসে না। যাঁয়)কিন্তম্মৃতিযেজাগে! স্মৃতি নয়; সে যেজালাম্মী জাল! ! সে জাল ভুলি কিসে ?

বাহার করুণায় শত শত নিরন্ন নিরাশ্রয়, অন্নাশ্রয় পাইত; ধাহার আশ্রযজে থাকিয়া, অগণিত অনাথ আতুর দীন হীন হুঃস্থ দরিদ্র অসহায়, আত্মীয়-নির্বিশেষে প্রতিপালিত হইত ; যাহার অপার দয়!-দাক্ষিণ্যে কপর্দকহীন অধমর্ণ, উত্তমর্ণের নিদারুণ নিপীড়ন হইতে রক্ষা পাইত; ধাহার সন্গদয়তাগুথে মল-মুত্র- পুরিত পরিত্যক্ত রুগ্ন পথিক, গৃহে আনীত হইয়া যথাযোগ্য উষধ-পথ্য পাইত) ধাহার জলত্ত জীবন্ত দৃষ্টাস্তে অতি-বড় ক-পুত্রও অতুল* মাতৃভক্তি শিক্ষা পাইত; ধাহার অসাধারণ অধ্যবসায়, অদম্য উদ্যম-উৎ্সাহ, অকুণ্ঠত নিভাঁকতা, অলৌকিক শ্রমাকুষ্িতা, অসীম. কর্তৃব্য-পরাধণতা, অমানুষিক সরলতা দেখিয়া বিদ্বেশী প্রবাসী লোকেও সবিস্ময়ে সহত্র বার মন্ত্রক অবনত করিত, সেই ক্ষণজন্মা ভাগ্যবান পুরুষ লোকাস্ত- রিত ! বল দেখি, তার স্মৃতি পাসরি কিসে ? |

এখনও চারি দিকে কত কাঙালের পর্ণ-কুটীরে পুর্ণ হাহাকার! এখনও কত অনাথাগ্রমে আকুল প্রাণের মন্ম- ভেদী গভীর চীৎকার ! সব শুনিলে বুক ফাটিয়া যায়! সে সব কথা ভাবিলে চক্ষু ফাটিয়া রক্ত বাহির হয়! ঘেই করুণা প্রতিম অন্থপম করুণাময়ের কথা স্মরণ হইলে হৃদষের শোক- সাগর উথলিয়! উঠে |

বিদ্যা-বুদ্ধিতে “বিদ্যাসাগর” অপেক্ষা বড় অনেকেই

বিদানাগর |

ধাকিতে পারেন; কিন্ত দয়া-দাক্ষিণ্যে তাহ। অপেক্ষা বড় অতি অল্প লোকই দেখিতে পাই। এমন নিরমের অন্দাতা, ভতবার্ডের ততত্রাতা; বিপন্নের উদ্ধারকর্তা এবং দ্বীন-হীনের দয়াল পাশ্নক পিতা, কলিযুগে সংসারে বড়ই বিরল। তিনি ঘে দয়ার অপূর্ব অবতার! তিনি যে মুর্তিমতী দয়ার পূর্ণ পুরুষাকার ! : এক হৃদয়-বলেই “বিদ্যাসাগর” বঙ্গের বিরাট পুরুষ

এক জন বড় লোক হইলে, সমগ্র দেশ বা জাতি বড় বলিয়া সন্মানিত হয়। মাঁকন্‌ গ্রন্থকার দার্শনিক এমার্সন্‌ বড় লোকদের কথায় বলিয়াছেন).

[100 হ906 €095 01) 0৪ ০1. 051৮ 06016?

কলুষমষু কলিকালে, দানে পূর্ণ “সাত্বিকতা” ছুর্নত। বিদ্যানাগরের দ্রানে কিন্তু সাত্বিকতার পুর্ণ বিকাশ তাহার “বিধবা-বিবাহ”-প্রচলন-প্রক্রিয়া হিন্দুর পক্ষে পাপবিদ্ধ তাঁম- মিকতা নিশ্চিতই 7 কিন্তু তাহার দয়া-প্রণোদিত দানের সাত্বি- কতা কেহ অস্বীকার করিতে পারিবেন না। দানে বিদ্যামাগর শাস্ত্রের মর্ধ্যাদ। রক্ষা! করিয়াছেন। শাস্ত্রে আছে ;--.

“্দাতব্যমিতি যদ্দানং দীয়তেহনুপকারিণে। দেশে কালে পাত্রে তদ্দানং সাত্বিকং স্মৃতম্‌ ॥” --শীতা ১৭ ২৭। ঘান করিতে হইবে, ইহা মনে করিয়া দেশ কাল পাত্র বিবেচনায়, অপকারীকেও যে দান করা যায়, তাহাকে সাত্বিক দান কহে।

বিদ্যাসাগর |

এরূপ সাত্বিক ভাবাপন্ন দানের পরিচপ্ন, তীয় জীবন, বৃন্তান্তে পুনঃপুনঃ পাইবেন। বিদ্যাসাগর দান করিতেন: জানিতেন কেবল দাতা গ্রহীতা দ্রানের পৌরুষ-প্রকাশে তাহার প্রবৃত্তি ছিল না। তিনি দান করিতেন, নামের জন্ত নহে। দরিদ্রের সেবা এবং রগ্ের শুশ্রধা, কেবলমাত্র তাহার অকামকলিত নিত্য ক্রিয়া ছিল। দেনার দায়ে খণী, জেলে যাইতে যাইতে পথে বিদ্যাসাগরকে দেখিয়া, বাগ্পাকুল লোচনে কাতর ভাবে তাহার পানে একবার তাকাইলে, চক্ষেতর জলে তাহার বুক ভামিয়া যাইত। কপর্দক হস্তে না থাকিলেও, তদ্দণ্ডে তিনি খণ করিয়াই খণীর খণ পরিশোধ করিতেন।

এরূপ দান অবশ্য স্থসারীর পক্ষে সকল সময় সর্বখ! অন্ু- করণীয় প্রবর্তনীয় নয়। ইহাতে অনেক সময় বিপদগ্রস্ত হইতে হয়। বিলাতী করি গোল্ডশ্মিখ কতকট! এইরূপ দানশীলতাষু মধ্যে মধ্যে বিপদগ্রস্ত হইয়াছিলেন। বিদ্যাসাগর মহাশর়নকে অবশ্ঠ কখন সেরূপ হইতে হয় নাই। হইলেও ইহা যে স্বাভাবিকী সন্গদ্য়তার পরিচায়ক, তাহাতে সন্দেহ কি?

প্রাসাদ-বিহারী কোর্টিপতি হইতে “কর্মটাড়ে*র পর্ণকুটীর-বাসী অসভ্য দীন হীন সীওতাল পধ্যন্ত জানিত,_“বিদ্যাসাগর দয়ার সাগর।”+ এই জন্যই তিনি, হিন্দু, বৌদ্ধ, ধৃষ্টীন, মুসলমান, শিখ, পারসীক, সর্ব দেশের সর্ধ জাতির সমান বরণীয় এবং মাননীয়। স্তাহার পাপবিদ্ধ তামসিক কাধ্যানুষ্ঠান, ভ্রান্ত- বিশ্বা-বিভূত্ভিত দয়ার ফল বুঝিনা, হিন্দুও তাহার প্রতি

বিদ।াসাগর।

ভিন হয় নাই। গেদয়ার সাগর বিদ্যাসাগর কোথায়! দে দান-বীর সর্ধজন-সমাদূত বিদ্যাপাগর কোথায়!

যখন শোকের দারুণ শক্তি-শেল বুকের উপর, যখন ষাতনার অধিস্ূপ মন্দের ভিতর, তখন “জন্মভূমি? পত্রিকায় অধম লেখকের উপর বিদ্যাসাগরের জীবনী লিখিবার ভার পড়িয়াছিল। মনে করিয়াছিলাম, জালা জুড়াইলে ; সম্পূর্ণ উপকরণ মংগ্রহ করিয়া, জীবনী লিখিতে প্রবৃত্ত হইব। জালা ভুঁড়াইল ন1; পাঠকগণ কিন্তু অধীর ; কাঁজেই জীবনীর অসম্পূর্ণ উপকরণ লইয়াই ' জম্মভূমিশতে জীবনী লিখিতে প্রবৃত্ত হুইয়া- ছিলাম। যে কারণে জন্মভূমিতে জীবনী লিখিতে বাধ্য হইয়া- ছিলাম, সেই কারণে জীবনী পুস্তকাকারে প্রকাশ করিলাম।

পুস্তকের উপকরণ জম্পূর্ণ না হউক, অপেক্ষাকৃত অনেক বেশী। সে বিরাট পুরুষের জীবনীর সম্পুর্ণ উপকরণ সংগ্রহ একরূপ সাধ্যাতীত। তবে ইহাতে যথা-জ্ঞাতব্য বিষয়ের অভাব যাহাতে ন। হয়, তাহার জন্ত সাধ্যানুধারে প্রয়াস পাইয়াছি।

জীবনী লিখিব বটে; কিন্তু একেবারে নির্দোষ হইবার সম্ভাবনা কম। কাহারও জীবনী লিখিতে হইলে, গুণাধি- ক্যের সঙ্গে দৌষেরও সম্যক সমালোচনাক়্ সমদর্শিতার জন্মান রক্ষা হয়। মৃত ব্যক্তির গুণ ভালবাসার জিনিষ ;* দোষ নিন্দার কবি সউদদে ববিয়াছেন,__

€]1591: 5176538 1০৮9) 6617 70168 02209617)0,)

বিদ্যাসাগর মহাশয় বহুণুণান্থিত হইলেও দোৌষ-বিবর্জিত

বিদ্যাসাগর |

নহেন। সত্য, সে সব দোষ ভ্রান্ত-বিশ্বাম-মুলক ) তাহা হইলেও দোষ বটে? কিন্ত সময়ে দোষের জম্যক্‌ সমালোচন কর! নানা! কারণে এক রকম অসম্ভব ভাক্তার জনসন্‌ বলিয়াছিলেন যে,“ধাহার জীবনী লিখিতে হয়, কেবল তাহার চরিত্রের উজ্জল ভাগই সমালোচনা করা উচিত নহে; তাহা হইলে তাহার অনুকরণ অসম্ভব হইয়! উঠে তাহারও কিন্ত সে সাহসে কুলায় নাই। তাহার সময়ে ষে সব কবি. ছিলেন, তাহাদের অনেকের অনেক কথ! বলিতে তিনিও কুগ্ঠিত হইয়াছিলেন। তাহার কথা এই ছিল )__ 4৬911050000 88195 07009]. 10101) 116 ঠি:9 9৪ 201 03:611900181160.) অননাভ্যন্তরর ভম্ম-স্ূপে বিচরণ করিতেছি ।” সকল দোষক্রটার সমালোচনা করা অসম্ভব হইলেও, আমরা বিদ্যাসাগর কোন কোন ভ্রম-ক্রটির সমালোচনায় সাহসী হইয়াছি। যে ভ্রমক্রটির ভ্রমাত্বক অনুকরণে হিন্দু-সম্তানের মহতী ক্ষত্তি, তাহা! প্রদর্শন না করিলে .প্রত্যবায়-ভাগী হইতে হইবে গুণ-রাশির সমালোচনা অবশ্ঠ-কর্তব্য যেহেতু তাহ। একান্ত অনুকরণীয় বিদ্যালাগর মহাশয় দরিদ্র ব্রাহ্মণের সন্তান হইয়া) কি গুণে, অন্রাট্‌-মুকুট-লাহ্থন কীর্তির অপূর্ব জ্যোঁ্ম্মান্‌ শিরন্ত্রাণ মস্তকে ধারণ করিতে সমর্থ হইয়াছিলেন তাহা বর্তমান কালে অনেকেই অবগত নহেন। বিদ্যাসাগর মহাশয়ের জীবনী-সমালোচনায় তাহা উদ্ঘাটিত হইবে। সেই.

বিদ্যাসাগর |

হেতু জীবনী বোধ হয় বর্তমান ভবিষ্যৎ লোক-সমুহের কথঞ্ি উপকারক উপাদেয় হইতে পারিবে।

যে গুণসংঘাত জন্ত লোকের জীবনী লেখা! আবশ্তক হয়, বিদ্যাসাগর মহাশয়ের সে অনেক ছিল। যে গুণ থাকিলে, মানুষ মানুষকে ভাল বাসিতে চাহে; এবং যে গুণ থাকিলে, মানুষ বাহ জগৎ ভুলিয়া, সেই গুণবানেরই সম্পূর্ণ সত্তায় হৃদয় পূর্ণ করিয়া ফেলে, সে গুণও বিদ্যাসাগরের অনেক ছিল। যিনি এক উদ্ভাবনায় চিন্তা-রাজ্যের সহত্র পথ উন্মুক্ত করিয়া দেন, স্বাহার জীবনী লেখা আবশ্তক হয়। পাঠক, বিদ্যাসাগরের উদ্ভাবনা-শক্ভির পরিচয়ও পাইবেন। যিনি প্রতিভা-বলে গ্রক্কৃতির উচ্চ স্তরে দণ্ডায়মান হইয়া, ইঙ্গিতে উন্নতির সহত্র পথের যে কোন পথ দেখাইয়া থাকেন, আর নিন স্তরের লোকসমূহ তাহাকে ধরিবার জন্য স্তর বহিয়া উঠিতে চেষ্টা করে, তাহার জীবনীর প্রয়োজন আছে। বিদ্যাসাগর মহাশয়ের জীবনী পাঠে কথারু সার্থকতা সম্যকৃরূপে প্রতিপন্ন হইবে। প্রকুত প্রতিভাষব “চৌম্বক” আকর্ষণের অসীম শক্তি। মানুষ যেখানে যত দ্বরেই থাকুক, আকর্ষণ এড়াইবার যো নাই। যেখানে একূপ একটা “চুক্বক” থাকিবে, সেইখানে কোটি জীব আকৃষ্ট হইবে। .

“প্রতিভা” স্বর্ণের দেবতা প্রতিভা-পুজক সর্বস্ব দিয়। প্রতিভার পুজ করিষ্বা থাকেন। চিন্তাশীল এমার্সন্‌ বলিয়া- , ছেন/তুমি বল, ইংরেজ কাজের লোক, জর্দান সহৃদয়

বিদ্যাস!গর।

অতিথি-সেবক ; ভালেন্সিয়ার জলবায়ু অতি মনোরম," সক্রেমেন্টো পাহাড়ে প্রচুর মোণা পাওয়া যায়; 'করা ঠিক বটে; কিন্তু আমি স্ব সুখশালী, ধনী এবং অতিথিসেবক লোকদিগকে [দেখিতে বা নির্লজল-বাঘুর দেবন করিতে অথবা বহু ব্যয়ে ত্বর্ণ সংগ্রহ করিতে চাহি নাঁ। তবে প্রকৃত, জ্ঞানশালী শক্তিমান ব্যক্তিবর্গের আবাস-ভূমি দেখাইয়া দিতে পারে, এমন যদি কোন চুশ্বক-প্রস্তর প্রাপ্ত হই, তাহা হইলে সর্ধস্ব বিক্রয় করিয়া তাহ ক্রয় করি এবং অন্যই পথে বাহির হইয়। পড়ি।” | প্রকৃত শক্তিশালী এবং গ্ৌরবান্বিত প্রতিভা সম্পন্ন ব্যক্তি সর্বত্রই পূজনীয়। গাহারাই মানুষের আদর্শ তাহারাই প্রকৃতির সুক্ষ শক্তির পরিচায়ক বিশ্বত্রহ্মাণ্ডে তাহাদের শক্তি বিমর্সিত। তাহাদের সহবাসে মানুষ সন্ধষ্ট শক্তিসম্পন্ন হয়। ভাবে বাকার্ধ্যে মানুষ তাছাদেরই সঙ্গে থাকিতে চাহে। আমাদের সম্তান-সম্ততি বা! নগর-গ্রামের নামকরণ) উহাদেরই নামে হইয়া থাকে। ভাষায় তাহাদের নামের ভূরি ভুরি প্রুয়োগ পাইবে। তাহাদের প্রতিকৃতি বা গ্রস্থাদি রূপ কার্যাবলী, আমাদের ঘরে খবরে দেখিবে। আমাদের নৈতিক কার্যে তাহাদের প্রত্যেক কাধ্য স্বৃতিপথে জাগিয়! উঠে। তাহাদেরই অন্বেষণ, যুবার স্বপ্ন এবং ব্্ষাঁয়ানের জাগরণ-কার্ধ্য যত দূরেই থাকি না, তাহাদিগের কাঁধ্যকলাপ এবং সম্ভবপর হইলে, তাহাদিগ্নকে দেখিবার জন্ত মন স্বতই ব্যাকুল হইয়া উঠে।,

বিদ্যামাগর |

এইব্নপ প্রতিভাশালী ব্যক্তিরই জীবনী প্রয়োজনীয় এই জন্তই এমার্সন্‌ বলিয়াছেন ;_.

1]1)9 86103 01 11000908618 616 762] ৪9106 1089 1)10018)))য 18 আঃ26918 10. 001: 10091.)

প্রতিভাই মানবের প্রকৃত পদার্থ। প্রতিভাশালীর জীবনই ইতিহাসে লিখিত হইয়া থাকে।

বিদ্যাসাগর মহাশয়ের জীবনে এমন প্রতিভারও বহু পরিচয়ই পাইবেন এক একটা প্রতিভাশালী ব্যক্তি যেমন এক একটী বিভাগ অধিকার করিয়া থাকেন, তেমনই বিদ্যাসাগর মহাশয় প্রকৃতির এক বিশাল বিভাগ লইয়! ব্যাপূত ছিলেন। মনোবৃত্তির উচ্চক্রিঘ্বানিবন্ধন প্রতিভাসম্পন্ন ব্যক্তি ধ্যানমাত্রেই কল্পনায় অন্তসাধারণের অলক্ষ্যে প্রকৃতির হৃশ্ম তত্ব হৃদয়ঙ্গম করিয়া লন। এই জন্যই প্লেটো, সেক্সপিয়র, হুইনবর্ণ, গেটে প্রভৃতির এত প্রতিষ্ঠা। এই জন্তই ইহাদের জীবনী এত প্রত্ধোজনীয়। বিদ্যাসাগরে শক্তিরও অভাব ছিল ন1।

মন্তি্ষ হৃদঘ্বের কাধ্য-ফল অব্যর্থ। জ্ঞান ভাবের শক্তি চিরস্তন-গ্রব-হুখদায়িনী। শক্তির তেজ পরীক্ষা করিতে হইলে, শক্তিশালী পুরুষের জীবনী পড়িতে হয়। বিদ্যাসাগর মহশিয়ের বছ কার্যেও শক্তির প্রমাণ আছে। বিখ্যাত- ইতিহাসবেভ্তা স্তর ওয়ালটর র্যালের সম্বন্ধে ইংলগ্ডেশ্বরী এলিজা- বেখের সচিব দিসিল বলিয়াছিলেন,-

“] [00 119 0270 011 161111017+

১০ বিদ্যাসাগর |

ওয়ালটর ভয়ানক পরিশ্রম করিতে পারেন। কথা শুনিলে যেন বৈছ্যতিক প্রভাবে সর্ধাঙ্গ আলোড়িত হইয়। উঠে। পাঠক! বিদ্যাসাগর মহাশয়ের জীবনী পাঠ করিলে বুঝিতে পারিবেন, সিসিঙগের কথা বিদ্যাসাগর মহাশয়েও খাটেকি না। বিখ্যাত বিলাতী ইতিহাস-লেখক র্লারেন্ডন্‌ হামডেন্‌ সম্বন্ধে বলিয়াছেন;

“৬1,0 ৯৪ 0120 1000861য 80৫ 16118008 150 60 108 0154. ০০৮ ০: -ত951190. 07 09 280৪6 12)081008.) &00 06 18168 206 %0 109 ঠ00])0860 ০2. যা 6৪ 10008 ৪80019 &0৭ 87810, 804 0£& 19978078] ০০০৪£৪ 60991 $0 1013 098 70205,” |

হামডেন্‌ অকাতরে পরিশ্রম করিতেন; তাহার সংপ্রবুদ্ধা তীক্ষদর্শিতা বিলক্ষণই ছিল।. তিনি অতি পরিশ্রমেও কাতর ক্লান্ত হইতেন না। চতুর তীক্ষবুদ্ধি লোকেও তাহাকে বিট- লিত করিতে পারিতেন না। তাহার বুদ্ধিমত্তা উদ্যমশীলতা সমান ছিল।

ইংলণ্ডের প্রথম চার্ণসের ভক্ত অনুচর ফকল্যাণ্ড সম্বন্ধেও ক্লারেন্ডন্‌ বলিয়াছেন 7

'81)0 ৪5 ৪0 5899 80. 9৫0০8 ০0 ৮1000) ৪৮ [9 020. &৪ 52811. 1১956 6190 10175)8614 1987 60 8658),

25৪ (0 0$856101)19?

ফকল্যাণ্ড এমনই হুদুঢ় সত্যপরায়ণ ছিলেন যে, চুরি করা

বিদ্যামাগর। ১১

তাহার পক্ষে যেমন অসম্ভব, আত্মগোপন করাও তদ্রপ অসম্ভব। , চীন দার্শনিক লু মন্বন্ধে চীন দার্শনিক মেনসয়াস্‌ বলিঘ্া- লন

“লুর র্যবহাঁরের কথা! গুনিলে অতি নির্বোধেরও বোধের সঞ্চার হয় এবং অস্থির চিন্তেরও একাগ্রত্ত। উপস্থিত হয়।”

বিদ্যাসাগর-জীবনে একাধারে এই হামডেন্, ফকল্যাও এবং লুর চরিত্র সমাবেশিত। বিদ্যাসাগর মহাশয়ের জীবনী হইতেই এই সকলেরই শিক্ষা হয। ইহাও জীবনীর নৈতিক সার। এই জন্যই কার্লাইল্‌ বলিছাছেন ;--

“০৮ ০8] 20 0০ 00221001) 810980 06 7090) 00 11) ৪]] 81৮ ৮০০--৮71110)) 18 0] ৪110010 08 00200620078690 ৪0০] 000086৮90. 98881806 ৮190 17087, 810684 8100. 800৭7 -1310079])7 15 8117108% (1১9 0109 1101706 2099010].?

এই জন্যই বিদ্যাসাগরের জীবনী প্রয়োজনীয় আধুনিক জীবনী-লিধন-প্রথাই বিদেশী অনুকরণ। বিদেশীয় শক্তিশালী বড়লোকমাত্রেই বিদ্যাসাগরের শ্রীতিপাত্র ছিলেন; অতএব বিদেশীয় শক্তিশালী ব্যক্তিদ্িগের সহিত তাঁহার তুলনা অযৌ- নয়। কোন্ন না কোন বিদেশীয় শক্তিসম্পন্ন ব্যক্তির কোন না! কোন গুণ তাহাতে পরিলক্ষিত হইত।

“বিদ্যাসাগর-্চরিত” নামে, বিদ্যাসাগর মহাশয়ের ম্বরচিত অসম্পূর্ণ জীবনী তদীয় পুত্র শ্রীযুক্ত নারঞ্জণচত্ত্র বন্দোপাধ্যায়

১২ বিদ্যানাগর |

কর্তৃক প্রকাশিত হইয়াছে। কলিকাতা সংস্কৃত কলেজে প্রবেশ করিবার পূর্ববর্জী ঘটনাগুলি লইয়াই ইহা রচিত। নারায়ণ বাবু লিখিয়াছেন,_“ঘদ্ধি তিনি তাহার ছাত্র-জীবনের ইতিহাস নিজে লিখিয়া৷ যাইতে পারিতেন, তাহা। হইলেও তাহার জীঙ্গ- চরিত অম্পূর্ণ করা সহজ হইত।» নিজের জীবনী নিজে লিখিলে জীবন-বিবরণ ঘে সম্পূর্ণ হয়, তাহাতে. আর সনেহ কি? এতদ্বযতীত জীবনীর বিষয়ীভূত ব্যক্তির ভাষা, মনোবৃত্তি, ধর্প্রবৃত্তি, রীতি, নীতি প্রভৃতির অনেক আভাম পাইবার হুবিধা হযোগ হয়। জনমনের জীবনী লিখিতে বলিয়া জীবনী-লেখক বসওযেল্‌ বলিয়াছেন ;--

£1750 1015 0108010 72690 1718 0) 1109 870 00- 19700167111 ৮১৩ 01010100 10101. 119 1958 £1%670) 0108 9 008,078 1169 1079 09 10:8৮ 7166 05 1017008616) ৪০ 176 60101056030 109 2:6867ঘ815000 01118 ০৮৮0 18007) 005৮ 01581095501 08078095৯0৫ 81925180 ০৫106556610, 110 109 1088 67000910860 ৪0 17191 €10017)92% [১8780109) 11)9 010 ০] [1০2] 08৬০ 9 2008৮ 10605066380] 01 2০৪79017১৪6 96 66] 61707101669,

ডাক্তার জন্মন্‌ বলিতেন,। “নিজের জীবনবৃত্তান্ত মানুহ নিজেই :উদ্বম লিখিতে পারেন” . তিনি যে বিশদ বর্ণনায় এবং ন্বন্দর রচনায়, বছুসংধ্যক কীর্তিকুশল ব্যক্তির বিষয় লিপিবদ্ধ

বিদ্যামাগর ১৩

করিয়া তাহাদিগকে সত্ীবিত করিয়াছেন, ভাহাতেই তিনি যদি ন্গয়ং নিজের ইতিহাস লিখিতেন, তাহা! হইলে জগৎ তাহার নিকটে সর্বাবন্পবসম্পন্ন জীবনীর ৮৬৪ টান লাভ করিতে পারিত।

কথাট! ঠিক বটে; কিন্ত আত্মকথার হুক সমালোচনা হওয়া ছুদ্ধর। সে ভার বাহিরের লৌককে লইতে হয়। আত্মদোষ উদঘাটনে সাহস কয় জনের হইয়া থাকে? রুসোর “কনফেশন্‌* অর্থাৎ ত্রুটি শ্বীকার, ছুরস্ত দুঃমাহসিকতার কাজ। ভলটেয়ার ঠিকই বলিয়াছেন )-.

[10768918110 20010) 00 1185 1000 5010500100% 1:86৩- 10] 10 10100--000 20080 ভা1)0 0098 00 800288 0 1৩ 110 78280 10 17301, 0৮ 0629 &£৪ টি আট) 0100686]য $91] 9৪ ০ম 8৪ 0080889 0091৮ মা). ০৩৪৪৮,

মানুষের এমন দোষ ক্রটি থাকিতে পারে ঘে, তাহ বন্ধুর নিকটও প্রকাশ করিতে দ্বিধা হয়। বিখ্যাত ফরাসী গ্রন্থকার শ্টামর্ষে। বলিয়াছেন ;--

“16 896208 60 776 100)0831016) 20. ৮" 8০09] 80৩ 01 80016%5, 10: &এ 1080 60 51016 1018 86০7৪৮0069৮) 019 0365118 011718 01019৫69788. 1000. 10 101008911 900 9১০০ 81) 815 স্ব 68151058898 8100 1313 ৮1098) 60 ৪9], 018 098 11000

জন্‌ ষুয়ার্ট মিলের আত্মদীবনীতে সকল সন্দেহ দূর হয় না।

২.

১৪ বিদ্যামাগর।

স্কট, মুর এবং সাউদে আত্মজীবনী লিখিতে আরত করিয়া" ছিলেন; কিন্ত নানাবিধ সঙ্কোচ উপস্থিত হওয়ায়, তাহারা তাহা পরিভ্যাগ করেন। ভবে বিদ্যাসাগর মহাশয় যেরূপ সত্যপরায়ণ ছিলেন, তাহাতে তিনি) জর্ধস্থলে না হউক, অধিকাংশ স্থলেই ষে অনেক সত্য-প্রকাশে অকুঠিত হইতেন, তাহাতে সন্দেহ নাই।

প্রথম অধ্যায়।

জদ্ধস্থান, পূর্বব-বংশ, পিভৃ-পরিচয়, মাতৃ-পরিচয়, পিতামহ- মাহাত্্য, মাড়-ব্যাধি গর্ভ-লক্ষণে জ্যোতিষী

মেদিনীপুর জেলার অন্তবস্তা বীরসিংহ গ্রাম বিদ্যাসাগর মহাশয়ের জন্মস্থান। পূর্বে ইহা হুগলী জেলার অন্তর্ভূত ছিল। বন্গেশ্বর স্তর জর কাস্বেলের সঙ্গয় মেদিনীপুরের অন্তর্ভৃত হইয়াছে। তাহার পিতার নাম 'ঠান্ুরদাস বন্দ্যোপাধ্যায়। বীরসিৎহ গ্রাম কলিকাতা হইতে ২৬ ছাব্বিশ ক্রোশ দূরবস্তাঁ। কলিকাতা হইতে জলপথে বীরসিংহ গ্রামে যাইতে হইলে গল্গা, কপনারায়ণ নদী প্রভৃতি বহিষ্বা গিয়া খ্বাটালে উপস্থিড হইতে হয়। ঘাটাল হইতে বীরসিংহ ২০ আড়াই ক্রোশ। * বীরসিংহ গ্রাষ বিদ্যাসাগর মহাশয়ের জন্মস্থান বটে; কিন্ত ভ্াহার পিতৃ-পিতামহ বা তৎপুর্ব পুরুষদিগের জন্মস্থান নহে। তাহাদের জন্মন্থান হুগলী জেলার অন্তর্গত বনমালিপুর গ্রাম। এই গ্রাম তারকেশ্বরের পশ্চিমে জাহানাবাদ মহকুমার পুর্ব, চারি ক্রোশ দূরে অবস্থিত। এখন ইহাদের কিঞ্চিৎ পরিচয়, দেওয়া আবস্তক। ইহাদের অবস্থা-তুলনায় বিদ্যাসাগর মহা. * আজ কাল হোরমিলার কোম্পানীর ক্পমারে চড়িয়া ঘাটাল যাইবার, হৃবিধ। হইয়াছে। স্টামারের সুযোগে এখন এক দিনে বীরনিংহ গ্রাঙ্ে! ঘাওয়া যার। যখন ্রীমার চলিত না, তখন নোঁকা করিয়! যাইতে 81৫

চারি পাচ দিন লাগিত। স্থলপথে যাইতে হইলে গঙ্গার পরপারে শালিখার বাধ। রাস্ত। দিলা যাইতে হরী। ছুই দিলে পৌঁছান যায়।

১৬ বিদ্যামাগর |

শয়ের জীবনীর ওরুত্ব সবিশেষরূপে উপলব্ধি হইবে। এত সম্বন্ধে বিদ্যাসাগর মহাশয় স্বয়ং যাহা লিখিয়াছেন, তাহাই উদ্ধৃত হইল; কেন না, তাহাই সর্জাপেক্ষা প্রমাণ

“প্রপিতামহ-দেব ভুবনেশ্বর বিদ্যালস্কারের পাঁচ সন্তান জ্যেষ্ঠ নৃদিংহরাম, মধ্যম গল্গাধর, তৃতীয় রামজয়, চতুর্থ পঞ্চানন, পঞ্চম রামচরণ। তৃতীয় বামজয় তর্কভূষণ আমার পিতামহ খিদ্যালস্কার মহাশয়ের দ্েইাত্যয্বের পর, জ্যেষ্ঠ মধ্যম,

ংসারে কর্তৃত্ব করিতে লাগিলেন। জামান্ত বিষয় উপলক্ষে, তাহাদের সহিত রামজয় তর্কভূষণের কথাস্তর উপস্থিত হইয়া, ক্রমে বিলক্ষণ মনাস্তর টিয়া উঠিল। * ** তিনি কাহাকেও কিছু না৷ বলিয়া, এক কালে, দেশত্যাগী হইলেন।

পবীরমিৎহগ্রামে উমাপন্তি তর্কসিদ্ধাস্ত নামে এক অতি

প্রসিদ্ধ পতিত ছিলেন। ***রাম্জয় তর্কভূষণ এই উমাপতি তর্কমিদ্ধান্তের তৃতীয়া কন্তা ছুর্গা দেবী পাণিগ্রহণ করৈন। ছূর্গা দেবীর গর্ভে তর্কভূষণ মহাশয়ের ছুই পুত্র চারি কন্তা জন্মে জ্যেষ্ঠ ঠাকুরদাস, কনিষ্ঠ কালিদাস) ভ্যেষ্ঠা মঙ্্লা, মধ্যমা কমলা, তৃতীয়া গোবিন্দমণি, চতুর্ধী অনপূর্ণা। ভ্যেষ্ট ঠাকুরদা _ বন্দ্যোপাধ্যায় আমার জনক।

“রামজদ্ব তর্বভূধণ দেশত্যাণী হইলেন) দরদ দেবী, পুত্র- কন্তা লইয়া, বনমালিপুরের বাটীতে অবস্থিতি করিতে লাগি- লেন। অঙ্প দিনের ঘধ্যেই ছুর্মী। দেবীর লাগুনাভোগ তদীয় পুত্রকন্তাঁদের উপর কর্তৃপক্ষের ধ্মযত্ব জনাদর, এত দূর পধ্যস্ত

পিতৃ-পরিচয়। ১৭

ছইয়া উঠল যে, হুর্ণা দেবীকে, পুত্রদ্বয় কন্ঠাচতুষ্টর লইয়া, পিত্রালয়ে যাইতে হইল। * * * কতিপয় দিবস অতি সমাদরে অতিবাহিত হইল। হুর্গার্দেবীর পিতা, তর্কপিদ্ধান্ত মহাশয়, অতিশত্ব বৃদ্ধ হইয়াছিলেন; এজন্য সংসারের কর্তৃত্ব তদীয়

পুত্র রামন্ুন্দর বিদ্যাতুষণের হস্তে ছিল। রি রং রং রং

“কিছু দিনের মধ্যেই, পুত্রকন্ত। লইয়া, পিত্রালযে কালযাপন বরা ছুর্থা দেবীর পক্ষে বিলক্ষণ অহ্খের কারণ হইয়া উঠিল তিনি ত্বরায় বুঝিতে পারিলেন, তাহার ভাতা ত্রাতৃভাধ্য! তাহার উপর অতিশয় বিরূপ। * * অবশেষে হুর্ণী দেবীকে, পুত্রকন্ত। লইয়া, পিত্রালয় হইতে বহির্গত হইতে হইল। তর্কসিন্ধান্ত মহাশষ সাতিশত্ব ক্ষুদ্ধ দুঃখিত হইলেন এবৎ নীষ বাটার অনতিদুরে, এক কুটার নির্মিত করিয়া দিলেন ুর্গা দ্বেবী, পুত্রকন্তা লইয়া, দেই কুটারে অবস্থিতি অতি কষ্টে দিনপাত করিতে লানিলেন।

" সময়ে, টেকুয়া চরকায় হৃত কাটিয়া, সেই সুতা বেচিদ্বা, অনেক নিঃসহায় নিরুপায় ভ্ত্রীলোক আপনাদের গুলরান করিতেন। হুর্ণা দেবী মেই বৃত্তি অবলম্বন করিলেন। * * তাদৃশ স্বত্প আয় দ্বার। নিজের, ছুই পুত্রের চারি কন্যার ভরণপৌষ্ণ জম্পন্ন হওয়া সম্ভব নহে। কাহার পিতা) মমধে সময়ে, যথাসম্ভব সাহায্য করিতেন; তথাপি তীহাদের আহা" রা সর্কবিষয়ে,.ক্লেশের পরিমীমা ছিল না। এই সময়ে,

১৮ বিদ্যামাগর।

জো পুত্র ঠাক্ুরদাসের বয়ওক্রম ১৪:১৫ বখ্সর। তিমি মান দেবীর অনুমতি লইয়া, উপার্জনের চেষ্টায়, কলিকাতা প্রস্থান করিলেন

“সভারাম বাচস্পতি নামে আমাদের এক সন্নিহিত জ্ঞাতি কলিব্গতায় বাস করিয়াছিলেন। ত্তাহার পুত্র জগন্মোহ স্ায়ালঙ্কার, স্প্রসিদ্ধ চতুর স্তায়রত্বের নিকট ঘধ্যয়ন করেন। হায়ালঙ্কার মহাশয়, হ্যায়রত্ব মহাশয়ের প্রিয় শিষ্য ছিলেন) তাহার অহুগ্রহে সহাঘ্রতাঘব। কলিকাতায় বিলক্ষণ প্রতিপন্ন হয়েন। ঠাকুরদাস, এই সন্নিহিত জ্ঞাতির আবাদে উপস্থিত হইয়া, আত্মপরিচয় দিলেন এবং কি জন্ভে আসিয়াছেন,. অশ্রু- পূর্ণ লোচনে তাহ! ব্যজ করিয়া, আশ্রয় প্রার্থনা করিলেন। সায়ালস্কার মহাশয়ের সমর ভাগ, অকাতরে অন্নব্যয় করিতেন; এমন শ্থলে, হূর্দশাপন্ন আঘন্ন জ্ঞাতিসন্তানকে অন্্ দেওয়া ছুরহ ব্যাপার নহে তিনি, সাতিশয়ু দয়া সবিশেষ দৌজগ্ প্রদর্শনপূর্ঘক, ঠাকুরদামকে আশ্রয় প্রদান করিলেন।

ঠাকুরদা, প্রথমতঃ বনমালিপুরে তৎপরে বীরমিংহে, সংক্ষিগ্তপার ব্যাকরণ পড়িচা্িলেন। এক্ষণে তিনি, স্ায়ালক্কার মহাশয়ের চতুগ্পাঠীতে, রীতিমত্ত মংস্কত বিদ্যার অনুশীলন করিবেন, প্রথমতঃ এই ব্যবস্থা! স্থির হইয়াছিল এবং তিনিও

তাদৃশ অধ্যমন বিষয়ে, সবিশেষ অন্ুরন্ধ ছিলেন। কিন্তু, যে উদ্দেশে, তিনি কলিকাতায় আসিয়াছিলেন, সংস্কৃতপাঠে নিযুক্ত হইলে, তাহা সম্পন্ন হয় নাঁ। তিনি, মংস্থৃত পড়িবার জন্য,

পিতৃ-পরিগয় | ১৯

দবিশৈষ ব্যগ্র ছিলেন, যথার্থ বটে; এবৎ সর্বদাই মনে মনে প্রতিজ্ঞ! করিতেন, যত কষ্ট, যত অন্বিধা হউক না কেন, সংস্কতপাঠে প্রাণপণে ফত্ব করিব। কিন্তু, জননীকে ভাই তণিনীগুলিকে কি অবস্থায় রাখিয়া আসিয়াছেন, যখন তাহ! মনে হইত, তখন পে ব্যগ্রতা সে প্রতিজ্ঞা, তরী অন্তঃকরণ হইতে, একবারে অপসারিত হইত। যাহা হউক, অনেক বিবেচনার পর, অবশেষে ইহাই অবধারিত হইল, যাহাতে তিনি শীঘ্র উপার্জনক্ষম হন, দেবূপ পড়া-শুন1 করাই কর্তব্য। এই সময়ে, মোটামুটি ইঙ্গরেজী জানিলে, সওদাগর সাহেব- দিগের হৌসে, অনায়াসে কর্ম হইত। এজন্য, সংস্কৃত না পড়িয়, ইঙ্গরেজী পড়াই, তাহার পক্ষে, পরামর্শাসদ্ধ স্থির হইল। কিন্তু, সে সময়ে, ইন্গরেজী পড়া সহজ ব্যাপার ছিল না। তখন, এখনকার মত, প্রতি পরীতে ইঙ্গরেজী বিদ্যালমু ছিল না। তাদৃশ বিদ্যালয় থাকিলেও, তাহার স্তায় নিরুপায় ঘীন বালকের তথাত্ অধ্যয়নের হুবিধা ঘটত না। ভ্তায়ালগ্কার মহাশয়ের পরিচিত এক ব্যক্তি কার্ধ্যোপঘোগী ইঙ্গরেজী জানিতেন।. ঠাহার অনুরোধে, ব্যক্তি ঠাকুরদানকে ইঙ্গরেজী পড়াইতে সম্মত হইপেন। তিনি বিষয়ক করিতেন; হৃতরাৎ, দিবাভাগে, তীহার্ী পড়াইবার অবকাশ ছিল না। এজন, তিনি ঠাজুরদামকে, সবার অময় তাহার নিকটে যাইতে বলিয়া দ্রিলেন। তদনুনারে, ঠাকুরদাস, প্রত্যহ সন্ধ্যার পর) তাহার নিকটে গিপা ইঙ্গরেজী পড়িতে আরম্ভ করিলেন।

২৪ বিদ্যামাগর।

্নায়ালক্ষার মহাণয়ের বাটীতে, সন্ধ্যার পরেই, উপরি লোকের আহারের কাণ্ড শেষ হইয়া যাইত। ঠাকুরদাস, ইন্গরেজী পড়ার অনুরোধে, সে সময়ে উপস্থিত থাকিতে পারিতেন না; যখন আমিতেন, তখন আর আহার পাইবার সম্ভাবনা! থাকিত ন।) স্কৃতরাং, তাহাকে রাত্রিতে অনাহারে থাকিতে হুইত। এইব্ূপে নক্তন্তন আহারে বঞ্চিত হইয়া, তিনি, দিন দিন, শীর্ণ দুর্বল হইতে লাগিলেন। এক দ্দিন তাহার শিক্ষক জিজ্ঞাসা করিলেন, তুমি এমন শীর্ণ হুর্কাল হইতেছ, কেন। তিনি, কি কারণে তাহার সেন্ধপ অবস্থা ঘটিতেছে, অশ্রুপূর্ণ নয়নে তাহার পরিচয় দিলেন। সময়ে দেই স্থানে শিক্ষকের আত্মীয় শৃদ্র জাতীয় এক দয়ালু ব্যক্তি উপস্থিত ছিলেন। সবিশেষ সমস্ত অবগত হইয়া, তিনি অতিশয় দুঃখিত হইলেন এবং ঠাকুরদাগপকে বলিলেন, যেপ্ধপ শুনিলাম, তাহাতে আর তোমার ওক্প স্থানে থাকা কোনও মতে চলিতেছে না। যদি তুমি রীঁধিয্বা খাইতে পার, তাহ। হইলে, আমি তোমায় আমার বাপাদ্র রাখিতে পারি। এই সয় প্রস্তাব শুনিয়া, ঠাকুরদাস, যার পর নাই, আহ্লাদিত হইলেন এবং পর দ্বিন অবধি, তাহার. বাসায় গিয়া অবস্থিতি করিতে লাণিলেন।

“এই সদাশয় দয়ালু মহাশয়ের দয়া সৌজন্ঠ যেরূপ ছিল, আদব সেরূপ ছিল না। তিনি, দালালি করিয়া, সামান্রূপ উপার্জন করিতেন। যাহা হুষ্টক, এই ব্যঞ্জির আশ্রয়ে আসিয়া,

পিহৃ-পরিচয়। ২১

ঠাকুরদাসের নিধিদ্বে, ছুই বেলা আহার ইঙ্গরেজী পড়া চলিতে লাগিল। কিছু দিন পরে, ঠাকুরদাসের দুর্ভাগ্যক্রমে তদদীয় আশ্রপ্নদাতার আষু বিলক্ষণ খর্ব হইয়া গেল; সুতরাং, তাহার নিজের তাহার আশ্রিত ঠাকুরদাসের অতিশয় কষ্ট উপস্থিত হইল। তিনি, প্রতিদিন, প্রাতঃকালে, বহির্গত হইতেন এবং কিছু হস্তগ্রত হইলে, কোনও দিন দেড় প্রহরের, কৌনও দিন ছুই প্রশ্বরের, কোনও দিন আড়াই প্রহরের সময়, বাসায় আমিতেন ; যাহ! আনিতেন, তাহ! দ্বারা, কোনও দিন বা কষ্টে, কোনও দিন বা সচ্ছন্দে, নিজের ঠাকুরদাসের আহার সম্পন্ন হইত। কোনও কোনও দিন, তিনি দ্িবাভাগে বাসায় আমিতেন না। সেই জেই দিন, ঠাকুরদাসকে, সমস্ত দিন, উপবামী থাকিতে হইত

“ঠাকুরদামের সামান্তরূপ এক খানি পিতলের থালা একটি ছোট ঘটা ছিল। থালাখানিতে ভাত ঘটাটিতে জল থাইতেন। তিনি বিবেচনা করিলেন, এক পয়সার সালপাত কিনিয়! রাখিলে, ১০। ১২ দিন ভাত খাওয়1 চলিবেক , সুতরাং

না থাকিলে,কাজ আট্কাইবেক না) অতএব, থালাখানি বেচিয়া ফেলি? বেচিয়া যাহা পাইব, তাহ! আপনার হাতে রাখিব। যে দিন, দিনের বেলায় আহারের*যোগাড় না হইবেক, এক পয়সার কিছু কিনিয়া খাইব। এই স্থির করিয়া, তিনি মেই থালাখানি, নূতন বাজারে, কাপারিদের দোকানে বেচিতে গেলেন। কীসারির। বলিল, আমরা অজানিত লোকের নিকট

২২ বিদ্যানীগর |

হইতে পুরাণ বাসন কিনিতে পারিব না। পুরাণ বাসন কিনিয়ী কখনও কখনও, বড় ফেসাতে পড়িতে হয়। অতএব আমরা তোমার থালা লইব না। এইরূপে কোনও দৌকানদারই সেই থালা কিনিতে সম্মত হইল না। ঠাকুরদা, বড় আশা করিয়া, থালা বেচিতে গিয়াছিলেন ); এক্ষণে, সে আশা বিসর্জন দিয্া, বিষ মনে বাসায় ফিরিয়া আসিলেন।

". «এক দিন, মধ্যাহ সময়ে, ক্ুধায় অস্থির হইয়া, ঠাকুরদা বাস। হইতে বহির্গত হইলেন এবং অন্তমনস্ক হইয়া, ক্ষুধার যাতন। ভূলিবার অভিপ্রায়ে, পথে পথে ভ্রমণ করিতে লাগিলেন। কিয়ৎক্ষণ ভ্রমণ করিয়া, তিনি অভিপ্রায়্ের সম্পূর্ণ বিপরীত ফল পাইলেন। ক্ষুধার যাতনা ভুলিয়া যাওয়। দুরে থাকুক, বড়বাজার হইতে ঠনঠনিয়া পর্য্যন্ত গিয়া, এত ক্লান্ত ক্ষুধায় তৃষ্ণায় এন্ত অভিভূত হইলেন যে, আর তাহার চলিবার ক্ষমতা রহিল না। কিঞ্চিৎ পরেই, তিনি এক দোকানের সম্মুথে উপস্থিত দণ্ডায়মান হইলেন; দেখিলেন, এক মধ্যবয়স্ক বিধবা নারী দোকানে বন্িয়! মুড়ি মুড়কি বেচিতেছেন। ত্রাহাকে দাঁড়াইয়া থাকিতে দেখিয়া, & স্ত্রীলোক জিজ্ঞাসা করিলেন, বাপাঠাকুর, ঠাড়াইয়।৷ আছ কেন। ঠাকুরদাস, তৃষণার উল্লেখ করিয়া, পানার্থে জল প্রার্থন! করিলেন তিনি, সাদর সন্গেহ- বাক্যে, ঠাকুরদাসকে বসিতে বলিলেন এবং ব্রাহ্মণের ছেলেকে সুধু জল দেওয়া অবিধেষ্ব, এই বিবেচনা করিয়া, কিছু মুড়কি ওজল দিলেন। ঠাকুরদাস, যেরূপ ব্যগ্র হইয়া, মুড়কিগলি

[বদ্যামাগরের জননী |

পিতৃ পরিচয়। [ইত

খাইলেন, তাহা! এক দৃষ্টিতে নিরীক্ষণ করিয়া, স্ত্রীলোক জিজ্ঞাসা করিলেন, বাপাঠাকুর আজ বুঝি তোমার খাওয়া হয় নাই। তিনি বলিলেন, না, মা আজ আমি, এখন পর্ধ্যস্ত, কিছুই খাই নাই। তখন, সেই স্ত্রীলোক ঠাকুরদাসকে বলিলেন, বাপাঠাকুর জল খাইওনা, একটু অপেক্ষা কর। এই বলিয়া নিকটবর্তী গোয়ালার দোকান হইতে, অত্বর দই কিনিয়। আনিলেন, এবং আরও মুড়কি দিয়া, ঠাকুরদাসূকে পেট ভরিয়া ফলার করাইলেন ; পরে, তাহার মুখে সবিশেষ সমস্ত অবগত হইয়া,জিদ করিয়া বলিয়া দিলেন, ষে দিন তোমার এরূপ স্বটিবেক, এখানে আসিয়া ফলার করিয়া যাইবে * ন€ ক্র সং

“যে যে দিন, দিবাভাগে আহারের যোগাড় না হইত, ঠাকুরদাস সেই সেই দিন, দয়াময়ীর আশ্বাসবাক্য অন্গুসারে তাহার দোকানে গিয়া, পেট ভরিয়া, ফলার করিস: আমিতেন। : সা সং

«কিছু দ্রিন পরে ঠাকুরদাস, আশ্রয়দাতার সহায়তায়, মামিক ইিই টাকা বেতনে, কোনও স্থানে নিযুক্ত হইলেন। এই কর্ম পাইয়া, তাহার আর আহ্লাদের সীমা রহিল না। পূর্কবৎ আশ্রয়পদাতার আশ্রয়ে-খাকিক়়া, আহারের ক্রেশ সহা করিয়াও, বেতনের ছুইটি টাকা ঘথানিয্মে, জননীর নিকট পাঠাইতে

* পিতা ঠাকুরদীদের মুখে এই উপাধ্যান শুনিয় স্ত্রীজাতির উপর

বিদ্যাসাগর মহাশয়ের প্রগাঢ় ভক্কি জন্মিয়াছিল। স্ত্রীজাতির প্রতি তিৰি চিরকাল তক্তিমান।

২৪ বিদ্যাসাগর

লাগিলেন। তিনি বিলক্ষণ বুদ্ধিমান যার পর নাই পরিশ্রমী ছিলেন, এবং কখনও কোন ওজর না করিয়! সকল কর্্মই হুন্দর- রূপে সম্পন্ন করিতেন; এন্কন্ত, ঠাকুরদাস যখন হাহার নিকট কর্ম করিতেন, তাহার! সকলেই তাহার উপর জাতিশয় সন্তুষ্ট হইতেন। |

«ছুই তিন বৎসরের পরেই, ঠাকুরদাস মাসিক পাঁচ টাকা বেতন পাইতে লাগিলেন। তখন ত্রাহার জননীর ভাই ভগ্গিনীগুলির অপেক্ষাকৃত অনেক অংশে কষ্ট দূর হইল। এই সময়ে, পিতামহদেবও দেশে প্রত্যাগমন করিলেন তিনি প্রধমতঃ বনমালিপুরে গিয়াছিলেন; তথায় স্ত্রী, পুত্র কন্ত দেখিতে না পাইয়া, বীরস্ধিহে আসিয়া পরিবারবর্গের সহিত মিলিত হইলেন। সাত আট বৎসরের পর, তাহার সম।গম- লাতে, সকলেই আহ্লাদমাগরে মগ্ন হইলেন। শ্বশুরালয়ে, বা শ্বশুরালয়ের সন্রিকটে, বাস কর] তিনি অবমাননা জ্বান করিতেন) এজন্ত কিছু দিন পরেই, পরিবার লইয়া, বনমালিপুছে সইতে উদ্যত হইয়াছিলেন। কিন্ত দুর্গা দেবীর মুখে ভ্রাতাদের আচরণের পরিচয় পাইয়া, সে উদ্যম হইতে বিরত হইলেন, এবং নিতাত্ত অনিচ্ছাপূর্মক বীরসিৎহে অবস্থিতি বিষয়ে সম্মতি প্রদান করিশেন। এইরূপে, বীরপ্সিৎহগ্রাম আমাদের বাস হইয়াছিল।

“বীরসিংহে কতিপয় দিবম অতিবাহিত করিয়া, তর্বভূষণ মহাশয়, জ্যেষ্ঠ পুত্র ঠাকুরদাসকে দেখিবার জন্য, কলিকাতা

পিত-পরিচয়। ২৫

প্রস্থান করিলেন। ঠাকুরদাসের আশ্রমদাতার মুখে, উদীয় কই্সহিষ্ণতা প্রভৃতির প্রভৃত পরিচয় পাইস্জা, তিনি যথেষ্ট আনীর্মাদ সবিশেষ সন্তোষ প্রকাশ করিলেন। বড়বাজারের দয়েছাটায়, উত্তর-রাটীঘ কায্স্থ ভাগবতচরণ সিংহ নামে এক স্দতিপন্ন ব্যক্তি ছিলেন। এই ব্যঞ্রির সহিত তর্লভুবণ মহাশয়ের বিলক্ষণ পর্চিন্ন ছিল। সিংহ মহাশত অতিশন্ দয়াশীল ভদাশয় মনুষ্য ছিলেন, তর্কভূষণ মহাশদের মুধে তদীযম় দেশত্যাগ অবধি ষাবতীয় বৃত্তাস্ত অবগত হইস্পা, প্রস্তাব করিলেন, আপনি অতঃপর ঠাকুরদাসকে আমার বাদি রাখুন, আমি তাহার আহার প্রভৃতির তার লইতেছি; সে যখন স্বয়ং পাক করিয়া খাইছুত পারে, তখন আর তাহার কোনও অংশে অসুবিধা ঘটবেক না।

“এই প্রস্তাব শুনিয়া, তর্ক ভূষণ মহাশয়, সাতিশম্ব আহ্লাদিত লেন; এবং ঠাকুরদ্াসকে দিংহ মহাশয়ের আশ্রয়ে রাখিয়া, ্লসিংহে প্রতিগমন করিপ্রেন। এই অবধি, ঠাকুরদামের হারক্লেশের অবদান হইল। যথাসময়ে আবশ্যকমত, ছুই লা আহার পাইয়া, তিনি পুনর্জন্ম জ্ঞান করিলেন। এই ্টভৎটনা হ্বারা, তাহার ষে কেবল আহারের ক্লেশ দূর হইল, ্ি্প নহে? পিংহ মহাশয়ের সহায়তায়, মামিক আট টাকা স্র্তনে এক হানে নিযুক্ত হইলেন। ঠাহুরদধাদের আট টাক] ত্ঘানা হইয়াছে, এই সংবাদ শুনিষ্ী, তদীক়্ জননী দূর্গ ধীর আহলাদের মীমা রহিল না।

২৬ বিদা'নাগর

«এই সময়ে ঠাহুরদাসের বজ্তংক্রম তেইশ চব্িশ বৎসর হইয়াছিল।* অতঃপর তাঁহার বিবাহ দেওয়া আবস্াব্জ বিবেচনা! করিয়া, তর্কভুষণ মহাশয় গোষাট-নিবাসী রামকান্ত তর্কবাণীশের দ্বিতীদ্ব কন্তা ভগবতী দেবীর সহিত, তাহার বিবাহ দিলেন। এই ভগবতী দেবীর গর্ভে আমি জন্মগ্রহণ করিয়াছি ভগব্তী দেবী, শৈশবকালে মাতুলালয়ে প্রতি- পালিত হইয়াছিলেন।” রর

রামকান্ত তর্কবাণীশ শব-সাধলীয় সিদ্ধ হইতে গিয়া উদ্মাদ- গ্রস্ত হইয়া যান। এই জন্য পাতুলগ্রাম-নিবাসী তদীয় শ্বশুর পঞ্চানন বিদ্যাবাণীশ মহাশঘ তাহাকে সম্্ীক নিজ ভঙ্গনে আনিঘ়া রাখেন। বহুনিধ ভিকিৎসাতে তর্কবাণীশ মহাশয় আরোগা লাভ করেন নাই। মু্যুকাল পর্ধাস্ত তিনি উন্মাদএস্ট ভিলেন। বিদ্যাসাগর মহাশয়ের জননী ভগবতী দেবী সেই ভন্য মাতুলালম়েই প্রতিপালিত হন। তর্কবাণীশ মহাশয়ের হই কন্তা। ভগব্তী দেবী কনি্ঠা!। ভগবতী দেবীর জলনীর নাম গঙ্গ| দেবী ইনি পঞ্চানন বিদ্যাবাগীশ মহাশয়ের জ্যেষ্ঠা কন্যা। বিদ্যাবারীশ মহাশয়ের চারি পুত্র আর একটা কন্যা ছিল।

বিদ্যাসাগরু মহাশয়ের তেজস্থিতা, স্বাধীনতা-প্রিয়তা, সতা-

সগাশাপশাটিপাপিপিপিতা পপ পপি পাপ শপ পপ পপ

শত পল পাপা

শুনিয়াছি, এই নময়ে ঠাকুরদামের কনিষ্ঠ কালিদাস কলিকাতায় আনিয়া ইংরেজী শিক্ষা লাভ করেন। কনিষ্ঠ ভ্রাতা ক্]র্যাক্ষম হইলে, আাহাকে নিজ কার্ধো হাখিয়! ঠাকুরদান প্রথমে রেশম তখগরে বালনের বাবসার করেন কনিষ্ঠ দাও] কাদা হুন্দর্ধপে না| চলায়, তিনি আবার ইচ্ছা পূর্বক নত স্বকর্টে- নিযুক্ত হন।

পিতাঁমহ-মাহাত্র্য। ২৭

ধর্দিতা সরলতা চির-প্রসিদ্ধ। তিনি এই সব গুণ পিতা পিতামহের নিকট হইতে প্রাপ্ত হঙ্ঈয়াছেন বলিয়াই মনে হয়। পিতামহ রামজয় তর্কভূষঘণ অসীম তেজন্বী পুরুষ ছিলেন। তিনি কাহারও মুখাপেক্ষ। করিতেন না এবং পর-শী-কাতর ব্যক্তিবর্গে় জভঙ্গীতে ভীত হইতৈন না। তিনি এইক্প স্থাধীন-প্রকতি লোক ছিলেন বলিয়া, তাহার শ্যালক তংপক্ষীয় লোক তাহার বিপক্ষ ছিলেন। ভাহার মতে “দেশে মানুষ ছিল না, মবই গ্রক্ু।” তিনি ফেমন সংসাহমী, তেমনই নিরহস্কার সত্যবাদী ছিলেন। ভট্রাচার্ধ্য ব্রাহ্মণের একটু শ্লেষাত্বক রসিকতার পরিচয় লউন। এক দিন তিনি গ্রামের পথ দিয়া যাইতেছিলেন। এক জন বলিল,--"ও পথ দিয়া ঘাইবেন না; বড় বিষ্টা।” ত্রাঙ্গণ উন্তর করিলেন,__“বিষ্টা কৈ? সবই তো গোবর, দেশে মানুষ কৈ, সবই. তো গ্রকু।” কথিত আছে, তিনি যখন গৃহ ত্যাগ করিয়া ভীর্ঘপর্ধযটটন করেন, তখন এক দিন রাত্রিকালে স্বপ্র দেখেন,“তোমার পরিবার তোমার জন্মস্থান বনমালিপুর পরিত্যাগ করিয়া! বীরসিৎহ গ্রামে বাস করিতেছে। তাহাদের এখন কষ্টের একশেষ |” ইহার পর তিনি বীরমিংহে প্রত্যা- গমন করিয়া পুনরায় পরিবারবর্গের তার গ্রহণ করেন।

বীরলিংহ গ্রামের ভূগগামী তাহাকে তাহার বাম্বতিটার ভূমিটুকু নিক্ধর ব্রন্গোন্তর করিয়া দিতে চাহেন এবং ্ঠাহার

আাত্বীয-স্বজনও তাহাকে তদ্গ্রহণার্থ অনুরোধ করেন। তেজশ্থী রাথ্জয়ের বিশ্বান্ ছিল যে, নিক্কর ভূমিতে বাস করিলে

২৮ বিদ্যাসাগর

ছুস্বামী তাহার পুণ্যাংশ গ্রহণ করিবেন এবং তাহার অহঙ্কার বাড়িবে। এই জন্ত তিনি নিদ্ধর ভূমি লইতে অন্মত হন নাই। বিদ্যাসাগর মহাশয় স্বরচিত চরিতে পিতামহ সম্বন্ধে এইরূপ লিখিয়াছেন,__

“তিনি কখন পরের উপাসন! বা আনুগত্য করিতে পারেন নাই। তাহার স্থির সিদ্ধান্ত ছিল, অঙ্কের উপাদনা বা আম্ু- গত্য অপেক্ষা প্রাণত্যাগ করা ভাল। তিনি একাহারী, নিরামিষাশী, সদাচারপুত নৈমিত্তিক কর্শে সবিশেষ অবহিত ছিলেন ।”

রাম্জয়্ের বিপুল হৃদয়প-বলের স্তায় শারীরিক বল ছিল। মনের বল থাকিলে, দেহের বল যেন আপনি আসিয়া পড়ে। দেহ-মনের এমনই নিত্য নিকট সম্বন্ধ * বিদ্যাসাগর মহাশয়ে ইহা আমর! প্রত্যক্ষ করিয়াছি; পিতামহ রামজয়ের কথা শুনিয়াছি। রামজয় সর্বদাই লৌহদণ্ড হস্তে নিতাঁক চিন্তে ভ্রমণ -করিতেন। এক সময় তিনি বীব্সিংহ হইতে মেদিনীপুর ষাইতেছিলেন, পথের মধ্যে এক ভন্লুক গ্ভাহাকে আক্রমণ করে। তিনি ভন্ুককে দ্েখিয়াই এক বৃক্ষের অন্তরালে দণ্ডীমমান হন। ভনুকও তাহাকে ধরিবার চেষ্টা করে। তন্ুক যেমন ছুইটা হস্ত প্রসারণ করিয়া ধরিতে যাইল, তিনি অমনই তাহার ছ্‌ইটা হাত ধরিয়া বৃক্ষে ঘর্ষণ করিতে লাগিলেন।

* লন্বন্ধে অবন্ঠ দার্শনিকদের ভিতর মততেদ আছে। মেমব কা লইয়! বিচার করিবার স্থান নয়।

মাতৃ-স্যাধি। ২৯

শখনই ভ্ুক মৃতপ্রাপ্ হইয়া পড়িল। রামজয় তাহাকে মৃতপ্রাদ দেখি! চলিয়া যাইবার উপক্রম করিলেন। ভলুক ক্ষিন্ত তাহার পশ্চাদূভাগে নখরাখাত করে। রামজয় তখন অনন্তোপায় হইয়া হস্তন্থিত লৌহদণ্ড-আঘাতে তাহার প্রাণ নাশ করেন। তাহাকে প্রায় মাসাধিক নখরাধাতের ক্ষতজনিত ক্লেশ ভোগ করিতে হইয়াছিল। মৃত্যুকাণ পর্যন্ত নখবাাতের চিহ্ত ছিল। ঠাকুরদা কাধ্যক্ষম হইলেই রামজষ় পুনরায় তীর্থ-ভ্রমণে বহির্গত হন। বিদ্যাদাগরের জন্মগ্রহণ করিবার পুর্বে তিন্দি আবার ফিরিয়া আসেন * রামজয় যখন বীরসিংহ গ্রামে প্রত্যাগমন ক্রেন, তখন তহার পুত্রবধূ ভগ্বব্তী দ্রেবী গর্ভবতী; কিন্তু উন্মাদগ্রস্থ। ভগবতী দেবী, ঈশ্বরচন্ত্রকে গর্ভে ধারণ করিয়া অবধি উন্মাদগ্রক্কা হন। ১০ দর্শ মাস কাল এই উন্মাদ.অবস্থাই ছিল বিচিত্র ব্যাপার! ১* দশ মাস কাল নান! চিকিৎসায় কোন্‌ লৌদ্রয়, হয নাই; কিন্তু ঈশ্বরচন্্রকে প্রসব করিবার পরই ভগবতী দেবী রোগমুক্তা হন। তিনি আর কখন এরূপ রোগে আক্রান্ত হন নাই। চিরকালই তিনি অটুট উৎসাহে দ্বীন-হীন কাঙালকে অন্ন-বস্ত্র বিতরণ করিতেন; স্বয়ৎ রম্বন এবং পরিবেশনাদি করিয়া দ্বিবা-নিশি অতিথি-অভ্যাগত জনকে

পপপিপপী পিপিপি টি পাপ পবা পপ

* কথিত আছে,_রামজয় কেদার পাহাড়ে ম্বপ্ন দেখেন যে, তাভার বংশে এক স্পুত্র জন্মগ্রহণ করিবেন | তাহার কীর্তি চিরস্থায়িনী হইবে।

সেই সুপুত্র এই বিদ্যাসাগর বিদ্যাসাগর মহাশয়ের স্বরচিত চরিতে ইহা উল্লেখ নাই।

৩০ বিদ্যাসাগর |

ভোজন করাইতেন। বিদ্যাসাগরের জননীর মত দয়াদাক্ষিণ/, বতী রমধী প্রায় দেখা যায় না। এই অন্নপূর্ণা স্বর্ণগর্ভা জননীর পরিচয় পাঠক পরে পাইবেন। এই করুণাময়ীরই করুণা-কণা পাইয়া, অতুল মাতৃভক্তিবলে বিদ্যাসাগর মহাশয় জগতে করুণাময় নাম রাখিয়া গিয়াছেন। ইংরেজি-শিক্ষিত মুবক! যদ্দি জজ হার্বটের সেই বাণীর সার্থকতা দেখিতে চাও, একমাত্র জননীই শত শিক্ষকের সমান; দেখিতে পাইবে, বিদ্যাসাগর মহাশয়ের জননী-জীবনেও-_

40009 (0০0. 09009]: $8 0:৮৮ ৪. 1000169 50100] 10 86718,৯

আজকাল অনেক জ্যোতিষ-ব্যবসায়ীর প্রতি লৌকে নানা কারণে বীতশ্রব্ধ হইয়া পড়িয়াছে; কিন্ত পূর্বে একূপ ছিল না। পুর্বে জ্যোতিষীদের গণনার ফল প্রায়ই মিথ্যা হইত না। বিদ্যাসাগর মহাশয্বের জন্মগ্রহণ করিবার পূর্বে, তদানীন্তন জ্যোতিষ ভবানন্দ ভট্টাচার্ধ্য মহাশয় গণনা করিয়া বলিয়া- ছিলেন্৮_“তগবতী দেবীর গর্ডে দয়ার অবতার জন্মগ্রহণ করিবেন। ইনি জন্মগ্রহণ করিলেই ভর্গবতী দেবীর রোগ সারিয়া যাইবে।” হুইলও তাহাই ভবাননের অব্যর্থ বাশ ্রত্যক্ষীভূত হইল। এই জন্যই হউক বা অন্ত কারণে হউক,

বিদ্যাসাগর মহাশয় জ্যোতিষশান্ের প্রতি চিরকালই ভক্তিমান ছিলেন।

দ্বিতীয় অধ্যায়।

জঙ্গ, কোরঠী-বিচার, পাঠশালার শিক্ষা, পাঠশালায় প্রতিভা, বাল্য চাপল্য) বাল্য প্রতিভা, কলিকাতায় আগমন, পীড়িত অবস্থায় প্রতিগমন) পুনরাগমন শিক্ষার ব্যবস্থা

১২২৭ সালের ১২ই আশ্বিন বা ১৮২০ শ্বষ্টাব্ের ২৬শে মেপ্টেম্বর মঙ্গলবার দিবা দ্বপ্রহরের সময্ধ ঈগরচন্্র জন্মগ্রহণ করেন।

ঈষ্বরচন্্র যখন জন্মগ্রহণ করেন, তখন তাহার পিতা ঠাকুর- গান বাড়ীতে ছিলেন না) কুমারণপ্রের হাটে গিয়াছিলেন। কুমারগঞ্জ বীরসিংহ গ্রামের অর্ধ ক্রোশ অন্তরে হাট হইতে প্রত্যাঞ্মন করিবার সময় তাহার সহিত পিতা রামজযের পথে সাক্ষাৎ হয়। রামজর বলিলেন,-"ঠাকুরদাস! আজ আমাদের এঁড়ে বাছুর হয়েছে।” রামজয়, পৌত্র ঈশ্বরচন্্রকেই লক্ষ্য করিয়া রহস্তচ্ছলে, এই কথা বলিয়াছিলেন। এই রহস্কের ভিতর কিন্তু সদ্যোজাত শিশুর ভবিষ্যৎ জীবনের প্রকৃত পূর্ব(ভাম নিহিত ছিল! এঁড়ে গরু যেমন “একওুয়ে,” শিশুও তেমনই “একে হইবে, দীর্ঘদর্শী প্রবীণ রামজদ্ব বোধ হয় শিশুর ললাট-লক্ষণ বা হস্ত-রেখাদি দর্শনে বুঝিয়নাছিলেন ঈগ্রচন্দের জন্মও "বৃষ রাশিতে” “বুষ রাশিতে” জন্মগ্রহণ করিলে, বৃষবৎ 'একপুয়ে” অথবা দৃঢ়প্রতিজ্ঞ হইতে হয় ;--

/৬২ বিদ্যাসাগর

ন্মার্গবৃত্তোহতিতরাৎ প্রসন্নঃ সত্যপ্রতিজ্ঞোহতিবিশালকীর্তিঃ। প্রসন্নগাত্রোহতিবিশালনেত্রো বৃষে শ্থিতে রাত্রিপতো প্রস্ৃতঃ _ ভোজ

ঈপ্বরচন্দ্ের “একওুয়েমিশ্র পরিচতু তাহার জীবনে পরি- লক্ষিত হইত। “এককঁয়ে”? লোক দ্বারা ভাল কাজ যেমন অতি ভালরপে হয়, মদ কাজ তেমনই অতি মন্দরূপে হইয়া থাকে। “একগুযেমি”র ফল দৃপ্রতিজ্ঞতা। এই জন্য স্ীফেন জিরার্ড, “একগুযে কেরানীকেই নিজের অধীনস্থ ক্দধধে নিযুক্ত করিতেন। ঈশ্বরচন্দ্র দৃঢ়প্রতিজ্ঞ ছিলেন। তিনি যে কাজ ধরিতেন, সে কাজ না করিয়া ছাড়িতেননা। ভাল মন্দ উভয় কাজেই ইহার পরিচয় পাওয়া গিয়াছে।

ঠাকুরদা পিতার কথার প্রক্কত রহস্ত বুঝিতে পারেন নাই। তিনি ভাবিয়াছিলেন, তাহাদের বাড়ীতে একটী “&ড়ে” বাছুর হইয়াছে সেই সময় তাহাদের একটা গ্রাভীও পুর্ণগর্ভা ছিল। পিতা-পুত্রে সত্বর বাড়ীতে ফিরিয়া আমিলেন। ঠাকুরদাস গোয়ালে নিয়। দেখিলেন, বাছুর হয় নাই। তখন পিতা রামজয়, তাহাকে হৃতিক"-ঘরে লইয়া গিয়া সদ্যোজাত শিশুটাকে দেখাইয়া বলিলেন, “এই মেই এড়ে”) এব “এড়েগবলিবার প্রকৃত রহস্তটুকুও উদঘাটন করিলেন।

বিদ্যাসাগর মহাশয়ের তৃতীয় অনুজ শ্রীযুক্ত শতৃচন্্র বিদ্যা- রত্ব মহাশয় বলেন,__“ভীর্ঘক্ষেত্র হইতে সমাগত পিতামহ রামজয় বন্যোপাধ্যায় নাড়ীচ্ছেদনের পুর্ববে আলতায় ভূমি

ক্বোষ্ঠী-বিষউ | ৩৩

ধালকের জিহ্বার নিয়ে কয়েকটী কথ! লিখিয়া তাহার পতী ছুর্গা দেবীকে বলেন, লেখার নিমিত্ত শিশুটী কিয়ৎক্ষণ মাতৃহ্গ্ধ পান করিতে পায় নাই। বিশেষতঃ কোমল জিহ্বায় আমার কঠোর হস্ত দেওয়াম্স এই বাল্ক কিছুদিন তোতলা হইবে। "আর এই বালক ক্ষণজন্মা, অদ্িতীয় পুরুষ পরম দয়ালু হইবে এবং ইহার কীর্তি দিগন্তব্যাপিনী হইবে।* বিদ্যারত্ব মহাশয় বলেন, তিনি এই জব কথা ঈশ্বরচন্দ্রের পিতা,

মাতামহী পিতামহীর মুখে শুনিয়াছিলেন। বিদ্যাসাগর মহাশয় স্বরচিত চরিতে কিন্তু কথার উল্লেখ করেন নাই। 'অধিকন্ত আমাদের বন্ধু, *বিশ্বকোষ”্*নামক বিবিধ-বিষয়ক পুস্তক, 'সপ্ধলয়িতা যুক্ত নগেন্দ্রনাথ বহর নিকট বিদ্যাসাগর মহাশয় কথার প্রতিবাদ করিয়াছিলেন। উক্ত বন্ধুট তাহার জীবনীর তত সংগ্রহ করিয়। “বিশ্বকোষে” মুদ্রিত করিবার জন্য তাহার নিকট গিয্বাছিলেন। তত্কালে বিদ্যাসাগর মহাশয়ের ভ্রাত1 বদ্যারত্ব মহাশয় উপস্থিত ছিলেন। তিনি কথার উশ্বাপন ক্ষিরিয়াছিশেন ; কিন্ত বিদ্যামাগর মহাশয় বলেন,__”ও সব কথা নিও না; সব অমূলক ।” *

বিদ্যাধাগর মহাশয়ের জন্মগ্রহণ করিবার কিয্ুৎক্ষণ পরে লিহবিপ্র কেনারাম আচার্য তাহার ঠিকুজি প্রস্তত করেন। মাচাধ্য মহাশয় ঠিকুজি প্রস্তত কালে,ফল বিচার করিয়া বিস্মিত

টি

* আমাদের অপর কোন কোন আত্মীয়ের নিকটও প্রব্নূপ গুনিক্লাছি।

[ক্ত মহেল্রনাথ বিদ্যানিধি মহা শয়ও এরূপ বলেন

৩৪ বিদ্যামাগর।

হন। তিনি বালকের ভবিষ্যৎ জীবন, শুভজনক বলিয়া নিচ করেন। বিদ্যাসাগর মহাশয়ের কোষ্ঠীগণনায় এইক্পই নির্ধা রিত হয়। কোঠী গণনায় বে ভবিষ্যৎ জীবনের পূর্বর্বাভাঃ পাওয়া যায়, বিদ্যাসাগর মহাশয়ের কোঠী পর্ধ্যালোচনায় তাহ প্রতিপন্ন হয়। আমরা নিম্নে তৎপর্ধ্যালোচনাস্ত প্রবৃত্ত হইলাম।

শুভমস্ত--শকাব্দাঃ ১৭৪২ ৫। ১১1 ১৫। ৪১ চৈত্র

তা

বর রতি র্‌ রি

ছি রা সা

১৫ ২০ ৪৩. ৩৪ ৫, ৫. ৪৭ তু ৯২

জাতাহঃ

কো্ঠী-বিচার। ৩৫

১৭৩২ শকের ১২ই আশ্বিন বেলা ১৫ দণ্ড ৪১ পল সময়ে ইহার জন্ম হয়। ততকালে ধনুর্লপ্নের উদয় হইয়াছিল ইহার উন্মলগ্রাবধি তৃতীয় স্থানে বৃহস্পতি, চতুর্থ স্থানে রাহ শনি, ষ্ঠ চন্দ, অষ্টমে শুক্র, দশমে রবি, বুধ কেতু এবং একাদশ ্বানে মঙ্গল গ্রহ বিদ্যমান ছিল। | ; বিদ্যামাগর মহাশয়ের জন্মকালীন রবি, বুধ, শনি, রাহু কে এই পাচটী গ্রহ কেন্রুস্থানে ; বুধ দ্বক্ষেত্রে এবং চক্র ঘুধ গ্রহ তুঙ্স্থানে ছিল। সামান্তরূপ বুধাদিত্য-যোগও ছিল। একাদি গ্রহ স্বক্ষেত্রে থাকিলে কি ফল? “কুলতুল্যঃ কৃলশ্রেষ্ঠো বন্ধুমান্তো ধনী.স্খী। ্রমান্গপমমো৷ ভূপ একাদে স্বগৃহে স্থিতে

যাহার একটা গ্রহ স্বক্ষেত্রে থাকে, সেই ব্যক্তি কুলতুল্য হয়, ছুইটা থাকিলে কুলশ্রেষ্ট, তিনটাতে বন্ধুমান্য, চারিটা হইলে ধনী, পঁচটাতে সুখী, ছয়টাতে রাজতুল্য এবং সাতটা গ্রহই স্বক্ষেত্রে থাকিলে রাজা হয়। বিদ্যাসাগর মহাশয়ের একটা গ্রহ স্ক্ষেত্রে; এই জন্ত তিনি কুলোঁচিত তেজস্বী ছিলেন। একাদ্রিগ্রহ তুঙ্গগত হইলে কি ফল?

উত্কৃষ্টাঃ স্্ীন্বখিনঃ প্রকৃষ্ট কাধ্য। রাজপ্রতিরূপকাশ্চ।

রাজান এক ্বিত্রিচতুভিক্ণয়ন্ত্েহতঃ গরৎ দিব্যাঃ

ইতি কূস্থীয়ে। রঘুবংশ ৫সর্ণ ১৩ শোকে মঙ্লিনাথঃ।

ধাহার একটা গ্রহ তুঙ্সী থাকে, তিনি উৎকৃষ্ট লোক, দুইটা

থাকিলে সত্রীহুখী, তিনটা থাকিলে উৎকৃষ্ট কার্ধ্যকারী, চারিট

৩৬ বিদ্যাসাগর

থাকিলে রাঁজপ্রতিরূপ, পাঁচটা গ্রহ তুঙ্গী হইলে রাজা হয় এবং (নরাকারে অনভীর্ঘ দেবতারই ) ছয়টা গ্রহ তুঙ্গী হয়। সাঙট গ্রহ একেবারে তুঙ্গী হয় না। বিদ্যা্াগর মহাশরের দুইটা গ্রহ তুঙ্গী। ধন্বত্বাদিযোগঃ। ল্গদতীব বসুমান্‌ ব্নুমীন্‌ শশীদ্1ৎ সৌম্যগ্রহৈক্রপচয়োপগতৈঃ সমটস্তঃ | দ্বাভ্যাৎ দমোহল্সবনুমাংশ্চ তদৃনতায়!- মন্তেষু সংস্পি ফলেঘিদমু.কটেন দীপিকায়ামূ। জন্মকালে লগ্প হইতে যদি মমস্ত শুভ গ্রহ উপচয়গত অর্থা তৃতীয়, ষষ্ঠ, দশম একাদশ স্থানগত হয়, তবে অত্যন্ত ধনবানূ হয়। এন্ধপ জন্মরাশি হইতেও যদি সমস্ত শুভ গ্রহ উপচয়গত

হয়) তবে ধনবান্‌ হয়। দুইটী গ্রহ যদি লগ্নের বা রাশির উপচয়' গত হয়, তবে মধ্যমনর্ূপ ধনবান্‌ হয় এবং তখপেক্ষা কম থাকিলে

সামান্তরূপ ধনবান্‌ হয়। ঘন্তান্ত ফল সকল অপেক্ষা ইহারই ফল অধিক হয়। বিদ্যাস'1 মহাশয়ের কোঠীতে লগ্ন হইতে বৃহম্পতি, চত্র বুধ এবং জন্মরাশি হইতে শুক্র বুধ উপচয়গত।

বিনয়বিত্তাদীনামধমমধ্যমোভমাদিনিরূপণমূ।

বীপিকায়াং ৬৫ শ্লোকঃ। অধমসমবরিষ্টান্তর্ককেল্াদসংস্থে শশিনি বিনয়-নিত্-জ্ঞান-ধী-নৈপুণানি।

কোঠী-বিচার। ৩৭

অহনি নিশি চলে স্বাধিমিত্রাংশকে বা সুরগুক-সিতদৃষ্টে বিত্তবান স্তাৎ সুখী চ। জন্মকালে চক্র ঘদি রবির কেন্দ্র (স্বশ্থান, চতুর্থ, সপ্তষ, জশম ) স্থানগত হয়, তবে বিনয়, ধন, জ্ঞান, বুদ্ধি নিপুণতা স্ধমরূপ হয়। চলর, রবির পণকর (দ্বিতীয়, পঞ্চম, অষ্টম, আফাদশ) স্থানে খাঁকিলে বিনযীদি মধ্যম রূপ হয়। আঁক ঞ্ী চন্দ্র ঘি রবির আপোক্রিম (তৃতীয়, ৰষ্ঠ, নবম, দ্বাদশ ) শ্থান- ্‌ শত হয়, তবে বিনযাদি সমস্তই উত্তমরূপ হইয়া থাকে অথবা! চন্দ্র যদি স্বীয় অধিমিত্র গৃহে থাকিয়া! বৃহস্পতি বা শুক্র কতৃক ডু হয়, তবে ধনী মুখী হয়। এই বিদ্যাসাগর মহাশয়ের কোচীতে চক্র রবির আপোরিিম-গত ; অতএব উহার বিনয়াি কউৎকটরপ ছিল।

তুঙ্গগত চন্রের ফল। গতিৎ সুমতিৎ কমনীঘ্বতাৎ কুশলতাৎ হি নৃণামুপভোগতাম্‌। তো হ্মগুভ্শমাদিশে সুকৃতিতঃ কৃতিতশ্চ সুখানি চ॥ ুণ্িরাজ। জন্মকালে চন্দ্র, বৃধরাশিগত হইলে, জাত মানবের স্থির গতি,

তৃদ্ধি, সৌন্দর্য, নৈপুণ্য উপভোগ এবং স্বীয় পুণ্য কার্য সুখ হইয়া থাকে। ইহার জন্মকালে বৃষ রাশিতে ছিল।

তুঙ্গগত বুধের ফল। ঢুণ্িরাজীয়-জাতকাভরণে-- চনানুরতশ্চতুরে। নরো লিখনকর্খ্রপরো হি বরোন্নতিঃ। কীশিহূতে যুবতৌ গতে দুখী হুনয়নানয়নাঞচলচেষ্টিতৈ

৩৮ বিদ্যাসাগর

জন্মকালে কন্তারাশিতে বুধ থাকিলে, জাত মানৰ সদৃবক্তা, চতুর, উত্তম লেখক, উন্নতিমান্‌ এবং সুন্দরী রমণীর নয়নাঞ্চল- চেষ্টাদি ছ্বারা”ত্খী হয়। বিদ্যাসাগর মহাশয়ের জন্মকালে কন্তারাশিতে বুধ আছে।

লগ্মাৎ কর্ম্বণি তুর্ধে যদি স্যুঃ পাপখেটকাঃ।

স্বধন্মে নিতরাৎ ভশ্ত জায়তে চঞ্চলা মতিঃ

জাতকালদ্কারটীকায়াম্‌

জন্মলগ্নের চতুর্থ দশম শ্ছানে নাগ থাকিলে, মানবের দ্বধর্ম্ে চঞ্চল মতি হয়। কামাতুরশ্চিত্তহরোহজনানাং স্তাৎ সাধুমিত্রঃ জুতরাৎ পবিত্রঃ। ্রমন্নমুর্তিশ্চ নরে। বৃষন্থে শীতছ্যুতৌ ভূমিস্থতেন দৃষ্টে

ঢুন্টিরাজ।

জন্মকালে বৃষরাশিস্থ চক্রের উপর মঙ্লের দৃষ্টি থাকিলে, জাত মনুষ্য কামাতুর, কামিনী-মনোরগ্রন, সজ্জন-বন্ধু, অত্যন্ত পবিত্র এবং প্রস্মমুর্তি হয়। |

ব্যয়েশে তদ্রিপ্ফগতে তত্র দৃষ্টে শুভৈগ্র হৈঃ।

দ্বানবীরে। ভবেন্লিত্যৎ সাধুকন্্রন্ত মানবঃ

শভুহোরাপ্রকাশ।

ষেব্যক্তির জন্মকালে লগ্গের দ্বাদশ স্থানের অধিপতি গ্রহ) দ্বাদশের দ্বাদ্শগত হয়, আর দ্বাদশ স্থানে শুভগ্রহের দৃষ্টি থাকে, তবে সেই ব্যক্তি সৎকর্ম দানবীর অর্থাৎ অত্যস্ত দ্বাতা হয়। বিদ্যাসাগর মহাশয়ের লগ্গের দ্বাদশাধিপতি যন্থধ

পাঠখালার শিক্ষা। ৬৯

ঞ্কাদশ গ্ছানে আছে এবং দ্বাদশ স্থানে বৃহস্পতি শু ষন্ছের দৃষ্টি আছে। উত্তরকালে ইনি একজন প্রসিদ্ধ বদান্ত, হইয়াছিলেন। ( ইতি সংক্ষেপ )। শুভগ্রহ সঙ্গে সঙ্গে। ভবিষ্যৎ জীবনের পূর্বাভাস জন্ম ্টাহণেই। ক্ষণজন্ম! বিদ্যাসাগর মহাশয় জন্মগ্রহণ করিলেন। পিতা ঠাকুরদাসের ভাগ্য-স্রী সংবর্ধিত হইল। থীরে তীরে অলক্ষ্যে দরিদ্র ত্রাঙ্মণের কুটীরে একটু লক্ষমী-শ্রী দেখ! দিল পাড়া পাড়ায় রৰ উঠিল চবীডুদ্যেদের বাড়ীতে পর়মন্ত ছেলে

4 .

পিতামহ: রাঁজসয়, জাত পৌত্রের নাম রাখিয়াছিলেন,-_ জর পর্চম বৎসরে ঈশ্বরচজ্রের বিদ্যার হয়। তখন স্বীরসিংহ গ্রামের অবস্থা তাদৃশ উন্নত ছিল না। গ্রাম্য-পাঠ- বালকদিগের বিদ্যারস্ত হইত। পাঁঠশালার শিক্ষা স্ন হইলে, উহারই মধ্যে .অবস্থাপন্ন ব্রাহ্মণ-সস্ভানেরা' টোলে শিক্ষার হুত্রপাত করিতেন। টোলেই বিদ্যার পর্যযব- | কেহ কেহ বাজমিদারী সেরেস্তাবিদ্যাও শিখিত।

সে সময় সনাতন সরকার গ্রামের গুরুমহাশয় ছিলেন। কার মহাশয় বড় প্রহারপটু ছিলেন বলিয়া, ঠাকুরদাঁস পুত্রের অন্ত গুরুর অন্বেষণ করেন। কালীবাস্ত চট্টোপাধ্যায় নামক কি কুলীন ব্রাহ্মণ তাহার মনোনীত হন। কালীকাত্তের নিবাস

6৩ বিদ্যাসাগর |

বীরসিংহ গ্রাম তিনি কিন্ত ভদ্রেশ্বরের নিকট গোরুটা গ্রামে শ্বশুর-বাড়ীতে বাস করিতেন। কালীকাস্ত স্বকৃত ভঙ্গ-কুলীন। কৌলীন্ত-কল্যাণে তাহার অনেকগুলি বিবাহ হইয়াছিল। ঠাকুরপাস তাহাকে আনাইয়া নিজগ্রামে একটা পাঠশাল: করিয়া দেন। বালক বিদ্যাসাগর গ্রামের অন্তান্ত বালকের! তাহার পাঠশালে পড়িত। তিনি ঘত্বসহকারে সকলকে শিক্ষা দিতেন। কালীকান্তের সৌজন্তে প্রতিবাদিমণ্লী স্তাহার প্রতি বড়ই অনুরক্ত ছিলেন।

পাঠশালেও প্রতিভার পরিচয়। বালক ঈশ্বরচন্দ্র তিন বৎসরে পাঠশালার পাঠ সাঙ্গ করেন। এই সময় তাহার হস্তাক্ষর ঝড় হুন্দর হইয়াছিল। তখন সর্বত্র হস্তাক্ষর সমাদৃত হই হস্তাক্ষরই বিবাহের জর্ষোচ্চ হৃপারিস্‌। গু কালীকান্ত, বালক বিদ্যাসাগরের বুদ্ধিমত্তা ধারণা দেখি প্রারই বলিতেন,_“এ বালক ভবিষ্যতে বড় লোক হইবে৷ এই সময় বালক বিদ্যাসাগর প্লীহা উদরাময় পীড়ায় আক্রাস্ত হন। এই জন্ত তাহাকে জননীর মাতুলালয পাতুলগ্রামে যাইতে হয়। তাহার মধ্যম ভ্রাতা দীনবন্ধুও তাহাদের সঙ্গে ছিলেন। পাতুগগ্রামে ত্রমাগত ছয় মাস কাল চিকিৎসা হয়। খানাকুল-কষ্ণজনগরের সন্নিহিত কোঠরা-গ্রাম'. বামী * কবিরাজ রামলোচনের চিকিৎসাগুণে বালক বিদ্যাসাগর

* বিদ্যামাগর মহাশয়ের স্বরচিত জীবন-চরিতে “কোঠরা” স্থরে “কোটরী” মুদ্রিত হইয়াছে “উপ্রক্ষত্রিয় প্রতিনিধি” পত্রিকায় খানাবুণ

ধাল্য চাপল্য। €*

স্ৈখাত্রা রক্ষা পান। পাতুলগ্রামে সম্পূর্ণরূপে আরোগ্য লাত রিয়া, তিনি বীরসিংহ গ্রামে পুনরাগমন করেন। পুনরাস & কান্তের উপর তাহার শিক্ষা-ভার সমর্সিত হয়। কালীকাস্ত শ্রচরকে বড়ই ভাল বামিতেন। প্রত্যহ সন্ধ্যার পর তিনি চন্রকে পাঠশালার চলিত অঙ্ক প্রভৃতি শরিক্ষা দিতেন ্াত্রিকালে তাহাকে কোলে করিয়া লইয়া বাড়ীতে রাখিয়। আঁসিতেন। এই কালীকান্তের প্রতি বিদ্যাসাগর মহাশক ্রকালই ভক্তিমান্‌ ছিলেন। |

বদ্যাসাগর বালক-কালে বড় ছুষ্ট ছিলেন। তাঁহার বালক. সুলভ অনেক “ছুটুমি”রই পরিচয় পাওয়া ঘায়। অনেকেই বালক কালে দুষ্ট হইয়া থাকে; কিন্ত সকলের কথ! তো৷ আর শীয় হয় না; পরস্ত ইতিহাসের পৃষ্ঠায়ও স্থান পায় না। বষ্যৎ জীবন ধাহার উত্ভ্বলতম হয়, তাহার বাল্য জীবন তে লোকের আগ্রহ হইয়! থাকে। তাহার বাল্য জীবনের ম” টৃকু শুনিতে কেমন যেন মিষ্ট লাগে। ভগবান্‌ মানবা- লীলাচ্ছলে কৃষ্ণূপে গোপ-গোপীদের রে প্রবেশ করিয়া ধর হাড়ি ভাঙিতেন; শ্রীস্রীমহাপ্রভু ই্রচৈতন্ বাল্য কালে তীরে ব্রাহ্মণদের নৈবেদ্য কাঁড়িয়া খাইতেন। সব কথা

গর-লিবাপী প্রযুক্ত মহেচ্্লাথ বিদ্যানিধি "পজীলমাজ”-নীমক থানা- কষ্নগরের ইতিহাসে প্রথমে জমের উল্লেখ করেন। কিন্ত তিনি জনন শোধন করিতে, অন্য ভ্রমে নিপতিত হইয়াছিলেন। ভিনি উিবাজ অধর সুধাকরের নাম লিখিয়াছিলেন। :

৪২ বিদ্যালাগর।

কি শুনিলে রাগ হয়? কি যেন একট! অপূর্ব ভাবেরই উদ হয় না? সেক্সপিয়র বাল্য কালে ছুষ্ট ছেলেদের সঙ্গে জুটিয়া হরিণ চুরি করিয়াছিলেন। করি ওয়া্ন্ওয়ার্থের জালায় তাহা? জননী জালাতন হইতেন। কোথায় কিছু নাই, এক বার বালৰ ওয়ার্ডনওয়ার্থ, ঘরের এক খানা সেকেলে সাবেক ছবি দেখি বড় ভাইকে বলিয়াছিলেন, “দাদা! ছবিখানিতে খা-কতব চাবুক লাগাইয়া! দাও তো”। বড় ভাই শোনেন নাই। তখন ওয়ার্ডস্ওয়ার্থ আপনি সপাসপূ চাবুক বসাইয়া দেন। এি কম “ছুষ্টুমী!” বিলাতী পাদ্রী ডাক্তার পেলি বাল্য কানে বড় দুষ্ট ছিলেন। তখন তাহার জালায় রাত্রি বেলায় পাড়া; লোক ঘুমাইতে পারিত না। সব কথা গুনিলে কি রাগ হয়। এমন অনেক প্রতিভাশালী প্রতিষ্টাবান্‌ ব্যক্তির বাল্য জীবনে? বাল্য স্বভাবোচিত “ছুষ্টুমি*র কথা শোনা যায় সে সব শুনিতে তেমন হর্ধ না হউক; কেমন একটু বিস্ময় জন্মে। ছেলে ছু হইলে, অনেকেই অনেক সময় এই সব দৃষ্টাস্তের ম্মরণ করির। ভবিষ্যতের জন্য বুক বাধিয্না থাকেন। এক সময় এক ব্যদি। একটি পুত্রকে সঙ্গে করিয়া লইয়া বিদ্যাসাগর মহাশয়ের সহি? সাক্ষাৎ করিতে যান। বিদ্যাসাগর মহাশয় বলেন, ছেলেটী ভবিষ্যতে বড়লোক হবে”। আগন্তক বলিলেন, “মহাশয় ! বড় দুষ্ট” বিদ্যাসাগর মহাশয় বলিলেন. “দেখ, ছেলে বেলায় আমিও অমনই ছুষ্ট ছিলাম) পাড়ার লোঃকর বাগানের ফল পাড়িয়া চুপি চুপি খাইতাম; বে

বালা চাপল্য | ৪৩

ক্কাপড় শুথাইতে দিয়াছে দেখিলে, তাহার উপর মল-মূত্র ত্যাগ করিত আমিতাম; লোকে আমার জালায় অস্থির হইত।”

'. বিদ্যামাগর মহাশয় নিজ “বাল্য দুষ্টুমি” কথা নিজে স্বীকার করিয়াছেন। এতন্ক্যতীত তাহার আরও «ছুষ্ুমী”র ছুই শকটা চষ্টান্ত পাওয়া যায়। মধুর মণ্ডল নামে এক জন প্র বানী ছিল। মথুর মণ্ডলের জননী দ্্রী বালক বিদ্যা- াগিরকে বড় ভালবাদিতেন। বালফ বিদ্যাসাগর কিন্ প্রান প্ীত্হ পাঠশালায় যাইবার সময় মথুরের বাড়ীর দ্বারদেশে

4: মা) 8

'জমূত্র ত্যাগ করিতেন। মখুরের-স্্রী মাতা ছুই হস্তে তাহ! মু করিতেন। বধূ কোন দ্বিন বিরক্ত হইলে, শ্বাগুড়ী বলিতেন, তং ইহাকে কিছু বলিও না। ইহার ঠাকুরদাদার মুখে শুনিয়াছি, ঞছেলে এক জন বড় লোক হইবে ।* এক দ্বিন বালক বিদ্যা- বাজারের গলায় ধানের “ছুঙা” আটকাইয়া গিয়াছিল। তাহাতে নি যৃতকজ হন। পিতামহী অনেক কষ্টে সেই নু? হর করিয়া দিলে, তিনি রক্ষা পান। ছুষ্ট বালক প্রত্যহ ট্পর-ক্ষেত্রের পাশ দিয়া যাইতে যাইতে ধানের “মিষ তুলিয়া ইয়া খাইত। এক দিন তাহারই উক্তর্ূপ ফল ফলিয়াছিল। [সাগর মহাশয়ের ' সেই বার্ধক্যের শান্ত-দান্ত স্থির-ধীর দেখিলে কেহ মনে করিতে পারিত না যে, বাল্যে তিনি হষ্ট ছিলেন। বস্তঃতই প্রায় দেখিতে পাই, অনেকেরই ্ীল্যর হু্ট-প্রকৃতি অধিক বয়সে পরিবর্তিত হইয়া যায়। পাঠশালের বিদ্যা সাঙ্গ হইলে, কালীকাত্ত, ঠাকুরদাসকে

88 বিদ্যাসাগর |

এক দ্বিন বলেন, “ইহার পাঠাশালার লেখা-পড়া সাজ হইয়াছে বালক বড় ধুদ্ধিমান ; ইহাকে তুমি সঙ্গে করিয়া লইয়া গিয়া কলিকাতায় রাখ; তথায় ভাল করিয়া ইংরেজী বিদ্যা শিক্ষা দাও।” কালীকান্তের কখা শুনিয়া ঠাকুরদা বালক বিদ্যা. সাগরকে কলিকাতায় আনাই স্থির করেন।

এই সময় পিতামহ রামজয় তর্কভূষণের দেহত্যা্গ হুয়। তাহার মৃত্যু হইবার পর ১৮২৯ ধষ্টাব্ষে বা ১২৩৬ সালের কার্তিক মাসের শেষ ভাগে ঠাকুরদাস, গুরুমহাশয় কালীকান্তের পরামর্শে ঈশ্বরচক্্রকে লইয়া* কলিকাতা যাত্রা করেন। জঙ্গে কালীকাস্ত আনন্দরাম গুটি নামক এক ভৃত্য ছিল। অই্টম-বধাঁয় বালক, গৃহ পরিত্যাগ করিয়। বিদেশে যাইতেছে দেখিঘ্া, বালক বিদ্যাসাগরের দ্ষেহময়ী জননী মুক্তকঠে রোদন করিয়ীছিলেন। বিদ্যাসাগর যেমন মাতৃভক্ত "ছিলেন; তাহার জননীও তেমনই পুত্রবৎসলা ছিলেন।

পিতা, পুত্র, গুরু মহাশয় এবং ভূত্য,_-চারি জনকেই পদ প্রজে কলিকাতায় আসিতে হইয়াছিল। তখন জলপথ বড় হৃগম ছিল ন1। উলুবেড়ের নুতন খালও তখন কাটা হয় নাই। গাঙের মাঝ দিয়া নৌকা করিয়া আসাটাও বড় বিপদ্‌-সস্ুল ছিল। একে তো ঝঁড় তুফানের ভয়; তাহার উপর দহ্য-ডাকাতের উপড্রব ) কাজেই গৃহস্থ লোক বড় কেহ নৌকা করিয়া আসিতেন না। ব্যবসাক্দার মহাজন্রোও নির্দিষ্ট দিনে, জোট বাঁধিয়। ঘাতায়াত করিতমাত্র। এততিম্ন অনেককেই হাঁটা পথে

ধাল্য প্রতিভা ৪৫

আদতে হইত। যাতায়াতের সময় অনেকেই মধ্যে মধ্যে চটি বা আম্মীযববর্ণের বাড়ীতে আশ্রয় লইত। ঠাকুরদাসও স-দ্ল-বলে প্রথম দ্বিন পাতুলগ্রামে মামা" শুরের বাটাতে বিশ্রাম করেন। পর দ্িন তিনি সন্ধ্যার সময় ১০ দশ ক্রোশ দুরস্থিত সন্গিপুর গ্রামে এক জন আত্মীত ব্রাহ্মণের বাটীতে থাকেন। পর দ্বিন তাহার! শেঁয়াখাল৷ হইতে শালিখার বাধ! রাস্তা দিয়া কলিকাত! অভিমুখে যাত্রা! করেন। ঈপ্ঘরচন্্র যে ধারকতাশক্তি তুদ্ধিবৃত্তি প্রভাবে ভবিষ্যৎ জীবনে কীর্তিকৃশলত। লাভ করিয়াছিলেন ”্এই পথের মাঝে, সেই সুকুমার কোমল বয়সেই, তাহার নিদর্শন দেখাইয়্াছিলেন। বিশালু বৃক্ষের অন্কুরোস্ভব এইখানে হইল।

এই পথের মাঝে “মাইল-স্টোন” অর্থাৎ পথের দূরত্ব-জ্ঞাপক (শিলাখণ্ড দেখিয়া, বালক ঈপ্বরচন্্র জিজ্ঞাস! করেন,_-“বাবা, টন! বাটিখার শিলের মতন এট কি গ1%” পিতা ঠাকুরদাস জব হাসিয়া বলিলেন,_-“ইহার নাম 'মাইল-্োন'__আধ- ক্ষোশ অন্তর এইরূপ এক একটী নৃষতেন। পোতা আছে। ইৎরেজী অক্ষরে “মাইলের অঙ্ক লেখা ।” ঈশ্বরচন্দ্র “মাইলষ্টোন” দেখিয়া হইতে ১০ পব্যন্ত ইংরেজি অক্ষর শিখিয়া লইলেন। মধ্যে এক স্থানের “মাইল-্টোন”? দেখান হয় নাই। ঈশ্বরচন্ত্ লেন, আমরা একট! 'মাইল-স্টোন, দেখিতে ভুলিয়া টনিযাছি গুরুমহাশষ কাঁলীকীন্ত বলেন): “ভুলি নাই, তুমি ধশিখিয়াছ কি না, জানিবার জন্য তোমাকে দেখাই নাই”

ক্রমে সন্ধ্যার সময় তাহারা শালিখার খাটে গঙ্গা পার

€৬ .. বিদ্যানাগর।

হইয়া বড়বাজারের দয়েহাটায় শ্রীযুক্ত জগদৃছূর্লভ সিংহেক্র ঘাটাতে উপস্থিত হন। এই জঙদৃদুর্ণভ সিংহের পিতা ভাগবতচরণ সিংহ, ঠাকুরদাসকে বাড়ীতে আশ্রয় দিয়াছিলেন। ঈশ্ুর্চন্দের কলিকাতায় আসিবার পূর্বে ফাহার মৃত্যু হয়। জগদৃহুর্লভ বাবু পিতার ন্যায় ঠাকুরদাসকে ভক্তি শ্রদ্ধা, এমন কি, তাহাকে পিতৃ-সন্ষোধনও করিতেন। জগদৃদুর্লত একমাত্র ধাড়ীর কর্তা বয়স তাহার তখন ২৫ পঁচিশ বৎসর মাত্র। গৃহিণী, জ্যেষ্ঠা ভগিনী, তাহার স্বামী দুই পুত্র, এক বিধবা কনিষ্ঠ ভগিনী তাহার এক পুত্র)-এইমাত্র তাহার পরিবার

বালক ঈশ্বরচন্দ্র এই পরিবারের বড় প্রীতিপাত্র হুইয়া- ছিলেন। পর দিন প্রাতঃকাল হইতেই এই শ্রীতির স্ুত্রপাত হইয়াছিল। বালক নিজের অদ্ভূত ধারকতা-শতি-বলে ফিংহ- পরিবারের সকলকেই স্তস্তিত করিয়াছিলেন। যে দ্বিন সন্ধ্যার সময় বালক ঈশ্বরচন্দ্র কলিকাতায় আসিয়া উপস্থিত হল, তাহার পর দিন পিতা ঠাকুরদা স, জগদৃছ্র্লত বাবুর কয়েক- থানি ইংরেজী বিল ঠিক দিতেছিলেন। সেই সময় বালক ঈশ্বরচন্দ বলেন,বাবা আমি ঠিক দিতে পারি।” কেবল বল! নহে; সত্য সত্যই বালক কয়েক খানি বিল ঠিক দিয়া দিয়াছিলেন। একটাও ভুল হয় নাই। উপস্থিত ব্যক্তিগণ চমতকৃত হইলেন। ওর কালীকান্ত পুলকিত চিতে প্রফুর্ বদনে ঈশবরচন্্রের মুখচুল্বন করিয়া বলিয়া উঠেন,--“বাবা ঈশ্বর !

বাল্য গ্রতিভা 8৭

ভূি চিরজীবী হও। তোমুয় যে আমি অস্ত্রের সহিত ভাল বাসিতাম, আজ তাহ! সার্থক হইল 1” _ মানব-জীবনের ইতিহাস পর্যালোচনা করিলে ইহা বড় বিম্ময়ের বিষয় বলিয়! মনে হয় না। অসীম প্রতিভাসম্পন্ন বা অপরিমেয় বিদ্যাবুদ্ধিশালী বহুসংখ্যক ব্যক্তির বাল্য কালে ভবিষ্যৎ জীবনের পূর্বাভামের পরিচয় এইরূপ পাওয়৷ যায়। ভবিষ্যৎ জীবনে ধাহার যে শক্তিপু্টির প্রতিপত্তি, ৰাল্য জীবনে তীহার সেই শক্তির অস্ধুরোৎপত্তি। এই জন্য মিপ্টন্‌ বলিয়াছেন,__- 901119 0101101১004 ৪1০3 69 10020 &3 700010105 তম 079 ৫০] )”

প্রাতঃকাল-দৃষ্টে যেমন দ্রিবার বিষয় বুঝা যায়, মানবের স্থাল্য দৃষ্টে তাহার উত্তর কাল তেমনই বোধগম্য হয়। ্্াডগ্ওয়ার্ঘও বলিয়াছেন

50%1]৭ 18 09 9009৮ ০125009?

কবি ঈশ্বরচন্ন গুপ্ত যখন সাত-আট বৎমরের সময় কলি- *ন্কাভায় আসেন, তখন এক জন তীহাকে জিজ্ঞাম! করিয়া- ফ্িলেন,-_“ঈশ্বর, কলিকাতায় কেমন আছ % ভবিষ্যতের কৰি দিলেন,

. “রেতে মশী, দিনে মাছি।

এই নিয়ে কল্কাতায় আছি ।”

বক্ছিমচুত্র এক দিনে “ক, খ,” শিথিয়াছিলেন।

৪৮ খিদ্যাসাগর।

জন্সনের অত্যান্ত গুণের মধ্যে» ধারকতা শক্তির প্রতিষ্ঠা সর্বাপেক্ষা অধিক ছিল। ষে সময়ে বালক জন্সনূ সবেমাত্র লেখ! পড়া শিথিতে আরম্ভ করিয়াছিলেন, সেই সময় এক দিন তাহার মাতা, তাহাকে একখানি প্রার্থনা-পুস্তক মুখস্থ করিতে দেন। মুখস্থ করিতে বলিয়া মাতা উপরে উঠিষ্া যান। পুত্র পশ্চাৎ পশ্চাৎ গিয়া বলেন,“মা মুখস্থ করিয়াছি ।” স্ত্য সত্যই বালক অনায়াসে সমস্ত মুখস্থ বলিয়া গিয়াছিলেন। তিনি ছুই বার মাত্র পুস্তকখানি পড়িয়াছিলেন।

পোপ ১২ বার বংসর বয়সে কবিতা পিখিঘাছিলেন।* বাল্য- কালে তিনি কবিতা লিখিতেন; তাহার পিতার কিন্তু তাহা অভিপ্রেত ছিল না এই জন্ত পিতা স্ভাহাকে কবিতা লিখিতে মিষেধ করেন। পোপ কিন্তু তাহা গুনিতেন না। এক দিন তাহার পিতা এই জন্ত তাহাকে প্রহার করেন। প্রহারের পরও বালক এক কবিতায় বলিফ্া! ফেলিল ;-

4১915 10808 0105 ৯4০১ জ)]] 100 20070 561:598 10)2,009,1?

*মিপ্টন্‌ বাল্যকালে ঘে পদ্য লিখিয়াছিলেন, তাহা দেখিয়া তাতকালিক প্রসিদ্ধ লেখকবর্গ বিস্মিত লজ্জিত হইয়াছিলেন।

বিখ্যাত বিলাতী কারিকর (119087510) শ্মিটন্‌ ছয় বৎসরের বয়সে কলের ছা প্রস্তত করিয়াছিলেন '

পপ পপ সা

ঈ* 006 00 50116009,

বাল্য গ্রতিভা ৪৯

এরপ দৃষ্টান্ত অনেক আছ্ছে। সব অমানুষিকী শক্তিরই পরিচয়। ইহা লইয়া! ভাবিতে ভাবিতে কত মহা মহ। চিন্তাশীল শক্তিশালী দার্শনিকের জীবনপাত হইয়াছে বুদ্ধি-বৃত্তির ক্রমোন্নতি বা ক্রমবিকাশ-তত্ব লইয়া, কত্ত দার্শনিক ইহ-জগতের হৃখৈশ্বধ্য ভোগবিলাস পরিত্যাগ করিঘ্বা, চিন্তার অনস্ত সমুছে ডুবিয়া গিযীছেন। আমরা ক্ষুদ্র জীব, তাহার কি মীমাংস; করিব % তবে ষখনই দেখি, তখনই বিস্ময়-বিষ্কারিত নেতে চাহিয়া থাকি; এবং ভাবিয়া অকুল সমুদ্রে নিমগ্ন হই। মে বিচার-বিতর্কের শক্তি নাই; এবং তাহার প্রবৃভিও নাই সবই প্রারন্ধ কর্মের ফল বলিয়া বুঝি; এবং তাহা! বুঝিয়াই নিশ্চিত হ্ই | : বালক বিদ্যাসাগরের বুদ্ধি-বুন্তির পরিচয় পাইয়া উপস্থিত সকলেই বিস্মিত হইয়াছিলেন। সকলেরই সনির্ধন্ধ অনুরোধ, ধরচন্রেকে কোন একট। ভাল স্কুলে ভর্তি করিযবা' দেওয়া হয়। পুত্রের প্রশংসাবাদে পি ঠাকুরদাস পুলকিত হইয়া বলেন, “আমি ঈশ্বরচন্ত্রকে হিশ! স্কুলে পড়াইব।” উপস্থিত সকলেই বলিলেন,-”আপনি ১০২ টাকা মাত্র বেতন পান, আপনি টাক বেতন দিয়া কিরূপে হিনু স্কুলে পড়াইবেন £” ঠাকুরদাস লিলেন_“ ৫২ টাকায় যেরূপে হউক, সংসার চালাইব।” ঠাত্রদাদের ছুদয্ধ তখন উচ্চাকাজ্র প্রচলিত অনল-শিখায় ্দীপিত। বালকের প্রতিতা-কথা! ন্মরণ করিয়া, ব্রাঙ্গগ আপনার রিদ্র্য-ছুঃখ বিস্মৃত হইয়া গ্রয়াছিলেন। দরিদ্র ব্রাহ্মণ পূর্ণানন্দে

%০ ্‌ বিদ্যানাগর।

পর্ণ ভাবে নিমগ্ধ। ঠাকুরদাস, পুত্র ঈশ্বরচন্রকে হিল স্কুলে পড়াইবেন বলিয়াই স্থির করিয়া রাখিয়াছিলেন? কিন্তু তিন মাস কাল তাহা আর টিয়া উঠে নাই। এই তিন মাস কাল ঈশ্বরচন্দ্র, নিকটবর্তী একটা পাঠশালায় যাইু্তেন। এই পাঠশালার গুকুমহাঁশয়'সম্বন্ধে বিদ্যাসাগর মহাশয় স্বরচিত চরিতে লিখিয়াছেন,-”পাঠশালার শিক্ষক স্বরূপচত্তর দাস, বীরসিংহের শিক্ষক কালীকান্ত বন্দ্যোপাধ্যায় অপেক্ষা, শিক্ষাদান বিষয়ে, বোধ হয়, অধিকতর নিপুণ ছিলেন।” দুর্ভাগ্যের বিষয়, আজ কাল বাঙ্গালা শিক্ষার এরূপ হুনিপুণ গুরুমহাশহু দুর্দভ। দূর্লভতার হেতু লোকের প্রকৃতি-প্রবৃত্তির পরিবর্তন এখন পাঠশালাও আছে, গুরুমহাশয়ও আছে; নাই সেই তলম্পণিনী জাতীয় শিক্ষা) আর নাই দেই জাতীয় ভাবাপন্ন হদক্ষ শিক্ষক; এখনকার, পাঠশালা ইংরেজিরই রূপান্তর; গুরু অন্তরূপ হইবে কিসে?

“কর্তব্যোমহদাশ্রয়)” মহাজনের এই মহাবাণী অবস্ঠা- পালনীয়। বাণীর সাক্ষাফল প্ররত্যন্বীভৃত হইয়াছিল, ঈশ্বরচন্্রের বাল্য জীবনে জগদ্দর্ণত সিংহ কেবল যে পিতা- পুত্রকে আশ্রয়-মাত্র দিয়াছিলেন, তাহা নহে; তাহার পরিবার- বর্গ তিনি স্বয়ং তাহাদিগকে যথেষ্ট সমাদর করিতেন। জগন্দভ বাবুর কনিষ্ট তগ্নিনী রাইমণি, বালক ঈশ্বরচন্্রকে ত্রাপেক্ষাও ভাল বাদিতেন। এই রমদী-সন্বন্ধে বিদ্যাসাগর, মহাশয় স্বয়ং বলিয়াছেন,-“ন্েহ, দয়া, সৌজন্য, অমাস্রিকতা।

কলিকাতায় আগমন ৫১

ঈদ্ধিবেচনা প্রভৃতি জদৃগুণ বিষয়ে, রাইমণির, সমকক্ষ স্ত্রীলোক পর্যন্ত আমার নয়ন-গোচর হয় নাই। এই দরয়াময়ীর সৌম্য মূর্তি, আমার হনয়-মন্দিরে, দেবীমুর্তির স্তায় প্রতিষ্ঠিত হইয়া বিরাজমান রহিয্বাছে। প্রদর্থক্রমে তাহার কথা উ্বাপিভ হইলে, তনীয় অকৃত্রিম গুণের কীর্তন করিতে করিতে অশ্রুপাত না করিয়া থাকিতে পারি না।” বাস্তবিকই রাইমণির মেই অকৃতিম যত্ব-ন্তেহ ব্যতিরেকে বিদ্যামাগরের কলিকাতায় থাক দাত হুইত। তিনি স্গেহমযী মাতা পিতামহীর কথা ভাবিয়া প্রথম প্রথম বড় ব্যাকুল হইতেন। পিতু। অর্বক্ষণ তাহার নিকট থাকিতে পারি- তেন না। তিনি প্রাতে এক প্রহরের সময় কর্মন্থানে যাইতেন এবং রাত্রি এক প্রহরের সমর বাসায় ফিরিয়া আজি- তেন এই সময় রাইমনি এবং জগন্দ লভ বাবুর অন্তান্ত পরিবার নানা মিষ্ট কথার তাহাকে লাই রাখতেন ;) এবং নানা রিং আহারীয় অন্তান্ত মন-ভুলান জিনিষপত্র দিয়া, অনেকট। আন্না করিতেন। এইরূপ অনেক দীনহীন বালকই মহদাশ্রয়ে থাকল প্রতিপালিত হইয়া, পরিণামে কীর্তিমান্‌ হইয়া গিয়া- ধছেন। কলিকাতার কোটিপতি রামছুলাল সরকার বাল্য কালে দি হাটখোলার সেই জদাশয় দত্ত-পরিবারে প্রতি-পালিত না টহইতেন, তাহ! হইলে কে বলিতে পারে, তিনি ভবিষ্যৎ-জীবনে মহল ধনের অধিকারী হইয়া, অক্ষয় কীর্ভি-সঞ্চয়ে জমর্থ হইতে রামছুলাল্র বাল্য'দরিদ্রতা এবং দত্ব-পরিবারের

৫২ বিদ্যাসাগর

তত্প্রতি সদাশত্বতার কথা স্মরণ হইলে, বাস্তবিকই মনে এক অগিস্তনীপ্ষ ভাবের উদয় হয়। বিলাতের বিখ্যাত গ্রন্থকার জনাথন্‌ সুইফট ষদ্দি বাল্য কালে স্তর উইলিয়মূ হামিপ্টনের আশ্রয় না লইতেন এবং জার্দ্মাণ পণ্ডিত হ্মি ধন্মপিতার সাহাধ্য না পাইতেন, তাহা হইলে জগতে তাহারা কুটিতেন কিনাসন্দেহ। |

বালক বিদ্যাসাগর অগ্রহীয়ণ মাসে কলিকাতায় আসিঘাঁ- ছিলেন; কিন্ত ফাল্তন মাসের প্রারন্তে রক্কাতিমার রোগে আক্রান্ত হন। ক্রমে পীড়। এত দূর উতকট হইয়া পড়ে ষে, মল-মুত্রত্যাগে তিনি সর্বদা সাবধান হইতে.পারিতেন ন!। কাহার পিতাকেই অনেক সময় স্বহাস্তে 'মলমৃত্র পরিফার করিতে হইত। পত্রীর ছুর্ণাদাস কবিরাজ, তাহার চিকিৎসা করেন; কিন্চ রোগ উন্তরোভর বৃদ্ধি প্রাপ্ত হইয়াছিল বীরসিংহ গাষে সংবার ঘায়। পিতামহী সংবাদ পাইয্াই কলিকাতায় আসিয় উপন্থিত হন। তিনি কলিকাতায় ছুই তিন দিন থাকিয়া ঈশগর চন্দুকে বাড়ী লইয়া ঘান। তথায় সাত আট দিনের মধ্যে বিনা চিকিত্সাম্ তিনি সম্পূর্ণকূপ আরোগ্য লাভ করিঘ্াছিলেন।

বৈশাখ মাস পর্ধ্যন্ত ঈশ্বরচন্দ্র বাঁড়ীতেই ছিলেন৷ 'জ্যেট মাসের প্রারন্তে পিতা ঠাকুরদাস ত্বাহাকে পুনরায় কলিকাতায় আনঘ্বনার্থ বীরপিংহ গ্রামে গ্রমন করেন। এবারও পদব্রজে আস স্থির হয়। পুর্ব বারে সঙ্গে ভৃত্য ছিল। ভৃত্য, মধ্যে মধ্যে বালককে কাধে করিয়া আনিয়াছিল। এবার পিতা জিজ্ঞার্মি

কলিকাতায় পুনরাগমন ৫৩

লেন,--"কেমন ঈশ্বর ! তুমি চলিয়া যাইতে পারিবে, না আনন্দ- রামকে দূঙ্গে করিয়া লইব ?” বালক বাহাছুরী করিয়া বলিল, “না, আমি চলিয়া যাইতে প্মরিব।” বিদ্যাসাগরের বাহাদুরীর গরিচন্ন বাল্য কাল হইতে। এবার পিঁতাপুত্রে চলিয়া আসিয়া প্রথম দিন পাতুলগ্রামে আশ্রয় লেন। পাতুলগ্রাম বীরসিংহ হুইতে ছয্ব ক্রোশ দুর। ঈশ্বরচন্রের এদিন চলিতে কষ্ট হয় নাই। তারকেশ্বরের লিকট রামন্গর গ্রামে ঠাকুরদাসের কনিষ্ঠা ভগিনী অনপর্ণঢকে দেখিতে যাইবার প্রয়োজন হয়। কন্তা পীড়িত হইয্াছিলেন। রামনগর পাতুলগ্রাম হইতে ছত্ব ক্রোশ দুরবন্তী। পিতাপুত্রে ছুই জনে প্রাতঃকালেই রামনগর অভিমুখে যাত্রা করেন। তিন ক্রোশ পথ গিষ্ব! ঈশ্বর আর চলিতে পারেন নাই পা টাটাইয়া দুপিয়া যায়। পিত1 বড়ই বিপছৃগ্রস্ত হন। তখন বেল] ছুই 'প্রহরের অধিক। ঈশ্বরচন্দ্র তখন এক রকম চলচ্ছক্তি-হীন। পিতা বূলিলেন_“বাবা! একটু চল, আগে মাঠে কুটি- তরমুজ খাওয়াইব।” পশ্বরচত্ত্র অতি কষ্টে প্রাণপণে হাটিয়া, অগ্রসর হইয়াছিলেন। দেই মাঠের কাছে গিয়া ফুটি-তরমুজ খাইলেন। পেট ঠাণ্ডা হইয়াছিল বটে; পা কিন্ত আর উঠে ্াই। পিতা রাগ করিয়া পুত্রকে ফেলিয়া কিয়দ্দর চলিয়া ঘন) কিন্ত আবার ফিরিয়া আসিয়া, রোকুদ্যমান পুত্রকে কাধে করি লন। ছূর্ববল-দেহ. পিতা, অষ্টম বর্ষের বলবান্‌ (বাশককে কত দূর কাধে করিয়! লইয়া যাইবেন! খানিক

৫9 বিদ্যামাগর।

দুর পিয়া, আবার তিনি ঈশ্বরচন্্রকে কাধ হইতে নামাইফ। দেন; বিরক্ত হুইয়! ছুই একটা চপেটাঘাতও করেন। ঈশ্বরচনের উচচ্চঃস্বরে ক্রন্দন ভিন্ন আর কি উপায় ছিল? এখন একেবানে চলচ্ছক্তি-হীন। পিতা আবার পুত্রকে কাধে করিয়া লন; এরূপ একবার কীধে করিয়া, একবার নামাইয়া, একটু একটু বিশ্রামান্তর চলিয়াছিলেন। এইকূপ অবস্থায় তাহারা সন্ধ্যার পূর্রে রামনগররে উপস্থিত হন। পর দ্িন তাহারা আরামপুর থাকিয়া, তৎ্পর দিব কলিকাতায় আসিয়া উপস্থিত হইলেন।

এই বার আবার বিদ্যালয়ে ভর্তি করিবার কথা। পিত। ঠাকুরদাস, ঈশ্বরচন্্রকে সংস্কৃত শিখাইতে মনঃস্থ করেন। তাহার ইচ্ছা, বিদ্যামাগর সংস্কৃত শিখিলে, দেশে তিনি টোল করিয় দিবেন। এই সময়ে মুনদন বাচম্পতি সংস্কৃত কলেজে অধ্যয়ন করিতেন। তিনি বিদ্যাসাগর মহাশয়ের মাহ-মাতুল রাধামোহন বিদ্যাভূষণের পিতব্য-পুত্র মধুস্দন বাচম্পতি, ঠাকুরদাসকে পরামর্শ দেন)--"আপনি ঈশ্বরকে সংস্কৃত কলেজে পড়িতে দেন, তাহ! হইলে আপনকার অভিপ্রেত সংন্কত শিক্ষা সম্পন হইবেক; আর যদ্দি চাকরী করা অভিপ্রেত হয়, তাহারও বিলক্ষণ সুবিধা আছে) সংস্কৃত কলেজে পড়িগা যাহারা €ল কমিটার পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়, তাহারা আদালতে জজ-পপ্তিতের পদে নিযুক্ত হইয়া ধাকে। অতএব আমার বিবেচনায় ঈশ্বরকে সংস্কৃত কলেজেই পড়িতে দেওয়া উচিত। চতুগ্পাঠী অপেক্ষা কলেজে রীতিমত সংস্কৃত শিক্ষা হুইয়। থাকে ।”

শিক্ষার ব্যবস্থা ;.. €€

বিদ্যামাগর মহাশয়ের আত্ম-জীবশীতে সকল কথ! আছে। অধিকন্ত তিনি লিখিয়া গ্িয়াছেন,-_"বাচস্গতি মহাশ্ এই বিষয় বিলক্ষণন্ূপে পিতৃদেবের হুদযঞ্গম করিয়া দিলেন। আনেক বিবেচনার পর বাচস্পতি মহাশয়ের ব্যবস্থাই অবলম্বন স্থির হইল ।”

এই অময়্ ঠাকুরদা মংস্কত কলেজের ব্যাকরণাধ্যাপক প্ডিত গঙ্গাধর তর্কবাণীশের সহিতও সম্বন্ধে পরীমর্শ করিয়াছিলেম। শেষে সংস্কৃত কলেজে দেওয়াই স্থির হয়।

তৃতীয় অধ্যায়।

ধস্কৃত কলেজে ভর্তি, সংস্কৃত কলেজের উদ্দেশ্য প্রতিষ্ঠা, তাৎকালিক শিক্ষার অবস্থা) ভবিষ্যদ্‌ আভাস, ব্যাকরণ- শিক্ষা) কলেজের অধ্যাপক, বেতন*ব্যবস্থার ফল, পিতার শান, ব্যাকরণে প্রতিপত্তি পুরস্কার, একগুয়েমি, অধ্যয়ন অধ্যবসায়, কাব্যের শিক্ষা প্রতিষ্ঠা, দ্রারিজ্য-কঠো- রতা এবং.ব্যাকরণ কাব্য শিক্ষার ফন

১২৩৬ সালে ২০শে জ্যৈষ্ঠ বা ১৮২৯ ধষ্টাজে ১লা ভুদ সোমবার ঈশ্বরচন্দ্র সংস্কৃত কলেজে ভর্তি হন।

ঈশ্বরচন্ত্র যখন সংস্কৃত কলেজে প্রবেশ করেন, তখন সংস্কৃত কলেজে সংস্কৃত শিক্ষারই প্রচলন ছিল। ইংরেজি শিক্ষার অতি সামান্তমাত্রই স্বতন্ত্র ব্যবস্থা ছিল। তখনকার জংস্কতা- ধ্যায়ী ছাত্রগণ ইংরেজি পড়িতে বাধ্য ছিলেন না। কেহ ইচ্ছ! করিলে, ইংরেজি পড়িতেন মাত্র

সংস্কৃত কলেজে প্রথমে যে শিক্ষাপ্রণালী প্রবর্তিত হইয়া- ছিল, তাহার আলোচন! করিলে, আদৌ মনে হয় না, সংস্কৃত কলেজে ইংরেজী শিক্ষা চালাইবার, কতৃপক্ষের কোনরূপ সম্বল ছিল। তখন কেবল দ্বিজসন্তানেরই সংস্কৃত কলেজে প্রবেশাধি-

কলেজের প্রতিষ্ঠা ৫৭

কার হ্িল। তাহারা ঘরের মেজে বিছানার উপর বসিয়া, টোলের ধরণে অধ্যয়ন করিতেন; আর অধ্যাপকগণ স্বতন্ত্র আসনে বসিগ্া তাকিয়। ঠেপান দিদা] অধ্যাপনা করিতেন।

কর্তৃপক্ষের অন্তরের উদ্দেশ্য হউক বা না হউক, আমাদিগের ছুরদৃষ্টে সে শিক্ষাপ্রণালী সম্পূর্্ধপে পরিবর্তিত হইয়া গিয়াছে! সেই পরিবর্তনের শুত্রপাত বিদ্যাসাগরের পাঠ্যাবন্থায়; পরি- পুট্টি তার কার্ধ্যাবস্থায় ১৮২৪ গুষ্টান্দে সংস্কত কলেজ প্রতিট্িত হয়। এই কলেজের প্রতিষ্টা-প্রস্তাবে, রাজা রামমোহন রায়-প্রমুখ বঙ্গের তাকালিক অনেক শক্তিশালী ব্যক্তি, আপত্তি তুলিয়াছিলেন। রাজ। রামমোহন রায় সংস্কত কলেজের প্রতিষ্ঠা-কঙ্গে প্রকৃতপক্ষে মনস্তাপ পাইয়াছিলেন। ১৮৮২ বষ্টাবে যে শিক্ষা- কমিশনের অধিবেশন হইয়াছিল, তাহার রিপোর্টেই রাম- মোহন রায়ের সে মনস্ত্াপের পরিচর পাওয়া যায়। রিপোর্টে _এইরর্পলেখা আছে ; 00 110120, 5০7) 1009 ৯101630 790073890181056 01 38 70079 &080000. 170012)0918 0? 1116 1317)00 00113)0- 20ট0) ০২079889059] 915810001010097 ০2. (8৪ 7১৪৮৮ ১0007205৩18 2050 1718 0381017738৮ 000 £580181105, 01 ; 09৩৮07077006776 0 8818101190৪ 067 3877816 0011৬03 81736690 01 & 89171119য 06816060 10 1101)91: 81)30700-

; (7০2 0 609 708, 3৫150098900. 11011090117 ০৫ 1700,

৫৮ বিদ্যাসাগর |

রাজা রামমোহন রাম বলিয্াছিলেন, টোলে (ধরূপ মং্কৃত শিক্ষা হইতেছে, তাহাই হউক; বরৎ তাহার $1ৎকর্ধমাধনের ব্যবস্থা হউক; কিন্ত সংস্কৃত শিখাইবার জন্য দ্বতন্ত্র কলেজের প্রয়োজন নাই যাহাতে পাশ্চাত্য সাহিত্য, বিজ্ঞান প্রভৃতির শিক্ষাপ্রমীরের জন্য ভ্বতন্ত্র কলেজ প্রতিষ্ঠিত হয়, তদর্থে কর্তৃ- পক্ষের যত্বশীল হওয়া কর্তব্য টোলের শিক্ষ। অব্যাহত রাখি- বার পরামর্শ দেওয়া সাপু কল্পনা, সন্দেহ নাই ; তবে পাশ্চাত্য- শিক্ষাপ্রমারের পরামর্শ দিয়ী তিনি হিন্দ-মমাজদ্রোহিতারই প্রিচঘ দ্রিযাছিলেন। তাৎকালিক ইংরেজি শিক্ষার ফলাফল আলোচনা করিলে, আমাদের কথার সার্থকতা হদয়ঙ্গম হইবে | : |

হিন্দ কলেজের প্রসাদে তখন কলিকাতা সহরে উচ্চু্খল ইংরেছি শিক্ষার আবর্তে পড়িয়া অনেক হিন্দ-সম্ভান বিপথগামী সমাজদ্রোহী হইয়া পড়িয়াছিলেন। আকম্মিক ইংরেজি শিক্ষার প্রবাহ, হিন্দু সমাজকে তখন অনেকটা উদ্বেলিতক্কিরিয্বা- ছিল। সংস্কৃত কলেজের প্রতিষ্টা-প্রতিবাদীরা তাহাতেও প্র হন নাই। সংস্কত রূলেজ প্রতিষিত হইবার সাত বং্মর পূর্্ে হিন্দু কলেজ প্রতিষ্ঠিত হইয়াছিল।

ঈগ্বরচন্ত্র যখন সংস্কৃত কলেজে প্রবেশ করেন, তখন হিন্দু কলেজের অনেক ছাত্র, বিজাতীয় বিদেশীয় শিক্ষকের বিজাতীমু শিক্ষাভাব-প্রণোদনে এবং বিজাতীয় ইংরেজী শিক্ষার বিষময় ফলে, বিজাতীয় ভাঁবাপন্ন হইয়া, হিন্দ সমাজে একটা বিষম বিপ্লব

ডি ২২

01011

পি

পণ্ডিত তারানাথ বাচম্পতি

শিক্ষার অবস্থা ৫৯

খঘটাইবার উপক্রম করিয়াছিলেন। তাহাদের পূর্বে বাহারা কলেজের শিক্ষা সমাপ্ত করিয়া, সংসারক্ষেত্রে বিচরণ করিতে- ছিলেন, তাহাদের অনেকেরই অসদাদর্শে হিন্দু কলেজের তাৎকালিক অনেক ছাত্রেরই মৃতিগ্রতি বিকৃত হইয়াছিল।

হিন্দ কলেজে পড়িয়া, অনেক হিন্দৃ-সস্তান পাশ্চাত্য সাহিত্য- বিজ্ঞানে পারদর্শিতা লাভ করিয়াছিজেন, সন্দেহ নাই; কিন্ত পাশ্চাত্য শিক্ষায় তাহাদের অনেকের কিরূপ- মতিগতি ঘটিয়া- ছিল, তাৎকালিক অধ্যাপক হোরেশ হেমান্‌ উইলসন্‌ সাহেবের রিপোর্টেও তাহ প্রকাশ পাইয়াছে। তাহারই কথা এখানে ন্‌ রা ;

টস 6৫ ১6 177901910 [3510 (007007701881080)

[. 2575

উস্থার তো ইহাই ভাবার্থ- অনেক ভদ্র বশজাত এবং

ুদ্ধিমান্‌ হিন্দু-সন্তান প্রকাশ্য তাবে স্বধর্ম্মে আস্থাশৃন্ত হইয়া-

ছিলেন। অতঃপর পাঠকের বোধ হয়, আর কোন্‌ সন্দেহ রহিল না।

তাৎ্কালিক অন্বেক ইংরেজি-পিক্ষিত হিন্দু-সম্ভান ইংরেজির

গুণানুকরণে অক্ষম হইয়া দৌষাবলীরই সম্পূর্ণ অনুকরণ করিয়া

বমিয়াছিজেন। ইংরেক্গরাজ্বা) ইংরেজ জগতে প্রভৃত শি-

৬৩. বিদ্যামাগর।

শালী ; ইংরেজ সমুন্নত সভ্য জাতি বলিয়া সমগ্র পৃথিবীতে পরিগণিত সভ্য ইৎরেজ ঘাহা যাহা করিয়া থাকেন, তদানীস্তন ইংরেজি-শিক্ষিত অনেক কৃতী ব্যক্তি, তাহাই সভ্যতানুমোদিত বলিয়া মনে করিয়াছিলেন

প্রকৃত গুণের অনুকরণ বড় সোজ। কথা নহে ভে। গুণান্ুকরণ ক্বাহাদের সাধ্যাতীত হইয়াছিল। যাহা সহজ- সাধ্য এবৎ অকষ্ট-কল্প, তাহাই তাহাদের অনুকরণীয় হইল। ইংরেজ গরু খান, ইংরেজ মদ খান, ইংরেজ কোট-প্যাণ্ট লম্‌ পরেন, ইংরেজ াড়ের চুল ছ্াটিয়া মস্তকের সম্মুখ ভাগে লম্বা লম্মা চুল রাখেন। এই অব অনয্রাস-সাধ্য, কার্ধ্য গুলিকে সভ্যতার অন্গ ভাবিয়া, ইৎরেজি-শিক্ষিত হিন্দ-জন্তানেরা তদনু- করণে পূর্ণ মাত্রায় প্রবৃত্ত হইয়াছিলেন। এমন কি, তখন হিন্দ কলেজের অনেক ছাত্র, কলেজের সম্মুখে, গোলদীঘির অনাবৃত প্রাঙ্গণে বসিয়া মদ খাইতেও কুগ্ঠিত হইতেন না। অনেকে গরু ধাইয়া, ভুক্কাবশেষ অস্থি-মাৎম, প্রতিবাসী গৃহস্ছের বাড়ীতে নিক্ষেপ করিয়া পরম আনন্দান্ুভব করিতেন তাহারা ভাবি” তেন, এরূপ ন1 করিলে, তাহাদের বর্বরতার কলঙ্ক অপনীত হইবে না। |

ইৎরেজি শিক্ষার এতারবশ বিষময় ফল-সন্দর্শনে সমগ্র হিন্দু সমাজ সন্ত্রস্ত -ইয়৷ পড়িক়াছিল। এক হিন্লু কলেজেই রক্ষা হিল না; তাহার উপর সংস্কৃত কলেজটী ইৎরেজি কলেজ হইলে, বোধ হয়, ঘরে খবরে নরক-দৃশ্ত দেখিতে হইত। সে সময় সংস্কৃত

ভবিষ্যৎ আভাম। ৬১

কলেজ, ইংরেজি কলেজের অনুকরণে গঠিত, হইলেও, সংস্কৃত শিক্ষার প্রচলন থাকায়, উহ! হিনু-সন্তান বনি তবুও কতক আশ্রয়-স্থল হই়াছিল।

. তদানীন্তন ইংরেজি শিক্ষার কুফল-সন্দর্শনেই ঈশ্বরচন্দ্র (পিভা, বোধ হয়, ঈশ্বরচন্দকে সংস্কৃত কলেজে প্রেরণ করেন। ঈবরচন্ত্র ইংরেজি পড়িয়া, তদানীস্তন ইৎরেজি-শিক্ষিত ব্যক্তি- বর্ণের স্তায় বিকৃত হইয়া! না পড়েন, ইহাও ঠাকুরদাসের উদ্দেশ্য ছিল। কিন্তু সে উদ্দস্ট মন্পূ্রূপ সিদ্ধ হয় নাই।

ঈশ্বরচন্ন, সংস্কৃত কলেজে শিক্ষিত হইলেও, ইংরেজি শিক্ষার বাহ-বেই্টনে আবদ্ধ ছিলেন। এক দিকে হিলু কলেজের উন্মাদিনী শিক্ষা) অগর দিকে মিশনরী কলেজের মোহিনী মায়া) তদুপরি শভ্িশ[লী সাহেব দিবিলিয়নদের গাড় খনিষ্ঠতা। ব্মর ঈশ্বরচন্দ্র, সংস্কৃত কলেজে প্রবেশ করেন, তাহার পর বৎসরে পাদরী ডফ সাহেবের গুল প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৮১৭ স্টানদে ৃষ্টানী স্কুল বি কলেজ” প্রতিষ্ঠিত হইয়াছিল। ইংরেজি শিক্ষার অপ্রতিহত খাত-প্রতিঘাতে হুদয়বান্‌, মনস্বী তেজন্বী ঈশ্বরচন্দও বিচলিত হইয়াছিলেন। অবিমিশ্র সংস্কৃত (শিক্ষা লাভ করিরাও ঈপ্বরচন্্র ভাবিয়াছিলেন, ইংরেজি না 'শিখিলে, বর্তমান যুগে সংসারের শ্রীবৃদ্ধি সাধন হুঃসাধ্য। তাই তিনিও সংস্কৃত পাঠ সমাপনান্তে কার্ধ্যাবস্থায় ই”*+জি শিক্ষায় প্রবৃত্ত হইয়াছিলেন। ফলে ইংরেজি শিক্ষার তুফল, হাতেও 'নেকট। সংক্রামিত হইয়াছিল। তবে সংস্কৃত শিক্ষার ফলে,

৬২. বিদ্যানাগর

তিনি অনেকটা! জাতীয় ভাব সংরক্ষণে সমর্থ হইয়াছিলেন। ইহার পরিচয়-প্রমাণ দুল্প্রাপ্য হইবে না। . ঈশ্বরচন্ সংস্কৃত কলেজের ব্যাকরণ শ্রেণীর তৃতীয় বিভাগে ভর্তি হইয্া সন্ধিত্ত্র পাঠ করেন। সংস্কৃত ব্যাকরণ শিক্ষা, সংস্কৃত ভাষা শিক্ষার সম্পূর্ণ সাহাষ্য- কারিধী। এই জন্ত তারতে চিরকালই সংস্কৃত শিক্ষার্থী দ্িগকে সর্বাগ্রে কয়েক বর ধরিয়া ব্যাকরণ অধ্যয়ন করিয়া ক£স্থ করিতে হয়। মুক্ধবোধ, পাণিনি, অংক্ষিগুসার প্রভৃতি ব্যাকরণই পাঠ্য। এই সব ব্যাকরণ সহজে আয়ুন্ত করিবার জন্য অনেকেই জংক্ষিপ্তনারের “কড়চ1” অভ্যাস করিয়া থাকেন। ব্যাকরণ শিক্ষার অনুপাতে মংস্কৃত শিক্ষার ব্যুৎপন্তি-বিকাশ্ব। নংক্কত ব্যাকরণে বুত্পন্তি লাভ করিলে, সংস্কৃত শিক্ষা ঘেক্প লপর্শিনী হয়, ভধুনা উপক্রমণিকা, কৌমুদী গলি সেরূপ হয় সা। টোলে ব্যাকরণ শিক্ষার যে প্রথা প্রচলিত, প্রপ্মতঃ সংখত কলেজে সে প্রথাই প্রবর্তিত হইয়াছ্িল। পরে প্রথার কিরপ পরিবর্তন হইক্বাছিল, পাঠক পরে তাহ। বুঝিতে পারিবেন ঈশ্বরচন্দ্র যখন ব্যাকরণ শ্রেণীতে ভর্তি হন, তখন কুমারহট. নিসাসী পণ্ডিতপ্রৰর পঙ্গাধর তর্কবাদীশ ব্যাকরণের অধ্যাপক, ছিলেন। সংস্কৃত কলেজের প্রতিষ্টাকালে, অধ্যাপক উইল্সন সাহেব, বঙ্গের কৃতবিদ্য বিচক্ষণ পরডিতগণকে নির্বাচিত করিয়া, কঙেজের অধ্যাপনাকাধ্যে নিযুক্ত করিয়াছিলেন। নিয়লিথিত অধ্যাপক নিমলিখিত বিষয়ে অধ্যাপনাংকাধ্যে ব্রতী হুইয়?

বেতম-ব্যবস্থার ফল। ৬৬

ছিলেন )_নিমটাদ শিরোমণিত_দর্শল ) শড়ুচন্্র বাচস্গতি” বেদান্ত; রামচন্্র বিদ্যাবাদীশ,স্মৃতি ; ুপিরাম বিশারদ)- আনুর্কেদ ; নাখুরাম শান্দ্রী-মলগ্কার) জয়গেপাল তর্কাল" দার)-সাহিত্য) গঞঙ্ষাধর তর্কবাণীশ,ব্যাকরণ) হরিপ্রমাদ তর্কালক্ষার,-ই) হরনাথ তর্কভূষণ। ; যোগধ্যান মিশ্র, জ্যোতিষ

বেভন-ব্যবস্থায় অধ্যাপক-পত্তিত নিুক্ত করিয়া, গবর্ণমেন্ট অনেক অধ্যাপক-পণ্ডিতের সচ্ছন্দে সংসার নির্বাহের সবিধ! ' করিয়া দিয়াছিলেন। কিন্তু বেতন-ব্যবস্থায়, অধ্যাপক-পপ্তিতের নিয়োগে, অনেকেরই মুখরোধের নুঘোগ্ন শুত্রপাত হইল বেত- নের বাধ্য-বাধকতাঁয়, স্বাধীন মত প্রকাশে, অনেক সময় ব্যাঘাত 'ঘটিয়া থাকে তখন না হউক, এখন তে। তাহার প্রমাণ পদে পদে পাইতেছি।* গবর্ণমেণ্টের উদ্দেশ্য লইঘ্জা কোন আলোচন! ক্ষিরি না। করাও উচিত নহে। ভবে যাহা অধুনা প্রত্যক্ষ- গোচরীভূত, তাহা। তো অঙ্গীকার করিবার যো নাই। যে বিধি- বিধানে হিন্দুর ধর্ম্াধন্্ব-সম্পর্ক, তাহাতে অনেক বেতন-ভোগী আধ্যাপক পণ্ডিত'মগ্ুলী স্বাধীন মত প্রানে পশ্চাংপদ হইয়! খাকেন। অধুনা অধ্যাপক-ব্রাহ্মণ-পণ্ডিতিগের বেতন- বৃত্তির

* ১৮২১ খুষ্টাদ্দের $ঠ1 ডিসেম্বর তারিখে মহমরণ আইন বিধিবদ্ধ হয়।

ততকালে সংস্কৃত কলেজের তদানীন্তন অধাপকদের ধর্্ববিশ্বীন প্রবল

লে বলিয়াই হউক ব| কতৃপক্ষ উইল্মন্‌ সাহেব, আইনের বিরোধী ছিলেন ঘলিয়াই হউক, তাহার! গবর্ণমেট্টের স্বপক্ষে মত দেন নাই।

৬৪ বিদ্যামাগর |

বরাদ্দ অন্ত গবর্ণমেট সবিশেষ যত্বশীল। ব্রাহ্মণ-পর্ডিতের পোষণ পক্ষে যথেষ্ট সুবিধা ভাবিঘা, অনেকেই এজন্য গবর্ণ, মেট্টের প্রশৎসাবাদে মুক্ত-প্রাণ। কিন্তু লুক্ষাদশী প্রকৃত হিন্দু ইহাতে অনেকট। বিভীষিকারই ছায়া! দেখিয়! থাকেন

ঈশ্বরচন্দ কলেজে ভর্তি -হইলে, পিতা ঠাকুরদাস, প্রত্যহ নয়টার সময় ঈশ্বরচন্ত্রকে কলেজে দিয়া আমিতেন; এবং অপরাহু চারি টার সময় লইয়া যাইতেন। ছয় মাস কাল এইরূপই করিতে হইয়াছিল। তাছার পর ঈশ্বরচন্দ স্বয়ংই কলেজে যাতায়াত করিতেন। ছয় মাস পরে ঈশ্বরচন্ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হম পাঁচ টাকা বৃত্তি পান।

ঈশ্বরচন্দ্র বাল্য কালে “বাটুল* 'ছিলেন। ছাতা মাথা দিয়া চলিয়া যাইলে মনে হইত) যেন একটা ছাতাই যাইতেছে তাহার মাথাটা! দেহের অনুপাতে একটু বড় ছিল। এই জন্য বালকেরা তাহাকে 'যণ্তরে কৈ? বলিয়া ক্ষেপাইত। বালক ঈশ্বর" চন্দ সমবয়ঙ্গদের বিদ্রপোক্তিতে বড়ই বিরক্ত হইতেন। অনেক সময তিনি রাগে রক্তমুখ হইয়া উঠঠিতেন; কিন্তু কথা কহিতে নিয়া আরও হাস্তাম্পদ হইব. পড়িতেন। তিনি তখন বড় £তোতলা' ছিলেন। সেই জন্য সহজে সকল, কথা উচ্চারিত হইত না; এবং এক একটী কথা উচ্চারণ করিতে কাল-বিলম্ব হইত; সুতরাং তাহাতেই সমবয়ন্ক বালকেরা হাসির মাত্রা চড়াই! বিদ্রপের মাত্রাও বাড়াইয়া দিত। ক্রমে “শুরে কৈ' নামটী 'কজুরে কৈ শব্ধে পরিণত হইয়াছিল। বালকের!

ব্যাররণ শিক্ষ!। ৬৫

তর্খন কি বুঝিত,-এই মাথা-মোটা “শুর কৈ' কালে কত বড় লোক হইবে ? তাহারা কি তখন কুঝিত,_মাথা অপেক্ষা বালক ঈশ্বরচন্দ্র হৃদয়টা কত বৃহৎ ?

বালক বিদ্যুসাগর কলেজে যাহা শিখিয়া আমিতেন, রাত্রি কালে প্রত্যহ পিতার নিকট তাহারই আবৃত্তি করিতেন। তাঁহার জনক মহাশয়, সংক্ষিপ্তার ব্যাকরণ সম্পূর্ন না হউক, ডাহাঁর অধিকাংশই যে জানিতেন, বিদ্যাসাগর মহাশয় তাহা

_আত্ম-জীবনীর একাংশে স্বীকার করিয়া গিয়াছেন। তিনি যে ব্যাকরণ পাঠ করিযা, আয়ন করিতে পারিষীছিলেন, তাহার নিদর্শনও পাইয়াছি। তাহার নিকটে যিনি ব্যাকরণ পড়িয়া, ছিলেন, এখন তিনি রীতিমত ভট্টাচার্য হইয়া অধ্যাপক! হরিতেছেন। প্রত্যহ পুত্রের আবৃতি শুনিয়া শুনিয়া ব্যাকরণে

হারও অভিজ্ঞতা বদ্ধিত হইয়াছিল। পুত্র কোন কথা বিশু হইলে, পিতা তাহা ম্মরণ করাইম্বা দিতেন। পুত্র বুঝিতেন, তাহার পিতা ব্যাকরণে সবিশেষ ব্যুৎ্পন্ন পুত্রের নিকট পিতার

প্রকারাস্তরে কৌশলে অনুশীলন ।৬ এবপ দৃষ্টান্ত বিরল।

পুত্রের বিদ্যানুরাগিতা-সবর্ধনসন্বন্ধে, পর-সেব-নিরত হুই-

নি

ঃম্বা্ড পিতা, এক মুহূর্তের জন্য কোনরূপ ত্রুটি করিতেন না।

কাধ্য-স্থানের কঠোর পরিশ্রমেও, তিনি ক্লান্তি বোধ করিতেন না। রাত্রি ৯টার পর বাসায় ফিরিয়া আসিয়া তিনি রন্ধনাদি

করিতেন) এবং পুত্রকে আহার করাইয়া আপনি আহার “করি- তেন। তাহার পর পিতা পুত্রে একত্র শয়ন করিতেন। শেষ

৬৬ বিদ্যাসাগরু।

রাত্রিতে পিতা, পুত্ের পঠিত বিদ্যার পর্ধ্যালোচনাব্র ব্যাপৃত থাকিতেন। মধ্যে মধ্যে তিনি পর-মুখ-শ্রুত নিজের অভ্যস্ত নানাবিধ উদ্ভট গ্রোক পুত্রকে শিখাইতেন। | ঠাকুরদ্বাস কোপন-স্বভাব এবং কঠোর-শাঠানের পক্ষপাতী ছিলেন। যেদ্দিন তিনি দেখিতেন, ঈশ্বরচন্ত্র ঘুমাইয়া পড়িয়া" ছেন, সেদিন তাহাকে নিদাকণ প্রহার করিতেন। এক দ্রিন ঈশ্বরচন্তর পিতার নিকট চালাকাঠের মার খাইয়া, কলেজের তদানীন্তন কেরাণী রামধ্ন গঙ্গোপাধ্যায়ের বাড়ীতে পলায়ন করিয়াছিলেন। রামধন বাবু ভাহাকে অতি যত্বের সহিত বাড়ীতে রাধিয়া 'আহারাদি করান। পরে তিনি ঈশ্বরচন্দ্রকে সঙ্গে করিয়া লইয়া গিয়া বাসায় পৌছাইয়। দেন। সময়ে জুময়ে পিতার নিকট মার খাইরা, ঈশ্বরচন্ত এমনই আর্তনাদ করিতেন যে, তাহাতে মিংহ-পরিবার উত্ত্যক্ত হইয়া উঠিতেন ) এবং ঠাকুরদাসকে বলিতেন,_-*এক্প প্রহারে হয়তো বালক কোন্‌ দ্রিন মারা যাইবে; অতএব যদি এরূপ প্রহার কর, তাহা হইলে এঞ্ান হইতে তোমাকে স্থানাস্তরে যাইতে হইবে” ইহাতে প্রহারের মাত্রা কিছু কম হইত। ঈশ্বরচন্রও অনেকটা সাবধান হইয়া চলিতেন। পাছে নিদ্রা আসে বলিয়া, তিনি আপনার চক্ষে সরিষা তেল দ্িতেন। তেলের জালায় নিদ্রা! পলায়ন করিত বর্তমান যশস্বী খ্যাত- নামা কোন কোন ব্যক্তি ঘুম ভাঙাইবার জন্য বাল্য কালে এইরূপ অন্তরূপ উপায় অবলম্বন করিতেন, ইহাও আমরা

পিতার শাসন। ৯?

জানি। লেখকেরই কোন বন্ধু বাল্য কালে ঘুমাইবার পূর্ব পায়ে দড়ি বাঁধিঞ্জা রাখিতেন। দড়ির টানে নিপ্রা ভঙ্গ হইলে, তিনি পাঠাভ্যাসে রত হইতেন। ইনি বিশ্ববিদ্যালয্বের উচ্চ স্থান অধিকার করিয়াছিলেন; এবৎ এক্ষণে এক জন অধিক বেতন-ভোগী উচ্চপদস্থ কর্মচারী 4 ,.. বুদ্ধিমান প্রতিতাশীল বালকদিগের জন্ত প্রচণ্ড -প্রহার- স্রীড়ন বা কঠোর দণ্ড-শীদনের প্রয়োজন হয় না। বরং ব্যথায় অনেক সময় বিপি ফলই ফলিয়া থাকে। যাহারা ্ে কিছুতেই কিছুই হয় না; পরন্ফ এমনও রা জরি শাসন -পাড়নে অনেক স্বাভাবিক বুদ্ধিমান্‌. বালক বিভিন্ন মূর্তি বারণ করিয়াছে। আমাদেরই এক জন আত্মীয়ের একটা বুদ্ধি. স্থান পুত্র ছিল। পিতা ভাবিতেন, নিয়ত কঠোর শাসনে রাখিতে শী রলেই, পুত্রের বিদ্যা-বুদ্ধির মাত্রা বাড়িবে। এই বিশ্বাসে, গুঁত্রের সামান্য দোষ দেখিলেই, পিতা, পুত্রের প্রতি কঠোর প্রহার- পীড়নের ব্যবচ্থা করিতেন। .ফলে, পুত্রের ভদয়ে, পিতৃ- শাসনের বিভীষিকা এত দূর ঘনীভূত হইয়া! দাড়াইয়াছিল থে, পুত্র পিতাকে দেখিলেই দূরে পলায়ন করিত। তৃখন বহু সাধ্য- [ধনায়ও তাহাকে সমীপবস্তাঁ কর! দুঃসাধ্য হইত। সুৃতরাৎ স্হার জন্য শাদন, ফলে তাহাই ঘুচিয়া গেল! এইরূপ শাদন- টমিতীধিকায় পুত্রের ভবিষ্যৎ জীবনের উন্নতি-পথ রুদ্ধ হইয়া রি বা প্রহার-পীড়ন-ফলে, বুদ্ধিমান ঈশ্বরচন্তের অবশ্ঠ

৬৮ বিদ্যামাগর

সেরূপ হয় নাই। স্বগাঁয় ভূদেব মুখোপাধ্যায়ের জীবনেও এরূপ শাসন-পীড়নের পরিচয় পাওয়া যাঁয়। তাহার পিতাও ঠাকুরদাসের ন্তাঁয় কোপন-স্বভাব কঠোর শাসনের পক্ষপাতী ছিলেন। আবার ইহাও দেখা যায়, এক জনের বুদ্ধিহীন পুত্র পিতার প্রহার-গীড়নেও, নির্বুদ্ধিতার সীমা অতিক্রম করিতে নাপারিয়া অধঃপাতে গিয়াছে; অপর বুদ্ধিমান্‌ পুত্র অক্ষত- পৃষ্ঠে জীবনের পথ উজ্জ্বল করিয়াছে সব দুষ্টান্তের আলোচনায় অদৃষ্টবাদিত্ের পক্ষপাতিত্ব আসিয়া পড়ে না?

ব্যাকরণ শ্রেণীতে বালক ঈশ্বরচন্দ অন্য ছাত্র অপেক্ষা অধ্যাপকের শ্রীতিপাত্র হইয়াছিলেন। অন্থান্ত ছাত্রাপেক্ষ' ব্যাকরণ বিদ্যায় তাহার অসম্ভাবিত বুযুৎপত্তি দেখিয্বা অধ্যাপক তাহার উপর বড় জন্তষ্র থাকিতেন। তিনি পাঠান্তে ঈশ্বর- চন্দর্কে আপনার নিকট বসাইঘা উদ্ট শ্লোক শিখাইতেন। পিতা অধ্যাপকের নিকট ঈশ্বরচন্দ প্রশনয় চারি পাচ শত উদ্ভট শ্লোক শিথিয়াছিলেন ।*

* বিদ্যালাগর মহাশয়ের মন্কলিত ণ“শ্নোক-মগ্তরী” নামক গ্রচ্থে বড় মংখ্যক উভ্ভট শ্লোক দেখিতে পাইবেন বিঙ্গাসাগর মহাশয় লিধিয়াছেন, “এই ভভট শ্লোক দ্বার! আমরা নবিশেষ উপকার লাঁভ কৰিয়াছিলাম, নন্দেহ নাই আমাদের পঠদ্দশায়, উদ্ভট শোকের যেকূপ আদর আলোচন] লক্ষিত হইয়াছিল, এক্ষণে আর নেরূপ দেখিতে শুনিতে পাওয়া যায় না বস্ততঃ উদ্ভট শ্লোকের আলোচন! একেবারে লুপ্তপ্রায হইয়াছে”

বাকরণে গ্রতিপত্তি। ৬৯

ব্যাকরণ শ্রেবীতে তিন বৎসরের মধ্যে তিনি দুই বর প্রচুর পারিতোধিক পাইয়াছিলেন; এক বৎসর পান নাই। সেই বৎসর তিনি মনঃসৎক্ষোভে অভিমানে সংস্কৃত কলেজ পরিত্যাগ করিবার সঙ্কল্প করিরাছিলেন; কিন্ত পিতা ঘধ্যা- পকের অনুজ্ঞায় পারেন নাই। সে ব্মর যে তিনি পারি- তোধিক পান নাই, তৎসন্বন্ধে কাহারও কাহারও মত এইরূপ, বতসর প্রাইস সাহেব পরীক্ষক ছিলেন। সাহেব ভাল বুবিতে পারিতেন না। ঈশ্বরচন্দ্র যাহ? উত্তর করিতেন, তাহা! ঠভালন্মপ বিবেচনাপূর্রবক করিতেন ) সুতরাৎ উত্তর দিতে বিলম্ব এহুইতণ) কিন্ত প্রায়ই তাহা নির্ভুল হইত। যে বালক বিবেচনা সা করিঘা তাঁড়াতাড়ি বলিয্বাছিল, তাহ ভাল হউক, আর মন্দই রর উক, সাহেব তাহাকে বুদ্ধিমান জানিয়া অধিক নম্বর দিয়া- পছিলেন ? সংস্কৃত ব্যাকরণের পরীক্ষায়, সাহেব পরীক্ষক সম্বন্ধে রূপ হওয়া অসম্ভব নছহে। সাহেব কেন, কোন কোন

কটালের' কলেজের অধ্যাপকদের এরুপ সংস্কার ছিল আছে, যে বালক দ্রেত উত্তর করিতে পারে, সে নির্ভুল বণিতেছে। অত্বর উত্তর করায় তাহারা ভুল ধরিতে পারেন না। পি তারাগাথ 5 মহাশয় ছুই এক বার প্ররূপ

রঃ

এই সময় বালক ঈখরচন্দ্রের "একগুঁয়নেমী” ফুটিতে আরম্ভ, হিয়। এই “একপুয়েমীর” দরুণ পিতা, অনেক সময় উত্ত্যক্ত [হইতেন। পিতা বলিলেন,__“ফরসা কাপড় পরি স্থলে যাও।” :

৭০ বিদ্যামাগর।

ঈগ্বরচন্দর বলিতেন,__এময়ুল! কাপড় পরিষাই যাইব ।” যেদিন ঈশ্বরচন্দ্র স্নান করিব না! বলিয়া মনে করিতেন, সে দিন তাহাকে স্নান করান বড়ই ছুক্ধর হইত। পিতা তাহাকে ধরিয়া লইয়া গিয়া, গঙ্গার ঘাটে বলপূর্র্বক শান করাইয়া দিতেন অন্ত কোন গুক্ক জন কোন কথা ব্ণিলে, ঈশ্বরচন্দ্র যদি মনে করিতেন, করিব না, তাহা হইলে, কেছই তাহাকে তাহা করাইতে পারিতেন না। গুণের মধ্যে এই ছিল, ঈঞ্বরচন্দ কাহারও কথায় কোন উর ন1 দিয় কেবল ঘাড় বাকাইযাঁ দাড়াইয়া থাকিতেন। এই জন্ত পিতা ঠাকুরদা, তাহাকে অনেক সময় প্ঘাড়কেদো” বলিয়া ডাকিতেন। বালক ঈগরচন্দের “একগুয়েমীর”? কথায় বালক জন্দনের “একখয়েমির? কথা মনে পড়িরা যায়। বাল্য কালে এক জন ভূত্য, জন্সন্কে প্রত্যহ স্কুল হইতে লইয়া আসিত। এক দিন ভূত্যের যাইতে বিলম্ব হওয়ায়, বালক জন্সন্‌ আপনি একাকী স্কুল হইতে বাহির হন ; এবং পথে চলিয়া যান। স্কুলের কত্রাঁ জানিতে পারিয়া ভাবিলেন, বালক হয়, পথ জুলিয়া অন্ত্র শিল্পা পড়িবে; না হয় অন্ত কোনরূপ বিপত্গ্রস্ত হইবে। এই ভাবিয়া তিনি জন্সনের অনুবর্ভিনী হন। বালক জন্সন্‌ দেখি- লেন, কত্রা তাহার পশ্চাৎ পশ্চাৎ আসিতেছেন। ত্বাহার শক্তি- সম্বন্ধে কত্রা সন্দিহান হইয়াছেন ভাবিয়া, বালক জন্সন্, অভিমানে অভিভূত হইলেন; এবং অত্যন্ত ক্রোধাম্থিত হইয়া! উঠিলেন; এমন কি, তখনই ফিরিয়! গিয়া কতরঁকে যথাসাধ্য প্রহার করিলেন। জন্নন্র জীবনীলেখক বস্ওয়েল্‌, তাহার

ইহরেজি শিক্ষা ৭১

এই «একপুদ্নেমী”র বা ঢুট্প্রতিজ্ঞতার দৃষ্টান্ত তুলিয়া বলিয্া- ছেল “জন্মনের ভবিষ্যৎ জীবনে ইহারই পরিচয় পাওয়। 'যায়।” বিদ্যাসাগর-সন্বন্ধে আমারাও এই কথা বলিতে পারি। ; ব্যাকরণ পাঠের সময় ১২৩৭ পালে বাঁ ১৮৩* হষ্টাকে ঈশ্বর-, নল কলেজের ইংরেজি শ্রেণীতে প্রবেশ করিয়াছিলেন। ৯২৩৩ লেবা ১৮২৬ খৃষ্টাব্দে এই ইংরেজি শ্রেণী প্রতিষ্টিত হইয়া- ল। ভবিষ্য বিশাল ইৎরেজি-বৃক্ষের ইহাই বীজান্কুর। ক্ছাত্রেরা, কাজেহ মতন যংকিবিৎ ইৎরেজি শিখিতে চা ইংরেতি শিখিয়া, ইংরেজি চিকিৎমা গ্রন্থাদি কতক পরমা সহঃ (তে বাম্ম!লাষ অনুবাদ করিতে গারে, এই উদ্দেশে রি ; রেজি শ্রেশী প্রতিটিত হইয়াছিল্র। তৎকালে উলষ্টন সাহেব শেশীর শিক্ষক ছিলেন ।* ইহাতে পড়িতে কিন্ত অনেকের রতি ছিল না। বহু ছাত্রের মধ্যে অন্সনংখ্যকই পড্ডিত।, দ্যিমাগর ছয় মাস মাত্র এই শ্রেশী-ত পড়িদান্িলেন। তিরাং ইংরেজিতে তিনি তাদুশ ক্কান ল'ভ করেন নাই। রদ ডিবি জীবনে অন্য চেষ্ট! ব্লত্িতে হইয়াছিল তত্ব পরে পাইবেন এই বার বালকের অক্ষ খমশীজভার পরিচদু লইন। বুযাক- খেতে তিনি ওতিন বহ্মর ছয় মাল অধ্যঘন করেন। | বধ্মরে ব্যাকরণ পাঠ সান করিরা, বাঁকি ছয় মাস, তিনি

পাশা শিাপিশীসপিশাশিশিটী শী শপপ৮

রং /

* 00100965501 076 মানু 0০91189, 1825,

পপীশীপািক্পপিপানশাপিসপিপপিপী পিপিপি পিপিপি (পরত

৭২. বিদ্যামাগর |

অমর-কোষের মনুষ্যবর্ণ ভটিকাব্যের পঞ্চম সর্গ পর্যন্ত

পড়িয়াছিলেন। অন্প বয়মেও তিনি প্রায় সারা রাত্রি জাগিয়া

পাঠাভ্যাস করিতেন। রাত্রি ১টার সময় আহারাস্তে ঠাকুরদাস হুই ঘন্টা জাথিয়া থাকিতেন। ঈশ্বরচন্দ্র তখন নিদ্রা যাইতেন। রাত্রি ১২টার সময় পিতা তাহাকে তুলিয়া দিতেন। তার পর বালক-সস্ত রাত্রি পড়িতেন। এইরূপ গুরুতর পরিশ্রমে ঈশ্বরচন্দকে মধ্যে মধ্যে গীড়া ভোগ করিতে হইত এইরূপ অমানুবিক পরিএম বিদ্যাসাগর যাংজ্জীবনই করিয়াছিলেন। আবুনিক বিশ্বিদ্যালয়ের : অনেক ছাত্র পাঠ্যাবস্থায় এইব্লপ পরিশ্রম করিয়া থাকেন বটে ) কিন্ত ভবিষ্যৎ জীবনে অনেকেরই তাহা দেখিতে পাওয়া যায় নাঁ। পরিশ্রম করা তো পরের

কথ!) দুই পয়সা উপার্জন করিতে শিখিলে,ভাহারা বিলাস-.

মদ-লালসার সম্পূর্ণ পরবশ হইয়া, এক একটা *বাবুজী” হইয়া পড়েন। বাদ্ধক্যে কগ্রশয্যায়ও বিদ্যাসাগর মহাশয় পুস্তক পরি ত্যাগ করিতেন নাঁ।

নবম বর্ষ বয়সে ঈশ্বরচন্দ কলেজে ভর্তি হুইয়াছিলেন।

একাদশ বৎসর বয়সে উপনগ্তন হয়। কিছু দিনেও

মধ্যেই তিনি সু্ধ্যাআহিক ভুলিয়া যান। কেবল পিতার,

ভয়ে সন্ধ্যাবন্দনাদির ক্রমগ্ডলি করিতেন। ঈশ্বরচন্দ্রের এই কপটতা আবত্মছুর্বলতা-প্রশ্থত। তখন তিনি বিদ্যাসাগর নন) যখন তিনি ঈশ্বরচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়) ইহ" মেই সময়ের ঘটনা; পাঠক তাহা ম্মরণ রাখিবেন। দ্বাদশ বৎসরে ঈশ্বরচন্দ্র সংশ্ৃ

কাব্যে গ্রতিষ্ঠা। ৭৩

দ্ধালেজের কাব্য শ্রেণীতে প্রবেশ করেন। সেই সময় পণ্ডিতবর জররগোপাল তর্কালঙ্কার সাহিত্যাধ্যাপক ছিলেন। মদনমোহন কার মুক্তারাম বিদ্যাবাগীশ মহাশয়, বালক বিদ্যা- ্ররের সঙ্গে পাঠ করিতেন।* বিদ্যাসাগর মহাশয় অন্যান পর অপেক্ষা অল্পবয়স্ক ছিলেন কিন্তু তাহার অদ্ভুত ধী-শক্তির টীচয় পাইয়া, অধ্যাপকমণ্ডলী বিন্মিত হইতেন। প্রথম বৎসরে াম়চনদ রবুবংশ, কুমারদত্তব, রাঘবপাওনীয প্রভৃতি সাহিত্য- য় সর্বপ্রধান শ্থান অধিকার করিয়াছিলেন। দ্বিতীয়

রে টিন মাঘ, ভারবি, শতুস্তলা, মেত্বদূত, উত্তরচরিত,

কোন সক্কোচ হইত না। তদানীম্তন পণ্ডিতগণ তাহার স্মৃতিশক্তি অশ্রুত-পূর্বব বাক্যবিস্তাস-ক্মত। দেখিয়া হইতেন এবং প্রায়ই বলিতেন,_“এ বালক পৃথিবীতে ঘ্বু পুত হইবে।” প্রতিভা আর কাহাকে. বলে? দিন বালকের এরপ প্রতিভার পরিচয় পাওয়া যায়?

এই মদনমোহন উত্তর কালে সৃকবি খ্যাতি পাইয়াছিলেন মুক্তা- চু মভাগবতের বঙ্গীহুবাদাদি কার্যে লিপ্ত থাকিয়া সুপত্ডিত বলিল ি্িটিত হইয়া ছিলেন

বিদ্যাসাগর |

দ্বিতীয় বৎসর সাহিত্য-পরীক্ষায় ঈশ্বরচন্দ্র সর্বপ্রথম হন। হস্তাক্ষরের জন্য তিনি প্রতি বংসরই পারিতোধিক পাইতেন। হস্ত।ক্ষরের প্রশংসা তাহার যাবজ্জীবনই ছিল। সকল সাহিত্য- মেবকের ভাগ্যে এন্প প্রশংসা ঘৃটিয়া উঠে না। আধুনিক উচ্চতম সাহিত্য-দেবক সাহিত্য-সমালোচকদিগের সংঅবে থাকিয়া, আমাদের কতকট। এই প্রতীতি জন্মিয়াছে বিদ্যা- সাগর মহাশয়, অনেক সংস্কৃত পুঁথি স্বহস্তে লিখিয়া লইতেন। পুঁথির লেখা দেখিয়া সকলেই তাহার ভূয়সী প্রশংসা করিতেন তিনি যে সকল পুঁধি স্বহস্তে লিখিয়া গিয়াছেন, তাহার পতিন্ত- গুলি দেখিলে, বোধ হয়, ষেন মুক্তা সজ্জিত রহিয়াছে

এই সময় বালক বিদ্যাসাগর নিদারুণ কঠোরভার নির্ম্মম্‌ অভেদ্য দ্যুহ-বিবরে পতিত হন। সে কঠোরতা দরিদ্র হীনা- বন্থাপন্ন বালকের অন্ককরণীয়। শিক্ষণীয় এবং সর্বসাধারণের চিরম্মরধীয়। সেই সময় তাহার মধ্যয ভাতা দীনবন্ধু * শিক্ষার্থ কলিকাতায় আগমন করেন। পাক-কার্যের ভার ঈশ্বরচন্ত্রের উপর পতিত হয়। কেবলই কি তাই? তিনি প্রত্যহ প্রাতঃকালে স্বান করিয়া বাজাক্ষে যাইতেন এবং বাঁজার হইতে পিতার অবস্থান্ুসারে আলু, পটোল গতি তরি- তরকারি মহস্তাদি ভ্রুয় করিব লইয়া, বাসায় ফিরিয়। আদিতেন। তৎপরে তিনি নিজেই ঝাল হলুদ ণিলে বাটিয়া

* ইনি পরে স্ায়রত্ব উপাধি-ভূষিভ হন। ইনি স্কুলের ডিপুটী ইনৃস্‌- পেক্টর হইয়াছিলেন। ইহার রচিত একখানি পদ্য পুস্তক ছিল

দারিত্র্য'কঠোরতা।

জইতেন। ভখন পাথুরে করলার প্রচলন হয় নাই। তিনি দবহস্তে কাট চাল! করিতেন এবং উন্ুন ধরাইতেন। বালা চারিটি লোক খাইতেন। চারি জনের জন্ত ভাত, ডাল, মাছের রোল রীধিয়া তিনি সকলকেই আহার করাইডেন। আহারান্তে সকলের উচ্ছিষ্ট মুক্ত করিতেন বাসনাদি ধুইতেন। হলুদ বাটিয়া, কাট চিরিয়া, বামন মাজিয়া সত্যমত্যই তাহার অঙ্গুলি নখ ক্ষ হইয়! গিয্বাছিল। তুমি আমি গুনিলে শিহরিয় টি বটে) বালক ঈশ্বরচন্দ্র ইছাতেই কিন্ত অপার আনন পরম গরিতোষ লাভ করিতেন। অনেক অবস্থাহীন ব্যক্তি বাল্য কালে এইরূপ কঠোরতার সহিত সংগ্রাম করিয়া, ভবিষ্যৎ জীবনে অদুল কীর্তিমান যণন্বী হইয়া! গরিয়াছেন। ডাকার গুডিব, চক্রবর্তীর সম্বন্ধে এইবূপই শোনা ষায়। তিনি এক জনের বাঙ্গায় রন্ধন করিতেন; রন্ধন করিবার সময় পুস্তক লইয়া পাঠ করিতেন। ইনি ভবিষ্যৎ জীবনে এক জন যশত্বী চিকিৎ মক বলিয়া পরিচিত হন। বাল্যে বা যৌবনে: কঠোরতার সঙ্গে লংগ্রাম করিয়া ভবিষ্যৎ জীবনে কোন না কোঁন বিষন্ে কীর্তি- মান হইয়াছেন, এমন তৃষ্টান্ত ভারতে বা ইয়ুরোপে অনেক পাওয়া যায়। দারিদ্র্যের কঠোরতায় উবিষ্যৎ জীবনোন্নতির বাজ উপ্ত হয়। দারিদ্র্যের নির্রমতায়, অসাধারণ চরিত্র-শ্তি ধা বুদধি-বৃত্িপ্রক্ষুটিত হইয়া! উঠে; কঠোরতার উত্তেজিকা শক্তি, রিদ্ের শিরায় শিরায় শোণিত-প্রবাহে বিদ্যুৎ ছুটায় এবং ঠারিজ্যের আলিঙ্গনে শ্রীতি প্রকুল্পতা, অধ্যবসায় আত্মসংয্ম

৭৬. বিদ্যাসাগর

তাহার পক্ষে সহজসিদ্ধ হইয়া থাকে। এই জন্ত রিচার্‌ বলিয়াছেন ;--

£ণু 0010 000৮ 90 01089 (9 ৪৪ 6০ 0০0৮9: 136 ও] 00009) ৪০ 01১০0 0029 10 00 1966 11) 1169,

স্পেনীয্ষ কবি সারবেত্তিসের দ্ারিদ্যের কথায় এক জন বলিয়াছিলেন

“ইহার দারিদ্র্যে পৃথিবী ধনশালিনী।” অথাৎ তাহার গ্রন্থে জগৎ উপকৃত

সত্যসত্যই তো বুদ্ধিভ্রীবী শক্তিশালী ব্যক্তি, দারিদ্রের সঙ্গে সংগ্রাম করিয়া যে শক্তি ক্ষমত। সঞ্চয় করেন, আত্মীয়-পরি- জন-পরিবৃত অতুল ধনের উপর অধিষ্ঠিত ব্যক্তি অনেক সময় তাহা পারেন না। কার্ণাইল্‌ সাধে কি বলিয়াছেন;

গন 00 1088 1020619৫) আ919 16 0017 101) [০০৮ 900. 1910. 601], দ1]] 09 10000. ৪00206981 8200 0206 52্৮091:6 0285 159 ছা)0 00010 ৪৮৮7 9 11010610701) 0119 08619) 0078998160 &000106 078 100:051810) 2£009, ০: 9৮92) £956 00280160117, %010106 ৮] 009 ৪৮0৮

বালক বিদ্যাসাগর রন্ধনাদ্দি করিয়া ভ্রাতা পিতাকে মনের আনন্দে আহার করাইতেন এবং সততই আত্মপ্রসাদে প্রকল্প থাকিতেন। যাহাকে আমাদের কঠোর কষ্ট বলিয়া! মনে হয়, তাহা তাঁহার স্বখকর বলিয়াই মনে হইত। তিনি রদ্ধনের ক্লেশকে ক্লেশ বলিয়া মনে করিতেন না; অধিক্ত পাঠাভ্যাসে

শ্গ

দীরিদ্র-কঠোরত]। ৭৭

বিরাম পরিশ্রম করিয়াও কিছুমাত্র কই অনুভব করিতেন না

কষ্টের সীমা ছিল না। যেঘরে তিনি রন্ধন করিতেন, সে ত্বরটা অতি জবন্ত ছিল। একে তো ত্বরটা বাড়ীর সর্ক্ব নিযিতলে, তাহার উপর জানাল1 অতাবে ভয়ানক অন্ধকারময়। নিকটে

ছুইটা পাইথানা ছিল; সবতরাৎ ঘরটা সদাই দূর্দন্ধে পূর্ণ থাকিত মলমৃত্রের কীট সকল “কিলি বিশি? করিয়া বরের ভিতর ঢুকিত

ঈশ্বরচন্ম রন্ধন করিবার সময় ঘটাতে জল লইয়া বিয়া থাকি, তেন। পোকাগুলো ঘরের ভিতর ঢুকিলেই, তিনি জল দিয় ধুইয়া দ্রিতেন। এতদ্যভীত ঘরময় প্রাপ্র আরমুল! ঘুরিয়া ফিরিয় বেড়াইত। সময়ে সময়ে ভাতে-ব্যঞ্পনে আরম্ুলা। উড়িয়া পড়িত হঠাৎ্কোন দ্িবম ঈশ্বরচন্র্রের ব্যঞনের সঙ্গে একটা আরম্থল বাধা হইয়া গিয়াছিল। প্রকাশ করিলে বা পাতের নিকট

ফেলিয়া 1 রাখিলে, ভ্রাত্গণ বা পিতা দ্বণাপ্রযুক্ত আর ভোজন ক্ষরিবেন না, ইহা ভাবিয়া তিনি আরছুলাটী ব্যঞ্জানের মহিৎ

ভক্ষণ করেন। আহারের তো এই অবস্থা। শয়নের অবস্থা শুনিলে চমৎ

আধা

বন্দ্যোপাধ্যায় মহাশয়ের খে রর শয়নব্যাপারের

রর ্লিইরূপ পরিচয় পাইয়াছি। নারায়॥ বাবু বলেন, _“এক দি উন্দননগরের বাসা-বাড়ীতে আমি বলিলাম, বাবা ছোট ঘরে হইতে আপনার কষ্ট হইবে না তো? বাবা বলিলেন, বলি কিরে! ছেলে বেলায় বড়বাজারের বাসায় আমি দেড় হাথ

৭৮ বিদ্যাসাগর

চওড়া দুই হাত লম্বা, একটা বারাণ্ডায় প্রত্যহ শয়ন করিতাঁ বারাপ্ডার আলিস' আমার বালিস ছিল। আমি বারাগডার মাপে একটী মানুরী করিয়াছিলাম, সেই মাজুরীতেই শয়ন করিতাম। এক দিন রাত্রিকালে দেখিলাম, সেই মাজুরীর উপর আমার দুই ভ্রাতা শুইয়া আছে। আমি তাহাদের নিকট গিয়া অনেক ডাকা-ডাকি করিলাম; তাহারা কিন্ত কিছুতেই উঠিল না; তখন আমি তাহাদের নিজের বিছানায় গিয়া শুইলাম। শুইবামাত্র আমার গায়ে বিষ্ঠা লাগিয়া গেল। আমি তখন আস্তে আস্তে উঠিয়া একটু মজা করিব বলিয়া, যেখানে আঁমার সাধের বিছানায় আমার দুইটী ভাই শুইয়াছিল, সেই- খানে পিষ্বা, তাহাদিগকে ডাকিঘ্বা বলিলাম, উঠ্বি তো ওঠ, নাহলে তোদের গায়ে বিষ্টা মাখাইত্বা দ্িব। তখন তাহারা তাড়াতাড়ি উঠিপ্তা পড়িল। তাহাদিগকে উঠিতে দেখিয়া চলিয়া আমিলাম। সে রাত্রিতে আর নিদ্রা হয় নাই।” জগদ্,্লত বাবুর বাড়ীর সন্মুখে তিলকচন্্র ঘোষ নামক এক ব্যক্তির বাড়ীর নিমতলে একটা ঘরে ঈশ্বরচন্দ্র শযুন করিবার আদেশ পাইয়া- ছিলেন। তখন তাহার তৃতীয় ভ্রাতা শর্ডুচন্র কলিকাতা থাকিতেন। ভ্রাতা তাহার শয্যায় শয়ন করিতেন। বালক বিদ্যাসাগর পাঠাভ্যাস করিয়। অধিক রজনীতে শয়ন করিতেন। এক দিন ভ্রাত| বিছানায় মলত্যাগ করিয়া ফেলিয়াছিলেন! পাছে কথ! বলিলে, পেটের ব্যারাম হইয়াছে বলিয়া খাইতে না পান, সেই ভঙ্ষমে ভ্রাতা মলত্যাগের কথ প্রকীশ করেন নাই।

অধ্যয়ন অধ্বমায়। 9৯

ঈরচন্্র তো তাহা জানিতে পারেন নাই। তিনি প্রাতে উঠিয়া দেখেন, তাহার সর্কাঙ্ধে বিষ্ঠা। তখন তিনি বিষ্ঠা ধৌত করিয়া, স্বহুস্তে ভ্রাতার মলমুত্রাদ্ধি পরিষ্কার করিয়া ফেলেন। বিদ্যাসাগরের পিতৃ-মাতৃ-ভক্তি যেমন ছিল, ভ্রাতৃন্েহও বরাবর ঃতন্ধপ ছিল।

দর বালক নশ্বরচন্্র ষখন সাহিত্য শ্রেণীতে পড়িতেন, তখন ্ঠাহার উপর এক বেলা রদ্ধনের ভার ছিল। রাত্রিকালে পিতা উটার সময় বাসায় আসিয়া পাকাদি করিতেন। এত কষ্টেও উহার পাঠাভ্যানে ক্রটি ছিল না। তিনি কলেজে যাইবার ঈময় পুস্তক খুলিয়া পড়িতে পড়িতে যাইতেন) এবং কলেজ ইইতে আসিবার সময়ও রূপ পাঠ করিতেন। চিরকালই তিনি বিলাসে বীতস্পৃহ ছিলেন; অঞ্চয়ে সমর্থ হইয়াও মোটা কাপড় মোটা চাদর ব্যবহার করিতেন। বাল্যে তাহার জননী চরকাঘ্ব হৃতা কাটিয়া, বধ প্রস্তত করিয়া, িকাতার পাঠাইতেন। সেই যোট। কাপড় পরিফ্বা, তিনি কলেজে ঘাইতেন। নিদ্যাভ্যাসে তাহার ক্রটির কথ। শোনা নাই। দৈবাৎ একটু ক্রট হইলে, পিতা ঠাকুরদাস ভয়ানক ্ীঘন করিতেন। তিনিও পিতার শাসনকে বড় ভয় করিতেন। ল্যাবস্থায় তিনি সন্ধ্যার মন্ত্র ভুলিয়া গিয়াছিলেন। কথা [ন্বে একবার উন্লেখ করিয়া আঙিয়াছি। পিতা তাহাকে লীন করেন। করিবামাত্র তিনি সন্ধ্যার মধ দেখিয়া সন্ধ্যা করিয়াছিলেনশ

৯০ বিদ্যাসাগর

কাব্যে ব্যাকরণে ঈশ্বরচন্দ্রের অসাধারণ ব্যুৎ্পত্তি অত্যন্ত ব্যাপার। বীরসিংহ গ্রামে আদ্য শ্রাদ্ধাদি উপলক্ষে তিনি এত অল্প বয়সে অনেক সময় সংস্কৃত কবিতা রচন। করিয়া] দিতেন ' তাহার রচনা দেখিয়া, তাৎকালিক প্রসিদ্ধ পণ্ডিতমণ্ডলী অবাক হইতেন। মিলটন্‌ ত্রয়োদশ বর্ষে কবিতা রচন1 করিয়া, তাৎ কালিক বিলাতী প্ডিতবর্গকে মুগ্ধ করিয়াছিলেন। * জীবিত, সর্বত্র প্রচারিত প্রচলিত ইংরেজি ভাষায় কবিতা লিখিবার চেষ্টামাত্রেই যদি মিলটন্‌ প্রতিভাশালী বলিয়া অভিহিত হইতে পারেন, তাহ! হইলে বালক বিদ্যাসাগর অধুনা সংকীর্ণ-প্রচার অপ্রচলিত সংস্কৃত ভাষায় পণ্ডিত-জনমুগ্ধকর কবিতা রচনা করিয়া তদপেক্ষা অধিকতর প্রতিভাশালী বলিয়া কি পরিচিত হইতে পারেন না? সংস্কৃত ভাষা আজ যদি প্রচলিত থাকিত; সংস্কৃত যদি হিন্দু-সস্তানের সাধারণ শিক্ষণীয় পঠনীয় হইত, তাহা হইলে এই প্রতিভাশালী বাল-কবির মস্তিস্ক হইতে ভবিষ্য জীবনে অপূর্ব জ্যোতিশ্য়ী কবিতা নিঃস্ঘত হইয়া থে প্রতিভার পূর্ণ বিভায় দিগস্ত উদ্ভাসিত করিত মা, তাহাই বাঁকে বলিতে পারে ? বালক বিদ্যাসাগর শ্রাদ্ধদভায সমাগত পণ্ডিত-

£ 1715 0180 80691006820. 100910 দা০:৪ 00809 88 981] 95 115 136) 5687১ ৪০ 01086 109 15 &৪ ৪6105176 20 11780800504 097001য 98 01 00০ 01 0670108,০৮৮১118 58,

৩50999008 17001551) 14196791576

শিক্ষার ফল ৮১

মণ্ডলীর সহিত সংস্কৃত ভাষায় ব্যাকরণের বিচার করিতেন। তাহার সংস্কৃত-ভাষাভিজ্ঞতা কথনশক্তিশীলতার প্রত্তিপন্তি ক্রমে চারি দিকে প্রচারিত হইল। চারি দিকে ধন্য ধন্য রব টিল। লোকে বলিতে লাগিল, তিনি “অদ্বিতীয় পণ্ডিত।”

চতুর্থ অধ্যায়।

বিবাহ, শ্বশুরের পরিচয়, অলঙ্কারে প্রতিষ্ঠা) দয়া, সখ শ্রম

ঈগ্বরচন্দরের ভূয়সী খ্যাতি-প্রতিপন্তি হওয়ায়, নিকটব্ গ্রামবাীদের মধ্যে অনেকেই তীহাঁকে কন্তা সমর্পণ করিবার জন্য লালাধ্বিত হন। বিধির নির্বন্ধে, ক্ষীরপাইনিবাসী শত্রু ভট্রাচার্ধ্য মহাশয়ের সগুম ব্াঁয়া কন্ত দীনময়ীর সহিত তাহা বিবাহ হয্ব। বয়মে তাহার বিবাহ করিবার আদে ইচ্ছা ছিল না; কিন্তু পিতার অনুরোধে বিবাহ করিতে বাধ্য হন। দীনময়ী পাছুকা-কন্তা। পাহুকা-কন্তার মৌভাগ্যফলে স্বামী; লক্ষ্মী অচল হত্ব। দীমমদীর পতির অৃষ্টে তাহাই হইয়াছিল তাগ্যব্তী দীন্মরীও পুত্র কন্যা রাখিষ্কা স্বামীর পুর্বে ইহলোৰ পরিত্যাগ করিয়া, নিজ সৌভাগ্যশালিতার এবং শুভ গ্রহসম্পনন তার পরিচয় দিয়! গিয়াছেন। তিনি মৃত্যুর পূর্বে বহৃবর্ষব্যাপৰ' কুক্ুসাধ্য সাবিত্রী-ব্রত উদ্যাপন করিয়াছিলেন। অকল নারীর ভাগ্যে মধবা অবস্থার এই কঠোর ব্রত উদ্যাপিত কর] ঘটয়া উঠে না। অনেককে ব্রতের অনুদ্যাপিত অবস্থাতেই তনু ত্যাগ করিতে হয়। দীনমন্ীর কপাল তেমন ছিল না। তিনি প্রকৃত সাধধীরই মত সকল দিক বজায় করিয়া, পতিৎপুত্র রাখিয়া দিব্যধামে প্রয়াথ করেন। .

শ্বশুরের পরিচয়। ৮৩

এইখানে দীনময়ীর পিতা শক্রদ্ব ভট্টাচার্যের একটু . শ্রিচয় দিই। পরিচয়ে পরিণামের সম্পর্ক আছে। উইশৌরদের সম্বন্ধ বুঝাইবার জন্ত এই পরিচয়। শক্রপ্ন ভট্টাচার্ধ্য অতি তেজন্বী, ক্রোথী বলশালী ত্রাঙ্গ লেন। ততৎকালে ত্বাহার গ্রামে তাহার বলবস্তার লনা। পরন্ত তিনি সহজাতা জন্গদয়তা উদারতা গুণে ঘিজনের ভক্তি গ্রীতি আকর্ষণ করিতেন তাহার বলরত্া উদারতার ছুই একটী গল্প শুনুন। প্রতি ব্ষর ক্ষীরপাই সহরে গাজন হইত। ভঙ্রাচার্্য এই জনের অধিনেতা ছিলেন। গাজন লইয়া, সহর প্রদক্ষিণ করা নকার নিয়ম ছিল। স্বয্ং শক্রত্ব ভট্টাচার্য্য গ্রাজনের সঙ্গে দন যাইতেন। ুর্ভাগ্যবশতঃ একটা পন্লীর লোক, তাহার যম প্রতিপক্ষ হইয়া দঁড়াইয়াছিলেন। তাহাদের ' বিষম [তিজ্ঞা হইয়াছিল, তাহার? খক্রদ্বকে গাজন লইয়া তাহাদের যাইতে দিবেন না। শক্রুত্ব ভট্টাচার্য্য ইহা জানিতে যাছিলেন; কিন্ত বলঘৃপ্ত ব্রাহ্মণেরও প্রতিজ্ঞা হইল, টুনি যে প্রকারেই হউক, প্রতিপক্ষের পল্লীতে যাইবেন। তিনি ঈন লইয়া, সেই দিকে অগ্রসর হন; কিন্তু গিয়া দেখেন, পল্লীর সম্মুখে একটী হস্তী দণ্ডায়ষান, ভৎপশ্চাতে কিয়দ্দরে [ানি রধ; তৎপশ্চাতে আরও দূরে প্রতিপক্ষের অবস্থিত লন। ভট্টাচার্য্য বুঝিলেন, সব গরতিরোধের ব্যবস্থা চিনি কিন্ত কিছুতেই ত্রক্ষেপ না করিয়াই, পথ হইতে একখানি

৮৪ বিদ্যাসাগর

ইট্‌ কুড়াইগ্আা লইলেন। পরে হস্তীর শুও বগলে চাপিয়। রাখিয়া, সেই ইষ্টক খণ্ডে হস্তীকে এমনই প্রহার করিল যে, হস্তী তাহা সহ করিতে না পারিয়া, গর্জীন,করিতে করিতে পলায়ন করিল। পরে ভট্টাচার্য সবলে রখখানা একাকী টানিয়া ফেলিয়া দেন। দুর্দীস্ত বীরের বিক্রম-ব্যাপার দেখিয়া! প্রতিপক্ষ পলায়ন করেন। ভট্টাচ'ধর্য ক্রোধান্ধ হইয়া, একাকী তাহাদের পশ্চান্ধাবিত হন।, প্রতিপক্ষের দলপতি হালদার ভয়ে বাটীর দ্বার কুদ্ধ করিয়া দেন। ভট্টাচার্ঘ্য পদাঘাতে, লৌহকীলবিশিষ্ট দ্বার ভগ্ন করিয়া বাড়ীতে প্রবেশ করেন। ত্বাহার পায়ে একটা লৌহ-শলাকা ফুটিয়া গিয়াছিলু। তাহাতেও তাহার ক্রক্ষেপ ছিল না। ত্াহায স্টালক অন্তান্ত আত্মীত্ববর্গ আসিয়া, তাহাকে ধরিয়া ফেলিয়া বলিলেন,--“ভট্টাচাধ্য করিয়াছ কি,পায়ে যে পেরেক ফুটিয়াছে' ভটাচাধ্য বলিলেন,__“বটে বটে, টানিয়া বাহির করিয়া! লও ।" পেরেক বাহির করা হইল। ভট্টাচার্যের নিবৃন্তি নাই ।. তিনি প্রতিপক্ষের দলপতি হালদারের অন্বেষণে বাড়ীর ভিতরের দিকে ছুটিলেন। দলপতির লোকেরা ভঙ্্ে, তাহাকে এমনই স্থানে ভয়ঙ্ররূপে ইঞ্টকাঘাত করেন ষে, তাহাতে ভট্াচারধ্য বড়ই কাতর হইয়। পড়েন। তখন তাহার আত্মীয়ের তাহাকে ধরাধরি করিয়া লইয়া, তাহাকে বাড়টুতে লইয়া আজেন।

প্রতিপক্ষের দল ভাবিলেন, ভট্টাচাধ্যকে সাংশ্বাতিক আঘাত, লাগিয়াছে, তিনি বোধ হয়, আদালতে নালিশ করিবেন। ভটা' চাধ্যের মনোগত অভিপ্রায় জানিবার জন্য, ক্কাহারা এক জন

শ্বশুরের পরিচয়। ৮৫

চর পাঠাইয্বা দেন। ভট্াচার্ধ্য, চরকে দ্েখিয়াই গাহার অভি- আপ্ায় বুঝিয়াছিলেন। তিনি বলিলেন, “হালদার ভাবিয়াছে, [মি নালিশ করিব। নালিশ করিব কি রে ? উকীল-পেয়দাকে সা খাওয়াইব এবার সে ম়ারিয়াছে, আগামী বারে আমি রিব। নালিশ-ফৌদদরী করিলে কি, আর গাজন থাকিবে $* রি এই কথা শুনিয়া চলিয়া যায়। পরে প্রতিপক্ষ সকলেই ৃঁ ার বাড়ীতে আসিয়া উপস্থিত হন এবং ক্ষমা ভিক্ষা কয়েন লরপতি হালদার বলেন,_-“ভট্রাচার্ধ্য, তোমার বল-পরীক্ষার উপ করিয়াছিলাম। তুমি দ্বিতীয় ভীম বটে; তোমার বল নহে. মনুষ্যত্ব আছে। তোমার তেজ আছে ; তোমার বিষ্যৎ ভাবিবার বুদ্ধি আছে। আমায় ক্ষমা কর।” হালদারের কথা শুনিয়া, ভট্টাচার্য বলিলেন,__-“এ সব কথায় [নর কাজ নাই; আজ আমার বাড়ীতে তোমাদের সকলকে য়া যাইতে হইবে।” প্রতিপক্ষ-*ন, ভট্টাচার্যের নিমন্ত্রণ পরমাননে রক্ষা করিয়া, [লেন। তাহারা ভট্টাচার্যের বাড়ীতে পরম-পরিতৌপূর্ব্বক হারাদি করিয়া বিদার লইয়াছিলেন। | আর এক সময় ভট্টাচার্য, এক দোকানে বসিয়াছিলেন। সময়, চারি মণ কলাই-বোধাই এক' ছালা আসিয়া স্থত হয়। উপস্থিত সকলে বলিল,__“তট্টাচার্যয, তুমি যদি ছালা, বাড়ী লইয়া যাইতে পার, তাহা হইলে, তোমায় কলাই দি।” ভট্টাচার্য বলিলেন,_প্পারি বটে; কিন্তু ৮"

হু ধিদ্যামাগর |

জা হইয়া যাইব না; ছুই পাও ছুই হাত মাটিতে রাখিয়া, গক্ুর মতন চলিব; তোমরা আমার পিঠে এক খানি লেপ দিয়া, তাহার উপর কলাই চাপাইয়া দিবে ।" তাহাই হইল ভট্টাচার্য্য. ষেই খান হইতে প্রায় আধ ক্রোশ দূরে দেই চারি মণ ছাল! বহিয়া, বলদের মতন হাটি বাড়ী গিয়াছিলেন। তাহার সঙ্গে সঙ্গে প্রায় ২০০। ৩০০ ছুই তিনশ লোক থিখ্বাছিল। বাড়ীতে পেৌঁছিলে, সকলেই ভট্টাচাধ্যকে কলাই লইতে অনুরোধ করে. ভট্টাচাধ্য বলেন,_ গ্ভামি কলাই লইয়া কি করিব; কোথায় রাখিব? তোমরা উপযুক্তরূপ চাউল তরি-তরকারী প্রভৃতি লইয়া, এস; এই কণায়ে দাউল হউক ; রীধিয়া-বাড়িয়া, সবাই আনন্দে আহার করিব |” তাহাই হইল। এক সময় ভট্টাচার্যের গ্রামস্থ ঘোষ উপাধিধারী এক সদেগাপ 'নিকটবন্তা একটা খালের নিকট, বেণাবনের ভিতর লোক ঠেডাইয়া মারিত। ঘোষ খুব বলবান্‌ ছিল। গ্রামের লোক তাহার জন্য সদাই শঙ্কিত থাকিত। এক দিন ভট্টাচার্যের জ্যেষ্ঠ ভ্রাতা বলেন৮-“শতু, তুই থাকিতে ঘোষ জব্দ হয় না" শত্রত্ব- বলিলেন,__-"তাহার আর কি, এন্ড দিন তো বল নাই? শত্রুর, ঘোষকে জব করিতে প্রতিশ্রুত হইলেন 'শক্রদ্ধ এক দিন প্রাতঃকালে চুপি চুপি গিয়া, বেণবনে লুকাইয়! থাকেন, কিম্বতক্ষণ থাকিয়া, তিনি দেখিলেন, সমস্ত বন আন্দোলিত হইতেছে; বুঝিলেন, ঘোষ কাহাকে ধরিয়াছে।

শ্বগুরের পরিচয় ৮৭

বাস্তবিক ঘোষ গে দিন এক জন পশ্চিমে খোট্রাকে ধরিয়াছিল খোট্রাটী খুব বলবান্‌ ছিল। ঘোষ তাহাকে সহজে গাড়িতে রে নাই। দুই জনেই ধ্বস্তাধ্বস্তি হইতেছিল। ভট্রাচার্ধ্য এই

সময় তাহাদের সম্মুখে উপস্থিত হন। তাহাকে দেখিয়া ঘোষ

শীকার ছাড়িয়া সন্মুখে একটা সিমুল গাছে উঠিয়া! পড়ে। এই

সম খোট্টাটা অজ্ঞান হইয়া পড়িয়াছিল। ভট্টাচার্য্য তাহার

মুখে জল দিয়া তাহার চৈতন্য সম্পাদন করেন। পরে তিনি শিমুল বৃক্ষের তলায় গিয়া, বৃক্ষের উপর উঠিতে চেষ্টা করেন। . স্থুলকায় বলিম্বা উঠিতে না৷ পারিয়া, তিনি লিমুল-তলে দাড়াইয! রহিলেন। বলিলেন,-%ঘ্বোষ ! তুই কতক্ষণ থাকিবি? তোকে না মারিয়া আমি ষাইতেছি না।* ঘোষ গাছের উপর বমিয়া র্‌ থর্‌ কাপিতে লাগিল। সে কোন মতেই গাছ হইতে নামিল না। ঘোষ গাছ হইতে কিছুতেই নামিতেছে না ' দেখিয়া, ভট্টাচার্য বলিলেন,--“নামিয়া আয়; আমার পা টুইয়। দিব্যি করুযে, আর কাজ করিৰি না) তাহ'লে এখাত্রা! তোকে ক্ষমা করিব?” .. ঘোষ বলিল,“তুমি পৈতা ছুইয়া দিব্যি ক'র, আমি | নামিয়া *গেলে আমাকে মা'রবে না, তা হ'লে, আমি | নামৃব।”

ভট্টাচার্য হাসিয়া বলিলেন,_“আমি পৈতা ইয়া দিব্য

করিলে, বিশ্বাস হইবে কেন 1*

ঘোষ বুলিল।-_"আমি তোমার পা উুইয় দিব্যি করলে তুমি

৮৮ বিদ্যাসাগর

বিশ্বাস করবে? আর তুমি ব্রাহ্মণ পৈতা টুইয়া দিব্যি করলে আমি বিশ্বাস কর্ব না, বেশ কথা ।”

ভট্টাচার্য পৈতা উুইয়া দিব্য করিলেন। ম্বোষ নামিয়া আসিয়া ভট্টাচার্যের প' ছ্ুইয়। দিব্য করিল। ভটাচাধ্য ক্ষমা করিলেন। ঘোষ চলিয়া গেল। পরে ভট্টাচার্য সেই আহত খোট্রাটাকে সঙ্গে লইয়া বাড়ী ফিরিয়া যান। তিনি খোটাটাকে যথাযোগ্য আহারাদি করাইয়। বিদায় দেন।

ভট্রাচার্য্যের প্রতাপে সেই সময় অনেক দশ্ু-লেঠেল জব্দ হইয়াছিল।

এক বার তাহার পৃষ্ঠ-ব্রণ হয় ভাক্তার অস্ত্র করিবার পূর্বে “ক্লোরোফরমৃ" করিয়া তাহাকে অজ্ঞান করিবার উপক্রম করেন। তিনি বলেন, “অজ্ঞান কর্বে কেন অস্ত্র কর, জামি অজ্ঞান হইয়া আছি।” ডাল্তার ছুরি বসাইলেন, ছুরি ভাষা গেল। আবার ছুরি আনিয়া তবে অস্ত্র করিতে হয়।

দীনময়ী এই তেজন্বী পুরুষের কন্তা। এই তেজস্বিনীর পরিচয় ষথাশ্থানে পাইবেন। এখন ঈশ্বরচন্দ্রের পাঠ্য-প্রতিষ্টার পর্যালোচনা কর] যাউক।

পঞ্চ দশ বর্ষ বয়সে ঈশ্বরচন্দ্র অলঙ্কার-শ্রেণীতে, প্রবেশ করেন।* সেই সময় পণ্ডিত-প্রবর প্রেমটাদ তর্কবাসীশ

ক্গ ১২৪২ সালে ঈশ্বরচন্র অলঙ্কার শ্রেণীতে পাঠ করেন। ইতিপূর্বে শিক্ষ প্রথার প্রচলন-সন্বন্ধে ছইটী দল হইয়াছিল একটী দল প্রাচ্য-শিক্ষ1- প্রথা প্রচলনের, অপরটা পাশ্চাত্য-শিক্ষা প্রথা প্রচলনের পক্ষপাতী হইয়া

অলঙ্ক।রে প্রতিষ্টা ৮৯

শহাশয় অলঙ্কার শ্রেহ্ীতে অধ্যাপনা করিতেল্। এই শ্রেশীতে ঈশ্বরচন্দ অন্যান্য ছাত্র অপেক্ষা অন্গবয়ন্ক হিলেন। এক বৎসরের মধ্যে তিনি সাহিত্যদর্পণ, কাব্যগ্রকাশ, রসগন্াধর প্রভৃতি অলঙ্কার গ্রন্থ পাঠ করেন। অলঙ্কারের বাৎসরিক পরীক্ষায় তিনি সর্ষোচ্চ পারিতোষিক প্রাপ্ত হন। তখন পুস্তক টাকা পারিতোধিকের ব্যবস্থা ছিল। ঈশ্বরচন্্র এই কয়খানি পুস্থক পারিতোধিক পাইয়াছিলেন,-ছ্রঘুবংশ, সাহিত্যদর্পণ, রত্বাবলী, মালতীমাধব, উত্তররামচরিত, যুদ্রারাক্ষস, বিক্রমো- বশী, মুচ্ছকটিক। |

এক দিন পণ্ডিতপ্রবর তারানাথ তর্ববাচস্গতি মহাশয়ে, ধাড়ীতে উহাকে সাহিত্যদর্পণের আবৃত্তি করিডে দেখি, তাত্কালিক বিখ্যাত দর্শনশান্্বেতা। জয়নারায়ণ তর্কপন্টানন বলিযাছিশ্লেন,__“এত ছোট ছেলে সাহিত্যদর্পণের এমন জুন্দর 'আবৃ্টি করিতে পারে, ইহাই আশ্চর্যের বিষয়।” তর্দগঞ্জানন মৃহাশর) ঈগধচন্্রকে পরীক্ষা, করিয়া! বলিষাছিলেন,-+এই

ছিলেল। প্রথমতঃ প্রাচ' ''াঁর প্রচলন-কামীতরীই প্রবল হ্ইয়াছিলেন তদানীন্তন অনেক উচ্চপদস্থ «*ন্ত সরকারী কণ্মচারী তাহাদিগের সহিত যোগ দিয়াছিলেন। জমে কিন্ত দেশীয় শক্তিশালীব্যক্তিদিগের সাহায্যে অপর পক্ষ প্রবণ হইয়! উঠিল" ১২৪২ লালে লাট সাহেবের অন্যতম নভ্য মেকেল সাহেব অভিমত প্রকীশ করেন যে, ভারতে কেবল পাশ্চাতা- শিক্ষা প্রথ] প্রচলিত করাই উচিত !. ভীহারই মত প্রবল হইল। প্রাচা- প্রথা-কামীদের আর মন্তক তুলিবার শক্তি রহিল না। ইংরেজি শিক্ষা প্রসারের একটা সুদৃঢ় স্তর।

2১০ বিদ্যানাগর |.

বালকের বযোবৃদ্ধি হইলে, বালক, বাঙ্গালা দেশের অদ্বিতী লোক হইবে।” :

এই সমধু, ঈশ্বরচন্ম কলেজে মাসিক ৮২ আট টাকা কৃ প্রাপ্ত হন।* তিনি ষ'হা বৃত্তি পাইতেন, তাহা পিতাকে আনিয়া দিতেন। পিতা, পুত্রের প্রথমাবস্থার বৃন্তি-লব্ধ টাকায় বীরসিংহ গ্রামের নিকট কতকটা জমি ক্রন্ন করিয়াছিলেন। এই জমিতে তাহার টোল বসাইবান্ধ সংন্ষন্ ছিল। টোল বসাইয়া ভাদ্র রাখিদ্রা, মংস্কত শিক্ষার প্রমার বৃদ্ধি করিবেন, পিতার সাব বরাবরই ছিল। পুত্রের বিদ্যা-গৌরব-সংকৃদ্ধির সঙজে তাহার চিরপোষিত সাধ অংবর্িত হইয়াছিল। বিদ্যাসাগর মহাশয়, প্রায়ই বন্ধু-বান্ববদিগের নিকট কথ! বলিতেন। তিনি ষে টাকা বৃত্তি পাইতেন, পরে গিতা তাহ। সমস্ত লইতেন না। _ ঈশ্বরচন্দ্র, বৃত্তির টাকার হস্ত-পিখিত পুঁথি ত্রয্ধ করিয়া ছিলেন। আজিও সব পুঁথ তাহার লাইব্রেরিতে বিদ্যমান আছে। 1 কেবল তাহাই নহে। তিনি বাল্যকাল হইতে পরছৃঃখ-মোচনে ব্রতী হুইয়াছিলেন। সেই ক্ষুদ্র বুকথানি, অনন্তব্যাপিনী দয়ার আধার। তার দয়। পৃথিবী-

পপ

* এই অময় কলেজে মাসিক ৫২ পাঁচটাকা ৮৯ আট টাক! বৃত্তি ব্যবস্থা ছিল৷

+ বংনর কতক পুর্বে কোন স্থত্রে বিদ্যানাগর মহাশয়ের সহিত আলাপ-পরিচয় হওয়ায়, এই পখিগুলি দেখিবার সুযোগ ঘটিয়াছিল। মুদ্রিত অন্তান্ত সকল গ্রদ্থের স্তায় ইহা সত্ে রক্ষিত।

দয়া। ০১

ব্যাপিনী; কিন্ত দা যেমন, উপায় তো! তেমন নহে; তবুগ মে কোন উপায়ে যথাশক্ি দানে, দীনের ছুঃখোদ্ধারে তিনি প্রাথান্ত গণ করিতেন। অবশিষ্ট যে টাকা থাকিত, তিনি সেই টাকায় জন খাইতেন। জল খাইবার অময়, ঘে সকল বালক তাহার নিকটে থাকিত, তিনি তাহা" দিণকেও জল খাওয়াইতেন। কাহারও ছ্রেঁড়া কাপড় 'দখিলে, নিজের হাতে পরমা না থাকিলেও দরওয়ানের নিকট ধার করিঘা, ভাহাদের কাপড় কেনিয়া নিতেন। বাসায় কেহ মিলে, তৎক্ষণাৎ তিনি তাহাকে জল খাঁওযাইতেন। গে 'ানিত, ঈগ্রচন্ত্ী বড় মানুষের ছেলে) কিন্ত ঈঙ্গর কিসে বড়) হাহা তো বুঝিত না। তিনি ধশে বড় ছিলেন না; তাহার মহত মন ছিল; তাহাতেই অবাধে এদ্দপ করিয়া যাইতেন। 'কাঁন সমববঙ্ক বালকের পীড়া হইলে, তিনি সকল কাধ্য পরিত্যাগ করিয়া, তাহার সেবা-শুশ্রাধা করিতেন। কাহারও কোন সংক্রামক পীড়া হইলে, অপর কেহ তাহার নিকট যাইত 1) তিনি কিন্ত অম্।নব্দনে অকঠিত চিত্তে, তাহার মল- মহাদি পরিষ্কার করিতেন। বালক বিদ্যামাগর, যখন বীবুসিংহ গ্রামে াইতেন, তখন সন্ধাগ্রে গুরুমহাশয় কালীকান্তের বাড়ীতে গ্িরা, তাহাকে প্রণাম করিতেন। পরে ক্রমে ক্রমে তিনি প্রত্যেক প্রতিবাসীর বাড়ী বাড়ী গ্রিরা, সকলের তত্ব লইতেন। কাহারও গীড়াদি হইলে নির্বিকার চিন্তে তাহার সেবাশুশ্রীধাদি করিতেন। এই

১হ বিদ্যাসাগর | জন্য তখন বালক বিদ্যাসাগর গ্রামবাসী কর্তৃক দয়াময় নাষে অভিহিত হইতেন। তিনি তখন বিদ্যাসাগর হন নাই; কিন্ত দ্য়াসাগর হইয়াছিলেন। কুকুর ঝিড়ালটা'মারিলেও তাহার চক্ষে জল আসিত। মরি! মরি! মদ বালকের কি অসীম দয়! ধাহারা বাল্য কালে তাহার মাননীয় ছিলেন, বয়সে তাহার! স্তাহার নিকট সমান সম্মানই পাইতেন। তাহারা বিদ্যা'বুদ্ধিতে হীন হইলেও, বিদ্যাসাগর বিদ্যাভিমানে বা পদ গৌরবে গর্বিত হুইয়া কখনই তাহাদের প্রতি অসম্মান প্রকাশ করিতেন না; বরৎ তাঁহারা পুর্বকার ন্সেহভাব বিস্মৃত হইয্বা, তাহার প্রতি সম্মান প্রকাশ করিলে, তিনি কুষ্ঠিত লঙ্জিত হইতেন। বিদ্যাসাগর মহাশয় ষখন কলেজের উচ্চ পদ প্রাপ্ত হইয়াছিলেন, তখন কলেজের তদানীস্তন কেরাণী রামধন বাবু তাহাকে দেখিয়া, সসন্্রমে গাত্রোখান করিতেন পাঠ্যাবস্থায় বিদ্যাসাগর ইহার পরম ন্েহভাঁজন ছিলেন। ইহাকে এইরূপ সসন্তরমে সম্মান করিতে দেখিয়া, বিদ্যাসাগর এক দিন বলিয়াছিলেন,৮_ “আমি আপনার সেই ন্বেহপাত্র আছি, আপনি অমন করিয়' আমাকে লজ্জা দিবেন ন1।” বিদ্যাসাগরের অমায়িকতা বিনয়নআতা দেখিয়। রামধন বাবু বিস্মিত হইয়াছিলেন। বিদ্যাসাগরের বাল্য কালে সখ. সাধের মধ্যে ছিল, কবির গান শোনা তিনি সমবয়ন্ক বালকদিগকে লইয়া কবির গাল করিতেন। কবির গানপ্রিয়তা-সন্বন্ধে এইরূপ একটা গল্প আছে। তিনি যখন চাকুরী করিয়া উপায়ক্ষম হন, তখন এক দিন স্বগ্রীম

মি

| ,আছে। তিনি তখন ভাহাঁকে বলিলেন, “ভাই ! আমি তোমার

সখ। ৯৩

হইতে কলিকাতা আ্াসিতেছিলেন। মধ্যে তিনি এক রাত্রি এক চটাতে অবস্থান করেন। প্রাতঃকালে তিনি শুনিলেন, চটাতে এক জন অতি সুমিষ্ট-স্বরে কবির গান গাইতেছে। তিনি উঠিয়া গিয়া সেই লোকটার নিকট গমন করিলেন। যত ক্ষণ সেগান করিতেছিল, তিনি তত ক্ষণ নিঃশবে আনন্দোৎতুক জদয়ে গান শুনিতেছিলেন। গান্জ্থামিয়া গেলে, তিনি জিজ্ঞাসা করিয়া! জানিলেন, লোকটীর বাড়ী তথা হইতে ৬।৭ ছয়সাত

ক্রোশ দূরে এবং তাহার নিকট অনেক কবির গান সংগৃহীত

সঙ্গে যাইব; আমাকে তোমায় কতকগুলি গান দিতে হইবে ।” লোকটা স্বীকার পাইল। পরে তিনি সেই লোকটীর বাড়ীতে গিয়!) অনেক গান সংগ্রহ. করিয়া আনেন যেখানে যে কবির

গান শুনিতেন, তিনি তাহা সংগ্রহ করিয়া রাখিতেন। তাহার নিকট কবির গানের এক খানি প্রকাণ্ড খাতা ছিল। সখের মধ্যে এই কবির গান শোনা মাত্র এবং খেলা ছিল কেবল কগাটা লাঠি-খেল!। তিনি অনেক সময় সমবয়স্ক বালকদ্িগের সক্ষে জুটিয়া মাঠ হইতে ধান কাটিয়া আনিতেন।

বিদ্যাসাগর যে দয়া সরলতার গুণে অমর হইয়া রহিলেন, তাহারই পরিচয্ব পাঠক, বিদ্যাসাগরের এই বাল্যে পাইলেন।

এই সব কথা এবং বাজার করা, রন্ধন করা প্রভৃতির কথা, বন্ধু-বান্ধবদিগ্রের নিকট অবসর-ক্রমে খুলিয়া বলিতে তিনি কখন কুঠিত বা লজ্জিত-হইতেন না। ইহাতে তো মইতের মাহাত্ব্য-

৯৪ বিদ্যানাগর |

ত্রুটি হয় না; বরৎ এই মর কথা, শ্রোতার যুখ হইতে প্রচারিত হইয়া, সাধারণের অনেক বিষয়ে শিক্ষাস্থানীয় হয়।

অলঙ্কারের শ্রেনীতে পড়িবার সময় তাহাকে দুই বেলা রন্ধন করিতে হইত রন্ধন-ভারে গুরুতর পাঠ পরিশ্রমে তিনি উন্রাময় রোগে আক্রান্ত হন। প্রত্যহ রক্তভেত্ব হইত। কলিকাতায় রোগ আরাম হইল না। অগত্যা তাহাকে পল্পী- গ্রামে যাইতে হইল। সেখানে দিনকতক থাকিয়া রোগ সারিয়। যায়। তিনি কলিকাতায় ফিরিয়া আসেন। এবারও সেই রন্ধন অধ্যয়ুন। তবে মধ্যম ভ্রাতা দীনবন্ধু বন্দ্যোপাধ্যায় অনেকট। সাহায্য করিতেন. এবৎ মধ্যে মধ্যে বাজারও করিয়! দিতেন। এক দিন দীনবন্ধু, সন্ধ্যার সময় বাজার করিতে গিয়া, ষোড়ার্সীকোর নূতন বাজারের এক স্থানে বসিত্বা ঘুমাইয়া পড়িয়াছিলেন। ঈশ্বরচন্দ্র অনেক রাত্রি পর্ধ্যত্ত ইতস্ততঃ বছু- দ্রিকে অনুসন্ধান করিতে করিতে, নৃতন বাজারে যাইয়া ভাতাকে নিদ্রিত অবস্থায় দেখিতে পান এবং তথা হইতে তাহাকে তুলিয়া লইয়া আদেন। শুনিতে পাই, ইহার পর হইতে, ঈপ্বরচন্, আর ত্রাতা দীনবন্ধুকে একাকী বাহিরে বাই দিতেন না।। |

পঞ্চম অধ্যায়।

শমৃতিতে প্রতিষ্ঠা, পিতৃতক্তির পরিচয়, বেদাত্ত পাঠ, পিতৃ্ণে কষ্ট, ন্ায়-দর্শনে প্রতিষ্টা, ব্যাকরণের অধ্যাপকতা, পাঠসমাণ্ডি প্রশংসাপত্র

অলঙ্কারের পাট সমাপ্ত হইলে পর) ১২৪৪ মালে বাঁ ১৮৩৭ ষ্টাবে তিনি স্মৃতির শ্রেণীতে প্রবেশ করেন। তৎকালে কলেজে মৃতির পূর্বে স্তায়- দর্শন তংপরে বেদাস্ত পড়িতে হইত ঈপ্বরের ইচ্ছ! ছিল, মৃত গড়িয়া, “ল কমিটির” পরীক্ষা দিবেন তংপরে *ল কমিটি" পরীক্ষায় উত্বীর্ণ হইয়া, জজ-পণ্ডিতের গদ- প্রাপ্রিই তাহার মুখ্য উদ্দেশ্ত ছিল।* কর্তৃপক্ষের অনুগ্রহে তিনি ্তায়-দর্শন বেদাস্ত পড়িবার পূর্বে স্মৃতি পড়িবার আদেশ পান। ঈশ্বরচন্দের বয়ম তন ১৭। ১৮ সতর আঠার বৎসর

০২

৬৮--পপাপা পাশা

-পত

2521 .. * বিশ্ববিদালয় স্বপনের পূর্বে মদর কোর্টের (এধনকার হাইকোর্ট) উকিল হইতে হইলে “ল* কমিটির অধীনে পরীক্ষা দিতে হইত। 'ল” কমিটি সদর কোর্টের অন্তর্গত ছিল। কমিটির অস্তিত্ব এখনও লোপ পায় নাই। কমিটি এখন “র্লিডারমিপ” “মোক্তারনিপ” গরীক্ষা গ্রহণ করেন বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপিত হয় ১৮৫৭ খুষ্টাকে। বৎমর হইতে “্ল এক্‌জামিনেনন" প্রতিচিত হয়। অতঃপর নিয়ম হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ে 'ল" পাম দিলে, তবে সদর কোর্টের উকিল হইবে; কমিটিতে পরীক্ষা হইবে না। ভদবধি কমিটি “প্লিডারসিপ” এবং “মোক্ারসিপ" পরীক্ষা : করিতেছেন। পূর্বে প্রতোক "জিলায়, যথাশান্ ব্যবস্থা দিবার জন্য, এক এক জন ধর্মশান্ত্রজজ পণ্ডিত নিযুক্ত ছিলেন। তাহার] মচরাচর আদালতের সম্ততণ্ডিত বলির! উল্লিখিত হইতেন।

৯৬. _.. বিদ্যাসাগর

হইবে। ঈশ্বরের অদ্ভূত কীর্তি! ভাবিলে বিস্মত্ধে লোমাঞ হইতে হম্ব। জচরাচর ২।৩ ছুই তিন বং্সরে পণ্ডিতগণও স্বৃতির পাঠাভ্যাস করিয়া উঠিতে পারিতেন না। বালক ঈশ্বরচন্দ্র ছয় মাষে পড়! সাঙ্গ করিয়া "ল কমিটীর” পরীক্ষা দেন. এবং প্রশংফিতরূপে উত্তীর্ণ হন। . এই ছয় মাদ, কাল তিনি রদ্ধনাদি করেন নাই। ছয় মাম কেবল প্রত্যহ ২।৩ ছুই তিন ঘণ্টামাত্র নিদ্রা যাইতেন। স্মৃতি হার : ক্ঠস্থ'হইয়াছিল। অধ্যাপক এবৎ সহপাঠিগণ তাহার এতাদৃশ অভূত শক্তি দেখিয়া! আশ্চর্যযান্বিত' হ্ুইতেন। এমন নহিলে কি মানুষ ভবিষ্যৎ জীবনে যশ্বী হইতে পারে বিদ্যাসাগর মহাশয়ের এই অদ্ভূত শক্তির কথা যখনই আমাদের স্মৃতিপথে উদ্দিত হয়, তখনই মহাকবি ভবভূতির সেই স্বজাক্ষর গ্রতীর' ভাবপূর্ণ শ্লোকটী মনে পড়ে ;__

“বিতরতি গুক্ষঃ প্রাজ্রে বিদ্যাৎ যণৈধ তথা জড়ে

তু খলু তয়োজ্ৰণনে শক্তিৎ করোত্যপহস্তি বা।

তবতিচ তয়োর্ভুয়ান্‌ ভেদঃ ফলং প্রতি তদ্যধ।

প্রভবতি শুচী বিন্বগ্রাহী মণির্ন মৃদাৎ চু ।”

তাবার্থ ;_-গুরু, বোধ এবং নির্ধা্ধি দ্বিবিধ ছাত্রকেই

সমভাবে বিদ্যা বিতরণ করেন; কিন্তু তদুভয়ের বুঝিবার শব্কি বাড়াইতে বা কমাইতে পারেন না। বিদ্যা-ব্ষিয়ে যে পূর্বোক্ষ ছাত্্বয় প্রভূত পার্থক্য প্রাপ্ত হন, ইহা বল! বাহুল্য নির্ুল মণি) প্রতিবিষ্ব-গ্রহণে সমর্থ হয়, মৃৎ্পিও কিন্তু হয় না

বেদান্ত পাঠ। ৯৭

ঈরচন্দ্র যে সময় “ল কমিটী"্র পরীক্ষান়্ উত্তীর্ণ হন, সেই সময় ত্রিপুরা জেশ্লাব্ জঙগপণ্ডিতের পদ শূন্য হয়। তিনি পরীক্ষা $উীর্ণ হইয়া, এই পদের জন্ত প্রার্থনা করেন। প্রার্থন! 7 হইতে বিলম্ব হইল না; কিন্ত পিতা তাহাকে যাইতে ষেধ করেন। পিতৃভক্ত পুত্র, পিতার অনুরোধে আকাজ্ষা য় রি দিলেন। ষে পিতার সংসারকেশ-লাবের জন্ত হার এই পনদ-প্রার্থনা, সেই পিতা, ঘখন তাহাকে নিষেধ তখন কি পিত্প্রাণ পুত্র তাহ। অগ্রাহছু করিতে রেন? পিতাই ষে তাহাত্র একমাত্র আরাধ্য-দেবতা এবং তা! থে একমাত্র আরাধ্য! দেবী ছিলেন। তাও বটে; আর দুইও তাহাকে অন্ত পথে লইরা যাইল না। আরও দুইটী বদ তাহার বাকি ছিল। দর্শন শাস্ত্র পড়া হয় নাই। তিনি ক্জপর্ড্তের পদ না লইয়া বেদান্ত শ্রেণীতে প্রবেশ করেন দেই সমক্ব শঙ্ৃচন্দর বাচম্পতি মহাশয় বেদাস্তের অধ্যাপক ছিলেন। বেদান্ত পড়িবার সময় ঈশ্বরচ দু গণ্য রচনায় সর্ব্বোচ্চ য়া ১০০২ এক শত টাকা পুরস্কার পান কষ্টের জীবনে দুঃখের স্ত কি সহজে হয়? সকলই ভগবানের পরীক্ষা বৈ তো নয়। পূর্বেই এক বার বলা গিয়াছে, তৎকালে ঈগ্ররচন্রের তৃতীয় তা শড়ূচন্দ্র কলিকাতার বাসায় উপনীত হন। বাসার একটী লাক বাড়িল; সুতরাৎ তাহার কাধ্যও বাড়িল। এতছুপরি ধাম পুত্র দীনবন্ধুর বিবাহ দিয়া, ঠাকুরদা বড় খণগ্রস্ত পছইয়া, পড়েন) কাক্ষেই ব্যয়ের হা করিতে হইল। এই

টি

৯৮ বিদ্যামাগর |

সময়ের ঘটনার উল্লেখ করিয়া বিদ্যাসাগ্র মহাশয় এক দিন জামাদিগের কোন বন্ধুর নিকট বলিয়াছিলেন,--“বাল্যকালে আমি অনেক কষ্ট পাইয়াছি; কিন্ত কোন কষ্টকেই এক দিনও কষ্ট বলিয়া ভাবি নাই; বরং তাহাতে আমার উৎসাহ-উদ্যম সন্ধিত হইত) কিন্ত ভাইগুলির কোন কষ্ট দেখিলে আমার থে কি অন্তর্ধীতনা হইত, তা আর কি বলিব!” বিশ্বপ্রেমিক বিদ্যাসাগরের পক্ষে ইহা বিচিত্র কি!

যখন পিতা ঠাকুরদাক্ষ কলিকাতার বাসার ব্যয় কমাইয়া দেন, গুনিয়াছ্ি--তখন বৈকালের জলখাবার জন্ত আধ পয়সায় ছোলা আনিয়া ভিজান হইত এবং আধ পয়সার বাতাস! আমিত। ভজা ছোলার অর্ধেকে আবার রাত্রিকালে আলু-কুমড়ার ব্যঙ্তী প্রশ্নত হইত। প্রাতে রাত্রিতে কুমড়ার ডালনায় পোস্ত দিয়া ছোলার ব্যগ্তন হইত। ঈশ্বরচন্ত্রই ছুই বেলা পাক করিতেন। তাই ছুইটীর পাতে তরকারী দিবার সময় তিনি চক্ষের জঙগ সংবরণ করিতে পারিতেন না। এই সময় আহারের যেমন কষ্ট ; আবার থাকিবার ততোধিক কষ্ট হইয়াছিল। পিতা খণগ্রস্ত, ইহার উপর আশ্রক্বদাতা পিংহ পরিবারও খণগ্রস্ত পিতা পুত্রগুলিকে লইয়া তে-তলায় শয়ন করিতেন; কিন্তু জগদৃছুল্নভ বাবু তে-তলাটী এক জনকে ভাড়া দেন। কাজেই তাহাদিগকে নিয়ে একটা ভদ্রলোকের বামের অযোগ্য জঘন্ত গৃহে বাস! করিতে হয়। কঠোর পরীক্ষা

ইহাতেও ঈশবরচন্র অকুঠিত। তিনি এই জময় স্বায়-

স্যায়-দর্শনে প্রতিষ্ঠা ৯১

_ মর্শন শ্রেণীতে প্রবিষ্ট হন। মহাঁপগ্ডিত নিমষ্টাদ ণিরোমথি মহাশয়, ায়শাস্ত্ের অধ্যাপক ছিলেন ।* ত্যায়-দর্শনের দ্বিতীয় বৎসরের পরীক্ষায় ঈশ্বরচন্্র সর্বপ্রথম হইয়া ১০০২এক শত টাক! এবং কবিতা রচনায় ১০০২ এক শত টাক পুরস্কার পান। কখরচন্রের কি অছৃত্ত শক্তি! তিনি পাচ বৎসরে দর্শন শরান্তের পাঠ সমাপ্ত করেন। আর কেহ ৮।১* আট দশ বসবে ষ্কাহ পারিতেন, কি না জন্দেহ। প্রতিভা আর কাহাকে বলে? দায় তৃতীয় ভ্রাতা শ্রীণুক্ত শত্ৃচন্দ বাবু বলেন,__*যৎকালে ধতিনি দর্শন-শ্রেণীতে অধ্যয়ন করেন, তখন দেশে যাইলে অনেকের সহিত বিচার হইত) সকলেই তাহার সহিত বিচারে ন্ট হইতেন। কুরাণগ্রামবাসী সুবিধ্যাত দর্শনশাস্থবেতা রামমোহন তর্কসিদ্ধান্তের সহিত তাহার প্রাচীন স্তায়গ্রন্থের বিচার হয়। বিচারে তর্কসিদ্ধান্ত মহাশয়ের পরাজয় হয়। ইহা শুনিয়া পিতৃদেব তর্কসিদ্ধাত্ত মহাশয়ের প্দরজ লইয়া! দাদার 'মস্তকে দেন। বিষয়ের জন্ত শঙল্তুচন্্র বাবুর উপর নির্ভর করিতে হইল। বিদ্যাসাগর মহাশয়ের জীবনী- :স্দ্ধে যে সকল মহোদয়ের নিকট হইতে অন্তান্ত সকল বিষয়ের নিগঢ় তত্ব আমরা পাইয়াছি, তাহাদের সকলকেই কথা জিজ্ঞাসা করিয়া, কিন্ত অদুত্বর পাই নাই। কেহ কেহ

* এই নময়ে এই নিম্ীদ শিরোমণির মৃত্য হওয়ার পর ঈশ্বরচক্ত্রের 'চেষ্টায় পশ্ডিত জয়নারায়ণ তর্করতু ভাহার পদে অধিঠিত হন ইহা প্াঠ্যাবস্থারও প্রতিপত্তি-পরিচায়ক।

১০০ বিদ্যাসাগর

তর্কচ্ছলে বলিতে পারেন,--অগ্রজ-সম্বন্দে তখনকার অনেক কথা শড়্ু বাবুর মনে থাকিবারই সম্ভাবনা; অথচ কথাটা বিদ্যাসাগর মহাশয়ের হ্যায় তীক্ষ-বুদ্ধি প্রতিভাশালীর পক্ষে অসম্ভবও নয় আমর] কিন্ত বিপরীত ঘটনার সংবাদ সংগ্রহ করিতে পারিষাছি। দর্শনবিদ্যায় তাহার ষে রীতিমত পার- দর্শিতা জন্মে নাই তাহাতে যে তীহার তাদুশ প্রবৃত্তি ছিল না, তাহার গল্প, বিদ্যাসাগর অনেক জমবে অনেকের নিকট করিতেন।

ঈশ্বরচন্তর সংস্কৃত কলেজের শেষ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হইয়া) কলেজের পাঠ সমাপন করিলে, কলেজ হইতেই “বিদ্যাসাগর** উপাধি প্রাপ্ত হন। বিংশতি-বধাঁয় যুবক-_“বিদ্যাসাগর 1” এমন ভাগ্যবান সংসারে কয় জন? ব্যাকরণ, সাহিত্য, দর্শন, স্মৃতি প্রভৃতি বিদ্যায় বিশারদ হয়, বিংশতি বর্ষ বয়ঃক্রমে কয় জন? কি অপূর্ব বুদ্ধি-বিক্রম! কলেজের অধ্যাপক-মাত্রেই বিম্মিত! যিনি ব্যাকরণের অধ্যাপক, তিনি ভাবেন,--"আমি ধন্ত”? ; যিনি সাহিত্যের অধ্যাপক, তিনি বলেন,_“আমার অধ্যাপন। সার্থক” ; যিনি দর্শন-ম্মৃতির অধ্যাপক, তিনি মুক্ত"

* বিদ্যানাগর মহাশয়ের তৃতীয় ত্রাত শ্রীযুক্ত শত্তুচঙ্র বাবুর মতে «১৮৪৬ থুষ্ট অব্দের শেষে পাঠ্যাবস্থা শেষ করিয়া নংক্কৃত কলেজ পরিত্যাগ নময়ে উক্ত কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপকগণ অগ্রজ মহাঁশয়কে বিদ্যাসাগর উপাধি প্রদান করেন।” ১৮৪৬ খৃষ্টা নিশ্চিতই তুল? কেননা, তিনি নংস্কৃত কলেজ পরিত্যাগ করিয়া, ১৮৪১ খৃষ্টাব্দে ফোর্ট উইলিয়ম কলেজে প্রথম চাকুরি করেন।

গ্রশহলা-পত্র। ১০১

কঠে স্বীকার করেন,--ঈশ্বরচন্ত্র নিশ্চিতই অসাধারণ-শভি” সম্পন্ন” প্রত্যেকেই প্রত্যেক শান্ত্রের প্রশংসাপত্র প্রদান করেন। প্রমংসাপত্রে সকল বিষয়ের তত্তদ্িষয়ক অধ্য]পকের মতামতের একত্র সমাবেশ দেখিতে পাইবেন, “বিদ্যাসাগর? উপাবি-লিখিত প্রশংসাপত্রে। এই পত্র, কলেজের তদানীস্ত ধ্যক্ষ_রসময় দত্তের স্বাক্ষরিত। ১৭৬৩ শকের (১২৪৮ লালের ) ২০শে অগ্রহায়ণের বা ১৮৪১ ধৃষ্টাবের ১০ই ডিসেম্বরের গ্রদত উক্ত পত্রের অনুলিপি এই,__

£ “অস্মাভিঃ শ্রাঈশ্বরচন্র বিদ্যাসাগরায় প্রশংসাপত্রং দীয়তে দে কলিকাতায়াং+ শ্রীমুতকোম্পানীসংশ্থাপেতবিদ্যামন্দিরে দ্বাদশ বৎসরান পঞ্চ মাংসাৎশ্চোপস্থায়াধোলিখিতশান্্রাণ্য-

ধীতবান্‌। ব্যাকরনী5.25525557858 শ্রীঙ্গাধর শর্মভিঃ কাবাশাস মু .::.৮০.১১৭১০৪০ শ্লীজয়গোপাল শশ্মভিঃ অলঙ্কা নশাস্ত্রমৃ.....১.....১.১১০০ শ্ীপ্রেমচন্দ্র শশ্মভি; বেদান্তশান্রমৃ,১......,৭০০ৎ৭ শ্রীশন্ূচন্দ্র শব্মভিঃ ায়িগাতিয77754765 শ্রীজয়নারায়ণ শন্মভি? (যা তিশা 758555 আযোগধ্যান শর্মভি; ধগাতির:১০১১5:558। উশন্তুচন্্র শর্মভি?

সুশীলতয়োপন্থিতস্তৈতশ্তৈতেষু শাস্সেমু মুমীচীন। টি রজনিষ্ট। ১৭৬৩ এতচ্ছকাবীয় সৌরমার্গশীর্ষস্ত বিংশতিদিবশীয়ম্‌

(93), “0:5880১0) 10068) ৫0:98, 10 19908, 1841,

১০২ বিদ্যামাগর।

ঈশ্বরচন্ত্র ছুই মাম ৫*২ পঞ্চাধ টাকা বেতনে ব্যাকরণের দ্বিতীয় শ্রেণীর অধ্যাপক্ক হইয়াছিলেন। এই টাকায় পিতা ঠাকুরদাস গ্রয়া তীর্থ পর্যটন করিয়া! আমেন। এই ছুই মাস কাল মাত্র তাহার অধ্যাপনা-পরিপাটী দেখিয়া, অন্তান্ত অধ্যাপক ছাত্রবর্গ মুগ্চিতে হার অর্বতোমুখী শক্তি স্বীকার করেন। |

পঞ্চম অধ্যায়।

অংন্কৃত রচনা, পরীক্ষার ব্যবস্থা, পরীক্ষার রচনা, অনুরোধে রচনা, স্বেচ্ছায় রচনা আমাদের বজব্য।

কলেজের পাঠ সমাণ্ড করিয়া, ঈশ্বরচন্্র চাকুরীতে প্রবৃত্ত পরবস্তাঁ অধ্যায় হইতে তদ্ধিবরণের বিবৃতি আরম্ভ হইবে। স্কত কলেজে পাঠের সময় তিনি যে সব রচনা লিখিয়াছিলেন, . রা 1র একত্র সমাবেশ হইলে, পাঠকগণের পড়িবার সুবিধা ক্ইইবে বলিয়া, এই অধ্যায়ে সেই সমস্ত সঙ্গিবেশিত হইল

রচনা, সাহিত্য-শিক্ষার সবিশেষ সাহাধ্যকারিণী। রচনা জগাহিত্যের শিক্ষা-পুষ্টির পরিচয় যে সময় ঈশ্বরচন্দ্র সংস্কৃত (কলেজে বি মে সমস্ব রচনার উতকর্ষ-সাধন জন্য, কলে-

সী পরম লীতি উৎপাদন করিত পিতৃদেবের মুখে শুনি- পৃ ধন রচনার জন্য যেমন ছাত্র-শিক্ষকের আগ্রহ দেখ

1 সু 1

টখাইত, এখন আর বড় তেমন দেখা! যায় না। এখনকার মতন তথ্ন বিশ্ব-বিদ্যালয়ী বিমিশ্র শিক্ষার কাধাবাধি তো! ছিল না।

১০৪ বিদ্যাসাগর

তখন ধাহার যে বিষয়ে স্বাভাবিক প্রবৃত্তি থাকিত, তিনি গ্গে _বিষয়েরই উৎকর্ধ-সাধনের তুযোগ পাইতেন। ধাহার সাহিত্যে প্রবৃত্তি, তিনি সাহিত্যেরই উৎকর্ষ-সাধনে যত্বশীল হইতেন: গণিত বিজ্ঞান প্রভৃতি বিষয়েও সেইরূপ ছিল। অধুনা বিকট, বিমিশ্র শিক্ষার বাধার্বাধিতে কোন বিষয়ে প্রকৃষ্ট ব্যু্পত্তি লাভের সম্ভাবনা! থাকে না। তখন সাহিত্যে যাহার প্রবৃত্তি থাকিত রচনায়ও তাহার অনুরাগ দেখ। যাইত। সাহিত্যাধ্যাপকগণও তদ্বিষয়ে যথেষ্ট যত্বশীল হইতেন। যে ছাত্র, অলের ভিতর বহুভাবময় রচনা! লিখিতেন, তিনি প্রশংসিত হইতেন। এক বার আমাদের “পরিশ্রম”-সন্বন্ধে ইংরেজি রচনার ব্ষিয় ছিল! আমি সম্বন্ধে ১৫। ১৬ পনর ষোল ছত্র মাত্র লিখিয়াছিলাম। এই ১৫। ১৬ পনর ষোল ছত্রের জন্তও পুরস্কার পাইয়াছিলাম। প্রন্ত এই সময় হইতেই আমি অধ্যাপক পরীক্ষকের গ্রীতি- পাত্র হইয়াছিলাম।৮

সংস্কৃত কলেজে রচনার জন্ত পারিতোষিকের ব্যবস্থা থাকিলেও, ঈশ্বরচ্র, রচনায় বড় অগ্রসর হইতেন না। তাহার বিশ্বাস ছিল, “আমরা সংস্কৃত ভাষায় রীতিমত রচনা! করিতে অক্ষম। যদি কেহ সংস্কৃত ভাষাপু কিছু লিখিতেন, এঁ লিখিত সংস্কৃত প্রকৃত সংস্কৃত বলিয়া, আমার প্রতীতি হইত না।% *

ঈশ্বরচন্জরের বিশ্বাস চিরকালই দৃঢ়বদ্ধ ছিল। তাহার জিনিভিকানারিনরারাঙারারিরারারোরেকা রে বাযাতি,

* বিদ্যানাগর কতৃক প্রকাশিত “নংস্কত রচনা” প্রথম পৃষ্ঠা

পরীক্ষার ব্যবস্থা ১০৫

্কারধ্যাবস্থায় এক জন কোন বিষয় সংস্কৃতে লিখিয়া, তাহাকে দেখাইতে নিয়াছিলেন। তিনি তাহার সংশোধন করিয়া দেন। স্কাহার সংশোধন-প্রণালী দেখিয়া, রচয়িতা চমতকৃত হইয়া" ছিলেন। তিনি বলেন,_“আপনি এমন সুন্দর সংস্কৃত লেখেন, কবে আপনি যে সকল সংস্কৃত গ্রন্থ মুদ্রিত করিয়াছেন, তাহার মুখবন্ধে বা বিজ্ঞাপনে বাঙ্গালা লেখেন কেন?” আঁতছতরে তিনি একটু হাস্ত করিয়া বলেন,--“সংস্কৃত ভাষায় সু পি খাকিলেও, বিশুদ্ধ সংস্কৃত রচনা দুরূহ বলিয়া আমার সধিখাস।”

বিদ্যাসাগর সংস্কৃত রচনায় সহজে অগ্রসর হইতেন না টে? কিন্ত যখনই রচনায় প্রবৃত্ত হইয়াছিলেন, তখনই সর্ষোচ্চ স্থান অধিকার করিয়া, পারিতোষিক পাইয়াছিলেন। 5. টোলে রচনার প্রথা নাই। জংস্কত কলেজেও প্রথমতঃ জ্তাহা ছিল না। ইংরেজির প্রণালীমতে ১৮৩৮ হষ্টাবে বা ৯২৪৫ জালে সংস্কত কলেজে প্রথা প্রবর্তিত হয়। এই কসর নিয়ম হয়-স্মৃতি, ভ্তায়, বেদাস্ত এই তিন উচ্চশ্রেণীর ছাত্রদিগকে বার্ধিক পরীক্ষায় গদ্যে পদ্যে জংস্কত রচনা তে হইবে। এই নিয়মানুসারেই বৎসর সংস্কৃত গদ্যে .সত্যকখনের মহিমা”-সন্বন্ধে রচনার বিষয় ছিল। ১* দশটা হইতে একটা পধ্যত্ত এই রচনা লিখিবার সময় নির্দারিত ছিল। বিদ্যাসাগর মহাশয় পরপৃষ্ঠায় প্রকাশিত রচনা লিখিয়া, ১৭ এক শত টাকা পুরস্কার পাইয়াছিলেন।

১০৬ বিদ্যাসাগর

সত্যকথনের মহিমা

সত্যৎ হি নাম মানবানাৎ জার্কজনীয্বায়া বিশ্বসনীয়তায়! হেতুঃ তথাবিধায়াশ্চ বিশ্বনীয়তায়াঃ ফলমিহ বহুলমুপলভ্যতে তথাহি যদি নাঁম কশ্চিৎ সত্যবাদিতয়া বিনিশ্চিতো ভবতি সর্ব এব নিয়তৎ তদ্থচসি সম্যগৃবিশ্বসন্তি সত্যবাদী হি সততৎ স্জন' সংসদি সাঁতিশঘ্ুং মাননীয়ঃ সবিশেষৎ প্রশংসনীয়শ্চ ভতবতি।

যো হি মিথ্যাবাদী ভবতি কোহুপি কদাচিদপি তশ্মিন বিশ্বসিতি। খলু নিঃসংশয়ং, নিরতিশয়ং দিন্দনীয়ো ভবতি ভবতি সর্বত্র সর্কথ। সব্ষেষাৎ জনানামবজ্ঞাভাজনম্‌

কিমধিকেন শিশবোহুপি বাললীলাস্থ যদ্দি কশ্চিম্মিথ্যা- বাদিতয়' প্রতীয়মানে ভবতি ভো ভ্রাতরো নানেনাধমেনীস্মাভি। পুনর্ব্যবহর্তৃব্যঘ্‌ অয়ৎ খলু মৃষাভাষীত্যাদিকাং গিরমুগিগরস্তী* ত্যলং পল্পবিতেন | :

১* দশটা হইতে একট] পর্ধ্যস্ত উল্লিখিত রচনার জন্য সময় নির্ধারিত ছিল। বিদ্যাসাগর মহাশয় এই পরীক্ষার সময় প্রথমে উপস্থিত ছিলেন না। উপস্থিত থাকিবার তাহার প্রবৃত্তি ছিল না। পণ্ডিত প্রেমচন্দ্র তর্কবাদীশের অক্রোধ, আদেশে তিনি বেলা ১২ বারটার সময় রচন| করিতে প্রবৃত্ত হন। তিনি ভাবিয়াছিলেন, তাহার রচন! হাস্তাম্পদ্দ হইবে; কিন্তু তদ্দিপ' রীতে তিনি এই রচনার জন্য পুরস্কার পান।

ছিভীয় বৎসর বিদ্যাসম্বন্ধে রটনা! ছিল। উশ্বরচক্র পর" ৃ্টান্ব প্রকাশিত রচনার জন্ত পুরস্কার পাইফ়্াছিলেন।

পরীক্ষার রচন]। ৯৬৭

বিদ্যা

বিদ্যা দদাতি বিনয়ৎ বিপুলঞ্চ বিত্ত

চিত্তৎ প্রসাদক্পতি জাড্যমপাকরোতি।

সত্যামৃতৎ বচসি সিঞ্চতি কিঞ্চ ব্দ্য।

বিদ্য। নৃণাৎ সুরতকুর্ধরণীতলম্ঃ |

বিদ্যা বিকাশয়তি বুদ্ধিবিবেকবীধ্যৎ

বিদ্যা! বিদেশগমনে তুদৃদ্ধিতীয়ঃ।

বিদ্য। হি রূপমতুলং প্রখিতৎ পৃথিব্যাৎ

বিদ্যা ধন নিধনৎ তস্ত ভাগঃ ॥২॥ রূপৎ নুণাৎ কতিচিদেব দরিনানি নূনৎ

দেহুৎ বিভূষষতি ভূষণসন্নিকর্ধাৎ |

বিদ্যাভিধং পুনরিদ্রৎ সহকারি শৃষ্ত্য-

মামৃত্যু ভূষয়তি তুল্যতযৈব দেহম্‌ অন্তানি যানি বিদ্রিতানি ধনানি লোকে

ঘানেন যাস্তি নিধনং নিযুতৎ নু তানি। বিদ্যাধনস্ত পুনরশ্য মহান্‌ গুণোহসৌ৷

ঘানেন বৃদ্ধিমধিগচ্ছতি যু অদেদমূ ৪॥ নৈশ্বধ্যেণ রূপেণ বলেনাপি তাদুশী।

যাত্বশী হি ভবেৎ খ্যাতিধিদ্যয়া নিরবদ্যয়া ছুর্বলোহপি দরিদ্রোহপি নীচবংশভবোহপি সন্‌। ভাজনং রাজপুজায়া নরো তবতি বিদ্যা

১৪৮ বিদ্যাসাগর |

বিদ্বৎভানু মনুজঃ পরিহীণবিদ্যো

নৈবাধরং কচিহছপৈতি চাপি শোভামৃ।

হাসায় কেবলমসৌ নিয়তং জানানাং

তজ্জীবিতখ্বিফলমেব তথাবিধস্ত ৭॥

অজ্ঞানধণ্ডনকরী ধনমানহেতুঃ

সৌখ্যাপবর্গফলমার্গনিদেশিনী চ।

সা নঃ সমস্তজগতামভিলাষভূমি-

বিদ্যা! নিরস্ত জড় চাৎ ধিয়মাদধাতু ৮॥

এই কবিতাগুচ্ছে প্রাচীন সংস্কৃত কবিতার মর্ম নিবন্ধ থাকিলেও, উহ! একটী বিদ্যা্ার রচনা বলিয়া বিবেচন। করিলে, মুক্তকঠে প্রশংসা করিতে হইবে। বিদ্যাসাগর মহা" শয়ের রচনার পক্ষপাতী না হওয়ার পক্ষে ইহাও এক কারণ। ফলতঃ কবিতাগুলি মারল্যে মাধুধ্যে পরিপূর্ণ অতিমাত্র স্বাভাবিক। প্রথম দ্বিতীয় বর্ষের পরীক্ষার সময় জি, টি, মার্শেল

সাহেব সংস্কৃত কলেজের অধ্যক্ষ ছিলেন। তৃতীয় বতসর অধ্যক্ষ ছিলেন বাবু রসময় দত্ত। ৰতৎসর অগ্লীধ রাজার তগস্তা- সংক্রাস্ত বিষয়টা রচনার নিমিত্ত নির্দিষ্ট ছিল। রসময় বাবু কয়েকটী কখ! লিখিয়! দিয়া, তৎসম্বন্ধে কবিতায় শ্লোক রচনা করিতে বলিয়াছিলেন। তদনুমারে পরপৃষ্ঠায় প্রকাশিত কবিতাগুলি রচিত হয়। রসময় বাবু কবিতা দেখিয়া অত্যন্ত আহ্বাদিত হইয়াছিলেন।

পরীক্ষার রচনা ১৩৯

অগ্নীপ্র রাজার উপাখ্যান

অত্নীপ্রে। নাম ভূমীন্্রঃ প্রজারগীনবিশ্রুত আরাধয়ৎ স্ুতাকাজ্জী গিরিপ্রন্থ্ে প্রজাপতিমূ ভগবান্‌ সোহুথ তজ্ভ্ঞাত্ব। প্রেষয়ামাস সত্বরমূ। প্রধত্বত্তঃ পুর্ববচিত্তিৎ নাম কাঁমপি কামিনীম্‌ নৃপতিস্তাং সমালোক্য কান্ত্যা ত্রিলোক্যমোহিনীমব প্লোকানুবাচ কতিচিজ্জড়বন্মোহমাশ্রিতঃ

আলীঢনীরদ্রচয়ে শিখরৈরাদ গ্রৈ-

কচ্চাৰচৈরজগরৈরভিতো বিকীর্ণে

ক্রব্যাদ্দনৈরগণ নৈর্ভয়মাদধানে

কিৎ নু ব্যবস্সি মুনীশ্বর ভুধরেহুম্মিন্‌

কোদগুধুগ্মমিদমদুতমন্তুজাক্ষি

ধংসে কিমর্থমখবা হরিণৌপমানাম্‌

বালে বশীকরণবাসন্য নিতান্ত-

মম্মাদ্বশীৎ হতদৃশামজিতেক্রিয়াণাম্‌ ৫?

বাণাবিমে বিবিধবিভ্রমমস্থরেই তে

পুঙ্খৎ বিনাপি কুচিরে নিশিতাগ্রভাগৌ।

ধাতুঃ কটাক্ষপ তিতায় হতাশ্রধ্বাত্

কস্মে প্রষোক্ভুমভিবাঞ্থসি তন্ন বিদ্য

ঘদ্‌ দৃশ্ঠতে হুমুখি বিশ্বফলৎ মনোজ্ঞ

মধ্যে হবর্পরিকজিতবাগুরায়াঃ |

১১০ বিদ্যানাগর |

জানীমহে নহি করিষ্যতি কম্ত ঘুন- শ্চেতোবিহঙ্গমমশিশো বিপুলাৎ বিপত্তিমূ ৭1 অস্মিন্‌ নিরাকতকলদ্কশশাস্কবিন্বে নীলান্ুজম্মযুগলৎ যদিদ্ং বিভাতি। মন্তে সুধাহশুমুখি সংবননং বিধাত্র। _ লোকত্রযস্ত বিহিতৎ মহতাদরেণ যুক্মচ্ছিখাবিগলিতা ললিতা নিতান্ত শিষ্যা ইমে যুনিবরানুগত। ভবন্তমৃ। শ্রীতা ভজস্তি বিমলাৎ কিল পুষ্পবৃষ্টিং ধর্মব্রতা মুনিহ্বতা ইব বেদশাখাম্‌ তস্মাদৃবয্বৎ ভয়পরিপ্ন ববুদ্ধয়স্ত্াম্‌ অভ্যার্থষামহ ইদং চট্লায়তাক্ষি। উদ্যন্‌ বিজেতুমবনীৎ তব বিক্রমোহ্য়- মম্মাকমস্ত কুশলায় নিরাশ্রয়াণাম্‌॥ ১০। এইু নৈসর্গিক মধুরতাময় আদিরসাত্বক কবিতা! প্রাগ্তীলভা- গুণে সকলেরই চিত্ত প্রীত করিবে যেন প্রাচীন কবির লিপি. পটুতা পদে পদে প্রতিভাভ। ১২৪৫ সালে বা ১৮৩৮ খৃষ্টাব্ে জন্‌ মিয়বু নামে এক সিবি- লিয়ন্‌ সাহেবের প্রস্তাবে বিদ্যাসাগর মহাশয়, পুরাণ) হৃর্ধযসিন্ধাস্ত

* ১,২১৩, ৪,১ ৩১০ রসময় বাবুর কথান্মারে রচিত। ৫, ৬, বিদ্যালাগর মহাশয়ের ইচ্ছান্লারে রচিত |

পরীক্ষার রচনা ১১১

গু যুরোপীয় মতের অনুষারী ভূগোল খগ্োল বিষয়ে এক শত শ্লোক রচন! করিযা, এক শত টাকা পুরস্কার পাইয়াছিলেন। এই শ্লোকগুলি বিদ্যাসাগর মহাশষ্বের জীবদশায় পুস্তকাকারে মুদ্রিত হইতেছিল। তখন উহার মুন্রা-কার্ধ্য সমাপ্ত হয় নাই। তাহার মৃত্যুর পর ১২৯৯ সালে ১৫ই বৈশাখে পুস্তক প্রকাশিত হইয়াছে ।* ইহাতে এখন ৪০৮টী শ্লোক দেখা যায়। সুতরাং মিয়র সাহেবের নির্দিষ্ট শত গ্লোক অপেক্ষা ইহাতে অতিরিক্ত শ্লোক রহিয়াছে সেগুলি বোধ হুয়, পরে রচিত। পুস্তকের প্রারভ্েই ঈশ্বরচন্দের আন্তিকতা, গুরুদ্দেবপরায়ণতা বিনয়- নঅতার প্রমাণ রহিয়াছে

* খগোল-ভূগোল রচনা-সংক্রীন্ত পুস্তকের রচনায় বিদ্যাসাগর মহাশয়, উাহার একটী সহাধ্যায়ীর ছুর্বাবহার লম্বন্ধে যাহ! লিখিয়াছেন, তাছ| একটু বিচিত্র সেই জন্য তাহখ এইথানে প্রকাশ করিলাম,থগোল- ভূগোল নন্বন্ধে ₹টনা হইবার পূর্ষধে মিয়র সাহেব পদার্ঘ-বিদা] সম্বন্ধে রচনান্ন বিষয় নিদ্ধারিত করিয়া এক শত টাক] পুরস্কার দিতে প্রতিশ্রুত হইয়াঁছিলেন। ১০০টা গ্লোকে এইংরচনা লিখিবার কথা ছিল বিদাসাগর মহাশয়ের এক জন মহাঁধ্যায়ী আমিয়1 তাহাকে বলেন,_“তুমি ৫ণ্টা শ্লোক লিখিও এবং আমি ৫০্টী লিখিব। পরে তোমার নামেই হউক, আর আমার নামেই হউক, এই রচনাঁটী কর্তৃপক্ষকে দেওয়া যাইবে |” লহীধা- প্লীর বহু লীড়াপীড়িছে বিদ্যাসাগর মহাশয় লম্মত হন। রূচন1 কর্তৃপক্ষকে দিবার কিয়দিন পূর্বে নেই নহাধায়টী আমিয়! বলেন যে, আমি শ্লোক- গুলি লিখিতে পারি নাই। ইহ শুনিয়া! বিদ্যাসাগর মহাশয় বলেল,-- “তবে আমার লেখা এই প্লৌকগুলি আর কি হইবে ?” এই বলির! ছিনি মেই স্বরচিত শ্লোকগুলি তৎক্ষণাৎ ছি'ড়িয়া ফেলেন। পরে কিন্ত উাহার নহাধ্যাক়ীটী ১০০ এক শত স্োরকই রচনা! করিয়। আনিয়া কর্তৃপক্ষকে দেখান এবং পুরষ্কার গান।

১১২ বিদ্যাসাগর |

আস্তিকতার প্রমাণ) যতক্রীড়াভাগবগ্তাতি ব্রহ্গাগুমিদমদুতমৃ। অসীমমহিমীনৎ তং প্রণমামি মহেশ্বরমূ ১0 বিনয়নঅতা গুরুপরাক্পণতার পরিটয়)-- জগ্বর্ণনকর্্মেদৎ শর্মমণে কিমু মাদৃশামৃ। খদ্যোতানাৎ তমোনাশোদ্যমো হাল্তায় কম্ত 0 তথাপি শরণীকৃত্য* গুরূণাৎ চরণং পরমূ। কিকিদ্বক্ষ্যামি সংক্ষেপাৎ্ সুধিয়ঃ শোধয়ন্ত তৎ ৫1 ভাবের এমন প্রমাণ আর পরবস্তী গ্রন্থে পাই না। এইটা বুঝি, কেবল অবিমিশ্র সংস্কৃত শিক্ষার ফল। খগোল-ভূগোল পুস্তকে ষেরূপ বিতাগক্রমে দ্বীপ, বর্ষ, বর্ষখণ্ড এবং ভনপদসমূহ বর্ণিত হইয়াছে, তাহাতে অনেক স্থলে পুরাণের অপেক্ষা পুরাণাংশ নুখপাঠ্য হৃবোধ। পুরাণমতে সাতটা পরিচ্ছেদে পৃথক পৃথক্‌ দ্বীপবর্ণন, অষ্টম পরিচ্ছেদে ছ্বীপাতিরিক্ সত্ব্মূত ভমিভাগ, কাঞ্চনভূমি, লোকা- লোক পর্বত এবং ভূমগ্ডলের পরিমাণ, আর নবম পরিচ্ছেদে খগোল বৃত্তান্ত বর্ণিত হইয়াছে খগোল বৃত্তাস্তে রাশিচক্র, গ্রহ-সংস্থান প্রভৃতি সংক্ষেপে বর্ণিত হইয়াছে পুরাণমতের পরেই সৃধ্যসিদ্ধাত্তের মত। হৃর্ধ্যসিদ্ধান্ত-মতে একটা পরিচ্ছেদ এক পরিচ্ছেদেই ভূগ্রোল খগোল সংক্ষেপে বর্ণিত আছে তবে ইহাতে ভূগোল অপেক্ষা থগোলের বৃত্তাস্ত অপেক্ষাকৃত

চান 'শরনীকৃত)” অভুভন্ভাবে “ভিভিন্তনী

পরীক্ষার রচন]। ১১৩

বিস্তৃত পুরাণ হুষ্ধ্যসিদ্ধান্ত-মতে প্রথমে ভূগোল, পরে

থখণোল। ভৃুর্ধ্যসিদ্ধান্ত-মতের পরে যুরোপীয় মত। তাহাতে প্রথমে ধগোল, পরে ভূগ্োল। যুরোপীয় ভূগোলে আসিয়া,

ইউরোপ, আফ্রিকা আমেরিকা ক্রমে বর্ণিত। যুরোপ- খণ্ডে ইংলগ্াপিক্রমে প্রধান দ্েশগুলি পৃথক্‌ পৃথকৃ বর্ণিত। মুরোগীর ভূগোল-খগোল সংস্কৃত প্লোকাকারে রচিত হওয়ায় _বালকগণের অত্যাসের সুবিধা। সর্বত্রই রচনা প্রাঞ্ল। এই-

কূপ সংক্ষিপ্ত, সরল, সুখবোধ্য রচনা বিদ্যাসাগরের এতদ্বিষয়ে

' বিশিষ্ট জ্ঞানের পরিচায়ক সেই অল বয়সে ঈদুশ ভাষা পদার্থজ্ঞান ষে পুর্বজন্মের জুকৃতি পইহজন্মের অধ্যবপায়ের

ফল, ইহা একবাক্যে সকলেরই স্বীকার্ধ্য। ফুরোপীয় মতের

ভূগোল-সংক্রান্ত সংস্কত রচনার কযেকটী উদ্ধৃত হইল,_

পুরাণনৃর্ধ্যমিদ্ধান্তমতমেবং প্রদর্শিতমৃ।

মতং যুরোপপ্রথিতৎ সংক্ষেপেণাধুনোচ্যতে ২৩০ আধারভূতৎ সর্বেষাৎ ধাত্র। নিশ্মিতমন্বরমৃ। তদভ্তরালসংলীনে বর্ততে তপতাম্পতিঃ ২৩১ নাস্ত্যন্ত প্রাণসঞ্চারো নায়ঞ্চলতি দৃরতঃ। তেজোময়ঃ পৃথুর্ৃমের্ধশলক্ষ-গুণেন সঃ ২৩২ ভ্রমতো গ্রহচক্রন্ত সদা মধ্যন্থলস্থিতঃ | উঞ্ণতাতেজমী তেভ্যো দদাত্যেষ নিরভ্তরমূ ২৩৩॥ মর্ধেষামেব বস্তৃনামন্তোন্তাকর্ষণৎ ভবেৎ। গক্ষণ| কষ্যতে তত্র লঘু শ্বাভিমুখং যতঃ ২৩৪ |

১১৪ বিদ্যামাগর |

আকর্ষতি ততো! ভানুগ্রহান্‌ স্বাভিমুখং সদ1।

তথাকর্ধতি পৃথীন্দূৎ ষতোহস্ত লঘুত। ততঃ ২৩৫

অ্কন্তা কর্ষণাদৃদ্ধীমধস্তাদাত্বনাং তথা

ভ্রমন্তি নিয়তং মধ্যদেশে পৃথ্যাদয়ো গ্রহাঃ॥ ২৩৬

এক সময় অধ্যাপক জয়গোপাল তর্কালক্কার মহাশয়, “গরোপালায় নমোহস্ব মে” এই চতুর্থ চরণ নির্দিষ্ট করিয়া এক ঘন্টা সময় দিয়া সকলকে শ্লোক রচনায় নিযুক্ত করেন। গোপালের কথা৷ কবিতার বিষন্বীভূত হইলে, বিদ্যাসাগর মহাশ জিজ্ঞাসা করিয়াছিলেন,_“মহাশয়,. আমরা কোন্‌ গোপালের বর্ণনা করিব। এক গ্লোপাল আমাদের সন্মুখে বিদ্যমান রহিয়া- ছেন; এক গোপাল বহুকাল পুর্তে বৃন্দাবনে লীল৷ করিয়া অন্তর্থিত হইয়াছেন।” পণ্ডিত মহাশয় হান্ত করিয়া, গোকুলের গোপাল-সন্বন্ধে লিখিতে বলেন। বিদ্যাসাগরের শ্লোক*্রচনায় প্ডিত মহাশয় সন্তষ্ট হইয়া, তাহার উত্সাহ বর্ধন করেন। সেই শ্লোকগুলি এই,_- “গোপালায় নমোহস্ত মে”।

যশোদানন্দ কন্দায় শীলোৎপলদলশ্রিয়ে

ননগোপালবালায় গোপালায় নমোহস্ত মে

ধেনুরক্ষণদক্ষায় কালিন্দীকূলচারিণে।

বেণুবাদনশীলায় গোপালায় নমোহস্ত মে॥

ধূতপীতছুকুলায় বনমালাবিলাজিনে।

গোপন্্ীপ্রেমলোলায় গোপালায় নমোহস্ত মে ৩।

অনুরোধে রচনা *১৫

বৃষ্িবংশাবতংসায় কংসধ্বংসবিধায়িনে দৈতেযুকুলকীলায় গোপালায় নমোহঙ্ মে নবনীটতৈকচৌরায় চতুর্বর্গৈকদাধিনে। জগছাওকুলালায় গোপালায় নমোহস্ব মে। ইহাতে বিদ্যাসাগর মহাশয় আর এক শক্তির পরিচয় দিয়াছেন। তিনিষে শ্রোকের পাদ-পুরণ করিতে পারিতেন, পাঠক, এখানে তাহারও প্রমাণ পাইলেন। কবিতায় গোপা- লের প্রতি ভগবদ্াব প্রকটিত। তর্কালঙ্কার মহাশয়ের অন্থরোধে, আর একবার সরশ্বতী- পূজার সময়, ঈশ্বরচন্দ্র নিম্নলিখিত রস-পূর্ণ কবিতাটী লিখিয়া- ছিলেন,__- লুচী-কচুরী-মতিচুর-শোভিতৎ জিলেপি-সন্দেশ-গজা-বিরাজিতম্‌ যন্তাঃ প্রদাদেন ফলারমাপুমঃ সরস্বতী সা জয়তান্নিরস্তরমূ কবিতাটীর রচনা-সন্বন্ধে বিদ্যাসাগর মহাশয় এইরূপ লিখিত্বাছ্থেন,-- . পগ্নোকটী দেখিয়া, পূজ্যপাদ তর্কালক্কার মহাশক্স আহ্মলা্দে পুলকিত হইয়াছিলেন এবং অনেককে ডাকাইয়। আনি, স্বয়ং পাঠ করিয়া গ্লোকটা শুনাইয়াছিলেন।” অক্পায়তনে কি সুন্দর রস-রচনা! ভবিষ্যং জীবনে কিন্ত

পপ

“ক “নংস্কৃত রচন” পুস্তক, ১৬ পৃষ্ঠা।

১১৬ বিদ্যাসাগর

এরূপ রস-রচনার পরিচয় দিবার সুযোগ ঘটে নাই। রম-রচনার সে পরিচয় নাই থাকুক; রসালাপের প্রসিদ্ধি অপ্রতুল নয়।

পরীক্ষার্থ রচনা বা অনুরোধ-জন্ত রচন। ভিন্ন ঈশ্বরচন্দ্র, মধ্যে মধ্যে শ্বেচ্ছার কিছু কিছু রচনা করিতেন। সকল রচনা পাওয়া যায় নাই। সম্বন্ধে তিনি এইরূপই লিখিয়াছেন,_

“এক আত্মীয়, আমার রচনা দেখিবার নিমিত্ত আাতিশব আগ্রহপ্রকাশ এবং জত্বর ফিরিয়া দ্বিবার অঙ্গীকার করিয়া, সমুদায় রচনাগুলি লইয়। যান; বারংবার প্রার্থনা করিয়াও, তাহার নিকট হইতে, আর ফিরিয়া পাইলাম না। এইরূপে রচনাগুলি হস্তবহির্ভূত হওবাতে, আমি ষংপরোনান্তি মনস্তাপ পাইয়াছি। পুরাপ*কাগজের মধ্যে অনেক অনুসন্ধান করিয়া, থে কটা গ্রন্থ পাইয়াছিলাম, তন্মাত্র মুদ্রিত হইল”? ।*

স্বেচ্ছাকৃত রচনার মধ্যে কেবল “মেধ”*বিষয়িনী একটা কবিতা পাওয়া যায়। দেই কবিতাটা এইখানে প্রকাশিত হইল,_

মেখ। প্রাঃ সহায়যোগ্াৎ্ সম্পদমধিকর্ভূমীশতে সর্কে। জলদাঃ প্রাবৃড্ভপায়ে পরিহীয়ন্তে শ্রিয়। নিতরামূ ১॥ কিৎ নিযগা জলদমগণ্ডলবর্জিতেন তোয়েন বৃদ্ধিমূপগন্তমধীশতে তাম্‌।

* “খগোল-ভূগোল” রচনাঁটা লইয়1 যেমন একখানি পুস্তক হইয়াছে, এই রচনাগুলি লইয়া, ১২৯২ লালে ১ল] অগ্রহায়ণ বা ১৮৮৫ খুষ্টারকে শংস্কৃত-নচনা” গ্রন্থ প্রকাশিত হয়।

স্বেচ্ছায় রচনা ১১৭

স্তাদজশ্রগলিতং যদ্দি পান্থযুনাৎ সাহায়কায় কিল নির্মীলমশ্রুবধমূ কাস্তাভিসাররসলোলুপমানসানাথ আতঙ্ককম্পিতদ্বশামভিসারিকাণামৃ

যদ্‌ বিদ্বকদ্‌ ছুরিতমজিতবানজত্রৎ কেনাধুনা খন তরিষ্যসি তন বিছ্বাঃ ক্ষীণং প্রিয়াবিরহকাতরমানসৎ মাং

নে নির্দযৎ ব্যথয় বারিদ নাত্ববেদিন্‌। ক্ষীণো ভবিষ্যসি হি কালবশৎ গতঃ সন আস্তে তবাপি নিষ়তস্তড়িতা বিয়োগঃ সর্বত্র জন্নমৃতদস্ত টিনীশরীর- সংবদ্ধকস্তন্ুভৃতাৎ শমিতোপতাপঃ। ষচ্ছাত্তকেমু করুণাবিমুখোহজি নিত্যৎ নায়ৎ মতো! জলদ কিৎ বত পক্ষপাতঃ লোকোত্তরা ঘর্দি তোয়দ তে প্রবৃত্ভি- রেষা যদ্ব্ধিপরিতোরসি সঙ্গহেতুঃ |

জাগর্তি সজ্জনসভাতু তথাপি ঘোরৎ তৎকলুষৎ কৃপণপাস্থবধুবধোখম্‌ ৬৪

তৃৎ হি স্বভাবমলিনস্তব নাশ্ঠ মজং ত্বপগর্জিতৎ বিরহিবর্ণনিসর্গ বৈরি |

কত্তবাৎ স্তবীত বদ তোয়দ লোকসিদ্ধাং প্রেক্ষামহে ষদ্ি জীবনদায্সিতাৎ তে ৭॥

১১৮ বিদ্যাসাগর

কাস্তাবিয়োগবিষজর্জরপা ন্থমুনাৎ

ত্বং জীবনাপহরণব্রতদীক্ষিতোহসি।

ত্বামামনস্তি ঘন জীবনদায়িনৎ যৎং

কিং ভ্রমো বদ তৎ দ্বয়মেব বুদ্ধা! |. ৮॥

গর্জন্‌ ভৃশং তত ইতঃ সততৎ বৃথা কিং

নো লজ্জদে জল পান্নিতান্তশত্রো।

আস্তে হি নান্তগতিচাতকপোতচ্ু-

সম্পূরণেহুপি বত ষস্ত শক্তিযোগঃ ৯॥

জীমৃত চাতকগণৎ নন বঞ্চয্িত।

মা মুঞ্চ বারি সরমীসরিদর্ণবেধু।

কং বা গুণৎ শিরসি সংস্তততৈললেপে

তৈলপ্রদ্দানবিধিনা লভতেহত্র লোকঃ ১০

কবিতায় কি -হুন্দর স্বভাব-বর্ণন, কি মনোহর অলঙ্কার

বিন্তাস, কি সরল রস রচনা-কৌশল ! বিদ্যাসাগ্নর কৰি বলিয়া পরিচিত নহেন; কিন্তু কেবল এই: একটী মাত্র কবিতা- পাঠে বলিতে পারি,বিদ্যাসাগর স্বভাব-কবি ! বাল-কবির কি অপূর্ব প্রতিভা! বাল্যকালে বস্িমচন্রুও বাঙ্গালায় “বর্ধার মান্ভগুন” নামে একটী কবিত! লিখিয়াছিলেন।* ঈশ্বরচজ্ের কবিভায় ষেমন প্রথমে মেখের স্বভাব-বর্ণন, পরে বিরহিণীর বিরহ-ব্যগ্তন ) বন্ষিমচন্্রের কবিতায়ও তেমনই প্রথমে বর্ধার

*্* ১৩০১ লালের, আবণ মালের সাহিতা। বিদ্যাসাগর মহাশয়ের দৌহিত্র শ্রীযুক্ত স্ুরেশচন্্র নমাজপতি কর্তৃক নম্পাদিত মালিক পন্র।

আমাদের বক্তব্য ১১৯

স্বতাব-বর্ণন, পরে মানিনীর মানভগ্জন। উভয়ই পূর্ণ কবিত্বময়। বাল্যে উভয়ে কবি। উত্তর কালে উভয়েই সাহিত্য-পুষ্টির উত্তর-সাধক। তবে পথ প্রণালী স্বতন্ত্র

রচনার বঙ্গানুবাদ দিলাম না দিবার প্রয়োজনও নাই। রচনা, যেনূপ সরল মরল, তাহাতে ধাহাদের সংস্কৃত ভাষায় _কিঞিন্মাত্র বোধ আছে, তাহারা ইহার রস-মাধুধ্য হৃদয়ঙ্গম করিতে সমর্থ হইবেন। রচনাগুলি পড়িলে স্পষ্টই প্রতীতি হয়, সর্ধ-রস-বিকাশে এবং ছনোবিস্তাসে বিদ্যাসাগর শক্তি" 'মান্। বাল্যে িনি এমন মধুর, হুললিত বিশুদ্ধ সংস্কৃত ' লিখিতে পারেন, প্রবৃত্তি ঝা অভ্যাম রাখিলে, অথবা নিজ-রচনা' শঞ্জিতে অবিশ্বাসী হইয়া অংস্কত রটনাকল্পে উদ্দাসীন না হইলে, তিনি ভবিষ্যৎ জীবনে উপাদেয় এবং ভুপাঠ্য অংস্কৃত গ্রন্থ প্রণয়ন করিয়া সংস্কৃত সাহিত্যের অন্মান রক্ষা করিতে পারিতেন, সনেহ নাই। সংস্কৃত ভাষার সংকীর্ণ-প্রচারও বোধ হয়, সংস্কৃত গ্ন্থ-প্রণয়নের প্রবৃদ্ধি-প্রণোদ্বন-পক্ষে অন্তরায় হইয়াছিল।

ষষ্ঠ অধ্যায়।

কার্যাভাস, চাকুরিতে প্রবেশ, সাহেবের গুণগ্রাহিতা, ফোর্ট উইলিয়ম কলেজ, ইংরেজি শিক্ষা, অক্ষয়- কুয়ার দত্তের সহিত পরিচয়, মহাভারত- অনুবাদ অধ্যাপনা-প্রণালী।

পাঠ্যাবস্থার অবসানে, কাধ্য-কালের প্রারভ্ত। এইবার কার্ধ্য-বীর বিদ্যাসাগর কাধ্্যক্ষেত্রে অবতীর্ণ হইলেন। কার্ধ্যময সংসারে কাধ্যের কীর্তি বিদ্যাসাগ্গর মহাশয়ের বহু প্রকারে। পাঠক! বাল্য কালে পাঠ্যাবস্থায় যে অপরিসীম শ্রমশীলতা, থে প্রগাঢ় গভীর একাগ্রতা, যে অবিচলি আত্মনির্ভরতা এবং যে অনিবাধ্য বৃদ্ধিমণ্তা তেজস্থিতা দেখিয়াছেন, কার্ধ্যক্ষেত্রেও তাহারও প্রচুর প্রমাণ পরিচয় পাইবেন।

বিপদে নিতীকতা, কর্তৃব্যপালনে দৃট-প্রতিজ্ঞতা, নিরাশা মজীবতী। এবৎ জর্বীবন্থীয নিবভিমান্তা জর্ব কাধ্যে নিঃস্কার্থতা দেখিতে চাহেন তো পাঠক দ্েখিবেন, বিদ্যামাগরের জীবনে, কাধ্যাবস্থার প্রারস্ত হইতে, দেহাবসানের পুর্বাবস্থা পর্য্যস্ত। ককুণার কথা আর কি বলিব৭ বলিয়াছি তো তাহার তুলনা নাই। বহু-বর্ণময় ভারতভূমিতে বিদ্যাসাগর মহাশয়ের সকল কাধ্যই সর্র্ববাদিসম্মত হওয়া সম্ভব নহে এবং হয়ও নাই। কিন্তু সকল কার্য্যেই যে দেই শ্রমশীলতা, সেই দু়তা, সেই নিভাঁকতা, সেই বুদ্ধিমন্তা এবং সেই বিদ্যাবস্তা,

কার্যযাভাস। ১৯১

জকল সময়েই পূর্ণ মাত্রায় পরিচালিত হইত, তাহা তাহার জীবনী-পর্ধ্যালোচনায় নিঃসনেহে প্রতিপন্ন হইবে। তিনি সকল কার্যে সকল সময়েই স্বাধিকারভূতা স্বকীয় বিদ্যা-বুদ্ধি- সন্মতা শক্তিরই আমুল সঞ্চালন পুর্ণ প্রয়োগ করিতেন। এক কথায় বলি, এমন এক-টানা খর ত্রোত, ইহ-সংসারে মনুষ্য- জীবনে বড়ই ছুর্নভ। এই বার ভার পূর্ন পরিচয় করুণার- পরিচয় অবশ্ত জঙ্গে সঙ্গে পাইবেন। স্থুল কথা, জীবনে স্বাহা হাহা প্রয়োজন, বিদ্যাসাগরের জীবনীতে তাহাই থে পরিমাণে উদধাটিত হইবে! হিন্দু-ধন্ীনুরাশী হিন্দৃ- সন্তানকে অবশ্ঠ অতি সাবধানে বিদ্যাসাগরের জীবনী পর্যযা- লোচন। করিয়া দোষ-ভাগ পরিভ্যাগ পুর্ববক, গুণ-ভাগ গ্রহণ . করিতে হইবে অলৌকিক গুণগ্রাম, বিদ্যাসাগরে ঘে বহুপ্রকার আছে, তাছা বল? বাহুল্য মাত্র। কন্মার জীবনে যে কখন কর্মাবসাদ হত না) বিদ্যাসাগর মহাশয্বেজ জীবন, তাহারই প্রমীণ। তাহাই সর্ব সময়ে সকলেরই অন্ুকরণীঘ্ম এবং শিক্ষসীর। কণ্মার কার্ধ্যাভাব যে কখন থাকে না, বিদ্যাসাগরের কর্মাবস্থার প্রধম হইতেই তাহার প্রমাণ। বিখ্যাত ইংরেজি গ্রন্থকার সিডন্‌ স্মিথ, বলিষাছেন,--.

€1)9৮ 9 00810 109 00060)190) 800 00001)$99 10. 109 1038065% 92001070090 ০04 জ1)101 1015 178009 18 9808)19) 80৫ 019 10) 859 63090100870388 10080 109 1198 10006 138 7985)

১১

১২হ বিদ্যাসাগর |

অর্থাৎ সকলেই ধেন কার্যে নিযুক্ত থাকেন। ধাহার যেরূপ প্রকৃতি; তিনি যেন তদনুসারে উচ্চ কার্যে নিযুক্ত হন। আপন কার্ধ্য যথাসাধ্য সাধন করিয়াছেন, এইটী বুঝিয়াই যেন তিনি মরিতে পারেন

, মহাবাণীর সার্থকতা বিদ্যাসাগর মহাশয়ের জীবনীতেই পরিলক্ষিত হয়। সেই টুকুই, স্বৃহৃদয় পাঠক জদয়জম করিলে, শ্রম সার্থক জ্ঞান করিব।

বিদ্যাসাগর মহাশয়ের কার্ধ্যারভ্ত ১২৪৮ সালের অগ্র- হায়ণ বা ১৮৪১ খুৃষ্টাবের ডিসেম্বর মাসে এখানে কাধ্য-অর্থে চাকুরী বুঝিতে হইবে। কার্র্যের অবশ্ঠ সু-বিশাল অর্থ, মসুষ্য-জীবনের করণীয় মাত্র। চাকুরী, কাধ্যের অন্তর্ভূত। বিদ্যাসাগর মহাশয়, ষখন সংস্কত কলেজের পাঠ সমাপন করেন, তখন ফোর্ট উইলিয়মু কলেজের প্রধান পণ্ডিতের পদ শুন্য হয়। * বিদ্যাসাগর মহাশয় তখন বীরসিংহ গ্রামে। ফোট উইলিয়ম কলেজের তাতৎকালিক সেব্রেটরী মাসেল্‌ সাহেব, ত্রাহাকে তথা হইতে আনাইয়া, এই পদে অভিষিক্ত করেন। এই খানে মার্সেল সাহেবের গুণগ্রাহিতার একটু পরিচয় দেওয়া প্রয়োজনীয় |

প্রধান পর্ডিতের পদ শৃন্য হওয়ায়, অনেকেই ঘেই পদের প্রার্থী হন। কলিকাতা ব্হবাজার-মলঙ্গাপাড়া-নিবাসী কালি- দাস দত্ব, মার্সেল সাহেবের সবিশেষ সুপরিচিত ছিলেন।

* এই কন” ১৮০০ বুষ্টান্ছে (১২০৭ মালে) প্রতিষ্ঠিত হয়্।

সাহেবের গুণ-গ্রাহিতা। ১২৩

বিদ্যাসাগর মহাশয়ের অকৃত্রিম বন্ধু শ্রীযুক্ত রাজকৃ্জ বন্দ্যো- পাধ্যায় মহাশয়ের নিকট শুনিয়াছি, মার্সেল সাহেব, কালিদাস বাবুকে বড় ভালবাঘিতেন। কালিদাস বাবুর সনির্ববন্ধ অনুরোধ, কাহার. এক জন পরিচিত পণ্ডিত, ফোর্ট উইলিয়মু কলেজের প্রধান-পর্ডিত-পদে নিযুক্ত হন। মার্সেল্‌ সাহেব কিন্তু বিদ্যা- ঝ্লাগর মহাশয়কে পদে নিযুক্ত করিতে ইচ্ছা প্রর্কাশ করেন। [তিনি জানিতেন, বিদ্যাদাগর মহাশয় সংস্কৃত ভাষায় সবিশেষ ঝ্ুৎ্পন; অধিকন্ত এক জন অসামান্ত-শক্তিশালী বুদ্ধিমান্‌ ব্যক্তি। কালিদাদ বাবু, সাহেবের অভিপ্রায় বুঝিতে পারিয়া, িরুক্তি করিলেন ন1) বরং আনন্দ সহকারে সাহেবের সে সং- প্রস্তাবের সম্পূর্ণ পোষকতা করেন। কালিদাস বাবুও ঈশ্বর- চত্রের দক্ষতা বিদ্যা'বুদ্ধিমতা সম্বন্ধে আদেই সন্দিহান ছিলেন না।

বিদ্যাসাগর মহাশয়কে ফোর্ট উইলিয়মু কলেজের প্রধান প্ডিত করা, মার্সেল্‌ সাহেবের একান্ত ইচ্ছা, বিদ্যাসাগর মহা- শয়ের পিতা সংবাদ পাইয়া, বীরমিধ্হ গ্রাম হইতে পুত্রকে কলিকাতায় লইয়া আসেন। মার্সেল্‌ সাহেবের এই খণগ্রাহিত! দেখিয়া, অনেকেই সাহেবকে ধন্তবাদদ করিয়াছিলেন। সত্য সত্যই মামে ল্‌ সাহেব প্রকৃত মহুদয় গুণগ্রাহী লোক ছিলেন। তদানীন্তন দিবিলিয়ান্‌, সওদাগার প্রভৃতি সকল সাহেব-সম্গ্- ঘায়ের এইরূপ সহদয়তা গু গুণগ্রাহিতার পরিচয় প্রায়ই পাওয়া যাইত। এখন আমাদের অদৃষ্ট-দোষ বলিতে হইবে, অনেকট।

১২৪ বিদ্যাসাগর

বিপরীত প্রমাণই প্রত্যক্ষীভূত হইয়! থাকে এরূপ হইবার কার, কি? সম্বন্ধে ছুই মত আছে। এক মত এই, পুর্বে উচ্চ- বংশীয় সাহেবেরাই সিবিলিয়ান মনোনীত হইয়া আসিতেন। তাহাদের দৃষ্টি প্রবৃত্তি অনেক উচ্চ ছিল। নেটিত.কে তাহার! স্ব] করিতেন না। এখন প্রতিদ্বন্দ্িতাঁফলে বংশাবংশের বিচার নাই ;*% অুতরাৎ দৃষ্টি-প্রবৃত্তিও তারতম্য ঘটয়াছে। আর এক মত এই, এখনকার ইৎরেজি শিক্ষিত-সন্প্রদায় সাম্যবাদ- মন্ত্রে প্রভাবে অভিভূত হইয়া, সাহেবদের সঙ্গে সমান সন্মান- ভাগী হইতে চাহেন; সাহেব-জন্প্রদায় কিন্ত সে সাম্য-সম্মানের সীমান্তর্ভূত না হইয়া “নেটিতদের! নিকট অধিকতর সন্মান পাইবার প্রত্যাশা করেন। ঠিক্‌ সে সন্মানটা পান না বলিয়াই ত্টাহারা অধুনা নেটিভ.দের প্রতি বিরক্ত বিরূপ। ইল্বার্ট- বিলের আন্দোলন ফল, ইহার জীজ্ব্বল্যমান প্রমাণ

ফোর্ট উইলিয়মূ কলেজের প্রধান পণ্ডিতের বেতন ৫০ পঞ্চাশ টাকা বিদ্যাসাগর মহাশয়ের পুর্ে মধুহৃদন তর্কালক্কার এই পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন। তাহার মৃত্যু হওয়ায় বিদ্যাসাগর মহাশয় এই পর্দ প্রাপ্ত হন। |

বিলাত হইতে ষে সকল সিবিলিয়ান্‌, ভারতে চাকুরী করিতে আসিতেন, তাহাদিগকে এই ফোর্ট উইলিয়মূু কলেজে বাঙ্গালা, হিন্দী, উদ ওপার্শী শিখিতে হইত। ইহাতে উত্তীর্ণ হইতে

*. ১৮৫৪ থুষ্টান্দে বা ১২৬১ সালে নির্বাচল-প্রথাঁর পরিধর্কে প্রতি- দ্বন্দিতা-প্রথ! প্রবর্তিত হয়। এই প্রথ1 এখনও প্রচলিত।

ফোট উইলিয়ম কলেজ। ১২৫

গারিলে, তাহারা কর্মে নিযুক্ত হইতে পারিতেন। এই সকল ভাষার সাহেব-পরীক্ষকদিগকে সাহায্য করিৰার এবং জিবি- লিয়ানদিগকে শিক্ষা দিবার জন্ত* পণ্ডিত মৌপবী নিযুক্ত _খাকিতেন। বলা বাহুল্য, যে সময় বিদ্যাসাগর মহাশয় ফোট উইলিয়ম কলেজে প্রধান পণ্ডিত হন, সে সময় এখনকার মত বিলাতে, প্রতিযোগিনী সিবিলিয়ানৃ-পরীক্ষা। ছিল না। তখন মনোনীত হইয়া, তত্রত্য “হালিবরী কলেজে” পড়িতে হইত এবং তৎপরে সিবিলিয়ান্‌ হইয়া, দেশে আমিতে হইত। এই কন সিবিলিষান্‌ তখন "রাইটার্স অব দি কোম্পানী" নামে অভিহিত হইতেন। এই জন্ত তাহারা ষে বাড়ীতে থাকিতেন, ত।হার নাম ছিল, "রাইটার্সবিন্ডিঙ্*। এই “রাইটার্স বিল্ডিউ”

হইতে বর্তমান “রাইটাসবিল্ডিঙ্* নাম। এখন কশিকাতার, যেখানে “রাইটার্স বিশ্ডিউ" অবস্থিত, তদানীত্তন "রাইটাস বিল্ডি$" সেই খানেই ছিল। সিবিলিয্বান্গণ এই "রাইটাস বিল্ডিডে” বাম করিতেন। এখানে সিবিলিয়ান সাহেবদের নাচ, ভোজ, অ।মোদ-প্রমোদ যথারীতি সম্পন্ন হইত। বাড়ীর মধ্যস্থলে, “ফোর্ট উইপিয়মূ কলেজ” তাহার “আফিদ্” ছিল। আফিসে পণ্ডিত মৌলবী ব্যতীত, “হেড, রাইটার? বা “কেসিয়ার” এবং তদধীন ছুই তিনটা কেরাণী কাধ্য করিতেন। ফোর্ট উইলিয়মূ কলেজ, ফিবিলিয়ানদের আশ্রত্ব-স্থল ছিল

জন্ত ইহা সাহেব সম্প্রদায়ের নিশ্চিতই চির-স্মরণীয়। কিন্ত ইহা অপর বিশেষ কারণেও বাজালীর হুদয়ে চির-জাগরক

১২৬ বিদ্যাসাগর

ধাকিবে। এই ফোর্ট উইলিয়মূ কলেজে, বিদ্যাসাগরের ইহ-বুগ- সম্মত ভবিষ্যৎ * সৌভাগ্য-গৌরবের হুত্রপাত হয়। ইহার পরিচয়, পাঠক, পরবস্তাঁ ঘটনাবলীতে প্রাপ্ত হইবেন। কিন্ত, ফোর্ট উইলিয়মূ কলেজের চির-ম্মরণ-যোগ্যতার অন্য গুরুতর কারণ আছে। ফোর্ট উইলিয়ুমু কলেজ, বাঙ্গাল! গদ্য-সাহিত্যের পু্ি-কল্পে অন্ততম শক্তিশালী সহায়। বাঙ্গালা গদ্য-সাহিত্যের সপ্টি-কাল নির্ণয় করা বড় দুরূহ কেহ বলেন, আীচৈতন্তদেবের সময়েই ইহার স্ষ্টি। তিনি যে কৃষ্ণযাত্র, করিয়াছিলেন, তাহাই গদ্য-সাহিত্য-সট্টি-কল্ে প্রধান সহায় কেহ বলেন, তাহা নয়. তাহার পরবত্তী কালেই ইহার হ্থান্। চৈতন্তমন্বল "গান হইবার পুর্ব্বে ষে “গৌর-চক্ড্িকা* কীর্তন হইত, তাহ গদে লিখিত ছিল। সেই গদ্যে বাঙ্গালা গরদ্য-সাহিত্য-ত্রোতদ্বতীর উৎ্পত্তি-স্বান। আমাদের পরমাত্বী্ বিশ্বকোষ-প্রকাশক যুক্ত নগেন্রনাথ বন্থু বলেন, তিনি ৩০*। ৪০০ তিন চারি শত বৎসরের পুর্বে বাঙ্গালা-গদ্যে লিখিত একখানি পুঁথ দেখিয়া ছেন। যাহ! হউক, তাহ! লইয়! এক্ষণে বিচার করিবার প্রয়োজন নাই। * ১৮০ ঘৃষ্টান্ের পুর্ব্বে গদ্য-সাহিত্যের অস্তিত্ব সত্বেও উহা অনেকটা। ছূর্বধল নিজীঁব ছিল। ফোর্ট উইলিয়ম কলেজ প্রতিষ্ঠিত হুইবার পর, গদ্য-সাহিত্য-পাঠের প্রয়োজনীগতা- পীড়নে, পাঠ্য গদ্য-মাহিত্যের পুষ্টিকজে ঢৃ্রি পতিত হয়।

* বাঙ্গাল! গদ্য-নাহিত্যের হৃষি-পুি নহ্বন্ধে সবিশেষ বিবরণ, স্বত্গ পুস্তকে লিখিবার ইচ্ছা! আছে।

ইৎরোজ শিক্ষা ১২৭

ফলে ইহার পর অনেকগুলি পাঠ্য গদ্য পুস্তক প্রণীত হ্ইয়া- ছিল। সেগুলি গদ্য, সাহিত্যের পুষ্টিকল্পে অনেকটা সহায় ইইলেও, পুর্ণ পুষ্টির পরিচায়ক নয়। সে পরিচয়, অনেকটা বিদ্যাপাগর-প্রণীত পাঠ্য-পুস্তকে প্রতিভাত ফোর্ট উইলিয়ুম্‌ কলেজ গদ্য-সাহিত্যের পুষ্টিকল্পের জন্য বাঙ্গালীর আশীর্লাদ- পাত্র বটে; কিন্ত বাঙ্গাল] গদ্য-সাহিত্য-পাঠ্যে ধর্মাতাব- প্রণোদনের কতক উত্তর-সাধক।

ফোর্ট উইলিয়্র কলেজে থাকিয়া, সিবিলিয়ানদ্িগকে মাসে মাষে পরীক্ষা দিতে হইত। পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হইবার একটা সময় নিদ্দারিত ছিল। দেই নিপ্ধারিত সমযবের মধ্যে উত্তীর্ণ হইতে না পারিলে, সিবিলিয়ানদিগকে বিলাতে প্রতিগমন করিতে হইত। বিদ্যাসাগর মহাশয় মাসে মাসে পরীক্ষার কাগজ পত্র দেখিতেন। এতছিন্ন মাষে সাহেব, তাহার নিকট সংস্কৃত কাঁব্যাদি পাঠ করিতেন। অধ্যাপনে পশ্তিত হইলেও, কাধ্যে গ্তাহার ইংরেজের সঙ্গে সম্পর্ক) হুতরাৎ তাহার ইংরেজি শিখিবার প্রয়োজন হইল। তদ্ব্যতীত তাহাকে হিন্দী পরীক্ষাও কাগ্জপত্র দেখিতে হইত! কাজেই হিন্দী শিক্ষারও আবশ্তাক হইল। ইংরেজি শিক্ষা অপেক্ষা হিন্দী শিক্ষা অপেক্ষাকৃত সহজ; কেন না) বাসলা সংস্কতের অঙ্কে হিন্দীর অনেকট! সাদৃশ্ত। তিনি মাদ-কঘক পরিশ্রম করিয়া এক জন হিন্দী ভাষায় অভিজ্ঞ পণ্ডিতের নিকট হিন্দী শিখিয়্া লইলেন। .. ইংরেজি শিক্ষা অপেক্ষাকৃত কষ্টকর) বিশেষতঃ চাকুরীর

১২৮ ধিদ্যামাগর।

অবস্থায়; কিন্ত বিদ্যাসাগরের মত অসাধারণ শ্রমশীল এবং অসীম অধ্যবসাম্মী ব্যক্তির নিকট কোন্‌ কাধ্য কষ্টকর? তাহা হইলে, অন্তান্ত সাধারণের সহিত তাহার স্বাতন্ত্ট রহিল কোথায়? সাধারণের সহিত অসাধারণের স্বাতজ্র্য সন্ব সময়ে, সর্কঝ দেশে তাহা না! হইলে, ৫* পঞ্চাশ টাকার বেতনভোগণী এক জল সাম্য কর্খচারী, সংমারের সর্বোচ্চ পথে, ভবিষ্য বংশধর- দিগের জন্য সজীব পদান্ষ রাখিয়া যাইতে পারেন কি ? বেঞ্কামিন্‌ ফ্াঙ্ছলিন্‌ ছিলেন, প্রথম পপ্রিটার” ) রাল, ছিলেন, জামানত সৈনিক পুরুষ ; ইৎ্লগ্ডের কবি-গুরু চসর ছিলেন, সৈনিক পুরুষ; সেক্সপিক়র ছিলেন, নাট্যশালার নট; আর কত নাম করিব৭ ইহারা যে গুণে বড়, বিদ্যাসাগর দেই গুণে বড়। ইহাদের শ্বাতন্ত্য. সাধারণ হইতে যে গুণে, বিদ্যাাগরেরও স্বাতন্ত্র্য সেই গুণে . সেই গু৭,- শ্রমশীলতা একাগ্রতা পৃথিবীতে ধাহারা সর্কোচ্চ প্রতিভাশালী বলিয়া পরিচিত, পুঙ্খানুশুখন্রপে পর্ধ্যালোচন1 করিলে, বোঝা যাইবে, তাহারাই সব্দাপেক্ষা অধিক কর্মশীল).এমন কি, তাহাদের অধি" কাংশকে অতি হীন কার্যে নিঘুক্ত হইতে হইয়াছে এই জন্তই বলিতে হয়, প্রতিভার পূর্ণ বিকাশ, মানুতষর সহিস্ুতাম এবং শ্রমশীলতায়। প্রতিভার কাধ্যে বিরাম বা বিরতি কোন কালে থাকে না। ওয়ামিংটন্‌ বাল্য কালে পাঠ্যাবস্থার অবসরে রমিদ, ছাড়, হাতচিঠী প্রসূতি নকল করিতেন বিদ্যা- সাগরের প্রতিভ। বাল্য কাল হইত পরিপুষ্ট, তাহার শ্রমশীল-

ইংরেজি শিক্ষা! ১২৯

তায়। পাঠ্যাবস্থায় ক'জ না থাকিলে এবং আবশ্ঠক না হইলেও, ধিনি অবসরে, পুঁথি নকল করিয়া কার্ধ্যানুরাগ্িতার পরিচয় দিতেন, তাহার পক্ষে এই অবস্থায় চাকুরীর অত্যাবশ্যক ইংরেজি শিক্ষাটা আর কষ্টকর কি? বিখ্যাত ইতিহাসলেখক নিবে! চাকুরী করিতে করিতে, অবসর সময়ে আরব্য, রোমান এবং ন্তান্ত “শ্লাবনিক” ভাষ! শিথিয়া ফেলিয়াছিলেন।

. বিদ্যাসাগরের ন্যায় এক জন অতি-শ্রমশীল বুন্িমান ব্যক্তি ; ষে ইংরেজিটা শিখিয়া লইবেন, তাহার আর বিচিত্র কিঃ ইংরেজি শিক্ষার উপর তাহাকে আরও গুরুতর পরিশ্রম-দাপেক্ষ কার্য্যের ভার লইতে হইয়াছিল। এই সময়, তাহার নিকট অন্ধ্যাকালে প্রাতঃকালে অনেকেই সংস্কৃত ব্যাকরণ কাব্যাদি পড়িতে আদিতেন। এই সকল লোককে পড়াইয়া, তিনি আবার ্বয়ং ইংরেজি পড়িতেন। অসাধারণ অধ্যবসায়ের কথা ভাবিলে, বাস্তবিকই বিশ্ময়াভিভূত .হইতে হয়। কখনই বা তিনি সময় পাইতেন, আর অত গুরুতর পরিশ্রমই বা! কেমন করিয়া করিতেন ?

এই সময় তাহার বাসা ছিল, বহুবাজার পর্ধাননতলা নিতাই

সেনের বাড়ীতে এই বাড়ীর বাহিরে ছুইটী বড় বড় বর ছিল। একটা ঘরে তিনি তাহার ভ্রাতারা থাকিতেন এবং অপর ঘরে অন্তান্ত আত্মীয্নেরা বাস করিতেন। পরে এখান হইতে অতি নিকটেই হদয়রাম বন্দ্োপাধ্যায়ের বৈঠকখানা বাড়ীতে বাসা উঠিয়া যায়।

১৩০ বিদ্যাসাগর

বিদ্যাঁপাগর মহাঁশষের ইংরেজি শিখিবার বাসনা বড়ই বলবত্ী হয়। যেখানে ইচ্ছা, সেইখানেই উপায়। তিনি

ডাক্তার নীলমাধব মুখোপাধ্যায়ের নিকট প্রত্যহ প্রাতে ইংরেজি .

শিক্ষা করিতে লাণিলেন। নীলমাধব বাবু, রাজকষ্ণ বাবুর পিস্‌-

ভূতো তাই। ইনি তালতগা-নিবাসী প্রসিদ্ধ ডাক্তার ছুর্গাচরণ ;

বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছাত্র ছিলেন। ছুর্াচরণ বাবু খন ডাক্তার হন নাই? হেয়ার সাহেবের স্কুলে দ্বিতীয় শিক্ষক ছিলেন। ুর্গাচরণ বাবু এই সময় প্রায়ই প্রত্যহ বিদ্যাসাগর মহাশয়ের বাসায় আসিতেন। ক্রমে তাহার সহিত বিদ্যাসাগর মহাশয়ের ত্বনিষ্ঠ সৌহার্দ হয়। ছূর্গাচরণ বাবু ডাক্তার হইয়া, বিদ্যাসাগর মহাশপকে তাহার জদয়ের কার্ধ্যে অনেক সহায়ত] করিতেন।

বিদ্যাসাগর মহাশয়, হুর্াচরণ বাবুর সহায়তায় চিকিৎসাধ '

অনেক আর্ভ*পীড়িতের কষ্ট নিবারণ করিতে সমর্থ হইতেন। নীলমাধব বাবুর নিকট কিছু দিন ইংবেজি শিখিয়া, তিনি হিন্দু কলেজের অন্ততম ছাত্র রাজনারায়ণ গুপ্তের নিকট রীতিমত ইংরেজি শিক্ষা করেন।* ইংরেজি অন্ক শিখিবার জন্তও

প্রত

- আলি লি

বিদ্যাসাগর মহাশয় প্রান্থই শোভাবাজার-রাজবাড়ীতে শ্রীযুক্ত

সপ

* রাজনারায়ণ গুপ্ত মহাশয় বিদ্যামাগর মহাশয়ের নিকট মালিক ১৫. টাকা বেতন পাইতেন, যিনি বলেন, তাহার কথ? নির্বিবাদ নয়; কেন না রাজকৃষ্ণ বাবুর যুখে শুনিয়াছি, তিনি প্রত্যহ বিদ্যানাগর মহাঁশয়ের বাসায় আহার করিয়। কলেজে পড়িতে যাইতেন এবং মালে মানে যৎকিঞ্চিও পারিআ'মক স্বক্নপ পাইতেন। ্‌

শী

শ্রীমুজ আনন্দরৃষ বনু।

ইংরেজি শিক্ষা ১৩১

আননচন্ বন্থ, অমৃতলাল মিত্র এবং শ্রীনাথ ঘোষের নিকট স্বাইতেন ।* অঙ্ক শিখিবার জন্য, তাহার ষথেষ্ট চেষ্টা ছিল; পঁকি্ধ বিষয়ট। তাহার তত শ্রীতিপ্রদ হয় নাই ) অথচ ইহাতে আনেকট। সময় অনর্থক অতিবাহিত হইত; তছুপরি বিষয়টা সক্রাহার নীরস বলিয়া বিবেচিত হইত ; অগত্যা তিনি তাহা বিরত হন।

বিদ্যাসাগর মহাশয়, অক্কবিদ্যা-চ্চ1 পরিত্যাগ করিয়া এঞ্জাভাবিক প্রবৃত্তি-মর্গ অবলম্বন করিয়াছিলেন। ইহার চরম

ন,-আত্মোথকর্ষ। আধুনিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ধিমিশ্র শিক্ষা-

1প্রণালীতে অনেকেরই আত্মোৎকর্ষে ব্যাধাত টিয়া! থাকে। সন কোন কোন কর্তৃপক্ষ, কথা স্বীকার করিয়াছেন

কেরই স্বাভাবিকী টি পরিচালনার হুযোগ ঘটয়াছিল। ) সেই জন্য অনেকেই স্বাভাবিক প্রবৃত্তি-সন্মত বিষয়ে ব্যুৎপত্তি লাভ করিয়া, আস্বোত্কষের পরিচয় দিতে পারিতেন।

'আস্মোখকর্ষ তত্ব-সন্বন্ধে ১৩০১ সালের জ্যৈষ্ঠ মাসের “সাধনায়? ;

5

শপ্পািশিশশািশিটিাশিটা টি

* অমৃতলাল বাবু শোৌভাবাজারের রাঁজা-রাধাকান্ত বাহাদুরের আধাম জামাতা, নাথ বাবু কনিষ্ঠ জীমতা এবং আনন্দকৃষ্ণ বাবু দৌঁহিত্র। 'আানন্দ বাবুর জননী, রাজা-বাহাঁছুতের জোষ্ঠ কন্যা ছিলেন। ইহাদের সকলের মহিত বিদ্যাণীগর মহাশয়ের পরম বন্ধুত্ব ছিল। ইহার ছিন্ন ক্ষলেজে গড়িয়া ইংরেজিতে সপর্ডিত হইয়াছিলেন। এক্ষণে কেখল ্ানদ বাবু জীবিত আছেন

£ মামিক পতিকারম্ধীন্রনাথ ঠাকুর লম্পাদিত।

১৩হ বিদ্যামাগর।

চিন্তাশীল লেখক শ্রীঘুক্ত জ্যোতিরিক্্রনাথ ঠাকুর, কয়েকটা যুক্তি-স্ত কথা বলিয়াছেন। কথাগুলি এই,__.

“যদি কোন পাঠশাল] ব। বিশ্ববিদ্যালয় তাহার অধীনস্থ ছাত্রদিগকে এক ছঁচে ঢালিবার চেষ্টা করে অর্থাৎ তাহাদের প্রতোকের নিজত্ব না ফুটাইয়া তুলিয়া! যদি একটা! নাধারণ আদর্শে সকলকেই গঠিত করিবার প্রয়ান পায় তবে বুঝা যাঁয় যে, সে পাঠশাল] ব1 বিশ্ববিদ্যালয় প্রকৃত শিক্ষাবিধানে নিতান্ত অযোগ্য অনমর্থ। প্রকৃত শিক্ষা কি? না, আত্মোৎকর্ধ-সাঁধন- উন্নতি-সাধন। যাহ! আত্মার অভ্যন্তরে গুঢ্ুতাবে থাকে, তাহ! উপর দিকে আন1_-উন্নয়ন করা নিজত্বের কণ করাঁঁ_নিজেকে নিজের যথার্থ অনুরূপ করিয়া ভোল1। কোন ব্যক্তিবিশেষকে একট! স্থানীয় আদর্শের কিনা লোঁকিক আদর্শের অনুন্ূপ করিয়া! গঠন করিতে গেলে, শিক্ষার উদ্দেশ বিফল হইয়1 যায়|” .

দ্বাভাবিকী প্রবৃত্তি-প্রণোদনে আত্মোথ্কর্ষের কিরূপ স্ুবিধা। তাহার দৃষ্টাত্ত-স্বরূপ, পুত্ররে। কলরাডোর সরকারী পাঠশালাঃ "ব্যক্তিগত শিক্ষা প্রণালীর* কথ! উল্লিখিত হইয়াছে এখান, কার বিদ্যালয়ে, “প্রত্যেক খবরে কতকগুলি ছাত্র পৃথক্‌ পৃথৰ্‌ ভাবে আপন আগ্ীন কাজ করে, শিক্ষক তাহাদিগকে সারি সারি দীড় করাইয়! কিংবা মনোরঞ্রন করিবার চেষ্টা করিয়া অথবা লেকচার দিয়! কিংবা বাখ্য। করিয়া সময় নই করেন না। তিনি কেবল প্রত্যেকের ডেস্কের নিকট দিয়! ছাত্রদিগের সহকারি-ম্বরূপ হইয়া উৎসাহ উপদেণ প্রধান করেন ।”

শিক্ষা-সাধন-সম্বন্ধে ষে কথ, বৃত্তি-নির্বাচন-লহ্বন্ধেও সেই কথা। এতৎ-সন্বন্বেও ১৩০০ সালের চৈত্র মাসের সাধনায়

ইৎরেজি শিক্ষা ১৩৩

(জ্জ্যোতিরিজ্র বাধু লিখিয়াছেন,“অনেক সময় দেখা যায় থে রর যাকে দাজে, সে কর্ম, মে পায় না, বা করে না। যে ভাক্তার বার উপযুক্ত, সে হয় তো আইন ব্যবসায় অবলম্বন করিয়াছে) ফ্বেআইন ব্যবসায়ের উপযুক্ত, লে হয তো ইঞ্জিনিয়রের কাজ | করিতেছে এইরূপ অনুপযোগী কাজে প্রবেশ করিয়া কেহই মুফলতা জাভ করিতে পারে না__তাহার সমস্ত পরিশ্রম পণ্ড ষট্মা যায়”; জ্যোতিরিস্র বাবুর মতে, কে কোন্‌ কাজের

মু, তাহা তাহার দৈহিক মানসিক লক্ষণে কতক বোকা

উন, মস্তক বৃহৎ রি আলেক্জা র্‌, রা টির ্্রভারিক দি গ্রেট, বায়ঃনৃ, বেকন্‌, প্লেটো, আরিষ্টটল্‌ প্রস্তুতি '্রৃতিভাশালী লোকদিগের মস্তক সম্বন্ধে আলোচনা করিলে, বিপরীত মীমাংসা উপশ্থিত হইতে হয়।

: খন্ধপ অবস্থায়, দৈহিক-মানসিক লক্ষণ-নির্ণয়ে, বৃত্তি, মির্ধাচনের অব্যর্থতা শ্বীকার করিতে একটা দ্বিধা হয় না কি? বুংপ-পরম্পরাগত বৃত্তি-সাধনায় সেরূপ দ্বৈধ ভাব থাকিবার কথা ধাহারা কথা "মানবেন, তাহারা হিন্দুর জাতি- দেরই গ্রৌরব ঘোষণা করিবেন।

বিদ্যাসাগর মহাশয় অন্ক-শাস্ধ পরিত্যাগ করিয়া, আনন্দকৃষ্ণ ছীবুর নিকট, সেক্সপীয়র পড়িতেন। সেব্সুপীয়র পড়িবার জন্ত ১.

১৩৪ বিদ্যালাগর।

প্রাথই তিনি শৌতাবাঁজীর-রাজবাটাতে -মাতায়াত করিতেল। এই ময় তিনি রাজা রাধাকান্ত দেব-বাহাছুরের নিকট পরিচিত হন। এক দিন মধ্যাহ্নে রাজা বাহাদুর, আহারাস্তে মুখ- প্রক্ষালন করিতেছিলেন, সেই সময় বিদ্যাসাগর মহাশয় রাজ- বষ্টীতে ভ+নন্দকৃষ্ণ বাবুর নিকট যাইতেছিলেন ) হঠাৎ তাহার প্রতি রাজা-বাহাছুরের দৃষ্টি পতিত হয়। তিনি পার্খস্থ একট আত্মীয়কে জিজ্ঞাসা করের,-“& যে ছষ্ট-পুষ্ট তেজঃপুগ্জময় বাক্ষণ-যুবকটী যাইতেছ্েন) উটী কে? উহার মুখে যেন প্রতিভার প্রভা ফাটিয়া পড়িতেছে। উহাকে ডাকিয়া আন তো।” আত্মীয়টী তখনই .বিদ্যাসাগরকে রাজা-বাহাছুরের নিকটে ডানিয়! লইয়া যান। রাজা-বাহাছুর, তখন তাহার নিকট তাহার আন্ুপুর্ষিক পরিচয় গ্রহণ করেন। তিনি বিদ্যাসাগরের কথা-বার্ভায় যথেষ্ট সন্তোষ লাভ করিয়াছিলেন এবং তাহাকে বুদ্ধিমান্‌ বলিয়াও বুঝিযাছ্িলেন। তখন তিনি,--“বিদ্যাসাগর”- উপাধিধারী একটা ব্রাহ্গণ-যুবক'মাত্র। সে “বিদ্যাসাগরে" বিশ্ববিশ্রাতি সংঘটত হয় নাই। তখনকার বিদ্যাসাগর, এখনকার বিদ্যাসাগর ছিলেন না।

এই শোতাবাজার-রাজবাটীতে অক্ষয়কুমার দত্তের সহিত তাহার আলাপ*পরিচয় হয়। তখন* অক্ষয় বাবু তত্ব- বোধিনী পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন। * তত্ববোধিনীর সহিত্ত

& কলিকাত। ব্রাঙ্গ-সমাজের মধ্যেই ১৭৬১ শকে (৯২৪৬ লালে) ওরা কান্তিকে তত্ববোধিনী নত? প্রতিচিত হইয়াছিল “১৭৬৫ শকের

্প্স্ঞ্ঞ্ ৬. জিপ পপ... টপ

চির

অক্ষয়কুমার দত্ত

অক্ষয়কুমার দত্তের সহিত পরিচয়। ১৪৫

জান্নদকুঞ্ণ বাবুপ্রমুখ অন্যান্য অনেক কৃতবিদ্যের ঘনিষ্ঠ সম্বন্ধ ছিল। আনন্দকুষ্ণ বাবুর মুখে শুনিষাছি।--“বিদ্যামীগর অক্ষ বাবু উভয়েই রাজ-বাড়ীতে ভিন্ন ভিন্ন সময়ে ইংরেজি অঙ্ক দাহিত্য পড়িতে যাইতেন। তাহারা ছাদের উপর বিঘা খড়ি দিয়া, অঙ্গ পাতিয়া, জ্যামিতির প্রতিজ্ঞ! পুরণ করিতেন। মাম পাঁচ ছর পরে, বিদ্যাসাগর অঙ্গ বিদ্যা পরিত্যাগ করেন। ইহাতে তাহার প্রবুত্তি ছিল না। অভঃপর তিনি সেক্সপীঘর পড়িতেন। ইহা শীঘ্রই আরতৃও করিয়াছিলেন।”

তন্রবোধিনী পর্িকাষ় যিনি যাহা নিখিতেন, আনন্দরুক্ক বাকুপ্রন্খ কতবিদ্য ব্যক্তিকে তাহ। দেখিঘ্বা, আবস্তকমত অংশোধনাদি করিয়া দিতে .হইত। এক দিন বিদ্যাসাগর মহাশমু আনন্দ বাবুর বাড়ীতে ব্সিয্াছিলেন, এমন সমস অক্ষয়কুমার বাবুর একট! লেখা তথায় উপস্থিত হয় আনন্দ বানু _ন্দ্যামাগর মহাশয়কে অক্ষয়কুমার বাবুর লেখাটা পড়াইয়া শুনাইয়া দেন অক্ষয়কুমার বাবু পুর্দে যে সব অনুবাদ করিতেন) তাহাতে কতকট। ইংরেজি ভাব থাকিত। বিদ্যাসাগর মহাশয়, অ্ষনহুমার বাবুর লেখ! দেখিয়া বলিলেন,--“লেখা'

১৮৪৩ খুঃ) ভাত্র মান হইতে শ্রীণুক্ত বাবু দেবেজ্ত্রনাথ ঠাকুর রভতি খে সভা! হইতে "তন্রবোধিনী পত্বিক নামে এক মানিক-পজ্ঞ প্রকাঁশিত হইতে াঁগিল। ইতিপূর্েই ্ী বাবু তত্ববোধিনী সভার এক সভ্যকাঁষো ব্রতী হইয়া, ১৭৭৭ শক পর্যান্ত ১২ বংসর কাল অবাঁদে রঃ সম্পাদন করেন।- শ্রীযুক্ত নীমগতি স্তায়রভ-কৃত “বাঙ্গালা

[হিত্য-বিঘয়ক প্রস্তাব ।” ২৫৫ পৃই।

১৩৬ বিদ্যাসাগর

বেশ বটে ; কিন্তু অনুবাদের স্থানে স্থানে ইংরেজি ভাব আছে ।” আননদকুষণ বাবু, বিদ্যাসাগর মহাশয়কে তাহা সংশোধন করিয়া দিতে বলেন। বিদ্যাসাগর মহাশয় সংশোধন করিয়া দেন। এইরূপ তিনি বার কতক সংশোধন করি দিয়াছিলেন। অক্ষয় বাবু সেই জুন্দর সংশোধন দেখিয়া, বড়ই আননিত হইতেন তখনও কিন্ত তিনি বিদ্যাসাগর মহাশয়কে জানিতেন না। লোক দ্বারা প্রবন্ধ প্রেরিত হইত এবৎ লোক দ্বারা ফিরিয়। আমিত। তিনি সংশোধিত অংশের বিশুদ্ধ-প্রাগ্তল বাঙ্গাল? দেখিয়া ভাবিতেন,_-"এমন বাঙ্গালা কে লেখে ?”. কৌতহল- নিবারণার্থ তিনি এক দিন স্বয়ং আনন্দ বাবুর নিকট উপন্থিত হন; এসং ধাহাই নিকট বিদ্যাসাগর মহাশয্বের পরিচন্ন পান! আননকুফ। বাবুর পণ্চিয়ে বিদ্যাসাগর মহাশয়ের সহিত পরে তাহার আলাপ-পরিচয্প হয়। ইহার পর অক্ষয় বাবু যাহা কিছু লিখিতেন, তাহা বিদ্যামাগর মহাশয়কে দেখাইয়া লইতেন। বিদ্যামাগর মহাশয়ও সংশোধন করিয়া দিতেন। পরে পরস্পরের প্রগাঢ় মৌহার্দও সংগঠিত হয্ব।

সাহিত্য-ক্ষেত্রে অপূর্ব শুভ-সংষোগ শুভ-্মংযোপের দ্রিন বাঙ্গালীর চির স্মরনীয়। উভবেই বাঙ্গাল। ভাষার পুষ্টি সাধনের জন্য জীবন, উত্সর্গ করিয়াছিলেন। আডিসনৃ-ট্রীলের শুভ- ংযোগে ইংরেজি সার্থিত্য-প্রদারের শুভ লক্ষণ ভাবিয়া, আজিও বিলাতবাসী ইংরেজ আনন্দে উৎফুল হন। হয় তো অনেক আধুনিক ইংরেজি-শিক্ষিত বান্গালীও, এই শুভ সংযোগের

ঠাকুর

জরীযুক্ত দেবেন্দ্রনাথ

তত্ববোধিনীর সহিত সন্বন্ধ। ১৩৭

[দিনকে জাতীয় উৎসবের দিন বলিয়া মনে করিয়া থাকেন। দ্ধ বাক্গালার অক্ষয়কুমার বিদ্যাসাগরের শুভ-সংযোগ, কয় জন বাক্জালী স্মরণ করেন?

অক্ষয়কুমার বাবুর প্রস্তাবে এবং তত্ববোধিনী সভার অন্যান্য গণের সমর্থনে বিদ্যাসাগর মহাশয় বা সভার

২০ জে

18 রি.

রি তরে তিনি বি দেবেভ্রনাথ অত্যন্ত ঘছিলেন। বলিয়া রাখি, ব্রাঙ্গ-সমাজের সহিত বিদ্যাসাগর

ট্হাশয়ের কোন মন্বন্ধ ছিল না। “পেপার-কমিটা” বা

পাপী

* পকিছু দিন 85 মভার অন্তর্দত সথধা্ষ মভা নামে একটা

গিনি

টি ছিল। িরবোরিনা সভ1 হইতে যে কোন পুস্তক বা প্রবন্ধ 'স্থুদিত হইত, ভাহ) গ্রস্থাধাক্ষদের সম্মতি লইয়া মুদ্রিত করিতে হইবে, ক্ইরূপ ব্যবস্থা থাকে। তত্ববোধিনী সভা দেবেজ্দ্র-বাবুর স্সেহ- পাত্রী পক্ধিনি অস্ত্র কোন সত্ব্যবস্থা দেখিলে, তাহ! সভাতেও প্রবর্তিত করিবার

ইচ্ছা! করিতেন। তিনি এিয়াটিক সোনাইটার পেপার কমিটা দেখিয়া, ক্কত্ববোধিনী নতাভেও তদন্ৃরূপ গ্রন্থাধ্যক্ষ-মভা প্রবর্তিত করেন। ইহাভে উপকারও দর্শিয়াছিল। অবিশ্ুদ্ধ ভাষায় লিখিত বা! অন্যরূপে দুষিত, বক্ষোল প্রবন্ধ বা গ্রন্থ মুদ্রিত হইতে পারিত ন1। এমন কি,গ্রন্থাধাক্ষ- বিশেষের বিরচিত প্রবন্ধও কখন কখন অধিকাংশের মতক্রমে অগ্রীহন ইইয়াছে। আনন্দকৃণ বহু, রাজনারায়ণ বস, রাজেন্্রলাল মিত্র, ঈশ্বরচ্

বিদ্যাসাগর, রাধাপ্রণাদ রায়, শ্যামাচরণ মুখোপাধ্যায়, প্রসন্নকুমীর ব্বাধিকারী আনন্দচন্দ্র বেদান্তবাগীশ এই সভার সত্য ছিলেন। বিদ্যা গরের সহিত এই শ্রংঅবাধীন অক্ষয় বাবু আপনাকে উপকৃত বলিয়! টষ্টলেখ করিয়াছেন ।”- যুক্ত মহেম্নাথ রাঁয় বিদ্যানিধি প্রণীত “অক্ষন্- উমার দত্তের জীবন ৃত্ান্ত” ৫০ ৫২ পৃষ্ঠা।

১৩৮ বিদ্যাসাগর |

তত্ববোধিনী পত্রিকার সঙ্গে সম্বন্ধ ছিল, কেবল সাহিত্যের সংত্রবে, ধর্মের টানে নহে। তত্ববোধিনী পত্রিকায় কোন প্রবন্ধ প্রকাশ করিবার পুর্বে, অক্ষয় বাবুকেও তঙ্সন্বন্বে “পেপার- কমিষ্টাগর সভ্যদিগের মতামত লইতে হইত। তাহার একটা প্রমাণ নিগ্নে প্রকাশ করিলাম।

“কবির পন্থিদিগের কৃতান্ত-বিষয়ক পাঙুলেখ্য প্রেকণণ করিতেছি, যথাবিহিত অনুমতি করিবেন ।”

তত্ববোধিনী নতা, | ্ক্ষয়কুমার দণ্ড, ১৭৭০ শক, ১৪ই আঁফাঁ়। গ্রন্থ-নম্পাদক !

"প্ররিত প্রস্তাব-পাঠে পরিতোষ পাইলাম ইহা! অতি মহজ মরল ভাষায় স্ুচারুক্ধপে রচিত সক্ষলিত হইয়াছে অতএব পত্রিকায় প্রকাশ- বিষয়ে আমি মন্তপ্র-চিত্তে নম্মতি প্রদান করিলাম। ইতি--

, শীঈশ্বরচন্দ্র শর্মা

“্রীযুক্ত ঈপ্ববচন্্র বিদ্যামাগর উক্ত পাগলেখোর স্থানে স্থানে যে নকল পরিবন্ন করিয়াছেন, তাহ! অতি উত্তম হইয়াছে ।”

শম্ঠামাচরণ মুখোপাধ্যায় অক্ষয়কুমার দণ্তেরই যবে বিদ্যাসাগর মহাশয় ১৭৭০ শকের ফাল্তুন মাসে বা ১৮৪৮ ধষ্টাবে ফ্রেক্রয়ারি মাসে তত্ববোধিনী পত্রিকার ৬৭ সংখ্যায় মহাভারতের বাঙ্গালা অনুবাদ প্রকাশ করিতে আরম্ভ করেন। আদিপর্কের কিয়দৎশ-মাত্র প্রকাশিত হইয়াছিল। অন্রবাদধের একটু নমুনা এই 7

নারায়ণ নব্বনযোত্ম নর এবং সরস্বতী দেবীকে প্রণাম করিয়। জর উচ্চারণ করিবে

কোন কালে কুপপতি শৌনক নৈমিষারণ্যে দ্বাদশ বাধিক যজ্ঞানুষ্তান

মহাভ।রতের অনুবাদ ১:৪৯

করিযাছিলেন। নময়ে এক দিবন বত-পরায়ণ মহম্লিগণ দৈনন্দিন কর্খা- বমানে একত্র মমাগতত হইয়া কথাপ্রপর্গে কাল যাপন করিতেছেন, এই অবমবে সত লোমহ্ধণ-পুত্র পৌরাণিক উগ্রশ্রুব! বিনীত ভাবে তাহাদের সম্মুখে উপস্থিত হইলেন। নৈমিষারণাবামী ভপন্ষিগণ দর্শনমাত্র অদ্ভুত কথা শ্রবণ-বাননাপরবশ হইয়|, তাহাকে বেষ্টন করিয়া চতুর্দিকে দণ্ডায়মান হইলেন উগ্রশ্রব! বিনয়নম কৃতাগ্রলি হইয়া] অতিবাঁদনপূর্বক নেই মমস্ত মুনিগিগকে তপস্তা কুশণ জিজ্ঞানা করিলেন। তীহীরাও যখোটিত অতিথি-সৎকারান্তে বলিতে আনন প্রদীন করিলেন। পরে সমুদীয় ঝধিগণ স্ব স্ব আঁমনে উপবিষ্ট হইলে, তিনিও নিপ্দিট আননে নিবিষ্ট হইলেন। অনন্তর তাহার শ্রান্তি দূর হইলে, কোন খধি কথাপ্রমর্গ করিয়। জিজ্ঞাসা কন্িলেন, “হে পণ্মপলাশলোচন শৃ'তনন্দন! তুমি এক্ষণে কোথা হইতে আমিতেছ এবং এত কাল কোথায় কোথায় ভ্রমণ করিলে বল |” *%

কিছু দিন অনুবাদ মুদ্ধিত হইবার পর, কালীপ্রসন্ন সিংহ বিদ্যাঘাগর মহাশয়ের সম্মতি লইয়া মহাভারতের অনুবাদ প্রকাশ করিতে থাকেন। কালীপ্রদন্ন বাবু ইহা স্বীকার করিয়া গিল্পাছেন,_ |

“মহাভারতানুবাঁদ সময়ে অনেক স্বলে অনেক কৃতবিদ্য মহাআ্বীর নিকট আমাকে ভূয়িষ্ঠ মাহাষ্ গ্রহণ করিতে হইয়াছে, তনিমিত্ত তাহাদিগের নিকট, চি্রজীবন কৃতজতা-পাশে বদ্ধ রহিলাম | আমার অদ্ধিতীয় নহায় পরম অদ্ধা- স্পদ শ্রীযুক্ত ঈরচন্্র বিদ্যানাগর মহাশঙ্ স্বয়ং মহাভারতের অন্বাদ করিতে ন্বারস্ত করেন এবং অনুবাদিত প্রস্তাবের কিন্নদ্রংশ কলিকাতা ব্রাঙ্গ-নমাজের অধীনস্থ তত্ববোধিনী পত্রিকায় ভ্রম।থয়ে প্রচারিত কিয়ন্তাগ পুস্তকীকারেও মুদ্রিত করিয়াছিলেন ;-কিপ্ত আমি মহাভারতের অনুবাদ করিতে উদ্যত

পাশপাশি পল পপ

* বলা বাছুল্য, ইহার পূর্বে মহাভারতের এন্সপ বঙ্গ হুবাদ হয় নাই।

১৪৪ বিদ্যাসাগর :

ইইয়াছি শুনিয়া, তিনি কৃপাপরবশ হইয়া নরল-হৃদয় মহাভারতাম্বান্রে ক্ষান্ত হন। বাস্তবিক বিদযানাগর মহাশয় অনুবাদে ক্ষান্ত না হইলে, আমার অন্থবাদ হইয়! উঠিত না তিনি কেবল অন্ববাপেচ্ছা পরিত্যাগ করিয়াই নিশ্চিন্ত হন নাই অবকীশানুলারে আমার অনুবাদ দেখিয়া দিয়াছেন সময়ে সময়ে কার্যোপলক্ষে ষখন ম্বামি কলিকাতায় অন্পস্থিত থাঁকিতাম, তখন স্বয়ং আঁপিয়া আমার মুদ্রাযন্ত্রেরে ও. ভারতানুবাদের তত্বাবধারণ করিয়াছেন। ফলত: বিবিধ বিষয়ে বিদ্যানাগর মহাশয়ের নিকট পাঠ্যা- বস্থাবধি আমি যে কত প্রকারে উপকৃত হইয়াছি, তাহ] বাক্য ব। লেখনী দ্বার নির্দেশ করা যাঁয় ন11” মহাভারত অষ্টাদশ পর্ব অন্বাদের উপ- নংহার--(১৭৮৮ শক )।

মহাভারত অনুবাদ করিবার পুর্বে বিদ্যাসাগর মহাশয় “বাহথদেব-চরিত” “বেভাল-পঞ্চ বিংশতি”, এই ছুই খানি গ্রন্থ অনুবাদ করেন। ছুই গ্রন্থে, অনুবাদের কৃতিত্ব দেখাইয়াছিলেন। তাহার বিস্তৃত আলোচন৷ অন্ত অধ্যায় হইবে। এই অধ্যায়ে প্রসঙ্গক্রমে মহাভারতের কথা এই- খানেই প্রকাশ করিলাম তত্ববোধিনী সংশ্রব ত্যাগের কথাটাও এইখানে বলিয়া! রাখি। . কয়েক বৎসর পরে বিদ্যাসাগর মহাশয় তব্ববোধিনীর সম্পর্ক পরিত্যাগ করেন।

তত্ববোধিনী পত্রিকার উপমুক্ত সম্পাদক অক্ষয়কুমার দত্ত, তত্ববোধিনী পত্রিকার সম্পাদ্কতা ত্যাগ করিলে, কানাইলাল পাইনের প্রস্তাবে বিদ্যাসাগর মহাশয়ের সমর্থনে ষম্পাৰককে বৃত্বি দিবার প্রস্তাব হয়। সেই সমক্স বাবু

তত্ববোধিনীর সম্পর্ক ত্যাগ। ১৪১

দেখেক্রনাথ ঠাকুর তাহাতে এই বলিয় প্রতিবাদী হন, কেবল তত্তবোধিনী পত্রিকার আয়ে যদি বৃত্তি দেওয়া সম্ভাবিত হয়, তবে তাহা হইতে পারে ; তত্ববোধিনী সভার আম তত্ববোধিনী পত্রিকার আয় একত্র মিলিত করিরা তাহ! হইতে দেওয়া বিধি। আঁধারণ সভ্যের মতানুসীরে কিন্তু উহার বিপরীত

বিদ্যালাগর মহাশব্, তত্তবোবিনী পত্রিকা হইতে অক্ষয়- ারকে 8 রঃ রি হার প্রধান উদ নী।

ন্ট | নি 1 11075

মা দুঃখিত উদ্বিগ্ন নাভির ইাও বল! রিনি | রা

গা? রি মানিক বৃত্তি শির্ারণ করিয়া দেন। দেশমান্ ধু ৬...

হক ; পশ্চাৎ উদ্ধত হইতেছে,

; _ প্তন্থবোধিনী পত্রিকা প্রচারিত হওয়াতে, এতদেশীয জৌকপিগের ধে নানা গুরুতর উপকার লাভ হইয়াছে, ইহা বোধবিশিই বাক্তিমাত্রেই স্বীকার করিয়া থাকেল। আদ্যোপান্ত অনুধাষন করিয়া দেখিলে, শ্রীধুক্ত বাবু অক্ষয়কুমার দত্ত, এই ভত্ববোবিলী পত্রিকা স্ষঠির প্রধান উদ্যোগা এবং এই মহোপকারিণী পত্রিকার অসাধারণ স্রবদ্ধি লাভের অদ্বিতীয় কারণ বলিয়া বোধ হইবে ভাহারই যত্বে পরিশ্রমে ততৃবোধিনী পত্রিকা! নর্ধত্র এক্সপ আদর-ভাজন সর্ব-নাধারণের এরূপ উপকার- ললাধন হইয়া উঠিয়াছে। বন্ততঃ তিনি অনন্য-মনা অনস্ত-কন্দা হইয়?

১৪২ বিদ্যাসাগর

কেবল তন্বুবোধিনী পত্রিকার শ্রীতৃদ্ধি-সম্পাদলেই নিয়ত নিবিষ্চিত্ত ছিলেন ! তিনি এই পত্রিকার প্রীবৃদ্ধি-সাধনে কৃতনঙ্কল্প হইয়া, অবিশ্রান্ত অত্যুৎকট গরিএম দ্বার! শরীরপাত করিয়াছেন, বলিলে বোধ হয়, অতুযুক্তি-দোষে দৃধিত হইতে হয় না। তিনি যে অতি বিষম শিরোৌরোগে আত্রীন্ত হইয়া, দীর্ঘকাল অশেষ ক্লেশ তোগ করিতেছেন, তাহা কেবল প্র অত্যুৎ্ধট মানসিক পরিশ্রমের পরিণাম, তাঁহার লন্দেহ নাই। অতএব যিনি তত্ববোধিনী পর্শিকার নিমিত্ত শরীরপাত করিয়ছেন, নেই মহোদয়কে সহশ্র ধহ্যবাদ প্রদান কর! তাহার প্রতি যখোচিত কৃতজ্ঞতা প্রদর্শন করা আবস্ঠক? না করিলে, তত্ববোধিনী মভাব লভাদিগের কর্তব্যানুষ্ঠানের বাতিক্রম হয়& দীবকাল ছুরন্ত-রৌগে আক্রান্ত থাকাতে, অক্ষয়কুমন বাবুর আটের সক্গোচ, ব্যয়ের বাহুল্য এবং ভনিবন্ধান অশেষ ক্লেশ ঘটিবার উপক্রম হ্ইয়] উঠিয়াছে। সময় কিছু অর্থ-পাহাধা করিতে পাঁরিলে, প্রকৃতননশে কৃতজ্ঞতা প্রদর্শন কর] হত, এই বিবেচনায় গত ভাঁবণ মানের দ্বাদশ দিবশীয় বিশেষ মতায় শ্রীঘুক্ত বাবু কাঁনাইলাল পাইন প্রস্তাব করেন বে, তত্ববোধিনী মভ1 হইতে কিছুকালের জন্য অক্ষয় বাবুকে নাহাা প্রদান করা যায়! তদনুসারে অদ্য সমাগত মভোরা নিপদারিভ করিলেন, মক্ষরকুমার বাবু যত দিন পর্যান্ত সুগ্থ স্বচ্ছন্দ শরীর ভইয়া পুনরায় পরিশ্রমক্ষম না হন, তত পিন তিনি নভা হইতে আগামী আশ্বিন মাস অবধি পদবিংশতি মুদ্রা মামিক পাইবেন। আন ইহাঁও নিপ্দারিত ভল যে, এই প্রতিজ্ঞার প্রতিলিপি অক্ষয়কুমার বাবুর নিকট প্রেরিত হয় এবং সর্বনাধারণের গোচরার্থে তত্ববোধিনী পত্রিকাঁতেও অবিকল মুত হয়।" --(তত্ববোধিনী পত্রিক1 ১৭৭১ শক, কার্তিক মান) &

৮5৭)

* মুক্ত মহেন্নাথ রায় বিদ্যালিধি-প্রণীত "বাপু অক্ষয়কুমার দত্তের জীবন-ৃত্বান্ত" ২৩৩ ২৩৪ গৃষ্ঠা।

সম্পর্ক ভ্যাগের কারণ। ১৪৩

বিদ্যাসাগর মহাশয়ের তত্ববোধিনীর সম্পর্ক ত্যাগ সম্বন্ধে নানাজনে নানাকথা বলেন। আয়র! বিশ্বস্ত-সত্রে এই কথা শুনিয়াছি শ্রীযুক্ত দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুরের সহিত অক্ষয়কুমার দত্তের মতবিরোধ উপস্থিত হওয়ায়, তত্ববোধিনীর অম্পর্ক ত্যাগ করাই অক্ষঘুকুমার দত্তের পক্ষে শ্রেয্বঃকলপ হইয়া দাড়াইয়াছিল। দেবেত্্রনাথ বাবুরও তাহ! বড় অন্ভিপ্রেত ছিল না। তবে সভার অন্তান্ত সভ্যের চেষ্টা উদ্যোগে অক্ষয়কুমার দত্ত পেন্মন্‌ লইয়া বিদায় গ্রহণ করেন। কথা আমরা উপরে বলিয়া আসিয়াছি। তত্ববোধিনীর সহিত অক্ষয়কুমার দত্তের সম্পর্ক-ভ্যাগে বিদ্যাসাগর যহাশয় ক্ষুঙ্র হইয়াছিলেন। এই জন্যই তত্ববোধিনীর প্রতি তাহার শ্রদ্ধার একটু হাস হইয়া- ছিল। ক্রমে াহিত্যের সঙ্গে ধর্দভাব. বিজড়িত দেখিয়া এবং কোন কোন বিষয়ে দেবেন্দ্রনাথ বাবুর সহিত তাহার ঠিক মতমিল হইতেছে 'না বুঝিয়্া, অক্ষয়কুমার দত্বের কিছুকাল পরেই তিনি তত্ববোধিনীর সম্পর্ক ত্যাগ করেন। ছুই জন স্বাধীন-চেতা। তেজন্বী-পুরুষের মত 'সংঘর্ষে পরিণাম এবূপ হওয়া বিচিত্র নহে। এই কারগ্ণেই কেশরচন্ত্র সেন-প্রমুখ কয়েক ব্যক্তির সহিত বান্গ-সমাজের সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন হয়।

বিদ্যাসাথর মহাশয় যখন বাদায় ইংরেজি শিধিতেন, তখন হাইকোর্টের অন্ততম অনুবাদক শ্ঠায়াচরণ অরকার) রামরতন মুখোপাধ্যায়, নীলমণি মুখোপাধ্যায়, রাজকৃষ বন্যোপাধ্যায়, প্রভৃতি অনেকই তাহার নিকট সস্কৃত ক্ষ করিতেন। তাহার

১৪৪ বিদ্যালাগর |

অধ্যাপনা-প্রণলী এমনই কৌশলম্ধ যে, অতি হুব্ধহ বিষয়ও অপ দিনের মধ্যে সহঙ্জে পিক্ষার্াদিগের আয়ত্ত হইত। সে শিক্ষা-প্রণাশীর কথা শুনিয়া, সংস্কৃত কলেজের তদানীন্তন পণ্ডিত'মগ্ডুলীও চমত্কৃত হইতেন। শিক্ষার্থীকে শিক্ষা দিবার জন্ত তিনি কিরূপ ঘত্ব পরিশ্রম করিতেন, এবং তাহার শিক্ষ। ' দিবার প্রণালীটা কিরূপ ছিল, রাজকুষ্ বাবুর সংস্কৃত শিক্ষা- তত্বটা, বিবৃত করিলেই, পাঠক তাহা বুঝিতে পারিবেন। বুঝিবেন, এই জগতে শ্রমশীল কর্মুশুরের অসাধ্য কিছুই নাই। রাঁজকষ্জ বাবু বহুবাঁজার-ন্বাসী হদঘুরাম বন্দ্যপাধ্যা যে পৌত্র। বিদ্যাসাগর মহাশয়ের বাসার সন্মুখেই ইহার বাড়ী ছিল। তখন হুহার বয়ন ১৫।১৬ বত্মর। ইনি হিন্দ কলেজে ইংরেজি পড়িয়া, এই বয়সেই পড়াশোনা ছাড়িয়া দেন। বিদ্যাসাগর মহাশয়ের সহিত ইহার আলাপ-পরিচয় হওয়াতে) ইনি প্রত্যহ সকাল-সন্ধ্যায় বিদ্যাসাগর মহাশয়ের বালাম ঘাইতেন। এক দিন তিনি দেখিলেন, বিদ্যাসাগর মহাশয়ের মধ্যম ভ্রাতা দীনবন্ধু, হর করিয়া, মেঘদৃত প়িতেছেন। হুন্দর সুর-লয়ে উচ্চারিত মেই রসপূর্ণ ও. ভাবময় গ্লোকের আবৃত্তি শ্রবণ করিয়া, রাজকৃষ্ণ বাবু বিমো-. হিত হইলেন। তখন তাহার সংস্কৃত শিখিবার বাসনা হইল। তিনি বিদ্যাসাগর মহাশয়কে আপনার অভিপ্রায় ব্যক্ত করি- লেন। বিদ্যাসাগর মহাশয়ও তাহাকে সংস্কৃত শিখাইত্ে মন্মত হইলেন। কিন্তু তিনি ভাবিতে লাগিলেন, এত রয়সে

অধাপনা-গ্রণালী। ১৪৫

মুগ্ধবোধ পড়িয়া, সংস্কৃত শিথিতে গেলে, সংস্কৃত শিক্ষা তুক্বর হইবে; অধিকন্ত অনর্থক সময় ন& হইবে। বিদ্যাসাগর মহাশয় রাজকুষ্ণ বাবুকে বলেন,-“দেখ, আমি ঘখন মুগ্ধবোধ মুখস্থ করি, তখন ইহার এক বর্ণ বুঝিতে পারি নাই; পরে যখন অংস্কৃত সাহিত্যে অগ্রসর হইলাম, তখন ইহার অর্থ গ্রহণ করিতে সমর্থ হই। তোমাকে মুগ্ধবোধ মুখস্থ করাইয়া, সংস্কত শিখাইতে হইলে, বয়সে সংস্কৃত শিক্ষা দায় হইবে অতএব তোমাকে একট! সহজ উপায়ে ব্যাকরণ শিখাইতে হইবে ।” এই বলিয়া তিনি সে দিন রাজকষ্ণ বাবুকে বিদান্» দেন। রাজকুষ্ণ বাবুকে বিদায় *দিয়া, তিনি ব্যাকরণ শিখাইবার একটা সরল পথের

অন্বেষণে প্রবৃত্ত হন। প্রর দিন রাজকৃষ্খ বাবু আসিয়া দেখেন, তাহার জন্ত ব্যাকরণ শিখিবার সরল সহজ উপায় উপস্থিত। চারি “তা? ছুল্স্কেপ কাগ্রজে, বাঙ্গাল্রা অক্ষরে, বর্ণমালা হইতে ধাতু প্রত্যয়া্ি পর্যন্ত, মুগ্ধবোধের সারাংশ লিখিত। রাজকৃষ্ণ বাবু দেখিয়া অবাক হন। রাজকষ্ণ বাবু আমাদিগকে বলিয়।- | ছেন,--«“ইহাই উপক্রমণিকা ব্যাকরণের শুত্রপাত। উপক্রমনিক। ব্যাকরণের পূর্বাভাস এই খানেই তাহার মস্তকে প্রবেশ করে।” রাজকৃষ্ণ বাবু সেই কুল্স্কেপ কাগজে লিখিত ব্যাকরণের সারাংশ এবং তাতকালিক ব্যাপৃটষ্ট প্রেসে মুদ্রিত একখানি স্কৃত গ্রন্থ পড়িতে আরম্ভ করেন। মাস দুই তিন পড়িয়া, তিনি ব্যাকরণের আভাস কতকটা আয়ত্ত করিয়া লন। তিন.

১৩

১৪৬ বিদ্যাসাগর

চারি মাসের পর তিনি মুগ্ধবোধ পড়িতে আরম্ভ করেল? বিদ্যাসাগর মহাশয়ের শিক্ষা দিবার প্রণালীর গুণে এবং স্বকীয় অসাধারণ অধ্যবসায়ে পরিশ্রমবলে রাজকৃঞ্ণ বাবু ছয় মাসের মধ্যে মুগ্ধবোধ পৃড়। সাঙ্গ করেন। পরে তিনি কাব্যাছি" পাঠে প্রবৃত্ত হন।

এই সময় সংস্কৃত কলেজে “জুনিয়র? "সিনিয়র? পরীক্ষা প্রচলিত ছ্িল। বিদ্যসাগর মহাশয়, রাজকৃ্ণ বাবুকে “জুনিয়র” পরীক্ষা দিবার জন্য প্রস্তত হইতে বলেন। রাজকৃষ্ণ বাবুও সন্মত হন; কিন্ত বিদ্যাসাগর মহাশয় এক দিন জংস্কৃত কলেজে গিয়া শোনেন, একটা ব্রাহ্মণ-পণ্ডিত আটটী টাকা “জুনিয়র” বৃত্তি পাইতেছেন। ব্রাঙ্গণের সেই * আটটা টাকায় লেখাপড়া এবং আহারার্দি সবই নির্ভর করিত। সংবাদ পাইয়া, বিদ্যাসাগর মহাশয় ভাবিয়াছিলেন,--“রাজকৃষ্ণের জুনি- যর পরীক্ষা দেওয়া হইবে না; কেন স্ব, রাজকৃণ ষদি.পরীক্ষান় বৃত্তি পায়, তাহা হইলে পর বর্ষে এই ব্রাহ্মণের বৃত্তি.রোধ হইবে।” ম্বভাবসিদ্ধ পরদুঃখ-কাতর বিদ্যাসাগর, ব্রাহ্মণের অবস্থা ভাবিতে ভাবিতে বড়ই কাতর হইয়া পড়েন। তিনি . বাসায় ফিরিয়া আসিয়া, রাজকৃ্ক বাবুকে সকল কথা প্রকাশ করিয়া বলেন। রাজকৃ্ণ বাবুও “জুনিয়র” পরীক্ষা - দিবার কামনা পরিত্যাগ .করেন। ইহা! গুরুশিষ্যেরই জহ্ৃদয়তার পরিচায়ক নয়' কি? করুণা-আোতে উভয়েরই বলবতী বাসনা ভামিক্জা গেল! অতপর বিদ্যাসাগর মহীশয়, রাজকৃষণ বাবুকে

অধ্যাপন'-প্রণালী। ১৪৭

“সিনিয়র”? পরীক্ষার জন্য প্রস্তত হইতে বলেম। “সিনিয়র্* পরীক্ষা! দিবার প্রস্তাব শুনিয়া রাঁজকৃষ্ণ বাবু বলেন,--“আমি কি পারিব % বিদ্যাসাগর মহাশয় বলেন,--কেন পারিবে না তবে একটু বেশী পরিশ্রম করিতে হইবে। তুমি ঘদি প্রত্যহ আহারাদি করিয়া বেলা টার সময় আমার সহিত ফোট উলিষম কলেজে যাইতে পার, তাহা হইলে আমি তোমায় পড়াইতে পারি।” রাজকৃষ্ণ বাবু সম্মত হন।

প্রত্যহ" নয় টার সম্ষ আহারাদি করিয়া রাজকৃ্ণ বাবু বিদ্যাসাগর মহাশঘ্বের সঙ্গে ফোর্ট উলিয়মব কলেজে যাইতেন। বিদ্যাসাগর মহাশয়, প্রায় বেলা তিনটা পর্ধ্যন্ত সাহেবদিগকে পড়াইতেন এবং অন্তাস্ত কাজ করিতেন। ইহার মধ্যে কোন রকমে অবকাশ পাইলেই, তিনি সাহেবের গৃহ হইতে বাহির হইয়া আসিয়া, রাজকৃঞ্ণ বাবুকে পড়াই যাইতেন। তিনটার সময় আফিসের কার্ধ্য সমাধা হইলেই, তিনি সন্ধ্যা পর্য্যস্ত ফোর্ট উলিয়মূ কলেজেই রাজকৃষ্ণ বাবুকে পড়াইতেন। পরে বাসায় ফিরিয়া, আসিয়া! উভয়ে আহারাদ্ি সমাপন করিয়া, অধ্যয়ন অধ্যাপনায় নিযুক্ত হইতেন'। সময় অন্যান্য শিক্ষাীদিগকেও শিক্ষা দিতে হইত। রাজকু্ বাধু কোন কোন দ্বিন পড়িতে পড়িতে বিদ্যামাগর মহাশয়ের বাসা দুমাইয়া৷ পড়িতেন। বিদ্যাসাগর মহাশয়, তাহাকে জাগরিত করিয়া পড়াইতেন। এইরূপ বিদ্যানাগর মহাশয়ের শিক্ষা দিবার, নুপ্রথালীতে এবং নিজের অবিচলিত অধ্যবসায়ে

১৪৮ . বিদ্যামাগর |

রাজকষ্ণ বাবু ২* আড়াই বৎসরের মধ্যে ব্যাকরণ কাব্য স্মৃতিশাস্ত্রে শিক্ষিত হন। . |

রাজকৃষ্ণ বাবুর অধ্যাপনায়, বিদ্যাসাগরের শুদ্ধ শ্রমশীলতা নহে, উদ্ভাবিনী-শক্ভিমত্তারও সম্পূর্ণ পরিচয়। সময়ের ছুনিবীক্ষ্য গতির প্রতি অন্তর্ডেদিনী দৃষ্টি সঞ্চালন করিয়া, তিনি স্বকীয় শক্তিমাহাত্্যে ছুর্জয় সিবিলিয়ানদিগকেও কিরূপ মন্তরমুগ্ধ করিয়া রাখিয়াছিলেন, পরে তাহার পরিচয় পাইবেন

৪1৫ চারি পাঁচ বৎসরের শিক্ষা ২০ আড়াই বজসরে। কথাটা সহরময় রাষ্ট্র হইল। দলে দলে পণ্ডিতগণ, বিদ্যাসাগর রাজকষ্ণ বাবুকে দেখিবার জন্য আসিতে লাগিলেন। অকুত* পুর্ব অভিনব পদ্ধতি প্রথার প্রতিষ্ঠা এইরূপই। বিখ্যাত স্বচ, গ্রন্থকার কারলাইলের নৃতন পদ্ধতি প্রণালী মতে প্রবন্ধসমূহ পুস্তকাকারে * প্রকাশিত হইলে পর, ভূরি ভুরি বিজ্ঞতম বিদ্বমণ্ডলী, সুদুর স্কট্লগের পার্বত্য-প্রদেশ “ডমক্রের? ক্ষেত্রাবাসে গিয়া কারলাইলকে দেখিতে যাইতেন। আমেরিকার বিখ্যাত দার্শনিক গ্রন্থকার এমার্সন সাহেব, কেবল কার- লাইলকে দেখিয়া নগ্ন মন সার্থক করিবার জন্য স্থটলগ্ডে আসিয়াছিলেন। রা ১৮৪৩-৪৪ হষ্টান্দে বা ১২৫০-৫১ মালে রাজকৃষ্ণ বাবু, জংস্কৃত কলেজের “মিনিফ়র্‌” পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হায়! ১৫ পনর টাকা বৃত্তি পান; পরে ছুই বৎসর পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হইয়া ২০ কুড়ি টাকা করিস! প্রথম শ্রেণীর বৃত্ধি প্রাপ্ত হন। আর এক বার পরীক্ষা

অধ্যাপনা-প্রণালী। ১৪৯

দিবার ইচ্ছা.ছিল; কিন্তু দারুণ পরিশ্রমে তাহার স্বাস্থ্য-তঙ্গ হয়; এমন কি, তিনি মৃতকল্প হইয়ান্িলেন। শরীর শৌধরাই* বার জন্ত তাহাকে স্থানান্তরে যাইতে হয়? হুতরাং আর পরীক্ষা দেওয়া হয় নাই।

অপ্তম অধ্যায়।

প্রতিষ্ঠা-প্রতিপত্তি, বাঙ্গাল! চিঠি, শিক্ষা-ব্ভাগের পরিবর্তন; পিতার কাধ্য-ত্যাগ, বাসার অবস্থা) সহ্দয়ূতার পরিচয়, প্রতি্রতি-পালন, চলচ্ছক্তির প্রমাণ, বীরসিংহে কৌতুক, ছূর্বলে দয়া, মাতৃ-ভক্তি, সংস্কৃত রচনা) তেজস্থিতা, পদ্-পরিবর্তিন গুণগ্রাহিতা

ফোর্ট-উইলিয়মু কলেজে চাকুরী করিবার পূর্বে, পাঠ্যাব- স্থাতেও বিদ্যাসাগর মহাশয় নিজ-গুণগ্রামে শিক্ষাবিভাগের কর্তৃপক্ষের গ্রীতিপাত্র হইয়াছিলেন। তখনও তাহার অনেকটা! প্রতিষ্ঠা-প্রতিপত্তি হইয়াছিল। তাই, তিনি দর্শন- পাঠ-কালে অধ্যাপক পণ্ডিত নিমটাদ শিরোমণি মহাশয়ের মৃত্যু হওয়ায়, চে! করিয়া, পতিত জয়নারায়ণ তর্কপঞ্চানূনকে ত্পদে অধিষ্ঠিত করিতে সমর্থ হইয়াছিলেন। ফোর্ট উইলিয়ম্‌ কলেজে তাহার প্রতিপত্তি অধিকত্তর পরিবর্দিত হইয়াছিল। মার্সেল্‌ সাহেব, তাহাকে অস্তঃকরণের সহিত অদ্ধা-ভক্তি করি- তেন। বিদ্যাসাগর মহাশয়, কোন বিষয়ের জন্ত অনুরোধ করিলে, তিনি তৎসাধনে কৃতকার্ধ্য না হইয়া ক্ষান্ত হইতেন না।

এই সময়, সংস্কৃত কলেজের ঢুই জন ব্যাকরণাধ্যাপকের পদ শুন্ত হয়। তখন বাবু রসময় দত্ত, কলেজের অধ্যক্ষ ছিলেন। পণ্ডিত দ্বারকানাধ বিদ্যাতুষণ পদের প্রার্থী

গ্রাতিষ্ঠ। প্রতিপত্তি ১৫১

হইয়াছিলেন।* ইনি আদি কলেজের পাঠ সমাপ্ত করিয়া- ছিলেন। পদের জন্ত কিন্তু একট| পরীক্ষা! দ্বিবার ব্যবস্থা হইয়াছিল। বিদ্যাভূষণ মহাশ্ পরীক্ষা দিয়া প্রথম হইয়া- ছিলেন। কি কারণে বলা যায় না, রসমর় দত্ত ইহাকে সেই. পদটা না দিয়া তাড়াতাড়ি পুস্তকালয্বের অধ্যক্ষ- পদে নিয়োজিত করেন। বিদ্যাসাগর মহাশয়, কথা মার্সে'ল্‌ সাহেবকে অবগত করেন। মার্সেল্‌ সাহেব, তদ্ানীস্তন “এডু- কেশন্‌ কৌন্সিলের” মেক্রেটরী ডাক্তার মৌয়েটকে এঁ কথ! বলেন। মৌয়েট ষাহেব, রসময় বাবুর বন্দোবস্ত বিপধ্যস্ত করিয়া দিয়া বিদ্যাভূষণ মহাশয়কে পদে নিযুক্ত করেন। 1

পণ্ডিতবর রামগতি ন্তায়রত্ব মহাশয়, স্বীয় “বাঙ্গালা ভাষার সাহিত্য-বিষয়ক-প্রস্তাব* নামক পুস্তকে বিদ্যাসাগর মহাশয়ের প্রতিপত্তি-সন্বন্ধে এইরূপ লিখিয়াছেন,--

“মার্শেল্‌ মাহেব বিদ্যাসাগরের সহিভ যত ঘনিষ্ঠ হইতে আরস্ত করিলেন, ততই তাহার বিদ্যা, বুদ্ধি, চরিত্র, তেজস্থিতা, উদারতা প্রভৃতি সন্দর্শনে মংপরোনাস্তি প্রীত হইতে লাগিলেন। তদবধি সকল বিষয়েই বিদ্যা নাগরের কথায় সম্পূর্ণ বিশ্বান করিতেন এবং তদীয়্ মত গ্রহণ ব্যতিরেকে প্রায় কোন কর্ম করিতেন না। সময়ে ডাক্তার মৌএট্‌ ম্বাহেব এডু-.

* ১৭৪২ শকে বা ১৮২৭ খুষ্টাবে ইনি ২৪ পরশণার অন্তর্গত চাঙ্ড়িপোতা গ্রামে জন্ম গ্রহণ করেন ।৬ ১২ বৎনর সংস্কৃত কলেজে পড়িন্নাছিলেন। উত্তর কালে ইনি নোমপ্রকাশের নম্পাদক হন। ইঙ্ার নহিত বিদ্যাসাগর মহাশয়ের নবিশেষ সৌঁছার্দ ছিল

1 নধধাধিকী, বাবু দ্বারকানাথ গঙ্গোপাধ্যায় কতৃক নংগৃহীত, ২২৮ পৃষ্ঠ1।

১৫২ বিদ্যাসাগর

ফেশন কৌজসিলের মেজ্জেটরী ছিলেন ঝিরি নময়ে সময়ে নংস্কৃত বিদ্যা হিদ্ৃধর্সনংক্কান্ত কোন কথ। জানিবার প্রয্লোজন হইলে মার্শেল্‌ নাহেবকে জিজ্ঞাস! করিভে যাইতেন মার্শেল্‌ সাহেব, বিদ্যাসাগর স্বারা মৌএট, নাছেবের জিজ্ঞান্ত বিষয়ের মীমাংস1 করিয়া! লইতেম। এই হ্থুত্রে মোঁএট, মাহেবের নহি বিদ্যাসাগরের পরিচয় হয়। ভতদধধি তিনি বিদ্যানাগরের প্রতি অত্যন্ত সম্মান বিশ্বান করিতেন। ক্রমে ক্রমে ভাহার পরমাত্ীয় যারপরনাই হিতৈষা হইল! উঠিয়াছিলেন।

মার্সেল সাহেব, বিদ্যাসাগর মহাশয়ের নিকট সংস্কৃত পড়িতেন। তিনি বেশ বাঙ্গাল! শিখিয়াছিলেন। বিদ্যাসাগর মহাশয়ের সঙ্গে বাঙ্গালায় কথাবার্তা কহিতে ভাল বাসিতেন। আবশ্যক হইলে, বিদ্যাসাগর মহাঁশক়, তাহাকে বাঙ্গালায় চিঠি" পত্র লিখিতেন। একবার তাহার বাড়ীতে আত্মীয়ের অধ ইওয়ায়, তিনি কার্ধেট উপস্থিত হইতে পারেন মাই। কথা তিনি বাঙ্গালায় চিঠি লিখিয়া পাঠাইয়া দেন। বিদ্যাসাগর মহাশয়ের পুত্র নারায়ণ বাবুর নিকট হইতে সেই চিঠিখানি সংগ্রহ করিয়াছি। চিঠিখানি এইখানে প্রকাশ করিলাম,--

*রীস্রীহ্র্গ শরণং। “মবিনয়নিবেদনৎ-.্

অদ্য আমার পিতৃব্যপুদ্ধের প্রাতঃকাঙ্গাবধি চারি বার ভেদ হইয়াছে ২* ড্রপ্‌ লডেনমূ দেওয়াতে আপাততঃ প্রায় এক ঘণ্টা] ভেদ বন্ধ হইয়াছে কিন্তু একেবারে নিবৃত্ত হুইয়াছে

বাঙ্গ।লা-চিঠি। ১৫৩

এমত বোধ হয় না অতএব তাহার নিকটে থাকা অত্যাবশ্যক হৃতরাৎ অদ্য ধাইতে পারিলাম না ক্রুটমার্জনে আজ্ঞা হয়। কিমধিকমিতি ২৮ নবেম্বর ১৮৪৩

আজ্ঞাবর্তিনঃ ঈশ্বরচন্দ্র শর্দুর্জ; | মহামহিম-_ আমুজ্ কাণ্তা্ জি টি মার্শল মদেকাশ্রয় মহাশয় মহোদয়েযু- শরীদ শর্ণঃ ফোর্ট উইলিয়মকালেজ।

পত্রের শিরোভাগে “আশুরা শরণং? লেখা আছে। ইহাঁবিশ্বাম কি অভ্যাসের ফল, ঠিক করিয়ী তাহ! বিবার উপায় নাই। উবে-তখনও বিশ্বাদের ফল বলিয়া একেবারে অবিশ্বাম করাও যাইতে পারে না। তখনও তিনি অবিমিশ্র সংস্কৃত শিক্ষার ফলভোনী। তবে ইহার পরবস্তী কালে, যখন তিনি ইংরেজি-বিদ্যায় ব্যুৎপন্ন হইয়া ইংরেজি ভাষাদর্শিত শিক্ষাপ্রণালীর পূর্ণমাত্রায় -পোষকতা করিতেছিলেন,' যখন হিন্দচিত ক্রিয়ানুষ্ঠানে বিরত ছিলেন, যখন ত্রান্ত-বিশ্বাসে হিন্দু সমাজের সংস্কার করিতেছেন বলিয়া প্রন্কুত হিন্দু সমাজের গ্রানিকর কার্ধ্যের অনুষ্ঠান করিতেছিলেন, তখনকার তাহার 'কোন. কোন চিঠিপত্রের শিরোনামায় “ীশ্রীহ্র্ণা শরণং বা *শ্ীীহরিঃ সহায়ঃ লেখা দেখা যায়। কোন সময় তিনি একবার সুকিয়াধ্রীট-নিবামী ডাক্তার চত্রমোহন

১৫৪ বিদ্যামাগর।

ঘোষের বাড়ীতে বসিয়া, পাইকপাড়ার রাজবাটাতে এক পত্র লিখিয়াছিলেন। পত্র লেখা হইলে পর, চত্্রমোহন বাবু এক ধার পত্রখানি দ্রেখিতে চাহেন। ইহাতে. বিদ্যাসাগর মহাশয় ইাস্ত করিয়া! বলেন,_"তুমি যাহা ভাবিতেছ, তাহ! নহে; এই দেখ, শ্রীশ্ীহরিঃ সহায়ঃ লিখিয়াছি।”» ইহাতে মনে হয়, তিনি ঘে কারণে চাট ভুঁতা পরিতেন ) ধান-ধুতি, মোটা চাদর গায়ে দিতেন) ভট্টাচার্যের মতন মাথা! 'কামাইতেন, সেই কারণে পত্রের শিরোভাগে খ্ররূপ লিখিতেন। ইহাকে হয় তে] তিনি বাঙ্গালীর জাতীয়ত্বের একট! অঙ্গ মনে করিতেন।

পত্রের আর একটা বিশেষত আছে। যেবিদ্যাসাগর মহাশয়ের গ্রন্থাদিতে অধুনা তরি ভুরি ইংরেজি মতামুসারী বিরাম-চিহ্রাদি দেখিতে পাওয়া যায়, পত্রে তাহার একটামাত্র “মাই

ফোর্ট উইলিয্বমূ কলেজে চাকুরীতে প্রবৃত্ত হইবার পরই, বিদ্যাসাগর মহাশয়কে তদানীন্তন শিক্ষা-বিভাগের একট! বিশিষ্ট পরিবর্তন দেখিতে হয়। শিক্ষা-বিভাগের সহিত তাহার মিষ্ট সম্বন্ধ সংঘটিত হইয়াছিল। শিক্ষা-বিভাগ্ের অধীন হইয়া, তম্মতানুসারে ফাহাকে শিক্ষা-প্রণালীর অনেক প্রবর্তন পরিবর্তন করিতে হইয়াছিল এরূপ অবস্থায় শিক্ষা-বিভাগের কি ছিল, কি পরিবর্তন হইয়াছিল, তাহার একটা সংক্ষিপ্- বিবরণ বলিয়া] রাখা তাল। পরিবর্তনে শিক্ষাপ্রণালীর কিন্ূপ জ্ারতম্য হইয়াছিল, তাহাও কতকটা বুঝিগা রাখা উচিত।

শিক্ষা-বিভাগের পরিবর্তন | ১৫৫

ইতিপূর্ব্বে শিক্ষা-বিভাগের পরিচালনা-ভার, *কমিটী অব. পব.লিক্‌ ইন্ট্রকৃশন্‌” নারী সভার হস্তে বিত্ত ছিল। এই সভা ১৮২৩ বৃষ্টাব্ধে বা ১২৩০ সালে প্রতিঠিত হয়। সভা! প্রতিষ্টিত হইবার পর, ১২ বর প্রাচ্য শিক্ষা প্রচলনকারী এবং পাশ্চাত্য- শিক্ষা-প্রবর্তন-প্রয়ামীদের মধ্যে দ্বন্দ চলিতেছিল। শেষে মেকলের মতামত-প্রতাবে প্রথমোক্ত দলের পরাভব হয়। ১৮৩৯ ষ্টাবে বা ১২৪৬ সালে তদানীস্তন গবর্ণর লর্ড অকৃলণ্ডের এই "মর্মে এক “মিনিট” প্রকাশিত হুয়,-_ইযুরোপীয় সাহিত্য, দর্শন বিজ্ঞান-শিক্ষা ইংরেজিতে হইবে বটে ) তবে বর্তমান প্রাচ্য ধিদ্যালয়গুলিও পুর! দমে চলিবে ইংরেজি ছাত্রদিগ্নকে যেমন উৎসাহ দেওয়া যাইতে পারে; প্রাচ্য-বিদ্যার্থীদিগকেও সেইরূপ উৎসাহ দেওয়া হইবে; পরন্ত ইংরেজির সঙ্গে দেশীয় ভাষার শিক্ষা চলিবে) যে যাহা পসন্দ করে, সে তাহাই শিখিবে ।” অতঃপর “কমিটা অব. পব্‌লিক্‌ ইন্ট্রকৃশনৃ* এই শিক্ষা-প্রণালীর পর্যালোচনার প্রতি দৃষ্টি রাখিলেন। ইহার পর ইৎরেজি শিক্ষার বেগ খরতর হইয়াছিল। ইতিপুর্ব্বে ১৮৩৫ ষ্টাবে বা ১২৪২ সালে জংবাদ-পত্রের স্বাধীনতা প্রদত্ব হয়। ১৮৩৭ বৃষ্টাবে বা ১২৪৪ সালে আদালত হইতে পাগি ভাষা উঠিয়! যায়। এদেশীয় বিচার-কর্তার্দের উপর অধিকতর বিস্তৃত ভাবে কার্)ভার অর্পিত হয়। সুতরাং নৃতন শিক্ষা- প্রণালীর কার্ধ্যও প্রশস্ততর হইতে লাগিল কমিটী, বান্ালাকে নয়টা সার্কেলে অর্থাৎ অংশে বিভক্ত করেন। প্রত্যেক ভাগে

১৬. বিদ্যানাগর |

একটী করিয়া কলেজ হইয়াছিল।* প্রত্যেক ভাগের অনত্ভুত প্রত্যেক ভ্রেলায় একটী করিয়া! ইংরেজি-বাঙ্গালা স্কুল হইয়াছিল ১৮৫২ ববষ্ঠাবধে বা ১২৫৯ সালে কমিটী, শিক্ষা-বিভাগ্ের ভার) অধিকতর শক্তিশালিনী সভা “কৌলিল অব. এডুকেশনের” উপর অর্গণ করেন। এই কৌন্সলের অধীনে বিদ্যামাগর মহা" শয়কে অনেক কার্ধ্য করিতে হইয়াছিল। পরবন্তী' ঘটনায় কৌন্সিলের কার্ধ্য-কলাপের ফল উদ্ঘাটিত আলোচিত ' হুইধে। : | ফোর্ট উইলিয়মূু কলেজে বিদ্যাসাগর মহাশয়ের কার্য" কালেই, ১৮৪ বৃষ্টাকে বা ১২৫১ সালে তদানীত্তন বড় লাট লর্ড হাডিঙ্জ, বাঙ্গালা ভাষ। শিক্ষার নিমিত্ত পাশ্ডতা বিদ্যালয়ের আদর্শে গঠিত বান্গাল! বিদ্যালয় স্থাপন করেন। চারি বত্সরের মধ্যে এইরূপ ১০১ এক শত একটা বিদ্যালয় প্রতিপ্রিত হইয়াছ্িল। এই সব বিদ্যালয়ের মহিতও বিদ্যামাগগর মহাশয়ের সম্পর্ক ছিল। এই সকল বিদ্যালয় বাস্কালা ভাষার প্রমার- প্রবর্তনের জন্ত হুট হয়; পরন্ত বাঙ্গালা পাঠ্যে বিজাতীয় ভাব-প্রণোদনের ষদ্পূর্ণ সহায় হইয়াছিল। সেই জন্য এই সমস্ত বিদ্যালয়ের প্রতিষ্টা কথাটা এইখানে বলিয়া রাখিলাম।

* এই কমিটীর কার্ধাকালেও ১৮৩৫ খৃষ্টাব্দে বা ১২৪২ সালে হিসাব করিয়! দেখা হইয়াছিল, বাঙ্গালায় এক লক্ষ গ্রাম্য স্কুল পাঠশালা ছিল ১৮৫৫ খৃষ্টাব্দে বা ১২৬২ পালের পূর্বে ইহাদের উন্নতি-পক্ষে ফোন ঢচ্ট হয় নাই।

পতার কধ্য-ত্যাগ | ১৫৩

ফোর্ট উইলিয়মূু কলেজের কাধ্য-কালে এক দিন পথে পিতা ঠাকুরদাসের কি একটা দুর্ঘটনা উপস্থিত হয়। কাহারও কাহারও মুখে শুনি, অশ্বের পদ্াঘাতে তিনি আহত হন; কিন্ত কথার সত্যতা-সত্বন্বে কেহই দায়িত্ব গ্রহণে, সম্মত নন। যাহা হউক, এই জময় বিদ্যাসাগর মহাশয়, পিতাকে কর্ম পরিত্যাগ -করিতে পরামর্শ দেন। তিনি বলেন, *বাবা! এখন তো আমি ৫০২ পঞ্চাশ টাকা পাইতেছি, দ্চ্ছন্দে

ংসার চলিবে, আপনি আর কেন পরিশ্রম করেন? আপনি দেশে গিয়। থাকুন ।”

বিদ্যাসাগর মহাশয়ের নিতাভ্ত অঙ্গরোৌধে পিতা ঠাকুরদাস কর্মে পরিত্যাগ করিয়া, দেশে যাইয়া বাস. করেন। বিদ্যাসাগর মহাশয়, তাহাকে মাসে মাসে ২০২ কুড়ি টাকা পাঠাইস্বা দিতেন

বং বামায় ৩০২ ত্রিশ টাকা খরচ করিতেন। এই সমর বালায় রি ছুই সহোদর, ছুই জন পিতৃব্যপুত্র, ছুই জন পিস্তুতো। ভাই, এক জন মাস্তুতো ভাই এবং অনুগত ভৃত্য শীরাম নাপিত * থাকিতেন। এততদ্ব্যতীত দুই চারি জন অতিরিক্ত লোক প্রায়ই ছুই বেলা! আহার পাইভ।. বাসায় সকলকেই

« বিদ্বানাপর মহাশয়ের পুত শ্রীযুক্ত লারায়ণচর্জ বন্দোপাধায় মহাশয়ের মুখে শুনিয়াছি, যখন নকিয়া প্রীটে বিদ্যানাগর মহাশয়ের বান! ছিল, তখন কতকগুলি আঁজীয়-লোক তাহার প্রাণনাশ-কল্সে ভয়ানক যড়মন্্ করিয়াছিল তখন এই অন্নগত ভৃত্য ভ্ীরামের কল্যাণেই তিনি আত্ম- রক্ষায় মমর্থ হন। মেব্যাপার, ব্বমান কালে ধিৃত করিবার পক্ষে নান! হাধ! আছে।

৯৪

১৫৮ বিদ্যামাগর।

পর্ধ্যায়-ক্রমে রদ্ধন করিতে হইত। বিদ্যাসাগর.মহাশয়ও রদ্ষন করিতেন। তা! না করিলে কি ৩০. ত্রিশ টাকায় এত গুলি লোকের অন্ন-সংশ্থান হয়? বিদ্যাসাগরের নিকট কি শিখিবার বন্ত ছিল আছে, পাঠক! তাহা বুঝিতে কি এখনও বাকি রহিল? ৫*২ পঞ্চাশ টাকা বেতনভোী বাঙ্গালীর মধ্যে এরূপ কুদ্ছৃ্াধ্য ব্যবস্থা কয় জনের দেখিতে পাই ?

এই সময়ে মার্সেল সাহেব, মংস্কৃত কলেজের “জুনিয়র” “সিনিয়ার্‌* পরীক্ষার পরীক্ষক হন। বিদ্যাসাগর মহাশয়কে সংস্কৃত প্রশ্ন প্রস্ত করিয়া সাহেবের সাহাধ্য করিতে হইত ব্যাকরণ, কাব্য, স্মৃতি, বেদান্ত প্রভৃতি সকল প্রশ্মই তিনি নিজেই লিখিয়! দিতেন ভাবি তাই, একটা ম'নুষ,এত কাজ কি করিয়ু! করিতেন? ভাবি, আর মুহর্তে মৃহূর্তে বিশ্বয়-বিমুঢ় হইয়া পড়ি। কিন্ত আবার যখন বিলাতের বিখ্যাত রাজনীতিজ্ক কবডেনের কথা মনে হয়৮-“আমি ঘোড়ার মতন, এক মুহূর্ত বিশ্রাম না করিয়া খাটিতেছি”; যখন ভাবি_রোমক সমাট দিজর্, আল্লপন্‌ হইতে সৈন্য সঞ্চালন করিবার সময় লাটীন অলঙ্কার" শান্তর সম্বন্ধে প্রবন্ধ শিথিয়ান্িলেন,”_-তখনই মনকে প্রবোধ দিই, শক্তিশালী শ্রমশীল ব্যক্তির ইহ-জগতে অসাধ্য কি? এই গণেই তো পশুর উপর মনুষ্যের রাজত্ব; সামান্তের উপর অসাঁমান্যের গ্রভূত্ব।

মন্তিষ্ধের পরিচয় পাইলেন, এধন এই সময়ের একটু জুদয়ের পরিচয় লউন। গাঠ্যাবন্থায় যখন তিনি সামান্ত বৃত্তি গাইতেন,

সহৃদয়তার পরিচয়। ১৫৯

'তখন বিদ্যাসাগর মহাশয় তাহ! হইতেই অন্নার্থী বস্্ার্থাকে সাধ্যান্থুসারে অন্ন-বন্ধ্র দান করিতেন। এখন তিনি ৫০২ পঞ্চাশ টাকা বেতনভোগী। ২০২ কুড়ি টাকা দেশে পিতার নিকট পাঠাইতেন) আর ৩০২ ত্রিশ টাকা মাত্র রাখিতেন বাসা- খরচের জন্ত। উপরেই এই সংবাদ এক বার বল গিয়াছে। এই ৩+২ তিরিশ টাকার মধ্যেও তিনি বামাখরচ চালাইয়া, আবশ্তকঘন্ত সাধ্যানুসারে ভন্ন-বস্মাথী এবং গীড়িত ব্যক্তির দাহাধা করিতেন।. দৃষ্টান্ত অনেক আছে; কত বলিব? ছুই একটীর মার উল্লেখ করি!

১৮৩৩ গষ্টান্সে বাঁ ১২৫০ সালে সংস্কৃত কলেজের অধ্যাপক ন্গাধর ত্বাণীশের বিস্ৃচিকা পীড়া হয়। বিদ্যাসাগর মহাশঙ সংবাদ পাইয়া, ডাক্তার দুর্গাচরণ বন্দ্যোপাধ্যায় মহাশয়কে সঙ্গে লইয়া, তর্দবাণীশ মহাশয়ের বাসায় উপস্থিত হন। ভাক্তার,, তাহার চিকিৎনা করেন এবং তিনি নিজ হস্তে মল:মৃত্র পরিষ্ক করিয়াছিলেন ওঁধধের হৃঙ্য, বিদ্যাসাগর মহাশয় নিজে দিয়াছিলেন। কোন অনাথ দুঃস্থ লৌক গীড়িত হইলে, তিনি শ্রম গিয়া তাহার মেবা-শুশীষা করিতেন ; এবৎ তাহাকে ঝাচা- ইবাঁর জন্য নিজের ব্যয়ে সাধ্যানুমারে উষধ-পথ্য যোগাইতেন।

এক বার নারিকেল-ডাঙ্গায় অধ্যাপক জয়নারায়ণ তর্কপঞ্চা- ননের ভাগিনেয় ঈশানচর্ত্র ভট্ট চার্যের ওলাউঠা হয়। বিদ্যা সাগর মহাশয় রাত্রিকালে তথায় উপস্থিত হইয়া তাহার চিকিত্সা করান। তিনি নিজের বাসা হইতে মাছুর-বিছবানা

১৬৩ বিদ্য'সাগর

লইয়া গিয়া, রোনীর শধ্যাঁর ব্যবস্থা করিয়া দেন। রাজকৃষ বাবু বলেনত_“াহাকে প্রায়ই এইরূপ করিতে হইত। তাহার মে অকৃত্রিম দয়ার কাধ্য কিসব আমার স্মরণ আছে? আর কতই বা বলিব মহাশয়, আর কতই বা শুনিবেন ? সে সব কথ! স্মরণ হইলে, সেই দয়াবতারের সেই করুণ-মূর্তি, হৃদয়ে জাগ- ক্লক হযু। তীহাঁর কথা ভাবিলে বুক ফাটি যায়; চক্ষের জল রাখিতে পারি না! আহা! তেমন দয়ালু দাতী কি আর জগতে দ্রেখিব %

এক বার বিদ্যাসাগর মহাশয়ের বাসার সম্মুখে কোন এক- ব্যক্তির ভৃত্য, ওলাউঠ। রোগাক্রান্ত হয়। ধাহার ভৃত্য, তিনি তাহাকে হাত ধরিঘ। রাস্তায় বাহির করিয়া দেন? আহা! সে অনাথ-পীড়িতের এমন কেহই ছিল না যে, তাহার মুখে একটু জল দেন্ধ। দয়ার সাগর বিদ্যামাগর সংবাদ পাইয়া? তখনই গিয়া, সেই পীড়িত ভূত্যকে বুকে করিয়া তুলিয়া আনিয়া, আপনার শব্যাঘ্ শয়ন করাইয়া দ্েন। তাহার অবিরাম যত্ব-গুশ্রাষাঁর় এবং সুহদ-ডিকিৎ্সকের চিকিৎসায় রোশী, ২। ভুই চারি দিনের মধ্যে আরোগ্য লাভ করে। কি মায়া? কি করুণা!

বিদ্যাসাগর মহাশয়, সুবিধা পাইলেই, আত্মীয় বন্ধু-বান্ধব এবং গুণবান্‌ কৃতবিদ্য লোকের চাকুরী করিয়া দিতেন। কোন কোন সময় তিনি অপরের জন্য হানি-শ্বীকার কঠিতেও কুষ্ঠিত হুইতেন না। এই সময় সংস্কত কলেজে ব্যাকরণের পপ্রথম

গ্রতিশ্রতি-পালন। ১৬১

শ্রেণীর অধ্যাপকের পক শৃন্ত হয়। মার্সেল দাহেল, বিদ্যা" সাগর মহাশয়কে পদ গ্রহণ করিতে অনুরোধ করেন! পদের বেতন ৮০২ আমশী টাক! ৫০২ পঞ্চাশ টাকার বেতন, ভোগী বিদ্যাসাগর, & পদ গ্রহণে অসন্মত ছন। তাহার কারণ এই,-- |

তিনি পূর্বে তাৎ্কালিক বহু-শাস্্রাধ্যাপক তাঁরানাথ তর্দ- বাচম্পতি ধ্হাশয়কে যেরূপেই হউক কোন একটা চাকুরী করি দিব বলিয়া প্রতিশ্রুত ছিলেন ; এবং উপস্থিত পদে তর্কবাচন্গতি শ্রহাশয় উপযুক্ত ব্যক্তি বলিয়া, তাহার ধারণ! ছিল। লুযোগ পাইয়া তিনি প্রতিশ্রুতি পূর্ণ করিবার চেষ্টা পাইলেন। এই পদে তর্কবাচম্পতি মহাশয় ধাহাতে নিণুক্ত হন) তাহার জন্ত তিনি আার্সেল সাহেবকে অনুরোধ করেন বিদ্যারত্ব মহাশয় লিখি- মাছেন,-শ্যখন সাহেব, বিদ্যাসাগর মহাশয়কে এই পদ গ্রহণ করিবার জন্ত অনুরোধ করেন, তখন তিনি বলেন, মহাশর টাকার প্রত্যাশা! করি না, আপনার অনুগ্রহ থাকিলেই, আমি চরিতার্থ হইব” বিদ্যানাগর মহাশয় যে এরূপ চাটুবাক) প্রয়োগ করিবেন, ভীহার জীবন-সমালোচনা করিলে, এব্সপ সিদ্ধান্ত করিতে সাহস হয় না। কেহ কেহ বলিতে পারেন যে) প্রকৃত প্রতিশ্রুতির কথ! বলিলে সাহেব হয় তো ভাহাকে আহ- স্কারী মনে করিবেম ; সৃতরাৎ কথা রক্ষার সম্ভাবনা! নাই বলিয়া, তিনি এইরূপ তুষ্টিকর কথ। বলিয়াছিজেন। কিন্ত বিদ্যাসাগর আত্মগোপন করিয়া, সাহেবের তুষ্টিকর কথা বলিবেন, কথা

১৬২, বিদ)াগাগর

বিশ্বা করিতে কাহারও প্রবৃত্তি হইবে না; আর মার্সেল, সাহেবও যে আত্মতুষ্টি-কর কথায় বিমূঢ় হইয়া পড়িবেন, ধারণাও আমাদের নাই। যাহা হউক, মার্সেল সাহেব, বিদ্য- সাগর মহাশষের কথায়, তর্কবাচম্পতি মহাশয়কেই উক্ত পদে নিগৃক্ত করিতে চাহেন। যে দিক্‌ দিয়াই হউক, ইহা বিদ্যাসাগর মহাশয়ের স্বার্থত্যাগের সজীব সঞ্ষেত। এক্সপ প্রলোতন পরি- ত্যাগ করিতে একটু জুদয়-বলের প্রয়োজন জর পণ্ডিত হীানের জীবনী-পাঠে, তদানীস্তন মনন্ী রঙ্ষিনের এইরূপ" দবার্থত্যাগের পরিচয় পাওয়া যায়। রক্ষিনূকে এক বার একুটী 3 পদ দিবার 'প্রস্তাব হয়) তিনি কিন্তু হীনকে পদের

পরুন্ত বিবেচনা করিস, উভ্ত পদ তাহাকেই দিবার জন্ত অনু- রোধ করেন। এব্যাপার, কেবল বিদ্যাপাগরের- স্বার্থত্যাগের পরিচয় নয়) প্রতিশ্রুতি রক্ষা করিতে, তাহাকে কিরূপ কঠোরতা জহ্থ করিতে হইয়াছিল, তাহার প্রমাণ পাইলে,

পাঠক আশ্চধ্যাস্বিত হইবেন

বে স্ময় তর্কবাচণ্গতি মহাশয়কে নিষুক্ত করিবার কথ] হয়, সেই সময় তর্বাচম্পাতি মহাশয় অশ্থিকা-কাল্নায় অর্বাস্থতি করিয়া, তেজারতীর কারবার করিতেছ্িলেন; এতদ্ব্যতীত তথায় তাহার একটা টোলও ছিল। তাহাকে প্রয়োজন সোমবারে ) কথ। হয় শনিবারে ; হৃতরাৎ পত্র পাঠাইলে সময়ে পত্র পৌছি- বার সম্ভাবন! নাই; পৌছিলেও তর্কবাচস্পতি মহাশয় কার্য শ্বীকার করিবেন কিনা, তাহার স্থিরতা ছিল না। এই জন্ত

গ্রতিশ্রতি-পালন। - ১৬৩

নিন্যাপাগর মহাশয়, সেই দিনই এক জন আত্মীয়কে সঙ্গে লইয়া কাল্নাভিমুখে যাত্র। করেন। কলিকাতা হইতে কাল্ন! প্রা ২৪। ২৫ ক্রোশ দূর। তিনি সেই সঙ্গী আত্মীয়, সারা-রাত পদত্রজে চলিয়া পরদিন তর্কবাচপ্পতি মহাশয়ের বাঁটাতে উপ. স্থিত, হন। তর্কবাচম্পতি তীাহার+ পিতাঠাকুর, বিদ্যাসাগর মহাশঘের মুখে তাহার গমন-কারণ জামিয়া চমতকৃত হইলেন এবৎ শতবার ধন্তপাদ করিলেন। প্রতিশ্তি রক্ষার জন্য বিদ্যা. সাগর অনায়াদে অক্রেশে এত পথ-শ্রম সহা করিয়াছেন, কথ। ভাবিয়া তাহার! বিস্ময়-বিহ্বলচিততে স্পষ্টাক্ষরে বলিলেন,-- “ধন্ত বিদ্যাসাগর ! তুমিই নরাকারে দেবতা।” যাহা হউক, শুনিত্বাছি, পরগ্রহণে তর্কবাচম্পতি মহাশয়ের কি একট! আপত্তি উপস্থিত হইফ্বাছিল। বিদ্য।সাগর মহাশয় আপত্তি খণ্ডন করিয়া, তাহাকে পদ গ্রহণে সম্মত করান। পরদিন তিনি আবার সেই আত্মীঘ্র সঙ্গে কলিকাতান্ব উপস্থিত হন্‌। তর্কবাচস্পতি মহাশয় সঙ্গে আমেন নাই; তাহার প্রসংশা পত্রাদি, বিদ্যাসাগর মহাশয় বয় আনিয়া মার্সেল সাহেবকে প্রদান করেন। মার্সেল, সাহেব, তর্কবাচস্পতি মহাশয়কে নিযুক্ত করিবার জন্য গবর্ণমেণ্টে অনুরোধ করেন। পরে তর্ক- বাচম্পৃতি মহাশয় কলিকাতায় আসিফ পদ প্রাপ্ত হন। বিদ্যাসাগর মহাশয়ের “পথ-চলার” কথাটা কবি-কল্পনাই বলিয়া যেন মনে হয় সত্য মত্যই কিন্তু তাহার “পথ-চলা” শক্তি এমনই ছিল। তাহার “পথ-চলা”-সন্বন্ধে কত কথাই

১৬৪ বিদ্যাপাগর।

শুনিয়াছি। তখন তিনি হষ্র-বলিষ্ট-কলেবর শক্তিশালী যুবক ছিলেন। উত্তর-কালে তিনি রোগ-ভগ্ন দেহে যেরূপ চলিতে পারিতেন, এক জন ভীম-কলেবর হুদৃট*দেহসম্পন্ন মুবকও তেমন চলিতে পারেন কি না, সনেহ। তাহার উত্তর কাজেও কিরূপ হাটিবার শক্তি ছিল, প্রসঙ্গ-ক্রমে তাহার এই থুানে ুই একটা দৃষ্টান্ত দিলাম,

বিদ্যাসাগর মহাশয়ের দৌহিত্র শ্রীযুক্ত হুরেশচন্্র সমাজ. পতি মহাশয় আমাদিগকে বলিয়াছেন,-“এক দিন কর্ণটাডে আমি, দাদ] মহাশঘু এবং আর কয়েক জন, প্রাভদ্রমণে বহির্গত হইবরি উদৃষোগ করি। আমি বলিলাম, দ্দাদা- মহাশয় আজ আপনাকে হারাইয়া দ্িব। দেখি আপনি কেমন আমাদের অপেক্ষা হাটিয়! যাইতে পারেন দাদা মহাশ্র ঈষং হাগিয়। বলিলেন,-তাল তাহাই হইবে) এই বলিয়া আমরা মকলে হাটিতে আরম্ভ করিলাম) আমাদের সঙ্গীরা পশ্চাতে পড়িয়া থাকিলেন; আমি কেবল তাহার সঙ্গে যাইতে লাগিলাম) কিয়দূর যাইয়। দেখি, দাদা মহাশয় আমাকে পরিত্যাগ করিয়া, চটি জুতা পায়ে চু চট করিতে করিতে অনেক দূর অগ্রসর হইয়া! পড়িয়াছেন। আমি চেষ্টা করিয়াও, তাহাকে ধরিতে পারিলাম না। দাদা মহাশয় ঢূর হইতে হাসিতে হাসিতে বলিলেন, 'হারাবি না 1% আমি অবাকৃ।*

বিদ্যা্াগর মহাশয়ের পুত্র শ্রীঘুক্ত নারায়ণচন্র বন্দো-

চলচ্ছক্তি। ১৬৫.

পাধ্যায় মহাশয় বঙ্গিয়াছেন,-“সংস্কৃত কলেজে চাকুরী করিবার সময়, এক দিন বাবার বীরদিংহ হইতে কলিকাতায় একদিনে আসিবার প্রয়োজন হয়। তিনি তাঁড়া-তাড়ি বাহির হইবার উদ্যোগ করেন। গেই সময় মদনমণ্ুল নামে এক জন-পাইক বাবাকে বলিল,-'আমি তোমার মন্গে কলিকাতায় যাইব 1 বাবা বলিলেন,তুমি আমার সঙ্গে হাটিতে গারিবে? সে ্ীকার করিল। পরে উত্র়েই হাটিতে লাগিলেন। ৪1৫ ক্রোশ পথ আসি মদনমণ্ডল দেখিল, বাবা স্তাহাকে ছাড়িয়া! ৩। রমি অগ্রসর হইয়াছ্েন। মে-হা রা রা" করিস, লাঠি ঘুরাইয়! আপনি ছু-চার পাক দরিয়া, দ্রতপদে বাবাকে ধরিবার চেষ্টা করিল) এবং ছুটিয়া গিয়া বাবাকে ধরিল। উভয়ে আবার চলিতে আর্ত করিলেন। ১০১২ ক্রোশ দরে গিয়া মদন বাবাকে বলিল,দেখ আজ আর কলিকাতায় যাওয়া হইবে না; এই চটিতে গ্বীকা যাক?" বাবা হাসিয়া বলিলেন, “আমাকে যাইতেই হইবে। তৃমি এই পর়গা লইয়া, চটিতে থাক) কাল্‌ তখন যাইও ।' মদন চটিতে রুহিয়ী গেল। বাবা কলিকাতা আমিলেন।”

বিদ্যাসাগর মহাশঘু পূর্নে এক দিনেই হীঁটিয়া বাড়ী যাইতেন; এক দিনেই বাড়ী হইতে কলিকাতায় আমিতেন। বীরসিংহ গ্রাম হইতে প্রায় ১০। ১২ দশ বার ক্রোশ দরে মসাট নামক স্থানে একটা করিয়া ডাব খাইতেন মাত্র। যখন কলেজের পিন্সিপল ছিলেন, তখনও তিনি প্রায় হাটিয়া যাইতেন।

১৬৬ : বিদ্যাসাগর

এমন কি, সঙ্গীদের যোট-বোঝা ভারী হইলে, তিনি তাহাদের মোট-বোঝা কতক নিজের মস্তকে লইয়া ইাটিতেন। এক বার পথে তিনি এইরূপ অবস্থাঘ্ম যাইবার সময়, কলেজের ছুই জন্‌ দ্বারবানের সম্মুথে পতিত হন। দ্বারবানের] ত্বাহার তদবস্থা দেখিয়া, তাহার মোট লইবার চেষ্টা করে। তিনি কিন্তু তাহার্দিশ্বকে মিষ্ট কথায় বিদায় দিয়া, আপনি মোট বহিয়া চলিয়া যান।

ফোর্ট উইলিয়য়ে চাকুরী করিবার সগয়, তাহার বাড়ী যাইবার যেরূপ প্রায় ভুযোগ ঘটিত, কলেজে চাকরীর অময় মেরূপ ঘটিত না। তখন তিনি প্রায়ই রাড়ী যাইতেন। বাড়ী গিয়া, প্রতিবেশীর তত লওয়া, আর্ভ-পীড়িতের শুশযা করা, অনাথ-অনাথার ছুঃখাপনোদনের চেষ্টা করা, আমোদ কৌতুক করা, তাহার কার্ধ্য ছিল। এত সমন্ধে, ছুই একটা দৃষ্টান্ত এইখানে প্রকটিত হইল।

বাড়ী যাইলেই বিদ্যাসাগর মহাশয়, মধ্যে মধ্যে ভাতা পুত্র এবং অন্যান্ত আত ক্বজন সঙ্গে মধ্যাহ্থে নিমন্ত্রণ খাইতে যাইতেন। পথে কৌতুক করিবার জন্ত কোন নালা-নর্দম! দেখিলেই লাফা ইয়া পার হইতেন এবং মধ্যম ভ্রাতাকে সেই, নালা-নর্দমা পার হইবার জন্ত উপরোধ করিতেন। মধ্যম ভাতা বাহাছরী দেখাইবার জন্ত কখন কখন লাফাইতে গিয়া পড়িয়! বাইতেন। সেই সময় ছো হো! হাসির রব হইত। তিনি মধ্যম ভ্রাতাকে লইয়া এইরূপ কৌতুক প্রায়ই করিতেন।

দুর্বলে দয়া ১৬৭

এক বার তিনি বীরসিংহ গ্রাম হইতে হাটিক্া আসিতে- ছিলেন। এক মাঠের মাঝে দেখি লেন, একটী অতি বুদ্ধ কৃষক মাথায় মোট করিয়া দাড়াইয়া আছে। বিদ্যাঁসার মহাশয় জিজ্ঞাসা করিয়া জানিলেন, লোকটার বাড়ী দেখান হইতে ২।৩ দুই তিন ক্রোশ দূরে তাহার মুবক পুত্র, তাহার মস্তকে বোঝা চাঁপাইয়! দিয়া! তাহাকে বাড়ী পাঠাইয়াছে। বৃদ্ধ এখন চলচ্ছক্তিহীন। বৃদ্ধের অবস্থ। দেখিয়া এবং পুত্রের ব্যবহারের কথা শুনিয়া, বিদ্যাসাগর মহাশয়েরও চক্ষের জলে বক্ষঃশ্থল ভাঙিয়া গেল। তিনি তৎক্ষণাৎ বুদ্ধের মস্তক হইতে জেই বোঝ আপন মস্তকে তুলিয়া লইলেন; এবং বৃদ্ধকে সঙ্গে করিয়। তাহার বাড়ী পর্যন্ত গেলেন। তিনি সেই: মোট, বুদ্ধের বাড়ীতে পৌছিযা দিয়া, আবার হা।টিয়া কলিকাতায় আসেন।

এমন অনেক গল্প শুনিয়াছি, সব কথা বলিবার স্থান হইবে না। পাঠক ইহাতেই অবশ্য বুঝিক্ধাছেন, বিদ্যাসাগরের চশচ্ছক্তি কিরূপ অসামান্য বল দেখি, মস্তি্ষ দেহের এরূপ শক্তিমমাহার ইহ-সংসারে অতি বিরল কি না?. আর কোন বাঙ্গালীর এমন দেখিয়াছ কি? কেবলই কি তাই? এমন অনাত্পরতা বা কর জনের আছে বল? বল, বুদ্ধি, দয়া, তিনটার একত্র সমাবেশ, বড় ভাগ্যবান না হইলে কি হয়? একাধারে যে ত্রিবেণীর ত্রিধারা। | _ ইহার উপর আবার মাতৃ-ভক্তির মন্দাকিনী-ধারা পুর্ণোস্ভাষে প্রবাহিত। এই খামে তাহারও একটু প্ররিচয় দ্িব। :

১৩৮ বিদ্যাসাগর

এই ফোর্ট উইলিয়ম কলেজে কার্ধ্য করিবীর সময়, বিদ্যা" - জাগর মহাশয়ের তৃতীয় ভ্রাতার বিবাহ-সন্বন্ধ হইয়াছিল। বীরলিংহ গ্রাম হইতে জননী পত্র লিখিয়া পাঠাইলেন,-“তুমি অতি অবশ্য আমিবে।* মাতভন্ত বিদ্যাসাগর আর স্থির থাকিতে পারিলেন না। তিনি তখন মার্ষেল সাহেবের নিকট ছুটার জন্য প্রার্থনা করেন; ছু'টা কিন্তু পাইলেন না। তখন তিনি ভাবিলেন)-“আমাকে না দেখিয়া মা মগিবেন। অত্যন্ত কৃতদ্ব আমি মাতৃ-আজ্ঞা পালন করিতে পারিলাম, না। হা ধিক! শত ধিক” সকলেই বাড়ী দিয়াছেন; বিদ্যাসাগর মহাশয় শূন্ত-প্রাণে উদ্রাঁস মনে, সারা রাত্রি কীদিয়া কীদিয়া কাটাইলেন। পর দিন প্রাতঃকালে তিনি প্রতিজ্ঞা করিলেন, চুটা না পাই, কর্ম পরিত্যাগ করিব। অদ্য কিন্ত বাড়ী নিশ্চিতই যাইব।” তিনি মার্সেল, সাহেবকে গিয়া বলিলেন )--ছুটা ন! দেন, কর্ম পরিত্যাগ করিলাম, ম্জুর করুন? চাকুরীর জন্য জননীর অশ্র-জল সহ করিতে পারিব* না” সাহেব স্তম্ভিত হইলেন ! ভাবিলেন,--এ কি'এ অদূত মাত ভক্তি 1” তিনি আর সবিরুক্তি না করিয়া প্রমন্নচিন্তে তখনই ছুটা মঞ্জুর করিলেন। চুটা পাইয়াই বিদ্যাসাগর মহাশয় বাসায় আদিলেন এবং বেলা তিনটার সময় ভৃত্যকে সঙ্গে লইরা যাত্রা করিলেন। আষাট মাস”আকাশ ঘনঘটায় আচ্ছন্ন,মুকরদুহঃ কড় কড় বজ্ত- ধবনি,--চকিতে বিছ্যুৎ-চমকানি--অবিরাম বাত্যা-প্রবাহিনী,-- মৃষলধারে বৃটি,-পথ ঘাট কর্দমাক্ত। বিদ্যাস্মাগর কিতেছুই

মাতৃতক্তি। ১৬৯

জক্ষেপ না করিয়া, মাত-উদ্দেশে উর্ীশবামে চলিতে লাগিলেন সন্ধ্যার সময় ভূত্য শ্রীরামের অনুরোধে, ত'হাকে দে রাতি, কষ্টরামপুরের এক দোকানে অবশ্থিতি করিতে হয়। তখনও ১২। ১৩ বার তের ক্রোশ অবশিষ্ট পরদিন প্রত্যষে তিনি আবার চলিতে লাগিলেন। শ্রম ক্লাস্ত হইয়া পড়িয়াছিল। তাহার বাড়ী নিকটস্থ কোন গ্রামে বিদ্যাসাগর মহাশয় তাহাকে বাড়ী যাইতে বলিলেন শ্রীরাম কিন্ত প্রভুর বিপদা- শঙ্কায় সঙ্গ ছাড়িল না। দে ধীরে ধীরে প্রভুর পদানুদরণ করিতে লাগিল। কিয়দূর গিয়া বিদ্যাপাগর মহাশয় ক্ষুধা ক্লান্ত শ্ীরামকে একটা দোকানে ফলারে বসাইয়া বলি- লেন,-এআীরাম এই পয়সা লও) বাড়ী যাও।” এই কথা বলিয়া তিনি দ্রতপদে তীরবেগে চলিতে আরম্ভ করিলেন। আরাম সঙ্গ লইতে পারিল না। ক্রমে বিদ্যাসাগর মহাশয় দামোদর নদ্দের তীরে উপস্থিত হইলেন। বিষম বর্ধা্ দামোদরে খরতর একটানা তজোঁত,--ছুকুল-ভরা৮--কানে কান জল? |

প্রীষ্মকালে দামোদ্রে সামান্ত-মাত্র জল থাকে; এমন কি, হাটিয়াই পার হওয়া যায়। বর্ধাকালে কিন্ত ইহা! প্রলয়ঙ্করী ংহার-মূর্তি ধারণ করে। আজ সেই দামোদর বাত্য'- বিক্ষোভিত বারিধিবৎ ভীষণ সংহার মূর্তি ধারণ করিয়াছে। বিদ্যাসাগর মহাশয় দেখিলেন,পারাপারের নৌকা অন্য. সাড়ে তাহার বন্ধু-বান্ধব, আত্মীত্ব স্বজন, পিতা, ভ্রাতা,

১৫

১৭৩ বিদ্যাসাগর

ভগিনী, যুবতী বনিতা *-সবই আছে। আজ কিন্ত বিদ্যাসাগর ভাবিতেছেন, তাহীর কেহই নাই;-আছেন কেবল।-“জননী”। বিদ্যাসাগর বাহাজ্জান শূন্য ;_অস্তরে বাহিরে কেবল ষেই অন্নপূর্ণা মাতৃমূর্তি। অনন্ত-বিশ্ব-ব্যোম-ব্যাপিনী মাত মূর্তি তিনি আর স্থির থাকিতে পারিলেন না। নৌক্কার অপেক্ষা না করিয়া, উচ্চকঠে 'মা) মা" বলিয়া ডাকিয়া, দ্রামোদরের জলে ঝাঁপ দিলেন।

দেখিতে দেখিতে বিদ্যাপাগর সীতার দিয়া দামোদর পার হইয়া গেলেন। বিদ্যামাগর কি নিজ বলে সে হুর্ভয় দামোদর পার হইলেন? মানুষের শক্তিতে কি তাহ। কুলামণ ব্যাপার দেখিয়াই মনে ভয়, মাতৃতজের কাতর-ক্রন্দনে স্থির থাকিতে না পারিয়া) স্বয়ং মাতৃরপিনী মহামাঘা বিদ্যাসাগরকে বুকের ভিতর করিয়া লইয়া, সেই দুরত্ত দামোদর পার করিয়া দিয়াছিলেন। পার হইয়া বিদ্যাষাগর আবার চলিতে আরস্ত করিলেন। পথে তাহাকে দ্বাহকেশর নদ সাভতরাইযা পার হইতে হয়। মাঠের মাঝে “কুড়ান খালের নিকট সন্ধ্যা উপস্থিত হয়। এই খানে ভয়ানক দগ্যর ভয় ছিল। বিদ্যাসাগর মহাশয়, অকুঙোছয়ে মাতৃপদ ম্বরণ করিয়া চলিতে লাগিলেন রাত্তি ৯. নয়টার, সময় ছি বাড়ীতে উপস্থিত হন। উপস্থিত হইয়া দেখেন, বর

পিস তি শী সি শিসিশীপিপস্পাশীটিশিউিও

পাপী পপপপাপিীপি শশী

* ১৮৩৬ কি ৩৭ রি -৮১৩ কি 5৪ মালের ফাপ্ন মাসে বিদর্গু লাগর মহাশয়ের বিষাঁহ হইয়াছিল

মাতৃভক্তি। ১৭১

পিবাহ করিতে ণিগ্নাছে; মাকিন্ত তরে দরজ| বন্ধ করিয়া, অনাহারে পড়িপ্না আছেন। বিদ্যালাগর মহাঁপয় এক বার উচ্চ কঠেডাকিলেন) “মা! মা! আামি এসেছি।” বিদ্যাসাগরের কর্ঠস্বর বুঝিধ়া, মা! ঘরের বাহিরে আসিয়া ক্রদন করিতে লাগিলেন। তথন মাও কাদেন, পুত্রও কাদেন উভষেই অনাহারে ছ্িলেন। উদ্্াস-বেগের ভ্রাস হইলে পর, মাতা পুত্র, একত্র আহার করিতে বলেন।

ব্হতর বিদেশীঘ্র-পন্থ-পাঠক, বহুতর মাতৃভক্ত বিদেশীষ পুরুষের নাম শুনিয়া থাকেন। জন্সন্‌, জেনারল্‌ ওয়াশিংটন্‌ প্রভৃতির মাতৃতক্তি, অতুলনীঘ্ব বলিয়া পরিবীর্ভিত; কিন্ধ বল- দেখি, বাঙালী বিদ্যাসাগরের মাতৃভক্তির তুলনা কি হয়? শুনিয়াছি, রোমক-বীর সম্রাট সিজর্‌, যখন ইংলও-বিজয়- মানসে, সাগর পার হইবার উপক্রম করেন, তখন ভয়ানক ঝাড়-বৃষ্টি উপস্থিত হইঘ়াছিল। তাহাকে জাহাজে উঠিতে অনেকেই নিষেধ করেন; কিন্ত তিনি কাহারও নিষেধ শোনেন নাই। বিদ্যাসাগর মহাশয়, ষখন দ্রামোদরে ঝাপ দ্বিবার উপক্রম করেন, তখন নিকটন্থ জন কয়েক লোক, তাহাকে পাগল ভাবিয়া, সে ছুক্ষর কাধ্যে বাধ! দেয়; বিদ্যাসাগর কোন বাধা মানেন নাই। বাহা জগতে উভয়েরই অবন্থা একরপ; অন্তর্জগতের ক্রিয়া নিশ্চিতই ভিন্ন রূপ। এক জনের বিজয়- বাসনা, অপরের মাতৃপৃজা। বল দেখি, পাঠক ! কাহার সাহস প্রশংসনীয়? জগতে কোন্‌ বীর ম্মরণীয় ? বিদ্যাসাগরের

১৭২ . বিদ।াসাগর

মাতৃতক্তির এই একটা মাত্র দৃষ্টাত্ত পাইলেন; পরে আরও বন্ুপ্রকার পাইবেন বিদ্যাসাগর মহাশয়, বাল্য-রচনায় যেমন সুন্দর স্থুপাঠ্য

কবিতা রচনা! করিতে পারিতেন, যৌবনেও তাহার সেইক্দপ কবিতা রচনা! করিবার শক্তি ছিল। তিনি যখন ফোর্ট উই- লিয়মু কলেজের পণ্ডিত, তখন কষ্ট-নামে এক সিবিলিয়ন্‌ সাহেব তাহাকে নিজের নামে একটী কবিতা রচনা করিতে অনুরোধ করেন। অনুরোধের বশে নিম্নজিধিত কবিতাটা রচিত হইয়াছিল,_

"ীমান্‌ রব্টকষ্টোহদ্য বিদ্যালয়মুপাগতঃ।

সৌজন্পূর্ণেরালাপৈর্সিতরাৎ মামতোবয়ৎ

সহি সদৃগুণগম্পন্নঃ সদাচাররতঃ সদ]।

প্রন্নবদনো নিত্যৎ জীবতৃবশতং সুখী 8

কষ্ট সাহেব জন্তষ্ট হইয়া, বিদ্যাসাগর মহাশয়কে ২০০১

হুই শত টাকা পুরস্কার দিতে প্রস্তত হন। তিনি তাহ গ্রহণ না করিয়া কলেজে জম! দিতে বলেন। জাহেৰ তাহাই করেন। ষে ছাত্র, সংস্কৃত রচনায় প্রথম হইতেন, তিনি এই টাকা হইতে ৫০২ পঞ্চাশ টাকা পুরস্কার পাইতেন। চারি বৎসর চারিটী ছাত্র এই পুরস্কার পাইয়াছিলেন। ইহার নাম হইয়াছিল, "কষ্ট-পুরস্কার”? | বিদ্যাসাগর মহাশয় নিজে টাকা না লইয়া, সংস্কৃত-চঙ্টির গশুভোদেশে চারিটা স্বদেশী পণ্ডিতকে প্রকারাত্বরে এই টাক! দেওয়াইলেন। ইহা কি

সংস্কৃত রচন।। ১৭১

কম মহত্ব! কথ সাহেবের দ্বিতীয় অনুরোধে বিদ্যাসাগর মহাশয় নিমুলিধিত শ্লোক রচন1 করিয়াছিলেন ;-_

“দোষৈধিনাকতঃ সর্কর্ৈঃ সর্ব্িরাসেবিতো! গুণৈঃ।

কুতী সর্মান্থ বিদ্যা জীরাৎ কষ্টো মহামতিঃ

দয়াদাক্ষিণ্যমাধুধ্যগাভীধ্য প্রমুখা গুণাঃ।

নয়বর্স্রতে নূনত রমন্তেহস্মিন্‌ নিবন্তরমূ॥

সদাসদালাপরতেনিতাং সংপথবর্তিনঃ।

সর্দলোকপ্রির়স্তান্ত সম্পদস্ত সদ! ন্থিরা

অন্ত প্রশাস্তচিত্তস্ত সর্বত্র মমদর্শিনত।

সর্ধধন্দপ্রীণগ্ত কীন্তিরাযুশ্চ বর্দতাম্‌ |

নিদ্যাবিবেকবিনয়াদিগুণৈকুদারৈঃ |

নিঃশেষলোকপরিতোষকরশ্চিরায়ু |

দ্র নিরস্তখলছুব্বচনাবকাশঃ।

শ্রীমান্‌ সদ। বিজফুতাৎ নু রবর্টকষ্টঃ ॥”

কষ্ট সাহেব যখন এই কবিতা রচনা! করিতে অনুরোধ করেন, তখন তিনি পঞ্জাবের নিবিলিয়ান্‌ পদ হইতে চির-বিদায়ু লইয়া] বিলাত যাইবার উপকম করিতেছিলেন। অতঃপর উত্তর-চরিত, শকৃত্তলা মেঘদূতের সংক্ষিপ্ত টাকা

ভিন্ন বিদ্যাসাগর মহাশয় ভাবে আর (কোন শ্লোকাদি রচন। করিয়াছিলেন কি না, তাহার বিশিষ্ট প্রমাণ নাই। তিনি ষে ভাবে আর সংস্কৃত গদ্য বাপদ্য রচন] করিয়াছিলেন, এমন বোৌধও হয় না। সংস্কত-রচনায় তাহার প্রবৃত্তি ছিল না।

১৭৪ বিদ্যামাগর।

আধুনিক লোকে প্রকৃত বিশুদ্ধ সংস্কৃত রচনা করিতে পারে, এবিশ্বাম তাহার ছিল না। একদিন মেঘদূতের ত্বচরিত টাক! দেখিয়া, তিনি স্বীয্প দৌহিত্রের নিকট একটু হাসিয়া বলিয়া- ছিলেন)-“ওরে আমি বেশ সংস্কৃত লিখেছি তো।”

ফোর্ট উইলিয়ম কলেজে অধ্যাপনার কালে বিদ্যাসাগর মহাশয় সাহেবদের পরীক্ষক হইতেন। তছৃপলক্ষে ধিদ্যারত্ব মহাশয় লিখিয়াছেন,_-*পরীক্ষায় পাস না হইলে, কোন কোন্‌ সিবিলিয়নকে দেশে ফিরিয়া যাইতে হইত। কারণ মার্সেল সাহেব দয়া করিয়া 8 সিবিলিয়নদের কাগজে নম্বর বাড়াইয়া দিতে বলিতেন। অধ্যক্ষের কথা না শুনিয়া বিদ্যাসাগর মহাশয়, ন্যায়ানুসারে কাধ্য করিতেন। উপরোধ করিলে খাড় বীকাইয়া বলিতেন, অন্যায় দেখিলে কাধ্য পরিত্যাগ করিব। কারণ জিবিলিয়ন্‌ ছাত্রগণ অধ্যক্ষ মার্সেল সাহেব, তাহাকে আন্তরিক ভক্তি শ্রদ্ধা করিতেন ।”

বিদ্যাসাগর মহাশয়ের এরপন্তায়পরত্া অসভ্ভব নয়) কিন্ত রাজকৃষ্ণ বাবুর মুখে মার্সেল জাহেবের যেরূপ সদাশয়তা সৎসাহমিকতার কথা শুনি, তাহাতে তিনি বিদ্যাসাগরকে এরূপ প্রস্তাব করিয়াছিলেন, কথা হঠাৎ ত্বীকার করিতে যেন মন চাহে না। তবে স্বজাতি-প্রেমষের কথা দ্বতন্ত্র।

2 ইজওওিরযে

অম অধ্যায়।

বাশুদ্দেব-চরিত সাহিত্য-সন্ধান।

ফোর্ট উইলিয়মূ কলেজে প্রবেশ করিবার পর, বিদ্যাসাগর মহাশয় কলেজের কর্তৃপক্ষ-কর্তৃক বুপৃণঠ্যু বাঙ্গাল! গদ্য.পাঠ্য পুস্তক প্রণয়ন করিবার জন্য অনুরুদ্ধ হন। সেই অনুরোধের বশবভাঁ হইয়া, তিনি “বানুদ্দেব-চরিত” নামক একখানি গ্রন্থ রচনা! করেন। প্বান্ুদেব-চরিত? আমন্ভাগবত্তের দশম স্ক্থ অবলম্বন করিয়! রচিত। “বানুদেব-চরিতে” প্রমস্তাগ্নবতের কোন কোন স্থান পরিত্যক্ত; কোন কোন শ্থবানের ভাবমাত্র গৃহীত এবং কোন কোন স্থান অবিকল অনুবাদিত। ইহা অবলম্বন বা অনুবাদ হউক; লিপি মাধুর্যে ভাষা-সৌন্দর্য্যে, মুল কটি সৌনধ্যেরই সম্যক সমীপবস্ভাঁ।

“বানু দেব-চরিত” বাঙ্গাল গণ্য গ্রন্থের আদর্শ-স্থল। হিন্দু- সন্তানেরই ইহা প্রকৃত পাঠ্য বাঙ্গালী হিন্দ পাঠকের দুর্ভাগ্য বলিতে হইবে, “বাস্থদেব-চরিত” ফোর্ট উইলিয়মু কলেজের কর্তৃপক্ষ কর্তৃক অনুমোদিত হয় নাই। যে “বাসুদেব-চরিতে” তগবান্‌ আকষের পূর্ণ-রহ্ত্ব প্রতিপাদদিত, তাহা ধৃষ্টান সাহেব সিবিলিয়ন কর্তৃক ঘে অননুমোদিত হইবে, তাহা আর বিচিত্র কি?

“বাসুদেব-চরিতে? ভগবান শ্রাকৃষ্ণের পূর্ণ লীলা প্রকটিত; পত্রে পত্রে ছত্রে ছত্রে তগবদাবির্ভাবের পুর্ণ প্রকটন।

১৭৬ বিদ্যাসাগর |

বিদ্যাসাগর মহাশয় অবশ্ত মনে করিয়াছিলেন, ইহাতে শ্রীক্ণের ত্রহ্মত্ব বিকসিত হইলেও, সংস্কৃত গ্রন্থের অন্থবাদমাত্র ভাবিয়া, সাহেব দিবিলিয়নগণ ইহাকে সাদরে উপাদেয় বার্থীল। পাঠ্য- রূপে গ্রহণ করিবেন বন্ততঃ ইহা বিদ্যাসাগর মহাশয়ের রচিত প্রথম গ্রন্থ হইলেও, অনুবাদের গুণে, ভাষার লালিত্য- মাধু্যে, বর্ণনার বিকাশ চাতুধো এবং ভাব-সম্ভারের যথাযথ বিস্তামে, ইহা বাঙ্গাল! ভাষা-শিক্ষার্থী সাহেব সিবিলিয়নদের ষে অতি আদ্দরণীয় পাঠ্য হইয়াছিল, তাহার আর সন্দেহ নাই। ইহার পুর্বে বিশুদ্ধ প্রাপ্রল ভাষায় লিখিত, এমন হুন্দর বাঙ্গাল! গণ্য গ্রন্থ আার ছিল না। অনেক সংস্কৃতজ্ঞ পর্ডিতই এই ফোর্ট উইমিয়মু কলেজের পাঠাখীদের জন্য বাঙ্গাল! পাঠ্য পুস্তক রচনা করিয়াছিলেন) কিন্তু কোন পাঠ্যই এমন হুপাঠ্য হয় নাই; সুপাঠ্য কি, কদর্ধ্য ভাষার জন্য তাহার অধিকাংশই অপাঠ্য হইয়াছিল।* কেবল “ফোট উইপিয়মৃ* কলেজের পাঠ্য

24৭

. * কলিকাতার (1১উইলিয়মু কলেজ নামক যে বিদ্যালয় নংস্বাপিত ভয়, ভাহার ব্যবহারের জন্য অনেকগুলি বাঙ্গাল! পুস্তক রচিত মুদ্রিত তইয়াছিল। কেরি মাহে পীস্থানে মআপিয়াই বাঙ্গাল] ইংরেজিতে ব্যাকরণ অভিধান প্রস্তত করিয়াছিলেন সেব্যাকরণ এক্ষণে ছুশ্াপ্য হইয়াছে? কিন্ত অভিধান এখন অনেক স্থলে দেখিতে পাওয়। যায়| * *

সাহেষ ভিন্ন কয়েক জন বাঙ্গালী কালেজের অধ্যাপক হইয়া কয়েকখানি পুস্তক রচনা] করিয়াছিলেন ভন্মধো বাঁমরাম বসু অতি কদর্ধ্য গদ্যে প্রতাপাদিতাচরিত নামে এক পুস্তক লেখেন এবং পঙ্িতবর সৃড়াঞ্চয় বিদ্যালক্কার প্রবোধচজিকা রচন] করেন।--বাঙ্গাল1 ভাষা মাহিত্য বিষয়ক প্রস্তাব ২৭৩1 ২০৪ পৃষ্ঠা।

বাস্থদেব-চরিত। ১৭৭

কেন, যে সময় «বাহৃদেব-চরিত” রচিত হয়, সেই সময় এবং তাহার পুর্বে যে সকল বাঙ্গাল! গদ্য গ্রন্থ রচিত হইয়াছিল, তাহার কোন খানি ভাষ।"পারিপাটিতে, «বাভুদেব-চরিতে”র সহিত তুলনীয় হইতে পারে মী। ভাষার নমুন] স্বরূপ, “বাহদেব-চরিতে”র কিয়ুদংশ মাত্র এইখানে উদ্ধত করিলাম,--

“এক দিবস দেবধি নারদ মধুরায় আমিয়া কংসকে কহিলেন, মহারাজ ! তুমি নিশ্চিত রহিয়াছ, কোনও বিষয়ের অনুমন্ধান কর ন1; এই যাবৎ গোপী যাদব দেখিতেছ, ইহার দেবতা, দৈভাবধের নিমিত্ত ভূমণলে জন্ম লইয়াছে এবং শুনিয়াছি, দেবকী'র গর্ভে জন্মগ্রহণ করিয়া] নারায়ণ তোমার প্রাণসংহাঁর করিবেন, এবং তোমার পিত1 উগ্রমেন এবং অন্যান্য জ্বাতি-বান্ধবের| তোমার পক্ষ হিতাকাজ্জী নহেন $ অতএব, মহারাঁজ ! অতঃপর লাবধান হও, অদাপি মময় অতীত হয় নাই, প্রতিকার চিত্ত! কর। এই বলিয়া দেবসি প্রস্থান করিলেন। কংন শুনিয়া অতিশয় কুপিত হইল এবং ততক্ষণাৎ অপুত্র বস্থদেব-দেবকীকে আনাইয়া ভীহাদিগের নমক্ষে পুত্রের প্রাণনাশ করিল এবং ভীহাঁদিগকে কারাগারে নিগড়-বন্ধনে রাখিল। অনন্তর নিজ পিতা উগ্রমেলকে দুর্দীকৃত করিয়! স্বয়ং রাঁজ্য- শানন প্রজী পালন করিতে লাগিল এবং প্রলম্ব, বক, চাঁমুর, তৃখাবন্ত প্রভৃতি ছুবত্ত সৈন্গগণের মহিত পরামর্শ করিয়া যছুবংশীয়দের উপরি নানাপ্রকার অত্যাচার করিতে লাগিল। তাহারা প্রাণভয়ে পলাইয়া কুর, কেকয়, শা, পাথণল, বিদর্ভ, নিষধ আদি নান! দেশে প্রচ্ছন্নবেশে বাম করিতে লাগিলেন। কেহ কেহ কংসের শরণাপন্ন মভানুযায়ী হইক্সা মথুরাতেই অবস্থান করিলেন।

চর

অনন্তর অইটম মাস পূর্ব হইলে ভাদ্র মানের কৃষ্পক্ষে অইমীর অর্ধরাত্র

১৭৮ বিদ্রানাগর।

সময়ে ভগবান জিলোকনাথ দেবকীর গর্ভ হইতে আবিভূভ হইলেন। ততকালে দিক্‌ কল প্রমন্ন হইল, গগনমণলে নির্মল নক্ষাত্রম্ডল উদ্দিত হইল, গ্রামে নগরে নালা মঙ্গল-বাদ্য হইতে লাগিল নদীতে নির্মল জল মঠ্োবরে কমল প্রদুল হইল। বন উপবন প্রত্ততি মধুর মধুকর- গীতে কোঁকিলকলকলে আমোদিত হইল? এবং শীতল সুগন্ধি মন্দ মন্দ গম্ধবহ বহিতে লাগিল। লাবুগণের আশয় জলাশয় সুপ্রমন্ন হইল দেবলোকে ছন্দুভি-ধ্ননি হইতে লাগিল। সিদ্ধ চারণ কিন্নর 'গস্র্বগণ গীতি স্বতি করিতে লাগিল। বিদ্যাধরীগণ অপ্নরাঁদিগের শহিত নৃতা করিতে লাগিল। দেব দেবধিগণ হধিতমনে পুষ্পবধণ করিতে লাগিল! মেঘ মল মন্দ মন্দ গর্জন করিতে লাগিল ।”

কেবল-সংস্কত-ভাষাভিজ্ঞ পণ্ডিতের রচিত বার্জালা ভাষার পরিপ:টা কি কম প্রশংসনীয় সংস্কতে অভিজ্ঞ হইলেই যে এরূপ বাঙ্গালা ভাব! লিখিবার শক্তি হয়, কথা৷ বলিতে পারি না। রাজা রামমোহন রায়, রাজা রাজেন্্রলাল মিত্র পাদরী কষ্ধমোহন বন্যোপাধ্যায় তো সংস্কৃত ভাষায় অল্প-বিস্তর অধি- কার লাভ করিয়াছিলেন তাহারা বাঙ্গাল গদ্য-সাহিত্যের পুটিনাধন জন্য সামান্ত প্রা পান নাই বাঙ্গালা ভাষার পুষ্টিসাধন-কল্সে তাহারাও কম সহায় নহেন। সেজন্য তাহারা বিদ্যাসাগর মহাশয়ের ভ্তায় চিরস্মরণীয় হইবার যোগ্য-পাত্র, সন্দেহ নাই?* তীহারাও কিন্ত বিদ্যাসাগর মহাশয়ের ন্যায়,

্পশাপীপীশীি পাশপাশি সপপপালীশীশিশাীপিশাপশট শীশ্পীশদিশীশিশী।

* চিরম্মবণের চিহ্ৃ-স্বরূপ এই তিন জলের প্রতিকৃতি স্থানান্তরে প্রকাশিত হইল। বাঙ্গাল! ভাষার প্রকৃষ্ট পু্টি-কর্তী বিদ্যাসাগর মহাশয়ের প্রতন্িকতিব্ নহিত ইহাদেঃও প্রতিকৃতি মতত বাঙ্গালা-পাঠকবর্গের লম্মুথে উপস্থিত থাকিলে, ভাষ]-পুগ্ি-নাধন-কলে উৎ্নাহ উদ্যমের উম্মেষণ।

শ্রীযুক্ত রাজরুঞ্জ বদ্দ্যোপাধ্যায়।

রাজ) রমখোহন রায়।

সংহিত্য-সন্ধান। ১৭৯

বিশুদ্ধ প্রাগ্রল বাঙ্গাল! ভাষায় পুস্তক প্রণয়নে সমর্থ হন নাই। তুলনায় সমালোচনা করিবার জন্য, হাহাদেরও প্রত্যে- কের ভাষার একটু একটু নমুন। প্রকাশ করিলাম

রাজা রামমোহন রায় “পৌন্তলিকদিগের ধর্ম-প্রণালী”, “বেদান্তের অনুবাদ”) "কঠোপনিষদ্‌”, «বাজননেয়সখহিতোপ- নিষদ্‌”, “মাহুক্যোপনিষদ্‌”, “পথ্যপ্রদ্ধান” প্রভৃতি কয়েক খানি পুন্তক রচন! করিয়াছিলেন ণপথ্যপ্রদান” হইতে ভাষার একটু নমুনা দিলাম,

“বাস্থবিক ধর্ধনংহাঁরক অথচ ধর্-শংগ্রাপনাকাজশী নাম গ্রহণ পূর্ন যে প্রত্থাত্বর প্রকাশ করিয়াছেন, তাহা সযুশায়ে ছুই শত আগ্টাত্রিংশৎ পৃষ্ঠ সংথাক হয়, ভাহাতে দশ পৃষ্ঠ পরিমিত ভূমিকা গ্র্থাতছ্ছে লিখেন এই দশ

: পুষ্ঠে গণন1 কর গেল যে বাঙ্গ নিন্াস্চক শব্দ ভিন্ন স্পষ্ট কছুক্তি

বিংশতি শব্দ হইতে অধিক আমাদের প্রতি উল্লেখ করিম্াছেন,-এইকপ

৮১

0৬৫ জি (০,459 জট পপর

হইতে পারে বিদ্যাসাগর মহাশয়ের পাঠীবস্থায় ১৮৩৩ খুষ্টান্দের ২৭শে মেট্টে্বর বাজা রামমোহন বায় বিলীতে ব্রিষ্টল হরে ৬১ বংলর বয়ছে মানবলীল1 নংবরণ করেন। রাজ] রাজেন্দ্রলাল মিএ পাদবী কৃষণমোহন বন্দোপাধায়, বিদ্যামাগরের অময়ে বাঙ্গালা নাহিতোর প্রসাৰে প্ররুত্ত ছিলেন। ইহারা উভয়ে ইংরেজীতে পারদর্শিতা লাভ করিয়াছিলেন; পরন্থ কৃ বন্দ খু্টান হইয়াছিলেন। ইহাদের বন্দাল1 ভাষার হিতৈ ষণ! প্রক্ততই প্রশংনার যোগ্য। ১৮১১ খৃষ্টান ৭৭ বংনর বয়মে রাজ! রাঁজেন্ত্ লাল মিত্র ১৮৮৪ খুষ্টান্দে ৮৫ বংসত্র বয়মে কৃষ্ণ বন্য মানবলীলা ঘত্বরণ করেন রাজা রাজেন্রলাল মিত্রের মহিত বিদ্যালাগর মহাশয়ের এক লময় অনেকটা! ঘনিষ্ঠভ1 ছিল। “ওয়ার্দ্‌ ইনষ্টিটিমেনে”র কোন কাঁধ্যালোচনার পর উভয়ের মে ঘনিষ্ঠতা বিচ্ছিন্ন হয়। কৃষ্ণ বন্দ্যের সহিত্ব মৌথিক আলাপ-জীতিমাত্র ছিল।

১৮০ বিদ্য'সাগর |

নমগ্র পুত্তক প্রায় হুর্বাকো পরিপুষ্ট হয়। ইহাতে এই উপলদ্ধি হইতে পারে যে দ্বেধ মৎসরতায় কাতর হইয়1 ধর্ন-নংহারক শাস্ত্রীয় বিবাদচ্ছিপে এইন্নপ কটুক্তি প্রয়োগ করিয়। শ্বন্তঃক৫ণের ক্ষোভ নিবারণ করিতেছেন, অন্যথা ছর্বাক্য প্রয়োগ বিন! শান্সীয় বিচার মর্বথা সম্ভব ছিল?”

কষ্খমোহন বন্দ্যোপাধ্যায় “যড়্-দর্শন জংগ্রহ”) “বিদ্য।- কক্গত্রম* * প্রভৃতি পুস্তক প্রণরন প্রকাশ করিয়াছিলেন তাহার বিদ্যাকক্সপ্রম হইতে ভাষার একটু নমুনা দ্রিলাম,__

“এতদ্দেশের প্রাচীন ইঘ্িহান পুস্তকে অনেক অনেক নরপতি বীরদিগের দেবপুত্র্নপে বর্ণনা আছে, ইহাতে বোধ হয় পৃন্নকালীন লোক- দের সভ্যাপেক্ষ! অ্ুত বিবরণে অধিক আদব ছিল এবং পুরাণ লেখকের কবিতার ছন্দৌলালিতাদিব প্রতি অন্ৃরক্তা হইয়া শব্দধিস্তান করত পাক- বর্গের মলোরগ্ন পুরঃমর বিবিধ ব্যিয়ে উপদেশ করিতে প্রতিজ্ঞ করিয়া- ছিলেন, সুতরাং অবিকল ইতিবৃপ্ত লিখিয়া স্ব স্ব কল্পনাঁশক্তিকে থন্স করেন নাই | কাব্য মলগ্ষারের রসে রসিক হইয়া স্ব স্ব কবিত্ব নৈপুণা প্রফাশপুন্বীক সাধারণের মন্তোষ করিয়া উল্লিখিত শুরকীর ব্লাজাদিগের মানের গোরব করিবেন, ভাহাদিগের ইহাই বিশেষ তাংপধ্য ছিল?”

_ রাজা রাজেজলাল মিত্র “বিবিধার্থ সংগ্রহ” নামক বাঙ্গালা মাসিক পত্র প্রকাশ করিযা, আপনার বিদ্যাবুদ্ধি গবেষণার পরিচয়ের সঙ্গে, বাঙ্গীলা1 ভাষার শ্রীবুদ্ধি-সাধনা-কামনারও পরিচয় দিয়াছেন। তাহা হইতে ভাষার একটু নমুনা দিলাম,"

* বিদ্যাকল্প-দ্রম কোস-গ্রন্থ; থণে খণ্ডে প্রকাশিত হইতেছিল। ইহাতে প্রথম জীবন-চত্রিত প্রকাশিত হয়! পুত্বকের এক দিকে ইংরেজি অন্ত দিকে তাহার বাঙ্গাল অন্বাদ আছে!

বন্দা |

কষ্চমোহন

রি

৫01

সাহিত্য-সন্ধান। ১৮১

প্পরন্ত এতদেশীঘ্র মহাশয় জনমকল যদি একত্র হওত ঈবদনৃত্রহাৰ- জোফন করিয়া স্বদেশীয় মঙ্গলবৃদ্ধির উৎসাহ জন্মাইবার ইচ্ছা করেন, প্তাহা হইলে লাল] উপায় দ্বারা তদভিষ্ট নিদ্ধ হইতে পারে। ভত্র ভঙ স্থাবে অখবা গ্রামে গ্রামে সর্ব সাধারণের মার্বকালিক বংশপরম্পপ্পার উপকারার্থে গ্রামভেটি বারইয়ারির ধন অখবা তত্রত্য প্রত্যেক ব্যক্তি কিঞ্চিৎ কিপ্সি'২ মাসিক দান ত্বার এক গ্রন্থালয় স্থাপন করিলে কোন ব্যক্কির ব্যয়রেশ হইবে না, অথচ অতুল উপকার। গ্রন্থের অভাব প্রযুক্ত অনেকে নান শান্তালোচনার যোগ্য হইয়াও স্বয়ং গ্রশ্থনংগ্রহে অপারকবোধে আলনোর হস্তে পতিত হন। অনেকের ইতিহাঁন ভূগোলবৃত্বীস্ত অবণে পঠনে স্বতই ইচ্ছ! জন্মে, কিন্ত তাদৃশ গ্রন্থাদির অভতাবপ্রতুক্ত নিরর্থক ভৌতিক মানিক গল্পজল্পনাতে কালযাপন করেন।

,. “আমরা পলীগ্রামবাপী হনের প্রতি অমধাদ্ধিত হইকসা হূর্বাল পরামর্শ- পক্ষের উল্লেখ করিতেছি; কিন্তু তাহাই ঘে সর্ধাত্ররেই রীতি হউক এমত জামাদের অভিমন্ধি নহে।

“এভদ্রপ ভদ্র ধনাঢ্য পল্লীগ্রাম জনেক আছে, যে তাহাতে প্রতিবংমতধ মিথ্যা কর্মোপলক্ষে অনেক বাক্তি শত শত টাকার বাকদ পোঁড়াইয় ক্ষণিক আমোদ করেন, মিথ! সং নির্মাণ করি। কভ শত মুন্্রা বায় করেন। এমভ কল গ্রামে এক একটি উত্তম গ্রন্থালয় ন1 থাক ভত্তদ গ্রামস্থ ব্যক্তিদিগের কি পর্যন্ত নিন্দাকর তাহ] তাহারাই বিবেচন] করিয়া দেখুন”

ইহাদের গ্রন্থ হইতে অনেক সার কথার শিক্ষা লাভ হয়, সন্দেহ নাই) ভাষাও অনেকট! ব্যাকরণ-দোষাদিশুন্ত ; কিন্ত ভাষার বিশদতা প্রীঞ্ুলতার অভাব জন্য, তাহাদের রচন। ষে অনেকটা ছুর্বোধ হুইয়া পড়িযঘ্লাছে, তৎসন্বন্ধে কাহারও দ্বিধা

থাকিতে পারে না। বাগৃ-বিন্তাসের দীর্ঘতা ছত্র-সমিবেশের ৯৬

১৮২ বিদ্যামাগর |

বিশৃঙ্খলতা হেতু এই সব রচনা, মনোহারিণী হইতে পারে নাই। কতকটা ইংরেজী প্রণালীর অন্ুবত্তী হওয়ায়, ইহাদের লিপি-পদ্ধতি অনেকট। জটিল হইয়া! পড়িয়াছে।

এই তিন জনের মধ্যে রাজা রামমোহন রায়ের ভাষ| কিঞিত ছুর্বোধ। রাজেন্রলালের ভাষা কতকটা ভাল বটে; কিন্ত ইহা কষ্ণবন্দ্যের অপেক্ষা! দুর্বোধ কৃষ্ণ বন্দ্যের ভাষা! কতকটা। জটিল বটে; কিন্ত অধিকতর প্রাগ্রল। কেবল বানুর্দেব- চরিতে" নহে, ইহার পরে রচিত বিদ্যাসাগর মহাশয়ের অনেক গ্রচ্থেই সংস্কৃত প্রণালীমতে দ্রীর্ঘ সমাসহুক্ত শবপ্রয়ো?, দেখিতে পাওয়া ঘাঁয়। কিন্তু ষেই সব শব্দ বা বাক্য এমনই বথাভাবে যথাস্থানে জন্নিবেশিত হইয়াছে যে, তাহা কোন্‌ রূপেই শ্রুতিকটু হুদ নাই; বরং তাহা মধুর মৃদক্গ-নিনাদব, পাঠক শ্রোতার কর্ণমুলে এবং হ্বদয়ের অন্তস্তলে অপুক্ধ স্থখ-সঞ্চার করিয়া থাকে লিপি-পদ্ধতি একরূপ হইলেও, বিষয়ের জদৃতা গুর্ুতা অগুমারে, বিদ্যামাগর মহাশয়ের রচিত পুস্তকাবলীতে ভাষাপ্রয়োগেরও সারল্য গাতীধ্যের তারতম্য বনুপ্রকারেই দেখিতে পাইবে। জন্বন্ধে বিদ্যা- সাগরের অদুত শক্তি! বিদ্যাসাগর মহাশযের রচনায় ব্যর্থ বাক্যপ্রয়োগ অতীব বিরল। তিনি যেখানে যে বাক্যটা প্রয়োগ করিয়াছেন, মনে হয়, তাহ! তুলিয়া লইয়া তৎসম- সংজ্ঞক অন্ত বাক্য-প্রয়োগ ছুরূহ। শক্তির পরিচয় প্রথম হইতেই তাহার “বাস্বদেব-চরিতে”।

ত্র

রাজা রাজেন্ত্রলাল মি

সাহিত্য-সন্ধান। ১৮৩

ফোর্ট উইল্থিযু কলেজের পু পুস্তক ব্যতীত, হাত্ুদেব- চরিত রচনা হইবার পুর্ব, অন্যান্ত অনেক মহাত্বাই বাঙ্গাল! শৃদ্য-সাহিত্ব্যের পুষ্টি-সাধন জন্য পুস্তক রচনা! করিয়াছেন জন্য কেরি, মার্জমান্‌ প্রভৃতি মিশনরী বাঙ্গালীর আশীর্বাদ- পাত্র। তবে ইহারাও ষে ভাষার সম্যক পরিপাটা বা পরিপুষ্টি- সাধনে কৃতকাধ্য হন নাই, বাঙ্গালী পাঠকমাত্রেই তাহা বিদ্িত

আছেন। মিশনন্ীী ভাষার একটু নমুনা এইখানে দিলাম,

“প্রক বড় বিলেতে অনেক বেঙ্গের বমতি ছিল তাহার ধারে কতক- গুলি বালক হঠাৎ খাপরা। খেলা থেলিতে লাগিল, আর জলে একজাই থাঁপব্রাবৃ্ি করিতে লাগিল? ইহাতে ক্ষীণ ভীত বেঙ্গেদের বড় দুঃখ হইল। শেষে সকল হইতে লাহসী এক বেঙ্গ বিল হইতে উপরে মুখ বাড়াইয়া কহিল, হে প্রিয় বালকেরা ! তোমর1 এত ত্বরাতেই কেন আপন জাতির নিষ্ঠুর স্বভাব শিক্ষহ ?”

কেরি, মা মান প্রভৃতি মিশনরী ভিন্ন অনেক সিবিলিয়ন্‌ সাহেব বাঙ্গালী মনস্বী, সংবাদপত্র এবং পুস্তকাদি প্রকাশ করিয়া, বাঙ্গাল। ভাষার পুষ্টি-সাধনের ষথেষ্ট পরিচয় দিয়াছেন ।*

গতারিরটারারাগক্ঞ্ব পক পাপা

* ১৭৭৮ খুষান্দে হাঁলহেড, নামক এক সিবিলিয়ামু াহেব বঙ্গভাঁষায় এক ব্যাকরণ প্রকাশ করেন। তখন মুদ্রাযন্ত্র ছিল ন1। চার্লম্‌ উইলকিন্স নামক হাঁলহেড সাহেবের এক বন্ধু ম্বহস্তে ্ষুদিয়! ঢালিয়! এক সাঁট বাঙ্গাল! অক্ষর প্রস্তুত করেনশ। এই অক্ষরে হাঁলহ্ডে সাহেবের ব্যাকরণ মুদ্রিত হয়। ১৮১৩ থুষ্টান্সে লড কর্ণওয়ালিস্‌ বাহাছুর যে সকল আইন মংগৃহীত করেন, ফরষ্টর নামক এক নাতেব তাহা বাক্সালাতে অনুবার্দ করেন। ১৮১৯ খৃষ্টান্দে মানশন্‌, ওয়ার্ড প্রভৃতি মিলনরী শ্রীরামপুরে আগিয়া অবস্থিতি করেন। ইহারা আরামপুরে একটা মুস্রাধন্ত্র স্থাপন করিয়া!

১৮৪ বিদ্যাসাগর

স্থানাস্তরে যথাগ্রসঙ্গে সংবাদপত্রের আলোচনা! করিব। এখানে বাঙ্গালা ভাষার পুষ্টি-পরিচায়ক কয়েকখানি পুস্তকের উল্লেখ করিবমাত্র। এতছুল্লেখে বিদ্যাসাগর মহাশয়ের রচনা-প্রকৃষ্টতা বাঙ্গালা ভাষার চরম পু্িকারিতা কতক উপলব্ধ হুইবে। প্রকৃত বাঙ্গালা গদ্য-সাহিত্যের স্গ্ি-কাল নির্ণয় কর! ছুরহ। তবে আমরা প্রায় তিন শত বৎসরের পূর্বে লিখিত যে গণ্য" সাহিত্যের পুঁধি দেখিয়াছি, তাহার আলোচনা করিলে প্রতীত হয়, প্রকৃত গদ্য-সাহিত্যের সি ইহার বহুপূর্বে।* ইহার ভাষা তেজোময়ী প্রাণময়ী না হউক, ইহার গঠন-প্রকারে মনে হয়, প্রকৃত গদ্য-সাহিত্য হুগ্টির কাল নির্ণয় ছুক্ধর। এইখানে ভাষার একটু নমুনা দ্িলাম,__-

"তাহার রূপ কি। স্বরূপ প্রকৃতিতে জড়িত | বাঁহজ্ঞান রহিত। ভেং নিত্য চৈতন্য | তাহাকে জানিব কেমনে তেঁহ আপনাকে আপনি জানান। যেজন চেতন নেই চৈতন্স। অতএব স্বরূপ রূপ একবস্তব হয়। বর্তমান অনুমান এই ছুইরূপ।* * & | তাহার নামকি। নপ্ত স্বর্গ মণ্ত পাতাল কি কি। ভূলোক ভবলোক স্থরলোক মহোলোক

দেবনাগর বাঙ্গালা প্রভৃতি নান! অক্ষর প্রস্তত করেন এবং সংস্কৃত, বাঙ্গাল, হিন্দি, উড়িয়া প্রভৃতি নান1 ভাষায় বাইবেল শ্গুবাদিত করিয়1 ষন্ে মুদ্রিত করিতে লাগিলেন | কৃত্তিবামী রামায়ণ, কাশীদাসী মহাভারত প্রভৃতি বাঙ্গালার প্রাচীন প্রাচীন গ্রন্থ নকলও উহাতে মুত্রিত হইতে লাগিল ।--বাঙ্গাল। ভাষা সাহিত্য-বিষয্নক প্রস্তাব, ২০৩ পৃষ্ঠ1।

* এই পু'ধি কলিকাতা বিশ্বকোষ কার্য্যালয়ে আছে, ইতিপূর্বে পু'খির কথ! উল্লিখিভ হইয়াছে, তখন পূ'থি আমাদের হস্তগত হয় নাই।

সাহিত্য-সন্ধান। ১৮১

ইয়াট্‌দ্‌ সাহেব জীবিত থাকিলে, তাহার মনের ক্রেশ একে" বারে না হউক, কতকটা দূরীকৃত হইতে পারিত, সন্দেহ নাই।

ভাষার পুষ্টিতত্বনির্ণয় করিতে হইলে, প্রাচীনতম সাহিত্যের আলোচন। কর! কর্তব্য ) অন্ততঃ বিদ্যাসাগর বিরচিত বাসুদেব চরিতের ভাষা বুঝাইতেও তাহার প্রয়োজন ; কিন্ত এখানে সে সম্বন্ধে আলোচনার স্থানাভাব; এতৎসম্বন্ধে বিস্তৃত আলোচনা পাঠকের বিরক্তিকর হইবার সম্ভাবনা তবে কতকটা কৌতুহল নিবৃত্তির জন্য কয়েকখানি পুস্তকের উল্লেখ করিলাম

প্রথমে “তোতা-ইতিহাসে”র উল্লেখ করা উচিত। এখানি “তোতা-কাহানী” নামক উর্দূ পুস্তকের অনুবাদ হিন্দীতেও “গুকবাহাত্তরী” নামক এইরূপ একখানি পুস্তক আছে। তোতা অর্থাৎ শুকপক্ষীর মুখে গল্পচ্ছলে কয়েকটা প্রসঙ্গ ইহার লিপি- প্রণালী বিশুদ্ধ নয়; ভাধাও গ্রাম্য-দোষ-বর্জিত নয়; স্থানে স্থানে বিজাতীয় ভাব-ব্যক্তিরও অভাব নাই; সংস্কৃত শবের সঙ্গে অযথা! গ্রাম্যবাক্য প্রয়োগে অনেক স্থানে শ্রুতিকটু হইয়াছে। তবে শব প্রয়োগ সরল সহজ একটু নমুন1 দিলা ম,_-

'পূর্বকালে ধনবানদের মধ্যে আম্দ-স্ুলতাঁন দামে এক জন ছিলেন; তাহার প্রচুর ধন প্রশ্র্যা এবং বিস্তর সৈল্য-মামন্ত ছিল; একমহত্র অশ্ব পর্চশত হস্তী নবশত উদ্রী ভারের নহিত ভাহার দ্বারে হাজির থাকিত | কিন্ত তাহার নন্তাননন্ততি ছিল ন!। এই কারণ তিনি দিবারাত্রি প্রাতে সন্ধ্যাতে ঈশ্বরপূজকদের নিকট গমন করিয়া সেবার দ্বার সন্তা-

১৯৩ বিদ্যাসাগর

নের বর প্রার্থন|! করিতেন কতক দিবন পরে ভগবান স্বগ্টিকর্ত। সুর্যের হ্যায় বদন চন্দ্রের হ্বায় কপাল অতি সুন্দর এক পুত্র তাহাকে দিলেন। আমদ সুলতান সন্তান পাইয়! বড় প্রফুলিতচিত্ত পুষ্পবৎ বিকসিত হইয়া] সেই নগরস্থ প্রধান লোক আর মন্ত্রী পর্চিত এবং শিক্ষাঞ্তর আর ফকির- দিগকে আছ্বানপূর্ধবক আনয়ন করিয়া! ব্যুলা খেলাও বন্ত্রীদি দিলেন। যখন মেই বালকের সপ্তম বদর বয়ঃক্রম হইল তখন আমদ সুলতান্‌ একঞন বিদ্বান লোকের স্থানে পড়িবার জন্যে মেই পুত্রকে সমর্পণ করিলেন। কতক দিবমেতে মেই বালক আরবী পারলী শাস্ত্রের লমুদয় পুস্তক পড়িয়া মাপ্ত করিয়া রাজমভাব ধারামতে কথোপকথন আর বসন উঠন শিক্ষা করিলেন। "তার পর রাজার আর মভাঙ্থ লোকদের পননদেতে হলেন |?

“তোতা ইতি খাস” কাহার লিখিত, তাহা জানিতে পারা যায় নাই) তবে যে ইহা এদেশীয় লোকের লিখিত, ইয়াটুস সাহেব তাহার স্পষ্ট পরিচয় দিয়াছ্ছেন। এদেশীয়ের লিখিত হইলেও, ইহার বাঞ্জালা কতকটা পাদরীদের বাজালার মতন

১৮০২ স্বষ্টাব্ধের রামরাম বন্ুর লিখিত “লিপি মালা" প্রকাশিত হয়। পত্রের উত্তর-প্রত্যুত্বরচ্ছলে সকল প্রবন্ধই লিখিত। লিখন'প্রণালী প্রায়ই পুর্ষোক্তরূপ। তবে অপেক্ষা- কৃত মার্জিত ; কিন্তু ভাষা জটিল। নমুনা এই,__

“তোমাদিগের মঙ্গলাি সমাচার অনেক দিবস পাই মাই, তাহাতেই তাবিত আছি; সমাচার বিশেষন্ূপ লিখিবা। চিরকাল হইল ভোমার

থুল্লতাত গল্গ1! পৃথিবীতে আগমন হেতু নমাচার প্রশ্ন করিয়াছিলেন, তখন তাহার বিশেষণ প্রাপ্ত হইতে পারেন নাই ।” |

সাহিত্য-সন্ধান। ১৯১

১৮০৪